Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Pradhan Mantri Awas Yojana: ‘বেচাল দেখলেই ইমেল করুন’, কেন লিখলেন শুভেন্দু ?

    Pradhan Mantri Awas Yojana: ‘বেচাল দেখলেই ইমেল করুন’, কেন লিখলেন শুভেন্দু ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শর্ত-নিষেধাজ্ঞাই সার! এখনও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (Pradhan Mantri Awas Yojana) বদলে বাংলা আবাস যোজনা (Bangla Awas Yojana) নাম ব্যবহার করে চলেছে রাজ্য। সম্প্রতি আবাস প্লাস (প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের পরবর্তী সংযোজন) প্রকল্পের উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বাড়ি তৈরির টাকা দেওয়া শুরু হবে। কেন্দ্রের নির্দেশ, টাকা পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করতে হবে। কেন্দ্রের এই প্রকল্পের নামই আমূল বদলে দিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রকল্পের নাম হয়েছে বাংলা প্লাস প্রকল্প। এরই প্রতিবাদে সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘ পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। উগরে দিয়েছেন ক্ষোভ।

    আবাস প্লাস প্রকল্প…

    আবাস প্লাস প্রকল্পের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির পোস্টার তুলে ধরেছেন শুভেন্দু। নীচে লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রীও বাদ, বাংলাও বাদ!!! কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ছবি জ্বলজ্বল করছে। তিনি লিখেছেন, পোস্টারটি শাসক দলের নিযুক্ত একটি কর্পোরেট সংস্থার মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (Pradhan Mantri Awas Yojana) (গ্রামীণ) প্রকল্পের নতুন নামকরণ করা হয়েছে…

    এরপর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা পোস্টে লিখেছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত সারা দেশে এই প্রকল্পে মোট ২ কোটি ৯৫ লক্ষ বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে। উক্ত প্রকল্পের অধীন রাজ্য সরকারকে নতুন লক্ষ্যমাত্রা অনুমোদন করা হয়নি। কারণ এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন অভিযোগ ও অসন্তোষজনক তথ্য জমা পড়ে এবং নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রকল্পের নাম বদলে বাংলা আবাস যোজনা করা হয়।

    আরও পড়ুন: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এত এফআইআর দায়ের হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি…

    শুভেন্দু এও উল্লেখ করেছেন, বেশ কয়েকটি নিয়ম বা শর্ত মেনে চলতে হবে রাজ্য সরকারকে। সেই শর্তের একেবারে এক নম্বরেই লেখা হয়েছে… প্রকল্পের আসল নাম প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (Pradhan Mantri Awas Yojana) (গ্রামীণ) ও লোগো জনগণকে অবগত করানোর জন্য প্রকল্পের তথ্য সহ সাইনবোর্ড প্রদর্শন করতে হবে। কেন্দ্রীয় গাইডলাইন অনুসারে এই প্রকল্পের মাধ্যমে নির্মিত প্রতিটি বাড়িতে তা লাগাতে হবে। অন্য কোনও নাম লোগো বা ব্র্যান্ডিং এই সকল বাড়িতে লাগানো যাবে না। একেবারে সরাসরি নিয়মের কথা উল্লেখ করে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। পোস্টের শেষে তিনি লিখেছেন, কোনও বেচাল দেখলে ইমেল করুন এখানে…

    Min-mopr@gov.in

    officeministerahdf@gmail.com

    এর সঙ্গে নিজের ইমেল আইডি adhikarisuvenduwb1@gmail.com উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

    এদিকে, আবাস যোজনার কাজ করতে রাজি নন আইসিডিএস কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, ২০১৮-র তালিকা যাচাইয়ের কাজ করতে গিয়ে হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। এরই প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদ জিয়াগঞ্জ ব্লকের বিডিও অফিস ও আইসিডিএস অফিসে ডেপুটেশন জমা দিয়েছেন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Depression: নিম্নচাপের প্রভাবে বাধাপ্রাপ্ত উত্তুরে হাওয়া! সপ্তাহান্তে কমতে পারে শীত

    Depression: নিম্নচাপের প্রভাবে বাধাপ্রাপ্ত উত্তুরে হাওয়া! সপ্তাহান্তে কমতে পারে শীত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শীতের  দাপট বাড়ছে। লেপ-কম্বল বার করে নিয়েছেন বহু মানুষই। চাদর সোয়েটার তো বেরিয়েছেই। এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে উত্তুরে হাওয়ার দাপট রয়েছে। তাই আজ হালকা শীতেকর আমেজ বজায় থাকবে দক্ষিণবঙ্গে। তবে সাগরে গভীর নিম্নচাপের জেরে শুক্রবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। 

    আরও পড়ুন: জেগে উঠেছে ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট সেমেরু আগ্নেয়গিরি, সরানো হল কয়েক হাজার মানুষকে

    নিম্নচাপের প্রভাব

    ইতিমধ্যেই দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপ দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে মন্দৌস। নিম্নচাপের ফলে শুক্রবারের পর থেকে বঙ্গে রাতের তাপমাত্রা সাময়িকভাবে বেড়ে যাবে। তবে দক্ষিণবঙ্গ বা উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে আজও ঠান্ডা অনুভূতি বজায় থাকবে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। আকাশ আংশিক মেঘলা। বইছে ঠান্ডা হাওয়াও। রোদের মুখ দেখার জন্য সকাল থেকে অপেক্ষা করছেন শীত কাতুরেরা। এদিন সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি এবং ১৬ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে। এর আগে বুধবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.৩ ডিগ্রি, স্বাভাবিক। বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৩ শতাংশ। 

    আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্দৌস’! বাংলায় আবহাওয়ার কি পরিবর্তন হবে?

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর,আগামী চার-পাঁচ দিন রাজ্যে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। কলকাতায় সকালের দিকে হালকা কুয়াশা থাকবে। সকাল-সন্ধ্যে শীতের আমেজ বজায় থাকবে। এদিন সকালে আকাশ মেঘলা থাকলেও শহরের তাপমাত্রার পারদ ছিল নিম্নমুখী। আরও ৪৮ ঘণ্টা রাজ্যজুড়ে উত্তর পশ্চিম ভারতের কনকনে হিমেল হাওয়া অবাধে প্রবেশ করবে। আজও এই প্রবণতা বহাল থাকবে। শুক্রবার থেকে নিম্নচাপের জেরে উত্তুরে হাওয়া বাধা প্রাপ্ত হবে। শীতের দাপট একটু কমবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন সুকান্ত-শুভেন্দু, কেন জানেন?  

    Suvendu Adhikari: কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন সুকান্ত-শুভেন্দু, কেন জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছে বুধবার। এদিনই রাজ্যের বকেয়া টাকা মেটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারকে ফোন করে দ্রুত টাকা মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এদিকে, এরই মধ্যে ১৯ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য সময় চেয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বর্তমানে দিল্লিতে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। অধিবেশন চলায় দিল্লিতে রয়েছেন সুকান্তও। এহেন আবহে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চলেছেন সুকান্ত। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, মনরেগার প্রকৃত শ্রমিকরা টাকা পান, এটা তাঁদের কাম্য। তবে কোনওভাবেই সেই টাকা যেন তৃণমূল নেতাদের পকেটে না যায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে।

    টাকা বন্ধের কারণ…

    খরচের হিসেব না দেওয়ায় রাজ্যকে একশো দিনের কাজের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল কেন্দ্র। যার জেরে ব্যাপক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে মমতা সরকার। টাকার অভাবে গ্রামাঞ্চলে মুখ থুবড়ে পড়ে একশো দিনের কাজ প্রকল্প। অথচ সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। চাপে পড়ে যায় তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, হিসাব না মেটালে টাকা দেওয়া হবে না। টাকা চেয়ে কেন্দ্রের কাছে বারংবার আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতেও কাজ হয়নি। উল্টে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কেন্দ্রের টাকার ধার ধারেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: মোদি-ম্যাজিকে ভর করে টানা সপ্তমবার গুজরাট দখলের পথে বিজেপি

    একশো দিনের প্রকল্পে টাকা না পেয়ে এতদিন কেন্দ্রকে নিশানা করছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন টাকা পাওয়ার খবর পেয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। মমতা বলেন, আর্থিক বছর দু মাস বাকি থাকতে টাকা দিলে, সেটা কোনও কাজে আসে না। বলবে, আমরা টাকা দিয়েছি, ওরা কাজ করতে পারেনি। তাঁর প্রশ্ন, কীভাবে হবে? বরাত দিতে সময় লাগে না? কাজ তৈরি করতে সময় লাগে না? মমতা বলেন, সঠিক সময়ে টাকা দেওয়া দরকার। এটা তো এক ধরনের চালাকি! আর্থিক বছরের শেষে কিছু দিয়ে দাও। যেন ভিক্ষা দিচ্ছে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dear Lottery: লটারি কাণ্ডে ১২ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম! জানেন কী বলছে ইডি?

    Dear Lottery: লটারি কাণ্ডে ১২ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম! জানেন কী বলছে ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু অনুব্রত মণ্ডল নন, লটারি কাণ্ডে ১২ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম রয়েছে বলে জানতে পেরেছে ইডি। গরু পাচার মামলায় অনুব্রতের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে ইডি জানতে পারে রাজনৈতিক সংযোগ রয়েছে এমন অনেক প্রভাবশালীই (Influentials) গত কয়েক বছরে একটি বিশেষ কোম্পানির লটারি (lottery) জিতেছেন বারংবার। ইডি জানিয়েছে, অন্তত ১২ জন এমন ‘প্রভাবশালী’ লটারি বিজেতার খবর পাওয়া গেছে, যাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই বেআইনিভাবে গরু, কয়লা কিংবা বালি পাচারের অভিযোগ রয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, এই প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ব্যাঙ্কের নথি পরীক্ষার কাজ চলছে।

    কী জানতে পেরেছে ইডি

    গরুপাচার মামলার তদন্তে নেমে ইডির অফিসাররা জানতে পারেন, নির্দিষ্ট একটি লটারি কোম্পানির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। অনুব্রত ও তাঁর কন্যার পাঁচবার লটারি জিতেছেন। গরু পাচার কাণ্ডে আর এক অভিযুক্ত তিহার জেলে বন্দি এনামুল হকও লটারি জিতেছেন। এইসব ঘটনা থেকেই স্পষ্ট, নির্দিষ্ট লটারি কোম্পানিকে ব্যবহার করে কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। লটারির পুরষ্কার মূল্যের আসল প্রাপকের কাছ থেকে জোর করে টিকিট নিয়ে সেই নম্বর পঠিয়ে দেওয়া হতো ওই সংস্থার উচ্চ পদাধিকারীদের কাছে। এই বিষয়ে তথ্য পেতে নয়াদিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয় ওই লটারি সংস্থার এক কর্মীকে। ইডি সূত্রে খবর, তিনি সমস্ত তথ্য দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ফের বেঁফাস অখিল গিরি, অশীতিপর শিশিরকে কী ভাষায় আক্রমণ করলেন জানেন?

    সূত্রের খবর, ইডির (ED) দাবি করা এই ১২ জন প্রভাবশালীর ক্ষেত্রে জেতা টাকার অঙ্ক ১ কোটির কম হওয়ায় তাঁদের নাম এবং ছবি দিয়ে কোম্পানির বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়নি। সেই কারণেই তাঁদের লটারি জেতার কথা প্রকাশ পায়নি। একাধিক রাজনৈতিক প্রভাবশালীর একটি বিশেষ কোম্পানির লটারি জেতা যে কাকতালীয় নয়, তা ক্রমশই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছিল তদন্তকারীদের কাছে। এই সমস্ত রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা শুধু বীরভূম নয়, ছড়িয়ে রয়েছেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। তাঁদের অনেকেই অন্যের জেতা টিকিট জোগাড় করে তা নিজের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-বন্ধুদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তারপর তাঁদের মাধ্যমেই আসল প্রাপকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ‘কালো’ টাকা। প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই একাধিকবার এভাবে লটারি পাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জেতা টাকার অঙ্ক ৩০-৪০ হাজার হওয়ার কারণে কারও সন্দেহও যেমন হয়নি, তেমনই লটারি কোম্পানির বিজ্ঞাপনে বিজেতার ছবি ও নাম ছাপা হয়নি। ফলে পুরো বিষয়টি গোপন থেকেছে তো বটেই, একই সঙ্গে এই অভিনব পদ্ধতিতেই বিপুল পরিমাণ কালো টাকা সাদা করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Kolkata Medical College: ভোগান্তি চলছেই, মেডিক্যালের অচলাবস্থার জন্য কাঠগড়ায় শাসক দলের ভূমিকা

    Kolkata Medical College: ভোগান্তি চলছেই, মেডিক্যালের অচলাবস্থার জন্য কাঠগড়ায় শাসক দলের ভূমিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার অন্যতম বড় সরকারি হাসপাতাল। কলকাতা কিংবা আশপাশের জেলাই নয়, রাজ্যের সমস্ত অংশের মানুষ চিকিৎসা করাতে আসেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। আর প্রায় দু’দিন সেই হাসপাতালের রোগী পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। কিন্তু সে নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী কিংবা প্রশাসনিক প্রধানের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। 

    ছাত্র ভোটকে কেন্দ্র করে সোমবার থেকেই উত্তপ্ত হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্ধারিত সময়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে না, জানার পরেই বিক্ষুব্ধ হয় পড়ুয়ারা। নির্দিষ্ট সময়ে ছাত্র নির্বাচনের দাবিতে তারা অবস্থান শুরু করেন। আর এরপরেই জটিলতা তৈরি হয়।

    কখনও অধ্যক্ষ, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-চিকিৎসককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা, আবার কখনও চিকিৎসক-পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে অবস্থানে বসেন কর্মরত নার্সেরা। আবার পড়ুয়াদের সঙ্গে হাতাহাতি হয় রোগীর পরিজনদের। কিন্তু তারপরেও প্রশাসন চুপ! দিনভর সাধারণ মানুষের ভোগান্তির পরেও প্রশাসনের তরফে কোনও সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি। তাই অচলাবস্থা চলছেই মেডিক্যাল কলেজে। 

    কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, পড়ুয়াদের বিক্ষোভ চলাকালীন তৃণমূলের কিছু বহিরাগত নেতা হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে হুমকি দেয়। অভিযোগ, পড়ুয়াদের হোস্টেলে থাকতে দেওয়া হবে না, বিক্ষোভ করলে মারধর করা হবে এমন হুমকিও দেওয়া হয়। এরপরেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। 

    মঙ্গলবার সকালে আউটডোর পরিষেবা শুরু হতেই পরিস্থিতি জটিল হয়। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মানুষেরা জানান, বিক্ষোভের জেরে তাদের পরিষেবা স্বাভাবিক হচ্ছে না। এমনকি জরুরি শারীরিক পরীক্ষাও করা যাচ্ছে না। রোগীর পরিজনদের একাংশ অবস্থানরত পড়ুয়াদের দরজার তালা ভাঙার চেষ্টা করলে পড়ুয়া ও রোগীর পরিজনদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। মঙ্গলবার সারাদিন মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে দফায় দফায় গোলমাল হয়। যার জেরে ভুগতে হয় সাধারণ মানুষকে। 

    কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে জরুরি চিকিৎসার পাশাপাশি বিভিন্ন জটিল অস্ত্রোপচার হয়। এমনিই রোগীর চাপ মারাত্মক। তাই এক জন রোগী কয়েক মাস অপেক্ষার পরে অস্ত্রোপচারের দিন নির্ধারিত হয়। ফলে, একদিন কাজ পরিষেবা বন্ধ থাকার জেরে কয়েক হাজার মানুষের চিকিৎসা থমকে গেল। কিন্তু তারপরেও হুঁশ ফেরেনি প্রশাসনের। স্বাস্থ্য ভবন থেকে কোনও রকম সমাধান সূত্র মেলেনি। 

    আরও পড়ুন: পড়ুয়াদের বিক্ষোভে উত্তাল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, মামলা দায়ের হাইকোর্টে

    মেডিক্যাল কলেজের বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের দাবি, নির্ধারিত সময়ে ছাত্র নির্বাচন না হলে আন্দোলন চলবে। তাদের অভিযোগ, তৃণমূলের দাদাগিরি বন্ধ করতে হবে। কলেজ চত্বরে বহিরাগত তৃণমূল নেতাদের যাতায়াত বন্ধ করতে হবে। তাদের সমস্যায় কেন তৃণমূলের বহিরাগত নেতারা মাথা গলাবে, এতে তাদের আপত্তি। স্বাস্থ্য ভবন থেকে ঠিকমত আশ্বাস না পেলে, তারা আন্দোলন চালাবেই। 

    যদিও কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। হাসপাতালের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানান, ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশ মতই কাজ হবে। তিনি আলাদা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। তবে, তৃণমূলের কোনও নেতা মেডিক্যাল কলেজের অচলাবস্থা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। 

    বিরোধীরা জানাচ্ছেন, রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও নেই। আর স্বাস্থ্য মন্ত্রীও অনুপস্থিত। দিনভর হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে, একটা মেডিক্যাল কলেজের প্রশাসন কার্যত পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ, তারপরেও রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রীর কী ভূমিকা কেউ জানতে পারল না। এতেই বোঝা যায়, এ রাজ্যের সরকারের কাছে স্বাস্থ্য পরিষেবা কতখানি গুরুত্বহীন।

  • Recruitment Scam: আরও ৪০ ‘অযোগ্য শিক্ষকের’ নাম, ওএমআর শিট প্রকাশ এসএসসি-র, দেখুন তালিকা

    Recruitment Scam: আরও ৪০ ‘অযোগ্য শিক্ষকের’ নাম, ওএমআর শিট প্রকাশ এসএসসি-র, দেখুন তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিযোগ ছিল, সাদা উত্তরপত্র জমা দিয়েও ৪৩ নম্বর পেয়েছেন একাধিক পরীক্ষার্থী। নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগের পরে ওএমআর শিটে বিকৃতির (OMR sheet Corruption) অভিযোগ ওঠে গ্রুপ ডি নিয়োগ পরীক্ষার ক্ষেত্রেও (Recruitment Scam)। শেষমেশ, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ‘অযোগ্য শিক্ষকদের’ নামের দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। মঙ্গলবার এই নতুন তালিকা প্রকাশ করে কমিশন। তালিকায় নাম রয়েছে ৪০ জনের। তবে, এবার শুধু তালিকাই নয়। আদালতের নির্দেশে এই ৪০ জনের জমা দেওয়া ফাঁকা ওএমআর শিটও প্রকাশ করা হয়েছে কমিশনের তরফে। 

    আরও পড়ুন: গ্রুপ-ডি নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি! ওএমআর শিট সবার সামনে আনার নির্দেশ হাইকোর্টের

    কী নিয়ে বিতর্ক

    পরীক্ষায় পেয়েছেন শূন্য। অথচ স্কুল সার্ভিস কমিশন (Recruitment Scam)-এর সার্ভারে দেখা যায়, গ্রুপ ডির সেই প্রার্থী পেয়েছেন ৪৩। সিবিআইয়ের পেশ করা নথি নিয়েই মঙ্গলবার সরব হয় কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন শুনানিতেই বেআইনিভাবে নিয়োগ হওয়া ৪০ জনের নামের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালত। কমিশনের ওয়েবসাইটে ৪০ জনের নামের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সেই অনুযায়ী, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কমিশনের ওয়েবসাইটে আরও ৪০ জন ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের তালিকা ও ওএমআর শিট প্রকাশ করা হয়।

    মামলার প্রেক্ষাপট

    গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে মামলা করেছিলেন লক্ষ্মী টুঙ্গা। এই মামলায় বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, মোট ২৮২৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ১০০ জনের ওএমআর শিটেই এই বিকৃতির অভিযোগ উঠেছে। ওই ১০০ জন গ্রুপ ডি প্রার্থীর উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) জনসমক্ষে আনার নির্দেশ দেন বিচারপতি। এদিন বিচারপতি আরও বলেন, ‘যাঁদের নাম প্রকাশ করা হবে তাঁরা চাইলে মামলাও করতে পারেন। যদি তাঁরা মামলা করতে চান তো আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে মামলা দায়ের করতে পারেন। তাঁদের এই মামলায় যুক্ত করা হবে।

    প্রকাশ্যে তালিকা—

    এর আগে, ১৮৩ জনের নামের তালিকা একইভাবে হাইকোর্টের নির্দেশে প্রকাশ করেছে কমিশন। এবার আদালতের নিয়ম মেনে ৪০ জনের তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন (Recruitment Scam)।  

     

     

     

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Calcutta High Court: সরকারি অফিসারদের ‘বাবুগিরি’! ভিজিল্যান্স অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: সরকারি অফিসারদের ‘বাবুগিরি’! ভিজিল্যান্স অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের প্রত্যেকটি মামলায় একের পর এক তাৎপর্যপূর্ণ রায় দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর এবারে শিক্ষা দফতরের একশ্রেণির কর্মীদের কাজের প্রতি অবহেলা দেখে কড়া পদক্ষেপ নিলেন তিনি। তিনি এদিন  মন্তব্য করেন, “কাজের নামে ‘বাবুগিরি’ দেখানো?” প্রশ্ন করেন, “কাজের নামে বাবুগিরি দেখানো অফিসারদের বেতনবৃদ্ধি সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কেন দেওয়া হবে?”

    ঠিক কী ঘটেছে?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, আশা শ্রীবাস্তব জোড়াসাঁকোর মারোয়ারি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। ২০২০ সালের ১ অক্টোবর তিনি অবসর নেন। ডিএ সহ বকেয়া পাওনা টাকার যাবতীয় নথি ডিআই কলকাতা শিক্ষা দফতরে পাঠান ওই প্রাক্তন শিক্ষিকা। ২০২০ সালে অক্টোবরের ২০ তারিখ ডিআই (কলকাতা) সেই নথি পাঠায় কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশনকে। এরপর ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর থেকে সেই চিঠি পড়ে ছিল। বিলিং সেকশনে পড়ে ছিল বলে আদালতে (Calcutta High Court) জানানো হয়।

    আরও পড়ুন: ‘‘ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেব’’, প্রাথমিক শিক্ষকের প্যানেল বাতিলের হুঁশিয়ারি বিচারপতির

    আর এরপরে আদালতে জানানোর পরেই কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) থেকে বলা হয়, কোভিডের বাহানা দেওয়া যাবে না। করোনার সময়েও প্রচুর কাজ হয়েছে। ২০২০ সালে ৯ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের ৫ তারিখ পর্যন্ত চিঠি পড়েছিল। বিচারপতি প্রশ্ন করেছেন, “কোর্ট নির্দেশ দিল, তারপরে এতদিনে চিঠি পাওয়া গেল?”

    বিচারপতির প্রশ্নের মুখে শিক্ষা দফতরের একশ্রেণির কর্মীরা

    বিচারপতি (Calcutta High Court) প্রশ্ন করেন, “যাঁরা নিজেদের দায়িত্বের কাজটুকুও করেন না। অনুভূতিহীন নিজের কাজে। এই ধরনের সরকারি কর্মীদের কেন বেতন কমিশন মেনে বেতন, ডিএ দেওয়া হবে? এদের বেতনবৃদ্ধি সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেওয়ার পক্ষপাতী নয় আদালত।”

    ভিজিল্যান্স গঠন হাইকোর্টের

    ফলে সরকারি অফিসারদের ‘বাবুগিরি’ খুঁজতে ভিজিল্যান্স গঠনের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ভিজিল্যান্স কমিশনার প্রদীপ কুমার ব্যাসকে এই বিষয়ে অনুসন্ধান করার নির্দেশ দিলেন তিনি। ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে গোটা বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। 

  • Abhijit Gangopadhyay: ‘‘ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেব’’, প্রাথমিক শিক্ষকের প্যানেল বাতিলের হুঁশিয়ারি বিচারপতির

    Abhijit Gangopadhyay: ‘‘ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেব’’, প্রাথমিক শিক্ষকের প্যানেল বাতিলের হুঁশিয়ারি বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক (Primary Teachers) নিয়োগ নিয়ে ফের হুঁশিয়ারির সুর কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) গলায়। এবার সাড়ে ৪২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের প্যানেল বাতিলের হুঁশিয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরো প্যানেল বাতিলের হুঁশিয়ারি দেন তিনি। কেবল তাই নয়, এদিন তিনি বলেন, ঢাকি সহ বিসর্জন কীভাবে দিতে হয় জানি। তবে ঢাকি বলতে তিনি কাকে বোঝাতে চেয়েছেন, তা পরিষ্কার নয়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, যেদিন ২০১৬-র পুরো প্যানেল বাতিল করব, সেদিন ঢাকি সমেত বিসর্জনের মানে বলব। তিনি বলেন, মানিক ভট্টাচার্য পর্যন্ত পৌঁছানোর ক্ষমতা নেই বলে চাকরি পায়নি মামলাকারীরা। 

    অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী…

    ১৪০ জন অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী ২০১৬-র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরির আবেদন জানিয়ে মামলা করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টে। মঙ্গলবার ছিল ওই মামলার শুনানি। তাঁদের দাবি, সেই বছরের নিয়ম অনুযায়ী অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীদের নিয়োগ করা হত। প্রায় ৩২ হাজার অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিয়োগপত্র পেয়েছেন বলে দাবি মামলাকারীদের।

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রার্থীদের নম্বর বিভাজন করে তালিকা প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মামলাকারী চাকরি প্রার্থীদের দাবি, সেই তালিকায় দেখা যাচ্ছে, তাঁদের থেকে কম নম্বর পেয়েও অনেক অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী সুপারিশপত্র পেয়েছেন। সেই তথ্য এদিন আদালতে পেশ করেন মামলাকারীরা। তাঁদের আরও বেশ কিছু নথি পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। ১৬ ডিসেম্বর ফের শুনানি হবে এই মামলার।

    আরও পড়ুন: মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নিজেদের হাইকোর্ট ভাবে! তোপ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    ২০১৪ সালে টেটের পর ২০১৬ সালে নিয়োগের প্রথম প্যানেল প্রকাশ করা হয়। ২০১৭ সালে প্রকাশ পায় নিয়োগের দ্বিতীয় তালিকা। সেখানে ২৬৯ জন প্রার্থীর নাম ছিল। অভিযোগ ওঠে, ফেল করে এমনকি পরীক্ষা না দিয়েও, ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এই নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি নির্দেশ দেন, ২৬৯জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হচ্ছে। অবিলম্বে তাঁদের বেতনও বন্ধ করতে হবে। বরখাস্ত হওয়া প্রাথমিক শিক্ষকরা যাতে কোনওভাবেই স্কুলে ঢুকতে না পারে, সেজন্য জেলা স্কুল পরিদর্শককে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Abhishek Banerjee: দুবাইয়ে চোখের ভাল চিকিৎসা হয় না, তবু আপত্তি করিনি! কেন বললেন বিচারপতি?

    Abhishek Banerjee: দুবাইয়ে চোখের ভাল চিকিৎসা হয় না, তবু আপত্তি করিনি! কেন বললেন বিচারপতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার অভিষেকের নাম মুখে না আনলেও কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি (High Court Judge) বিবেক চৌধুরী বলেন, “দুবাইতে চোখের ভাল চিকিৎসা হয় না। তা জেনেও একজনকে অনুমতি দিয়েছিলাম। চিকিৎসার জন্য মামলাকারীর পছন্দকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।” সম্প্রতি চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন এই রাজ্যে বিচারাধীন এক মামলায় অভিযুক্ত মুম্বইয়ের এক ব্যবসায়ী। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন এই কথা বলেন বিচারপতি।  

    আরও পড়ুন: ২১ হাজার নিয়োগে দুর্নীতি, কারচুপি ৯ হাজার ওএমআর শিটে, হাইকোর্টে সিট

    আদালতের সওয়াল

    দক্ষিণ মুম্বইয়ের (Mumbai) নামী এক পানশালার মালিক জিতেন্দ্র চান্দেরলাল নভলানি চোখের চিকিৎসার জন্য দুবাইয়ে যেতে চেয়ে অনুমতি চান। পুলিশ তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয়। এর পর ওই ব্যবসায়ী কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে ওই মামলার শুনানির সময়ে রাজ্যের আইনজীবী তাঁর সওয়ালে বলেন, এসএসকেএম হাসপাতালেই ভাল চিকিৎসা সম্ভব। এ জন্য কারও বিদেশ যাওয়ার প্রয়োজন নেই। তা শুনে বিচারপতি বিবেক চৌধুরী তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, চিকিৎসার জন্য মামলাকারীর যা পছন্দ তাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কিছুদিন আগে একজন আবেদন করেছিলেন যে তিনি দুবাইয়ে চোখের চিকিৎসা করাবেন। এমনিতে চোখের চিকিৎসার জন্য দুবাইয়ের কোনও খ্যাতি নেই। তাও আদালত সেই আবেদন বাতিল করেনি। বিচারপতির কথায়, “আমরা জানি যে দুবাইয়ে ভাল চোখের চিকিৎসা হয় না। তবু আমরা আপত্তি করিনি।”

    আরও পড়ুন: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরি প্রার্থী এবং প্রাপককে তলব সিবিআই- এর

    প্রসঙ্গত,  তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চিকিৎসার জন্য বিদেশ সফরে যেতে চাইলে তাতে আপত্তি করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী আদালতে সওয়ালে বলেছিলেন, উনি বিদেশে গেলে আর ফিরবেন না। সুপ্রিম কোর্ট সেই যুক্তি শোনেনি। অভিষেক চিকিৎসার পর কলকাতায় ফিরে এসেছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Land Acquisition: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্যে জমি নিলে, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে কেন্দ্রীয় হারেই, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Land Acquisition: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্যে জমি নিলে, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে কেন্দ্রীয় হারেই, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ (Land Acquisition) করলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে কেন্দ্রীয় আইন মেনেই। রাজ্য সরকারকে এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সিঙ্গুর আন্দোলনের জেরে তৈরি এই জমি অধিগ্রহণ আইন এখন মানতে নারাজ এক সময়ের সিঙ্গুর আন্দোলনের মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারই।

    আরও পড়ুন: নিয়োগের পর এবার বদলিতেও দুর্নীতি? রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ হাইকোর্টের

    সিঙ্গুর–নন্দীগ্রাম আন্দোলনের জেরে ব্রিটিশ আমলের জমি অধিগ্রহণ (Land Acquisition) আইনের বদলের দাবি ওঠে দেশজুড়ে। তৎকালীন ইউপিএ ২ সরকার ২০১৩ সালে পাশ করে নতুন জমি অধিগ্রহণ আইন। সেই সরকারের অন্যতম শরিক ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছিল তৃনমূলও। নতুন আইনে জমিদাতাকে আরও বেশি সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এখন সেই আইনই মানতে চাইছে না রাজ্য সরকার।

    রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের  

    এমনই অভিযোগে হাইকোর্টে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেন কিছু জমিদাতা। সেই মামলার বিষয়েই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ নির্দেশ দেন, রাজ্যে সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণের (Land Acquisition) জন্য জমি দিতে হবে ২০১৩ সালের অধিগ্রহণ আইন অনুসারে। এমনকী কোথাও অধিগ্রহণের বকেয়া এখনো মেটানো না হলে সেক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে এই আইন। সমস্ত জমিদাতার সঙ্গে কথা বলতে হবে প্রশাসনকে। ৬ মাসের মধ্যে মেটাতে হবে বকেয়া। এই রায়ের ফলে রাজ্যে জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত সমস্যার দ্রুত নিষ্পত্তি হবে বলে মনে করছেন মামলাকারী।

    সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙ্গার হিসাবী ও মুর্শিদাবাদের আঁধারমানিক ও বাসুদেবখালি মৌজার অধিগৃহীত জমির মালিকরা এই বিষয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, জাতীয় সড়কের জন্য অধিগৃহীত (Land Acquisition) জমির জন্য তাঁদের নতুন আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। জমির দাম নিয়েও আপত্তি ছিল তাঁদের। বিষয়টি নিয়ে তাঁদের আরবিট্রেশনের জন্যও ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ করেন মামলাকারীরা।

    রাজ্যের তরফে আইনজীবী চণ্ডীচরণ দে বলেন, “আদালত যা নির্দেশ দেবে, তা সরকার মেনে নেবে।” অন্যদিকে জমিদাতাদের তরফে আইনজীবী অরিন্দম দাস বলেন, “কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য জমি নিলেও (Land Acquisition) রাজ্য যেহেতু কেন্দ্রের নতুন আইন কার্যকরের ক্ষেত্রে বিধি তৈরি করেনি, তাই এখানে তার সবকটি ধারা ব্যবহারের সুযোগ পাওয়া যায়নি। এই জটিলতা দীর্ঘ দিনের। কিন্তু হাইকোর্টের এই নতুন নির্দেশে অন্তত এখন থেকে কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য যাদের জমি অধিগ্রহণ করা হবে, তারা নতুন আইনের সব ধারা মেনেই ক্ষতিপূরণ ও সুযোগ পাবেন। আদালতের এই নির্দেশ দীর্ঘদিনের জটিলতা মেটাবে।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     

     

LinkedIn
Share