Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টেন্ডার দুর্নীতি! রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টেন্ডার দুর্নীতি! রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ আনলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কেন্দ্রের জল জীবন মিশন (Jal Jeeban Mission) নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তিনি। এই প্রকল্পের আওতায় কাজের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ১ হাজার ৮৬ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। প্রায় ৫০০ কোটি টাকার কাটমানি নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর।

    শুভেন্দু যা বললেন

    শুভেন্দুর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, ‘‘রাজ্য সরকার জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি নলের মধ্য দিয়ে জল পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্পে বড়সড় দুর্নীতি করেছে।’’ শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, নলের মুখে যে ফেরুল লাগানো হয় তাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতারা ৫০০ কোটি টাকার ‘কাটমানি’ নিয়েছে হাওড়া সদর ও সাঁকরাইলের নির্দিষ্ট চারটে এজেন্সির কাছ থেকে। এদিন নিজাম প্যালেসে সাংবাদিক সম্মেলন করে শুভেন্দু বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন সব ঘরে পরিশ্রুত জল যাবে। জল জীবন মিশন নামে কেন্দ্রের যোজনা আছে। কিন্তু রাজ্য এটা কোথাও উল্লেখ করে না। এই নিয়ে আমি আগের রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছিলাম। এদিকে জল জীবন মিশনে ১০০ শতাংশ ফান্ড দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। এতে রাজ্য সরকারের কোনও ফান্ড থাকে না।” 

    আরও পড়ুন: শুভেন্দুর চিঠি! রাতারাতি ৬টি মেডিক্যাল কলেজের উদ্বোধন বাতিল রাজ্যের

    হাওড়া জেলার একাধিক সংস্থা ফেরুল সাপ্লাইয়ের ক্ষেত্রে একচ্ছত্র আধিপত্য খাটিয়েছে বলে অভিযোগ শুভেন্দুর। তালিকায় রয়েছে বালাজি ট্রেডার্স, এ কে ইন্ডাস্ট্রিজ, ইলেকো এন্টারপ্রাইজ, সাইবাবা এন্টারপ্রাইজ, প্রীতি এন্টারপ্রাইজ নামে কয়েকটি সংস্থাকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে টেন্ডার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, টেন্ডার দেওয়ার যে নিয়ম তা মানা হয়নি বলে অভিযোগ শুভেন্দুর। সেখানে কিছু গোলযোগের অভিযোগ করেছেন তিনি। 

    নলবাহিত জলের ট্যাপের মুখে ফেরুল লাগানো হয়। এই ফেরল কেনার সময়েই বড় দুর্নীতি হয়ে গিয়েছে বলে দাবি শুভেন্দুর। রীতিমতো একাধিক ডকুমেন্ট হাতে নিয়ে শুভেন্দুর দাবি, ফেরুলের এক একটির বাজারের দাম ২১৩ টাকা। কিন্তু, নথিতে দেখা যাচ্ছে কেনা হয়েছে ৫৭০ টাকায়। একাধিক টেন্ডারের তথ্য হাতের সামনে এনে শুভেন্দুর দাবি, ৩২ টা টেন্ডারে কোথাও ২৭ হাজার ইউনিট, কোথাও ৩২ টেন্ডারে ২৪ হাজার ইউনিট, ৩২টি টেন্ডারে ৭৩ হাজার ইউনিট ফেরুল কেনা হয়েছে। প্রতিটাই কেনা হয়েছে ৫৭০ টাকা দরে। এভাবে তৃণমূল নেতারা প্রায় ৫০০ কোটি টাকা দলের শীর্ষস্তরে পৌঁছে দিয়েছে। তিনি বলেন, গরু, কয়লা, পাথর পাচারের টাকা যেখানে পৌঁছয়, সেখানেই পৌঁছেছে এই টাকাও।

    শুভেন্দু দাবি করেন, ২জি স্পেকট্রাম, কমনওয়েলথ গেমসের মতো দুর্নীতি হয়েছে। আমি আজই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র শেখাওয়তকে চিঠি লিখব। এই দুর্নীতির তদন্তের অনুরোধ করব তাঁকে। ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত শুরু না হলে আদালতে জনস্বার্থ মামলা করব।

  • Partha Chatterjee: দুর্নীতির ৫০ কোটি টাকা গিয়েছে তাঁর কাছেই, পার্থর জামাইকে জেরা ইডির

    Partha Chatterjee: দুর্নীতির ৫০ কোটি টাকা গিয়েছে তাঁর কাছেই, পার্থর জামাইকে জেরা ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই ইডি স্ক্যানারে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য (Kalyanmoy Bhattacharya)। বুধবার ইডি (Enforcement Directorate) তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করে। দুপুর দুটোয় আইনজীবীকে নিয়ে হাজির হন তিনি। তারপর চলে সাত ঘণ্টার ম্যারাথন জেরা। মূলত, পিংলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াত স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের যে স্কুল রয়েছে, সেখানে ১৫ কোটির বিনিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আর সেই বিষয়ে জানতেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাইকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। ইডি সূত্রে খবর, তথ্যে একাধিক গরমিল থাকার কারণেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বুধবার রাত ১০ টার পর সিজিও থেকে বেরিয়ে যান কল্যাণময়। 

    আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী মসজিদে প্রাপ্ত ‘শিবলিঙ্গ’ সংরক্ষণের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট

    এবার উঠে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, জামাইয়ের মাধ‌্যমে এসএসসি ও টেট দুর্নীতির ৫০ কোটি টাকা পাচার করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ‌্যায়। এমনই তথ্য উঠে এসেছে তদন্তে। এই ব‌্যাপারে আরও তথ‌্য পেতে জেরা করা হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ‌্যায়ের জামাই কল‌্যাণময় ভট্টাচার্যকে। ইডির দাবি, তাঁর বেশ কিছু উত্তরই সন্তোষজনক নয়। এখন না হলেও পরবর্তীকালে ফের তাঁকে জেরা করতে পারে ইডি।  

    কী অভিযোগ?

    ইডি গোয়েন্দাদের অভিযোগ, পার্থ চট্টোপাধ‌্যায়ের মেয়ে ও জামাই দেশের বাইরে থাকলেও তাঁদের মাধ‌্যমেই প্রাক্তন মন্ত্রী এসএসসি ও টেট দুর্নীতির বিপুল টাকা সরিয়েছিলেন। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, জেরায় কল‌্যাণময় ভট্টাচার্য বলেছেন যে, তাঁর শ্বশুরের নির্দেশ অনুযায়ী তিনি, মামার বাড়ির লোকেদের দিয়ে টাকা সরাতেন। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অবধি এসএসসি ও টেট দুর্নীতির ৫০ কোটি কালো টাকা পিংলার স্কুল ও পার্থর স্ত্রীর নামে তৈরি একটি ট্রাস্টের মাধ‌্যমে সাদা করা হয়েছে। নগদেও টাকার একটি বড় অংশ পাঠানো হয়েছে। কল‌্যাণময় ইডির জেরায় জানিয়েছেন, তিনি এবং তাঁর স্ত্রী দুজনেই আমেরিকার একটি আইটি সংস্থায় চাকরি করেন। ডলারে বেতন পেলেও লগ্নি করার মতো এত টাকা নেই তাঁদের। 

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতার হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। দুর্নীতির টাকা কোথায় কোথায় গিয়েছে তা জানতে তদন্ত করছে ইডি। ইতিমধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরি প্রার্থী এবং প্রাপককে তলব সিবিআই- এর

    SSC Scam: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরি প্রার্থী এবং প্রাপককে তলব সিবিআই- এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের ক্ষোভ প্রকাশের পরেই এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) তৎপর সিবিআই। সোমবার এসএসসি গ্রুপ ডি এবং গ্রুপ সি – তে চাকরি পেয়েছেন এরকম বেশ কয়েক জন প্রার্থীকে তলব করা হল নিজাম প্যালেসে। এছাড়াও গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি চাকরি প্রার্থীদের কয়েকজনকেও তলব করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। হাই কোর্টের নির্দেশ অনুসারে করা হয়েছে তলব। 

    আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি! আদালতে ফের সরব শুভেন্দু

    চাকরি প্রাপকদের সুপারিশপত্র থাকলে সেই সংক্রান্ত নথি চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই। এছাড়া, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজই মুর্শিদাবাদের ১৫ জন স্কুল পরিদর্শককে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁদেরকেও নিয়োগ সংক্রান্ত নথি সঙ্গে নিয়ে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

    কী প্রশ্ন করে সিবিআই?

    কীভাবে চাকরি পেল এই প্রার্থীরা? চাকরির অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার, ডেট অফ জয়েনিং, কবে পরীক্ষা হয়, কবে চাকরি পান সব কিছু খতিয়ে দেখতে চায় সিবিআই। পাশাপাশি এসএসসিতে চাকরি প্রার্থী গ্রুপ সি- এর প্রার্থীদের নিজাম প্যালেসে তলব করে আজ তাই জিজ্ঞেস করে সিবিআই। এই প্রার্থীদের নোটিশ দেওয়া হয় গত শনিবার। সেই অনুসারে আজ হাজিরা দেন নিজাম প্যালেসে। কবে পরীক্ষা ইন্টারভিউ হয় তারপর কেন এখনও চাকরি হয়নি। এসব প্রশ্ন করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। নিজাম প্যালেসে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি যাঁরা চাকরি পেয়েছেন ও যাঁরা পাননি, দু ধরণের ব্যক্তিদের বয়ান রেকর্ড করে সিবিআই।        

    এছাড়া এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বেসরকারি ডিএলএড কলেজ কর্তৃপক্ষকে তলব করেছে আরেক কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। মুর্শিদাবাদ ও পূর্ব মেদিনীপুরের ৫টি কলেজের প্রিন্সিপ্যালকে আজ সিজিও কমপ্লেক্সে ডাকা হয়েছে। ইডি গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, অফলাইন ভর্তিতে কী কী নির্দেশ মানা হয়েছে, কীভাবে টাকা তোলা হয়েছে, সব জানতে চাওয়া হবে। মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেসরকারি ডিএলএড কলেজগুলি সম্পর্কে বহু তথ্য হাতে এসেছে ইডি গোয়েন্দাদের।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

        

  • Suvendu Adhikari: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি! আদালতে ফের সরব শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি! আদালতে ফের সরব শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগে আদালতে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বারবার অভিযোগ জানিয়েছিল বিজেপি। এই নিয়ে আদালতে মামলাও দায়ের করেছিলেন বিরোধী দলনেতা।

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্য প্রশাসনের! শুভেন্দুকে সভার অনুমতি আদালতের 

    কী অভিযোগ

    কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের রিপোর্ট তুলে ধরে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, ১০০ দিনের কাজে ব্যাপক দুর্নীতির হদিশ মিলেছে। তাঁর দাবি,’কয়েকটি ক্ষেত্রে জেলাশাসক ও বিডিও-র এফআইআরের সুপারিশ কার্যকর করা হয়নি। বহু ব্লকে জনসংখ্যার তুলনায় জবকার্ড বেশি রয়েছে।’ বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ব্যক্তিরও জবকার্ড রয়েছে, অভিযোগ বিরোধী নেতার। ২০১১ থেকে ২০২২ এর মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ জবকার্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ হাইকোর্টে অতিরিক্ত হলফনামা পেশ করেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে কুরুচিকর মন্তব্যের জের, প্রতিবাদে পথে জনজাতি সমাজ

    বহু দিনের অভিযোগ

    বাংলায়(Bengal) ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে(100 Days Work Project) দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে ভুরি ভুরি, এমন অভিযোগ বঙ্গ বিজেপির নেতাদের। তাঁদের সেই সব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দফায় দফায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে মোদি সরকার(Modi Government)। সেই প্রতিনিধিদল নানা জায়গায় ঘুরে বেশ কিছু ক্ষেত্রে গরমিল খুঁজে পান। সেই সম্পর্কে তাঁরা রিপোর্টও পাঠান কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকে। সেখান থেকে আবার চিঠি আসে নবান্নে(Nabanna)। যেখানে যেখানে গরমিল হয়েছে ১০০ দিনের কাজের ক্ষেত্রে সেই সব জায়গায় পদক্ষেপ করুক রাজ্য সরকার, এমনটাই ছিল কেন্দ্রের চিঠিতে। ১০০ দিনের কাজে রাজ্য সরকার কারচুপি করে টাকা নয়ছয় করেছে, এমনটা অভিযোগ এনে আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি লিখেছিলেন বিরোধী দলনেতা। তারপর কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছে যান তিনি। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা তছরুপ করার অভিযোগ এনে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন শুভেন্দু অধিকারী। এই মর্মে আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন ছিল সেই মামলার শুনানি। পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sainthia: সাঁইথিয়ার বোমা বিস্ফোরণের তদন্ত এনআইএ করবে কিনা, সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, জানাল হাইকোর্ট

    Sainthia: সাঁইথিয়ার বোমা বিস্ফোরণের তদন্ত এনআইএ করবে কিনা, সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাঁইথিয়া (Sainthia) বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে এক বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন আদালত থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, বীরভূমের সাঁইথিয়ায় বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তভার এনআইএ-কে দেওয়া হবে কি না, সে ব্যাপারের সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট এই বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর ছেড়ে দিয়েছে। জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে সোমবার এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভারদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।

    কী ঘটেছিল?

    গত ১৪ নভেম্বর, সাঁইথিয়ায় (Sainthia) শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর (tmc inner clash) মধ্যে তুমুল মারামারি হয়। বোমাবাজির ঘটনায় রক্তাক্ত হয় বীরভূমের সাঁইথিয়ার বহড়াপুর গ্রাম। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জন্য দুই জন গুরুতর আহতও হয়। অভিযোগ উঠেছিল এই ঘটনার মূলে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বোমার ফলে সাদ্দাম হোসেন নামে এক যুবকের ডান পা এবং হাত উড়ে গিয়েছে ও আহত হয়েছে ১৪ বছরের বালক মুজফ্ফর। আর তারপরের দিন ফের ওই এলাকা থেকে তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে রাজ্য পুলিশ। কিন্তু এবার এই বোমা বিস্ফোরণের তদন্তের ভার কেন্দ্রীয় সংস্থা এনআইএ-এর হাতে তোলার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের উপর ছেড়ে দিয়েছে হাইকোর্ট।

    জনস্বার্থ মামলা আইনজীবীর

    এরপরই এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের আবেদন করে উচ্চ আদালতে জনস্বার্থ মামলা করেন আইনজীবী অনিন্দ্য সুন্দর দাস। আর এই মামলারই আজ শুনানি ছিল। এই মামলায় ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, তদন্তভার এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়া হবে কি না, সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত কেন্দ্রই নেবে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও আদালতে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ইতিমধ্যে ঘটনার (Sainthia) রিপোর্ট পাঠিয়েছেন। সেই রিপোর্ট কেন্দ্রকে পাঠানো হবে।

    সাঁইথিয়া ঘটনায় (Sainthia) গ্রামবাসীর অভিযোগ, এই ঘটনার মূলে রয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এই ঘটনার পরের দিনেও একাধিক বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে বিরোধীদের অভিযোগ যে, গোটা বীরভূম জেলাই এখন বারুদের স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে আছে। জেলার বিভিন্ন অংশে প্রায় রোজই বোমা উদ্ধার হচ্ছে, পাওয়া যাচ্ছে অস্ত্রশস্ত্রও। পাশাপাশি শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষও প্রায় নিত্যদিনের ঘটনা। যদিও তৃণমূলের তরফে এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বিরোধীদের আরও অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজ্য।

    তবে শেষপর্যন্ত সাঁইথিয়ার (Sainthia) বিস্ফোরণের ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকার এর তদন্তভার এনআইএ-এর হাতে তুলে দেয় কিনা, সেটাই দেখার।

  • Weather Update: আগামী সপ্তাহ থেকেই জাঁকিয়ে শীত রাজ্যে! কী বলছে আবহাওয়া রিপোর্ট?

    Weather Update: আগামী সপ্তাহ থেকেই জাঁকিয়ে শীত রাজ্যে! কী বলছে আবহাওয়া রিপোর্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নলেনগুড়, পিঠেপুলির সময় চলে এল। কনকনে ঠান্ডা আসছে বাংলায়। এমনটাই জানান দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস (Weather Update) । ২২ নভেম্বর থেকে গোটা বাংলায় ফের একবার পারদ পতনের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। 

    কী বলছে আবহাওয়া রিপোর্ট

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আগামী সপ্তাহ থেকেই বঙ্গে জাঁকিয়ে শীক পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২২ নভেম্বর থেকে গোটা বাংলায় ফের হু হু করে পারদ পতনের পূর্বাভাস রয়েছে এরাজ্যের অধিকাংশ জেলাতেই।  সপ্তাহ শেষের দিকে তাপমাত্রার কিছুটা বেড়েছে শহর ও শহরতলিতে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য বেড়েছে। যদিও দিনের তাপমাত্রা কম থাকবে। শনিবার সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ মূলত পরিষ্কার। হালকা শীতের আমেজ বজায় রয়েছে শহরে। সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

    আরও পড়ুন: জেলায় জেলায় তাপমাত্রা নামল ১৫ ডিগ্রিতে, কলকাতায় কেমন ঠান্ডা?

     শীত আসছে বাংলায় 

    তবে উত্তরবঙ্গ বা দক্ষিণবঙ্গে কোথাও বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছেন হাওয়া অফিসের অধিকর্তারা। দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও থাকতে পারে। কোথাও কোথাও সকালের দিকে হালকা কুয়াশা এবং শিশির পড়বে। মেঘমুক্ত পরিষ্কার আকাশ দেখা যাবে। আবহাওয়া অফিস সুত্রে খবর (Weather Update), পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে তাপমাত্রা অন্যান্য জেলার তুলনায় কম থাকবে। ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করবে পশ্চিমের জেলা গুলির তাপ মাত্রা।  সকালের দিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১৮.৭ ডিগ্রি। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.২ ডিগ্রি এখন তা কমে ২৯ ডিগ্রি হয়েছে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৯৮ থেকে কমে ৮৯ হওয়ায় শীত বেশি অনুভূত হবে। 

     দেশের অন্যান্য রাজ্যের আবহাওয়া কেমন থাকবে

    অন্যদিকে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে হিমাচল প্রদেশে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে (Weather Update)। তুষারপাত হবে কাশ্মীর উপত্যকা, লাদাখ সহ উত্তর-পশ্চিম ভারতের পার্বত্য এলাকায়। হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তর-পশ্চিম ভারতের অঞ্চলগুলিতে রয়েছে। নিম্নচাপের কারণে বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে। আন্দামানেও প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সবথেকে বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে তামিলনাড়ুতে। তামিলনাড়ু ছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ, পুদুচেরিতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে ৬০ থেকে ৬৫ কিলোমিটার গতিবেগে। সমুদ্র তীরবর্তী রাজ্যগুলির মৎস্যজীবীদের সোমবার পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

  • CBI DIG: নিয়োগ দুর্নীতিতে গঠিত সিটের মাথায় অশ্বিন সাংভি, জানাল হাইকোর্ট

    CBI DIG: নিয়োগ দুর্নীতিতে গঠিত সিটের মাথায় অশ্বিন সাংভি, জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন ডিআইজি অখিলেশ সিং (Akhlesh Singh) আসতে পারবেন না বলে কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়েছিল সিবিআই। বৃহস্পতিবার আদালতে একথা জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অথচ তার আগের দিনই বিশেষ তদন্তকারী দলের (SIT) মাথায় তাঁকে বসানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhya)। শেষমেশ অখিলেশের পরিবর্তে সিটের মাথায় বসানো হল ডিআইজি (CBI DIG) অশ্বিন সাংভিকে (Ashwin Sangvi)। তিনি চণ্ডীগড় অ্যান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চের প্রধান। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, এক সপ্তাহের মধ্যে দায়িত্ব নিতে হবে অশ্বিন সাংভিকে। শুধু তাই নয়, আদালতের অনুমতি ছাড়া নিয়োগ দুর্নীতি তদন্ত প্রধানের পদ থেকে সরতেও পারবেন না তিনি।

    অখিলেশ সিং…

    সিবিআইয়ের প্রাক্তন ডিআইজি অখিলেশ সিং ২০২১ সালের ১৭ মে নারদকাণ্ডে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় (প্রয়াত) এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বাড়ি থেকে নিয়ে এসে গ্রেফতার করেছিলেন। বগটুইকাণ্ড, ভাদু শেখ খুন, হাঁসখালিতে গণধর্ষণ, ঝালদা সহ একাধিক মামলার তদন্তও করেছেন তিনি। কয়লা পাচারকাণ্ড থেকে গরু পাচারের মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তও করেছিলেন অখিলেশ। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে গঠিত সিটের মাথায়ও তাঁকেই বসাতে চেয়েছিল আদালত। কিন্তু বৃহস্পতিবার সিবিআই আদালতকে জানায়, পদোন্নতি হয়েছে অখিলেশ সিংয়ের। দিল্লি থেকে আসামে বদলি হয়েছেন তিনি। গত ১৫ নভেম্বর তাঁর বদলিতে অনুমোদন দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতর। তাই স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) তদন্তে আসতে পারবেন না সিবিআইয়ের প্রাক্তন ডিআইজি।

    আরও পড়ুন: কেষ্ট-সুকন্যার পর এবার লটারি জয় এনামুলের! ৫০ লক্ষ টাকার খোঁজ পেল সিবিআই

    সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতকে এও জানান, ডিআইজি পদমর্যাদার দক্ষ এক অফিসার রয়েছেন। তাঁকে নিয়ে এসে বসানো যেতে পারে সিটের মাথায়। এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, একজন নয়, ডিআইজি (CBI DIG) পদমর্যাদার তিনজন অফিসারের নাম দিন। সেখান থেকে একজনকে বেছে নেবে আদালত। সেই মতো সিবিআই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে এদিন জানায়, ডিআইজি সুধাংশু খারে, কলকাতা সিবিআই স্পেশাল ব্রাঞ্চ হেড, ডিআইজি মাইকেল রাজ, ঝাড়খণ্ড এবং ডিআইজি অশ্বিন সাংভি, চণ্ডীগড়ের নাম। তার মধ্যে থেকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বেছে নেনে অশ্বিনকে। আগামী সাত দিনের মধ্যে তাঁকে দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Calcutta HC on SSC: কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার শূন্যপদে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    Calcutta HC on SSC: কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার শূন্যপদে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষায় অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta HC on SSC)। আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। শুক্রবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে হাইকোর্টের নির্দেশ, যাঁরা সুপারিশ পত্র পেয়েছেন তাঁদের নিয়োগ পত্র দিতে নিষেধ করল আদালত। এদিন আদালতের প্রশ্নের মুখে পিছু হটল স্কুল সার্ভিস কমিশন। রাতারাতি ভোল বদলে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) জানিয়ে দিল, বেআইনিভাবে যাঁরা বিভিন্ন স্কুলে (School) নিয়োগ হয়েছিলেন, তাঁদের কখনওই শূন্য পদে নিয়োগ করা যাবে না।

    স্কুল সার্ভিস কমিশনের আবেদন প্রত্যাহার

    এদিন আদালতে মামলার শুনানিতে (Calcutta HC on SSC) কমিশনের আইনজীবী সুতনু পাত্র জানান, অবৈধভাবে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন এবং যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁদের শূন্যপদে নিয়োগ করার যে আবেদন করা হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এ বিষয়ে কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে লিখিত নির্দেশিকা এসেছে। 

    সম্প্রতি আদালতে দাখিল করা নতুন চারটি হলফনামায় কমিশনের আবেদন ছিল যে রাজ্যের তৈরি করা শূন্যপদে যেন চাকরি বাতিল হওয়া ব্যক্তিদের নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়। আর অন্যদিকে কমিশনের এই অবস্থানের উল্টো পথে হেঁটে রাজ্য জানায় তারা এই অবস্থানের বিপক্ষে, অযোগ্যদের নিয়োগের পক্ষে তারা নয়। আর এরপরেই কমিশন ও রাজ্যের আলাদা অবস্থানে আদালতে বিচারক বিশ্বজিৎ বসুর কাছে প্রশ্নের মুখে রাজ্য। বিচারপতি জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, কমিশনের প্রতি রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নেই কেন? কমিশন ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। এরপর পরস্পরবিরোধী অবস্থানের জন্য কমিশনের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপের কথা ভাবছে রাজ্য, সেই বিষয়ে আজ জানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Calcutta HC on SSC)।

    আরও পড়ুন: বাতিল হওয়া প্রার্থীদের শূন্যপদে নিয়োগের আবেদন প্রত্যাহার কমিশনের, কেন জানেন?

    আদালতে কী জানাল পর্ষদ?

    বিচারপতি কমিশনকে প্রশ্ন করেন (Calcutta HC on SSC), ‘সবাইকে সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছে?’ এর উত্তরে কমিশন জানায়, ‘হ্যাঁ, কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার ক্ষেত্রে সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছে। কর্ম শিক্ষায় ৫৮৫ শূন্যপদের মধ্যে ৫১৪ জনকে সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছে এবং শারীরশিক্ষায় ৮২৪ শূন্যপদের মধ্যে  ৭৬৬ জনকে সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছে।’ এরপর বিচারপতি মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা কি নিয়োগ পত্র দিয়েছেন?’ এর উত্তরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী কোয়েলি ভট্টাচার্য বলেন,  ‘না, আপনি মৌখিক নির্দেশে নিয়োগপত্র দিতে বারণ করেছিলেন, তাই পর্ষদ কোনও নিয়োগপত্র দেয়নি।’

    আজ আদালতে (Calcutta HC on SSC) মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য সওয়াল করেন, অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি করার অধিকার রাজ্যের নেই। এরপর অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় সওয়াল করেন, প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি তৈরি হলে রাজ্য অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করতে পারে। এতে রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন ‘আপনাদের যা ইচ্ছা করুন, আমি শুধু ছাত্রদের শিক্ষা নিয়ে চিন্তিত।’ এরপর অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন যে ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক জমানাতে শিক্ষার অবক্ষয় হয়েছে। একটা সরকার ইংরেজি বন্ধ করে দিয়েছিল, এটা খুব বড় ভুল ছিল।’ আর এই কথাতে সহমত প্রকাশ করে জানালেন বিচারপতি বসু, ‘হ্যাঁ, এটা বড় ভুল।’

    এরপর শূন্যপদ নিয়ে রাজ্যের অবস্থান জানতে চেয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় রাজ্যকে। আগামী ২৮ শে নভেম্বরের মধ্যে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ও ৩০ নভেম্বর হবে এই মামলার  পরবর্তী শুনানি হবে জানানো হয়।

  • Anubrata Mondal: অ্যারেস্ট মেমোয় সই করছেন না কেষ্ট, ওয়ারেন্ট আনতে দিল্লিতে ইডি

    Anubrata Mondal: অ্যারেস্ট মেমোয় সই করছেন না কেষ্ট, ওয়ারেন্ট আনতে দিল্লিতে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) গ্রেফতার করে জেলবন্দী অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। ৫ ঘণ্টা টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর অনুব্রতকে হেফাজতে নেয় ইডি। খবর পাওয়া গিয়েছিল যে, অনুব্রতকে আজ আসানসোল সিবিআই আদালতে হাজির করানো হবে। কিন্তু ইডি সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে, ‘অ্যারেস্ট মেমো’-তে সই করেননি গরুপাচার মামলায় ধৃত বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। এর ফলে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট আনার জন্য সরাসরি দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, দিল্লির ইডি আদালত থেকে কোর্টে হাজির করানোর ওয়ারেন্ট জারি করেই অনুব্রতকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হবে।

    অ্যারেস্ট মেমোতে সই করেননি কেষ্ট

    অনুব্রত (Anubrata Mondal) যেহেতু সই করেননি, তাই তাঁকে আসানসোল আদালতে পেশ না করে, ইডির আধিকারিকরা অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট আনতে দিল্লি যাচ্ছেন। গতকাল জিজ্ঞাসাবাদের পর যা জানা গিয়েছে, তা হল, আজ সকালের মধ্যে ইডির আধিকারিকরা আদালতে পৌঁছে রিপোর্ট জমা দেবেন এবং তার ভিত্তিতেই দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করা হবে। আসানসোল সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষই যাতে অনুব্রতকে দিল্লি পৌঁছে দেন, সেই আবেদন করবেন ইডির আইনজীবী। অর্থাৎ অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লির আদালতে হাজির করানোর জন্য জারি করা হতে পারে “প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট।” তিনি গতকাল সই করে দিলেই এত কিছু করতে হত না ইডির আধিকারিকদের। তাঁরা সরাসরি দিল্লিতে জেরা করার জন্য নিয়ে যেতে পারতেন।

    আরও পড়ুন: সিবিআই- এর পর এবার অনুব্রতকে হেফাজতে নিল ইডি

    গতকালের জেরার মুখে কী বললেন অনুব্রত?

    গরু পাচার মামলায় টাকা সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে ইডি-র কাছে দাবি করলেন বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি (Anubrata Mondal)। আর তিনি এসবের সব দায়ভার চাপিয়ে দিলেন তাঁর হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারির উপর। গতকাল একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও টাকার হিসেব নিয়ে অনুব্রতকে জেরা করতে গিয়েছিলেন ইডির অফিসাররা। জমি সংক্রান্ত নথি নিয়েও জেরা করা হয়। দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁকে। কিন্তু তাঁর উত্তরে তিনি বললেন, টাকা লেনদেনের বিষয়ে কিছুই জানেন না। সব জানেন মণীশ কোঠারি। তাঁর মেয়ে সুকন্যার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের কথা জিজ্ঞেস করা হলেও তিনি এর দায়ও মণীশ কোঠারিরি ঘাড়ে চাপিয়ে দেন।

    ইতিমধ্যেই মণীশের আয় ব্যয়ের ওপর নজর রেখেছেন তদন্তকারীরা। হিসাবরক্ষকের কোম্পানির নথি তলব করে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে মণীশকে। তদন্তকারীর সংস্থার দাবি, কোম্পানির ব্যালান্সশিট সার্টিফায়েড নয়। নথি জমা দিতে বোলপুর থেকে দিল্লি পৌঁছে যান মনীশের সহকর্মী। এবার অনুব্রতর (Anubrata Mondal) এই বয়ান মণীশের ওপর আরও চাপ বাড়িয়ে দিল বলেই মনে করছেন অভিজ্ঞরা।

  • SSKM Fire: এসএসকেএমে আগুন নিভলেও অনিশ্চিত পরিষেবা, ফরেনসিক তদন্তের নির্দেশ মুখ্যসচিবের

    SSKM Fire: এসএসকেএমে আগুন নিভলেও অনিশ্চিত পরিষেবা, ফরেনসিক তদন্তের নির্দেশ মুখ্যসচিবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল রাতে মহানগরীতে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড (SSKM Fire)। আর এর রেশ কাটেনি এখনও। শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম-এ আগুন। ভয়াবহ পরিস্থিতি। গল গল করে ধোঁয়া বের হতে থাকে। রাত তখন দশটা, আর সেসময় এসএসকেএম হাসপাতালে জরুরী বিভাগের সামনে রেডিও ডায়াগনোসিস বিভাগের দোতালায় আগুন লাগে। গতকালের ঘটনার পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এরপরেই মুখ্যসচিব ফরেনসিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

    কীভাবে আগুন লাগে?

    শর্ট সার্কিট থেকেই সিটি স্ক্যান মেশিন এবং তার যন্ত্রাংশ থেকে আগুনের উৎপত্তি বলে প্রাথমিক অনুমান (SSKM Fire)। সেই ঘরে অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত থাকায়, তা ফেটে আগুন আরও বাড়তে থাকে। আগুন লাগার পরেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় দমকলের দশটি ইঞ্জিন। সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আগুন নেভানো কাজ শুরু করেন দমকল কর্মীরা। রোগীদের যে ঘরে আগুন লেগেছিল সেখানে কোন রোগী ছিলেন না তবে, ধোঁয়ার কারণে আশেপাশের ওয়ার্ড থেকে রোগীদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

    কোন কোন পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে?

    আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে এমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের ৩টি ঘর। অগ্নিকাণ্ডের জেরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সিটি স্ক্যান বিভাগের। এই পরিস্থিতিতে সেন্ট্রাল ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও রিপোর্ট দেওয়ার পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে। ব্যাহত হতে পারে ইউএসজি, সিটি স্ক্যান ডিজিটাল এক্স রে-র মতো পরিষেবা। এমনকি এমার্জেন্সিতে ভর্তি হওয়ার জন্য টিকিট কাটার যে ব্যবস্থা আছে, তাতেও বিঘ্ন হতে পারে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁরা দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন।

    ফরেনসিক তদন্তের নির্দেশ

    ঘটনার দু’ঘণ্টা পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে (SSKM Fire) আসলেও কীভাবে আগুন লাগল তার ফরেনসিক তদন্ত হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যসচিব দ্বিবেদী। এছাড়াও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার আসল কারণ কী, তাও এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখবে। পাশাপাশি পুলিশ ও দমকলও আলাদা করে তদন্ত করবে জানা গিয়েছে। গতকাল ঘটনাস্থলে হাসপাতালে পৌঁছন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, রাজ্যের মুখ্য সচিব, স্বাস্থ্য সচিব নগরপাল এবং তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। আসেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষও।  

    রোগীদের নিরাপদে সরানো হয়েছে

    সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অবস্থা খারাপ হওয়ায় জানালার কাঁচ ভেঙে ফেলেন দমকলকর্মীরা (SSKM Fire)। রোগীদের সুরক্ষার জন্য নিউ ক্যাজুয়াল্টি বিভাগ থেকে ৩০ থেকে ৩৫ জন রোগীকে অন্যত্র সরানোও হয়। রোগীদের নিরাপত্তার কারণে নিউ ব্লকের ম্যাকেঞ্জি ওয়ার্ডে এবং ট্রমা কেয়ার সেন্টারে স্থানান্তরিত করা হয়।

    প্রশ্নের মুখে রাজ্য প্রশাসন

    এরই মধ্যে এসএসকেএমের মতো সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আগুন লাগার খবরে ফের শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য প্রশাসনের অন্দরে। ২০১৬, ২০১৮-র পর আবার ২০২২। এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে ফিরে আসে সেই ৬ বছর আগের হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডের স্মৃতি। কোথায় গাফিলতি? কেন বারবার অগ্নিকাণ্ড হাসপাতালে? এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে (SSKM Fire)।

LinkedIn
Share