Category: বিজ্ঞান

Get updated Science and Research related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Supermoon 2022: ২০২২-এর বৃহত্তম চাঁদ দেখা যাবে আকাশে, কবে জানেন?

    Supermoon 2022: ২০২২-এর বৃহত্তম চাঁদ দেখা যাবে আকাশে, কবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি কিছুদিন আগেই চাঁদের এক অন্য রূপ দেখতে পেয়েছে গোটা বিশ্বব্যাপী মানুষ। সাধারণত জুন মাসের মাঝ বরাবর এই সুপারমুন দেখা গিয়েছিল। যা ‘স্ট্রবেরি মুন’ (Strawberry Moon) নামে পরিচিত ছিল। আবার আগামী ১৩ জুলাই মধ্যরাতে আকাশে সুপারমুন দেখতে পাবে সারা বিশ্বের মানুষ। চলতি মাসে চাঁদকে ফের নয়া রূপে দেখবে বিশ্ববাসী। বুধবার অর্থাৎ ১৩ জুলাই নতুনভাবে দেখা যাবে চাঁদকে। এদিন পৃথিবীর সবথেকে কাছে আসছে চাঁদ। তার ফলে চাঁদকে পৃথিবীতে বিরাট আকারে দেখা যাবে। বিজ্ঞানীদের মতে, বুধবারের চাঁদটি ২০২২ সালের বৃহত্তম ‘সুপারমুন’ (Supermoon)।

    কী এই সুপারমুন?

    এই নির্দিষ্ট দিনে চাঁদ পৃথিবীর চারপাশে তার কক্ষপথের সবচেয়ে কাছের বিন্দুতে থাকবে, যাকে পেরিজি (perigee) বলা হয়, সেই কারণে ১০ গুণ বেশি উজ্জ্বল দেখাবে তাকে। পৃথিবী থেকে এদিন মাত্র ৩,৫৭,২৬৪ কিমি দূরে অবস্থান করবে চাঁদ। আর এর ফলে সবথেকে বড় পূর্ণ চাঁদ দেখা যাবে। চাঁদের এমন রূপকেই বলা হয় সুপারমুন। ১৯৭৯ সালে মহাকাশ বিজ্ঞানী রিচার্ড নোল্লে (Richard Nolle) চাঁদের এই বিশেষ অবস্থানের নামকরণ করেন ‘সুপারমুন’। এবারের সুপারমুনটিকে তাদের মধ্যে সবথেকে বড় বলে চিহ্নিত করেছে নাসা (NASA)।

    আরও পড়ুন: আজ আকাশে দেখা যাবে স্ট্রবেরি মুন! কী এর বিশেষত্ব, জানুন

    ২০২২-এর বৃহত্তম চাঁদ

    ১৩ জুলাই অর্থাৎ বুধবার রাতের আকাশে যে সুপারমুন দেখা যাবে, তা এ বছরের সবথেকে বড়। এই সুপারমুনকে বাক মুনও (Buck Moon) বলা হয়। সারা বিশ্বে এর অন্য নামও রয়েছে। যেমন, থান্ডার মুন (Thunder Moon), হে মুন (Hay Moon) এবং উইর্ট মুন (Wyrt Moon)। আমেরিকানরা একে সালমন মুন (Salmon Moon), রাস্পবেরি মুন (Raspberry Moon) এবং ক্যালমিং মুন (Calming Moon) বলে থাকেন। চাঁদ এদিন পৃথিবীর অনেক কাছে আসায় সুপারমুনের প্রভাব বেশ জোরালো ভাবে জোয়ার-ভাটায় পড়বে।

    কখন দেখা যাবে এই সুপারমুনটি?

    ১৩ জুলাই রাত ১২টা ৭ মিনিটে দেখা যাবে। এরপর ফের ৩ জুলাই, ২০২৩ সালে দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, বছরের শেষ সুপারমুন দেখা গিয়েছিল চলতি বছরের জুনে। যা স্ট্রবেরি মুন নামে পরিচিত। তখন চাঁদ পৃথিবী থেকে ৩,৬৩,৩০০ কিলোমিটার দূরে ছিল। কিন্তু এবার মাত্র ৩,৫৭,২৬৪ কিমি দূরে অবস্থান করবে চাঁদ।

    আরও পড়ুন: একনজরে দেখে নিন স্ট্রবেরি মুনের বিভিন্ন দৃশ্য

     

     

  • PSLV-C53: সিঙ্গাপুরের ৩টি উপগ্রহ নিয়ে আজ মহাকাশে পাড়ি ইসরোর পিএসএলভি-সি৫৩-র

    PSLV-C53: সিঙ্গাপুরের ৩টি উপগ্রহ নিয়ে আজ মহাকাশে পাড়ি ইসরোর পিএসএলভি-সি৫৩-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ সন্ধ্যায় মহাকাশে ইসরো (ISRO) পাঠাতে চলেছে তিনটি কৃত্রিম উপগ্রহ (Satellite)। তামিলনাড়ুর শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে পিএসএলভি-সি৫৩ (PSLV C53) রকেটের। ইসরো-র অত্যাধুনিক শক্তিশালী পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল বা পিএসএলভি (PSLV) রকেটে চাপিয়েই সিঙ্গাপুরের তিনটি কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানো হবে মহাকাশে। নিউজ স্পেস ইন্ডিয়া লিমিটিডের (NewSpace India Limited) সঙ্গে চুক্তিতে সিঙ্গাপুর এই তিনটি উপগ্রহ মহাকাশে পাঠাচ্ছে। এটি ইসরোর ৫৫তম মিশন যা শ্রীহরিকোটার (Sriharikota) সতীশ ধবন স্পেস সেন্টার (Satish Dhawan Sapce Centre) থেকে আজ সন্ধ্যা ৬টা ২ মিনিটে উৎক্ষেপণ করা হবে।

    আরও পড়ুন: ফরাসি রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি ভারতীয় GSAT-24 উপগ্রহের

    উৎক্ষেপণের বিষয়টি ২৯ জুন ইসরো  ট্যুইটারের মাধ্যমে জানিয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    PSLV C-53 মিশনটি এনএসআইএল-এর দ্বিতীয় বাণিজ্যিক মিশন। এতে সিঙ্গাপুরের তিনটি উপগ্রহকে— DS-EO, NeuSAR, Scoob-1 পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠানো হবে। ইসরোর এই রকেটটি ৪৪.৪ মিটার দীর্ঘ ও এর ওজন ২২৮ টন। ৩৬৫ কেজির DS-EO উপগ্রহর সাহায্যে মহাকাশের ছবি আরও স্পষ্টভাবে দেখা যাবে। যে কোনও আবহাওয়াতে দিন ও রাতের ছবি পাঠাতে সাহায্য করবে কোরিয়ার Starec Initiative দ্বারা তৈরি ১৫৫ কেজির Neu-SAR উপগ্রহটি। ২.৮ কেজির Scoob-1 উপগ্রহটি ন্যানয়াং টেকনোলজিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (Nanyang Technological University) পড়ুয়ারা তৈরি করেছে। এটি এদের ট্রেনিং-এর একটি অংশ। এই কৃত্রিম উপগ্রহগুলো মহাকাশের ছবি বা পৃথিবার বিভিন্ন জায়গার বিভিন্ন তথ্য পাঠিয়ে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করবে। 

    আরও পড়ুন: চাঁদ ও মঙ্গলের পর এবার শুক্রগ্রহে অভিযান চালাবে ইসরো

    উৎক্ষেপণের পাশাপাশি, PS4 স্টেজকে একটা অরবিটাল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করে PSLV অরবিটাল এক্লপেরিমেন্টাল মডিউল (POEM) কয়েকটি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। এই প্রথমবার PS4 স্টেজ একটা অরবিটাল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পৃথিবীকে পদক্ষিণ করবে। 

  • Floating Drones:  এবারে নদী থেকে প্লাস্টিক সংগ্রহ করা হবে সহজ! তৈরী করা হল ভাসমান ড্রোন

    Floating Drones: এবারে নদী থেকে প্লাস্টিক সংগ্রহ করা হবে সহজ! তৈরী করা হল ভাসমান ড্রোন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  প্লাস্টিকের ব্যবহারের (Plastic Use) ফলে দূষণ বেড়েই চলেছে। কারণ প্লাস্টিক প্রাকৃতিক উপায়ে মাটিতে মেশে না (Bio-nondegradable)। ফলে বাড়তে থাকে পরিবেশ দূষণের (Environmental Pollution) হার। ক্রমবর্ধমান দূষণের কারণে বিশ্ব উষ্ণায়ন (Global Warming) ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে, তাই এই পরিস্থিতিতে  কিছু আবিষ্কারক এমন যন্ত্র তৈরী করেছে যা নদী, পুকুর, হ্রদের জলে ভেসে থাকা প্লাস্টিক যাতে সমুদ্রে না যেতে পারে তার জন্য ভাসমান ড্রোন তৈরি করা করেছে। প্লাস্টিক দূষণ রোধ করার জন্যই এই ড্রোনগুলো তৈরী করা হয়েছে। এগুলোর আকার, গঠন বিভিন্ন রকমের হতে পারে।

    আরও পড়ুন: ১ জুলাই থেকে দেশে নিষিদ্ধ ‘সিঙ্গল ইউজ’ প্লাস্টিক! নতুন নিয়ম জানেন তো?

    ওয়েস্টসার্ক (WasteShark) নামক এক ড্রোন তৈরী করা হয়েছে যা প্রায় ৪ ফিট দীর্ঘ ও এটি প্রায় ১৬০ লিটার আবর্জনা সংগ্রহ করতে পারবে। এটি একটি ডাচ কোম্পানী তৈরী করেছে। হোয়েল  তিমি হাঙরের অনুকরণে এই ড্রোনটি তৈরী করা হয়েছে। এই ড্রোনটি নদী বা কোনো জলাশয়ের নোংরা আবর্জনা খুব সহজেই সংগ্রহ করতে পারে। একবার এই ড্রোনটি ভরে গেলে তারপর এটি অটোমেটিক্যাালি জলাশয়ের ধারে আসায় তারপর এটি থেকে খুব সহজেই আবর্জনা বের করে নেওয়া হয়। জলাশয়ের প্লাস্টিকগুলো সমুদ্রে পৌঁছনোর আগেই আবর্জনা গুলো পরিস্কার করে নেওয়া যায়। ওয়েস্টসার্ক কোনো হ্রদ বা জলাশয়ের জন্য উপযুক্ত।

    আরও পড়ুন: ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস, জেনে নিন এই দিনের তাৎপর্য

    এই ওয়েস্টসার্ক ছাড়াও ‘ফ্লোটিং ট্র্যাস ব্যারিয়ার’ (Floating Trash Barrier) নামক ড্রোনটি ২২০০ টন প্লাস্টিক সংগ্রহ করতে পারে। এটিকে পরে আরও উন্নত করা হয় যাতে এই ড্রোনটি জলাশয় থেকে ক্ষতিকারক তেলও সংগ্রহ করে জলকে পরিশ্রুত করে তুলতে পারে। ‘মিস্টার ট্র্যাস হুইল’ (Mr Trash Wheel) নামেও একটি ভাসমান ড্রোন তৈরী করা হয়, যেটি নদী থেকে প্লাস্টিক, বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করতে পারে। জল থেকে বর্জ্য পদার্থ বা প্লাস্টিক সংগ্রহ করতে এইসব নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে।

  • NASA: পৃথিবী থেকে নয়, মহাকাশ থেকে কেমন লাগে সূর্যগ্রহণ? ছবি প্রকাশ করল নাসা

    NASA: পৃথিবী থেকে নয়, মহাকাশ থেকে কেমন লাগে সূর্যগ্রহণ? ছবি প্রকাশ করল নাসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবী থেকে সূর্যগ্রহণের বিরল দৃশ্য চাক্ষুষ করতে চাই আমরা সবাই। তবে এক একবার এক একটি জায়গা থেকে সূর্যগ্রহণ দেখা যায়। আমরা ভিড় জমাই সেখানে। চোখ রাখি ক্যামেরায়। কিন্তু মহাকাশ থেকে যদি সূর্যগ্রহণ প্রতক্ষ্য করা যায়, তা কেমন দেখতে হবে? এবার মহাকাশ থেকে তোলা সূর্যগ্রহণের ছবি প্রকাশ করল নাসা (NASA)। গত ২৯ জুন   নাসা তার সোলার ডায়নামিক্স অবজারভেটরি (NASA’s Solar Dynamics Observatory) থেকে সূর্যগ্রহণের এই ছবি তোলে। মহাশূন্যে নাসার এই পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র অবস্থিত। ২০১০ সালে এর সূচনা।

    আরও পড়ুন: সফলভাবে সিঙ্গাপুরের তিনটি উপগ্রহ কক্ষপথে স্থাপন করল পিএসএলভি-সি৫৩

    চাঁদ যখন সূর্য এবং পৃথিবীর মধ্যে চলে যায়, তখন পৃথিবীতে একটি ছায়া পড়ে, কিছু এলাকায় সূর্যের আলো সম্পূর্ণ বা আংশিক ভাবে অবরুদ্ধ হয়ে যায়, এ ভাবে সূর্যগ্রহণ ঘটে। পূর্ণ সূর্যগ্রহণের জন্য, সূর্য, চাঁদ এবং পৃথিবীকে অবশ্যই নির্দিষ্ট রেখায় সারিবদ্ধ হতে হবে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে সূর্যের ছায়া পৃথিবীর উপর পড়ে না, তাই সেই ক্ষেত্রে গ্রহণ মহাকাশ থেকে পর্যবেক্ষণ করা যায়। মহাশূন্যে দেখতে পাওয়া এই আংশিক সূর্যগ্রহণ লেন্সবন্দি করেছে নাসা। ৩৫ মিনিট ধরে এই আংশিক গ্রহণের ছবি ধরেছে নাসার ক্যামেরা।

    আরও পড়ুন: হয়ে গেল বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ , ভারত তখন ঘুমিয়ে

    গত ১২ বছর ধরে সোলার ডায়নামিক্স অবজারভেটরি (এসডিও / SDO) সূর্যের ভিতরের অনেক কিছু জানতে সাহায্য করেছে। বিভিন্ন গ্রহে সূর্যাস্তের ছবি কেমন লাগে, সেই চিত্রও তুলে ধরেছিল এসডিও। সূর্যের পৃষ্ঠে ক্রমাগত নড়াচড়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যার কারণে অতীতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর সূর্য থেকে অনেক সৌর তরঙ্গ বেরিয়ে এসেছিল। বড়সড় সৌর বিস্ফোরণে পৃথিবীর জন্যেও বিপদের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি, AR3032 থেকে একটি শক্তিশালী সৌর শিখা বিস্ফোরিত হয়েছিল। এই AR3032 একটি সক্রিয় সানস্পট, এই চিত্রও তুলে ধরেছিল এসডিও। সোলার ডায়নামিক্স অবজারভেটরি টানা ১২ বছর ধরে সূর্যের উপর নজরদারি করছে। এই ১২ বছরে সূর্য সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আবিষ্কৃত হয়েছে, বলে জানিয়েছে নাসা।

  • PSLV-C53: সফলভাবে সিঙ্গাপুরের তিনটি উপগ্রহ কক্ষপথে স্থাপন করল পিএসএলভি-সি৫৩

    PSLV-C53: সফলভাবে সিঙ্গাপুরের তিনটি উপগ্রহ কক্ষপথে স্থাপন করল পিএসএলভি-সি৫৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল ইসরো ( ISRO) সিঙ্গাপুরের তিনটি কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠাতে সফল হয়। এদিন ইসরো-র অত্যাধুনিক শক্তিশালী পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল বা পিএসএলভি (PSLV) রকেটে চাপিয়েই সিঙ্গাপুরের তিনটি কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানো হয় মহাকাশে। এক সপ্তাহের মধ্যে এটি ইসরোর দ্বিতীয় সফল মিশন। পিএসএলভি-সি৫৩ (PSLV-C53) নিউজ স্পেস ইন্ডিয়া লিমিটিডের (NewSpace India Limited)  দ্বিতীয় বাণিজ্যিক মিশন।

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই মহাকাশে সফলভাবে উৎক্ষেপন করা হয়েছিল দেশীয় জিস্যাট-২৪ (GSAT-24) কৃত্রিম উপগ্রহকে। ২৩ জুন দক্ষিণ আমেরিকার ফ্রেঞ্চ গায়ানায় (French Guyana) অবস্থিত কুরু (Kourou) উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে ফরাসি সংস্থা আরিয়ানস্পেসের (Arianespace) আরিয়ান-৫ (Ariane-5) রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেয় জিস্যাট-২৪। ডিটিএইচ চ্যানেলগুলি সরবরাহ করার জন্যে এই কৃত্রিম উপগ্রহটি পাঠানো হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: ফরাসি রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি ভারতীয় GSAT-24 উপগ্রহের

    ৩০ জুন শ্রীহরিকোটার (Sriharikota) সতীশ ধবন স্পেস সেন্টারের থেকে মোট তিনটি উপগ্রহ (Satellite) উৎক্ষেপণ করেছে ইসরো। পিএসএলভি-সি৫৩ রকেটের সাহায্যেই এই তিনটি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা সম্ভব হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ের অভিযান সফল হয়েছে। তিনটি কৃত্রিম উপগ্রহকেই নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছে দিতে সফল হয়েছে ইসরোর রকেটটি। সিঙ্গাপুরের তিনটি উপগ্রহ— DS-EO, NeuSAR, Scoob-1 পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠানো সফল হয়েছে।

    ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ (S Somnath) জানান, ৫৭০ কিলোমিটার উচ্চতায় কক্ষপথে এই তিন উপগ্রহকে স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে ইসরোর রকেটটি। এবং নিউজ স্পেস ইন্ডিয়া লিমিটিডকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, তাদের আরেকটি মিশন সফল হওয়ার জন্যে। ইসরো থেকে জানানো হয় যে মিশনটি সফল হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরের ৩টি উপগ্রহ নিয়ে আজ মহাকাশে পাড়ি ইসরোর পিএসএলভি-সি৫৩-র

    জানা যায়, DS-EO একটি ৩৬৫ কেজির, NeuSAR  একটি ১৫৫ কেজি ওজনের কৃত্রিম উপগ্রহ এবং তিন নম্বর স্যাটেলাইটটি  সিঙ্গাপুরের ন্যানয়াং টেকনোলজিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের(Nanyang Technological University (NTU) পড়ুয়াদের দ্বারা তৈরি। এটি ২.৮ কেজির Scoob-1 স্যাটেলাইট।

    আরও জানা গিয়েছে, DS-EO কৃত্রিম উপগ্রহ পৃথিবীর  বিভিন্ন জায়গার রঙিন ছবি শেয়ার করবে। NeuSAR- কৃত্রিম উপগ্রহ  আবার দিনে, রাতে এবং সমস্ত ধরনের আবহাওয়ায় ভাল মানের ছবি শেয়ার করতে পারবে। সিঙ্গাপুরের এই কৃত্রিম উপগ্রহ Scoob-1 স্টুডেন্ট স্যাটেলাইট সিরিজে রয়েছে । ইসরোর পিএসএলভি-সি৫৩ রকেট সিঙ্গাপুরের এই তিনটি কৃত্রিম উপগ্রহকে কক্ষপথে স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।

  • Plastic Ban: ১ জুলাই থেকে দেশে নিষিদ্ধ ‘সিঙ্গল ইউজ’ প্লাস্টিক! নতুন নিয়ম জানেন তো?

    Plastic Ban: ১ জুলাই থেকে দেশে নিষিদ্ধ ‘সিঙ্গল ইউজ’ প্লাস্টিক! নতুন নিয়ম জানেন তো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১ জুলাই থেকে দেশে নিষিদ্ধ হতে চলেছে’ ‘সিঙ্গল ইউজ’ প্লাস্টিকের (Single Use Plastic) ব্যবহার, কড়া নির্দেশ জারি করল কেন্দ্রের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (Central Pollution Control Board)। এর আগে, চলতি বছরের শুরুতেই প্লাস্টিক প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে সতর্ক করেছিল পর্ষদ। এবার জারি করা হল নিষেধাজ্ঞা।

    নতুন নির্দেশিকার পর এবার প্লাস্টিকের তৈরি ব্যাগের পাশাপাশি, প্লাস্টিকের তৈরি ব্যানার, লজেন্স এবং আইসক্রিমে ব্যবহৃত হওয়া প্লাস্টিকের কাঠি, প্লাস্টিকের কাপ, গ্লাস এবং অন্যান্য বাসন, পাতলা প্লাস্টিকের বোতল, এমনই বিভিন্ন নিত্যদিনের ব্যবহৃত জিনিস নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত হতে চলেছে। যেহেতু এইসব জিনিস তৈরি করতে ব্যবহৃত হয় অত্যন্ত পাতলা প্লাস্টিক, যার ঘনত্ব ১০০ মাইক্রনের চেয়ে কম ও তা ফের ব্যবহার করা যায় না। প্লাস্টিকগুলি পুনর্ব্যবহার করা যায় না বলেই এই ধরনের প্লাস্টিক দেশে নিষিদ্ধ হতে চলেছে।

    আরও পড়ুন: বায়ুদূষণের ফলে ভারতীয়দের আয়ু কমবে ৫ বছর! দাবি গবেষণায়

    কেন্দ্রের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে যে, প্লাস্টিক ব্যাগের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে বিভিন্ন কাপড়ের ব্যাগ। কারণ এটি অনেকবার ব্যবহার করা যায় ও কাপড়ের ব্যাগ ইকো-ফ্রেন্ডলি। এছাড়াও প্লাস্টিকের তৈরি জিনিসের জায়গায় বাঁশের তৈরি জিনিসপত্র ব্যবহার করা যেতে পারে।

    এবারে প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার নিয়ে কড়া নির্দেশ জারি তো করেছেই, এর সঙ্গে প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহারকারীদের জন্য ফাইন হতে পারে ৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত। ব্যক্তির জন্য ৫০০ টাকা এবং যে সংস্থা প্লাস্টিক ব্যাগ বানাবে বা সরবরাহ করবে তার জন্য ৫০০০ টাকা ফাইন দেওয়ার কড়া নির্দেশ দিয়েছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটি।

    আরও পড়ুন: ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস, জেনে নিন এই দিনের তাৎপর্য

    প্লাস্টিক বর্জ্যের (Plastic wastes) পরিমাণ ক্রমশ বাড়তে থাকলেও প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার না কমিয়ে, অনেক সংস্থা এই নির্দেশে অসম্মতি জানিয়েছে ও কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেছে যাতে বিভিন্ন ড্রিঙ্কস, জুস ইত্যাদির জন্য ব্যবহৃত হওয়া প্লাস্টিকের স্ট্র ব্যবহার করতে দেয় সরকার।

    প্লাস্টিকের ব্যবহারের (Plastic Use) ফলে দূষণ বেড়েই চলেছে। কারণ প্লাস্টিক প্রাকৃতিক উপায়ে মাটিতে মেশে না (Bio-nondegradable)। ফলে বাড়তে থাকে পরিবেশ দূষণের (Environmental Pollution) হার। ক্রমবর্ধমান দূষণের কারণে বিশ্ব উষ্ণায়ন (Global Warming) ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে, তাই এই পরিস্থিতিতে দূষণ রোধে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র সরকার।

  • Gaganyaan Mission: ২০২৩ সালেই মহাকাশে পাড়ি দেবে ইসরোর ‘গগনযান’, ঘোষণা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    Gaganyaan Mission: ২০২৩ সালেই মহাকাশে পাড়ি দেবে ইসরোর ‘গগনযান’, ঘোষণা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশে ‘গগনযান’ (Gaganyaan) পাঠানো নিয়ে বড় ঘোষণা ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (Indian Space Research Organisation)। পরের বছরেরই অর্থাৎ ২০২৩ সালে গগনযান পাঠাবে ইসরো। এই প্রথমবার ভারতের প্রথম মানব মহাকাশযান মহাকাশে পাড়ি দেবে। এই মিশনে ভারতের তিনজন মহাকাশচারী থাকবেন। ২০২০ সালেই গগনযান পাঠানোর কথা ছিল, কিন্তু করোনার কারণে এটি বারবার পিছিয়ে দেওয়া হয়। এবারে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং (Jitendra Singh) জানিয়েছেন যে, পরের বছরেই ইসরোর গগনযান মহাকাশে পাঠানো হবে। এই প্রথমবার মহাকাশচারী নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দেবে গগনযান। গগনযানের প্রধান উদ্দেশ্যই হল পৃথিবার কক্ষপথে মানুষ পাঠানো। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৫ অগস্ট স্বাধীনতা দিবস পালন কর্মসূচিতে ‘গগনযান-২০২২’ প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)।

    আরও পড়ুন: ফরাসি রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি ভারতীয় GSAT-24 উপগ্রহের

    ২০২৩ সালে গগনযান পাঠানোর আগে চলতি বছরেই তিনটি পরীক্ষামূলক যান পাঠানো হবে। এই তিনটি পরীক্ষামূলক যান হবে মানবহীন, তবে এতে একটি মহিলা রোবট পাঠানো হবে। এই ‘হাফ-হিউম্যানয়েড’ (মানব) রোবট ভ্যোমিত্র (Vyommitra) মহাকাশ থেকে ইসরোকে নানান তথ্য পাঠাবে। এছাড়াও জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে, ইসরো একটি ‘স্পেস ডকিং পরীক্ষা’ চালাবে। দুটি পৃথকভাবে উৎক্ষেপিত মহাকাশযানকে যুক্ত করার প্রক্রিয়াকেই স্পেস ডকিং বলা হয়েছে। মহাকাশচারীদের সুবিধার জন্যে এবার মহাকাশে নিজস্ব মহাকাশ কেন্দ্র তৈরি করতে চায় ভারত। ২০২০ সালে ইসরোর (ISRO) চেয়ারম্যান কে সিভান (K Sivan) জানিয়েছিলেন, এই গগনযান মিশন শুরু হওয়ার পাঁচ থেকে সাত বছরের মধ্যেই মহাকাশে ভারতীয়দের নিজস্ব স্পেস স্টেশন তৈরি করা হবে। যার ফলে ভারতীয় মহাকাশচারীরা পৃথিবীর নীচের দিকের কক্ষপথে ১৫-২০ দিন পর্যন্ত থাকতে পারবে।

    আরও পড়ুন: সফলভাবে সিঙ্গাপুরের তিনটি উপগ্রহ কক্ষপথে স্থাপন করল পিএসএলভি-সি৫৩

    ২০২৩ সালে এই গগনযান পাঠানো ছাড়াও আরও দুটি মহাকাশযান পাঠানো হবে। চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) এবং আদিত্য এল-১ (Aditya L-1) এই দুটি মহাকাশযানের একটি চাঁদের উদ্দেশ্যে ও অন্যটি সূর্যকে লক্ষ্য করে যাবে। আদিত্য এল-১ এটি ভারতের প্রথম সৌর মিশন হতে চলেছে। ২০২৩ সালে ইসরোর এই গগনযান মিশন যদি সফল হয়, তবে আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের পর ভারতের নাম যুক্ত হবে। আমেরিকা, রাশিয়া, চিন ইতিমধ্যেই এই লক্ষ্য পূরণ করেছে। ২০২৩ সাল ভারতের মহাকাশবিজ্ঞানের ইতিহাসে এক নতুন নজির গড়ে তুলতে চলেছে। তাই ইসরোর বিজ্ঞানীদের প্রধান লক্ষ্যই হল মিশন ‘গগনযান’।

     

     

  • Artificial Photosynthesis: আর প্রয়োজন নেই সূর্যালোকের, অন্ধকারেই হবে সালোকসংশ্লেষ! দাবি গবেষণায়

    Artificial Photosynthesis: আর প্রয়োজন নেই সূর্যালোকের, অন্ধকারেই হবে সালোকসংশ্লেষ! দাবি গবেষণায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর প্রয়োজন হবে না প্রাকৃতিক সালোকসংশ্লেষ (Photosynthesis) প্রক্রিয়ার! কৃত্রিম সালোকসংশ্লেষ (artificial photosynthesis) প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই উৎপন্ন করা যাবে খাদ্য। সেই খাদ্যেই এবার পেট ভরাবে তামাম বিশ্ববাসী। সম্প্রতি এমনই তথ্য উঠে এসেছে একটি গবেষণায়। সেই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে নেচারফুড (Nature Food) পত্রিকায়। প্রকাশিত গবেষণাপত্রে হইচই বিশ্বজুড়ে।

    গাছের পাতাকে বলা হয় রান্নাঘর। মূলের মাধ্যমে মাটি থেকে জল সংগ্রহ করে গাছ। পাতা দিয়ে শোষণ করে সূর্যালোক। তাকে কাজে লাগিয়ে গাছ তৈরি করে খাবার। বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় যাকে বলা হয়ে থাকে সালোকসংশ্লেষ। কাবর্ন ডাইঅক্সাইড (CO2) শোষণ করে গাছ বাতাসে অক্সিজেন (O2) ছাড়ে। সেই অক্সিজেন নিয়ে বেঁচে থাকে তামাম প্রাণীজগৎ।

    আরও পড়ুন : একবারও ছুঁতে পারেনি করোনা? অতিপ্রাকৃতিক ক্ষমতা নাকি নিপাট বিজ্ঞান?

    তবে, বিজ্ঞানীদের দাবি, এবার আর কেবল এই প্রাকৃতিক সালোকসংশ্লেষের ওপর নির্ভর করতে হবে না। কারণ প্রকাশিত গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, কৃত্রিম সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই উৎপন্ন হবে মানুষের খাবার মায় অক্সিজেনও।

    কী এই কৃত্রিম সালোকসংশ্লেষ?

    কৃত্রিম সালোকসংশ্লেষণ সিস্টেম মূলত উৎসেচক-নির্ভর রিঅ্যাক্টরের মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের মাত্রা ভারসাম্য বজায় রাখে। এই উৎসেচক হাইড্রোজেন শক্তি এবং জৈব রাসায়নিক ট্রান্সডুসার দ্বারা চালিত হয়। হাইড্রোজেন বা হাইড্রোজেনযুক্ত যৌগ ব্যবহার করে হাইড্রোজেন শক্তি উৎপন্ন হয়। 

    ট্রান্সডুসার হল যেকোনও মেডিকেল আল্ট্রাসাউন্ড সিস্টেমের একটি অংশ। একটি ট্রান্সডুসার যে কোনও প্রাকৃতিক পরিমাণকে বৈদ্যুতিক সংকেতে এবং এর বিপরীতে রূপান্তর করতে সক্ষম। এর পাশাপাশি, কৃত্রিম সালোকসংশ্লেষণ ব্যবস্থার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলির মধ্যে রয়েছে পিভি প্যানেল যা সিস্টেমের বৈদ্যুতিক চাহিদা পূরণ করে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে সাহায্য করে, কার্বোহাইড্রেট আকারে শুষ্ক কৃষি, তরল জ্বালানি, রাসায়নিক ফিডস্টক এবং পলিমার যা ফাইবার তৈরি করে এবং ইলেক্ট্রোকেমিক্যাল পদ্ধতির মাধ্যমে উৎপাদিত হাইড্রোজেন। 

    কৃত্রিম সালোকসংশ্লেষের প্রক্রিয়ায় গবেষকরা দ্বিস্তরীয় পদক্ষেপের মাধ্যমে কার্বন ডাইঅক্সাইড, বিদ্যুৎ ও জলের মিশ্রণের মাধ্যমে অ্যাসিটেট যৌগ তৈরি করেন। অ্যাসিটেট হল ভিনিগারের অন্যতম প্রধান উপাদান। আলোর অবর্তমানে খাদ্য-উৎপাদনকারী জীবগুলি তখন এই অ্যাসিটেটকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে বেড়ে উঠতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। তাঁদের দাবি, এর মাধ্যমে অ্যাসিটেট সমৃদ্ধ ইলেক্ট্রোলাইজারের মাধ্যমে সরাসরি অন্ধকারে বহু খাদ্য-উৎপাদনকারী জীবের প্রসার ঘটতে পারে।

    বিশ্বজুড়ে বাড়ছে জনসংখ্যা। স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে খাদ্যের চাহিদাও। এই চাহিদা পূরণ করতে প্রয়োজন আরও খাবার উৎপাদনের। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই কৃত্রিম সালোকসংশ্লেষের ফলে পৃথিবীজুড়ে একদিকে যেমন খাদ্যসংকট (Global Food Crisis) সমস্যার সমাধান হবে, কমবে দূষণও (Pollution)। 

     

  • Strawberry Moon 2022: আজ আকাশে দেখা যাবে স্ট্রবেরি মুন! কী এর বিশেষত্ব, জানুন

    Strawberry Moon 2022: আজ আকাশে দেখা যাবে স্ট্রবেরি মুন! কী এর বিশেষত্ব, জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ রাতের চাঁদ দেখার অপেক্ষায় গোটা বিশ্ব। আজ চাঁদের এক অন্য রূপ দেখার সাক্ষী থাকবে গোটা বিশ্বব্যাপী মানুষ। আজ সন্ধ্যা আকাশে দেখা দেবে ‘স্ট্রবেরি মুন’।

    সাধারণত, জুন মাসের পূর্ণিমা চাঁদকে ‘স্ট্রবেরি মুন’ (Strawberry Moon) বলা হয়। ভারতীয় সময় অনুযায়ী আজ সন্ধ্যে ৫টা ২২ মিনিটে শুরু হবে পূর্ণিমা। এই সময় চাঁদ পৃথিবীর চারপাশে তার কক্ষপথের সবচেয়ে কাছের বিন্দুতে থাকবে, যাকে পেরিজি (perigee) বলা হয়, এবং এটিকে দেখতে একটি “সুপারমুন” (Supermoon)-এর মতো।

    পূর্ণিমায় চাঁদ সাধারণত আরও উজ্জ্বল এবং বড় দেখায় এবং আকাশ পরিষ্কার থাকলে রাতের সময়ে দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু আজ চাঁদ সাধারণ পূর্ণিমার তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেশি উজ্জ্বল এবং বড় দেখাবে। কারণ চাঁদ এদিন পৃথিবীর ২২২,২৩৮ মাইলের মধ্যে আসবে অর্থাৎ সাধারণ দূরত্বের চেয়ে প্রায় ১৬ হাজার মাইল কাছে থাকবে।

    আরও পড়ুন: চাঁদের উল্টোপিঠ কেন আলাদা? এতদিনে রহস্যের উদঘাটন বিজ্ঞানীদের

    তবে সারা বিশ্বে ‘স্ট্রবেরি মুন’ দেখার জন্য উৎসাহী হয়ে থাকলেও ভারতে হিন্দুদের (Hinduism) কাছে এর আলাদা মাহাত্ম্য রয়েছে। কারণ আজকের পূর্ণিমা ভারতে বট পূর্ণিমা নামে খ্যাত। আজকের দিনে হিন্দু মহিলারা বট গাছে পবিত্র সুতো বাঁধেন ও স্বামীর মঙ্গল কামনায় বিবাহিত স্ত্রীরা উপবাস করেন।

    কিন্তু কেন এই নামকরণ?

    আপনারা নিশ্চয় মনে করছেন যে, এদিন চাঁদ দেখতে খানিকটা স্ট্রবেরির মত অথবা লাল বা গোলাপী বর্ণের হবে। কিন্তু এমনটা কিছুই নয়। আসলে এই নামটি নেটিভ আমেরিকানরা (Native Americans) দিয়েছে। ‘অ্যালম্যানাক’ (Almanac )তথ্য অনুযায়ী, এর কারণ হল অ্যালগনকুইন (Algonquin), ওজিবওয়ে (Ojibwe), ডাকোটা (Dakota) এবং লাকোটা (Lakota) নামের কিছু আদিবাসীরা জুন মাসে পাকা স্ট্রবেরি কাটত। ফলে জুন মাসের এই পাকা স্ট্রবেরীকে তারা স্ট্রবেরি মুন নাম দিয়েছিল, আর সেই থেকেই এই নামকরণ এসেছে। ‘সামার সুপারমুন’ হিসাবে যে চাঁদ দেখা যায়, তার তালিকায় এটিই প্রথম।

    কীভাবে দেখবেন এই স্ট্রবেরি মুন?

    ইটালির সিক্যানো-তে (Ceccano) ভার্চুয়াল টেলিস্কোপের মাধ্যমে এই পূর্ণিমার লাইভ দৃশ্য দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভারতীয় সময় অনুসারে এটি রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে দেখানো হবে।

    আরও পড়ুন: চাঁদে জলের উৎস পৃথিবী, গবেষণায় প্রকাশ পেল নয়া তথ্য

    এই বছরে আর কবে পূর্ণিমা হবে? আর সেই চাঁদের কী কী নাম দেওয়া হয়েছে—

    ১৩ জুলাই- ‘বাক মুন’ (Buck Moon)

    ১১ অগাস্ট- ‘স্টারজিয়ন মুন’  (Sturgeon Moon)

    ১০ সেপ্টেম্বর- ‘হার্ভেস্ট মুন’ (Harvest Moon)

    ৯ অক্টোবর- ‘হান্টার্স মুন’ (Hunter’s Moon)

    ৮ নভেম্বর- ‘বিভার মুন’ (Beaver Moon)

    ৭ ডিসেম্বর- ‘কোল্ড মুন’ (Cold Moon)

     

  • Liquid-Mirror Telescope: এশিয়ার বৃহত্তম লিকুইড-মিরর টেলিস্কোপ স্থাপন করা হল ভারতে

    Liquid-Mirror Telescope: এশিয়ার বৃহত্তম লিকুইড-মিরর টেলিস্কোপ স্থাপন করা হল ভারতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) দেবাস্থল অবজ়ারভেটরিতে (Devasthal observatory) ভারতের প্রথম লিকুইড-মিরর টেলিস্কোপ (liquid-mirror telescope) স্থাপন করা হল। ইন্টারন্যাশনাল লিকুইড-মিরর টেলিস্কোপটি (ILMT) সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২,৪৫০ মিটার উচ্চতায় হিমালয়ের কোলে স্থাপন করা হয়েছে। বিভিন্ন মহাজাগতিক বস্তু যেমন— গ্রহাণু, মহাকাশে ভাসমান ধ্বংসাবশেষ (space debris), সুপারনোভা (supernova) খুব সহজেই ও স্পষ্টভাবে পর্যবেক্ষণ করতে এটি স্থাপন করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: মহাকাশের বৃহত্তম ধূমকেতুর হদিশ দিল নাসা, এগোচ্ছে পৃথিবীর দিকে?

    কী এই লিকুইড-মিরর টেলিস্কোপ (liquid-mirror telescope)?

    ভারত, বেলজিয়াম, কানাডার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই টেলিস্কোপটি তৈরি করেছেন। এটি ৪ মিটার ব্যাসের কাচের ওপর তরল পারদের পাতলা আস্তরণ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। আর্যভট্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ অবজ়ারভেশনাল সায়েন্সেস (ARIES)-এর মালিকানাধীন দেবাস্থল অবজারভেটরি ক্যাম্পাসে স্থাপন করা হয়েছে এটি। মাল্টি লেন্সের দ্বারাই আলো প্রতিফলিত হতে পারে ও এর ফলেই স্বচ্ছ ছবি পাওয়া যায়। বড় আকৃতির ইলেকট্রনিক ক্যামেরাটি টেলিস্কোপের ফোকাসে স্থাপন করা হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল লিকুইড-মিরর টেলিস্কোপটি সহ দেবস্থলে মোট তিনটি টেলিস্কোপ রয়েছে। এই বছরের অক্টোবর মাস থেকেই এই টেলিস্কোপটি ব্যবহার করা শুরু হবে।

    কারা এটির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে?

    বেলজিয়াম, ভারত, কানাডা, পোল্যান্ড, উজবেকিস্তান এই দেশগুলি ইন্টারন্যাশনাল লিকুইড-মিরর টেলিস্কোপটি  স্থাপনে সাহায্য করেছে। বেলজিয়ামের ‘অ্যাডভান্সড মেকানিক্যাল এন্ড অপটিক্যাল সিস্টেম কর্পোরেশন’ (The Advanced Mechanical and Optical Systems Corporation)  টেলিস্কোপটি তৈরিতে সাহায্য করেছে। ভারত এটিকে চালনা করবে।

    আরও পড়ুন: পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বুর্জ খালিফার চেয়ে দ্বিগুণ বড় গ্রহাণু! আছড়ে পড়বে কি?

    লিকুইড-মিরর টেলিস্কোপটির ব্যবহার কী?

    এই টেলিস্কোপটি আকাশের স্ক্যান করতে, বিভিন্ন নক্ষত্রপুঞ্জ পর্যবেক্ষণ করতে ব্যবহার করা হবে। তাছাড়াও মহাকাশ থেকে ছিটকে পড়া বিভিন্ন ধূমকেতুর দিকে নজর রাখতেও ব্যবহার করা হবে।

    সাধারণ টেলিস্কোপ থেকে এটির কী পার্থক্য?

    সাধারণ টেলিস্কোপের সাহায্যে মহাকাশের শুধুমাত্র একটি মহাজাগতিক বস্তুকেই পর্যবেক্ষণ করা হয়। কিন্তু লিকুইড-মিরর টেলিস্কোপের সাহায্যে মহাকাশের অনেকটা জায়গা জুড়ে পর্যবেক্ষণ করা যায়। মহাকাশের একটি জায়গার সমস্ত তারা, নক্ষত্রপুঞ্জ, ধূমকেতু ও বিভিন্ন মহাজাগতিক বস্তুর ওপর নজর রাখা যায়।

LinkedIn
Share