Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Sukanta Majumdar: ভোট লুঠ চলবে না, লাঠির জবাব লাঠিতে দিন! তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ভোট লুঠ চলবে না, লাঠির জবাব লাঠিতে দিন! তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানুষের ভোট মানুষ দেবে। ভোট লুঠ চলবে না। ভোট লুঠ করতে চাইলে তাদের সর্বস্ব লুঠ করা হবে, হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (BJP State President Sukanta Majumdar)। রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভোটের তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রস্তুতি নিচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। চড়ছে কথার পারদও। এই আবহেই  ভোট-লুঠের অভিযোগ তুলে সরব হলেন সুকান্ত মজুমদার। রামপুরহাটের (Rampurhat) জনসভায় তিনি বলেন,  ‘‘কথার জবাব কথায় দিন, আর লাঠির জবাব লাঠিতে দিন। যদি দুধ দেয়, ভাল করে কিসমিস দিয়ে পায়েস বানিয়ে খাইয়ে দিন। আর ভোট লুঠ করতে যদি আসে, তার সবকিছু লুঠ করে বাড়িতে পাঠিয়ে দিন।’’

    আরও পড়ুন: নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে চার্জশিট সিবিআইয়ের! জানেন তালিকায় রয়েছেন কারা?

    রাজ্যে আগামী নির্বাচনে যে বদল আসতে পারে তা এদিনের জনসভা থেকে স্পষ্ট। আগে তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডলের গড় বলে পরিচিত ছিল বীরভূম। কিন্তু বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোট। এখনও তিনি জেলে বন্দি। এবার তাঁর মাটিতে দাঁড়িয়েই হুঙ্কার শোনা গেল বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যে। বুধবারে প্রকাশ্য সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময় রাজ্যে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘‘মনে রাখবেন ভয় মানে হচ্ছে মৃত্যু, ভয় পাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। আমরা শুধু ভারতবর্ষের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল নয়,পৃথিবীর সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, তাই আর আমরা তৃণমূলের মতো চোরেদের দলের লোকদের ভয় পাব না,ওই দিন চলে গিয়েছে।’’

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া বাংলায় ভোট হওয়াই উচিত নয়! পঞ্চায়েত নির্বাচনে এক সুর সুকান্ত-শুভেন্দুর

    গত পঞ্চায়েত ভোটে বীরভূম কার্যত বিরোধী শূন্য ছিল। এবার তৃণমূলের দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসায় জেলে অনুব্রত মণ্ডল-সহ একাধিক নেতা। এর কী প্রভাব পঞ্চায়েত ভোটে পড়ে তা সময় বলবে। কিন্তু রাজ্যে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট করাতে তৎপর বিজেপি। ভোট লুঠ ও সন্ত্রাস রুখতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিও তুলেছে পদ্ম শিবির।  

  • Cattle Smuggling Case: দিল্লিতে ইডির দফতরে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা! কী প্রশ্ন করলেন তদন্তকারীরা?

    Cattle Smuggling Case: দিল্লিতে ইডির দফতরে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা! কী প্রশ্ন করলেন তদন্তকারীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিলেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। গরুপাচার মামলায় তাঁকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি সূত্রে খবর, বুধবার অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal)  দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের সঙ্গে তাঁকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছে। এর আগে গত ২৭ অক্টোবর সুকন্যাকে তলব করেছিল ইডি। তবে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি হাজিরা এড়িয়ে যান। ইডি’র তরফে সুকন্যাকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ২ নভেম্বর দিল্লিতে এসে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। এবার আর হাজিরা এড়াননি তিনি। এবার হাজিরা এড়ালে তাঁকে হয়ত গ্রেফতারির মুখে পড়তে হত।

    আরও পড়ুন: তিন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সংখ্যালঘু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব, বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

    এদিন সকাল ১০ টা নাগাদ মুখে কালো মাস্ক পরে সুকন্যা ইডি অফিসে পৌঁছন। অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও ইডি দফতরে আনা হয়। সকাল ১০টা নাগাদ ইডি দফতরে পৌঁছন সুকন্যা। তারও মিনিট পঞ্চাশেক আগে সায়গল হোসেনকে মেডিক্যাল চেক আপের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তাঁকে ইডি দফতরে নিয়ে আসা হয়। জানা যাচ্ছে, তাঁদের আলাদা আলাদা রুমে বসিয়ে জেরা করা হয়েছে। এরপর দুজনের বয়ান মিলিয়ে দেখা হবে। পরে এক রুমে বসিয়েও জেরা করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। গরু পাচার কাণ্ডে যে ইডি অফিসার বাংলায় তদন্ত করেছেন, তিনিও রয়েছেন দিল্লি সদর দফতরে। তাঁর সাহায্যেই হয়ত তদন্ত চলবে।

    আরও পড়ুন: তৃণমূলকে পঞ্চায়েত ভোটে জিতিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন! অভিযোগ শুভেন্দুর

    এর আগে ২৭ অক্টোবর সুকন্যা মণ্ডলকে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু সেবার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি হাজিরা এড়িয়ে যান। এবার তাঁকে যেতে হতই। সিবিআইয়ের জমা দেওয়া চার্জশিট অনুসারে ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে সুকন্যার আয় ছিল ৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা। অন্তত ৩ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে সুকন্যার নামে। গরু পাচার মামলার তদন্তে নেমে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়েরও বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পায় ইডি। প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা সুকন্যা এই বিপুল পরিমাণ অর্থ কোথা থেকে পেলেন,তা প্রথমেই জানতে চায় ইডি। তদন্তকারীদের সন্দেহ,গরু পাচারের টাকাই সুকন্যার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করা হয়েছিল। যার ফলে তাঁর এই বিপুল সম্পদ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sukanya Mondal: পর পর তিন দিন! আজ ফের দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিলেন কেষ্ট কন্যা

    Sukanya Mondal: পর পর তিন দিন! আজ ফের দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিলেন কেষ্ট কন্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধ, বৃহস্পতিবারের পর এবার শুক্রবারেও! পর পর তিন দিন ইডির তলব কেষ্ট কন্যাকে (Sukanya Mondal)। গরু পাচার কাণ্ডে তিন দিন দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর দফতরে হাজিরা দিলেন সুকন্যা মণ্ডল। বুধে আট ঘণ্টা ও বৃহস্পতিবারে সাত ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের কন্যাকে। এর পর শুক্রবার আবার সকাল ১১টা নাগাদ ইডির তদন্তকারীদের মুখোমুখি হলেন তিনি।

    ইডি সূত্রে খবর, সামান্য প্রাথমিক শিক্ষক হয়েও কীভাবে এত সম্পত্তির মালিক হলেন তিনি, এই নিয়েই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কিন্তু তিনি প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারায় তাঁকে বার বার ডাকা হচ্ছে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদে তদন্তকারীরা জোর দেন সুকন্যার সংস্থার উপর। সুকন্যার সংস্থা ভোলে ব্যোম রাইস মিলের মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে যে, কোটি কোটি টাকার উৎস কী? কার টাকা, কোথা থেকে এল, কীভাবে এল এসব নিয়েই ফের আজকের জেরা। ইডির দাবি, ২০১৪ সালের আগেও সুকন্যার বছরে আয়ের পরিমাণ ছিল ৩ লক্ষ টাকার মতো। গত দু’বছরে তাঁর বার্ষিক আয় ১ কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। ফলে তদন্তকারীরা সন্দেহ করেছেন যে, গরু পাচারের অর্থ থেকেই সুকন্যার সম্পত্তির পরিমাণ ফুলেফেঁপে উঠেছে।

    আরও পড়ুন: ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত সায়গল হোসেনের, নতুন ঠিকানা তিহার জেল

    উল্লেখ্য, গতকাল সুকন্যা ছাড়াও তলব করা হয়েছিল অনুব্রতের হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারি ও ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্যকেও। সূত্রের মতে, ৩ জনের কারও সঙ্গে কারও দেখা হয়নি ইডির দফতরে। সূত্রের খবর, রাজীবের কাছে ইডি জানতে চায়, তিনি মণীশকে চেনেন কি না? রাজীব জানান অনুব্রতর সিএ হিসাবে তিনি মণীশকে চেনেন। অন্যদিকে, মণীশকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তদন্তকারীরা জানতে চান, অনুব্রতর সঙ্গে তিনি কবে থেকে যুক্ত? কিন্তু মণীশের উত্তরে সন্তুষ্ট না হওয়ায় আজ ফের তলব করেছে ইডি।

    আবার অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলের লটারি জেতা নিয়ে তদন্তে আরও তৎপর হল সিবিআই৷ এবার বোলপুরের একটি লটারির দোকানে হানা দিলেন সিবিআই আধিকারিকরা৷ মিনিট পাঁচেক ওই দোকানে ছিলেন তাঁরা৷ লটারির টিকিট কীভাবে ভাঙানো হয়েছিল, এর পেছনে কী রহস্য রয়েছে সেই সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে দোকানের কর্মীদের বোলপুরের সিবিআই ক্যাম্প অফিসে হাজিরা দেওয়া নির্দেশও দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা৷

  • ED Raids: শহরজুড়ে অভিযান ইডি-র!  কয়লা পাচার এবং অবৈধ খনন সংক্রান্ত নথির খোঁজেই কি তল্লাশি?

    ED Raids: শহরজুড়ে অভিযান ইডি-র! কয়লা পাচার এবং অবৈধ খনন সংক্রান্ত নথির খোঁজেই কি তল্লাশি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার সকাল থেকেই শহরের নানা প্রান্তে তল্লাশি অভিযানে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। সল্টলেকের ( Saltlake ) দুই জায়গায় দুই ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চলছে। ইডি (ED) সূত্রে খবর, তাদের ৪টি দল শহরে তল্লাশি অভিযানে বেরিয়েছে। দুটি টিম গিয়েছে সল্টলেকে। বাকি ২টি টিমের গন্তব্য কলকাতার আরও ২টি জায়গায়। ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গ মিলিয়ে এদিন ১২টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। 

    আরও পড়ুন: কয়লা-পাচারকাণ্ডে এবার পুরুলিয়ার তৃণমূল নেতা সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে তলব ইডির

    ইডি  সূত্রে খবর, সেনার জমি জবরদখলের অভিযোগে ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গে তল্লাশি অভিযানে নেমেছে তদন্তকারীরা। তবে, এর সঙ্গে কয়লা পাচার এবং অবৈধ খননেরও যোগ থাকতে পারে। তল্লাশি চলছে কলকাতার এক ব্যবসায়ী অমিত আগরওয়ালের বাড়ি ও অফিসে। মনে করা হচ্ছে, কয়লা পাচার ও অবৈধ খনন সংক্রান্ত বিশেষ কিছু নথির জন্যই সল্টলেকে ঝাড়খণ্ডের ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেছে তদন্তকারীরা।  জানা গিয়েছে, গত এক বছরে তিন বার অমিতের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। শুক্রবার সকালে ইডির ৫ আধিকারিক সল্টলেকের এইচ বি ব্লকে অমিতের বাড়িতে যান।

    আরও পড়ুন: টানা ২ দিন দিল্লিতে ইডি জেরার মুখে সুকন্যা, কলকাতায় সিবিআইয়ের সামনে কেরিম

    প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কয়েকমাস ধরেই শহরে ইডির অভিযান অব্যাহত। অনলাইন গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণা-কাণ্ড কিংবা এসএসসি দুর্নীতি, শহরে  ম্যারাথন তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন ইডি আধিকারিকেরা। গত ১০ সেপ্টেম্বর একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগের তদন্তে নেমে গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল গলি, পার্ক স্ট্রিট, মোমিনপুরের বন্দর এলাকা, নিউটাউন-সহ শহরের ছ’টি জায়গায় অভিযান শুরু করেছিল ইডি। এদিন সিজিও কমপ্লেক্স থেকে তিনটি গাড়ি বেরিয়ে শহরের আলাদা আলাদা জায়গায় তল্লাশিতে বেরোয়। এইচ বি ১৬৫-এ হাতে নোটিস নিয়ে ঢোকে ইডির একটি টিম। ইডির দ্বিতীয় টিম সেক্টর ফাইভে সেই ব্যবসায়ীর অফিসে তল্লাশি চাল্লাচ্ছে বলে খবর। সূত্রের খবর, অফিসটি মূলত মোটর পার্টস এর। তবে কোন মামলায় ইডি এই অভিযান তা এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Coal Scam: কয়লা-পাচারকাণ্ডে এবার পুরুলিয়ার তৃণমূল নেতা সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে তলব ইডির

    Coal Scam: কয়লা-পাচারকাণ্ডে এবার পুরুলিয়ার তৃণমূল নেতা সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লাপাচার কাণ্ডে (Caol Scam) এবার পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে তলব করল ইডি। আগামী ১৪ নভেম্বর তৃণমূল নেতা সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে (TMC Leader) দিল্লিতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। বুধবারই এই মর্মে নোটিশ এসেছে তাঁর কাছে।  সূত্রের খবর, সুজয়ের থেকে তাঁর আর্থিক বিষয় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে। তবে এ নিয়ে প্রাথমিক ভাবে মুখ খুলতে চাননি পুরুলিয়ার তৃণমূল নেতা। প্রসঙ্গত, কয়লাপাচারকাণ্ডে আগেই নাম জড়িয়েছে একাধিক তৃণমূল নেতার। নাম জড়িয়েছে সস্ত্রীক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের শ্যালিকাকেও ডেকে পাঠিয়েছে ইডি।

    আরও পড়ুন: টানা ২ দিন দিল্লিতে ইডি জেরার মুখে সুকন্যা, কলকাতায় সিবিআইয়ের সামনে কেরিম

    ইডি সূত্রে খবর, কয়লা কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালার ডায়েরিতে নাম পাওয়া গিয়েছে সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর সঙ্গে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের তথ্য মিলেছে। এর ভিত্তিতেই এই তলব করা হয়েছে, বলে ইডি সূত্রে খবর। কয়লাপাচারকাণ্ডের তদন্তে নেমে রাজ্যের খনি অঞ্চলের শাসকদলের নেতা ও পুলিশ আধিকারিকদের মধ্যে যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছে সিবিআই। ওদিকে টাকা কী ভাবে কার কার কাছে পৌঁছেছে, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে ইডি। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত যুব তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা বিকাশ মিশ্র দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তার ভাই বিনয় মিশ্রকে সিবিআই গ্রেফতার করলেও সম্প্রতি জামিন পেয়েছেন তিনি। এই মামলায় রাজ্যের একাধিক পুলিশকর্তাকেও জেরা করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে ইডির দফতরে মুখোমুখি জেরা সায়গল-সুকন্যাকে! কী বললেন অনুব্রত-তনয়া?

    ইডির নোটিশের পরই সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তুলেছে পুরুলিয়া জেলার বিজেপি নেতারা। পুরুলিয়ার বিজেপি সভাপতি বিবেক রাঙার বলেছেন, ‘‘তৃণমূল সবসময় চক্রান্তের অভিযোগ তুলবে। কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে যে টাকা পাওয়া গিয়েছে তা কি বিজেপি রেখে এসেছে? ওরা গোটা রাজ্য এবং এই জেলাকে শেষ করেছে। যেমন কর্ম তেমন ফল।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • TET Scam: ফের পরীক্ষায় বসতে পারবে ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট অনুত্তীর্ণরা, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    TET Scam: ফের পরীক্ষায় বসতে পারবে ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট অনুত্তীর্ণরা, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের টেট পরীক্ষা (TET Scam) নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আজ নির্দেশ দিয়েছেন যে ২০১৪ এবং ২০১৭-র অনুত্তীর্ণরা ফের টেট পরীক্ষা দিতে পারবেন। ২১ জন টেট অনুত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীকে এই সুযোগ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অর্থাৎ ২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট অনুত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা।

    কয়েকদিন আগেই ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদের বিক্ষোভ অবস্থানে শহর জুড়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। চাকরি চুরির প্রতিবাদ বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে পড়ে গোটা রাজ্য। আর তারই মাঝে আবার নতুন করে টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মধ্য শিক্ষা পর্ষদ। ফলে এরও প্রতিবাদে আরও আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়িয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। আর এবারে টেট পরীক্ষায় বসা নিয়ে বড় নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি ২০১৪ এবং ২০১৭-র পরীক্ষার্থীদের টেট পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গি ইস্যুতে বিজেপির পুরসভা অভিযানে ধুন্ধুমার, আটক অগ্নিমিত্রা, সজল সহ একাধিক নেতা

    মামলাকারিদের দাবি ছিল, ২০১৭ এর টেটে এই প্রার্থীরা ১৫০ এর মধ্যে ৮২ নম্বর পেয়েছেন। ফলে এরা গড়ে ৫৪.৬৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। নিয়ম অনুসারে ৫৪.৬৭ কে ৫৫ নম্বর হিসাবে গণ্য করতে হবে। কারণ গাণিতিক নিয়ম অনুসারে, দশমিকের পরের অঙ্ক ৫-এর ওপরে থাকলেই তা পরের নম্বর হিসাবে গণ্য করা হবে। আর এদিকে ৫৫ পেলেই এরা যোগ্য প্রার্থী হিসাবে মান্যতা পাবেন। মামলাকারীদের আরও দাবি, ২০১৭ সালেও ৮ টি প্রশ্ন ভুল ছিল, যা নিয়ে মামলা বিচারাধীন।

    আর এরপরেই ১৬ জন পরীক্ষার্থীর মামলার প্রেক্ষিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন যে, ২০১৪ সালের ৫ জন এবং ২০১৭ সালের ১৬ জন, মোট ২১ জন অংশ নিতে পারবেন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। এরা সকলেই অনুত্তীর্ণ বলে জানিয়েছিল পর্ষদ। প্রসঙ্গত, চাকরির দাবিতে তুমুল আন্দোলন চলছে রাজ্য জুড়ে। কোটি কোটি টাকা নিয়ে অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার অভিযোগে সরব হয়েছেন আন্দোলনকারীরা। কয়েকদিন আগে করুনাময়ীতে পর্ষদের অফিসের পাশে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন তাঁরা। চাকরি না নিয়ে বাড়ি যাবেন না এই দাবিতে অনশন শুরু করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু টানা অনশন করার পর পুলিশ তাঁদের জোর করে সেখান থেকে তুলে দেয়। এমনকি আদালতের নির্দেশে ১৪৪ ধারা জারি করে রাতারাতি আন্দোলনকারীদের তুলে দেওয়া হয় করুনাময়ী থেকে। আবার  এরই মাঝে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল আদালত।

  • Dengue: রাজ্যে ডেঙ্গির পরিস্থিতি ভয়াবহ, এর থেকে রেহাই পেতে কী করবেন ও কী করবেন না?

    Dengue: রাজ্যে ডেঙ্গির পরিস্থিতি ভয়াবহ, এর থেকে রেহাই পেতে কী করবেন ও কী করবেন না?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডেঙ্গির দাপট কিছুতেই কমছে না। দিনের পর দিন বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। এর পাশাপাশি বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। ফলে এই সময় চিকিৎসকেরাও পরামর্শ দেন খাবার ও পানীয়ের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য। তবে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলে কিছু করণীয় রয়েছে। আবার কোনও কোনও কাজ রয়েছে যেগুলো ডেঙ্গি রোগীদের ভুলেও করা উচিত না। তাই এই সময়ে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলে কী করবেন আর কী করবেন না, তা একনজরে দেখে নিন।

    ডেঙ্গি হলে শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দেয়। তাই জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শে জ্বরের ওষুধ খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বারে বারে জল ও জলীয় খাবার খেতে হবে। শরবত, ফলের রস, পাতলা ঝোল, ডাল, স্যুপ, লিকার চা ইত্যাদি খাবার বারে বারে খেতে হবে।

    প্রতি ৩ ঘণ্টা অন্তর জ্বর মাপতে হবে। এই সময় রক্তচাপ কমে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। তাই নিয়মিত সেটাও মাপতে হবে। জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া প্যারাসিটামল ওষুধ খাবেন না।

    আরও পড়ুন: বাড়ছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ, কেন্দ্রকে পাঠানো রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ রাজ্যের

    এই সময় রক্তে প্লাজমা ও অণুচক্রিকার মাত্রা কমে যায়। তাই ডায়েটে বেশি করে মরসুমি ফল, ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফল ও শাক-সব্জি রাখতে হবে।

    কোভিডের মতো ডেঙ্গি রোগীকেও আইসোলেশনে থাকতে হবে। এই সময় মশারি অবশ্যই ব্যবহার করা উচিত। আর রোগীর উপসর্গগুলি খুব ভাল করে লক্ষ রাখতে হবে।

    ডেঙ্গি শক সিনড্রোম থেকে মানবদেহে জলশূন্যতা তৈরি হয়। সঙ্গে সঙ্গে পালস রেট অনেকটা বেড়ে যায় এবং রক্তচাপ খুব কমে যায়। শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়। শ্বাস-প্রশ্বাস খুব দ্রুত চলে। রোগী অস্থির হয়ে ওঠেন। তখন সময় নষ্ট না করে হাসপাতালে ভর্তি করানো উচিত।

    জ্বর, সর্দি-কাশি হলে কখনোই রোগীকে সাধারণ জ্বর ভেবে ওষুধ খাওয়াবেন না। কোনও উপসর্গ দেখলেই সরাসরি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Anubrata Mondal: দিল্লিতে ইডির দফতরে মুখোমুখি জেরা সায়গল-সুকন্যাকে! কী বললেন অনুব্রত-তনয়া?

    Anubrata Mondal: দিল্লিতে ইডির দফতরে মুখোমুখি জেরা সায়গল-সুকন্যাকে! কী বললেন অনুব্রত-তনয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবারই দিল্লিতে (Delhi) ইডি (ED) দফতরে হাজিরা দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal)।  ইডি সূত্রে খবর,  সুকন্যার বিপুল সম্পত্তির উৎস কী? বোলপুরের (Bolpur) একাধিক জমি রয়েছে, যাঁর বাজারমূল্য প্রায় ২৫ কোটি! শিক্ষকতার কাজ করে এত টাকার মালিক কী করে হলেন তিনি? এসব প্রশ্নই এদিন তাঁকে করা হয়। সুকন্যার পাশাপাশি এদিন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও আনা হয় ইডি দফতরে। এদিন দুজনকে একেবারে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, একক জেরায় সায়গল ও সুকন্যার কথায় একাধিক অসঙ্গতি দেখতে পান ইডি কর্তারা। জেরা পর্বের শুরু থেকেই দুজনের বক্তব্যের মধ্যে বৈপরীত্য থাকায় তাঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার সিদ্ধান্ত নেন ইডি কর্তারা। 

    আরও পড়ুন: মৃত ব্যক্তির সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা মানিকের স্ত্রীর! বিস্ফোরক ইডি

    গরু পাচার কাণ্ডে জেলবন্দি তৃণমূল নেতা অনুব্রত-কন্যাকে এদিন আট ঘণ্টা জেরা করে ইডি। এদিন ২ দফায় সুকন্যাকে জেরা করেন ইডির গোয়েন্দারা। কন্যাকে জেরা করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে বলে ইডি সূত্রে খবর।  বুধবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে পৌঁছন সুকন্যা। তাঁর সঙ্গে ছিল প্রচুর নথি। সেই নথি ইডির কাছে জমা দেন তিনি। এর পর শুরু হয় জেরা। প্রথম পর্বে বেলা ২টো পর্যন্ত জেরা করা হয়। তারপর দুপুরের খাওয়া দাওয়া করেন তিনি। বিকেল ৩টে ৩০ মিনিট থেকে সায়গল হোসেনের মুখোমুখি বসিয়ে সুকন্যাকে দ্বিতীয় পর্বের জেরা করে ইডি। সায়গলের দেওয়া তথ্য সুকন্যাকে দিয়ে খতিয়ে দেখেন গোয়েন্দারা। সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিট নাগাদ ইডির সদর দফতর থেকে গাড়ি করে বেরিয়ে যান সুকন্যা মণ্ডল। বোলপুর থেকে পরিবারের সদস্যরাও তাঁর সঙ্গে দিল্লি গিয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদের পর পরিবারের সদস্যের সঙ্গেই গাড়িতে উঠে বেরিয়ে যান সুকন্যা। 

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে ইডির দফতরে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা! কী প্রশ্ন করলেন তদন্তকারীরা?

    ইডি সূত্রে খবর, বোলপুরের ANM অ্যাগ্রোকেম ফুড প্রাইভেট লিমিটেডের অন্যতম ডিরেক্টর সুকন্যা। বোলপুরের কালিকাপুরের হারাধন মণ্ডল রোডে যে ঠিকানায় এই সংস্থার রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে, সেটি হল ভোলে ব্যোম রাইস মিলের। এই ভোলে ব্যোম রাইস মিলের মালিক আবার অনুব্রতর স্ত্রী ছবি মণ্ডল। স্বামী হিসেবে নথিতে নাম রয়েছে অনুব্রতরও। এর আড়ালেই কি চলত গরু পাচার? সেই টাকাতেই কি এত রমরমা? খতিয়ে দেখছে ইডি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • TET Scam: লোক পাঠিয়ে ২১ কোটি টাকার তোলাবাজি করেছেন মানিক, বিস্ফোরক তাপস

    TET Scam: লোক পাঠিয়ে ২১ কোটি টাকার তোলাবাজি করেছেন মানিক, বিস্ফোরক তাপস

    মাধ্যমিক নিউজ ডেস্ক: লোক পাঠিয়ে তোলা তুলতেন রাজ্যের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। ইডি (ED) দফতরে গিয়ে এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল (Tapas Mondal)। বুধবার শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজগুলির অফলাইন রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের হিসাব দিতে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের দফতরে হাজিরা দেন তাপস। তিনি দাবি করেন, অফলাইনে রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে প্রার্থী পিছু পাঁচ হাজার টাকা করে নিতেন মানিক। ইডি দফতরে এদিন তাপস বলেন, “মানিক লোক পাঠিয়ে দিতেন। আমার কর্মীরা বলেছে, অফিস থেকে ফাইল ও টাকা যেত। উনি লোক পাঠাতেন মানে ওনার কাছেই যেত। অফলাইনে প্রাপ্য তো দিতেই হত।” 

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজগুলিতে অনলাইনে ভর্তির প্রক্রিয়া চলত। সেই ভর্তি প্রক্রিয়ার জন্য ফি অনলাইনেই নেওয়া হত। তবে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাওয়ার পর যে আসন খালি থাকত, সেগুলিতে অফলাইনে ভর্তি নেওয়া হত। সেই অফলাইন ভর্তির ক্ষেত্রেই এই টাকা নিত কলেজগুলি। যার কাটমানি যেত তৃণমূল নেতাদের কাছেও। এই সন্দেহ আগেই করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই সন্দেহ থেকেই তাপসের মহিষবাথানের অফিসে ইডি গত ১৫ অক্টোবর অভিযান চালিয়েছিল। ওই অফিস থেকে বেশ কিছু নথিও উদ্ধার করে তারা। তারপরেই সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয় তাপস মণ্ডলকে। বুধবার দুপুর প্রায় পৌনে ১২ টা নাগাদ ইডি অফিসে হাজিরা দেন তিনি। এই নিয়ে চতুর্থবার ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন তাপস।  

    আরও পড়ুন: অন্য দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা উচিৎ, এসসিও বৈঠকে চিনকে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    এদিন ইডি দফতরে ঢোকার আগে তাপস মণ্ডল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “ডকুমেন্টস নিয়ে এসেছি। অফলাইনে ভর্তির যে তথ্য চেয়েছেন, সেগুলো দিতে যাচ্ছি। অফিস থেকে মানিকবাবু লোক পাঠিয়ে দিতেন। আমার কর্মীরা তাই বলেছেন। অফিস থেকে ফাইল এবং টাকা যেত। উনি লোক পাঠাতেন মানে ওনার কাছেই যেত। অফলাইনে ফিসটা তো দিতেই হত।” ইডি সূত্রে খবর, ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ২১ কোটি টাকা তোলা হয়েছিল। অফলাইনে ভর্তির জন্য পড়ুয়া পিছু ৫ হাজার টাকা নেওয়া হত। 

    প্রসঙ্গত, তাপস মণ্ডলের সংস্থা ‘মিনার্ভা এডুকেশনাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’ আপাতত ইডির স্ক্যানারের নিচে। এই সংস্থার অধীনে সাতটি পলিটেকনিক এবং আইটিআই কলেজ রয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি। সূত্রের খবর, মানিক-পুত্র শৌভিক ভট্টাচার্যের সংস্থার সঙ্গে ৫৩০টি বেসরকারি বিএড, ডিএলএড কলেজের মানোন্নয়নের জন্য যে ২.৬৪ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল, সেই সম্পর্কে তাপসের কাছে জানতে চাইতে পারে ইডি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cattle Smuggling Case: ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত সায়গল হোসেনের, নতুন ঠিকানা তিহার জেল

    Cattle Smuggling Case: ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত সায়গল হোসেনের, নতুন ঠিকানা তিহার জেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) ফের জেল হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। শুক্রবার তাঁকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে হাজির করা হয়েছিল। এদিন তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এখন থেকে তাঁর নতুন ঠিকানা তিহার জেল। অর্থাৎ তিহার জেলে তাঁকে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তিহার জেলে অনুব্রত মণ্ডলকেও নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

    গরু পাচার কাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) দীর্ঘদিন ধরেই সিবিআইয়ের নজরে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। একাধিকবার তাঁকে জেরাও করেন তদন্তকারীরা। ৯ জুন সায়গল হোসেনকে তলব করা হয়েছিল। এরপর ওইদিন দুপুর ২ টোর পর নিজাম প্যালেসে যান সায়গল। দফায় দফায় চলে জেরা। ম্যারাথন জেরার পর সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয় সায়গলকে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছিল, সম্পত্তির হিসেব দিতে পারেননি তিনি। তাঁর আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের কোনও মিল পাওয়া যায়নি। বক্তব্যে মিলেছে একাধিক অসংগতি। সেই কারণেই গ্রেফতার করা হয় সায়গলকে। তারপর একাধিকবার সায়গল জামিনের আবেদন করলেও তা মঞ্জুর হয়নি। পরবর্তীতে ইডির হাতেও গ্রেফতার হন সায়গল।

    আরও পড়ুন: টানা ২ দিন দিল্লিতে ইডি জেরার মুখে সুকন্যা, কলকাতায় সিবিআইয়ের সামনে কেরিম

    এখানেই শেষ নয়, তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করার আবেদন করেছিল ইডি। গরুপাচার মামলায় Cattle Smuggling Case) জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যে দিল্লি হাইকোর্ট আগেই ইডিকে অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সায়গল হোসেন। তবে তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালতও। পরে হোসেনকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করার অনুমতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এরপর তাঁকে ২২ অক্টোবর আসানসোল জেল থেকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর আজকে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

    আজই বিকালে প্রিজন ভ্যানে তিহার জেলে নিয়ে যাওয়া হবে সায়গল হোসেনকে। সায়গলের আইনজীবীরা দাবি করেছিলেন, সায়গলকে যেন পশ্চিমবঙ্গের কোনও জেলে পাঠানো হয়। যদিও তা খারিজ করা হয়। এর পাশাপাশি, তিহারে নিয়ে যাওয়ার আগেই যেন সায়গলকে লাঞ্চ দেওয়া হয়, এমন আবেদনও করা হয়েছিল সায়গলের আইনজীবীর তরফে। পরে ইডির তরফে জানানো হয়, সায়গলকে তিহার নিয়ে যাওয়ার আগেই লাঞ্চ দেওয়া হবে।

LinkedIn
Share