Category: বিজ্ঞান

Get updated Science and Research related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Asteroid: পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিমানের চেয়ে তিনগুণ বড় গ্রহাণু! আছড়ে পড়বে কি? কী বলছেন নাসা-র বিজ্ঞানীরা

    Asteroid: পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিমানের চেয়ে তিনগুণ বড় গ্রহাণু! আছড়ে পড়বে কি? কী বলছেন নাসা-র বিজ্ঞানীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রহাণু (Asteroid) পৃথিবীর (Earth) দিকে এগিয়ে আসছে, এমন ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। আর বিগত কয়েক মাসে প্রতিনিয়তই এই ঘটনাগুলো ঘটে চলেছে মহাকাশে। এবারও আবার একটি বিশালাকৃতির গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। ৯২ ফুট চওড়া গ্রহাণুটি অনেকটা বিমানের আকারের তিনগুণ বড়। এই গ্রহাণুটির নাম ‘২০২০ কিউডব্লিউ৩’ (2020 QW3)।

    অগাস্টের প্রায় কয়েকটি দিন মহাকাশ গবেষকরা চিন্তায় ছিলেন। কারণ বিগত কয়েকদিনে কমপক্ষে ৫টি গ্রহাণু অত্যন্ত কাছ দিয়ে পৃথিবীকে অতিক্রম করছে। এই গ্রহাণুগুলির মধ্যে অন্তত তিনটি বিশালাকার, যা মহাকাশ গবেষকদের মতে ‘উদ্বেগজনক’ ছিল। কারণ এগুলো পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা খেলেই অনেক বড় দুর্ঘটনা হতে পারত। তবে নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এবারের গ্রহাণুটি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসবে না, পাশ দিয়ে চলে যাবে। ফলে এতে পৃথিবীর কোনও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

    আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে গগণচুম্বী গ্রহাণু! আজই সবচেয়ে কাছে, কী হবে পৃথিবীর

    নাসার (NASA) মতে ‘২০২০ কিউডব্লিউ৩’ গ্রহাণুটি ২২ আগাস্ট, সকাল ৬টা ৪১ মিনিটে পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসবে ও পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে ঘেঁষে চলে যাবে। এর গতিবেগ প্রতি ঘন্টায় ৬৪৮০০ কিমি এবং ২২ অগাস্ট সকালের দিকে এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর কক্ষপথের ৩৩ লক্ষ কিলোমিটারের কাছাকাছি চলে আসবে। নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই গ্রহাণুটি আগের গ্রহাণুগুলো থেকে আলাদা। কারণ এটি অ্যাপোলো গ্রুপের গ্রহাণু নয়, এগুলো আমোর গ্রুপের। সুতরাং এই গ্রহাণুটি সূর্যের চারিদিকে প্রদক্ষিণ করে। নাসা তরফে জানানো হয়েছে, যদিও এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর জন্য বিপজ্জনক নয়,কারণ এটি পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। কিন্তু এটি পৃথিবীর খুব পাশ দিয়ে উড়ে যাবে, তাই যে কোনও মুহূর্তে যে কোনও বিপদ ঘটতে পারে।

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পৃথিবীকে গ্রহাণুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে নাসা এক মিশনের ওপর কাজ করছে। এই মিশনের নাম ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট (Double Asteroid Redirection Test – DART)। এতে নাসার পাঠানো মহাকাশযান গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটাবে। যাতে সেই গ্রহাণুর দিক পরিবর্তন হয়। এই মিশনের প্রধান লক্ষ্যই হল গ্রহাণুর দিক পরিবর্তন করানো। প্রায় ২৩ হাজার কিলোমিটার বেগে এটি গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষ করানো হবে। তবে নাসার এই মিশন সফল হয় কিনা সেটিই এখন দেখার।

  • Asteroids: পৃথিবী কি ধ্বংসের মুখে? গ্রহাণু সম্পর্কে ফের সতর্ক বার্তা নাসার

    Asteroids: পৃথিবী কি ধ্বংসের মুখে? গ্রহাণু সম্পর্কে ফের সতর্ক বার্তা নাসার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একাধিক গ্রহাণু (Asteroid) ধেয়ে আসতে পারে পৃথিবীর দিকে যা পৃথিবীকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে আসতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা করেছে নাসা (NASA)। বর্তমানে প্রায়ই একাধিক গ্রহাণু পৃথিবীর পাশ দিয়ে ঘোরাফেরা করছে। কিছুদিন আগেই দুটি ভিন্ন আকারের গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যদিও এগুলো পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়েনি, পাশ কেটে বেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু ফের নাসা কিছু মহাজাগতিক ঘটনা নিয়ে সতর্ক করেছে। নাসা থেকে কিছু গ্রহাণুর তালিকা বানানো হয়েছে, যা ভবিষ্যতে পৃথিবীর পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে। এমনকি এই গ্রহাণুর ফলে পৃথিবী ধ্বংস পর্যন্ত হতে পারে।

    গ্রহাণু যে কোনও আকারের হোক না কেন তা পৃথিবীর জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। তবে নাসা যেসব গ্রহাণুকে সম্ভাব্য বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করেছে, সেগুলো হল-

    আমোর গ্রহাণু (Amore Asteroids)

    মঙ্গল গ্রহের পাশ দিয়ে যাওয়া গ্রহাণুকে বলা হয় আমোর। আর্কিটাইপ অবজেক্ট ১২২১ আমোরের নামানুসারে এই গ্রহাণুর নামকরণ করা হয়েছে। এগুলি পৃথিবীর কাছাকাছি অবস্থান করে। বেশিরভাগ অ্যামোর মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথ অতিক্রম করে ও এগুলোর আকারও বড় হয়ে থাকে। আমাদের সৌরজগতে ৭৪২৭ টি পরিচিত আমোর গ্রহাণু রয়েছে। এর মধ্যে ১১৫৩ টি গোনা সম্ভব হয়েছে ও বিজ্ঞানীরা এগুলোর মধ্যে ৭৫ টির নাম দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে গগণচুম্বী গ্রহাণু! আজই সবচেয়ে কাছে, কী হবে পৃথিবীর

    অ্যাপোলো গ্রহাণু (Apollo Asteroids)

    এই গ্রহাণুগুলোর ১৮৬২ অ্যাপোলোর নামানুসারে নাম দেওয়া হয়েছে। অ্যাপোলো গ্রহাণুগুলিও পৃথিবীর কাছাকাছি গ্রহাণুগুলির একটি গ্রুপ। ১৯৩০-এর দশকে, জার্মান জ্যোতির্বিজ্ঞানী কার্ল রেইনমুথ (Karl Reinmuth) এগুলো আবিষ্কার করেছিলেন। পৃথিবীর পাশ দিয়ে যাওয়া গ্রহাণুকে বলা হয় অ্যাপোলো। এই গ্রহাণুগুলোর আকৃতি পৃথিবীর চেয়েও বড় হয়। বৃহত্তম অ্যাপোলো গ্রহাণু হল ১৮৬৬ সিসিফাস (1866 Sisyphus ) যার ব্যাস ৮.৫ কিলোমিটার ব্যাস।

    অ্যাটেন গ্রহাণু (Aten Asteroids)

    এগুলি একটি শক্তিশালী গ্রহাণুর গ্রুপ। এগুলোর কক্ষপথ পৃথিবীর কাছাকাছি অবস্থান করে। এগুলো আর্থ-ক্রসিং গ্রহাণু (Earth-crossing asteroids) নামেও পরিচিত। ২০৬২ অ্যাটেনের নামে এই জাতীয় গ্রহাণুর গ্রুপটির নামকরণ করা হয়েছে। এটি ১৯৭৬ সালের ৭ জানুয়ারী প্রথম আবিষ্কার করা হয়েছিল। আমেরিকান জ্যোতির্বিজ্ঞানী এলেনর হেলিন (Eleanor Helin) এটি পালোমার অবজারভেটরিতে আবিষ্কার করেন। এখনও পর্যন্ত ১৮৪১ টি অ্যাটেন আবিষ্কার করা হয়েছে যার তেরোটির নাম রয়েছে।

    অ্যাটিরা গ্রহাণু (Atira Asteroids)

    এই গ্রহাণুগুলির কক্ষপথগুলি সম্পূর্ণরূপে পৃথিবীর কক্ষপথের মধ্যে সীমাবদ্ধ। অ্যাটেন, অ্যাপোলো এবং আমোর গ্রহাণুর তুলনায়, অ্যাটিরা গ্রহাণুগুলি এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর কাছাকাছি বস্তুগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম গ্রুপ।

     

     

  • NASA: গ্রহাণু, উল্কা এবং ধূমকেতুর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে জানেন কী?

    NASA: গ্রহাণু, উল্কা এবং ধূমকেতুর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে জানেন কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনারা অনেকেই হয়তো উল্কা (meteor), ধূমকেতু (comet) দেখেছেন আর গ্রহাণুর (asteroid) কথা শুনেছেন। অনেকে আবার এগুলোকে একই মনে করেন। এগুলো এক বস্তু নয়। তবে এদের মধ্যে কী কী পার্থক্য রয়েছে সম্প্রতি এই নিয়ে নাসা (NASA) থেকে জানানো হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    গ্রহাণু

    গ্রহাণুকে ইংরেজিতে বলা হয় অ্যাস্টেরয়েড (asteroid)। এটি প্রধানত পাথর দ্বারা গঠিত বস্তু। এগুলো সাধারণত সৌরজগতের প্রাথমিক গঠনের প্রাচীন টুকরো, বেশিরভাগই শিলা দ্বারা গঠিত। এরা সৌরজগতে অবস্থান করে এবং সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। আকৃতিতে অনেক ছোট হওয়ার কারণে এদেরকে খালি চোখে দেখা যায় না তবে দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে এদেরকে অস্পষ্ট তারকার মত দেখা যায়। এদের আকৃতি কয়েক মিটার থেকে শুরু করে অনেক বড় হতে পারে। আবার এই গ্রহাণুগুলোতে এমন ধাতু থাকতে পারে যা তাদের উজ্জ্বল করে। এছাড়াও এতে  কার্বন রয়েছে যার ফলে এগুলোর রঙ কয়লার মত কালো। বিজ্ঞানীদের ধারনা অনুযায়ী আমাদের সৌরমণ্ডলে প্রচুর সংখ্যক গ্রহাণু রয়েছে, যারা প্রায় ২ মিটার – ৫৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।

    ধূমকেতু

    ধূমকেতুর ইংরেজি শব্দ হল কমেট (comet)। এটি সাধারণত ধুলো, বরফ ও গ্যাসের তৈরি এক ধরনের মহাজাগতিক বস্তু। প্রতিটি ধূমকেতুর কেন্দ্রে একটি বরফের নিউক্লিয়াস থাকে। যখন ধূমকেতুর কক্ষপথ সূর্যের কাছাকাছি আসে, তখন এর বরফের শরীর গরম হয়ে যায়, প্রচুর পরিমাণে গ্যাস তৈরি করে যা এর নিউক্লিয়াসের চারপাশে কোমা বা লেজ তৈরি করে। এছাড়াও সূর্য থেকে আসা সৌর ঝড়ের ফলে বিস্ফোরণ ঘটায় ধূমকেতুতে লেজের সৃষ্টি হয়। ধূমকেতুর  লেজ থাকে, তাই এরা উল্কার থেকে আলাদা হয়। এই লেজ হল আসলে পাতলা ও ক্ষণস্থায়ী বায়ুমণ্ডল। মানুষ বহুকাল থেকেই ধূমকেতু দেখে আসছে। একটি ধূমকেতুর পর্যায়কাল কয়েক বছর থেকে শুরু করে কয়েক হাজার বছর পর্যন্ত হতে পারে। নাসা থেকে বলা হয়েছে মহাকাশে ৩৫৩৫ টির মত ধূমকেতুর সন্ধান পাওয়া গেছে, তবে সৌরজগতের মধ্যে সম্ভবত কোটি কোটি ধূমকেতু রয়েছে।

    উল্কা

    উল্কা বা Meteoroids আসলে ধূমকেতু আর গ্রহাণুর খণ্ডাবশেষ। উল্কাগুলি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার সময় বায়ুর সংঘর্ষে জ্বলে ওঠে। তখন একে উল্কাপাতবলে, যাকে আমরা তারাখসা নামেও জানি। আসলে এগুলো মোটেও নক্ষত্র নয়। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার পরে, উল্কাগুলি সাধারণত বড় হয়, কিন্তু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলীয় স্তরগুলির মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময়, তারা উত্তপ্ত হয়, আর এর বেশিরভাগ অংশই প্রচণ্ড তাপে পুড়ে যায়। পৃথিবীর পৃষ্ঠে পৌঁছানো বেশিরভাগ উল্কা ছোট পাথরের আকারের ন্যায় হয়ে থাকে।

     

     

  • PSLV: ৮৬০ কোটি টাকায় ইসরোর পাঁচটি পিএসএলভি নির্মাণের বরাত পেল হ্যাল-এল অ্যান্ড টি

    PSLV: ৮৬০ কোটি টাকায় ইসরোর পাঁচটি পিএসএলভি নির্মাণের বরাত পেল হ্যাল-এল অ্যান্ড টি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশে যাতায়াত, গবেষণা, কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর পথকে আরও সুগম করতে ও ভারতের মহাকাশ সংস্থাকে আরও বেশি উন্নত করতে চার বছরের মধ্যে পাঁচটি পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (PSLV) রকেট তৈরি করার বরাত দেওয়া হল হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) এবং লারসেন অ্যান্ড টুব্রো (L&T) সংস্থাকে। এই বরাত নিউস্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেড (NSIL)-এর তরফে দেওয়া হয়েছে।

    জানা গিয়েছে, হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড ও এল অ্যান্ড টি একটি মহাকাশ কনসোর্টিয়াম গঠন করেছে। আর এই পাঁচটি পিএসএলভি রকেট তৈরি করার জন্য নিউস্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেড এই কনসোর্টিয়ামকে ৮৬০ কোটি টাকার বরাত দিয়েছে।

    একটি সরকারি বিবৃতি অনুসারে জানা গিয়েছে, সোমবার বেঙ্গালুরু ইন্টারন্যাশনাল এক্সিবিশন সেন্টারে (BIEC) সপ্তম বেঙ্গালুরু স্পেস এক্সপো ২০২২-এর (Bengaluru Space Expo 2022) উদ্বোধনী অধিবেশন চলাকালীন হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড এবং নিউস্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেডের মধ্যে এই চুক্তি স্বাাক্ষর করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সফলভাবে সিঙ্গাপুরের তিনটি উপগ্রহ কক্ষপথে স্থাপন করল পিএসএলভি-সি৫৩

    বছরের পর বছর ধরে, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) পিএসএলভি, ৫২ টিরও বেশি উৎক্ষেপণ সফলভাবে সঞ্চালিত করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও ইসরোর অত্যাধুনিক শক্তিশালী পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল বা পিএসএলভি (PSLV) রকেটে চাপিয়েই একাধিক কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানো হয়েছে। ইসরো ১৯৯০ সাল থেকে PSLV-এর মাধ্যমে উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে আসছে। শুধুমাত্র ভারতের নয়, অন্যান্য ৩৩টি দেশের ৩১৯টি কৃত্রিম উপগ্রহও উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে, একটি পিএসএলভি ১০৪টি উপগ্রহ নিয়ে কক্ষপথে প্রবেশ করছিল যা একটি বিশ্বরেকর্ড।

    ভারতীয় স্পেস প্রোগ্রামের চাহিদা মেটানোর জন্য, উচ্চ-প্রযুক্তি সম্পন্ন রকেট উৎপাদন এবং উৎপাদনের সংখ্যা বাড়াতে ইসরো একটি পৃথক বিভাগ নিউস্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেড (NSIL) গঠন করেছিল। এরই অংশ হিসেবে এনএসআইএল ২০১৯ সালে ১৬ অগাস্ট পাঁচটি পিএসএলভি রকেট তৈরি করার ক্ষেত্রে দরপত্র চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল। হ্যাল ও এলএন্ডটি-এর কনসোর্টিয়াম এই চুক্তি পায়।

  • Super-Earth: মহাকাশে আরও এক পৃথিবী! অবিকল পৃথিবীর মতই ‘সুপার-আর্থ’ খুঁজে পেলেন নাসার বিজ্ঞানীরা

    Super-Earth: মহাকাশে আরও এক পৃথিবী! অবিকল পৃথিবীর মতই ‘সুপার-আর্থ’ খুঁজে পেলেন নাসার বিজ্ঞানীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই মহাবিশ্বে আমরা কি একা? নাকি পৃথিবীর মত আরও গ্রহ আছে, যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে। পৃথিবী ছাড়া আর কোনও গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এভাবেই নাসা আরও এক পৃথিবীর (Exoplanet) সন্ধান দিল এই মহাবিশ্বে। এই পৃথিবীকে নাসার বিজ্ঞানীরা ‘সুপার-আর্থ’ (Super Earth) তকমা দিয়েছে। একইসঙ্গে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, নতুন আবিষ্কৃত এই পৃথিবী আমাদের পৃথিবীর ভরের চার গুণ। আর আমাদের পৃথিবী থেকে মাত্র ৩৭ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান এই সুপার আর্থের।

    নাসা জানিয়েছে, নতুন যে পৃথিবী আবিষ্কার করেছে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা, তার নাম ‘রস ৫০৮বি’ (Ross 508b)। এই পৃথিবী এম টাইপ তারকার (M type Star) চারদিকে ঘুরছে। আর এই তারকাকে একবার পুরো ঘুরে আসতে সময় নেয় মাত্র ১০.৮ দিন। অর্থাৎ ১১ দিনের থেকেও কম। পৃথিবীর মতই এই গ্রহ এম টাইপ তারকাকে ঘিরে ঘুরে চলেছে। ফলে এই নতুন বিশ্বে ১১ দিনের কম সময়েই এক বছর হয়। সুপার আর্থ যে তারকাকে বা বামন গ্রহকে প্রদক্ষিণ করছে তা সূর্যের থেকে অনেক বেশি লাল, ঠান্ডা, ম্লান এবং আকারেও ছোট।

    ৫০৮বি নামের সুপার আর্থটি ৮.২ মিটারের সুবারু টেলিস্কোপে দ্বারা আবিষ্কার করা হয়েছে। এই টেলিস্কোপটি হাওয়াইয়ের মাউনা কেয়া অবজারভেটরিতে অবস্থিত। এই সুপার আর্থের সন্ধান পাওয়ার পরে নাসা থেকেও ট্যুইট করে জানানো হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    নাসা থেকে আরও জানানো হয়েছে যে, এই সুপার আর্থটি বসবাসের যোগ্য হতে পারে। কারণ এটি তারকাটির habitable zone  বা বসবাসযোগ্য এলাকায় আছে। কিন্তু এটি প্রদক্ষিণ করার সময়ে কিছু সময়ের জন্য তার  বাসযোগ্য অঞ্চলের ভেতরে থাকে। আবার কিছু সময়ের জন্য তার বাইরে চলে যায়। গবেষণা অনুসারে এক্সোপ্ল্যানেট তার নক্ষত্রকে এমন দূরত্বে প্রদক্ষিণ করে যা গ্রহের পৃষ্ঠে জল গঠনের অনুকূল। অর্থাৎ এই গ্রহের পরিবেশ জল তৈরি ও ধরে রাখার পক্ষে অনুকূল, ঠিক যেমন আমাদের পৃথিবীর অবস্থান। আবার ৫০৮বি এক্সোপ্ল্যানেটে পৃথিবীর মতই পাথুরে ভূখন্ড রয়েছে, যা প্রাণের অস্তিস্ব থাকার সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। তবে, এখনও কিছুই প্রমাণ হয়নি, এই সুপার আর্থ আদেও বসবাসের যোগ্য কিনা। তাই এই নিয়ে বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।

     

     

  • NASA: পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে ছায়াপথের ছবি পাঠাল নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ

    NASA: পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে ছায়াপথের ছবি পাঠাল নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশের অনেক সুন্দর ছবি ইতিমধ্যেই আমাদের সামনে এনেছে নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ (James Webb Space Telescope)। সম্প্রতি একটি কার্ট হুইল ছায়াপথের (Cartwheel Galaxy) ছবি পাঠিয়েছে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। সেই ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA)। দীর্ঘ সময় এবং বিপুল পরিমাণ ধূলিকণার মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করে এই অসাধারণ ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছে নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে স্কালপচার (Sculptor) নক্ষত্রপুঞ্জে অবস্থিত এই কার্ট হুইল ছায়াপথ। 

    কার্টহুইল আকৃতির এই ছায়াপথের কেন্দ্র থেকে দুটো বলয় প্রসারিত হতে দেখা গিয়েছে। পুকুরে ঢিল ছুড়লে যেমন রঙ বা বলয় আকৃতিতে জল প্রসারিত হয়, এখানেও অনেকটা তেমনই হয়েছে বলে জানিয়েছে নাসা এবং ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি। এই দুই স্পেস এজেন্সি জানিয়েছে যে, এই ছায়াপথের কেন্দ্রে একটি সাদা রঙের বলয় রয়েছে। আর বাইরের বলয়ের অংশে অনেক রঙের স্পোক দেখা গিয়েছে। মহাবিশ্বে প্রায় ৪৪০ মিলিয়ন বছর ধরে এই বলয় প্রসারিত হচ্ছে। বাইরের অংশের বলয় প্রসারিত হলে তা গ্যাসে পরিণত হয় এবং নতুন নক্ষত্রের স্ফুলিঙ্গ গঠনের সহায়ক হয়।

    আরও পড়ুন: পৃথিবী থেকে নয়, মহাকাশ থেকে কেমন লাগে সূর্যগ্রহণ? ছবি প্রকাশ করল নাসা

    ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে এই টেলিস্কোপ লঞ্চ করা হয়েছিল। গত মাসে সাধারণ মানুষের সামনে প্রথম ছবি (টেলিস্কোপে তোলা) প্রকাশ করেছিল জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। আগামী দিনে মহাবিশ্বের আরও অনেক অজানা রহস্যের উন্মোচন করবে এই টেলিস্কোপ, সেই ব্যাপারে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা।

  • Synthetic Embryos: অবিশ্বাস্য! শুক্রাণু ছাড়াই কৃত্রিম উপায়ে ভ্রূণ বানিয়ে ফেললেন বিজ্ঞানীরা, জানুন কীভাবে

    Synthetic Embryos: অবিশ্বাস্য! শুক্রাণু ছাড়াই কৃত্রিম উপায়ে ভ্রূণ বানিয়ে ফেললেন বিজ্ঞানীরা, জানুন কীভাবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রাণু, ডিম্বানু ছাড়াই গবেষণাগারে তৈরি হল ভ্রূণ! এটি বিশ্বের প্রথম সিন্থেটিক ভ্রূণ। অবাক হচ্ছেন যে কীভাবে শুক্রাণু ছাড়াই ভ্রূণ তৈরি করা গেল? কিন্তু এমনই তথ্য উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমে। এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন ইজরায়েলের বিজ্ঞানীরা। জানা গিয়েছে ইজরায়েলের (Israel) ওয়েইজম্যান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের (Weizmann Institute Of Science) বিজ্ঞানীরা এই সিন্থেটিক ভ্রূণ তৈরি করে এক অসাধ্যকে সাধন করেছেন।

    আরও পড়ুন: শুক্রাণু কম, জেনে নিন কেন কমে, বাড়াবেনই বা কীভাবে?

    তবে অনেকের মনেই একটা প্রশ্ন যে কী এই সিন্থেটিক ভ্রূণ? বিজ্ঞানীদের মতে, এই ভ্রূণের ক্ষেত্রে ডিম্বাণুর কোনওরকম নিষিক্তকরণ করানো হয়না। অর্থাৎ ফার্টিলাইজেশন ছাড়াই ভ্রূণ তৈরি করা হলে তাকে সিন্থেটিক ভ্রূণ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। তবে কীভাবে এই ভ্রূণ তৈরি করলেন বিজ্ঞানীরা? বিজ্ঞানীদের থেকে জানা গিয়েছে যে, ইঁদুর থেকে স্টেম সেল ব্যবহার করে ভ্রূণের মতো কোষ গঠন তৈরি করেছিলেন বিজ্ঞানীরা, যার একটি অন্ত্র, একটি মস্তিষ্কের মতো গঠন এবং একটি স্পন্দিত হৃদয় ছিল। বিজ্ঞানীদের দলটি প্রাকৃতিক ভ্রূণের মত এই কৃত্রিম ভ্রূণেও চারপাশে প্লাসেন্টা বা কুসুম-থলির মতো কোষ দেখতে পেয়েছিলেন। তবে এই ভ্রূণটি সাড়ে ৮ দিন পর্যন্ত বিকশিত হয়েছিল ও এই কয়েকদিনে একটি স্পন্দিত হৃৎপিণ্ড, রক্তের স্টেম সেল সঞ্চালন, একটি মস্তিষ্ক, একটি নিউরাল টিউব এবং একটি অন্ত্রের ট্র্যাক্ট গঠিত হয়ে গিয়েছিল।

    গবেষণায় দেখা গেছে, বেশিরভাগ স্টেম সেল ভ্রূণের মতো কোষ গঠন তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে প্রায় ০.৫ শতাংশ স্টেম সেল মিলিত হয়ে ছোট বলের আকার ধারণ করে। আর ওই বল থেকেই ট্যিসু বা কলা উৎপন্ন এবং অঙ্গের বিকাশ ঘটে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। অভ্যন্তরীণ গঠন এবং কোষের জেনেটিক প্রোফাইলের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাকৃতিক ইঁদুরের ভ্রুণের সঙ্গে তুলনা করলে কৃত্রিম এই ভ্রূণের ৯৫ শতাংশ মিল পাওয়া গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ৯৮ মিলিয়ন বছর পুরনো ডাইনোসরের জীবাশ্মের সন্ধান পাওয়া গেল সাহারায়

    বিজ্ঞানীর জানিয়েছেন, এর পরবর্তীতে তাঁরা আরও এই বিষয়ে গভীরভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। কীভাবে এই স্টেম সেলগুলি কাজ করে, বা কীভাবে একটা স্টেম সেল বুঝতে পারে যে তাকে কী করতে হবে। এগুলোকে নিয়ে পরবর্তীতে কোন কোন কাজে লাগানো যেতে পারে, তা নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করবেন তাঁরা।

     

  • Earth Rotation: ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে নিজের কক্ষপথ প্রদক্ষিণ পৃথিবীর, ভাঙল সবচেয়ে ছোট দিনের রেকর্ড

    Earth Rotation: ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে নিজের কক্ষপথ প্রদক্ষিণ পৃথিবীর, ভাঙল সবচেয়ে ছোট দিনের রেকর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ২৪ ঘণ্টার থেকে কম সময়ে নিজের কক্ষপথ প্রদক্ষিণ (Rotation) করেছে পৃথিবী (Earth)। ৫০ বছরে এটাই আপাতত সব থেকে ছোট দিনের (Shortest Day) রেকর্ড। এক দিন সম্পন্ন হতে ২৪ ঘণ্টার থেকে ১.৫৯ মিলি সেকেন্ড কম সময় লেগেছে। 

    বিজ্ঞানীদের মতে সম্প্রতি নিজের গতি বাড়িয়েছে পৃথিবী। ১৯৬০ সালের পরে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই ছিল পৃথিবীর সব থেকে ছোট দিন। সেই দিন পৃথিবীর নিজের কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করতে ২৪ ঘণ্টার থেকে ১.৪৭ মিলি সেকেন্ড কম সময় লেগেছিল। 

    আরও পড়ুন: প্রশান্ত ও ভারত মহাসাগরে আছড়ে পড়ল চিনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ! ভাইরাল ভিডিও

    পৃথিবীর গতি বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়ার কারণ এখনও বিজ্ঞানীদের অজানা। বিজ্ঞানীদের অনুমান, পৃথিবীর এই ভিন্ন ঘূর্ণন গতি হতে পারে অভ্যন্তরীণ কারণে, আবার হতে পারে বাইরের স্তরের কারণেও। আবার মহাসাগরের জোয়ার-ভাটা কিংবা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেও এমন ঘটনা ঘটতে পারে। গবেষকরা বলেন, পৃথিবীর উপরিভাগ চ্যান্ডলার ওয়াবল নামে পরিচিত। ওই জায়গা থেকেই গতি পেতে শুরু করে পৃথিবী। সেখানকার কোনও কারণেও গতি কম বা বেশি হতে পারে। 

    মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ২৯ জুলাই পৃথিবী ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে নিজের কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করেছে। আর একইসঙ্গে ভেঙে দিয়েছে সবথেকে ছোটো দিনের আগের সব রেকর্ড। 
     
    পৃথিবী অবিরত সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। তারই জেরে হচ্ছে দিন-রাত। পুরো একটা দিন অর্থাৎ পৃথিবী নিজের কক্ষপথে একবার ঘুরে আসতে ২৪ ঘণ্টা সময় লাগে। তাই আমরা ২৪ ঘণ্টাকে এক দিন বুঝি।

    আরও পড়ুন: ২০২৩ সালেই মহাকাশে পাড়ি দেবে ইসরোর ‘গগনযান’, ঘোষণা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    পৃথিবীর প্রদক্ষিণের গতি যখন এমন বেড়ে যায়, তখন পরের বছরও তা সাধারণত বর্ধিত হারে ঘুরতে থাকে। কিন্তু ২০২১ সালে পৃথিবীর গতি কোনও রেকর্ড ভাঙতে পারেনি। কিন্তু কেন এমনটা হয়? পৃথিবীর ঘূর্ণনের ভিন্ন গতির কারণ এখনও অজানা।  

    পৃথিবী যদি ক্রমবর্ধমানে হারে ঘুরতে ঘুরতে লিপ সেকেন্ডের প্রবর্তন করে, তবে পারমানবিক ঘড়ির পরিমাপের সঙ্গে সমাঞ্জস্য রেখে চলবে। তা হলে লিপ সেকেন্ড স্মার্টফোন, কম্পিউটার ও যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে। এই লিপ সেকেন্ড ভালোর থেকে বেশি ক্ষতি করতে পারে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এটি টাইমারের সফটওয়ারের উপর বিধ্বংসী প্রভাব ফেলবে। এর ফলে একটি নেতিবাচক লিপ সেকেন্ড যোগ করতে হতে পার। যাকে বলে ড্রপ সেকেন্ড। 

  • Asteroid Nearing Earth: ধেয়ে আসছে গগণচুম্বী গ্রহাণু!  আজই সবচেয়ে কাছে, কী হবে পৃথিবীর

    Asteroid Nearing Earth: ধেয়ে আসছে গগণচুম্বী গ্রহাণু! আজই সবচেয়ে কাছে, কী হবে পৃথিবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রহাণুদের আসার বিরাম নেই। গত বছর ধরে দফায় দফায় গ্রহাণুরা পৃথিবীর আশপাশে ঘুরে গেছে। কেউ একেবারে কোল ঘেঁষে আবার কেউ একটু তফাৎ রেখে দূর দিয়ে। গত সপ্তাহে দুটি ভিন্ন আকারের গ্রহাণুর সঙ্গে মুখোমুখি দেখা হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। একটি ছিল ৪০০ ফুট চওড়া, অন্যটি ৬০০ ফুট চওড়া। তবে এবার তার থেকে অনেক বড় অনুমান, কুতুব মিনারের চেয়ে ৬ গুণ বড় একটি গ্রহাণু আজই পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে চলে আসবে। এবার কি তবে সত্যিই পৃথিবীর ধ্বংস আসন্ন? একথা উঠছে, কারণ, এই মহাজাগতিক ঘটনা নিয়ে সতর্ক করেছে নাসা (NASA)।

    আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে নিজের কক্ষপথ প্রদক্ষিণ পৃথিবীর, ভাঙল সবচেয়ে ছোট দিনের রেকর্ড

    যে কোনও আকারের গ্রহাণুই পৃথিবীর পক্ষে ভয়ের। কেননা, যে ভরবেগ নিয়ে তারা ছুটে আসে, তাতে পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা লাগলে কোনও না কোনও বিপর্যয় অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু সাধারণ আকারের চেয়ে যদি ছুটে আসতে থাকা গ্রহাণুর আকার ও আকৃতি অনেকটাই বড় হয়, তাহলে বিপদ বেড়েই যায়। নাসা আগেই এই গ্রহাণু নিয়ে সতর্ক করেছিল। এই বিশাল গ্রহাণু (Asteroids) তেড়েফুঁড়ে এগিয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। আজ ৩ অগাস্ট পৃথিবীর একেবারে কাছাকাছি চলে আসবে। এখন টক্কর লাগবে নাকি পৃথিবীর কোল ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে তা নিশ্চিত করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। তবে তাঁরা সর্বদা এর গতিপথের দিকে নজর রাখছে।

    আরও পড়ুন: সরাসরি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে সৌর ঝড়! ফল কী হতে পারে? জানুন

    প্রায় ১২০০ ফুট বিস্তৃত ৩৬৫ মিটার চওড়া দীর্ঘ আকারের এই অ্যাস্টেরয়েড ভয়ংকর গতিতে ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। এখন পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে এটা। প্রদক্ষিণ করতে করতেই ক্রমশ সামনে চলে আসছে। বিজ্ঞানীরা বিষয়টিকে এই ভাবে বোঝাচ্ছেন, যে গ্রহাণু ধেয়ে আসছে, সেটি আকারে স্ট্যাচু অব লিবার্টির ৩ গুণ। এত বৃহৎ একটি পাথর যে কোনও ভাবেই আসুক না কেন তা যে কোনও সময়েই বিপদের বার্তা বহন করে আনে।  

  • China Rocket Debris: প্রশান্ত ও ভারত মহাসাগরে আছড়ে পড়ল চিনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ! ভাইরাল ভিডিও

    China Rocket Debris: প্রশান্ত ও ভারত মহাসাগরে আছড়ে পড়ল চিনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ! ভাইরাল ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার মধ্যরাত নাগাদ হঠাৎ আকাশে দেখা যায় লাল, নীল, হলুদ, কমলা রঙের আতসবাজির মতো আলোর ফুলকি। এবং এগুলো কাছে আসতেই উল্কাপাতের ন্যায় মনে হচ্ছিল। আর তারই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল ভাইরাল। এরপর এই ভিডিও-এর রহস্য জানা যায়। সেগুলো আসলে কোনও উল্কাপাত নয়, সেগুলো চিনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ (China Rocket Debris)। গত ২৪ জুলাই চিনের বৃহত্তম রকেট Long March 5 চিন থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। আর তারই ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা ছিল। ফলে শনিবার রাতেই ভারত মহাসাগরে (Indian Ocean) ও প্রশান্ত মহাসাগরে (Pacific Ocean)  আছড়ে পড়ল চিনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ।

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন: ভারতে আছড়ে পড়তে চলেছে চিনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ! দাবি মার্কিন সংস্থার

    এরোস্পেস (Aerospace) থেকে আশঙ্কা করা হয়েছিল যে ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় রকেটের ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়তে পারে। শেষ পর্যন্ত সেই আশঙ্কা সত্যি করেই ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরে ছড়িয়ে পড়ল ধ্বংসাবশেষ। মালয়েশিয়ার শহরের আকাশেও এই দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। বিশেষ করে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার হাজার হাজার মানুষ এই বিরল ঘটনার সাক্ষী থেকেছে এদিন।

    [tw]


    [/tw]

     পরে এই বিষয়ে US SPACE COMMAND থেকে জানানো হয় যে, চিনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ ৩০ জুলাই ১০টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ভারত মহাসাগরের ওপরে আছড়ে পড়ে।

    [tw]


    [/tw]

LinkedIn
Share