Category: বিজ্ঞান

Get updated Science and Research related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • GSAT-24 Satellite: ফরাসি রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি ভারতীয় GSAT-24 উপগ্রহের

    GSAT-24 Satellite: ফরাসি রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি ভারতীয় GSAT-24 উপগ্রহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হল দেশীয় জিস্যাট-২৪ (GSAT-24) কৃত্রিম উপগ্রহকে। বৃহস্পতিবার, দক্ষিণ আমেরিকার ফ্রেঞ্চ গায়ানায় (French Guyana) অবস্থিত কুরু (Kourou) উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে ফরাসি সংস্থা আরিয়ানস্পেসের (Arianespace) আরিয়ান-৫ (Ariane-5) রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেয় জিস্যাট-২৪।

    ভারত সরকারের মহাকাশ দফতরের অধীনস্থ সংস্থা নিউ স্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেডের (NSIL) জন্য এই উপগ্রহ তৈরি করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা বা ইসরো (ISRO)। জানা গিয়েছে, এই উপগ্রহের সমগ্র ক্ষমতা বা টাটা প্লে-কে (Tata Play) লিজ দেওয়া হয়েছে। ইসরো-র দাবি, এর ফলে, ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রভূত উন্নতি হবে।

    আরও পড়ুন: আইফোন ১৪ ফোনে থাকছে স্যাটেলাইট কানেক্টিভিটি? পড়ুন বিস্তারিত

    কী এই জিএসএটি (GSAT)?

    GSAT-এর পুরো নাম জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট (Geosynchronous Satellite)। GSAT-24 একটি 24-Ku ব্যান্ড কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট বা যোগাযোগ উপগ্রহ যার ওজন ৪ হাজার ১৮০ কেজি। সারা ভারতে ডিটিএইচ (DTH) অ্যাপ্লিকেশনের চাহিদা মেটানোর জন্য এটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এই উপগ্রহটি সাধারণত বিভিন্ন তথ্য, অডিও, ভিডিও ব্রডকাস্টিং-এর জন্য ব্যবহার করা হবে। এই জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইটটি পৃথিবীর (Earth) উচ্চ কক্ষপথে (High Orbit) স্থাপন করানো হয়েছে যাতে, উপগ্রহটি পৃথিবীর ঘূর্ণনের গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে।

    কীভাবে এই স্যাটেলাইটটি কমিউনিকেশনকে প্রভাবিত করবে?

    নিউস্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেড থেকে জানানো হয়েছে যে, GSAT-24  বেশি পরিমাণে ডিটিএইচ চ্যানেলগুলি সরবরাহ করবে ফলে টিভি দেখা অনেক বেশি ভালো হবে। এছাড়াও ডিজিটালে পড়াশোনার ক্ষেত্রেও অনেক সুবিধে হবে, ডিজিটাল সিনেমা, তথ্য ট্রান্সফারের ক্ষেত্রেও অনেক উন্নতি দেখা যাবে। ডিটিএইচ অ্যাপ্লিকেশনের চাহিদা মেটাতে এই স্যাটেলাইটটি সাহায্য করবে।

    আরও পড়ুন: চাঁদ ও মঙ্গলের পর এবার শুক্রগ্রহে অভিযান চালাবে ইসরো

    NSIL-এর চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর (CMD) রাধাকৃষ্ণন দুরাইরাজ (Radhakrishnan Durairaj) জানান, এই স্যাটেলাইট পাঠানোর ক্ষেত্রে সমস্ত খরচ এনএসআইএল থেকে দেওয়া হয়েছে। স্যাটেলাইট, লঞ্চ, পরিবহন, লঞ্চ ক্যাম্পেইন ইত্যাদির যাবতীয় খরচ NSIL বহন করেছে।

  • Venus, Mars, Jupiter, Saturn: প্রায় হাজার বছর পর, এক সরলরেখায় শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শনি

    Venus, Mars, Jupiter, Saturn: প্রায় হাজার বছর পর, এক সরলরেখায় শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক : আনুমানিক এক হাজার বছর পর আবার চারটি গ্রহ একসঙ্গে , একই লাইনে রয়েছে। মঙ্গল ও বুধবার ২৬ ও ২৭ এপ্রিল সূর্যোদয়ের আগে, শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শনি-সহ চারটি গ্রহ পূর্ব দিগন্ত থেকে ৩০ ডিগ্রির মধ্যে সরল রেখায় দৃশ্যমান ছিল। আগামী ৩০ এপ্রিল তথা শনিবার আবার এই ঘটনা ঘটবে। গ্রহগুলি পৃথিবীর কাছে থাকায় আকাশ পরিষ্কার থাকলে খালি চোখেই দেখা যাবে এই মহাজাগতিক দৃশ্য।
    সূর্যোদয়ের ঠিক আগে শনিবার দিগন্ত রেখা বরাবর  আকাশে চোখ রাখলে শুক্র এবং বৃহস্পতি গ্রহকে একসঙ্গে খুব কাছাকাছি দেখা যাবে। শুক্র বৃহস্পতির ০.২ ডিগ্রি দক্ষিণে থাকবে। এর আগে ২৬ এবং ২৭ এপ্রিল দূরবীন বা টেলিস্কোপ ছাড়াই বৃহস্পতি, শুক্র, মঙ্গল এবং  শনিকে এক লাইনে দেখতে পাওয়া গিয়েছে। ভুবনেশ্বরের পাঠানি সামন্ত প্ল্যানেটোরিয়ামের ডেপুটি ডিরেক্টর শুভেন্দু পট্টনায়েক বলেন, এই ধরনের ঘটনা প্রায় ১,০০০ পর ঘটল। বেশ বিরল। এর আগে ৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে শেষবার এমন হয়েছিল। এই ধরণের ঘটনা ‘প্ল্যানেট প্যারেড’ নামে পরিচিত। সৌরজগতের গ্রহগুলি আকাশের একই অঞ্চলে এক সরলরেক্ষায় সারিবদ্ধ হলে এমনটা বলা হয়। 
    জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতি নীচে বামদিকে সবার প্রথমে থাকবে। এর পরে শুক্র, তারপর মঙ্গল এবং তারপর শনি থাকবে। এই সময়ে, বৃহস্পতিকে দেখা সবচেয়ে কঠিন হতে পারে কারণ এটি দিগন্ত রেখার ঠিক উপরে থাকবে এবং সেখানে সাধারণত গ্রহের আলো কমে যায়। 
    শুভেন্দু পট্টনায়েক বলেন, “সাধারণত তিন ধরনের প্ল্যানেট প্যারেড হয় ৷ সূর্যের একপাশে একাধিক গ্রহ সাধারণত তিনটি গ্রহ একটি রেখাতেই থাকে ৷ এই মহাজাগতিক সমাবেশ প্রায়শই হয়ে থাকে ৷ বছরের অনেক দিন এমনটা দেখা যায় ৷” তিনি জানান, চারটি গ্রহের একই লাইনে থাকাটা হয় বছরে একবার ৷ পাঁচটি গ্রহের ক্ষেত্রে এই ঘটনা ঘটে প্রতি ১৯ বছরে একবার ৷ আটটি গ্রহ একটি সারিতে অবস্থান করার বিরল ঘটনা ১৭০ বছরে একবার হয়ে থাকে ৷ এ বিষয়ে পট্টনায়ক বলেন, “দ্বিতীয়ত প্ল্যানেট প্যারেড, একই সময়ে আকাশের একটি ছোট্ট অংশে একাধিক গ্রহ জমায়েত করে ৷ পৃথিবী থেকে তাদের দেখা যাক বা না যাক, আমরা একেও প্ল্যানেট প্যারেড বলি ৷ এরকমটা শেষবার হয়েছিল ২০০২ সালের ১৮ এপ্রিল এবং ২০২০ সালের জুলাইতে ৷ সেবার সৌরজগতের সবক’টি গ্রহ একটি সারিতে অবস্থান করছিল ৷ সন্ধ্যার আকাশে খালি চোখেই তা দেখা গিয়েছিল ৷”
    তৃতীয় প্ল্যানেট প্যারেড প্রসঙ্গে পট্টনায়ক বলেন, “এক্ষেত্রে চারটি গ্রহ খুব কাছাকাছি একই জায়গায়, এক রেখায় থাকে। এর ফলে গ্রহগুলি উজ্জ্বল দেখায়। ২০২২-র এপ্রিলে শুক্র,মঙ্গল,বৃহস্পতি এবং শনির এক সারিতে অবস্থানটি তৃতীয় ধরনের প্ল্যানেট প্যারেড ৷ এরকমটা হয়েছিল ৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে, প্রায় এক হাজার বছর আগে ৷”

     

  • Cyclone Name: ‘আয়লা’ থেকে ‘অশনি’ বা ‘আমফান’ থেকে ‘ফণী’ – কীভাবে হয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ?

    Cyclone Name: ‘আয়লা’ থেকে ‘অশনি’ বা ‘আমফান’ থেকে ‘ফণী’ – কীভাবে হয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফি বছরই পৃথিবীর কোনও না কোনও প্রান্তে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়। এক এক ঘূর্ণিঝড়ের আবার এক এক নাম। অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, ঘূর্ণিঝড়ের এমন নাম কেন হয়? সম্প্রতি যে ঘূর্ণিঝড়গুলি ভারতের পূর্ব উপকূলে বিশেষ দাগ কেটেছে, সেগুলি হল ‘আয়লা’, ‘আম্পান’, ‘ইয়াস’ ও ‘ফণী’।
     
    ইতিমধ্যেই ‘অশনি’ ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা দিয়েছিল হাওয়া অফিস। সেই ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আছড়ে পড়ার আগেই নিম্নচাপে পরিণত হয়ে গিয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম নিয়েও জনসাধারণের মনে কৌতূহল চাড়া দিয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ নাম দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। সিংহলি ভাষায় এর অর্থ ‘ক্রোধ’। রবিবার সকালে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছিল এই ঘূর্ণিঝড়। 

    রাষ্ট্রসংঘের অধীনস্থ সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (WMO)-র তথ্য অনুসারে, একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অবস্থানে বা বিশ্বজুড়ে একসময়ে একাধিক ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে। আর, এই ঘূর্ণিঝড়গুলির জেরে দুর্যোগ একসপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে চলতে পারে। তাই বিভ্রান্তি এড়াতে প্রতিটি নিরক্ষীয় অঞ্চলে তৈরি ঝড়কে, দুর্যোগের পরিমাণ অনুমান করতে, ঝুঁকি বোঝাতে, কতটা সচেতনতার দরকার তা বোঝাতে, ব্যবস্থাপনা বোঝাতে এবং প্রশমনের সময়কাল বোঝাতেই আলাদা নাম দেওয়া হয়। নাম তৈরির ক্ষেত্রে মাথায় রাখা হয় যে তা হবে সংক্ষিপ্ত এবং সহজে উচ্চারণ করা যাবে এমন। যাতে এই নাম সহজে রেলস্টেশন, উপকূলীয় ঘাঁটি, সমুদ্রে থাকা জাহাজের মধ্যেও দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে। যাতে সাধারণ মানুষ এবং যাত্রীরা ঝড়ের বিস্তারিত তথ্য দ্রুত পেতে পারেন। আর, সেই অনুযায়ী সাবধানতা অবলম্বন করতে পারেন। 

    জটিল অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ সনাক্তকরণের যে পদ্ধতি আগে চালু ছিল, তার চেয়ে নতুন এই পদ্ধতিতে ঝড়ের সম্পর্কে মানুষকে জানানো বা সচেতন করা অনেক সহজ হয়েছে। শুরুর দিকে ঝড়ের নামকরণ করা হত ইচ্ছেমতো। ১৯০০ সালের মাঝামাঝি থেকে, ঝড়ের মেয়েলি নাম ব্যবহার শুরু হয়েছিল। আবহাওয়াবিদরা পরবর্তীতে আরও সংগঠিত এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনার জন্য একটি তালিকা থেকে ঝড়ের নাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

    ১৯৫৩ সাল থেকে অতলান্তিক নিরক্ষীয় অঞ্চলে ঝড়ের নামকরণ করা হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় হারিকেন সেন্টারে তৈরি তালিকা অনুযায়ী। এমনটাই জানিয়েছে ডব্লিউএমও। বর্তমানে বিশ্বে ছ’টি আঞ্চলিক বিশেষ আবহাওয়া কেন্দ্র (আরএসএমসি) এবং পাঁচটি আঞ্চলিক ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র রয়েছে। এখান থেকেই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয় এবং সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়। 

    ভারতের মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট (আইএমডি) হল আরএসএমসিগুলির মধ্যে একটি। স্বভাবতই একটি ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করার দায়িত্ব তারও রয়েছে। উত্তর ভারত মহাসাগরে যখন ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়, আর তার বাতাসের গতিবেগ যখন ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার বা তার বেশি হয়ে যায়, তখন আইএমডি সতর্কবার্তা জারি করে। আইএমডি উত্তর ভারত মহাসাগরের ১৩টি দেশকে ঘূর্ণিঝড় এবং ঝড়-বৃষ্টির সতর্কবার্তা দেয়।

    বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু হয়েছিল ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে। ঘূর্ণিঝড়ের নামের এই তালিকাটি লিঙ্গ, রাজনীতি, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং সংস্কৃতির নিরপেক্ষতা বজায় রেখে বর্ণানুক্রমিকভাবে সাজানো দেশগুলোর দেওয়া নাম অনুসারে তৈরি করা হয়েছে। দক্ষিণ চিন সাগর থেকে তাইল্যান্ড অতিক্রম করে বঙ্গোপসাগরে যে ঝড় আসে, তার নাম বদলানো হয় না।

    একবার যদি কোনও একটি নাম নির্দিষ্ট ঝড়কে বোঝাতে ব্যবহার হয়, তবে পরে আর ওই নাম অন্য কোনও ঝড়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় না। নামকরণের সময় মাথায় রাখা হয়, সর্বোচ্চ আটটি অক্ষর থাকতে পারবে। কোনও সদস্য দেশের আপত্তি থাকলে সেই নামগ্রহণ করা হয় না। কোনও জনগোষ্ঠীর আবেগ যাতে আঘাতপ্রাপ্ত না হয়, ঝড়ের নামকরণে সেটাও মাথায় রাখেন আবহাওয়াবিদরা। ২০২০ সালে, ১৩টি দেশের দেওয়া ঝড়ের ১৬৯টি নামের নতুন একটি তালিকাও প্রকাশ হয়েছে। এর আগে ৮টি দেশের ৬৪টি নাম ব্যবহার হয়েছে।  

    ভারত থেকে যে নামগুলো দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ‘গতি’, ‘মেঘ’, ‘আকাশ’। অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ দিয়েছে ‘অগনি’, ‘হেলেন’ এবং ‘ফণী’। পাকিস্তান দিয়েছে ‘লায়লা’, ‘নার্গিস’ ও ‘বুলবুল’। ‘অশনি’র পর যে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে, তার নাম হবে ‘সিত্রং’। এই নামটি তাইল্যান্ড দিয়েছে। ভবিষ্যতে ঘূর্ণিঝড়ের যে নামগুলো ব্যবহার করা হবে, তার মধ্যে রয়েছে ভারতের ‘ঘূর্ণি’, ‘প্রবাহ’, ‘ঝড়’ এবং ‘মুরাসু’। বাংলাদেশের ‘বিপর্যয়’, সৌদি আরবের ‘আসিফ’, ইয়েমেনের ‘দিকসাম’, ইরানের ‘তুফান’, এবং শ্রীলঙ্কার ‘শক্তি’।

     

  • Moon Rocket: মহাকাশচারী ছাড়াই চাঁদে পাড়ি দেবে নাসার তৈরি স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেট

    Moon Rocket: মহাকাশচারী ছাড়াই চাঁদে পাড়ি দেবে নাসার তৈরি স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে চাঁদে পাড়ি দেবে নাসা-র (NASA) স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (Space Launch System) (SLS) রকেট। কোনও মহাকাশচারী ছাড়াই একে চাঁদে উৎক্ষেপণ করা হবে। দীর্ঘ সময়ের পর আবার চাঁদে রকেট পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা। চলতি বছরের ২৯ অগাস্ট এই রকেটটিকে লঞ্চ করা হবে। গত মঙ্গলবার রকেটটিকে লঞ্চ প্যাডের কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং একে লঞ্চ করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: স্বাধীনতার ৭৫ বছরে মহাকাশ থেকে এল স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা! দেখুন সেই ভিডিও

    এই দীর্ঘ মুন রকেটটির দৈর্ঘ্য ৯৮ মিটার। চাঁদে রকেট পাঠানোর এই মিশনটি নাসার আর্টেমিস প্রোগামের (Artemis Programme) বহু-প্রতীক্ষিত একটি মিশন। গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে স্পেস লঞ্চ সিস্টেম ফ্লোরিডায় নাসা- র কেনেডি স্পেস সেন্টারের (NASA’s Kennedy Space Center) বিল্ডিং ছেড়ে এটির লঞ্চপ্যাডের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, স্পেস লঞ্চ সিস্টেমটি গত দশ বছরে বোয়িং কোম্পানির সহায়তায় তৈরি করা হয়েছে। এই রকেটটি রোলআউটটি করতে প্রায় ১১ ঘন্টা সময় লাগবে। যার গতি প্রতি ঘন্টায় ১.৬ কিমি।

    এই রকেটটির ওপরের দিকে একটি নাসা ওরিয়ন অ্যাস্ট্রোনট ক্যাপসুল ( NASA Orion astronaut capsule) বলে অংশ রয়েছে। এটি লকহিড মার্টিন কর্পোরেশন তৈরি করেছে। এটি মহাকাশে গিয়ে রকেট থেকে আলাদা হয়ে যাবে ও পরে মানুষকে চাঁদে পরিবহন করতে সাহায্য করবে। এবং মহাকাশচারীদের চাঁদের পৃষ্ঠে পৌঁছে দেওয়ার জন্য অন্য এক মহাকাশযানের সঙ্গে যুক্ত হবে।

    আরও পড়ুন: মহাকাশে আরও এক পৃথিবী! অবিকল পৃথিবীর মতই ‘সুপার-আর্থ’ খুঁজে পেলেন নাসার বিজ্ঞানীরা

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, এটি পৃথিবীতে ফিরে আসার আগে ৪২ দিন ধরে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে। রকেটটিকে লঞ্চ করার আগেই একটি ব্যাকআপ তারিখ নাসা থেকে ঠিক করা হয়েছে। কারণ যদি ২৯ অগাস্ট খারাপ আবহাওয়ার জন্য রকেটটিকে লঞ্চ করা না যায়, তবে সেই দিনের বদলে ২ ও ৫ সেপ্টেম্বর লঞ্চ করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। 

     

     

  • Moon: চাঁদের উল্টোপিঠ কেন আলাদা? এতদিনে রহস্যের উদঘাটন বিজ্ঞানীদের

    Moon: চাঁদের উল্টোপিঠ কেন আলাদা? এতদিনে রহস্যের উদঘাটন বিজ্ঞানীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রহস্য়ে মোড়া চাঁদ। এই চাঁদকে নিয়ে মানুষের আগ্রহের অন্ত নেই। চাঁদকে নিয়ে কবিতা, গল্প কত কিছু যে রচনা হয়েছে তা গুণে শেষ করা যাবে না। তবে এই চাঁদেরই রয়েছ দুই রূপ। 

    আমরা সবসময় চাঁদের একটা দিক দেখতে পাই। উল্টো দিক সবসময় অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে। দুই দিকের ভূমিরূপ সম্পূর্ণ আলাদা। কিন্তু কেন এই তফাত? সেই রহস্যই উদঘাটন করলেন বিজ্ঞানীরা। 

    তাঁরা জানালেন, ৪৩০ কোটি বছর আগে প্রাচীন গ্রহাণুর আঘাতে চাঁদের এই দশা। ‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস’ নামক এক জার্নালে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, প্রায় ৪৩০ কোটি বছর আগে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে আছড়ে পড়ে বিশাল গ্রহাণু। 

    আঘাত এতটাই প্রবল ছিল, যে তা চন্দ্রপৃষ্ঠের একদিকের চেহারাই পাল্টে দিয়েছে। ফলে দৃশ্যমান এবং অদৃশ্য, দুই দিক এত আলাদা। চাঁদের যে দিকটা আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে সে দিকটা বিস্তীর্ণ, লাভা প্রবাহের গাঢ় ছাপ রয়েছে। আর উল্টো দিকটা ভর্তি বিশাল বিশাল গর্ত দিয়ে, লাভার চিহ্ন সেখানে নেই বললেই চলে। 

    বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, ওই গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষ এতটাই ভয়ঙ্কর ছিল যে, চাঁদের চেহারা বদলে যায়। সেজন্য পৃথিবী থেকে চাঁদের যে রূপ আমরা দেখতে পায়  সেটা একরকম। আবার যে অংশ দেখতে পায় না তা আবার আলাদা।  

    গবেষণায় এও দাবি করা হয়েছে, ওই উল্কাপাতেই সৃষ্টি হয়েছে চাঁদের দৈত্যাকার সাউথ পোলএটিক্যান (এসপিএ) বেসিনের। কোনও কিছুর আঘাতে সৃষ্ট গর্তের মধ্যে গোটা সৌরজগতে এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম। 

     

  • Dinosaur: গ্রহাণুর আঘাতেই কি বিলুপ্ত হয়েছে ডায়নোসর? নিদর্শন মিলল ফসিল সাইটে

    Dinosaur: গ্রহাণুর আঘাতেই কি বিলুপ্ত হয়েছে ডায়নোসর? নিদর্শন মিলল ফসিল সাইটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীতে আছড়ে পড়া এক বিশাল গ্রহাণুর আঘাতেই ধ্বংস হয়েছিল ডায়নোসরেরা। যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ডাকোটার তানিস ফসিল সাইটে এর নিদর্শন পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তবে এ নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, পৃথিবীতে যে বিশাল গ্রহাণু আছড়ে পড়েছিল, সরাসরি তার আঘাতেই  ডায়নোসরের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনাকেই ইতিহাস থেকে ডায়নোসরের মুছে যাওয়ার জন্য দায়ি করা হয়ে থাকে। বহু বছর ধরে এই প্রক্রিয়া চলেছিল। পরিবর্তিত হয়েছিল পৃথিবীর জলবায়ু। যেদিন এই ঘটনা ঘটেছিল সেদিনের ঘটনার নানা নিদর্শন ওই ফসিল সাইটে মিলেছে।
    তানিসে আরও অনেক ফসিল উদ্ধার করা গেছে। এরমধ্যে আছে সেই  সময়ে মারা যাওয়া মাছ, কচ্ছপ, ক্ষুদ্র স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং একাধিক প্রজাতির ডায়নোসর। 
    ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের (Manchester University)শিক্ষার্থী ও গবেষক রবার্ট ডিপালমা (Robert DePalma)এই গবেষণার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেন, “আমরা সেখান থেকে বিস্তারিত তথ্য পেয়েছি। সেখানে সব এমন ভাবে সাজানো রয়েছে যে আমরা ইতিহাসের ঘটনাপ্রবাহ দেখতে পাচ্ছিলাম। প্রতিটা মুহূর্তে কী হচ্ছিল তা জানা গেছে। যেন একটি সিনেমা চলছে। সেখানকার পাথর ও ফসিলের দিকে তাকালে আপনি একদম সেই গ্রহাণু আছড়ে পরার দিনে চলে যাবেন।” এখনও বিতর্ক আছে যে ডায়নোসর বিলুপ্তকারী বস্তুটি কোনও গ্রহাণু ছিল না,  একটি ধূমকেতু ছিল। নতুন এই আবিষ্কার সেই বিতর্ক শেষ করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।

     

  • Bullet Train in India: ভারতের মাটিতে কবে থেকে ছুটবে বুলেট ট্রেন? জানা গেল অবশেষে

    Bullet Train in India: ভারতের মাটিতে কবে থেকে ছুটবে বুলেট ট্রেন? জানা গেল অবশেষে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুব শীঘ্রই ভারতের মাটিতে ছুটতে চলেছে বুলেট ট্রেন। পরীক্ষামূলকভাবে ভারতে প্রথম বুলেট ট্রেন চালানো হবে। জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র পরীক্ষার সময়ে ৩৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে চলবে বুলেট ট্রেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিমানের টেক-অফ গতির সঙ্গে তুলনীয় বুলেট ট্রেনের ট্রায়ালের (Bullet Train Trial Run) এই গতি। তবে, যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে প্রতি ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার গতিতে। 

    জানা গিয়েছে, পরীক্ষাকালীন প্রথম বুলেট ট্রেন চলবে গুজরাটের সুরাট এবং বিলিমোরার মধ্যে। তারপরে ধীরে অন্যান্য জায়গাতে এই ট্রায়াল পরিচালনা করা হবে। ন্যাশনাল হাইস্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেডের আধিকারিক জানান, ২০২৬ সালে এই ট্রেন সম্পূর্ণভাবে তৈরি হয়ে যাবে। এই মুহূর্তে জাপানের সহযোগিতায় অনেকটাই কাজ এগিয়েছে। 

    ভারতে বুলেট ট্রেন চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় ঋণের ৮০ শতাংশই এসেছে জাপান থেকে। বুলেট ট্রেনের জন্য বিশেষ রেল লাইন বসানোর উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যেই দেড় কিলোমিটার লম্বা একটি ব্রিজ তৈরি করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ‘স্ল্যাব ট্র্যাক সিস্টেম’ নামক বিশেষ রেললাইন দিয়েই ছুটবে বুলেট ট্রেন। এই ট্রেনের মাধ্যমে আহমেদাবাদ থেকে মুম্বই যেতে সময় লাগবে মাত্র তিন ঘণ্টা।

    কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারতে বুলেট ট্রেন চালু হলে মাত্র তিন ঘণ্টায় আহমেদাবাদ থেকে মুম্বই পৌঁছে যাওয়া যাবে। জাপান থেকে সংগ্রহ করা ডিজাইন ব্যবহার করে, ফুল স্প্যান লঞ্চিং মেথড (FLSM) এর মাধ্যমে নির্মাণ করা হচ্ছে রেলের সেতু, যা বিশ্বের অন্যতম অত্যাধুনিক সেতু নির্মাণ প্রযুক্তি। NHSRCL বিলিমোরা এবং সুরাতের মধ্যে প্রতি মাসে ২০০-২৫০ টি পিলার তৈরি করেছে।

    বুলেট ট্রেনের ভাড়া কত হতে পারে সেই নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে। এই প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, প্লেনের ইকোনমি ক্লাসের সমতুল্য ভাড়াই প্রযোজ্য হবে বুলেট ট্রেনের ক্ষেত্রে। 

     

  • Asteroids: ফের পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে পরপর পাঁচটি গ্রহাণু, জানুন কবে আসবে…

    Asteroids: ফের পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে পরপর পাঁচটি গ্রহাণু, জানুন কবে আসবে…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি-দুটি নয়, পাঁচটি গ্রহাণু (Asteroid) পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসতে থাকে। আজ থেকেই শুরু হয়েছে গ্রহাণুর আসা। তবে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই গ্রহাণুগুলো পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসবে ঠিকই কিন্তু পৃথিবীর পাশ দিয়ে চলে যাবে। অর্থাৎ পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার কোবও সম্ভাবনা নেই। ফলে এতে কোনও চিন্তার বিষয়ও নেই। সম্প্রতি অনেক গ্রহাণুই পৃথিবার পাশ কেটে চলে গিয়েছে এবং এতে পৃথিবীর ওপর কোনও প্রভাবও পড়েনি। কোন গ্রহাণু কেন দিন পৃথিবীর দিকে আসতে চলেছে, জেনে নিন।

    এনইও ২০২২ কিউপি৪ গ্রহাণু(NEO 2022 QP4)

    আজ এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। এটি প্রায় পৃথিবীর কক্ষপথের ১কোটি ৩৯ লক্ষ ৬৬ হাজার ২২ কিলোমিটারের মধ্যে চলে আসবে ও পাশ কেটে উড়ে যাবে। এনইও ২০২২ কিউপি৪ গ্রহাণুটি প্রায় ৪০ ফুট চওড়া, প্রায় একটি বাসের আকারে সমান। এর গতিবেগ প্রতি ঘন্টায় ২৫০০০কিলোমিটার। এটি পৃথিবীর পাশ দিয়ে যাওয়ার পর পরবর্তীতে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরেই মঙ্গল গ্রহের দিকে যাবে।

    এনইও ২০২২ কিউকিউ৪ (NEO 2022 QQ4)

    এই গ্রহাণুটি আগামীকাল পৃথিবীর পাশ দিয়ে উড়ে যাবে ও এর আকার আগের গ্রহাণুটির তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। ১১০ ফুট চওড়া গ্রহাণুটির গতিবেগ প্রতি সেকেন্ডে ৭ কিমি। নাসার মতে এই গ্রহাণুটি পুনরায় ২১৩১ সালের ১৬ অগাস্ট পৃথিবীর দিকেই ফিরে আসবে।

    আরও পড়ুন: পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিমানের চেয়ে তিনগুণ বড় গ্রহাণু! আছড়ে পড়বে কি? কী বলছেন নাসা-র বিজ্ঞানীরা

    এনইও ২০২২ কিউপি৩ (NEO 2022 QP3)

    এই গ্রহাণুটি রবিবার অর্থাৎ ২৮ অগাস্ট পৃথিবীর কক্ষপথের ৫৫ লক্ষ কিলোমিটারের মধ্যে দিয়ে চলে যাবে। তবে এর আকার আগের গ্রহাণুর আকারের সমান। কিন্তু এই গ্রহাণুর গতিবেগ আগের গ্রহাণুর থেকে একটু বেশি। এর গতিবেগ প্রায় প্রতি ঘন্টায় ২৯০০০ কিলোমিটার। এই গ্রহাণুটি আবার ২০২৫ সালের ১৬ অগাস্ট পৃথিবীর দিকে ফের চলে আসবে।

    ২০২২ কিউএক্স৪ ও ২০১৭ বিইউ(2022 QX4 and 2017 BU)

    এই দুটি গ্রহাণুই সোমবার পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসতে চলেছে। ১৪০ ফুটের সমান ২০২২ কিউএক্স৪ গ্রহাণুটি পৃথিবীর কক্ষপথের ১৮ লক্ষ কিমির মধ্যে দিয়ে চলে যাবে। এর গতিবেগও প্রতি ঘন্টায় ২৯০০০ কিমি। এটি আবার ২০২৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর দিকে ফিরে আসবে।

    ১০০ ফুট চওড়া ২০১৭ বিইউ গ্রহাণুটি ৬৫ লক্ষ কিলোমিটারের মধ্যে দিয়ে পৃথিবীর পাশ কেটে চলে যাবে। এর গতিবেগ প্রতি ঘন্টায় ২৫কিলোমিটার। এটি আবার ২০৫১ সালের ৫ ফেব্রুয়ারী পৃথিবীর দিকে ফিরে আসবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Solar Eclipse 2022: বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ কবে, কখন ও কোথায় দেখা যাবে? জেনে নিন

    Solar Eclipse 2022: বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ কবে, কখন ও কোথায় দেখা যাবে? জেনে নিন

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: এই বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ (Solar Eclipse 2022) দেখা যাবে ৩০ এপ্রিল অর্থাৎ শনিবার। তবে ভারতবাসীর জন্য দুঃসংবাদ। এদেশে সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে না। দক্ষিণ এবং পশ্চিম-দক্ষিণ আমেরিকা, প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর এবং আন্টার্কটিক মহাসাগরে গ্রহণ দেখা যাবে। ২০২২ সালে ঘটতে চলা দু’টি আংশিক সূর্যগ্রহণের মধ্যে প্রথম গ্রহণ এটি। দ্বিতীয়টি হবে চলতি বছরের ২৫ অক্টোবর।

    ভারতীয় সময় অনুযায়ী, ৩০ এপ্রিল সূর্যগ্রহণ শুরু হবে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে। শেষ হবে ৪টা ৭ মিনিটে। EarthSky.org এর মতে, গ্রহণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে বিকেল ৪টা ৪১মিনিটে। গ্রহণ স্থায়ী হবে তিন ঘণ্টা বাহান্ন মিনিট। সূর্য এবং পৃথিবীর মাঝে যখন চাঁদ চলে আসে তখনই সূর্যগ্রহণ হয়। চাঁদ সূর্যকে আড়াল করে। ফলে সূর্যের রশ্মি পৃথিবীতে পৌঁছোতে বাধা পায়। সেইসময় সূর্যগ্রহণ হয়। বিজ্ঞানীদের পরামর্শ প্রতিরক্ষামূলক চশমা, দূরবিন বা টেলিস্কোপের মাধ্যমে গ্রহণ দেখা উচিৎ।

    সূর্যগ্রহণকে চার ভাগে ভাগ করা হয়: পূর্ণগ্রাস, বলয়গ্রাস, আংশিক এবং হাইব্রিড। ২০২২ সালে চারটি গ্রহণ ঘটবে, দু’টি আংশিক সূর্যগ্রহণ এবং দু’টি পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। সূর্যগ্রহণ প্রত্যক্ষ করা একটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা।

     

     

  • NASA Largest Comet: মহাকাশের বৃহত্তম ধূমকেতুর হদিশ দিল নাসা, এগোচ্ছে পৃথিবীর দিকে?

    NASA Largest Comet: মহাকাশের বৃহত্তম ধূমকেতুর হদিশ দিল নাসা, এগোচ্ছে পৃথিবীর দিকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশের বৃহত্তম ধূমকেতুর (Comet) সন্ধান দিল নাসার (NASA) হাবল টেলিস্কোপ (Hubble telescope)।  এতদিন পর্যন্ত আবিষ্কার হওয়া ধূমকেতুগুলির মধ্যে এর দৈর্ঘ্য সর্বাধিক। যা শুনলে চমকে উঠবে যে কেউ। 

    এই ধূমকেতুর দৈর্ঘ্য সম্পর্কে এতদিন যা ধারণা ছিল,তা ভেঙে গিয়েছে। নাসার তরফে জানানো হয়েছে, মহাকাশের বৃহত্তম ধূমকেতুর মূল অংশটির ব্যাস প্রায় ১৩০ কিলোমিটার। এর নাম C/2014 UN271। সাধারণ ধূমকেতুর যে দৈর্ঘ্য, তার থেকে এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৫০ গুণ বেশি! আমেরিকার দ্বীপ রোদে আইল্যান্ডের থেকেও বড় এটি। প্রায় ৩৫ হাজার কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে সেটিকে ছুটে আসতে দেখা গিয়েছে সৌরজগতের সীমানার দিকে।
    কেবল দৈর্ঘ্য় নয়, ধূমকেতুটির ভরও চমকে দেওয়ার মতো। এর ভর প্রায় ৫০০ লক্ষ কোটি টন। এটিও এতদিন আবিষ্কৃত ধূমকেতুদের থেকে বহু গুণ বেশি। স্বাভাবিক ভাবেই এমন অতিকায় ধূমকেতুকে দেখে বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। ২০০২ সালে দেখা গিয়েছিল C/2002 VQ94 নামের এক ধূমকেতু। সেটিই ছিল এতদিন পর্যন্ত চেনা ধূমকেতুদের মধ্যে সবথেকে দীর্ঘ। কিন্তু এবার সেই রেকর্ডও ভেঙে গেল। 

    এই ধূমকেতুটিকে প্রথমবার দেখা গিয়েছিল ২০১০ সালে। সেই সময় সূর্যের থেকে এর দূরত্ব ছিল ৩০০ কোটি মাইল। তবে সেবার কেবল একে দেখা গেলেও এর অস্তিত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত খবর পাওয়া গেল প্রথম বার। আশ্চর্য এই ধূমকেতুকে নিয়ে মহাকাশপ্রেমীদের কৌতূহলের শেষ নেই। 

    নাসা জানাচ্ছে, ২০৩১ সালে সেটি পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসবে। তাহলে কি ওই অতিকায় ধূমকেতুর সঙ্গে সংঘর্ষ হতে চলেছে আমাদের পৃথিবীর। এবিষয়ে অবশ্য আশ্বস্ত করছে নাসা। জানা গিয়েছে, আমাদের নীল গ্রহের কাছে এলেও ধূমকেতুটি তার থেকে অনেক দূর দিয়েই চলে যাবে। তাই কোনও বিপদের আশঙ্কা নেই। তবে রাতের আকাশের দিকে চোখ রেখে যে চমকে উঠবেন মহাকাশপ্রেমীরা, তাতে সন্দেহ নেই।

     

LinkedIn
Share