Category: বিজ্ঞান

Get updated Science and Research related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • SARAS Telescope: ব্রহ্মাণ্ডের আদি ছায়াপথগুলির তথ্য দেবে ভারতের ‘সারস’

    SARAS Telescope: ব্রহ্মাণ্ডের আদি ছায়াপথগুলির তথ্য দেবে ভারতের ‘সারস’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশ গবেষণায় বিশ্বের উন্নত দেশগুলির সাপেক্ষে পিছিয়ে নেই আমাদের দেশ। নিত্যনতুন গবেষণা চলছে মহাজাগতিক রহস্য উন্মোচনের জন্য। বিগ ব্যাং-এর ২০ কোটি বছর পরের সময়কালকে মহাজাগতিক ভোর বলা হয়। এবার এই সময়কালে তৈরি হওয়া আদি গ্যালাক্সি বা ছায়াপথগুলির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য খুঁজে বের করবে ভারতের শক্তিশালী রেডিও টেলিস্কোপ। যার পোশাকি নাম ‘সারস’ (SARAS Telescope)। বেঙ্গালুরুর রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা প্রাচীন এই ছায়াপথগুলির এনার্জি আউটপুট, ভর ইত্যাদি নির্ণয় করবেন এই শক্তিশালী টেলিস্কোপটির সাহায্যে।

    আরও পড়ুন: আরেক সফল অভিযান ইসরোর, পিএসএলভি-তে চেপে ৯টি উপগ্রহ গেল মহাকাশে

    টেলিস্কোপটি কোথায় রাখা ছিল এতদিন ? কোন কোন দেশ রয়েছে এই গবেষণায় ?

    The Shaped Antenna measurement of the background Radio Spectrum 3 সংক্ষেপে ‘সারস’ (SARAS) টেলিস্কোপটি তৈরি করেছে রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউট। যাবতীয় ডিজাইনও তারাই করেছে। ২০২০-এর প্রথম দিকে এই টেলিস্কোপটি (SARAS Telescope) ছিল উত্তর কর্নাটকের দন্ডিগনহাল্লি হ্রদ  এবং সরাবতী নদীর উপর।

    আরও পড়ুন: জোড়া ব্যর্থতার পর অবশেষে সফল হল নাসার ‘আর্টেমিস ১’-এর উৎক্ষেপণ

    রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা ছাড়াও এই গবেষণায় রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশন (CSIRO), কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো নামী প্রতিষ্ঠান। প্রতিনিয়ত যারা গবেষণায় রত রয়েছে প্রথম প্রজন্মের বা আদি ছায়াপথগুলির ভর, এনার্জি আউটপুট প্রভৃতি বৈশিষ্টগুলি খুঁজে বের করার কাজে।

    আরও পড়ুন: ইসরোর সহযোগীতায় ভারতে প্রথমবার বেসরকারি সংস্থার রকেট উৎক্ষেপণ 

    ছায়াপথের মধ্যে এবং চারিদিকে হাইড্রোজেন পরমাণুর বিকিরণ পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞানীরা যে তথ্য পেয়েছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে এই বিকিরণের তরঙ্গ ১৪২০ MHz. ব্রহ্মাণ্ড যত বিস্তৃতি লাভ করেছে ততটাই প্রসারিত হয়েছে এই বিকিরণ। পৃথিবীতে একেবারে নিম্ন তরঙ্গের Radio Band আসে, যেগুলির মাত্রা ৫০-২০০ MHz. এগুলি সাধারণত ব্যবহার করা হয় FM এবং TV transmission এর কাজে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Artemis 1 Mission: জোড়া ব্যর্থতার পর অবশেষে সফল হল নাসার ‘আর্টেমিস ১’-এর উৎক্ষেপণ

    Artemis 1 Mission: জোড়া ব্যর্থতার পর অবশেষে সফল হল নাসার ‘আর্টেমিস ১’-এর উৎক্ষেপণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একের পর এক বাধা কাটিয়ে শেষপর্যন্ত চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিয়ে সফল হল নাসার ‘আর্টেমিস ১ মিশন’ (Artemis 1 Mission)। চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিল যাত্রীবিহীন মহাকাশযান ‘ওরিয়ন’। চাঁদে ফের মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে আমেরিকার এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। আর আজ তার প্রথম ধাপ সম্পন্ন হল। ভারতীয় সময় দুপুর ১২টা ১৭ নাগাদ ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে লঞ্চ হল নাসার ‘আর্টেমিস ১’।

    বাধা কাটিয়ে সফল উৎক্ষেপণ

    আর্টেমিস-১-এর সফল উৎক্ষেপণের উপর নির্ভর করেই আগামী দিনে নাসা চন্দ্রাভিযান নিয়ে আরও বড় আকারের পরিকল্পনা করবে (Artemis 1 Mission)। এর আগে যান্ত্রিক কারণে দুবারের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। পরপর দুবার বাতিল করা হয়েছে উৎক্ষেপণ। একবার ইঞ্জিনে ত্রুটি, একবার হাইড্রোজেন গ্যাসের লিকের কারণে উৎক্ষেপণ করা হয়নি। কিন্তু এবার এই যানটি চাঁদের কক্ষপথে গিয়ে যানটিকে কক্ষপথে ছেড়ে দেবে। ক্যাপসুলের মতো খুলে যাবে ঢাকনা। বেরিয়ে আসবে যানটি। চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে অবতরণের জায়গাগুলো চিহ্নিত করে আসবে ওরিয়ন। মহাকাশচারীদের জন্য লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম ঠিকঠাক ভাবে কাজ করছে কি না তা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে আসবে স্পেস রকেট।

    আরও পড়ুন: চাঁদের বুকে কোথায় নামবেন মহাকাশচারীরা? ১৩টি জায়গা বেছে নিল নাসা

    আর্টেমিস মিশনের তিনটি ধাপ

    দীর্ঘ ৫০ বছর পর চাঁদে মানুষ পাঠানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। তাই এর তোড়জোড়ও শুরু হয়ে গিয়েছে পুরোদমে। এরই মধ্যে এক ধাপ সফল হয়েছে। নাসার চাঁদে মানুষ পাঠানোর মিশন সম্পন্ন হবে মোট ৩টি ধাপে। যার প্রথম ধাপ ‘আর্টেমিস ১’। এটি যাত্রীবিহীন অভিযান। যার মূল লক্ষ্য, চাঁদের মাটিতে নামার জন্য সম্ভাব্য ‘ল্যান্ডিং সাইট’গুলি চিহ্নিত করা। অর্থাৎ কোথায় মহাকাশচারীরা অবতরণ করবেন তা চিহ্নিত করা। এরপর একই পরীক্ষা হবে মিশনের দ্বিতীয় ধাপেও। তা সফল হলে তৃতীয় ধাপের অভিযানে চাঁদে পাড়ি দেবে মানুষ (Artemis 1 Mission)।

    উল্লেখ্য, নাসার তরফে জানানো হয়েছে, এটি আবার পৃথিবীর দিকে ফিরে আসবে একটি নির্দিষ্ট সময় পর। প্রশান্ত মহাসাগরে ল্যান্ড করার আগে ওরিয়ন চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে। অনুমান করা হয়েছে, এটি ২৫ থেকে ২৬ দিনের মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরে ল্যান্ড করবে।  

  • Chandra Grahan: আজ বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ, জানেন কলকাতায় দেখা যাবে কখন?

    Chandra Grahan: আজ বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ, জানেন কলকাতায় দেখা যাবে কখন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ (Lunar Eclipse)। কলকাতা-সহ উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখতে পাওয়া যাবে। নাসার তরফে জানানো হয়েছে, এই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে উত্তর পূর্ব ইউরোপ, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, প্রশান্ত মহাসাগর, ভারত মহাসাগর, উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার বেশিরভাগ জায়গা থেকেই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। 

    আরও পড়ুন: চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের রঙ কেন লাল দেখায়? জানাচ্ছেন নাসা বিজ্ঞানীরা

    কলকাতায় বিকেল ৪টে ৫২-য় চাঁদ উঠবে। সেইসময় থেকে বিকেল ৫টা ১১ পর্যন্ত পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। অর্থাৎ কলকাতায় পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের সময়সীমা ১৯ মিনিট। চন্দ্রগ্রহণ ছাড়ছে সন্ধে ৬টা ১৯-এ। ৫টা ১১ থেকে ৬টা ১৯ পর্যন্ত আংশিক চন্দ্রগ্রহণ। কলকাতায় আংশিক চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে ১ ঘণ্টা ৮ মিনিট। সব মিলিয়ে গ্রহণ শুরু হবে বিকেল ৪টে ৫২ মিনিটে এবং শেষ হবে সন্ধে ৭টা ২৬ মিনিটে। গ্রহণ স্থায়ী হবে ২ ঘণ্টা ৩৪ মিনিট।  এর পরের চন্দ্রগ্রহণ তিনবছর পর, ২০২৫-এর ১৪ মার্চ। শিলিগুড়িতে বিকেল ৪টে ৪৯ মিনিটে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের সাক্ষী হবে। গ্রহন ২ ঘণ্টা ৪১ মিনিট স্থায়ী হবে। গুয়াহাটিতে গ্রহণ শুরু হবে ৪টে ৩২ মিনিটে শেষ হবে ৭টা ২৬মিনিটে।

    আরও পড়ুন: বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ! জেনে নিন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি

    আজ সারা দেশে পালিত হচ্ছে রাসপূর্ণিমা। এবার রাসপূর্ণিমায় পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ হতে চলেছে। বাংলাদেশ থেকেও গ্রহণ পরিলক্ষিত করা যাবে। বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী, দুপুর ২ টো ৪ সেকেন্ডে চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে। সন্ধ্যা ৬ টা ৪৯ মিনিট ৪ সেকেন্ড পর্যন্ত চন্দ্রগ্রহণ চলবে। ভারত এবং বাংলাদেশে পুরো গ্রহণ দেখা যাবে না। গ্রহণের শেষ অংশ দেখা যাবে। আজকের চন্দ্রগ্রহণ আংশিক দেখা যাবে দিল্লি থেকে। কলকাতা, শিলিগুড়ি, পটনা, রাঁচি, গুয়াহাটি-সহ দেশের পূর্ব অংশ থেকে আজ পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ সম্পূর্ণ দেখা যাবে। নিজেদের অঞ্চল থেকে চন্দ্রগ্রহণ দেখা গেলে এই মহাজাগতিক দৃশ্য পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করবেন। তবে খালি চোখে চন্দ্রগ্রহণ না দেখাই ভাল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Reason for Blood Moon: ব্লাড মুন কী? কেন গ্রহণের সময় রক্তিম হয় চাঁদ? জানুন আসল কারণ

    Reason for Blood Moon: ব্লাড মুন কী? কেন গ্রহণের সময় রক্তিম হয় চাঁদ? জানুন আসল কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ (Lunar Eclipse 2022) হতে চলেছে আজ। আজকের চন্দ্রগ্রহণ পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ হতে চলেছে। পরবর্তী পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ আবার তিন বছর পর দেখা যাবে, যা ১৪ মার্চ, ২০২৫। আজ চাঁদ একেবারে লালচে বর্ণ ধারণ করবে। কয়েক বছর অন্তর এই দৃশ্যের সাক্ষী হওয়ার সুযোগ মেলে বিশ্ববাসীর। সূর্য, চন্দ্র ও পৃথিবী যখন একই সরলরেখায় থাকে এবং পৃথিবীর ছায়া যখন চন্দ্রের ওপর পড়ে তখনই চন্দ্রগ্রহণ হয়ে থাকে। তবে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার মতে, আজকে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ হলেও বিশ্ববাসী আংশিক চন্দ্রগ্রহণের সাক্ষী থাকবেন। 

    ব্লাড মুন কী?

    আজকের চাঁদের রং লাল হয়ে যাওয়ার ঘটনাকে ব্লাড মুন বলা হয়। নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পূর্ণগ্রাসের (Lunar Eclipse 2022) সময় চাঁদ পৃথিবীর সবচেয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন অংশ ‘আম্ব্রা’ নামক জায়গায় প্রবেশ করে। এরপর চাঁদ যখন আম্ব্রার মধ্যে থাকে, তখন এটি একটি লালচে রং-এ পরিণত হয়ে যায়। এই ঘটনার কারণে চন্দ্রগ্রহণকে কখনও কখনও ‘ব্লাড মুন’ বলা হয়।

    আরও পড়ুন: আজ বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ, জানেন কলকাতায় দেখা যাবে কখন?

    কিন্তু জানেন কি চাঁদ কেন রক্তাভ বর্ণ ধারণ করে?

    সাধারণত পৃথিবীর ছায়া আম্ব্রা চাঁদের ওই অদ্ভুত রঙ তৈরি করে। নাসার বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, চন্দ্রগ্রহণের (Lunar Eclipse 2022) সময় চাঁদে তখন একমাত্র সূর্যের আলো পৌঁছয় যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে যায়। আর বায়ুমন্ডলের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় ধুলিকণায় প্রতিফলিত হয়ে রক্তিম হয়ে যায়। চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে যত বেশি ধুলো বা মেঘ থাকবে, চাঁদকে দেখতে তত বেশি লাল হবে। ফলে যে কারণে আমরা সকালে নীল রঙের আকাশ দেখি এবং সূর্যাস্তের সময় লাল আকাশ দেখি সেই একই ভাবে চাঁদের রংও লাল দেখায়। 

    প্রসঙ্গত, আজ গ্রহণ শুরু হবে বিকেল ৪টে ৫২ মিনিটে এবং শেষ হবে সন্ধে ৭টা ২৬ মিনিটে। গ্রহণ (Lunar Eclipse 2022) স্থায়ী হবে ২ ঘণ্টা ৩৪ মিনিট। কলকাতায় বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। কলকাতায় চন্দ্রগ্রহণ ছাড়ছে সন্ধে ৬টা ১৯-এ।

  • Birth of Moon: কীভাবে হয়েছিল চাঁদের জন্ম? জানেন?

    Birth of Moon: কীভাবে হয়েছিল চাঁদের জন্ম? জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের জন্ম নিয়ে নানা মুনির নানা মত। অনেকেই চাঁদের জন্ম (Birth of Moon) নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন তত্ত্ব দিয়েছেন। সবচেয়ে প্রচলিত যে তত্ত্বটি রয়েছে তা হল, চাঁদের জন্ম হয়েছিল মাত্র কয়েক ঘণ্টায়। পৃথিবীর সঙ্গে ‘থিয়া’ নামের এক মহাজাগতিক বস্তুর ধাক্কার পরেই চাঁদের সৃষ্টি হয়। থিয়ার আকার প্রায় মঙ্গল গ্রহের সমান ছিল। পৃথিবীর সঙ্গে থিয়ার তীব্র সংঘর্ষ হয়। গবেষকদের মতে, তীব্র সংঘর্ষে পৃথিবী এবং থিয়া থেকে ছিটকে বেরিয়ে এসেছিল কিছু পদার্থ এবং তা সঙ্গে সঙ্গেই পৃথিবীকে কেন্দ্র করে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘুরতে শুরু করে। আর সেই পদার্থ পরবর্তীতে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ নামে পরিচিতি পায়।  

    নাসার এই নিয়ে অন্য একটি দাবি রয়েছে। তাদের দাবি, চাঁদের সৃষ্টি হয়েছিল প্রায় সাড়ে চারশো কোটি বছর আগে। সেই দাবিতে বলা হয়, পৃথিবীতে বড়সড় কোনও আলোড়নের ফলে তার উপাদান ছিটকে বেরিয়ে চাঁদের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ এমনও মনে করেন, চাঁদ তৈরি হয়েছিল পৃথিবীরই অংশ দিয়ে। আর চাঁদ তৈরির পরেই তৈরি হয়েছিল প্রশান্ত মহাসাগর!  

    পৃথিবী থেকে প্রায় ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে চাঁদ। এত দূরে থেকেও পৃথিবীর অনেক কিছুকেই নিয়ন্ত্রণ করে উপগ্রহটি। চাঁদের সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে এর আগেও বহু গবেষণা হয়েছে। কিন্তু ঠিক কীভাবে এই উপগ্রহ তৈরি হয়েছে, তার খুঁটিনাটি তথ্য অনেকাংশেই রহস্যে মোড়া।

    আরও পড়ুন: “প্রকল্পের নামে প্রহসন”, দুয়ারে সরকার শুরুর ঠিক আগেই রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    চাঁদের প্রকৃত বয়স জানবার জন্য বিগত কয়েক শতাব্দী ধরে বিজ্ঞানী ও গবেষকরা নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রকৃত বয়স জানা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া লস অ্যাঞ্জেলেসের আর্থ, প্লানেটারি অ্যান্ড স্পেস সায়েন্স বিভাগের রিসার্চ জিওকেমিস্ট মেলানি বারবোনি বলেন, “আমরা অবশেষ চাঁদের একটি সর্বনিম্ন বয়স স্থির করেছি।” নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে সৌরজগৎ সৃষ্টির ৬০ মিলিয়ন বছর পর চাঁদ সৃষ্টি হয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Atmospheric Electricity: জানেন কীটপতঙ্গ তৈরী করতে পারে বিদ্যুৎ?

    Atmospheric Electricity: জানেন কীটপতঙ্গ তৈরী করতে পারে বিদ্যুৎ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিবেশে প্রতিটি জীবকূলই গুরুত্বপূর্ণ, তা যতই ক্ষুদ্র হোক না কেন। সম্প্রতি এক গবেষণায় তা আবারও প্রমাণিত হলো। গবেষণায় জানা গিয়েছে ,জীবন্ত জীবগোষ্ঠী বায়ুমণ্ডলীয় বিদ্যুতের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এমনকি কীটপতঙ্গ বায়ুমণ্ডলে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারে।

    গবেষকরা সম্প্রতি একটি গবেষণায় এক ঝাঁক মৌমাছির পারিপার্শ্বিক ক্ষেত্র পরীক্ষানিরীক্ষার সময় বায়ুমণ্ডলীয় বৈদ্যুতিক চার্জ লক্ষ্য করেছে। গবেষকদের মতে, এই ধরনের বিদ্যুৎ মূলত আবহাওয়ার প্রকৃতি নির্ধারণের পাশাপাশি তাকে প্রভাবিতও করতে পারে, আর এর মাধ্যমে কীটপতঙ্গেরা সহজেই খাদ্য খুঁজে পায়।

    ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও এক জীববিজ্ঞানী এবং লেখক এলার্ড হান্টিং বলেছেন, পদার্থবিজ্ঞান কীভাবে জীববিজ্ঞানকে প্রভাবিত করে তা নিয়েই এই গবেষণা। গবেষণার ফলে জানা গিয়েছে জীববিদ্যাও পদার্থবিদ্যাকে প্রভাবিত করতে পারে।

    [tw]


    [/tw] 

    গবেষকদের মতে বেশিরভাগ জীবন্ত পতঙ্গের মতো মৌমাছিও একটি সহজাত ভাবে বৈদ্যুতিক চার্জ বহন করতে পারে। গবেষণা দলটি খুঁজে পেয়েছে যে মৌমাছির ঝাঁক প্রতি মিটারে ১০০ থেকে ১,০০০ ভোল্ট বায়ুমণ্ডলীয় বিদ্যুত উৎপন্ন করে,যা ভূ-স্তরেও বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের শক্তি বৃদ্ধি করতে সক্ষম। গবেষকরা এমন একটি মডেল তৈরি করেছেন যে যার মাধ্যমে সহজেই অন্যান্য প্রজাতির কীটপতঙ্গের উপস্থিতির পূর্বাভাস দিতে পারে। ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন জীববিজ্ঞানী ও সহ-লেখক লিয়াম ও’রিলি’ র মতে, কীটপতঙ্গের ঝাঁক বায়ুমণ্ডলীয় বিদ্যুৎকে প্রভাবিত করতে পারে তাদের ঘনত্ব এবং আকারের উপর নির্ভর করে।

    অপর এক বিজ্ঞানী এলার্ড বলেছেন “আমরা সম্প্রতি আবিষ্কার করেছি যে জীববিজ্ঞান এবং বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রগুলি একে অপরের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। তাদের মধ্যে এমন অনেকগুলি সম্পর্ক রয়েছে যা বিভিন্ন স্থানিক স্কেলেও বিদ্যমান থাকতে পারে। মাটিতে জীবাণু এবং উদ্ভিদ-পরাগায়নকারীর মিথস্ক্রিয়া থেকে শুরু করে কীটপতঙ্গের ঝাঁক থেকে বিদ্যুৎ সৃষ্টির মতো নানা বিষয় এই গবেষণাপত্রটিতে প্রকাশিত হয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Surya Grahan: সূর্যগ্রহণে কী কী করণীয় ও কী কী করা যাবে না? নয়তো নেমে আসতে পারে বিপদ!

    Surya Grahan: সূর্যগ্রহণে কী কী করণীয় ও কী কী করা যাবে না? নয়তো নেমে আসতে পারে বিপদ!

    মাধ্যম নিউড ডেস্ক: দীর্ঘ ২৭ বছর পর দীপাবলিতে সূর্যগ্রহণ হতে চলেছে। বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ ঘটতে চলেছে আজ, ২৫ অক্টোবর ২০২২ তারিখে। এটি একটি আংশিক সূর্যগ্রহণ। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, এই সূর্যগ্রহণ চলবে দুপুর ২টা ২৯ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬.৩২ মিনিট পর্যন্ত। প্রায় চার ঘণ্টার এই সূর্যগ্রহণ। ভারতে, এটি শুরু হবে বিকেল ০৪.২২ এ এবং এখানে এটি সূর্যাস্তের সঙ্গে শেষ হবে। অর্থাৎ দীপাবলির পরদিন সকালে শুরু হয়েছে সুতক কাল।

    গ্রহণ শুরু হওয়ার পাশাপাশি এটি দেখার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। বিশেষজ্ঞদের মত, কখনই খালি চোখে গ্রহণ দেখা উচিত নয়। খুব অল্প সময়ের জন্যও খালি চোখে গ্রহণে থাকা সূর্য দেখার পরামর্শ দেওয়া হয় না। এমনকি যখন চাঁদ সূর্যের বেশিরভাগ অংশকে অবরুদ্ধ করে, তবুও এটি চোখের স্থায়ী ক্ষতি করবে এবং অন্ধত্বের কারণ হতে পারে। এছাড়াও গ্রহণ চলাকালীন কী কী করণীয় ও কী কী করা উচিত নয়, জেনে নিন।

    আরও পড়ুন: আজ বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ, কখন শুরু হবে ও কোথায় দেখা যাবে?

    কী কী করণীয়?

    • সূর্যগ্রহণ দেখার সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হল সঠিক ফিল্টার ব্যবহার করা, যেমন অ্যালুমিনাইজড মাইলার, কালো পলিমার, ১৪ নম্বর শেডের ওয়েল্ডিং গ্লাস, অথবা একটি সাদা বোর্ডে টেলিস্কোপ ব্যবহার করে সূর্যের ছবি প্রজেক্ট করা। চোখের প্রোটেকশন নিয়ে সতর্ক করেছে মার্কিন মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণা সংস্থা নাসা।
    • গ্রহণের সময় হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালান।
    • বাচ্চাদের গ্রহণ দেখার জায়গা থেকে দূরে রাখুন।

    কী কী করা উচিত নয়?

    • সূর্যগ্রহণ দেখার জন্য নিয়মিত সানগ্লাস ব্যবহার করা উচিত নয়।
    • গ্রহণ রেকর্ড করতে আপনার ক্যামেরা ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন। আপনি যদি উপযুক্ত চশমা না পরে থাকেন তবে সূর্যের তীব্র রশ্মি আপনার চোখের ক্ষতি করার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

    প্রসঙ্গত, আজ সূর্যগ্রহণ ভারতের পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলে ভালোভাবে দেখা যাবে অর্থাৎ এটি নয়া দিল্লি, বেঙ্গালুররু, কলকাতা, চেন্নাই, উজ্জয়িনী, বারাণসী, মথুরা, জয়পুর, ইন্দোর, থানে, ভোপাল, লুধিয়ানা, আগ্রা, চণ্ডীগড় থেকে দেখা যাবে। এছাড়াও ইউরোপ, উত্তর পূর্ব আফ্রিকা, পশ্চিম এশিয়া, উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর ও ভারত মহাসাগরের উত্তর অংশে দেখা যাবে এই বিশেষ সূর্যগ্রহণ।

  • Solar Eclipse 2022: আজ বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ, কখন শুরু হবে ও কোথায় দেখা যাবে?

    Solar Eclipse 2022: আজ বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ, কখন শুরু হবে ও কোথায় দেখা যাবে?

    মাধ্যম নিউড ডেস্ক: বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ ঘটতে চলেছে আজ, ২৫ অক্টোবর ২০২২ তারিখে। এটি একটি আংশিক সূর্যগ্রহণ হবে। আজকের সূর্যগ্রহণ নিয়ে গোটা বিশ্ব জুড়ে মানুষের কৌতূহল দেখা যাচ্ছে। কারণ এটি বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ। আর দীর্ঘ ২৭ বছর পর দীপাবলির সময় সূর্যগ্রহণ হবে। এছাড়াও ধর্মীয় মতে ও জোত্যিষষাস্ত্রেও সূর্যগ্রহণের বিশেষ প্রভাব রয়েছে বলে মনে করা হয়। এছাড়াও এই সূর্যগ্রহণটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর সুতক দীপাবলির রাত থেকে দেখা যাচ্ছে।

    কবে হবে বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ?  

    ভারতীয় সময় অনুযায়ী, এই সূর্যগ্রহণ চলবে দুপুর ২টা ২৯ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬.৩২ মিনিট পর্যন্ত। প্রায় চার ঘণ্টার এই সূর্যগ্রহণ। ভারতে, এটি শুরু হবে বিকেল ০৪.২২ এ এবং এখানে এটি সূর্যাস্তের সাথে শেষ হবে।

    আরও পড়ুন: ২৫ শে অক্টোবর ভারতে দেখা যাবে আংশিক সূর্যগ্রহণ

    সূর্যগ্রহণ কী?

    একটি সূর্যগ্রহণ ঘটে যখন সূর্য, চাঁদ এবং পৃথিবী একটি সরল রেখায় থাকে এবং চাঁদ সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যে আসে।

    কোথায় কোথায় দেখা যাবে সূর্যগ্রহণ?

    মূলত, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, উত্তর পূর্ব আফ্রিকা, পশ্চিম এশিয়া, উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর ও ভারত মহাসাগরের উত্তর অংশে দেখা যাবে এই বিশেষ সূর্যগ্রহণ। এই সূর্যগ্রহণ ভারতের পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলে ভালোভাবে দেখা যাবে অর্থাৎ এটি নয়া দিল্লি, বেঙ্গালুররু, কলকাতা, চেন্নাই, উজ্জয়িনী, বারাণসী, মথুরা, জয়পুর, ইন্দোর, থানে, ভোপাল, লুধিয়ানা, আগ্রা, চণ্ডীগড় থেকে দেখা যাবে। ভারতের বাকি শহরের তুলনায় সূর্যগ্রহণ সবচেয়ে বেশি স্থায়ী হবে গুজরাটের দ্বারকায়। সবচেয়ে কম স্থায়ী হবে কলকাতায়। এই সূর্যগ্রহণটি উত্তর-পূর্ব ভারতে দেখা যাবে না অর্থাৎ মেঘালয়ের ডানদিকে এবং আসাম রাজ্যের বাম অংশ গুয়াহাটির চারপাশে দেখা যাবে না। কারণ এই অঞ্চলে সূর্যাস্তের পর এই সূর্যগ্রহণ ঘটবে।

    ফের কবে দীপাবলির পরের দিন দেখা যাবে গ্রহণ?

    ২৭ বছর আগে ২৪ অক্টোবর ১৯৯৫ সালে সূর্যগ্রহণ হয়েছিল দীপাবলির পরের দিন। আগামী ১০ বছর পর ২০৩২ সালের ২ নভেম্বর  দীপাবলির পরের দিন সূর্যগ্রহণের পরিস্থিতি তৈরি হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Climate Change in Mars: শুধু পৃথিবীই নয়, জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার মঙ্গলও

    Climate Change in Mars: শুধু পৃথিবীই নয়, জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার মঙ্গলও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাল গ্রহেও এক সময় প্রাণের অস্তিত্ব ছিল। সম্প্রতি একথা নিশ্চিত করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই বিষয়ে গবেষণারত ফরাসী বিজ্ঞানীদের এক দল জানিয়েছে, বহু বছর আগে মঙ্গল (Mars) গ্রহে (Climate Change in Mars) পৃথিবীর মতো পরিবেশ ছিল। মাইক্রোস্কোপিক জীব বেঁচে থাকতে পারত সেই পরিবেশে। তবে এই ছোট জীবগুলির সেই গ্রহের জন্যে ক্ষতিকারক হয়ে পড়ে বলেও জানান বিজ্ঞানীরা।  

    ফরাসি বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে, এই জীবাণুগুলি মঙ্গল গ্রহে বরফ যুগের সূচনা করেছিল। যার ফলে গ্রহের (Climate Change in Mars) বায়ুমণ্ডলে একটি বড় পরিবর্তন হয়। এই পরিবর্তনের কিছু চিহ্ন এখনও মঙ্গলে রয়ে গিয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে, জলবায়ুর পরিবর্তন গ্রহকে এতটাই প্রভাবিত করেছিল যে, লক্ষাধিক বছর পরেও এই গ্রহের মাটি অনুর্বর থেকে গিয়েছে।  

    গবেষকরা জানিয়েছেন, ৪০০ কোটি বছর আগে মঙ্গল গ্রহে জল ছিল। আজকের তুলনায় সেই সময় মঙ্গলে প্রাণের বিকাশ ঘটার সম্ভাবনা অনেক বেশি ছিল। গ্রহের (Climate Change in Mars) মাটিতে অনুর আকারে যে জীব ছিল, সেগুলি অনেক বেশি মাত্রায় মিথেন তৈরি করত। আগের মঙ্গল গ্রহে আর্দ্র, উষ্ণ জলবায়ু ছিল। পরে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বাড়তে থাকে। তাপমাত্রার পরিবর্তন হতে শুরু করলে ধীরে ধীরে জীবের মৃত্যু হয়। 

    আরও পড়ুন: কীভাবে পোকামাকড় গাছের ক্ষতি করে?

    এই গবেষণার মুখ্য গবেষক বরিস সাওটেরে বলেন, “মাইক্রোস্কোপিক জীবগুলি নিজেরাই নিজেদের ধ্বংসের কারণ হয়েছে।” গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে মঙ্গলে (Climate Change in Mars) বরফের স্তরও প্রাণের সঞ্চার না ঘটার অন্যতম বড় কারণ।  

    আরও পড়ুন: চাঁদে প্রথম সোডিয়ামের সন্ধান পেল চন্দ্রযান ২ 

    তবে মঙ্গলের বেশ কিছু অংশে এখনও বিজ্ঞানীরা পৌঁছতে পারেননি। বিশেষত মঙ্গলের (Climate Change in Mars) উত্তর পশ্চিম প্রান্ত এখনও বিজ্ঞানীদের অজানা। তবে নাসার রোভার মঙ্গলের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাথর ও মাটি সংগ্রহের কাজ করছে। আশা করা যাচ্ছে যে, এই লাল গ্রহ সম্পর্কে আরও অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবে মানুষ।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Insects harming plants : কীভাবে পোকামাকড় গাছের ক্ষতি করে?

    Insects harming plants : কীভাবে পোকামাকড় গাছের ক্ষতি করে?

    মাধ্যমে নিউজ ডেস্ক: বর্তমান শতাব্দীতে কীট-পতঙ্গের সংখ্যা ক্রমশ কমেই চলেছে, কিছু কিছু কীটপতঙ্গ বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে এবং কিছু কিছু কীটপতঙ্গ বিলুপ্তির পথে। তবুও বহু কীটপতঙ্গ কৃষি ফসলসহ বহু উদ্ভিদের জন্য ক্ষতিকারক। এবং ফলনের প্রভুত ক্ষতিসাধন করে চলেছে। এরফলস্বরূপ প্রতিবছর আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় কৃষকদের। উদ্ভিদজগতের ক্ষতির নিরিখে আধুনিক তৃণভোজী কীটপতঙ্গ এবং ৬.৭ কোটি বছর আগে ক্রিটেশাস যুগের উদ্ভিদ ও তৃণভোজী কীটপতঙ্গের মধ্যে তুল্যমূল্য বিচার করে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত করেছেন আমেরিকার ওয়াইওমিং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা।

    ক্রিটেশাস যুগের উদ্ভিদ ও কীটপতঙ্গ সংগ্রহ করা হয়েছে সেই যুগের থেকে প্রাপ্ত জীবাশ্ম থেকে। গবেষণাপত্রটি যে জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে তার নাম ” proceedings of the national academy of sciences”। প্রধান গবেষক এবং পিএইচডি স্নাতক লরেন আজেভেডো-শ্মিডের কথায়, “আমাদের ভূমিকা হল যাঁরা জীবাশ্মর সাহায্যে প্রাচীন উদ্ভিদ নিয়ে গবেষণা করছেন এবং যাঁরা নব বা বর্তমান উদ্ভিদকূল নিয়ে গবেষণা করছেন, তাঁদের মাঝে সেতু হিসেবে কাজ করা।”

    তিনি বর্তমানে মেইন বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্টডক্টরাল গবেষক হিসেবে কর্মরত। তিনি আরও বলেছেন, “একটি অভূতপূর্ব বিষয় আমাদের গোচরে এসেছে, কিছু কিছু কীটপতঙ্গ ক্রিটেশাস যুগ থেকে আজও সমানভাবে উদ্ভিদকূলের ক্ষতিসাধন করে চলেছে।” ইউডব্লিউ ডিপার্টমেন্ট অফ বোটানি এবং জিওলজি এবং জিওফিজিক্স বিভাগের অধ্যাপক এলেন কুরানো এবং ক্যালিফোর্নিয়া-ডেভিস বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক এমিলি মেইনেকের সঙ্গে গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন আজেভেডো-শ্মিড।

    গবেষণায় ক্রিটেশাস যুগের শেষকাল থেকে ২০ লক্ষ বছর আগে প্লাইস্টোসিন যুগ পর্যন্ত পোকায় খাওয়া জীবাশ্মযুক্ত পাতাগুলি পরীক্ষা করা হয়েছে এবং পাশাপাশি বর্তমান যুগ থেকে আজেভেডো-শ্মিডের সংগ্রহ করা পাতার সঙ্গে সেগুলির তুলনা করা হয়েছে। বিস্তারিত গবেষণায় পোকামাকড় দ্বারা সৃষ্ট বিভিন্ন ধরণের ক্ষতির দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্লাইস্টোসিন যুগ কিংবা ক্রিটেশাস যুগের তুলনায় সাম্প্রতিক ক্ষতির উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    কীটপতঙ্গের দ্বারা উদ্ভিদের ক্ষতির সুনির্দিষ্ট কারণগুলি নির্ধারণের জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন, তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন একটি উষ্ণ জলবায়ু, নগরায়ন এবং আক্রমণাত্মক প্রজাতির প্রবর্তন সম্ভবত একটি বড় প্রভাব ফেলেছে। নগরায়ন, শিল্পায়নের ফলস্বরূপ জঙ্গলের বাড়তে থাকা সংকোচন বড় প্রাণীর পাশাপাশি কীটপতঙ্গগুলোর ক্ষতি ও তাদের জীবনযাত্রাকেও প্রভাবিত করেছে। শিল্পবিপ্লবের পরবর্তী যুগে পরিবেশ দূষণের জন্য জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে, যার প্রভাব পড়েছে প্রকৃতির উপর এবং এতে বসবাসকারী জীবনকূলের উপর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
LinkedIn
Share