Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Dengue: হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, জনগণকে দুষছে প্রশাসন

    Dengue: হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, জনগণকে দুষছে প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মাঝেই ভয় বাড়াচ্ছে রাজ্যের ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতি। লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। সংক্রমিতের সংখ্যা প্রায় ৩৩ হাজার। আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি ২৪ পরগনায়। কলকাতার পরিস্থিতিও বেশ উদ্বেগজনক।  

    রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ডেঙ্গি সংক্রমণের নিরিখে গত ছয় বছরের মধ্যে ২০২২-এর সংক্রমণ সর্বাধিক। এবারের ডেঙ্গি সংক্রমণ ইতিমধ্যে ২০১৯-এর রেকর্ডকে ছাপিয়ে গিয়েছে। প্রায় প্রত্যেক দিনই ডেঙ্গিতে মৃত্যুর খবর আসছে।

    ২০১৯-এ রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩১,৭৪৩ জন। এবছর এখনই সেই সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া  পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই বছর এখনও পর্যন্ত গত সপ্তাহে সর্বাধিক সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৭, ২০১৮ সালে রাজ্যে ডেঙ্গি  আক্রান্তের সংখ্যাটা ছিল যথাক্রমে ১৪,৬৮৬ এবং ১৪,৬৪৭। ২০২০ ও ২০২১-এ আক্রান্তের সংখ্যাটা ছিল যথাক্রমে ২০১৮ এবং ২১৭৬ জন। এই দুবছরে করোনার কারণে ডেঙ্গির সংক্রমণ কম ছিল।

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর সফর, সরকারি টাকায় সাজছে তৃণমূল নেতার রিসর্ট! সত্য ফাঁস শুভেন্দুর 

    আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি উত্তর ২৪ পরগনায়। গত সপ্তাহে উত্তরবঙ্গে আক্রান্ত হয়েছেন ১২৫৩ জন। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত  এবছরে আক্রান্ত প্রায় ৬ হাজার। হাওড়ায় গত সপ্তাহের আক্রান্তের  সংখ্যা ছিল ৬৩৬। আর এই বছরে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮৬৬। কলকাতায় গত সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৬০০। এই  বছরে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত প্রায় ৩ হাজার। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ১০ জেলার ১২ টি ব্লককে সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়াও ৯ জেলার যে ১২ টি পুরসভাকে সতর্ক করা হয়েছে। তার মধ্যে কলকাতা ও দক্ষিণ দমদম ছাড়াও রয়েছে ব্যারাকপুর, হাওড়া, শিলিগুড়ি, বালি, বহরমপুর, কালিম্পং, কামারহাটি, বাঁকুড়া এবং উত্তরপাড়া।   

    কয়েক দিনের ব্যবধানে ২ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যুতে উদ্বেগ ছড়িয়েছে দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায়। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসন সাময়িক তৎপরতা দেখালেও বিভিন্ন জায়গায় জল জমে থাকতে দেখা যায়। যদিও স্থানীয় প্রশাসন দায় চাপিয়েছে বাসিন্দাদের কাঁধে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Anubrata Mondal: কেষ্টর বিপুল সম্পত্তির রহস্য কী? উত্তর মিলবে ব্যাংক কর্মীদের বয়ানে

    Anubrata Mondal: কেষ্টর বিপুল সম্পত্তির রহস্য কী? উত্তর মিলবে ব্যাংক কর্মীদের বয়ানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার কারণে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি টালমাটাল হলেও, ফুলে ফেঁপে উঠেছে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) কোষাগার। বীরভূমের তৃণমূলের সভাপতির ব্যবসাপত্রে এত লেনদেন বাড়ল কী করে, সেই প্রশ্ন ভাবাচ্ছে সিবিআই (CBI) গোয়েন্দাদের। এর উত্তর একমাত্র দিতে পারেন সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কর্মীরা। এমনটাই মনে করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন: কেষ্টহীন কালী পুজো কেমন হবে বোলপুরে? নজর সিবিআইয়ের 

    অনুব্রতের বিরুদ্ধে চার্জশিটে যে ৯৫ জন সাক্ষীর কথা জানানো হয়েছে, তার একটি বড় অংশ বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংকের কর্মী-আধিকারিকেরা। সিবিআই সূত্রে খবর, মেয়ে সুকন্যা (Sukanya Mondal), প্রয়াত স্ত্রী ছবি-সহ অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের নামে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্কের সিউড়ি, বোলপুর, কলকাতার সল্টলেক এবং বাগমারি শাখায় মোট ১৩টি অ্যাকাউন্টের হদিস মিলেছে। ১৩টি অ্যাকাউন্টের মধ্যে রয়েছে ওই চালকল এবং সংস্থাগুলির অ্যাকাউন্টও। ১১ অগাস্ট অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পরেই অ্যাকাউন্টগুলিতে সমস্ত লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। 

    চার্জশিটে বলা হয়েছে, এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের বোলপুরের শাখায় কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ এক জনের অ্যাকাউন্টে ২০১১ থেকে ২০২২-এর মধ্যে ১০৫ বারে এক কোটিরও বেশি টাকা জমা পড়েছে। একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের সিউড়ির শাখায় একটি চালকলের অ্যাকাউন্টে ৬৬ বারে প্রায় এক কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা, ওই ব্যাঙ্কের বোলপুর শাখায় ওই চালকলেরই অ্যাকাউন্টে ২৪ বারে প্রায় এক কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা, আবার একটি ‘ভুয়ো’ সংস্থার অ্যাকাউন্টে ৭৮ বারে প্রায় এক কোটি ২৫ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে।  গত কয়েক বছরে অনুব্রত ও তাঁর মেয়ে সুকন্যার অ্যাকাউন্টে ফিক্সড ডিপোজিট বাবদ জমা পড়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা। বোলপুরে ব্যাঙ্ক অফ বরোদাতেই ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে বেশি। ওই শাখায় দুজনেরই অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ থেকে ব্যাঙ্ক অফ বরোদায় অনুব্রত ও তাঁর মেয়ের নামে মোট ৫ কোটি ২৭ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট করা হয়েছে। কখনও একলপ্তে জমা করা হয়েছে ৫০ লক্ষ টাকা। কখনও বা ৬০ লক্ষ টাকা। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে এক ধাক্কায় ১ কোটি ৪০ টাকা স্থায়ী আমানত তথা ফিক্সড ডিপোজিট (Fixed Deposit) করা হয় সেখানে। এছাড়াও সুকন্যা ও অনুব্রতর অ্যাকাউন্ট ছিল সল্টলেকের স্টেট ব্যাঙ্কের একটি শাখায়। সেখানে পাঁচ দফায় ফিক্সড ডিপোজিট করা হয়েছে। তার মধ্যে চারটিতে সুকন্যার নামে রয়েছে। একটি ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে অনুব্রতর নামে। এক একবারে সেখানে ১ কোটি টাকার বেশি করে ফিক্সড ডিপোজিট করা হয়েছে। সেখানে বাবা ও মেয়ে মিলিয়ে দুটি ফিক্সড ডিপোজিট অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৪ কোটি ৫৭ লক্ষ ৬৬ হাজার ২৬৪ টাকা।   
     
    চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, গরু পাচারের মূল কাণ্ডারি এনামুল হকের থেকে নেওয়া টাকাই মূলত এই অ্যাকাউন্টগুলিতে জমা পড়েছে। কিছু ব্যাংক কর্মীই এই কাজে অনুব্রতকে সাহায্য করতেন বলেও জানতে পেরেছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ নেতার বাড়ি বয়ে এসেও টাকা নিয়ে যেতেন। এই কর্মীদের সাক্ষী মামলায় নতুন মোড় আনবে বলে বিশ্বাস গোয়েন্দাদের। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dengue: ডেঙ্গি হানায় চিন্তা বাড়াচ্ছে জেলা, ৪১ তম সপ্তাহে উর্ধ্বমুখী আক্রান্তের পারদ

    Dengue: ডেঙ্গি হানায় চিন্তা বাড়াচ্ছে জেলা, ৪১ তম সপ্তাহে উর্ধ্বমুখী আক্রান্তের পারদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাস দুয়েক আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিল কলকাতা। কিন্তু টনক নড়েনি প্রশাসনের। পরিস্থিতি এখন বিপদসীমা পেরিয়ে গিয়েছে। ডেঙ্গির (Dengue) ভয়াবহতার পারদ কলকাতার থেকেও বেশি জেলায়। জেলার হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গি আক্রান্তের ভর্তির ভিড় দেখে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন খোদ রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা। তিনি নিজেই জানান, গ্রামে যে হারে ডেঙ্গি প্রকোপ ছড়াচ্ছে, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে।

    স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, বছরের ৪০ সপ্তাহ থেকে ৪১ তম সপ্তাহে কয়েক গুণ ডেঙ্গি বেড়ে গিয়েছে। পজিটিভিটি রেট ও অনেক বেশি। অক্টোবরের শুরুতেও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের মূল চিন্তা ছিল কলকাতাকে নিয়েই। কিন্তু গত এক সপ্তাহের পরিসংখ্যান বলছে কলকাতার পাশপাশি চিন্তা জেলাকে নিয়েও। বিশেষত, উত্তর চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলি ও মুর্শিদাবাদ, এই কয়েকটি জেলায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।

    আরও পড়ুন: ভোট বাক্সের রাজনীতি! মোমিনপুরের ঘটনায় চুপ কেন অভিষেক? প্রশ্ন অমিত মালব্যর

    স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গি আক্রান্তের নিরিখে প্রথমেই আছে উত্তর চব্বিশ পরগনা। বছরের ৪১ তম সপ্তাহে এই জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ১২৫৩ জন। যেখানে আগের সপ্তাহে অর্থাৎ, ৪০তম সপ্তাহে সংখ্যা ছিল ৯৯২ জন। তালিকায় এরপরেই রয়েছে হাওড়া। বছরের শুরু থেকেই কিন্তু হাওড়ার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক ছিল। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পুরসভার কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। যদিও অভিযোগ, তারপরেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। আর সেই অভিযোগেই কার্যত সিলমোহর দিল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট। স্বাস্থ্য ভবনের তথ্য বলছে, হাওড়ায় বছরের ৪১ তম সপ্তাহে অর্থাৎ, অক্টোবরের ১০-১৫ তারিখের মধ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩৬ জন। এরপরে তালিকায় আছে কলকাতা। কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬০৬ জন। হুগলির পরিস্থিতিও বেশ ভয়াবহ। সেখানে এই সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০৮ জন। মুর্শিদাবাদে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ৪৫২ জন।

     স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহে ২৪৫৪ জনকে ডেঙ্গি আক্রান্ত হাসপাতাল ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ৯৬ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ ও জেলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের পাশপাশি ব্লক স্তরে ও ডেঙ্গি আক্রান্তের ভর্তির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। গত এক সপ্তাহে ৩৭৫ জন গ্রামীণ বা ব্লক স্তরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মহকুমা বা স্টেট জেনারেল স্তরের হাসপাতালে ১০১৪ জন ভর্তি হয়েছেন। অর্থাৎ, শহরের পাশপাশি জেলা ও চিন্তা বাড়াচ্ছে।

    দক্ষিণবঙ্গের পাশপাশি উত্তরবঙ্গের ডেঙ্গি পরিস্থিতিও বেশ ভয়াবহ। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ১৯০ জন শেষ সাত দিনে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। জেলা হাসপাতালগুলোর মধ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী ভর্তির নিরিখে শিলিগুড়িই প্রথমে রয়েছে। এই তথ্য স্পষ্ট করে দেয় উত্তরবঙ্গের ডেঙ্গি পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। 

    স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি রিপোর্ট দেরিতে আসার কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। রোগীর চিকিৎসা শুরু করার ক্ষেত্রে ও দেরি হচ্ছে। ফলে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতরের বৈঠকে স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, গ্রামাঞ্চলে কতখানি ডেঙ্গি মোকাবিলার কাজ হয়েছে, সে নিয়ে সংশয় হচ্ছে। কারণ, জ্বরে তিন-চারদিন ভুগলেও অনেকে ডেঙ্গি পরীক্ষা করছেন না। ওষুধের দোকান থেকে প্যারাসিটামল কিনে খাচ্ছেন। প্লেটলেট কমছে কিনা, তা বোঝাও যাচ্ছে না। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তারপরে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। তাই অনেকটাই সময় অপচয় হচ্ছে।

    ডেঙ্গি মোকাবিলায় যে রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ এই বছর তা আরও আরেকবার প্রমাণিত হলো। অথচ, গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সময় মতো সমস্ত বিভাগ একযোগে কাজ করলে, পরিস্থিতি এমন জায়গায় হয়তো পৌছতো না বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ডেঙ্গিতে প্রত্যেক বছর লোক মারা যায়। প্লেটলেট পাওয়া যায় না। তারপরেও সরকারের হুঁশ ফেরে না। শীত পড়লেই প্রশাসন ও শীত ঘুমে চলে যায়। বছর ভর সমস্ত বিভাগ একযোগে ডেঙ্গি মোকাবিলার কাজ চালিয়ে যাবে, এই সদিচ্ছার বড় অভাব। আর তার জন্য রাজ্যবাসীকে ভুগতে হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mominpur clash: ভোট বাক্সের রাজনীতি! মোমিনপুরের ঘটনায় চুপ কেন অভিষেক? প্রশ্ন অমিত মালব্যর

    Mominpur clash: ভোট বাক্সের রাজনীতি! মোমিনপুরের ঘটনায় চুপ কেন অভিষেক? প্রশ্ন অমিত মালব্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোমিনপুর হিংসায় (Mominpur clash) ভোট বাক্সের রাজনীতি করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। বিজেপি (BJP) আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য ট্যুইট করে এ নিয়ে খোঁচা দিয়েছন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন এত বড় ঘটনা যেখানে তিন জন আইপিএস অফিসার আক্রান্ত, আহত একাধিক পুলিশ কর্মী সেখানে কেন চুপ রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর ভাইপো?  ভোটব্যাঙ্ক সুরক্ষিত রাখতে তাঁরা কোনও গোষ্ঠীকে আড়াল করছেন? 

    প্রসঙ্গত, গত ১৩ই সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন আক্রান্ত হয়েছিলেন এক পুলিশকর্তা। সেই সময় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসএসকেএমে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি, তাঁর সঙ্গে দেখা করার পর এসএসকেএম চত্বরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন যে পুলিশ অনেক সংযত থেকেছে। তিনি থাকলে বিজেপি কর্মীদের মাথায় গুলি করতেন। তাহলে এখন প্রকৃত দোষীদের মাথায় গুলি করার কথা বলছেন না কেন অভিষেক ? প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এমনকি ওই ঘটনায় আক্রান্ত  সিএমআরআই-তে চিকিৎসাধীন অফিসারদের সঙ্গে দেখাও করতে যাননি কেউ। তবে কী নিজের গা বাঁচিয়ে চলছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? 

    আরও পড়ুন: একবালপুর-মোমিনপুর কাণ্ডের জেরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি, জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে

    উল্লেখ্য, আদালতের নির্দেশে রাজ্যের পাঠানো রিপোর্ট বিশ্লেষণের পর মোমিনপুর হিংসায় NIA-তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।  শুক্রবার রাতে ট্যুইট করে একথা জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী। মোমিনপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হওয়া মামলার শুনানিতে বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নেতৃত্বে রেখে সিট গঠন করে। কারা এই হামলায় যুক্ত তা খুঁজে বার করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে বলে আদালত। রাজ্যের তরফে জানানো হয়, এই ঘটনার রিপোর্ট নিয়ম মেনে কেন্দ্রকে পাঠিয়েছে তারা। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে মোমিনপুরে NIA তদন্ত প্রয়োজন কি না তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রের তরফে জানানো হল, NIA তদন্ত হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Manik Bhattacharya: মানিক ঘনিষ্ঠের টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারে ইডি! ভাঙা হল তালা, জানেন কী মিলল?

    Manik Bhattacharya: মানিক ঘনিষ্ঠের টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারে ইডি! ভাঙা হল তালা, জানেন কী মিলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মহিষবাথানে মানিক (Manik Bhattacharya) ঘনিষ্ঠের টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারে (Teachers Training Center) তল্লাশি চালাল ইডি। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে তালা ভেঙে ঢোকেন ইডির অফিসারেরা। ইডি (ED) সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের যোগ রয়েছে। সেই কারণেই অভিযান। 

    এদিন সকালে এক মহিলা অফিসার-সহ ইডির ছ-জন আধিকারিক মহিষবাথানের মিনার্ভা এডুকেশেন অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটিতে তদন্তে আসে। ওই ট্রেনিং সেন্টার চালাতেন মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি। ইডি যখন এদিন এখানে আসে তখন সেন্টারটি তালা বন্ধ ছিল। স্থানীয়দের কাছ থেকে ওই সেন্টারের একটি মোবাইল নম্বর নিয়ে ফোন করা হয়। কিন্তু কেউ ফোন তোলেননি। তখন স্থানীয় এক চাবিওয়ালাকে ডেকে এনে তালা ভাঙেন তদন্তকারীরা। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এরপর তল্লাশি চালায় ইডি।

    আরও পড়ুন: শুধু চাকরি নয়, অর্থের বিনিময়ে বিএড ডিগ্রিও বিক্রি করেছেন মানিক! অভিযোগ ইডির

    ইডি আধিকারিকরা জানতে পারেন যে সময়ে রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল ছিল, সেই সময় অর্থাৎ ২ মাস আগে আচমকাই এই সেন্টারের সামনের সাইনবোর্ড খুলে ফেলা হয়। কেন হঠাৎ করেই বন্ধ করে দেওয়া হল? তা নিয়ে বাড়ছে দ্বন্দ্ব। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি তৎপরতা বাড়তেই এই ট্রেনিং সেন্টার বন্ধ করা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান। আলিমারি থেকে যেমন নথি বের করে দেখা হচ্ছে, তেমনই সব ছবি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রচুর নথি মিলেছে। তা খতিয়ে দেখছে ইডি। এদিকে, এই ভাড়া নেওয়া সেন্টারের বাড়িওয়ালার দাবি প্রায় পাঁচ মাস ভাড়া বাকি রয়েছে। বাড়ির মালিকের কাছ থেকে এই সেন্টারের বিষয়ে সবরকম তথ্য সংগ্রহেরও চেষ্টা করে চলেছেন ইডির আধিকারিকরা। সেন্টারের মধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরার দিকেও নজর রেখেছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: মামলার পথে ১৪০০ চাকরি প্রার্থী! প্রাথমিক নিয়োগে অতীতে এত আবেদন জমা পড়েনি

    প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর এই ঘনিষ্ঠের খোঁজ পায় ইডি। তিনি যে টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার চালাতেন মহিষবাথানে, তা জানতে পেরেই হানা দেওয়া হয় এখানে। যে সমস্ত অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ হয়েছে, তাঁদের এখানেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে? এখান থেকেই কি নকল ওএমআর সিট তৈরি হয়েছে? এইসব প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Primary Teacher Recruitment: মামলার পথে ১৪০০ চাকরি প্রার্থী! প্রাথমিক নিয়োগে অতীতে এত আবেদন জমা পড়েনি

    Primary Teacher Recruitment: মামলার পথে ১৪০০ চাকরি প্রার্থী! প্রাথমিক নিয়োগে অতীতে এত আবেদন জমা পড়েনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি চাই, চাকরি! পশ্চিমবঙ্গের বেকার যুবক-যুবতীদের এটাই যেন এখন একমাত্র স্লোগান। টেট পাস করে মেরিট লিস্টে নাম থাকা সত্ত্বেও অনেকে চাকরি থেকে বঞ্চিত। আবার পাস না করেও চাকরি করছেন অনেকে। যোগ্য চাকরি প্রার্থীরা দিনের পর দিন ধর্না দিয়েছেন। আবেদন জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের কাছে। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। এবার তাই মামলার পথ বেছে নিলেন ১৪০০ চাকরি প্রার্থী। আরও ২০০০ চাকরি প্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন। প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় একদিনে কলকাতা হাইকোর্টে এক সঙ্গে এত আবেদন অতীতে জমা পড়েনি। তাই এটা এক নজিরবিহীন ঘটনা।

    আরও পড়ুন: ফের আইনি গেরোয় প্রাথমিকে নিয়োগ, বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা

    যাঁরা নতুন করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকেই ২০১৪ সালে প্রাইমারি টেট (Primary TET) পরীক্ষা দিয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই এই পরীক্ষায় যাঁরা বসেছিলেন, তাঁদের দু’বার নিয়োগও হয়েছে। ২০১৬ সালের পরীক্ষায় নিয়োগ হয়েছে চার বছর পর পর অর্থাৎ ২০২০ সালে। তবে মজার ব্যাপার হল, ২০২২ শেষ হতে চলল, কিন্তু ২০২০ প্রাইমারি টেট পরীক্ষার্থীরা এখনও চাকরি পাননি। আর সেই কারণেই এত সংখ্যক চাকরি প্রার্থী একসঙ্গে সুবিচারের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছেন।

    সব কিছু ঠিক থাকলে মঙ্গলবার অনিরুদ্ধ রায়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে পারে। তবে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২০২০ সালে প্রাথমিকে ১৬৫০০ পদ নিয়োগের পর শূন্য থাকা ৩৯২৯টি আসনও দ্রুত পূরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, বিচারপতি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, মেধা ও যোগ্যতার বিচারেই চাকরি দিতে হবে ৭ নভেম্বরের মধ্যে। ১১ নভেম্বর বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে হবে আদালতকে।

    আরও পড়ুন: টেট নিয়োগ ঘিরে ফের মামলা কলকাতা হাইকোর্টে, আইনি জটিলতায় থেমে যাবে না তো প্রক্রিয়া?

    এই রায়ের পরেই শ’য়ে শ’য়ে মামলা হচেছ কলকাতা হাইকোর্টে। চাকরি প্রার্থীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, ‘আমার কাছে প্রায় হাজার তিনেক আবেদন এসেছে। ইতিমধ্যে ১৪০০ মামলা দায়ের হয়েছে। আদলত অনুমতি দিলে বাকি মামলাও দায়ের করা হবে।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mominpur violence:  ওরা হিন্দুদের তাড়াতে চায়! মোমিনপুর-কাণ্ডে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Mominpur violence: ওরা হিন্দুদের তাড়াতে চায়! মোমিনপুর-কাণ্ডে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওনার সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে হাত পড়ে যাবে বলে তিনি দোষীদের আড়াল করছেন এমনই দাবি রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি বলেন, ‘ওরা মোমিনপুর, ইকবালপুর এবং খিদিরপুর থেকে হিন্দুদের তাড়িয়ে দিতে চায় । এটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি। যেহেতু হিন্দু ভোট বিজেপির দিকে যাচ্ছে তাই মুখ্যমন্ত্রী হুমকি দিয়ে এবং সাম্প্রদায়িক প্রচার করে সংখ্যালঘু ভোট নিচ্ছেন ।’

    আরও পড়ুন: একবালপুর-মোমিনপুর কাণ্ডের জেরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি, জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে

    প্রসঙ্গত, গত ৯ অক্টোবর লক্ষ্মীপূজোর রাতে মোমিনপুর এলাকায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। বোমাবাজি,ইঁটবৃষ্টির পাশাপাশি বাড়িঘর,বাইক ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ কিছুই বাদ যায়নি। এমনকি এক সম্প্রদায়ের লোকজন ইকবালপুর থানা ঘেরাও করেছিল। দুই আইপিএস-সহ ৯ পুলিশকর্মী পর্যন্ত আহত হয়েছিলেন। এরপরই মোমিনপুরে হিংসা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং রাজ্যপাল লা গণেশনকে চিঠি লিখেছিলেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুন: হাত রয়েছে আল কায়দা ও আইসিসের! মোমিনপুরের ঘটনায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    শুক্রবার সাংবাদিক মানব গুহকে গ্রেফতার করার প্রতিবাদও জানান রাজ্যের বিরোধী নেতা। হিংসার মুহুর্তের ভিডিও পোস্ট করার অপরাধে সোশ্যাল মিডিয়া সাংবাদিক মানব গুহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । পুলিশের দাবি,এই ধরনের ভিডিও সমাজে আরও উত্তেজনা ছড়াতে পারত । কিন্তু পুলিশের এই ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার না করে যাঁরা সমাজের সামনে সত্য তুলে ধরছেন তাঁকে আটক করছে পুলিশ। উল্লেখ্য, মোমিনপুরের ঘটনার পরেই পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছিল রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। মোমিনপুরে তাণ্ডবের বিরুদ্ধে দু’টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে উচ্চ আদালতে (Calcutta High Court)। সেই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া  হয়েছে, রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের নেতৃত্বে সিট গঠন করা হবে। উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত চালাতে হবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। কারা তাণ্ডব চালিয়েছে তা ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিটের আধিকারিকদের। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। সংরক্ষণ করতে হবে ভিডিও ফুটেজ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Dr. Dilip Mahalanabis: প্রয়াত ওআরএস- এর জনক চিকিৎসক দিলীপ মহলানবিশ

    Dr. Dilip Mahalanabis: প্রয়াত ওআরএস- এর জনক চিকিৎসক দিলীপ মহলানবিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত ওআরএস- এর উদ্ভাবক ডা. দিলীপ মহলানাবিশ (Dr. Dilip Mahalanabis)। শনিবার রাতে ইএম বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই বিশিষ্ট চিকিৎসক। বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। শনিবার রাতে, কলকাতার ইএম বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। 

    ১৯৭১ সাল থেকে ভারত-বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে অন্তত ৭ কোটিরও বেশি মানুষের প্রাণ রক্ষা করেছে তাঁর তৈরি ওআরএস। বেশিরভাগই শিশু। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের সময় শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ কলেরা মহামারি দেখা দেয়। সেই সময় এই রোগের একমাত্র চিকিৎসা ছিল স্যালাইন দেওয়া। কিন্তু স্যালাইনের ভয়ঙ্কর ঘাটতি দেখা যায়। উপায় না দেখে, জনস হপকিন্স ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর মেডিকেল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের সহায়তায়, ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন বা ওআরএস তৈরি করেছিলেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ তথা ক্লিনিক্যাল বিজ্ঞানী ডা. দিলীপ মহলানাবিশ।

    আরও পড়ুন : বলিউডের পর আবার টলিউডেও ‘মি টু’ ঝড়, অভিযুক্ত উঠতি পরিচালক  

    পরে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে ডা. দিলীপ মহলানবিশ বলেছিলেন, “বনগাঁ হাসপাতালের দুটি ঘরের মেঝেতে গুরুতর অসুস্থ কলেরা রোগীরা পড়েছিলেন। এদের ইন্ট্রাভেনাস স্যালাইন দিয়ে চিকিত্সা করার জন্য আক্ষরিক অর্থে তাদের মল, মূত্র এবং বমির মধ্যে হাঁটু গেড়ে বসে থাকতে হয়েছিল। সেখানে পৌঁছানোর ৪৮ ঘন্টার মধ্যে, আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, আমরা যুদ্ধে হেরে যাচ্ছি। কারণ সেখানে পর্যাপ্ত স্যালাইন ছিল না। আমার দলের মাত্র দুই সদস্যকে আইভি তরল দেওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল।” 

    ওআরএস ব্যবহারের ফলে দু সপ্তাহের মধ্যে সেই শিবিরগুলিতে মৃত্যুর হার ৩০ শতাংশ থেকে ৩.৬ শতাংশে নেমে আসে। কীভাবে লবণ এবং গ্লুকোজ মিশিয়ে ওআরএস তৈরি করা হয়, তার বর্ণনা একটি গোপন বাংলাদেশী রেডিও স্টেশনে সম্প্রচার করা হয়েছিল। 

    চিকিৎসা শাস্ত্রে তাঁর অবদানের জন্য, ১৯৯৪ সালে, রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সের সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন ডা. মহলানবিশ। ২০০২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পোলিন পুরস্কার, ২০০৬ সালে থাইল্যান্ড সরকারের কাছ থেকে প্রিন্স মাহিদোল পুরস্কার পেয়েছিলেন। ২০১৭ সালে, তাঁর উপার্জিত অর্থের একটা বড় অংশ তুলে দেন পার্ক সার্কাসের ইন্সস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথের হাতে। সেখানেই গবেষক-চিকিৎসক হিসাবে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়েছিল তাঁর। গবেষণার বেশিরভাগটাই তিনি করেছিলেন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের একটি ঘরে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Anubrata Mondal:  চাঁদা দিয়ে কেষ্ট-র কালী আরাধনা বজায় রাখবে বীরভূম জেলা তৃণমূল! জানেন কীভাবে?

    Anubrata Mondal: চাঁদা দিয়ে কেষ্ট-র কালী আরাধনা বজায় রাখবে বীরভূম জেলা তৃণমূল! জানেন কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাড়ম্বরে পার্টি অফিসে কালীপুজো করতেন বীরভূম জেলা তৃণমূল  সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এবছর কালীপুজো ২৪ অক্টোবর। গরু-পাচার মামলায় অনুব্রতকে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজির করানোর কথা ২৯ তারিখ। অতএব দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজোও হয়ত জেলেই কাটবে কেষ্টর। তবে অনুব্রত জেলে থাকলেও পুজো হবে, জানিয়েছেন বীরভূম জেলার তৃণমূলের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়। তবে যে পুজোয় লাখ লাখ টাকা উড়ত, কোটি কোটি টাকার গয়না দেবীকে চড়ানো হতো, সেই পুজো কিনা হবে চাঁদা তুলে!

    আরও পড়ুন: নানারকমের সোনার অলঙ্কারই অনুব্রতের কালী প্রতিমার বৈশিষ্ট্য! জানেন কী কী রয়েছে সেই তালিকায়?

    পুজোর খরচ জোগাড় হবে কী ভাবে তাও জানিয়ে মলয় বলেন, ‘জেলায় মোট ১৫০ জন সদস্য আছেন। তাঁরা প্রত্যেকে এক হাজার টাকা করে চাঁদা দেবেন। ফলে মোট দেড় লক্ষ টাকা উঠবে। সেই টাকায় পুজো ও মায়ের ভোগ হবে।’ পুজো জাঁকজমক করে হবে বলেই জানান তিনি। ১৯৮৮ সাল থেকে শুরু হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলের কালীপুজো। এবার সেই পুজো পা দিল ৩৫তম বছরে। পুজোয় দেবীর কাছে কেষ্ট-দার জন্য প্রার্থনা করবেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। ‘মা তো সব কথাই শোনেন’…। তবে, অনেকের প্রশ্ন বেআইনিভাবে যে কোটি কোটি টাকা নিজের পকেটে  পুড়েছেন অনুব্রত,ভয় দেখিয়ে বা জোড় করে যে দুর্নীতির টাকা আত্মসাৎ করেছেন, তার কী হবে? ‘মা কী তা দেখেননি?’ 

    আরও পড়ুন: ৮ বছরে আয় বেড়েছে প্রায় ১৭৫ গুণ! অনুব্রত কন্যা সুকন্যার আয়কর রিটার্ন চমকে দেবে আপনাকেও

    কালীপুজোর দিন অবাধে পার্টি অফিসে প্রতিমা দর্শনে আসেন সাধারণ মানুষ। রাতে খাওয়ানো হয়। কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক এবং সাধারণ মানুষ প্রসাদ গ্রহণ করেন। এলাকায় এই পুজো কেষ্ট-র কালী নামেই পরিচিত। এই পুজোর জৌলুস এবং প্রতিমার গয়না নিয়েও কথা উঠেছিল। বীরভূমে তারাপীঠ, কঙ্কালীতলা-সহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠিত মন্দির রয়েছে। জেলায় সতীপীঠও রয়েছে। তবু কেষ্ট-র কালী প্রতিমাতেই কেন গয়নার সম্ভার চোখে পড়ে তা-নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধী শিবির। চাঁদা তুলে তৃণমূলের এই পুজো করা নিয়েও কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sukanya Mondal: এবার কেষ্টকন্যা সুকন্যাকে দিল্লিতে তলব ইডির

    Sukanya Mondal: এবার কেষ্টকন্যা সুকন্যাকে দিল্লিতে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মেয়ে সুকন্যাকেও (Sukanya Mondal) দিল্লিতে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর আগে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গলকেও দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করার চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আগামী ২৭ অক্টোবর ইডির সদর দফতরে তলব করা হয়েছে তাঁকে। অনুব্রতর বাড়ি থেকে পাওয়া নথি এবং সায়গলকে জেরা করে অনেক তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। 

    আরও পড়ুন : দুরন্ত এক্সপ্রেসে ডাকাতি! বিহারে বন্দুকের মুখে সব হারালেন যাত্রীরা

    গোয়েন্দাদের দাবি, গরুপাচার মামলার টাকা থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছিলেন অনুব্রতকন্যাও। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সুকন্যা মণ্ডলের সঙ্গে বোলপুরের বাড়িতে দেখা করতে গেলেও তিনি তদন্তকারী অফিসারদের সহযোগিতা করেননি বলে অভিযোগ ৷ গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষীকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে ইডি। এর মাঝেই সুকন্যাকেও দিল্লিতে তলব করায় জল্পনা বাড়ছে। জানা গিয়েছে, এখন রাজ্যে নেই কেষ্ট-কন্যা। ব্যক্তিগত কাজে অনুব্রতের মেয়ে রাজ্যের বাইরে গিয়েছেন। সূত্রের খবর, তাঁর এক ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর চিকিৎসা করাতে চেন্নাই গিয়েছেন সুকন্যা।  

    আরও পড়ুন : নানারকমের সোনার অলঙ্কারই অনুব্রতের কালী প্রতিমার বৈশিষ্ট্য! জানেন কী কী রয়েছে সেই তালিকায়? 

    এই মামলাতেই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়া অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে হেফাজতে নিয়েছে ইডি। গোয়েন্দারা চেয়েছিলেন, দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে। কিন্তু আদালত অনুমতি দেয়নি। নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে গিয়েছিল ইডি। কিন্তু উচ্চ আদালতও ইডির আর্জি খারিজ করে দিয়ে বলেছে, দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার কী প্রয়োজন? কলকাতায় কি ইডির অফিস নেই?  

    এবার প্রশ্ন সুকন্যা কি আদেও ইডির ডাকে সারা দিয়ে দিল্লি যাবেন? নাকি নিজের বাবার পথে হেঁটেই  গোয়েন্দাদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তলবে সাড়া দেবেন না। এখন সবার নজর সেই দিকেই। 

    প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। সুকন্যা মণ্ডলের সম্পত্তিও এখন সিবিআই স্ক্যানারে। সুকন্যার আয়ের সঙ্গে সম্পত্তির কোনও সঙ্গতি নেই বলেও দাবি করেছেন গোয়েন্দারা। তাই তাঁর সঙ্গে কথা বলা জরুরি বলে মনে করছে ইডি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     
LinkedIn
Share