Category: খেলা

Get updates on Sports News Cricket, Football, Tennis, from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • India beat Netherlands: ফের দুর্দান্ত ইনিংস কোহলির, ৫৬ রানে নেদারল্যান্ডকে হারাল ভারত

    India beat Netherlands: ফের দুর্দান্ত ইনিংস কোহলির, ৫৬ রানে নেদারল্যান্ডকে হারাল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয়ের মাধ্যমে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (T20 World Cup) শুরু করার পর আজ নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধেও দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে জয়ের ধারা অব্যহত রাখল মেন ইন ব্লু। যদিও এই ম্যাচের ফলাফল সম্পর্কে সকলেই প্রায় নিশ্চিত ছিল। নেদারল্যান্ডকে এই ম্যাচ হারানোর ফলে গ্রুপ ২ এর শীর্ষ স্থানে পৌঁছে গেল টিম ইন্ডিয়া। এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় দল আর দুটি ম্যাচ জিতলেই সেমিফাইনালে পৌঁছাতে পারবে। আজ ম্যাচের শুরুতেই ভারত টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয়।

    সিডনির একই মাঠে পরপর দুটো ম্যাচ।ফলে ২০ ওভারের ক্রিকেটের প্রত্যাশিত ছন্দে শুরু করতে পারেননি রোহিত, লোকেশ রাহুলরা। তার উপর রাহুল আউট হলেন ৯ রানে। ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়ক অবশ্য আউট ছিলেন না। আম্পায়ার আউট দিলেও অধিনায়ক রোহিতের পরামর্শে রিভিউ না নিয়েই সাজঘরে ফিরে যান রাহুল। পরে দেখা যায় বল লেগ স্টাম্পের বাইরে ছিল।ভারতীয় ইনিংসের প্রথম কয়েক ওভার তেমন রান ওঠেনি। আট-নয় ওভার থেকে হাত খুলতে শুরু করেন ভারতীয় ব্যাটাররা। মন্থর উইকেটের সুবিধা কাজে লাগাতে পারলেন না নেদারল্যান্ডসের বোলাররা।

    [tw]


    [/tw]

    রোহিত, কোহলিরা চেনা মেজাজে ব্যাট করলেন। তাঁরা দু’জন ছাড়াও অর্ধশতরান এল সূর্যকুমার যাদবের ব্যাট থেকেও। রোহিত করলেন ৩৯ বলে ৫৩ রান। তাঁর ইনিংসে রয়েছে চারটি বাউন্ডারি এবং তিনটি ওভার বাউন্ডারি। মেলবোর্নে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে মেজাজে ছিলেন, সিডনিতে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধেও সেই মেজাজে দেখা গেল প্রাক্তন অধিনায়ককে। এই ম্যাচেও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন কোহলি। ৪৪ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলার পথে মারলেন তিনটি চার এবং দু’টি ছক্কা। প্রতিপক্ষ তুলনায় দুর্বল হলেও কোহলির চোখে-মুখে ছিল চেনা সংকল্পের ছাপ।

    রোহিত আউট হওয়ার পর চার নম্বরে ব্যাট করতে নামেন সূর্যকুমার যাদব। প্রত্যাশা মতো প্রথম থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করলেন সূর্যকুমার। তিনি নামার পর বেশ খানিকটা বাড়ল ভারতের রান তোলার গতিও। সূর্যকুমারও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন ২৫ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলে।ভারতীয় ব্যাটারদের বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডসের বোলারদের কেউই তেমন সুবিধা করতে পারলেন না। নেদারল্যান্ডসের সফলতম বোলার পল ভ্যান মিকিরেন ৩২ রানে ১ উইকেট নিলেন। ফ্রেড ক্লাসেন ১ উইকেট পেলেন ৩৩ রান দিয়ে।

    [tw]


    [/tw] 

    জয়ের জন্য ১৮০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সাধ্য মতো লড়াই করল স্কট এডওয়ার্ডসের দল।তবে, প্রথমে অক্ষর প্যাটেল, রবিচন্দ্রন অশ্বিনদের দাপটে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে ডাচরা। অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস করলেন ৫ রান। সর্বোচ্চ ২০ রান টিম প্রিঙ্গলের। ১৭তম ওভারে পরপর দুই বলে উইকেট নেন অর্শদীপ সিং। দুটি করে উইকেট ভাগ করে নিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, অক্ষর প্যাটেল, ভুবনেশ্বর কুমার, অর্শদীপ সিং। একটি উইকেট নেন মহম্মদ সামির। অবশেষে ভারতের দেওয়া ১৭৯ রান তাড়া করতে নেমে ১২৩ রানেই গুটিয়ে গেল ডাচরা।

    গত মঙ্গলবার অনুশীলনের পর খাবার ‘অযোগ্য’ এবং ‘অপর্যাপ্ত’ মধ্যহ্নভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছিল সিডনির আয়োজকদের পক্ষে। না খেয়েই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন রোহিত, কোহলিরা। তাতেও যে ভারতকে দমানো যায় না, তা মাঠে নেমে প্রমাণ করে দিলেন ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা।

    তুলনায় দুর্বল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেও কোনও পরীক্ষা নিরীক্ষার পথে যায়নি ভারতীয় দল। পাকিস্তান ম্যাচের প্রথম একাদশে কোনও পরিবর্তন করেনি। উইনিং কম্বিনেশন ভাঙতে চাননি কোচ রাহুল দ্রাবিড়। ভারতের পরবর্তী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • T20 world cup: ছাত্র রাহুলের উপর ভরসা  রাহুল স্যারের! বৃষ্টির আশঙ্কা ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে

    T20 world cup: ছাত্র রাহুলের উপর ভরসা রাহুল স্যারের! বৃষ্টির আশঙ্কা ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মাস্ট উইন ম্যাচ খেলতে নামছে ভারত। এখনও পর্যন্ত ভারত এই টুর্নামেন্টে তিনটে ম্যাচ খেলেছে। যার মধ্যে দুটো জিতেছে,আর একটা হেরেছে। বর্তমানে পয়েন্ট টেবিলে ভারত দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। আর বাংলাদেশ রয়েছে ভারতের নীচে। এই ম্যাচে যে জিতবে সে সেমিফাইনালের খুব কাছে পৌঁছে যাবে। কিন্তু  ভারত-বাংলাদেশ (India vs Bangladesh) ম্যাচে দুশ্চিন্তার সবথেকে বড় কারণ হল অ্যাডিলেডের (Adelaide Oval) আকাশ। কয়েকদিন ধরেই আকাশের মুখ ভার অ্যাডিলেডে। মাঝেমাঝেই বৃষ্টি পড়ছে। সঙ্গে ঠান্ডা হাওয়া।  Accuweather-এর রিপোর্ট অনুসারে, ভারতের ম্যাচের দিন অ্যাডিলেডে বৃষ্টির সম্ভাবনা ৬০%। গোটা দিনই আকাশ কালো মেঘে ঢাকা থাকবে। সন্ধ্যায় হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও, রাতে বৃষ্টি বাড়তে পারে। স্থানীয় সময় অনুযায়ী ভারতের এই ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। তখন বৃষ্টি হওয়ার কথা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: গোপনীয়তা কোথায়? হোটেলের ঘরের ভিডিও ভাইরাল, ক্ষুব্ধ বিরাট! ক্ষমা চাইল হোটেল কর্তৃপক্ষ

    অ্যাডিলেডের পিচও ভারতকে চিন্তায় রাখছে। তবে, অ্যাডিলেড ওভালে নামার আগে সাংবাদিক বৈঠকে নিজের ছেলেদের নিয়ে আশাবাদী টিম ইন্ডিয়ার কোচ রাহুল দ্রাবিড়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচে হারের পর লোকেশ রাহুলকে (KL Rahul) প্রথম একাদশের বাইরে রাখার দাবি উঠেছিল। যদিও  মেন ইন ব্লু কোচ জানিয়েছেন, ফর্ম নিয়ে রাহুলের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে। দ্রাবিড় মনে করেন, এই স্বল্প সময়ের মধ্যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক নয়। লোকেশ রাহুলের মতো ক্রিকেটারকে আরও কিছুটা সময় দেওয়া উচিত। দ্রাবিড় বলেন, “রাহুলের কোয়ালিটি ও এবিলিটি সম্পর্কে আমরা অবগত। এই কন্ডিশনে ভালোভাবে মানিয়ে নেওয়ার মতো ক্ষমতা রয়েছে। ওর সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা হয়েছে। কী কথা বলেছি তা বলা সম্ভব নয়। ও খুব ভালোমতো জানে আমরা ওর পাশে রয়েছি। দ্রুত ও রানে ফিরবে।” দীনেশ কার্তিকের পিঠে ব্যাথা মারাত্মক নয় তবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে হয়ত বা কার্তিকের জায়গায় ঋষভ পন্থকে দলে নেওয়া হতে পারে।

    আরও পড়ুন: পিঠের চোটে কাবু কার্তিক! বিশ্বকাপ কি এখানেই শেষ? বাংলাদেশ ম্যাচে পরিবর্তন ভারতীয় দলে

    প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির ঘরের ভিডিও ভাইরাল হওয়া প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, “অবশ্যই গোটা ব্যাপারটা খুবই হতাশাজনক। বিরাটের সঙ্গে দলের বাকি সবাই খুব অবাক। এমন ঘটনা সামনে এলে কেউই স্বস্তিবোধ করবে না। বিরাটের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা তেমনই। বিষয়টা হতাশাজনক হলেও ইতিমধ্যেই হোটেল কর্তৃপক্ষ যাবতীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন। আশাকরি এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না।” বিরাটও এখন স্বাভাবিক। চলতি সিরিজে ছন্দে রয়েছেন কোহলি। বাংলাদেশ ম্যাচেও সেরাটাই দেবে বিরাট আশা দ্রাবিড়ের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • T20 World Cup 2022: পিঠের চোটে কাবু কার্তিক! বিশ্বকাপ কি এখানেই শেষ? বাংলাদেশ ম্যাচে পরিবর্তন ভারতীয় দলে

    T20 World Cup 2022: পিঠের চোটে কাবু কার্তিক! বিশ্বকাপ কি এখানেই শেষ? বাংলাদেশ ম্যাচে পরিবর্তন ভারতীয় দলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটা পরাজয়ে বদলে গেলো পুরো ছবিটাই। ফিল গুড ফ্যাক্টর উধাও ভারতীয় শিবির থেকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার পর অনেকগুলো প্রশ্ন চলে এসেছে সামনে। দীনেশ কার্তিকের বিশ্বকাপ কি এখানেই শেষ? লোকেশ রাহুলের ধারাবাহিক ব্যর্থতার পর ঋষভ পন্থকে কি এবার খেলানোর কথা ভাববেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়? এর উত্তর হয়তো পাওয়া যাবে আগামী দিনে। তবে ভারতীয় দলের উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান দীনেশ কার্তিক যেভাবে পিঠের ব্যথায় কাতরাতে কাতরাতে মাঠ ছেড়েছেন তাতে আশঙ্কার কালো মেঘ ঘনীভূত হয়েছে তাঁকে ঘিরে।

    আরও পড়ুন: সশস্ত্র ও কলমধারী দুই ধরনের নকশালকেই নির্মূল করতে হবে, জানালেন মোদি

    চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফিনিশার হিসেবে দেখা হচ্ছিল কার্তিককে। কিন্তু রবিবার প্রোটিয়াবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রবল চাপের মুখে সূর্য কুমার যাদব যখন অসাধারণ ব্যাটিং করছিলেন, তখন ক্রিজের উল্টোদিকে ছিলেন দীনেশ কার্তিক। শুরুতেই পরপর উইকেট পড়ে যাওয়ায় সেই মুহূর্তে খেলাটা ধরার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু একইসঙ্গে রান রেট সচল রাখাও দরকার ছিল। সূর্য কুমার যাদব মরিয়া চেষ্টা করলেও দীনেশ কার্তিকের খেলায় সেই তাগিদ লক্ষ্য করা যায়নি। মাত্র ছয় রান করতে তিনি খেলেছেন ১৫ টি বল। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠতে শুরু করেছে। প্রাক্তন ক্রিকেটারদের অনেকেই কটাক্ষ করে বলছেন, কার্তিক হয়তো ভুলে গেছে, এটা পার্থের স্টেডিয়াম বেঙ্গালুরু নয়। আসলে দক্ষিণ আফ্রিকার পেশারদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। লোকেশ রাহুল, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলির পাশাপাশি দীনেশ কার্তিকও গুটিয়েছিলেন। তাই কটাক্ষের সুরে অনেকে বলছেন, কার্তিক ফিনিশারের ভূমিকায় দেখা দেওয়ার আগে নিজেই যেন ফিনিশ হয়ে গেল। দীনেশ কার্তিকের চোট কতটা গুরুতর সেটা অবশ্য এখনও ভারতীয় দলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়নি। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারের পর টিম ম্যানেজমেন্ট যে প্রথম একাদশে কিছু পরিবর্তন আনার কথা ভাববে সেটা বলাই বাহুল্য। খুব সম্ভবত পরের ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধেই সেই পরিবর্তন দেখা যেতে পারে।

    আরও পড়ুন: ‘ভুয়ো মিস্টার বিন!’ ম্যাচের পর ট্যুইট-যুদ্ধে পাক, জিম্বাবোয়ের রাষ্ট্রপ্রধানরা

    অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারের জন্য ফিল্ডিংকেই দুষলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন, গুরুত্বপূর্ণ সময় সহজ ক্যাচ মিস এবং রান আউটের সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার কারণেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো গেল না। তিনটি ম্যাচ খেলে ভারতের ঝুলিতে এখন চার পয়েন্ট। রোহিতরা রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে। সম সংখ্যক ম্যাচ খেলে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। একটা গ্রুপ থেকে দুটো দল সেমিফাইনালে উঠবে। ভারতের এখনো খেলা বাকি বাংলাদেশ ও জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে। বাকি দুটি ম্যাচ জিতলে রোহিতরা শেষ চারের টিকিট পাকা করে ফেলবেন। 

  • Team India: রোহিত, বিরাটদের বিশ্রাম দিল বিসিসিআই! নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-২০ ম্যাচে নেতা হার্দিক, একদিনের সিরিজে শিখর

    Team India: রোহিত, বিরাটদের বিশ্রাম দিল বিসিসিআই! নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-২০ ম্যাচে নেতা হার্দিক, একদিনের সিরিজে শিখর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সাদা বলের সিরিজে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলিকে বিশ্রাম দেওয়া হল। বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে লোকেশ রাহুল, দীনেশ কার্তিককেও। কিউইদের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভারতকে নেতৃত্ব দেবেন হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর ডেপুটি ঋষভ পন্থ। দলে ডাক পেয়েছেন সঞ্জু স্যামসন এবং উমরান মালিকও। টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর একদিনের সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে হার্দিককে। ওয়ান-ডে ম্যাচে ভারতের অধিনায়কত্ব সামলাবেন শিখর ধাওয়ান। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ভালো বোলিং এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলার সুবাদে দলে সুযোগ পেয়েছেন বাংলার শাহবাজ আহমেদ। সোমবার নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজের দল ঘোষণা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI)। আগামী ডিসেম্বরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট এবং একদিনের সিরিজ খেলবে ভারত। আগামী ৪ ডিসেম্বর থেকে একদিনের সিরিজ শুরু হবে। তারপর টেস্ট সিরিজ শুরু হবে ১৪ ডিসেম্বর থেকে। চলবে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নিরিখে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুটি টেস্ট ভারতের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি দল: হার্দিক পান্ডিয়া (অধিনায়ক), ঋষভ পন্থ (সহ-অধিনায়ক এবং উইকেটকিপার), শুভমন গিল, ইশান কিষান, দীপক হুডা, সূর্যকুমার যাদব, শ্রেয়স আইয়ার, সঞ্জু স্যামসন (উইকেটকিপার), ওয়াশিংটন সুন্দর, যুজবেন্দ্র চাহাল, কুলদীপ যাদব, আর্শদীপ সিং, হার্ষাল প্যাটেল, মহম্মদ সিরাজ, ভুবনেশ্বর কুমার এবং উমরান মালিক।

    নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে একদিনের দল: শিখর ধাওয়ান (অধিনায়ক), ঋষভ পন্থ (সহ-অধিনায়ক এবং উইকেটকিপার), শুভমন গিল, দীপক হুডা, সূর্যকুমার যাদব, শ্রেয়স আইয়ার, সঞ্জু স্যামসন (উইকেটকিপার), ওয়াশিংটন সুন্দর, শার্দুল ঠাকুর, শাহবাজ আহমেদ, যুজবেন্দ্র চাহাল, কুলদীপ যাদব, আর্শদীপ সিং, দীপক চাহার, কুলদীপ সেন এবং উমরান মালিক।

    ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড সিরিজ

    ১) প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ: ১৮ নভেম্বর (শুক্রবার), ওয়েলিংটন। 

    ২) দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ: ২০ নভেম্বর (রবিবার), বে ওভাল। 

    ৩) তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ: ২২ নভেম্বর (মঙ্গলবার), নেপিয়ার।

    ৪) প্রথম একদিনের ম্যাচ: ২৫ নভেম্বর (শুক্রবার), অকল্যান্ড। 

    ৫) দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচ: ২৭ নভেম্বর (রবিবার), হ্যামিলটন। 

    ৬) তৃতীয় একদিনের ম্যাচ: ৩০ নভেম্বর (বুধবার), ক্রাইস্টচার্চ।

    বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একদিনের দল: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), কেএল রাহুল (সহ-অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি, রজত পতিদার, শ্রেয়স আইয়ার, রাহুল ত্রিপাঠী, ঋষভ পন্থ (উইকেটকিপার), ইশান কিষান (উইকেটকিপার), রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, ওয়াশিংটন সুন্দর, শার্দুল ঠাকুর, মহম্মদ শামি, মহম্মদ সিরাজ, দীপক চাহার এবং যশ দয়াল।

    বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট দল: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), কেএল রাহুল (সহ-অধিনায়ক), শুভমন গিল, চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার, ঋষভ পন্থ (উইকেটকিপার), কেএস ভরত (উইকেটকিপার), রবিচন্দ্রন রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, শার্দুল ঠাকুর, মহম্মদ শামি, মহম্মদ সিরাজ এবং উমেশ যাদব। 

    ভারত বনাম বাংলাদেশ

    বাংলাদেশ সফরের পুরো সূচি –

    ১) প্রথম একদিনের ম্যাচ: ৪ ডিসেম্বর (রবিবার), ঢাকা। 

    ২) দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচ: ৭ ডিসেম্বর (বুধবার), ঢাকা। 

    ৩) তৃতীয় একদিনের ম্যাচ: ১০ ডিসেম্বর (শনিবার), ঢাকা।

    ৪) প্রথম টেস্ট: ১৪ থেকে ১৮ ডিসেম্বর, চট্টগ্রাম। 

    ৫) দ্বিতীয় টেস্ট: ২২ থেকে ২৬ ডিসেম্বর, ঢাকা।

  • French Open Super 750: ফের সাফল্য! প্রথমবারের জন্য সুপার ৭৫০ সিরিজ জয় ভারতীয় তারকা রেড্ডি-শেট্টির জুটির

    French Open Super 750: ফের সাফল্য! প্রথমবারের জন্য সুপার ৭৫০ সিরিজ জয় ভারতীয় তারকা রেড্ডি-শেট্টির জুটির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের আরও একবার জয়ের শিরোপা পেল সাত্ত্বিকসাইরাজ রাঙ্কিরেড্ডি (Satwiksairaj Rankireddy) এবং চিরাগ শেট্টির (Chirag Shetty) জুটি। ফ্রেঞ্চ ওপেন ব্যাডমিন্টন সুপার সিরিজ ৭৫০ (French Open Super 750) জিতলেন ভারতীয় ডাবলস জুটি সাত্ত্বিকসাইরাজ রাঙ্কিরেড্ডি (Satwiksairaj Rankireddy) এবং চিরাগ শেট্টি (Chirag Shetty)। এই প্রথম কোনও ভারতীয় জুটি  ব্যাটমিন্টনের ৭৫০ সুপার সিরিজ জিতেছে। ফলে এবছর তারকা ভারতীয় জুটি রবিবার পুরুষদের ডাবলসের ফাইনালে জয়লাভ করে এক নজির গড়ে তুলেছে। রবিবার রাতে প্রতিযোগিতার ফাইনালে ভারতীয় জুটির প্রতিপক্ষ ছিল চিনা তাইপে জুটি  লু চিং ইয়াও এবং ইয়াং পো হান। ২১-১৩, ২১-১৯ স্ট্রেট গেমে চিনা তাইপে জুটিকে হারিয়ে দেন রেড্ডি-শেট্টি।

    গতকাল রাতের এই খেলাতে প্রথম থেকেই সাত্ত্বিক সাইরাজ রাঙ্কিরেড্ডি এবং চিরাগ শেট্টির শুরুটা বেশ জমকালো করেছিল। প্রথম থেকেই দাপুটে মেজাজে খেলতে শুরু করলে পরে তা শেষপর্যন্ত তা টিকিয়ে যেতে পারে। মাত্র ৪৮ মিনিটে চ্যাম্পিয়নের মুকুট মাথায় ওঠে ভারতীয় জুটির। ম্যাচের শুরুতেই ৫-০ ব্যবধানে লিড পেয়ে যায় ভারতীয় জুটি। এবং পরে প্রতিপক্ষদের স্কোর বাড়ানোর কোনও সুযোগ না দিয়েই রেড্ডি ও শেট্টির জুটি খেলাতে এগিয়ে যায়। সাতটি গেম পয়েন্টের সুযোগ অর্জন করেন চিরাগরা।

    এরপর দ্বিতীয় খেলাতে প্রতিপক্ষ তাইপেই জুটি আক্রমণাত্মক দেখাচ্ছিল তবে পরে তা ম্যাচের শেষপর্যন্ত টিকিয়ে রাখতে পারেনি। পরে রাঙ্কিরেড্ডি এবং চিরাগের জুটি দ্বিতীয় গেমেও দাপুটে পারফরম্যান্স দিতে থাকে ও শেষ পর্যন্ত তাঁদের পরাস্ত করতে সক্ষম হন।

    আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হার ভারতের, সেমিফাইনালের যাওয়া প্রশ্নের মুখে পাকিস্তানের

    এর আগে ২০১৯ সালের সিজনে রানার্স হয়েছিলেন ভারতের ডাবলস জুটি সাত্ত্বিকসাইরাজ রাঙ্কিরেড্ডি এবং চিরাগ শেট্টি। এরপর ইন্ডিয়ান ওপেন সুপার সিরিজ ৫০০-এর শিরোপা পান, কমনওয়েলথ গেমসে সোনা, থমাস কাপের মুকুট এবং গত অগাস্টে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পদক জিতে নেন। এছাড়াও ২০১৯ সালে থাইল্যান্ড ওপেন ৫০০ সুপার সিরিজ, ইন্ডিয়া ওপেন ৫০০ সুপার সিরিজ জেতে ভারতীয় জুটি। এই নিয়ে তৃতীয় ওয়ার্ড ট্যুর জিতল রেড্ডি-শেট্টির জুটি। এই প্রথম কোনও ভারতীয় ডাবলস জুটি ফেঞ্চ ওপেন ব্যাডমিন্টন সুপার সিরিজ ৭৫০ জেতার নজির গড়লেন।

  • India vs South Africa: দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হার ভারতের, সেমিফাইনালের যাওয়া প্রশ্নের মুখে পাকিস্তানের

    India vs South Africa: দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হার ভারতের, সেমিফাইনালের যাওয়া প্রশ্নের মুখে পাকিস্তানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত–দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ নিয়ে ভারতীয় সমর্থকদের তুলনায় পাকিস্তানীদের আগ্রহ বেশি ছিল। কারণ প্রোটিয়া হারলেই পাকিস্তানের সুবিধা হয়ে যেত। সেমিফাইনালে যাওয়ার রাস্তা কিছুটা কন্টকমুক্ত হত। কিন্তু হতাশই হতে হল পাক সমর্থকদের। ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সুপার টুয়েলভে ২ নম্বর গ্রুপে ৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে এল দক্ষিণ আফ্রিকা।

    টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রোহিত শর্মা। যেন নিজেদের পরীক্ষার সামনে ফেলতে চেয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক। প্রথমে ব্যাট করে ভারত তুলেছিল ১৩৩/‌৯। জবাবে ২ বল বাকি থাকতে ১৩৭/‌৫ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েও দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে প্রোটিয়ারা। দুরন্ত ব্যাটিং করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যান এইডেন মার্করাম ও ডেভিড মিলার। শেষ ওভারে নাটক জমে ওঠে। দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের জন্য ৬ বলে দরকার ছিল ৬ রান। ভুবনেশ্বরের প্রথম বলে কোনও রান হয়নি। দ্বিতীয় বলে ১ রান নেন পার্নেল। তৃতীয় বল মিলারের ব্যাটের কানায় লেগে বাউন্ডারি হয়ে যায়। চতুর্থ বল বাউন্ডারি হাঁকিকে দলকে কাঙ্খিত জয় এনে দেন মিলার।

    লুঙ্গি এনগিডি, ওয়েন পার্নেলদের দাপটে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে এদিন বড় রানের টার্গেট রাখতে পারেনি ভারত। যদিও কম রানের পুঁজি নিয়ে লড়াই করে গেলেন ভুবনেশ্বর কুমার, অর্শদীপরা। ভারতীয় বোলারদের দাপটে বেসামাল হয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার টপ অর্ডার। অর্শদীপ প্রথম বলেই ফিরিয়ে দেন কুইন্টন ডিকককে (‌১)‌। ১ বল পরেই ফেরান রিলে রুসোকে (‌০)‌। অর্শদীপের বল তাঁর ভেতরের পায়ে লাগলেও আম্পায়ার আউট দেননি। পরে দীনেশ কার্তিকের পরামর্শে ডিআরএস নেন রোহিত। রিভিউয়ের সিদ্ধান্তে আউট হন। এরপর বাভুমাকে (‌১৫ হলে ১০)‌ তুলে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে চাপে ফেলে দেন সামি।

    অশ্বিনের বলে একবার মার্করামের সহজ ক্যাচ ফেলেন বিরাট কোহলি। সহজ রান আউট রোহিত মিস করায় আরও একবার জীবন পান মার্করাম। শেষ পর্যন্ত ১৬ তম ওভারে জুটি ভাঙেন হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর বলে সূর্যকুমারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মার্করাম। ৪১ বলে ৫২ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে দলের চাপ কাটিয়ে দেন। তাঁর ও ডেভিড মিলারের ৭৬ রানের জুটি দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয়ের দিকে এগিয়ে দেয়।

    [tw]


    [/tw]

    ট্রিস্টান স্টাবস (‌৬)‌ অশ্বিনের বলে আউট হলেও দক্ষিণ আফ্রিকার জয় আটকায়নি। ২ বল বাকি থাকতে দলকে জয় এনে দেন ডেভিড মিলার। ৪৬ বলে ৫৯ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। ২৫ রানে ২ উইকেট নেন অর্শদীপ। দুরন্ত বোলিং করে ১৩ রানে ১ উইকেট নেন সামি। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভারতও এদিন শুরুতে বিপর্যয়ে পড়েছিল। ভারতের টপ অর্ডারে ধস নামিয়েছিলেন লুঙ্গি এনগিডি। প্রথমে তুলে নেন রোহিত শর্মাকে (‌১৪ বলে ১৬)‌। ৪ বল পরেই ফেরান লোকেশ রাহুলকে (‌১৪ বলে ৯)‌। এনগিডির বলে পরপর দুটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে চাপ কাটানোর চেষ্টা করছিলেন কোহলি। শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করে যান এনগিডিই। তাঁর শর্ট ডেলিভারি পুল করতে গিয়ে লং লেগে রাবাডার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন কোহলি (‌১১ বলে ১২)‌। ৪৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে দল বিপর্যয়ে। অক্ষর প্যাটেলের পরিবর্তে প্রথম একাদশে আসা দীপক হুডা (‌০) সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। পরের ওভারেই হার্দিক পান্ডিয়াকে (‌৩ বলে ২)‌ তুলে নিয়ে ভারতের বাটিংকে কফিনবন্দি করে দেন এনগিডি।

    হার্দিক আউট হওয়ার পর ভারতে টেনে নিয়ে যায় সূর্যকুমার যাদব। চাপের মুখে দুরন্ত ব্যাটিং সূর্যকুমারের। ৩০ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ। দীনেশ কার্তিক (‌১৫ বলে ৬) ব্যর্থ। শেষ পর্যন্ত ৪০ বলে ৬৮ রান করে আউট হন সূর্যকুমার। ২৯ রানে ৪ উইকেট নেন এনগিডি। ১৫ রানে ৩ উইকেট পার্নেলের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • T20 World Cup Pak vs Zim: ‘ভুয়ো মিস্টার বিন!’ ম্যাচের পর ট্যুইট-যুদ্ধে পাক, জিম্বাবোয়ের রাষ্ট্রপ্রধানরা

    T20 World Cup Pak vs Zim: ‘ভুয়ো মিস্টার বিন!’ ম্যাচের পর ট্যুইট-যুদ্ধে পাক, জিম্বাবোয়ের রাষ্ট্রপ্রধানরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রিকেটের বাইশ গজে পাকিস্তান ও জিম্বাবোয়ের (Pakistan vs Zimbabwe) লড়াই শেষ হয়ে গেলেও, সোশ্যাল মিডিয়ায় এখনও তপ্ত রয়েছে কথার যুদ্ধ। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে গেছে, যে এই লড়াইয়ের মাঠে অবতীর্ণ হয়েছেন উভয় দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। আর এরই মাঝে কোথাও গিয়ে দুপক্ষের মধ্যে এই বাকবিতণ্ডার মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন ‘মিস্টার বিন’ (Mir Bean)। হ্যাঁ, সেই বিখ্যাত কমিক চরিত্র, যার নাম ভূমিকায় অভিনয় করে বিশ্বখ্যাত হয়েছেন ব্রিটিশ অভিনেতা রোয়ান অ্যাটকিনসন (Rowan Atkinson)।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    চলতি টি-২০ বিশ্বকাপের (T-20 World cup) আসরে বৃহস্পতিবার বড় অঘটন ঘটিয়েছে জিম্বাবোয়ে। রুদ্ধশ্বাস ও লো-স্কোরিং ম্যাচে পাকিস্তানকে মাত্র ১ রানে হারিয়ে দিয়েছে আফ্রিকার এই দেশটি। এরপরই নিজের দেশের দলকে অভিনন্দন জানান জিম্বাবোয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন ডামবুজো মানগাগওয়া। অভিনন্দনমূলক ট্যুইটে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে লেখেন, ‘‘জিম্বাবোয়ের জন্য কী দুর্দান্ত এক জয়! ‘শেভরন’দের (জিম্বাবোয়ে দলের পোশাকী নাম) শুভেচ্ছা। পাকিস্তান যেন এরপরের বার আসল মিস্টার বিন পাঠায়।’’ 

    এর জবাবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ট্যুইট করে লেখেন, ‘‘পাকিস্তানের কাছে প্রকৃত মিস্টার বিন নেই। তবে যে স্পিরিট নিয়ে ক্রিকেট খেলা উচিত, তা পাকিস্তানের রয়েছে। আমরা ঘুরে দাঁড়াতে জানি। জিম্বাবোয়ে সত্যিই ভালো খেলেছে আজ। আপনাকে অভিনন্দন মিস্টার প্রেসিডেন্ট।

    ‘মিস্টার বিন’ বিতর্ক কেন?

    ঘটনার সূত্রপাত ২০১৬ সালে। সে বছর, পাকিস্তানের কমেডিয়ান আসিফ মহম্মদ হারারে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে একটি শো করেছিলেন। আসিফ মোহাম্মদ দেখতে মিস্টার বিন চরিত্রের আসল অভিনেতা রোয়ান অ্যাটকিনসনের মতো। চেহারায় বেশ মিল দুজনের। পরে, সামাজিক মাধ্যমে আসিফের আসল পরিচয় ফাঁস হয়। সেই থেকেই পাকিস্তানের ওপর জিম্বাবোয়ের একটা রাগ জমেছিল। যাতে ঘৃতাহুতি পড়ে বিশ্বকাপের ম্যাচের আগে। 

    জিম্বাবোয়ের মানুষ যে ‘বদলা’-র জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন, তা ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছিল। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) টুইটার হ্যান্ডল থেকে পাকিস্তান খেলোয়াড়দের অনুশীলনের ছবি টুইট করা হয়। সেখানে জিম্বাবোয়ের এক ক্রিকেট অনুরাগী এনগুগি চাসুরা মন্তব্য করেন, ‘‘আমরা জিম্বাবোয়ের মানুষরা তোমাদের কখনও ক্ষমা করব না। তোমরা একবার আমাদের মিস্টার বিনের পরিবর্তে জালি পাকিস্তানি বিনকে পাঠিয়েছিলে। সেটার বদলা নেওয়া হবে। এখন প্রার্থনা করো যাতে বৃষ্টি এসে তোমাদের রক্ষা করতে পারে।’’ 

    অতঃপর, ম্যাচ শেষে জিম্বাবোয়ের রাষ্ট্রপতির ট্যুইট বিষয়টিকে অন্য মাত্রা দেয়। ভারতের প্রাক্তন ওপেনার বীরেন্দ্র শেওয়াগ জিম্বাবোয়ে প্রেসিডেন্টের ট্যুইটকে রিট্যুইট করে লেখেন, ‘‘হা হা হা…প্রেসিডেন্টও মজা করছেন। প্রতিবেশীদের দুর্বল জায়গায় আঘাত।’’

  • T-20 world cup: ‘মানকড়িং’ আউটের পক্ষে সওয়াল হার্দিকের! জানেন কাকে বলে মানকড়িং?

    T-20 world cup: ‘মানকড়িং’ আউটের পক্ষে সওয়াল হার্দিকের! জানেন কাকে বলে মানকড়িং?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মানকড়িং’ আউট নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন ভারতীয় দলের অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। তিনি বলেছেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে মানকড়িং আউট নিয়ে আমার কোনও আপত্তি নেই। কারণ এটা ক্রিকেট আইনেই আছে। নন স্ট্রাইকার এন্ডের ব্যাটসম্যান যদি ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যায় তাহলে বোলার তাকে রান আউট করতেই পারে। এতে অন্যায় কিছু দেখছি না। আমার ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটলে সোজা মাঠ থেকে বেরিয়ে যাব। এক্ষেত্রে বোলারের কোনও দোষ নেই। বরং দোষটা আমারই। কারণ আমি ক্রিকেটের নিয়মের তোয়াক্কা করিনি। বোলার ডেলিভারি রিলিজ করার আগেই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়াটা অন্যায়। তাই ব্যাটসম্যানকে রান আউট করাটা অন্যায় নয়।’

    আরও পড়ুন: হটস্টারের ভিউয়ার্সে রেকর্ড! ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে আবেগ -উন্মাদনায় ভাসল ক্রীড়াপ্রেমীরা

    টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত পাকিস্তান ম্যাচে মানকড়িং এর সুযোগ পেয়েছিলেন মহম্মদ শামি। তিনি ডেলিভারি রিলিজ করার আগেই ক্রিজ থেকে অনেকটা বেরিয়ে গিয়েছিলেন এক পাক ব্যাটসম্যান। শামি চাইলেই তাঁকে রান আউট করতেই পারতেন। এই দৃশ্য সামনে আসার পরই হার্দিককে এই প্রশ্ন ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। ভারতীয় অলরাউন্ডারটির কথাতে এটা স্পষ্ট যে, ক্রিকেটের স্পিরিট নিয়ে যতই কথা বলা হোক ব্যাটসম্যানের অন্যায় কখনওই সমর্থনযোগ্য নয়। যাঁরা এই ধরনের আউট নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাঁদের সমালোচনাই করেছেন হার্দিক। বুঝিয়ে দিয়েছেন, সুযোগ পেলে তিনিও এই উপায় অবলম্বন করবেন ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে। তাঁর কথায়, ‘ক্রিকেটে স্পিরিট নিয়ে যাঁরা এত কথা বলছেন তাঁরা নিয়মটা ফলো করছেন না কেন? তাহলে তো কোনও সমস্যাই হয় না। আর এই ধরনের আউট যদি এতই অক্রিকেটীয় সুলভ হয়ে থাকে, তাহলে তো নিয়মটাই বদলে ফেলা উচিত।’

    আরও পড়ুন: কোহলির বদলে কোনও পাক ক্রিকেটার হলে ম্যাচটা হেরে যেত! বিরাট স্বীকারোক্তি কামরান আকমলের

    উল্লেখ্য, এই আউটের জনক প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার বিনু মানকড়। ১৯৪৭ সালে প্রথম তিনি এই ধরনের আউট করেছিলেন। তারপর থেকে নন স্ট্রাইকার এন্ডের ব্যাটসম্যান ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর বোলার যদি রান আউট করেন, তাহলে সেটাকে ‘মানকড়িং’ আউট বলা হয়ে থাকে। সম্প্রতি বিনু মানকড়ের পরিবার এর প্রতিবাদ জানান। যার পরিপ্রেক্ষিতে আইসিসি এটাকে শুধুই রান আউট তকমা দেয়। আইপিএলে অশ্বিন আউট করেছিলেন বাটলারকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • T-20 world cup: কোহলির বদলে কোনও পাক ক্রিকেটার হলে ম্যাচটা হেরে যেত! বিরাট স্বীকারোক্তি কামরান আকমলের

    T-20 world cup: কোহলির বদলে কোনও পাক ক্রিকেটার হলে ম্যাচটা হেরে যেত! বিরাট স্বীকারোক্তি কামরান আকমলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে যে পরিস্থিতিতে থেকে বিরাট কোহলি ম্যাচ জিতিয়েছে, সেখানে পাকিস্তানের ক্ষেত্রে অন্য ক্রিকেটার হলে  ৩০-৪০ রানে হারত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে কোহলির ইনিংসের ভূয়সী প্রশংসা করলেন কামরান আকমল। সঙ্গে বাবর আজমদের খোঁচা দিতেও ছাড়লেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটারটি।

    ঘোর এখনো কাটেনি ক্রিকেট বিশ্বের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T-twenty World Cup) আসরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলির (Virat Kohli) ম্যাচ জেতানো ইনিংস নিয়ে চর্চা অব্যাহত। গত রবিবার মেলবোর্নে এক রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে পাকিস্তানকে চার উইকেটে হারায় ভারত। জয়ের জন্য টিম ইন্ডিয়ার (Team India) প্রয়োজন ছিল ১৬০ রান। কিন্তু শুরুতেই রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল, সূর্য কুমার যাদবরা ডাগ আউটে ফিরে যান।

    আরও পড়ুন: হটস্টারের ভিউয়ার্সে রেকর্ড! ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে আবেগ -উন্মাদনায় ভাসল ক্রীড়াপ্রেমীরা

    দলের হাল ধরেন বিরাট কোহলি। হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে যোগ করেন ১১৩ রান। এই পার্টনারশিপি পাকিস্তানকে লড়াই থেকে ছিটকে দেয়। শেষ তিন ওভারে দুর্ধর্ষ ব্যাটিং করেন কোহলি। ঠান্ডা মাথায় কিভাবে শত্রুর ডেরায় সফল হামলা চালানো সম্ভব তা দেখিয়ে দিয়েছেন ভিকে। তার সেই অসাধারণ ইনিংসের প্রশংসা শোনা গিয়েছে, পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটারদের মুখে। কোহলিকে ভিনগ্রহের ক্রিকেটার রূপে তুলে ধরেছিলেন ওয়াসিম আক্রাম। এবার বাবর আজমদের খোঁচা দিয়ে পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার কামরান আকমল বলেছেন, ‘ভারতকে যে পরিস্থিতিতে থেকে বিরাট কোহলি ম্যাচ জিতিয়েছে, সেখানে পাকিস্তানের ক্ষেত্রে অন্য ক্রিকেটার হলে  ৩০-৪০ রানে হারত। আমরা ওই চাপটা নিতেই পারতাম না। কোহলির এই ইনিংস বুঝিয়ে দিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটে ওই আসল রাজা। আমাদের বড় ক্রিকেটারদের বলবো সবাই যেন কোহলির এই ব্যাটিং বারবার দেখে। অনেক কিছু শেখার রয়েছে। চাপের মুখে মাথা ঠান্ডা রেখে কিভাবে কঠিন ম্যাচ বের করতে হয় সেটা দেখিয়ে দিল বিরাট কোহলি। ১৯ তম ওভারে রউফের বলে ব্যাক ফুটে ও যে ছক্কাটা মেরেছে তা সবার পক্ষে সম্ভব হবে না। ওটা বিরাট বলেই পেরেছে। ও কত বড় ব্যাটসম্যান সেটা আমরা আবার দেখতে পেলাম।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • T-20 World Cup: প্র্যাকটিস সেরে মিলল না গরম খাবার! তারপর কী করলেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা?

    T-20 World Cup: প্র্যাকটিস সেরে মিলল না গরম খাবার! তারপর কী করলেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্র্যাকটিস শেষে ঠিকমতো খাবার না পেয়ে ফিরে আসতে হল হোটেলে। বিরক্ত ভারতীয় ক্রিকেটাররা। টি ২০ বিশ্বকাপে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে মঙ্গলবার অনুশীলন করে ভারতীয় দল। মঙ্গলবার প্র্যাকটিসে হার্দিক পান্ডিয়া, সূর্যকুমার যাদব, অক্ষর প্যাটেল-সহ সব ফাস্ট বোলারদের বিশ্রাম দেয়া হয়েছিল। বাকি ভারতীয় প্লেয়াররা কয়েকঘণ্টা ধরে কঠোর অনুশীলন করেন। এরপর তাঁরা খাবার টেবিলে গিয়ে দেখেন সেখানে স্যান্ডউইচ ও ফল রাখা রয়েছে। স্যান্ডউইচ ঠান্ডা। ঐচ্ছিক অনুশীলনের শেষে মধ্যাহ্নভোজ সারতে গিয়ে এই ধরনের খাবার দেখে অসন্তুষ্ট হন ক্রিকেটাররা। অনেকেই ঠিক করেন, হোটেলে ফিরে কিছু খাবেন।

    এ প্রসঙ্গে বিসিসিআইয়ের (BCCI) এক কর্তা জানান, ক্রিকেটাররা খাবার বয়কট করেননি, কয়েকজন ফল খান। কিন্তু সকলেরই বক্তব্য ছিল, মধ্যাহ্নভোজের সময় হয়ে গিয়েছে। তাই তারা হোটেলে ফিরেই খাবেন। তিনি বলেন, “আসলে আইসিসি গরম খাবারের ব্যবস্থা করছে না। দ্বিপাক্ষিক সিরিজের সময় অন্য দেশের বোর্ড ক্রিকেটারদের জন্য গরম ভারতীয় খাবার রাখে। কিন্তু আইসিসি সব দেশের প্লেয়ারদের জন্য একই খাবার রাখে। কিন্তু দুই ঘণ্টা ধরে মাঠে কঠোর অনুশীলনের পর শসা, টমেটো এবং অ্যাভাকেডো দিয়ে ঠাণ্ডা স্যান্ডউইচ নিঃসন্দেহে যথেষ্ট খাবার নয়।”

    আরও পড়ুন: হটস্টারের ভিউয়ার্সে রেকর্ড! ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে আবেগ -উন্মাদনায় ভাসল ক্রীড়াপ্রেমীরা

    বোর্ড সূত্রে খবর, নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে আজ, বুধবার ভারতীয় দল অনুশীলন করবে না। সেটাও বাধ্য হয়ে।  আইসিসি ভারতের প্র্যাকটিসের বন্দোবস্ত করেছিল ব্ল্যাকটাউনে। যেটা টিম হোটেল থেকে ৪২ কিলোমিটার দূরে। বৃহস্পতিবার সিডনিতে দুটি ম্যাচ রয়েছে। ভারত বনাম নেদারল্যান্ডস ম্যাচের পাশাপাশি রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ। দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের প্র্যাকটিস সেশন কাল সিডনি ক্রিকেটে গ্রাউন্ডে রাখা হলেও ভারতকে কেন এত দূরে প্র্যাকটিসে যেতে বলা হলো তা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলছেন। এর আগে হোটেল নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ভারতীয় প্লেয়াররা। প্র্যাকটিস ম্যাচ চলার সময় অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানকে পাঁচ তারা হোটেলে রাখা হয়। ভারতীয় টিমকে রাখা হয়েছিল চার তারা হোটেলে। তা নিয়েও ক্ষোভ ছিল ভারতীয় দলের।

LinkedIn
Share