Category: বিজ্ঞান

Get updated Science and Research related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • World Environment Day 2022: ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস, জেনে নিন এই দিনের তাৎপর্য

    World Environment Day 2022: ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস, জেনে নিন এই দিনের তাৎপর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস (World Environment Day) যা ইকো ডে (Eco Day) নামেও পরিচিত। প্রতি বছর এই দিনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করা হয়। প্রকৃতি ও তার সংরক্ষণের গুরুত্বের জন্যই এই দিনটি পালন করা হয়। প্রকৃতির সুরক্ষা প্রদানের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতেই এই দিনটি বিশ্বজুড়ে পালন করা হয়।

    বিশ্ব পরিবেশ দিবস প্রথমবার ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার (UN General Assembly) দ্বারা স্টকহোম সম্মেলনের প্রথম দিনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তার দু’বছর পরে, ১৯৭৪ সালে প্রথম ইকো দিবস (Eco Day) “কেবল এক পৃথিবী” ( Only One Earth) থিম নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পরিবেশ দিবসে বিভিন্ন দেশের মানুষ এই দিবস পালনে অংশগ্রহণ করে। ফি বছর, একটি থিমের আয়োজন করা হয় ও বিভিন্ন ব্যবসা,  বেসরকারি সংস্থা,  সম্প্রদায়, সরকার এবং সেলিব্রিটিরা এই থিম মেনেই অংশগ্রহণ করে।

    কী এই বিশ্ব পরিবেশ দিবস:

    বিশ্ব পরিবেশ দিবস হল পরিবেশের জন্য নিবেদিত একটি দিন যা পরিবেশের সমস্যা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য উদযাপিত হয়ে থাকে। এটি বিভিন্ন সমাজ ও সম্প্রদায়ের মানুষকে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের পাশাপাশি, পরিবেশের সুরক্ষা করতেও উৎসাহিত করে।

    বিশ্ব পরিবেশ দিবসের ইতিহাস:

    বিশ্ব পরিবেশ দিবস ১৯৭২ সালে  রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার দ্বারা মানব পরিবেশের স্টকহোম সম্মেলনের প্রথম দিনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দুই বছর পর, ১৯৭৪ সালে প্রথম বিশ্ব পরিবেশ দিবস অনুষ্ঠিত হয় “Only One Earth” থিম নিয়ে। যদিও ১৯৭৪ সাল থেকে  WED (World Environment Day)  উদযাপন বার্ষিকভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

    বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২২ থিম:

    এবছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের থিম ‘শুধু এক পৃথিবী’ (‘Only One Earth’), যা প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষাকে কেন্দ্র করেই এই পদক্ষেপ। এ বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের সম্মেলন সুইডেনে অনুষ্ঠিত হয়। ২০২১-এর থিম ছিল “ইকোসিস্টেম পুনরুদ্ধার” (Ecosystem Restoration) এবং সম্মেলনের আয়োজক ছিল পাকিস্তান।

  • Artemis Mission 1: আশায় বুক বাঁধছে নাসা! ‘আর্টেমিস ১’ মিশন উৎক্ষেপণের নতুন দিন ৩ সেপ্টেম্বর

    Artemis Mission 1: আশায় বুক বাঁধছে নাসা! ‘আর্টেমিস ১’ মিশন উৎক্ষেপণের নতুন দিন ৩ সেপ্টেম্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন মহাকাশ সংস্থা ‘নাসা’ (NASA) শনিবার অর্থাৎ ৩ সেপ্টেম্বর ফের চাঁদের মাটিতে ‘আর্টেমিস-১ মিশনের’ (Artemis 1 Mission) রকেট উৎক্ষেপণের আরেকটি প্রচেষ্টা চালাবে। গত সোমবারই পৃথিবীর মাটি ছেড়ে চাঁদের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল ‘স্পেস লঞ্চ সিস্টেম’ রকেটের। কিন্তু লঞ্চ করার একেবারে শেষ মুহূর্তে তা স্থগিত করা হয়। নাসা থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে যে ‘আর্টেমিস-১ এর ইঞ্জিনে কিছু সমস্যার কারণে আজ লঞ্চ হচ্ছে না।‘

    নাসার পরিকল্পনা অনুযায়ী ঠিক ছিল, ২৯ অগাস্ট ভারতীয় সময়ের সন্ধ্যে ৬টা নাগাদ ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে এসএলএস (SLS) রকেটটিকে চাঁদের উদ্দেশে উৎক্ষেপণ করা হবে। কিন্তু রকেট উৎক্ষেপণের ঠিক ৪০ মিনিট আগে হঠাৎ রকেটের প্রধান আরএস-২৫ চারটি ইঞ্জিনের মধ্যে একটিতে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দিলে নাসার ইঞ্জিনিয়াররা তৎক্ষণাৎ মিশন থামিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ইঞ্জিনে তাপমাত্রা জনিত সমস্যার কারণে সেদিন যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা যায়। শুধু তাই নয়, জ্বালানির ট্যাঙ্কে হাইড্রোজেন ভরাট করার সময়  ট্যাঙ্কে ফুটোও ধরা পডড়েছিল। ফলে তড়িঘড়ি বিজ্ঞানীরা সেদিন মিশন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

    আরও পড়ুন: চাঁদের বুকে কোথায় নামবেন মহাকাশচারীরা? ১৩টি জায়গা বেছে নিল নাসা

    এরপরেই নাসা থেকে জানানো হয়েছিল যে, তারা এক প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে পরবর্তী লঞ্চ করার তারিখ জানাবেন। এরপর মিশন ম্যানেজার মাইকেল স্যারাফিন একটি বিবৃতিতে জানান, ৩ সেপ্টেম্বর ফ্লোরিডার সময় অনুযায়ী, বেলা ২টা ১৭ মিনিটে উৎক্ষেপণ করা হবে। সোমবার, নাসা ফ্লোরিডার উপকূলের কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে মহাকাশযান ছাড়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে রকেটের ইঞ্জিনে সমস্যা, হাইড্রোজেন লিক এবং খারাপ আবহাওয়া সহ বেশ কয়েকটি কারণে এটির উৎক্ষেপণ স্থগিত হয়ে যায়। তবে শনিবারই যে উৎক্ষেপণে সফল হবেন তেমন কোনও গ্যারান্টি দেননি। কিন্তু তাঁরা চেষ্টা করবেন বলে জানানো হয়েছে। আরও জানানো হয়েছে, সেদিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস থেকে অনুমান করা হয়েছে, শনিবার রকেট উৎক্ষেপণ করার জন্য ৬০ শতাংশ সুযোগ রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Solar Storm: সরাসরি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে সৌর ঝড়! ফল কী হতে পারে? জানুন

    Solar Storm: সরাসরি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে সৌর ঝড়! ফল কী হতে পারে? জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে সৌর ঝড় (Solar Storm)। এর ফলে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে পৃথিবীতে। এই ভূ-চৌম্বকীয় ঝড় (Geomagnetic Storm) নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন বিজ্ঞানী ও গবেষকরা। 

    চলতি বছরের ১৫ জুলাই গবেষকরা জানিয়েছিলেন যে যদি সৌরঝড় আসতে শুরু করে তাহলে উপগ্রহ প্রভাবিত হবে। জিপিএস এবং রেডিওর নেটওয়ার্ক বিপর্যস্ত হবে। মহাকাশ আবহাওয়াবিদ ড. তামিথা স্কোভ (Dr. Tamitha Skov) জানিয়েছেন, আশঙ্কা করা হয়েছে, ১৯ জুলাই অর্থাৎ আজই সৌর ঝড় পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসবে। আবার, অন্য মহাকাশ-গবেষকদের আশঙ্কা, পৃথিবীতে এই সৌর ঝড় আছড়ে পড়তে পারে ১৯-২১ জুলাইয়ের মধ্যে।

    আরও পড়ুন: পৃথিবী থেকে নয়, মহাকাশ থেকে কেমন লাগে সূর্যগ্রহণ? ছবি প্রকাশ করল নাসা

    ড. স্কোভ সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, সূর্য থেকে এক সর্পিল আকারের বা সাপের আকারের ন্যায় পাতলা ফিলামেন্টের ঢেউ পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়তে চলেছে। যার ফলে পৃথিবীর মধ্য-অক্ষাংশ বরাবর অরোরা (Aurora) বা মেরুপ্রভা দেখা যেতে পারে। আবার এই সৌর ঝড় পৃথিবীতে আছড়ে পড়ায় রেডিও, জিপিএস সিগনালেও ব্যাঘাত ঘটতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা করা হয়েছে নাসা (NASA) থেকে। আরও জানানো হয়েছে, এবারের সৌর ঝড়কে জি২ বা জি৩ মাত্রায় আছড়ে পড়তে পারে। যখন সৌর ঝড়ের চুম্বকীয় দিকটি দক্ষিণমুখী, তখনই সৌর ঝড় ‘জি২’ মাত্রায় আছড়ে পড়ে পৃথিবীর বুকে।

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন:মহাকাশের বৃহত্তম ধূমকেতুর হদিশ দিল নাসা, এগোচ্ছে পৃথিবীর দিকে?

    প্রসঙ্গত, সৌর ঝড় বা ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়কে জি স্কেলে (G-Scale) পরিমাপ করা হয়। জি স্কেলের ১-৫ স্কেলে মাপ করা হয়, যার মধ্যে ১ নম্বর সবচেয়ে দুর্বল এবং ৫ নম্বর মাপের ঝড়ে ক্ষতির সবচেয়ে বেশি আশঙ্কা থাকে। ২০২১ সালেও সূর্য থেকে ফিলামেন্ট ন্যায় ঢেউ পৃথিবীতে এসে পড়েছে ও সূর্যের একাধিক দাগও দেখতে পাওয়া যায়। যার ফলে সৌরঝড়ের সৃষ্টি হয়েছিল।

    ২০২২ সালের মার্চ মাসেও ভূ-চৌম্বকীয় ঝড় পৃথিবীতে আছড়ে পড়েছিল ও কিছুদিন আগেই জি১ মাপের সৌরঝড় পৃথিবীতে ধেয়ে এসেছিল। তবে এই পরিমাপে সৌরঝড় বা ভূ-চৌম্বকায় ঝড় তেমন কোনও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে না। কিন্তু আজ অথবা আগামী দুয়েক দিনের মধ্যে পৃথিবীর বুকে ধেয়ে আসা সৌরঝড়ের প্রভাবে জিপিএস সিস্টেম, রেডিও তরঙ্গ বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে। 

     

  • Iron Age: তামিলদের হাত ধরে ৪২০০ বছর আগে ভারতে শুরু হয় লৌহ যুগ

    Iron Age: তামিলদের হাত ধরে ৪২০০ বছর আগে ভারতে শুরু হয় লৌহ যুগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ভারতে সবচেয়ে আগে লোহার (Iron) ব্যাবহার শুরু হয়েছিল তামিলনাড়ুর একটি ছোট্ট গ্রামে। মায়িলাদুমপারাই (Mayiladumparai)l নামক একটি ছোট গ্রামে খননকার্য চালিয়ে প্রাপ্ত লোহার সরঞ্জামগুলি পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে তামিলনাড়ুতে লৌহ যুগ শুরু হয়েছিল ৪২০০ বছর আগে। যা সম্ভবত ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন লোহার ব্যাবহারের স্থান বলা যেতে পারে। দক্ষিণ তামিলনাড়ুর আদিচানাল্লুরের লৌহ যুগের সমাধিস্থলটি লোহার সরঞ্জামের একটি চিত্তাকর্ষক সংগ্রহ প্রকাশ করেছিল, যা বর্তমানে চেন্নাইয়ের এগমোর মিউজিয়ামে রক্ষিত আছে, যা ১০০০ খৃষ্টপূর্বাব্দ থেকে ৬০০ খৃষ্টপূর্বাব্দ এর মধ্যে ছিল তবে এটি প্রায় তার ৪ গুন বেশি পুরনো বলে জানা যাচ্ছে।

    মুখ্যমন্ত্রী এম.কে. স্ট্যালিন (M K Stalin),  তামিলনাড়ু বিধানসভায় বলেন: “এটি জানা গিয়েছে যে মায়িলাদুমপারাই থেকে প্রাপ্ত লোহার প্রত্নবস্তুর তারিখ ২১৭২ খৃষ্টপূর্বাব্দ থেকে ১৬১৫ খৃষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত। ফলাফলগুলি এই সত্যটিকে পুনর্ব্যক্ত করেছে যে তামিলনাড়ুর লৌহ যুগ ৪২০০ বছর পুরনো, যা ভারতের প্রাচীনতম।”

    অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনুসন্ধানগুলির মধ্যে প্রমাণ রয়েছে যে তামিলনাড়ুর শেষ নিওলিথিক পর্বটি ২২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের আগে শুরু হয়েছিল বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই সময়ের ২৫ সেন্টিমিটার নীচে একটি সাংস্কৃতিক জমার উপর ভিত্তি করে। প্রত্নতাত্ত্বিকরা আরও দেখেছেন যে কালো এবং লাল মৃৎপাত্রের প্রচলন হয়েছিল নিওলিথিক পর্বের শেষের দিকে। আগে মনে করা হত এটি লৌহ যুগে ঘটেছিল।

    তামিলনাড়ু স্টেট ডিপার্টমেন্ট অফ আর্কিওলজি (TNSDA) এর একটি সূত্র বলেছে যে মায়িলদুমপারাই ছোট গ্রামটি ভারতে এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত প্রাচীনতম লৌহ যুগের স্থান। বারাণসী, উত্তর প্রদেশের কাছে মালহার এবং উত্তর কর্ণাটকের ব্রহ্মগিরির মতো জায়গায় আগে যে খনন করা হয়েছিল, সেই তারিখটিকে কেবল খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দের কাছাকাছি পৌঁছেছিল বলে ওই সূত্রে  উল্লেখ করা হয়েছে। 

  • Asteroid : পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বুর্জ খালিফার চেয়ে দ্বিগুণ বড় গ্রহাণু! আছড়ে পড়বে কি?

    Asteroid : পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বুর্জ খালিফার চেয়ে দ্বিগুণ বড় গ্রহাণু! আছড়ে পড়বে কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বুর্জ খালিফার (Burj Khalifa) চেয়েও দ্বিগুণ বড় একটি গ্রহাণু! হ্যাঁ আপনি ঠিকই পড়ছেন। প্রায় ১.৮ কিমি চওড়া এই মহাজাগতিক বস্তুটি ‘গ্রহাণু ৭৩৩৫’ (Asteroid 7335) বা ‘১৯৮৯ জেএ’ (1989 JA) নামে পরিচিত। গ্রহাণুকে “সম্ভাব্য বিপজ্জনক বস্তু” হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা (NASA)। 

    ইতিমধ্যেই একটি ভার্চুয়াল টেলিস্কোপের মাধ্যমে এই গ্রহাণুটির একটি ছবি প্রকাশ করা হয়, যেখানে দেখা যাচ্ছে গ্রহাণুটি মহাকাশে কি পরিস্থিতিতে রয়েছে। বিজ্ঞানীদের অনুমান, এই গ্রহাণুটি ঘণ্টায় প্রায় ৭৬ হাজার কিলোমিটার গতিবেগে চলছে। রাশিয়ার সায়েন্স অ্যাকাডেমির কেলডিশ ইনস্টিটিউট (The Keldysh Institute of Applied Mathematics of Russia’s Academy of Sciences) গ্রহাণুটির গতিবেগ সম্পর্কে জানিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ডাইনোসর যুগের অবসান ঘটানো গ্রহাণু পৃথিবীর বুকে কোথায় আছড়ে পড়েছিল? জানালেন বিজ্ঞানীরা

    এই গ্রহাণুটি ১৯৮৯ সালে এলিয়ানর হেলিন (Eleanor Helin) নামে এক জ্যোতির্বিজ্ঞানী ক্যালিফোর্নিয়ায় আবিষ্কার করেন। আগামী ২৭ মে তেই পৃথিবীর পাশ দিয়ে উড়ে যাবে ‘১৯৮৯ জেএ’। বিজ্ঞানীদের মতে, ২০২২ সালে পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসা বৃহত্তম গ্রহাণু হতে চলেছে ‘গ্রহাণু ৭৩৩৫’। এরপর ২০৫৫ সালের ২৩ জুনের আগে পৃথিবীর কাছাকাছি আসবে না এই গ্রহাণুটি।

    [tw]


    [/tw]

    নাসা জানিয়েছে, এই গ্রহাণুটি “অ্যাপোলো” শ্রেণিভুক্ত । অ্যাপোলো শ্রেণির গ্রহাণুগুলি সাধারণত পৃথিবীর পাশ দিয়ে কোনও ক্ষতি না করেই উড়ে যায়। এটি শ্রেণির গ্রহাণুগুলি মূলত মহাজাগতিক দেহ যা সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে এবং পর্যায়ক্রমে পৃথিবীর কক্ষপথ অতিক্রম করে। 

    আরও পড়ুন: চাঁদের উল্টোপিঠ কেন আলাদা? এতদিনে রহস্যের উদঘাটন বিজ্ঞানীদের

    অ্যাপোলো গ্রহাণুগুলি (Apollo Asteroids) পৃথিবীর পাশ দিয়ে উড়ে যায় এবং পৃথিবীর থেকেও এদের বড় কক্ষপথ থাকে। এই গ্রহাণুটির বিশাল আকারের জন্য পৃথিবীর ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের। একটি ট্যুইটে ভার্চুয়াল টেলিস্কোপ (Virtual Telescope) বলেছে, “অনেক রহস্য রয়েছে মহাবিশ্ব সেগুলিকে প্রকাশ করতে প্রস্তুত, যেমনটি আগে কখনও হয়নি। আগামী ২৭ মে একটি সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতা হতে চলেছে।”

     

  • Lunar eclipse: বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণের আগের রাতে আকাশে দেখা যাবে লাল চাঁদ

    Lunar eclipse: বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণের আগের রাতে আকাশে দেখা যাবে লাল চাঁদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক : বছরের ‌প্রথম চন্দ্রগ্রহণ হতে চলেছে  চলতি মাসের ১৬ তারিখ। ২০২২ সালে দু’‌টি চন্দ্রগ্রহণ হতে চলেছে এবং উভয় পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ হবে। কিছুদিন আগেই ৩০ এপ্রিল গোটা বিশ্ব আংশিক সূর্যগ্রহণের সাক্ষী থেকেছে। আর তার ১৫ দিন পরই ১৬ মে বৈশাখী পূর্ণিমার দিন হবে চন্দ্রগ্রহণ। পৃথিবীর ছায়া চাঁদের ওপর পড়ে, তখন চন্দ্রগ্রহণ হয়। চন্দ্রগ্রহণ সবসময় পূর্ণিমাতে হয়।

    ১৬ মে চন্দ্রগ্রহণটি দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপ, দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকার বেশিরভাগ অংশ, দক্ষিণ আমেরিকা, প্রশান্ত মহাসাগর, ভারত মহাসাগর, আটলান্টিক এবং অ্যান্টার্কটিকার মতো দেশগুলি থেকে সম্পূর্ণরূপে দৃশ্যমান হবে। এদিন চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে সকাল ৭টা ২ মিনিট থেকে এবং তা শেষ হবে দুপুর ১২ টা ২০ মিনিটে।  যদিও এই গ্রহণ ভারত থেকে দৃশ্যমান হবে না। 

    পূর্ণিমার সময়, কখনও কখনও পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর আংশিক বা সম্পূর্ণ পড়ে, যার ফলে চন্দ্রগ্রহণ হয়। গ্রহণের সময় চাঁদের রং মর্চে পড়া লোহার মতো লাল হয়ে যায়। যাকে মানুষ ব্লাড মুন (Blood Moon) বলে। সাধারণত, যখন সূর্যের আলো পৃথিবীর চার দিক থেকে চলে গিয়ে চাঁদের ওপর পড়ে তখন চাঁদ লাল দেখায়। পৃথিবীর ছায়ার কারণে যখন সূর্যের আলো চাঁদকে লাল রঙ দেয়, তখন তাকে ব্লাড মুন বলে। আগামী ১৫ মে গ্রহণের আগের রাতে আকাশে চাঁদ থাকবে লাল। বছরের দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণটি হবে ৮ নভেম্বর, ২০২২।

  • Asteroid Collision: ডাইনোসর যুগের অবসান ঘটানো গ্রহাণু পৃথিবীর বুকে কোথায় আছড়ে পড়েছিল? জানালেন বিজ্ঞানীরা  

    Asteroid Collision: ডাইনোসর যুগের অবসান ঘটানো গ্রহাণু পৃথিবীর বুকে কোথায় আছড়ে পড়েছিল? জানালেন বিজ্ঞানীরা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ থেকে প্রায় ৬.৬ কোটি বছর আগে পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়েছিল এক প্রকাণ্ড গ্রহাণু (Asteroid)। আর তার জেরেই নিশ্চিহ্ন হয়েছিল সমগ্র ডাইনোসরকুল (Dinosaurs)।  ১৮ কোটি বছর ধরে পৃথিবীতে রাজত্ব করেছে ডাইনোসররা। গ্রহাণুর ধাক্কাতেই লুপ্ত হয়েছিল সেই প্রজাতি বলে মত বিশেষজ্ঞদের। কোথায় আছড়ে পড়েছিল সেই গ্রহাণু, এই মুহূর্তের তাই খতিয়ে দেখছেন বিজ্ঞানীরা।  

    গ্রহাণুটির আনুমানিক ব্যাস ছিল ১০.৬ থেকে ৮০.৯ কিলোমিটার। ডাইনোসর যুগের অবসান ঘটালেও মানবকুলের জন্যে গ্রহাণুটি ছিল এক আশির্বাদ। ডাইনোসর যুগের অবসান ঘটে আসে এক নতুন যুগ, সভ্যতার যুগ। 

    তথ্য অনুসারে ইউকাটান উপদ্বীপের কাছে মেক্সিকোর চিকজুলুবে আছড়ে পড়েছিল গ্রহাণুটি। সমুদ্রকে উত্তাল করার পাশাপাশি প্রায় ১৪০ কিলোমিটার প্রশস্ত গর্ত সৃষ্টি করেছিল সেই গ্রহাণু। বিজ্ঞানীদের অনুমান, এর ফলে পৃথিবীর বহু উপাদান মহাকাশে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং পৃথিবীতে তুষার যুগের সূচনা হতে পারে। অথবা ভূমিকম্প বা আগ্নেয়গিরির মতো বিপর্যয়ও নেমে আসতে পারে পৃথিবীর বুকে। এইসবকেই ডাইনোসর বিলুপ্তির কারণ হিসেবে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। 

    গ্রহাণুটির উৎস সম্পর্কেও অনেকটাই নিশ্চিত হতে পেরেছেন গবেষকরা। তাঁরা মনে করছেন মঙ্গল এবং বৃহস্পতির কক্ষপথের মাঝামাঝি স্থানে জন্ম হয়েছিল রাক্ষুসে গ্রহাণুটির। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ভবিষ্যতেও একটি গ্রহাণু আছড়ে পড়তে পারে পৃথিবীর বুকে। তখন মানুষ প্রযুক্তিগতভাবে অনেকটাই এগিয়ে যাবে এবং গ্রহাণুর মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে বলে মত বিজ্ঞানীদের।  

     

  • Life in Venus: শুক্র গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব নেই, নিশ্চিত বিজ্ঞানীরা 

    Life in Venus: শুক্র গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব নেই, নিশ্চিত বিজ্ঞানীরা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্র গ্রহের (Venus) মেঘের রাসায়নিক বিশ্লেষণ করে সেখানে প্রাণের (Life) অস্তিত্ব না থাকার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Cambridge) একটি গবেষণায় (Research) জানা গিয়েছে শুক্র গ্রহে সম্ভবত প্রাণের অস্তিত্ব নেই। গবেষণাটি একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে প্রাণের অস্বিত্ব থাকার মতো কোনও প্রমাণ মেলেনি গবেষণায়। গবেষণাটিতে বলা হয়েছে শুক্র গ্রহের মেঘের অদ্ভুত রাসায়নিক গঠন ব্যাখ্যা করা যাবে না সাধারণ তত্ত্ব দিয়ে।  

    বিজ্ঞানীরা শুক্রে উপস্থিত ঘন সালফার-সমৃদ্ধ মেঘের জৈব রসায়ন বিশ্লেষণ করেছেন। তিনজন গবেষকের দল: শন জর্ডন, অলিভার শর্টল এবং পল বি. রিমার “আঙ্গুলের ছাপ” খুঁজেছেন প্রাণের অস্বিত্বের প্রমাণ স্বরূপ। এমনকি তাঁরা কোনও খাওয়ার বা মলত্যাগের কোনও প্রমাণও খুঁজে পান নি।

    গবেষকরা শুক্র গ্রহের সালফার ডাই অক্সাইড-সমৃদ্ধ বায়ুমণ্ডলে রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রত্যাশিত মডেল তৈরি করেছেন। দেখা গিয়েছে গ্রহের পৃষ্ঠের কাছাকাছি মেঘে সালফার ডাই অক্সাইডের ঘনত্ব বেশি। তবে উচ্চতার সঙ্গে সঙ্গে তা হ্রাস পেয়েছে। বিজ্ঞানীরা ভেবেছিলেন মেঘে বসবাসকারী জীবাণুগুলির কারণে সালফার ডাই অক্সাইডের পরিমাণ কমেছে। যাইহোক মডেলগুলি পর্যবেক্ষণ করে দেখা গিয়েছে সেই সম্ভবনা নেই। 

    এক বিজ্ঞানী এ বিষয়ে বলেন, “শুক্রের বায়ুমণ্ডলে যেসব সালফার সমৃদ্ধ ‘খাবার’ রয়েছে সেগুলো আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি। যদি এই ‘খাবার’ কোনো জীব গ্রহণ করে তবে নির্দিষ্ট রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তার প্রমাণ পাওয়া সম্ভব। প্রাণের অস্তিত্ব থাকলে সেখানে যে পরিমাণে রাসায়নিক পদার্থ নির্গমন হওয়ার কথা তা হয়নি।”  

    তিনি আরও বলেন, “আমরা শুক্রের মেঘে যে আলাদা ধরণের সালফার রসায়ন দেখি তা দুবছর ধরে ব্যাখ্যা করার চেষ্ঠা করেছি। কিন্তু প্রাণের সন্ধান মেলেনি।”  

    আরও পড়ুন: শুক্র গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব নেই, নিশ্চিত বিজ্ঞানীরা   

    ২০২০ সালে একদল বিজ্ঞানী দাবি করেন, শুক্র গ্রহের মেঘে ফসফিন গ্যাসের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা। এ থেকে এই গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থাকা নিয়ে জল্পনা কল্পনা আরও জোরালো হয়। 

    এর আগে ষাটের দশকে জ্যোতির্বিজ্ঞানী কার্ল সাগান ও জীবপদার্থ বিজ্ঞানী হ্যারল্ড মরোইটজ শুক্র গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। 

    আরও পড়ুন: সফলভাবে সিঙ্গাপুরের তিনটি উপগ্রহ কক্ষপথে স্থাপন করল পিএসএলভি-সি৫৩

    শুক্র গ্রহের বায়ুমণ্ডলে সংঘটিত জটিল রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে সেখানে পৃথিবীর অনুরুপ সালফার-বেজড অনুজীবের অস্তিত্ব থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিলো। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিদ ও রসায়নবিদ পল রিমার বলেন, “শুক্র গ্রহের মেঘের মধ্যে যে অদ্ভুত রাসায়নিক প্রক্রিয়া ঘটে তা থেকে আমরা সেখানে প্রাণের অস্তিত্বের সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণা করেছি। প্রাণের সন্ধান মেলেনি”। 

     

  • Venus Orbit: চাঁদ ও মঙ্গলের পর এবার শুক্রগ্রহে অভিযান চালাবে ইসরো

    Venus Orbit: চাঁদ ও মঙ্গলের পর এবার শুক্রগ্রহে অভিযান চালাবে ইসরো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদ ও মঙ্গলের পর এবার শুক্র গ্রহে অভিযান (Venus Orbiter Mission) চালাবে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO)। শুক্রকে প্রদক্ষিণ করার জন্য একটি মহাকাশযান (Spacecraft) প্রস্তুত করছে ইসরো। সৌরজগতের উষ্ণতম গ্রহের পৃষ্ঠের নীচে কী রয়েছে এবং এটিকে ঘিরে থাকা সালফিউরিক অ্যাসিড মেঘের রহস্য উদঘাটন করবে মহাকাশযান। এছাড়াও পরিকল্পিত পরীক্ষাগুলির মধ্যে রয়েছে শুক্রের পৃষ্ঠে ঘটে চলা প্রক্রিয়াগুলির সন্ধান, সক্রিয় আগ্নেয়গিরির হটস্পট এবং লাভা প্রবাহ সহ অগভীর উপ-পৃষ্ঠের স্তরবিন্যাস, বায়ুমণ্ডলের গঠন এবং গতিশীলতা অধ্যয়ন। এছাড়াও ভেনুসিয়ান আয়োনোস্ফিয়ারের সঙ্গে সৌর বায়ুর মিথস্ক্রিয়াও পর্যবেক্ষণ করা হবে।

    এক বৈঠকে ভাষণ দিতে গিয়ে ইসরো-র চেয়ারম্যান এস সোমনাথ (S Somnath) বলেছেন, “শুক্র মিশনটি নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে, একটি প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। এর জন্য় তহবিলের বিষয়টিও ঠিক করা হয়েছে।” সোমনাথ উদ্বোধনী ভাষণে বলেন, “শুক্র গ্রহের জন্য একটি মিশন তৈরি করা এবং স্থাপন করা ভারতের পক্ষে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সম্ভব। ভারতের কাছে এখন সেই সামর্থ্য আছে।”

    তিনি জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে শুক্র গ্রহের জন্য মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হতে পারে। ওই সময় পৃথিবী এবং শুক্র এতটাই কাছাকাছি আসবে যে মহাকাশযানটিকে ন্যূনতম পরিমাণ প্রপেলান্ট ব্যবহার করে কক্ষপথে রাখা যেতে পারে। ২০২৪ সালের পর আবার এই ধরনের সুযোগ আসবে ২০৩১ সালে। শুক্রগ্রহে অভিযান নিয়ে আশাবাদী ইসরো। মার্স বা চাঁদে যেরকম সফল অভিযান চালানো হয়েছিল শুক্রের ক্ষত্রেও তেমনই হবে, বলে বিশ্বাস বিজ্ঞানীদের। একসময় পৃথিবীর মতোই ছিল এই গ্রহ। অনেক বিজ্ঞানী একে পৃথিবীর যমজ গ্রহও বলে থাকেন। কিন্তু আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এখানে প্রাণীরা বাস করতে পারে না এমনটাই মনে করেন বিজ্ঞানীরা। তাই এই গ্রহকে নিয়ে মানুষের এত আকর্ষণ।

  • Water in Moon: চাঁদে জলের উৎস পৃথিবী, গবেষণায় প্রকাশ পেল নয়া তথ্য

    Water in Moon: চাঁদে জলের উৎস পৃথিবী, গবেষণায় প্রকাশ পেল নয়া তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটা সময় পর্যন্ত মনে করা হত চাঁদে (Moon)জল নেই, চাঁদ শুষ্ক উপগ্রহ। কিন্তু ২০০৮ সালে অ্যাপোলো ১৫ আর ১৭-র চন্দ্রাভিযানের পর সেই ধারণা বদলায়। জানা যায় চাঁদে জল আছে। তবে ভারতের চন্দ্রযান (Chandrayaan)অভিযানের পর ধারণাটা আরও খানিকটা বদলায়।  বিজ্ঞানীরা দেখেন, চাঁদের যে অংশে জলের উপস্থিতি অনুমান করা হয়েছিল সেখানে ছাড়াও জল আছে অন্য জায়গাতেও। এবার নয়া গবেষণার ফেল জানা গেল চাঁদে যে জলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল তার বেশিরভাগেরই উৎস পৃথিবী। 

    এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করছে আলাস্কা ফেয়ারব্যাঙ্কস জিওফিজিক্যাল ইনস্টিটিউট  (Alaska Fairbanks Geophysical Institute)। তাদের তরফে জানানো হয়েছে,পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্তর থেকে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন আয়ন বের হচ্ছে। সেখান থেকেই চাঁদে জল আসছে। এবিষয়ে একটি রিপোর্ট ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছেন ওই সংস্থার গবেষকেরা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, চাঁদ পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরছে এবং সেক্ষেত্রে পৃথিবীর সঙ্গে একটি চুম্বকীয় আকর্ষণ রয়েছে চাঁদের। সেখানেই রয়েছে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনের স্তর। যার মাধ্যমে চাঁদে জলের সন্ধান পাওয়া গেছে। 

    সম্প্রতি রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী,চাঁদের এক মেরু অঞ্চলে ৩৫০০ কিউবিক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে জলের সন্ধান পাওয়া গেছে। যা সম্পূর্ণভাবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল থেকে তৈরি হয়েছে। এই বিষয়ে বিজ্ঞানীদের যুক্তি,হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন আয়নগুলি যখন চৌম্বকীয় তরঙ্গের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তখন তা জলকনা সৃষ্টি করছে। এবং সেখান থেকেই চাঁদে জলস্তর তৈরি হয়েছে।

    চাঁদে জলের সন্ধান করার জন্য চলতি দশকেই একাধিক মহাকাশচারীদের মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে নাসা (NASA)। চাঁদে সত্যিই জল রয়েছে কিনা এবং তার উৎস সন্ধানই এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য। এছড়াও আরও কিছু বিষয় নিয়ে খোঁজখবর করবে ওই মহাকাশচারীরা। 

LinkedIn
Share