Category: খেলা

Get updates on Sports News Cricket, Football, Tennis, from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • India Vs South Africa: ‘‘ইডেনের পিচ বিপজ্জনক ছিল না, আমরা পারিনি’’ দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারের পর মানলেন গম্ভীর

    India Vs South Africa: ‘‘ইডেনের পিচ বিপজ্জনক ছিল না, আমরা পারিনি’’ দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারের পর মানলেন গম্ভীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেস্টে অপরাজিত রইল বাভুমার নেতৃত্বাধীন দক্ষিণ আফ্রিকা (India Vs South Africa)। ভারতের মাটিতে ১৫ বছর পর টেস্ট ম্যাচে জয় পেল প্রোটিয়ারা। দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৯৩ রানে অলআউট হয়ে গেল ভারতীয় দল। ইডেন গার্ডেন্সে ৩০ রানে জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচ শেষে দলের ব্যর্থতা মেনে নিলেন কোচ গৌতম গম্ভীর। জানালেন, পিচ নিয়ে কোনও ক্ষোভ নেই তাঁর। ভারতীয় দলের হেড কোচের কথায়, ‘আমরা এই পিচই চেয়েছিলাম। আমরা যে পিচ চেয়েছি সেই পিচই পেয়েছি। এখানকার কিউরেটর আমাদের অনেক সাহায্য করেছেন। আমার মনে হয় না এই উইকেটে ব্যাটিং করা কঠিন ছিল। এই উইকেট মানসিক কাঠিন্যের পরীক্ষা নেয়। যারা ভালোভাবে রক্ষণাত্মক ব্যাটিং করতে পেরেছে, তারা রান করেছে।’

    পিচ নয়, দল পারেনি মানলেন গম্ভীর

    শনিবার খেলার শেষে পুজারা বলেছিলেন, ইডেন গার্ডেন্সের এই পিচে চতুর্থ ইনিংসে ১২০ রান তাড়া করাও কঠিন হতে পারে। তাঁর কথা অক্ষরে অক্ষরে মিলিয়ে দিলেন ঋষভ পন্থেরা। দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংস ১৫৩ রানে শেষ হওয়ায় ভারতের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৪ রান। সেই রান তুলতেই কেঁপে গেল শুভমন গিলহীন ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপ। ৯৩ রানে শেষ হয়ে গেল ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস। নিজেদের পছন্দের পিচে ৩০ রানে হেরে গেল গৌতম গম্ভীরের দল। পিচ নিয়ে তিন দিন ধরে নানা কথা হলেও গম্ভীর ম্যাচ হেরে কোনও অভিযোগ করলেন না। বরং নিজেদের ব্যর্থতা মেনে নিলেন। গম্ভীর মানতে চাননি ইডেনের ২২ গজ স্পিন সহায়ক ছিল। জোরে বোলারদের বেশি উইকেট পাওয়ার তথ্যকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করেছেন। রবিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে গম্ভীর বলেছেন, ‘‘ইডেনের পিচ বিপজ্জনক ছিল না। খেলার উপযোগী ছিল। টেম্বা বাভুমা তো রান করল। ওয়াশিংটন সুন্দরও ভাল ব্যাট করল। অক্ষরও তো খেলল। খেলা যাবে না, এমন উইকেট তো ছিল না। জানি না কেন বার বার স্পিন সহায়ক পিচ বলা হচ্ছে! জোরে বোলারেরাই বেশি উইকেট পেয়েছে এই টেস্টে। ব্যাটারদের টেকনিক, মানসিক শক্তি এবং ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিতে হয় এ রকম পিচে। আমরা পারিনি।’’

    ভারতের কাঁটা বাভুমা

    ভারতের (India Vs South Africa) লক্ষ্য ‘কঠিন’ করে দিলেন টেম্বা বাভুমা। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ককে আউট করতেই পারলেন না জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ, রবীন্দ্র জাদেজারা। ৫৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেন চোট সারিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা ব্যাটার। ম্যাচের প্রথম দিনই ইডেনের ২২ ব্যাটারদের বধ্যভূমি হিসাবে চিহ্নিত হয়ে গিয়েছিল। সেই পিচেই অপ্রতিরোধ্য দেখাল বাভুমাকে। ১৩৬ বলের ইনিংসে নিজের দলকে লড়াই করার জায়গায় পৌঁছে দিলেন বাভুমা। একমাত্র ব্যাটার হিসাবে ইডেন টেস্টে অর্ধশতরান করলেন। ৫০ রান করতেই ইডেনের দর্শকেরা দাঁড়িয়ে অভিনন্দন জানালেন তাঁকে। বাভুমার লড়াই ছাড়া রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ভাল ব্যাট করলেন করবিন বসও (২৫)। তিনি আউট হওয়ার পর অবশ্য ভারতকে বেশি বেগ পেতে হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকাকে অল আউট করতে। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সফলতম জাদেজা ৫০ রানে ৪ উইকেট নেন। ২ রানে ২ উইকেট সিরাজের। ৩০ রানে ২ উইকেট কুলদীপ যাদবের। ১টি করে উইকেট নেন অক্ষর এবং বুমরা।

    কেমন খেলল ভারত

    ওয়াশিংটন সুন্দর (৩১) ছাড়া ভারতের আর কারও মধ্যে বাভুমাসুলভ লড়াই দেখা গেল না। প্রথম ওভারেই মার্কো জানসেনের বলে আউট হয়ে যান যশস্বী জয়সওয়াল (০)। তৃতীয় ওভারে জানসেন তুলে নেন লোকেশ রাহুলের (১) উইকেট। ১ রানে ২ উইকেট হারানো দলের ইনিংস মেরামত করার চেষ্টা করেন ওয়াশিংটন এবং ধ্রুব জুরেল। উইকেটে থিতু হয়ে যাওয়ার পর সাইমন হারমারকে অযথা ছক্কা মারতে গিয়ে উইকেট ছুড়ে দিলেন জুরেল (১৩)। এর পর হারমারের বলে তাঁর হাতেই ক্যাচ দিয়ে দলকে খাদের কিনারায় পৌঁছে দেন পন্থ (২)। লাভ হয়নি জাদেজার (১৮) আগ্রাসী ব্যাটিংয়েও। ২২ গজের এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে চেষ্টা করে গেলেন ওয়াশিংটন। তাঁকে প্রয়োজনীয় সাহায্য করতে পারলেন না কেউ। অক্ষর শেষবেলায় আগ্রাসী ব্যাটিং করে চেষ্টা করেছিলেন একটা। কিন্তু হারমারের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হয়ে গেলেন ২৬ রান করে। বাউন্ডারির দিকে মুখ করে দৌড়ে দুরন্ত ক্যাচ নিলেন বাভুমা। তাঁর ওই ক্যাচই ১৫ বছর পর ভারতের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট জয় নিশ্চিত করে দেয়। স্পিন সহায়ক উইকেটে সাইমন হারমারের বল খেলতে সমস্যা পড়লেন ভারতীয়েরা। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ৪ উইকেট নিলেন। খরচ করলেন ২১ রান। ১৫ রানে ২ উইকেট মার্কো জানসেনের। ৩৭ রানে ২ উইকেট কেশব মহারাজের।

    লজ্জার রেকর্ড

    দেশের মাটিতে টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে এটি ভারতের (India Vs South Africa) সর্বনিম্ন স্কোর। এর আগে ২০০৬ সালে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চতুর্থ ইনিংসে ১০০ রানে অল আউট হয়েছিল ভারত। সেই রেকর্ড এ দিন ভেঙে গেল। সব মিলিয়ে টেস্টে এটি ভারতের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান তাড়া করতে গিয়ে হার। ১৯৯৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বার্বাডোজে ১২০ রান তাড়া করতে পারেনি ভারত। দেশের মাটিতে এটিই ভারতের সর্বনিম্ন রান তাড়া করতে গিয়ে হার। গত বছর স্পিন সহায়ক উইকেটে খেলতে গিয়ে নিউ জ়িল্যান্ডের কাছে ০-৩ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ় হেরেছিল গম্ভীরের ভারত। এ বার হার দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে। একই ভাবে। দু’টেস্টের সিরিজ় জেতার আর সুযোগ নেই ভারতের সামনে। গুয়াহাটিতে জিতে খুব বেশি হলে ড্র করতে পারেন শুভমনেরা।

  • India vs South Africa:  সব ছাপিয়ে প্রশ্নের মুখে ইডেনের ২২ গজ, রবিতেই শেষ ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ?

    India vs South Africa: সব ছাপিয়ে প্রশ্নের মুখে ইডেনের ২২ গজ, রবিতেই শেষ ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডেন টেস্ট শুরু হওয়ার আগে থেকেই পিচ নিয়ে প্রচুর জল্পনা হয়েছে। খেলা শুরু হতেই পিচ নিয়ে সমালোচনা তুঙ্গে উঠল। ম্যাচের যা পরিস্থিতি, তাতে রবিবার তৃতীয় দিনেই শেষ হয়ে যেতে পারে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম টেস্ট। ইডেন গার্ডেন্সের ২২ গজে ব্যাটারদের ‘অসহায়তা’ প্রশ্ন তুলে দিয়েছে পিচের মান নিয়ে। অনিল কুম্বলে, চেতেশ্বর পুজারাদের মতো বিশেষজ্ঞেরা বিরক্ত। ম্যাচের প্রথম দিনের খেলার পরই পিচের সমালোচনা করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং কোচ। দু’দিনে পড়ল ২৬ উইকেট, সর্বোচ্চ রান ৩৯।

    ইডেনের পিচ নিয়ে বিরক্ত প্রাক্তনরা

    ইডেনের পিচ প্রস্তুতকারক সুজন মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, তিনি এমন উইকেট তৈরি করেছেন, যেখানে খেলা পাঁচ দিনই গড়াবে। কিন্তু ম্যাচ বলছে অন্য কথা। সুজন দাবি করেছিলেন, স্পোর্টিং উইকেট তৈরি করেছেন। ব্যাটার-বোলার সকলেই কিছু না কিছু সাহায্য পাবেন। দর্শকেরা উপভোগ্য টেস্ট ক্রিকেট দেখতে পাবেন চার-পাঁচ দিন ধরে। যদিও খেলার গতিপ্রকৃতি তা বলছে না। অসমান বাউন্স থাকা পিচকে বিপজ্জনক বললেন পুজারা। শনিবার চা বিরতির সময় পিচ নিয়ে আলোচনার সময় কিছুটা বিরক্ত মনে হল ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটারকে। তিনি বলেছেন, ‘‘এই পিচ ব্যাটারদের সাহায্য করছে না। আউটগুলো দেখলেই ব্যাটারদের অসহায়তা বোঝা যাবে। তাদের বিশেষ কিছু করার থাকছে না। বল কোন উচ্চতায় আসবে বোঝা যাচ্ছে না। কোনও বল লাফিয়ে উঠছে। আবার কোনওটা নেমে যাচ্ছে। পিচে বেশ কিছু ছোট ফাটল তৈরি হয়েছে। বল পড়ে প্রত্যাশার থেকে বেশি ঘুরছে।’’

    পিচ নিয়ে বিরক্তি দু’শিবিরেই

    পিচ নিয়ে বিরক্তি রয়েছে দু’শিবিরেই। প্রথম দিন চা বিরতির পর থেকেই ধুলো উড়তে শুরু করেছিল ইডেনের পিচে। দ্বিতীয় দিন সকাল থেকেই ফাটল দেখা গিয়েছে। অসমান বাউন্সের সমস্যা তো রয়েছেই। খুশি নন কুম্বলেও। শনিবার বুমরার হঠাৎ লাফিয়ে ওঠা একটা বলে জোর বেঁচে যান দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার রায়ান রিকেলটন। বড় আঘাত পেতে পারতেন তিনি। তা দেখে কুম্বলে বলেন, ‘‘পিচ কেমন আচরণ করবে বোঝাই যাচ্ছে না। এমন পিচ প্রত্যাশিত নয়। ভারতকে এখানে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে হবে। আমার তো মনে হচ্ছে তৃতীয় ইনিংসে ব্যাট করাই কঠিন হবে বেশ। জয়ের লক্ষ্য ১৪০-১৫০ রানের বেশি হলে ভারতীয় দলকেও সমস্যায় পড়তে হতে পারে।’’

    ইডেনের পিচে সমস্যায় ব্যাটাররা

    ঘরের মাঠে ভারতীয় দল কোনও সুবিধা পাচ্ছে না। ইডেন টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার ১৫৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৮৯ রানেই অলআউট হয়ে গেল ভারতীয় দল। গতকাল টেস্টের প্রথম দিনে বল হাতে জাদু দেখিয়েছিলেন জসপ্রীত বুমরা। আর শনিবার বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করলেন সাইমন হার্মার। তিনি মাত্র ৩০ রানে ৪ উইকেট নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে সুবিধা করতে পারছেন না প্রোটিয়া ব্যাটারেরাও। জাডেজা, কুলদীপ, অক্ষরেরা বল ঘোরাচ্ছেন। বাউন্সও পাচ্ছেন! বল পিচে পড়ার পর কেমন আচরণ করবে বোঝা যাচ্ছে না। বাভুমা ছাড়া কেউ লড়াই করতে পারলেন না। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক দিনের শেষে অপরাজিত রয়েছেন ২৯ রানে। ৭৮ বলের ইনিংসে প্রমাণ করে দিলেন তাঁর রক্ষণ কতটা মজবুত।

    দায় এড়াতে পারবেন না সৌরভও

    দ্বিতীয় দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা এগিয়ে ৬৩ রানে। তাদের হাতে রয়েছে ৩ উইকেট। বাভুমারা সুবিধাজনক জায়গায় নেই ঠিকই। কিন্তু চতুর্থ ইনিংসে এই রানটা তোলাও কঠিন হতে পারে। শুভমন ব্যাট করতে না পারলে আরও কঠিন। স্বাভাবিক ভাবেই পিচের মান নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে সিএবিকে। নিশ্চিত ভাবে নজর রাখছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (ICC)। সিএবি-র সভাপতি হিসেবে দায় এড়াতে পারবেন না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। এখন একমাত্র ভারতের জয়ই ইডেনের মান বাঁচাতে পারে।

  • India vs South Africa: টেস্ট ক্রিকেটের মাহাত্ম্য দেখাল ভর্তি ইডেন, প্রথম দিনের শেষে চালকের আসনে ভারত

    India vs South Africa: টেস্ট ক্রিকেটের মাহাত্ম্য দেখাল ভর্তি ইডেন, প্রথম দিনের শেষে চালকের আসনে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেস্ট ক্রিকেটের উন্মাদনা যে এরকম হতে পারে, তা ইডেন না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। একেবারে হাউসফুল গ্যালারি বলা চলে। মধ্যাহ্নভোজের পর তো গ্যালারির কোথাও সেভাবে ফাঁকা দেখাই গেল না। টেস্ট ক্রিকেটেও ইডেনের গ্যালারি যেন টি-টোয়েন্টির মেজাজ দেখাল। বুমরা, সিরাজ, কুলদীপদের জন্য দর্শকদের চিৎকার আর চেনা মেক্সিকান ওয়েভ। ইডেন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্টের প্রথম দিন গ্যালারিতে উপস্থিত ৩৫০২২ দর্শক। প্রথম দিনের শেষে ২০ ওভারে ভারতের স্কোর ৩৭/১। কে এল রাহুল ১৩ রানে ও ওয়াশিংটন সুন্দর ৬ রানে অপরাজিত। দ্বিতীয় দিন শনিবারও গ্যালারি ভরবে বলার অপেক্ষা রাখে না। একে ছুটির দিন, তার উপর ব্যাট করবেন গিল-রাহুলরা।

    বুমরার বাউন্সে কাহিল

    ইডেনে তেম্বা বাভুমার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টস হারেন ভারত অধিনায়ক শুভমন গিল। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন প্রোটিয়া ক্যাপ্টেন বাভুমা। শুরুটা খারাপ করেননি দুই ওপেনার এডেন মার্করাম এবং রায়ান রিকেলটন। দিনের শুরুতে তাঁদের আগ্রাসী মেজাজে দেখে মনে হচ্ছিল টস জিতে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে একদম ঠিক করেছেন বাভুমা। কিন্তু বুমরা-কুলদীপদের দাপট শুভমন গিলের টস-হতাশা উধাও করে দিল প্রথম দু’ঘণ্টাতেই। বুমরার লাইন-লেংথে বার বার ঠকে গেলেন প্রোটিয়া ব্যাটারেরা। নিখুঁত জায়গায় বল রেখে গেলেন। খেলার অযোগ্য ইয়র্কার দিলেন। ২৭ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে নিলেন অনায়াসে। তাঁকে সঙ্গ দিলেন কুলদীপ যাদব। কয়েক দিন পরই তাঁর বিয়ে। ভাল ফর্মে রয়েছেন। ২ উইকেট নিলেন ৩৬ রান খরচ করে। প্রথম দিনের ২২ গজ থেকে যে স্পিনারেরা দারুণ সাহায্য পেয়েছেন, তা নয়। তবু কুলদীপের বল পড়তে পারলেন না টেম্বা বাভুমা, উইয়ান মুলডারেরা। দুটি উইকেট নিলেন সিরজাও আর একটি নিলেন অক্ষর প্যাটেল। দক্ষিণ আফ্রিকার কোনও ব্যাটারই দলকে ভরসা দিতে পারলেন না। টেস্ট বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের প্রথম ইনিংস শেষ হল ১৫৯ রানে। ৫৫ ওভার ব্যাট করলেন তাঁরা।

    সাবধানী ভারত

    ভারতের ব্যাটারেরা ২২ গজে বেশ সাবধানী। দক্ষিণ আফ্রিকার হাল দেখে লোকেশ রাহুলেরা ঝুঁকি নিয়ে হাল (পড়ুন ব্যাট) চালাতে চাইছেন না। যশস্বী জয়সওয়াল (১২) রান পেলেন না। মার্কো জানসেনের বলের লাইন বুঝতে পারলেন না। রাহুল দুর্গ আগলাচ্ছেন ওয়াশিংটন সুন্দরকে নিয়ে। দিনের খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেট দল এক উইকেট হারিয়ে ৩৭ রান করেছে। কেএল রাহুল ১৩ এবং ওয়াশিংটন সুন্দর ৬ রানে ব্যাট করছেন। এখনও পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেট দল ১২২ রানে দক্ষিণ আফ্রিকার থেকে পিছিয়ে রয়েছে। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম টেস্টের ২২ গজ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে যথেষ্ট টানাপোড়েন চলেছে। গৌতম গম্ভীরের পছন্দ হয়নি ২২ গজ। সিএবির প্রধান কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়কে নিজের আপত্তি জানান ভারতীয় দলের কোচ। সুজন অবশ্য পিচের চরিত্র পরিবর্তনের চেষ্টা করেননি। তবু যতটা পেরেছেন শেষ তিন-চার দিনে ২২ গজকে গম্ভীরের পছন্দ মতো করে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তাতে সমস্যা কিনা, তা এখনই বলা কঠিন। তবে ইডেনের ২২ গজে আপাতত সাবধানী ভারতও।

    কড়া নিরাপত্তা ইডেনে

    দীর্ঘ ৬ বছর পর কলকাতায় টেস্ট (Test Cricket)। তাও আবার টেস্ট বিশ্বজয়ী দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) বিরুদ্ধে খেলছে শুভমন গিলের ভারত (India)। ইডেন জুড়ে এবারে নিরাপত্তা বেশ জোরদার করা হয়। রাজধানীতে বিস্ফোরণের জেরে আরও টাইট সিকিউরিটি শহরের একাধিক জায়গায়। টেস্টের প্রথম আধঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরও দেখা গেল একাধিক গেটের বাইরে লম্বা লাইন। কড়া চেকিংয়ের পরই গ্যালারিতে ঢুকতে পারছেন দর্শকরা। গ্যালারিতেও দেখা গেল পুলিশের কড়া নজরদারি।

     

     

     

  • India vs South Africa: নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা ইডেন, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের লক্ষ্যে প্রোটিয়াদের চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত ভারত

    India vs South Africa: নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা ইডেন, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের লক্ষ্যে প্রোটিয়াদের চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রিকেট জ্বরে কাঁপছে কলকাতা। ইডেনে শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে ভারত–দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট। তবে, দিল্লি বিস্ফোরণের পর দেশে জারি হয়েছে উচ্চ সতর্কতা তাই নিরাপত্তায় কোনওরকম ফাঁক রাখতে চায় না কলকাতা পুলিশ। গোটা ইডেনকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হচ্ছে। খেলা চলাকালীন দর্শকদের ভিড়ের মধ্যেই থাকবে সাদা পোশাকের পুলিশ, আর বাইরে–ভিতরে ফেন্সিং জুড়ে মোতায়েন থাকবে বিশাল বাহিনী। ক্লাবহাউস ও ভিভিআইপি জোনেও থাকবেন সিনিয়র অফিসাররা। এছাড়াও স্টেডিয়ামের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, কুইক রেসপন্স টিম (QRT) সহ একাধিক বিশেষ ইউনিট মোতায়েন থাকবে।

    বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের লক্ষ্য

    ছ’বছর পর আবার ইডেন গার্ডেনে ফিরছে টেস্ট ক্রিকেট। বহুপ্রতীক্ষিত ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্ৰিকা (India vs South Africa) ম্যাচকে ঘিরে ইতিমধ্যেই শহরজুড়ে উন্মাদনা। কিন্তু ভারত অধিনায়ক শুভমন গিল জানিয়ে দিলেন, এই ম্যাচ শুধু আবেগ নয়। বরং বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের পথে এক বড় পরীক্ষা। আর তাই প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকাকে তিনি যেমন সমীহ করছেন, তেমনই চ্যালেঞ্জ নিতে পুরোপুরি প্রস্তুত বলেও জানালেন। গিল বলেন, “বুধবার পিচ যেমন দেখেছিলাম, আজ এসে দেখছি একটু আলাদা। কাল সকালে আবার দেখলেই নিশ্চিতভাবে বোঝা যাবে। আপাতত দেখে মনে হচ্ছে পিচ শুকনো, যেখানে রিভার্স সুইং ভূমিকা নিতে পারে।”

    ইডেনের পিচ নিয়ে চিন্তা

    ইডেনের কিউরেটরের কাছে ভারতীয় দল নাকি আবদার করেছে প্রথম দিন থেকেই বল টার্ন করানোর। তবে গিল এও মনে করিয়ে দেন, “দক্ষিণ আফ্রিকার হাতেও মহারাজ, মুত্থুস্বামী, হারমারের মতো স্পিনার আছে। তাই লড়াই যে সমানে সমান হবে, সেটা বলাই যায়।” রঞ্জিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পরও মহম্মদ শামির বাদ পড়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই গিল স্পষ্টভাবে বলেন, “শামি ভাইয়ের মতো বোলারকে বাদ দেওয়া সত্যিই কঠিন। কিন্তু সিরাজ, বুমরাহ, আকাশ প্রত্যেকেই দারুণ ফর্মে আছে। এই সিদ্ধান্ত নির্বাচকদের। আমাদের পেসাররা জানে, ভারতের পিচে কীভাবে সফল হতে হয়।” সিরিজের গুরুত্বের প্রসঙ্গে গিল বলেন, “বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠতে গেলে এই সিরিজে ভালো খেলতেই হবে। দক্ষিণ আফ্রিকা খুবই শক্তিশালী দল। কঠিন মুহূর্ত আসবে, কিন্তু আমরা জানি কীভাবে সেটা সামলাতে হয়। চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত আমরা।”

    নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা ইডেন

    দিল্লি বিস্ফোরণের পর শুধু মাঠের ভিতরে নয়, ইডেনের চারপাশেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন পয়েন্টে তৈরি হচ্ছে বাঙ্কার, যেখানে থাকবেন কমব্যাট ফোর্সের সদস্যরা। স্টেডিয়াম ঘিরে বেশ কয়েকটি রাস্তায় শুক্রবার থেকে যান চলাচলেও নিয়ন্ত্রণ আনা হবে। এছাড়াও স্টেডিয়ামের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, কুইক রেসপন্স টিম (QRT) সহ একাধিক বিশেষ ইউনিট মোতায়েন থাকবে। ম্যাচের ৫ দিন ইডেন গার্ডেন সহ ময়দান এলাকায় সকাল সাতটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত সমস্ত রকম পণ্যবাহী যানচলাচল (Kolkata) বন্ধ রাখা হবে।

    দুরন্ত ফর্মে ভারত

    শুভমান গিলের (Shubman Gill) নেতৃত্বে ভারতীয় নতুন টেস্ট দল বর্তমানে দুরন্ত ফর্মে রয়েছে। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের (India vs England Test Series) বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ড্র করেছিল ব্লু ব্রিগেডরা। এরপর ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের (India vs West Indies Test Series) বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে জয় ছিনিয়ে নিয়ে প্রভাব ফেলেছে তারা। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa Test Series) বিপক্ষে লাল বলের ক্রিকেটে মাঠে নামতে চলেছে ঋষভ পন্থরা (Rishabh Pant)। এই বছর প্রথমবারের মতো বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (WTC) ফাইনালে পৌঁছেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তারা ফাইনালে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার (AUS vs SA) বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল। গুরুত্বপূর্ণ ফাইনালে শক্তিশালী অজি বাহীনিদের ৫ উইকেটে হারিয়ে আইসিসি (ICC) ট্রফি জয় করে প্রোটিয়ারা। ফলে ভারতের বিপক্ষে তাদের আসন্ন টেস্ট সিরিজ জমজমাট হয়ে উঠতে চলেছে।

     

  • Online Betting Scam: বেটিং অ্যাপ কেলেঙ্কারি! ধাওয়ান-রায়নার বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    Online Betting Scam: বেটিং অ্যাপ কেলেঙ্কারি! ধাওয়ান-রায়নার বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনলাইন বেটিং অ্যাপের (Online Betting Scam) মাধ্যমে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে সুরেশ রায়না ও শিখর ধাওয়ানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল ইডি। ভারতের এই দুই প্রাক্তন ক্রিকেটারের মোট ১১.১৪ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হল। অনলাইন বেটিং প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা এবং আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছে। যে ঘটনার তদন্তে নেমে একাধিক সেলেব্রিটি তথা প্রাক্তন ক্রিকেটারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি।

    কত টাকা বাজেয়াপ্ত করা হল

    অভিযোগ, দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার সব কিছু জেনেশুনেই ‘ওয়ানএক্স বেট’ নামক ওই অনলাইন বেটিং (Online Betting Scam) অ্যাপের প্রচারে অংশ নিয়েছেন। আর্থিক দুর্নীতি দমন আইনের আওতায় ধাওয়ানের সাড়ে চার কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি এবং রায়নার ৬.৬৪ কোটি টাকার মিউচুয়াল ফান্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ‘ওয়ানএক্স বেট’ অ্যাপটিকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। ওই অ্যাপের প্রচারমূলক কাজে যুক্ত ছিলেন দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রথম সারির তারকারা। ওয়ানএক্স বেটের সঙ্গে তাঁদের কী চুক্তি হয়েছিল, কত টাকা নিয়েছেন তাঁরা, তা নিয়ে ইডি জবাব তলব করেছে ২০১১ সালে বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য যুবরাজ সিংকে। সেই তালিকায় রয়েছেন রবিন উথাপ্পাও।

    অভিযুক্ত একাধিক সেলেব

    কেন্দ্র অনলাইন গেমিং অ্যাপ (Online Betting Scam) নিষিদ্ধ করার আগে থেকেই বেশ কয়েকটি বেটিং অ্যাপের কার্যকলাপে নজর ছিল ইডির। সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘ওয়ানএক্স বেট’ নামের বেআইনি বেটিং অ্যাপটি। সব মিলিয়ে ওই অ্যাপটির মাধ্যমে ১ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। বলিউডের ঊর্বশী রৌতেলা আবার ওই ওয়ানএক্স বেট অ্যাপের ভারতীয় ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন। গত অগস্টে এক বার হাজিরাও দিয়েছেন তিনি। এই মামলায় ইডি ডেকেছে অভিনেতা সোনু সুদ-কেও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, জনসাধারণকে প্রলোভন দেখিয়ে বছরের পর বছর এই সমস্ত বেআইনি বেটিং অ্যাপগুলি বিভিন্ন নামে নিজেদের ব্যবসা বিস্তার করে চলেছে। সেই সঙ্গে মানুষের বিশ্বাস জিততে প্রচারে ব্যবহার করছে সেলেবদের মুখ।

     

     

     

  • Aadhaar Card: এসআইআর শুরুর হতেই ঝোপে মিলল ভোটার কার্ডের পাহাড়, জলে ভাসছে শয়ে শয়ে আধার! কোথা থেকে এল?

    Aadhaar Card: এসআইআর শুরুর হতেই ঝোপে মিলল ভোটার কার্ডের পাহাড়, জলে ভাসছে শয়ে শয়ে আধার! কোথা থেকে এল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (SIR) জন্য মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে এনুমারেশন ফর্ম বিলি শুরু হয়েছে। আর পরদিন পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে জলাশয় থেকে পাওয়া গেল কয়েকশো আধার কার্ড। তিনটি বস্তায় ভরে আধার কার্ড-সহ অন্যান্য কাগজপত্র রাতের অন্ধকারে কেউ ফেলে গিয়েছে বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, রাজগঞ্জ বিডিও বিতর্কের মধ্যে ওই অফিসের পিছনের জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রচুর ভোটার কার্ড। কে বা কারা এই ভোটার কার্ডগুলি সেখানে ফেলে দিয়েছে তা এখনও রহস্য। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকা দিয়ে যাতায়াতকারীরা প্রথমে ভোটার কার্ডগুলো পড়ে থাকতে দেখে খবর দেন। তবে সাফাই কর্মীরা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। বিজেপির দাবি, এসআইআর-র ভয়ে এই ভুয়ো আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ফেলে দেওয়া হয়েছে।

    কোথা থেকে এল এত আধার কার্ড

    পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের বরডাঙা এলাকার একটি বিলে বুধবার সকালে আধার কার্ডগুলি ভেসে থাকতে দেখে এলাকার মানুষজন। খোঁজ করতে গিয়ে তিনটি বস্তা দেখতে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পূর্বস্থলী থানার পুলিশ। উদ্ধার করা হয় জলে ভেসে থাকা আধার কার্ড ও একটি বস্তা। জলের নিচে থাকা আরও দুটি বস্তা ভর্তি আধার কার্ডগুলি উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি পুলিশের তরফ থেকে এলাকাবাসীর উদ্দেশে মাইকিং করে জানানো হচ্ছে, কেউ আধার কার্ড পেলে, তা যেন প্রশাসন কিংবা থানায় জমা দেয়। কে বা কারা আধার কার্ডগুলি রাতের অন্ধকারে জলে ফেলে রেখে গিয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। তবে এলাকাবাসীরা জানান, আধার কার্ডে যে ছবি রয়েছে তা অপরিচিত। তাদের কেউ চেনে না। লক্ষ্মণ মণ্ডল নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “আমার এখানে জমি রয়েছে। আজ সকালে কয়েকজন শ্রমিক কাজ করছিলেন। তারা তিনটে বস্তা দেখতে পান। একটি বস্তা বিল থেকে বের করে আনেন। বাকি দুটি বের করতে পারেননি। কার্ডগুলো দেখেছি। কার্ডে আমাদের এখানকার কারও নাম লেখা নেই।”

    ভোটার কার্ডের পাহাড়

    অন্যদিকে, সরকারি অফিসের এত কাছেই এত সংখ্যক ভোটার কার্ড ঝোপ থেকে উদ্ধার হওয়াও প্রশ্ন তৈরি করেছে। প্রশ্ন উঠছে, এল কোথা থেকে? এগুলো কি ভুলবশত ফেলা হয়েছে, নাকি এর পেছনে রয়েছে কোনও অন্য রহস্য রয়েছে এর পিছনে।সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, বিডিও অফিস চত্বরের ঝোপের মধ্যে যে সকল ভোটার কার্ড উদ্ধার হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা যাচ্ছে, এপিক নম্বর একেবারেই বৈধ। এপিক কার্ডে থাকা নাম নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটেও পাওয়া যাচ্ছে। এই রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনের বিরুদ্ধে রয়েছে খুনের মামলাও। এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে খুনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই রাজগঞ্জেই এই ঘটনা, স্বাভাবিকভাবেই একাধিক প্রশ্ন জাগাচ্ছে। কী উদ্দেশ্যে এত শয়ে শয়ে বৈধ ভোটার কার্ড ফেলে দেওয়া হল, তা সবথেকে বড় প্রশ্ন। ব্লকের এক কর্মী বললেন, “আসলে অফিস পরিস্কার করা হয়েছে। অনেক পুরনোকাগজপত্র ফেলা হয়েছে।” অর্থাৎ এই ভোটারকার্ডগুলোকে পুরনো কাগজপত্র বলেই উড়িয়ে দিলেন তিনি।

    এসআইআর শুরু হতেই অবৈধ কার্ড

    বিজেপি তরফ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, আধার কার্ডগুলি অবৈধ। আর এসআইআর শুরু হতেই এই অবৈধ আধার কার্ড নষ্ট করতেই ফেলে যাওয়া হয়েছে। স্থানীয় বিজেপি নেতা পরিমল মিস্ত্রি বলেন, “হয়তো এগুলো ভুয়ো আধার কার্ড। কী জন্য বস্তাভর্তি আধার কার্ড ফেলে দেওয়া হয়েছে, তা তদন্তে করে দেখা দরকার। আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।” রাজগঞ্জের ঘটনা নিয়ে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “রাজগঞ্জের ওই বিডিও হয়েছেন চুরির নম্বরে। যেখানে গিয়েছেন, সেখানেই সমস্যা তৈরি করেছেন। ক্ষমতা দেখাতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছেন।”

  • PM Modi Meets Indian Cricketers: প্রধানমন্ত্রীই অনুপ্রেরণা! জানালেন হরমনরা,ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্টে এগিয়ে আসার আহ্বান মোদির

    PM Modi Meets Indian Cricketers: প্রধানমন্ত্রীই অনুপ্রেরণা! জানালেন হরমনরা,ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্টে এগিয়ে আসার আহ্বান মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারীশক্তির দাপটে বিশ্বমঞ্চে গর্বিত হয়েছে ভারত। প্রথমবার মহিলাদের বিশ্বকাপ এসেছে দেশে। ইতিহাস গড়া হরমনপ্রীত কৌরের ব্রিগেডকে এবার সংবর্ধনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বললেন, ভারকীয় মহিলা ক্রিকেট দলের এই সাফল্য দেশের প্রতিটি মেয়েকে উজ্জবীতি করবে। নতুন প্রেরণা জোগাবে। ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্টে মেয়েদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি। বুধবার লোক কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাসভবনে ভারতের মহিলা বিশ্বকাপ জয়ী দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের আপ্যায়ন করেন।

    স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েন হরমনপ্রীত

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দলকে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানান। তিনি বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের লাগাতার তিনটি পরাজয় এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিংয়ের শিকার হওয়ার পরে টুর্নামেন্টে তাদের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের প্রশংসা করেন। উল্লেখ্য, ভারতীয় দল লিগ পর্যায়ে দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে অধিনায়ক হরমনপ্রীত জিজ্ঞেস করেন যে, তিনি কীভাবে সবসময় বর্তমানে থাকেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি জানান যে, এটি তাঁর জীবনের একটি অংশ হয়ে গিয়েছে, অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হারলিন দেওলের ক্যাচটির কথাও স্মরণ করেন, যা নিয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎপর্বে স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েন হরমনপ্রীত। তাঁর মনে পড়ে গিয়েছিল আট বছর আগের কথা। ২০১৭ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালে মাত্র ৯ রানে হারের পরও তাঁরা প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তবে সেবার ট্রফি ছাড়াই। এবার যেন সব আক্ষেপ মেটালেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা।

    প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁদের অনুপ্রেরণা

    স্মৃতি মন্ধানা বলেন যে, প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁদের অনুপ্রাণিত করেছেন এবং তিনি সকলের জন্য অনুপ্রেরণা ছিলেন। তিনি জানান যে, কীভাবে আজ মেয়েরা প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর কারণে ভাল পারফর্ম করছে। দীপ্তি শর্মা বলেন যে, তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। দীপ্তি টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি হাসিমুখে দীপ্তির ইনস্টাগ্রামে লেখা ‘জয় শ্রী রাম’ এবং তাঁর হাতে থাকা ভগবান হনুমানের উল্কির কথাও উল্লেখ করেন। দীপ্তি বলেন, “ওই উল্কি ও বিশ্বাসই আমাকে শক্তি জোগায়।”

    ‘ফিট ইন্ডিয়া’ আন্দোলনের বার্তা

    গত বছর ভারতের পুরুষদের দল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তাঁদের পরনে ছিল ভারতের জার্সি। তবে হরমনপ্রীতেরা জার্সির বদলে ফরম্যাল পোশাকে গিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বেশ কিছু ক্ষণ ছিলেন হরমনপ্রীতেরা। মোদির হাতে বিশ্বকাপের ট্রফি তুলে দেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছবিও তোলেন। সকল ক্রিকেটারের সই করা একটি জার্সিও প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন হরমনপ্রীত। সেই জার্সির নম্বর ‘১’। তাতে লেখা রয়েছে ‘নমো’। সব শেষে প্রধানমন্ত্রী মোদি খেলোয়াড়দের ‘ফিট ইন্ডিয়া’ আন্দোলনের বার্তা দেশজুড়ে ছড়িয়ে দিতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “আজকের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্থূলতা বাড়ছে। তাই শরীরচর্চা ও সুস্থ থাকার বার্তা প্রতিটি স্কুলে, প্রতিটি মেয়ের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।”

  • ICC Women’s World Cup: ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের উন্নতিতে সদা সক্রিয়, জানেন কে এই ব্যক্তি?

    ICC Women’s World Cup: ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের উন্নতিতে সদা সক্রিয়, জানেন কে এই ব্যক্তি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় মেয়েদের ক্রিকেটে সাফল্য ছিল ‘প্রায়’-এর গল্প। ২০০৫ ও ২০১৭, দু’দুবার ফাইনালে পৌঁছেও শেষ মুহূর্তে হাতছাড়া হয়েছিল স্বপ্ন। কিন্তু হরমনপ্রীতদের হাতে যখন সেই বহু প্রতীক্ষিত কাপ উঠল, তখন যেন দেশের অর্ধেক জনসংখ্যার স্বপ্নও বাস্তব হয়ে গেল। ১৯৮৩ অনুপ্রাণিত করেছিল এক প্রজন্মকে বড় স্বপ্ন দেখতে। এদিন মেয়েরা সেই কাজটাই করল—দেশের হাজারো মেয়েকে দেখিয়ে দিল, তারাও একদিন ব্যাট হাতে বিশ্বজয় করতে পারে। নারী শক্তির এই জয়ে ভারতীয় ক্রিকেটে যার অবদান সবচেয়ে বেশি, তিনি হলেন জয় অমিতভাই শাহ।

    সমান ম্যাচ ফি দেওয়ার ঘোষণা

    রাজনৈতিক কারণে আপনি জয় শাহকে পছন্দ করতে পারেন বা অপছন্দ। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে এই মানুষটা ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের জন্য যা করেছেন, তা সাধারণ মানুষ হিসেবে আমরা ততটা না জানলেও বা বুঝলেও হরমনপ্রীত কৌররা জানেন। তাই সেই কৃতজ্ঞতা, সেই অ্যাডমিরেশন থেকেই বিশ্বকাপের মঞ্চে কাপ গ্রহণের আগে তাঁর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে গেলেন হরমনপ্রীত কৌর। ২০২২ সালে জয় শাহের নেতৃত্বে ভারত বিশ্বের প্রথম ক্রিকেট বোর্ড ছিলো, যারা পুরুষ ও মহিলা ক্রিকেটারদের সমান ম্যাচ ফি দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। যা ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটারদের মানসিকতাই বদলে দিয়েছিল।

    দরকার ছিল একটা বড় মঞ্চের সাফল্য

    এই বিজয় মানে আত্মবিশ্বাসের পুনর্জন্ম। এখন মেয়েদের ক্রিকেটে পরিকাঠামো, স্পনসরশিপ ও প্রশিক্ষণের সুযোগ আগের চেয়ে অনেক উন্নত। বোর্ডের বিনিয়োগও বেড়েছে। তবু দরকার ছিল একটা বড় মঞ্চের সাফল্য, যে সাফল্য দর্শক, মিডিয়া ও সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিই বদলে দিতে পারে। সেই ব্রেকথ্রু এল রবিবার। হরমনপ্রীতের হাতে সেই কাপ, যা মিতালি রাজ (Mithali Raj) বা ঝুলন গোস্বামীর (Jhulan Goswami) প্রজন্মের নাগালের বাইরে থেকে গিয়েছিল। তাঁদের পাতা পথেই দাঁড়িয়ে আজ ভারতীয় মেয়েরা দেখাল, কঠোর পরিশ্রম আর বিশ্বাস থাকলে অসম্ভব কিছুই নয়। আর সমতা কোনও দয়া নয়, সাফল্যের শর্ত।

    উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ চালু

    আইপিএল এর সাফল্যের ব্যাপারে ক্রিকেট ভক্তরা ওয়াকিবহাল। কিন্তু আইপিএলের ধাঁচে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ চালু করে মহিলা ক্রিকেটের উন্মাদনা দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার সাহস দেখিয়েছেন জয় শাহ ২০২৩ সালে। প্লেয়ার ডেভেলপমেন্ট এর জন্য ডব্লু পি এলের অবদান এখন সর্বজনবিদিত। বিনামূল্যে টিকিট দিয়ে মহিলা ক্রিকেট দেখার জন্য সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করেছেন জয় শাহ-ই। দেশের ভেতরে মহিলা ক্রিকেটের জন্য প্রোপার ডোমেস্টিক প্ল্যাটফর্ম, ম্যাচের সংখ্যা বাড়ানো, উন্নত প্রযুক্তি ও ফ্যাসিলিটির ব্যবস্থা করা যে বৃথা যায়নি, তা বিশ্বকাপ জয়ের দ্বারা প্রমাণিত।

    মহিলা ক্রিকেটের উন্নতিতে সদর্থক পদক্ষেপ

    ২০২৫ সালের শুরু থেকেই ভারতীয় বোর্ড পুরুষ ও মহিলা দলের জন্য সমস্ত টুর্নামেন্টে প্রাইজ মানি সমান করেছে। আইসিসি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই মহিলা ক্রিকেটের উন্নতিতে সদর্থক পদক্ষেপ করেছেন। গত মাসে আইসিসি চেয়ারম্যান মহিলা ক্রিকেটের প্রাইজমানি ৩০০ শতাংশ বাড়িয়েছেন। ২.৮৮ মিলিয়ন ডলার থেকে তা বেড়ে ১৪ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এসব উদ্যোগে মহিলাদের ক্রিকেট অনেক দূর এগিয়েছে। একসময় যেখানে মহিলা খেলোয়াড়দের সাফল্য মানে ছিল “সব প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে জয়”, আজ তা হয়ে উঠেছে “ব্যবস্থার সহায়তায় জয়”। সমান পারিশ্রমিকের সিদ্ধান্ত কাগজে লেখা একটি নীতিমালা ছিল, আজ তা বাস্তবের উজ্জ্বল উদাহরণ।

  • ICC Women’s World Cup: হচ্ছে না বিজয় মিছিল! বুধেই বিশ্বজয়ীদের সঙ্গে চা-য়ে পে চর্চায় প্রধানমন্ত্রী মোদি

    ICC Women’s World Cup: হচ্ছে না বিজয় মিছিল! বুধেই বিশ্বজয়ীদের সঙ্গে চা-য়ে পে চর্চায় প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজয়ী (ICC Women’s World Cup) ভারতীয় দলের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দক্ষিণ আফিকাকে হারিয়ে বিশ্বজয়ের পর ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলকে (Indian Women Cricket Team) শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঐতিহাসিক জয় ভবিষ্যতের চ্যাম্পিয়নদের যে অনুপ্রেরণা জোগাবে, সে কথা লেখেন প্রধানমন্ত্রী। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, বুধবার ৫ নভেম্বর হরমনপ্রীতদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তিনি।

    দলকে অভিনন্দন

    বুধবার নয়াদিল্লিতে বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার সম্ভাবনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদির। সোমবার এক অনুষ্ঠানে আবারও ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের কথা তুলে ধরেন তিনি। তাঁর কথায়, “আমি প্রথমে ভারতের অসাধারণ জয়ের কথা বলব। এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত গোটা ভারত। এটা ভারতের প্রথম মহিলা বিশ্বকাপ জয়। ভারতীয় দলকে অভিনন্দন। তোমাদের জন্য গর্বিত।” দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্বজয়ের স্বাদ পেয়েছেন হরমনপ্রীতরা। ঐতিহাসিক এই সাফল্যে এখন সেলিব্রেশনের মুডে অসমুদ্রহিমাচল। গোটা দলের জন্য ৫১ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে বিসিসিআই। তবে কোনও বিজয় প্যারেডের কথা জানানো হয়নি।

    প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত

    এর আগে ২০২৪ সালে টি-২০ বিশ্বকাপ (2024 ICC Men’s T20 World Cup) জয়ের পর ভারতের পুরুষ ক্রিকেট দলের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এবার তিনি মহিলা দলের সঙ্গে দেখা করছেন। ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল সিনিয়র পর্যায়ে প্রথমবার যে কোনও ফর্ম্যাটে বিশ্বকাপ জেতায় সারা দেশ উচ্ছ্বসিত। প্রধানমন্ত্রীও সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে পোস্টের মাধ্যমে ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। এবার ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের অভিনন্দন জানাবেন প্রধানমন্ত্রী। বিসিসিআই (BCCI) কর্তারাও এই সাক্ষাতে থাকতে পারেন। বুধবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে মহিলা দলের সদস্যদের সংবর্ধনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। অনুষ্ঠানটি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে অনুষ্ঠিত হবে।

    কেন নেই বিজয় শোভাযাত্রা

    দেশজুড়ে উচ্ছ্বাস থাকলেও, নিরাপত্তাজনিত কারণে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (BCCI) এবার কোনো বিজয় শোভাযাত্রা আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বোর্ড জানিয়েছে, লজিস্টিক ও নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জই এই সিদ্ধান্তের মূল কারণ। এ বছরের শুরুতে বেঙ্গালুরুর এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর আইপিএল শিরোপা উদযাপনকালে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক পদদলনের ঘটনায় কয়েকজন প্রাণ হারান। সেই অভিজ্ঞতার পর বড় জনসমাবেশ এড়িয়ে সতর্ক পথে হাঁটছে বোর্ড। পুরো দেশ যেখানে এই ঐতিহাসিক জয়ে আনন্দে ভাসছে, সেখানে শোভাযাত্রা না হওয়ায় ভক্তদের মধ্যে খানিক হতাশা দেখা দিয়েছে।

    বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে ৫১ কোটি টাকার ঘোষণা

    বিসিসিআই সোমবার ঘোষণা করেছে, খেলোয়াড়, সাপোর্ট স্টাফ ও নির্বাচক কমিটির জন্য মোট ৫১ কোটি টাকার নগদ পুরস্কার দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC) থেকেও ভারতীয় দল পাবে ৪০ কোটি টাকার পুরস্কার — যা বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বাধিক এবং আগের ৫০ ওভারের আসরে অস্ট্রেলিয়া পাওয়া পুরস্কারের তুলনায় ২৯৭ শতাংশ বেশি। এছাড়াও সুরাটের শিল্পপতি ও রাজ্যসভা সাংসদ গোবিন্দ ঢোলাকিয়া (চেয়ারম্যান, শ্রী রামকৃষ্ণ এক্সপোর্টস প্রা. লি.) ঘোষণা করেছেন, তিনি প্রত্যেক খেলোয়াড়কে হাতে তৈরি হীরার গয়না উপহার দেবেন এবং তাঁদের বাড়িতে সৌরবিদ্যুৎ (solar panel) স্থাপন করবেন। ঢোলাকিয়া বিসিসিআই সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লাকে চিঠি লিখে এই ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

    বিভিন্ন রাজ্যএর তরফে নানা পুরস্কার

    রাজ্য ও সংস্থার তরফেও পুরস্কার। হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু শিমলার কন্যা ও পেসার রেনুকা ঠাকুরকে ১ কোটি টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব একই পরিমাণ অর্থ প্রদান করবেন খেলোয়াড় ক্রান্তি গৌদ-কে। পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (PCA) জানিয়েছে, অধিনায়ক হরমানপ্রীত কৌর ও অলরাউন্ডার অমনজোত কৌর-কে ১১ লক্ষ করে টাকা দেওয়া হবে, আর ফিল্ডিং কোচ মুনীশ বালিকে ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। শীঘ্রই এই তিনজনকে সম্মান জানাতে একটি বিশেষ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানও আয়োজন করবে পিসিএ। বিভিন্ন ক্রিকেটারদের সঙ্গে কর্পোরেট সংস্থার চুক্তির পরিমাণও বেড়ে গিয়েছে। বিশ্বকাপ জেতার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হরমনপ্রীতের সঙ্গে চুক্তি করেছে একটি নির্মাণ সংস্থা। হরমনপ্রীতকে ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর’ করেছে তারা। স্মৃতি ইতিমধ্যেই অনেক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। বিজ্ঞাপনের জন্য প্রচুর সংস্থা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা শুরু করেছে

     

     

     

     

     

  • ICC Women’s World Cup: সমতাই সাফল্যের চাবিকাঠি! বিসিসিআই দেখাল সমান পারিশ্রমিক বদলে দিতে পারে মানসিকতা

    ICC Women’s World Cup: সমতাই সাফল্যের চাবিকাঠি! বিসিসিআই দেখাল সমান পারিশ্রমিক বদলে দিতে পারে মানসিকতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটা বিশ্বকাপ (ICC Women’s World Cup) অনেকের কষ্ট মুছে দেয়। ৬ বিশ্বকাপ খেলেও মিতালি রাজ পারেননি। ৫টা বিশ্বকাপ খেলে পারেননি ঝুলন গোস্বামী। সব আক্ষেপ এক রাতে মুছে দিলেন হরমনপ্রীত, স্মৃতি, দীপ্তি, শেফালিরা। ফারাক একটাই সমতা। নবি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামের উজ্জ্বল আলোয় ইতিহাস রচনা করলেন হারমনপ্রীত কৌর। শেষ বলে উড়ে আসা ক্যাচটি যখন তিনি মাথার উপরে তুলে ধরলেন, তখন তাঁর সতীর্থরা ছুটে এলেন মাঠে, চোখে জল, মুখে অবিশ্বাসের হাসি। প্রথমবার ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল জয় করল বিশ্বের সর্বোচ্চ মঞ্চ—ওয়ানডে বিশ্বকাপ। কিন্তু এই জয় শুধুই ক্রিকেটের নয়, এটি এক নীতির জয়—যার সূচনা হয়েছিল তিন বছর আগে বোর্ডরুমের এক নীরব বৈঠকে।

    “আবেগতাড়িত সিদ্ধান্ত”ই যুক্তিযুক্ত

    ২০২২ সালের অক্টোবরে, বিসিসিআই-এর (BCCI) ১৫তম অ্যাপেক্স কাউন্সিল বৈঠকে নেওয়া হয়েছিল এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত—পুরুষ ও মহিলা ক্রিকেটারদের মধ্যে সমান ম্যাচ ফি চালুর প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। রোহিত-বিরাটদের মতো পারিশ্রমিক বা ম্যাচ -ফি পেতে শুরু করেন হরমনপ্রীত, মান্ধানারা। সেই সিদ্ধান্ত তখন আলোড়ন তুলেছিল বিশ্ব ক্রীড়ামহলে। তখন বিসিসিআই সচিব পদে ছোট-খাটো চেহারার এক ব্যক্তি জয় অমিতভাই শাহ। যার রাজনৈতিক পরিচয়, প্রভাব নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু তিনি নীরবে কাজ করে গিয়েছেন। সমালোচকেরা প্রশ্ন তুলেছিলেন—মহিলা ক্রিকেট কি এখনও সেই অর্থনৈতিক উচ্চতায় পৌঁছেছে যেখানে সমান পারিশ্রমিক যুক্তিযুক্ত? কেউ কেউ বলেছিলেন এটি “আবেগতাড়িত সিদ্ধান্ত”, যুক্তির নয়।

    বিশ্বাসে অটল বিসিসিআই

    সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপের (ICC Women’s World Cup) লিগ পর্বে যখন ভারতের পারফরম্যান্স দুর্বল হচ্ছিল, তখন সেই সমালোচনা আরও জোরালো হয়। সামাজিক মাধ্যমে বাড়তে থাকে নারীবিদ্বেষী মন্তব্য। কিন্তু বিসিসিআই তাদের বিশ্বাসে অটল ছিল। বিশ্বকাপের ট্রফি হাতে নিয়ে হরমনপ্রীতরা প্রমাণ করলেন, সেই বিশ্বাস বৃথা যায়নি। বিশ্বকাপ জয়ের পর বিসিসিআই সচিব জয় শাহ এক টুইটে লেখেন, “ভারতের মেয়েদের প্রথম বিশ্বকাপ জয় ভারতের প্রতিটি নাগরিককে গর্বিত করেছে। দলের লড়াই, আত্মবিশ্বাস ও দক্ষতা যেমন অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে, তেমনি বিসিসিআই-এর নীতিগত সিদ্ধান্ত—সমান পারিশ্রমিক, বাড়তি বিনিয়োগ, উন্নত কোচিং কাঠামো ও উইমেনস প্রিমিয়ার লিগ-এর অভিজ্ঞতা—এই সাফল্যের ভিত গড়ে দিয়েছে।”

    এক সুপরিকল্পিত কাঠামোর ফল

    এই জয় আকস্মিক নয়, এটি এক সুপরিকল্পিত কাঠামোর ফল। সমান পারিশ্রমিকের সঙ্গে সঙ্গে মহিলা ক্রিকেটে এসেছে উন্নত পরিকাঠামো, দক্ষ কোচিং স্টাফ, এবং উইমেনস প্রিমিয়ার লিগ (WPL)-এর মতো প্রতিযোগিতা, যা মেয়েদের আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট খেলার সুযোগ দিয়েছে। সমান পারিশ্রমিক শুধু অর্থনৈতিক নয়, মানসিক বিপ্লবও ঘটিয়েছে। মহিলা ক্রিকেটাররা এখন সম্পূর্ণ স্বাবলম্বী। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা থেকে মুক্ত। সেই আত্মবিশ্বাসই আজ প্রতিটি রান, প্রতিটি উইকেটে প্রতিফলিত। সমান পারিশ্রমিক তাদের মনে করিয়ে দিয়েছে—সমতা কোনও দয়া নয়, এটি অগ্রগতির অপরিহার্য শর্ত।

    ৫১ কোটি টাকার পুরস্কার ঘোষণা

    বিশ্বকাপ (ICC Women’s World Cup) জয়ের পর ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের জন্য ৫১ কোটি টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে বিসিসিআই (BCCI)। সংস্থার সচিব দেবজিৎ শাইকিয়া জানান, এই পুরস্কার দলের সব সদস্য, কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “জয় শাহ ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বিসিসিআই সচিব থাকাকালীন মেয়েদের ক্রিকেটে একাধিক বদল এনেছেন। পে প্যারিটি বা সমান বেতন কাঠামোর বিষয়টি তখনই কার্যকর হয়। গত মাসে আইসিসি চেয়ারম্যান মহিলা ক্রিকেটের প্রাইজমানি ৩০০ শতাংশ বাড়িয়েছেন। ২.৮৮ মিলিয়ন ডলার থেকে তা বেড়ে ১৪ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এসব উদ্যোগে মহিলাদের ক্রিকেট অনেক দূর এগিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বিসিসিআই ৫১ কোটি টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে।”

    জয় শাহের নেতৃত্বে আইসিসি-তেও নয়া ধারা

    জয় শাহের নেতৃত্বে আইসিসি-র তরফেও প্রাইজমানির পরিমাণ এবার বেড়েছে। ভারত পেয়েছে ৪.৪৮ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রায় ৪০ কোটি টাকা। আগের আসরে যেখানে অস্ট্রেলিয়া পেয়েছিল মাত্র ১.৩২ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রায় ১২ কোটি। রানার্স-আপ দক্ষিণ আফ্রিকা পেয়েছে ২.২৪ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২০ কোটি টাকা), আর সেমিফাইনালে হেরে যাওয়া দুই দল প্রত্যেকে পেয়েছে ১.১২ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১০ কোটি টাকা)। পুরো টুর্নামেন্টের মোট প্রাইজমানি ছিল ১৩.৮৮ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১২৩ কোটি টাকা), যা আগের বিশ্বকাপের ৩.৫ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় প্রায় চারগুণ বেশি। এমনকি এই পরিমাণ পুরস্কার ২০২৩ সালের পুরুষদের বিশ্বকাপের ১০ মিলিয়ন ডলারের পুরস্কার অর্থকেও ছাপিয়ে গিয়েছে।

    সমতা আগে এলে সাফল্য আসবেই

    ভারতের এই সাফল্য বিশ্ব ক্রীড়াজগতে এক নতুন বার্তা দিচ্ছে। এতদিন মহিলা ক্রিকেটারদের বলা হত, “প্রথমে তোমাদের খেলা বাণিজ্যিকভাবে সফল হোক, তারপর আসবে সমান অধিকার।” ভারত দেখিয়ে দিল—সমতা আগে এলে সাফল্য আসবেই। বিসিসিআইয়ের (BCCI) মতো একটি বাণিজ্যিকভাবে প্রভাবশালী বোর্ড যখন সমতাকে কৌশল হিসেবে গ্রহণ করে, তখন সেটি বিশ্ব ক্রীড়ার মানদণ্ড বদলে দেয়। এই জয় শুধু ট্রফি নয়—এটি এক নতুন ভারতীয় বাস্তবতার প্রতীক। ডিওয়াই পাতিলের আকাশে যখন তেরঙা উড়ছিল, ট্রফি হাতে দাঁড়িয়ে ভারতীয় দল নতুন ভবিষ্যতের ছবি আঁকছিল। এটি শুধু ভারতের মেয়েদের জয় নয়—এটি সারা বিশ্বের কাছে এক বার্তা: সমান সুযোগ দিলে, মেয়েরা ইতিহাস লেখে।

LinkedIn
Share