Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Bengal Nursing Corruption: নার্সিংয়ে ভর্তি যেন ‘দুর্নীতির’ আঁতুড়ঘর, স্বনির্ভরতার স্বপ্ন অধরাই থাকছে তিথিদের

    Bengal Nursing Corruption: নার্সিংয়ে ভর্তি যেন ‘দুর্নীতির’ আঁতুড়ঘর, স্বনির্ভরতার স্বপ্ন অধরাই থাকছে তিথিদের

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল: দিনকয়েক আগেই এক বাঙালি নারীর ‘সাহসিকতা’ দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন বঙ্গ সমাজ। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় তখন ইডি হেফাজতে। নিয়মমাফিক জোকা ইএসআই হাসপাতালে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা হচ্ছে। রুটিন মেনে পরীক্ষা করানোর পরে পার্থবাবু গাড়িতে উঠেছেন, তাঁকে লক্ষ্য করে একটি জুতো উড়ে আসে। এক মহিলা পার্থবাবুর দিকে জুতো ছুড়েছিলেন। বলেছিলেন, “এত টাকা ঘুষ খেয়েছে তাই জুতো মেরেছি। বেশ করেছি।” 

    ওই মহিলার স্বামী জানিয়ে ছিলেন, তাঁদের মেয়ে নার্সিংয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু ভর্তি হতে আট লাখ টাকা দরকার। অত টাকা দেওয়ার মতো ক্ষমতা নিম্নবিত্ত ওই পরিবারের নেই। তাই মেয়ের নার্সিং পড়া হয়নি। এদিকে টিভিতে দেখাচ্ছে শিক্ষা দফতরের নিয়োগ নিয়ে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি। সবকিছু মিলিয়েই নাকি ওই মহিলা এমনভাবে রাগের বহিঃপ্রকাশ দেখিয়েছিলেন। দিন কয়েক আগে চন্দ্রকোণার মেয়ে তিথি দলুই আত্মহত্যা করেছেন। কারণ, তিনি নার্সিংয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু পড়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় আর্থিক সঙ্গতি। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করা স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডও কাজে আসেনি। লোন পাননি তিথি। তাঁর পরিবার জানান, তাই শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার মতো চরম পথ বেছে নেন।

    আরও পড়ুন: দুয়ারে ইডি-সিবিআই! জেলে যেতে পারেন? নেতাদের জন্য রইল শরীর ঠিক রাখার টোটকা 

    এই দুই ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা হয়। এ রাজ্যের একটি বড় অংশের নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়েরা নার্সিং পড়ে স্বনির্ভর হন। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়। তামিলনাড়ু, কেরলের মতো দেশের একাধিক রাজ্যের মহিলাদের স্বনির্ভর হওয়ার রাস্তা নার্সিং। কিন্তু এ রাজ্যে নার্সিং পড়ার পথে এক বড় অন্তরায় হয়ে উঠেছে দুর্নীতি। নার্সিং পড়ার খরচ গত কয়েক বছরে মারাত্মক বেড়ে গিয়েছে। তবে, ভুক্তভোগীরা জানাচ্ছেন, শুধু কলেজ ফি বাড়েনি। কলেজ ভর্তি হতে নানান জায়গায় টাকা দিতে হচ্ছে। আর তাতেই নাজেহাল হচ্ছেন পড়ুয়ারা।

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যে নার্সের চাহিদা যথেষ্ট। স্টাফ নার্সের আসন কয়েক হাজার খালি রয়েছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ভিত্তিই এই স্টাফ নার্স। রোগীকে দেখভালের সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব এই স্টাফ নার্সের উপরেই থাকে। সেই চাহিদা পূরণ করতে প্রয়োজন প্রশিক্ষিত নার্স। অথচ গত কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ জায়গায় নার্সিং কলেজে ভর্তি নিয়ে একটা অস্বচ্ছ হিসাব চলছে।

    গত কয়েক বছরে রাজ্যে কয়েক হাজার নতুন বেসরকারি নার্সিং কলেজ গড়ে উঠেছে। সেগুলোতে ভর্তি করার জন্য এক লাগামহীন অর্থ চাহিদাও তৈরি হয়েছে। শুধু মাত্র কোর্স ফি বাবদ নার্সিং কলেজে টাকা দিতে হচ্ছে এমন নয়। অভিযোগ, প্রবেশিকা পরীক্ষার উত্তীর্ণ তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও নার্সিং কলেজে ভর্তির জন্য বিভিন্ন স্তরে টাকা দিতে হচ্ছে। শুধুমাত্র পড়া খরচ বাবদ লক্ষাধিক টাকা নয়। বিভিন্ন স্তরে টাকার জোগান দিতেই কয়েক লাখ টাকা চলে যাচ্ছে নার্সিং পড়ুয়াদের। আর এই সবটাই বেআইনিভাবেই নেওয়া হচ্ছে। টাকা না দিলে ভর্তি হতে পারবে না বলেই সাফ জানিয়ে দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহল। কিন্তু কোথাও অভিযোগ জানানোর উপায় নেই। 

    আরও পড়ুন: রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচন ‘নির্মল’ হবে কিনা সংশয়ে চিকিৎসকরা

    স্বাস্থ্য ভবনের নার্সিং শাখায় কর্মরত কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, সবকিছুই হচ্ছে স্বাস্থ্য ভবনের অঙ্গুলি হেলনে। স্বাস্থ্য ভবন জানে না, এমন নয়। কিন্তু এই টাকার ভাগ অনেক দূর পর্যন্ত যায়। তাই সব জেনেও কোথাও কোনও হেলদোল নেই। শুধুমাত্র বেসরকারি নার্সিং কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রেই যে এত সমস্যা তা নয়। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, ভর্তির তালিকা তৈরির সময় থেকেই একটা অস্বচ্ছতা দিন দিন স্পষ্ট হয়ে উঠছে। 

    স্বাস্থ্য ভবনের এক কর্তা জানান, নার্সিং রুল বুকের ন্যূনতম নিয়মও মেনে চলা হচ্ছে না। নার্সিংয়ের সবটাই এখন চলছে বেনিয়মে। তিনি জানান, যাঁরা সাব সেন্টারে পোষ্টেড সেই Health Assistant Female রা ৩ বছর ‘uninterrupted’ সার্ভিস করলে তাঁদের TR দিয়ে GNM করাবে বলে তথ্যপুস্তিকা প্রকাশ করে রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড এবং পরীক্ষা নেয়। পরীক্ষার পরে, যারা কৃতকার্য হয়, তারা কাউন্সেলিং করার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে স্বাস্থ্য ভবনের Nursing ব্রাঞ্চের আধিকারিকদের পরীক্ষায় বসার জন্যে BMOH এর পারমিশন, Rank কার্ড, অ্যাডমিটসহ অন্যান্য ডকুমেন্ট পাঠায়।

    প্রথম রাউন্ড কাউন্সেলিং শেষ করার পরও ডিপার্টমেন্টের কোনও হেলদোল ছিল না। TR লিস্ট বার করার, জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড সিট আপগ্রেডেশন সুবিধা পরীক্ষার্থীদের দেয় তাই সেই সার্ভিস ক্যান্ডিডেটরা দ্বিতীয় রাউন্ড কাউন্সেলিংয়ে বসে যাতে সেপ্টেম্বরের ৯ তারিখ পর্যন্ত TR এর জন্যে অপেক্ষা করা যায়। এদিকে কলেজ কর্তৃপক্ষ সব সার্ভিস পরীক্ষার্থীদের জানিয়েছে, স্বাস্থ্য ভবন থেকে বলে দেওয়া হয়েছে সার্ভিস ক্যান্ডিডেটদের ভর্তি না করতে করলেও ফ্রেশ ক্যান্ডিডেট হিসেবে ভর্তি করতে, এদিকে ফ্রেশ ক্যান্ডিডেট হিসেবে ভর্তি করলে সার্ভিস ব্রেক হয়ে যাবে হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট ফিমেলদের। ওই কর্তা বলেন, “West Bengal Nursing Personnel (Placement on Trainee Reserve) Rules, 2009, অর্ডার নম্বর. HF/O/GA(NG)/303/1N-26/09 অনুসারে HAF দের TR পাওয়ার কথা, কিন্তু ডিপার্টমেন্ট নিঃশ্চুপ। হয়তো এমন সময় TR বার করবে যখন কোন লাভ নেই আর। হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট ফিমেলদের সঙ্গে এই বিশ্বাসঘাতকতা করাটার কি খুব প্রয়োজন ছিল!”

    স্বাস্থ্য দফতরের একাংশের আশঙ্কা, এসএসসির মতো স্বাস্থ্য দফতর নিয়ে কখনো আদালতে তদন্তের নির্দেশ দিলে, তা শিক্ষা দফতরের দূর্নীতিকেও পিছনে ফেলে দেবে।

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যে বিজেপি সরকার গড়লে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডিএ দিয়ে দেব! দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রাজ্যে বিজেপি সরকার গড়লে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডিএ দিয়ে দেব! দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) সরকার রাজ্যে ক্ষমতায় এলে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ কর্মীদের বকেয়া ডিএ (DA) মিটিয়ে দেওয়া হবে। পাণ্ডবেশ্বরে এক জনসভায় এমনই দাবি করলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেছেন, ‘পুলিশ কর্মীরা দীর্ঘদিন প্রাপ্য ডিএ থেকে বঞ্চিত। একজন কনস্টেবল কমপক্ষে প্রায় দশ হাজার টাকা কম পাচ্ছেন। আর সাব ইন্সপেক্টরের ক্ষেত্রে সেটা প্রায় কুড়ি হাজার টাকা। আমাদের সরকার ক্ষমতায় এলে আরটিজিএস কিংবা এনইএফটি করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আপনাদের অ্যাকাউন্টে ডিএ পাঠিয়ে পাঠিয়ে দেব।’ একই সঙ্গে তিনি পুলিশকে পরামর্শ দেন, নবান্নে আমাদের আটকাবেন না। তিনদিক থেকে মিছিল করে যাব আমরা। আমি থাকব সাঁতরাগাছিতে।

    আরও পড়ুন: হঠাৎ মধ্যরাতে আইনজীবীকে নিয়ে ইডি দফতরে হাজির মেনকা গম্ভীর! কেন?

    উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারের কর্মীদের ডিএ’র দাবি বহুদিনের। তা নিয়ে মামলা গড়ায় হাইকোর্টে (High Court)। তার পরিপ্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কেন্দ্রীয় হারে (৩১ শতাংশ) দ্রুত ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালত। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই রায় মানতে রাজি নয়। এক্ষেত্রে যুক্তি দেখানো হয়, রোপা রুল অনুযায়ী ১৬ শতাংশ ডিএ বাকি রয়েছে। একই সঙ্গে তাই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। সেই মামলার শুনানিও শেষ। রায় বেরনোর অপেক্ষা। রাজ্য সরকারি কর্মীরা আশা করছেন, এবারও রায় তাদের পক্ষেই যাবে। তবে অনেকে আশঙ্কা করছেন, হেরে গেলে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যেতে পারে রাজ্য। তাতে প্রাপ্য মহার্ঘ ভাতা পেতে আরও কিছু সময় লাগবে।

    আরও পড়ুন: নিম্নচাপের প্রভাব! কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় চলছে বৃষ্টি

    এই দড়ি টানাটানির মধ্যেই বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারি ডিএ নিয়ে প্রতিশ্রুতি মাস্টারস্ট্রোক বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। যা শুধু পুলিশ কর্মীদের নয়, সব রাজ্য সরকারের কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। কারণ, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পেলে রাজ্য সরকারের কর্মীদের বেতন এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • MGNREGA: কেন্দ্র দিয়েছে ডেডলাইন! মনরেগা প্রকল্পের টাকা পেতে তড়িঘড়ি ‘ওমবাডসম্যান’ নিয়োগ রাজ্যের

    MGNREGA: কেন্দ্র দিয়েছে ডেডলাইন! মনরেগা প্রকল্পের টাকা পেতে তড়িঘড়ি ‘ওমবাডসম্যান’ নিয়োগ রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ‘ওমবাডসম্যান’ নিয়োগ করা হল। মঙ্গলবার এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সম্প্রতি গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক সব রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে যে তাদের মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি অ্যাক্ট, ২০০৫ (MNREGA) এর অধীনে টাকা পেতে হলে কিছু নিয়ম মানতে হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং জানিয়েছেন “MNREGA তহবিলের ব্যবহারে স্বচ্ছতা আনা প্রয়োজন। অক্টোবরের মধ্যে সমস্ত রাজ্যগুলিকে এ নিয়ে রিপোর্ট দিতে হবে।” কেন্দ্রের এই হুঁশিয়ারিতেই টনক নড়ে রাজ্যের। দ্রুত রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়  ‘ওমবাডসম্যান’ নিয়োগ করল রাজ্য সরকার। এঁরা সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পকে ঘিরে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ খতিয়ে দেখে সরকারি কর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করবে। প্রকল্পে স্বচ্ছতা থাকলে তা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেবে।

    আরও পড়ুন: তিনবছরে বিজয়ীদের আয় ৫৮ হাজার কোটি টাকা, সিবিডিটির নজরে গেমিং অ্যাপ

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জুলাই মাসে মনরেগা তহবিল আটকানোর জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করেছিলেন। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতির অভিযোগ শুনে কেন্দ্রীয় কর্তারা রাজ্যে গিয়ে সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে তার সত্যতাও পেয়েছেন। একশো দিনের কাজে রুল নম্বর ২৭ অনুযাযী যদি কোনও রাজ্য কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা মেনে না চলে সে ক্ষেত্রে সেই রাজ্যের বকেয়া অর্থ আটকে দেওয়ার অধিকার রয়েছে কেন্দ্রের। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “আমি রাজ্যগুলিকে লিখেছি যে আমাদের তহবিলের কোনও অভাব নেই, তবে তাদের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে এবং কোনও আর্থিক অনিয়ম কাম্য নয়। রাজ্যগুলি স্বচ্ছতা বজায় রাখতে কী পদক্ষেপ করেছে তা আমরা অক্টোবরে খতিয়ে দেখব।”

    আরও পড়ুন: যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে, এনআইএ আদালতে খারিজ নভলাখার জামিনের আবেদন

    মন্ত্রী আরও বলেন, “আমি রাজ্যগুলিকে MNREGA-তে আরও স্বচ্ছতা আনতে বলেছি এবং এর জন্য আমাদের কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে যেমন কমিশনারদের পরিদর্শন, রিয়েল-টাইম উপস্থিতি, একটি সক্রিয় লোকপাল, সামাজিক অডিট, একটি জাতীয় মোবাইল পর্যবেক্ষণ।” একটি অ্যাপের সাথে পুরো সিস্টেমটি যোগ করার কথাও বলেন তিনি। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও তৈরি করতে হবে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা দুর্নীতির বেড়াজালে আটকে রয়েছে রাজ্য। তাই স্বচ্ছতা দেখাতে তড়িঘড়ি ‘ওমবাডসম্যান’ নিয়োগের কথা ভাবা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Medical Council Election: রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচন ‘নির্মল’ হবে কিনা সংশয়ে চিকিৎসকরা

    Medical Council Election: রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচন ‘নির্মল’ হবে কিনা সংশয়ে চিকিৎসকরা

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল: প্রায় ন’বছর পরে নির্বাচন হতে চলেছে। কিন্তু আশঙ্কা কাটছে না। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচন (West Bengal state medical council election) নিয়ে গত পাঁচ বছর ধরে জটিলতা চলছে। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে সেই নির্বাচন শুরু হবে। কিন্তু গত পাঁচ বছর ধরে, যে দাবিতে চিকিৎসকদের একাংশ সরব হয়েছিলেন, সেটা কতখানি বাস্তব আকার নেবে, সে নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। অর্থাৎ, আদৌ স্বচ্ছ নির্বাচন হবে কিনা সেই নিশ্চয়তা নেই।

    রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচন যেন, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটছে। শাসক দলের সেই দাদাগিরি এবারেও অপরিবর্তিত। এ বছরেও সব চিকিৎসক ভোটাধিকারের সুযোগ পাবেন কিনা, সে নিয়ে সংশয় রয়েছে। চিকিৎসক নেতা শারোৎদ্বত মুখোপাধ্যায় বলেন, “সরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের ব্যালট পেপার হাসপাতালের অধ্যক্ষ অথবা সুপারের কাছে যায়। তিনি সেগুলো প্রত্যেককে দেন। রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের প্রশাসনিক যা অবস্থা, তাতে কোনও ব্যালট পেপার বিলি হবে না।” তাঁর আশঙ্কা, “হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্তা, যাঁরা আসলে তৃণমূলের লোক, তাঁরাই ব্যালট খুলে ভোট দিয়ে দেবেন। আসলে সংবিধান যাঁরা তৈরি করেছিলেন, তারা ভাবেননি, চিকিৎসকরা এমন নিম্নরুচির কাজ করতে পারেন।” তাঁর আশঙ্কা, এ বছরেও মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচন হবে লোক দেখানো। তার মধ্যে গণতান্ত্রিক ভাবাদর্শ ছিটেফোঁটাও থাকবে না। 

    রাজ্যের চিকিৎসকদের রেজিস্ট্রেশন দেওয়া, ঠিকমতো আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি মেনে চিকিৎসা হচ্ছে কিনা, তা নজরদারি করা, ভুয়ো চিকিৎসকদের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচানো এবং মানুষ ঠিকমতো স্বাস্থ্য পরিষেবা পাচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করার দায়িত্ব রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের। এই কাউন্সিলের দায়িত্ব কে সামলাবে, তা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে ঠিক হয়। চিকিৎসকরাই নির্বাচিত করেন কাউন্সিলের সদস্যদের। কিন্তু রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচন অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হচ্ছে, এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি, দিনের পর দিন বাড়ছে সংক্রমণ

    ২০১৩ সালে শেষ নির্বাচন হয়েছিল। সেই নির্বাচন নিয়ে নানান অভিযোগ উঠেছিল। মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি হয়েছিলেন তৃণমূলের বিধায়ক নির্মল মাঝি (Nirmal Majhi)। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর নির্বাচন হওয়ার কথা। সেই মতো ২০১৮ সালে মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচনের আয়োজন হয়। কিন্তু অধিকাংশ হাসপাতালের চিকিৎসকরাই ব্যালট পাননি। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচন নিয়ম অনুযায়ী, হাসপাতালের চিকিৎসকের কাছে ব্যালট পৌঁছে যাবে। তিনি পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দেবেন। ডাকে মুখ বন্ধ খামে তাঁর ব্যালট আবার কাউন্সিলে ফেরত যাবে। কিন্তু অভিযোগ, ২০১৮ সালে অধিকাংশ চিকিৎসক ব্যালট পাননি। অনেকেই খালি খাম পেয়েছেন। ডাক বিভাগ থেকে চিকিৎসকের কাছে ব্যালট পৌঁছনোর আগেই কীভাবে ভিতরের ব্যালট পেপার উধাও হয়ে গেল, সে নিয়ে সংশয়ে চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২০২২ সালের নির্বাচনে কতখানি স্বচ্ছতা থাকবে, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

    চিকিৎসকদের সংগঠন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্মের তরফ থেকে চিকিৎসক কৌশিক চাকি বলেন, “কাউন্সিলের স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য হাইকোর্ট একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ রাজ্য সরকারকে দিয়েছিল। সরকার ৮ সদস্যের একটি কমিটি গড়ে। তবে, সেই কমিটির ৫ জন সদস্যেরই সরাসরি শাসক দলের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। ফলে, মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচন স্বচ্ছ করার কতখানি সদিচ্ছা সরকারের আছে, এই ঘটনাই তা স্পষ্ট করে দিচ্ছে।”

    রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রাক্তন সভাপতি নির্মল মাঝির বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠেছে। কখনও সরকারি মেডিক্যাল কলেজ থেকে দামি জীবনদায়ী ওষুধ চুরির আবার কখনও ভুয়ো চিকিৎসককে রেজিস্ট্রেশন পাইয়ে দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ হয়েছে। অপর দিকে শাসক দলের আরেক চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেনের (TMC Rajya Sabha MP Shantanu Sen) বিরুদ্ধেও চিকিৎসক মহলে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ। বিশেষত স্বাস্থ্য দফতরের নিয়োগ গড়মিলে তার ভূমিকা উল্লেখযোগ্য বলেই মনে করেন রাজ্যের চিকিৎসক মহল। তাই শাসক দল, এবার নির্মল মাঝি ও শান্তনু সেন এই দুই চিকিৎসক নেতাকেই রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচন থেকে দূরে রেখেছেন। এবছর শাসক দলের মুখ সুদীপ্ত রায়।

    নেতা বদল হলেও পরিস্থিতি বদলাবে না বলেই আশঙ্কা করছেন রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে দুটো প্যানেলে নির্বাচন হয়। একটি মেডিক্যাল এডুকেশন সার্ভিসের, যেখানে মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক পদাধিকারী থেকে অধ্যাপক পদে কর্মরত চিকিৎসকরা ভোট দেন। আরেকটি প্যানেল নন-টিচিং ডাক্তারদের। প্রত্যেক প্যানেল থেকে ৭ জন সদস্য নির্বাচিত হন।

    আরও পড়ুন: শিক্ষক দিবসের দিন ‘যন্ত্রণা’ দিবস পালন করলেন বিক্ষোভরত হবু শিক্ষকরা

    আজ মঙ্গলবার নমিনেশন জমা দেওয়ার শেষ দিন। ৭ সেপ্টেম্বর নমিনেশন ভেরিফিকেশন হবে। যেগুলোতে ভুল আছে, তা বাতিল হবে। তারপরে প্রত্যেক দল, তাদের মনোনিত ৭ জন করে সদস্য নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা ঘোষণা করবেন। সাধারণত, প্রত্যেক দলের ১০-১২ জন সদস্য নমিনেশন পেপার জমা দেন। কারণ, অনেকের ভেরিফিকেশনের সময় বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু শাসক দল ৭ জন সদস্যই নমিনেশন জমা দিয়েছেন এবং নির্বাচনে কারা দাঁড়াবেন, সেটাও দল ঘোষণাও করে দিয়েছে। চিকিৎসকদের একাংশের প্রশ্ন, “এই ঘটনায় বোঝাচ্ছে, নমিনেশন, ভেরিফিকেশন এগুলো সব লোক দেখানো। শাসক দলের এসব কিছুর করার প্রয়োজন নেই? তারা কোনও ভুল করবেন না?” 

    রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সর্বত্র শাসক দল নিজেদের পেশি শক্তির প্রকাশ করতে চাইছে। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচন ও তার ব্যতিক্রম নয়। রাজের মেডিক্যাল কাউন্সিল ঠিকমতো কাজ না করলে স্বাস্থ্য পরিষেবাতেও তার প্রভাব পড়বে। যার জেরে সাধারণ মানুষকেও নাজেহাল হতে হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dengue: ডেঙ্গি মোকাবিলায় হল না সমন্বয়, ডেঙ্গির প্রকোপে তাই জেরবার রাজ্যবাসী!

    Dengue: ডেঙ্গি মোকাবিলায় হল না সমন্বয়, ডেঙ্গির প্রকোপে তাই জেরবার রাজ্যবাসী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষা শুরু হতেই রাজ্যে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ দেখা দেয়। বিশেষত ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ প্রাণঘাতী। অগাষ্ট-সেপ্টেম্বর মাসে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর চব্বিশ পরগনার মতো জেলাগুলোতে ডেঙ্গির প্রকোপ মারাত্মক। কিন্তু বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও সরকার এখনো মোকাবিলার পথ খুঁজে পেল না। তাই রাজ্যবাসীর ভোগান্তি অব্যাহত। ফি-বছরেই মশাবাহিত রোগে প্রাণ যায় কয়েক হাজার রাজ্যবাসীর।

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গির মতো সংক্রমকের মোকাবিলা বছরভর করতে হয়। কিন্তু সারা বছর স্বাস্থ্য দফতরের সেই তৎপরতা দেখা যায় না। আর তাই বর্ষাকালে পরিস্থিতি সামলাতে প্রশাসন হিমশিম খায়। এবছরে ও ডেঙ্গির প্রকোপ মারাত্মক বাড়ছে।

    স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কয়েক হাজার ছাড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই হাওড়াতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। হুগলিতেও মারাত্মক ডেঙ্গি প্রকোপ বেড়েছে।

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গির মতো রোগের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে হলে সরকারের একাধিক বিভাগের মধ্যে সমন্বয় জরুরি। শিক্ষা, পূর্ত, স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবে পুরসভা ও পঞ্চায়েতগুলো। এতগুলো দফতরের একযোগে কাজে প্রয়োজন সদিচ্ছা ও সমন্বয়। তবেই কাজে সাফল্য আসবে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই দুইয়ের অভাব দেখা যায়। আর তাই সাফল্য পাওয়া যাচ্ছে না।

    আরও পড়ুন: পুজোর আগে ফের চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি, ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত ৪০১ জন

    অধিকাংশ সময়, বাচ্চারা স্কুল থেকে আক্রান্ত হচ্ছে। কলকাতা ও তার আশপাশের রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ। বিশেষত হাওড়া, হুগলি, উত্তর চব্বিশ পরগনায় রাস্তার অবস্থা বেশ খারাপ। সামান্য বৃষ্টিতেও জল জমে। হাওড়ার একাধিক জায়গায় রাস্তার জল বাড়িতে ঢুকে যায়। জল সরতেই তিন-চার দিন কেটে যায়। জমা জল মশাল আঁতুড়ঘর জানার পরেও বাসিন্দাদের কিছু করার থাকে না। শিক্ষা, পূর্ত ও পুর দফতরের সমন্বয়ের অভাব এই ছবিগুলোতে স্পষ্ট।

    হাওড়ায় গত সপ্তাহেই ২৯ বছর বয়সি এক সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে। পুরসভার বক্তব্য, তারা নিয়মিত এলাকা পরিদর্শন করছেন। কিন্তু এরকম সংক্রমক রোগ পুরোপুরি ঠেকানো সম্ভব নয়। এলাকার বাসিন্দারা অবশ্য খুব বিরক্ত। বাসিন্দাদের একাংশের প্রশ্ন, পুরসভার কাজ কি শুধুমাত্র বাড়িতে বাড়িতে জ্বর হয়েছে কিনা, সেটাই জানা। আর কিছুই কি করণীয় নেই? সময় মতো রাস্তা সারাই, নর্দমা পরিষ্কার, পার্কের আগাছা কেটে পরিষ্কার কে করবে?

    একই রকম পরিস্থিতি হুগলি জেলাতেও। হুগলির উত্তরপাড়া পুরসভা এলাকায় গত এক সপ্তাহে লাফিয়ে বেড়েছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়িতে পুর কর্মীরা জ্বরের খোঁজ নিতে গেলে অনেক জায়গায় তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সাধারণ মানুষ। এক বাসিন্দার কথায়, “বাড়িতে জল জমিয়ে রাখতে নেই। জমা জলে মশা জন্মায় দশ বছর ধরে শুনছি। জল জমিয়ে রাখি না। কিন্তু সবকিছু আমাদের কাধে ফেলে দিলেই হবে না। পুরসভা নিজেদের কাজ করছে কোথায়? “

    যদিও রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর এবং কলকাতা পুরসভার যুক্তি, বছরভর ডেঙ্গি মোকাবিলার কাজ চলে। তবে রাতারাতি সব সমস্যা নির্মূল সম্ভব নয়।

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, যে কোনও সংক্রমক রোগের মোকাবিলার ক্ষেত্রে সরকারের তরফ থেকে রোগের সঠিক তথ্য দেওয়া প্রথম কাজ। কিন্তু ডেঙ্গি মোকাবিলার ক্ষেত্রে সেটাই সবচেয়ে বড় অন্তরায় হয়ে উঠেছে। ডেঙ্গি মৃত্যুর সঠিক তথ্যের জন্য মানুষকে আদালতের দ্বারস্থ পর্যন্ত হতে হচ্ছে। সাধারণ মানুষ তো বটেই স্বাস্থ্য মন্ত্রকে তথ্য পাঠানো নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়। মানুষ রোগের ভয়াবহতা সম্পর্কে না জানতে পারলে, রোগ ঠেকানো মুশকিল। তাই ডেঙ্গিকে মোকাবিলা করতে হলে সঠিক তথ্য জানাতে হবে। কোন জেলায় সংক্রমণ কেমন হচ্ছে, সেটা ঠিকমতো বোঝাতে হবে। এক বিশেষজ্ঞের কথায়, “শুধু গান বাজিয়ে মানুষকে সচেতন করা যায় না। বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাতে হয়। ডেঙ্গির তথ্য নিয়ে অতীতে অনেক ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এখনো হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হলে আগে ধোঁয়াশা থেকে বেরোতে হবে। “

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Weather Forecast: রাজ্যে ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, ভাসতে পারে কোন কোন জেলা, জেনে নিন

    Weather Forecast: রাজ্যে ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, ভাসতে পারে কোন কোন জেলা, জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ফের নিম্নচাপের (Low Pressure) ভ্রুকুটি। আসন্ন নিম্নচাপের বৃষ্টির জেরে মার খেতে পারে দক্ষিণবঙ্গের পুজোর বাজার। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস (Weather Forecast), বৃষ্টি শুরু হবে শনিবার। চলবে সেই মঙ্গলবার পর্যন্ত। জানা গিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের ওপর অবস্থান করছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। এই ঘূর্ণাবর্তই শক্তি বাড়িয়ে পরিণত হতে চলেছে নিম্নচাপে। তার জেরেই রাজ্যের উপকূল ও ওড়িশা সংলগ্ন জেলাগুলিতে হতে পারে ভারী বৃষ্টিপাত (Heavy Rainfall)।

    এ যাত্রায় দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত হলেও, উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। শনিবার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলা পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের একাংশেও হতে পারে নিম্নচাপের বৃষ্টি। ঘণ্টায় ৪৫ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়াও। রবিবার বাড়বে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। এদিন দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টি হতে পারে সোমবার এবং মঙ্গলবারেও। নিম্নচাপের জেরে শনিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। শনিবার দুই মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এই সতর্কতা রয়েছে। রবি ও সোমবার এই সতর্কতা জারি হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা এবং হাওড়ায়। নিম্নচাপের প্রভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর লাগোয়া ঝাড়গ্রাম, নদিয়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদেও। মঙ্গলবার বৃষ্টি হতে পারে দুই বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মালদহ, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে।

    আরও পড়ুন : ১২১ বছর পর রেকর্ড বৃষ্টি অসম-মেঘালয়ে! আবহাওয়াবিদরা কী বলছেন, জানুন…

    রাজ্যের কয়েকটি জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি হলেও, মৎস্যজীবীদের জন্য লাল সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। আগামী ১০ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। যাঁরা ইতিমধ্যেই সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছেন, দ্রুত ফিরে আসতে বলা হয়েছে তাঁদের। আবহাওয়াবিদদের মতে, প্রবল বর্ষণের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ফসলের। যার প্রভাব পড়তে পারে কাঁচা আনাজের বাজারের ওপর। এক লপ্তে সবজির দাম বেড়ে যেতে পারে বেশ খানিকটা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: অকৃতজ্ঞ! মিথ্যা মামলা সাজাচ্ছে বুয়া-ভাতিজার সরকার, ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর 

    Suvendu Adhikari: অকৃতজ্ঞ! মিথ্যা মামলা সাজাচ্ছে বুয়া-ভাতিজার সরকার, ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর নিরলস চেষ্টায় পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে (Nandigram) পায়ের নীচে মাটি পেয়েছে তৃণমূল (TMC)। অথচ এতটুকুও কৃতজ্ঞতা বোধ নেই। তার পরেও তাঁর বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা মামলা সাজাচ্ছে রাজ্যের বুয়া ভাতিজার সরকার। অন্তত এমনই অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্য সরকারের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি (CID) অযথা বিরোধীদের হেনস্থা করছে বলেও অভিযোগ শুভেন্দুর। 
    বাম আমলে নন্দীগ্রামে হয় ভূমি আন্দোলন। সেই সময় প্রবল পরাক্রান্ত বামেদের একাই রুখে দিয়েছিলেন তৎকালীন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরে নন্দীগ্রামে যান তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও নন্দীগ্রামে ঢুকতে পারেননি তিনি। শেষমেশ সহায় হন শুভেন্দু। তাঁরই নির্দেশে এক দলীয় কর্মীর বাইকে সওয়ার হয়ে নন্দীগ্রামে ঢোকেন মমতা। বাকিটা তো ইতিহাস। পরে দলনেত্রীর সঙ্গে মনান্তরের জেরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু। তার পর থেকেই জোড়াফুল শিবিরের তরফে নানাভাবে এই পদ্ম নেতাকে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুন : চিকিৎসা ভাতা বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু অধিকারী

    তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা রুজু করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর। ট্যুইট বার্তায় শুভেন্দু বলেন, আমার নিরলস পরিশ্রমে যে জেলায় পা রাখার জায়গা পেয়েছিল তৃণমূল, প্রথম তৃণমূলের পতাকা উত্তোলন করতে পেরেছিল আমার জন্য, সেখানেই আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যে মামলা করছে বুয়া-ভাতিজা সরকার। তিনি বলেন, ২০১৫ অগাস্ট থেকে ২০২০ নভেম্বর পর্যন্ত মুর্শিদাবাদে আমার নিরাপত্তা রক্ষায় যেসব রক্ষীকে নিয়োগ করা হয়েছিল, ২০২২ এর সেপ্টেম্বর মাসে সিআইডি চেষ্টা করছে তাঁদের দিয়ে আমার নামে মিথ্যে বিবৃতি দেওয়াতে। যাতে করে আরও বেশি করে মিথ্যে মামলা সাজানো যায় আমার বিরুদ্ধে।

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, এটা ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে যে বিরোধী দলের নেতাদের হেনস্থা করতে সিআইডি কত নীচে নামতে পারে। শুভেন্দু লেখেন, চালিয়ে যাও। রাজ্যবাসীকে হেনস্থা করতে মূল্যবান সময় এবং সম্পদ নষ্ট কর। অথচ যেখানে তদন্ত করার কথা তোমাদের, সেখানে হাত গুটিয়ে বসে থাক। তৃণমূল নেত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শুভেন্দু বলেন, আমার বিরুদ্ধে আপনার এই অশুভ সাধনা চালিয়ে যান। তবে মনে রাখবেন, শাসকের আইনের ওপরে শেষতক রাজ করবে আইনের শাসনই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Cattle smuggling case: গরু পাচারকাণ্ডে এবার বেসরকারি ব্যাংক কর্তাদের তলব সিবিআইয়ের! কী জানতে চাইল তারা?

    Cattle smuggling case: গরু পাচারকাণ্ডে এবার বেসরকারি ব্যাংক কর্তাদের তলব সিবিআইয়ের! কী জানতে চাইল তারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বোলপুর (Bolpur) গেল সিবিআইয়ের (CBI)প্রতিনিধি দল। তবে বৃহস্পতিবার কোনও তল্লাশি অভিযান চালায়নি তারা। শান্তিনিকেতনে (Shantiniketan) রতন কুঠি গেস্ট হাউসেই বেসরকারি ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। গরু পাচার কাণ্ডে (cattle smuggling case) অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কত টাকা রয়েছে  তা জানতেই বেসরকারি ব্যাংকের আধিকারিকদের ডেকে পাঠায় সিবিআই।  জানতে চাওয়া হয়,অনুব্রতের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে কবে কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট মারফত কত টাকা লেনদেন হয়েছিল। 

    আরও পড়ুন: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মিথ্যে বয়ান দিতে দেবযানীকে চাপ সিআইডি-র! সিবিআইকে বিস্ফোরক চিঠি মায়ের

    প্রসঙ্গত, এর আগে অনুব্রত মণ্ডলের বোলপুর এবং সিউড়ির মোট চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের আধিকারিককে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই । এ বার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের পাশাপাশি বেসরকারি ব্যাংকের আধিকারিকদেরও (Private Bank Officials) ডেকে পাঠাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। মূলত অনুব্রত মণ্ডল ও সায়গল হোসেনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কেই তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়। 

    আরও পড়ুন: দুয়ারে ইডি-সিবিআই! জেলে যেতে পারেন? নেতাদের জন্য রইল শরীর ঠিক রাখার টোটকা

    সূত্রের খবর, অনুব্রত ও সায়গলের বাড়িতে এবং বিভিন্ন রাইস মিলে তল্লাশি চালিয়ে যে সমস্ত ব্যাঙ্কের নথি উদ্ধার হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতেই ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের তলব করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে অনুব্রত ও সায়গলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত খোঁজ-খবর নেন এবং ব্যাঙ্কের সমস্ত নথি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের নামে কোন ব্যাংকে কত টাকা রয়েছে তা-ও জানতে চাওয়া হয়। বীরভূমে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে ওই ব্যাংক কর্মীরা গিয়ে বেশকিছু নথি জমা দিয়েছেন, বলে খবর। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই সব নথি স্ক্যান করে ই-মেইল মারফত কলকাতা এবং দিল্লির সদর দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সিবিআই-এর দাবি, গরু পাচারের টাকার লভ্যাংশ ঢুকেছিল অনুব্রত এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজনদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৷ সেই টাকা কবে কে জমা দিত এবং সেই টাকা ঘুরপথে কোন কোন প্রভাবশালীর কাছে যেত, তা জানার জন্যই এই ব্যাংক আধিকারিকদের তলব করা হয়েছিল ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Coal Case and Moloy:  আভাস ছিল কি, আগেই মলয় ঘটক রাজভবন থেকে কাগজপত্র সরিয়ে ছিলেন কেন?

    Coal Case and Moloy: আভাস ছিল কি, আগেই মলয় ঘটক রাজভবন থেকে কাগজপত্র সরিয়ে ছিলেন কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগেই কি আভাস পেয়েছিলেন? সপ্তাহ দুয়েক আগে তাঁর রাজভবনের ফ্ল্যাট থেকে বাক্স ভর্তি সামগ্রী সরিয়ে নিয়েছিলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক। এখন নাকি রাজভবনের বাড়িতে জামাকাপড় এবং বাসনপত্র ছাড়া আর কিচ্ছু নেই। মলয় ঘটকের কাগজপত্র সরিয়ে নেওয়া খবর অবশ্য তৃণমূলের একাংশের মাধ্যমেই বাইরে এসেছে। তাদের কেউ কেউ গল্প করে জানাচ্ছেন, আসল জায়গায় যেতে পারেনি সিবিআই। ‘মাল’ যা ছিল তা সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

    কয়লাপাচার কাণ্ডে মলয় ঘটকের বাড়িতে সিবিআই হানা, এবার কি গ্রেফতার রাজ্যের আইনমন্ত্রী?

    তৃণমূলের অন্দরের খবর, শুধু মলয়বাবু নন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কয়েকবার কোন কোন নেতাদের সিবিআই-ইডি গ্রেফতার করবে তার তালিকা এক নিশ্বাসে ঘোষণা করে দিয়েছেন। সেই তালিকায় থাকা সকলেই নিজেদের অমূল্য সম্পদ সরিয়ে ফেলেছেন বলে জোড়াফুলের অন্দরের খবর। কেন মমতার ঘোষণায় ভয় পেয়ে গিয়েছেন নেতারা? তৃণমূলের একটা বড় অংশ জানাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী যে তালিকা ঘোষণা করেছেন তা এসেছে শান্তিনিকেতন থেকে। আর সারদা কেলেঙ্কারি সামনে আসার পর মুখ্যমন্ত্রী যখন প্রশ্ন তুলেছিলেন, আমি চোর, কুণাল চোর, টুম্রাই চোর, মদন চোর, মুকুল চোর? তাতে দেখা গিয়েছিল, সিবিআই পরে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত তালিকার প্রায় সকলকেই গ্রেফতার করেছিল। এবার কয়লা-গরু পাচারের ঘটনায় সেই ভয়ই পাচ্ছেন তৃণমূলের হেভিওয়েটরা। শাসক দলের অনেকের মতেই, এবারও মুখ্যমন্ত্রীর তালিকা মিলে যেতে পারে। শুধু মমতা যে সিরিয়ালে নামগুলি নিয়েছেন সেটা মিলবে কিনা দেখার।

    ফের মিলল অনুব্রতর সম্পত্তির হদিশ, কোথায় জানেন?

    তৃণমূলের অন্দরে আরও একটি প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে তা হল, আদালতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার রক্ষাকবচ পাচ্ছেন, সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলাতেও পরিবারের বাকি সদস্যদের হলফনামা দিতে বলা হয়েছে। মমতা-অভিষেক এক্ষেত্রেও বাদ। তা হলে রহস্যটা কি?  এসব প্রশ্নের মাঝেই মমতাচ্চারিত নেতারা যে ট্রাঙ্ক ভর্তি কাগজপত্র সরিয়ে বুদ্ধিমানের কাজ করেছিলেন তা এদিনের সিবিআই তল্লাশিতে প্রমাণিত হচ্ছে বলে মানছেন তাঁরা। কিন্তু লালার ডায়েরি আর আয়কর রিটার্নে দেওয়া তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে তদন্তকারীরা যা পেয়েছেন, তার কি হবে?  সেই প্রশ্নেই কিছু চিন্তায় পুরনো তৃণমূলীরা। যাঁদের নিকেতনে আর শান্তি নেই।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: জামিনের আবেদন খারিজ সিবিআই আদালতে, ফের জেলেই ফিরতে হল অনুব্রতকে

    Anubrata Mondal: জামিনের আবেদন খারিজ সিবিআই আদালতে, ফের জেলেই ফিরতে হল অনুব্রতকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খারিজ হয়ে গেল জামিনের আবেদন। ফের জেলের ছোট্ট কুঠুরিতেই ফিরতে হল তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে বুধবার ফের আসানসোলে সিবিআইয়ের (CBI) বিশেষ আদালতে তোলা হয় গরু পাচার কেলেঙ্কারিতে (Cattle Smuggling Scam) সিবিআইয়ের হাতে ধৃত অনুব্রতকে। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে চাওয়া হয় জামিন। জামিনের আবেদন খারিজ করে বিচারক তাঁকে ফের ১৪ দিনের জেলা হেফাজতের নির্দেশ দেন। ২১ সেপ্টেম্বর ফের তাঁকে তোলা হবে আদালতে। তৃণমূল নেতার জামিনের বিরুদ্ধে সওয়াল করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে বলা হয়, এখন যদি অনুব্রত মণ্ডলের জামিন হয়ে যায় তাহলে তদন্ত একদমই করা যাবে না।

    সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক এদিন জানতে চান, বাংলাদেশে গরু পাচারে কীভাবে জড়িত অনুব্রত? তখনই সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, হাট থেকে গরু যেত বাংলাদেশ সীমান্তে। সেখানে শুল্ক দফতর কোনও পদক্ষেপ করলে বাধা দেওয়া হত তাদের। শুল্ক আধিকারিকদের রীতিমতো হুমকি দিতেন অনুব্রত এসবের প্রমাণ স্বরূপ সিবিআই সিডির কথা উল্লেখ করে। যদিও বাংলাদেশে যে গরু পাচার করা হত, তার কোনও নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ সিবিআইয়ের হাতে নেই বলেই দাবি করেন অনুব্রতর আইনজীবী। তবে সিবিআইয়ের দাবি, এনামূলের সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে অনুব্রতর।

    আরও পড়ুন : গরুপাচার মামলায় এবার সিবিআই- এর হাতে গ্রেফতার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর

    এদিকে, এদিন অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য আদালতে জমা দিয়েছে সিবিআই। অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের নামে প্রচুর সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলেও আদালাত জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের দাবি, এনামুলের সঙ্গে তৃণমূল নেতার যে টাকার লেনদেন হয়েছে, সে তথ্যও রয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি, অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন মধ্যস্থতার কাজ করতেন। অনুব্রতর হয়ে টাকা তুলতেন তিনিই। সিবিআইয়ের আইনজীবী কালীচরণ মিশ্র বলেন, এর প্রমাণ রয়েছে সিডিতেই। প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিনের মধ্যেই অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। অনুব্রত, তাঁর মেয়ে এবং প্রয়াত স্ত্রীর নামেও মিলেছে প্রচুর সম্পত্তির হদিশ।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share