Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যে সরকারের পতন আসন্ন! ফের ডিসেম্বর ডেডলাইনের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রাজ্যে সরকারের পতন আসন্ন! ফের ডিসেম্বর ডেডলাইনের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে খুব শীঘ্রই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পতন হবে। রাজ্যে সরকার ‘আর টিকবে না’ বলে আবারও হুমকি দিলেন বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়,’দেখতে থাকুন, মহারাষ্ট্রের পর ঝাড়খণ্ড, ঝাড়খণ্ডের পর পশ্চিমবঙ্গ। দেখতে থাকুন।’ ফের ডিসেম্বর ডেডলাইনের উপরই জোড় দিলেন বিজেপি নেতা। শিক্ষক নিয়োগ, কর্মী নিয়োগ থেকে শুরু করে কয়লা পাচার, গরু পাচার হরেক দুর্নীতিতে জর্জরিত তৃণমূল সরকার। তাই এই সরকারের আয়ু আর বেশি দিন নেই বলেই অভিমত, শুভেন্দুর।

    আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি! আদালতে ফের সরব শুভেন্দু

    কী বললেন শুভেন্দু

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে তৃণমূলের মন্ত্রী অখিল গিরির মন্তব্য, নিয়োগ কেলেঙ্কারি ও পাচার কাণ্ডের বিরুদ্ধে রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার ডাকে সোমবার কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল হয়। পরে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলের সভায় শুভেন্দু বলেন, “মানুষ সব দেখছে। এই সরকার আর টিকবে না। মহারাষ্ট্র,ঝাড়খণ্ডের পরই পশ্চিমবঙ্গ। আপনারা শুধু অপেক্ষা করুন আর দেখতে থাকুন।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম সরাসরি না করে তাঁর দাবি, “শুধু ভাতিজা (ভাইপো) নয়, বুয়াকেও (পিসি) ভেতরে (জেলে) যেতে হবে।” শুভেন্দুর আরও দাবি, “রাজ্যের একাধিক শিল্পপতি, সুদীপ্ত সেন, গৌতম কুণ্ডুরা কেন বাংলার লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চির ছবি কিনেছে সব সামনে আসবে। অপেক্ষা করুন।” 

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে কুরুচিকর মন্তব্যের জের, প্রতিবাদে পথে জনজাতি সমাজ

    সুকান্তর নিশানা

    এদিন মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, মোর্চার সভানেত্রী তনুজা চক্রবর্তী প্রমুখ। লকেটের অভিযোগ, “মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে প্রতিদিন রাজ্যে নারী নির্যাতন বাড়ছে। নারীরা সুরক্ষিত নন।” অখিলের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। সুকান্ত বলেন, “ডিসেম্বরে যত ঠান্ডা পড়বে ততই কাঁপুনি বাড়বে তৃণমূলের। গোটা মন্ত্রিসভা জেলের ভেতরে থাকবে।” বেশ কয়েক মাস ধরেই বারবার ডিসেম্বর-ডেডলাইনের কথা শোনা যাচ্ছে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের গলায়! গত  অগাস্ট মাসেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন,’ছ’মাস তৃণমূল কংগ্রেস থাকবে না৷ তার আগেই ডিসেম্বরের মধ্যে ঝাপ গুটিয়ে যাবে তৃণমূলের’। গত সেপ্টেম্বরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষও বলেন, ‘ভোট এখন নেই, হয়তো ডিসেম্বরের বিধানসভা ভোটটা  হয়ে যেতে পারে’। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • West Bengal Weather: কলকাতা সহ রাজ্যে আবহাওয়া কেমন থাকবে? কী বলছেন আবহবিদরা?

    West Bengal Weather: কলকাতা সহ রাজ্যে আবহাওয়া কেমন থাকবে? কী বলছেন আবহবিদরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাতাসে শীতের আমেজ, কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া ক্রমাগত শীতল হয়েই চলেছে। আজও তাপমাত্রা ১৭-এর ঘরেই। তবে কলকাতায় কি আদেও শীত পড়েছে, কী বলছেন আবহবিদরা (West Bengal Weather)?

    কলকাতার আবহাওয়া

    কলকাতায় গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর আজকের তাপমাত্রা ১৭.৬। স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। ফলে গতকালের থেকে সামান্য তাপমাত্রা বাড়লেও আগামী কয়েক দিন এমনই তাপমাত্রা থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৯৩ শতাংশ। বুধবার দিনের বেলা আকাশ রৌদ্রজ্জ্বল থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩০ ও ১৮ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে (West Bengal Weather)।

    আরও পড়ুন:সকাল-সন্ধে বাতাসে হিমেল ভাব, নভেম্বরেই কি শীতের প্রবেশ রাজ্যে?

    দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    এই মুহূর্তে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় আগামী চার থেকে পাঁচ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে ও বেলা বাড়তেই স্বাভাবিক তাপমাত্রায় চলে আসবে। ফলে কলকাতায় শীত আসতে এখনও মাসখানেক রয়েছে বলে মনে করেছেন আবহবিদরা। সাধারণত তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির নিচে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামলে এবং তা কয়েক দিন স্থায়ী হলেই শীত পড়েছে বলা হয়। বিভিন্ন জেলায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হলেও অর্থাৎ অনেক জেলাতেই তাপমাত্রা ১৫-এর নীচে নেমেছে, ফলে সেই জায়গায় শীত পড়েছে বলে মনে করা হয়। তবে কলকাতার ক্ষেত্রে তা হয়নি। আবহবিদরা জানিয়েছেন, রাতের তাপমাত্রা অন্যান্য বছরে এই সময় যা থাকে তার থেকে ৪ ডিগ্রি কম রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে (West Bengal Weather)।

    আবহাওয়া অফিসের আবহবিদ সৌরিশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এই মুহূর্তে ঘূর্ণাবর্ত বা নিম্নচাপের কোনও ইঙ্গিত না থাকায় আগামী পাঁচ দিন দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া শুষ্ক ও পরিষ্কার থাকবে। তবে ১৮ থেকে ২০ তারিখ অর্থাৎ শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত আকাশ মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই (West Bengal Weather)।

    উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের মত উত্তরবঙ্গেও আগামী চার থেকে পাঁচ দিন আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে (West Bengal Weather)। বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে উপরের জেলাগুলোর মধ্যে দার্জিলিং ও কালিম্পঙের পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সিকিম সংলগ্ন উঁচু এলাকায় সামান্য তুষারপাতও হতে পারে। তবে উত্তরবঙ্গের আর বাকি জেলায় কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আগামী কয়েকদিন উত্তরবঙ্গেও তাপমাত্রায় কোনও পরিবর্তন হবে না।      

  • Indo Bangladesh Border: পাচার সহ নানা অপরাধ রুখতে দিনে রাতে এক যোগে টহল দেবে বিএসএফ-বিজিবি!

    Indo Bangladesh Border: পাচার সহ নানা অপরাধ রুখতে দিনে রাতে এক যোগে টহল দেবে বিএসএফ-বিজিবি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে, বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো! ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত (Indo Bangladesh Border) রয়েছে কড়া প্রহরার ব্যবস্থা। ভারতের (India) দিকে সীমান্তে শ্যেন দৃষ্টি হানে বিএসএফ (BSF)। আর উল্টো দিকে কড়া নজরদারি রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (BGB)। তার পরেও নিরাপত্তার ফোকর গলে নিরন্তর চলে পাচারের কাজ। কখনও গরু, কখনও বা জালনোট, আবার কখনও বা মাদক পাচার হয়ে যায় ক্যারিয়ারদের হাতফের হয়ে। জঙ্গি অনুপ্রবেশ এবং সীমান্তে (Indo Bangladesh Border) নানা অপরাধ মূলক কাজকর্মও চলে বলে অভিযোগ। এসব বন্ধে উদ্যোগী হল বিএসএফ এবং বিজিবি। দুই দেশের রক্ষীদের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ভারত বাংলাদেশ দুই দেশের প্রহরীরাই দিনের রাতে টহল দেবে সীমান্তে।

    বৈঠকে রয়েছেন…

    রবিরার সন্ধেয় শুরু হয়েছে ইনসপেক্টর জেনারেল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স-রিজিওনাল কমান্ডার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ লেভেল বর্ডার কোঅর্ডিনেশন কনফারেন্স। চলবে বুধবার পর্যন্ত। এই বৈঠকেই দুই দেশের সীমান্তপারের অপরাধ কমাতে তথ্য আদানপ্রদানের সিদ্ধান্তও হয়েছে বিএসএফ এবং বিজিবির মধ্যে। জানা গিয়েছে, ১১ সদস্যের বিএসএফ প্রতিনিধি দলে রয়েছেন অতুল ফুলঝেলে, আইপিএস, আইজি, বিএসএফ, সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার, অজয় সিং, আইজি, বিএসএফ, নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার, কমলজিৎ সিং বন্যাল, আইজি, বিএসএফ, গুয়াহাটি ফ্রন্টিয়ার এবং আটজন অন্য প্রতিনিধি। আর ১১ সদস্যের বিজিবি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবিএম নওরোজ এহসান, বিএসপি, পিএসসি, অতিরিক্ত মহা পরিচালক, এরিয়া কমান্ডার, উত্তর পশ্চিমাঞ্চল, রংপুর।

    আরও পড়ুন: মোদিকে দেখে এগিয়ে এলেন বাইডেন! আলিঙ্গন বন্ধু মাক্রঁর, শুরু জি-২০ বৈঠক

    বিএসএফের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দু পক্ষই অ্যাজেন্ডা পয়েন্টস শেয়ার করেছে। কো-অর্ডিনেটেড বর্ডার ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যেই রয়েছে দিনে রাতে বিএসএফ ও বিজিবি সমান্তরালভাবে টহল দেবে। তথ্য আদানপ্রদানও করবে দুই দেশের রক্ষীবাহিনী। রক্ষীস্তরের বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠকও করবে দুই দেশ। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আন্তঃসীমান্ত অপরাধ বন্ধে যৌথ প্রচেষ্টা চলবে বলেও আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। সীমান্তপারের অবৈধ কাজকর্ম রুখতেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ঐকমত্যে পৌঁছেছে দুই দেশ। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সীমান্ত রয়েছে ২ হাজার ২১৬.৭ কিলোমিটার দীর্ঘ। এই সীমান্ত পেরিয়েই চলে অবৈধ নানা কাজকর্ম। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: ‘শান্তিকুঞ্জে’র সামনে ‘অশান্তি’ তৃণমূলের, সিবিআই চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু  

    Suvendu Adhikari: ‘শান্তিকুঞ্জে’র সামনে ‘অশান্তি’ তৃণমূলের, সিবিআই চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিকুঞ্জের সামনে অশান্তি পাকাচ্ছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (TMCP)! রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বাড়ির সামনে জমায়েত করছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের হাতে লাল গোলাপ ও গ্রিটিংস কার্ড। কার্ডে লেখা, ‘গেট ওয়েল সুন…!’ ঘটনার জেরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। চাইলেন সিবিআই (CBI) তদন্তও।

    ঘটনার সূত্রপাত…

    ঘটনার সূত্রপাত দিন দুই আগে। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) একটি ট্যুইট প্রসঙ্গে তৃণমূলের (TMC) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, শুভেন্দু মানসিকভাবে সুস্থ নেই। তাঁর আরোগ্য কামনা করে চিঠি পাঠানো হবে। সেই কর্মসূচির নাম হবে গেট ওয়েল সুন। কুণালের এই মন্তব্যের পর থেকেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা- কর্মী-সমর্থকরা দলে দলে ভিড় করতে থাকেন শুভেন্দুর বাড়ি শান্তিকুঞ্জের সামনে।

    ঘটনা প্রসঙ্গে একটি ট্যুইট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। লেখেন, মমতার পুলিশ পাঁচ পয়সার মতো দু মুখো ও অপদার্থ। এক দিকে চাকরিপ্রার্থীরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে এক কিলোমিটার আগে তাঁদের আটকে, অমানবিকভাবে টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলে। অন্য দিকে যখন আমার বাড়ির সামনে গুন্ডারা গন্ডগোল বাঁধায়, তখন তাদের নেতৃত্ব দেয় সেই পুলিশই। আমি বেরিয়ে যাওয়ার পর তারা বাড়ির সামনে গিয়েছিল। এটা জেনেই যে, ওই সময় বাড়িতে আমার ৮৪ বছরের বৃদ্ধ বাবা শিশির অধিকারী ও ৭৫ বছরের বৃদ্ধা মা গায়ত্রী অধিকারী আছেন। ওদের উদ্দেশ্য ছিল, বাড়ির বাইরে অশ্রাব্য স্লোগান দিয়ে আমার বৃদ্ধ বাবা-মাকে বিরক্ত করা।

    আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

    মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কাঁথির বাড়ি থেকে বের হন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। এর কিছুক্ষণ পরেই গ্রিটিংস কার্ড ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে শুভেন্দুর বাড়ির সামনে ভিড় করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন কয়েকজন। ঘণ্টাখানেক পর পুলিশই তাঁদের কাছ থেকে শুভেন্দুকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য গ্রিটিংস কার্ড নেয়।

    এদিন হাইকোর্টে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আইনজীবী জানান, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান। অথচ তাঁর বাড়ির সামনে গিয়ে জমায়েত করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, অশালীন মন্তব্য করা হচ্ছে। এতে তাঁর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর পিছনে কোনও বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Temperature in Kolkata: সকাল-সন্ধে বাতাসে হিমেল  ভাব, নভেম্বরেই কি শীতের প্রবেশ রাজ্যে?

    Temperature in Kolkata: সকাল-সন্ধে বাতাসে হিমেল ভাব, নভেম্বরেই কি শীতের প্রবেশ রাজ্যে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমাগত নেমেই চলেছে পারদ। নভেম্বরেই শীতের আমেজ বহু বছর পর পেল কলকাতাবাসী। আজ, মঙ্গলবার নিয়ে টানা তিন দিন ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নামল পারদ। রবিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  সোমবার তাপমাত্রা কমে চলে আসে ১৭’র ঘরে। ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল গতকালের তাপমাত্রা।  মঙ্গলবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম।

    কী বলছেন আবহাওয়াবিদরা?

    আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, কলকাতা সহ আশেপাশের এলাকায় ভোর ও রাতের দিকে ভালই শীতের আমেজ। তবে এদিন পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা অনেকটাই কমেছে। এদিন জেলায় তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে আবহবিদরা জানিয়েছেন, এই ঠান্ডাকেই কেউ যেন শীত পড়ে গিয়েছে বলে মনে না করে, কারণ ভোরে ও রাতের দিকে ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব থাকলেও দিনের বেলায় সূর্যের তেজ ভালই রয়েছে। ফলে শীত আসলেই একমাত্র দিনে নামবে পারদ। আর শীত আসতে এখনও মাসখানেক দেরি রয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আরও ২-৩ দিন এই ঠান্ডার আমেজ বজায় থাকবে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে কলকাতায় শীত পড়বে মনে করেছে আবহাওয়া দফতর। আর একমাত্র তখনই প্রকৃতপক্ষে শীতকালের মজা চুটিয়ে উপভোগ করতে পারবে কলকাতাবাসী।

    কলকাতার আজকের আবহাওয়া

    এদিন সকালে কলকাতা ও আশেপাশের এলাকার পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ আপাতত পরিষ্কার থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৯ ও ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৪ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: কলকাতায় ফের পারদ পতন! একনজরে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া

    এদিন সকালে দেওয়া উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ১৭ নভেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এর কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সিকিম সংলগ্ন উঁচু এলাকায় সামান্য তুষারপাত হতে পারে। তবে বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকারই সম্ভাবনা। এই সপ্তাহে আর তাপমাত্রা কমার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

    নিম্নচাপের ভ্রুকুটি

    তবে শীতের মধ্যেই ফের নিম্নচাপের আশঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নতুন করে আরও একটি নিম্নচাপ তৈরি হবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে।  বুধবারে আন্দামান সাগরে এর অবস্থান থাকবে। সেই নিম্নচাপের অভিমুখ কোনদিকে হয়, সেদিকেই নজর রাখছেন আবহাওয়া দফতর।

  • SSC Scam: জামিন হল না পার্থ-সুবীরেশ সহ ধৃত ৭ জনের! এসএসসি কাণ্ডে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ

    SSC Scam: জামিন হল না পার্থ-সুবীরেশ সহ ধৃত ৭ জনের! এসএসসি কাণ্ডে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের জামিনের আর্জি খারিজ করা হল। এসএসসি কাণ্ডে (SSC Scam) জামিন হল না কারোরই। পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattacharyya) সহ এসএসসি কাণ্ডে (SSC Scam) ধৃত ৭ জনেরই ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হল। 

    জামিনের আবেদন খারিজ

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে সোমবার ফের রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আদালতে পেশ করা হয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি আদালতে তোলা হয় কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, এসপি সিনহা, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, অশোক সাহা, প্রদীপ সিং ও প্রসন্ন রায়কেও। আর আদালতে পুনরায় তোলার পরই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তরফে জামিনের আবেদন করে তাঁর আইনজীবীরা। কিন্তু পার্থ-সুবীরেশ-কল্যাণময়-শান্তিপ্রসাদদের জামিনের আবেদন ফের খারিজ করা হল। ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত জেলেই থাকার নির্দেশ দিল পার্থ, কল্যাণময়, সুবীরেশদের।

    রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর কাতর আর্জি

    শীত আসছে, তাই জামিন চেয়ে কাতর আবেদন করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর কাতর আবেদনেও কাজ হল না। সেই জেলেই যেতে হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এদিন তাঁর আইনজীবী আদালতে বলেন, পার্থবাবুর বয়স হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হচ্ছে। শীত পড়লে তাঁর অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে। তাই যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়া হোক তাঁকে। হাতজোড় করে পার্থবাবু নিজেও বিচারককে বলেন, ”আমার শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ।” কিন্তু কিছু করেই জামিন আর হল না (SSC Scam) ।

    আরও পড়ুন: তদন্ত কবে শেষ হবে? সিবিআইকে প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    অন্যদিকে আদালত তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ  করে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলে পার্থর তরফে উল্টে প্রশ্ন করা হয়, “অনন্তকাল ধরে জেলে থাকব নাকি?” যদিও এই প্রশ্ন তিনি নিজে করেননি, তাঁর আইনজীবী সেলিম রহমান করেন। তিনি জিজ্ঞাসা করেন, “শেষ ১৪ দিনে তদন্তের কী অগ্রগতি হয়েছে যে তাঁকে হেফাজতে রাখতে হবে? কেনই বা সিবিআই-এর তদন্তকারীরা আবার পার্থকে হেফাজতে পাঠাতে চাইছে?” কিন্তু এত কিছু করেও কোনও লাভ হয়নি। তাঁকে আবার ২৮ নভেম্বর পর্যন্তই জেলে থাকার নির্দেশ দিল (SSC Scam) ।

    বাকি অভিযুক্তদের আইনজীবীরা কী বললেন?

    অন্যদিকে সোমবার জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে পার্থর পাশাপাশি আদালতে তোলা হয়েছিল শান্তিপ্রসাদ, সুবীরেশদেরও (SSC Scam) । শান্তিপ্রসাদের আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত আদালতকে প্রশ্ন করে, দক্ষ এজেন্সি তদন্ত করার পরও কেন এত দিন লাগছে? সিবিআই-এর কতদিন লাগবে এই মামলায় সেটিও জানাতে বলেন তিনি। আবার অভিযুক্তদের শারীরিক অবস্থা এবং বয়সের কথাও ভেবে জামিনের আবেদনও করেন শান্তিপ্রসাদরে আইনজীবী।

    সুবীরেশের আইনজীবী তমাল মুখোপাধ্যায় বলেন, “তদন্তের কোনও অগ্রগতি হচ্ছে কি? সিবিআই শুধু মুখেই বৃহৎ ষড়যন্ত্রের কথা বলছে, কিন্তু তার প্রমাণ দিতে পাচ্ছে না।’’ ফলে প্রত্যেক অভিযুক্তের আইনজীবীরা নিজেদের বক্তব্য রেখে জামিনের আবেদন করলে আদালত শেষ পর্যন্ত কারোরই আবেদন মঞ্জুর করেনি। এসএসসি কাণ্ডে (SSC Scam) অভিযুক্ত প্রত্যেককে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।

  • Jorasanko: রবীন্দ্রভারতীর জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে ভাঙতে হবে তৃণমূলের কার্যালয়, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Jorasanko: রবীন্দ্রভারতীর জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে ভাঙতে হবে তৃণমূলের কার্যালয়, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো (Jorasanko) ঠাকুরবাড়ির ক্যাম্পাসে তৃণমূলের (TMC) দলীয় কার্যালয় নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট। জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে অবৈধভাবে যে তৃণমূলের শিক্ষাবন্ধু সমিতির কার্যালয় তৈরি করা হচ্ছে, তা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার এই নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কলকাতা পুরসভাকে তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে এই নির্দেশকে কার্যকর করার জন্যে।

    মামলাটি কী?

    রবীন্দ্রভারতীর জোড়াসাঁকো (Jorasanko) ক্যাম্পাসে হেরিটেজ ভবন ভেঙে বানানো হচ্ছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের শিক্ষাবন্ধু সমিতির কার্যালয়। আর এই অভিযোগে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন স্বদেশ মজুমদার নামের এক ব্যক্তি। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই আজ এমন নির্দেশ দিল আদালত। মামলাকারীর আইনজীবী শ্রীজিব চক্রবর্তীর অভিযোগ, জোড়াসাঁকোর বাড়িতে যে ঘরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে প্রথমবার বঙ্কিমচন্দ্র চটোপাধ্যায়ের দেখা হয়েছিল, সেই ঘরে এখন তৃণমূলের শিক্ষাবন্ধু সমিতির কার্যালয় তৈরি করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এটি ‘গ্রেড ওয়ান’ হেরিটেজ। আর এই ভবনেরই দুটি ঘর ভেঙে ফেলা হচ্ছে।

    তিনি আরও অভিযোগ করেছেন যে, জোড়াসাঁকোর (Jorasanko) সেই ঘরে এখন রবি ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটিও ছবি নেই। তাঁদের বদলে সেখানে টাঙানো হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ছবি।

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই বড় ধাক্কা শাসক শিবিরে, হাতছাড়া হল ঝালদা পুরসভা

    তৃণমূলের কার্যালয় ভাঙার নির্দেশ

    আর এসব অভিযোগ উঠে আসায় হেরিটেজ ভবনে আর ভাঙচুর করা যাবে না বলে এর আগেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ ও বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। আর এরপর এদিন সেই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চও কড়া নির্দেশ দিয়ে বলল যে তৃণমূলের পার্টি অফিস (Jorasanko) ভেঙে ফেলতে হবে। আজ মামলার শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘হেরিটেজ ভবন না হলেও ইচ্ছে মতো যে কোনও জায়গায় এভাবে পার্টি অফিস তৈরি করা যায় কি?’

    জোড়াসাঁকো (Jorasanko) ক্যাম্পাসে শাসকদলের কার্যালয় তৈরি হওয়া নিয়ে শোরগোল পড়ে গেলে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। আর এরপরেই মামলার শুনানিতে এমন নির্দেশ দেওয়া হয়। আজ হাইকোর্টের তরফে আরও বলা হয়েছে যে, ক্যাম্পাসে যে অংশে নতুন নির্মাণ করা হয়েছে তা ভেঙে ফেলে জায়গাটিকে ফের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে ও এটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হেরিটেজ বিভাগকে। এছাড়াও পুনরুদ্ধারের পর হেরিটেজ ভবন বলে আলাদা করে চিহ্নিত করতে হবে ওই জায়গাকে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৮ ডিসেম্বর।

     

  • Teacher Recruitment Scam: শিক্ষক নিয়োগকাণ্ডে এবার মুর্শিদাবাদের ১৬ স্কুল পরিদর্শককে তলব সিবিআইয়ের

    Teacher Recruitment Scam: শিক্ষক নিয়োগকাণ্ডে এবার মুর্শিদাবাদের ১৬ স্কুল পরিদর্শককে তলব সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Teacher Recruitment Scam) এবার নজরে নবাবের রাজ্য! মুর্শিদাবাদ জেলার মোট ১৬ জন স্কুল সাব ইন্সপেক্টরকে (School Inspectors) কলকাতায় সিবিআইয়ের (CBI) দফতর নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছে। সিবিআইয়ের একটি সূত্রের খবর, ২১ নভেম্বর, সোমবার দুপুর দুটোর মধ্যে প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়ে সিবিআইয়ের দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে তাঁদের।

    হাইকোর্টের নির্দেশে…

    হাইকোর্টের নির্দেশে নিয়োগ দুর্নীতি (Teacher Recruitment Scam) মামলায় কেবল মুর্শিদাবাদ জেলার ২৮ জন শিক্ষক বরখাস্ত হয়েছেন। সিবিআই সূত্রে খবর, এই ২৮ জন শিক্ষক যেসব স্কুলে চাকরি করতেন, সেই সব স্কুল যেসব স্কুল সাব ইন্সপেক্টরের এলাকার মধ্যে পড়ে, তাঁদের সবাইকে নথিপত্র নিয়ে নিজাম প্যালেসে হাজির হতে বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বড়ঞা উত্তর, বেলডাঙা পূর্ব, ভরতপুর, ধূলিয়ান, জলঙ্গি উত্তর, কান্দি, কান্দি পশ্চিম, খড়গ্রাম, খড়গ্রাম উত্তর, নবগ্রাম, নবগ্রাম পূর্ব, নওদা দক্ষিণ, সূতি ১, সদর পশ্চিম এবং সূতি সার্কেলের সাব ইনসপেক্টরদের ডেকে জেরা করবে সিবিআই। এই সব সার্কেলের সাব ইন্সপেক্টরের বয়ান রেকর্ডও করা হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। পুরো জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব প্রয়োজনে ভিডিওগ্রাফি করে আদালতে জমা দেওয়া হবে বলেও সিবিআই সূত্রে খবর।

    ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের চিঠি তাঁরা পেয়ে গিয়েছেন বলে জানান মুর্শিদাবাদের কয়েকজন স্কুল সাব ইন্সপেক্টর। নাম প্রকাশ করা হবে না এই শর্তে, তাঁদেরই একজন বলেন, আমাদের কাছে চিঠি এসেছে। আমরা আইন অনুযায়ী হাজিরাও দেব। তবে দুর্নীতির সঙ্গে কারা জড়িত, তা আমাদের জানা নেই। তিনি বলেন, এটা এখন আইনি প্রক্রিয়া।

    আরও পড়ুন: কেষ্ট-সুকন্যার পর এবার লটারি জয় এনামুলের! ৫০ লক্ষ টাকার খোঁজ পেল সিবিআই

    মুর্শিদাবাদ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি আশিস মার্জিত বলেন, ২০১৮ সালে ২৬ জন প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তাঁরা যেসব সার্কেলে রয়েছেন, সেখানকার সাব ইন্সপেক্টরদের নথিপত্র নিয়ে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি ২৬ জনের কথা বললে কী হবে, বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, মুর্শিদাবাদ জেলায়ই সব চেয়ে বেশি দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা বলেন, আমরা চাই, এই দুর্নীতিকাণ্ডে প্রকৃত তদন্ত হোক। প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ মামলায় রাজ্যের একাধিক নেতা-মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জেরা করা হয়েছে কয়েকজন আমলাকেও। এবার তলব করা হয়েছে স্কুল সাব ইন্সপেক্টরদের। এখন দেখার, কেউটে বের হয় কিনা!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • North 24 Pargana: বনগাঁয় তেলের খনি? সমীক্ষার কাজ শুরু ওএনজিসি-র

    North 24 Pargana: বনগাঁয় তেলের খনি? সমীক্ষার কাজ শুরু ওএনজিসি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফিরছে সুদিন? রাজ্যেই মিলবে তরল সোনার হদিশ? অন্তত এই আশায়ই বুক বাঁধছেন উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Pargana) বনগাঁর বাসিন্দারা। অনেক আগে থেকেই তৈল ভাণ্ডারের খোঁজে এই জেলারই অশোকনগরে অনুসন্ধান কাজ চালাচ্ছে ওএনজিসি (ONGC)। অশোকনগরের পর এবার বনগাঁয়ও (Bangaon)

    জীবাশ্ম জ্বালানির খোঁজে…

    জীবাশ্ম জ্বালানির খোঁজে সমীক্ষার কাজ শুরু করল এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। কেবল অশোকনগর এবং বনগাঁই নয়, এই জেলারই গাইঘাটায়ও ওএনজিসির তরফে তৈল ভাণ্ডারের খোঁজে চলবে অনুসন্ধান কার্য। দোরগোড়ার পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে কেন্দ্রীয় সরকারের এই উদ্যোগকে ঘিরে আশার আলো দেখছে শাসক তৃণমূল এবং বিরোধী বিজেপি দু পক্ষই।

    ২০১৯ সালে উত্তর ২৪ পরগনারই (North 24 Pargana) নৈহাটি হাবড়া রাজ্য সড়কের পাশে অশোকনগরের বাইগাছিতে প্রাকৃতিক গ্যাস ও খনিজ তেলের প্ল্যান্ট তৈরির উদ্যোগ নেয় ওএনজিসি। জানা গিয়েছে, আগামী তিন বছরের মধ্যে বেঙ্গল বেসিনের অঙ্গ হিসেবে ওই প্রকল্পে পাঁচশো কোটি টাকা লগ্নির পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ওএনজিসি। অশোকনগরের ওই প্রকল্পকে গুরুত্ব দিচ্ছে বলে অনেক আগেই জানিয়েছিল ওএনজিসি। সেখানে আশার আলো দেখা দেওয়ায় এবার এই জেলারই বনগাঁয় জীবাশ্ম জ্বালানির অনুসন্ধান কাজ শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় ওই সংস্থা।

    আরও পড়ুন: সিবিআই- এর পর এবার অনুব্রতকে হেফাজতে নিল ইডি

    প্রশাসন সূত্রে খবর, বনগাঁর কালুপুর সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় তরল সোনার খোঁজে ড্রিলিং করছে ওএনজিসি। গত কয়েকদিন ধরেই চলছে অনুসন্ধান কাজ। ওএনজিসির তরফে জানানো হয়েছে, বনগাঁয় খনিজ তেলের ভাঁড়ার থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, এমন কয়েকটি জায়গায়ই জীবাশ্ম জ্বালানির খোঁজ করছে তারা। কেন্দ্রীয় এই সংস্থা জানিয়েছে, বনগাঁ এবং গাইঘাটা তো বটেই, জেলার আরও কয়েকটি জায়গায় খনিজ তেলের খোঁজে চালানো হবে পরীক্ষা নিরীক্ষা।

    বনগাঁয় তৈল ভাণ্ডারের হদিশ মিললে হবে ব্যাপক কর্মসংস্থান। এই আশায়ই বুক বাঁধছে তৃণমূল এবং বিজেপি। যে কালুপুরে শুরু হয়েছে খননকার্য, সেখানকার পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের মুক্তি সরকার। তিনি বলেন, আমার পঞ্চায়েত এলাকায় খননকার্য শুরু করেছে ওএনজিসি। যদি এখানে খনিজ তেল পাওয়া যায়, তাহলে কালুপুর সহ গোটা বনগাঁয় উন্নয়ন হবে। একই সুর বিজেপি নেতৃত্বের গলায়ও। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল বলেন, এই এলাকায় খনিজ তেল পাওয়া গেলে কর্মসংস্থান হবে। তাতে এলাকারও উন্নয়ন হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cattle Smuggling: কেষ্ট-সুকন্যার পর এবার লটারি জয় এনামুলের! ৫০ লক্ষ টাকার খোঁজ পেল সিবিআই

    Cattle Smuggling: কেষ্ট-সুকন্যার পর এবার লটারি জয় এনামুলের! ৫০ লক্ষ টাকার খোঁজ পেল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Scam) এবারে ষষ্ঠবারের জন্য লটারি জেতার হদিশ পাওয়া গেল। তবে এবারে অনুব্রত মন্ডল ও তাঁর মেয়ে সুকন্যার নামে নয়, এবারে লটারি জিতেছে গরু পাচার মামলার মূল অভিযুক্ত এনামুল হক। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে সিবিআই-এর হাতে। এদিন সিবিআই-এর তরফে জানানো হয়েছে, এনামুলের নামে ২০১৭ সালে জেতা একটি ৫০ লক্ষ টাকার লটারির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এই মামলার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত এনামুলের নামে থাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলি খতিয়ে দেখছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। আর সেসময়ই এমন তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।

    এনামুলের লটারি জয়

    গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Scam) তদন্তে নেমে আগেই ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছে মুর্শিদাবাদের ব্যবসায়ী এনামুল হক। আর এবারে এই মামলার তদন্ত করতে নেমে সিবিআই-এর হাতে এই তথ্য এসেছে। সিবিআই জানিয়েছে, ২০১৭ সালে তিনি ৫০ লক্ষ টাকা জিতেছিলেন। আর এই লটারির টাকা সেই গরু পাচারের টাকাই কিনা তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। এই কাজে ইডিরও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। এনামুলের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য ঘাঁটতে গিয়েই লটারির বিষয়টি নজরে আসে তদন্তকারীদের। ফলে লটারি জেতার তালিকায় অনুব্রত ও সুকন্যার পরে এবারে যোগ হল এনামুলের নামও।

    আবার সিবিআই মনে করছে, এনামুল এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামেও আরও লটারির টিকিট থাকতে পারে। তাই এনামুলের পরিবারের সদস্যদের এবং তাঁর সঙ্গে যাঁরা কাজ করতেন, তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিবিআই আধিকারিকারা তদন্ত করে এনামুলের স্ত্রীর নামেও একটি লটারি টিকিটের হদিস পেয়েছে। তবে তা এখনও তদন্তের পর্যায়ে রয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর (Cattle Smuggling Scam)।

    আরও পড়ুন: সিবিআই- এর পর এবার অনুব্রতকে হেফাজতে নিল ইডি

    অনুব্রত ও সুকন্যার লটারি জয়

    এর আগেই অনুব্রতর দুটি ও সুকন্যার তিনটি লটারি জয় নিয়ে সারা রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল (Cattle Smuggling Scam)। তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দফায় দফায় লক্ষ লক্ষ টাকা ঢুকেছে বলে জানা গিয়েছে। সিবিআই আধিকারিকরা আগেই সন্দেহ করেছিল যে, গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করার উদ্দেশেই লটারির মাধ্যমে তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢোকানো হত। ফলে এবারে ষষ্ঠবারের লটারি জেতার হদিশ পাওয়ায় সিবিআই এই বিষয়টিকে আরও খতিয়ে দেখছে বলে জানা গিয়েছে। আর বারবার লটারি জেতার পিছনে কী রহস্য রয়েছে তাও খতিয়ে দেখছে সিবিআই। আর এক্ষেত্রে সাহায্য নেওয়া হচ্ছে ইডিরও।

LinkedIn
Share