Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Coal Smuggling Case: স্বস্তি জিতেন্দ্রর, কয়লা পাচার কাণ্ডে সিআইডি তদন্তে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    Coal Smuggling Case: স্বস্তি জিতেন্দ্রর, কয়লা পাচার কাণ্ডে সিআইডি তদন্তে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লাপাচার কাণ্ডে (Coal Smuggling Scam) আদালতে (Calcutta High Court) স্বস্তি পেলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তাঁর বিরুদ্ধে সিআইডি (CID) তদন্তে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই মুহূর্তে আসানসোলের প্রাক্তন মেয়রের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারবে না রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা। আজ মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা। আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানায়, একই অপরাধের ক্ষেত্রে দুটি সমান্তরাল তদন্ত চলতে পারে না। 

    এর আগেই কয়লা পাচার মামলায় তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে সিবিআই এবং ইডি। একই মামলায় সমান্তরালভাবে তদন্ত চালাচ্ছে সিআইডি। ওই মামলায় জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে (Jitendra Tiwari) সমন পাঠিয়েছিল সিআইডি। এরপরেই সিআইডি তলবের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতা। আদালতে তাঁর আইনজীবী সওয়াল করে বলেন, “কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যখন তদন্ত করছে, তারপরেও কীভাবে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি তদন্ত করতে পারে?” এই প্রসঙ্গে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বলেন, “কয়লা পাচার মামলায় সিআইডিকে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হলে, সেটা সমান্তরাল তদন্ত প্রক্রিয়ায় সায় দেওয়া হবে এবং সিবিআইয়ের তদন্তে বাধা দেওয়া হবে।”

    আরও পড়ুন: কয়লা পাচার কেলেঙ্কারিতে লালার সহযোগীদের বিরুদ্ধে জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা   
      
    এদিন শুনানি চলাকালীন সরকার পক্ষের আইনজীবী দাবি করেন, বিজেপি নেতাকে শুধু জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ডেকে পাঠিয়েছিল রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা। গ্রেফতার করার কোনও পরিকল্পনা ছিল না আধিকারিকদের। তদন্তে সহযোগিতা করলে গেফতার করার প্রয়োজন পড়বে না। এদিন জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে সাক্ষী হিসেবে ডেকে পাঠানোর নোটিসের উপরও স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। ভারতীয় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬০ নম্বর ধারায় পাঠানো গত ১০ সেপ্টেম্বরের নোটিসের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল আদালত। 

    আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, “একই অপরাধের ক্ষেত্রে দুটি সমান্তরাল তদন্ত চলতে পারে না। দু’টি সমান্তরাল তদন্ত প্রক্রিয়া মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।” রাজ্যের আইনজীবীকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “যে মামলায় ইতিমধ্যেই সিবিআই চার্জশিট দাখিল করেছে সেই মামলায় রাজ্য হস্তক্ষেপ করতে পারে কি?” সরকারি আইনজীবী পাল্টা দাবি করেন, রাজ্য আগে কয়লা পাচার মামলার তদন্ত শুরু করেছে। পরে সিবিআই এসে এই মামলার তদন্ত শুরু করেছে। এতে রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। জিতেন্দ্র তিওয়ারির আইনজীবীর দাবি,কয়লাপাচার মামলা শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন। বৃহত্তর তদন্ত চলাকালীন সিআইডি এই তদন্ত করতে পারে না। আদালত জানায়, কয়লাপাচার কাণ্ডে দ্বিতীয় কোনও তদন্তকারী সংস্থার প্রয়োজন নেই বলেই মনে করছে আদালত। 

    আরও পড়ুন: এবার দুধের কন্টেনারে কয়লা, জামুরিয়ায় বিরল পাচারে তাজ্জব পুলিশ

    জিতেন্দ্র সিআইডির সমন পাওয়ার পর বলেছিলেন, “সাক্ষী হিসাবে যদি আমাদের কাছে জানতে চান, তা হলে নিশ্চয়ই আমরা জানিয়ে দেব। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মেটাতেই তলব করা হয়েছে। বিজেপির সঙ্গে যারা যুক্ত, তাদের কাছেই সব তথ্য পাওয়া, তাদের সাক্ষী হিসাবে ডাকবে না। সকলেই বুঝতে পারছেন কী হচ্ছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Drugs Smuggling: কাবুলের তালিবানের চালানেই সন্দেশখালির সরিফুলের নাম, মাদক তদন্তে নতুন মোড়

    Drugs Smuggling: কাবুলের তালিবানের চালানেই সন্দেশখালির সরিফুলের নাম, মাদক তদন্তে নতুন মোড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা বন্দরের (Kolkata Port) হেরোইন পাচারের (Drugs smuggling) মামলায় যত দিন যাচ্ছে নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে। ডিআরআই (DRI) এবং গুজরাট এটিএসের (Gujarat ATS) যৌথ তদন্তে প্রকাশ, ৪০ কিলোগ্রাম হেরোইন (Heroin seized) এসেছিল তালিবান (Taliban) শাসনের আফগানিস্তান (Afghanistan) থেকে। ঘটনা হল, যে কনটেনারটি পাঠানোর জন্য জাহাজিরা বিল তৈরি করে তাতে দেখা যাচ্ছে আফগানিস্তানে তৈরি হওয়া বিলেই সন্দেশখালির সরিফুল ইসলাম মোল্লার (Shariful Islam Molla) নাম রয়েছে। অর্থাৎ মাদক পাচার চক্রের পাণ্ডারা জেনেবুঝেই সরিফুল মোল্লার নামে মাদকের চালান কেটেছে। সরিফুল এন্টারপ্রাইজের কাগজে কলমে মালিক এই সরিফুল মোল্লার জেলিয়াখালির বাড়িটি টালির চালের ভগ্নপ্রায়। তাঁর পক্ষে ১০০ কোটি টাকা খরচ করে হেরোইনের কনটেনার বুক করা সম্ভব নয়।

    এখানেই প্রশ্ন, তা হলে সন্দেশখালির ঠিকানায় মাদক পাচারের মূল মাথা কে? কার এত বড় আন্তর্জাতিক যোগাযোগ রয়েছে যে আফগানিস্তানে বসে সেখানকার এক তালিবান মোল্লা সন্দেশখালির প্রত্যন্ত সরিফুলের নামে মাদকের চালান তৈরি করছে। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, আফগানিস্তানের ওই তালিবান মাদক মাফিয়া পাকিস্তানের একজন শিপিং এজেন্টের মাধ্যমে কনটেনারটি পাঠিয়েছিল। পাকিস্তানি শিপিং এজেন্টের পূর্বাপর কারবার নিয়েও তদন্ত শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: বন্দরে আটক ২০০ কোটি টাকার হেরোইন আসছিল তৃণমূল নেতার জন্য?

    তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, উত্তর ২৪ পরগনার মাদক চক্রের সঙ্গে যে সরাসরি আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের যোগাযোগ রয়েছে তা বিস্ময়কর। এতদিন ভাবা হত, দেশে আমদানি হয়ে আসা মাদক পশ্চিমবঙ্গে পাচার হয়ে আসে। কিন্তু সরিফুল মোল্লার যোগসূত্রে প্রমাণিত হয়েছে, বাংলার মাদক মাফিয়ারা সরাসরি আফগানিস্তান থেকেই মাদক এ রাজ্যে নিয়ে আসে।

    তদন্তকারীরা আরও জানাচ্ছেন, অতীতে মুম্বই, গুজরাট, বেঙ্গালুরু, দিল্লিতে বড় ধরনের হেরোইন উদ্ধার হয়েছে। দেশের কোথাও মাদক পাচারের সঙ্গে সরাসরি রাজনৈতিক নেতাদের যোগাযোগ মেলেনি। কিন্তু সন্দেশখালির ঘটনায় সরাসরি রাজনৈতিক নেতৃত্বের যোগ স্পষ্ট। ডিআরআই এবং গুজরাট এটিএস সেই যোগ প্রমাণের তদন্ত চলছে। ফলে সন্দেশখালি হেরোইন পাচার কাণ্ডে কিছুদিনের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকজন শাসক দলের রাজনৈতিক নেতার গ্রেফতারি এক প্রকার নিশ্চিত।

  • Subiresh Bhattcharya: সুবীরেশের গ্রেফতারির পরই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পোড়ানো হচ্ছে ‘নথি’! ভিডিও প্রকাশ সুকান্তর

    Subiresh Bhattcharya: সুবীরেশের গ্রেফতারির পরই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পোড়ানো হচ্ছে ‘নথি’! ভিডিও প্রকাশ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattcharya)। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে সোমবারই গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সরকারকে আবারও কাঠগড়ায় তুলেছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি নিজের ট্যুইটার ও ফেসবুক হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করে সরকারকে নিশানা করছেন।

    ওই ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, রাতের বেলা কয়েকজন ব্যক্তি আগুনে কিছু কাগজ জাতীয় জিনিস পোড়াচ্ছেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, ওই ভিডিয়োটি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের। কেন রাতের অন্ধকারে নথি জ্বালানো হচ্ছে? তা নিয়ে সোশ্য়াল মিডিয়ায় প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এদিন সুকান্ত ট্যুইটারে বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতের অন্ধকারে নথি জ্বালাতে দেখা যাচ্ছে কিছু ব্যক্তিকে। এই নথি জ্বালানোর উদ্দেশ্য কী কীসের তথ্য গোপন করতে কী কী নথি জ্বালিয়ে ফেলা হল উপস্থিত ব্যাক্তিদের মধ্যে গ্রেফতার হওয়া উপাচার্যও নেই তো? প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যায়। ঘটনার তদন্ত দাবি করছি।’

    আরও পড়ুন: এবার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য

    সুকান্ত মজুমদার ওই ভিডিয়োটি শেয়ার করতেই তা নেট মাধ্যমে হু হু করে ছড়িয়ে পড়ে। শোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। যদিও এই ভিডিয়োর বিষয়ে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, শুধুমাত্র কিছু পুরানো, অকেজো সামগ্রী পোড়ানো হয়েছে। ট্যুইট বার্তায় সুকান্ত আরও দাবি করেন, ‘তৃণমূল সরকারের হাতে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে। এত লজ্জা বাঙালি রাখবে কোথায় ?’ 

    উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামালায় অনেকদিন ধরেই সিবিআই-এর নজরে ছিলেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এসএসসি-র চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। সোমবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলার তদন্তে সুবীরেশের বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই। তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি সুবীরেশকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। প্রশ্নের উত্তরে অসন্তুষ্টি হওয়ায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Anubrata Mondal: কেষ্টর পুজো কাটবে গারদেই! ফের খারিজ অনুব্রত মণ্ডলের জামিন

    Anubrata Mondal: কেষ্টর পুজো কাটবে গারদেই! ফের খারিজ অনুব্রত মণ্ডলের জামিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় পুজো (Durga Pujo)। তবে এবার পুজোটা তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ওরফে কেষ্টকে কাটাতে হবে জেলের ঘুপচি প্রায়ান্ধকার ঘরে। কারণ বুধবার আসানসোলের (Asansole) বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালতে পেশ করা হয় কেষ্টকে। শরীর খারাপ, বাড়িতে দুর্গাপুজো রয়েছে এই জোড়া যুক্তি প্রদর্শন করেন তাঁর আইনজীবী। তার পরেও মেলেনি জামিন। এদিন বিচারক তাঁকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। যার অর্থ, এবার পুজোর দিনগুলি এই তৃণমূল নেতাকে কাটাতে হবে কারাগারেই।

    গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) সিবিআই গ্রেফতার করেছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। তার পর থেকে দফায় দফায় জেলেই রয়েছেন তিনি। এদিন ফের তাঁকে তোলা হয় আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে। আবারও জামিনের আবেদন করেন তিনি। কেষ্টর আইনজীবী আদালতে বলেন, অনুব্রত মণ্ডলের শরীর ভাল নয়। কলকাতায় থেকে প্রতিদিন সিবিআই অফিসে গিয়ে হাজিরাও দিতে রাজি তিনি। প্রয়োজনে জেলায় ঢুকবেন না বলেও বিচারককে জানান তাঁর আইনজীবী। তিনি এও বলেন, অনুব্রতের বাড়িতে দুর্গাপুজো হয়। বাড়িতে তাঁর মেয়ে একা রয়েছেন। তাঁর একার পক্ষে পুজোর আয়োজন করা সম্ভব নয়। এত করেও জামিন মেলেনি কেষ্টর।

    আরও পড়ুন :কয়েক হাজার টাকা মাসমাইনেতে কীভাবে রাইস মিলের মালিক? অনুব্রত-কন্যা সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের

    কারণ প্রভাবশালী তত্ত্বে এদিনও জামিন মেলেনি বীরভূমের এই তৃণমূল নেতার। সিবিআইয়ের আইনজীবী আশঙ্কা প্রকাশ করেন, অনুব্রত জামিন পেলে সাক্ষীদের ভয় দেখাতে পারেন। বিচারককে তিনি এও জানান, এখনও তদন্ত চলছে। অনেক তথ্য মিলেছে। গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত অনেক সন্দেহভাজনের খোঁজও মিলছে। তাদের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের যোগও পাওয়া গিয়েছে। তাই অনুব্রতকে এখনই জামিন দেওয়া যাবে না।

    এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী আদালতে জানান, দুটি এনজিওর সঙ্গে অনুব্রতর যোগ থাকার কথা সামনে এসেছে। খোঁজ মিলেছে প্রায় ১৯টি নতুন সম্পত্তির। প্রচুর নগদ টাকাও পাওয়া গিয়েছে। অনুব্রতকে ফের আদালতে পেশ করা হবে ৫ অক্টোবর। সেদিন অবশ্য ঢাকের বোলে বাজবে বিজয়া দশমীর বাজনা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mamata: নবান্নে CMO তে অভিযোগের পাহাড়! কাজই করছে না বহু দফতর?

    Mamata: নবান্নে CMO তে অভিযোগের পাহাড়! কাজই করছে না বহু দফতর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  অভিযোগ জানিয়েও কাজ হচ্ছে না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) । নবান্নে মুখ্য়মন্ত্রীর দফতরে (cmo) জমছে অভিযোগের পাহাড়। বেশিরভাগ দফতর কাজই করছে না। কথাই শুনছে না মুখ্যমন্ত্রীর। জেলায়  জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করলেও তার নিটফল যে শূন্য, তা বুঝতে পারছেন মুখ্য় সচিব  (chief secretary)। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হলেই তাঁকে জবাবদিহি করতে হচ্ছে। বারবার বলা সত্বেও অভিযোগের নিষ্পত্তিতে কেন দেরি হচ্ছে, বিভিন্ন দফতরের কাছে তার জবাব চাইছে নবান্ন (nabanna)।  চাপে পড়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (H.K.Dwivedi) চিঠি দিয়েছেন বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের। বকেয়া অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ জারি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো অভিযোগ গুলি যাতে সাতদিনের মধ্যে জবাব দেওয়া যায়, তার জন্য জানানো হয়েছে প্রতিটি দফতরকে। 

    এমাসের সাত তারিখেই এনিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সব দফতরের শীর্ষ আধিকারিক বা HOD-কে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, কাজ ফেলে রাখবেন না। সব অভিযোগের জবাব দিতে হবে সাতদিনের মধ্যে। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না। বহু দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা বেশি সময় নিচ্ছেন। ৭ সেপ্টেম্বর রাজ্য প্রশাসনের পর্যালোচনা বৈঠকের সিদ্ধান্তের কথা তাই সকলকে মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্য সচিব। সাতদিনের মধ্যে যদি অ্যাকশন টেকন রিপোর্ট জমা দেওয়া না যায়, তাহলে কি উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, তাও যেন উল্লেখ করা হয়, বলে জানানো হয়েছে চিঠিতে। 

    কী আছে চিঠিতে? 
    রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, সরকারের খাদ্য প্রক্রিয়া করণ দফতর ও হর্টিকালচার ডিপার্টমেন্ট গত ৬ মাসে গড়ে ৫৮ দিন রিপোর্ট দিতে দেরি করেছে। আদিবাসী উন্নয়ন দফতর দেরি করেছে ৫৭ দিন। আর ৩৯ দিন সময় নিয়েছে কারিগরি শিক্ষা থেকে স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য দফতর। অভিযোগের পাহাড় জমা হয়েছে পরিবহণ দফতরে। আর তারা সময় নিয়েছে ৩৫ দিন। এই দফতরগুলির বেশিরভাগই খোদ মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। 

    জেলাগুলির মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স কালিম্পং, ঝাড়গ্রাম ও উত্তর ২৪ পরগনার। কালিম্পং জেলাশাসক দেরি করেছেন ৪১ দিন, ঝাড়গ্রাম ৩৭ দিন। আর উত্তর ২৪ পরগনা ২৬দিন। জেলাশাসক বদল করেও অসুখ সারছে না। পুলিশ সুপারদের পারফরম্যান্স খারাপ মালদা, বারাসত, হুগলি, মুর্শিদাবাদে। ৭ দিনের বদলে অভিযোগের উত্তর দিতে বহু সময় লেগে যাচ্ছে।

     অনেক ক্ষেত্রেই  অ্যাকশন টেকন রিপোর্ট অসম্পূর্ণ। ফের তার ব্যাখ্যা চেয়ে ফেরত পাঠায় মুখ্যমন্ত্রীর দফতর। এর ফলে কাজে আরও দেরি হয়ে যায়। বারবার এমন ঘটনা একেবারেই কাম্য নয় বলে বার্তা দেওয়া হয়েছে। বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে সচিব বা জেলা আধিকারিকরা তাঁদের অধীনস্থ অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না। মানুষের অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন না। দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করছেন। এর ফলে সমস্যা আরও বাড়ছে।

    অভিযোগ খতিয়ে দেখে কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তারও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে। আর এখান থেকেই স্পষ্ট হচ্ছে সরকারের বিভিন্ন দফতরের গাফিলতির কথা। প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলার পরও ‘ডিজপোজড’, ‘রিজল্ভড’, ‘অ্যাকশন টেকন’লিখে দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যসচিবের নির্দেশ, এভাবে লিখে ছেড়ে দিলেই হবে না। ঠিক কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে,তাও উল্লেখ করতে হবে। বোঝাই যাচ্ছে, কাজ না করে সরকারের বেশিরভাগ দফতর গা এলিয়ে দিয়েছে। ফলে চিন্তার ভাঁজ মুখ্যমন্ত্রীর কপালে। তাই তড়িঘড়ি এই সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজছেন তিনি। 

    আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে সরকারের কাজকর্ম নিয়ে। এই চিঠি মাধ্যমের হাতে আসায় বোঝা যাচ্ছে কীভাবে কাজ না করে দায়সারা হয়ে পড়েছে মমতা প্রশাসন। অভিযোগের পাহাড় জমা পড়ছে নবান্নে। মুখ্য়মন্ত্রী দেখছেন, বুঝছেন, বলছেনও। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। দলীয় স্তরে তৃণমূল নেত্রী ধীরে ধীরে যেমন নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন, তেমনি প্রশাসনিক স্তরেও কি রাশ আলগা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর ? ১৪ তলা থেকে নির্দেশ গেলেও তা পালনে অনীহা প্রকাশ করছে জেলা প্রশাসন? নবান্নের প্রতি তলায় সেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।  

     

     

     

  • Dengue: মেয়রের ওয়ার্ড সর্বাধিক ডেঙ্গি প্রবণ, মারাত্মক আকার নিলেও ডেঙ্গি তথ্য নিয়ে সরকারের লুকোচুরি অব্যহত!

    Dengue: মেয়রের ওয়ার্ড সর্বাধিক ডেঙ্গি প্রবণ, মারাত্মক আকার নিলেও ডেঙ্গি তথ্য নিয়ে সরকারের লুকোচুরি অব্যহত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:   ডেঙ্গি (dengue) আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে লুকোচুরি খেলা অব্যাহত। প্রত্যেক বছরের মতো এই বছরেও ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়তেই সরকারের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠছে। আগষ্ট মাস থেকেই রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। সেপ্টেম্বর মাসে কলকাতা, উত্তর চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলিতে ডেঙ্গি মারাত্মক আকার নিয়েছে। কিন্তু তারপরেও ডেঙ্গি মোকাবিলার তুলনায় তথ্য গোপন নিয়েই বেশি ব্যস্ত প্রশাসনিক মহল। অন্তত সংশ্লিষ্ট মহলের এমনই অভিযোগ।

    সূত্রের খবর, বেসরকারি হিসাবে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য বলছে, সেপ্টেম্বরে রাজ্যে মোট আক্রান্ত পাঁচ হাজার। অর্থাৎ, সরকারি ও বেসরকারি হিসাবে গড়মিল আকাশ ছোঁয়া। বেসরকারি হিসাবে রাজ্যের প্রতিদিন গড়ে হাজারের কাছাকাছি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। শুধুমাত্র কলকাতাতেই গড়ে সাড়ে চারশো মানুষ দিনে ডেঙ্গি আক্রান্ত । যদিও স্বাস্থ্য দফতরের হিসাব বলছে, আক্রান্তের সংখ্যা এত বেশি নয়।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে হু-হু করে বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ, নিজেকে বাঁচাবেন কী করে?

    কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৭টি বরোর মধ্যে আটটি বরোয় ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। ১,৬,৭,৮,৯,১০,১১ এবং ১২ নম্বর বরোয় ডেঙ্গি পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। অর্থাৎ, বালিগঞ্জ, বেক বাগান, শ্যামবাজার, কাশীপুর-বেলগাছিয়ায় প্রত্যেক দিন যে হারে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তা যথেষ্ট চিন্তার।

    কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, ৬, ৬৯, ৮২, ৮৩ এবং ১১২ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গি পরিস্থিতি খারাপ। পুরসভা বিশেষ নজর দিচ্ছে। উল্লেখ্য, এরমধ্যে রয়েছে খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ওয়ার্ড। অর্থাৎ, ৮২ নম্বর ওয়ার্ড। চেতলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেশ উদ্বেগজনক।

    ইতিমধ্যেই ডেঙ্গিতে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু তারপরেও সরকারের তথ্য নিয়ে লুকোচুরি জারি রয়েছে। ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে কলকাতার বাঁশদ্রোণী থেকে বেলগাছিয়া একাধিক জায়গার বাসিন্দারা মেয়রকে ফোন করে ডেঙ্গি সমস্যার কথা বলেছেন। প্রত্যেককেই অবশ্য মেয়রের উত্তর, পরিস্থিতির দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। একাংশের মতে, এই পরিস্থিতিতে দ্রুত কাজ জরুরি। কিন্তু পুরসভার সেই ভূমিকা নেই।

    তবে, শুধু কলকাতা নয়। কলকাতার আশপাশের জেলাগুলোতেও ডেঙ্গির প্রকোপ মারাত্মক বাড়ছে। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, সমস্ত বিভাগ জরুরি ভিত্তিতে কাজ করছে। নিয়মিত যোগাযোগ রেখে একযোগে ডেঙ্গি মোকাবিলা করা হচ্ছে। এক কর্তার কথায়, “একদিনে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নির্মূল করা যাবে না। তবে প্রশাসন তৎপর। যা প্রয়োজন, করা হচ্ছে। “

    যদিও প্রশাসনের মনোভাব দায় সাড়া বলেই মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেওয়া হবে, তা নিয়ে আলোচনার পরিবর্তে অনেক বেশি জোর দেওয়া হয়, কতজন ডেঙ্গি আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি হলো, সেই তথ্য যেন গোপন থাকে, সে দিকে।

    এক চিকিৎসকের কথায়, “কয়েক বছর আগে চিকিৎসক অরুণাচল দত্ত চৌধুরীর ঘটনা আমরা ভুলিনি। ডেঙ্গির আসল তথ্য প্রকাশ করেছিলেন। তাই তাকে সরকারের কোপে পড়তে হয়েছিল। ডেঙ্গি নিয়ে হাসপাতাল প্রশাসন যতগুলো মিটিং করেন, তাতে বারবার তথ্য নিয়ে যেন মুখ না খোলা হয়, সে নিয়েই বেশি আলোচনা হয়। কিন্তু একটা সংক্রামক রোগ বাড়লে, তা গোপন করা যায় না। গোপন করতে চাইলে বিপদ আরও বাড়বে। এটা কবে রাজ্য সরকার বুঝবে জানি না। “

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, আরজিকর, এনআরএস, বেলেঘাটা আইডি, বাঙ্গুর হাসপাতালে ডেঙ্গি রোগী ভর্তির জন্য শয্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বেশ সঙ্কটজনক। তাই শয্যা না বাড়লে রোগী মৃত্যু আশঙ্কাও বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    রাজ্যের ডেঙ্গি তথ্যের গোপনীয়তা নিয়ে শুধু চিকিৎসক মহল নয়, বিরক্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও। ডেঙ্গি আক্রান্ত ও মৃত্যুর তথ্য ঠিকমতো নিয়মিত স্বাস্থ্য মন্ত্রকে ও পাঠানো হচ্ছে না। ফলে, কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয়ে অসুবিধা হচ্ছে। যদিও রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তা বলেন, “কেন্দ্রের নিজস্ব মেকানিজম আছে। তারা তাদের মতো তথ্য সংগ্রহ করুন।”

  • WBSEDCL: পঞ্চায়েতের বকেয়া ৪০৮ কোটি উদ্ধার না হলে বিদ্যুৎ দফতরের বরাদ্দ বন্ধ করে দেবে কেন্দ্র

    WBSEDCL: পঞ্চায়েতের বকেয়া ৪০৮ কোটি উদ্ধার না হলে বিদ্যুৎ দফতরের বরাদ্দ বন্ধ করে দেবে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ঢালাও বিদ্যুৎ পুড়ছে কিন্তু তার বিল মেটাচ্ছে না রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) অধীনে থাকা সংস্থাগুলি। পঞ্চায়েত দফতরেই বকেয়া ৪০৮ কোটি টাকা। এই টাকা উদ্ধার না হলে কেন্দ্রীয় সরকার (Modi Government) আর কোনও অনুদান বা ঋণ দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। বাধ্য হয়ে বিদ্যুৎ দফতর পঞ্চায়েত দফতরের কাছে বকেয়া টাকা এখনই মিটিয়ে দিতে বলেছে। না মেটালে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা (WBSEDCL) চালানো যে মুশকিলের হয়ে দাঁড়াবে সে কথাও অকপট জানিয়ে দিয়েছেন বণ্টন সংস্থার শীর্ষ কর্তা। বিদ্যুৎ দফতরের চিঠি মাথায় হাত পঞ্চায়েত দফতরের। একে তো ১০০ দিনের টাকা, আবাস যোজনা, সড়ক যোজনার টাকা বন্ধ। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো রাজ্য সরকারেরই অপর দফতর ৪০৮ কোটি টাকা চেয়ে তাগাদা দেওয়ায় মহা ফাঁপড়ে পড়েছে সরকার। টাকা না মেটালে যদি পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি দেখা যায়, তা হলে বিপদ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পঞ্চায়েত কর্তারা।

    আরও পড়ুন: পুজোর মাসে বেতন দিতে ৪৫০০ কোটি ধার করছে রাজ্য, খরা কোষাগারে

    পঞ্চায়েত দফতর সূত্রের খবর, রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার চেয়ারম্যান কাম ম্যানেজিং ডিরেক্টর শান্তনু বসু গত ১২ সেপ্টেম্বর পঞ্চায়েত সচিব পি উলগনাথনকে লিখেছেন, পঞ্চায়েত দফতরের কাছে বণ্টন সংস্থার ৪০৮ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এই টাকা অবিলম্বে মেটাতে হবে। কারণ, কেন্দ্রীয় সরকার তাদের অনুদান এবং ঋণ দেওয়ার জন্য অধীনস্ত সংস্থার বকেয়া আদায়ের শর্ত দিয়েছে। তাছাড়া বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার আর্থিক ভার কমাতে ও গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক রাখতে বকেয়া টাকা পাওয়া জরুরি। বিদ্যুৎ দফতরের চিঠি পেয়ে পঞ্চায়েত দফতর করণীয় ঠিক করতে পারছে না। কারণ, বকেয়া মেটানোর ৪০৮ কোটি টাকা তাদের হাতে নেই, না মেটালে পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রামে লোডশেডিং শুরু হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে।

    বিদ্যুৎ দফতরের হিসাব অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি বকেয়া রয়েছে বাঁকুড়া, বীরভূম, বর্ধমান সদর, হুগলি, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ জেলায়। এই সব জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি বা জেলা পরিষদগুলি দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুতের বকেয়া বিল মেটায়নি। এবার পঞ্চায়েত ভোটের আগে তাই খেসারতও বেশি দিতে হবে।

    বিদ্যুৎ দফতরের দাবি, আর্থিক সংকটে ভুগছে সংস্থা। এর মধ্যেই হাইকোর্টের রায় মেনে ডিএ মেটাতে হয়েছে কর্মীদের। আর্থিক সংস্থাগুলিও ঋণ দিতে চাইছে না। এমন অবস্থায় একমাত্র ভরসা কেন্দ্রের অনুদান। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন সংস্থার থেকে বকেয়া আদায় করে আর্থিক ভিততি মজবুত করলে তবেই কেন্দ্রীয় সাহায্য মিলবে। এমন অবস্থায় রাজ্যের দুই দফতর নিজেরাই আকচাআকচিতে জড়িয়েছে। এমনকী গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক রাখতে হলে টাকা মেটাতে হবে এমন হুমকিও দিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর (West Bengal State Electricity Department)।

      

  • Cattle Smuggling Case: সিবিআই-এর কাছে সম্পত্তির খতিয়ান জমা দিলেন অনুব্রত কন্যা

    Cattle Smuggling Case: সিবিআই-এর কাছে সম্পত্তির খতিয়ান জমা দিলেন অনুব্রত কন্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) গ্রেফতার পর থকেই তদন্তকারীদের নজরে ছিল অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal)। তাঁর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি নিয়ে আগে থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল। পেশায় একজন শিক্ষিকা হয়েও এত বিপুল সম্পত্তি কোথায় থেকে পেলেন তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছিল। আর এই সম্পত্তির সন্ধান করতে হন্যে হয়ে পড়েছিলেন তদন্তকারীর দল। সুকন্যাকে এই সম্পত্তির ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলেও তিনি মুখে কুলুপ আঁটেন ও তাঁর থেকে তেমন কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। আর তার ফলেই সুকন্যাকে তাঁর সম্পত্তির হিসেব পেশ করতে নোটিস দেওয়া হয়েছিল সিবিআই-এর (CBI) তরফে। আর আজ সেই সম্পত্তি সংক্রান্ত নথি দেওয়া হল সিবিআই-এর অফিসে।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, আজ, বুধবার নিজাম প্যালেসে সব সম্পত্তির হিসাব দিয়েছেন সুকন্যা। তাঁর নামে থাকা টাকা, সম্পত্তি, গত ৫ বছরের আয়করের হিসেবও দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে এদিন তিনি নিজে আসেননি সিবিআই দফতরে। তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে এই নথি পাঠান তিনি।

    আরও পড়ুন: অনুব্রত-কন্যার ব্যাংকের নথি চাইল সিবিআই! মেয়ের অ্যাকউন্ট থেকেই কি লেনদেন?

    উল্লেখ্য, কয়েকটি সংস্থা ও একটি রাইস মিলের ডিরেক্টর হিসেবে তাঁর নাম এর আগেই পাওয়া গিয়েছে। আর সেকারণেই আয়-ব্যয়ের নথি খতিয়ে দেখতে চায় সিবিআই। এরপর তাঁর বাড়ি গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞসাবাদ করার পরেই তাঁর সমস্ত সম্পত্তির হিসাব দেখতে চায় সিবিআই। এর আগেও সুকন্যা মণ্ডলের অ্যাকাউন্ট, ব্যবসা ও কোম্পানি সংক্রান্ত সমস্ত নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু তখন নথি জমা না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এমনকি তাঁর নামে অনেক ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিশও পাওয়া যায়। ফলে যেসব ব্যাংকে তাঁর অ্যাকাউন্ট রয়েছে, সেইসব ব্যাংকেও হানা দিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। এবার তিনি সেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিভিন্ন তথ্যও দিয়েছেন সিবিআই-কে। এছাড়া যেসব রাইস মিল তাঁর নামে পাওয়া গিয়েছিল, সেই সংক্রান্ত নথিও পেশ করেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, তবে শুধু আয়-ব্যয় নথি নয়, বিদেশি মুদ্রা লেনদেনের দিকেও নজর রেখেছিলেন সিবিআই। এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সুকন্যা দাবি করেছিলেন যে, এবিষয়ে হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারি সব জানেন। পরে এনাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। তবে শুধুমাত্র কেষ্ট কন্যা সুকন্যা নয়, সিবিআই-এর নজরে রয়েছেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যবসায়ীও। তাঁদেরও তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। তবে আজকের এই নথিতে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসবে বলেই অনুমান করা হচ্ছে।

  • SSC Scam: বিদেশ থেকে ফিরতেই পার্থ-জামাতা কল্যাণময়কে দীর্ঘ জেরা ইডি-র, কী তথ্য উঠে এল?

    SSC Scam: বিদেশ থেকে ফিরতেই পার্থ-জামাতা কল্যাণময়কে দীর্ঘ জেরা ইডি-র, কী তথ্য উঠে এল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্যকে ( Kalyanmoy Bhattacharya ) জেরা করল ইডি (ED)৷ টানা সাত থেকে ১০ ঘণ্টা তাঁকে জেরা করেন ইডি আধিকারিকেরা। সোমবার সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে জেরা করা হয় তাঁকে। ইডি সূত্রে খবর, পার্থর জামাইয়ের উত্তরে সন্তুষ্ট নন তাঁরা৷  কল্যাণময়কে যে সমস্ত নথি নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল, তাও তিনি ঠিক মতো আনেননি ৷ এই সমস্ত তথ্যই দিল্লিতে উপর মহলে জানিয়েছেন কলকাতার ইডি আধিকারিকেরা ৷

    আরও পড়ুন: দল নয় রাজ্য, মুখ্যমন্ত্রীত্বই পছন্দ গেহলটের! ক্ষুব্ধ হাইকমান্ড, কংগ্রেস সভাপতি পদে কে?

    প্রসঙ্গত, ২৩ জুলাই পার্থকে গ্রেফতারের পরে বিদেশে কর্মরত কল্যাণময় এবং পার্থের মেয়ে সোহিনী চট্টোপাধ্যায়কে বার বার ই-মেল করে সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র আঞ্চলিক দফতরে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু কল্যাণময়-সোহিনী তদন্তকারীদের সামনে হাজিরা দেননি। ইডি সূত্রের খবর, কল্যাণময় রবিবার বিদেশ থেকে ফিরে তদন্তকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারপরই  তাঁকে তলব করা হয়েছিল। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ইডি-র অফিসে হাজির হন কল্যাণময়। রাত পর্যন্ত চলে জেরা। 

    আরও পড়ুন: ক্ষমতা হস্তান্তর বারবার ভুগিয়েছে কংগ্রেসকে, অন্যদিকে লক্ষ্যে অবিচল বিজেপি

    সূত্রের খবর, সম্পত্তি সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য কল্যাণময়ের কাছে জানতে চায় ইডি। শেয়ার কেনাবেচা ও জমি ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কল্যাণময়ের যোগের সূত্র মিলেছে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর। একইসঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রীর নামে একটি বিশাল বেসরকারি স্কুলের খোঁজ পায় ইডি৷ ওই স্কুলের চেয়ারম্যান কল্যাণময় ভট্টাচার্য৷ ইডি-র অভিযোগ, ওই অভিজাত স্কুল তৈরি করতে প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছিল৷ কিন্তু খাতায় কলমে খরচ দেখানো হয়েছে সাড়ে চার কোটি টাকার মতো৷ ইডি-র অনুমান, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির টাকাই ওই স্কুল তৈরিতে লাগানো হয়ে থাকতে পারে৷ গত ১৪ সেপ্টেম্বর ওই স্কুলে হানা দিয়ে তল্লাশি চালান ইডি কর্তারা৷ ওই স্কুল তৈরির জন্য যে অর্থ লেগেছে তার উৎস কোথায় তা-ও জানতে চাওয়া হয় কল্যাণময়ের কাছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: জুটিতে তাইল্যান্ড-গোয়ায় গিয়েছিলেন পার্থ-অর্পিতা! সেখানেও বিনিয়োগ? কী বলছে ইডি

    SSC Scam: জুটিতে তাইল্যান্ড-গোয়ায় গিয়েছিলেন পার্থ-অর্পিতা! সেখানেও বিনিয়োগ? কী বলছে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একসঙ্গে গিয়েছিলেন তাইল্যান্ড-গোয়া (Thailand-Goa)। সমস্ত খরচ বহন করেছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ (Partha) চট্টোপাধ্যায়। শুধুই তাঁর সঙ্গী হয়েছিলেন এবং মনোরঞ্জন করেছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা (Arpita) মুখোপাধ্যায়। শুধু তা-ই নয় মা হওয়ারও ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন অর্পিতা। সম্মতি দিয়েছিলেন পার্থ। এসএসসি (SSC Scam) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পেশ করা ইডির চার্জশিটে এমনই দাবি করা হয়েছে। ইডির দাবি, ওই সব সফরে পার্থ-অর্পিতার সঙ্গী হয়েছিলেন স্নেহময় দত্ত। তাঁকে জেরা করেই এই সব তথ্যের সন্ধান পেয়েছে ইডি (ED)।

    আরও পড়ুন: রাজসাক্ষী হচ্ছেন অর্পিতা! চার্জশিটে কী বলল ইডি?

    সোমবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে ১৭২ পাতার চার্জশিট-সহ ১৪ হাজার ৬৪০ পাতার নথি জমা দিয়েছে ইডি। তাতে দাবি করা হয়েছে, একাধিকবার তাইল্যান্ড-গোয়ায় গিয়েছিলেন পার্থ ও অর্পিতা। তবে ঠিক কত বার তাঁরা তাইল্যান্ড সফর করেছেন তা আদালতে পেশ করা চার্জশিটে উল্লেখ করেনি তদন্তকারী সংস্থা। ইডির দাবি, স্নেহময় জানিয়েছেন, তাইল্যান্ড এইচআর অ্যাসোসিয়েশনের আমন্ত্রণে ২০১৪-১৫ সালে ফুকেট গিয়েছিলেন পার্থ-অর্পিতা। ওই চর্জশিটে আরও ৪৩ জনের বয়ানের রেকর্ড রয়েছে। স্নেহময় আরও জানান, ডায়মন্ড সিটি সাউথের ফ্ল্যাটে অর্পিতার সঙ্গে তাঁর পরিচয় করিয়ে দেন প্রাক্তন মন্ত্রী। সিমবায়োসিস মার্চেন্টস নামে একটি সংস্থার বস অর্পিতা-এমনই পরিচয় দেন পার্থ। শুধু তাইল্যান্ডেই নয়, তাঁরা তিন জনে এক বার গোয়ায় গিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন স্নেহময়। তাইল্যান্ডে ‘অপা ইউটিলিটি সার্ভিস’-এর কোনও সম্পত্তি রয়েছে কি না তা তদন্ত করে দেখছে ইডি।  তবে ইডি সূত্রে খবর, জেরায় পার্থ জানিয়েছেন যে, তাঁর মালিকানাধীন কোনও সম্পত্তি তাইল্যান্ডে নেই।

    আরও পড়ুন: অর্পিতার ৩১টি পলিসির জন্য দেড় কোটি টাকা প্রিমিয়াম দিতেন পার্থ! চার্জশিটে দাবি ইডির

    শুধু বিদেশ সফর নয়, তদন্তকারীরা আরও জানান, সন্তান দত্তক নিতে চেয়েছিলেন অর্পিতা। সেই বিষয়ে পার্থ তাঁকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিলেন। সন্তান দত্তক নেওয়ার একটি সুপারিশপত্র পাওয়া গিয়েছে অর্পিতার ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাটে। সেখানে পার্থের সই আছে। অর্পিতার ওই দত্তক নেওয়ার ক্ষেত্রে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ বা অনাপত্তি শংসাপত্র দিয়েছিলেন পার্থ। এ বিষয়ে পার্থ জানান, তিনি জনপ্রতিনিধি। কারও সুপারিশপত্রে স্বাক্ষর করাটা তাঁর পক্ষে স্বাভাবিক বিষয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share