Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Nakasipara Accident: নাকাশিপাড়ায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা, দুই শিশুসহ মৃত পাঁচ

    Nakasipara Accident: নাকাশিপাড়ায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা, দুই শিশুসহ মৃত পাঁচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাকাশিপাড়ায় ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা (Nakashipara Accident)। লরি এবং মারুতির মুখোমুখি সংঘর্ষে এক মহিলা, দুই শিশুসহ মোট পাঁচ জন। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে টোল প্লাজা থেকে একটু দূরেই ঘটেছে ঘটনাটি। 

    জানা গিয়েছে, টোল প্লাজা থেকে কিছুটা দূরে একটি মারুতি আসছিল ৷ তখনই উলটো দিক থেকে যাচ্ছিল একটি ১০ চাকার লরি । দুটি গাড়িরই গতিবেগ বেশি থাকার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সজোরে সামনাসামনি ধাক্কা মারে। কার্যত পিষে যায় ওই মারুতিটি। এমনকি এভাবে বেশ কিছুটা রাস্তা মারুতিটিকে টেনে নিয়ে যায় লরিটি ৷ যার জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মারুতিতে থাকা পাঁচজনের৷ 

    আরও পড়ুন: ফের দুর্দান্ত ইনিংস কোহলির, ৫৬ রানে নেদারল্যান্ডকে হারাল ভারত  

    খবর পেয়ে স্থানীয় থানার পুলিশ (Nakashipara Police Station) ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় দুই শিশু, এক মহিলা এবং দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে। তারপর সেখান থেকে  হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁদের সকলকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় স্থানীয়দের দাবি, রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। সেই কারণে কখনও টু ওয়ে থেকে ওয়ান ওয়ে রাস্তা পারাপারের সময় অরহরহ লেগেই রয়েছে দুর্ঘটনা। এই দুর্ঘটনার কারণও সেটাই ৷    

    সকালে দুর্ঘটনা হওয়ার কারণে উদ্ধার কাজে সময় লেগে যায়। পথচারীরা উদ্ধার কাজে হাত লাগায়। মৃতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। দুর্ঘটনার কারণ-সহ মৃতদের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ৷ স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, দুটি গাড়ির সংঘর্ষে রাস্তার ধারের একটি গর্তে গিয়ে ছিটকে পড়ে ছোট গাড়িটি। সাত সকালে প্রচণ্ড জোরে আওয়াজ শুনতে পেয়ে স্থানীয়রা ছুটে যান ঘটনাস্থলে। স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন ছোট গাড়ির যাত্রীরা আহত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। স্থানীয় নাকাশিপাড়া থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে ওই পাঁচ জনকে উদ্ধার করে বেথুয়াডহরী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা প্রত্যেককেই মৃত বলে ঘোষণা করেন।     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • TET Scam: বয়স পেরিয়ে গেলেও চাকরি দিতে হবে! টেট নিয়োগ নিয়ে পর্ষদকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    TET Scam: বয়স পেরিয়ে গেলেও চাকরি দিতে হবে! টেট নিয়োগ নিয়ে পর্ষদকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেট (Primary TET) নিয়োগ দুর্নীতির শিকার চাকরি প্রার্থীদের বয়স পেরিয়ে গেলেও ইন্টারভিউ নিতে হবে। পর্ষদের ভুলের খেসারত পর্ষদকেই দিতে হবে। এর দায় চাকরিপ্রার্থীদের নয়। সোমবার একথা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। এই নির্দেশ দিতে গিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে ভর্ৎসনাও করেছেন তিনি। বিচারপতি বলেন, ‘‘প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ দুর্নীতি ও অসদাচরণের জন্য বিখ্যাত। কয়েক জনের অপদার্থতায় যোগ্যরা সুযোগ পায় না।’’

    আরও পড়ুন : পার্থ-অর্পিতার ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! এসএসসি মামলায় চার্জশিট পেশ ইডি-র

    এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় টেটের ছয় নম্বর প্রশ্ন ভুল মামলায় বয়স পেরিয়ে যাওয়া এক ব্যক্তির নতুন করে ইন্টারভিউ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলাকারী নেফাউর শেখ ২০১৪ সালে পরীক্ষা দেন। ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যায়। কিন্তু তিনি উত্তীর্ণ হতে পারেননি। পরে তিনি ছয় নম্বর প্রশ্ন ভুল ছিল বলে মামলা করেন। এরপর বোর্ড ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে জানায় তিনি ছয় নম্বর পেয়েছেন। কিন্তু ততদিনে নেফাউরের বয়স পেরিয়ে গিয়েছে। এরপর বোর্ডের ভুলে তাঁর নিয়োগ থমকে যাওয়ার অভিযোগ তুলে ফের মামলা করেন নেফাউর। সোমবার সেই মামলারই রায় দিলেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরেও চলতে পারে তৃণমূলের কাটমানি, সিন্ডিকেট-রাজ! আশঙ্কা খোদ রাজ্য প্রশাসনের

    এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ভুল প্রশ্ন থেকে পাওয়া নম্বরে উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও যাঁরা বয়স পেরিয়ে যাওয়ায় ইন্টারভিউয়ে বসতে পারেননি, তাঁদের অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করতে হবে।’’ দরকারে উত্তীর্ণ অথচ বয়স পেরিয়ে যাওয়া এই প্রার্থীদের জন্য পর্ষদকে ইন্টারভিউ বোর্ড গঠন করতে হবে বলেও জানান তিনি। তাঁর নির্দেশ, ২০১৬’র গাইডলাইন অনুযায়ী চার সপ্তাহের মধ্যে ইন্টারভিউ নিতে হবে। তাতে উত্তীর্ণ হলে চাকরি দিতে হবে নেফাউরকে। বিচারপতি আরও জানিয়েছেন, তাঁকে প্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থী হিসেবে ধরা হবে। বোর্ডকে রিপোর্ট জমা করার জন্য ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। বিচারপতির কথায় নিয়োগ সমস্যা যখন হয়েছে পর্ষদের ভুলে তখন তা শুধরে নেওয়ার দায়িত্বও পর্ষদেরই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Weather Update: রেকর্ড পারদ-পতন কলকাতায়! অক্টোবরেই তাপমাত্রা নামল ২০ ডিগ্রির নীচে

    Weather Update: রেকর্ড পারদ-পতন কলকাতায়! অক্টোবরেই তাপমাত্রা নামল ২০ ডিগ্রির নীচে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বইছে উত্তুরে হাওয়া। হিমেল পরশে হেমন্তের শুরু বুঝতে পারছে শহরবাসী। কালীপুজোর পরই আবহাওয়ায় পরিবর্তন ঘটেছে। রাতের তাপমাত্রা চার ডিগ্রি কমেছে কলকাতায়। সকাল সন্ধ্যায় জেলায় শীতের আমেজ দেখা দিয়েছে। জানা গিয়েছে নভেম্বরের মাঝামাঝি দিনভর শীতের আমেজ থাকবে কলকাতা-সহ সব জেলাতে। অক্টোবরের শেষেই কলকাতায় পারদ নেমেছে ২০ ডিগ্রির নীচে। 

    আরও পড়ুন: ৫০% হয়ে গিয়েছে মন্দির নির্মাণের কাজ, পরের বছর জানুয়ারিতেই ভক্তদের জন্যে খুলে দেওয়া হবে রাম মন্দির

    শুক্রবার শহরে তাপমাত্রা ছিল ১৯  দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। শনিবার দিনভর আকাশ মেঘলা থাকবে। সূর্যের তেজ তেমন অনুভব করবেন না শহরবাসী।  এর আগে ২০১২-র অক্টোবরে কুড়ি ডিগ্রির নীচে নেমেছিল পারদ। বহু বছর আগে ২৮ অক্টোবর কলকাতার তাপমাত্রা ছিল সর্বনিম্ন ১৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ২০১৮ সালে ২৭ অক্টোবর কুড়ি ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছিল। অক্টোবর মাসে কলকাতায় পারদ পতনের সর্বকালীন রেকর্ড ১৯৫৪ সালের ৩১ অক্টোবর। সে বছর পারদ নেমেছিল ১৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গত ১০ বছরে এদিনের পারদ পতন ছিল রেকর্ড। 

    আরও পড়ুন: অর্থায়নের কারণেই বাড়বাড়ন্ত সন্ত্রাসবাদের, রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে বললেন এস জয়শঙ্কর

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, নভেম্বরের শুরুতেই রাজ্যে শুরু হবে হালকা শীতের আমেজ। ক্রমশ বাড়বে উত্তুরে হাওয়ার দাপট। কমবে দখিনা বাতাসের প্রভাব। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণও কমবে। রাতের দিকে কুয়াশা পড়বে। ভোরবেলাও থাকবে কুয়াশার দাপট।  কালীপুজোর পর থেকেই দিনভর শীতের আমেজ না থাকলেও সন্ধে পড়তেই ফিরছে শিরশিরে ঠান্ডা। ভোরের দিকে তাপমাত্রার পারদ নামছে (Weather Update)। বলা যা, এবারের মতো বর্ষা বিদায় নিয়েছে বাংলা থেকে। এখনই রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আগামী চার থেকে পাঁচ দিন শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে তাপমাত্রা আরও নামবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Partha Chatterjee: ভার্চুয়াল নয়, কাঠগড়াতেই দাঁড়াতে হবে পার্থকে, শুনানি পেছালেন ক্ষুব্ধ বিচারক

    Partha Chatterjee: ভার্চুয়াল নয়, কাঠগড়াতেই দাঁড়াতে হবে পার্থকে, শুনানি পেছালেন ক্ষুব্ধ বিচারক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিছিয়ে গেল পার্থ মামলার শুনানি। শুক্রবার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) সশরীরে আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও হাজিরা এড়িয়ে যান। ভার্চুয়াল হাজিরার আবেদন জানানো হয়। কিন্তু তাতে সম্মতি দেন নি বিচারক। বিচারক সাফ জানিয়ে দেন, সশরীরে হাজিরা দিতে হবে পার্থকে। আগামী সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় সংস্থা উল্লেখ করেছে,দুর্নীতির মূিলি. হোতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, আদালত আইন মেনেই নির্দেশ দিয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় কেমন আছে তা আদালত দেখতে চাইতেই পারেন। 

    আরও পড়ুন: ১০,০০০ কোটি টাকা ঋণের আবেদন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের, আর ঋণ না দেওয়ার পরামর্শ শুভেন্দুর

    শুক্রবার সকাল থেকেই শুনানি নিয়ে এই শুরু হয় জটিলতা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সশরীরে আদালতে পাঠায়নি জেল কর্তৃপক্ষ। পরিবর্তে নথি পাঠিয়ে দেওয়া হয় আদালতে। এরপরে শুনানি শুরু হতেই বিচারক প্রশ্ন করেন আজ সশরীরে হাজিরার নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন তা করা হয়নি। ১৪ দিন আগে যখন শেষবার শুনানি হয় তখন আদালত নির্দেশ দেয় যাতে পরের দিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ বাকি সকল অভিযুক্তকে সশরীরে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের অর্ডারে এই নির্দেশ লেখা ছিল। 

    পার্থর আইনজীবী সেলিম আবেদন করেন, তাঁর মক্কেলের জামিনের আর্জি জানানোর আছে, তাই দ্রুত শুনানি করতে হবে। বিচারক জানিয়েছেন, আগামী সোমবার সশরীরে হাজিরা দিতে হবে পার্থকে। আজ শুনানির ঠিক আগে, শেষ মুহূর্তে বিচারক জানতে পারেন, জেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে পার্থর ভার্চুয়াল শুনানির আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু এই আদালতে ভার্চুয়াল শুনানির মতো যথেষ্ট পরিকাঠামো না থাকায়, তা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।

    এর আগে জেল থেকে ইডির মামলায় ভার্চুয়ালি শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন পার্থ। প্রথম দিকে প্রাক্তনমন্ত্রীকে সশরীরে আদালতে পেশ করা হয়েছিল কয়েকবার। পরে জেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, নিরাপত্তার কথা ভেবে সশরীরে হাজির করা সম্ভব হচ্ছে না। এরপর থেকেই ভার্চুয়ালি শুনানিতে অংশ নিতে শুরু করেন পার্থ। তবে সিবিআই-এর মামলায় আগে ভার্চুয়াল শুনানি হয়নি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

     

     
  • JU Finanacial Crisis: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সংকটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হয়ে সাহায্য চেয়ে পোস্ট ৯২ বছর বয়সী প্রাক্তনীর

    JU Finanacial Crisis: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সংকটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হয়ে সাহায্য চেয়ে পোস্ট ৯২ বছর বয়সী প্রাক্তনীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের শিক্ষা পরিষ্ঠানের আর্থিক সংকটের (JU Financial Crisis) কথা জানতে পেরে ফেসবুকে আর্থিক সাহায্যের অনুরোধ করলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯২ বছর বয়সী প্রাক্তনী স্যানফ্রান্সিস্কোর বাসিন্দা রমেন চক্রবর্তী (Ramen Chakrabarti)। ১৯৫৪ সালে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে স্নাতক হন রমেন বাবু। তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যম থেকে তিনি জানতে পারেন ল্যাবরেটারি রক্ষণাবেক্ষণের জন্যে প্রয়োজনীয় টাকা নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের।

    গ্লোবাল যাদবপুর ইউনিভার্সিটি অ্যালুমনাই ফাউন্ডেশনের পেজে তিনি ২৩ অক্টোবর একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে লেখেন, “সংবাদমাধ্যম থেকে আমি জানতে পারি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটারি রক্ষণাবেক্ষণের টাকা নেই। শুধু শিক্ষকদের মায়নে দেওয়ার মতো সামর্থটুকু আছে। আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে আমার বিশ্ববিদ্যালয় এটা ভেবে কান্না পাচ্ছে।” 

    তিনি আরও লেখেন। “এরকমটা কেন হবে? বিশ্ববিদ্যালয়ের কত ছাত্র-ছাত্রী গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, যারা নিজ জীবনে প্রতিষ্ঠিত এবং প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন। আমি যাদবপুরের সব ছাত্র-ছাত্রীর কাছে অনুরোধ করতে চাই সবাই নিজের সাধ্যমতো অর্থ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে দাঁড়ান। আমার দেখা বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে যাদবপুর অন্যতম। যাদবপুর আপনাদের দুহাত ভরে দিয়েছে, এবার আপনাদের পালা।” 

    আর দু’মাস পরেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সমাবর্তন সভা (Jadavpur University Convocation) অনুষ্ঠিত হবে। তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় যে আর্থিক সংকটের (Extreme fund crunch) মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তাতে সভার আয়োজন নিয়ে মাথায় হাত পড়েছে কর্তৃপক্ষের। এই নিয়ে রাজ্য সরকারকেও চিঠি লিখেছে কর্তৃপক্ষ। অতিমারির জেরে গত দু’বছর বন্ধ থাকার পর এ বছর ডিসেম্বর মাসে আবার হতে চলেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন। তবে ধাপে ধাপে কমেছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বরাদ্দ। ব্যাপক আর্থিক সংকটের মধ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এ বছরে বার্ষিক সমাবর্তন হলেও হবে না বিশেষ বা সাম্মানিক সমাবর্তন। এমনটাই জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রতিবারের মতো এ বারে সমাবর্তন সভা বড় পরিসরে করা যাবে কি না, তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে অধ্যাপকদের মনে। ২০১৭ সালের পর থেকেই ধাপে ধাপে কমেছে আর্থিক অনুদান । এরপর করোনা সংক্রমণের জেরে সেই আর্থিক অনুদানের পরিমাণ আরও হ্রাস পায়। এর ফলে থমকে গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নের কাজ। শুধু তাই নয়, করোনা কালে যখন একটানা দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়, তখন আর্থিক অনুদান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যার সমুখীন হতে হয়েছিল গবেষণার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীদেরও।

    আরও পড়ুন: “আমি ভারতের খুব বড় ভক্ত”, বললেন চিনা রাষ্ট্রদূত

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বেতন বাদ দিয়ে বার্ষিক খরচ হয় প্রায় ৪৫ কোটি টাকা। চলতি বছরে দুই ধাপে ১২ কোটি টাকা পেয়েছে কর্তৃপক্ষ। তৃতীয় ধাপের টাকা এলে এই সংখ্যাটা ১৮ কোটিতে গিয়ে দাঁড়াবে। তাই এই আর্থিক সংকটের মধ্যে কত ভালো ভাবে সমাবর্তন সভা করা যাবে, সেই বিষয়টা নিয়েও আমাদের মনে একটা আশংকা রয়েছে। কারণ গত দুবছর করোনা কালের সমাবর্তন সভা করা যায়নি ৷ স্বাভাবিকভাবেই এই বছর যাতে খুব ভালো করে এই সমাবর্তন সভা করা যায় সেটাই আমাদের ইচ্ছা।” 
      
    তিনি আরও বলেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোড রয়েছে, তাদের বৈঠকে উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে যেন আটকে থাকা বরাদ্দ টাকা দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার চূড়ান্ত বিভাগ হচ্ছে এই কোড যেখানে প্রতিটি দফতরের প্রধানরা থাকেন।”

    চলতি বছরে বেতন বাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজ্য সরকারি ব্যয় বরাদ্দ ২৩ শতাংশ কমেছে । গবেষণার খাতেও টাকা বন্ধ হয়েছে। ডিএসটির মতো প্রজেক্টের ক্ষেত্রে শর্ত চাপানো হয়েছে । জানানো হয়েছে যে, বাজেটের ২৫ ভাগ ব্যয়ভার বহন করতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারকে এই বিষয়টি জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি খুব দ্রুতই আমাদের আবেদনে সাড়া দেবে সরকার।” প্রসঙ্গত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সমাবর্তনের দুটি ভাগ থাকে। একটি হল স্পেশাল বা বিশেষ সমাবর্তন । আরেকটি হল সাধারণ সমাবর্তন। এ বছর বিশেষ সমাবর্তন করা হবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারগুলির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকা প্রক্তনীদের থেকে আর্থিক সহায়তা পাওয়ার আশায় অ্যালুমনি সেল তৈরি করা হয়েছিল ৷

     ইঞ্জিনিয়ারিং এবং গবেষণার ক্ষেত্রে উপরের তালিকায় রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। তবে বেশ কয়েকদিন ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিক সংকটে ভুগছে। ফলে কীভাবে এই র‌্যাঙ্কিং ধরে রাখা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সাধারণত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্তনীদের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য চাইলেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এখনও পর্যন্ত প্রক্তনীদের কাছ থেকে পরিকল্পিতভাবে আর্থিক সাহায্য চায়নি। তবে আর্থিক সংকট মেটাতে এখন পরিকল্পিতভাবেই সেই পথে এগোতে চাইছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলেন, ‘প্রাক্তনীরা বিভিন্নভাবে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসছেন। মুম্বই, সিঙ্গাপুর আমেরিকায় থাকা প্রাক্তনীরা সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসছেন।’ উপাচার্যের আশায় এভাবে প্রক্তনীদের সহায়তায় যাদবপুর এগিয়ে যাবে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Anubrata Mondal: গরু পাচার-কাণ্ডে ইডির সামনে হাজিরা বুধবার! দিল্লি গেলেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা

    Anubrata Mondal: গরু পাচার-কাণ্ডে ইডির সামনে হাজিরা বুধবার! দিল্লি গেলেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় বুধবার ইডি-র সামনে হাজিরা দিতে দিল্লি গেলেন অনুব্রত (Anubrata Mandal)-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। গত ২৭ অক্টোবর তাঁকে তলব করে ইডি। কিন্তু সেদিন তিনি হাজিরা দেননি। সুকন্যা মণ্ডল জানিয়েছিলেন তিনি রাজ্যের বাইরে রয়েছেন। সেকারণে হাজিরা দিতে পারবেন না।  দ্বিতীয়বার ২ নভেম্বর (বুধবার) দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে গিয়ে তাঁকে হাজিরা দেওয়ার কথা বলে ইডি। তাই ৩১ তারিখ দিল্লি রওনা দেন সুকন্যা। প্রয়োজনীয় নথিপত্র-সহ সুকন্যা মণ্ডল সোমবার সকালে বোলপুর (Bolpur) থেকে সড়কপথে অন্ডাল বিমানবন্দরে পৌঁছে যান। সেখান থেকে আকাশপথে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হন। তাঁর সঙ্গে তাঁদের পারিবারিক হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি ও অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ আহেমদপুরের চালকল মালিক তথা তৃণমূল (TMC) যুব নেতা রাজীব ভট্টাচার্যও দিল্লি রওনা হয়েছেন।

    আরও পড়ুন: তিন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সংখ্যালঘু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব, বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

    প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলার তদন্তে নেমে শুরু থেকেই বিপুল সম্পত্তির হদিশ পান তদন্তকারীরা। উঠে আসে ভোলেব্যোম রাইস মিল সহ একাধিক চালকলের নাম। তদন্তের শিকড়ে পৌঁছতে গিয়ে তদন্তকারীদের সামনে উঠে আসে এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুড প্রাইভেট লিমিটেড ও নীড় ডেভেলপার্স প্রাইভেট লিমিটেড নামে দুই সংস্থার নাম। এই দুই সংস্থার ডিরেক্টর পদে রয়েছেন সুকন্যা। সিবিআই চার্জশিটেও এই সংস্থাগুলির নাম রয়েছে।

    আরও পড়ুন: তৃণমূলকে পঞ্চায়েত ভোটে জিতিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন! অভিযোগ শুভেন্দুর

    সিবিআইয়ের জমা দেওয়া চার্জশিট অনুসারে ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে সুকন্যার আয় ছিল ৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা। অন্তত ৩ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে সুকন্যার নামে। সুকন্যার মালিকানাধীন সংস্থা এএনএম অ্যাগ্রোকেম লিমিটেডের আয়ব্যায়ের হিসাব চেয়েছে ইডি। আয়বৃদ্ধিতে বাবা অনুব্রত মণ্ডলকেও পিছনে ফেলেছেন সুকন্যা। দিল্লিতে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে জেরা করেছেন ইডি গোয়েন্দারা। তাঁর থেকে সুকন্যার ধনসম্পত্তির বহু তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, সেই তথ্য যাচাই করতেই সুকন্যাকে দিল্লিতে তলব করেছে ইডি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Citizenship Ammendment Act: পশ্চিমবঙ্গেও সিএএ প্রয়োগ হবে, সুবিধা পাবেন মতুয়ারাও, ঘোষণা শুভেন্দুর

    Citizenship Ammendment Act: পশ্চিমবঙ্গেও সিএএ প্রয়োগ হবে, সুবিধা পাবেন মতুয়ারাও, ঘোষণা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক যাত্রায় পৃথক ফল হবে না। গুজরাটের পর পশ্চিমবঙ্গেও সিএএ (Citizenship Ammendment Act) প্রয়োগ হবে। এতে নমঃশুদ্রদের সুবিধা হবে। মঙ্গলবার এ কথা বলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    গুজরাটের (Gujarat) মেহসানা ও আনন্দ জেলায় বসবাসকারী পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্শি ও খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। জেলা আধিকারিকদের এই মর্মে শংসাপত্র দেওয়ার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে এ দেশে অন্তত পাঁচ বছর বসবাস করতে হয়। এ ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে না। গুজরাটের এই খবরেই যারপরনাই উচ্ছ্বসিত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (Citizenship Ammendment Act) নিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, এটা তো সিএএ-র অংশ। সিএএ-র বাস্তবায়ন শুরু হয়ে গেল। ভারতবর্ষের অংশ পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গেও হয়ে যাবে। সিএএ আইন দুটো সংসদেই পাশ করা আছে। আমরা অপেক্ষা করছিলাম। নিশ্চয় রুল হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, এই একই রুলে পশ্চিমবঙ্গে মতুয়া সমাজ, নমঃশুদ্র সমাজ তাঁরা ভিসা করতে গেলে, পারমিট করতে গেলে, চাকরির ক্লিয়ারেন্স নিতে গেলে বলা হয়, ৭১এর আগের দলিল আনো, সেই সমস্যা আর থাকল না। শুভেন্দু বলেন, এক যাত্রায় পৃথক ফল হয় না। গুজরাটে যখন বাস্তবায়ন হয়ে গিয়েছে, নিশ্চয় রুল ফ্রেম করে ফেলেছে ভারত সরকার।

    আরও পড়ুন: তিন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সংখ্যালঘু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব, বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

    সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Ammendment Act) প্রয়োগ করা হবে বলে বারংবার বলেছে কেন্দ্র। উনিশের ভোটের আগে সিএএ প্রয়োগের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল বিজেপি। তার পুরস্কারও পেয়েছিল পদ্ম শিবির। মতুয়াদের একটা বিরাট অংশের সমর্থন গিয়ে পড়েছিল গেরুয়া ঝুলিতে। ভোট পর্ব চুকে যাওয়ার পরেও সিএএ কেন লাগু হয়নি, সে প্রশ্নও ওঠে। এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বনগাঁর সাংসদ বিজেপির শান্তনু ঠাকুর। শান্তনু কেন্দ্রের মন্ত্রীও। পরে সিএএ প্রয়োগ করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয় কেন্দ্রের তরফে। শান্ত হন শান্তনু। প্রসঙ্গত, ৬ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে শুরু হবে সিএএ শুনানি।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Kiren Rijiju: ‘বাংলায় গণতন্ত্র রক্তাক্ত, কাঁদছে’, মুখ্যমন্ত্রীর ‘আবেদনে’র প্রেক্ষিতে পাল্টা দিলেন রিজিজু

    Kiren Rijiju: ‘বাংলায় গণতন্ত্র রক্তাক্ত, কাঁদছে’, মুখ্যমন্ত্রীর ‘আবেদনে’র প্রেক্ষিতে পাল্টা দিলেন রিজিজু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচার ব্যবস্থার কাছে গণতন্ত্র বাঁচানোর আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সে প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিয়েছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস আইনের শাসনকে হরণ করেছে। বিচার ব্যবস্থার প্রতি তাদের আস্থা সামান্যই। ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)। তাঁর মতে, বিচারব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতেই এই কথাগুলো বলছেন মুখ্যমন্ত্রী।

    রবিবার নিউটাউনের বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে পশ্চিমবঙ্গ ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ জুরিডিক্যাল সায়েন্সসের ১৪তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে নাম না করে বিজেপিকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, আমি বলছি না যে মানুষ বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। কিন্তু আজকাল দেখা যাচ্ছে এটি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। বিচার বিভাগ মানুষকে বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণের কান্না শুনতে হবে। মানুষ দরজার আড়ালে কাঁদছে। আজকাল অনেক কিছুই চলছে। রায়ের আগে মিডিয়া ট্রায়াল চলছে। তারা যে কাউকে অভিযুক্ত করতে পারে? আমাদের সম্মান না থাকলে কিছু থাকে না। আমি সকলের কাছে অনুরোধ করছি, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে বাঁচান। অহেতুক হয়রানি চলছে, প্লিজ গণতন্ত্র বাঁচান।

    এর পরেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিয়েছেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, মমতা দিদি পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে সত্য বলছেন। কারণ বিচারব্যবস্থার প্রতি তৃণমূলের (TMC) আস্থা সামান্যই। বিচারকদের প্রতি কোনও শ্রদ্ধাও নেই। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে আইনের শাসনের বদলে তৃণমূলের শাসন চলছে। রিজিজু বলেন, বাংলায় গণতন্ত্র রক্তাক্ত, কাঁদছে।

    আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেই পতন হচ্ছে তৃণমূল সরকারের? কী বললেন শুভেন্দু?

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন শুভেন্দুও। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, বিচারব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতেই মুখ্যমন্ত্রী এই কথাগুলো বলছেন। এর আগেও তিনি বিচারপতিরা কীভাবে বিচার করবেন, সে পরামর্শ দিয়েছেন। এ রাজ্যে বিভিন্ন দুর্নীতির ইস্যু নিয়ে যেভাবে বিচার ব্যবস্থা অগ্রসর হয়েছে, তাতে তিনি ভীত এবং আতঙ্কিত। শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী নন, গোটা তৃণমূল কংগ্রেস আতঙ্কিত। মিডিয়া ট্রায়াল প্রসঙ্গে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, চাকরি বিক্রি সহ যেভাবে সংবাদ মাধ্যম বিভিন্ন দুর্নীতি জনসমক্ষে তুলে ধরছে, সেই কারণেই সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখাচ্ছেন উনি। সংবাদ মাধ্যম একের পর এক দুর্নীতি ফাঁস করাতেই মুখ্যমন্ত্রী আতঙ্কিত ও ভীত হয়েই এমন বক্তব্য পেশ করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে কবে তৎপর হবেন মুখ্যমন্ত্রী? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে কবে তৎপর হবেন মুখ্যমন্ত্রী? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডেঙ্গির পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে আরও ভয়াবহ। দিনের পর দিন ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলেছে। আবার এখন আবার শুধুমাত্র ডেঙ্গিই নয়, ম্যালেরিয়াও নতুন করে চোখ রাঙাতে শুরু করেছে। ফলে এই অবস্থায় রাজ্য সরকার তথা মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের পদক্ষেপ নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্যে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে তিনি রাজ্য সরকারকে তোপ দেগে বললেন, “ভয়ঙ্কর অবস্থা, সরকার নেই, সরকার ছুটি কাটাচ্ছে। দুর্গাপুজোয় ১১দিন, কালীপুজোয় ৮দিন, ছুটি আর ছুটি।”

    সরকারি হিসাব অনুযায়ী ম্যালেরিয়ার আক্রান্ত সংখ্যা বেড়েছে তিন গুণেরও বেশি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে পাঠানো রিপোর্ট অনুযায়ী, দু’মাসে রাজ্যে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ৯৭৪৪ জন। আবার অন্যদিকে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ হাজারে দাঁড়িয়েছে। অন্তত ৬২ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।

    ফলে এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে প্রশ্ন করেন, ‘এই মৌসুমে রাজ্যে ৪০ হাজার এরও বেশি ডেঙ্গির ঘটনার সামনে এসেছে। অক্টোবরের শেষের দিকে শহর কলকাতায় ৩৫০০ জনের বেশি কেস সামনে এসেছে। এই রেকর্ড সংখ্যক ডেঙ্গি কেস কি স্বাস্থ্য মন্ত্রীর নজর এড়িয়ে গিয়েছে? কবে তৎপর হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘যেসব এলাকায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আক্রান্ত হয়েছে, সেই সব এলাকা গুলি কি স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে চিহ্নিত করা হয়েছে? কি কি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? প্রতিদিন ডেঙ্গিতে মানুষ মারা যাচ্ছে এমনকি পুলিশকর্মীরাও সুরক্ষিত নয়। এবার মুখ্যমন্ত্রীর উৎসবের মেজাজ থেকে বের হওয়া উচিত, কারণ ছুটি শেষ।’  

    প্রসঙ্গত, প্রতি দু’মাস অন্তর অন্তর পতঙ্গ বাহিত রোগে আক্রান্ত এবং মৃতের পরিসংখ্যান কেন্দ্রকে পাঠাতে হয়, প্রত্যেকটি রাজ্য সরকারকে। সব রাজ্য থেকে ডেটা আসার পর সেগুলি বিশ্লেষণ করে তারপর সেগুলি প্রকাশ করে কেন্দ্র। ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত সারা দেশের ম্যালেরিয়া রিপোর্ট চলতি মাসে সর্বসমক্ষে এনেছে কেন্দ্র সরকার। তবে ম্যালেরিয়ার পরিসংখ্যান পাঠানো হলেও, রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্রকে এখনও ডেঙ্গি রিপোর্ট পাঠানো হয়নি। আৎ এ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের পর থেকেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত এবং মৃতের কোন তথ্য কেন্দ্র সরকারকে পাঠায়নি রাজ্য। শেষবার যখন ডেঙ্গির রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল তখন রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৩৯। বর্তমানে যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজারে। ফলে এসব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। ও এর পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) রাজ্য সরকারকে একহাত নিলেন।

LinkedIn
Share