Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • CAA: রাজ্যে সিএএ কার্যকর হবেই, হুঙ্কার শুভেন্দু-মিঠুন-নিশীথের

    CAA: রাজ্যে সিএএ কার্যকর হবেই, হুঙ্কার শুভেন্দু-মিঠুন-নিশীথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। ফলে রাজ্যজুড়ে প্রচার করছে গেরুয়া শিবির। পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে বীরভূমে পৌঁছে গিয়েছেন ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তী। প্রচারে বেরিয়ে গেরুয়া শিবির ফের সিএএ (CAA) ইস্যু নিয়ে সুর চড়িয়েছেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি গতকাল মহাগুরুকেও সিএএ নিয়ে সরব হতে দেখা গেল। সিএএ পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা দেশেই লাগু হবে বলে হুঙ্কার দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। শুধু নিশীথ নন, এক কথা বার বার শোনা গিয়েছে আরও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের কথায়, যাঁর অন্যতম হলেন শান্তনু ঠাকুর।

    কী বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?

    শনিবার শুভেন্দু অধিকারী ভোটের প্রচারে পৌঁছে গিয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার মতুয়া অধ্যুষিত ঠাকুরনগরে। সেখানে গিয়ে তিনিও সিএএ (CAA) নিয়ে বলেন যে, রাজ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর হবেই। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করে বললেন, “সাহস থাকলে সিএএ চালু করা আটকান।” তিনি সভায় মতুয়াদের উদ্দেশে বলেন, “মতুয়া সম্প্রদায়ের সদস্যদেরও নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। মতুয়ারা হলেন রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ সম্প্রদায়, যাঁরা বিজেপি এবং তৃণমূল দুই শিবিরে বিভক্ত।” তিনি দাবি করেন, এই আইন কারোরই নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে না। আর এরপরেই একই কথা রবিবার বলতে শোনা গেল মিঠুন চক্রবর্তীকেও।

    আরও পড়ুন:‘মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন’, বললেন সুকান্তও

    পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে গিয়ে কী বললেন মহাগুরু?

    তিনি গতকাল বলেন, ‘দেখি না, কে আপনাকে তাড়ায়! যদি হয়, আমি দাঁড়াব আপনার পাশে’। ভোটের মুখে তিনি রাজ্যবাসীকে এই বলেই আশ্বস্ত করলেন। তাঁর আক্ষেপ, ‘৭৫ বছর ধরে মুসলিম ভাইবোনদের এটাই বোঝানো হচ্ছে যে, তোমাদের বের করে দেবে! মুসলিম ভাইবোনদের কোনও উন্নতি হল না, সবাইকে ভয়েই রেখে দিলেন’। তিনি আরও দাবি করেছেন, রাজ্য সরকার সিএএ (CAA) নিয়ে জনগণকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। যাদের কাছে রিয়েল ভোটার কার্ড, আধার কার্ড আছে, তাঁদের কাউকেই এ দেশ থেকে তাড়ানো হবে না। এটাই তাঁদের ঘর, এর মালিকানা তাঁদের। তিনি আরও দাবি করেছেন, পঞ্চায়েত ভোটে যদি ফেয়ার ইলেকশন হয় তো গ্যারান্টি বিজেপি আসছে।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদেরও একই কথা…

    সিএএ (CAA) নিয়ে ফের বলতে শোনা গেল নিশীথ প্রামাণিক ও শান্তনু ঠাকুরকে। অনেক আগেই নিশীথ প্রামাণিককে সিএএ নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে। ফের তিনি ভোটের মুখে একই সুর চড়িয়েছেন। খুব শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গ-সহ সারা দেশে সিএএ কার্যকর হবে। কেউ আটকাতে পারবে না। হুঙ্কার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের। তিনি আরও বলেন, ‘কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য এই আইন নয়।’ আবার সিএএ নিয়ে বলেছেন শান্তনু ঠাকুরও। তিনি দাবি করেন, রাজ্য সরকার সিএএ নিয়ে সমাজের মানুষদের ভুল বার্তা দিচ্ছে। সিএএ তাঁদের অধিকার। সংবিধানে যখন সেটা পাশ হয়ে গেছে, তখন কারও অধিকার নেই এভাবে প্রকাশ্যে সেই সংবিধানের বিরুদ্ধে কথা বলা। এই একই দাবি নিয়ে বলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মেঘাওয়াল। ঠাকুরনগরে এসে মতুয়াদের নাগরিকত্ব নিয়ে আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পাশাপাশি এখন  রাজ্য বিজেপি নেতা ও বিধায়কদের মুখেও একই দাবি শোনা যাচ্ছে বার বার।

  • New Market: হকারদের দখলে নিউ মার্কেটের তিন ভাগ রাস্তাই?

    New Market: হকারদের দখলে নিউ মার্কেটের তিন ভাগ রাস্তাই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউ মার্কেট (New Market) এলাকার কয়েকটি রাস্তার চার ভাগের তিন ভাগ অংশ দখল হয়ে যাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করলেন দেবাশিস কুমার টাউন ভেন্ডিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শনিবার নিউ মার্কেট এলাকা পরিদর্শন করেন হকার (Hawker) পুনর্বাসন বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। এদিন নিউ মার্কেট চত্বর জুড়ে হকারদের জন্য তৈরি সমস্যা নিয়ে সমীক্ষার কাজও করেন তিনি। দেবাশিসের সঙ্গে ছিলেন টাউন ভেন্ডিং কমিটির সদস্য এবং নিউ মার্কেট থানার পুলিশ আধিকারিকরা। কলকাতা পুরসভার সামনে থেকে এস এস হগ মার্কেট পর্যন্ত পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন টাউন ভেন্ডিং কমিটির সদস্যরা। পুর সেক্রেটারি হরিহর প্রসাদ মণ্ডল এবং নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন দেবাশিস।

    পার্কিং লট…

    নিউ মার্কেট (New Market) এলাকায় রয়েছে বার্ট্রাম স্ট্রিট। এখানেই রয়েছে পার্কিং লট। এই রাস্তার পার্কিং লটের প্রায় পুরোটাই দখল করে ফেলেছেন হকাররা। এই সব হাকারের এই ব্যবসা ছাড়াও চার-পাঁচটি সারিতে ব্যবসা রয়েছে। দেবাশিস কার পার্কিং দফতরের চার্জেও রয়েছেন। পার্কিং লটের দুরাবস্থা দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। ডেকে পাঠান পার্কিং অ্যাটেনডেন্টকে। কথা বলেন তাঁর সঙ্গেও। নিউ মার্কেট প্রথম সারির হেরিটেজ মার্কেট। এদিন যে সব এলাকায় সমীক্ষার কাজ হয়, সেগুলি হল বার্ট্রাম স্ট্রিট, হুমায়ুন প্লেস, লিন্ডসে স্ট্রিট এবং জওহরলাল নেহরু রোড।

    আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন’, বললেন সুকান্তও

    নিউ মার্কেট (New Market) চত্বর পরিদর্শনের পর দেবাশিস কথা বলেন হকারদের প্রতিনিধির সঙ্গে। হকারদের রাস্তা দখলের বিষয়ে তাঁকে অবহিত করেন। পুরসভার এ সংক্রান্ত নিয়ম কানুনের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তাঁকে। প্রথম সারির হেরিটেজ মার্কেট চত্বর পরিদর্শন শেষে এদিন দেবাশিস বলেন, গাড়ি চলার রাস্তা এবং ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করছেন একদল হকার। এটা মেনে নেওয়া যায় না। তিনি বলেন, আমি এটাও লক্ষ্য করলাম যে কার পার্কিংয়ের জায়গাটাও ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে। আমরা টাউন ভেন্ডিং কমিটিকে এই রিপোর্ট দেব। কমিটির পরবর্তী মিটিংয়ে এটা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনাও করব।

    আরও পড়ুন: জি-২০ শীর্ষ সম্মলেন ভারতের নেতৃত্ব দেওয়াটা একটা সুযোগ, গর্বের মুহূর্ত, বললেন মোদি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • PMAY-G: আবাস যোজনার বরাদ্দ পেতে রাজ্যকে মানতে হচ্ছে কোন কোন শর্ত?

    PMAY-G: আবাস যোজনার বরাদ্দ পেতে রাজ্যকে মানতে হচ্ছে কোন কোন শর্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা প্রকল্পের (PMAY-G) আওতায় রাজ্যের আটকে থাকা ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ মঞ্জুর করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় প্রকল্পকে রাজ্যের নামে চালানো, প্রকল্পের লোগো পরিবর্তন করে দেওয়া সহ একাধিক বেনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল মমতা সরকারের বিরুদ্ধে। যে কারণে, রাজ্যের বকেয়া অর্থ প্রায় আট মাস আটকে রেখে দিয়েছিল কেন্দ্র। 

    এরপর, PMAY-G প্রকল্পে আটকে থাকা টাকা মুক্ত করতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক হয়। দিল্লি গিয়ে বকেয়া অর্থের জন্য তদ্বির করে তৃণমূল প্রতিনিধিদল। গত জুন মাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল সাংসদরা। সম্প্রতি, গিরিরাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রীও। রাজ্য সরকারের তরফে মন্ত্রী বিস্তারিত তথ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন। 

    রাজ্য কী জানিয়েছে?

    রাজ্যের তরফে লিখিত আকারে জানানো হয় এই মর্মে যে, কেন্দ্রের সব নির্দেশিকা সঠিক ও যথাযথভাবে মেনে চলা হবে। কেন্দ্রকে জানিয়ে দেওয়া হয় সব শর্ত মেনেই কাজ করছে রাজ্য সরকার। মুখ্যসচিবের মুচলেকা পেয়েই আবাস যোজনার বরাদ্দে অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। দিল্লির স্পষ্ট বক্তব্য, কেন্দ্রীয় টাকায় তৈরি বাড়ি বাংলার আবাস যোজনা নাম দিয়ে চালানো যাবে না। কারণ মূল প্রকল্প, যেখানে কেন্দ্র ও রাজ্যে যৌথভাবে টাকা দেয় তার নাম প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (PMAY-G)। ওই যোজনায় কেন্দ্র ৬০ শতাংশ ও রাজ্য সরকার ৪০ শতাংশ টাকা দেয়। শর্ত মেনে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নাম দিয়েই প্রকল্প হবে। লিখিত আকারে জানানো হয় সেই কথা। এরপর মুচলেকা পেয়েই তবে রাজ্যের বকেয়া মেটাতে রাজি হয় কেন্দ্র। মঞ্জুর করা হয় ৮,২০০ কোটি টাকা। 

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের থেকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ৮২০০ কোটি টাকা পেল রাজ্য

    কেন্দ্র কী জানিয়েছে?

    জানা গিয়েছে, এই (PMAY-G) প্রকল্পের আওতায় মোট ১১ লক্ষেরও বেশি বাড়ির জন্য এই টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। তবে, অর্থ অনুমোদনের সঙ্গে একগুচ্ছ শর্ত আরোপ করা হয়েছে। যেমন কেন্দ্রের শর্ত, সময় মেনে বাড়ির কাজ করতে হবে, নইলে হবে জরিমানা। কেন্দ্রের সুস্পষ্ট বার্তা, নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না-পারলে বাড়ি-পিছু জরিমানা করা হবে। জরিমানার টাকা কেটে নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় বরাদ্দের প্রশাসনিক তহবিল থেকে। এছাড়া, আগামী তিন মাসের মধ্যেই ১১ লক্ষ ৩৭ হাজার বাড়ি তৈরির কাজ যে শেষ করে ফেলতে হবে। কেন্দ্রের স্পষ্ট কথা, অন্যথা হলে জরিমানা ধার্য করার পাশাপাশি ফের আটকে দেওয়া হবে টাকা। সব শর্তে রাজি হয়েছে রাজ্য। 

    কী কী শর্ত রাখা হয়েছে?

    শর্ত ১: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-গ্রামীণ (PMAY-G) রূপায়নের যে কাঠামো রয়েছে, তা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে রাজ্যকে।

    শর্ত ২: সময়মতো বাড়ি অনুমোদন ও কিস্তির টাকা বণ্টন নিশ্চিত করতে হবে রাজ্যকে। সংশ্লিষ্ট সুবিধাভোগীর হাতে রাজ্য যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যোজনা প্রকল্পের বাড়ির অনুমোদন ও সহায়তা মূল্যের প্রথম কিস্তির অর্থ বণ্টন না করতে পারে, তাহলে সেক্ষেত্রে মন্ত্রক পুনরায় লক্ষ্যমাত্রা প্রত্যাহার করার বিবেচনা করতে পারে। 

    শর্ত ৩: সময় মেনে কোষাগার থেকে প্রকল্পের অ্যাকাউন্টে রাজ্যকে তার নির্দিষ্ট ভাগের টাকা জমা করতে হবে। 

    শর্ত ৪: প্রকল্পের আওতায় তৈরি হওয়া বাড়িগুলোতে যোজনার নাম ও লোগো সঠিকভাবে নির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনে লাগাতে হবে। এর কোনও প্রকার অন্যথা চলবে না। এটা ভিন্ন অন্য কোনও প্রকার লোগো বা ব্র্যান্ডিং লাগানোর অনুমতি নেই। 

    শর্ত ৫: যোজনায় তৈরি হওয়া বাড়িগুলোতে নিয়মিত সোশ্যাল অডিট প্রক্রিয়া চালাতে হবে। 

    শর্ত ৬: কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের গাইডলাইন অনুযায়ী বিভিন্ন আধিকারিকরা এরিয়া অফিসার্স মোবাইল অ্যাপলিকেশনের মাধ্যমে নজর রাখবেন।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Anubrata Mondal: হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে পিছিয়ে গেল কেষ্টর দিল্লি যাত্রা, পরবর্তী শুনানি ১ ডিসেম্বর

    Anubrata Mondal: হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে পিছিয়ে গেল কেষ্টর দিল্লি যাত্রা, পরবর্তী শুনানি ১ ডিসেম্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) ইডি দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু এতে এল বাধা। রাজধানীতে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইডি দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করলে, তাদের বিরুদ্ধেই দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল নেতার আইনজীবীরা। তাদের বিরুদ্ধে মামলাও ঠুকেছেন অনুব্রত। আজ এই মামলার শুনানির কথা হলেও কোনও নির্দেশ দিলেন না বিচারপতি। পরবর্তী শুনানি হতে পারে ১ ডিসেম্বর। ফলে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া সাতদিন পিছিয়ে গেল।

    কেষ্টর (Anubrata Mondal) প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন থেকে এনামুক হক, প্রত্যেকেই বর্তমানে রয়েছে তিহাড় জেলে। আর সেখানে এবারে অনুব্রতকে পাঠাতে মরিয়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। কিন্তু ইডির এই উদ্যোগকে ভেস্তে দিল কেষ্ট।

    দিল্লি যাওয়া পিছিয়ে গেল কেষ্টর…

    গত ১৭ নভেম্বর, টানা ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) হেফাজতে নেয় ইডি। এরপর অনুব্রত অ্যারেস্ট মেমোতে সই না করায় তাঁকে সরাসরি দিল্লি নিয়ে যেতে পারেনি ইডি। এর ফলে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট আনার জন্য সরাসরি দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। তাঁকে দিল্লি নিয়ে জেরা করতে নির্দেশ জারি করতে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন জানায় ইডি। কিন্তু সেই আবেদনের শুনানির আগেই সেই আবেদনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেন অনুব্রত। আর সেই মামলার আজ শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও আইনি জটিলতায় তা পিছিয়ে যায়। তাই আপাতত দিল্লি যেতে হচ্ছে না অনুব্রতকে।

    আরও পড়ুন: জামিনের আবেদনই করলেন না, আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতেই কেষ্ট

    অনুব্রতের আইনজীবীর সওয়াল

    এদিন আদালতে অনুব্রতের (Anubrata Mondal) আইনজীবী কপিল সিব্বল তাঁর হয়ে সওয়াল করেন। সিব্বলের যুক্তি ছিল, অনুব্রতের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অপরাধের অভিযোগ, তার সবটাই পশ্চিমবঙ্গে হয়েছে। যে সব সম্পত্তি আটক করা হয়েছে, তা-ও পশ্চিমবঙ্গে। তাই তিনি প্রশ্ন করেন, এটি রাজ্যের মামলা, আদালত কীভাবে হস্তক্ষেপ করবে? ইডি প্রয়োজনে এখানেই অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করুক। অন্যদিকে পাল্টা যুক্তি দিয়ে ইডির আইনজীবীও বলেন, একই মামলায় অনুব্রতের প্রাক্তন দেহরক্ষী গরু পাচার মামলায় ধৃত সায়গল হোসেনকেও দিল্লি এনে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছিল আদালত। তবে কেষ্টর ক্ষেত্রে কেন নয়?

    ফলে এসবের মাঝেই আজ কোনও নির্দেশ না দিয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করলেন বিচারপতি। তবে এখন এটাই দেখার যে, ইডি শেষপর্যন্ত অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পারেন কিনা।

     
  • Calcutta High Court: হাইকোর্টে ধাক্কা খেল স্কুল সার্ভিস কমিশন! এবার কি সুপ্রিম দুয়ারে যাবে রাজ্য সরকার?

    Calcutta High Court: হাইকোর্টে ধাক্কা খেল স্কুল সার্ভিস কমিশন! এবার কি সুপ্রিম দুয়ারে যাবে রাজ্য সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেনামি আবেদন মামলায় বহাল থাকল সিবিআই তদন্ত। সঙ্গে শিক্ষাসচিবকে হাজিরার নির্দেশও। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কা খেল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)।  রাজ্য সরকার এবার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    আজ কী হল

    তাঁকে সশরীরে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ সেই নির্দেশ মেনে আদালতে হাজিরা দিলেন শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন। কিন্তু তার আগেই শিক্ষাসচিবের হাজিরার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য৷  অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে ‘বেনামি’ আবেদনের কৈফিয়ত চেয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই প্রশ্নের উত্তর দিতে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছন রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতরের প্রধান সচিব মনীশ জৈন। তবে আগে ডিভিশন বেঞ্চের শুনানি শুরু হয়। শুনানি শুরু হতেই ডিভিশন বেঞ্চে অস্বস্তিতে পড়ে কমিশন। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় বহাল থাকায় বেকায়দায় পড়ে রাজ্য।

    আরও পড়ুন: ‘কার নির্দেশে নিয়োগের আবেদন?’ ফের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ

    প্রথমে অবৈধভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে যাদের চাকরি বাতিল হয়, তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে পুর্নবহালের আবেদন করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। এ প্রসঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এটা অত্যন্ত বিস্ময়কর যে কিভাবে কমিশন অবৈধদের চাকরি দেওয়ার এরকম একটা আবেদন করল ? কিভাবে অতিরিক্ত শূন্যপদ অযোগ্য প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করার আবেদন আদালতে করা হল ? একজন সচিবকে তলবের নির্দেশ কিভাবে চ্যালেঞ্জ করা যায় অভিমত ডিভিশন বেঞ্চের। তাই সিঙ্গল বেঞ্চে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখা হয়। ডিভিশন বেঞ্চও পরিষ্কার জানিয়ে দেয় এবিষয়ে তদন্ত করবে সিবিআই। আদালতে হাজিরাও দিতে হবে শিক্ষা দফতরের সচিবকে। এর ফলে এই মামলায় ধাক্কা খেল রাজ্য। এবার হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতা পারে রাজ্য।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • PM Awas Yojana: কেন্দ্রের থেকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ৮২০০ কোটি টাকা পেল রাজ্য

    PM Awas Yojana: কেন্দ্রের থেকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ৮২০০ কোটি টাকা পেল রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই এল বড় সুখবর। ৮ মাস পর প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (PM Awas Yojana) রাজ্যকে ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ কেন্দ্রের। আজই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রাজ্যকে এবিষয়ে জানানো হয়েছে। এতদিন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। ফলে কেন্দ্র থেকে টাকা পাঠানো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বলে সূত্রের খবর। কিন্তু এই টাকা ফের রাজ্যকে দেওয়া হলে এ নিয়েও জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাতে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ পেল রাজ্য

    ৮ মাস পর কেন্দ্র থেকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PMAY) টাকা দেওয়া হল রাজ্যকে (PM Awas Yojana)। সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা মঞ্জুর করল মোদি সরকার। মোট ১১ লক্ষেরও বেশি বাড়ির জন্য এই টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে মোদি সরকারের এই টাকা বরাদ্দের ঘটনা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    আরও পড়ুন: গুজরাতসহ গোটা দেশকে ধ্বংস করেছে কংগ্রেস, প্রচার মঞ্চ থেকে নরেন্দ্র মোদি

    একাধিক অভিযোগ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে

    রাজ্য সরকারে বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি আগেই কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ করেছিলেন যে, কেন্দ্রীয় প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PM Awas Yojana) নাম বদলে বাংলা আবাস নাম দিয়ে রাজ্য সরকার প্রচার করছিল। তাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে। কখনও কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল, আবার কখনও কেন্দ্রের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ, এমন একাধিক অভিযোগ জানিয়ে কখনও প্রধানমন্ত্রী, কখনও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি লিখেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর এরপরেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা। আর আজ ৮ মাস পরে সেই টাকা মঞ্জুর করল মোদি সরকার। এছাড়াও সম্প্রতি, ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে এমন অভিযোগ এনে এতে CBI তদন্তের দাবি করেছিলেন ও এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থও হয়েছিলেন শুভেন্দু।

    উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা শুরু করা হয় (PM Awas Yojana)। এটি একটি কেন্দ্রীয় প্রকল্প। এটি ভারত সরকারের একটি প্রকল্প যার মাধ্যমে সমাজের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল মানুষদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন প্রদান করা হয়। 

     

  • Manik Bhattacharya: অস্বস্তিতে জেলবন্দি মানিক! ছেলেকে তলব ইডির, ডাকা হতে পারে তাঁর স্ত্রীকেও

    Manik Bhattacharya: অস্বস্তিতে জেলবন্দি মানিক! ছেলেকে তলব ইডির, ডাকা হতে পারে তাঁর স্ত্রীকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে আরও বিপাকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি তথা তৃণমূলের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তিনি বর্তমানে জেলে। তবে এবারে ইডির স্ক্যানারে মানিকের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য ও ছেলে সৌভিক। আগামী সপ্তাহেই ইডির দফতের তলব করা হয়েছে মানিক পুত্র সৌভিককে। আর তাঁর স্ত্রীকেও ডাকা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এখানেই শেষ নয়, ইডির আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে মানিকের আত্মীয়দেরও। ইতিমধ্যেই এক আত্মীয়কে এই সপ্তাহেই তলব করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    নিয়োগ দুর্নীতিতে যোগ রয়েছে মানিক পুত্রের

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যে মানিক পুত্রের হাত রয়েছে তা আগেই জানিয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। আর এবারে তাঁকে তলবও করা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতির মামলার তদন্ত করতে গিয়ে সৌভিকের বিরুদ্ধে একাধিক তথ্য উঠে এসেছে। সৌভিকের ২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের একটিতে ২ কোটি ৬৪ লক্ষ এবং অন্যটিতে ২ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে। আর এই টাকা গুলোর উৎস কী, তা জানতেই তলব করা হয়েছে সৌভিককে।  ইডি-র দাবি, পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজ গুলির সঙ্গে বিভিন্নভাবে আর্থিক লেনদেনে জড়িয়ে রয়েছে সৌভিক। এছাড়াও ইডি দাবি করেছে, লকডাউনের সময় ছেলেমেয়েদের অনলাইনে ক্লাস করবার জন্য টাকার বিনিময়ে চুক্তি করেছিল সৌভিক। ফলে এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তাঁকে তলব করেছে ইডি। এর আগেও সৌভিককে তলব করা হয়েছিল, কিন্তু তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বলে অভিযোগ ইডির।

    আরও পড়ুন: নিখোঁজ জেলবন্দি মানিকের স্ত্রী-পুত্র! তিনটি বাড়িতেই তালা, বন্ধ মোবাইল ফোনও

    মানিকের স্ত্রী ও আত্মীয়দের তলব করতে পারে ইডি

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, মানিকের (Manik Bhattacharya) স্ত্রী ও তাঁদের আত্মীয়দেরও আগামী সপ্তাহেই তলব করতে পারে ইডি। এর আগেই মানিকের স্ত্রী শতরূপার একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছে ইডির আধিকারিকরা। এমনকি মৃত মানুষের সঙ্গেও তাঁর জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই মৃত ব্যক্তির নাম মৃত্যুঞ্জয় আর তাঁর মৃত্যু হয়েছে ২০১৬ সালে। ফলে মৃত ব্যক্তির সঙ্গে কীভাবে অ্যাকাউন্ট থাকতে পারে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

    এখানেই থেমে নেই ইডি, মানিক ভট্টাচার্যর (Manik Bhattacharya) ভাই, জামাই ও অন্যান্য আত্মীয়দেরও বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেনের ক্ষেত্রে অসংগতি মিলেছে বলে জানিয়েছে ইডি। তাই এদেরকেও ডাকা হতে পারে ইডির দফতরে। তবে এখন এটাই প্রশ্ন যে, মানিকের স্ত্রী, আত্মীয়দের তলব করা হলে তাঁরা আদেও কি ইডির মুখোমুখি হবেন? সৌভিককে আগে ডাকা হলে তিনি এড়িয়ে যান, ফলে সৌভিকও ইডির তলবে সাড়া দেবেন কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে।

  • Nisith Pramanik: মিথ্যা মামলা! হাইকোর্টে স্বস্তি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের

    Nisith Pramanik: মিথ্যা মামলা! হাইকোর্টে স্বস্তি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টে স্বস্তি পেলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)।  ২০০৯ সালে আলিপুরদুয়ারে দুটি সোনার দোকানে চুরি হয়। সেই চুরির মামলায় নাম জড়ায় নিশীথ প্রামাণিকের। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আলিপুরদুয়ার আদালত। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।  এবার গ্রেফতারি পরোয়ানার উপর স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। 

    আরও পড়ুন: জেলে সত্যেন্দ্রকে মালিশ করা ব্যক্তি ধর্ষণে অভিযুক্ত বন্দি! সরব বিজেপি

    কী ঘটেছিল

    ২০০৯ সালে আলিপুরদুয়ারে দুটি সোনার দোকানে চুরি হয়। সেই মামলায় নাম জড়ায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের। বুধবার হাইকোর্টে নিশীথের আইনজীবী বিকাশ সিং বলেন,সোনার দোকানে চুরির ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আলিপুরদুয়ার থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তাঁর মক্কেলকে এই মামলায় পুলিশ মিথ্যে ফাঁসিয়েছে। গত ১১ নভেম্বর আলিপুরদুয়ারের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থিত হতে তাঁর মক্কেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তাঁর মক্কেল ওইদিন উপস্থিত থাকতে পারবেন না জানিয়ে শুনানি স্থগিতের আবেদন জানান। কিন্তু, তাঁর আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। তারপরই আলিপুরদুয়ার আদালত নিশীথের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এরপর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন নিশীথ। হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেন। একইসঙ্গে তিনি নির্দেশ দেন, ২০২৩ সালের জানুয়ারির ৭ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে একদিন আলিপুরদুয়ার আদালতে হাজির হতে হবে নিশীথ প্রামাণিককে।

    আরও পড়ুন: রাজ্যপালের শপথ অনুষ্ঠানে গরহাজির শুভেন্দু-সুকান্তরা, কেন?

    বিজেপি-তৃণমূল দ্বন্দ্ব

    চুরির ঘটনায় বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নাম জড়াতেই আসরে নামে তৃণমূল। তবে তৃণমূলের আক্রমণকে গুরুত্ব দিতে চাননি নিশীথ। গতকালই জলপাইগুড়িতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আদালতকে আমরা সম্মান করি। তবে এগুলো মিথ্যে মামলা। রাজনীতিতে এরকম মিথ্যে মামলা হয়। রাজ্যের শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধেও এরকম মামলা রয়েছে।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Justice Abhijit Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর ভূমিকায় ফের ‘অসন্তুষ্ট’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Justice Abhijit Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর ভূমিকায় ফের ‘অসন্তুষ্ট’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর কাজ নিয়ে ফের অসন্তোষ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। সুপ্রিম কোর্টে সিবিআইয়ের আইনজীবী অনুপস্থিত থাকায় তিনি প্রশ্ন করেছেন যে, ‘সুপ্রিম কোর্টে মানিক ভট্টাচার্যের মামলায় সিবিআইয়ের আইনজীবী অনুপস্থিত কেন?’ বুধবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইয়ের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “এই মামলাগুলো সিবিআইয়ের বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। আইনজীবীর অনুপস্থিতি সন্তোষজনক পরিস্থিতি নয়।”

    সিবিআই-এর কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট নন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    গত ১৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের মামলার শুনানি ছিল। সেই মামলার শুনানির সময়ে হাজির ছিলেন না সিবিআইয়ের আইনজীবী। শীর্ষ আদালতের নির্দেশনামায় সিবিআইয়ের আইনজীবীর অনুপস্থিতির কথা নথিবদ্ধ রয়েছে। বুধবার তা দেখেই অসন্তুষ্ট হন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। এতেই সিবিআইকে ভর্ৎসনা করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    এর পরেই আইজীবীর অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করেন বিচারপতি (Justice Abhijit Ganguly)। আর এর উত্তরে সিবিআই-এর তরফে জানানো হয়, ওই দিন আদালতে ২৬ পাতার রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। যদিও পরে বিচারপতি এও বলেন যে, সেই রিপোর্টেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। রিপোর্ট অসম্পূর্ণ বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। ফলে এদিন এই রিপোর্ট নিয়েও বিচারপতি সিবিআই-কে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে ৬ ডিসেম্বর।

    আরও পড়ুন: প্রাথমিক টেটে সুযোগ পাবেন উচ্চ প্রাথমিকের প্যারাটিচাররাও, জানাল হাইকোর্ট

    এরপরে বিচারপতি (Justice Abhijit Ganguly) কটাক্ষের সুরে সিবিআই-কে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন যে, এই মামলাগুলি হাইকোর্টের সিঙ্গল, ডিভিশন বেঞ্চ পেরিয়ে শীর্ষ আদালতে গিয়েছে। তাছাড়া রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়টি এখনও বিচারাধীন। কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে তদন্ত হচ্ছে। এই বিষয়গুলির কথা মাথায় রেখে বিচারপতি (Justice Abhijit Ganguly) বলেছেন, এই মামলাগুলির একটা অন্য গুরুত্ব আছে। সেই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত সিবিআই-এর।

    এই প্রথম নয়, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে সিবিআইয়ের ভূমিকায় বারবার প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। এমনকি নিজের তৈরি করা সিট ভেঙে নতুন সিট গঠন করেছেন তিনি। বদলে দিয়েছিলেন সিটের প্রধানকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যপালের শপথ অনুষ্ঠানে গরহাজির শুভেন্দু-সুকান্তরা, কেন?

    Suvendu Adhikari: রাজ্যপালের শপথ অনুষ্ঠানে গরহাজির শুভেন্দু-সুকান্তরা, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তবে পছন্দ হয়নি সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট। তাই নয়া রাজ্যপালের (Governor) শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না শুভেন্দু। ওই অনুষ্ঠানে বসার ব্যবস্থা হয়েছে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের নির্দেশে। সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির হননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও (Sukanta Majumdar)।  

    নেপথ্য কাহিনি…

    প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় উপরাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেওয়ার পর অস্থায়ী রাজ্যপালের পদে বসেন লা গণেশন। সেবার আমন্ত্রণই জানানো হয়নি শুভেন্দুকে। মঙ্গলবার বিধানসভায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, রাজ্য সরকারের তরফে অস্থায়ী রাজ্যপাল লা গণেশনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। দেখা যাক, এবার আমন্ত্রণ পাই কিনা। এরই কিছুক্ষণের মধ্যেই বিরোধী দলনেতার কাছে পৌঁছয় রাজভবনে নয়া রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র। এই অনুষ্ঠানেই যাচ্ছেন না শুভেন্দু। কেন যাচ্ছেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা? এর উত্তর শুভেন্দু দিয়েছেন ট্যুইট বার্তায়। নয়া রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি শুভেন্দু লিখেছেন সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের নির্দেশে। অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে তথ্য সংস্কৃতি দফতর। এই দফতরের কাজকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)) ‘অসাংস্কৃতিক আচরণ’ বলে উল্লেখ করেছেন। কারণ, শুভেন্দুর বসার ব্যবস্থা হয়েছে দুই দলবদলু কৃষ্ণ কল্যাণী এবং বিশ্বজিৎ দাসের পাশে। কৃষ্ণ এবং বিশ্বজিৎ দুজনেই বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে রাজনীতির ঘোলা জলে মাছ ধরতে ভিড়েছেন তৃণমূলে গিয়ে। তাঁদের বিরুদ্ধে দলবিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এই দুই দলবদলুর পাশে বসার আসন হওয়ায় ক্ষুব্ধ শুভেন্দু। রাজ্য সরকারের এই আচরণকে ‘অসৌজন্যের রাজনীতি’ বলে অন্য একটি ট্যুইটে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, ১৯৫৬ ভোটে নন্দীগ্রামে হেরে যাওয়া এখনও দুঃস্বপ্নের মতো তাড়া করে বেড়াচ্ছে ‘কম্পার্টমেন্টাল’ মুখ্যমন্ত্রীকে। তাই হিংসা করে তিনি এভাবে সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট করেছেন। শুভেন্দুর মতে, বাংলা অ্যাকাডেমি পুরস্কারের বদলে তাঁকে (মুখ্যমন্ত্রীকে) দেওয়া উচিত প্রতিহিংসাপরায়ণ পুরস্কার। মুখ্যমন্ত্রীকে হতভাগ্য রাজনীতিবিদ বলেও উল্লেখ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এর পরেই শুভেন্দু লিখেছেন, আমার পক্ষে এই অনুষ্ঠানে যাওয়া সম্ভব নয়। রাজ্যপাল যদি তাঁকে আলাদা করে সময় দেন, এবং সেটা যদি আজই হয়, তাহলে ভাল হয় বলেও জানান শুভেন্দু। কোন প্রটোকল মেনে বিশ্বজিৎ দাস ও কৃষ্ণকল্যাণীকে রাজভবনে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে? প্রশ্ন শুভেন্দুর। এদিকে, শুভেন্দুকে দুই দলবদলুর পাশে ঠাঁই দেওয়া হলেও, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সাংসদ হলেও তাঁকে আসন দেওয়া হয়েছে তৃণমূল সাংসদের পিছনে। তাই অনুষ্ঠানে যাননি তিনি।  

     

    আরও পড়ুন: ‘শান্তিকুঞ্জে’র সামনে ‘অশান্তি’ তৃণমূলের, সিবিআই চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share