Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: তিস্তায় রমরমিয়ে চলছে বালি পাচার, ভিডিও শেয়ার করে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: তিস্তায় রমরমিয়ে চলছে বালি পাচার, ভিডিও শেয়ার করে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি টাকায় এক তৃণমূল বিধায়কের রিসর্ট সংস্কারের কাজ হচ্ছে। এমনই অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রী ওই রিসর্টে যেতে পারেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। এর পর আটচল্লিশ ঘণ্টাও কাটেনি, ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি পাচারের (Sand Smuggling) একটি ভিডিও শেয়ার করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কটাক্ষ, মুখ্যমন্ত্রী যখন পাহাড় সফরে তখন তাঁর উপস্থিতির মধ্যেই ওই জেলায় রমরমিয়ে চলছে বালি পাচার।

    সোমবার উত্তরবঙ্গ (North Bengal) সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজয়া দশমীর দিন মালবাজারে মাল নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আচমকাই জলপাইগুড়ির ওই নদীতে চলে আসে হড়পা বান। বানের জলে ভেসে যান বেশ কয়েকজন। পরে উদ্ধার হয় তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের দেহ। এদিন উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে দশমীর দিনের ওই মর্মান্তিক ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী যখন ওই পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করে কুম্ভীরাশ্রু বিসর্জন করছেন, ঠিক তখনই উত্তরবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ নদী তিস্তা থেকে অবৈধভাবে বালি তোলার ভিডিও শেয়ার করলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

    ২ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের ভিডিওটি শেয়ার করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, তিস্তা থেকে অবৈধভাবে বালি তোলা চলছে। মুখ্যমন্ত্রী যখন পাহাড় সফর করছেন, তখন তাঁর উপস্থিতির মধ্যেই জেলায় রমরমিয়ে চলছে অবৈধভাবে বালি পাচার। নন্দীগ্রামের বিধায়েকর অভিযোগ, তৃণমূল নেতাদের মদতেই চলছে বালি পাচার। পাচারের কাজ চলছে রাজগঞ্জ বিধানসভার পাহাড়পুর এলাকায়।

    আরও পড়ুন: ওরা হিন্দুদের তাড়াতে চায়! মোমিনপুর-কাণ্ডে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    রবিবারই শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) অভিযোগ করেছিলেন, সরকারি ব্যয়ে উত্তরবঙ্গে একটি বেসরকারি রিসর্ট সংস্কার করা হচ্ছে। রিসর্টটি মহেশতলার বিধায়ক তৃণমূলের দুলাল দাসের। কেবল ওই রিসর্টটি নয়, তার আশপাশের এলাকা এবং রিসর্টে যাওয়ার রাস্তাও সংস্কার করা হচ্ছে সরকারি অর্থ ব্যয়ে। মুখ্যমন্ত্রী ওই রিসর্টে যেতে পারেন বলেও জানিয়েছিলেন শুভেন্দু। মুখ্যমন্ত্রী যখন বিরোধী নেত্রী ছিলেন, তখন একবার ওই রিসর্টে গিয়েছিলেন। সরকারি অর্থ ব্যয়ে কেন চলছে ব্যক্তিগত রিসর্ট সংস্কারের কাজ, সে প্রশ্নও তুলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • TET Scam: ‘চুরি যাওয়া চাকরি ফেরত দাও’! রাতভর রাস্তায় শুয়ে দাবি টেট উত্তীর্ণদের

    TET Scam: ‘চুরি যাওয়া চাকরি ফেরত দাও’! রাতভর রাস্তায় শুয়ে দাবি টেট উত্তীর্ণদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চুরি যাওয়া চাকরি, ফেরত চাই। এই দাবিতে ঘুমহীন রাত কাটল রাস্তায় শুয়ে। দীর্ঘ ২০ ঘণ্টা পার। এখনও সল্টলেকের করুণাময়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সামনে অবস্থান চলছে প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের। গতকাল বেলা ১২টা থেকে ২০১৪-র প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। এপিসি ভবনের সামনে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তিতে কয়েকজন বিক্ষোভকারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। উল্টোদিকেই বেসরকারি হাসপাতাল। রাতেই আন্দোলনকারীদের পুলিশ জানায়, অবস্থানস্থলে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।  হাসপাতালে অ্যাম্বুল্যান্স যেতে-আসতে সমস্যা হচ্ছে। আইন হাতে তুলে না নেওয়ার জন্য বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে মাইকে আবেদন জানায় পুলিশ। তবু অবস্থান-বিক্ষোভে অনড় প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরাও যে এক অসুস্থ রাজনীতি ও পরিস্থিতির শিকার। তাঁরাও নিরুপায়।

    আরও পড়ুন: বক্স খাটের ভিতর থেকে মিলল ৬কোটি টাকা! ব্যাঙ্ক জালিয়াতি কাণ্ডে শিবপুরের শৈলেশকে খুঁজছে পুলিশ

    সোমবার চাকরির দাবিতে করুণাময়ীতে SSC ভবনের সামনে অবস্থান করে টেট চাকরিপ্রার্থীরা। ২০১৪ প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা এদিন জমায়েত করেন। করুণাময়ী মেট্রো স্টেশন থেকে মিছিল এগোতেই পথ আটকায় পুলিশ। চাকরিপ্রার্থীরা তাঁদের টপকে সামনের দিকে এগোনোর চেষ্টা করেন। তখনই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অভিযোগ পুলিশি বাধা অগ্রাহ্য করে চাকরিপ্রার্থীরা ছুটতে শুরু করলে ধস্তাধস্তি বাধে। কাতারে কাতারে যুবক–যুবতীদের আটকাতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। ধরপাকড়ের প্রতিবাদে রাস্তায় শুয়ে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা। তার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীকে আটক করে পুলিশ। অবশেষে, পর্ষদ সভাপতির সঙ্গে কথা বলেন বিক্ষোভকারীদের ৪ প্রতিনিধি।

    আরও পড়ুন: নিয়োগের দাবি করায় এভাবে হেনস্থা টেটে সফল প্রার্থীদের?

    প্রসঙ্গত, নিয়োগের দাবিতে গত ১৫ অক্টোবর মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে হাজির ২০১৮ সালের কলেজ সার্ভিস কমিশনের মেধা তালিকাভুক্ত চাকরিপ্রার্থীরা। এদিন এসএসসি ধর্নামঞ্চের পাশেই জড়ো হন তাঁরা। পুলিশ এসে কলেজ সার্ভিস কমিশনের চাকরিপ্রার্থীদের সরিয়ে দেয়। ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির সামনে আন্দোলনে অনড় ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট চাকরিপ্রার্থীরা। আজ ৬৩ দিনে পড়ল তাঁদের ধর্না অবস্থান। প্রাথমিকে ৩ হাজার ৯২৯ শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই শূন্যপদে চাকরির দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলেন ১ হাজার ৪০০ জন চাকরিপ্রার্থী। আজ, মঙ্গলবার সেই মামলারও শুনানি হওয়ার কথা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • TET Scam:  চাকরি খুইয়েছেন ভাইয়ের স্ত্রী-ও! ভাইয়ের কলেজ থেকেই মিলত ভুয়ো সার্টিফিকেট, মানিক ঘনিষ্ঠ তাপসকে তলব ইডির

    TET Scam: চাকরি খুইয়েছেন ভাইয়ের স্ত্রী-ও! ভাইয়ের কলেজ থেকেই মিলত ভুয়ো সার্টিফিকেট, মানিক ঘনিষ্ঠ তাপসকে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে (ED Summons Tapas Mondal) তলব করল ইডি। আগামী ২০ অক্টোবর তাপসকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডাকা হয়েছে। তাপসের যে শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলি রয়েছে তার নথি নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার মানিক (Manik Bhattacharya) ঘনিষ্ঠ তাপসের বারাসতের অফিসে হানা দিয়ে প্রচুর নথি উদ্ধার করা হয়। 

    বারাসতে (Barasat) কামাখ্যা মন্দিরের কাছে তাপস মণ্ডলের বাড়িতে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দল। একই সঙ্গে হানা দেওয়া হয় উত্তর ২৪ পরগনার মহিষবাথান এলাকায়। সেখানে মানিকের এক ঘনিষ্ঠ তথা তাপসের আত্মীয়র টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে বলে গোয়েন্দারা জানিয়েছিলেন। ওই ট্রেনিং সেটারের শাটার বন্ধ থাকায় তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন তাঁরা। ওখানেই বেআইনিভাবে নিয়োগ করা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। পাঁশকুরার বাসিন্দা ছিলেন তাপস। সেখানকার মাইশোরার পাতন্দা গ্রামে তাপস মণ্ডলের ভ্রাতৃবধূ পারমিতা মণ্ডলের টিচার্স ট্রেনিং কলেজ রয়েছে। পারমিতার স্বামী তথা তাপসের ভাই বিভাস মণ্ডল কলেজটি দেখাশোনা করেন। কলেজের ম্য়ানেজারের বিস্ফোরক অভিযোগ, ওই কলেজে টাকার বিনিময়ে শিক্ষকতার যোগ্যতার ভুয়ো সার্টিফিকেট পাওয়া যেত। সেই সঙ্গে কলেজের শিক্ষক থেকে কর্মীদের নিয়মিত বেতন দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: বক্স খাটের ভিতর থেকে মিলল ৬কোটি টাকা! ব্যাঙ্ক জালিয়াতি কাণ্ডে শিবপুরের শৈলেশকে খুঁজছে পুলিশ

    অভিযোগ, বিভাসের স্ত্রী পারমিতাও বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছিলেন। হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন তিনি। নব্বইয়ের দশকে কোচিং সেন্টার দিয়ে শুরু, তখন থেকেই পাঁশকুড়ার ভিটে ছেড়ে কলকাতায় বাস করা শুরু করেন তাপস। প্রয়োজন ছাড়া তিনি গ্রামের বাড়িতে যেতেন না বলেই খবর। ধীরে ধীরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ট্রেনিং সেন্টার খুলে বেকার ছেলেমেয়েদের চাকরির টোপ দিতেন। বেনিয়মে নিজের ভাইয়ের স্ত্রীকেও চাকরি পাইয়ে দেন বলে অভিযোগ তাপসের বিরুদ্ধে। কয়েক মাস আগে হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যের যে ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষক চাকরি খোয়ান, তাঁদের মধ্যে ছিলেন পারমিতাও। 

    সূত্রের খবর, পাঁশকুড়ায় এক সময় চিটফান্ডের কারবারও ছিল তাপসের। প্রায় চার দশক আগে ‘মিনার্ভা ফিনান্স’ নামে চিটফান্ড খুলে তিনি লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন বলে অভিযোগ। তাপসের সঙ্গে রাজ্যের শাসকদলের যোগ যে স্পষ্ট তার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গেও  তাপসের ছবি প্রকাশ পেয়েছে। সেই ছবি ভাইরাল হতেই শাসক শিবিরকে আক্রমণ করেছে বিরোধীরা। যদিও, সুনীলের দাবি,একটি আশ্রমের বাৎসরিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সুনীল। সেখানেই ওই ছবি ওঠে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Saigal Hossain: সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পারবে ইডি, অনুমতি আদালতের

    Saigal Hossain: সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পারবে ইডি, অনুমতি আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশ কিছু দিন ধরেই অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার চেষ্টা চালাচ্ছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। দিল্লিরই রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে আর্জি জানিয়েছিল ইডি। অবশেষে সেই অনুমতি পেল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এবার দিল্লি উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে জেরা করা হবে সায়গলকে। 

    গরুপাচার কাণ্ডে সিবিআই- এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সায়গল হোসেন। আপাতত তিনি আসানসোল জেলে রয়েছেন। কিন্তু সংশোধনাগারেই তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। তারপর ইডি গোয়েন্দারা আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার আর্জি জানান। কিন্তু আদালত সে আর্জি খারিজ করে দেয়।      

    নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যায় ইডি। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টও সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার আর্জি খারিজ করে দেয়। হাইকোর্ট গোয়েন্দাদের প্রশ্ন করে, কেন সায়গলকে দিল্লি নিয়ে যেতে হবে? কলকাতায় কি ইডির অফিস নেই? এখানেই জেরা করা হোক।    

    আরও পড়ুন : কেষ্টর বাড়ির পরিচারক থেকে কাউন্সিলর! তাঁর ব্যাংক থেকেও হত কোটি টাকার লেনদেন! কী বলছে সিবিআই?

    তারপরই ইডি দিল্লিতে একটি পৃথক মামলা করে। সোমবার রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে সেই মামলার শুনানি ছিল। সায়গলের তরফে ক্যাভিয়েট করে রাখায় তাঁর আইনজীবীরাও সওয়াল করেন। কিন্তু সব শুনে দিল্লির আদালত ইডিকে সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার অনুমতি দিয়েছে।  

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, সায়গল হোসেনের (Saigal Hossain) বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। মাত্র কয়েক হাজার টাকা বেতন পান রাজ্য পুলিশের কন্সটেবল সায়গল। এই আয়ে তিনি কী করে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করলেন তা সায়গলের কাছে জানতে চান গোয়েন্দারা। গোয়েন্দাদের প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যাচ্ছিলেন সায়গল। বেশ কিছু ক্ষেত্রে তাঁদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। এছাড়াও গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, সায়গলের নামে ও বেনামে আরও সম্পত্তি উদ্ধার বাকি রয়েছে। এছাড়া গরুপাচারের টাকা কার কার কাছে পৌঁছত তাও সায়গলের থেকে জানতে চান তাঁরা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
     
     
  • Bank Fraud Case: বক্স খাটের ভিতর থেকে মিলল ৬কোটি টাকা! ব্যাঙ্ক জালিয়াতি কাণ্ডে শিবপুরের শৈলেশকে খুঁজছে পুলিশ

    Bank Fraud Case: বক্স খাটের ভিতর থেকে মিলল ৬কোটি টাকা! ব্যাঙ্ক জালিয়াতি কাণ্ডে শিবপুরের শৈলেশকে খুঁজছে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে হাওয়ায় ভাসছে টাকা। কখনও গাড়ি থেকে তো কখনও বাড়ি থেকে মিলছে কোটি কোটি টাকা। ব্যাঙ্ক জালিয়াতি কাণ্ডে (Bank Fraud Case) এবার শিবপুরের (Shinpur) একটি ফ্ল্যাটের ভিতর থাকা বক্স খাট থেকে প্রায় ৬ কোটি টাকা উদ্ধার হল। রবিবার রাতে  শিবপুরের ৩৫ নম্বর অপ্রকাশ মুখার্জি লেনে তল্লাশি চালিয়ে এই টাকা উদ্ধার করে লালবাজারের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখার গোয়েন্দারা।

    জানা গিয়েছে, একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিপুল টাকার লেনদেন নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। বিষয়টি লালবাজারের নজরে আনা হয়। তদন্তে নেমে হাওড়ার শৈলেশ পাণ্ডে নামক এক ব্যক্তির নাম উঠে আসে। গত ১৪ তারিখ হেয়ার স্ট্রিট থানায় এই নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়। শনিবার রাতে হাওড়া শিবপুরে শৈলেশ পাণ্ডের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। সেখানে একটি আবাসনের সামনে রাখা গাড়ি থেকে দুই কোটি কুড়ি লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। মেলে সোনার গয়নাও। পুলিশ সূত্রে খবর, যে গাড়ি থেকে সোনা এবং গয়নাগুলি উদ্ধার হয়েছে তা শৈলেশ পান্ডের ভাই অরবিন্দ পান্ডের।

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর সফর, সরকারি টাকায় সাজছে তৃণমূল নেতার রিসর্ট! সত্য ফাঁস শুভেন্দুর

    এরপরই শৈলেশের ভাই রোহিত পান্ডের  ফ্ল্যাটে হানা দেয় পুলিশ। রবিবার বিকেলে পুলিশ আধিকারিকেরা ফ্ল্যাটে দেখেন, দরজা তালাবন্ধ। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, পরে নকল চাবি দিয়ে তালা খুলে ওই ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।  গভীর রাতে তল্লাশি শেষ হয়। টাকা উদ্ধারের পর ফ্ল্যাটটি সিল করে দেওয়া হয়েছে।  আবাসনের অন্যান্য বাসিন্দারা জানান, এই ফ্ল্যাটেই শৈলেশের পরিবার থাকত। রোহিত মাঝে মধ্যে আসত সেখানে। জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া টাকার অধিকাংশই ৫০০ টাকার নোট। 

    পুলিশ সূত্রে খবর, শৈলেশ ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা করত। নরেন্দ্রপুরে ব্যাঙ্কের শাখার একটি অ্যাকাউন্টে বিপুল টাকার লেনদেন নিয়ে সন্দেহ তৈরি হতেই কানাড়া ব্যাঙ্কের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়। শৈলেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, একাধিক লোককে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করেছেন তিনি। ঋণ না পেয়ে প্রতারিত কয়েকজন ওই রাষ্ট্রয়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের কাছে অভিযোগ জানান। এরপরই ওই ব্যাংকের তরফ থেকে শৈলেশের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয় ও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। শৈলেশের দুই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২০ কোটি টাকা রয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। সেই অর্থ ফ্রিজ করা হয়েছে। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শৈলেশ পাণ্ডে এখনও পলাতক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর সফর, সরকারি টাকায় সাজছে তৃণমূল নেতার রিসর্ট! সত্য ফাঁস শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর সফর, সরকারি টাকায় সাজছে তৃণমূল নেতার রিসর্ট! সত্য ফাঁস শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)! সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই কারণে মালবাজারের তেসিমলা পঞ্চায়েতের একটি  রিসর্ট সংস্কার করা হচ্ছে। রিসর্টটি মহেশতলার বিধায়ক তৃণমূলের দুলাল দাসের বলে দাবি শুভেন্দুর। সরকারি খরচে একটি ব্যক্তিগত রিসর্ট ঢেলে সাজানোর তৎপরতাকে নিশানা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী।

    সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে মালবাজারে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গাপুজোর সময় বিসর্জন দিতে গিয়ে মাল নদীতে হড়পা বানের জলে ভেসে গিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয় কয়েকজনের। এই সফরে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর।মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী যোগ দিতে পারেন প্রশাসনিক বৈঠকেও। পরে যেতে পারেন মালবাজারের ওই রিসর্টে। যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী রিসর্টটিতে যেতে পারেন, তাই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেটি সংস্কার করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। কেবল ওই রিসর্টটিই নয়, তার আশপাশের এলাকাও সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। সংস্কার করা হচ্ছে রিসর্টে যাওয়ার রাস্তাও। প্রসঙ্গত, বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন একবার এই রিসর্টে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: ওরা হিন্দুদের তাড়াতে চায়! মোমিনপুর-কাণ্ডে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দাবি, রিসর্টটি দুলাল দাসের। সরকারি টাকা খরচ করে সাজানো হচ্ছে সেটি। রিসর্টে যাওয়ার রাস্তাও সংস্কার করা হচ্ছে সরকারি অর্থ ব্যয়ে। মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে এদিন ট্যুইট-বাণ নিক্ষেপ করেন শুভেন্দু। লেখেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত। সরকার ডিএ দিতে ব্যর্থ। রাস্তা সংস্কার করতে পারছে না। পারছে না কর্মসংস্থান করতে। এমতাবস্থায় জনগণের টাকা খরচ হচ্ছে তৃণমূল নেতা দুলালচন্দ্র দাসের একটি ব্যক্তিগত রিসর্ট সংস্কারে। কারণ ভিভিআইপি গেস্ট আসছেন। শুভেন্দুর খোঁচা, লেডি কিম কি সেখানে থাকতে যাচ্ছেন? অন্য একটি ট্যুইটে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, এখন জনপ্রতিনিধিরা প্রশাসনিক সভাগুলিতে উন্নয়নের কাজের জন্য তহবিল চাওয়ায় ক্রমাগত মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভের মুখে পড়ছেন। ৩০ লক্ষেরও বেশি সরকারি চাকরি খালি পড়ে রয়েছে। কারণ, নিয়োগ করা হলে সরকার বেতন দিতে পারবে না। এই অবস্থায় এই ধরনের ব্যয় কি ন্যায়সঙ্গত?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Anubrata Mondal: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ প্রমোটার রানা সরকারকে সিবিআইয়ের জেরা! কী জানতে চাইলেন অফিসারেরা

    Anubrata Mondal: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ প্রমোটার রানা সরকারকে সিবিআইয়ের জেরা! কী জানতে চাইলেন অফিসারেরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় এবার সিবিআই-এর নজরে অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বোলপুরের প্রোমোটার রানা সরকার। বৃহস্পতিবার তাঁকে তলব করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়। সেইমতো বৃহস্পতিবার সিবিআই (CBI)-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে হাজিরা দেন রানা সরকার। সিবিআইয়ের নির্দেশে শান্তিনিকেতনের রতন কুঠি অস্থায়ী ক্যাম্পে সকালেই চলে আসেন  বোলপুরের  প্রমোটার সৌমেন সরকার ওরফে রানা সরকার। তিনি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী হিসেবেই পরিচিত। অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর মধ্যে বেশ কয়েকবার টাকা লেনদেন হয়েছে অ্যাকাউন্ট মারফত। সেই প্রসঙ্গেই জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডেকে পাঠানো হয় তাঁকে। শুধু তাই নয়, এই প্রোমোটারের হাত ধরেই কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের কোম্পানি,বেশ কিছু জমি কিনেছিল বোলপুরেরই বাইপাস সংলগ্ন এলাকায়। সিবিআই সূত্রে খবর, সেই নিয়েও প্রশ্ন করেন আধিকারিকেরা।

    আরও পড়ুন: আরও বিপাকে অনুব্রত! ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ সিবিআই, কী রায় দেবে আদালত?

    বোলপুরের প্রফেসর কলোনির বাসিন্দা রানা। তাঁকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রসঙ্গত, গত দু’মাস আগে বোলপুরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। পাশাপাশি তাঁর অনুগামী ব্যবসায়ী সুদীপ রয়ের বাড়িতেও সিবিআই তল্লাশি চালায় তারা। গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, বিশ্বজ্যোতি দিনের বেশিরভাগ সময় থাকতেন কেষ্টর বাড়িতে। অনুব্রতর কাজের দেখাশোনা করতেন তিনি। এরপর বিশ্বজ্যোতিকে আটক করেন গোয়েন্দারা। তারপর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে আসে রানা সরকারের নাম।

    আরও পড়ুন: জেলের ভেতরেই অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার ইডির, চাপ বাড়ল কেষ্টর?

    অনুব্রত কন্যা সুকন্যাকেও  সোমবার সমস্ত নথি নিয়ে সিবিআইয়ের দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়। পুজো মিটতেই  ‘শিব শম্ভু’ রাইসমিলেও অভিযান চালিয়েছেন তদন্তকারীরা। রাইস মিলের বর্তমান মালিক সঞ্জীব মজুমদারকেও তলব করেছে সিবিআই। সিবিআই মনে করছে, গরু পাচারের টাকা একাধিক খাতে ব্যবহার করে সাদা করেছিলেন অনুব্রত। সূত্রের খবর, সিবিআই-এর কাছে এও তথ্য আছে, ২০১৫ সালের পর থেকে অনুব্রত কন্যার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও নিয়মিত প্রচুর নগদ টাকা জমা হত। সেই সব ক’টি বিষয় খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা।আগামী সোমবারের মধ্যে সেসব নথি দেখাতে হবে সুকন্যাকে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: কেষ্টর বাড়ির পরিচারক থেকে কাউন্সিলর! তাঁর ব্যাংক থেকেও হত কোটি টাকার লেনদেন! কী বলছে সিবিআই?

    Anubrata Mondal: কেষ্টর বাড়ির পরিচারক থেকে কাউন্সিলর! তাঁর ব্যাংক থেকেও হত কোটি টাকার লেনদেন! কী বলছে সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেষ্টর বাড়ির পরিচারকই এখন কাউন্সিলর! এমনকি এই পরিচারকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও হত কোটি কোটি টাকার লেনদেন। এমনটাই দাবি করল সিবিআই। গরু পাচার মামলার (Cattle Smuggling Case) তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে উঠে আসছে। ফলে ততই জোরালো হচ্ছে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে মামলা। এই মামলায় সিবিআই চার্জশিটে দাবি করেছে যে, কেষ্টর বাড়ির পরিচারক বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে মুনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকেও বিশাল পরিমাণ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর যার পরিমাণ দেখে চক্ষু চড়কগাছ গোয়েন্দা অফিসারদের।

    তবে কে এই বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়?

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ২০১১ সালে মাসিক ৫ হাজার টাকা বেতনে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বাড়িতে পরিচারক হিসেবে কাজে যোগ দেন তিনি। কিন্তু সেই বিশ্বজ্যোতির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে প্রায় ৪৬ লক্ষ নগদ টাকা। ফলে একজন পাঁচ হাজার টাকা মাইনের পরিচারকের অ্যাকাউন্টে কীভাবে এত টাকা জমা পড়ল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিবিআই। তবে জানা গিয়েছে, বর্তমানে বিশ্বজ্যোতি বোলপুর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। চার্জশিটে সিবিআই আরও দাবি করেছে, এখন বেতন হিসেবে অনুব্রতের পরিবারের থেকে মাসে ২০ হাজার টাকা পান তিনি। এছাড়া তাঁর আয়ের অন্য কোনও উৎসের প্রমাণ মেলেনি। তবুও তদন্তে উঠে এসেছে, একটি ব্যাংকের বোলপুর শাখায় বিশ্বজ্যোতির নামের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মোট ৪৫ লক্ষ ৭৩ হাজার ৬০৪ টাকা নগদ জমা করা হয়েছে। এছাড়াও পরে জমা করা হয় ৬২ লক্ষ ৭৭ হাজার ৩৪৫ টাকা। ফলে সব মিলিয়ে কোটি টাকার মালিক অনুব্রতর বাড়ির কাজের লোক। গোয়েন্দাদের দাবি, ওই অ্যাকাউন্টে যা লেনদেন হয়েছে, সবই অনুব্রত অথবা তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের নির্দেশে।

    আরও পড়ুন: গরুপাচার মামলায় কেষ্টর বিরুদ্ধে সাক্ষী দেবেন শতাব্দী?

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, মুনকে সিবিআইয়ের আধিকারিকরা অস্থায়ী ক্যাম্পে ডেকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ও বয়ান রেকর্ডও করা হয়েছে৷ তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় মুন জানিয়েছেন, তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের যাবতীয় লেনদেন হয়েছে ‘মালিকে’র (Anubrata Mondal) নির্দেশে৷ সেখান থেকেই তাঁদের অনুমান, তাঁর নামে যে ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলি রয়েছে তা নিয়ন্ত্রণ করত অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন (Saigal Hossain)৷

    সিবিআই তরফে অভিযাগ উঠেছে যে, গরুপাচারের টাকা একাধিক প্রভাবশালীকে দেওয়া এবং বিভিন্ন ব্যবসায় খাটানোর জন্যই সেভ অডিটর হিসেবে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বাড়ির পরিচারক বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল ও এর মাধ্যেমেই লেনদেন করা হত। গোয়েন্দারা আরও দাবি করেছেন, শুধুমাত্র বিশ্বজ্যোতি নয়, অনুব্রতর বাড়ির অন্যান্য পরিচারকের নামেও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। বর্তমানে গরুপাচার-কাণ্ডের বেআইনি আর্থিক লেনদেনের ঘটনার তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা।

  • Tollygunj Fire: টলিপাড়ায় প্রযোজনা সংস্থার গোডাউনে বিধ্বংসী আগুন, আগুন নিয়ন্ত্রণে দমকলের ১৮ ইঞ্জিন

    Tollygunj Fire: টলিপাড়ায় প্রযোজনা সংস্থার গোডাউনে বিধ্বংসী আগুন, আগুন নিয়ন্ত্রণে দমকলের ১৮ ইঞ্জিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের শিকার কলকাতা। বৃহস্পতিবার সকালে কুদঘাটের (Tollygunj Fire) ২৭ নম্বর বাবুরাম ঘোষ রোডে এক প্রযোজনা সংস্থার গুদামে আগুন লেগে যায়। আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় প্রায় ১৮টি ইঞ্জিন। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন৷     

    আগুন লাগার কারণ এখনও পরিষ্কার নয়। এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতে খবর না থাকলেও, প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ গুদামে কেউ আটকে রয়েছেন কিনা তা খতিয়ে দেখছেন উদ্ধারকারীরা। তবে আগুন লাগার সময়ে গোডাউনে কেউ ছিলেন না বলে খবর। ফলে গোডাউনের ভিতর কারও আটকে পড়ার সম্ভাবনা কম।  

    দমকলের ৮টি ইঞ্জিন প্রথমে গিয়েছিল। এখন সেটা বেড়ে হয়েছে ১৫টি। জোরকদমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। গোডাউনের পাশেই প্রচুর আবাসন থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: মানিকের RK-DD ধাঁধা ঘাম ঝরাচ্ছে গোয়েন্দাদের, রহস্যভেদে ময়দানে ‘ফেলুদা’ শুভেন্দু

    স্থানীয় সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ আগুন লাগে গোডাউনে। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে দেখে দমকলে খবর দেন। অল্প সময়েই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রচণ্ড শব্দে টিনের শেড ফেটে ভেঙে পড়ে। গোডাউনের ভিতর দাহ্য পদার্থ থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে।   

    মুভি সংস্থার গোডাউনে প্রচুর অত্যাধুনিক ও মূল্যবান যন্ত্র, সরঞ্জাম, ক্যামেরা এবং ইলেক্ট্রনিক জিনিস ছিল বলে জানা গিয়েছে। প্রায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগুনের তাপে আশেপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে।  

    এদিকে, গতকাল রাতেই ক্যানিংয়ের (Canning Fire) মাতলা ব্রিজের কাছে ভয়াবহ আগুন লাগে। ভস্মীভূত হয়ে যায় ১০-১২টি দোকান। কয়েক লক্ষ টাকা ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। গতকাল গভীর রাতে মাতলা ব্রিজের কাছে একটি দোকান থেকে পরপর কয়েকটি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের ২টি ইঞ্জিনের ঘণ্টাচারেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে বলে প্রাথমিক অনুমান দমকলের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Manik Bhattacharya: মানিকের RK-DD ধাঁধা ঘাম ঝরাচ্ছে গোয়েন্দাদের, রহস্যভেদে ময়দানে ‘ফেলুদা’ শুভেন্দু

    Manik Bhattacharya: মানিকের RK-DD ধাঁধা ঘাম ঝরাচ্ছে গোয়েন্দাদের, রহস্যভেদে ময়দানে ‘ফেলুদা’ শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেট দুর্নীতির অভিযোগে ইডি (Enforcement Directorate) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। তাঁর মোবাইলে সেভ করা দুটি নম্বর নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতির কল লিস্টে মিলেছে ‘RK’ এবং ‘DD’ নামে দুই ব্যক্তির নম্বর। নিয়োগের তালিকা নিয়ে একাধিকবার ‘RK’-কে নামক ব্যক্তিকে ফোন করেছেন মানিকবাবু। জানিয়েছেন ‘DD’-র অনুমোদনের কথাও। কে এই ‘RK’ ও ‘DD’?

    আরও পড়ুন: ‘কিংপিন’ মানিকের আমলেই ৫৮ হাজার বেআইনি চাকরি, চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির
     
    এই নামের খোঁজ পেতে হিমশিম খাচ্ছেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দাদের ঘাম ছুটলেও, এক নিমেষে রহস্য উন্মোচন করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কিন্তু রহস্য ভেদের সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দিয়েছেন সত্যজিৎ রায়ের কাল্পনিক গোয়েন্দা চরিত্র ফেলুদাকে। 

     

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এ দিন ফেলুদাকে (সত্যজিৎ রায়ের ঋণ স্বীকার করেছেন) নিয়ে কাল্পনিক সংলাপের একটি কমিক স্ট্রিপ পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে নিয়োগ দুর্নীতি রহস্যের সমাধান করেছেন ফেলুদা। কমিক স্ট্রিপে দেখা যাচ্ছে, ‘ডিডি’ এবং ‘আরকে’-ধাঁধার রহস্য ভেদ করতে ফেলুদার শরণাপন্ন হয়েছেন ইডি গোয়েন্দারা।

    প্রদোষ মিত্রর বাড়িতে হাজির হয়েছেন এক ইডি আধিকারিক। ‘RK’ এবং ‘DD’-র সন্ধানে ফেলুদার সহায়তা চাইছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা। ‘RK’ ও ‘DD’র সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের সম্পর্ক, তাঁদের কথোপকথন ফেলুদাকে বিস্তারিত জানান ইডি আধিকারিক।গোয়েন্দাদের ফেলুদা বোঝাচ্ছেন, “‘আরকে’ মানে ধরে নিন আর কে? অর্থাৎ গৌণ। তালিকায় সম্মতি দিচ্ছেন ‘ডিডি’। তিনিই মুখ্য।”


    ফেলুদার আরও প্রশ্ন, “আপনি বাংলার দিদি শব্দটি যদি ইংরেজিতে লিখে মোবাইলে সেভ করেন, তা হলে কী বানান লিখবেন? ডিডি, তা-ই তো!” এই কমিক স্ট্রিপ তুলে ধরে শুভেন্দুর মন্তব্য, “এ ভাবে যদি রহস্যের জাল কেটে সত্য খুঁজে নেওয়া যেত, তা হলে তদন্ত দ্রুত শেষ করে প্রকৃত দোষীদের সাজা দেওয়া যেত।”          

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share