Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Primary TET: পুজোর আগেই টেট উত্তীর্ণ আরও ৬৫ জনকে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Primary TET: পুজোর আগেই টেট উত্তীর্ণ আরও ৬৫ জনকে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যমিক নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশে পুজোর আগে আবারও নিয়োগ। প্রাথমিক টেট (Primary Tet) উত্তীর্ণ আরও ৬৫ জনকে পুজোর আগেই নিয়োগের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। সোমবার একটি মামলায় এই রায় দান করেন তিনি। বিচারপতির নির্দেশে পুজোর আগে মোট ২৫২ জন চাকরি পেতে চলেছেন।  

    আরও পড়ুন: রাজ্যে বাড়ছে নাবালিকা বিয়ে, কন্যাশ্রীর সাফল্য কি শুধুই বিজ্ঞাপনে?  

    ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে প্রশ্ন ভুল থাকার কারণে বহু চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ আটকে যায়। অভিযোগ ছিল, আদালত ভুল প্রশ্নের জন্য ১ নম্বর বরাদ্দ করার নির্দেশ দিলেও, বহুদিন সেই নম্বর দেওয়া হয়নি। চলতি বছরের গোড়ায় সেই নম্বর দেওয়া হলেও বাড়তি নম্বর পেয়ে যারা টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন তাদের নিয়োগ না করারও অভিযোগ ছিল। এই চাকরি প্রার্থীরা আদালতের দ্বারস্থ হন। এই ধরণের ৩টি মামলায় আগেই ১৮৭ জনকে পুজোর আগে নিয়োগপত্র দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ১৯ সেপ্টেম্বর আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র ভবনে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশ মতো গত সপ্তাহে তাদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। এর পর সোমবার আরও ৬৫ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আর এই নিয়ে পুজোর আগে চাকরি পাচ্ছেন মোট ২৫২ জন।  

    আরও পড়ুন: ভুল প্রশ্নের জের! ২৩ টেট পরীক্ষার্থীকে দ্রুত চাকরি দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এদিন বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে চাকরির অপেক্ষায় রয়েছেন এই যোগ্য প্রার্থীরা। ফলে পুজোর আগেই তাদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিতে হবে।” আদালতের নির্দেশ, শূন্য পদ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর। এবং সেই পদে ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিয়োগ করতে হবে সংশ্লিষ্ট টেট উত্তীর্ণদের। আদালতের এই রায়ে খুশিতে ভেসেছেন চাকরি প্রার্থীরা। বিচারপতির তরফে এটা পুজোর উপহার বলে মন্তব্য করেছেন বেশ কয়েকজন মামলাকারী।    

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Subiresh Bhattacharya: ১০ দিনের জেল হেফাজত সুবীরেশের! তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ সিবিআইয়ের

    Subiresh Bhattacharya: ১০ দিনের জেল হেফাজত সুবীরেশের! তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাতদিনের সিবিআই (CBI) হেফাজতের মেয়াদ শেষ। সোমবার ফের আলিপুর কোর্টে (Alipur Court) তোলা হয় প্রাক্তন এসএসসি চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে (Subiresh Bhattacharya)। এদিন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের হেফাজতে চায় সিবিআই। কিন্তু উপাচার্যের আইনজীবীরা বলেন, ২০ সেপ্টেম্বর তাঁদের মক্কেলকে গ্রেফতার করার পর থেকে আজ পর্যন্ত একবারের জন্যও জিজ্ঞাসাবাদ করেনি কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সিবিআই আধিকারিকেরা জানান, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না সুবীরেশ। পাল্টা সুবীরেশের আইনজীবীরা বলেন, যাঁকে জিজ্ঞাসবাদই করা হল না, তাঁর ক্ষেত্রে সহযোগিতা, অসহযোগিতার প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে? সমস্ত সওয়াল-জবাব শুনে সুবীরশকে ১০ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আলিপুর আদালতের বিচারক। 

    আরও পড়ুন: এবার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য

    নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ও শান্তিপ্রসাদ সিনহা। সুবীরেশের সময়েই প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী ২০১৬ সালে চাকরি পান। ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের রায়ে অঙ্কিতা চাকরি খুইয়েছেন। শুধু তাই নয়, সুবীরেশের আমলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি চরম আকার নিয়েছিল বলে ধারণা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। তাঁর সময়কালেই গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। সিবিআই সেই নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি তদন্ত করছে। সুবীরেশকে তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করতে চায় সিবিআই। 

    আরও পড়ুন: পুজোর মুখে ঊর্ধ্বমুখী রাজ্যের করোনা গ্রাফ, পজিটিভিটি রেট বেড়ে ৫.৩১%

    শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির (SSC Recruitment Scam) অভিযোগে দলের প্রভাবশালী নেতা মন্ত্রীদের গ্রেফতারিতে ক্ষোভ বাড়ছে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) ভিতরেই ৷ প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, একের পর এক নেতাদের নাম দুর্নীতিতে জড়িয়ে যাওয়ায় হতাশ দলের নিচুতলার কর্মীরাও৷ তাদের বক্তব্য, এই ঘটনা বাংলার ঐতিহ্যকেই কলুষিত করছে ৷ সরব হয়েছেন দলের প্রথম সারির এক নেতাও ৷ ওই নেতার প্রশ্ন, সুবীরেশ ভট্টাচার্য একইসঙ্গে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ডাব্লিউবিএসএসসি-এর চেয়ারম্যান এবং শ্যামাপ্রসাদ কলেজের অধ্যক্ষ পদে ছিলেন কীভাবে ! কোনও ব্যক্তির প্রতি সুবীরেশের একান্ত আনুগত্যই তাঁকে এই তিনটি পদে একসঙ্গে আসীন রেখেছিল ৷ এই ঘটনা জনসমক্ষে যে সরকার এবং দলের মুখ পুড়িয়েছে, তাও কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন ওই নেতা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Primary TET: পুজোর আগেই টেট উত্তীর্ণ আরও ৬৫ জনকে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Primary TET: পুজোর আগেই টেট উত্তীর্ণ আরও ৬৫ জনকে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যমিক নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশে পুজোর আগে আবারও নিয়োগ। প্রাথমিক টেট (Primary Tet) উত্তীর্ণ আরও ৬৫ জনকে পুজোর আগেই নিয়োগের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। সোমবার একটি মামলায় এই রায় দান করেন তিনি। বিচারপতির নির্দেশে পুজোর আগে মোট ২৫২ জন চাকরি পেতে চলেছেন।  

    আরও পড়ুন: রাজ্যে বাড়ছে নাবালিকা বিয়ে, কন্যাশ্রীর সাফল্য কি শুধুই বিজ্ঞাপনে?  

    ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে প্রশ্ন ভুল থাকার কারণে বহু চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ আটকে যায়। অভিযোগ ছিল, আদালত ভুল প্রশ্নের জন্য ১ নম্বর বরাদ্দ করার নির্দেশ দিলেও, বহুদিন সেই নম্বর দেওয়া হয়নি। চলতি বছরের গোড়ায় সেই নম্বর দেওয়া হলেও বাড়তি নম্বর পেয়ে যারা টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন তাদের নিয়োগ না করারও অভিযোগ ছিল। এই চাকরি প্রার্থীরা আদালতের দ্বারস্থ হন। এই ধরণের ৩টি মামলায় আগেই ১৮৭ জনকে পুজোর আগে নিয়োগপত্র দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ১৯ সেপ্টেম্বর আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র ভবনে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশ মতো গত সপ্তাহে তাদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। এর পর সোমবার আরও ৬৫ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আর এই নিয়ে পুজোর আগে চাকরি পাচ্ছেন মোট ২৫২ জন।  

    আরও পড়ুন: ভুল প্রশ্নের জের! ২৩ টেট পরীক্ষার্থীকে দ্রুত চাকরি দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এদিন বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে চাকরির অপেক্ষায় রয়েছেন এই যোগ্য প্রার্থীরা। ফলে পুজোর আগেই তাদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিতে হবে।” আদালতের নির্দেশ, শূন্য পদ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর। এবং সেই পদে ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিয়োগ করতে হবে সংশ্লিষ্ট টেট উত্তীর্ণদের। আদালতের এই রায়ে খুশিতে ভেসেছেন চাকরি প্রার্থীরা। বিচারপতির তরফে এটা পুজোর উপহার বলে মন্তব্য করেছেন বেশ কয়েকজন মামলাকারী।    

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Subiresh Bhattacharya: ১০ দিনের জেল হেফাজত সুবীরেশের! তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ সিবিআইয়ের

    Subiresh Bhattacharya: ১০ দিনের জেল হেফাজত সুবীরেশের! তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাতদিনের সিবিআই (CBI) হেফাজতের মেয়াদ শেষ। সোমবার ফের আলিপুর কোর্টে (Alipur Court) তোলা হয় প্রাক্তন এসএসসি চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে (Subiresh Bhattacharya)। এদিন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের হেফাজতে চায় সিবিআই। কিন্তু উপাচার্যের আইনজীবীরা বলেন, ২০ সেপ্টেম্বর তাঁদের মক্কেলকে গ্রেফতার করার পর থেকে আজ পর্যন্ত একবারের জন্যও জিজ্ঞাসাবাদ করেনি কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সিবিআই আধিকারিকেরা জানান, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না সুবীরেশ। পাল্টা সুবীরেশের আইনজীবীরা বলেন, যাঁকে জিজ্ঞাসবাদই করা হল না, তাঁর ক্ষেত্রে সহযোগিতা, অসহযোগিতার প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে? সমস্ত সওয়াল-জবাব শুনে সুবীরশকে ১০ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আলিপুর আদালতের বিচারক। 

    আরও পড়ুন: এবার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য

    নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ও শান্তিপ্রসাদ সিনহা। সুবীরেশের সময়েই প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী ২০১৬ সালে চাকরি পান। ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের রায়ে অঙ্কিতা চাকরি খুইয়েছেন। শুধু তাই নয়, সুবীরেশের আমলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি চরম আকার নিয়েছিল বলে ধারণা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। তাঁর সময়কালেই গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। সিবিআই সেই নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি তদন্ত করছে। সুবীরেশকে তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করতে চায় সিবিআই। 

    আরও পড়ুন: পুজোর মুখে ঊর্ধ্বমুখী রাজ্যের করোনা গ্রাফ, পজিটিভিটি রেট বেড়ে ৫.৩১%

    শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির (SSC Recruitment Scam) অভিযোগে দলের প্রভাবশালী নেতা মন্ত্রীদের গ্রেফতারিতে ক্ষোভ বাড়ছে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) ভিতরেই ৷ প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, একের পর এক নেতাদের নাম দুর্নীতিতে জড়িয়ে যাওয়ায় হতাশ দলের নিচুতলার কর্মীরাও৷ তাদের বক্তব্য, এই ঘটনা বাংলার ঐতিহ্যকেই কলুষিত করছে ৷ সরব হয়েছেন দলের প্রথম সারির এক নেতাও ৷ ওই নেতার প্রশ্ন, সুবীরেশ ভট্টাচার্য একইসঙ্গে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ডাব্লিউবিএসএসসি-এর চেয়ারম্যান এবং শ্যামাপ্রসাদ কলেজের অধ্যক্ষ পদে ছিলেন কীভাবে ! কোনও ব্যক্তির প্রতি সুবীরেশের একান্ত আনুগত্যই তাঁকে এই তিনটি পদে একসঙ্গে আসীন রেখেছিল ৷ এই ঘটনা জনসমক্ষে যে সরকার এবং দলের মুখ পুড়িয়েছে, তাও কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন ওই নেতা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dengue In West Bengal: পুজোর মুখে ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি, রাজ্যে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় হাজার ছুঁইছুঁই

    Dengue In West Bengal: পুজোর মুখে ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি, রাজ্যে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় হাজার ছুঁইছুঁই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার (Corona) পাশাপাশি এবারে নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue)। ডেঙ্গিতে আক্রান্তের গ্রাফও ঊর্ধ্বমুখী। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পুজোর আগেই নতুন করে রাজ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের কাছাকাছি। আর কয়েকদিনের মধ্যেই ১০০০-এর গণ্ডিও পার করে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ।

    স্বাস্থ্য দফতর (Health Department) সূত্রে খবর, গতকাল ৯৬৫ জন নতুন করে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে এক দিনে এত বেশি সংখ্যক মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হননি। জেলাগুলির মধ্যে ডেঙ্গির প্রকোপ সবথেকে বেশি উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 Pargana)। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনার, সল্টলেক (Saltlake), বারাসাত (Barasat), টিটাগড় (Titagarh), দেগঙ্গা (Deganga), বারাসাত, স্বরূপনগরে ডেঙ্গি উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। গতকাল স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিকর্তা উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Pargana) বিভিন্ন পুরসভা ও বিডিও-দের সঙ্গে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন। এরপরেই এই খবর সামনে এসেছে।  

    আরও পড়ুন: মেয়রের ওয়ার্ড সর্বাধিক ডেঙ্গি প্রবণ, মারাত্মক আকার নিলেও ডেঙ্গি তথ্য নিয়ে সরকারের লুকোচুরি অব্যহত!

    উত্তর ২৪ পরগনার পাশাপাশি কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ এবং দার্জিলিঙেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আর এই সাত জেলায় চিন্তা বাড়াচ্ছে প্রশাসনের। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৬০৪ জন রোগী এখনও সরকারি হাসপাতালে (hospital) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    আবার ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যাও উদ্বেগজনক। রিপোর্ট অনুসারে, এখনও রাজ্যে ১৮ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। তারমধ্যে ৩ জন শিলিগুড়ির বাসিন্দা। গতকালই শিলিগুড়িতে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় সাড়ে ৩ বছরের শিশুর। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শিশু বেশ কিছুদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিল। এরপর টেস্ট করানোর পর জানা যায়, সে ডেঙ্গি আক্রান্ত। তারপরও কিছুদিন বাড়িতে রেখেই শিশুর চিকিত্‍সা করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে সোমবার আনা হয় শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে আর বাঁচানো যায়নি। গতকাল সকালেই তার মৃত্যু হয়।

    রাজ্যে ক্রমশ ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে ডেঙ্গি রোধে ব্যবস্থা নিতে। ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তে চিন্তায় প্রশাসন। ফলে জেলা প্রশাসনের তরফে পুরসভাগুলিকে ডেঙ্গি রোধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

  • Bolpur Municipality Case: কাটমানি না গেলে বোলপুরে পাস হয় না ‘বিল্ডিং প্ল্যান’! অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হাইকোর্টে

    Bolpur Municipality Case: কাটমানি না গেলে বোলপুরে পাস হয় না ‘বিল্ডিং প্ল্যান’! অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘বিল্ডিং প্ল্যান’ পাস করাতে গেলে লাগে অনুদান। বোলপুর পুরসভার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। আর এই গোটা চক্রের মূলে রয়েছে অনুব্রত মণ্ডল, অভিযোগ মামলাকারীর। অর্থাৎ মামলাকারীর অভিযোগ, অনুব্রতর কাছে কাটমানি না গেলে বোলপুরে বাড়ি করা যায় না। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হল হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে। এই মামলার শুনানিতে সরাসরি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে এই চক্র চালানোর অভিযোগ করা হয়েছে৷ তবে এদিন শুনানি শেষ হলেও আদালত এখনও রায় ঘোষণা করেনি।

    এই চক্রে শুধুমাত্র অনুব্রত নয়, আরও অনেকজন জড়িত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই মামলার আইনজীবী শামিম আহমেদ এদিন জানান, বোলপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধেও এই চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগ এসেছে। মামলাকারীর অভিযোগ, পুরসভার বিল ছাপিয়ে টাকা নেওয়া হত। কাটমানি না পেলে বিল্ডিং প্ল্যান পাস করানো হত না।

    আরও পড়ুন: অর্পিতার ৩১টি পলিসির দেড় কোটি টাকা প্রিমিয়াম দিতেন পার্থ! দাবি ইডির, জানেন আর কী বলা হয়েছে চার্জশিটে?

    তবে এই অভিযোগের পাল্টা উত্তরে বোলপুর পৌরসভার আইনজীবী দাবি করেছেন, সব হিসাব পুরসভার খাতায় আছে, বেআইনিভাবে কিছু নেওয়া হয়নি, গোটা প্রক্রিয়া অনলাইনে হয়। অন্যদিকে, রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এই অভিযোগের পাল্টা প্রশ্ন করে আদালতকে জিজ্ঞেস করেন, ‘অনুদান নেওয়া বেআইনীর কী আছে?’ তিনি জানিয়েছেন, অনুদান নেওয়া বেআইনি নয়, পুরসভা অনুদান নিয়ে থাকে। বহু মানুষ স্বেচ্ছায় অনুদান দিয়ে থাকেন। পরে এই টাকা গরীব মানুষদের উন্নয়নের জন্যই খরচ করা হয়ে থাকে।

    ফলে বোলপুর পুরসভার বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ করা হয়েছিল, তা সবই অস্বীকার করা হয় এদিন। কিন্তু আজ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর রায়দান স্থগিত রেখেছে৷

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Durga Puja Weather Update: দুর্গাপুজোতে চারদিনই বৃষ্টি! কোন কোন দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা?

    Durga Puja Weather Update: দুর্গাপুজোতে চারদিনই বৃষ্টি! কোন কোন দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যেমনটা আশঙ্কা করা হয়েছিল, ঠিক তেমনটাই হল। উৎসবের আনন্দকে মাটি করে দিতে হাজির বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, পুজোর দিনগুলোতে বৃষ্টির (Rainfall) সম্ভাবনা রয়েছে। ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর স্বল্প থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে। ২ অক্টোবর থেকে ৫ অক্টোবর, অর্থাৎ পুজোর চারদিনই ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির পেছনের কারণ হল ঘূর্ণাবর্ত।

    জানা গিয়েছে, ১ অক্টোবর পূর্ব-মধ্য এবং উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হতে পারে একটি ঘূর্ণাবর্ত। আর এর জেরেই বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সপ্তমী থেকে বৃষ্টি বাড়বে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal)। শুধু দক্ষিণবঙ্গেই নয়, বৃষ্টির চোখ রাঙানি থেকে বাদ পড়বে না উত্তরবঙ্গও (North Bengal)। নবমী এবং দশমীতে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গেও। সুতরাং উত্তরবঙ্গে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা নেই। কিন্তু ৪ ও ৫ অক্টোবর উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলে জানানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে কি ভাসবে পুজো? আশঙ্কার ঘুর্ণাবর্ত বঙ্গোপসাগরে

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গে আজও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। ২ অক্টোবর থেকে কলকাতার পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কোন কোন জেলায় পুজোয় ঠিক কতটা বৃষ্টি হবে, তা আগামীকাল বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ জানাবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

    বিগত দুবছর করোনার দাপটে উৎসবে তেমন কোনও মজা করতে পারেনি বঙ্গবাসী। ফলে এবারে করোনার প্রকোপ কিছুটা কমায় ফের আনন্দে মেতে উঠেছিলেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের আনন্দে ফের ব্যাঘাত ঘটাতে আসছে বৃষ্টি।

    আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ফের ঘনীভূত হচ্ছে নিম্নচাপ, কতটা প্রভাব পড়বে বাংলায়? 

  • Cattle Smuggling Case: গরুপাচার মামলায় কেন হবে সিআইডি তদন্ত? রাজ্যের জবাব তলব হাইকোর্টের

    Cattle Smuggling Case: গরুপাচার মামলায় কেন হবে সিআইডি তদন্ত? রাজ্যের জবাব তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) রাজ্য পুলিশের তদন্তে স্থগিতাদেশ চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এবার এই মামলায় রাজ্যের রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে তাদের বক্তব্য তিন সপ্তাহের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে (PIL filed in Calcutta High Court)। 

    আরও পড়ুন: অনুব্রত-কন্যার ব্যাংকের নথি চাইল সিবিআই! মেয়ের অ্যাকউন্ট থেকেই কি লেনদেন? 

    গরু পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই তদন্ত করছে সিবিআই। একই মামলায় রাজ্য পুলিশ কেন পৃথক তদন্ত করবে, এই প্রশ্ন তুলে মামলা করেছিলেন সুমন শংকর চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি। এ দিন মামলাকারীর আইনজীবী জয়দীপ কর বলেন, “রাজ্য পুলিশের থেকে সিবিআইয়ের হাতে তদন্ত নিয়ে যেতে চাইছি। কারণ সিবিআই ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তদন্ত করছে। রাজ্যের তদন্তের এক্তিয়ার নেই।” তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন, “অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে চলতি বছরের ১০ জুন গ্রেফতার করা হয় । পুরনো একটি মামলায় রাজ্য এই ঘটনায় তদন্ত করে ২০১৯ সালেই চার্জশিট দিয়ে দেয়। কিন্তু সেই মামলা ফের ১২ জুলাই নতুন করে উত্থাপন করা হয়েছে। সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করার পর রাজ্য ১০ জুলাই এই মামলায় ফের তদন্ত করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন জানায়। অথচ আগে চার্জশিটে পরবর্তী তদন্তের আর্জি ছিল না। সিবিআই দীর্ঘদিন ধরেই তদন্ত করছে। পরবর্তী তদন্তের দরকার হলে তা সিবিআই করতে পারে। রাজ্য পুলিশ হঠাৎ করে কেন এত সক্রিয় হয়ে উঠল?”   

    রাজ্যের তরফের আইনজীবী সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় (এজি) এদিন শুনানির সময় পাল্টা প্রশ্ন করেন, “২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর বিএসএফের এফআইআর-এর ভিত্তিতেই রাজ্য তদন্ত শুরু করেছিল। এতদিন পরে কেন এই ধরনের জনস্বার্থ মামলা?” সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, “এনামুল হক নামে গরুপাচার চক্রের মাথাকে গ্রেফতার করার পর সিবিআই জানতে পারে মুর্শিদাবাদ ও মালদা জেলায় এই চক্র অত্যন্ত সক্রিয়। এই ধরনের সীমান্তবর্তী এলাকায় সিবিআই তদন্ত করছে কারণ এর সঙ্গে জাতীয় স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে। রাজ্যই সুপ্রিম কোর্টের একটা মামলায় বলেছে, সিবিআই এই ব্যাপারে কিছু করছে না।” 

    আরও পড়ুন: দুটি গাড়ি দিয়েছিলেন নেতাকে, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মলয় পিটকে তলব সিবিআই-এর   

    আইনজীবী জয়দীপ কর ফের বলেন, “তদন্ত স্থগিত রাখার কোনও আর্জি আমরা জানাচ্ছি না। আমরা চাই তদন্ত সিবিআই করুক। সীমান্ত বিষয়টি কেন্দ্রের আওতায় পড়ে।” দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পরেই বিচারপতি তিন সপ্তাহে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে ১৪ নভেম্বর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • WB Loan For Salary: পুজোর মাসে বেতন দিতে ৪৫০০ কোটি ধার করছে রাজ্য, খরা কোষাগারে

    WB Loan For Salary: পুজোর মাসে বেতন দিতে ৪৫০০ কোটি ধার করছে রাজ্য, খরা কোষাগারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকা নেই, ভাঁড়ার খালি। মেলা-খেলা আর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে (Lakshmir Bhandar) সব টাকা বেরিয়ে গিয়েছে। ফলে পুজোর মাসে সরকারি কর্মী, শিক্ষকদের বেতন দিতে আজ মঙ্গলবার ৪৫০০ কোটি টাকা ধার করছে নবান্ন (Nabanna)। ধারের টাকা কোষাগারে ঢুকলে তবেই কোনওমতে পুজোর মাস চালাতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata)। প্রতি মাসেই কর্মচারীদের বেতন দিতে মাসে ২০০০-২৫০০ কোটি ধার নিতে হয় সরকারকে। কিন্তু এক মাসে ৪৫০০ কোটি টাকা ধার করার পরিস্থিতি যখন তৈরি হয়েছে, তাতে সরকারের আর্থিক অবস্থা যে কাহিল হয়ে পড়েছে তা স্পষ্ট।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে বাড়ছে নাবালিকা বিয়ে, কন্যাশ্রীর সাফল্য কি শুধুই বিজ্ঞাপনে?

    নবান্ন সূত্রের খবর, চলতি বছরে ৬২ হাজার কোটি টাকা ধার নিতে হবে। বছর শেষে ধারের পরিমাণ দাঁড়াবে ৬ লক্ষ কোটি টাকা। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) প্রতিটি মানুষের উপরে এখন ৬০ হাজার টাকা ঋণের বোঝা রয়েছে। নবান্নের কর্তারা জানাচ্ছেন, দানছত্রের প্রকল্পগুলি চালাতেই বছরে ১২-১৫ হাজার কোটি টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে। ডোল বিলির বেশ অধিকাংশ প্রকল্পকেই আসলে পরিকল্পনা খাতের আওতায় এনে পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে। সেই খাতেও বেরিয়ে যাচ্ছে আরও কয়েক হাজার কোটি টাকা। ফলে রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, সেতু, স্বাস্থ্য খাতে সে ভাবে কোনও বরাদ্দ বাড়ছে না। উল্টে কমতে শুরু করেছে। দেশের অন্য রাজ্যে করোনার সময় চালু হওয়া খরচে রাশ টানার প্রবণতা সরে গিয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে তা এখনও লাগু রয়েছে।

    নবান্ন সূত্রের খবর, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আর তফসিলি জাতি-উপজাতি পেনশনেই সরকারের সবচেয়ে বেশি নজর রয়েছে। অন্য কিছু বন্ধ হলেও আপত্তি নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই কারণেই হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) রায় থাকা সত্ত্বেও কর্মীদের বকেয়া ডিএ (Pending DA case) মেটাচ্ছে না সরকার। ডিএ মেটাতে হলে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা লাগবে। তা হলে বন্ধ হয়ে যাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার।

    আরও পড়ুন: কার্ড দেখালেই বেসরকারি হাসপাতালে ‘বেড ফাঁকা নেই’, স্বাস্থ্য সাথী কি কেবল ‘বিজ্ঞাপন’?

    কিন্তু কর্মীদের পাওনা গণ্ডা না মিটিয়েও বেতনটুকু দেওয়া চাপের হয়ে যাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন অর্থ দফতরে কর্তারা। তাঁদের মতে, প্রতি মাসে ধার করেই সময়ে বেতন দিতে হচ্ছে। পুজোর মাসে ক্লাব খয়রাতি থেকে অনুদানের বহর বাড়তি হওয়ায় চাপ বেড়েছে। ফলে আজ ৪ হাজার ৫০০ কোটি ধার করা হচ্ছে। সেই টাকা ঢুকলে বেতন পাবেন কর্মীরা। সরকারও পুজোর খরচটা কাটিয়ে নিতে পারবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Manik Bhattacharya: হদিশ মিলল সিবিআই-এর হাজিরা এড়ানো ‘নিখোঁজ’ মানিকের! কোথায় তিনি?

    Manik Bhattacharya: হদিশ মিলল সিবিআই-এর হাজিরা এড়ানো ‘নিখোঁজ’ মানিকের! কোথায় তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই (CBI) দফতরে হাজিরা দিলেন না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। সিবিআই সূত্রে খবর, মানিককে গতকাল রাত ৮টার মধ্যে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কিন্তু তিনি সেখানে উপস্থিত হননি। ফলে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে যে, কোথায় মানিক ভট্টাচার্য? এরপর তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে জানা যায়, তিনি দিল্লিতে রয়েছেন। আজ, বুধবার সুপ্রিম কোর্টে তাঁর মামলার শুনানি রয়েছে, তাই তিনি দিল্লিতে।

    গতকাল রাত ৮ টা পেরিয়ে গেলেও নিজাম প্যালেসে দেখা যায়নি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Recruitment Scam) অভিযুক্ত মনিক ভট্টাচার্যকে। তবে সেখানে উপস্থিত হন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতির আইনজীবী। সিবিআই সূত্রে খবর, তিনি রাত ৮টা ১৫ মিনিট নাগাদ সেখানে দুই পাতার চিঠি নিয়ে এসেছিলেন। চিঠিতে মানিক জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টে আজ দুপুর ২টোয় শুনানি আছে। তাই তিনি দিল্লিতে আছেন। আর এই শুনানির ফলেই হাজিরা দিতে যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে একদিনের রক্ষাকবচ দিয়েছে বলেও চিঠিতে সিবিআই-কে জানান মানিক ভট্টাচার্য। তাই আজ পর্যন্ত মানিকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না সিবিআই। ফলে আপাতত সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচই এখন মানিক ভট্টাচার্যের ঢাল।

    আরও পড়ুন: রাত ৮টার মধ্যে মানিককে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টের, আজই কি গ্রেফতার?

    সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আজ সুপ্রিম কোর্টে মানিক ভট্টাচার্যের স্পেশ্যাল লিভ পিটিশনের শুনানি রয়েছে। সেই মামলার জন্যই তিনি সরাসরি আইনি পরামর্শ নিতে দিল্লিতে এসেছেন বলে জানা গিয়েছে।

    প্রসঙ্গত, গতকাল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওএমআর শিট মামলায় (OMR Sheet Case) সিবিআই(CBI) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি সিবিআই-কে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। তিনি আরও নির্দেশ দিয়ে বলেন, পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান যদি তদন্তে সাহায্য না করেন, তবে সিবিআই তাঁকে হেফাজতে নিতে পারবে। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় যে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি।

    উল্লেখ্য, সূত্রের খবর অনুযায়ী, গতকাল হাই কোর্টের নির্দেশে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার সিবিআইয়ের দফতরে হাজিরা দেওয়ার নোটিস নিয়ে মানিক ভট্টাচার্যের যাদবপুরের বাড়িতেও গিয়েছিন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন যাদবপুর থানার পাঁচ জন আধিকারিক ও পুলিশকর্মী। কিন্তু সেখানে পৌঁছে জানতে পারেন, তিনি কোথায়, তা বাড়ির লোকেরাও জানে না। তিনি গতকাল সকালেই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গিয়েছিলেন। এরপর পুলিশ মানিক ভট্টাচার্যর সঙ্গে মোবাইলেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। কিন্তু দেখা যায়, তাঁর মোবাইল সুইচড অফ। ফলে এরপরে যাদবপুর থানায় গিয়ে জেনারেল ডায়েরি করে কলকাতা পুলিশের তরফে এসি জানান, তাঁরা মানিকবাবুর সন্ধান পাননি এবং এই তথ্য হাই কোর্টকে জানানো হবে। আগামী ১ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে হাই কোর্টে রিপোর্ট দেবে সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share