Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Manik Bhattacharya: ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত! এবার সিবিআইয়ের জেরার মুখে মানিক

    Manik Bhattacharya: ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত! এবার সিবিআইয়ের জেরার মুখে মানিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেট নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিপদ বাড়ল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya)। ফের তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত।  সেইসঙ্গে সিবিআইয়ের (CBI) আবেদন মঞ্জুর করে আদালত জানিয়েছে, জেলে গিয়ে মানিককে জেরা করা যাবে। মানিককে জেরা করতে চেয়ে আদালতে একটি পিটিশন জমা দিয়েছিল সিবিআই। তাতেই সম্মতি মিলল। এর ফলে এবার সিবিআই-এর জেরার মুখেও বসতে বাধ্য মানিক। একইসঙ্গে জেরা চলবে ইডি-রও (ED)।

    আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেই পতন হচ্ছে তৃণমূল সরকারের? কী বললেন শুভেন্দু?

    শুক্রবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয় মানিককে।  আদালতে ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে স্ত্রী ও ছেলেকে নামিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, লেনদেনের অধিকাংশটাই মানিকের স্ত্রী ও ছেলের মারফত হতো। ইডির দাবি, মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রীর সঙ্গে মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী নামের একজনের জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এই মৃত্যুঞ্জয়  ২০১৬ সালে মারা গেলেও তাঁর অ্যাকাউন্টে কয়েক কোটি টাকা রয়েছে বলে দাবি ইডির।

    আরও পড়ুন: সশস্ত্র ও কলমধারী দুই ধরনের নকশালকেই নির্মূল করতে হবে, জানালেন মোদি

    তদন্তকারীদের নজরে বেসরকারি ডিএলএড কলেজ। মানিকের ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্যের নামে সেই কলেজ। সেখান থেকে প্রায় ২ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা লাভ হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। পার্থ এবং মানিকের হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটও নজরে তদন্তকারীদের। মানিকের ছেলের যে সংস্থা, তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মানিকের কথোপকথনের বিষয়ও ইডির চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, চাকরি বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা পেয়েছেন মানিক। সিবিআই বহুবার মানিককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ থাকায় গ্রেফতার করতে পারেনি। এখন জেলবন্দি মানিককে জিজ্ঞসাবাদ করতে চায় সিবিআই। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে। ফলে আরও বিপাকে পড়লেন মানিক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ১০,০০০ কোটি টাকা ঋণের আবেদন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের, আর ঋণ না দেওয়ার পরামর্শ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ১০,০০০ কোটি টাকা ঋণের আবেদন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের, আর ঋণ না দেওয়ার পরামর্শ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একটি ট্যুইট করে দাবি করেছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার আরবিআই-এর কাছে ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণের আবেদন করেছে। কিন্তু ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ফিসকাল রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড বাজেট ম্যানেজমেন্ট বা এফআরবিএমের অধীনে ঋণ নেওয়ার সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইটে এও জানিয়েছেন, বাংলার ঘাড়ে ইতিমধ্যেই ৬ লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা রয়েছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে বিরোধী দলনেতা পরামর্শ পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ঋণ দেবেন না। দিলে টাকার অপব্যবহার হবে। 

    এদিন ট্যুইটারে শুভেন্দু লেখেন, “রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ১০,০০০ কোটি টাকা ঋণ চেয়েছে। এফআরবিএম আইনে ঋণ গ্রহণের সর্বোচ্চ সীমা ইতিমধ্যে পার করে ফেলেছে। রাজ্যের ঋণের পরিমাণ প্রায় ৬ লক্ষ কোটি টাকা ছুঁয়েছে। যা উদ্বেগজনক।” 

    আরও পড়ুন: সশস্ত্র ও কলমধারী দুই ধরনের নকশালকেই নির্মূল করতে হবে, জানালেন মোদি

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যে শুভেন্দু লেখেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে তাঁর আয় বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া উচিত। জমিনীতি বদলে ও বিনিয়োগ অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে শিল্প ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা উচিত। যাতে রাজ্যের অর্থনীতির পুনরুত্থান হয়, কর্মসংস্থান তৈরি হয় ও রাজ্যের ওপর দেনার ভার কমে।” 

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অনেকেই মনে করছেন, শুভেন্দু এদিন ট্যুইটে বেতন বন্ধের সম্ভবনার দিকে ইঙ্গিত করেছেন। এমনটা হলে তা সরকারি কর্মচারী এবং অবসরপ্রাপ্ত পেনশনভোগীদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। 

    এদিন সকাল থেকে শুভেন্দু অধিকারী একাধিক ট্যুইট করেন। তিনি ট্যুইটগুলোতে আরবিআইকে এবং পশ্চিমবঙ্গের অর্থসচিবকে ট্যাগ করেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Manik Bhattacharya: ফের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপসকে ২ নভেম্বর সিজিও কমপ্লেক্সে তলব ইডির

    Manik Bhattacharya: ফের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপসকে ২ নভেম্বর সিজিও কমপ্লেক্সে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য- ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে ফের তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাপসকে ২ নভেম্বর সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তাপসকে এদিন ৬৫৪টি বেসরকারি ডিএলএড কলেজের তথ্য সঙ্গে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, এই ৬৫৪টি বেসরকারি ডিএলএড কলেজের সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন তাপস মণ্ডল। ২ নভেম্বর তাপসকে ডিএলএডের অফলাইন রেজিস্ট্রেশনের নথি নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।  

    কিছুদিন আগেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। এরপরই ইডির স্ক্যানারে আসে মানিক ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস মণ্ডল (Tapas Mondal)। তাপসের বিভিন্ন ডেরায় হানা দেয় ইডি (ED)। এর আগে ২০ অক্টোবর তাঁকে তলব করেছিল এই কেন্দ্রীয় গোয়ান্দা সংস্থা।

    সূত্রের খবর, ২০১৮-২০, ২০১৯-২১, ২০২০-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ডিইএলএড কলেজগুলিতে অফলাইনে কত রেজিস্ট্রেশন হয়েছে, তার হিসাব চাওয়া হয়েছে তাপসের থেকে। ইডির দাবি, ৬০০টি কলেজে অফলাইনে রেজিস্ট্রেশনের জন্য ছাত্র পিছু ৫ হাজার করে টাকা নেওয়া হত। এই টাকা যেত মানিকের কাছে। ফলে কত সংখ্যক ছাত্রের অফলাইনে রেজিস্ট্রেশন হয়েছিল এবং মোট কত টাকা নেওয়া হয়েছিল, তা জানতে চায় ইডি।

    আরও পড়ুন: বিবাহিত মহিলাদের বাড়ির কাজ করতে বলা নিষ্ঠুরতা নয়, জানাল বম্বে হাইকোর্ট

    তাপসের নিজেরও শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ রয়েছে। ইডির নজরে রয়েছে এই কলেজও। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, এই কলেজে বহুবার এসেছেন মানিক ভট্টাচার্য। ১৬ অক্টোবর তালা ভেঙে সেই কলেজের অফিসে ঢোকেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। পাঁশকুড়াতেও তাপসের  শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ পাঁশকুড়া ব্লকের অন্তর্গত মাইশোরা এলাকার রাসবিহারী প্রাইভেট টিচার্স  ট্রেনিং ইনস্টিটিউট নামে একটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের  হদিশ মেলে৷ জেলার একাধিক জায়গায় তাঁর আরও বেশ কয়েকটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে বলে জানতে পেরেছেন ইডি আধিকারিকরা।     

    বারাসতের বাসিন্দা তাপসের আদি বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায়। প্রসঙ্গত, তাপসের ভাই বিভাসের স্ত্রী পারমিতা কয়েক মাস আগেই হাই কোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি খুইয়েছেন। এমনটা অভিযোগ-ও সামনে আসে, তাপস মণ্ডলকে বাঁচাতে রাতের অন্ধকারে ফাইল সরাচ্ছে তাঁর ভাই ও সাঙ্গপাঙ্গোরা!  অভিযোগ করেন প্রতিবেশী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। তদন্ত তল্লাশিতে আরও দুর্নীতি ফাঁসের আশঙ্কা রয়েছে। তাপস মণ্ডলের আদি বাসভূমি পাঁশকুড়ার হরেকৃষ্ণপুর গ্রাম এলাকায় রাতের অন্ধকারে তাঁর বিভিন্ন সংস্থা থেকে ফাইল সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ঘিরে সরগরম হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।

    মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করে যে নথি পাওয়া গিয়েছে, তা থেকে ইডির গোয়েন্দারা মনে করছেন, তাপসের সঙ্গে মানিকের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। কিন্তু, মানিক এই বিষয়ে মুখ খোলেননি। তাই ইডির অফিসাররা মনে করছেন যে, মানিক তথ্য গোপন করে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। সেই কারণেই মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপসকে তৃতীয়বার তলব করা হয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে দাবি করা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ

  • Suvendu Adhikari: এটি আর্থিক তছরুপের সহজ পন্থা, ফের ডিয়ার লটারি নিয়ে সরব শুভেন্দু  

    Suvendu Adhikari: এটি আর্থিক তছরুপের সহজ পন্থা, ফের ডিয়ার লটারি নিয়ে সরব শুভেন্দু  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে রমরমিয়ে চলছে ডিয়ার লটারির (Dear Lottery) কারবার! এই লটারি সংস্থার বিরুদ্ধে আরও একবার সুর চড়ালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, এই লটারি সংস্থার সঙ্গে ভাইপো এবং তৃণমূলের (TMC) সম্পর্ক রয়েছে। এটি আর্থিক তছরুপের সহজ পন্থা বলেও মনে করেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)দাবি, অন্য সব লটারি সংস্থাকে কোণঠাসা করে দিয়ে কেবলমাত্র একটি সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। তার বদলে সুবিধা নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসও। তিনি জানান, পুরস্কারের আশায় লটারি কিনতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। একাধিক ট্যুইট-বার্তায় তৃণমূলকে বিঁধেছেন শুভেন্দু। একটি ট্যুইটে তিনি বলেন, আমি বরাবর বলে আসছি যে ডিয়ার (ভাইপো) লটারি ও তৃণমূলের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। এটি আর্থিক তছরুপের একটি সহজ পন্থা।

    ওই লটারি সংস্থার পুরস্কার মূল্য এক কোটি টাকা। একবার সেই টাকা পেয়েছিলেন বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডল। সম্প্রতি পেয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক বিবেক গুপ্তর স্ত্রী। তাকে কটাক্ষ করে ট্যুইট-বাণে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, সাধারণ মানুষ টিকিট কেনেন। আর বাম্পার পুরস্কার জেতেন তৃণমূল নেতারা। প্রথমে জ্যাকপট জিতলেন অনুব্রত মণ্ডল এবং এখন তৃণমূল বিধায়ক বিবেক গুপ্তর স্ত্রী জিতলেন এক কোটি টাকা। প্রকৃতপক্ষে গত বছর আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজিকে এনিয়ে চিঠি লিখেছিলাম। প্রায়ই আমি এনিয়ে সরবও হয়েছি।  

    অত্যন্ত সুচারুভাবে লটারি ব্যবসার নামে রাজ্যের দরিদ্র মানুষকে ঠকিয়ে তৃণমূল নেতারা কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করছেন বলেও অভিযোগ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)। অন্য একটি ট্যুইট-বাণে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লেখেন, এই উদ্বেগজনক ইস্যুটি নিয়ে আমি অনেক দিন ধরেই আওয়াজ তুলছি। পশ্চিমবঙ্গের দরিদ্র মানুষকে লটারির পুরস্কারের নামে সহজে মোটা টাকা পাওয়ার লোভ দেখানো হচ্ছে। তাঁরা সহজেই তাঁদের কষ্টার্জিত টাকা খরচ করে এই সব লটারির টিকিট কাটছেন। আর সেই টাকায় লাভবান হচ্ছেন তৃণমূল নেতারা।

    আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে পিএফআই যোগসূত্র ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Burdwan: চিটফান্ড কাণ্ডে গ্রেফতার রাজু সাহানির ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী, আজই তোলা হবে আদালতে

    Burdwan: চিটফান্ড কাণ্ডে গ্রেফতার রাজু সাহানির ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী, আজই তোলা হবে আদালতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে চিটফান্ড কাণ্ডে (Burdwan) জড়িত হালিশহর পুরসভার (Halishahar Municipality) তৃণমূল (TMC) চেয়ারম্যান রাজু সাহানির ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী সঞ্জয় সিং-কে গ্রেফতার করল সিবিআই (CBI)। বর্ধমান সন্মার্গ ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন প্রতারণা মামলায় (Burdwan) গতকাল সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে ডাকা হয় ও দুর্গাপুরের বাসিন্দা ব্যবসায়ী সঞ্জয় সিং-কে টানা প্রায় ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। কিন্তু তাঁকে জেরা করার পর তাঁর উত্তরে অসঙ্গতি থাকায় তাঁকে গতকাল রাতে গ্রেফতার করে সিবিআই। এই নিয়ে বর্ধমান সন্মার্গ ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন চিটফান্ড মামলায় তৃণমূল পুরপ্রধান রাজু সাহানি-সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করল সিবিআই। এদের মধ্যে বর্ধমান পুরসভার প্রাক্তন প্রশাসক ও তৃণমূল নেতা প্রণব চট্টোপাধ্যায় এখন জামিনে মুক্ত।

    প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর হালিশহর পুরসভার তৃণমূল চেয়ারম্যান রাজু সাহানিকে (Raju Sahani) গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তার আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রণব চট্টোপাধ্যায়কে। রাজু সাহানিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও উদ্ধার হওয়া তথ্য খতিয়ে দেখে নাম উঠে আসে ব্যবসায়ী সঞ্জয় সিং-এর। এরপরই গতকাল তাঁকে বেলা ১১ টা নাগাদ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিজিও কমপ্লেক্স ডেকে পাঠানো হয় ও প্রায় কয়েক ঘন্টা জেরা করার পর তাঁর বয়ানে অসঙ্গতি থাকায় গতকাল রাতে গ্রেফতার করা হয়। আজ ধৃতকে হাওড়া থেকে ট্রেনে আসানসোল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আজই তোলা হবে আসানসোল কোর্টে।

    আরও পড়ুন: সন্মার্গেও তৃণমূল যোগ, জামিন খারিজ TMC নেতা রাজু সাহনির

    প্রসঙ্গত, এর আগে একবার সঞ্জয় সিংকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম করে পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে এনডিএয়ের প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। বিধায়ককে আর্থিক প্রলোভন ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। আর এবার সঞ্জয়কে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। বর্ধমান সন্মার্গ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের কর্ণধার সৌম্যরূপ ভৌমিকের সহকারী ছিলেন তিনি।

    উল্লেখ্য, এই চিটফান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ দায়ের হয়েছিল ২০১৪ সালে। কুলটি থানায় অভিযোগ জমা পড়েছিল। কোটি কোটি টাকা তছরূপের ঘটনায় ২০১৮ সালে সিবিআই তদন্ত শুরু করে। চার্জশিটও জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরপর গত বছর ১২ ডিসেম্বর তৃণমূল নেতা তথা বর্ধমান পুরসভার পুরপ্রশাসক প্রণব চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়। যদিও বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত। সেই মামলাতেই কিছুদিন আগে সিবিআইয়ের হাতে ধরা পড়েন রাজু। এরপর নজরে ছিল রাজুর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী সঞ্জয় সিং।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘যে হাত দিয়ে চড় মেরেছেন, সেই হাত দিয়েই…’’ কাকে হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: ‘‘যে হাত দিয়ে চড় মেরেছেন, সেই হাত দিয়েই…’’ কাকে হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের শাসকদলের তোষণকারী পুলিশদের কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রকাশ্য সভা থেকে পুলিশের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন তিনি। একহাত নিলেন শাসকদল তৃণমূলকেও (TMC)। মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) সুতাহাটায় (Sutahata) সভা করেন শুভেন্দু। এদিন পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যে হাত দিয়ে সত্যব্রত দাসকে চড় মেরেছেন। সেই দুটি হাত দিয়ে সত্যব্রত দাসের পা ধরাতে যদি না পারি, তাহলে আমার নাম শুভেন্দু অধিকারী নয়।’

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া বাংলায় ভোট হওয়াই উচিত নয়! পঞ্চায়েত নির্বাচনে এক সুর সুকান্ত-শুভেন্দুর

    সম্প্রতি, পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর সত্যব্রত দাসের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে করেছিলেন সুতাহাটার বর্ষীয়ান শিক্ষক ও তৃণমূল নেতা কমলেশ চক্রবর্তী। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সুতাহাটা থানার পুলিশ গ্রেফতার করে সত্যব্রত দাসকে। সত্যব্রতকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সেই প্রসঙ্গেই এদিন এই মন্তব্য করেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, এক ব্যক্তির মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ জনপ্রিয়, পরোপকারী ব্যক্তিত্ব তথা প্রাক্তন কাউন্সিলর সত্যব্রত ওরফে স্বপন দাসকে গ্রেফতার করেছে। সত্যব্রত এলাকায় শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।

    আরও পড়ুন: নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে চার্জশিট সিবিআইয়ের! জানেন তালিকায় রয়েছেন কারা?

    এদিন তৃণমূলকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, “এই সরকারের সঙ্গে মানুষ নেই। আছে পুলিশ বাবা। তবে পুলিশ বাবাও এদের বাঁচাতে পারবে না।” প্রসঙ্গত, সত্যব্রতর বিরুদ্ধে অভিযোগ, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ, হলদিয়া পৌরসভা এলাকায় ভুয়ো কাজের নথি দেখিয়ে টাকা তোলা হয়। এই ঘটনায় সিট গঠন করে তদন্ত শুরু হয়। ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় সত্যব্রতকে। হলদিয়ার প্রাক্তন কাউন্সিলরকে গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, “পুলিশ যে কী করছে তা আমরা জানি। সিবিআই-এর পাল্টা সিআইডিকে দিয়ে আমাদেরকে হেনস্থা করার চেষ্টা। কেউ অন্যায় করলে তা বিচার করার জন্য তো আদালত আছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kali Puja 2022: রাত বাড়তেই বাজির দাপট! শহরের রাস্তায় দেখা মিলল না পুলিশের

    Kali Puja 2022: রাত বাড়তেই বাজির দাপট! শহরের রাস্তায় দেখা মিলল না পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  নিম্নচাপ ভ্রূকুটি দেখালেও কালীপুজোর রাত বাড়তে বৃষ্টির আশঙ্কা কিছুটা কমে। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে শব্দ বাজির দাপট। একাংশের অভিযোগ, দীপাবলির রাতে শব্দ দূষণের মাত্রা জানান দেয়,  এই রাতে পুলিশ প্রশাসন ‘ঘুমিয়ে’ ছিল।  রাত বাড়তেই কলকাতার বাগবাজার, শোভাবাজার, গিরিশ পার্কের মতো বসতি এলাকায় শব্দ বাজির দাপট শুরু হয়। রাত বারোটার পরে বেহালার একাধিক জায়গায় রীতিমত ‘বাজি প্রতিযোগিতায়’ নামে ক্লাবগুলো। এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, সন্ধ্যা থেকে আতস বাজি পোড়ানো শুরু হয়। যার ধোঁয়ার তীব্রতায় বাইরে তাকানো কঠিন হয়ে যায়। আর রাতে একের পর এক তীব্র আওয়াজ। যা জানান দেয়, শব্দ বাজির দাপট।

    তবে, শুধু কলকাতা নয়। উত্তর চব্বিশ পরগনা, হুগলি, হাওড়া, নদিয়া সহ একাধিক জেলাতেও কালীপুজোর রাতে বাজির দাপটে অতিষ্ঠ বাসিন্দারা। হাইকোর্টের নির্দেশ মতো, কালীপুজোতে সন্ধ্যা ৮টা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত পরিবেশ বান্ধব বাজি পোড়ানো যাবে। পরিবেশের দূষণ করে এমন ধোঁয়া ও শব্দ বাজি ব্যবহার আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। আদালতের নির্দেশকে বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব পুলিশ প্রশাসনের। কিন্তু কলকাতাবাসীদের একাংশ মনে করছেন, এই দায়িত্ব পালনে কার্যত ব্যর্থ প্রশাসন।

    পরিবেশ বান্ধব নয়, এমন বাজি বিক্রি রুখতেই পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন। দীপাবলির কয়েক দিন আগে থেকেই প্রকাশ্য রাস্তায় আতস বাজি, শব্দ বাজি দেদার বিক্রি হয়েছে। টালা থেকে টালিগঞ্জ, উত্তর থেকে দক্ষিণ, কলকাতার একাধিক ফুটপাত দখল করেছিলেন বাজি বিক্রেতারা। আর সেই সব অস্থায়ী দোকানে অধিকাংশ বাজি পরিবেশ বান্ধব ছিল না। কিন্তু সেই বাজি বিক্রিতে পুলিশের নজরদারি ও ছিল না। 
    একাংশের মত, পরিবেশ বান্ধব বাজি বিক্রি নিশ্চিত করতে না পারলে, বারবার এই রকম পরিস্থিতিই তৈরি হবে।

    আরও পড়ুন: ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ রাজা-রানির থেকেও বেশি!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফুসফুস ও হৃদরোগে আক্রান্তদের জন্য এই পরিবেশ একেবারেই অস্বাস্থ্যকর। যেভাবে কালীপুজোর রাতে আকাশে সাদা ধোঁয়া দেখা গিয়েছে, তাতে স্পষ্ট অধিকাংশ আতস বাজি পরিবেশ বান্ধব ছিলো না। ফলে, এতে বায়ু দূষণ মারাত্মক ভাবে বেড়েছে। এর জেরে ক্রনিক পালমোনারি অবস্ট্রাক্টিভ ডিজিজ কিংবা হাপানি রোগীদের আরও সমস্যা বাড়তে পারে। পাশপাশি শব্দ বাজির জন্য শ্রবণশক্তি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। বিশেষত শিশুদের শ্রবণ ক্ষমতা হারানোর আশঙ্কা ও থাকছে বলে মনে করছেন ইএনটি চিকিৎসকেরা। হৃদরোগে আক্রান্তদের জন্য ও এই পরিবেশ বেশ বিপজ্জনক বলে মত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের। হঠাৎ তীব্র আওয়াজে হৃদরোগীদের সমস্যা বাড়ে। তাই বড় বিপদ ঘটার ঝুঁকি ও থাকে। বিশেষত যাদের পেসমেকার রয়েছে, এমন রোগীদের ক্ষেত্রে এই তীব্র আওয়াজ, সমস্যার সৃষ্টি করে।

    তবে, শুধু মানুষ নয়। অন্যান্য প্রাণীদের জন্য ও এই পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর। বিশেষত, যাদের বাড়িতে পোষ্য রয়েছে, তাদের অধিকাংশ জানাচ্ছেন, কালীপুজোর রাতে বাজির দাপটে, পোষ্যদের শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। ভুক্তভোগীদের একাংশ জানাচ্ছেন, বছরের পর বছর এমন পরিস্থিতি চললেও এর সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না। দীপাবলির রাতে পরিস্থিতি খারাপ হলেও অভিযোগ করে বিশেষ লাভ হয় না। অনেক ক্ষেত্রেই বাজির অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয় না বলেও ভুক্তভোগীদের একাংশের অভিযোগ। বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষকে সচেতন করার দায়িত্ব প্রশাসনের। বেআইনি বাজি বিক্রি রুখবে পুলিশ। কিন্তু সেই ভূমিকা ঠিকমতো পালন না হলে সুস্থ পরিবেশ পাওয়া কার্যত অসম্ভব। কিন্তু এই সব ক্ষেত্রে পুলিশের সক্রিয়তা চোখে পড়ে না।

  • Cyclone Sitrang: কমল সিত্রাংয়ের দাপট! আজ সকাল থেকেই ঝলমলে আকাশ

    Cyclone Sitrang: কমল সিত্রাংয়ের দাপট! আজ সকাল থেকেই ঝলমলে আকাশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর রাতে কনকনে ঠান্ডা হাওয়া আর ঝিড়ঝিড়ে বৃষ্টির পর মঙ্গলবার সকাল থেকেই ঝলমলে আকাশ। পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের (Cyclone Sitrang) বিপদ কেটে গিয়েছে, বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। এদিন আবহাওয়ার ক্রমশ উন্নতি হয়েছে। ভোর রাত থেকেই বৃষ্টি কমে যায়। কমেছে ঝোড়ো হাওয়ার বেগ। তবে এপার বাংলা রক্ষা পেলেও ওপার বাংলা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিধ্বস্ত। পূর্বাভাস মতো সোমবার রাতে বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়ে সিত্রাং। স্থলভাগ ছুঁয়ে সিত্রাংয়ের  গতিপথ এখন ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির দিকে। ভারতীয় মৌসম ভবনের (IMD) তরফে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, ‘গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। এদিন ভোর থেকেই তা দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং তারপর পরবর্তী ৬ ঘণ্টায় আরও দুর্বল হবে।’বাংলাদেশে আঘাত হানলেও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় তেমন কোনও ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, নিম্নচাপ কাটলেও আজও এর প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে।

    আরও পড়ুন: আজ বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ, কখন শুরু হবে ও কোথায় দেখা যাবে?

    আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয় সময় রাত সাড়ে নটা থেকে সাড়ে এগারোটার মধ্যে সিতরাং বাংলাদেশের বরিশালের কাছে তিনকোনা ও সন্দীপের মধ্যবর্তী জায়গায় ল্যান্ডফল করে। সেই সময় তার বেগ ছিল ঘন্টায় প্রায় ৯০ কিমি। রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ সিতরাং-এর অবস্থান ছিল ঢাকা থেকে ৪০ কিমি পূর্বে, আগরতলা থেকে ৫০ কিমি পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং বাংলাদেশের বরিশাল থেকে ১২০ কিমি উত্তর-উত্তর-পূর্বে।

    আরও পড়ুন: উপলক্ষ কালীপুজো, তারাপীঠ, দক্ষিণেশ্বর, লেক কালী বাড়িতে ভক্ত সমাগম

    দক্ষিণ বাংলাদেশের খেপুপাড়ার কাছে স্থলভাগে আঘাত হানার পর থেকে সেখানে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়ে। বাংলাদেশে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাড়িঘর এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গিয়েছে। গাছ পড়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এখনও পর্যন্ত দেওয়াল চাপা পড়ে এবং বাড়ি ধসে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে কুমিল্লায় ৩, ভোলায় ২, সিরাজগঞ্জে ২ এবং নড়াইল এবং বরগুনায় ১ জন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। প্রায় ৫ থেকে ৬ ঘন্টা তাণ্ডব চালানোর পরে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং রাতেই বাংলাদেশের সীমা অতিক্রম করেছে। অন্ততপক্ষে ২৮,১৫৫ জন মানুষ ও ২,৭৩৬ গবাদি পশুকে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে সরিয়ে আনা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশ স্থানীয় প্রশাসনের তরফে। মঙ্গলবার খুলনা, বরিশাল এবং চট্টগ্রামে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে।

  • Diwali 2022: উপলক্ষ কালীপুজো, তারাপীঠ, দক্ষিণেশ্বর, লেক কালী বাড়িতে ভক্ত সমাগম

    Diwali 2022: উপলক্ষ কালীপুজো, তারাপীঠ, দক্ষিণেশ্বর, লেক কালী বাড়িতে ভক্ত সমাগম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালী পুজোর (Kali puja) এই বিশেষ দিনে তারাপীঠে (Tarapith) মা তারাকে কালী রূপে পুজো করা হয়। তারাপীঠে অন্য কোনও দেবীমূর্তি পুজোর চল নেই। কারণ মা তারা এখানে অধিষ্ঠাত্রী দেবী। তাই মা তারাই এখানে মা কালী রূপে পুজিত হন। তারাপীঠে কোনও দেবী মূর্তির পুজোর চল নেই। মা তারাকে সামনে রেখেই সমস্ত দেবী মূর্তির পুজো করা হয় তারাপীঠে। দীপান্বিতা কালী পুজোর তিথিতে সেখানে মা তারাকে শ্যামা রূপে পুজো করা হয়। এ দিন মায়ের নিত্য পুজার্চনার পাশাপাশি শ্যামা রূপে মা তারাকে বিশেষ পুজো করা হবে। 

    এদিন অন্য দিনের মতোই মা তারাকে ভোরবেলা স্নান করানো হয়। এরপর দেবীকে অষ্টধাতুর মুখাভরন, মুণ্ডমালা, মুকুট, সোনার অলঙ্কার, ডাকের সাজ ও ফুল মালা দিয়ে শ্যামা রুপে সাজানো হয়। এরপর শুরু হয় আরতি। মা তারাকে প্রথমে শীতল ভোগ দেওয়া হয়। এদিন মাকে নিত্যভোগও দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেই পতন হচ্ছে তৃণমূল সরকারের? কী বললেন শুভেন্দু?

    এরপর মাকে রাত্রি বেলা দেবীকে সোনার অলঙ্কারে ও ডাকের সাজে শ্যামা রুপে সাজানো হয়। আজ গোটা রাত মন্দির খোলা থাকবে। কালীপুজোর দিন তারা মাকে পঞ্চব্যঞ্জন সহযোগে ভোগ নিবেদন করা হয় ৷ ভোগ হিসেবে থাকে পোলাও, খিচুড়ি, সাদা ভাত, পাঁচরকম ভাজা, পাঁচ মিশালি তরকারি, মাছ, চাটনি, পায়েস এবং মিষ্টি। এখানকার অন্নভোগের বিশেষত্ব পোড়া শোলমাছ মাখা। দীপান্বিতা অমাবস্যা উপলক্ষ্যে নিয়ম-নিষ্ঠা মেনে হয় বিশেষ সন্ধ্যারতি৷ এরপর নিবেদন করা হয় লুচি, পায়েস, সুজি দিয়ে শীতল ভোগ। মন্দিরের এক পুরোহিত বলেন, “তারাপীঠ হল তন্ত্রপীঠ। এটা সাধনপীঠ। কোনও ৫১ পীঠের সতীপীঠ নয়। তাই এখানে তন্ত্রমতে পুজো অর্চনা করা হবে। দেবীকে ভোরবেলায় পঞ্চামৃত দিয়ে তন্ত্রমতে স্নান করানো হয়েছে। এরপর আরতি করা হয়েছে। তারপর গর্ভগৃহ খুলে দেওয়া হয়েছে ভক্তদের জন্য। আজ এখানে বহু তান্ত্রিক আসবেন সাধনার জন্য।”

    এদিকে কালীপুজো উপলক্ষে ভক্ত সমাগম হয়েছে দক্ষিণেশ্বর, লেক কালী বাড়ি, ঠনঠনিয়া কালী বাড়ি, কামাখ্যায়। ৫১ সতীপীঠের শেষ দুটি পীঠ রয়েছে বীরভূমে। একটি, বোলপুরের কঙ্কালীতলা, আরেকটি নলহাটি। দীপান্বিতা অমাবস্যায় এই দুই মন্দিরে মহা ধূমধামের সঙ্গে কালীপুজো হয়। তারাপিঠের পাশাপাশি কালীপুজোর বিশেষ আয়োজনে সেজে উঠেছে কঙ্কালীতলা।

    দক্ষিণেশ্বরে দেবী পূজিতা হন মা ভবতারিণী রূপে। ভোরে দেবী ভবতারিণীর বিশেষ আরতি পুজোর অন্যতম আকর্ষণ। ঘট স্নানের পর মায়ের পুরনো ঘটেই নতুন করে গঙ্গার জল ভরে প্রতিষ্ঠা করা হয় কালীপুজোর দিন। শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণের দেখানো পথেই পুজো পান এখানে মা ভবতারিণী। ভোগও অতি সাধারণ। ভোগে নিবেদন করা হয় সাদাভাত, ঘি, পাঁচরকমের ভাজা, শুক্তো, তরকারি, পাঁচরকমের মাছের পদ, চাটনি, পায়েস ও মিষ্টি। দক্ষিণেশ্বর কিছুটা দূরেই আদ্যাপীঠ মন্দিরে রয়েছে। সেখানেও কালীপুজোর রাতে আদ্যা মায়ের বিশেষ পুজো হয়। অন্যান্য দিনের মতো সন্ধ্যারতিও হয়। সেই সন্ধ্যারতি দেখতে অসংখ্য ভক্ত সমাগম করেন। 

    ৫১ সতীপীঠের অন্যতম পীঠ হল কালীঘাট। ভোগে দেওয়া হয়, বেগুনভাজা, পটলভাজা, কপি, আলু ও কাঁচকলা ভাজা, ঘিয়ের পোলাও, ঘি ডাল, শুক্তো, শাকভাজা, মাছের কালিয়া, পাঁঠার মাংস ও চালের পায়েস। তবে রাতে মাকে নিরামিষ ভোগ নিবেদন করা হয় কালীঘাটে। লুচি, বেগুনভাজা, আলু ভাজা, দুধ, ছানার সন্দেশ আর রাজভোগ থাকে কালীঘাটের ভোগে।

    উত্তর কলকাতার ঠনঠনিয়া কালীবাড়িতে সিদ্ধেশ্বরী কালী রূপে পূজিতা হন মা। কথিত আছে যে অতীতে ডাকাতদের আক্রমণ থেকে সতর্ক করার জন্য এই মন্দিরের ঘণ্টা বাজিয়ে ঠনঠন শব্দ করা হত। তাই নাম ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি। কালীপুজোর রাতে ভোগ দেওয়া হয়, লুচি, পটলভাজা, ধোঁকা বা আলুভাজা, আলুর দম ও মিষ্টি। 

    শ্যামাপুজোর অন্যতম আকর্ষণ নৈহাটির অরবিন্দ রোডের বড়মা। মূর্তির উচ্চতা ২১ ফুট। মা এখানে দক্ষিণাকালী রূপে পূজিত হন। বড়মার পুজো উপলক্ষে সকাল থেকেই সাজো সাজো রব নৈহাটিতে। 

    জনপ্রিয়তার নিরিখে পিছিয়ে নেই কলকাতার লেক কালীবাড়িও। ভোররাত থেকেই সেখানে ভিড় জমিয়েছেন ভক্তরা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Cyclone Sitrang: জারি হয়েছে লাল সতর্কতা, সিত্রাং মোকাবিলায় তৎপর প্রশাসন

    Cyclone Sitrang: জারি হয়েছে লাল সতর্কতা, সিত্রাং মোকাবিলায় তৎপর প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বাংলাদেশেই আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং (Cyclone Sitrang)। মঙ্গলবার সকালে স্থলভাগে প্রবেশ করবে এই ঘূর্ণিঝড়। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গেই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। পাশাপাশি উত্তর-পূর্বের একাধিক রাজ্য, ত্রিপুরা, অসম, মিজোরাম, মণিপুর ও নাগাল্যান্ডেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    সিত্রাং-এর প্রভাবে ভোর রাত থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায়। বইছে ঝোড়ো হাওয়া। কুলতলি ব্লকের কৈখালিতে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে এনডিআরএফ (NDRF) দল। ঘূর্ণিঝড় নিয়ে মাইকে সতর্ক করা হচ্ছে l এছাড়াও সতর্ক করছেন সুন্দরবন এলাকার বন কর্মীরা। 

    সিত্রাং পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত দক্ষিণ ২৪ পরগনা। সাগর, কুলতলি, কাকদ্বীপ গোসাবা সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রস্তুর এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ দল। অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের নম্বরগুলি হল ০৩৩-২৪৪৮৮০৫১ এবং ০৩৩-২৪৪৮৮০৫২।    

    জেলা শাসকের দফতরে তরফ থেকে, ঝড়ের উপর সর্বক্ষণ নজর রাখার জন্য রয়েছে বিশেষ জায়ান্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলার যে পাঁচটি জায়গায় ক্ষতির সম্ভাবনা সব থেকে বেশি সেই জায়গাগুলিতে লাইভ মনিটারিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একজন আধিকারিক সবসময় সেদিকে নজর রাখবেন। 

    আরও পড়ুন: মঙ্গলবার ভোরে ল্যান্ডফল, কোথায় আছড়ে পড়ছে সিত্রাং?  

    এ দিকে, শনিবার রাতের মধ্যে তিরে ফিরে এসেছে মৎস্যজীবী ট্রলারগুলি। প্রায় ৩৫০০টি ট্রলার ফিরে এসেছে। এখনও কোনও ট্রলার সমুদ্রে আছে কি না তা খোঁজ নিয়েছে পুলিশ। বকখালির ফ্রেজারগঞ্জ ঘাঁটির উপকূল রক্ষী বাহিনী ও ড্রোনিয়ার দিয়ে ট্রলারের খোঁজ চালানো হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা বেলায় সাগর ও কাকদ্বীপে মাইকিং করছে।   

    আবহাওয়া দফতরের তরফে ইতিমধ্যেই ত্রিপুরা, মিজোরাম, মণিপুর ও নাগাল্যান্ডে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও অরুণাচল প্রদেশে। আসামের কাচার, করিমগঞ্জ ও হালাইকাণ্ডিতে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মিজোরামের ১১টি জেলায়, ত্রিপুরার ৮টি জেলায় ও নাগাল্যান্ডের ১৬টি জেলাতেও লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।     

LinkedIn
Share