Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Kolkata Dengue: ডেঙ্গিতে ফের মৃত্যু রাজ্যে, ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত ১০৯১ জন

    Kolkata Dengue: ডেঙ্গিতে ফের মৃত্যু রাজ্যে, ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত ১০৯১ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মরশুমে হু হু করে বেড়েই চলেছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা (Kolkata Dengue)। ফের ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে একদিনে মৃত্যু হল ২ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে ডেঙ্গিতে সংক্রমিত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৯১ জন। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের। উল্লেখ্য, গত সোমবারই ৬৪৫ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু পরের দিনই একলাফে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেলে নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে। রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি ২৪ পরগনায়। কলকাতার পরিস্থিতিও বেশ উদ্বেগজনক।

    রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ডেঙ্গি সংক্রমণের নিরিখে গত ছয় বছরের মধ্যে ২০২২-এর সংক্রমণ সর্বাধিক। এবারের ডেঙ্গি সংক্রমণ ইতিমধ্যে ২০১৯-এর রেকর্ডকে ছাপিয়ে গিয়েছে। প্রায় প্রত্যেক দিনই ডেঙ্গিতে মৃত্যুর খবর আসছে ও ডেঙ্গি সংক্রমণ কমার জায়গায় ক্রমশ বেড়েই চলেছে।

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গি থেকে মুক্তি পেতে এই খাবারগুলো খাওয়া উচিত

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, গতকাল ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার ফাতিমা বিবির ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারের আনন্দ নস্করের। গত কয়েক দিন ধরে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে নিত্যদিনই বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। আবার ডেঙ্গিতে আক্রান্তের হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও ক্রমশ বেড়েই চলেছে। কলকাতার (Kolkata Dengue) বেসরকারি ও সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গিতে চিকিৎসাধীন রয়েছে প্রায় ৩০০ জনেরও বেশি। তার ওপর এবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গির উপসর্গে পরিবর্তন। জানা গিয়েছে, ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর শরীরে প্লেটলেট ঠিক থাকলেও অক্সিজেনের মাত্রা হু হু করে নেমে যাচ্ছে। ফলে উদ্বিগ্ন চিকিত্‍সকরাও।  

    অন্যদিকে ডেঙ্গি পরিস্থিতি (Kolkata Dengue) নিয়ে চিন্তিত রাজ্য প্রশাসনও। জেলায় জেলায় প্রচার অভিযান চালানো হচ্ছে। ডেঙ্গি মোকাবিলার জন্য এলাকায় এলাকায় ঘুরে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। কোথাও যাতে জল জমে না থাকে, সেই দিকে নজর রাখতে বলা হচ্ছে। এছাড়াও জ্বর হলে পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর থেকে সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির জন্যও একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছিল ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলায় আনার জন্য। কিন্তু তারপরও ডেঙ্গি পরিস্থিতি কিছুতেই সামাল দিয়ে উঠতে পারছে না প্রশাসন। পুজোর আগে থেকেই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। আর এখন দীপাবলিতেও ডেঙ্গির দাপট থাকবে বলে অনুমান করেছে স্বাস্থ্য দফতর আধিকারিকরা।

  • TET Agitation: ‘চাকরি দিক নয়ত লাশ তুলে নিয়ে যাক’, ৪৮ ঘণ্টা পেরোল টেট উত্তীর্ণদের আন্দোলন

    TET Agitation: ‘চাকরি দিক নয়ত লাশ তুলে নিয়ে যাক’, ৪৮ ঘণ্টা পেরোল টেট উত্তীর্ণদের আন্দোলন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও এক রাত কাটল রাস্তায় শুয়ে। দীর্ঘ ৪৮ ঘণ্টা পার। এখনও সল্টলেকের করুণাময়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সামনে বিক্ষোভ চলছে প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের (TET Agitation)। সোমবার দুপুর থেকে ২০১৪-র প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন। চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তাঁদের এখন একটাই কথা, ‘সরকার চাকরি দিক নয়তো লাশ তুলে নিয়ে যাক।’ আমরণ অনশন আন্দোলন চালাচ্ছেন তাঁরা। মঙ্গলবার থেকে চলছে অনশন (TET Hunger Strike)। জল, খাবার ছুঁচ্ছেন না বিক্ষোভকারীরা। আন্দোলনের তিনদিন হতে চললে, এখনও সরকার থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে বিক্ষোভকারীরা এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।

    আজ, বুধবার থেকে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন (TET Agitation) আরও চরমে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর পদক্ষেপের দাবি করার পাশাপাশি তাঁরা ওএমআর শিট সামনে আনার দাবি করেছেন। এক্ষেত্রে পর্ষদ রাজ্য সরকারের কোর্টে বল ঠেলেছে। আবার রাজ্য সরকার বল ঠেলছে আদালতের দিকে। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেছে, ২০১৪ সালে টেট পাশ করেছে তাঁরা। তারপরেও তাঁদের চাকরি দেওয়া হয়নি। টানা ৮ বছর ধরে তাঁরা অপেক্ষা করেছেন। তাঁদের নিয়োগ না করেই নতুন করে টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে রাজ্য সরকার। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি প্রতিশ্রুতি রাখেননি বলে দাবি করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

    আরও পড়ুন:‘চুরি যাওয়া চাকরি ফেরত দাও’! রাতভর রাস্তায় শুয়ে দাবি টেট উত্তীর্ণদের

    টেট উত্তীর্ণরা আরও দাবি করেছেন, নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁরা অংশ নিতে চান না। তাঁদের সরাসরি নিয়োগ করতে হবে। কারণ তাঁরা প্রত্যেকেই ২০১৪ সালে টেট পাশ করেছেন। এমনকী দু’বার ইন্টারভিউও দিয়েছেন। অথচ তাঁদের হাতে এখনও নিয়োগপত্র আসেনি। ফলে তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন। আর চাকরি নিয়েই বাড়ি ফিরবেন।

    অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা বলেন, চাকরি নেই কেন তা আদালতের কাছে জিজ্ঞেস করতে। ফলে টেট উত্তীর্ণরা আন্দোলনে অনড় হয়ে রয়েছেন। আর তাঁরা চাকরি না নিয়ে বাড়ি ফিরবে না বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দাবি, আন্দোলনকারীদের দাবি অনায্য। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘পরপর দু’বার ইন্টারভিউ দিয়েও, প্যানেলভূক্ত হননি ২০১৪- এর এই চাকরিপ্রার্থীরা। বয়সের ঊর্ধ্বসীমা নিয়েও কিছু করার নেই আমাদের। বয়সের ঊর্ধ্বসীমার সিদ্ধান্ত সরকারের। এর পেছনে রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে।’

    এদিকে নতুন করে আমরণ অনশন শুরু করেছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই অনেক আন্দোলনকারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তারপরেও আন্দোলনে (TET Agitation) অনড় রয়েছেন তাঁরা। ফলে এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের তরফে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয় কিনা সেটাই এখন দেখার।

  • Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনীতে হাজির করাতে হবে অনুদান পাওয়া ক্লাবগুলিকে, সরকারি নির্দেশে সরব শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনীতে হাজির করাতে হবে অনুদান পাওয়া ক্লাবগুলিকে, সরকারি নির্দেশে সরব শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বোমা ফাটালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রীর (CM) বিজয়া সম্মিলনীতে যেসব ক্লাব ৬০ হাজার করে টাকা পেয়েছিল, তাদের ওই সম্মিলনীতে হাজির করাতে হবে বলে বিভিন্ন প্রশাসনিক আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং জেলাশাসক (DM)! সরকারি একটি পদে বসে জেলাশাসক এমন নির্দেশ দিতে পারেন কিনা, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    বামেদের হঠিয়ে ২০১১ সালে রাজ্যের তখতে বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন তৃণমূল (TMC) সরকার। তার পরেই একের পর এক অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে রাজ্য সরকারের নাম। রাজ্য সরকারের এহেন অনিয়মের অভিযোগে বারংবার সরব হয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঙ্গলবার এরকমই একটি ন্যক্কারজনক ঘটনার কথা ট্যুইট করে জানালেন শুভেন্দু। ট্যুইটবার্তায় শুভেন্দু জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকরা তাঁদের অধস্তন এডিএম, এসডিও এবং বিডিওদের প্রতি এক নির্দেশিকা জারি করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, দুর্গাপুজো উপলক্ষে যেসব ক্লাবকে ৬০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে, ওই সব ক্লাবের সদস্যদের আগামিকাল শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনীতে বাধ্যতামূলকভাবে হাজির করাতে হবে। সরকারি পদে বসে জেলাশাসকের মতো একজন পদাধিকারী এহেন নির্দেশ দিতে পারেন কিনা, তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।

    তবে প্রশ্ন উঠলেই বা কী হবে? এমন নজির রয়েছে আরও। এবং তা তুলে ধরেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীই (Suvendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর ঘিরে সাজ সাজ রব। বিরোধী নেত্রী থাকার সময় উত্তরবঙ্গের একটি রিসর্টে গিয়েছিলেন তিনি। রিসর্টটি উত্তর ২৪ পরগনার মহেশতলার বিধায়ক তৃণমূলের দুলাল দাসের। ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি এই রিসর্ট সংস্কার করা হয়েছে সরকারি অর্থ ব্যয়ে। সাজানো হয়েছে রিসর্ট চত্বর। রিসর্টে যাওয়ার রাস্তাও ঢেলে সাজানো হয়েছে। শুভেন্দুর দাবি, এসবই হয়েছে সরকারি টাকা খরচ করে। মুখ্যমন্ত্রী যেতে পারেন ভেবে সরকারি টাকায় একটি বেসরকারি রিসর্ট সাজানো যায় কিনা, সে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। রিসর্ট বিতর্কের রেশ মেলানোর আগেই এবার জেলাশাসকদের বার্তা নিয়ে সরব হলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।   প্রসঙ্গত, এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনীকে কর্পোরেট সম্মিলনী বলে কটাক্ষ করেছিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেছিলেন, এই ধরনের কর্পোরেট সম্মিলনীর কোনও মূল্য সাধারণ মানুষের কাছে নেই। এই ধরনের সম্মিলনীতে সাধারণ মানুষ থাকে না। এখানে থাকে শুধু তোলামূল পার্টির সদস্য আর পুলিশ। 

    আরও পড়ুন: তিস্তায় রমরমিয়ে চলছে বালি পাচার, ভিডিও শেয়ার করে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • TET-Scam: মানিক-ঘনিষ্ঠের ৩৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখছে ইডি! জানেন কে এই তাপস মণ্ডল?

    TET-Scam: মানিক-ঘনিষ্ঠের ৩৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখছে ইডি! জানেন কে এই তাপস মণ্ডল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নয়া সংযোজন তাপস মণ্ডল। মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলই (Tapas Mandal) এখন ইডির (ED) প্রাইম স্লট। কিন্তু কে এই তাপস মণ্ডল? রাজ্যে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালিক, প্রভাবশালী, উচ্চশিক্ষিত এই তাপসকে এতদিন খুব বেশি লোকে জানতেন না।  এখন উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতে বাড়ি থাকলেও, আদতে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার হরেকৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা তাপস। আজ থেকে প্রায় চার দশক আগে, ১৯৮৫ সাল রাজ্যে তখন ক্ষমতায় সিপিএম, পাঁশকুড়া স্টেশন বাজার লাগোয়া এলাকায় একটি চিটফান্ড খুলেছিলেন তাপস মণ্ডল। সেই চিটফান্ড কোম্পানির নাম ছিল মিনার্ভা ফাইনান্স লিমিটেড। বাজারের চেয়ে বেশি সুদের লোভ দেখিয়ে বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছিল এই চিটফান্ড কোম্পানি। জাল ছড়িয়ে পড়েছিল তত্‍কালীন অবিভক্ত মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, এমনকি পড়শি রাজ্যের ভুবনেশ্বরেও। এরপর চিটফান্ড সংক্রান্ত একটি মামলায় ১৯৯০ সালে ওড়িশা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন তাপস মণ্ডল। কয়েকমাস জেলও খাটেন। তারপরই চিটফান্ডের ব্যবসা গুটিয়ে নেন তিনি।

    আরও পড়ুন: এবার কেষ্টকন্যা সুকন্যাকে দিল্লিতে তলব ইডির

    সম্প্রতি তাপস একাধিক ট্রাস্ট চালাতেন। সেই ট্রাস্টের অধীনে রয়েছে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে মূল প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে মহিষবাথানে। সেখানেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিকের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা। গত শনিবার সেখানে তল্লাশি চালান ইডির তদন্তকারীরা। এ ছাড়াও,কলেজ স্ট্রিটের একটি ঠিকানা ও তাপসের বারাসতের বাড়ি টানা তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা। রাজ্য ডিএলএড কলেজ ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন তাপস। এ ছাড়া, ‘অল বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং অ্যাসোসিয়েশন’ এরও সভাপতি ছিলেন। ইডির অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নামে অনেক চাকরিপ্রার্থীর কাছে টাকা নিয়েছেন তাপস। এমনকি, উচ্চপ্রাথমিকে চাকরি দেবেন বলেও অনেকের কাছ থেকে ‘অগ্রিম’ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু সেই প্যানেল তৈরি না হওয়ার কারণে চাকরি দিতে পারেননি বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুন: মানিক ঘনিষ্ঠের টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারে ইডি! ভাঙা হল তালা, জানেন কী মিলল?

    ইডি সুত্রে খবর,ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের নজরে রয়েছে মোট ৩৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ৪টি এনজিও, ৮ মোবাইল ফোন ও তাপস মণ্ডলের ৬ সহকর্মী। ইডির তরফ থেকে জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গিয়েছিল তাপস মণ্ডলের এক আত্মীয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখার পর। সেখানে দেখা গিয়েছিল, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার থেকে ওই অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছিল। সেই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ছিল তাপসের। তারপরেই শুরু হয় তদন্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: আশায় বুক বাঁধবেন না, টেট পরীক্ষার্থীদের পরামর্শ দিয়ে রাজ্য সরকারকে খোঁচা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: আশায় বুক বাঁধবেন না, টেট পরীক্ষার্থীদের পরামর্শ দিয়ে রাজ্য সরকারকে খোঁচা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক টেট দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বেনজির আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ট্যুইট করে লিখলেন, “যাঁরা অনেক আশা করে শিক্ষক হওয়ার জন্য পরীক্ষায় বসার ফর্ম পূরণ করতে চলেছেন, তাঁদের জন্য এটি একটি বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ– পরীক্ষায় অবশ্যই অংশগ্রহণ করবেন, কিন্তু আশায় বুক বাঁধবেন না। এই দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের আমলে স্বচ্ছতা আশা করা আর পক্ষিরাজ ঘোড়ার পিঠে সওয়ার হওয়া প্রায় সমান।” এখানেই থামেননি তিনি। ‘২০২২ টেট পরীক্ষার আবেদনপত্র’ বলে একটি ব্যাঙ্গাত্মক ফর্ম সেই ট্যুইটে জুড়েছেন তিনি।  

    আরও পড়ুন: ‘চাকরি দিক নয়ত লাশ তুলে নিয়ে যাক’, ৪৮ ঘণ্টা পেরোল টেট উত্তীর্ণদের আন্দোলন


    আবেদনপত্রটিতে নাম, বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতার জায়গার পাশাপাশি লেখা রয়েছে ‘অযোগ্য প্রার্থী হলে নিজের মোবাইল নম্বর লিখুন’, পাশাপাশি নিজস্ব বুথের তৃণমূল নেতার নাম ও মোবাইল নম্বর লেখারও জায়গা রয়েছে। 

    একদম শেষে রয়েছে কিছু শর্তাবলী। শর্তাবলীর ভিতরে লেখা রয়েছে যে, পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসবেন তাঁদের অসীম ধৈর্য থাকতে হবে। কোথাও আবার পরামর্শ দিয়ে লেখা ঘুষের টাকা পরে তৃণমূল নেতার থেকে ফেরত চাইতে হলে টাকা দেওয়ার প্রমাণ গুছিয়ে রাখতে হবে। একই সঙ্গে যাঁদের বয়স উর্ধ্বসীমার কাছাকাছি রয়েছে তাঁদের আবেদন না করারই পরামর্শ দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। 

    প্রসঙ্গত, টেট দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এসএসসি দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হয়ে জেলে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দিন কয়েক আগেই প্রাথমিক টেটে নিয়োগে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যও। এর মাঝেই টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ফের নেওয়া হবে টেট পরীক্ষা। গত ১৪ অক্টোবর থেকে অনলাইনে প্রাথমিকে চাকরির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আর এবার এই নিয়ে সরকারের দিকে আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • WB Panchayat Election: নতুন বছরের শুরুতেই পঞ্চায়েত নির্বাচন! হাওড়া পুরসভার ভোট কবে?

    WB Panchayat Election: নতুন বছরের শুরুতেই পঞ্চায়েত নির্বাচন! হাওড়া পুরসভার ভোট কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের গোড়ায়ই হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন (WB Panchayat Election)। যদি নিতান্তই জানুয়ারিতে ভোট করানো না যায়, তাহলে সেক্ষেত্রে ভোট হবে মার্চের শেষ কিংবা এপ্রিলের প্রথমে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission) সূত্রেই এ খবর মিলেছে। ইতিমধ্যেই নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ, আসন সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। আজ, বুধবারই ওই তালিকা প্রকাশ করে দেবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ভোট হবে রাজ্য পুলিশ দিয়ে। এদিকে, হাওড়া পুরসভার ভোটও হতে পারে আগামী বছরেই।

    রাজ্য প্রশাসনের একটি অংশ জানুয়ারিতেই ভোট (WB Panchayat Election) করানোর পক্ষপাতী। শীতে নিতান্তই সম্ভব না হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার দরুণ ভোট পর্ব শুরু হবে না মার্চের তৃতীয় সপ্তাহের আগে। সেক্ষেত্রে ভোট হবে এপ্রিলের গোড়ায়। কারণ পরীক্ষা শেষ হলে তবেই মাইক বাজিয়ে প্রচারে কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। তবে ঠিক কবে ভোট হবে, তা জানা যাবে আর কিছু দিন পরে। এদিকে, দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন (WB Panchayat Election) ধরে নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের শাসক, বিরোধী সব শিবিরই। তৃণমূল নেতাদের জেলায় জেলায় গিয়ে জনসংযোগ বাড়াতে বলা হয়েছে। শীঘ্রই জেলা সফর শুরু করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপিও। ২০ জনের একটি বিশেষ কমিটি তৈরি করেছে পদ্ম শিবির। জেলাগুলিতে নিয়োগ করা হয়েছে পর্যবেক্ষক।

    আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তলব সিবিআইয়ের, দু ঘণ্টা জেরা তৃণমূলের দেবরাজকে

    রাজ্যে এর আগে পঞ্চায়েত ভোট (WB Panchayat Election) হয়েছিল ২০১৮ সালে। সেবারও ভোট হয়েছিল রাজ্য পুলিশ দিয়ে। সেবার ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম। বিরোধীদের অভিযোগ, সন্ত্রাসের কারণে সেবার ৩৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। বিরোধীদের দাবি, রাজ্য পুলিশ দিয়ে নির্বাচন হলে অবাধ ভোট হবে না। ফের সৃষ্টি হবে অশান্তির বাতাবরণ। সেই আবহে কীভাবে নিরপেক্ষ ভোট হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীদের একাংশ। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে (WB Panchayat Election) রাজ্যের বহু আসনে প্রার্থী দিতে পারেননি বিরোধীরা। বিশেষত অনুব্রত মণ্ডলের বীরভূমে। তবে অনুব্রত এখন জেলে। ভোট পর্যন্ত তিনি ছাড়া না পেলে বীরভূমেও প্রার্থী দিতে পারবেন বিরোধীরা। এদিকে, নতুন বছরে ভোট হতে পারে হাওড়া পুরসভায়ও। মেয়াদ শেষেও নির্বাচন না হওয়ায়  পুরসভা চলছে প্রশাসক দিয়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যে শীঘ্রই চালু হবে সিএএ! নাগরিক সংশোধনী বিল নিয়ে আশার আলো দেখালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: রাজ্যে শীঘ্রই চালু হবে সিএএ! নাগরিক সংশোধনী বিল নিয়ে আশার আলো দেখালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘নিশ্চিত থাকুন, খুবই শীঘ্রই আপনাদের স্বপ্নপূরণ হবে।’ বনগায় বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নাগরিক সংশোধনী বিল (CAA) নিয়ে আশার আলো দেখালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগেই দিল্লি গিয়েছিলাম। জানতে চেয়েছিলাম, কবে আমাদের রাজ্যে CAA চালু হবে। ইতিবাচক উত্তর পেয়েছি। আমার বিশ্বাস, সেই সময় খুব দেরি নেই।’ পাঞ্চায়েত ভোটের আগে শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্যে বেজায় খুশি বনগাবাসী। কারণ, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস করা নিয়ে দীর্ঘদিন তারা আন্দোলন করেছেন।

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনীতে হাজির করাতে হবে অনুদান পাওয়া ক্লাবগুলিকে, সরকারি নির্দেশে সরব শুভেন্দু

    যদিও এই আইন নিয়ে অতীতে কম বিতর্ক হয়নি। অনেকেরই মনে হচ্ছিল, ব্যাপারটি হয়তো লাল ফিতের ফাঁসে আটকে পড়েছে। কিন্তু রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কথা শুনে ফের আশায় বুক বেঁধেছেন অনেকেই। ঠাকুর নগরে এক জনসভায় খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) রাজ্যে সিএএ চালুর ব্যাপারে জোর সওয়াল করেছিলেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু বলেন, ‘আজ না হয় কাল সিএএ আইন রাজ্যে লাঘু হবেই। কেউ আটকাতে পারবে না। কারণ, কথা দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ। তাঁরা যখন কথা দেন, তা রাখেন। আমি মনে করি, শুধু  সিএএ নয়, অবিলম্ব রাজ্যে এনআরসিও চালু হওয়া দরকার। এমনকী, জন্ম নিয়ন্ত্রণ আইন খুবই প্রয়োজন। তবে সবার আগে সিএএ চালুর ব্যবস্থা করছি আমরা। কারণ, এটা শান্তনু ঠাকুরের লড়াই, এই লড়াই বিধায়ক স্বপন মজুমদার, অশোক কীর্তনীয়া, সুব্রত ঠাকুর, অম্বিকায় রায়, অসীম সরকারদের। যা কোনওভাবইে বিফলে যাবে না। আমরা জয়ী হবই।’

    আরও পড়ুন: তিস্তায় রমরমিয়ে চলছে বালি পাচার, ভিডিও শেয়ার করে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    লোকসভা ও রাজ্যসভায় সিএএ আইন পাস হয়েছে। এবার সেটা প্রয়োগ হবে, বলে জানান শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতার কথায়, ‘আমাদের রাজ্যে দিনের পর দিন অনুপ্রবেশ বাড়ছে। কাঁটা তারের বেড়া টপকে এসে অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের রেশন খাচ্ছে, জমি ছিনিয়ে নিচ্ছে, ভাগ বসাচ্ছে একশো দিনের কাজেও। আর বঞ্চিত হচ্ছে আমাদের ঘরের ছেলে-মেয়েরা। ভারতভূমিকে রক্ষা করার জন্য, পশ্চিমবঙ্গকে রক্ষা করার জন্য নাগরিক পঞ্জি তৈরি ভীষণই জরুরি।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Manik Bhattacharya: টেট পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন পৌঁছে যেত ট্রেনিং সেন্টারে! বিস্ফোরক তথ্য ইডি-র হাতে

    Manik Bhattacharya: টেট পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন পৌঁছে যেত ট্রেনিং সেন্টারে! বিস্ফোরক তথ্য ইডি-র হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক টেট সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় (Primary Tet Recruitment Scam) ফের এক পর্দা ফাঁস হল মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya)। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সামনে এল টেটের (TET) ‘প্রশ্নফাঁস’-এর কথা। এই দুর্নীতি কাণ্ডে আগেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। আর গ্রেফতারের পর থেকেই একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে এসে চলেছে। আর এর মধ্যেই এবার আরও একটি তথ্য এল ইডির হাতে, যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ। পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র কয়েকটি টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারে চলে আসত বলে তথ্য পেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (‌ইডি)‌। আর এই তথ্যেই ফের শোরগোল পড়ে গিয়েছে।  

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঝে রাজ্যে একাধিক টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার (Teachers Training Centre) গজিয়ে উঠেছিল, আর পরীক্ষার আগেই টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পৌঁছে যেত এই ট্রেনিং সেন্টারগুলোতে। আর এতে পুরো হাত ছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya)। এমনটাই অভিযোগই উঠে আসে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) কাছে। ফলে এমন বিস্ফোরক অভিযোগের খবর সামনে উঠে আসতেই তদন্ত শুরু করেছে ইডির অফিসাররা।

    আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তলব সিবিআইয়ের, দু ঘণ্টা জেরা তৃণমূলের দেবরাজকে

    এই প্রশ্ন ফাঁস-এর কাণ্ডে শুধুমাত্র মানিক (Manik Bhattacharya) নয়, এনার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলেরও হাত রয়েছে বলে অনুমান করা হয়েছে। তাই তাপসের ৩৫ টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের উপর ক্রমাগত নজর রেখে চলেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। শুধু তাই নয়, একইসঙ্গে তাপস মণ্ডলের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া একাধিক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের কি সম্পর্ক রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে ইডি।

    সম্প্রতি তদন্ত চলাকালীন ইডি আধিকারিকদের কাছে খবর আসে যে, টেট পরীক্ষার আগে প্রশ্নফাঁস হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছে যে, মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) সম্মতিতেই তাঁর ঘনিষ্ঠদের শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেই পৌঁছে যেত প্রশ্ন ও উত্তরপত্র। তার আগে ওই কেন্দ্রের কর্মকর্তারা প্রাথমিক স্কুলে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নিতেন। তার বদলে ওএমআর শিটগুলি সঠিক উত্তর লিখে ভরাট করানোর ব‌্যবস্থা করা হত। আর এই তথ‌্যগুলিই ইডি যাচাই করছে এখন। তার জন‌্য যে ‘ভুয়ো’ শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে, তাঁদের জেরা করাও শুরু করছেন ইডির গোয়েন্দারা।

  • Howrah: বাড়িতেই না, ব্যাংকেও হয়েছে ৭৭ কোটি টাকার লেনদেন! হাওড়া কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে

    Howrah: বাড়িতেই না, ব্যাংকেও হয়েছে ৭৭ কোটি টাকার লেনদেন! হাওড়া কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শুধুই টাকার পাহাড়! গতকালই উদ্ধার হয়েছে ২৮ কোটি টাকা সহ সোনা রুপো এমনকি হিরের গয়নাও। কিন্তু এবার কোনও হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর বাড়ি থেকে নয় বরং এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ এবং গয়না। ব্যবসায়ীর নাম শৈলেশ পাণ্ডে। পুলিশের অভিযানের আগে থেকেই খোঁজ নেই হাওড়ার পাণ্ডে ব্রাদার্সের। হাওড়ার শিবপুর টাকা উদ্ধার কাণ্ডে এবারে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আরও টাকার হদিশ পাওয়া গিয়েছে। শুধুমাত্র নগদ অর্থই নয়, ব্যাংকের দুটি অ্যাকাউন্টে প্রায় ৭৭ কোটি টাকার লেনদেনের খবর সামনে এসেছে। ফলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, এত টাকার উৎস কী?

    এই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানিয়েছে যে, লোক ঠকানোর কারবারের জন্য খোলা হয়েছিল আইএক্স গ্লোবাল নামক অ্যাপ। এই অ্যাপের মাধ্যমে বিদেশ থেকে অনলাইনে টাকা রোজগারের ব‌্যাপারে প্রশিক্ষণ বা শিক্ষা দেওয়া হত। এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ৮০ ডলার থেকে শুরু করে ১২৫ ডলার নেওয়া হত আর এরই মাধ্যমে অনেক বেশি টাকা রোজগার করা হত। এখানেই শেষ নয়, যারা ট্রেনিং নিত তাদের লোভ দেখানো হত যে, এই অ্যাপে আরও বেশি লোক নিয়ে আসলে তাদের কমিশন দেওয়া হবে। এরপর তাদের প্রথম কমিশন দেওয়া হলেও সেটি দশ হাজার ডলার ছাড়িয়ে গেলেই তাদের অ‌্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হত। আর এভাবেই পাণ্ডে ব্রাদার্সের অ্যাকাউন্টে জমা হত টাকা।

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনীতে হাজির করাতে হবে ক্লাবকে, জেলাশাসকদের নির্দেশ নিয়ে সরব শুভেন্দু

    আরও জানা গিয়েছে, এভাবে মোট ৩৪টি বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও অ‌্যাপ থেকে টাকা আসতে শুরু করে আইএক্স গ্লোবাল অ‌্যাপে, যা নিয়ন্ত্রণ করত টি পি গ্লোবাল নামে একটি সংস্থা। এরপর এই নিয়ে প্রথম অভিযোগ জমা পড়েছিল চলতি বছরের অগাস্ট মাসে। অভিযোগ জানিয়েছিল একটি রাষ্টায়ত্ত ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ১৬, স্ট্র্যান্ড রোডের ঠিকানা দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। দুটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল অগাস্টে।

    চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দেখা যায় বিশাল পরিমাণে টাকার লেনদেন হয়েছে ওই অ্যাকাউন্টে। এক মাসে প্রায় ৭৭ কোটি টাকার লেনদেন। আর এত টাকার লেনদেনের ফলেই সেটির উপর বিশেষ নজর রাখা হয়। ওই সংস্থা থেকে আরও কয়েকটি সংস্থায় ভাগ হয়ে টাকা জমা পড়ছে দু’টি অ‌্যাকাউন্টে। এক মাসে ওই দুই অ‌্যাকাউন্ট থেকে ৭৭ কোটি টাকার লেনদেন হওয়ায় গোয়েন্দাদের সন্দেহ হয়। এরপর পুলিশ সূত্র ধরে সেই জায়গায় পৌঁছলে শৈলেশ পাণ্ডের নাম সামনে আসে। আরও জানা গিয়েছে, শৈলেশ চার্টার্ড অ‌্যাকাউন্ট‌্যান্টও ছিলেন ও এর সুযোগ নিয়ে বহু মানুষের পরিচয়পত্রের কপি ও ছবি জোগাড় করে ভুয়ো অ‌্যাকাউন্টও খুলতেন। আর এভাবেই চিট ফান্ডের মতই প্রতারণা করে এত পরিমাণের সম্পত্তি বানিয়েছে তারা।

  • Recruitment Scam: কামদুনির মৌসুমীও কাজ করতেন তাপসের সংস্থায়! মহিষবাথানের অফিস নিয়ে কী জানালেন তিনি?

    Recruitment Scam: কামদুনির মৌসুমীও কাজ করতেন তাপসের সংস্থায়! মহিষবাথানের অফিস নিয়ে কী জানালেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কামদুনির প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী কয়ালও কাজ করতেন মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের (Tapas Mondal) মহিষবাথানের (Mahishbathan)অফিসে। নিজেই একথা জানালেন মৌসুমী। তবে আর্থিক দুর্নীতি বা নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কিছুই জানেন না বা দেখেননি তাঁরা এমনই দাবি মৌসুমীর। চার-পাঁচ মাস বেতন না পেয়ে ওই চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। 

    মৌসুমীর কথায়, প্রায় আড়াই বছর আগে তাপসের সংস্থায় কাজ করতেন তিনি। মৌসুমী বলেন, ‘একজনের সূত্রে আলাপ হয়েছিল তাপস মণ্ডলের সঙ্গে। তাপসবাবু কামাখ্যায় তাদের আশ্রমে ঘুরতে যেতে বলেন। অনুরোধ রক্ষা করতে সেখানে যাই। তখন একজন ভাল মানুষ বলেই জানতাম তাঁকে। ফিরে আসার কিছুদিন পর তাপসবাবু বলেন, ওনার প্রোজেক্টের কিছু কাজ চলছে, সেগুলো দেখাশুনো করলে ভালো হয়। সেই সময় আমরা ১৪ – ১৫ জন ওনার মহিষবাথানের অফিসে কাজে যোগ দিই। কিন্তু প্রায় ৫ থেকে ৬ মাস মাইনে না পাওয়ায় চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলাম’।        

    আরও পড়ুন: নানারকমের সোনার অলঙ্কারই অনুব্রতর কালী প্রতিমার বৈশিষ্ট্য! জানেন কী কী রয়েছে সেই তালিকায়?

    মৌসুমী আরও জানিয়েছেন, তিনি যখন মহিষবাথানে তাপস মণ্ডলের মিনার্ভা এডুকেশন অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টে কাজ করতেন তখন ওই সংস্থার উদ্যোগে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। সেখানে মানিকবাবুর সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। মৌসুমী জানিয়েছেন, তিনি যতদিন সেখানে ছিলেন, চাকরি বিক্রি বা কোনও লেনদেন সংক্রান্ত অস্বাভাবিক কিছু দেখেননি। তবে তার পর গত আড়াই বছরে কী হয়েছে তা জানা নেই তাঁর।

    আরও পড়ুন: মানিক-ঘনিষ্ঠের ৩৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখছে ইডি! জানেন কে এই তাপস মণ্ডল?

    অন্যদিকে, তাপস মণ্ডলের মহিষবাথানের অফিসে এত টাকা আসত, যে তা গোনার জন্য রীতিমতো মেশিন বসানো ছিল। সম্প্রতি অমন মন্তব্য করেছেন তাপস মণ্ডলের মিনার্ভা এনজিও-র দীনদয়াল উপাধ্যায় কেন্দ্রীয় কারিগরি শিক্ষা প্রজেক্টের এক কর্মী। সরকার তার পাশে আছে, এই দম্ভেই লোককে ভয় দেখিয়ে কাজ করাতেন তাপস এমনই দাবি তাঁর। তিনি জানান,মিনার্ভার ১৬ জন কর্মচারীর ৫ মাসের বেতনও আত্মসাৎ করেছেন তাপস মণ্ডল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share