Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর নামে চিঠি! তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক দাবি বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর

    Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর নামে চিঠি! তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক দাবি বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে চিঠি পাওয়া গিয়েছে, তাই  নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করুক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তমলুকে একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে এই কথা বলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “সাত হাজার টাকার প্লেটে বিজয়া করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর চাকরি না পাওয়া যোগ্য ছেলেরা গাছের তলায় বসে পুজো কাটাচ্ছে। আমি বলব মমতার নামে চিঠি যখন পাওয়া গিয়েছে, তখন তাঁকে অবিলম্বে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করুক অফিসারেরা।” শুভেন্দুর প্রশ্ন “কেন মমতাকে ডেকে বা নবান্নে গিয়ে ইন্টারোগেশন করা হচ্ছে না?”

    আরও পড়ুন: হাত রয়েছে আল কায়দা ও আইসিসের! মোমিনপুরের ঘটনায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    জমি অধিগ্রহণ না করে তাজপুরে কোনওদিন বন্দর হবে না বলেও জানান  শুভেন্দু। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। উনি নিজেই জানেন না ৷ একটা বন্দর করতে হলে পাঁচ হাজার একর জমি দিতে হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন তাজপুর থেকে মাত্র  চার কিলোমিটার দূরে এক হাজার একর জমি আাদনিদের অফার করা হয়েছে । কিন্তু ওই চার কিলোমিটার রাস্তা যেতে হলে, ফোরলেন করতে হবে। ওই রাস্তা তৈরি করতে গেলেই জমি অধিকগ্রহণ করতে হবে। ” মুখ্যমন্ত্রীকে হলদিয়া বন্দর তৈরির ইতিহাস ঘাঁটতে বলেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়,   “সতীশ সামন্ত, বিরাজ মোহন দাস, কুমার চন্দ্র জানা, সুশীল ধারা হলদিয়া বন্দর করার সময় পুরো পাঁচটা গ্রামের জমি নিয়েছিলেন । বোনবিষ্ণুপুর, রাজাচক, রায়রায়চক, বিষ্ণুর রামচক, দত্তের চকের ইতিহাসটা দেখবেন । তাহলেই বুঝবেন একটা বন্দর করতে গেলে কী কী করতে হয় ।”  শুভেন্দুর দাবি, বন্দরের জন্য রেল করিডোর লাগে । ওয়ারহাউস লাগে । সেগুলো কোথায় হবে? মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা কথা বলে,বাজার গরম করছেন, অভিমত বিরোধী নেতার।

    আরও পড়ুন: বাকি উপাচার্যরাও পদত্যাগ করুন! সোনালি চক্রবর্তীর অপসারণের ‘সুপ্রিম’ সিদ্ধান্তের পর বিস্ফোরক শুভেন্দু

    দলের কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো প্রসঙ্গে তমলুকের আইসি ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এসপিকে কোর্টে নিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু। আগামী নির্বাচনে তমলুক লোকসভায় যে দাঁড়াবে তাঁকে নন্দীগ্রাম থেকে ৫০ হাজার ভোটে লিড দেওয়ার কথাও বলেন তিনি। শিল্প ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষের সুরে শুভেন্দু বলেন,”মুখ্যমন্ত্রী কয়েক মিনিটে আড়াইশো পুজোর উদ্বোধন করতে পারেন,কিন্তু সাড়ে ১১ বছর ক্ষমতায় থেকেও উনি একটা শিল্পের উদ্বোধন করতে পারেননি।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Jagdeep Dhankhar: বাংলায় শাসকের আইন চলে! মমতা-সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়

    Jagdeep Dhankhar: বাংলায় শাসকের আইন চলে! মমতা-সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপরাষ্ট্রপতি হয়েও বাংলার মানুষের দুর্দশার কথা ভুলতে পারছেন না জগদীপ ধনখড়। যখন শাসকের শাসন আইনের শাসনকে ছাপিয়ে যায়, তখন কী পরিস্থিতি হয় তা প্রতিনিয়ত দেখছে বঙ্গবাসী। এমনই দাবি করলেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল। বুধবার রাজধানী দিল্লিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই মত ব্যক্ত করেন তিনি। মানবাধিকার কমিশনের অনুষ্ঠানে উপরাষ্ট্রপতি অভিযোগ করেন,পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক দাঙ্গা ক্রমশ বাড়ছে। মোমিনপুর কাণ্ডের পর বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে উপরাষ্ট্রপতির এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ।

    আরও পড়ুন: ধনখড়ের প্রশ্নের মুখে মমতার ১৯ বিল, নতুন রাজ্যপাল কি আদৌ সই করবেন?

    ২০১৯ সালের জুলাই মাসে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন জগদীপ ধনখড়। তারপর থেকেই রাজ্যের প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর বিরোধ শুরু। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে বারংবার আওয়াজ তুলেছিলেন ধনখড়।  রাজ্য সরকারের বিভিন্ন নীতি নিয়েও সরব ছিলেন তৎকালীন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে তাঁর সংঘাত এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে, সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলেছিলেন তিনি  ট্যুইটারে রাজ্যপাল ধনখড়কে ব্লক করে দিয়েছেন। এখনও তাঁর রেশ বর্তমান।

    আরও পড়ুন: কৃষক-পুত্র জগদীপ ধনখড়কে শুভেচ্ছা নরেন্দ্র মোদি সহ অন্যান্য নেতা-নেত্রীদের

    এদিন অনুষ্ঠানে উপরাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি তিনবছর বাংলার রাজ্যপাল ছিলাম। আমি যখন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ছিলাম তখন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন একটি রিপোর্ট পেশ করেছিল রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে। রিপোর্টের প্রথম বাক্যটা আমি কোনওদিনও ভুলব না। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, বাংলায় আইনের শাসন চলে না। শাসকের আইন চলে।’ এদিন পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন ধনখড়। তিনি বলেন, “মানবধিকার লঙ্ঘন যাঁরা সহ্য করেন, তাঁরাও সমান অপরাধী। যেখানে শাসকের আইন নয়, আইনের শাসন চলে সেখানেই মানবধিকার রক্ষিত হয়।” তাঁর মতে, “স্বাধীনতার সবচেয়ে ভাল সংজ্ঞা হল, সর্বত্র মানবধিকার রক্ষা এবং সংবিধানের সারমর্ম এবং সমস্ত ধর্মের মূলসত্ত্বাই হল, সবার ঊর্দ্ধে মানবধিকার রক্ষা করা।” তিনি আরও জানান, “রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা, বংশপরিচয়, জাতি বা ধর্মের নিরিখে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে রক্ষা করা যায় না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: গরুপাচার কেলেঙ্কারির ‘মূল পৃষ্ঠপোষক’ অনুব্রত, উল্লেখ সিবিআই চার্জশিটে

    Anubrata Mondal: গরুপাচার কেলেঙ্কারির ‘মূল পৃষ্ঠপোষক’ অনুব্রত, উল্লেখ সিবিআই চার্জশিটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রেফতার হওয়ার ৫৭ দিন পর অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে ৩৫ পাতার চার্জশিট পেশ করল সিবিআই।  চার্জশিটে অনুব্রতকেই গরুপাচার (Cattle Smuggling) দুর্নীতির মূল কাণ্ডারি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তদন্তে বীরভূমে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের নথি, জমি ও চালকলের কাগজপত্র খতিয়ে দেখে সেগুলি অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তি বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। তৃণমূল নেতার প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের বিরুদ্ধে যে যে ধারায় মামলা করা হয়েছিল, সেই ধারাগুলোই অনুব্রত মণ্ডলের নামে চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ৫ নভেম্বর পর্যন্ত জেলেই সায়গল! এবার জেরা করবে ইডি-ও

    ১১ আগস্ট গরুপাচার মামলায় বোলপুরের (Bolpur) বাড়ি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। এই নিয়ে গরুপাচার মামলায়  চতুর্থ চার্জশিট পেশ করা হল। সূত্রের খবর, এই চার্জশিটে অনুব্রত মণ্ডলকে ‘মূল পৃষ্ঠপোষক’ বলে দাবি করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন আইনে পেশ করা এই চার্জশিটে অনুব্রতর ৫৩টি সম্পত্তির দলিল, ১৮ কোটির ফিক্সড ডিপোজিট-সহ একাধিক তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, দেহরক্ষী সায়গলের মাধ্যমেই চলত গরুপাচারের কোটি কোটি টাকার লেনদেন। পাচারকারীদের প্রোটেকশন দিতেন অনুব্রত! এদিন আদালতে অনুব্রতকে জেল হেফাজতে রেখেই বিচার প্রক্রিয়া চালানোর আবেদন জানিয়েছে সিবিআই। তাঁদের কথায়, অনুব্রত মণ্ডল প্রভাবশালী, ফলে তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া তদন্তের জন্য সমস্যার হতে পারে।   

    এদিকে, অনুব্রত মণ্ডলের উপর চাপ বাড়াতে কয়লা ও গরু পাচার নিয়ে রাজ্য পুলিশে দায়ের হওয়া সমস্ত মামলার তথ্য হাতে নিল ইডি। ইডি সূত্রে খবর, কয়লা ও গরু পাচার মামলায় তাদের করা ইসিআইআর-এ যুক্ত করা হয়েছে সমস্ত নথি ও তথ্য। কয়লা পাচার এবং গরু পাচারের  অভিযোগনামা। শুক্রবার গরুপাচার মামলায় সায়গল হোসেনকে জেরা করতে ইডির ছয়জনের দল আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে যায়। সকাল ১০ টা ১৫ নাগাদ তাঁরা সংশোধনাগারে পৌঁছন তাঁরা। ল্যাপটপ, ভিডিও ক্যামেরা-সহ তিনজন ভিতরে ঢোকেন। যেভাবে আদালতের কাছে অনুমতি নেওয়া হয়েছে ঠিক সেভাবেই ইডি আধিকারিকরা আসেন। ৩৫ টি প্রশ্নমালা সাজানো হয়েছে সায়গলের জন্য, এমনটাই খবর। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Calcutta High Court: মোমিনপুর কাণ্ডে সিট গঠনের নির্দেশ, এনআইএ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, জানাল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: মোমিনপুর কাণ্ডে সিট গঠনের নির্দেশ, এনআইএ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোমিনপুর-একবালপুর ঘটনায় (Mominpur Ekbalpur Violence Case) সিট (SIT) গঠন করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন থেকে মোমিনপুর-একবালপুর জুড়ে অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য আদালতের দারস্থ হয়ে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার শুনানি শেষে বুধবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দল তথা সিট (SIT) গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং কলকাতা পুলিশের কমিশনারের নেতৃত্বে এই সিট গঠন করা হবে। এছাড়াও আদালত থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার তদন্তভার এনআইএ-কে দেওয়া হবে কি না তার সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র।

    মোমিনপুরের ঘটনার পরেই পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছিল রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। মোমিনপুরে তাণ্ডবের বিরুদ্ধে দু’টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে উচ্চ আদালতে (Calcutta High Court)। সেই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে এমন নির্দেশ দেওয়া হল। বলা হয়েছে, রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের নেতৃত্বে সিট গঠন করা হবে। উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত চালাতে হবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। কারা তাণ্ডব চালিয়েছে তা ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিটের আধিকারিকদের। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। সংরক্ষণ করতে হবে ভিডিও ফুটেজ। এছাড়াও জানানো হয়েছে, এই ঘটনার জেরে যদি কেউ ঘরছাড়া হয়ে থাকে তবে তাঁদের ঘরে ফেরানোর দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্য সরকারকে। এই হিংসার ঘটনায় যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিন পুলিশের কাছে ডিভিশন বেঞ্চ আরও জানতে চায়, যে এফআইআরগুলি হয়েছে তার ভিত্তিতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টেও রক্ষা মিলল না! আগামী কয়েকদিন ইডির হেফাজতেই মানিক ভট্টাচার্য

    আবার এদিন এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের পদক্ষেপ নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার জন্যও আবেদন করা হলেও এদিন হাইকোর্ট (Calcutta High Court) থেকে জানানো হয়েছে, আপাতত, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। আবার অন্যদিকে আদালত থেকে প্রশ্ন করা হয় যে, এই ঘটনায় যে বিস্ফোরণের অভিযোগ উঠেছে, তার ব্যাপারে কেন্দ্রকে সঠিক পদ্ধতিতে জানানো হয়েছে কিনা। এর উত্তরে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, সেদিনই বেলা ১টায় কেন্দ্রকে ইমেল করে বিস্ফোরণের কথা জানানো হয়েছে। এরপরেই বিচারপতি জানান যে, তবে সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে কেন্দ্রকেই ১৫ দিনের মধ্যে জানাতে হবে যে, এই ঘটনার তদন্তভার তাঁরা এনআইএ-কে (NIA) দিতে চায় কি না। এবিষয়ে আদালত কোনও হস্তক্ষেপ করবে না।

    এছাড়াও হাইকোর্ট থেকে জানানো হয়েছে, ছুটির পর আদালত খোলার ১৫ দিনের মধ্যে এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যকে রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে। সেখানে ওই এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে রাজ্য কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা বিশদে জানাতে হবে আদালতকে (Calcutta High Court)।

  • Manik Bhattacharya: ‘কিংপিন’ মানিকের আমলেই ৫৮ হাজার বেআইনি চাকরি, চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির

    Manik Bhattacharya: ‘কিংপিন’ মানিকের আমলেই ৫৮ হাজার বেআইনি চাকরি, চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (TET Scam) গতকালই গ্রেফতার হয়েছেন ‘কিংপিন’ মানিক ভট্টচার্য (Manik Bhattacharya)। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের  অভিযোগ, তাঁর আমলেই ৫৮ হাজার বেআইনি চাকরি হয়েছে। জুলাই মাসে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নথি থেকেই সেই প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন গোয়েন্দারা। আদালতে হেফাজত পাওয়ার পর রাতভর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ইডি আধিকারিকরা। তার পর থেকেই একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসছে মানিককে নিয়ে। 

    আরও পড়ুন: মহিষবাথানে মানিক ভট্টাচার্যের গোপন অফিসের খোঁজ! কী হত সেখানে?

    সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে ডেকে পাঠান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। রাতভর ম্যারাথন জেরা চালানোর পর মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সিজিও কমপ্লেক্সে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ইডি সূত্রে খবর, বয়ানে অসঙ্গতি ও সহযোগিতা না করার অভিযোগে ভোররাতে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। মানিকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি হিসাবে নিজের ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে চাকরি পাইয়ে দেওয়া, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগসাজশ, তাঁকে সুপারিশের মতো অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। 

    দীর্ঘ ১০ বছর ধরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের মাথায় মানিক ভট্টাচার্য। তাঁর আমলেই সবথেকে বেশি নিয়োগ হয়। এর মধ্যে বেশিরভাগই বেআইনি নিয়োগ। বিশেষ করে ২০১১ সালের পর থেকে ৫৮ হাজারের বেশি বেআইনি নিয়োগ করা হয়েছে বলে দাবি করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এমনকি পুরো কেলেঙ্কারির ‘কিংপিন’ মানিক বলেও দাবি করা হয়েছে। কি কবে, কোথায় টাকা দিতে হবে সবকিছুই নাকি নিয়ন্ত্রণ করতেন ততকৎকালীন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদেরর সভাপতিই।  তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্টেও প্রচুর টাকা জমা রয়েছে।

    আদালতে ইডি-র আরও জানায়, গত ২৭ জুলাই মানিকের বাড়ি থেকে যে সমস্ত নথি ও ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণ বাজেয়াপ্ত হয়েছে, সেটি পরীক্ষা করে মিলেছে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বিপুল পরিমাণ টাকা লেনদেন হয়েছে। ঘুষের টাকা একাধিক প্রভাবশালীকে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। মানিকের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপে যুক্ত থাকার সরাসরি প্রমাণ মিলেছে বলে জানানো হয়েছে।

    তদন্তে এখন ইডির হাতিয়ার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। তদন্তকারীদের নজরে মানিক ভট্টাচার্যর ফোন কল এবং মেসেজ ডিটেলসও। মানিকের মোবাইল ফোনে মেলা সন্দেহজনক দুটি নাম DD ও RK-র পরিচয় সম্পর্কেও জানতে চায় ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Nimtala Ghat: সেলফি তোলাই কাল! শবদেহ দাহ করতে এসে নিমতলার গঙ্গায় তলিয়ে নিখোঁজ ৩

    Nimtala Ghat: সেলফি তোলাই কাল! শবদেহ দাহ করতে এসে নিমতলার গঙ্গায় তলিয়ে নিখোঁজ ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গার (Ganga) পাড়ে বসে সেলফি তোলাই কাল হল! শবদেহ দাহ করতে এসে বানের জলে (High Tide) ভেসে গেল পাঁচজন। স্থানীয়দের তৎপরতায় দুজনকে উদ্ধার করা গেলেও, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত নিখোঁজ তিনজন। নিমতলা ঘাটের (Nimtala Ghat) ওই ঘটনায় নিখোঁজদের খোঁজে জারি রয়েছে তল্লাশি। নিখোঁজ তিন যুবকই কলকাতার নারকেলডাঙা এলাকার বাসিন্দা।

    পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার রাতে সৎকারের জন্য একটি মৃতদেহ নিয়ে আসা হয় নিমতলা শ্মশান ঘাটে। দেহটি নিয়ে আসা হয়েছিল নারকেলডাঙা এলাকা থেকে। দেহ সৎকারের সময় শবযাত্রীদের মধ্যে কয়েকজন যুবক গঙ্গার ধারে চলে যান। ঘাটের সিঁড়িতে বসেছিলেন তাঁরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই যুবকরা সিঁড়িতে বসে সেলফি তুলছিলেন। মোবাইলবন্দি করছিলেন রাতের গঙ্গার দৃশ্য। রাত ১০টার সময় গঙ্গায় বান আসার কথা ছিল। স্থানীয়দের কয়েকজন এ ব্যাপারে তাঁদের সতর্কও করেছিলেন। তার আগে প্রচার করা হয় পুলিশের তরফেও। অভিযোগ, বানের জলের ব্যাপারে কোনও সতর্কতাই কানে তোলেনি ওই যুবকরা। এর পর আচমকাই চলে আসে বান। জলের তোড়ে ভেসে যান সবাই। কয়েকজন উঠে এলেও, বাকিরা ভেসে যান জলস্রোতে। স্থানীয়দের তৎপরতায় দুজনকে উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ হয়ে যান তিনজন। খবর পেয়ে রাতেই নিমতলা ঘাটে পৌঁছায় উত্তর বন্দর থানার পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের একটি দল। তল্লাশি চলে রাতভর। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্তও খোঁজ মেলেনি ওই যুবকদের। পুলিশের দাবি, নিয়ম মেনেই বান আসবে বলে সতর্কতামূলক প্রচার চালানো হয়েছিল। স্থানীয়রাও তাঁদের সতর্ক করেছিলেন। তার পরেও গঙ্গার পাড় থেকে ওঠেননি ওই যুবকরা। যার জেরে এই দুর্ঘটনা।

    আরও পড়ুন : হাত রয়েছে আল কায়দা ও আইসিসের! মোমিনপুরের ঘটনায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, দশমীর রাতে বিসর্জনের সময় জলপাইগুড়ির মাল নদীতে আচমকাই চলে আসে হড়পা বান। নবান্নের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। আহত হয়েছেন ১৪ জন। সেই ঘটনার রেশ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের দুর্ঘটনা। এবং সেই নদীতেই!  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Raiganj Carnival Cow Attack: কার্নিভালে বিপত্তি! গরুর গুঁতোয় মৃৃত্যু ১ জনের, আহত কমপক্ষে ৩০

    Raiganj Carnival Cow Attack: কার্নিভালে বিপত্তি! গরুর গুঁতোয় মৃৃত্যু ১ জনের, আহত কমপক্ষে ৩০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের নির্দেশে দুর্গাপুজো কার্নিভাল (Raiganj Carnival Cow Attack) হচ্ছে বিভিন্ন জেলায়। আর তার থেকে পিছিয়ে নেই রায়গঞ্জও৷ আর এই কার্নিভালকে ঘিরেই সৃষ্টি হয় ভয়াবহ পরিস্থিতির। কার্নিভালে গরুর গুঁতোয় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির৷ গরু শান্ত স্বভাবের প্রাণী হলেও ক্ষেপে গেলে কী তাণ্ডব ঘটাতে পারে, তার প্রত্যক্ষদর্শী থাকল পুরো রায়গঞ্জবাসী।

    জানা গিয়েছে, দুর্গাপুজা কার্নিভালে (Raiganj Carnival Cow Attack) একটি পুজো কমিটি গরুর গাড়িতে করে প্রতিমা নিয়ে প্রদর্শন করছিল৷ আর সেই সময়ে গরুগুলি দড়ি ছিঁড়ে প্রতিমা ফেলে বেড়িয়ে আসে৷ শুধু তারা দড়ি ছিঁড়ে বেরিয়ে যায়নি, আশেপাশের মানুষদের গুঁতিয়ে দেয়। ফলে গরু সিং দিয়ে গুঁতো মেরে আহত করে একাধিক ব্যক্তিকে। তার মধ্যে একজনের মৃত্যুও হয়েছে৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মৃত ব্যক্তির নাম সাধন কর্মকার। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহরের একটি সিনেমা হলের কাছে। জলপাইগুড়ির মাল বাজারে প্রতিমা বিসর্জনের দিন মর্মান্তিক ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের রায়গঞ্জে এই দুর্ঘটনা। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রায়গঞ্জ শহর জুড়ে।

    আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে দুর্গা বিসর্জনে গিয়ে হড়পা বানে মৃত অন্তত ৮, ঠিক কী ঘটেছিল?

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত রায়গঞ্জের ভারত সেবক সমাজ ক্লাবের সভাপতি সাধন কর্মকার। সেদিন কার্নিভালে (Raiganj Carnival Cow Attack) মোট ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের তড়িঘড়ি রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যদিও উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসকের দাবি, আহত হয়েছেন ৮ জন। আহতদের বেশিরভাগের আঘাত গুরুতর না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। যদিও তিন জন এখনও রায়গঞ্জ মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি। দুই থেকে তিনজন এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন হাসপাতালে। আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত ছিলেন সাধন কর্মকার। এরপর গভীর রাতে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর সময় বয়স হয়েছিল ষাট বছর।

    উল্লেখ্য, রায়গঞ্জ শহরের অনুশীলনী ক্লাব গরুর গাড়িতে প্রতিমা সাজিয়ে কার্নিভালে (Raiganj Carnival Cow Attack) অংশগ্রহণ করেছিল। প্রথমদিকে সবকিছু ঠিক থাকলেও পরবর্তী সময়ে মানুষের ভিড়, বিভিন্ন ধরনের আওয়াজ ও লাইটের প্রভাবে দুটি গরু দড়ি ছিঁড়ে বেড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বলে জানা গিয়েছে। এরপর প্রতিমা উল্টে দিয়ে গরু দুটি এদিক-ওদিক দৌড়তে শুরু করে। জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা ও রায়গঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার সানা আখতার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যান। পুরসভার প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাসও যান হাসপাতালে। আহতদের শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন।

     

  • Anubrata Mondal: নানারকমের সোনার অলঙ্কারই অনুব্রতর কালী প্রতিমার বৈশিষ্ট্য! জানেন কী কী রয়েছে সেই তালিকায়?

    Anubrata Mondal: নানারকমের সোনার অলঙ্কারই অনুব্রতর কালী প্রতিমার বৈশিষ্ট্য! জানেন কী কী রয়েছে সেই তালিকায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মা কালীর অন্যতম বিশেষত্বই হল তাঁর হালকা-ভারি সোনার গয়না। কালী পুজোর (Kali Pujo) আগের দিন সেই সব গয়না একত্রিত করা হয়। এরপর অনুব্রত মণ্ডলের উপস্থিতিতে সেই গয়না মা কালীর অঙ্গে এক এক করে পরানো হয়। কী নেই সেই তালিকায়? সীতাহার থেকে চিক, বাজুবন্ধ থেকে মান্তাসা।

    আরও পড়ুন: ৮ বছরে আয় বেড়েছে প্রায় ১৭৫ গুণ! অনুব্রত কন্যা সুকন্যার আয়কর রিটার্ন চমকে দেবে আপনাকেও

    বীরভূম তৃণমূল সূত্রে খবর, কালী প্রতিমার জন্য রয়েছে সোনার মুকুট। রয়েছে নানা রকমের হার। এ ছাড়া, সীতাহার, চেন, গলার চিক, টায়রা-টিকলিও রয়েছে প্রতিমা সাজানোর জন্য। সাজসজ্জার জন্য রয়েছে চূড়, রতনচূড়, মান্তাসা এবং বেশ কয়েকটি আংটিও। রয়েছে, বালা, বাউটি, বাজুবন্ধ ইত্যাদিও। কালীপুজোর সময় ওই সব গয়না বার করে সাজানো হয় প্রতিমাকে। তৃণমূলের বীরভূম জেলার সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে এ বছর জেলা কমিটির নেতারাই গয়নায় সাজিয়ে দেবেন প্রতিমাকে। কেষ্ট নিজে হাতে এই গয়না পরিয়ে দিতেন মা কালীকে। কিন্তু বিধি বাম! এবার পুজোর সময় দেবীকে গয়না পরাবেন পুরোহিত রেবতীরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার সহকারী পুরোহিত।

    আরও পড়ুন: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ প্রমোটার রানা সরকারকে সিবিআইয়ের জেরা! কী জানতে চাইলেন অফিসারেরা

    সূত্রের খবর, যে পরিমাণ অলঙ্কার প্রতিবছর দেবীকে পরানো হত এ বছর তা পরানো হবে না। শুধুমাত্র মাথার মুকুট, গলার হার, কানের দুল আর পায়ের নূপুরই পরানো হবে এবার। দলীয় সূত্রে খবর, ২০১৮ সালে কালী প্রতিমার সোনার গয়নার পরিমাণ ছিল ১৮০ ভরি। ২০১৯ সালে তা বেড়ে হয় ২৬০ ভরি। ২০২০ সালে এই  সোনার গয়নার পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৬০ ভরি। ঠিক তার পরের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে সোনার মুকুট, বাউটি, বাজুবন্ধন, চুর, কানের দুল, গলার হার মিলিয়ে প্রায় ৫৭০ ভরি সোনার গয়নায় কালীমূর্তিকে সাজিয়েছিলেন অনুব্রত নিজে। কিন্তু গরু পাচার মামলায় এবার তিনি জেলে। সিবিআইয়ের নজর রয়েছে কালী প্ররতিমার গয়নার উপরেও। কোন কোন জায়গা থেকে সেই গয়না এনে জড়ো করা হবে তা-ও দেখবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। তাই সবাই একটু সতর্ক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Dengue: হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, জনগণকে দুষছে প্রশাসন

    Dengue: হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, জনগণকে দুষছে প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মাঝেই ভয় বাড়াচ্ছে রাজ্যের ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতি। লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। সংক্রমিতের সংখ্যা প্রায় ৩৩ হাজার। আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি ২৪ পরগনায়। কলকাতার পরিস্থিতিও বেশ উদ্বেগজনক।  

    রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ডেঙ্গি সংক্রমণের নিরিখে গত ছয় বছরের মধ্যে ২০২২-এর সংক্রমণ সর্বাধিক। এবারের ডেঙ্গি সংক্রমণ ইতিমধ্যে ২০১৯-এর রেকর্ডকে ছাপিয়ে গিয়েছে। প্রায় প্রত্যেক দিনই ডেঙ্গিতে মৃত্যুর খবর আসছে।

    ২০১৯-এ রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩১,৭৪৩ জন। এবছর এখনই সেই সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া  পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই বছর এখনও পর্যন্ত গত সপ্তাহে সর্বাধিক সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৭, ২০১৮ সালে রাজ্যে ডেঙ্গি  আক্রান্তের সংখ্যাটা ছিল যথাক্রমে ১৪,৬৮৬ এবং ১৪,৬৪৭। ২০২০ ও ২০২১-এ আক্রান্তের সংখ্যাটা ছিল যথাক্রমে ২০১৮ এবং ২১৭৬ জন। এই দুবছরে করোনার কারণে ডেঙ্গির সংক্রমণ কম ছিল।

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর সফর, সরকারি টাকায় সাজছে তৃণমূল নেতার রিসর্ট! সত্য ফাঁস শুভেন্দুর 

    আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি উত্তর ২৪ পরগনায়। গত সপ্তাহে উত্তরবঙ্গে আক্রান্ত হয়েছেন ১২৫৩ জন। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত  এবছরে আক্রান্ত প্রায় ৬ হাজার। হাওড়ায় গত সপ্তাহের আক্রান্তের  সংখ্যা ছিল ৬৩৬। আর এই বছরে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮৬৬। কলকাতায় গত সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৬০০। এই  বছরে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত প্রায় ৩ হাজার। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ১০ জেলার ১২ টি ব্লককে সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়াও ৯ জেলার যে ১২ টি পুরসভাকে সতর্ক করা হয়েছে। তার মধ্যে কলকাতা ও দক্ষিণ দমদম ছাড়াও রয়েছে ব্যারাকপুর, হাওড়া, শিলিগুড়ি, বালি, বহরমপুর, কালিম্পং, কামারহাটি, বাঁকুড়া এবং উত্তরপাড়া।   

    কয়েক দিনের ব্যবধানে ২ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যুতে উদ্বেগ ছড়িয়েছে দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায়। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসন সাময়িক তৎপরতা দেখালেও বিভিন্ন জায়গায় জল জমে থাকতে দেখা যায়। যদিও স্থানীয় প্রশাসন দায় চাপিয়েছে বাসিন্দাদের কাঁধে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Anubrata Mondal: কেষ্টর বিপুল সম্পত্তির রহস্য কী? উত্তর মিলবে ব্যাংক কর্মীদের বয়ানে

    Anubrata Mondal: কেষ্টর বিপুল সম্পত্তির রহস্য কী? উত্তর মিলবে ব্যাংক কর্মীদের বয়ানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার কারণে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি টালমাটাল হলেও, ফুলে ফেঁপে উঠেছে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) কোষাগার। বীরভূমের তৃণমূলের সভাপতির ব্যবসাপত্রে এত লেনদেন বাড়ল কী করে, সেই প্রশ্ন ভাবাচ্ছে সিবিআই (CBI) গোয়েন্দাদের। এর উত্তর একমাত্র দিতে পারেন সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কর্মীরা। এমনটাই মনে করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন: কেষ্টহীন কালী পুজো কেমন হবে বোলপুরে? নজর সিবিআইয়ের 

    অনুব্রতের বিরুদ্ধে চার্জশিটে যে ৯৫ জন সাক্ষীর কথা জানানো হয়েছে, তার একটি বড় অংশ বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংকের কর্মী-আধিকারিকেরা। সিবিআই সূত্রে খবর, মেয়ে সুকন্যা (Sukanya Mondal), প্রয়াত স্ত্রী ছবি-সহ অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের নামে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্কের সিউড়ি, বোলপুর, কলকাতার সল্টলেক এবং বাগমারি শাখায় মোট ১৩টি অ্যাকাউন্টের হদিস মিলেছে। ১৩টি অ্যাকাউন্টের মধ্যে রয়েছে ওই চালকল এবং সংস্থাগুলির অ্যাকাউন্টও। ১১ অগাস্ট অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পরেই অ্যাকাউন্টগুলিতে সমস্ত লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। 

    চার্জশিটে বলা হয়েছে, এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের বোলপুরের শাখায় কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ এক জনের অ্যাকাউন্টে ২০১১ থেকে ২০২২-এর মধ্যে ১০৫ বারে এক কোটিরও বেশি টাকা জমা পড়েছে। একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের সিউড়ির শাখায় একটি চালকলের অ্যাকাউন্টে ৬৬ বারে প্রায় এক কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা, ওই ব্যাঙ্কের বোলপুর শাখায় ওই চালকলেরই অ্যাকাউন্টে ২৪ বারে প্রায় এক কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা, আবার একটি ‘ভুয়ো’ সংস্থার অ্যাকাউন্টে ৭৮ বারে প্রায় এক কোটি ২৫ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে।  গত কয়েক বছরে অনুব্রত ও তাঁর মেয়ে সুকন্যার অ্যাকাউন্টে ফিক্সড ডিপোজিট বাবদ জমা পড়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা। বোলপুরে ব্যাঙ্ক অফ বরোদাতেই ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে বেশি। ওই শাখায় দুজনেরই অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ থেকে ব্যাঙ্ক অফ বরোদায় অনুব্রত ও তাঁর মেয়ের নামে মোট ৫ কোটি ২৭ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট করা হয়েছে। কখনও একলপ্তে জমা করা হয়েছে ৫০ লক্ষ টাকা। কখনও বা ৬০ লক্ষ টাকা। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে এক ধাক্কায় ১ কোটি ৪০ টাকা স্থায়ী আমানত তথা ফিক্সড ডিপোজিট (Fixed Deposit) করা হয় সেখানে। এছাড়াও সুকন্যা ও অনুব্রতর অ্যাকাউন্ট ছিল সল্টলেকের স্টেট ব্যাঙ্কের একটি শাখায়। সেখানে পাঁচ দফায় ফিক্সড ডিপোজিট করা হয়েছে। তার মধ্যে চারটিতে সুকন্যার নামে রয়েছে। একটি ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে অনুব্রতর নামে। এক একবারে সেখানে ১ কোটি টাকার বেশি করে ফিক্সড ডিপোজিট করা হয়েছে। সেখানে বাবা ও মেয়ে মিলিয়ে দুটি ফিক্সড ডিপোজিট অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৪ কোটি ৫৭ লক্ষ ৬৬ হাজার ২৬৪ টাকা।   
     
    চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, গরু পাচারের মূল কাণ্ডারি এনামুল হকের থেকে নেওয়া টাকাই মূলত এই অ্যাকাউন্টগুলিতে জমা পড়েছে। কিছু ব্যাংক কর্মীই এই কাজে অনুব্রতকে সাহায্য করতেন বলেও জানতে পেরেছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ নেতার বাড়ি বয়ে এসেও টাকা নিয়ে যেতেন। এই কর্মীদের সাক্ষী মামলায় নতুন মোড় আনবে বলে বিশ্বাস গোয়েন্দাদের। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share