Category: বিজ্ঞান

Get updated Science and Research related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Chandrayaan-3: চন্দ্রযান ৩ বর্ষ পূর্তি! নতুন এক ইতিহাস রচনা ভারতের

    Chandrayaan-3: চন্দ্রযান ৩ বর্ষ পূর্তি! নতুন এক ইতিহাস রচনা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেখতে দেখতে অতিক্রান্ত এক বছর। ২০২৩ সালের ১৪ জুলাই ভারতের মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে এক সোনালি অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল। এই দিনে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি জমিয়েছিল চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan-3)। সফল এই চন্দ্রাভিযান ভারতকে এক লহমায় মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রে এলিট ক্লাসে উঠিয়ে দিয়েছিল। এই অভিযান দেশের মুকুটে যোগ করেছে নতুন পালক। 

    পুরানো সেই দিনের কথা 

    কোটি কোটি ভারতবাসী আশা-স্বপ্নের এক উড়ান হয়ে চাঁদকে ছুঁয়ে দেখার নেশায় ঠিক এক বছর আগে চাঁদের উদ্দেশে ছুটে গিয়েছিল চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)। এরপর এক মাসের বেশি সময় পর পূরণ হয়েছিল আপামর ভারতবাসীর স্বপ্ন। ২৩ অগাস্ট সফল ভাবে চাঁদকে ছুঁয়ে দেখেছিল ভারতের চন্দ্রযান। বিশ্বের মধ্য়ে চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদ জয়ের খেতাব অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের মধ্যে প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরু জয়ের পালক জুড়েছিল ভারতের মুকুটে। চন্দ্রযানের সাফল্যের পর বিশ্বের দরবারে ভারতের মহাকাশ গবেষণার কদর বহুগুণ বেড়েছে।

    সফল অভিযান কী দিল (Chandrayaan-3)

    চন্দ্রযান-২-এর ব্যর্থতার পর বেশ কয়েক বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছিলেন চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)। ‘চাঁদের বাড়ি’ সব গল্প জানার জন্য তৈরি হয়েছিল ভারত।  চাঁদের বুকে একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে নানা অজানা তথ্যের সন্ধান দিয়েছে চন্দ্রযান-৩। চন্দ্রযান-৩ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে আরও সমৃদ্ধ হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ চাঁদের মাটি ছোঁয়ার পর কাজে নামে রোভার ‘প্রজ্ঞান’। চাঁদের মাটিতে শুরু হয় তার পথ চলা। পরবর্তী দুই সপ্তাহে চাঁদের মাটিতে ১০০ মিটার পথ অতিক্রম করে সেটি। চাঁদের মাটিতে একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর পাশাপাশি, পৃথিবীতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠাতে শুরু করে। রোভার ‘প্রজ্ঞানে’র পাঠানো একাধিক তথ্য মহাকাশ গবেষণার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চাঁদের মাটির মূল উপাদানগুলিকে শনাক্ত করতে সফল হয় সে। চাঁদের মাটিতে সালফারের খোঁজ পায়। 

    আরও পড়ুন: নাসায় আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস প্রোগ্রামে ডাক পেলেন কাকদ্বীপের ঋত্বিকা

    জলের অণুর সন্ধান

    সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে আবিষ্কারটি করে রোভার ‘প্রজ্ঞান’, তা হল, চাঁদের মাটিতে জলের অণুর উপস্থিতি। ভবিষ্যতের চন্দ্রাভিযান তো বটেই, আগামী দিনে চাঁদে উপনিবেশ গড়ার যে স্বপ্ন দেখছেন বিজ্ঞানীরা, এই আবিষ্কার সেই কাজের সহায়ক হবে আগামী দিনে। চাঁদের ভৌগলিক ইতিহাস সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পৃথিবীতে পাঠিয়েছে চন্দ্রযান-৩। বিশেষ করে চাঁদের দক্ষিণ মেরুরু ভৌগলিক পরিবেশ সম্পর্কে অনেক কিছু জানা গিয়েছে। চাঁদের মাটিতে শিলার গঠন সম্পর্কেও তথ্য পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sudden Cardiac Death: অ্যাটাকের আগেই মিলবে সতর্কবাণী! সাডেন কার্ডিয়াক ডেথ রুখবে বিশেষ ‘অ্যালগরিদম’

    Sudden Cardiac Death: অ্যাটাকের আগেই মিলবে সতর্কবাণী! সাডেন কার্ডিয়াক ডেথ রুখবে বিশেষ ‘অ্যালগরিদম’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতদৃষ্টিতে সুস্থ–স্বাভাবিক একজন মানুষ দিব্যি কাজকর্ম করছেন, হঠাৎ করেই কোনও রকম জানান না দিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে পারেন। খুব দুঃখজনক হলেও এই ধরনের আকস্মিক মৃত্যুর কারণ বের করা বা এর প্রতিকার করা খুব সহজ নয়। মূলত আমাদের জীবনীশক্তির কেন্দ্রবিন্দু যে হৃদ্‌যন্ত্র, সেটির কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটলেই আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে। এ জন্য এই ধরনের আকস্মিক মৃত্যুকে সাডেন কার্ডিয়াক ডেথ (Sudden Cardiac Death) বলা হয়। সাডেন কার্ডিয়াক ডেথ হতে পারে যে কোনও বয়সে। এই আবহে ফিনল্যান্ডের (Finland Researchers) ট্যাম্পের ইউনিভার্সিটির গবেষকদের একটি দল একটি গবেষণা করেন এবং নতুন একটি পদ্ধতি তারা খুঁজে পেয়েছেন যেখানে হৃদস্পন্দনের বৈশিষ্ট্য দ্রুত চিহ্নিত করে সাডেন কার্ডিয়াক ডেথ রুখতে সক্ষম।

    মোট ২,৭৯৪ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ওপর চলেছে গবেষণা (Sudden Cardiac Death)

    বিজ্ঞানের পত্রিকা সায়েন্স অ্য়ালার্টের একটি প্রতিবেদনে অনুসারে, নতুন এই অ্যালগরিদম তৈরি করা হয়েছে একটি নির্দিষ্ট মেট্রিক ব্যবহার করে। এই অ্যালগরিদমের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডিট্রেন্ডেড ফ্লাকচুয়েশন অ্যানালিসিস’। এই পদ্ধতি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হৃদস্পন্দনের পরিবর্তনকে চিহ্নিত করতে পারবে। সাডেন কার্ডিয়াক অ্যাটাকের পরিস্থিতি তৈরি হলে আগাম জানান দেবে (Sudden Cardiac Death)। এই ফলাফল সম্প্রতি প্রকাশিত হলেও প্রায় আট বছর তিন মাস ধরে এই গবেষণা চালিয়েছেন ট্যাম্পের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষক দলটি (Finland Researchers)। মোট ২,৭৯৪ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ওপর তাঁরা পরীক্ষা চালিয়েছেন।

    সহজেই সাডেন কার্ডিয়াক অ্যাটাককে চিহ্নিত করা যাবে

    গবেষকরা জানাচ্ছেন, এই পদ্ধতিতে খুব সহজেই সাডেন কার্ডিয়াক ডেথকে (Sudden Cardiac Death) চিহ্নিত করা যাবে। সাধারণভাবে আমাদের হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় যখন আমরা শারীরিকভাবে খুব কঠিন কাজ করি আর বিশ্রামের সময়কালে এটা কমতে থাকে। টেম্পের ইউনিভার্সিটির পদার্থবিদ টিমু পুকিলা এ বিষয়ে বলেন, ‘‘এই গবেষণার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, একজন হৃদরোগীর বিশ্রামের সময় তাঁর দুটি হার্টবিটের মাঝখানের ব্যবধানের বৈশিষ্ট্যগুলি অনেকটাই একই, একজন সুস্থ মানুষের শারীরিক পরিশ্রম করার সময় হৃদপিণ্ডের মতোই।’’ প্রসঙ্গত এই গবেষণা চালাতে এবং অ্যালগরিদমটি তৈরি করতে নানা রকম বিশ্লেষণ পদ্ধতিও ব্যবহার করা হয়েছে। মাথায় রাখা হয়েছে রোগীর বয়স এবং জন্ম থেকে তাঁর হার্টের অবস্থা। অর্থাৎ প্রত্যেকে একই রকম হার্টের সক্ষমতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন না। এই মেট্রিক ব্যবহারের মাধ্যমে এক মিনিটের মধ্যেই মূল্যায়ন করা যেতে পারে যে ব্যক্তির সাডেন কার্ডিয়াক ডেথের ঝুঁকি কতটা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shaurya Doval: ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি অফ আর্ট অ্যান্ড সায়েন্সের ফেলো মনোনীত শৌর্য, চেনেন তাঁকে?

    Shaurya Doval: ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি অফ আর্ট অ্যান্ড সায়েন্সের ফেলো মনোনীত শৌর্য, চেনেন তাঁকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি অফ আর্ট অ্যান্ড সায়েন্সের (ডাব্লএএএস) (WAAS)  ফেলো মনোনীত করা হল এক ভারতীয়কে। এই পদে মনোনীত করা হয়েছে শৌর্য ডোভালকে (Shaurya Doval)। ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি অফ আর্ট অ্যান্ড সায়েন্সের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আলবার্ট আইনস্টাইন, রবার্ট ওপেনহেইমার এবং জোসেফ রটব্লার্টের মতো বিশ্বশ্রুত ব্যক্তিরা। তারই ফেলো পদে এবার মনোনীত হলেন শৌর্য।

    ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি অফ আর্ট অ্যান্ড সায়েন্স (Shaurya Doval)

    মানবতার সামনে যেসব জটিল সমস্যাগুলি এসে হাজির হয়, তারই মোকাবিলায় কাজ করে ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি অফ আর্ট অ্যান্ড সায়েন্স। এই অ্যাকাডেমিতে রয়েছেন বিজ্ঞানী, শিল্পী এবং পণ্ডিতরা, যাঁরা জ্ঞানের অগ্রগতি ও সামাজিক নানা উন্নয়নের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। শৌর্য ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর। তাঁর এই মনোনয়নের জেরে মান্যতা পেল বৈশ্বিক চিন্তা-নেতৃত্ব এবং নীতি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে শৌর্যের অবদান। উল্লেখ্য, দিল্লি ভিত্তিক একটি থিঙ্কট্যাঙ্ক হল ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন।

    ভূতপূর্ব ভারতীয় সদস্য

    ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি অফ আর্ট অ্যান্ড সায়েন্সের ভূতপূর্ব ভারতীয় সদস্যদের মধ্যে (Shaurya Doval) ছিলেন ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ, ডক্টর বিক্রম সারাভাই। প্রথমজন ছিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। আর ভারতীয় পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন বিক্রম সারাভাই। মনোনয়নের খবর পাওয়ার পর শৌর্য বলেন, “ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি আর্ট অ্যান্ড সায়েন্সের ফেলো মনোনীত হওয়া একটি সম্মানের বিষয়। আমি আন্তঃবিভাগীয় সংলাপ প্রচার ও মানবতার উন্নতির জন্য টেকসই সমাধান খুঁজতে অ্যাকাডেমির মিশনে অবদান রাখতে উন্মুখ।”

    আর পড়ুন: “ভারত বিশ্বকে বুদ্ধ দিয়েছে, যুদ্ধ নয়”, অস্ট্রিয়ায় বললেন প্রধানমন্ত্রী

    শৌর্যের আরও একটি পরিচয় রয়েছে। তিনি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের ছেলে। রাজনৈতিকভাবে তিনি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। গৈরিক শিবিরের উত্তরাখণ্ডের কার্যনির্বাহী সদস্য তিনি। ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতাও তিনি। ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি আর্ট অ্যান্ড সায়েন্স একটি আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা। ১৯৬০ সালে এই সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন তৎকালীন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী বুদ্ধিজীবীরা। সংস্থার লক্ষ্য হল, আন্তঃবিভাগীয় সংলাপের মাধ্যমে বৈশ্বিক সমস্যাগুলির মোকাবিলা করা এবং মানবতার জয়গান গাওয়া (WAAS)। জন্মলগ্ন থেকে সেই কাজই করে চলেছে ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি আর্ট অ্যান্ড সায়েন্স (Shaurya Doval)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Google Doodle: শতবর্ষ পূর্তিতে গুগলের শ্রদ্ধা ব্রাজিলিয়ান পদার্থবিদকে, চেনেন সিজার লেটেসকে?

    Google Doodle: শতবর্ষ পূর্তিতে গুগলের শ্রদ্ধা ব্রাজিলিয়ান পদার্থবিদকে, চেনেন সিজার লেটেসকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশেষ বিশেষ দিনে বিশেষ বিশেষ মানুষ কিংবা কোনও একটি নির্দিষ্ট তারিখের বিশেষত্ব বোঝাতে ছবি বদলে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে গুগল (Google Doodle)। আজ, ১১ জুলাই। গুগল উদযাপন করছে ব্রাজিলিয়ান পদার্থবিদ তথা শিক্ষক সিজার লেটসের (Cesar Lattes) শততম জন্মদিন। এই সিজারই আবিষ্কার করেছিলেন পিয়ন বা পি মিসন-এর।

    গুগল ডুডুলের শ্রদ্ধা (Google Doodle)

    পিয়ন হল একটি সাব অ্যাটমিক উপাদান, ইলেকট্রনের চেয়ে যার ভর ২৭০ গুণ বেশি। এই গবেষককেই এদিন শ্রদ্ধা জানাচ্ছে গুগল ডুডুল। ১৯২৪ সালের এই দিনেই জন্মেছিলেন এই বিশ্বশ্রুত গবেষক। তাঁর আবিষ্কৃত পিয়ন অনায়াস করেছিল অ্যাডভান্সড নিউক্লিয়ার শক্তিগুলোকে বুঝতে। সিজার লেটেস-এর আবিষ্কার সম্পর্কে বলতে গিয়ে গুগল ডুডুল বলেছে, “হ্যাপি বার্থডে সিজার লেটেস। লাতিন আমেরিকা এবং বিশ্বকে এক্সপেরিমেন্টাল ফিজিক্সের পথ দেখানোয় তোমায় ধন্যবাদ।” লেটেসের গল্পটি সেই সময়কার, যখন এক গবেষক পাহাড়ের চূড়ায় দুটি ফটোগ্রাফিক প্লেট নিয়ে এসেছিলেন। আরও বেশি করে মহাজাগতিক রশ্মি পেতে এটা করা হয়েছিল।

    পিয়ন কী?

    টেক জায়েন্টের মতে, ‘লেটেস যে প্লেট মডিফায়েড করেছিলেন, সেটা একটি উপাদানের ট্র্যাকগুলোকে দেখায়, যেটা আগে কখনও দেখা গিয়েছিল না। এটাই হল পিয়ন। পিয়নগুলিকে পি মিজনসও বলে। এগুলি অ্যাটমের থেকেও ক্ষুদ্রতর। যখন কোনও স্পেস ম্যাটার পৃথিবীর অ্যাটমসস্ফিয়ারে ভেঙে পড়ে, তখনই জন্ম হয় পিয়নের।” গুগল ডুডল (Google Doodle) বলে, “লেটেস ঠিকই সন্দেহ করেছিলেন যে ফটোগ্রাফিক প্লেটে যদি বোরন যোগ করা হয়, তখন বিভিন্ন উপাদানকে ভেঙে স্পষ্টতর ছবি দেখা যায়। এটা এত ভালো কাজ করেছিল যে, তিনি প্রতিটি প্রোটনকেও দেখতে পেয়েছিলেন।” লেটেস কেবল পি মিজনসের অস্তিত্বই আবিষ্কার করেননি, তিনি এ-ও দেখেছিলেন যে এমন কিছু মিজনস রয়েছে, যেগুলো অন্যদের থেকেও বেশি ভারী। তাঁর গবেষণার পুরস্কারও পেয়েছিলেন লেটেস।

    আর পড়ুন: “ভারত বিশ্বকে বুদ্ধ দিয়েছে, যুদ্ধ নয়”, অস্ট্রিয়ায় বললেন প্রধানমন্ত্রী

    পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। এরই কিছুদিন পরে সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন তিনি। পরে যোগ দেন ক্যাম্পিনাস স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিজ্ঞানে গবেষণার জন্য সরকারকে বেশি করে ফান্ডিং করতে বলেন লেটেস (Cesar Lattes)। যার ফলশ্রুতিতে গড়ে ওঠে, সিবিপিএফ – ব্রাজিলিয়ান সেন্টার ফর রিসার্চ ইন ফিজিক্স। এখানকার সায়েন্টিস্ট ডিরেক্টরও ছিলেন লেটেস (Google Doodle)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • GenAI: জেনএআই ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে সিংহভাগ ভারতীয় সংস্থা! কী এটা?

    GenAI: জেনএআই ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে সিংহভাগ ভারতীয় সংস্থা! কী এটা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার জেনারেটিভ এআই (GenAI)-এর ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে সিংহভাগ ভারতীয় সংস্থা (Indian Firms Plan)। সোমবার প্রকাশিত এক রিপোর্টেই জানা গিয়েছে এই তথ্য। জানা গিয়েছে, নিরাপত্তা বাড়াতে এবং আইটি অবজেকটিভগুলিকে বৃহত্তর ব্যবসায়িক লক্ষ্যগুলির সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে প্রায় ৭৩ শতাংশ ভারতীয় সংস্থা চাইছে জেনারেটিভ এআই ব্যবহার করতে। আগামী এক বছরের মধ্যেই এই পরিকল্পনা কার্যকর করা হতে পারে বলেও খবর।

    জেনারেটিভ এআই (জেনএআই) ঠিক কী?

    আগে, জেনে নেওয়া যাক, ঠিক কী এই জেনারেটিভ এআই (GenAI)। সোজা কথায়, এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে যে পাঠ্য, চিত্র, অডিও এবং সিন্থেটিক ডেটা তৈরি করা হয়, সেগুলিই হল জেনারেটিভ এআই ( সংক্ষিপ্ত- জেনএআই)। অর্থাৎ, এআই-কে কাজে লাগিয়ে যা জেনারেট করা হচ্ছে (তৈরি করা হচ্ছে) তাই জেনারেটিভ এআই। এর সাহায্যে, নিমেষের মধ্যে ব্যবহারকারীর চাহিদা বা দাবি অনুযায়ী, উচ্চ-মানের পাঠ্য, গ্রাফিক্স এবং ভিডিও তৈরি হয়। এর সবচেয়ে দুই প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল চ্যাটজিপিটি ও মেটাএআই। 

    কী বলছে রিপোর্ট? (GenAI)

    এক্সপোজার ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি টেনেবলের মতে, মাত্র ৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠান জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি প্রয়োগে আস্থা দেখিয়েছে খুব বেশি পরিমাণে। টেনেবল এপিজের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নাইজেল এনজি বলেন, “এআইয়ের দ্রুত উত্থান সত্ত্বেও, অনেক ভারতীয় ব্যবসায়ী এখনও তাঁদের প্রযুক্তিকে উন্নত করে চলেছেন। তবে তাঁদের প্রায়ই রিসোর্স বা দক্ষতার অভাবের সম্মুখীন হতে হয়। দক্ষতা তৈরি, প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং এআই ইমপ্লিমেন্টের অভাবও অনুভব করেন তাঁরা। এর পাশাপাশি তাঁরা উচ্চ মাত্রার ডেটা গভর্ন্যান্সও মেনটেন করেন।”

    সমীক্ষায় ধরা পড়েছে দুই চ্যালেঞ্জ 

    ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ৮২৬ জন আইটি এবং সাইবার সিকিউরিটি প্রফেশনালের ওপর ((GenAI)) সমীক্ষা করেন সমীক্ষকরা। এর মধ্যে ৫২ জন ভারতীয়ও ছিলেন। ভারতীয় সংস্থাগুলিতে লুক্কায়িত দু’টি প্রধান চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করতে পেরেছেন সমীক্ষকরা। এই দুটি চ্যালেঞ্জ হল ইউটিলাইজিং বা অপটিমাইজিং এআই টেকনোলজি এবং এআইয়ের কার্যকারিতা নিয়ে অনিশ্চয়তা। প্রথমটির সমস্যা রয়েছে ৭১ শতাংশ ভারতীয় সংস্থার। আর দ্বিতীয়টি ৫৪ শতাংশ ভারতীয় সংস্থার সমস্যা।

    আর পড়ুন: দৃশ্যমাধ্যমে অমর্যাদা করা যাবে না বিশেষভাবে সক্ষমদের, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    এই রিপোর্টেই যে উদ্বেগের বিষয়টি নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে, সেটি হল জেনারেটিভ এআই ক্রমেই হয়ে উঠছে বৃহত্তর সিকিউরিটি থ্রেট। ভারতীয় সংস্থাগুলির মধ্যে ৪০ শতাংশের মধ্যে কাজ করছে এই ভীতি। এনজি বলেন, “ভবিষ্যতে জেনারেটিভ এআইয়ের বিবর্তনীয় ক্ষমতা ব্যবহার করা হতে পারে সাইবার সিকিউরিটি পদ্ধতিগুলিতে। এই যে একটা পথ থেকে অন্য পথে শিফ্ট হবে, তাতে একাঙ্গীভূত হয়ে যাবে আইটি এবং সাইবার সিকিউরিটি। এআই গভর্ন্যান্সকে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং প্রযুক্তিকে দায়িত্বের সঙ্গে (Indian Firms Plan) ব্যবহার করার ওপরও গুরুত্ব দেবে জেনারেটিভ এআই (GenAI)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Colour Change Of Ocean: রং বদলাচ্ছে সমুদ্র, নীল থেকে হয়ে যাচ্ছে সবুজ, কেন জানেন?

    Colour Change Of Ocean: রং বদলাচ্ছে সমুদ্র, নীল থেকে হয়ে যাচ্ছে সবুজ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমুদ্রের জলের রং নীল। সেই নীল জলই কোনও এক অদৃশ্য কারণে (Mystery) হয়ে যাচ্ছে সবুজ (Colour Change Of Ocean)। আমাদের বাসযোগ্য এই গ্রহ পৃথিবীর ৭০ শতাংশেরও বেশি এলাকাজুড়ে রয়েছে সাগর-মহাসাগর। সেই বিপুল জলরাশির রং-ই যাচ্ছে বদলে। ব্রিটেনের ন্যাশনাল ওসানোগ্রাফি সেন্টারের বিজ্ঞানী বিবি ক্যালের এক গবেষণায়ই উঠে এসেছে সমুদ্র-জলের এই রং বদলের তথ্য।

    ক্যালের গবেষণাপত্র (Colour Change Of Ocean)

    নাসা অ্যাকোয়া স্যাটেলাইট থেকে কুড়ি বছরের তথ্য নিয়ে ক্যালে যে গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করেছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে, রং বদলাচ্ছে সমুদ্রের মোট জলের ৫৬ শতাংশ। এই পরিমাণ জলরাশিরই রং নীল থেকে হয়ে যাচ্ছে সবুজ। এই ঘটনা ঘটছে বিশেষ করে নিরক্ষরেখার কাছে দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে। অ্যাকোয়া উপগ্রহে এমওডিআইএস নামের স্পেকট্রোরেডিওমিটার গবেষকরা ২০০২ সাল থেকে কুড়ি বছরের ডেটা বিশ্লেষণ করে জানিয়েছেন, সমুদ্র-জলের এই রং-বদলের কারণ ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটনের বাড়বাড়ন্ত। সমুদ্রের নীচে রয়েছে জলজ উদ্ভিদের বিশাল সাম্রাজ্য। রয়েছে সামুদ্রিক জীবজগৎও।

    আর পড়ুন: রথযাত্রায় জগন্নাথদেবকে দেওয়া হয় বিশেষ ছাপ্পান্ন ভোগ, কী এর মাহাত্ম্য?

    ফাইটোপ্লাঙ্কটনের উপস্থিতি!

    এইগুলি সবুজ রং তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ (Colour Change Of Ocean) এই প্রাণীগুলি ত্যাগ করে কার্বন ডাই অক্সাইড। তাই ফাইটো ফুলের উত্থান ঘটে। এই ফাইটোপ্লাঙ্কটনে সবুজ রয়ের ক্লোরোফিল থাকে। সেই কারণেই রং বদলাচ্ছে সমুদ্র। নীল থেকে জলের রং হচ্ছে সবুজ। সাউদাম্পটনের ন্যাশনাল ওশানোগ্রাফি সেন্টারের বিজ্ঞানী ক্যালে বলেন, “এই রংয়ের বর্ণনা মানুষের ভাষায় করা যায় না। এই রং মানুষ ভালোভাবে দেখতেও পান না। তবে ম্যান্টিস চিংড়ি বা প্রজাপতি দেখতে পারে সমুদ্রজলের এই নয়া রং।”

    সমুদ্রজলে ক্লোরোফিলের বাড়বাড়ন্তকে মোটেই সহজভাবে নিচ্ছেন না বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, সমুদ্রজলের নীচে বেড়ে যাচ্ছে উষ্ণতা। এজন্য আদতে দায়ী মানুষ। তাদের তৈরি করা দূষণের কারণেই পরিবর্তন ঘটছে জলবায়ুর। জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলেই ক্লোরোফিল বাড়ছে সমুদ্রে থাকা বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদের। তারই প্রভাব পড়ছে জলে। যার জেরে রং বদলাচ্ছে সমুদ্র। প্রসঙ্গত, ইউরোপিয় ইউনিয়নের কোপারনিকাস ক্লাইমেট সার্ভিসের একটি রিপোর্টেও প্রকাশিত হয়েছিল (Mystery) সমুদ্রের জলের রং বদলের এই তথ্য (Colour Change Of Ocean)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Robot Committed Suicide: কাজের চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করল রোবট!

    Robot Committed Suicide: কাজের চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করল রোবট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাজের চাপে আত্মহত্যা (Robot Committed Suicide) করতে বাধ্য হল রোবট! ঘটনায় হইচই বিশ্বজুড়ে। দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) গুমি সিটি কাউন্সিল এলাকার ঘটনা। ২৬ জুন এই কাউন্সিল ঘোষণা করে, সাইবর্গ (রোবটটির নাম) সাড়ে ছ’ফুট উঁচু সিঁড়ি থেকে লাফিয়ে নীচে পড়ে যায়। পরে উদ্ধার হয় তার ‘দেহ’। সাইবর্গ সিটি কাউন্সিল অফিসার হিসেবে কাজ করছিল। সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, রোবটটির মৃত্যু আদতে ‘আত্মহত্যা’ কিনা, তা জানা প্রয়োজন। ২০২৩ সালের অগাস্ট মাসে সিটি কাউন্সিলের অফিসার নির্বাচিত করা হয়েছিল এই রোবটটিকে। লিফ্ট ডেকে নিজেই ফ্লোরে চলাফেরা করতে পারত সাইবর্গ।

    কী বলছেন সাইবর্গের সহকর্মীরা? (Robot Committed Suicide)

    রোবটটির জন্ম ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক রুট স্টার্টআপ বিয়ার রোবোটিক্সে। সিটি কাউন্সিলের এক কর্মকর্তা বলেন, “এটি দৈনিক নথি সরবরাহ, শহরে প্রচার এবং তথ্য সরবরাহে সহায়তা করত। অন্য যে কোনও স্থায়ী কর্মচারীর মতো সাইবর্গ সকাল ৯টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত কাজ করত। এর সিভিল সার্ভিস অফিসার কার্ডও ছিল।” সাইবর্গের (Robot Committed Suicide) এক ‘সহকর্মী’ বলেন, “রোবটটি ছিল পরিশ্রমী কর্মীর মতো। এই মুহূর্তে গুমি সিটি কাউন্সিল অন্য কোনও রোবট অফিসার আনার কথা ভাবছে না।” দক্ষিণ কোরিয়ায় রোবোটিক প্রযুক্তি ব্যবহারের রমরমা। ইন্টার ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ রোবোটিক্সের মতে, এ দেশে বিশ্বের সর্বোচ্চ রোবট ঘনত্ব রয়েছে। প্রতি দশজন মানব কর্মচারীর জন্য একটি করে শিল্প রোবট রয়েছে।

    কীভাবে আত্মহত্যা করতে পারে?

    রোবট একটি মেশিন। তার আবেগ থাকার কথা নয়। নেইও। সে কীভাবে আত্মহত্যা করতে পারে? প্রযুক্তিবিদদের মতে, রোবটটি আত্মহত্যা করেনি। প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণেই সেটির ‘মৃত্যু’ হয়েছে। জানা গিয়েছে, রোবটটি এমন প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছিল, যাতে সেটি কোনও অবস্থায়ই সিঁড়ির দিকে যেতে না পারে। তবে সাইবর্গ কীভাবে সিঁড়ির দিকে গেল, পড়েই বা গেল কীভাবে, সে প্রশ্ন উঠছে। সাইবর্গ যখন ‘আত্মহত্যা’ করে, তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন ওই কাউন্সিলের কয়েকজন কর্মী। তাঁরা জানান, সে এমনভাবে (South Korea) পাক খাচ্ছিল, যে তাকে আটকানো সম্ভব হয়নি। সেন্সর এড়িয়ে সিঁড়ির দিকে এগিয়ে যায় সে। সেখান থেকে পড়েই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সাইবর্গ (Robot Committed Suicide)।

    আর পড়ুন: রথযাত্রায় জগন্নাথদেবকে দেওয়া হয় বিশেষ ছাপ্পান্ন ভোগ, কী এর মাহাত্ম্য?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Water Made From Sun And Air: সূর্যালোক ও বায়ু থেকে বোতলজাত জল উৎপাদন! বিরাট দাবি মার্কিন সংস্থার

    Water Made From Sun And Air: সূর্যালোক ও বায়ু থেকে বোতলজাত জল উৎপাদন! বিরাট দাবি মার্কিন সংস্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সূর্যালোক ও বাতাস থেকে উৎপাদন করা জল আসছে মার্কিন বাজারে (USA)। পদ্ধতিটির নাম দেওয়া হয়েছে স্কাই ডব্লিউটিআর (Water Made From Sun And Air)। এমন উদ্যোগ নিয়েছে অ্যারিজোনার কোম্পানি, সোর্স। জানা গিয়েছে, এই পরিকল্পনা অবশ্য শুরু হয়েছিল এক দশক আগেই। অ্যারিজোনার স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এটা নিয়ে রিসার্চ শুরু করেন। তাঁরা হাইড্রো-প্যানেল প্রযুক্তি তৈরি করেন। জানা গিয়েছে, প্রতিটি প্যানেল দিনে সর্বোচ্চ ৩ লিটার পর্যন্ত পানীয় জল তৈরি করতে পারবে। অজস্র প্যানেল নিয়ে তৈরি হতে ওয়াটার ফার্ম। ইতিমধ্যে এমনই ওয়াটার ফার্ম গড়ে তোলা হয়েছে ফ্লোরিডায় (USA)। প্রতিদিন তিন হাজার লিটার জল উৎপাদন করা হয় সেখানে। জানা গিয়েছে, চলতি বছরের অগাস্ট অথবা সেপ্টেম্বরের মধ্যে সারা যুক্তরাষ্ট্র জুড়েই স্কাই ওয়াটার ব্র্যান্ডের অধীনে (Water Made From Sun And Air) এই জল ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে যাবে।

    কীভাবে জল উৎপাদন করা হয় (Water Made From Sun And Air)

    হাইড্রোপ্যানেলের মাধ্যমে অফগ্রিড পদ্ধতিতে জল উৎপাদন করা যায়। প্রথমে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করে ফ্যান চালু করা হয়। এসব ফ্যান বাতাস থেকে জলীয় বাষ্প টেনে নেয়। ডেসিক্যান্ট নামক জল শোষণকারী পদার্থ সেই জলীয় বাষ্প আটকে ফেলে। এরপর প্যানেলের সৌরশক্তি সেই জলীয় বাষ্পকে প্যানেলের ভেতরেই একটি সংরক্ষিত এলাকায় ছেড়ে দেয়। এতে ডিস্টিল্ড জল পাওয়ার জন্য বাতাসকে পাতিত করা হয়। এরপর ডিস্টিল্ড জল একটি প্রেশারাইজড ট্যাংকে পাঠানো হয় (Water Made From Sun And Air)। সেখানে জলের পিএইচের মাত্রা ঠিকঠাক করার পাশাপাশি ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো মিনারেল যোগ করা হয়।

    কী জানাচ্ছেন উদ্যোক্তারা

    অন্যতম উদ্যোক্তা কডি ফ্রিজেন (Water Made From Sun And Air) জানান, প্রতিটি প্যানেল দিনে ৩ লিটার পর্যন্ত খাবার জল উৎপাদন করতে পারে—যা একজন মানুষের দৈনিক গড় জল পানের সমান। এ ছাড়া প্রচণ্ড গরম ও শুষ্ক পরিবেশেও এ প্রক্রিয়া কার্যকরভাবে কাজ করে। বিশ্বজুড়ে ৫৬টি দেশে হাইড্রোপ্যানেল স্থাপন করেছে কোম্পানিটি। এসব প্যানেল মাটিতে বা ছাদে যেকোনো জায়গায় স্থাপন করা যায়। তারপর বাড়ির পাইপের সঙ্গে সংযোগ দেওয়া যায়, এভাবেই পাওয়া যাবে খাবার জল। আগামী বছরগুলোতে প্যানেলের দাম অনেকটা কমিয়ে আনার লক্ষ্য রয়েছে কোম্পানির, যাতে স্থানীয়ভাবে পানি উৎপাদন আরও সাশ্রয়ী করা যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISRO Chief: রাষ্ট্রপ্রধান মোদিকে মহাকাশ অভিযানে পাঠাতে চান ইসরো প্রধান

    ISRO Chief: রাষ্ট্রপ্রধান মোদিকে মহাকাশ অভিযানে পাঠাতে চান ইসরো প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশে প্রথম মানব পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরো। মিশন গগনযান শুরু হতে পারে আগামী বছরেই। এনিয়ে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইসরো প্রধান (ISRO Chief) এস সোমনাথ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা সকলেই খুব গর্বিত হব, যদি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে (PM Modi) মহাকাশে পাঠাতে পারি।’’ কিন্তু তিনি এও বলেন, ‘‘দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের (PM Modi)  আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে।’’ এর পাশাপাশি ইসরো প্রধান (ISRO Chief) আরও জানিয়েছেন, প্রথম গগনযান মহাকাশে একদিন স্থায়ী হতে পারে এবং নভোচররা পৃথিবীর ১৬টি কক্ষপথই ঘুরবেন।

    গগনযানের তিন ধাপ

    গগনযান মিশন সম্পর্কে ইসরো প্রধান (ISRO Chief) আরও জানিয়েছেন, প্রথমে মনুষ্যবিহীন যান পাঠানো হবে। এরপরে সেই যানটিকে সাফল্যের সঙ্গে ফিরিয়ে আনা হবে। দ্বিতীয় ধাপে সরঞ্জামসহ অ্যালগরিদম সম্পর্কে একটি পরীক্ষা করা হবে। তৃতীয় ধাপে পরীক্ষামূলক অভিযান হবে। আগামী বছরের শেষের দিকে এই গগনযান মিশনের প্রথম পরীক্ষামূলক অভিযান সম্পূর্ণ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    কোন চার মহাকাশচারীকে বাছল ইসরো (ISRO Chief)

    প্রসঙ্গত, গগনযান মিশনের জন্য ইতিমধ্যে চারজন নভোচারীকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে এস সোমনাথ (ISRO Chief) জানিয়েছেন, নির্বাচিত চার জনের মধ্যে আপাতত একজনকে মহাকাশে পাঠানো হবে। তবে প্রত্যেককেই প্রশিক্ষণ নিতে হবে। যে চার জন নভোচারীকে বাছা হয়েছে তাঁরা হলেন, প্রশান্ত নায়ার, অঙ্গদ প্রতাপ, অজিত কৃষ্ণান এবং শুভাংশু শুক্লা।

    মিশন সফল করার জন্য ইসরো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহাকাশ সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে

    জানা গিয়েছে, গগনযানের প্রথম অভিযান সফল হলে পরবর্তীকালে ওই তিন মহাকাশচারীকে একসঙ্গে মহাকাশে পাঠাবে ইসরো। তাঁদেরকে সাত দিন মহাকাশে রাখা হবে। তারপর সাফল্যের সঙ্গে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে। ইসরো প্রধান জানিয়েছেন, চলতি বছর গগনযান মিশনটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। মিশনটি সফল করার জন্য ইসরো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহাকাশ সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • ISRO: “সুনীতাদের ফেরা নিয়ে আশঙ্কার কোনও কারণ নেই”, বললেন ইসরো প্রধান

    ISRO: “সুনীতাদের ফেরা নিয়ে আশঙ্কার কোনও কারণ নেই”, বললেন ইসরো প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা প্রত্যেকেই সুনীতা উইলিয়ামসকে নিয়ে গর্বিত। তাঁর ঝুলিতে অনেকগুলি অভিযানের অভিজ্ঞতা রয়েছে। নয়া মহাকাশযানে চড়ে প্রথম মহাকাশে যাওয়া খুবই সাহসিকতার কাজ।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর (ISRO) প্রধান এস সোমনাথ।

    ‘স্পেস স্টেশন অত্যন্ত নিরাপদ স্থান’ (ISRO)

    গত ৫ জুন সুনীতা এবং তাঁর অভিযানসঙ্গী বুচ উইলমারকে নিয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে রওনা হয় ‘বোয়িং স্টারলাইনার’। গত ২৬ জুন তাঁদের ফেরার কথা ছিল। কিন্তু, মহাকাশযানে হিলিয়াম গ্যাস লিক সহ একাধিক ত্রুটি ধরা পড়েছে। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের কাছেই একটি রুশ উপগ্রহে বিস্ফোরণ ঘটায় তার ধ্বংসাবশেষ চারদিকে ছড়িয়ে রয়েছে। ফলে. নাসা জানিয়ে দিয়েছে, এখনই পৃথিবীতে ফেরা হচ্ছে না সুনীতাদের। মার্কিন মহাকাশ সংস্থার আশঙ্কা, ৪৫ থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত বিলম্ব হতে পারে সুনীতাদের ঘরে ফেরা।

    এপ্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ইসরো প্রধান বলেন, “ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন থেকে সুনীতাদের ফেরা নিয়ে এত গভীর আশঙ্কার কোনও কারণ নেই। ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন একটি অত্যন্ত নিরাপদ স্থান। মহাকাশচারীরা দীর্ঘদিন সেখানে নিরাপদে ও সুস্থভাবে থাকতে পারেন। সমস্ত রকম বন্দোবস্ত রয়েছে সেখানে।” তিনি বলেন, “সুনীতা ছাড়াও সেখানে আরও ন’জন মহাকাশচারী রয়েছেন। তাঁরা কেউই আটকে নেই। এমন শব্দ প্রয়োগ অনুচিত।”

    ‘কোনও সমস্যাই নেই’

    ইসরো কর্তা বলেন, “কোনও না কোনওদিন সকলকেই ফিরে আসতে হবে। নয়া মহাকাশযান বোয়িং স্টারলাইনকারের কর্মক্ষমতা যাচাই করতেই গিয়েছেন তাঁরা। কীভাবে সেটি মহাকাশে ঘুরপাক খেতে পারে, কীভাবে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসতে পারে, এগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” এই মহাকাশবিজ্ঞানী বলেন (ISRO), “মহাকাশচারীদের ফেরানোর নানারকম প্রযুক্তি রয়েছে ওই মহাকাশযানে। তাই কোনও সমস্যাই নেই। তাছাড়া মহাকাশচারীদের জন্য ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে অনেকদিন থাকার বন্দোবস্ত রয়েছে।”

    আর পড়ুন: “বিচার প্রক্রিয়াকে দ্রুতগামী করতে ব্রিটিশ আইনে বদল আনা হয়েছে”, বললেন শাহ

    বোয়িং স্টারলাইনারের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ইসরো কর্তা বলেন, “যখন আমরা বোয়িং স্টারলাইনারের মতো কোনও মহাকাশযান তৈরি করি, আমাদের মূল লক্ষ্য থাকে সেটি অভিযান সেরে সফলভাবে পৃথিবীতে পৃথিবীতে ফিরতে পারবে কিনা, তা যাচাই করে নেওয়া।” তিনি বলেন, “বোয়িং স্টারলাইনারের ক্ষেত্রেও এই বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামানো হয়েছে বলেই আমার অনুমান।” সোমনাথ জানান, সুনীতা নিজেও ওই মহাকাশযানের ডিজাইন টিমে ছিলেন। তাঁর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নানা পরামর্শ দিয়েছেন।

    তিনি বলেন, “আমরাও একটি নয়া মডেল তৈরি করছি। তাই বুঝতে পারছি সুনীতার ক্ষেত্রে এই অভিজ্ঞতা কেমন ছিল।” তিনি বলেন, “আমাদের থেকে অনেক বেশি অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন সুনীতা। আমি কামনা করি, তিনি যেন সুস্থভাবে পৃথিবীতে ফিরে আসেন। পরে তাঁর এই অভিজ্ঞতার সাহায্যে নয়া মহাকাশযান তৈরিতে সাহায্য করুন।” ইসরো কর্তা বলেন, “মহকাশ অভিযান মানুষের জন্যই। বলা তো যায় না, হয়তো অন্য কোনও দেশের জন্য উদ্ধার কাজে যাবে ভারতের মহাকাশযান।”

    সোমনাথের কণ্ঠে ঝরে পড়ে প্রত্যয়। স্বাভাবিক। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথম পা রেখে যে তামাম বিশ্বকে তাক লাগিয়েছে ইসরোই (ISRO)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share