Category: খেলা

Get updates on Sports News Cricket, Football, Tennis, from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Kalyan Chaubey: এই প্রথম, কোনও ফুটবলারের হাতে ভারতীয় ফুটবলের দায়িত্ব! বাইচুংকে হারিয়ে সভাপতি কল্যাণ চৌবে

    Kalyan Chaubey: এই প্রথম, কোনও ফুটবলারের হাতে ভারতীয় ফুটবলের দায়িত্ব! বাইচুংকে হারিয়ে সভাপতি কল্যাণ চৌবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যাশা মতোই সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচিত হলেন কল্যাণ চৌবে। ৩৩-১ ভোটের ব্যবধানে তিনি হারালেন বাইচুং ভুটিয়াকে। দুই প্রাক্তন ফুটবলারের লড়াই যে একপেশে হতে চলেছে, তা বোঝাই যাচ্ছিল। কারণ, রাজ্য ফুটবল সংস্থার অধিকাংশ প্রতিনিধি আগেভাগেই কল্যাণ চৌবেকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। পরাজয় নিশ্চিত জেনেও পিছিয়ে আসেননি বাইচুং। বরং তিনি ভেবেছিলেন, আইকন ইমেজকে কাজে লাগিয়ে মাঠের মতোই ফুটবল রাজনীতিতে বড় চমক দেবেন। কিন্তু সেটা হল না।

    মজার ব্যাপার হল, উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিও বাইচুংকে ভোট দেননি। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ককে তাঁর নিজের রাজ্য সংস্থা সিকিমই সমর্থন করেনি। তিনি লড়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশ ফুটবল সংস্থার হয়ে। সমর্থন করেছিল রাজস্থান ফুটবল সংস্থা।  সহ-সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন এন এ হ্যারিস। ২৯-৫ ভোটের ব্যবধানে তিনি পরাস্ত করেছেন মানবেন্দ্র সিংকে। আর কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন অজয় কিপা। তিনি ৩২-১ ভোটে কোসারাজু গোপালাকৃষ্ণাকে হারিয়েছেন।

    এআইএফএফ-এর ৮৫ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও প্রাক্তন ফুটবলার সভাপতি পদে বসতে চলেছেন। প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির পর আবার এআইএফএফ-এর শীর্ষপদে এক বাঙালিকে দেখা যেতে চলেছে। কল্যাণ চৌবে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের দায়িত্ব পাওয়ায় তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    গত শতাব্দীর শেষের দশকে ভারতীয় ফুটবলে খ্যাতনামা ছিলেন কল্যাণ চৌবে। ১৯৯৫-এ টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমি থেকে গ্র্যাজুয়েট হন তিনি। তৃণমূল স্তর থেকে উঠে এসে শুরু করেন পেশাদার পর্যায়ে ফুটবল খেলা। গোলকিপার হিসাবে ধীরে ধীরে খ্যাতি পেতে শুরু করেন। ১৯৯৭-৯৮ এবং ২০০১-০২ সালে ‘ভারতের সেরা গোলকিপারের’ পুরস্কার পান।

    আরও পড়ুন: সূর্যের তেজকে কুর্নিশ কোহলির! দুবাইয়ের বাইশগজে ছক্কার বন্যা

    ফুটবল ছাড়ার পর প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যোগ দেন কল্যাণ। তিনি গত লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে বিজেপির টিকিটে লড়াই করে হেরেছিলেন। এআইএফএফ-এর নির্বাচনে কল্যাণ দাঁড়িয়েছিলেন গুজরাত রাজ্য সংস্থার হয়ে, যে রাজ্যের বাসিন্দা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কল্যাণ নিজেও বঙ্গ বিজেপির সক্রিয় সদস্য। ফলে রাজনৈতিক ভাবে সমস্ত সমর্থন ছিল তাঁর দিকেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Asia Cup 2022: রোহিতকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য পাক প্রাক্তন ক্যাপ্টেন মহম্মদ হাফিজের, যোগ্য জবাব দিলেন নেটিজেনরা

    Asia Cup 2022: রোহিতকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য পাক প্রাক্তন ক্যাপ্টেন মহম্মদ হাফিজের, যোগ্য জবাব দিলেন নেটিজেনরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপের (Asia Cup 2022) পর পর দুটি ম্যাচে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল (Indian Cricket Team)। সুপার ফোরেও (Super Four) জায়গা করে নিয়েছেন তাঁরা। রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) নেতৃত্বে দারুণ ফর্মে রয়েছে ভারতীয় দল। তাঁরা এখনও একটিও টি-টোয়েন্টি সিরিজ (T-20 Series) হারেননি। আবার আজকেই অর্থাৎ ৪ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ফের মুখোমুখি হবে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান (INDvsPAK)।

    কিন্তু এই অবস্থায় পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন মহম্মদ হাফিজ (Mohammad Hafeez) তাঁর খেল দেখাতে শুরু করেছেন। তিনি ভারতীয় দলের ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মাকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করে বসেন। আর তাঁর মন্তব্যের জেরে তাঁকে নেটিজেনদের কাছেও অনেক কটাক্ষের শিকার হয়। শুধুমাত্র তাই নয়, হাফিজ তাঁর এই মন্তব্যের কারণে সবার কাছে হাসির পাত্র হয়ে উঠেছেন।

    মহম্মদ হাফিজ ট্যুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করে বলেন, “ম্যাচ জেতার পর রোহিত শর্মার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখেছেন? জেতার পরও তাঁর প্রতিক্রিয়া দেখেছেন? এশিয়া কাপে হংকং-এর বিরুদ্ধে খেলতে ও টস করতে যাওয়ার সময় রোহিতকে ভীত ও বিভ্রান্ত লাগছিল। আগের রোহিত শর্মাকে আমি আর দেখতে পাচ্ছি না। রোহিত শর্মার পক্ষে বেশিদিন ভারতকে নেতৃত্ব দেওয়া সম্ভব নয়।“

    আরও পড়ুন: বদলার ম্যাচ পাকিস্তানের! জিতে ফাইনালে যাওয়াই লক্ষ্য টিম ইন্ডিয়ার

    হাফিজ আরও বলেন, ”আমার মনে হয় তাঁর অধিনায়কত্বের কারণে তাঁর ওপর অনেক চাপ বেড়েছে। তাই ওনাকে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আমি রোহিতকে সবসময় ক্রিকেটটা উপভোগ করতে দেখেছি। কিন্তু এখন অনেকটা চাপে থাকে বলে মনে হয়।“

    হাফিজের এমন মন্তব্যের পরেই নেটিজেনরাও তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। একের পর এক কমেন্ট আসে তাঁর এই মন্তব্যের পর। আর হাফিজকে অনেক নেটিজেনরাই ভালো করে বুঝিয়ে দেন যে, কেন রোহিতকে চিন্তিত দেখাচ্ছিল ও কেন হংকং কে হারানোর পরে তাঁর প্রতিক্রিয়া তেমন ছিল। নেটিজেনদের মধ্যে কেউ লিখেছেন, ‘কেন রোহিতকে হংকং-এর বিরুদ্ধে খুশি লাগছিল না কারণ হংকং- কে হারানো পাকিস্তানের জন্য অসম্ভব হতে পারে কিন্তু ভারতের জন্য নয়।‘

    অন্য একজন বলেন, ‘শেষ ২/৩ ওভারে ভারত যেভাবে খুব বেশি বাউন্ডারি দিয়েছে তাতে তিনি অসন্তুষ্ট ছিলেন। আপনি এটিকে নেতিবাচকভাবে নিয়েছেন।‘

    আরেকজন বলেছেন, ‘আপনি তার গতি এবং অভিপ্রায় সম্পর্কে কথা বলছেন? গত বিশ্বকাপ থেকে তার স্ট্রাইক রেট ১৫০-এর বেশি। বডি ল্যাঙ্গুয়েজ না দেখে স্ট্রাইক রেট দেখুন।‘

    আরও নেটিজেনরা কমেন্ট করে বলেছেন…

  • Asia Cup 2022: ৫ দিনে তিনটে ম্যাচ রোহিতদের! সুপার ফোরে কবে কার বিরুদ্ধে খেলবে ভারত?

    Asia Cup 2022: ৫ দিনে তিনটে ম্যাচ রোহিতদের! সুপার ফোরে কবে কার বিরুদ্ধে খেলবে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan)। এশিয়া কাপ ২০২২ (Asia Cup 2022) শুক্রবার হংকংকে হারিয়ে পাকিস্তান উঠতেই সুপার ফোরের ক্রীড়াসূচি মেনে রবিবারই ফের হাই ভোল্টেজ ম্যাচ। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান জয় শাহ (Jay Shah) জানেন, এশিয়ান ক্রিকেটের ইউএসপি হল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। তাই জমজমাট রবিবারের পরিকল্পনা করে রেখেছেন তিনি। শুধু বাইশ গজে নিজেদের ঠিকঠাক মেলে ধরতে পারলেই ফের পরের বরিবারও এশিয়া কাপের ফাইনালে লড়াই হতে পারে বাবর-রোহিতদের। 

    শনিবার থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে সুপার ফোরের খেলা। সুপার ফোরে প্রথম ম্যাচে শারজায় আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলবে শ্রীলঙ্কা। রবিবার মহারণে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান। পাঁচ দিনে তিনটি ম্যাচ খেলতে হবে টিম ইন্ডিয়াকে। ৪ সেপ্টেম্বরের পর ৬ সেপ্টেম্বর মহম্মদ নবির আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে নামবে ভারত। ৮ সেপ্টেম্বর খেলবে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। ৭ সেপ্টেম্বর শারজায় শ্রীলঙ্কা মুখোমুখি হবে পাকিস্তানের। ৯ সেপ্টেম্বর সুপার ফোরের শেষ খেলায় মুখোমুখি হবে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান।

    আরও পড়ুন: রবিবার ফের মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান, বাংলাদেশকে হারিয়ে ‘নাগিন ডান্স’ শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের!

    চলতি টুর্নামেন্টে প্রথম দেখাতে টিম ইন্ডিয়ার কাছে হারতে হয়েছে পাকিস্তানকে। তবে এবার লড়াইয়ের আগে রোহিত শর্মাদের সতর্কবার্তা দিয়ে রাখলেন পাক ওপেনার মহম্মদ রিজওয়ান। হংকংয়ের বিরুদ্ধে ৫৭ বলে ৭৮ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেছেন রিজওয়ান। এদিন তিনি জানান, টুর্নামেন্টে একটা হারে দমে যায়নি পাকিস্তান। তিনি বলেন, যে কোনও লড়াইয়ের জন্য তাঁরা প্রস্তুত। সতর্কতার সুরে পাক ওপেনার বলেন, “ভারত-পাক ম্যাচে একটা আলাদা চাপ থাকেই। গোটা বিশ্ব এই লড়াই দেখার অপেক্ষায় থাকে। পাকিস্তানও আত্মবিশ্বাসী। যে কোনও প্রতিপক্ষের সম্মুখীন হতে আমরা তৈরি।”

    ভারতকে হুঁশিয়ারি দিলেও পেসার শাহিন আফ্রিদির না খেলাটা বড় ক্ষতির মনে করেন রিজওয়ান। হাত ঘুরিয়ে নাসিম নজর কাড়লেও আফ্রিদির শূণ্যস্থান পূরণ করা কঠিন, বলেই অভিমত পাক ওপেনারের। তবে, যাই হোক রবিবার ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে মরিয়া ওয়াঘার ওপারের দল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • AIFF meeting in Kolkata: প্রধানমন্ত্রী মোদির আগ্রহ দেখে খুশি ফিফা সভাপতি, জানালেন এআইএফএফ প্রেসিডেন্ট কল্যাণ চৌবে

    AIFF meeting in Kolkata: প্রধানমন্ত্রী মোদির আগ্রহ দেখে খুশি ফিফা সভাপতি, জানালেন এআইএফএফ প্রেসিডেন্ট কল্যাণ চৌবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফুটবল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) আগ্রহ এবং উৎসাহ দেখে খুশি ফিফা (FIFA) প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনো। ফোন করে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (All India Football Federation) নতুন সভাপতি কল্যাণ চৌবেকে (Kalyan Chaube) এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। এআইএফএফ-এর নয়া সভাপতি হওয়ার জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কল্যাণকেও। এ প্রসঙ্গে কল্যাণ বলেন, “তিনি আমাকে ফোন করে দোহা, জুরিখ অথবা প্যারিসে দেখা করতে বলেছেন। আমি জানিয়েছি দেখা করার আগে এআইএফএফ (AIFF) নিজেদের মধ্যে বৈঠক করতে চায়। আমরা কী করে ভারতীয় ফুটবলকে আর্থিক ও বাকি দিক থেকে এগিয়ে নিতে পারি তা দেখব। আগে সমস্যা বুঝব, তারপর আপনার সঙ্গে দেখা করব।” কল্যাণের মতে, “ফুটবল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহ দেখে খুশি ফিফা সভাপতি।”    

    আকাশকুসুম স্বপ্নে ভাসতে চান না নতুন সভাপতি কল্যাণ চৌবে। আগামী আট বছরে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলবে ভারত এই অলীক স্বপ্ন ফেরিও করতে চান না। বাস্তবের মাটিতে পা দিয়ে, ধীরে চলো নীতিতে ভারতীয় ফুটবলকে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিতে চান নয়া সভাপতি। ফিফার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই নির্বাচনের মাধ্যমে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়াকে ৩৩-১ ভোটে হারিয়ে এআইএফএফ প্রেসিডেন্ট হয়েছেন কল্যাণ।

    আরও পড়ুন: এই প্রথম, কোনও ফুটবলারের হাতে ভারতীয় ফুটবলের দায়িত্ব! বাইচুংকে হারিয়ে সভাপতি কল্যাণ চৌবে

    নতুন সভাপতি স্পষ্ট জানালেন,”অবাস্তব প্রতিশ্রুতি’ দেব না। আমরা আপনাদের স্বপ্ন বিক্রি করব না। আমরা বলব না যে আমরা এতগুলো অ্যাকাডেমি গড়েছি এবং আট বছরের মধ্যে বিশ্বকাপ খেলব। আমার জীবনে আমি একশোর বেশি অ্যাকাডেমির উদ্বোধনে গিয়েছি এবং সেই সমস্ত অ্যাকাডেমিতে বলা হয়, বাচ্চারা আট বছরের মধ্যে বিশ্বকাপ খেলবে। কিন্তু বাস্তবে এইভাবে  হয় না। আমরা কোনও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি না তবে বলতে পারি, বর্তমান অবস্থা থেকে ভারতীয় ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যাব। কতটা এগোব তা দেখা যাবে। কিন্তু আমরা মিথ্যে স্বপ্ন দেখাতে চাই না।” 

    ফুটবলের শহর কলকাতাতেই হবে ভারতীয় ফুটবলের নতুন কর্মসমিতির প্রথম বৈঠক, জানান কল্যাণ। আগামী বুধবারের মধ্যে স্বল্পমেয়াদী একটি পরিকল্পনা সামনে রাখতে চান তিনি। আগামী ১৭-১৮ সেপ্টেম্বর নবনির্বাচিত কর্মসমিতির প্রথম বৈঠক হবে কলকাতায়। কল্যাণ জানিয়েছেন, সভাপতি হলেও নিজে একা নন, সবাইকে নিয়েই সিদ্ধান্ত নিতে চান তিনি। ভারতীয় ফুটবলের উন্নতিতে বিশিষ্ট ফুটবলারদের  মতামত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। তিনি বাইচুংকেও এক্সিকিউটিভ কমিটিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। বলেন, “বাইচুং ভুটিয়া ভারতীয় ফুটবলে যা দিয়েছেন, তা খুব কম মানুষই দিয়েছেন। আমরা ওকে স্বাগত জানাই।”  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Asia Cup 2022: বদলার ম্যাচ পাকিস্তানের! জিতে ফাইনালে যাওয়াই লক্ষ্য টিম ইন্ডিয়ার

    Asia Cup 2022: বদলার ম্যাচ পাকিস্তানের! জিতে ফাইনালে যাওয়াই লক্ষ্য টিম ইন্ডিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপার সানডে। এশিয়া কাপের সুপার ফোরে মুখোমুখি চির প্রতিদ্বন্দ্বি ভারত-পাকিস্তান। সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই ভারতকে হারিয়ে বদলার ম্যাচ বাবরদের। শান্ত থেকে, সেরাটা দিয়ে নিজেদের চ্যাম্পিয়ন প্রমাণ করতে মরিয়া রোহিতরা। এই ম্যাচ মানেই আলাদা উত্তেজনা, বাড়তি উৎসাহ। সম্মানের লড়াইও বটে। দু’দেশের সমর্থকরাই এই ম্যাচে জয়কে প্রাধান্য দেন। 

    দু’দলেই চোট আঘাতের সমস্যা রয়েছে। তবে এটা খেলার অঙ্গ বলে মনে করছে দুই শিবিরই। চোটের জন্য দলের সেরা বোলার শাহিন আফ্রিদিকে এশিয়া কাপে পায়নি পাকিস্তান। পরে চোট পেয়ে স্কোয়াড থেকে ছিটকে যান মহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র। এবার ভারতের বিরুদ্ধে সুপার ফোরের ম্যাচের আগে চোটের জন্য দল থেকে ছিটকে গেলেন শাহনওয়াজ দাহানি।আফ্রিদিদের অনুপস্থিতিতে পেস বোলিং বিভাগে দাহানির উপর অনেকটাই নির্ভর করছিল পাকিস্তান। কেরিয়ারে মোটে ৪টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ খেলা শাহনওয়াজের ব্যাটের হাতটাও মন্দ নয়। শনিবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফে দাহানির চোটের কথা জানানো হয়। শাহনওয়াজের বদলে হাই-প্রোফাইল ম্যাচে পাকিস্তানের প্রথম একাদশে ঢুকে পড়তে পারেন অভিজ্ঞ পেসার হাসান আলি।

    আরও পড়ুন: পাকিস্তান ম্যাচের আগে ফুরফুরে মেজাজে রোহিত-কোহলিরা! জাদেজার অভাব টের পাবে ভারত ?

    অন্যদিকে, চোটের জন্য এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গিয়েছেন ভারতের তারকা অল-রাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুপার ফোরের ম্যাচে ভারতকে তাদের প্লেয়িং ইলেভেনে রদবদল করতেই হবে। জাদেজার বদলে অক্ষর প্যাটেল, রবিচন্দ্রন অশ্বিন বা রবি বিষ্ণোইয়ের মধ্যে কোনও একজনকে খেলাতে পারে ভারত। ব্যাটের হাত ভালো বলে অক্ষর বা অশ্বিনের মধ্যে একজন থাকতে পারেন। বাঁ-হাতি স্পিনার রাখতে চাইলে অক্ষর ঢুরবেন। অন্যদিকে হংকং ম্যাচে বিশ্রামে থাকা হার্দিক পান্ডিয়া যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মেগা ম্যাচে দলে ফিরবেন, এটা অবশ্যম্ভাবী।

    ভারতের সম্ভাব্য একাদশ: রোহিত শর্মা (ক্যাপ্টেন), লোকেশ রাহুল (ভাইস ক্যাপ্টেন), বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, দীনেশ কার্তিক/ঋষভ পন্ত (উইকেটকিপার), অক্ষর প্যাটেল/রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ভুবনেশ্বর কুমার, আবেশ খান, যুজবেন্দ্র চাহাল ও অর্শদীপ সিং।

    ম্যাচ শুরু: সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়, দেখা যাবে স্টার স্পোর্টসে

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • AIFF and BCCI: বাজিমাত বাংলার! ভারতীয় ফুটবল ও ক্রিকেটের মসনদে দুই বাঙালির দাপট

    AIFF and BCCI: বাজিমাত বাংলার! ভারতীয় ফুটবল ও ক্রিকেটের মসনদে দুই বাঙালির দাপট

    ঈষিকা বন্দ্যোপাধ্যায়: ‘হোয়াট বেঙ্গল থিংক্স টুডে, ইন্ডিয়া উইল থিংক টুমরো’। গোপাল কৃষ্ণ গোকলের সেই বহু চর্চিত উক্তি আজ ভারতীয় ক্রীড়াক্ষেত্রে ভীষণভাবে প্রযোজ্য। বহু বছর পর দেশের দুই জনপ্রিয় ক্রীড়া সংগঠনের শীর্ষপদে দুই বঙ্গসন্তান। ২০১৯ সালে বিসিসিআই (BCCI) সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। কয়েকদিন আগেই সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (AIFF) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কল্যাণ চৌবে (Kalyan Chaubey) । তাঁর কাছে পরাজিত হওয়ার পর ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়া ফেডারেশনের নির্বাচনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেছেন। যদিও তার কোনও সারবত্তা নেই বলে দাবি বিভিন্ন রাজ্য ফুটবল সংস্থার কর্তাদের। তাঁদের যুক্তি, যদি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হয়, তাহলে সহ-সভাপতি অন্য কেউ হতেন। আসলে কল্যাণ চৌবেকেই দিল্লির ফুটবল হাউসের মসনদে চেয়েছেন অধিকাংশ রাজ্য। তাই সভাপতি পদে তিনি ৩৩-১ ব্যবধানে বাইচুংকে হারিয়েছেন কল্যাণ।

    অতীতেও বিসিসিআই কিংবা এআইএফএফের সভাপতি পদে একই সময়ে পাওয়া গিয়েছে বাংলার দুই প্রতিনিধিকে। ১৯৮৯ সালে বিশ্বনাথ দত্ত হয়েছিলেন বোর্ড সভাপতি। সেই সময় ফেডারেশনের শীর্ষপদ অলঙ্কৃত করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সী। তিনি ১৯৮৮-২০০৮, একটানা দায়িত্ব সামলেছিলেন। সেই সময় কালেই সিএবি থেকে বিসিসিআই সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন জগমোহন ডালমিয়াও। একটানা না হলেও, ডালমিয়া কিন্তু ধাপে ধাপে বেশ কয়েকবার বোর্ড সভাপতি এবং আইসিসি প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভারতীয় ক্রিকেটে আর্থিক জোয়ার আনার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ছিল ‘জগু’দার। একাধিক বিশ্বমানের টুর্নামেন্ট আয়োজনের পাশাপাশি ক্রিকেটকে বানিজ্যিকরণের ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির আমলেও ভারতীয় ফুটবল নানাভাবে উপকৃত হয়েছিল।

    ২০০৯ সালে প্রফুল্ল প্যাটেল দায়িত্ব নেওয়ার পর সেই অর্থে ভারতীয় ফুটবল আর এগোয়নি। বরং কিছু সাগরেদদের নিয়ে ভারতীয় ফুটবলের মসনদ দখলে রেখেছিলেন তিনি। আর তার বিরুদ্ধই বার বার সোচ্চার হয়েছিলেন প্রাক্তন ফুটবলাররা। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায় মামলা। এক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করতে হয় দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও (Narendra Modi)। ভারতীয় ফুটবলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ফিফা (FIFA)। প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্র সরকারের হস্তক্ষেপে বিষয়টির মীমাংসা হয়। এক্ষেত্রে কল্যাণ চৌবের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা ঠিক খেলা ছাড়ার পর তিনি প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে এসেছেন। বিজেপির টিকিটে নির্বাচনে লড়েছেন। কিন্তু কখনওই তিনি রাজনীতি ও ফুটবলকে এক করে ফেলার চেষ্টা করেননি।

    কল্যাণ ঘনিষ্ঠ এক প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবলারের কথায়, ‘ও চাইলে বিজেপির শীর্ষ নেতাদের বলে ফেডারেশনের সভাপতি পদ থেকে আগেই প্রফুল্ল প্যাটেলকে সরিয়ে দিতে পারত। কিন্তু সেটা করেনি। আইনি পথে লড়েছে। জয়ও পেয়েছে। বরং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট মন্ত্রী অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানানো উচিত আমাদের। তাঁরা চাইলে, প্রফুল্ল প্যাটেলের মতো কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে ফেডারেশনের সভাপতি করতে পারতেন। কিন্তু সেটা করেননি। বরং ফুটবলের প্রশাসনে কল্যাণের মতো প্রাক্তন ফুটবলারকেই তারা সমর্থন করেছেন। না হলে তো আমরা কোনও বঙ্গসন্তানকে এই পদে দেখতে পেতাম না।’

    অনেকে বলে বিজেপি বাংলা বিরোধী, কিন্তু সে কথাও মানতে নারাজ ক্রীড়ামহল। অধিকাংশের মতে, বিসিসিআই সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে জয় শাহ তো সচিব না হয়ে বোর্ড সভাপতি হতেই পারতেন, কিন্তু হননি। বাংলা তথা দেশের আইকন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেই সেদিন সমর্থন করেছিলেন অনুরাগ ঠাকুর, অমিত শাহরা। অনেকেই দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে গৈরীকরণের অভিযোগ করছেন। ভুল কিছুই নয়। কেন্দ্রে যে দল ক্ষমতায় থাকে, তারা সব সময়ই ক্ষমতার বলে সব ক্ষেত্রেই নিজেদের লোককে বসানোর চেষ্টা করে। তবে, মোদি-শাহ জমানায় বিসিসিআই কিংবা ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচনে কিন্তু কংগ্রসের পথে হাঁটেনি বেজিপি। দল নয় বরং খেলাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। ফুটবল ও ক্রিকেট দুই ক্ষেত্রেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন ফুটবলার বা ক্রিকেটারের হাতে। 

  • Virat Kohli to MS Dhoni: নম্বর তো অনেকেই জানে! অধিনায়কত্ব ছাড়ার সময়ে ফোন করেছিল শুধুই ধোনি, অকপট কোহলি

    Virat Kohli to MS Dhoni: নম্বর তো অনেকেই জানে! অধিনায়কত্ব ছাড়ার সময়ে ফোন করেছিল শুধুই ধোনি, অকপট কোহলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপদের সময়ে বন্ধু চেনা যায়। যেমন চিনেছেন বিরাট। বোঝা যায় কে আপনাকে ভালবাসে, কে ভাল চায়। রবিবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের শেষে নিজের ক্ষোভ, অভিমান উজাড় করে দিলেন কোহলি। জানালেন খারাপ সময়ে অনেকেই সমালোচনা করেছেন কিন্তু কী করতে হবে তা বলেছিল বিরাট কোহলির অধিনায়ক, মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni)।

    পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেট হারের পরেই সাংবাদিক সম্মেলনে চলে এসেছিলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। তাঁর খারাপ সময় প্রশ্ন উঠতেই টিম ইন্ডিয়ার  প্রাক্তন অধিনায়ক ব্যাঙ্গের সুরে বললেন,  ‘আমার নম্বর অনেকের কাছে ছিল কিন্তু যখন আমি অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলাম, সেইসময় একমাত্র মহেন্দ্র সিং ধোনিই আমাকে ফোন করেছিলেন। আর কেউ কোনও ফোন করেননি। কেউ নয়। এর থেকেই বোঝা যায় কে আমার ভাল চায়।’ বিরাটের কথায়, ‘আমি যদি কাউকে সত্যিই মন থেকে সাহায্য করতে চাই, তাহলে তো তাঁকে আলাদা করে বোঝাব যে তোমার এটা ভুল হচ্ছে কিংবা ঠিক হচ্ছে। সকলের সামনে তো আর সেটা বলব না। আমাদের দুজনের সম্পর্কের মধ্যে একটা আলাদা বোঝাপড়া রয়েছে।’

    আরও পড়ুন: বাজিমাত বাংলার! ভারতীয় ফুটবল ও ক্রিকেটের মসনদে দুই বাঙালির দাপট

    বিরাট আরও বলেন, “টিভিতে অনেকেই অনেক পরামর্শ দেন। তাঁদের কাছে বলার মতো অনেক কিছুই থাকে। আমার নম্বর থাকলেও তাঁদের কোনও মেসেজ আসেনি। কারও সঙ্গে  যে শ্রদ্ধার সম্পর্ক থাকে, সেটা কতদূর সত্যি তা, এমন পরিস্থিতিতেই বোঝা যায়। আমার আর ধোনির মধ্যে একটা নিঃস্বার্থ সম্পর্ক রয়েছে। না তিনি আমার কাছে কিছু চান, না তো আমি কিছু চাই তাঁর কাছে। কেউ কাউকে নিয়ে কোনওদিন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিনি। তাই সম্পর্কটা রয়ে গিয়েছে।”

    অনেকের দাবি ছিল ছন্দ হারানো বিরাটকে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে রাখা উচিত নয়। তবে এ বারও নিন্দুকদের গ্যালারিতে ফেললেন ‘কিং কোহলি’। চলতি এশিয়া কাপের পারফরম্যান্স দেখলেই স্পষ্ট বোঝা যাবে, কথা বলতে শুরু করেছে বিরাটের ব্য়াট। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪ বলে ৩৫ করার পর, হংকং-এর বিরুদ্ধে করেছিলেন ৪৪ বলে ৫৯ রান। আর এ বার পাকিস্তানের কাছে দল হারলেও তাঁর ব্যাট থেকে এল ৪৪ বলে ৬০ রান। 

  • Virat Kohli to Suryakumar Yadav: সূর্যের তেজকে কুর্নিশ কোহলির! দুবাইয়ের বাইশগজে ছক্কার বন্যা

    Virat Kohli to Suryakumar Yadav: সূর্যের তেজকে কুর্নিশ কোহলির! দুবাইয়ের বাইশগজে ছক্কার বন্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরুটাই করেছিলেন ঝড়ের গতিতে। আর শেষটাও একই ভঙ্গিতে। সূর্যকুমার যাদবের (Suryakumar Yadav) ব্যাটিং তাণ্ডবে হংকংয়ের (Hong Kong) বোলাররা রীতিমতো হতোদ্যম হয়ে পড়েন। বুঝেই উঠতে পারছিলেন না, কীভাবে সূর্যর এই প্রখর তেজ থেকে তাঁরা রক্ষা পাবেন। তাঁরা রেহাই পাননি। বরং ক্রমশ ঝাঁঝ বেড়েছে ভারতীয় ব্যাটসম্যানটির। ইনিংসের অন্তিম ওভারে সূর্যকুমার চারটি বিশাল ছক্কা হাঁকান। ভারতীয় ইনিংসে যোগ হয় মূল্যবান ২৬ রান। সূর্যর ঝোড়ো ব্যাটিং দেখে দুবাইয়ের (Dubai) গ্যালারি উদ্বেলিত হয়ে ওঠে বার বার। তাঁরা তো এরকম বাটিং দেখার টানেই মাঠে ছুটে এসেছেন।

    সূর্যর মারমুখী ইনিংস মন ছুঁয়ে গিয়েছে বিরাট কোহলির। উইকেটের অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে চাক্ষুস করেছেন এক অনবদ্য ২৬ বলে অপরাজিত ৬৮ রানের ইনিংস। শেষ ওভারে হংকংয়ের বোলার হারুন অফ স্টাম্পের বাইরে বল করেন, কিন্তু সেই ডেলিভারি সজোরে সীমানার বাইরে পাঠিয়ে দেন সূর্য অনায়াসে। তারপর অভিনব ভঙ্গিতে সূর্যকে কুর্নিশ জানাতে ভোলেননি বিরাট। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় উল্কার গতিতে ভাইরাল হয়েছে।

    বিশ্ব ক্রিকেটে সূর্যকুমারকে বলা হয় মিঃ ৩৬০ ডিগ্রি। উইকেটের সব প্রান্তে তিনি শট খেলার ক্ষমতা রাখেন। বল যতই ভালো হোক, সহজেই তিনি তা বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে দিতে সক্ষম। এই কারণেই টি-২০ ফরম্যাটে সূর্য এখন ভারতীয় দলের অন্যতম সেরা সম্পদ।

    আরও পড়ুন: বিরাট-ব্যাটে রান এল! এশিয়া কাপের সুপার ফোরে টিম ইন্ডিয়া

    সূর্যকুমার যখন ব্যাট করতে নামেন তখন ভারতীয় দলের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৯৪। তৃতীয় উইকেটে বিরাটের সঙ্গে জুটি বেঁধে মাত্র ৪২ বলে অপরাজিত ৯৮ রান যোগ করেন তিনি। সেটাই মূলত ভারতীয় ইনিংসকে দু’শোর দোরাগোড়ায় পৌঁছে দেয়। তারকাদের ছাপিয়ে ম্যাচের সেরা হয়েছেন সূর্যই। তাঁর পারফরম্যান্স দেখার পর ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘আগামী দিনে ওপেনার হিসেবেই কাজে লাগানো উচিত সূর্যকে।’ পর পর দু’টি ম্যাচ জিতে ভারত সুপার ফোরে পৌঁছে গিয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী রবিবার মরুশহর দুবাইয়ে ফের ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan) মহারণের সম্ভাবনা প্রবল। সেক্ষেত্র হংকংকে হারাতেই হবে বাবরদের। আর সেটা কোনও বিরাট ব্যাপার নয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Hardik Pandya: কামব্যাকটাই বড় কথা! কেরিয়ারের খারাপ সময় নিয়ে আবেগপ্রবণ হার্দিক

    Hardik Pandya: কামব্যাকটাই বড় কথা! কেরিয়ারের খারাপ সময় নিয়ে আবেগপ্রবণ হার্দিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার বছর আগের দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের মাঠ। এশিয়া কাপে সেবারও মুখোমুখি ভারতপাকিস্তান। তখন পাকিস্তানের ব্যাটিং চলছে। বল হাতে হার্দিক পান্ডিয়া। হঠাতই মাঠের মধ্যেই শুয়ে পড়লেন হার্দিক। প্রবল যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন ভারতীয় অলরাউন্ডার। ছুটে এলেন দুই দলের খেলোয়াড়রা। হেঁটে মাঠের বাইরে পর্যন্ত যেতে পারলেন না হার্দিক। মাঠ ছাড়তে হল স্ট্রেচারে শুয়ে। 

    ২০১৮ সালে পিঠে ভয়ানক চোটের পর অস্ত্রোপচার করতে হয় তাঁকে। শেষ হয়ে যেতে পারত কেরিয়্যার। হাল ছাড়তে রাজি ছিলেন না কঠোর হার্দিক। নীরবে চলে প্রস্তুতি। ২০২২ আইপিএল মোর ঘোরায় তাঁর ক্রিকেটীয় জীবনে। গুজরাট টাইটান্সের নেতৃত্ব যখন পেয়েছিলেন অনেকেই ভ্রু কুঁচকেছিল। সব হিসেবের বাইরে গিয়ে আবির্ভাবেই গুজরাটের হাতে তুলে দেন আইপিএল ট্রফি।

     

     

    এককালে প্লে বয় ইমেজের হার্দিককে সেদিনও খুব শান্ত মনে হয়েছিল। এদিনও ছিলেন শান্ত। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের মাঠেই পাকিস্তানকে একা হাতে শুইয়ে দেন হার্দিক পান্ডিয়া। তিন উইকেট অপরাজিত ৩৩ রান পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে ভারতের জয়ের রাস্তা মসৃণ করে। জয়সূচক রানও এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকেই। এই ম্যাচের পরই ট্যুইটে চার বছর আগের ও রবিবারের মাঠের ছবি দিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন আপাত শান্ত হার্দিক। লেখেন ফিরে আসাটা সবচেয়ে বড় ছিল। 

    আরও পড়ুন: ‘তুমিই আমার তারকা…!’ হার্দিককে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কী লিখলেন স্ত্রী নাতাশা?

    ম্যাচের পর এক সাক্ষাৎকারে হার্দিক বলেন, ‘‌শেষ ওভারে ৭ রান বাকি থাকা অবস্থায় রবীন্দ্র জাদেজা প্রথম বলেই আউট হয়ে গেলেও আমি চাপ অনুভব করিনি। শেষ ওভারে ওদের বাঁহাতি স্পিনার বল করছিল। আর বৃত্তের মধ্যে ৫ জন ফিল্ডার ছিল। এটা আমার লক্ষ্যচূত করতে পারেনি। ১০ জন থাকলেও আমি ভাবতাম না। আমি শুধু চেয়েছিলাম ফিল্ডারদের মাথার ওপর দিয়ে শট খেলতে।’ দলকে জেতানোর পর আবেগ দেখাননি হার্দিক। মাত্র একবারই আবেগ দেখিয়েছিলেন, যখন ২০তম ওভারের প্রথম বলেই জাদেজা আউট হয়েছিলেন। হার্দিক বলেন, ‘‌জাদেজা আউট হতে খারাপ লাগল। আমি ওকে বলি, আমি চাপে নেই। বোলারই বেশি চাপে।’ লক্ষ্যে স্থির হার্দিক বলেন,’আমি শুধু বোলারের ভুল করার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। সে যেভাবে ফিল্ড প্লেসিং করেছিল, জানতাম বোলার ব্যাক লেংথে বল করবে। তার জন্য আমি তৈরি ছিলাম।’‌

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Hardik Pandya: পাক বধের পর রোহিতদের ‘হার্দিক’ অভিনন্দন সৌরভ, সচিন, সেহবাগ, লক্ষণদের

    Hardik Pandya: পাক বধের পর রোহিতদের ‘হার্দিক’ অভিনন্দন সৌরভ, সচিন, সেহবাগ, লক্ষণদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইপিএলের পর থেকেই অচেনা হার্দিকগুজরাট টাইটানসকে চ্যাম্পিয়ন করেই  নিজের আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছিলেন। প্রত্যাবর্তনের পর এখন চেনাই যাচ্ছে না তাঁকে। বদলে গিয়েছেন হার্দিক। বললেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। পাকবধের নায়ক হার্দিককে নিয়ে বলতে গিয়ে রোহিত জানান, “প্রত্যাবর্তনের পর থেকে হার্দিককে আর চেনা যাচ্ছে না। অসাধারণ খেলছে। দলে না থাকার সময়েও ওকে কী করতে হবে এবং কী ভাবে নিজেকে সুস্থ রাখতে হবে, সেটা সঠিক ভাবে পরিকল্পনা করেছে। নিজের ফিটনেসও সেই উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। এখন নিয়মিত ঘণ্টায় ১৪০ কিমির বেশি জোরে বোলিং করছে। ব্যাটিং নিয়ে তো আলাদা করে কিছু বলার নেই। ও কেমন ব্যাট করে সেটা সবাই জানি।”

    হার্দিকের দুরন্ত পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর। ট্যুইটবার্তায় সচিন লেখেন, অভিনন্দন টিম ইন্ডিয়া। দুরন্ত একটা ম্যাচ জয়ের কারিগর হার্দিক। শুভেচ্ছা জানায় বীরেন্দ্র সেওয়াগ, ভিভিএস লক্ষণ থেকে শুরু করে বহু প্রাক্তন ও বর্তমান ক্রিকেটাররা। সোশ্যাল মিডিয়া জুরে রবিবার রাজ করেন ভুবি, হার্দিকরা।

    প্রায় প্রতি বড় ম্যাচেই মাঠে থাকেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট তথা প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে এশিয়া কাপে চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে গ্যালারিতে ছিলেন না তিনি। তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে। তবে হার্দিকের দাপটে ভারতের এই দুরন্ত জয়ে রোহিতদের প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন সৌরভ। ট্যুইট বার্তায় সৌরভ জানান, ‘কঠিন সময়ে ভাল খেলেছে দল। এশিয়া কাপে শুরুটা ভাল হল।’

    আরও পড়ুন: হার্দিকের ব্যাট-বল হৃদয়-হরণ করল মোদি থেকে শাহের! এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে হারিয়ে যাত্রা শুরু ভারতের

    এশিয়া কাপের (Asia Cup 2022) হাইভোল্টেজ ম্যাচে (Ind vs Pak) জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ভারত। ম্যাচের শেষ দু ওভারে ভারতের জয়ের জন্য দরকার ছিল ২১ রান। হবে কি হবে না এই দোলাচলে গ্যালারি থমথমে। চুপ করে বক্সে বসে বিসিসিআই সচিব জয় শাহ।  ১৯তম ওভারে হারিস রউফকে তিনটি চার মেরে চাপ কমালেন হার্দিক। এমনকি শেষ চার বলে যখন ৬ রান দরকার ছিল, তখন তৃতীয় বলে ডট হলেও ছিলেন শান্ত মেজাজে। চতুর্থ বলে লং অন দিয়ে বড় ছক্কা মেরে দলকে জেতান পান্ডিয়া। ১৭ বলে চারটি চার ও এক ছয়ে ৩৩ রানে অপরাজিত হার্দিক যে কোনও কিছুতেই ভয় পান না, মানলেন তাঁর নেতা। ভারত অধিনায়ক রোহিত বলেন, “ফিরে আসার পর থেকে ওকে অনেক শান্ত মনে হচ্ছে। ব্যাট হোক বা বল, দুটো বিভাগেই ভাল খেলছে ও। আগের থেকেও জোরে বল করতে পারে। এখন বাউন্স দিতেও শিখে গিয়েছে। নিজে কোন পরিস্থিতিতে কী ভাবে খেলতে পারে সেটা ওর পক্ষে আগে বোঝা দরকার ছিল। এখন সেটা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। প্রতি ওভারে ১০ রান দরকার হলে আমরা হয়তো ভয় পেতে পারি। কিন্তু হার্দিক পাবে না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share