Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Nadia: ‘তৃণমূলে থেকে মানুষের চোখের জল…’, নদিয়ায় বিজেপিতে যোগ দিয়ে বললেন ২০০ তৃণমূল নেতা-কর্মী

    Nadia: ‘তৃণমূলে থেকে মানুষের চোখের জল…’, নদিয়ায় বিজেপিতে যোগ দিয়ে বললেন ২০০ তৃণমূল নেতা-কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কার্যত ধস নামল তৃণমূল (TMC) শিবিরে। তৃণমূলের একঝাঁক নেতা-কর্মী ঘাসফুল শিবির ছেড়ে যোগ দিলেন পদ্ম শিবিরে (BJP)। শুক্রবার নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট এক নম্বর ব্লকের তারাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এই তৃণমূল নেতা-কর্মীরা হাতে তুলে নেন পদ্ম আঁকা ঝান্ডা। দল বদলের এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে রানাঘাটের একটি বাজারে কর্মিসভার আয়োজন করেছিল বিজেপি। এই সভায় সাংসদ বিজেপির জগন্নাথ সরকারের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন ২০০ জন তৃণমূল নেতা-কর্মী। এদিন যাঁরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান বিপুল মণ্ডলও।

    বিপুলের ‘বিপুল’ ক্ষোভ…

    বিজেপিতে যোগ দিয়েই এদিন এক রাশ ক্ষোভ উগরে দেন বিপুল। তিনি বলেন, তৃণমূলে মানুষের জন্য কাজ করতে দেওয়া হয় না। উঁচুস্তরের নেতারা শুধু বাধা দেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই পদত্যাগ করেন বিপুল। তৃণমূলের এই প্রাক্তন প্রধান বলেন, আমাকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয়েছিল। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগেও এদিন সরব হন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া বিপুল। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং স্বজন-পোষণ নিয়েও সোচ্চার হন তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান। বিপুল বলেন, তৃণমূলের একের পর এক দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসছে। এছাড়াও এতদিন যে দলটি করেছি, সেখানে থেকে মানুষের চোখের জল মোছানো যাবে না। স্বজন-পোষণ নীতি থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারব না। এই দলে শুধুই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তিনি বলেন, স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে মানুষের স্বার্থে কাজ করতে হলে তৃণমূল দলটি ত্যাগ করতেই হবে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে তৃণমূলের এই প্রাক্তন প্রধান বলেন, মোদিজিকে দেখেই আমরা ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়েছি।

    আরও পড়ুন: ‘‘গণতন্ত্র বিপন্ন’’! দার্জিলিং পুরসভায় দল ক্ষমতায় আসার দিনেই তৃণমূল ছাড়লেন বিনয়

    এই সভায় (Nadia) তৃণমূলকে নিশানা করেন সাংসদ জগন্নাথ সরকারও। তিনি বলেন, তৃণমূল যদি পুলিশ-প্রশাসন ও ক্রিমিনালকে কাজে না লাগায়, তাহলে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের কোনও চিহ্ন পাওয়া যাবে না। মানুষ তৃণমূলকে ভোট দেবে না। তিনি বলেন, কেবল নদিয়া নয়, সারা বাংলায় এখন তৃণমূলের অবস্থা খুব খারাপ। মানুষ তৃণমূলকে বিশ্বাস করে না। সাংসদ বলেন, এমনিতেই নদিয়া দক্ষিণে তৃণমূল শূন্য। আগামী নির্বাচনে আমরা প্রত্যেকটি পঞ্চায়েত দখল করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Vande Bharat: কবিগুরুর শান্তিনিকেতনে থামবে বন্দে ভারত! বোলপুরে স্টপেজ দিয়ে নয়া সূচি প্রকাশ রেলের

    Vande Bharat: কবিগুরুর শান্তিনিকেতনে থামবে বন্দে ভারত! বোলপুরে স্টপেজ দিয়ে নয়া সূচি প্রকাশ রেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকবির কর্মক্ষেত্র শান্তিনিকেতনে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের স্টপেজ চেয়ে রেলমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। বাংলার নাগরিক ও জনপ্রতিনিধি হিসাবে তিনি রেলমন্ত্রীর কাছে এই দাবি করছিলেন। সেই দাবি মেনেই বোলপুরে স্টপেজ দেওয়া হল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হল নতুন পরিবর্তিত স্টপেজের তালিকা। 

    কখন থামবে বোলপুরে

    বৃহস্পতিবারই নতুন সূচি প্রকাশ করা হয়েছে রেলের পক্ষ থেকে। তাতে দেখা গিয়েছে বোলপুরেও দাঁড়াবে বন্দে বারত এক্সপ্রেস। বুধবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি ছয় দিনই চলবে বন্দে ভারত। হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি যাওয়ার জন্য সেমি হাইস্পিড এই ট্রেন ছাড়বে সকাল ৫টা ৫৫ মিনিটে, বোলপুরে দাঁড়াবে ৭টা ৪৩ মিনিট থেকে ৭ টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত, নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছবে দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে। অন্যদিকে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে হাওড়া আসার জন্য এক্সপ্রেস রওনা দেবে বিকেল ৩ টে ৫- এ, এবং বোলপুর পৌঁছবে মিনিটে ৮টা ২২মিনিটে। হাওড়া ঢুকবে রাত্রি ১০টা ৩৫ মিনিটে। 

    কী লিখেছিলেন সুকান্ত

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামিকাল হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধন করতে চলেছেন। তার আগে বৃহস্পতিবার এই ট্রেনের সফরসূচি নিয়ে রেলমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, বছরভর দেশবিদেশের অসংখ্য পড়ুয়া এবং পর্যটক শান্তিনিকেতনে আসেন। কিন্তু বোলপুর শান্তিনিকেতনে নেই বিমান যোগাযোগ। তাই বন্দে ভারত ট্রেন বোলপুর-শান্তিনিকেতনে দাঁড়ালে উপকৃত হবেন বহু মানুষ। বোলপুর-শান্তিনিকেতনে স্টপেজ দেওয়া হলে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্র থেকেই মানুষ সাধুবাদ জানাবেন বলেও রেলমন্ত্রীকে চিঠিতে লিখেছেন সুকান্ত।

    প্রথম দিনের পরিকল্পনা

    বাণিজ্যিক যাত্রা শুরুর আগে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস সূচনার দিন বেশ কয়েকটি স্টেশনে থামবে। ডানকুনি, কামারকুণ্ডুর মতো ছোট স্টেশনেও দাঁড়াতে পারে বন্দে ভারত। বর্ধমান পৌঁছনোর আগে শক্তিগড়ের মতো আরও চার থেকে পাঁচটি স্টেশনে দাঁড়াতে পারে সেমি-হাইস্পিড ট্রেনটি। এই প্রতিটি স্টেশনেই নতুন ট্রেনকে স্বাগত জানানোর আয়োজন করেছে বিজেপি। কোন সাংসদ বা কোন বিধায়ক কোথায় থাকবেন, তা ঠিক করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তথা আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের উপরে।

    আরও পড়ুন: শুধুই কী যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য? অন্যদের থেকে কোথায় আলাদা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস?

    দলীয় সূত্রে খবর, মোদিকে সম্মান জানাতে বিজেপি কর্মীরা মোদির মুখোশ পরে শুক্রবার চা বিক্রি করবেন মালদা টাউন স্টেশনে। প্ল্যাটফর্মে চা বিক্রির জন্য অনুমতি নিয়ে রেখেছে বিজেপি। জানা গিয়েছে, উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু হাওড়া থেকে ট্রেনে করে মালদা যাবেন। সেখানে স্টেশনেই বক্তৃতা দেওয়ার কথা তাঁর। তাঁর সঙ্গে ট্রেনে করে মালদা যাওয়ার কথা সেই জেলার চার বিজেপি বিধায়ক গোপালচন্দ্র সাহা, শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, জুয়েল মুর্মু এবং চিন্ময় দেববর্মনের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: ভুয়ো জব কার্ড আছে প্রায় চার লক্ষ ৯ হাজার! সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ভুয়ো জব কার্ড আছে প্রায় চার লক্ষ ৯ হাজার! সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপুল পরিমাণ ভুয়ো জব কার্ড তৈরি করে একশো দিনের টাকা নয়ছয় করেছে রাজ্য সরকার। এমনই দাবি করলেন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানান,কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংকে এই বিষয়ে তথ্য-পরিসংখ্যান দিয়েছেন তিনি ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এ নিয়ে আদালতে জনস্বার্থ মামলাও চলছে, এর পরে তাঁরা এই কেলেঙ্কারির সিবিআই তদন্ত চাইবেন।

    শুভেন্দুর কথা

    শুভেন্দু বলেন, ‘আমরা চাই আধার কার্ডের সঙ্গে একশো শতাংশ সংযোগ থাকা ত্রুটিমুক্ত জব কার্ডের তালিকা প্রস্তুত করে একশো দিনের বকেয়া টাকা রাজ্যকে দেওয়া হোক।’ গত ১ বছর ধরে একশো দিনের কাজে রাজ্যকে অর্থ দেওয়া বন্ধ রেখেছে বলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ রাজ্যের। সম্প্রতি, সংসদে এক প্রশ্নের জেরে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, একশো দিনের কাজে রাজ্যকে  বকেয়া ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরপরেই গত ১৯ ডিসেম্বর দিল্লিতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদার। সেখানেই তারা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে রাজ্যকে একশো দিনের কাজে বকেয়া টাকা দেওয়ার আগে,  ভুয়ো জব কার্ড থেকে রাজ্যের ভাঁড়ারে যাওয়া টাকার হিসাব নেওয়ার জন্য দাবি জানান। 

    আরও পড়ুন: ১৪৫৮ পদে নিয়োগ করতে চলেছে সিআরপিএফ, জানুন বিস্তারিত

    শুভেন্দুর অভিযোগ, ভুয়ো জব কার্ড আছে প্রায় চার লক্ষ ৯ হাজার। তৃণমূলের নেতারা ১৮ বছরের নীচে বয়স হওয়া সত্ত্বেও বহু নামে, বেনামে জব কার্ড তৈরি করে সেই কার্ডের ভিত্তিতে টাকা তুলতেন। একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তির নামে জব কার্ড তৈরি করে একশো দিনের টাকা আত্মস্যাৎ করার ঘটনাও সামনে এসেছে। কাজের জন্য ভিন রাজ্যে চলে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিক এমনকী মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের বাসিন্দা যিনি প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশি, তার নামেও জব কার্ড করে একশো দিনের অর্থ লুঠ করেছে তৃণমূল। এখন, জব কার্ডের সঙ্গে আধার সংযুক্তি করতে গিয়েই ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে পড়ছে। বিজেপি সূত্রের খবর, রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ যাতে বাংলার গ্রামে-গঞ্জে প্রভাব না ফেলতে পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার কথা বলছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই কেলেঙ্কারি বা নয়ছয়ের অভিযোগ নিয়ে বিজেপির পাল্টা প্রচার চললেও ‘ন্যায্য বরাদ্দ’ বন্ধ করার রাস্তায় হাঁটতে চায় না কেন্দ্রীয় সরকার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Vande Bharat: ‘আমি আসছি পশ্চিমবঙ্গে’, মোদির বাংলা সফরে কেন এহেন প্রচার বিজেপির জানেন?

    Vande Bharat: ‘আমি আসছি পশ্চিমবঙ্গে’, মোদির বাংলা সফরে কেন এহেন প্রচার বিজেপির জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই শুক্রবার। এদিন বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর সফরকে ঘিরে সাজো সাজো রব। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে হাতিয়ার করতে উদ্যোগী বঙ্গ বিজেপি (BJP)। সেজন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে রাজ্য বিজেপির তরফে। তাতে বন্দে ভারত (Vande Bharat) এক্সপ্রেস এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবির পাশে লেখা ‘আমি আসছি পশ্চিমবঙ্গে’।

    মোদি মানেই…

    কেন এভাবে প্রচার? বিজেপির একটি সূত্রের খবর, মোদি মানেই উন্নয়ন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই। নানা কারণে বাংলায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে উন্নয়ন। মোদি যদি মিস্টার ক্লিনের প্রতীক হন, তবে রাজ্য সরকারের গায়ে লেগেছে কেলেঙ্কারির পাঁক। কয়লা ও গরুপাচারকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের এক হেভিওয়েট নেতার। তিনি এখনও বন্দি রয়েছেন জেলের অন্ধকার কুঠুরিতে। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নাম। বন্দিদশা ঘোঁচেনি তাঁরও। কেন্দ্রীয় সরকারের একশো দিনের প্রকল্প, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় টাকা নয়ছয়ের গুরুতর অভিযোগও উঠেছে বঙ্গের তৃণমূল পরিচালিত সরকারের বিরুদ্ধে। পদ্ম শিবির সূত্রে খবর, রাজ্যের চলতি পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে মোদির স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকে ক্যাশ করতেই দলের তরফে এহেন উদ্যোগ।

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার হাওড়া স্টেশন থেকে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত (Vande Bharat) এক্সপ্রেসের। এদিনই উদ্বোধন করবেন জোকা-তারাতলা মেট্রো রেলের। এছাড়া নমামি গঙ্গার বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাসও করবেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর যাত্রাপথের দুপাশে যেসব হোর্ডিং, ফেস্টুন লাগানো হবে, তাতে প্রধানমন্ত্রীর ছবির পাশেই থাকবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষের ছবি।

    এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর বাংলা সফরে তাঁকে কীভাবে স্বাগত জানানো হবে, তা স্থির করতে বুধবার রাতে বৈঠকে বসে বিজেপির বঙ্গ শিবির। বৈঠকে সুকান্ত, শুভেন্দু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়, অমিত মালব্য প্রমুখ। এই বৈঠকে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। প্রধানমন্ত্রীর বঙ্গ সফর প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, আমি নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রীকে প্রণাম জানাতে যাব। তবে কোথায়, সেটা দলই ঠিক করব।

    আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণ রুখতে সক্রিয় কেন্দ্র, কলকাতায় জনসভা বাতিল করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kolkata Metro: ৩০ তারিখ উদ্বোধন হচ্ছে জোকা মেট্রো, কবে থেকে পরিষেবা পাবেন যাত্রীরা?

    Kolkata Metro: ৩০ তারিখ উদ্বোধন হচ্ছে জোকা মেট্রো, কবে থেকে পরিষেবা পাবেন যাত্রীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। কিছুদিনের মধ্যেই বহু প্রতীক্ষিত জোকা মেট্রো (Kolkata Metro) উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জোকা–তারাতলা মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধনে আমন্ত্রণ পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও। এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরার উপস্থিতিতে জোকা ও তারাতলার মধ্যে মেট্রোর ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয়েছে। জানা গিয়েছে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর সকলা সাড়ে ১০টার সময় হাওড়া স্টেশন থেকেই ভার্চুয়ালি জোকা মেট্রোর উদ্বোধন করবেন নরেন্দ্র মোদি। তবে সেদিন যাত্রীদের জন্যে চলবে না মেট্রো। আগামী সোমবার অর্থাৎ ২ জানুয়ারি থেকে পরিষেবা পাবেন যাত্রীরা।

    প্রতীক্ষার অবসান

    দীর্ঘ ১২ বছরের প্রতীক্ষার অবসান। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হচ্ছে বেহালাবাসীর জন্যে। মেট্রো (Kolkata Metro) পেতে চলেছে বেহালাবাসী। নিজে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই মেট্রো রুটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবারের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

    আরও পড়ুন: বিএসএফ এবং কাস্টমসের যৌথ অভিযানে বাজেয়াপ্ত ১৭,০০০ ইয়াবা ট্যাবলেট, গ্রেফতার ১

    ওয়ান ট্রেন সিস্টেমে জোকা-তারাতলা রুটে মেট্রো (Kolkata Metro) চলবে। অর্থাৎ জোকা থেকে মেট্রো ছেড়ে তা তারাতলায় পৌঁছে ফের জোকায় ফিরবে। তাই একবার ট্রেন মিস করলে পরের ট্রেনের জন্যে অপেক্ষা করতে হবে ৩০-৪০ মিনিট। সিগন্যালিংয়ের কাজ শেষ হলে দুই দিকে একসঙ্গে পরিষেবা পাওয়া যাবে।  

    আপাতত জোকা-তারাতলা (Kolkata Metro) রুটে সর্বোচ্চ ভাড়া হবে ২০ টাকা। সর্বনিম্ন ভাড়া হবে ৫ টাকা। জোকা থেকে ঠাকুরপুকুর যেতে ভাড়া লাগবে ৫ টাকা। জোকা থেকে সখের বাজার এবং বেহালা চৌরাস্তার ভাড়া হতে পারে ১০ টাকা। জোকা থেকে বেহালা বাজার এবং তারাতলার ভাড়া হতে পারে ২০ টাকা। এই রুটের উদ্বোধন হয়ে গেলে শুরু হবে মেট্রো চলাচল। জোকা থেকে ঠাকুরপুকুর, সখের বাজার, বেহালা চৌরাস্তা এবং বেহালা বাজার পেরিয়ে দ্রুত যাত্রীরা পৌঁছে যাবেন তারাতলায়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Darjeeling: ‘‘গণতন্ত্র বিপন্ন’’! দার্জিলিং পুরসভায় দল ক্ষমতায় আসার দিনেই তৃণমূল ছাড়লেন বিনয়

    Darjeeling: ‘‘গণতন্ত্র বিপন্ন’’! দার্জিলিং পুরসভায় দল ক্ষমতায় আসার দিনেই তৃণমূল ছাড়লেন বিনয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হামরো পার্টিকে ক্ষমতাচ্যুত করে দার্জিলিং (Darjeeling) পুরসভার দখল নিয়েছে অনীত থাপার দল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। আস্থা ভোটে তৃণমূলের সঙ্গে জোট বেঁধেই অনীত থাপার দল জয়ী হয়েছে। আর এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিনয় তামাং (Binay Tamang)। করলেন বিস্ফোরক মন্তব্য। বললেন, ‘দার্জিলিঙের গণতন্ত্র বিপন্ন।’ তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ার কথাও নিজের মুখে স্বীকার করলেন। ‘দলত্যাগ’ শব্দটি উল্লেখ না করেও দল ছাড়ার বিষয়টি এক রকম স্বীকার করেই নিয়েছেন তিনি। বিনয় তামাং জানিয়েছেন, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে নিজেকে আলাদা করে নিয়েছেন। এর জন্য তৃণমূল যদি দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ সংক্রান্ত কোনও পদক্ষেপ নেয়, তাতে কোনও আপত্তি নেই তাঁর। 
     
    দার্জিলিং (Darjeeling) পুরসভায় ক্ষমতার হস্তান্তর হয়েছে। আগে সেখানে ক্ষমতায় ছিল হামরো পার্টি। কিন্তু আস্থা ভোটে হামরো পার্টিকে সরিয়ে তৃণমূলের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে অনীত থাপার দল। আর এরই মধ্যে বিনয় তামাংয়ের নিজেকে তৃণমূলের থেকে আলাদা করে নেওয়ার সিদ্ধান্তে যে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল তা বলাই বাহুল্য। এবার তাহলে কোন দলে নাম লেখাবেন তামাং? এখন এই প্রশ্নেই উত্তাল পাহাড়ের রাজনীতি। বিনয় তামাং জানিয়েছেন, তাঁর পরবর্তী রাজনৈতিক পদক্ষেপ খুব তাড়াতাড়ি সামনে আসবে।

    আরও পড়ুন: হাসপাতালে ভর্তি নরেন্দ্র মোদির শতবর্ষ অতিক্রান্ত মা হীরাবেন মোদি

    কী হয়েছে?

    রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, অনীত থাপার সঙ্গে বিনয় তামাংয়ের সম্পর্ক কখনই খুব একটা মধুর ছিল না। বিনয় তামাং পাহাড়ে (Darjeeling) তৃণমূলের মুখ হওয়া সত্ত্বেও, অনীত থাপাকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছে দল। আর তাতেই বেজায় ক্ষেপেছেন বিনয়। অনীত থাপার দল ও তৃণমূল দুটি পৃথক সংগঠন হলেও বর্তমানে সমর্থন নিজের কোর্টে রাখতে একে অপরকে সহযোগীতা করছে।

    প্রসঙ্গত, এক বছর আগে বিনয় তামাং (Darjeeling) তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি তৃণমূলের সঙ্গে জোট করে লড়েছিলেন। তখন তিনিই ছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সুপ্রিমো হিসেবে। তারপর তিনি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ছেড়ে সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। ২০২১-এর ২৪ অক্টোবর তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। তারপর তিনি দার্জিলিং পুরসভা এবং পরে জিটিএ নির্বাচনে দলকে নেতৃত্ব দেন। এমনকী জিটিএ নির্বাচনে তিনি জয়ীও হন।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Vande Bharat: মেনুতে বাঙালিয়ানার ছোঁয়া! হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে স্বপ্নের যাত্রা

    Vande Bharat: মেনুতে বাঙালিয়ানার ছোঁয়া! হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে স্বপ্নের যাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গের প্রথম ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’চালু হবে নতুন বছর থেকেই। আগামী ৩০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ট্রেনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেও কবে থাকে বন্দে ভারত সাধারণের জন্য চালু হবে তা এখনও জানাতে পারেননি রেল কর্তৃপক্ষ। তবে ইতিমধ্যেই বাঙালির ভুঁড়িভোজের কথা মাথায় রেখে বঙ্গের বন্দে ভারতের বিশেষত্বই হচ্ছে তার মেনু। বাঙালি রুচির কথা ভেবে এখানে আমিষও ঠাঁই পাচ্ছে। নববর্ষ, দুর্গাপুজোর বিশেষ মেনুর পরিকল্পনা হচ্ছে। যাত্রার শুরুতে বিশেষ শ্রেণিতে থাকতে পারে ডাবের জলের আপ্যায়ন। থাকবে চা কফি। বাসমতি চালের ভাত, ভাজা মুগের ডাল,তরকারি,মাছের ঝোল,চিকেন,ফিশ ফ্রাই থাকবে ঘুরে ফিরে। খাবার ঠান্ডা বা গরম থাকার ব্যবস্থা থাকবে। 

    বাঙালিয়ানার ছোঁয়া

    ইতিমধ্যেই লুচি-আলুরদম, লুচি-ছানার ডালনার সঙ্গে নলেন গুড়ের সন্দেশ ও ফিশ ফ্রাইয়ের ব্যবস্থার কথা জানিয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়ে গিয়েছে ভারতীয় রেল বোর্ডের কাছে। ।এ ছাড়াও মেনুতে থাকছে বাজরার রুটি, ভুট্টার রুটির ব্যবস্থা। কেক, ডিমসেদ্ধও থাকছে। মিলবে দই, আইসক্রিম, কোল্ড ড্রিংকস। এই খাবার বা অন বোর্ড ক্যাটারিং ব্যবস্থা সামলাবে আইআরসিটিসি নিজেই৷ হাওড়া এবং নিউ জলপাইগুড়ির মধ্য়ে যাতায়াত করতে গিয়ে যাত্রীরা পাবেন ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার, স্ন্যাক্স। এছাড়া চা,জলের ব্যবস্থাও থাকছে। কেউ যদি হাওড়া থেকে এনজেপি সফর করেন, তবে তাঁকে ট্রেনে  ব্রেকফাস্ট এবং দুপুরের খাবার পরিবেশন করা হবে। আবার যদি কেউ এনজেপি থেকে হাওড়া আসেন তবে ট্রেনে চা-জলখাবার এবং রাতের খাবার পরিবেশন করা হবে। আপনার ট্রেনের টিকিটের মূল্যের  সঙ্গেই খাবারের দাম ধরা থাকবে। আপনি আপনার সময় মতো চেয়ারে বসেই খাবার পেয়ে যাবেন। যাঁরা বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে অন বোর্ড ক্যাটারিংয়ের দায়িত্ব সামলাবেন তাঁদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ঝটিকা সফরে শুক্রবার শহরে প্রধানমন্ত্রী! বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করবেন মোদি

    বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে  ১৬টি সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কার কোচ রয়েছে। যেখানে আবার প্লেনের মতো দুই ধরনের বসার বিভাগ আছে। একটি হল  ইকোনমি এবং আরেকটি এক্সিকিউটিভ ক্লাস। আধুনিক প্রযুক্তির সেমি হাইস্পিড বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি শতাব্দী এক্সপ্রেসের তুলনায় কিছুটা এগিয়ে রাখতে রেলের তরফে অন্তত এক পিঠে যাত্রার সময় আধ ঘণ্টা কমানোর চেষ্টা চলছে। ভবিষ্যতে আরও এক ঘন্টা সময় বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে রেল সূত্রে খবর। সে-জন্য খানা থেকে গুমানি এবং মালদহ থেকে শিলিগুড়ির মধ্যে ট্রেনটির গতিবেগ কিছুটা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anti Corruption Branch: পুলিশি তদন্তের মুখে খোদ পুলিশ-ই! উত্তরবঙ্গে তিন অফিসারের বাড়িতে তল্লাশি

    Anti Corruption Branch: পুলিশি তদন্তের মুখে খোদ পুলিশ-ই! উত্তরবঙ্গে তিন অফিসারের বাড়িতে তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির শিকড় এতটাই গভীর যে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে রাজ্যেরই দুর্নীতি দমন শাখা (Anti Corruption Branch)। সম্প্রতি রাজ্য দুর্নীতিদমন শাখার (ACB) পাঁচ সদস্যের একটি দল উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের কয়েকজন পুলিশ আধিকারিকের বাড়িতে হানা দেয়। তাদের নজরে রয়েছে বেশ কয়েকজন পুলিশ ইন্সপেক্টর। সঙ্গে বিডিও ও সরকারি আধিকারিকও। তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, দুর্নীতিদমন শাখার দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাঁদের। 

    সক্রিয় রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখা

    রাজ্যে তখন সদ্য পালাবদল ঘটেছে। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১২ সালে তৈরি করা হয় রাজ্য দুর্নীতিদমন শাখা (ACB)। উদ্দেশ্য, প্রশাসনকে দুর্নীতিমুক্ত করা। এমনকী, পুলিস-সহ বিভিন্ন সরকারি আধিকারিকদের গ্রেফতারও করেন দুর্নীতিদমন শাখার আধিকারিকরা। সম্প্রতি জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী কড়া বার্তা দিয়েছেন একাধিকবার।  এবার পুলিশকর্তা ও সরকারি আধিকারিকদের বাড়িতে একযোগে অভিযান শুরু করল রাজ্য দুর্নীতিদমন শাখা (ACB)। 

    গত সোমবার শিলিগুড়িতে মাটিগাড়া থানার আইসি সমীর দেউসার ফ্ল্যাটে হানা দেন দুর্নীতিদমন শাখার আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত তল্লাশি চলে। উদ্ধার হয় বেশ কিছু নথি ও নগদ টাকা। রেহাই পাননি মালদহের চাঁচলের আইসি পূর্ণেন্দু কুণ্ডুও। ইসলামপুরের আইসি শমীক চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতেও হানা দেয়ে তদন্তকারী আধিকারিকেরা। দুর্নীতি দমন শাখা সূত্রে খবর, গত কয়েক বছর ধরে পুলিশকর্তা, বিডিও ও সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি ও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ জমা পড়েছে। এমনকী, প্রাথমিক তদন্তে সেই অভিযোগের সত্য়তার প্রমাণ মিলেছে। এরপর অভিযুক্তদের যখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তখন সদুত্তর দিতে পারেননি তাঁরা। সেকারণেই এই তল্লাশি অভিযান।

    আরও পড়ুন: এখন থেকে বুস্টার ডোজ হিসেবে নিতে পারবেন নেজাল ভ্যাকসিন, দাম কত জানেন?

    সঙ্গত কারণেই তল্লাশি

    বিশেষজ্ঞদের দাবি, এসিবি-র এই সক্রিয়তা আকস্মিক কিছু নয়। শিক্ষায় নিয়োগ-দুর্নীতি থেকে শুরু করে গরু ও কয়লা পাচারের মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী, কিছু সরকারি আধিকারিক, এক শ্রেণির পুলিশকর্তার নাম জড়িয়ে যাওয়ায় সরকারের ভাবমূর্তিতে কালি লেগেছে বলে বিরোধী শিবির যখন সরব, সেই সময়ে কালি মোছার পালা গতি পেয়েছে সঙ্গত কারণেই। দুর্নীতি ঠেকাতে তাই নিচু তলার পুলিশ আধিকারিক থেকে সরকারি অফিসারদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। এসিবি সূত্রের খবর,রাজ্য সরকারের ১৭ জন অফিসার-কর্মীর বিরুদ্ধে ‘প্রিভেনশন অব করাপশন অ্যাক্ট’ বা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলা রুজু করেছে এসিবি। চলছে হানাদারিও। গত শুক্র ও শনিবার বর্ধমানের কেতুগ্রাম, বর্ধমান শহর, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা এবং উত্তরবঙ্গে অভিযুক্তদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে এসিবি সূত্রের খবর। ওই অভিযুক্তদের মধ্যে পাঁচ জন পুলিশ অফিসারও আছেন। তদন্তকারীদের দাবি, গত সোমবার উত্তরবঙ্গে তিন পুলিশ আধিকারিকের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু এসিবি-র তদন্তকারীরা কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিকের বাড়িতে তল্লাশি করতে পারেননি। তাঁদের বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় থানায় ইতিমধ্যে বিষয়টি জানিয়েছে এসিবি।

  • Vande Bharat: সময়ের আগেই পৌঁছল গন্তব্যে, ট্রায়াল রানেই সুপারহিট বন্দে ভারত এক্সপ্রেস

    Vande Bharat: সময়ের আগেই পৌঁছল গন্তব্যে, ট্রায়াল রানেই সুপারহিট বন্দে ভারত এক্সপ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য পেতে চলেছে প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat)। সোমবার হয়ে গেল তারই ট্রায়াল রান। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ইতিমধ্যেই চলছে ৬টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। সাত নম্বর ট্রেনটি পাবে পশ্চিমবঙ্গ। সোমবার ভোর ৫ টা ৫৫ মিনিটে হাওড়ার ২২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রায়াল রান শুরু করে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ট্রেনটি দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছয়। শুধুমাত্র মালদহ টাউন স্টেশনে দাঁড়ায় ট্রেনটি। আগামী ৩০ ডিসেম্বর হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ির বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনে আসার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।

    এই ট্রেনে (Vande Bharat) হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছতে ঠিক কতটা সময় লাগবে? তা জানালেন পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “মাত্র সাড়ে সাত ঘণ্টায় হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ছুটবে। আপাতত সেই লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। খানা থেকে মালদার মধ্যে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার বেগে ছুটবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।” 
     
    পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আরও বলেন, “আগামীদিনে আরও কম সময় হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে ছুটবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। সেজন্য রেল ট্র্যাকের উন্নতি করা হচ্ছে। পরিবর্তন করা হচ্ছে ট্র্যাকের। পরিকাঠামো আরও উন্নত করছে রেল। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, তত আরও কম সময় বন্দে ভারত (Vande Bharat) চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে কোনওরকম ঝুঁকি নেওয়া হবে না। যাত্রীদের সুরক্ষার উপর সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে।”

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের বরাদ্দের বছর পার, এখনও শেষ হল না রাজ্যের করোনা প্রস্তুতি

    রবিবারই হাওড়ায় আসে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat)। রাজ্যে এই ট্রেন প্রথম। ট্রেনটি রাখা হয়েছিল লিলুয়ার সর্টিং ইয়ার্ডে। সোমবার সকালে হাওড়া স্টেশন থেকে শুরু হয় ট্রেনটির ট্রায়াল রান। নীল-সাদা রঙের এই অত্যাধুনিক দ্রুত গতির ট্রেনটি হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত যাতায়াত করবে সপ্তাহে ৬ দিন।

    এই ট্রায়াল রানের একটি সূচি তৈরি করা হয়েছিল। যেখানে জানানো হয়েছিল হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছতে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat) নেবে ৭ ঘন্টা ৩০ মিনিট। মূলত ৫৭০ কিলোমিটার এই দীর্ঘ পথ অতিক্রম হবে ৮ ঘণ্টারও কম সময়ে। দুপুর ১: ২৫ মিনিট নাগাদ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস জলপাইগুড়িতে গিয়ে উপস্থিত হবে। আর তারপর ফের তিনটে পাঁচ মিনিটে জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে হাওড়ার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যাবে।

    কী কী সুবিধা পাবেন এই ট্রেনের যাত্রীরা?

    জানা গিয়েছে, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের (Vande Bharat) যাত্রীরা পাবেন একাধিক পরিষেবা। যেমন ব্রেকফাস্ট এবং দুপুরের লাঞ্চ পরিবেশন করা হবে ট্রেনে। রয়েছে চা-স্ন্যাক্সের ব্যবস্থা। এই এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ১৬টি চেয়ার কার কোচ রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ইকোনোমি এবং এক্সিকিউটিভ ক্লাস। জানা গিয়েছে, এই এক্সিকিউটিভ ক্লাসের চেয়ারগুলি সম্পূর্ণ ১৮০° পর্যন্ত ঘুরতে পারে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Covid 19: কেন্দ্রের বরাদ্দের বছর পার, এখনও শেষ হল না রাজ্যের করোনা প্রস্তুতি

    Covid 19: কেন্দ্রের বরাদ্দের বছর পার, এখনও শেষ হল না রাজ্যের করোনা প্রস্তুতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার (Covid 19) চোখরাঙানি আবার শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রী রাজ্যগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বড়দিনের উৎসব আর আলোর রোশনাইয়ে ফিকে হয়ে যাচ্ছে মানুষের মহামারির গুরুত্ব! বড়দিনের উৎসবে সেজে উঠেছে কলকাতা। কিন্তু কলকাতার সরকারি হাসপাতালগুলো কি করোনা মোকাবিলায় সবরকমভাবে সেজে উঠতে পেরেছে?

    করোনার (Covid 19) দ্বিতীয় ঢেউ দেখিয়েছিল, হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট কতখানি জরুরি। কৃত্রিম অক্সিজেন ছিল একমাত্র হাতিয়ার। রোগীকে সুস্থ করতে কৃত্রিম অক্সিজেনের ব্যাপক চাহিদা দেখা দিয়েছিল। তাই কেন্দ্রের তরফে হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট তৈরির দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। কেন্দ্র সরকার সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট তৈরির জন্য আলাদা আর্থিক বরাদ্দ ও করে।

    কাজ কতখানি এগিয়েছে?

    রাজ্যের সব হাসপাতাল তো দূর অস্ত। কলকাতার (Covid 19) সব সরকারি হাসপাতালেও পর্যাপ্ত কৃত্রিম অক্সিজেন সরবরাহ থাকে না। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃত্রিম অক্সিজেনের জন্য এখনও সরকারি হাসপাতালের ভরসা বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল। সেখানেই রয়েছে অক্সিজেন প্লান্ট। কিন্তু বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল হলো সংক্রামক রোগের চিকিৎসার হাসপাতাল। তাই ডেঙ্গি হোক কিংবা করোনা, সবচেয়ে বেশি রোগীর চাপ থাকে এই বেলেঘাটা আইডি-তেই। তাই নিজের হাসপাতালের রোগীদের চাহিদা মিটিয়ে, আরেক হাসপাতালে কৃত্রিম অক্সিজেন পাঠানো বেশ কঠিন হয়ে যায়।

    কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও অক্সিজেন প্লান্ট তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, কাজ অনেকটাই বাস্তবায়িত হলেও চাহিদা পূরণের জন্য এখনো স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়নি। এনআরএস, এসএসকেএম কিংবা আরজিকরের মতো প্রথম সারির মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলো এখনও কৃত্রিম অক্সিজেন তৈরিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারেনি। 
    বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা, যদি ফের করোনা (Covid 19) পরিস্থিতি ২০২০-২১ সালের মতো হয়, তাহলে রাজ্যে আরও ভয়ঙ্কর অবস্থা হবে। 

    চিকিৎসকদের আশঙ্কা, রাজ্যে সচেতনতা একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। চিনে করোনার (Covid 19) প্রকোপ বাড়তেই কেন্দ্র সতর্ক করেছে। মাস্ক ব্যবহার অপরিহার্য ঘোষণা করেছে। কিন্তু কলকাতায় মাস্ক উধাও। অতিরিক্ত জনসমাগমেও রাশ টানার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু কেন্দ্রের পরামর্শকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজ্য। বড়দিনের উৎসব হচ্ছে স্বাভাবিক ছন্দেই। পার্ক স্ট্রিট থেকে ব্যান্ডেল চার্চ, গত দুদিন শহর থেকে জেলা, সর্বত্র উপচে পড়া ভিড়। কোথাও মাস্ক পরার রেওয়াজ নেই। প্রশাসনের তরফেও কোথাও নজরদারি নেই। তাই করোনা সংক্রমণ বাড়বে বলেই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞ মহলের। 

    সংক্রমণ বাড়লে রাজ্য সামাল দিতে পারবে তো?

    স্বাস্থ্য কর্তারা অবশ্য বলছেন, ইতিমধ্যেই সরকারি হাসপাতালগুলোতে বেড বাড়ানো হয়েছে। আলাদা করে করোনার জন্য প্রস্তুত করার নির্দেশ ও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাজ্যের টিকা ঘাটতি অন্যতম সমস্যা বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা। তারা জানাচ্ছেন, করোনার চতুর্থ ডোজ নেওয়ার প্রবণতা অধিকাংশ মানুষের নেই। তবে, চাহিদা তৈরি হলেও জোগান দেওয়ার ক্ষমতা আপাতত রাজ্যের নেই। বাগবাজারের সেন্ট্রাল স্টোর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কোভ্যাকসিন ছাড়া আর কোনও করোনার (Covid 19) টিকা তাদের কাছে মজুত নেই। ফলে, টিকা না পেলে করোনা প্রতিরোধ আরও কঠিন হয়ে যাবে।

    আরও পড়ুন: “মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঠকিয়েছে”, শীজানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তুনিশার মা

    আপাতত উৎসবে মজে থাকা বাঙালির আগামী বছর কেমন কাটবে সে নিয়ে দুশ্চিন্তায় বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে করোনা (Covid 19) প্রস্তুতি ছিটেফোঁটাও নেই। সময় মতো কেন্দ্রকে টিকার প্রয়োজনীয়তাও জানাতে পারেনি রাজ্য। তাই সবরকম টিকা ও ভাণ্ডারে নেই। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, জনসচেতনতাই রেহাই দিতে পারে। মাস্ক, স্যানিটাইজারের ব্যবহার আর অকারণ ভিড় এড়িয়ে চলাই করোনার ঢেউ আটকাতে পারে। কিন্তু বড়দিনের জনপ্লাবন সেটা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share