Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Cow Smuggling: গরু পাচার মামলায় এবার ইডির নজরে রাজ্যের পাঁচ আইপিএস অফিসার! কারা তাঁরা?

    Cow Smuggling: গরু পাচার মামলায় এবার ইডির নজরে রাজ্যের পাঁচ আইপিএস অফিসার! কারা তাঁরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের পর গরু পাচার-কাণ্ডে (Cattle Smuggling) এবার তৃণমূল বিধায়ক ও প্রাক্তন আইপিএস হুমায়ুন কবীরকে তলব করতে পারে ইডি। হুমায়ুন কবীর একসময় মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার ছিলেন। সেই সময়কার কিছু তথ্য জানতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। ইডি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই হুমায়ুন কবীরের কাছে নোটিস পাঠানো হয়েছে ।

    একাধিক পুলিশ অফিসারকে তলব

    ইডি সূত্রের খবর, রাজ্যের ৫ আইপিএসকে তলব করতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। ডিসেম্বরের শুরুতেই তাঁদের ডেকে পাঠানো হতে পারে দিল্লিতে। তালিকায় রয়েছেন মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) ও বীরভূমে (Birbhum) দায়িত্ব সামলানো প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিকরা। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ডিআইজি পদমর্যাদা সম্পন্ন ২ আইপিএস, ২ পুলিশ সুপার। পাঁচ আইপিএস অফিসারকে ডিসেম্বরের ৩ থেকে ৭ তারিখের মধ্যে দিল্লিতে (Delhi) ডেকে পাঠানো হতে পারে বলে খবর।আসলে মুর্শিদাবাদ, বীরভূম – দুই জেলাই সীমান্তবর্তী। এখান দিয়ে সর্বাধিক গরু পাচার হয়ে থাকে। এর আগেও একাধিক পুলিশ আধিকারীককে তলব করে জেরা করেছে ইডি। কোটেশ্বর রাও থেকে শুরু করে জ্ঞানবন্ত সিংকেও তলব করা হয়েছে। তারপরে ফের আরও পুলিশ অফিসারকে জেরা করতে চলেছে ইডি। গরু পাচারের সময় এই ৫ আইপিএস অফিসার মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমে বড় পদের দায়িত্বে ছিলেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে থানার ওসি সকলেই জড়িত ছিলেন গরু পাচারের ঘটনায়।

    আরও পড়ুন: কল্যাণী এইমস মামলায় বিপাকে সিআইডি, তদন্ত চালাতে লাগবে কেন্দ্রের অনুমতি, জানাল হাইকোর্ট

    হুমায়ুনকে নোটিস

    ২০১০ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে বেশকিছু ঘটনা ঘটেছিল। ওই সময় হুমায়ুন কবীর মুর্শিদাবাদে ছিলেন।  সেইসব ঘটনা সম্পর্কে তথ্য হুমায়ুন কবীরের কাছ থেকে পেতে চায় এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট। ইডির নোটিসে হুমায়ুনকে হাজিরা দিতে হবে দিল্লিতে। তবে হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, ইডির কোনও নোটিস তিনি পাননি। প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন সিবিআইয়ের পর ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। এছাড়া প্রাক্তন বিএসএফ কমান্ডার সতীশ কুমার, ব্যবসায়ী এনামুল হকের মতো হেভিওয়েটদের জালে এনেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ফলে এই চক্রের সঙ্গে কোনওভাবে পুলিশ প্রশাসনের যোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে চায় ইডি।

  • Shantanu Sen: ১.৩ লক্ষের র‌্যাঙ্ক নিয়ে পড়ছে আরজিকরে! ‘মেধাবী’ মেয়ের হয়ে সওয়াল শান্তনু সেনের

    Shantanu Sen: ১.৩ লক্ষের র‌্যাঙ্ক নিয়ে পড়ছে আরজিকরে! ‘মেধাবী’ মেয়ের হয়ে সওয়াল শান্তনু সেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেলেঙ্কারির রথ যেন থামতেই চাইছে না। কখনও কয়লা, কখনও বালি আবার কখনও শিক্ষক নিয়োগ। একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ হচ্ছে রাজ্যের শাসক দল। সেই কেলেঙ্কারি আর স্বজন পোষণের তালিকায় নয়া সংযোজন এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি প্রক্রিয়া! রাজ্যের আরেক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এবার অভিযোগ! 

    এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি

    তৃণমূলের সাংসদ শান্তনু সেনের মেয়ে সৌমিলি সেন এবার আরজিকর হাসপাতালে এমবিবিএস কোর্সে প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছেন। অভিযোগ, এই ভর্তি কিন্তু স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় হয়নি। ডাক্তারিতে পড়ার সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষায় সৌমিলির নাম ছিল ১৩০০০০ নম্বরে। অর্থাৎ, একেবারে তালিকার শেষের দিকে। সেখানে কীভাবে তিনি আরজিকর হাসপাতালে পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন, সে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। 

    রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিট পরীক্ষার মেধা তালিকায় প্রথম পঞ্চাশের মধ্যে নাম না থাকলে কখনওই আরজিকর হাসপাতালের মত রাজ্যের প্রথম সারির সরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সুযোগ পাওয়া যায় না। সেখানে কীভাবে নিট তালিকায় এত পিছনে নাম থাকলেও সৌমিলি আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হলেন? 

    একাংশের অভিযোগ, আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি শান্তনু সেন। তাছাড়া তিনি ওই এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা। তার ‘পছন্দের’ চিকিৎসকেরাই ওই হাসপাতালের প্রশাসনিক প্রধান পদে রয়েছেন। এর আগেও হাসপাতালের একাধিক সিদ্ধান্ত হয়েছে তাঁর অঙ্গুলি হেলনে। এমনকি আরজিকরের কয়েক জন পড়ুয়া তৃণমূলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করায়, তাদের রেজিস্ট্রেশন না দেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শান্তনু সেনের বিরুদ্ধে। তাই এমন প্রভাবশালী নেতা, তাঁর প্রভাব খাটিয়েই মেয়েকে ওই মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করেছেন বলে অভিযোগ করছেন চিকিৎসক মহলের একাংশ। 

    যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূলের সাংসদ শান্তনু সেন। তার যুক্তি, এগুলো সব মিথ্যা অভিযোগ। রাজনৈতিক ভাবে বিরোধী দল লড়াই করতে পারছে না। তাই ব্যক্তিগত আক্রমণ করছে। বিশেষত, তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ করে বলেছেন, কোনও রাজনৈতিক মতাদর্শ নেই। লড়াই করার ক্ষমতা নেই। তাই তাঁর মেয়েকে টার্গেট করা হয়েছে। 

    তিনি জানান, তার মেয়ে সৌমিলি স্কুলে প্রতি বছর প্রথম হত। একবারেই পরীক্ষায় বসে ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করেছেন। নিট পাশ না করলে কেউ ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পান না বলে সাফাই শান্তনুর। তিনি বলেন, “দরকার হলে মেয়ের সব সার্টিফিকেট দেখাতে পারি। দয়া করে কুরুচিপূর্ণ ব্যক্তিগত আক্রমণ করবেন না। রাজনৈতিক লড়াই, রাজনৈতিক ভাবে করতে শিখুন। ” 

    শুধু মেয়ের ভর্তি নয়। প্রশ্ন উঠেছে শান্তনু সেনের দেওয়া বার্ষিক আয়ের হিসাব নিয়েও। বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানিয়েছেন, শান্তনু সেন বলেছেন, তাঁর বার্ষিক আয় ৩ লাখ টাকা। এ নিয়ে শান্তনু সেনকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, তিনি নিয়মিত রেডিওলজিস্ট হিসাবে প্র্যাকটিস করেন। আর এটাই তাঁর রোজগার।

    যদিও বিরোধীদের দাবি, পুরো দলটাই দুর্নীতি আর মিথ্যাচারে ভর্তি হয়ে গিয়েছে। যেগুলো দেখা যাচ্ছে, তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র।

  • Sisir Adhikari: ফের বেঁফাস অখিল গিরি, অশীতিপর শিশিরকে কী ভাষায় আক্রমণ করলেন জানেন?

    Sisir Adhikari: ফের বেঁফাস অখিল গিরি, অশীতিপর শিশিরকে কী ভাষায় আক্রমণ করলেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বেফাঁস মন্তব্য তৃণমূল নেতা অখিল গিরির (Akhil Giri)। দিন কয়েক আগে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে (Draupadi Murmu) নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী। সেবারও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) নিশানা করতে গিয়ে আক্রমণ করে বসেছিলেন রাষ্ট্রপতিকে। এবারও তাঁর তির গিয়ে লাগল ভুল নিশানায়। এদিন শুভেন্দুকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের এই বিধায়ক নিশানা করলেন অশীতিপর নেতা শিশির অধিকারিকে (Sisir Adhikari)। মুগবেড়িয়ার সভা থেকে শিশিরকে ‘নেংটি মন্ত্রী’ বলে আক্রমণ করেন অখিল। যার জেরে ফের একপ্রস্ত রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়। একজন অশীতিপর নেতাকে এই ভাষায় আক্রমণ কতটা শোভনীয়, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

    অখিল উবাচ…

    এদিনের সভায় অখিল বলেন, এই বিশ্বের অষ্টম এবং নবম আশ্চর্য হল শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari) আর দিব্যেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের সাংসদ। দিল্লি থেকে টাকা নিচ্ছে। কিন্তু ভিতরে ভিতরে তৃণমূলের ক্ষতি করে বিজেপি করছে। রাজ্যের এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, বুড়ো বয়সে ভীমরতি ধরেছে শিশির অধিকারীর। আগে নাতি-নাতনিকে নিয়ে ঘুরতেন। এখন ছেলের পাল্লায় পড়ে বাবাও মুখ্যমন্ত্রীকে গালাগাল করছে। তিনি বলেন, আমি স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বলে আমাকে হাফপ্যান্ট মন্ত্রী বলা হচ্ছে। তাহলে শিশির অধিকারী কেন্দ্রের কী মন্ত্রী ছিলেন? হাফপ্যান্টের ছোট যেটা হয়, তাকে তো নেংটি বলে। উনি কি তাহলের নেংটি মন্ত্রী ছিলেন?

    আরও পড়ুন: শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের জের! গোসাবায় ফের গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী

    শিশিরের (Sisir Adhikari) আগে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্যের জেরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন অখিল। একটি ভিডিও ফুটেজে তাঁকে বলতে শোনা যায়, বলে দেখতে ভাল নয়। কী রূপসী! কী দেখতে ভাল! আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তোমার রাষ্ট্রপতি কেমন দেখতে বাবা? রাজ্যের এক মন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের জেরে হইচই শুরু হয় রাজ্যজুড়ে। জেলায় জেলায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদে শামিল হয় বিজেপি। অখিলের গ্রেফতারি ও মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারণের দাবিও জানায় পদ্ম শিবির। ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পর্যন্ত বলতে হয়, রাষ্ট্রপতিকে অবমাননাকর মন্তব্য করা ঠিক হয়নি অখিলের। রাষ্ট্রপতিকে আমরা সম্মান করি। অন্যায় করেছে অখিল গিরি। অখিলের ওই মন্তব্যের রেশ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগে ফের কুকথা রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রীর।

    কুকথায় পঞ্চমুখ অখিল!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Garia Bombing: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের বোমাবাজি, গড়িয়া স্টেশন এলাকায় আতঙ্ক

    Garia Bombing: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের বোমাবাজি, গড়িয়া স্টেশন এলাকায় আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বোমাবাজি। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এমনকি পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনও ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু শুরু হয়ে গিয়েছে বোমাবাজি। একাধিক জায়গা থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে অস্ত্র, বোমা। এক বোমাবাজির রেশ কাটতে না কাটতেই এবারে ফের গড়িয়া স্টেশন এলাকায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটল (Garia Bombing)। গতকাল রাতে এই বোমাবাজির ঘটনাটি ঘটেছে। ফলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছে গড়িয়ায়?‌

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত আড়াইটে নাগাদ বোমাবাজির খবর পাওয়া যায় (Garia Bombing)। গড়িয়া স্টেশন এলাকার অন্তর্গত নবপল্লি অঞ্চলে মাঝরাতে বিকট আওয়াজ পান এলাকার মানুষজন। এরপর এদিন সকালে রাস্তায়ও তিনটি তাজা বোমা পড়ে থাকতে দেখে আতঙ্কিত এলাকার মানুষ (Garia Bombing)। ভয়ে-আতঙ্কে দৌড়োদৌড়ি শুরু হয়। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পরে পুলিশ এসে বোমা উদ্ধার করে ও তিনটি বোমাই নিষ্ক্রিয় করা হয়।

    আরও পড়ুন: সাঁইথিয়ার বোমা বিস্ফোরণের তদন্ত এনআইএ করবে কিনা, সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, জানাল হাইকোর্ট

    স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শিশু উদ্যান ও প্রাথমিক স্কুলের পাশে একের পর এক বোমা ছোঁড়ে দুষ্কৃতিরা (Garia Bombing)। বোমা যেখানে পড়েছিল তার ৩ কিলোমিটারের মধ্যে খেয়াদা ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত। খেয়াদার শান্তি পার্ক এলাকাতেই শিশুদের উপর বোমা ছুঁড়েছিল দুষ্কৃতীরা। ফের বোমা উদ্ধার হওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। 

    বোমাবাজির ঘটনা রাজ্যে প্রথম নয় (Garia Bombing)। এর আগেও বহু জায়গায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। উদ্ধার করা হয়েছে তাজা বোমা। আর নির্বাচন সামনে থাকলেই শুরু হয় অস্ত্র উদ্ধার থেকে বোমাবাজির ঘটনা। ফলে এবারও এর অন্যথা কিছু হয়নি। তাই পঞ্চায়েত ভোটের আগেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বোমাবাজির ঘটনা উদ্বেগ বাড়িয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘ডার্টি বম্ব’ প্রসঙ্গে ভারতের সঙ্গে কথা রাশিয়ার, গণতান্ত্রিক উপায়ে সমাধানের পরামর্শ রাজনাথের

    আগের বোমাবাজির ঘটনা

    গত অক্টোবর মাসেও উত্তর ২৪ পরগনার কাঁকিনাড়ায়, বল ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা ফেটে এক শিশুর মৃত্যু হয়। বিস্ফোরণে হাত উড়ে যায় আরও এক শিশুর। সেই ঘটনার তিন দিন পরেই নরেন্দ্রপুর থানার দাসপাড়া এলাকাতেও বোমাবাজি হয়। দুপুরে মাঠে খেলতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া বোমায় গুরুতর ভাবে আহত হয় পাঁচ জন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় পারদ চড়ছে রাজনীতিরও (Garia Bombing)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Partha Chatterjee: ফের জামিনের আবেদন খারিজ, কমপক্ষে আরও ১৪ দিন জেলেই থাকতে হবে পার্থ- সুবীরেশদের

    Partha Chatterjee: ফের জামিনের আবেদন খারিজ, কমপক্ষে আরও ১৪ দিন জেলেই থাকতে হবে পার্থ- সুবীরেশদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়সহ (Partha Chatterjee) নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ৭ জনের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। ১২ ডিসেম্বর অবধি জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন আলিপুর আদালতের বিচারক রানা দাম।  

    সোমবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়সহ (Partha Chatterjee) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত ৭ জন জামিনের আবেদন করেন আদালতে। বয়স ও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দর্শিয়ে জামিনের আবেদন করেছেন পার্থ-সহ বাকি অভিযুক্তদের আইনজীবী। এবারও মঞ্জুর হল না সেই আবেদন। এই মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের ‘ক্ষমতাশালী’ ‘পরিকল্পনাকারী’ এবং ‘ষড়যন্ত্রী’ বলে দাবি করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এই দাবি থেকেই আদালতে অভিযুক্তদের জামিনের বিরোধীতা করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। অন্য দিকে, পার্থর আইনজীবী সেলিম রহমান দাবি করেন, তাঁর মক্কেলের নাম নিয়োগ দুর্নীতি মামলার এফআইআরে নেই। তাই তাঁকে জামিন দেওয়া উচিৎ আদালতের। এই প্রেক্ষিতে পার্থর আইনজীবীর প্রশ্ন, “তদন্তের নামে আর কত দিন এ ভাবে বন্দি থাকতে হবে আমার মক্কেলকে?” তিনি এ-ও দাবি করেন সিবিআইয়ের তদন্তে কোনও অগ্রগতি নেই। আইনজীবীর কথায়, ‘‘কেন্দ্রীয় এজেন্সি সব ঠিক করছে না।’’

    আরও পড়ুন: “রাজ্য মন্ত্রিসভার সবাই চোর, পুরো ক্যাবিনেটের গ্রেফতারি চাই”! বিধানসভায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    কী বলেছে সিবিআই 

    তবে সিবিআই এর আগেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলে উল্লেখ করেছে। সিবিআই-এর তরফে সওয়াল করা হয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ বাকি অভিযুক্তরা প্রভাবশালী। তাঁরা জামিন পেলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে, সেই কারণ দর্শিয়ে তাঁরা ১৪ দিনের হেফাজতের আবেদন জানান সিবিআই-এর আইনজীবী। দুই পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পরে অভিযুক্তদের আপাতত জেল হেফাজতে রাখারই সিদ্ধান্ত নেয় আদালত। 

    এদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) আইনজীবী তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন। বিচারক সিবিআই-এর দুটি মামলারই তদন্তকারী অফিসারের কাছে জানতে চান, এই মামলার তদন্ত কবে শেষ হবে? আইও জানিয়েছেন, হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁরা তদন্ত করছেন। তদন্তের গতিপ্রকৃতি সংক্রান্ত ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ তাঁরা হাইকোর্টে জমা করছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

  • Suvendu Adhikari: “রাজ্য মন্ত্রিসভার সবাই চোর, পুরো ক্যাবিনেটের গ্রেফতারি চাই”! বিধানসভায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “রাজ্য মন্ত্রিসভার সবাই চোর, পুরো ক্যাবিনেটের গ্রেফতারি চাই”! বিধানসভায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তাল বিধানসভা। গোটা ক্যাবিনেটের গ্রেফতারির দাবি তুললেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন বিধানসভায় নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়ে আলোচনা এবং মুলতুবির প্রস্তাব দেয় বিজেপি। কিন্তু সেটা বিচারাধীন বিষয় বলে নাকচ করে দেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরে বিধানসভায় শুরু হয় হট্টগোল। বিধানসভার ভিতরে স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময়ই রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন শুভেন্দু। 

    উত্তাল বিধানসভা 

    বেনামি আবেদন মামলা, ইস্যুতে তোলপাড় বিধানসভা। সোমবার এই নিয়ে বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তান আনেন তাঁরা। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তা খারিজ করে দেন। মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়ার পরই ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। এদিন বিধানসভার বাইরে এসে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমরা আজকে একটা মুলতুবির প্রস্তাব দিয়েছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে পুরো মন্ত্রিসভা অযোগ্যদের চাকরির সুপারিশ করে হাইকোর্টে পাঠিয়েছিল। মন্ত্রিসভার দায়বদ্ধতা থাকে বিধানসভার কাছে। আমাদের বলা হল বিচারাধীন বিষয়, পড়তে দেওয়া হবে না। আমি নিশ্চিত এটা বড় দুর্নীতি। একটা মন্ত্রিসভা মেধাদের বাদ দিয়ে অযোগ্যদের সুপারিশ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী সহ ৪০ জন মন্ত্রীর জেলে যাওয়া উচিত।” 

    আরও পড়ুন: জামিনের আবেদনই করলেন না, আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতেই কেষ্ট

    হাইকোর্টের কথা

    প্রসঙ্গত, গত শুক্রবারই বেনামি আবেদন মামলায় শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনের সওয়াল জবাবের সময়ে কড়া ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার হাইকোর্টে মণীশ জৈন সরাসরি জানিয়েছেন, এই শূন্যপদ তৈরি করার সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার। মন্ত্রিসভার বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “রাজ্য কেন বেআইনিভাবে নিযুক্তদের পাশে দাঁড়াচ্ছে? গণতন্ত্র কি আদৌ সঠিক লোকের হাতে রয়েছে? সন্দেহ রয়েছে।”

    শুভেন্দুর দাবি

    হাইকোর্টের এই কথা তুলে ধরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) জানান, “মন্ত্রিসভা সংবিধানের কাছে দায়বদ্ধ। মুখ্যমন্ত্রী সহ মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত হাইকোর্ট চেপে ধরেছে। এই অযোগ্যদের নিয়োগের সুপারিশ কারা করল? পুরো মন্ত্রিসভার গ্রেফতারি চাই।” শীতকালীন অধিবেশনের শুরু থেকেই একাধিক ইস্যুতে উত্তপ্ত থেকেছে রাজ্য বিধানসভা। এদিন মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ককে তোপ দেগে শুভেন্দু বলেন, “গতকাল মানিকচকের বিধায়ক প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছেন তাঁরা নাকি মহিলাদের বস্ত্রহরণ করেন। আগামিকাল মহিলা বিধায়করা এ বিষয়ে নিন্দা প্রস্তাব আনবেন।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Sukanta Majumdar: ‘মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন’, বললেন সুকান্তও

    Sukanta Majumdar: ‘মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন’, বললেন সুকান্তও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী (CM) বিজেপির (BJP) কাছে সারেন্ডার করেছেন। রবিবার এ কথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) মন কি বাত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বোলপুরের কাছারিপট্টিতে গিয়েছিলেন সুকান্ত। ওই অনুষ্ঠানে হাজির থাকার কথা ছিল বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তীরও। তবে অসুবিধা থাকায় মিঠুন হাজির হতে পারেননি। যোগ দিয়েছিলেন সুকান্ত। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    সংবিধান দিবস…

    শনিবার দেশজুড়ে পালিত হয় সংবিধান দিবস। তার আগের দিন বিধানসভায় এই উপলক্ষে হয় অনুষ্ঠান। বক্তৃতা দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। পরে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে চায়ের নেমতন্ন করেন। তিন বিধায়ককে নিয়ে শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রীর ঘরেও যান। মমতা-শুভেন্দুর এই সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন। বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে দিল্লি যাবেন বলেছিলেন মমতা। সে প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে বিজেপি বিধায়কদের ডাকা হয় না। এখন মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে দিল্লি যাব। সুকান্ত বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকে খত দিয়েছেন!

    আরও পড়ুন: ‘বাংলায় আল্ট্রা ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি’, রাজ্য সরকারকে ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি যাওয়ার কথা তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তা নিয়ে রাজ্যে শুরু হয়েছে নয়া জল্পনা। এদিন সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তৃণমূলের সাংসদ। তিনি তাঁর দলের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ করেছেন। সুকান্ত বলেন, আমরা থার্ড পার্টি। আমরা কী বলব এতে? তিনি বলেন, এটা দলের বিষয় নয়। এদিন পৌষমেলা নিয়েও দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, দু বছর পৌষমেলা বন্ধ ছিল। বিজেপির ঘোষিত স্ট্যান্ড পৌষমেলা আগের মতোই হোক। আমরা বোলপুরের মানুষের সঙ্গে আছি। তিনি বলেন, প্রয়োজনে তাঁদের সঙ্গে রাস্তায় নেমে লড়াই করব।

    রবিবার সুকান্ত (Sukanta Majumdar) যা বললেন, শনিবার তার নান্দীমুখের কাজটি করে রেখেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্যের রাজনীতি এক পাশে সরিয়ে রেখে ঠাকুরবাড়ির জনসভায় শুভেন্দু বলেন, নন্দীগ্রামে ওঁকে হারিয়েছি। গণতান্ত্রিক উপায়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বানাব। রবিবার মন কি বাতের সময় শুভেন্দু উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রামে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Primary TET: টেট পরীক্ষায় বসতে পারবে স্পেশ্যাল বিএডরাও, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Primary TET: টেট পরীক্ষায় বসতে পারবে স্পেশ্যাল বিএডরাও, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  এবার টেটে (Primary TET) বসতে পারে স্পেশ্যাল বিএড প্রার্থীরা। চাকরিপ্রার্থীদের আর্জি মেনে নিল কলকাতা হাইকোর্ট। নিয়োগ এবং টেট পরীক্ষায় বসার আবেদন নিয়ে আদালতে দ্বারস্থ হয় স্পেশাল বিএড’রা। নিয়োগ এবং পরীক্ষায় বসতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন প্রায় ৫০ জন প্রার্থী। আপাতত আসন্ন টেট পরীক্ষায় বসার অনুমতি পেল স্পেশাল বিএডরা। এই প্রথম বিএডদের পাশাপাশি পরীক্ষায় বসবে স্পেশাল বিএড। প্রাথমিকে নিয়োগের আবেদনের শুনানি ৬ ডিসেম্বর।   

    উচ্চ আদালতের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় শুক্রবার এই নির্দেশ দেন। বিএড-রা যদি প্রাথমিক টেট (Primary TET) পরীক্ষায় বসতে পারেন, তাহলে বিএড স্পেশালরা নয় কেন? এই প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীদের বক্তব্য, বিভিন্ন রাজ্যে বিএড ও বিএড স্পেশালদের একই গণ্য করা হয়। কিন্তু এই রাজ্যে সেটি হয় না বলে অভিযোগ মামলাকারীদের। এই নিয়ে মামলায় শুক্রবার বিএড স্পেশাল চাকরিপ্রার্থীদের প্রাথমিক টেটে বসার সুযোগ দিল হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুন: ‘‘মমতাকে গণতান্ত্রিকভাবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব’’, চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর  

    শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে অন্তর্বর্তী নির্দেশে বলা হয়েছে, বিএড স্পেশাল যে ক্যান্ডিডেটরা ফর্ম ফিল আপ করেছেন, তাঁদের প্রত্যেককে অ্যাডমিট কার্ড দিতে হবে। আগামী ৬ ডিসেম্বর এই সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। উল্লেখ্য, আগামী ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিক টেট (Primary TET) পরীক্ষা রয়েছে। প্রায় ৬ বছর পর টেট পরীক্ষায় আয়োজন হচ্ছে রাজ্যে। কিন্তু এই পরীক্ষায় স্পেশাল বিএড-এর জন্য কোনও অপশন দেওয়া হচ্ছিল না। যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁদের বিএড হিসেবেই আবেদন করতে হয়েছে। এদিকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছিল, বিএড স্পেশালরা টেট পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। সেই নিয়েই মামলা করা হয়েছিল আদালতে।

    স্পেশ্যাল বিএড কী? 

    বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়াদের পড়ানোর জন্য প্রশিক্ষিতদের স্পেশ্যাল বিএড বলে। তাঁদের দাবি, দেশের একাধিক রাজ্য রয়েছে, যেখানে বিএড এবং বিএড স্পেশালদের একই সারিতে রাখা হয়। এমন অবস্থায় তাঁদের প্রশ্ন, টেটে বিএড উত্তীর্ণরা অংশ নিতে পারলে, বিএড স্পেশালরা কেন অংশ নিতে পারবেন না? তাঁদের বক্তব্য, টেট পরীক্ষায় তাঁদেরও সুযোগ দেওয়া হোক। এমনকী তাঁদের দাবি, প্রাথমিক স্কুলগুলিতে অনেক ক্ষেত্রেই স্পেশাল স্টুডেন্ট থাকে। সেক্ষেত্রে বিএড স্পেশালরা যদি সুযোগ পান, তাহলে স্পেশাল স্টুডেন্টদের (Primary TET) পড়ানোর ক্ষেত্রেও সুবিধা পাওয়া যাবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

     
  • Suvendu Adhikari: ‘‘মমতাকে গণতান্ত্রিকভাবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব’’, চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘মমতাকে গণতান্ত্রিকভাবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব’’, চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রামে ওঁকে হারিয়েছি। গণতান্ত্রিক উপায়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (CM) বানাব। কথাগুলি যিনি বললেন, তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে যান শুভেন্দু। সেখানেই এই চ্যালেঞ্জ নেন তিনি।

    সিএএ…

    দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই নির্বাচনের আগে সিএএ নিয়ে সুর চড়াচ্ছে বিজেপি। এদিন বিজেপির ডাকে সিএএ (CAA) নিয়ে জনসমাবেশে যোগ দিতে ঠাকুরনগরে যান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। এই ঠাকুরনগর মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রধান তীর্থক্ষেত্র। সেই ঠাকুরনগরে গিয়ে ঠাকুরবাড়িতে পুজো দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। পরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, যেমন কথা তেমন কাজ। সিএএ আইন পাশ হয়েছে। আপনারা দেখছেন সিএএ আইনে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কথা বলা হয়নি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, আপনারা শুভেন্দু অধিকারী, শান্তনু ঠাকুরের ওপর ভরসা রাখুন। সিএএ হবেই। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার মুখে সিএএ-র আশ্বাস পেয়ে প্রবল হাততালি পড়ে সমাবেশে। বাংলায় ডবল ইঞ্জিন সরকার হবে বলেও এদিন জানিয়ে দেন শুভেন্দু।

    এদিনের সমাবেশে পুরানো একটি সভার প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, উনি (মুখ্যমন্ত্রী) কিছুদিন আগে বলেছিলেন, বাংলার টাকা আটকাতে বিরোধী দলনেতা চিঠি দেন। কাল (শুক্রবার) সে কথা গিলেছেন। স্নেহের ভাই বলে উল্লেখ করেছেন। শুভেন্দু বলেন, আসলে মুখ্যমন্ত্রী বিরোধীদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। এর পরেই নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে হারিয়েছি। গণতান্ত্রিকভাবে হারিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব। ঠাকুরবাড়িতে দাঁড়িয়ে বলে গেলাম।

    আরও পড়ুন: ‘বাংলায় আল্ট্রা ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি’, রাজ্য সরকারকে ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    শুক্রবারই সৌজন্যের রাজনীতির সাক্ষী ছিল বিধানসভা। সংবিধান দিবস উপলক্ষে এদিন ভাষণ দিচ্ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। পরে তাঁকে চায়ের নেমতন্ন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল, অশোক লাহিড়ি এবং মনোজ টিগ্গাকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, চা খাওয়া হয়নি। তাঁর ভাষায়, এটি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকার। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধরাশায়ী করেছিলেন শুভেন্দু। তার পর থেকে দুজনের মুখ দেখাদেখি এক প্রকার বন্ধই ছিল। শুক্রবার কেটেছিল জট। তবে শনিবার ফের শুভেন্দু স্পষ্ট করে দিলেন তাঁর অবস্থান। বললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে হারিয়েছি। গণতান্ত্রিকভাবে হারিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Nirmal Majhi: নার্সিং এবং ফার্মেসি কাউন্সিলে থাকছেন না নির্মল! কারণ কী?

    Nirmal Majhi: নার্সিং এবং ফার্মেসি কাউন্সিলে থাকছেন না নির্মল! কারণ কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নার্সিং ও ফার্মাসি কাউন্সিল থেকে নাম বাদ পড়েছে নির্মল মাজির। সাধারণত নার্সিং, ডেন্টাল এবং ফার্মাসি কাউন্সিলে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকে একজন করে মনোনীত প্রতিনিধিকে পাঠানো হয়। তাঁরা ৫ বছরের জন্য সেখানে থাকেন। এর আগে নার্সিং এবং ফার্মেসি কাউন্সিলের প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন নির্মল মাজি। তবে এবার এই দুটি কাউন্সিলে নতুন মুখ আনা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ১.৩ লক্ষে স্থান, পড়ছে আরজিকরে! ‘মেধাবী’ মেয়ের হয়ে সওয়াল শান্তনু সেনের

    নতুন মুখ

    দীর্ঘ দিন পরে নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয়েছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের কমিটি। সেখানে বিধায়ক-চিকিৎসক নির্মল মাজি ও সাংসদ-চিকিৎসক শান্তনু সেনকে মনোনীত সদস্য করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু মেডিক্যাল কাউন্সিলের মনোনীত প্রতিনিধি হিসাবে আরও যে সমস্ত কাউন্সিলে নির্মল ছিলেন, সেখান থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল। তাঁর জায়গায় এসেছে নতুন মুখ। নার্সিং কাউন্সিলে চিকিৎসক অভীক দে এবং ফার্মাসি কাউন্সিলে সৌরভ পালকে মনোনীত করে পাঠানো হবে, বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে ডেন্টাল কাউন্সিলে প্রতিনিধি হিসাবে ছিলেন রাজীব গণচৌধুরী। তাঁর মৃত্যুর পরে নির্মলের নাম মনোনীত করে পাঠানো হলেও শেষ পর্যন্ত ডেন্টাল কাউন্সিলে তা কার্যকর হয়নি। এ বার সেখানে মনোনীত হয়েছেন বিধায়ক-চিকিৎসক খগেন মাহাতো। 

    আরও পড়ুন: গরু পাচার মামলায় এবার ইডির নজরে রাজ্যের পাঁচ আইপিএস অফিসার! কারা তাঁরা?

    নয়া কাউন্সিল

    কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সম্প্রতি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে। সেখানে সরকার পন্থীর ১৪ জন চিকিৎসক জয়লাভ করেছেন। এরপরে তাঁদের মধ্যে থেকে সভাপতি করা হয়েছে বিধায়ক ও চিকিৎসক সুদীপ্ত রায়কে। সুশান্ত রায়কে সহ সভাপতি করা হয়েছে। সহকারী সম্পাদক করা হয়েছে রবি হেমব্রম এবং দীপাঞ্জন হালদারকে। সুদীপ্ত বলেন, “উন্নয়নের লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রীও নতুন প্রজন্মকে সামনে এগিয়ে দিচ্ছেন। সেই মতো কাউন্সিলও কাজের অগ্রগতির জন্য নতুনদের প্রাধান্য দিচ্ছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share