Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • 100 Days Work: একশো দিনের প্রকল্পে ৫ কোটি টাকা আত্মসাত! অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান এবং অঞ্চল সভাপতি

    100 Days Work: একশো দিনের প্রকল্পে ৫ কোটি টাকা আত্মসাত! অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান এবং অঞ্চল সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একশো দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ মালদার গাজোলে। একশো দিনের প্রকল্পে গরমিলের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় গিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। সেই সময়েই প্রকল্পের ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল শাসকদলের এক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এবং অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। 

    কী কী অভিযোগ

    মালদার গাজোলে তৃণমূল পরিচালিত দেওতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুললেন গ্রামবাসীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ১০০ দিনের কাজে ৩৫৬টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে ছিল ড্রাগন ফলের চাষ, কলাগাছ চাষ, পোল্ট্রি শেড নির্মাণ। স্থানীয়দের দাবি, কোনও কাজ না করে পুরো টাকা আত্মসাৎ করেছেন রিজিয়া এবং ফারাদ। প্রায় ৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান, অঞ্চল সভাপতি ও পঞ্চায়েত কর্মীদের একাংশ। মালদার জেলা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। এ প্রসঙ্গে জেলাশাসক নিতিন সিংহানিয়া তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। তাতে আপাতত শান্ত হয়েছেন গ্রামবাসীরা।

    আরও পড়ুন: বীরভূমে ফের বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’! অস্বস্তি এড়াতে পাশ কাটিয়ে গেলেন বিধায়ক 

    পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের অভিযুক্ত অঞ্চল সভাপতি ফারাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘‘নিয়ম মেনেই যাবতীয় কাজ হয়েছে।’’ পঞ্চায়েত প্রধান রিজিয়া সুলতানার এখনও  পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘কোথাও রিগিং করে, কোথাও আবার সদস্যদের কিনে পঞ্চায়েত দখল করেছে তৃণমূল। আমরা কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীকে জানাব। এই সব ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’’ এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, ‘দল কাউকে দুর্নীতি করার অনুমতি দেয়নি। প্রশাসন তদন্ত করবে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।’  ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Didir Doot: বীরভূমে ফের বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’! অস্বস্তি এড়াতে পাশ কাটিয়ে গেলেন বিধায়ক

    Didir Doot: বীরভূমে ফের বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’! অস্বস্তি এড়াতে পাশ কাটিয়ে গেলেন বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’ (Didir Doot)! এবারও ঘটনাস্থল সেই অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) খাসতালুক বীরভূম। শুক্রবার দিদির দূত হয়ে এলাকায় গিয়েছিলেন সিউড়ির বিধায়ক তৃণমূলের (TMC) বিকাশ রায় চৌধুরী। আবাস দুর্নীতি ইস্যুতে স্থানীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলেরই কর্মী-সমর্থকরা। বিকাশের সামনে তাঁরই বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন তৃণমূলের লোকজন। অস্বস্তি এড়াতে দ্রুত পাশ কাটিয়ে চলে যান বিকাশ। ঘটনার জেরে অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব।

    দিদির দূত…

    স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে সিউড়ির আলুন্দা পঞ্চায়েতের জুনিদপুর গ্রামে দিদির দূত (Didir Doot) হয়ে গিয়েছিলেন বিকাশ। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির জন্য কাটমানি নিয়েছেন প্রধান। আবাস যোজনায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁদের। এলাকার নিকাশি ব্যবস্থাও বেহাল বলে অভিযোগ তাঁদের। ঘটনার জেরে অস্বস্তিতে পড়ে যান বিধায়ক। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পাশ কাটিয়ে চলে যান তিনি। পরিস্থিতি সামাল দিতে সাফাই গাইতে থাকেন প্রধান। তিনি বলেন, সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। প্রধান বলেন, কে কী করছে, সেটা আমি বলতে পারব না। এখন জব কার্ড হচ্ছে না। জব কার্ড দেওয়ার ক্ষমতা এখন কারও নেই। অপপ্রচার চলছে।

    আরও পড়ুুন: মোষের গাড়িতে কয়লা পাচার! পুলিশ দেখেই অন্ধকারে মিলিয়ে গেল চালকরা

    প্রধানের দাবি, যাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তাঁরা বিরোধী দলের সদস্য। স্থানীয় সূত্রে খবর, কিছুক্ষণ পরে অবশ্য স্থানীয় একটি ক্লাবে বসে গ্রামবাসীদের অভাব অভিযোগের কথা শোনেন বিধায়ক। প্রধানের পাশে দাঁড়িয়েই এদিন তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও নেতা যদি মানুষকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার, দল তা নেবে।

    বিধায়কের পাশাপাশি এদিন জন-বিক্ষোভের মুখে পড়েন সাংসদ তৃণমূলের শতাব্দী রায়। দিদির দূত (Didir Doot) হয়ে গিয়ে এর আগেও একবার বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন তিনি। এদিন পড়লেন ফের। স্থানীয় সূত্রে খবর, সিউড়ির কৈখি গ্রামে তাঁর গাড়ি আটকে রাস্তা ও পানীয় জল নিয়ে অভিযোগ করেন এক বৃদ্ধা। পরে গ্রামে গেলে সেখানেও সাংসদকে ঘিরে রাস্তা এবং নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়রা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জন-মন যাচাই করতে দিদির দূত কর্মসূচি হাতে নেয় তৃণমূল। তা যে এমন বুমেরাং হয়ে ফিরবে, তা বোধহয় ভাবতেও পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের নেতারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Coal Smuggling: মোষের গাড়িতে কয়লা পাচার! পুলিশ দেখেই অন্ধকারে মিলিয়ে গেল চালকরা

    Coal Smuggling: মোষের গাড়িতে কয়লা পাচার! পুলিশ দেখেই অন্ধকারে মিলিয়ে গেল চালকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুলকি চালে চলছে মোষের গাড়ি। মোষের পিঠে লাঠির ঘা দিতে দিতে চালক বলছেন, হ্যাট, হ্যাট। মার খেয়ে জোরে গাড়ি টানার চেষ্টা করছে মোষ। বাঁশ আর চটে ঘেরা মোষের গাড়িতে  পাচার হচ্ছিল কয়লা (Coal Smuggling)। বস্তায় ভরা। ওপরে ছড়ানো ছিল খড়। এক ঝলক দেখলে মনে হয়, গবাদি পশুর খাবার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে মোষের গাড়ি টানার ধরন দেখে সন্দেহ হয় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের। গাড়ি থামান তাঁরা। পুলিশ দেখে আঁধার রাতে গা ঢাকা দিয়েছেন মোষের গাড়ির চালকরা। খড় সরিয়ে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের। দেখে, বস্তায় ভর্তি কয়লা। পরপর ছটি গাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় প্রায় ১২ টন কয়লা। শুক্রবার গভীর রাতে ওই কয়লা বাজেয়াপ্ত হয়েছে বীরভূমের (Birbhum) সদাইপুর থানার রেঙ্গুনি গ্রামের রাস্তা থেকে। ছটি গাড়ি ভর্তি কয়লা কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    কয়লা পাচার…

    পুলিশ জানিয়েছে, দুবরাজপুরের সালুঞ্চি গ্রাম থেকে সদাইপুর এলাকা হয়ে সিউড়ির দিকে যাচ্ছিল ৬টি মোষের গাড়ি। সূত্র মারফত খবর পেয়ে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, মোষের গাড়িগুলিতে কয়লা বোঝাই রয়েছে। সেই মতো রেঙ্গুনি গ্রামের রাস্তায় ওত পেতেছিল পুলিশ। গাড়িগুলি ওই এলাকায় আসতেই সেগুলিকে আটক করা হয়। বাজেয়াপ্ত হয় কয়লা।

    এদিকে, কয়লা পাচার করতে গিয়ে মহম্মদবাজার থানার পুলিশের হাতে ধৃত এক ট্রাক চালক। ভুয়ো চালান কেটে ইসিএলের খনি থেকে কলয়া পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, ট্রাক চালক যে চালান দেখান, তাতে মুর্শিদাবাদের এক ব্যক্তির নাম ছিল। যদিও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, এই কয়লা তাঁর নয় বলে পুলিশকে জানিয়ে দেন ওই ব্যক্তি। পরে অবশ্য ওই কয়লা ঝাড়খণ্ডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে স্বীকার করেন ট্রাক চালক। এর পরেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুুন: বেনামি অ্যাকাউন্টে নথি কার? গরুপাচার কাণ্ডে আরও ঘনীভূত রহস্য

    এর আগেও বীরভূমের বিভিন্ন এালাকায় কয়লা পাচারের অভিযোগ উঠেছে। লরি, পিকআপ ভ্যানের পাশাপাশি মোষের গাড়ি মায় বাইকে করেও কয়লা পাচারের অভিযোগ উঠেছে। কয়লা পাচারকে কেন্দ্র করে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করছে ইডি, সিবিআই। গ্রেফতার করা হয়েছে অনেককে। তার পরেও রাশ টানা যায়নি কালো হীরে পাচারে। বীরভূম রয়েছে বীরভূমেই!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

     

  • Kuntal on Partha: ১৫ কোটি টাকা নিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়! ইডির জেরায় বিস্ফোরক কুন্তল ঘোষ

    Kuntal on Partha: ১৫ কোটি টাকা নিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়! ইডির জেরায় বিস্ফোরক কুন্তল ঘোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডির জেরায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বয়ান দিলেন কুন্তল ঘোষ (Kuntal on Partha)। পার্থর বিরুদ্ধে ১৫ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন,  প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সব টাকার হিসেব বুঝে নিতেন আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার কুন্তল ঘনিষ্ঠ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ৮ ঘণ্টা জেরা করেছে ইডি।

    কী জানা গেল? 

    ইডিসূত্রে জানা গিয়েছে, জেরার মুখে কুন্তল ঘোষ (Kuntal on Partha) জানিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী নিয়োগের জন্য টাকা নিতেন। অর্থাৎ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগের সত্যতা আরও একবার প্রমাণিত হল। অভিষেক ঘনিষ্ঠ এই তৃণমূল যুব কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে ৩০ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এদিকে কুন্তল ঘোষ দাবি করেছেন, তাঁর কাছ থেকে ৩০ কোটি টাকা আধিকারীকরা হিসেব করে নিয়ে  যেতেন। ইডি জেরার মুখে তৃণমূলের এই যুবনেতা দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার আর্থিক লেনদেন ছিল। শুধু তাই নয়, পার্থর সেক্রেটারির হাত দিয়ে তিনি ১৫ পাঠিয়েছিলেন বলেও দাবি করেন।

    উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিধাননগর হাসপাতালে কুন্তল ঘোষকে (Kuntal on Partha) নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। সেই সময় সাংবাদিকদের কুন্তল বলেন, বড় মাথা ধরা পড়বে। তিনি আরও দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আকাশ ছোঁয়া ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কিন্তু কে সেই ষড়যন্ত্র করেছেন তা নিয়ে কোনও মন্তব্য তিনি করেননি। গতকাল কুন্তল ঘোষের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাড়ে ৮ ঘণ্টা জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। কুন্তলের বাড়িতে তল্লাশি দিনেই শান্তুন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ইডি।

    ইডির জেরায় একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করে গিয়েছেন একদা মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল। তিনিই প্রথম কুন্তল ঘোষের (Kuntal on Partha) নাম উল্লেখ করেন। তাপসের দাবি, চাকরি দেওয়ার নাম  করে ৩০ কোটি টাকা নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা কুন্তল ঘোষ। তাঁর আরও দাবি, নীলাদ্রি নামে এক জনের কাছে সেই টাকা রাখতে দেওয়া হয়েছিল। কুন্তল ঘোষের ঘর থেকে উদ্ধার কালো ডায়রিতেও টাকার হিসেব লেখা রয়েছে। সাঙ্কেতিয় ভাষায় লেখা রয়েছে কার কাছে কত টাকা তিনি নিয়েছেন। সেই  সাঙ্কেতিক নাম গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: ‘বাংলাকে পথ দেখাচ্ছে শুভেন্দু’, ছেলেকে সার্টিফিকেট বাবা শিশিরের

    এরপরেই গ্রেফতার হন কুন্তল ঘোষ (Kuntal on Partha)। কুন্তলের পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় আর এক যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকেও। তাপস মণ্ডলই প্রথম কুন্তলের নাম সামনে এনেছিলেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, তিনি শুনেছেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি নেতাদের ধরে বাঁচার চেষ্টা করছেন। সেটা সম্ভব নয় বলে সাফ বার্তা দিয়েছেন সুকান্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • C V Ananda Bose: আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক! দিল্লি গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস

    C V Ananda Bose: আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক! দিল্লি গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শুক্রবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে আলোচনার কথা রয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা অধুনা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) সঙ্গেও সাক্ষাত হতে পারে নয়া রাজ্যপালের। বৃহস্পতিবার বিকেলে হাতেখড়ি অনুষ্ঠান হয় রাজভবনে (rajbhawan)। এরপর রাতে দিল্লি যান রাজ্যপাল (Governor) সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। বিশ্বস্ত সূত্রে খবর,পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুয়ায়ীই রাজ্যপাল দিল্লি গিয়েছেন। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষবর্ধনের এক পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। 

    শুভেন্দুর সমালোচনা

    বৃহস্পতিবার, রাজভবনের প্রতীকী হাতেখড়ি অনুষ্ঠানের সমালোচনা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আমন্ত্রণ থাকা সত্ত্বেও এই অনুষ্ঠানে যাননি তিনি। তাঁর কথায়, “সরকার ভালো করলে রাজ্যপাল অবশ্যই সাথ দেবেন। কিন্তু, রাজ্যের নাটুকে মুখ্যমন্ত্রী (CM) রাজ্যপালকে বিপথে পরিচালিত করছেন। এই জায়গা থেকে রাজ্যপালের সরে আসা উচিত। আমি তাঁকে অনুরোধ করতে পারি। নির্দেশ তো দিতে পারি না। শুনলাম উনি দিল্লি যাচ্ছেন। নিশ্চয় অনেকের সঙ্গে কথা হবে। তাঁরাও হয়তো রাজ্যপালকে বলবেন । শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, রাজ্যপালের সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী জয়বাংলা স্লোগান লিখে দিয়েছেন। তিনি বলেন, রাজ্যপাল অত্যন্ত ভালো মানুষ। তাঁর সরলতার সুযোগ নিচ্ছেন এই মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপালের কাছে অনুরোধ, অবিলম্বে সচিবালয় পরিষ্কার করুন।”

    বাংলায় হাতেখড়ি রাজ্যপালের

    বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ব্যস্ত ছিলেন রাজ্যপাল। সকালে রেড রোডে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। এরপরই বিকেলে রাজভবনে ছিল বিশেষ অনুষ্ঠান। প্রজাতন্ত্র দিবসের বিকেলে চা-চক্র থাকে রাজভবনে। এবারও তার অন্যথা হয়নি। তবে এই চা-চক্রকে অন্য মাত্রা দেয় রাজ্যপালের বাংলা ভাষার হাতেখড়ি অনুষ্ঠান। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও শাসকদলের প্রতিনিধিরা ছিলেন। ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, বিজেপির তথাগত রায়, রাজ্যের একাধিক ক্ষেত্রে সফল ব্যক্তিত্বরা। ছিলেন আর্মির আধিকারিকরা। তিন শিশুর হাত ধরে বাংলায় হাতেখড়ি হয় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। এদিনের অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকে বাংলায় কথাও বলেন রাজ্যপাল বোস।

    আরও পড়ুুন: জীবন কাটছে জেলখানায় বন্দিদের মতো! চিনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের কী অবস্থা জানেন?

    রাজভবনের অনুষ্ঠানে এদিন আমন্ত্রিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তাঁকেও রাজভবনে দেখা যায়নি। তিনি জানিয়েছেন, বালুরঘাটে সরস্বতী পুজোয় মেয়ের হাতেখড়িতে ছিলেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও এই অনুষ্ঠানের কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘হাতেখড়ি তো বাচ্চাদের হয়। ঠাকুরের সামনে পুরোহিত হাতেখড়ি দেন। এখন হঠাৎ কার, কেন, কার সামনে হাতেখড়ি হচ্ছে, আমি বলতে পারব না। আর প্রথমেই ভুল মাস্টার ধরলে ভুলই শিখতে থাকবেন!’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC TET: মুখোমুখি জেরায় একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন তাপস-কুন্তল, একে অপরকে দোষারোপ

    SSC TET: মুখোমুখি জেরায় একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন তাপস-কুন্তল, একে অপরকে দোষারোপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC TET) আরও এক নাটকীয় মোড়। এবার দোষারোপের খেলা। বুধবার দুই অভিযুক্ত, তাপস মণ্ডল এবং কুন্তল ঘোষকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাতে একই প্রশ্নে দু’জন আলাদা কথা বলেন । ইডি সূত্রে খবর, তাঁদের কাছে তথ্য জানতে চাওয়া হলে কথা কাটাকাটি করেন তাপস এবং কুন্তল।   

    গতকাল, এই মামলায় হুগলির তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। বুধবার রাত ১১টার পর ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে আসেন শান্তনু। পরে তাপসকেও ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়।

    কী জানা গিয়েছে?      

    বুধবার দুর্নীতি মামলায় তাপস (SSC TET) এবং কুন্তলকে ম্যারাথন জেরা চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। কুন্তলের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া বিভিন্ন নথি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় তাপসের কাছে। তবে তাপসের সন্তোষজনক উত্তর দেননি বলে জানিয়েছে ইডি। একই ভাবে কুন্তলকেও বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়।

    আরও পড়ুন: সাধারণতন্ত্র দিবসে কর্তব্যপথে মোদির ‘আত্মনির্ভর’ ভারত, জানুন বিস্তারিত  

    উল্লেখ্য, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত (SSC TET) সভাপতি মানিক বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে বরাবর সুসম্পর্ক ছিল তাপস মণ্ডলের। চার্জশিটেও তাঁর নাম আছে। জেরার মুখে তাপস  হুগলির তৃণমূল নেতা কুন্তলের নাম উল্লেখ করেন। তাপস জানান, ৩২৫ জন শিক্ষক পদপ্রার্থীর কাছে থেকে ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা নিয়েছেন কুন্তল। সূত্রের খবর, তাপস এ-ও দাবি করেন যে, পরিচিতেরা তাঁকে জানিয়েছেন যে, তাঁদের কাছ থেকেও প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি টাকা তুলেছেন কুন্তল। সেই সংক্রান্ত নথিও তাঁর কাছে রয়েছে বলে দাবি করেছেন তাপস মণ্ডলl।    

    কুন্তলকে এর আগেও দুদফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই (SSC TET)। এর পর গত শুক্রবার সকাল থেকে নতুন করে তদন্তে নামে ইডি। কুন্তলের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র হয়েছে। তিনি এও বলেন, তাঁর সন্তানকে অপহরণের হুমকি দিয়েছিলেন তাপস। তবে এই পুরো ঘটনা থেকে দলকে দূরে রাখার অনুরোধ করেন কুন্তল।    
     
    এর আগে মঙ্গলবারও তাপস এবং কুন্তলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করেছে ইডি। তাপসের কাছে ইডির প্রশ্ন ছিল কুন্তল কী দুর্নীতিতে যুক্ত? এর জবাবে তাপস বলন, “যদি মনে করেন, তবে তাই ভেবে নেবেন। তা হলে আর কোনও উত্তর দেব না।’’  

    প্রসঙ্গত, তৃণমূল নেতা কুন্তল (SSC TET) পেশাগত ভাবে ব্যবসায়ী। সূত্রের খবর, একাধিক বিএড কলেজ আছে তাঁর। তবে সেই কলেজের মালিক একাধিক। এই সূত্র ধরে তাপসের সঙ্গে কুন্তলের পরিচয় বলে খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
  • Saraswati Puja: সরস্বতীপুজোয় থিমের ছোঁয়া, কলকাতার কোন প্যান্ডেলে কী থিম, জানুন

    Saraswati Puja: সরস্বতীপুজোয় থিমের ছোঁয়া, কলকাতার কোন প্যান্ডেলে কী থিম, জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন কেবল কালীপুজো (Kali Puja), দুর্গাপুজোতেই (Durga Puja) দেখা যেত থিমের ছড়াছড়ি। এবার থিমের ছোঁয়া চলে এল সরস্বতী পুজোয়ও (Saraswati Puja)। দুর্গাপুজো গোটা বঙ্গদেশজুড়ে হলেও, কালী সহ অন্যান্য দেবদেবীর পুজো একেকটা অঞ্চলে হয় জাঁকজমক সহকারে। যেমন গোটা বাংলায় কালীপুজো হলেও, বারাসতে কালীপুজো হয় থিমের, কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে। কাটোয়ায় কার্তিক পুজো হয় থিমের। নদিয়ায় রাস উৎসব হয় ঘটা করে। সেখানেও থিমের ছড়াছড়ি।কালনার সরস্বতী পুজোও হয় জাঁকজমক সহকারে। এখানেও থিমের ছড়াছড়ি।

    থিমের পুজো…

    হাওড়ার খালনায় কয়েক লক্ষ টাকা করে খরচ করে হয় লক্ষ্মীপুজো। সেখানেও দেখা যায় নানান থিম। এবার তার রেশ এসে লাগল সরস্বতী পুজোয়ও। দুর্গাপুজোর মতো সরস্বতী পুজোয় থিম করা হয়েছে ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা খরচ করে। তবে দুর্গাপুজোয় যেমন অনায়াসেই স্পনসর মেলে সরস্বতী পুজোয় তা হয় না। তাই সরস্বতীপুজোয় যাঁরা থিমের কথা ভাবেন, তাঁদের ভরসা করতে হয় দাতাদের ওপর। কোনও কোনও উদ্যোক্তা আবার দুর্গাপুজোর বাজেট কিছুটা কাটছাঁট করে তুলে রেখে দেন সরস্বতীপুজোয় খরচ করবেন বলে।

    ঘটা করে দু্র্গাপুজো করে টালা প্রত্যয়। তারা সরস্বতীপুজোও (Saraswati Puja) করে জাঁকজমক সহকারে। এবার বাণীবন্দনায় তাঁদের বাজেট ১৫ লক্ষ টাকা। এদের এবারের থিম, চলো ভালবাসার বর্ণমালায় ফেরা যাক। এখানে মণ্ডপের উচ্চতা ৪৬ ফুট। প্রতিমা ১৪ ফুটের। এই মণ্ডপে এলে নল্ট্যালজিক হয়ে পড়বেন দর্শক। উদ্যোক্তাদের তরফে ধ্রুবজ্যোতি বসু বলেন, এই মণ্ডপে এলে অতীতের সরস্বতী পুজোর সকালে ফেরা যাবে। দর্শক হয়ে পড়বেন নস্ট্যালজিক। তিনি জানান, দুর্গাপুজোর ফান্ডের একটা অংশ সরিয়ে রাখা হয়েছিল সরস্বতীপুজোর জন্য।

    আরও পড়ুুন: মুখোমুখি জেরায় একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন তাপস-কুন্তল, একে অপরকে দোষারোপ

    আমহার্স্ট স্ট্রিটের বিদ্যাসাগর সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja) কমিটির এবারের বাজেট ৫ লক্ষ টাকা। এই পুজোর মাথায় রয়েছেন তৃণমূল নেতা পিয়াল চৌধুরী। তিনি জানান, পুরো খরচই এসেছে ডোনেশন থেকে। পিয়াল বলেন, সরস্বতী পুজোয় স্পনসর মেলে না। তাই আমরা ডোনেশনের ওপরই নির্ভর করেছিলাম। মানুষ দিয়েছেন দেরাজ হস্তে। আমরা বাইরে কোথাও চাঁদা তুলতে যাইনি।   

    উত্তর কলকাতার হাতিবাগান সংহতির এবারের সরস্বতীপুজোর (Saraswati Puja) বাজেট ৯ লক্ষ টাকা। ২৮ ফুটের অতিকায় প্যান্ডেলে রয়েছে ১৫ ফুটের দেবী প্রতিমা। ক্লাবের সম্পাদক রাজদীপ পাত্র বলেন, গত দুবছর ধরে আমরা থিমের পুজো করে আসছি। আমরা আগের থেকে অনেক কর্পোরেট স্পনসরও পাচ্ছি।

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC TET: আজ ফের তাপসকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির! দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা জেরায় নতুন কী তথ্য মিলল?

    SSC TET: আজ ফের তাপসকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির! দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা জেরায় নতুন কী তথ্য মিলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার ফের  ইডি দফতরে তলব করা হয়েছে তাপস মণ্ডলকে। ইডি সূত্রে খবর, আজ ফের একইসঙ্গে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে নোটিস ইস্যু করা হয়েছে হুগলির বলাগড়ের শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির জট কাটাতে মঙ্গলবার তাপস মণ্ডলকে প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পর এই প্রথম ইডির মুখোমুখি হলেন তাপস। এদিন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর দফতরে সকাল সাড়ে ১০টায় ঢুকেছিলেন আর বেরোলেন, রাত তখন সওয়া ১১টা।

    তাপস-কুন্তল মুখোমুখি জেরা

    ইডি সূত্রে খবর, এদিন কুন্তলের মুখোমুখি বসিয়ে তাঁকে জেরা করা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার চার্জশিটে নাম রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপসের। নিয়োগ দুর্নীতিতে কুন্তলের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ তোলেন তিনি। তাপসের দাবি, ৩২৫ জন শিক্ষক পদপ্রার্থীর কাছ থেকে ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল। এ ছাড়া তাপসের দাবি, তাঁর পরিচিতেরা তাঁকে জানিয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি টাকা নিয়েছেন কুন্তল। সেই সংক্রান্ত নথিও তাঁর কাছে রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তাপস। মঙ্গলবার সেই লেনদেন সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই তাপসকে নিজেদের দফতরে ডেকেছিল ইডি। শনিবার কুন্তল গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর স্ত্রী জয়শ্রী দাবি করেছিলেন, নিউটাউনের যে ফ্ল্যাটে ইডি তল্লাশি অভিযান চালিয়ে নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে, সেখানে দিনের পর দিন থাকতেন তাপস মণ্ডল এবং তাঁর সহযোগী তাপস মিশ্র। 

    আরও পড়ুন: ইস্তফা প্রকাশ তৃণমূলের, ভোট কিনতে বাংলার মতো টাকার টোপ মেঘালয়েও!

    গ্রেফতারের পরই  তাপস মণ্ডল নিয়ে গুরুতর অভিযোগ করেছেন ধৃত যুবনেতা। জেরা পর্বে ইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, ইডি অফিসারদের ‘সেটিং’ করতে হবে এই মর্মে লক্ষাধিক টাকা কুন্তলের কাছে দাবি করেছিলেন তাপস মণ্ডল। ১৫ অক্টোবর যখন তাপসের অফিস ও বাড়িতে ইডি অভিযান চালাচ্ছিল, ওই দিনও কুন্তলকে ফোন করে টাকা দাবি করেছিলেন তাপস। যদিও মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে এই কথা তাপস এড়িয়ে গিয়েছেন বলে ইডির অভিযোগ। ইডি সূত্রে খবর, তদন্তের বিষয়াধীন একাধিক প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। কুন্তল ও তাপসের বয়ানে ধরা পড়ছে একাধিক অসঙ্গতি। এমনকি, তাদের সামনাসামনি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদেও মেলেনি উত্তর। তাই ফের তলব করা হয়েছে তাপসকে। প্রয়োজনে কুন্তলকেও পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kanthi: মান্থার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ কাঁথির অভিযুক্ত ছাত্রনেতা

    Kanthi: মান্থার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ কাঁথির অভিযুক্ত ছাত্রনেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাঁথি (Kanthi) ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে এবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন কাঁথির অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্রনেতা শুভদীপ গিরি। বুধবার তাঁকে মামলা করার অনুমতিও দিয়েছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ।

    মঙ্গলবারই এই মামলার তদন্তকারী পুলিশের কাছে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জানতে চেয়েছিলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেননি কেন? তিনি কোথায় জানেন না?’’ বিচারপতির সেই কড়া প্রশ্নবাণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বুধবার সকালে তৃণমূল ছাত্রনেতার আইনজীবী হাইকোর্টে হাজির হন। বিচারপতি মান্থার নির্দেশকে  চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করার অনুমতি চান তিনি। আদালত সেই মামলার অনুমতি দেয়। 
     
    মঙ্গলবার কাঁথির (Kanthi) ধর্ষণ মামলাটি বিচারপতি মান্থার একক বেঞ্চে ওঠে। এদিন বিচারপতি পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তদন্তকারী কাঁথি থানার মহিলা অফিসার রুমা মণ্ডলকে তাঁর নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন করেন। শুভদীপকেও এদিন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, হাইকোর্ট গ্রেফতারির নির্দেশ দিলেও, তিনি কেন নিম্ন আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেছেন? বুধবার সেই আগাম জামিনের মামলারও শুনানি হওয়ার কথা নিম্ন আদালতে। তবে তার আগেই হাইকোর্টের গ্রেফতারির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানালেন শাসক দলের ছাত্রনেতা। 

    আরও পড়ুন: মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্রের জের, কংগ্রেস ছাড়লেন এ কে অ্যান্টনির ছেলে    

    কী ঘটেছে? 

    গত ১০ জানুয়ারি কাঁথি (Kanthi) থানায় শুভদীপ গিরির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ জানান নির্যাতিতার বাবা-মা। তার ঠিক ন’দিনের মধ্যেই কাঁথি পুলিশের তদন্তে ভরসা নেই জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। গত ১৯ জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টে মামলাটি দায়ের করা হয়। তারপরেও কেটে গিয়েছে পাঁচ দিন। আদালত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেওয়ার পরেও পুলিশ শুভদীপকে গ্রেফতার না করায় মঙ্গলবার পুলিশের তদন্ত নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করেন বিচারপতি মান্থা। মঙ্গলবার তদন্তকারী আধিকারিককে তিনি বলেন, ‘‘আপনি সঠিক ভাবে তদন্ত করছেন না… । যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে (শুভদীপকে) গ্রেফতার করুন।’’    

    প্রসঙ্গত, গত অক্টোবরে শুভদীপ গিরির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তিনি এক যুবতীর সঙ্গে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করেছিলেন। মোবাইলে একান্ত মুহূর্তের বেশ কিছু ছবিও তুলে রেখেছিলেন। কিন্তু পরে শুভদীপ বিয়ে করতে রাজি না হলে নির্যাতিতা তাঁকে সেই সব ছবি মুছে ফেলতে বলেন। গত ১৪ অক্টোবর সেই ছবি মোছার অজুহাতে প্রাক্তন বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে দিঘার একটি হোটেলে যান শুভদীপ। সেখানে সেই যুবতীকে ধর্ষণ করেন ওই তৃণমূল ছাত্রনেতা। এই ঘটনার পরে গত ১ নভেম্বর ওই নির্যাতিতা আত্মহত্যা করতে যান। নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে কাঁথির থানায় অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। এমনকি, আদালত তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিলেও তাও মানা হয়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Uluberia: মেয়ের শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় পিটিয়ে ‘খুন’ বাবা! নৃশংস ঘটনায় শাসকদলকে কটাক্ষ বিজেপির

    Uluberia: মেয়ের শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় পিটিয়ে ‘খুন’ বাবা! নৃশংস ঘটনায় শাসকদলকে কটাক্ষ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে ক্রমশ বেড়েই চলেছে দুষ্কৃতিদের দাপট। খুন, মারামারি, শ্লীলতাহানির মত ঘটনা রাজ্যজুড়ে ঘটেই চলেছে, আর এখন এর প্রতিবাদ করতে গিয়েও দোষীদের কাছেই মারধর খেতে হচ্ছে। আর এমনই এক ঘটনায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। জানা গিয়েছে, মেয়ের শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করতে গিয়েই দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হয় বাবা। ঘটনাটি উলুবেড়িয়ার শ্যামপুরের নস্করপুর এলাকার। পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে এলাকারই ৩ যুবকের বিরুদ্ধে। এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল আগেই। বাকি ২ অভিযুক্তকেও বুধবার গ্রেফতার করল পুলিশ। ক্ষোভে ফেটে পড়েছে এলাকার বাসিন্দারা। অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে বাবার দুষ্কীতিদের হাতে মৃত্যু, বাংলার এই নৃশংস ঘটনায় শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে অন্যান্য রাজনৈতিক দল।  

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দশম শ্রেণীর ছাত্রী হাওড়ার নস্করপুরের বাসিন্দা। রবিবার সন্ধ্যায় গোবিন্দপুর এলাকায় প্রাইভেট টিউশন পড়তে গিয়েছিল সে। রাত ন’টা নাগাদ টিউশন পড়ে বাড়ি ফিরছিল। অভিযোগ, সেই সময় তার পথ আটকায় ৩ মদ্যপ যুবক। অভিযোগ, ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয়। ওই পড়ুয়া বাড়িতে গিয়ে তার বাবাকে বিষয়টা জানায়। স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ হন তিনি। রবিবার রাতেই ওই দুষ্কৃতীদের কাছে যান নাবালিকার বাবা। ঘটনার প্রতিবাদ করেন।

    অভিযোগ, এর পরেই ওই ছাত্রীর বাবাকে আক্রমণ করে দুষ্কৃতীরা। তাঁকে অন্ধকার ফাঁকা মাঠে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীদের মারধরে অচৈতন্য হয়ে পড়েন ওই ছাত্রীর বাবা। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে শ্যামপুরের একটি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ওই ব্যক্তিকে। এরপর সোমবার রাতে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির।

    আরও পড়ুন:‘সিন্ধ আর অত্যাচার সহ্য করবে না’, জিএম সৈয়দের জন্মদিনে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি

    এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই শ্যামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুন এবং পকসো আইন-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তাঁদের উলুবেড়িয়া আদালতে হাজির করানো হবে বুধবার। অভিযুক্ত ৩ যুবকের মধ্যে এলাকার দুই ভাই রয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ এলাকায় মদ বিক্রি প্রচণ্ড বেড়েছে। পুলিশকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। যারা মদের কারবার করে, তাঁরা এলাকায় বেশ প্রভাবশালী।

    শাসকদলকে কটাক্ষ বিজেপির

    এই নৃশংস ঘটনায় শাসকদল ও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলাকে কটাক্ষ করে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, বাংলায় দুষ্কৃতিরা ভয় পায় না। তারা আত্মবিশ্বাসী যে, রাজ্যে কেউ তাদের কোনও ক্ষতি করবে না। তারা পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলাকেও ভয় পায় না। এছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য দলের নেতারা প্রশ্ন করেছেন, “এক ব্যক্তি তাঁর মেয়েকে শ্লীলতাহানির হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে মারা গেলেন। এটা নিয়ে কি সরকারের লজ্জা হওয়া উচিত নয়? এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। এই অনাচারের জন্য কি তৃণমূল দায়ী নয়?”

    রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও নারী নিগ্রহের অভিযোগ সামনে আসে। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন উলুবেড়িয়ার এই ঘটনা। যার ফলে রাজ্যে ফের মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

LinkedIn
Share