Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Anubrata Mondal: সিবিআই- এর পর এবার অনুব্রতকে হেফাজতে নিল ইডি

    Anubrata Mondal: সিবিআই- এর পর এবার অনুব্রতকে হেফাজতে নিল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ ঘণ্টার টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) হেফাজতে নিল ইডি (ED)। বৃহস্পতিবার তাঁকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে পেশ করতে হবে তাঁকে। এরপর ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন করতে পারে ইডি। সায়গলের মতো অনুব্রতকেও দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করা হতে পারে। শুক্রবারই দিল্লির পিএমএলএ কোর্টে অনুব্রতকে গ্রেফতারের বিষয়ে জানিয়ে প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের আবেদন জানাতে পারে ইডি। বৃহস্পতিবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তিন গোয়েন্দা আসানসোলে সংশোধনাগারে ৫ ঘণ্টা জেরা করেন অনুব্রতকে। তারপরেই হেফাজতে নেওয়া হয় তাঁকে। জানা গিয়েছে, এখনও ইডির অ্যারেস্ট মেমোতে সই করেননি অনুব্রত মণ্ডল। যদিও এই মামলা যেহেতু পিএমএলএ, সেক্ষেত্রে তদন্তকারী সংস্থা বেশ কিছু অতিরিক্ত সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে। এই ক্ষেত্রে অ্যারেস্ট মেমোতে অনুব্রত সই না করলে তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া যাবে কিনা সে বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু জানা যায়নি। 

    জেরায় কী জানতে চান গোয়েন্দারা?

    আগেই খবর ছিল, বৃহস্পতিবার জেলে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করতে চায় ইডি। সেই মতো এ দিন সকালেই ইডির তদন্তকারী দল আসানসোল সংশোধনাগারে পৌঁছে গিয়ে জেরা করতে শুরু করে। ইডি সূত্রে খবর, গরু পাচারে কোটি কোটি টাকা লেনদেন, ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নিয়ে জেরা করে টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চান গোয়েন্দারা। কিন্তু অনুব্রতর উত্তরে খুশি হননি গোয়েন্দারা। অনুব্রত গোয়েন্দাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন বলেই এই গ্রেফতারি বলে জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে এসে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লেন নিতিন গড়কড়ি, কেমন আছেন মন্ত্রী?

    প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় গত অগাস্ট মাসেই গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রতকে গ্রেফতার করার আগেই গ্রেফতার করা হয় তাঁর নিরাপত্তারক্ষী সায়গল হোসেনকে। এতদিন তিনিও আসানসোল সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন। কিছুদিন আগেই একই ভাবে সায়গলকে ‘সোন অ্যারেস্ট’ করে দিল্লি নিয়ে যান তদন্তকারী আধিকারিকরা। এবার অনুব্রতকে ইডি গ্রেফতার করার পর অনেকেই মনে করছেন তাঁকেও দিল্লি নিয়ে যাওয়া হতে পারে। অনুব্রত-সায়গলকে মুখোমুখি বসিয়েও জেরা করা হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। 

    ইডি সূত্রে দাবি, যেহেতু অনুব্রতকে আদালতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাজির করতে হবে, তাই তাঁকে আসানসোলের আদালতেই পেশ করানো হতে পারে। সেখানে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করতে পারেন গোয়েন্দারা। সায়গলের ক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছিল। গোয়েন্দাদের দাবি, অনুব্রতর বহু বেনামী সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। সেই সম্পত্তির উৎস সম্পর্কে এখনও মুখ খোলেননি কেষ্ট মণ্ডল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Bengal Dengue: রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়াবহ! ১৪ দফা নির্দেশিকা জারি স্বাস্থ্য দফতরের

    Bengal Dengue: রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়াবহ! ১৪ দফা নির্দেশিকা জারি স্বাস্থ্য দফতরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডেঙ্গির পরিস্থিতি উদ্বেগজনক (Bengal Dengue)। ডেঙ্গির দাপট বেড়েই চলেছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যাও। ফলে রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। আর এই পরিস্থিতিতে ১৪ দফা নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এই নির্দেশিকা নিয়ে বৈঠকও হয়েছে নবান্নে।

    ১৪ দফা নির্দেশিকা জারি

    রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতির সঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তার জন্য প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, হাসপাতালগুলিতে ‘ফিভার ক্লিনিক’ পুরোদমে সচল রাখতে হবে (Bengal Dengue)। যাঁরা জ্বর নিয়ে চিকিৎসার জন্য আসবেন, তাঁদের তথ্য সংগ্রহ করে রাখতে হবে। পরে যাতে তাঁদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করা যায়।

    হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গি রোগীদের জন্য ২৪ ঘণ্টা ল্যাব পরিষেবা চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। তাদের রক্ত পরীক্ষা করার পর ওই দিনই রিপোর্ট দিতে হবে ল্যাব কর্তৃপক্ষকে। যাতে চিকিৎসা যথাযথভাবে করা যায়। এর পাশাপাশি সহকারি সুপার পদমর্যাদার একজন স্বাস্থ্য আধিকারিককে ডেঙ্গি পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য নিযুক্ত থাকতে হবে। আবার কোনও ব্যক্তি যদি ডেঙ্গি সন্দেহে ভর্তি হন, তাঁকেও পরীক্ষার দিনই রিপোর্ট দিতে হবে (Bengal Dengue)।

    আরও পড়ুন: বেসরকারি পরীক্ষাগারে গেলেই ধরা পড়ছে ডেঙ্গি! আর সরকারি কেন্দ্রে?

    স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বলা হয়েছে, রক্তের রিপোর্ট দেখে যদি কিছু সংকটজনক মনে হয় ও রক্তে অস্বাভাবিক কিছু থাকলে দ্রুত সতর্ক করতে হবে চিকিৎসকদের। ডেঙ্গি (Bengal Dengue) নিয়ে যাবতীয় বিষয় পর্যালোচনার জন্য নিযুক্ত থাকতে হবে এক জন সহকারী সুপার।

    দেখা গিয়েছে, ডেঙ্গি মোকাবিলায় নার্সিং পরিষেবার উপর বিশেষ জোর দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর (Bengal Dengue)। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রতি সপ্তাহে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ডেঙ্গি পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে হবে। নার্সিং পরিষেবা যাতে যথাযথ থাকে সেটা বার বার পর্যালোচনা করতে হবে। ডেঙ্গি সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য স্বাস্থ্য দফতরের পোর্টালে নথিভুক্ত করতে হবে।

    যেসব নার্সিং সুপাররা ডিউটিতে থাকবেন, তাঁদের ডেঙ্গি রোগীদের অবস্থা পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট সুপারিনটেন্ডেন্টকে জানাতে হবে (Bengal Dengue)। রোগীদের শারীরিক অবস্থা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য বারবার পর্যালোচনা করতে হবে।

    এছাড়া, প্রতি সপ্তাহে হাসপাতালে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসতে হবে কর্তৃপক্ষকে (Bengal Dengue)। হাসপাতাল চত্বরে বাধ্যতামূলক ভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। ডেঙ্গি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর স্বাস্থ্য দফতরের পোর্টালে নথিভুক্ত করতে বলা হয়েছে।

    নির্দেশিকায় এও বলা হয়েছে যে, হাসপাতালের দেওয়ালে ডেঙ্গি সচেতনতামূলক পোস্টার রাখতে হবে (Bengal Dengue)। এছাড়া, হাসপাতালে পতঙ্গবিদদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে। ব্লাড ব্যাংকে যথেষ্ট প্লেটলেট মজুত আছে কি না, তা-ও নজরে রাখার নির্দেশ দিয়েছে দফতর।

    এই সব নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। আর বলা হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব, এই ১৪ দফা নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে সরকারি হাসপাতালগুলিকে (Bengal Dengue)।

  • No Jobs in Bengal: আগে কাজ জোটাত কলকাতা, এখন মজুর খাটতে বাঙালি যাচ্ছে মিজোরামেও

    No Jobs in Bengal: আগে কাজ জোটাত কলকাতা, এখন মজুর খাটতে বাঙালি যাচ্ছে মিজোরামেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় কাজ নেই তাই রোজগারের আশায় উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন পাঁচ তরতাজা বাঙালি যুবক। সেখানেই পাথর-খাদানে ধস নেমে সমাধিস্থ হলেন নদিয়া জেলার চার বাসিন্দা। তেহট্ট কালীতলা পাড়ার বুদ্ধদেব মণ্ডল (২৫), মিন্টু মণ্ডল (২২) ও রাকেশ বিশ্বাস (২১) এবং চাপড়া পিঁপরেগাছির বাসিন্দা মদন দাস। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির ঢোলখালি গ্রামের বাসিন্দা সুব্রত রপ্তান (২৪)। একটি ঠিকাদার সংস্থার অধীনে মিজোরামে জাতীয় সড়ক নির্মাণের কাজ  করতে যান তাঁরা। রাস্তা নির্মাণের সময় খাদান থেকে পাথর আনার কাজ করছিলেন ১৩ জন। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন বুদ্ধদেবরা।

    মৃতদের পরিচয়

    টাকি গভর্নমেন্ট কলেজ থেকে স্নাতক হয়েছিলেন বছর চব্বিশের সুব্রত রপ্তান। তেমন কোনও চাকরি না পেয়ে পরিবারের আর্থিক অনটন মেটাতে শ্রমিকের কাজ জোগাড় করে চলে যান ভিন্‌ রাজ্যে। ছেলে কাজ পাওয়ায় পরিবারের কিছুটা আর্থিক সুরাহা হয়েছিল। আগে ঝাড়খণ্ডে পাথর খাদানে কাজ করেছেন। দুর্গাপুজোয় বাড়ি এসেছিলেন। ভাইফোঁটার পরে ফের কাজে যান। এবার গন্তব্য ছিল মিজোরাম। সুব্রতের বাবা শ্যামল তামিলনাড়ুতে শ্রমিকের কাজ করেন। দুই দিদির বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বাড়িতে মা মালতি একাই থাকেন। কিন্তু এখন সব শেষ। সোমবার সন্ধ্যায় সুব্রতর এক বন্ধু বাড়িতে দুর্ঘটনার খবর দেন। এবার সুব্রতর নিথর দেহ কফিনবন্দি হয়ে সন্দেশখালির গ্রামের বাড়িতে ফিরবে। সুব্রতর কাকিমা অনিমা রপ্তান বলেন, ‘‘কোনও কাজ না পেয়ে সুব্রত শ্রমিকের কাজে যেতে বাধ্য হয়েছিল। দেহ বাড়িতে আনার ক্ষমতাও নেই ওঁদের।’’ 

    একুশ বছরের ছেলে রাকেশ বিশ্বাসকে হারিয়ে বাবা কালু বিশ্বাসের কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, ‘‘এখানে কোনও কাজ পাচ্ছিল না। তাই ওরা কাজে যায়। ওর জামাইবাবুর সঙ্গে রবিবার শেষ কথা হয়। আজ এই খবর পেলাম।’’ বুদ্ধদেবের বাবা মধুসূদন মণ্ডলের বক্তব্য, ‘‘ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজে গিয়েছিল। তার পর আর কোনও যোগাযোগ হয়নি। আজ ঠিকাদার সংস্থার তরফ থেকে খবর পেয়ে জানতে পারলাম যে,ও আর বেঁচে নেই।’’ওই ঠিকাদারি সংস্থায় কাজ করতেন স্থানীয় আরেক যুবক অমিত মণ্ডল। তিনি ছুটিতে বাড়ি ফিরেছিলেন। দুপুরে তাঁকেই ফোন করে মৃত্যুর খবর দেন সংস্থার কোনও আধিকারিক। অমিত জানান, ‘‘ছুটিতে বাড়ি না এলে আমারও হয়তো একই ভাবে মৃত্যু হত।’’

    চাকরির সন্ধানে সুকতলা ক্ষয়ে যায়

    শিক্ষিত বাঙালি যুবকদের কি এই পরিণতিই ভবিতব্য? ভিন্‌ রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে কাজে গিয়ে প্রাণ হারানো। এই ঘটনাই প্রথম নয় এবং দুর্ভাগ্যবশত এটাই শেষ ঘটনা হবে এমনটা নয়। এক বছরেই রয়েছে এমন বহু করুণ ঘটনা।

    ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২: ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় উত্তর দিনাজপুর জেলার চার পরিযায়ী শ্রমিকের। মৃত শ্রমিকদের নাম হাকিমুল শেখ, আব্দুল্লা শেখ, মহম্মদ রাহুল ও মকিম আলম। এঁদের মধ্যে তিন জনের বাড়ি উত্তর দিনাজপুর জেলার চাকুলিয়া থানার সিরসি গ্রামে এবং একজনের বাড়ি ডুমুরিয়া এলাকায়। মধ্যপ্রদেশের ঝাঁসি স্টেশন থেকে কিছুটা দূরে পিক-আপ ভ্যান উল্টে গিয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়। চার জনেই পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে মধ্যপ্রদেশ গিয়েছিলেন।

    ১৮ এপ্রিল, ২০২২: দক্ষিণ কর্নাটকের বাজপেয়ী থানা এলাকায় শ্রী উল্কা লিমিটেড নামে এক মাছের সংস্থায় কর্মরত ছিলেন দেগঙ্গার প্রায় ৩০ জন বাসিন্দা। সেখানে প্যাকেজিং এর কাজ করতেন তাঁরা। এদের মধ্যে কয়েকজন একটি ম্যানহোলে ড্রেন পরিস্কার করতে নেমেছিলেন। ম্যানহোলের ভিতরে বিষাক্ত গ্যাসের কবলে পড়েন তাঁরা। মৃতরা হলেন ওমর ফারুক(৩১), সামিউল ইসলাম(১৭) নুর নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ফাজিলপুরের বাসিন্দা, নিজামুদ্দিন সাহাজি (১৯) আমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রায় পুরের বাসিন্দা, সরাফাতা আলি (২২) ও মিরাজুল ইসলাম (২৩) দেগঙ্গা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দোগাছিয়ার বাসিন্দা।

    ১২ মে, ২০২২: মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার প্রদীপ ডাঙা বেলতলা পাড়া এলাকার বছর কুড়ির বাসিন্দা কবিরুল শেখ বেঙ্গালুরুতে পাইপ লাইনের কাজে গিয়েছিলেন। ওই পরিযায়ী শ্রমিক কাজের সাইটে পাইপ লাইনের কাজ করছিলেন একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলায়। সেই সময় কাজ করতে গিয়েই তিনি কোনওভাবে বিদ্যুতের তারের উপর পড়ে যান। তাঁর হাতে ছিল লোহার পাইপ। বিদ্যুতের তারে পড়ে গিয়েই বিদ্যুৎপৃষ্ট হন তিনি। অন্যান্য শ্রমিকরা তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

    ২৮ মে, ২০২২: পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী, মুর্শিদাবাদের জলঙ্গী ব্লকের ফরিদপুর অঞ্চলের ইদুল হাসান (৫২) কেরলে প্রেম্বাবুর থানা এলাকায় মারা যান। পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি।

    ১০ জুন, ২০২২: মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা থানার রামগড় পূর্ব হাট পাড়ার বাসিন্দা মোহনলাল মহলদার (২৩) মৃত্যু হল গুজরাটে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে। গুজরাটের জামনগর অডিনার জেটিতে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজে গিয়েছিলেন মোহনলাল। জেটির ওপর কাজ করার সময় অসাবধানতার ফলে মাথায় রডের আঘাত লেগে জেটির ওপর থেকে সমুদ্রে পড়ে যান উনি। অন্যান্যরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২: বীরভূমের নলাহাটি থানার শীতল গ্রামের বাসিন্দা পিন্টু মাল (২৮) মুম্বইয়ের একটি আবাসনে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করছিলেন। সেই সময়ে মাথায় খসে পড়ল চাঙর। আহত অবস্থায় সঙ্গে সঙ্গে পিন্টুকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁকেও মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

    ৭ নভেম্বর, ২০২২: নামখানা ব্লকের হরিপুর এলাকার বাসিন্দা রাজেশ মণ্ডল, কেরলে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে লিফট থেকে পড়ে গিয়ে মারা যান। রাজেশ যে বহুতলে কাজ করছিলেন সেই বহুতলের লিফটের একটি তার ছিঁড়ে যায়। সহকর্মীরা তড়িঘড়ি রাজেশকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    আরও পড়ুন: সীমান্তে ‘বিপজ্জনক’ ২৩৩ মাদ্রাসার হদিশ রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগের, নবান্ন চুপ

    হিমশৈলের চূড়া মাত্র

    এরকম ঘটনা প্রতিনিয়ত ভুরি ভুরি ঘটছে। যে ঘটনাগুলির উল্লেখ করা হয়েছে তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাংলার প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে নিযুক্ত। এতদিন জানা যেত যে গুজরাট, তামিলনাড়ু, কেরল, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র হলো বেশির ভাগ পরিযায়ী শ্রমিকদের গন্তব্য। মিজোরামের পাথর খাদানের দুর্ঘটনা বাংলার কর্মসংস্থানের দৈন্যদশা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। দক্ষিণ মিজোরামের যে প্রত্যন্ত এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে কলকাতা থেকে পৌঁছতেই লেগে যাবে প্রায় ৩-৪ দিন। আজ বাঙালির দুর্ভাগ্য যে প্রাণ হাতে নিয়ে এই রকম সুদূর দুর্গম এলাকায় ছুটে যেতে হচ্ছে রুজি রোজগার ও সংসারের অনটন মেটানোর জন্য। মিজোরাম কর্মসংস্থান যোগাচ্ছে বাংলাকে, এটাই হচ্ছে সাড়ে তিন দশকের বামফ্রন্ট শাসনের ও সাড়ে ১১ বছরের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বের প্রাপ্তি।

    সত্যই মানবিক!

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের “মানবিক” মুখ কিন্তু এই ঘটনাতেও প্রচারের আলোয়। ট্যুইট করে উনি সমবেদনা জানিয়েছেন ও শোকপ্রকাশ করেছেন; ‘‘মিজোরামে পাথরখাদানে ধস নেমে পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ শ্রমিক-সহ মোট ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। আমরা পাঁচ শ্রমিকের দেহ আনার ব‌্যাপারে মিজোরাম সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। মৃতদের পরিবারকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। যাঁরা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমার সমবেদনা।’’

    মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই মঙ্গলবার সুব্রতর বাড়িতে আসেন সন্দেশখালি পঞ্চায়েতের প্রধান দিলীপ মল্লিক, সন্দেশখালি ২ যুগ্ম বিডিও অর্ক মান্ডি। বিডিও অর্ণব মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জেলা প্রশাসন উদ্যোগ নিয়েছে, দেহ বিমানে করে এ রাজ্যে আনার। পরিবারটি যাতে ক্ষতিপূরণ পায়,তা প্রশাসন দেখছে।’’অর্থাৎ যে বিএ পাস করা যুবক কাজের অভাবে ৩-৪ দিনের পথ অতিক্রম করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাথর খাদানে কাজ করতে গিয়ে মারা গেলো তার নিথর দেহ কয়েক ঘণ্টায় বিমানে করে কলকাতায় এনে বাড়ি পৌঁছে দিয়েই সরকার তার দায়িত্ব পালন করে ফেলবেন এবং হয়তো আগামী বছরের কোনো “স্কচ অ্যাওয়ার্ড” পেয়ে যাবেন এতটা মানবিক হওয়ার জন্য।

    কোটি টাকার প্রশ্ন

    এই সরকারই দাবি করে যে পশ্চিমবঙ্গে নাকি চল্লিশ শতাংশ কর্মসংস্থান বৃদ্ধি হয়েছে। খাতায় কলমে হয়তো হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন কোথায়? এমন দুর্ঘটনার খবর রোজ প্রকাশিত হয় না, কারণ তা মূলধারার সংবাদমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয় না। যদি প্রতিদিন এমন খবর খোঁজ নিয়ে প্রকাশিত করা যেত তাহলে জনমানসে তার প্রভাব ফেলতে কোনো মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তি প্রাঙ্গণ, গান্ধী মূর্তির পাদদেশ অথবা করুণাময়ীর বিকাশ ভবনের সামনে অনশন বিক্ষোভ কর্মসূচি করতে লাগতো না। বেকারত্বের এমন বিজ্ঞাপন বাঙালিদের বিবেকবোধকে নাড়িয়ে দিত।

    বাঙালির এই দুর্দশা কবে ঘুচবে তা কেউ জানে না। সরকার বদলে গেলেও প্রায় ৫০ বছরের এই গভীর ক্ষত সরিয়ে তুলতে যে সময় ব্যয় হবে তাতে আর কটা প্রজন্মকে ভুগতে হবে সেটাই কোটি টাকার প্রশ্ন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kulpi: খড়ের গাদায় মিলল বোমার পাহাড়ের হদিশ, ত্রস্ত কুলপির গ্রাম

    Kulpi: খড়ের গাদায় মিলল বোমার পাহাড়ের হদিশ, ত্রস্ত কুলপির গ্রাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে তপ্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলা। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্যের একাধিক জেলা। এরই মধ্যে ফের মিলল বোমার পাহাড়ের খবর। তবে এবার বোমার স্তূপের খবর বীরভূমে নয়, মিলল তৃণমূলের (TMC) দাপটে থাকা দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির (Kulpi) ছামনাবনিতে। মঙ্গলবার সকালে দু ব্যাগ তাজা বোমা উদ্ধার (Bomb Recovery) করল কুলপি থানার পুলিশ। বোমা উদ্ধারের খবর মেলায় ত্রস্ত গোটা তল্লাট।

    কুলপির ওই গ্রামে…

    বৃহস্পতিবারই কুলপির (Kulpi) ওই গ্রামে বিস্ফোরণ হয় কৌটো বোমায়। জখম হয়েছিল বছর ষোলোর দুই কিশোর। এর ঠিক তিন দিনের মাথায় ওই একই গ্রাম থেকে উদ্ধার হয়েছে ২৪টি বোমা। ওই ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তার রেশ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের খড়ের গাদায় মিলল বোমার হদিশ। জানা গিয়েছে, গ্রামের মাঠের একটি খড়ের গাদায় নাইলনের ব্যাগে ভরে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বোমাগুলি। মঙ্গলবার সকালে সেগুলি নজরে পড়ে স্থানীয় কয়েকজনের। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে তাজা বোমাগুলি।

    বৃহস্পতিবার কৌটো বোমা ফাটার পরে গ্রেফতার করা হয় জনৈক বাবুসোনা পাইককে। তাকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে ছামনাবনির একাধিক জায়গায় বোমা মজুত রয়েছে। সেই মতো পরপর দুদিন কুলপির (Kulpi) ওই গ্রামে তল্লাশি চালায় পুলিশ। উদ্ধার হয় বোমা। মঙ্গলবার সকালে ফের বোমা উদ্ধারের খবরে এলাকায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁয় বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল এক নাবালিকার। উত্তর ২৪ পরগনার সেই ঘটনার পরে পরেই একের পর এক বোমা উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে পড়শি জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।

    আরও পড়ুন: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, চলল গুলি, জখম পুলিশ

    কিছুদিন আগে পর্যন্তও বারুদের স্তূপের ওপর দাঁড়িয়েছিল বীরভূম। জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে বোমা উদ্ধারের খবর জায়গা করে নিত হেডলাইনে। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তার পর সেভাবে বীরভূম থেকে বোমা উদ্ধারের খবর শিরোনামে আসেনি বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। এবার বীরভূমের সেই জায়গা করে নিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। গত কয়েক দিনে পর পর উদ্ধার হয়েছে বোমা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করতেই কী মজুত করা হচ্ছে  বোমা? উঠছে প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Jhalda: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই বড় ধাক্কা শাসক শিবিরে, হাতছাড়া হল ঝালদা পুরসভা

    Jhalda: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই বড় ধাক্কা শাসক শিবিরে, হাতছাড়া হল ঝালদা পুরসভা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুমানই হল সত্যি! শাসকদলকে খোয়াতে হল ঝালদা পুরসভা (Jhalda)। শেষপর্যন্ত ২ নির্দল কাউন্সিলর কংগ্রেসকে সমর্থন করায় ঝালদা পুরসভা হাতছাড়া হল তৃণমূল কংগ্রেসের। এখন কংগ্রেস শিবিরে রইল ৭ কাউন্সিলর। অন্যদিকে, তৃণমূলের হাতে রইল ৫ কাউন্সিলর। আজ তলবি সভা ছিল। তাতে উপস্থিত ছিলেন না তৃণমূলের কাউন্সিলররা। নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় হাত শিবির। এদিন জয়ের পর ঝালদা শহরে তপন কান্দুর স্লোগান দিয়ে বিজয় মিছিল করে কংগ্রেস।

    কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পুরুলিয়ার ঝালদা (Jhalda) পুরসভায় আজ ছিল আস্থা ভোট। ঝালদা শহরজুড়ে জারি হয়েছিল ১৪৪ ধারা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসকদলের কাছে এটি একটি মর্যাদার লড়াই ছিল। আজকের আস্থাভোট ঘিরে ছিল টানটান উত্তেজনা। নির্দল থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া কাউন্সিলররা শাসক দলের হাত ছাড়ার পরেই শাসকদলকে বেকায়দায় পড়তে হয়। এরপর এই মামলা আদালত পর্যন্ত গড়ালে শেষপর্যন্ত আস্থাভোটের নির্দেশ দেয় আদালত। আর আজই ঠিক হয়ে হয়ে গেল যে, শেষপর্যন্ত কংগ্রেসের দখলে হল ঝালদা পুরসভা (Jhalda) ।

    কেন এই আস্থাভোট?

    পুরভোটের পর থেকেই ঝালদা (Jhalda) নিয়ে অস্বস্তি বেড়েই চলেছিল শাসক শিবিরের। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরেই কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর হত্যাকাণ্ড আরও সংকট বাড়িয়েছিল। শেষে উপনির্বাচনের পর নির্দল কাউন্সিলর শীলা চ্যাটার্জি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করায় বোর্ড গঠন করে শাসক দল। ফলে ৬ আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে বোর্ড দখল করে নেয় তৃণমূল। কিন্তু সেই বোর্ড বেশিদিন স্থায়ী হতে পারল না। ৭ মাস কাটতে না কাটতেই নির্দল কাউন্সিলর শীলা চ্যাটার্জি তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন। যার ফলে সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারিয়েছে। শেষে চাপে পড়েই আস্থাভোট নির্দেশ দেয় আদালত ।

    কী পরিস্থিতিতে ছিল পুরবোর্ড?

    ঝালদা (Jhalda) পুরসভার মোট ১২টি আসন। পুরসভা ভোটের পর ত্রিশঙ্কু হয়েছিল ফলাফল। তৃণমূল কংগ্রেস এবং কংগ্রেস উভয়ই ৫টি করে আসন পেয়েছিল। ২টি আসনে জিতেছিল নির্দল। তারমধ্যে একজন সোমনাথ কর্মকার ছিলেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেস। পুরভোটে টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন। এরই মধ্যে নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলে সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে শাসক শিবির পুরবোর্ড গঠন করেছিল। তবে বর্তমানে কংগ্রেসে রইল ৭ কাউন্সিলর।

    বোর্ড দখলে আত্মবিশ্বাসী ছিল কংগ্রেস

    কংগ্রেস থেকে দাবি করা হয়েছিল যে (Jhalda), তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন ২ নির্দল প্রার্থী। ফলে বোর্ড দখলে আত্মবিশ্বাসী হাত শিবির। ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস নেত্রী পূর্ণিমা কান্দু বলেন, ‘আমরা আশাবাদী। কারণ সংখ্যা গরিষ্ঠতা আমাদেরই বেশি। তাই জয় আমাদেরই হবে।’

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে ঝালদা পুরসভার এই আস্থাভোট অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পুরুলিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট ব্যাংক অনেকটাই নির্ভর করে এই আস্থাভোটের উপরে। সেকারণেই এদিকে তাকিয়ে ছিল পুরো রাজনৈতিক মহল। শেষ পর্যন্ত ঝালদাবাসীর (Jhalda) অপেক্ষার অবসান হল। কংগ্রেসের হাতেই গেল ক্ষমতা।

  • Saradha Scam: সারদা কাণ্ডে ফের তৎপর ইডি, জেরার মুখে রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন ডিজি

    Saradha Scam: সারদা কাণ্ডে ফের তৎপর ইডি, জেরার মুখে রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন ডিজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার, গরু পাচারের পর এবারে সারদা চিটফান্ড মামলায় (Saradha Scam) তৎপর ইডি বা ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সারদা চিটফান্ড মামলায় প্রাক্তন পুলিশকর্তা রজত মজুমদারকে শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ইডির গোয়েন্দারা। এর পাশাপাশি ফ্রিজ করা হয়েছে রজতবাবুর ২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। প্রায় ৮ বছর আগে সারদা কাণ্ড নিয়ে সিবিআই-ইডির তদন্ত শুরু হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন দুর্নীতির মামলার তদন্ত শুরু হতেই সারদা মামলার তদন্ত পিছিয়ে গিয়েছিল। ফলে এবারে ফের তৎপর হয়ে উঠেছে ইডি। তাই এবারে ইডির স্ক্যানারে রাজ্যের প্রাক্তন ডিজি।

    ইডির নজরে রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন ডিজি

    সম্প্রতি সারদা মামলায় (Saradha Scam) নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন পুলিশকর্তা রজত মজুমদারের। ফলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডেকে পাঠায় ইডির আধিকারিকরা। একসময় রজতবাবু রাজ্য পুলিশের ডিজি ছিলেন। এরপর পরবর্তীতে রজত মজুমদার সারদায় যোগ দেন ও তাঁকে সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যানের পদ দেওয়া হয়। এমনকি তিনি পরে রাজনীতিতেও সরাসরি প্রবেশ করেন। এরপর এই প্রাক্তন পুলিশ কর্তা নাম লেখান বাংলা শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসেও।

    সারদা মামলায় (Saradha Scam) এর আগেও গ্রেফতার হতে হয়েছে রজত মজুমদারকে। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বা সিবিআই। পরে তিনি জামিনও পেয়ে যান। কিন্তু রেহাই হল না। ফের ইডির নজরে এসেছেন তিনি। তাই তাঁকে ইডির বিধান নগরের কার্যালয়ে ডেকে পাঠিয়ে শনিবার পর্যন্ত দু’দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁকে শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত জেরা করা হয় ও তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয় বলে সূত্রের দাবি।

    আরও পড়ুন: আদালতে স্বস্তি শুভেন্দুর! বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে আনা জনস্বার্থ মামলা খারিজ করল হাইকোর্ট

    প্রসঙ্গত, সারদা মামলা (Saradha Scam) নিয়ে তদন্ত শুরু করা হলে সংস্থার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয় ও তারা আজও সংশোধনাগারে বন্দী। সারদা চিটফান্ড মামলায় ২০০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। আজও সেই টাকা সম্পূর্ণভাবে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ইডির তৎপরতায় জল্পনা

    তবে আট বছর ধরে সারদা মামলার তদন্ত যেখানে পিছিয়ে গেছে, সেখানে হঠাৎ পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগেই আবারও সারদা নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের তৎপরতা শুরু হওয়ায় জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বাংলার শাসক শিবিরের অভিযোগ ভোটের আগে তাদের বেকায়দা ফেলতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে অন্যদিকে এই যুক্তি খারিজ করে দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে যে, আদালতের নির্দেশেই সারদা কাণ্ডে (Saradha Scam) সিবিআই ও ইডির তদন্ত চলছে। বিপুল টাকা এখনও উদ্ধার হয়নি। ফলে বাকি টাকা উদ্ধারের জন্যই তদন্তকারী সংস্থা ফের তৎপর হয়ে উঠেছে।  

    সূত্রের খবর অনযায়ী, আগামী দিনে এই ঘটনায় (Saradha Scam) আরও অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ইডির জেরার মুখে পড়তে হবে বলে জানা গিয়েছে। যেসব প্রভাবশালীরা সারদা থেকে লাভবান হয়েছিলেন বলে অভিযোগ, তাঁদের খুব শীঘ্রই তলব করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

  • Suvendu Adhikari: রবিবার সরকারি অফিসে চলছে গোপনে জমির পাট্টা বিতরণ? বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রবিবার সরকারি অফিসে চলছে গোপনে জমির পাট্টা বিতরণ? বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই একাধিক প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়ে গেছে রাজ্যজুড়ে। আর এবার তাকে ঘিরেই রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে এক বড়সড় অভিযোগ আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্যুইট করে তিনি বিস্ফোরক অভিযোগ এনে লেখেন, রবিবার ছুটির দিনে রাতের অন্ধকারে সরকারি অফিস খোলা। এর আগেও ছুটির দিনে রাতের অন্ধকারে সরকারি অফিস খোলা থাকা নিয়ে শুভেন্দুকে একাধিক অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছে। আর এবারও একই দাবিতে সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)।

    ট্যুইট করে কী লিখলেন?

    তিনি (Suvendu Adhikari) গতকাল ট্যুইট করে লিখেছেন, “রবিবার, ছুটির দিনের সন্ধ্যায়, রাজ্য সরকারের নির্দেশে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ভোটারদের প্রলুব্ধ করার জন্য লুকিয়ে জমির পাট্টা বিতরণ করতে রাজ্য জুড়ে বিএলআরও অফিসগুলি খুলে দেওয়া হয়েছে।” তিনি অফিস খোলা থাকার ভিডিও পোস্ট করে আরও লিখেছেন, “অতি দ্রুততার সঙ্গে, গোপনে জমিগুলির পাট্টা সংক্রান্ত নথিপত্র প্রস্তুত করার উদ্দেশে কোনওরকম সমীক্ষা, মাঠ খসড়া, জরিপ ছাড়াই জমিগুলির কাগজপত্র তৈরি করা হচ্ছে। এই সকল জমির মধ্যে শ্মশান, কবরস্থান, চা বাগান, বনভূমি, সমাধিস্থল, জনজাতিদের স্বতন্ত্র ব্যবহার্য জমি ইত্যাদি রয়েছে। কারোর সম্পত্তি অথবা ব্যবহারের অধিকার কেড়ে নিয়ে অন্য কাউকে এভাবে দেওয়া যায় না। এটাই ক্ষমতার অপব্যবহার। এর ফলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে।” 

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের বরাদ্দ পেলেও জুটছে না খাবার, মানসিক রোগীদের পরিষেবার উন্নতি নেই রাজ্যে

    তিনি (Suvendu Adhikari) রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করে প্রশ্ন করেছেন, ‘এত তাড়া কিসের? কেন এত লুকোচুরি? ছুটির দিন, রাতের অন্ধকারে এই বিশেষ কাজ করে কিসের বিনিময়ে, কাদের সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে?” তাই তিনি সবাইকে সজাগ থাকার জন্য অনুরোধ করছেন। আর এধরণের চক্রান্ত থেকে দূরে থাকতে স্থানীয় ভাবে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার জন্য বলেছেন।   

    রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ

    এর আগেও শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) শাসকদলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন যে, সরকারের ৮০ শতাংশ লোকই নাকি তৃণমূল কে রাজ্য থেকে সরাতে তাঁকে সাহায্য করছেন। তাঁদের বক্তব্য যে, “এই সরকারকে সরান, আর পারছি না।” এছাড়াও শুভেন্দু গত শুক্রবার আরও এক বিস্ফোরক অভিযোগ এনে বলেন যে, কয়লা পাচার কাণ্ডে যুক্ত আছেন রাজনৈতিক প্রভাবশালীরাও। ২৪০০ কোটি টাকা কয়লা কাণ্ডে কেলেঙ্কারির হদিশ মিলেছে। এর মধ্যে ১ হাজার কোটি টাকা গিয়েছে এক রাজনৈতিক প্রভাবশালীর কাছে। আর সেই প্রভাবশালীই এ রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করেন। এই সব অভিযোগের পরে শাসক দলের বিরুদ্ধে পাট্টা বিতরণের এমন অভিযোগ আনায় ফের শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য জুড়ে।

  • Mental Hospital: কেন্দ্রের বরাদ্দ পেলেও জুটছে না খাবার, মানসিক রোগীদের পরিষেবার উন্নতি নেই রাজ্যে

    Mental Hospital: কেন্দ্রের বরাদ্দ পেলেও জুটছে না খাবার, মানসিক রোগীদের পরিষেবার উন্নতি নেই রাজ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেউ মাস খানেকের বাসিন্দা। আবার কেউ বছরের পর বছর পার হলেও থেকে গিয়েছেন। তবে, দিন কয়েকের মধ্যেই তাঁরা বুঝতে পারেন, ওষুধ পেলেও পথ্য তথৈবচ! দু’বেলা পেট ভরে খাবারও জোটে না। এদিকে একাধিক স্নায়ুর সমস্যার ওষুধ (Medicine) খাওয়ার জন্য দেহের ওজনও কমছে। শরীর সুস্থ রাখতে দরকার পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার। কিন্তু ভাতের সঙ্গে নিয়মিত ডিম আর ডালও দেওয়া হচ্ছে না।

    সরকারি মানসিক হাসপাতালের অবস্থা…

    রাজ্যের অধিকাংশ সরকারি মানসিক হাসপাতালের (Mental Hospital) অবস্থা এই একরকম। প্রথমে কলকাতার পাভলভ মানসিক হাসপাতালে অভিযোগ উঠেছিল। অধিকাংশ রোগীর পরিজনের অভিযোগ ছিল, রোগীদের ঠিকমতো খেতে দেওয়া হয় না (State Deprives Mental Patients)। মানসিক সমস্যার জন্য স্নায়ুর একাধিক ওষুধ দেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয় না। ফলে, রোগীরা শারীরিকভাবে খুব দুর্বল হয়ে পড়েন। এক রোগীর পরিজনের কথায়, “ছেলেকে যখন ভর্তি করেছিলাম ৭২ কেজি ওজন ছিল। কয়েক মাস হাসপাতালে থেকে যখন বাড়ি যাচ্ছে, তখন ৪২ কেজি ওজন হয়েছে। কিছুই খেতে দেয় না।”

    আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

    পাভলভ কর্তৃপক্ষের একাধিক কাজে নানান অভিযোগ ওঠায় সম্প্রতি বদলি করা হয় পাভলভের সুপারকে। যদিও স্বাস্থ্য ভবনের সুপার বদলের নিদানেও পরিবর্তন হয়নি পরিস্থিতি। অন্তত রোগীর পরিজনদের এমনি অভিযোগ। পাভলভ মানসিক হাসপাতাল কোনও ব্যতিক্রম নয় বলেই জানাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। তাঁরা জানান, রাজ্যের অন্যান্য মানসিক হাসপাতালেও পরিষেবা অত্যন্ত নিম্নমানের (State Deprives Mental Patients)। শুধু খাবারের নয়। অনেক সময়ই মানসিক রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন কর্তব্যরত স্বাস্থ্য কর্মীরা। পর্যাপ্ত পরিষেবা তাঁরা পান না। আবার স্বাস্থ্যকর্মীদের দাবি, মানসিক হাসপাতালগুলোতে মারাত্মক কর্মীসঙ্কট। তাই অনেক রোগীকে একসঙ্গে দেখভাল করতে গিয়ে নানান সমস্যা হচ্ছে। স্বাস্থ্য ভবন অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ। এক স্বাস্থ্য কর্তা বলেন, “পাভলভ নিয়ে অভিযোগ পাওয়ার পরে সুপার বদল হয়েছে। তদন্ত কমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। অন্য কোনও হাসপাতালেও কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে দফতর বিষয়টি দেখবে। “

    দেশ জুড়ে মানসিক রোগীদের সুচিকিৎসার জন্য একাধিক প্রকল্প নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু হাসপাতালে ভর্তি মানসিক রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবার উন্নতি করাই নয়, মানসিক রোগ নিয়ে চর্চার ক্ষেত্রেও বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার এজন্য আলাদা অর্থ বরাদ্দ করেছে। এমবিবিএস কোর্স থেকেই যাতে চিকিৎসকেরা অবসাদ, মানসিক চাপ, বিষন্নতার মতো বিষয়গুলোর চিকিৎসায় বিশেষ পারদর্শী হয়ে, তার জন্য আলাদা ক্লাস নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। তাছাড়া, মানসিক রোগীদের চিকিৎসায় যাতে আর্থিক সমস্যা বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, তার জন্যও একাধিক পরিকল্পনা করা হয়েছে। সরকারি হাসপাতালে মানসিক রোগীদের ওষুধ ও খাবারের জন্য আলাদাভাবে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। পাশপাশি মানসিক রোগীদের দ্রুত সুস্থ করে তুলতে নানান সৃজনশীল প্রকল্পের পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

    দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্র আর্থিক বঞ্চনা করেছে। রাজ্যের প্রাপ্য অর্থ পাঠাচ্ছে না। তাই রাজ্যের একাধিক কাজ আটকে থাকছে। রাজ্যের উন্নতিতেও সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু রাজ্যবাসীর একাংশের প্রশ্ন, কেন্দ্র যে অর্থ পাঠাচ্ছে, তা ঠিকমতো ব্যবহার হচ্ছে তো? যে অর্থ আছে, তা ঠিক খাতে দেওয়া হচ্ছে? অন্তত মানসিক হাসপাতালের (Mental Hospital) ক্ষেত্রে তার সদ্ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • TMC Inner Clash: তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে ব্যাপক বোমাবাজি, উড়ল হাত, তপ্ত শিউলির কেশপুর

    TMC Inner Clash: তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে ব্যাপক বোমাবাজি, উড়ল হাত, তপ্ত শিউলির কেশপুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের রক্তাক্ত বাংলা। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের (TMC Inner Clash) জেরে ফের সংঘর্ষ। সোমবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বীরভূমের সাঁইথিয়া। এবার ঘটনাস্থল পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর (Keshpur)। বুধবার এই কেশপুরেরই চড়কা গ্রাম অশান্ত হয়ে ওঠে রাজ্যের শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দলের জেরে। হয় ব্যাপক বোমাবাজি। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন স্থানীয় এক তৃণমূল (TMC) কর্মী। তাঁর ডান হাতের কিছুটা অংশ উড়ে গিয়েছে।

    চলতে থাকে তাণ্ডব

    স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকালে আচমকাই চড়কা গ্রামে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠী (TMC Inner Clash)। শুরু হয় বোমাবাজি। মুড়িমুড়কির মতো বোমা পড়তে থাকে। ভয়ে ঘরে সেঁধিয়ে যায় গোটা গ্রাম। চলতে থাকে তাণ্ডব। বোমার ঘায়ে তৃণমূল কর্মী রফিকুল আলির ডান হাতের কিছুটা অংশ উড়ে যায়। তাঁকে প্রথমে ভর্তি করা হয় কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে এলাকায় যায় পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। এলাকায় রয়েছে চাপা উত্তেজনা।

    এদিন যে এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের (TMC Inner Clash) ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি রাজ্যের পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহার নির্বাচনী কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। মন্ত্রী বলেন, আজ দুপুর ১টায় কেশপুর বাজারে মহামিছিল হওয়ার কথা। তার আগে সিপিএম (CPM) এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করতে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি বলেন, এই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সমর্থন করি না। কঠোরভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হবে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে পুলিশকে।

    আরও পড়ুন: সীমান্তে ‘বিপজ্জনক’ ২৩৩ মাদ্রাসার হদিশ রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগের, নবান্ন চুপ

    বারুদের স্তুূপে বাংলা, বলছে বিজেপি

    বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সাধারণ সম্পাদক দিলীপ ঘোষ বলেন, নরেন্দ্রপুর, সাঁইথিয়া থেকে কেশপুর। পুরো বাংলা বারুদের স্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। যাঁদের তৃণমূল কর্মী বলা হচ্ছে, তাঁরা আদতে গুন্ডা। তারাই ভোটে জেতাচ্ছে। তারাই রাজত্ব করছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বোমা-বন্দুক নিয়ে বেরিয়ে আসছে, মানুষ আতঙ্কিত হচ্ছে। এর পরে মানুষ যাতে ভয়ে ভোট দিতে যেতে না পারেন, তার ব্যবস্থা হচ্ছে।

    প্রসঙ্গত, সোমবার এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে উঠেছিল সাঁইথিয়া। সেখানেও তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দলের (TMC Inner Clash) জেরে হয় ব্যাপক বোমাবাজি। বোমার ঘায়ে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতার পা উড়ে যায়। জখম হয় এক নাবালকও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Mamata Banerjee: কেন্দ্রের টাকায় খয়রাতি, ‘দোষ’ ঢাকতে একশো দিনের প্রকল্প নিয়ে কী বললেন মমতা?

    Mamata Banerjee: কেন্দ্রের টাকায় খয়রাতি, ‘দোষ’ ঢাকতে একশো দিনের প্রকল্প নিয়ে কী বললেন মমতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার বলেছিলেন কেন্দ্রের টাকায় বয়েই গেছে! আর ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই ভোল বদল মুখ্যমন্ত্রীর। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়িতে বিরসা মুন্ডার জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ভাবগম্ভীর ওই সরকারি অনুষ্ঠানেই তিনি বলেন, টাকা পেতে কি পায়ে ধরতে হবে? কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগও আনেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, রাজ্যকে প্রাপ্য টাকাই দেওয়া হচ্ছে না।

    খয়রাতির সূত্রপাত…

    রাজ্যের কুর্সি দখল করতে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নানা প্রতিশ্রুতি দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এর একটি হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। অভিযোগ, এই ভাণ্ডারে টাকা দিতে নানা প্রকল্পে দেওয়া কেন্দ্রের টাকা খরচ করা হচ্ছে। তার জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে একশো দিনের কাজের মতো বিভিন্ন প্রকল্প। তার পরেও প্রতিটি জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে চলেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, জিএসটির নামে রাজ্য থেকে টাকা তুলছে কেন্দ্র। যদিও রাজ্যের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না।

    এদিনের অনুষ্ঠানের আগাগোড়াই কেন্দ্রকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, কেন্দ্র সরকার মানুষের পকেট কেটে টাকা নিয়ে যাচ্ছে। মানুষকে বঞ্চনা করছে। আমাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যকে প্রাপ্য টাকাই দিচ্ছে না। একশো দিনের কাজের টাকা বাধ্যতামূলক। মমতা বলেন, আমি গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এসেছি। এবার কি পায়ে ধরতে হবে? আমাদের টাকা আমাদের দিতে হবে, নইলে গদি ছাড়তে হবে।

    কেন্দ্র গ্রামীণ রাস্তা তৈরির টাকা দিচ্ছে না বলেও এদিন অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, গ্রামীণ রাস্তা তৈরির টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। আমাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। আমরাও তো বন্ধ করে দিতে পারি। এর পরেই স্বভাবসুলভ ভঙ্গীতে মমতা বলেন, কেন তোমায় জিএসটি দেব? একশো দিনের টাকা ফিরিয়ে দাও, নইলে গদি ছেড়ে দাও। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমার টাকা তুলে নিয়ে যাবে, আর আমাকে টাকা দেবে না, এটা হয় না। এটা মানুষকে প্রতারিত করা। তিনি বলেন, তাও আমার মনের জোর আছে। এটা কি জমিদারির টাকা? এটা মানুষের টাকা। তাঁর দাবি, একশো দিনের টাকা দিতে হবে।

    আরও পড়ুন: ‘শান্তিকুঞ্জে’র সামনে ‘অশান্তি’ তৃণমূলের, সিবিআই চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    কেন্দ্রের পাশাপাশি এদিন মমতা (Mamata Banerjee) একহাত নেন বিজেপিকেও। তিনি বলেন, কিছু বিরোধী দল বাংলার উন্নয়ন চায় না, বিসর্জন চায়। তারা দিল্লিকে লিখে পাঠায় বাংলাকে টাকা দেবে না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এরকম চলতে থাকলে একদিন আমি তীর-ধনুক নিয়ে, ধামসা মাদল নিয়ে রাস্তায় নামতে বলব। আমি আপনাদের সঙ্গে থাকব। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা রাজ্য সরকার খয়রাতিতে খরচ করছে বলে অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। এনিয়ে তিনিই একাধিকবার চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রকে। নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী কি নিশানা করলেন তাঁকেই?

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share