Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Mominpur: ৪ ঘণ্টা পর মুক্তি পেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি, লালবাজার থেকে সরাসরি গেলেন সিএমআরআই-এ

    Mominpur: ৪ ঘণ্টা পর মুক্তি পেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি, লালবাজার থেকে সরাসরি গেলেন সিএমআরআই-এ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোমিনপুরের উদ্দেশে বেরিয়েছিলেন, কিন্তু চিংড়িঘাটার কাছে আটক করা হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar)। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল লালবাজারে। তারপর সন্ধ্যাবেলায় ছাড়া পেলেন তিনি। এরপরেই তিনি সরাসরি চলে যান সিএমআরআই-এ। সংঘর্ষে আহত হয়েছিলেন কয়েকজন। আর তাঁদের দেখতেই পৌঁছে যান সুকান্ত মজুমদার। চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলার জন্য লালবাজার থেকে সরাসরি যান হাসপাতালে। অন্যদিকে সুকান্ত মজুমদারের আগেই হাসপাতালে পৌঁছে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    আরও পড়ুন: মোমিনপুর যাওয়ার পথে চিংড়িঘাটায় গ্রেফতার সুকান্ত মজুমদার, নিয়ে আসা হল লালবাজার

    এদিন সুকান্ত মজুমদার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মোমিনপুরের ঘটনা নিয়ে তোপ দাগেন। এমনকি মমতার পদত্যাগের দাবি তুলে সরব হন তিনি। পাশাপাশি কলকাতা পুলিশকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। রাজ্য পুলিশকে ‘অপদার্থ’ বলে আখ্যা দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “এরাজ্যের নাগরিকদের নিরাপত্তা কোথায়?” তিনি রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, গত ২ দিন ধরে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে মাত্র ৩ কিমি দূরে খিদিরপুর সংলগ্ন এলাকায় দুষ্কৃতি দ্বারা তাণ্ডব চলেছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন সাধারণ মানুষ। ফলে এরাজ্যের নাগরিকদের নিরাপত্তা কোথায়? মহিলাদের সুরক্ষা কোথায়? ফলে প্রথম থেকেই রাজ্যের বিরোধী দল মোমিনপুরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন ও এই পরিস্থিতির জন্য শাসক দলকেই কটাক্ষ করেছেন।

    অন্যদিকে আজ সুকান্ত মজুমদারকে গ্রেফতারির প্রতিবাদে শহরের পাশাপাশি জেলায় জেলায় বিক্ষোভে নামেন বিজেপির কর্মীরা। মুরলীধর সেন লেন, এমজি রোড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে বিক্ষোভে রাস্তায় নামেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। গ্রেফতারির প্রতিবাদ ও রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা অবনতির অভিযোগে মুরলীধর সেন লেন থেকে বিজেপির মিছিল বের হয়। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ আটকে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বিজেপি নেতা-কর্মীরা। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ছিলেন কাউন্সিলর সজল ঘোষও। এদিকে মোমিনপুরের ঘটনার প্রতিবাদে এদিন রাজভবনে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্যান্যরা। সেখান থেকে ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হন তাঁরা। এরপর লালবাজারে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    প্রসঙ্গত, শনিবার থেকে উত্তপ্ত মোমিনপুর। আজ সেখানেই যাচ্ছিলেন সুকান্ত মজুমদার। যাওয়ার পথেই আটক করা হয়েছিল তাঁকে ও লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও পরে তাঁকে সন্ধ্যাবেলায় ছেঁড়ে দেওয়া হয়। আবার মোমিনপুরের ঘটনার পর রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে, এর ফলে রাজ্যপাল এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

  • SSC Scam: ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যা কত জানতে ফের বৈঠকে বসছে এসএসসি

    SSC Scam: ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যা কত জানতে ফের বৈঠকে বসছে এসএসসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ভুয়ো শিক্ষক খুঁজতে বৈঠক ডাকল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। ১৮ অক্টোবর বিকেল পাঁচটায় ওই বৈঠক হবে। গ্রপ সি, গ্রুপ ডি ও নবম দশমে ভুয়ো শিক্ষকের প্রকৃত শিক্ষকের সংখ্যা কত, তা খুঁজে বের করতেই হবে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও মামলাকারীদের আইনজীবীরা। ভুয়ো নিয়োগের (SSC Scam) সংখ্যা খুঁজে বের করে নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে হাইকোর্টে (High Court)।

    ব্যাপক কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছিল এসএসসির নিয়োগে (SSC Scam)। তার জেরে হয় মামলা। তদন্তে নামে সিবিআই। সিবিআইয়ের রিপোর্টের ভিত্তিতে আদালত জানিয়েছে, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রচুর সাদা উত্তরপত্র জমা পড়েছিল। কোনও কোনও উত্তরপত্রে মাত্র পাঁচ-ছটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছিল। একই ঘটনা ঘটেছিল গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে কমিশন এবং পর্ষদকে বৈঠকের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন, কতজনকে বেআইনিভাবে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছে এবং কতজন অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছেন, সিবিআইয়ের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে কমিশনকে সেই সংখ্যা খুঁজে বের করতে হবে। ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মামলাকারীদের আইনজীবীরাও।

    আরও পড়ুন: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে মাস্টারমাইন্ড পার্থই, কী বলছে সিবিআই চার্জশিট?

    নবম দশমে ঘুরপথে কতজন চাকরি পেয়েছেন, তা খুঁজে বের করতে গত মাসের শেষের দিকে একবার ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছিলেন কমিশন, পর্ষদ ও মামলাকারীদের আইনজীবীরা। কমিশনের তরফে হাজির ছিলেন চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারও। ওই বৈঠকে ১৩ হাজার নামের তালিকা দিয়েছিল পর্ষদ। সেই তালিকার ভিত্তিতে রিপোর্ট তৈরি করেছিল কমিশন। ওই রিপোর্টই পেশ করা হয়েছিল হাইকোর্টে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই বৈঠক ডাকার নির্দেশ দেয় আদালত। আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত ও ফিরদৌস শামিম জানান, তদন্তে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দেওয়া ভুয়ো নিয়োগ (SSC Scam) সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছে সিবিআই (CBI)। ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যাটা ঠিক কত, তা খুঁজে বের করাই উদ্দেশ্য এই বৈঠকের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Manik Bhattacharya: সুপ্রিম কোর্টেও রক্ষা মিলল না! আগামী কয়েকদিন ইডির হেফাজতেই মানিক ভট্টাচার্য

    Manik Bhattacharya: সুপ্রিম কোর্টেও রক্ষা মিলল না! আগামী কয়েকদিন ইডির হেফাজতেই মানিক ভট্টাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জোর ধাক্কা খেলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টচার্য  (Manik Bhattacharya)। আপাতত তাঁকে ইডির (ED) হেফাজতেই থাকতে হবে। মঙ্গলবার তৃণমূল বিধায়ককে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গতকালই তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদলতে তোলা হয়েছিল। ইডির গ্রেফতারি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মানিকের আইনজীবী। কিন্তু আবেদেন সাড়া দিল না দেশের সর্বোচ্চ আগালত। মানিকের আইনজীবী মুকুল রোহতগি মামলার দ্রুত শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। কিন্তু বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর ডিভিসন বেঞ্চ তাতে সাড়া দেয়নি। ইডিকে এই মামলায় নোটিস দিতে বলেছে সর্বোচ্চ আদালত। আগামী সোমবার শুনানি হতে পারে।

    আরও পড়ুন: মহিষবাথানে মানিক ভট্টাচার্যের গোপন অফিসের খোঁজ! কী হত সেখানে?

    রাজ্যে শিক্ষা ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করেছিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা যাতে তাঁকে এই মামলায় গ্রেফতার করতে না পারে, তার জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মানিকের আইনজীবী। রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন তিনি। যা বহাল ছিল পুজো পর্যন্ত। কিন্তু ইডির ক্ষেত্রে এই নির্দেশ বলবত হয়নি। তাই মঙ্গলবার ম্যারাথন জেরায় মানিক ভট্টাচার্য তদন্তে অসহযোগিতা করছে, এই অভিযোগ তুলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে গ্রেফতার করে ইডি। তখন মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী দাবি করেছিলেন, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তাঁর মক্কেলকে বেআইনিভাবে গ্রেফতার করেছে। মানা হয়নি সুপ্রম কোর্টের রায়। এই যুক্তি সামনে রেখেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানেও জোর ধাক্কা খেলেন মানিক ভট্টাচার্য।

    আরও পড়ুন: কিংপিন মানিকের আমলেই ৫৮ হাজার বেআইনি চাকরি, চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির

    তদন্তে ইতিমধ্যেই মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধ আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার বহু প্রমাণ পেয়েছে ইডি। তাঁর ছেলেও এই কুকর্মের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের। কারণ, মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখার সময় ইডি আধিকারিকরা বিপুল পরিমাণ টাকার বেশি হদিশ পেয়েছেন। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার জাল মানিক ভট্টাচার্যের মাধ্যমেই বিছানো হয়েছিল বলে অনুমান গোয়েন্দাদের। কারণ, মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে পাঁচশোর বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গ যুক্ত ছিলেন। যার বিনিময়ে তিনি ৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছিলেন বলে খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mominpur Ekbalpur: মোমিনপুর-একবালপুর কাণ্ডে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের

    Mominpur Ekbalpur: মোমিনপুর-একবালপুর কাণ্ডে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোমিনপুর ও একবালপুর (Mominpur Ekbalpur) এলাকায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ সংক্রান্ত মামলায় (Ekbalpur Mominpur Case) বেলা ২টোর মধ্যে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে সরব হয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দল। এবারে বুধবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিচারপতিও। এই ধরনের হিংসাত্মক ঘটনায় এনআইএ-কে (NIA) কেন জানানো হয়নি, সেই প্রশ্ন তোলে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ।

    মোমিনপুর-একবালপুর (Mominpur Ekbalpur) ঘটনার জেরে গতকাল আদালতের দ্বারস্থ হন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। এর পাশাপাশি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করা হয়। ফলে এইসব মামলার শুনানি হয় আজ। তখনই মোমিনপুর সংঘর্ষ সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্ন তোলে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। প্রথমেই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এদিন কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে কটাক্ষ করে বলেন, এলাকা থেকে যে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে, রাজ্য পুলিশ সে ব্যাপারে কী তদন্ত করেছে বা অন্যান্য কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তা জানাতে হবে আদালতকে। এর পাশাপাশি প্রশ্ন করা হয়েছে, বোমাবাজি হওয়া সত্ত্বেও কেন এখনও পর্যন্ত এনআইএ-র ধারায় মামলা রুজু করা হয়নি? ফলে এইসব প্রশ্ন করে পুলিশ এবং রাজ্য সরকারের থেকে জবাব চায় আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আজ বেলা ২টোর সময়।

    এই ঘটনার জল (Mominpur Ekbalpur) আদালত পর্যন্ত গড়ালে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট। এই রিপোর্টে জানাতে হবে, জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, ক্ষতিপূরণ নিয়ে কী চিন্তাভাবনা করেছে রাজ্য এবং সেই এলাকার শান্তি, সম্প্রীতি ফেরাতে কী করা হচ্ছে? এখানেই শেষ নয়, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে তলবেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে আদালত। নির্দেশ না মানলে ডাকা হতে পারে তাঁকেও, এমনই তথ্য জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: একবালপুর-মোমিনপুর কাণ্ডের জেরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি, জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে

    প্রসঙ্গত, মোমিনপুর-একবালপুর (Mominpur Ekbalpur) ঘটনায় জোড়া মামলা দায়ের করা হয়। এক হলেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দও ও অপরজন নবেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন আদালতে আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত বলেন, “৮ তারিখ থেকে ঝামেলা শুরু হয়েছে। বস্তিতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি ঘটনার দিন গিয়েছিলাম আক্রান্ত এলাকায়। ময়ুরভঞ্জ এলাকায় যে বস্তি রয়েছে, সেখানে কোনও পুলিশের নিরাপত্তা ছিল না। শুধুমাত্র কয়েকজন লাঠি হাতে পুলিশ সেখানে ছিলেন।” অপর পিটিশনার নবেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, “কার্নিভালের জন্য রেড রোডে বিরাট আয়োজন করা হল কার্নিভালের। তারই পাশে এই পরিস্থিতি, তবুও পুলিশ কিছু করতে পারল না?”

    এছাড়াও পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ঘটনায় এপর্যন্ত ৪২ জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আরও ৩৫ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। নোটিস পাঠিয়ে ৪১ জনকে সতর্ক করা হয়েছে। অশান্তির ছবি ছড়ানোর জন্য ৮০টি ভিন্ন ভিন্ন মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারাও। ফলে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে বলে দাবি করেছে প্রশাসন।

  • Bangladesh Border: সক্রিয় পাচার চক্র! বিএসএফের গুলিতে পাচারকারীর মৃত্যু, উদ্ধার শতাধিক গরু-মোষ

    Bangladesh Border: সক্রিয় পাচার চক্র! বিএসএফের গুলিতে পাচারকারীর মৃত্যু, উদ্ধার শতাধিক গরু-মোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলায় জেলায় সক্রিয় গরু পাচার (Cattle Smuggling) চক্র! অব্যাহত গরু পাচার। নদিয়ায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে (Bangladesh Border) বিএসএফের (BSF) সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে এক বাংলাদেশি পাচারকারীর। সোমবার দুপুর পর্যন্ত জানা যায়নি মৃতের পরিচয়। এদিকে, পুরুলিয়া-বাঁকুড়ার সীমানায় পাচারের সময় আটক শতাধিক গরু ও মোষ। গ্রেফতার করা হয় গাড়ির চালক ও খালাসি সহ মোট ৫০ জনকে।

    এদিন নদিয়ায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের (Bangladesh Border) বিষ্ণুপুর এলাকায় টহল দিচ্ছিল বিএসএফ। টহলদার জওয়ানদের নজরে আসে রাতের অন্ধকারে বাংলাদেশে পাচার হচ্ছে গরু। বাধা দেন বিএসএফের জওয়ানরা। এর পরেই আক্রমণ করে পাচারকারীরা। পাল্টা গুলি চালায় বিএসএফও। মৃত্যু হয় এক বাংলাদেশি পাচারকারীর। অন্ধকারের সুযোগে গা ঢাকা দেয় বাকিরা। পাচারকারীদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।

    এদিকে, রবিবার দুপুরের পর ফের সন্ধে। আবারও উদ্ধার হল পাচার হতে যাওয়া গরু। এদিন দুপুরে আসানসোলের মাইথন থানার পুলিশ পাঁচটি গরু সহ একটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে। এদিনই রাতে গরু-মোষ উদ্ধার হয় পুরুলিয়ায়। পুরুলিয়ার হুড়ার কাছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে ২৭টি গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল গবাদি পশুগুলিকে। ঘটনাটি নজরে পড়ে যুব তৃণমূলের কয়েকজন সদস্যের। হাতেনাতে ধরা হয় পাচারকারীদের। সব মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয় ৫০ জনকে। উদ্ধার হয় শতাধিক গরু-মোষ। তার আগেই মৃত্যু হয়েছে ৮টি বাছুরের। পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, জেলায় কিছু কিছু বেআইনি কাজকর্ম চলছে। যুব তৃণমূলের ছেলেরা তৎপরতার সঙ্গে ২৭টি গরু ভর্তি গাড়ি ধরেছে। এসব কাজে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। তাই আমরা নিজেরাই তা ধরতে নেমেছি।

    আরও পড়ুন : গরু পাচারকাণ্ডে এবার বেসরকারি ব্যাংক কর্তাদের তলব সিবিআইয়ের! কী জানতে চাইল তারা?

    চলতি বছরেরই ২৩ অগাস্ট রাতে এই ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে একটি নামী দুধের কোম্পানির কন্টেনারে করে পাচার করা হচ্ছিল গরু। গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় ফাঁস হয়ে যায় পাচারচক্রের পর্দা। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তিনজনকে। পাচার রুখতে কড়া ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন। তার পরেও নিরাপত্তার ফোকর গলে যে পাচার চলছে, এদিনের ঘটনায় তার প্রমাণ মিলল ফের একবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mominpur Violence: সেদিনও ছিল ১০ অক্টোবর কোজাগরীর রাত, মোমিনপুরের ঘটনা উস্কে দিল নোয়াখালির স্মৃতি

    Mominpur Violence: সেদিনও ছিল ১০ অক্টোবর কোজাগরীর রাত, মোমিনপুরের ঘটনা উস্কে দিল নোয়াখালির স্মৃতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেদিনও ছিল কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর (Kojagori Lakshmi Puja) দিন। পূর্ণিমার চাঁদের আলো সুপারি গাছের উপর পড়ে সম্পূর্ণ পরিবেশটা আলো-আবছায়া করে তুলছিল। কোজাগরী জ্যোৎস্নার স্নিগ্ধতা, উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনির তাল কাটলো পাকিস্তানের উত্তাল দাবির স্লোগানে। ১০ অক্টোবর ১৯৪৬ নোয়াখালি দাঙ্গা (1946 Noakhali riots) ইতিহাসে স্থান পেয়েছে। গতকালও ছিল কোজাগরী পূর্ণিমা। নোয়াখালির ঘটনার ৭৬ বছর অতিক্রান্ত হল আজ। 

    এরমধ্যে দুই বাংলার বিভিন্ন ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার ঘটনা আমাদের নজরে এসেছে নানান সময়ে। ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার কারণেই ১৯৫০ সালের ৮ অক্টোবর পাকিস্তানের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন সেদেশের একমাত্র সংখ্যালঘু মন্ত্রী যোগেন মণ্ডল। শরণার্থী হিসেবে তাঁকে আশ্রয় নিতে হয় পশ্চিমবঙ্গে। ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার জন্যই পূর্ব পাকিস্তানের অসংখ্য সংখ্যালঘু হিন্দুকে বারবার শরণার্থী হয়ে আসতে হয়েছে এই ভারত ভূখণ্ডে। 

    ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ অবধি কিংবা তারপরেও খুব একটা বদলায়নি চিত্রটা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের (১৯৭১ সাল) সময় সেদেশের রাজাকার এবং পাকিস্তানি সৈন্যদের আক্রমণে তছনছ হয়েছে ঢাকার রমনা কালী মন্দির, যেটাকে বলা হতো ‘Largest Landmark of Dhaka’। ওই বছরেই ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে অজস্র শরণার্থী আসতে বাধ্য হন পশ্চিমবঙ্গে। বিগত বছরগুলোতে পশ্চিমবঙ্গের বেশকিছু ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার ঘটনা নিশ্চয়ই আমাদের অগোচরে যায়নি।

    আরও পড়ুন: গোষ্ঠী হিংসা রাজ্যে খুবই সাধারণ হয়ে উঠেছে! মোমিনপুর-কাণ্ডে মমতার সরকারকে দুষলেন অমিত মালব্য

    এক ঝলকে এরাজ্যে সাম্প্রতীককালে ঘটে যাওয়া কয়েকটি সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনাবলি—

    ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল করাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয় উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা। 

    ২০১৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং অঞ্চলের অন্তর্গত ঘুটিয়ারি শরিফের একজন ইমাম জয়নগরের জামতলায় ধার্মিক অনুষ্ঠান শেষ করে বন্ধুদের সঙ্গে মোটরসাইকেল করে আসছিলেন। রাত প্রায় ২টা নাগাদ নোলিয়াখলির পথে তাঁদের থামানো হয় ও টাকা লুণ্ঠন করে গুলি করে মারা হয়। পুলিশ রিপোর্ট অনুযায়ী, এক অজ্ঞাত বন্দুকধারী কয়েক লক্ষ টাকা লুঠ করে ইমামকে গুলি করে। এই ঘটনায় ক্যানিংয়ের সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট হয় এবং দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্মীয় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে।

    ২০১৫ সালের মে মাসে ধর্মীয় হিংসায় উত্তপ্ত হয় নদিয়া জেলার কালিয়াগঞ্জ। পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলির জামালপুরের বুড়োরাজ তলা শিব ভক্তদের তীর্থস্থান বলে গণ্য হয়। সেখান থেকে শিব ভক্তদের শোভাযাত্রা, জুরানপুরের মজসিদের সামনে পৌছাঁনোর সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং ধর্মীয় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে।

    আরও পড়ুন: মোমিনপুরের ঘটনায় শাহকে চিঠি শুভেন্দুর! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি বিরোধী নেতার

    ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে ব্যাপক উত্তপ্ত হয় মালদা জেলার কালিয়াচক। বর্তমানে প্রয়াত, তৎকালীন হিন্দু মহাসভার নেতা কমলেশ তেওয়ারির মন্তব্যের বিরোধিতা করে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে এক গোষ্ঠীর মানুষ। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই বিক্ষোভ ধর্মীয় হিংসার আকার নিয়ে নেয়‌।

    ২০১৬ এর ডিসেম্বরেই হাওড়া জেলার ধুলাগড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল ধর্মীয় হিংসা। একপক্ষের ধর্মীয় শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে।

    ২০১৭ এর জুলাই মাসে বসিরহাটের ধর্মীয় অশান্তি ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল। এক নাবালকের ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করেই এই অশান্তি শুরু হয়েছিল বলে জানা যায়।

    ২০১৮ সালে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলে রামনবমীর ঠিক পরেই ধর্মীয় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে।

    আরও পড়ুন: উত্তপ্ত মোমিনপুর! বাইক ভাঙচুর, দোকানে আগুন, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ বিজেপির

    ২০১৯ সালে ডিসেম্বরে নাগরিকত্ব আইন সংসদে পাশ হওয়ার পরে, পশ্চিমবঙ্গের মালদা মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, নদিয়া সমেত একাধিক জায়গায় অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে।

    ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসার কয়েকটি ঘটনা ধর্মীয় হিংসার রূপ নিয়েছিল।

    ২০২২ সালে বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার মন্তব্যকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গের কিছু জায়গায় ধর্মীয় অশান্তি ছড়িয়েছিল বলেই জানা যায়।

  • mominpur-ekbalpur-clash: মোমিনপুরের ঘটনায় শাহকে চিঠি শুভেন্দুর! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি বিরোধী নেতার

    mominpur-ekbalpur-clash: মোমিনপুরের ঘটনায় শাহকে চিঠি শুভেন্দুর! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি বিরোধী নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) জামানায় বাংলার মাটিতে কোনও মানুষই সুরক্ষিত নন। তার আরও একটা প্রমাণ মিলল রবিবার লক্ষ্মীপুজোর দিন দক্ষিণ কলকাতার মোমিনপুরের (mominpur) ঘটনায়। সাম্প্রদায়িক হিংসার (ekbalpur-clash) আগুনে ছারখার হল বহু দোকান। জ্বালিয়ে দেওয়া হল বাইক। যা শিউরে ওঠার মতোই ঘটনা। স্বাভাবিকভাবেই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। এই ঘটনার বিরুদ্ধে সরব বিজেপি নেতারা। সুকান্ত মজুমদার থেকে শুভেন্দু অধিকারি, দিলীপ ঘোষ সকলেই ট্যুইটারে তীব্র নিন্দা করেছেন। একই সঙ্গে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। অবিলম্বে মোমিনপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিও তুলেছেন তিনি।

    শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইট করে লেখেন, ‘ইকবালপুর থানা দখল হয়ে গিয়েছে। ভয়ে থানা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে মমতার পুলিশ। কলকাতার পুলিশ কমিশনার ও রাজ্যের মুখ্যসচিব কোনও কাজের না। তাই অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা দরকার। সেই আবেদনই আমরা করেছি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে।।’

    আরও পড়ুন: আরও বিপাকে অনুব্রত! ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ সিবিআই, কী রায় দেবে আদালত?

    সোমবার সকালে শুভেন্দু ফের ট্যুইট করেন। তিনি বলেন, আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর পাশাপাশি চিঠি লিখেছি রাজ্যপাল লা গণেশনকে। পুরো পরিস্থিতি তুলে ধরেছি। মোমিনপুরের ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে। ইকবালপুর থানায় লুটপাট ঠেকাতে ব্যর্থ পুলিশ। তারা কীভাবে সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দেবে। তাই কেন্দ্রীয়বাহিনী মোতায়েন করা ছাড়া কোনও উপায় নিয়ে। পরিস্থিতি হাতে বাইরে চলে যাওয়ার আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Saigal Hossain: সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় ইডি, আবেদন হাইকোর্টে

    Saigal Hossain: সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় ইডি, আবেদন হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) আসানসোলের সংশোধনাগারে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এবার সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় ইডি। কলকাতা হাইকোর্টে সে বিষয়ে আবেদনও করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। 

    প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ইডির অফিসাররা আসানসোল সংশোধনাগারে গিয়ে সায়গলের (Saigal Hossain) সঙ্গে দেখা করেন। সেখানেই দীর্ঘ চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ চলে। তদন্তে সহযোগীতা না করার অভিযোগে সংশোধনাগারেই সায়গলকে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা। ইডির সায়গলকে হেফাজতে নেওয়ার আর্জি মঞ্জুর হলেও, তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার আর্জি খারিজ করে দেয় আসানসোলের সিজেএম আদালত। তারপর আরও কয়েক দফায় এই একই আবেদন করলেও সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করে ইডি। তদন্তের স্বার্থে সায়গলকে ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লি নিয়ে যেতে চান ইডি আধিকারিকরা। 

    আরও পড়ুন: জেলের ভেতরেই অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার ইডির, চাপ বাড়ল কেষ্টর?

    ইডির দাবি, বিপুল সম্পত্তির নথি পাওয়া গেলেও, সম্পত্তির উৎস কী তা নিয়ে মুখ খুলছেন না সায়গল। তাই নয়াদিল্লি নিয়ে গেলে বাড়তি চাপ দেওয়া যাবে। শুক্রবার গরুপাচার মামলায় সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) জেরা করতে ইডির ছয়জনের দল আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে যায়। সকাল ১০ টা ১৫ নাগাদ তাঁরা সংশোধনাগারে পৌঁছন তাঁরা। ল্যাপটপ, ভিডিও ক্যামেরা-সহ তিনজন ভিতরে ঢোকেন। যেভাবে আদালতের কাছে অনুমতি নেওয়া হয়েছে ঠিক সেভাবেই ইডি আধিকারিকরা আসেন। ৩৫ টি প্রশ্নমালা সাজানো হয়েছিল সায়গলের জন্য। টানা চার ঘণ্টা চলে জেরা। তারপর সায়গলকে হেফাজতে নেন ইডি আধিকারিকরা। তাঁকে জেরা করতে দিল্লি থেকে উড়ে এসেছিলেন অফিসাররা। 

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, সায়গল হোসেনের (Saigal Hossain) বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। মাত্র কয়েক হাজার টাকা বেতন পান রাজ্য পুলিশের কন্সটেবল সায়গল। এই আয়ে তিনি কী করে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করলেন তা সায়গলের কাছে জানতে চান গোয়েন্দারা। গোয়েন্দাদের প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যাচ্ছিলেন সায়গল। বেশ কিছু ক্ষেত্রে তাঁদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। এছাড়াও গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, সায়গলের নামে ও বেনামে আরও সম্পত্তি উদ্ধার বাকি রয়েছে। এছাড়া গরুপাচারের টাকা কার কার কাছে পৌঁছত তাও সায়গলের থেকে জানতে চান তাঁরা। কিন্তু সঠিক উত্তর না পাওয়াতেই গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বাকি উপাচার্যরাও পদত্যাগ করুন! সোনালি চক্রবর্তীর অপসারণের ‘সুপ্রিম’ সিদ্ধান্তের পর বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: বাকি উপাচার্যরাও পদত্যাগ করুন! সোনালি চক্রবর্তীর অপসারণের ‘সুপ্রিম’ সিদ্ধান্তের পর বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (Calcutta University VC) পুনর্নিয়োগ মামলায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। কলকাতা হাইকোর্টের রায় মেনেই  কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে অপসারিত হবেন সোনালী চক্রবর্তী (Sonali Chakraborty)। এই রায়ের পরই রাজ্য সরকারকে এক হাত নিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বেআইনিভাবে নিয়োগ হওয়া রাজ্যের অন্যান্য উপাচার্যদের অবিলম্বে পদত্যাগের কথা বলেন। 

    ট্যুইটবার্তায় শুভেন্দু জানান, ‘সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অরসারণের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই বহাল রেখেছে। তাই, এই রাজ্যে বেআইনিভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত সমস্ত উপাচার্যদের অবিলম্বে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা জরুরি। এটা ওই উপাচার্যদের নৈতিক দায়িত্ব।’ তিনি তাঁর ট্যুইটে  ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি তালিকাও প্রকাশ করেছেন। তাঁর কথায়, যেভাবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে সেইভাবেই যেসব উপাচার্যদের নিয়োগ করা হয়েছে তাদের আদালতের কোপে পড়ার আগেই মর্যাদাপূর্ণ উপায়ে সরে আসার পথ বেছে নেওয়া উচিৎ।

    আরও পড়ুন: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নন সোনালি চক্রবর্তী! তাঁর অপসারণেই মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট

    গত বছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদে সোনালি চক্রবর্তীর পুনরায় নিয়োগের যে বিজ্ঞপ্তি রাজ্য সরকার জারি করেছিল সেপ্টেম্বর মাসে সেই বিজ্ঞপ্তি বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালতও সেই রায় বহাল রাখল। মঙ্গলবার আদালতের পর্যবেক্ষণ, রাজ্যপালের ক্ষমতার অপব্যবহার করে সোনালী চক্রবর্তীকে পুনর্নিয়োগ করেছিল রাজ্য সরকার। পদ্ধতিগত ত্রুটি হয়েছে। তাই কলকাতা হাইকোর্টের রায় একদম সঠিক ছিল। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও হিমা কোহলির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি  হয়। গত বছর তৎকালীন রাজ্যপাল ও আচার্য জগদীপ ধনকড় কোনওরকম বাছাই ছাড়াই সোনালি চক্রবর্তীর পুনর্নিয়োগকে স্বজনপোষণের অনন্য নজির বলে উল্লেখ করেছিলেন। রাজভবনের সিলমোহর ছাড়াই বেআইনি ভাবে ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন ধনকড়। এবার সেই উপাচার্যদেরই সময় থাকতে সসম্মানে সরে যাওয়ার কথা বললেন রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sonali Chakraborty: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নন সোনালি চক্রবর্তী! তাঁর অপসারণেই মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট

    Sonali Chakraborty: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নন সোনালি চক্রবর্তী! তাঁর অপসারণেই মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (Calcutta University VC) পদে সোনালি চক্রবর্তীর (Sonali Chakraborty) পুনর্নিয়োগ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।  কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদ থেকে তাঁর অপসারণেই মান্যতা দিল শীর্ষ আদালত। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারকে ভর্ৎসনা করে আদালত জানায়, রাজ্যপালের এক্তিয়ারে হাত দিতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। যা সংবিধান মান্যতা দেয় না। তাই এটা কখনওই করতে দেওয়া যায় না।

    আরও পড়ুন: মঙ্গলবার ভোর রাতে গ্রেফতার মানিক ভট্টাচার্য! টেট দুর্নীতির তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ ইডির

    উল্লেখ্য, গত ১৩ সেপ্টেম্বর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সোনালি চক্রবর্তীর পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন সোনালি চক্রবর্তী ও রাজ্য সরকার। রাজ্যের তরফে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। ওই মামলার শুনানির পর গত ১৬ সেপ্টেম্বর রায় দান স্থগিত রাখেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি হিমা কোহলি। চূড়ান্ত রায়ে তাঁরা বলেন, সরকার বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ‘ডিফিকাল্টি ক্লজ’-এর অপব্যবহার করতে পারে না। সরকারের এহেন পদক্ষেপ মেনে নেওয়া মানে আইনবিরুদ্ধ কাজ করা। তাই শীর্ষ আদালত সোনালি চক্রবর্তীর অপসারণকেই মান্যতা দিচ্ছে।

    আরও পড়ুন: উপাচার্য নিয়োগেও বেনিয়ম? শিক্ষার সর্বস্তরের লজ্জা প্রকট আদালতে!

    ২০১৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন অস্থায়ী উপাচার্য সুরঞ্জন দাস যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে যোগ দেন। ফলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে শূন্যস্থান তৈরি হয়। সেই শূন্যপদেই রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপিকা সোনালি চক্রবর্তীকে স্থায়ী উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করে রাজ্য। এরপর ২০২১ সালে তাঁকে ফের উপাচার্য পদে পুনর্নিয়োগ করে সরকার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সোনালি চক্রবর্তীর নিয়োগে আচার্য তথা রাজ্যপালের কোনও সই ছিল না। সেই থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। তৎকালীন রাজ্যপাল ও আচার্য জগদীপ ধনকড় কোনওরকম বাছাই ছাড়াই সোনালি চক্রবর্তীর পুনর্নিয়োগকে স্বজনপোষণের অনন্য নজির বলে উল্লেখ করেন। রাজভবনের সিলমোহর ছাড়াই বেআইনি ভাবে ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের অভিযোগ তুলে সরব হন ধনকড়।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share