Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Bangladesh Border: সক্রিয় পাচার চক্র! বিএসএফের গুলিতে পাচারকারীর মৃত্যু, উদ্ধার শতাধিক গরু-মোষ

    Bangladesh Border: সক্রিয় পাচার চক্র! বিএসএফের গুলিতে পাচারকারীর মৃত্যু, উদ্ধার শতাধিক গরু-মোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলায় জেলায় সক্রিয় গরু পাচার (Cattle Smuggling) চক্র! অব্যাহত গরু পাচার। নদিয়ায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে (Bangladesh Border) বিএসএফের (BSF) সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে এক বাংলাদেশি পাচারকারীর। সোমবার দুপুর পর্যন্ত জানা যায়নি মৃতের পরিচয়। এদিকে, পুরুলিয়া-বাঁকুড়ার সীমানায় পাচারের সময় আটক শতাধিক গরু ও মোষ। গ্রেফতার করা হয় গাড়ির চালক ও খালাসি সহ মোট ৫০ জনকে।

    এদিন নদিয়ায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের (Bangladesh Border) বিষ্ণুপুর এলাকায় টহল দিচ্ছিল বিএসএফ। টহলদার জওয়ানদের নজরে আসে রাতের অন্ধকারে বাংলাদেশে পাচার হচ্ছে গরু। বাধা দেন বিএসএফের জওয়ানরা। এর পরেই আক্রমণ করে পাচারকারীরা। পাল্টা গুলি চালায় বিএসএফও। মৃত্যু হয় এক বাংলাদেশি পাচারকারীর। অন্ধকারের সুযোগে গা ঢাকা দেয় বাকিরা। পাচারকারীদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।

    এদিকে, রবিবার দুপুরের পর ফের সন্ধে। আবারও উদ্ধার হল পাচার হতে যাওয়া গরু। এদিন দুপুরে আসানসোলের মাইথন থানার পুলিশ পাঁচটি গরু সহ একটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে। এদিনই রাতে গরু-মোষ উদ্ধার হয় পুরুলিয়ায়। পুরুলিয়ার হুড়ার কাছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে ২৭টি গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল গবাদি পশুগুলিকে। ঘটনাটি নজরে পড়ে যুব তৃণমূলের কয়েকজন সদস্যের। হাতেনাতে ধরা হয় পাচারকারীদের। সব মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয় ৫০ জনকে। উদ্ধার হয় শতাধিক গরু-মোষ। তার আগেই মৃত্যু হয়েছে ৮টি বাছুরের। পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, জেলায় কিছু কিছু বেআইনি কাজকর্ম চলছে। যুব তৃণমূলের ছেলেরা তৎপরতার সঙ্গে ২৭টি গরু ভর্তি গাড়ি ধরেছে। এসব কাজে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। তাই আমরা নিজেরাই তা ধরতে নেমেছি।

    আরও পড়ুন : গরু পাচারকাণ্ডে এবার বেসরকারি ব্যাংক কর্তাদের তলব সিবিআইয়ের! কী জানতে চাইল তারা?

    চলতি বছরেরই ২৩ অগাস্ট রাতে এই ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে একটি নামী দুধের কোম্পানির কন্টেনারে করে পাচার করা হচ্ছিল গরু। গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় ফাঁস হয়ে যায় পাচারচক্রের পর্দা। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তিনজনকে। পাচার রুখতে কড়া ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন। তার পরেও নিরাপত্তার ফোকর গলে যে পাচার চলছে, এদিনের ঘটনায় তার প্রমাণ মিলল ফের একবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mominpur Violence: সেদিনও ছিল ১০ অক্টোবর কোজাগরীর রাত, মোমিনপুরের ঘটনা উস্কে দিল নোয়াখালির স্মৃতি

    Mominpur Violence: সেদিনও ছিল ১০ অক্টোবর কোজাগরীর রাত, মোমিনপুরের ঘটনা উস্কে দিল নোয়াখালির স্মৃতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেদিনও ছিল কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর (Kojagori Lakshmi Puja) দিন। পূর্ণিমার চাঁদের আলো সুপারি গাছের উপর পড়ে সম্পূর্ণ পরিবেশটা আলো-আবছায়া করে তুলছিল। কোজাগরী জ্যোৎস্নার স্নিগ্ধতা, উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনির তাল কাটলো পাকিস্তানের উত্তাল দাবির স্লোগানে। ১০ অক্টোবর ১৯৪৬ নোয়াখালি দাঙ্গা (1946 Noakhali riots) ইতিহাসে স্থান পেয়েছে। গতকালও ছিল কোজাগরী পূর্ণিমা। নোয়াখালির ঘটনার ৭৬ বছর অতিক্রান্ত হল আজ। 

    এরমধ্যে দুই বাংলার বিভিন্ন ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার ঘটনা আমাদের নজরে এসেছে নানান সময়ে। ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার কারণেই ১৯৫০ সালের ৮ অক্টোবর পাকিস্তানের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন সেদেশের একমাত্র সংখ্যালঘু মন্ত্রী যোগেন মণ্ডল। শরণার্থী হিসেবে তাঁকে আশ্রয় নিতে হয় পশ্চিমবঙ্গে। ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার জন্যই পূর্ব পাকিস্তানের অসংখ্য সংখ্যালঘু হিন্দুকে বারবার শরণার্থী হয়ে আসতে হয়েছে এই ভারত ভূখণ্ডে। 

    ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ অবধি কিংবা তারপরেও খুব একটা বদলায়নি চিত্রটা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের (১৯৭১ সাল) সময় সেদেশের রাজাকার এবং পাকিস্তানি সৈন্যদের আক্রমণে তছনছ হয়েছে ঢাকার রমনা কালী মন্দির, যেটাকে বলা হতো ‘Largest Landmark of Dhaka’। ওই বছরেই ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে অজস্র শরণার্থী আসতে বাধ্য হন পশ্চিমবঙ্গে। বিগত বছরগুলোতে পশ্চিমবঙ্গের বেশকিছু ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার ঘটনা নিশ্চয়ই আমাদের অগোচরে যায়নি।

    আরও পড়ুন: গোষ্ঠী হিংসা রাজ্যে খুবই সাধারণ হয়ে উঠেছে! মোমিনপুর-কাণ্ডে মমতার সরকারকে দুষলেন অমিত মালব্য

    এক ঝলকে এরাজ্যে সাম্প্রতীককালে ঘটে যাওয়া কয়েকটি সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনাবলি—

    ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল করাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয় উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা। 

    ২০১৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং অঞ্চলের অন্তর্গত ঘুটিয়ারি শরিফের একজন ইমাম জয়নগরের জামতলায় ধার্মিক অনুষ্ঠান শেষ করে বন্ধুদের সঙ্গে মোটরসাইকেল করে আসছিলেন। রাত প্রায় ২টা নাগাদ নোলিয়াখলির পথে তাঁদের থামানো হয় ও টাকা লুণ্ঠন করে গুলি করে মারা হয়। পুলিশ রিপোর্ট অনুযায়ী, এক অজ্ঞাত বন্দুকধারী কয়েক লক্ষ টাকা লুঠ করে ইমামকে গুলি করে। এই ঘটনায় ক্যানিংয়ের সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট হয় এবং দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্মীয় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে।

    ২০১৫ সালের মে মাসে ধর্মীয় হিংসায় উত্তপ্ত হয় নদিয়া জেলার কালিয়াগঞ্জ। পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলির জামালপুরের বুড়োরাজ তলা শিব ভক্তদের তীর্থস্থান বলে গণ্য হয়। সেখান থেকে শিব ভক্তদের শোভাযাত্রা, জুরানপুরের মজসিদের সামনে পৌছাঁনোর সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং ধর্মীয় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে।

    আরও পড়ুন: মোমিনপুরের ঘটনায় শাহকে চিঠি শুভেন্দুর! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি বিরোধী নেতার

    ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে ব্যাপক উত্তপ্ত হয় মালদা জেলার কালিয়াচক। বর্তমানে প্রয়াত, তৎকালীন হিন্দু মহাসভার নেতা কমলেশ তেওয়ারির মন্তব্যের বিরোধিতা করে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে এক গোষ্ঠীর মানুষ। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই বিক্ষোভ ধর্মীয় হিংসার আকার নিয়ে নেয়‌।

    ২০১৬ এর ডিসেম্বরেই হাওড়া জেলার ধুলাগড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল ধর্মীয় হিংসা। একপক্ষের ধর্মীয় শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে।

    ২০১৭ এর জুলাই মাসে বসিরহাটের ধর্মীয় অশান্তি ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল। এক নাবালকের ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করেই এই অশান্তি শুরু হয়েছিল বলে জানা যায়।

    ২০১৮ সালে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলে রামনবমীর ঠিক পরেই ধর্মীয় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে।

    আরও পড়ুন: উত্তপ্ত মোমিনপুর! বাইক ভাঙচুর, দোকানে আগুন, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ বিজেপির

    ২০১৯ সালে ডিসেম্বরে নাগরিকত্ব আইন সংসদে পাশ হওয়ার পরে, পশ্চিমবঙ্গের মালদা মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, নদিয়া সমেত একাধিক জায়গায় অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে।

    ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসার কয়েকটি ঘটনা ধর্মীয় হিংসার রূপ নিয়েছিল।

    ২০২২ সালে বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার মন্তব্যকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গের কিছু জায়গায় ধর্মীয় অশান্তি ছড়িয়েছিল বলেই জানা যায়।

  • mominpur-ekbalpur-clash: মোমিনপুরের ঘটনায় শাহকে চিঠি শুভেন্দুর! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি বিরোধী নেতার

    mominpur-ekbalpur-clash: মোমিনপুরের ঘটনায় শাহকে চিঠি শুভেন্দুর! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি বিরোধী নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) জামানায় বাংলার মাটিতে কোনও মানুষই সুরক্ষিত নন। তার আরও একটা প্রমাণ মিলল রবিবার লক্ষ্মীপুজোর দিন দক্ষিণ কলকাতার মোমিনপুরের (mominpur) ঘটনায়। সাম্প্রদায়িক হিংসার (ekbalpur-clash) আগুনে ছারখার হল বহু দোকান। জ্বালিয়ে দেওয়া হল বাইক। যা শিউরে ওঠার মতোই ঘটনা। স্বাভাবিকভাবেই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। এই ঘটনার বিরুদ্ধে সরব বিজেপি নেতারা। সুকান্ত মজুমদার থেকে শুভেন্দু অধিকারি, দিলীপ ঘোষ সকলেই ট্যুইটারে তীব্র নিন্দা করেছেন। একই সঙ্গে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। অবিলম্বে মোমিনপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিও তুলেছেন তিনি।

    শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইট করে লেখেন, ‘ইকবালপুর থানা দখল হয়ে গিয়েছে। ভয়ে থানা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে মমতার পুলিশ। কলকাতার পুলিশ কমিশনার ও রাজ্যের মুখ্যসচিব কোনও কাজের না। তাই অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা দরকার। সেই আবেদনই আমরা করেছি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে।।’

    আরও পড়ুন: আরও বিপাকে অনুব্রত! ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ সিবিআই, কী রায় দেবে আদালত?

    সোমবার সকালে শুভেন্দু ফের ট্যুইট করেন। তিনি বলেন, আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর পাশাপাশি চিঠি লিখেছি রাজ্যপাল লা গণেশনকে। পুরো পরিস্থিতি তুলে ধরেছি। মোমিনপুরের ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে। ইকবালপুর থানায় লুটপাট ঠেকাতে ব্যর্থ পুলিশ। তারা কীভাবে সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দেবে। তাই কেন্দ্রীয়বাহিনী মোতায়েন করা ছাড়া কোনও উপায় নিয়ে। পরিস্থিতি হাতে বাইরে চলে যাওয়ার আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Saigal Hossain: সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় ইডি, আবেদন হাইকোর্টে

    Saigal Hossain: সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় ইডি, আবেদন হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) আসানসোলের সংশোধনাগারে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এবার সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় ইডি। কলকাতা হাইকোর্টে সে বিষয়ে আবেদনও করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। 

    প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ইডির অফিসাররা আসানসোল সংশোধনাগারে গিয়ে সায়গলের (Saigal Hossain) সঙ্গে দেখা করেন। সেখানেই দীর্ঘ চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ চলে। তদন্তে সহযোগীতা না করার অভিযোগে সংশোধনাগারেই সায়গলকে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা। ইডির সায়গলকে হেফাজতে নেওয়ার আর্জি মঞ্জুর হলেও, তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার আর্জি খারিজ করে দেয় আসানসোলের সিজেএম আদালত। তারপর আরও কয়েক দফায় এই একই আবেদন করলেও সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করে ইডি। তদন্তের স্বার্থে সায়গলকে ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লি নিয়ে যেতে চান ইডি আধিকারিকরা। 

    আরও পড়ুন: জেলের ভেতরেই অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার ইডির, চাপ বাড়ল কেষ্টর?

    ইডির দাবি, বিপুল সম্পত্তির নথি পাওয়া গেলেও, সম্পত্তির উৎস কী তা নিয়ে মুখ খুলছেন না সায়গল। তাই নয়াদিল্লি নিয়ে গেলে বাড়তি চাপ দেওয়া যাবে। শুক্রবার গরুপাচার মামলায় সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) জেরা করতে ইডির ছয়জনের দল আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে যায়। সকাল ১০ টা ১৫ নাগাদ তাঁরা সংশোধনাগারে পৌঁছন তাঁরা। ল্যাপটপ, ভিডিও ক্যামেরা-সহ তিনজন ভিতরে ঢোকেন। যেভাবে আদালতের কাছে অনুমতি নেওয়া হয়েছে ঠিক সেভাবেই ইডি আধিকারিকরা আসেন। ৩৫ টি প্রশ্নমালা সাজানো হয়েছিল সায়গলের জন্য। টানা চার ঘণ্টা চলে জেরা। তারপর সায়গলকে হেফাজতে নেন ইডি আধিকারিকরা। তাঁকে জেরা করতে দিল্লি থেকে উড়ে এসেছিলেন অফিসাররা। 

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, সায়গল হোসেনের (Saigal Hossain) বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। মাত্র কয়েক হাজার টাকা বেতন পান রাজ্য পুলিশের কন্সটেবল সায়গল। এই আয়ে তিনি কী করে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করলেন তা সায়গলের কাছে জানতে চান গোয়েন্দারা। গোয়েন্দাদের প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যাচ্ছিলেন সায়গল। বেশ কিছু ক্ষেত্রে তাঁদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। এছাড়াও গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, সায়গলের নামে ও বেনামে আরও সম্পত্তি উদ্ধার বাকি রয়েছে। এছাড়া গরুপাচারের টাকা কার কার কাছে পৌঁছত তাও সায়গলের থেকে জানতে চান তাঁরা। কিন্তু সঠিক উত্তর না পাওয়াতেই গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বাকি উপাচার্যরাও পদত্যাগ করুন! সোনালি চক্রবর্তীর অপসারণের ‘সুপ্রিম’ সিদ্ধান্তের পর বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: বাকি উপাচার্যরাও পদত্যাগ করুন! সোনালি চক্রবর্তীর অপসারণের ‘সুপ্রিম’ সিদ্ধান্তের পর বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (Calcutta University VC) পুনর্নিয়োগ মামলায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। কলকাতা হাইকোর্টের রায় মেনেই  কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে অপসারিত হবেন সোনালী চক্রবর্তী (Sonali Chakraborty)। এই রায়ের পরই রাজ্য সরকারকে এক হাত নিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বেআইনিভাবে নিয়োগ হওয়া রাজ্যের অন্যান্য উপাচার্যদের অবিলম্বে পদত্যাগের কথা বলেন। 

    ট্যুইটবার্তায় শুভেন্দু জানান, ‘সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অরসারণের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই বহাল রেখেছে। তাই, এই রাজ্যে বেআইনিভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত সমস্ত উপাচার্যদের অবিলম্বে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা জরুরি। এটা ওই উপাচার্যদের নৈতিক দায়িত্ব।’ তিনি তাঁর ট্যুইটে  ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি তালিকাও প্রকাশ করেছেন। তাঁর কথায়, যেভাবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে সেইভাবেই যেসব উপাচার্যদের নিয়োগ করা হয়েছে তাদের আদালতের কোপে পড়ার আগেই মর্যাদাপূর্ণ উপায়ে সরে আসার পথ বেছে নেওয়া উচিৎ।

    আরও পড়ুন: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নন সোনালি চক্রবর্তী! তাঁর অপসারণেই মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট

    গত বছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদে সোনালি চক্রবর্তীর পুনরায় নিয়োগের যে বিজ্ঞপ্তি রাজ্য সরকার জারি করেছিল সেপ্টেম্বর মাসে সেই বিজ্ঞপ্তি বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালতও সেই রায় বহাল রাখল। মঙ্গলবার আদালতের পর্যবেক্ষণ, রাজ্যপালের ক্ষমতার অপব্যবহার করে সোনালী চক্রবর্তীকে পুনর্নিয়োগ করেছিল রাজ্য সরকার। পদ্ধতিগত ত্রুটি হয়েছে। তাই কলকাতা হাইকোর্টের রায় একদম সঠিক ছিল। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও হিমা কোহলির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি  হয়। গত বছর তৎকালীন রাজ্যপাল ও আচার্য জগদীপ ধনকড় কোনওরকম বাছাই ছাড়াই সোনালি চক্রবর্তীর পুনর্নিয়োগকে স্বজনপোষণের অনন্য নজির বলে উল্লেখ করেছিলেন। রাজভবনের সিলমোহর ছাড়াই বেআইনি ভাবে ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন ধনকড়। এবার সেই উপাচার্যদেরই সময় থাকতে সসম্মানে সরে যাওয়ার কথা বললেন রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sonali Chakraborty: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নন সোনালি চক্রবর্তী! তাঁর অপসারণেই মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট

    Sonali Chakraborty: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নন সোনালি চক্রবর্তী! তাঁর অপসারণেই মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (Calcutta University VC) পদে সোনালি চক্রবর্তীর (Sonali Chakraborty) পুনর্নিয়োগ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।  কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদ থেকে তাঁর অপসারণেই মান্যতা দিল শীর্ষ আদালত। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারকে ভর্ৎসনা করে আদালত জানায়, রাজ্যপালের এক্তিয়ারে হাত দিতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। যা সংবিধান মান্যতা দেয় না। তাই এটা কখনওই করতে দেওয়া যায় না।

    আরও পড়ুন: মঙ্গলবার ভোর রাতে গ্রেফতার মানিক ভট্টাচার্য! টেট দুর্নীতির তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ ইডির

    উল্লেখ্য, গত ১৩ সেপ্টেম্বর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সোনালি চক্রবর্তীর পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন সোনালি চক্রবর্তী ও রাজ্য সরকার। রাজ্যের তরফে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। ওই মামলার শুনানির পর গত ১৬ সেপ্টেম্বর রায় দান স্থগিত রাখেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি হিমা কোহলি। চূড়ান্ত রায়ে তাঁরা বলেন, সরকার বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ‘ডিফিকাল্টি ক্লজ’-এর অপব্যবহার করতে পারে না। সরকারের এহেন পদক্ষেপ মেনে নেওয়া মানে আইনবিরুদ্ধ কাজ করা। তাই শীর্ষ আদালত সোনালি চক্রবর্তীর অপসারণকেই মান্যতা দিচ্ছে।

    আরও পড়ুন: উপাচার্য নিয়োগেও বেনিয়ম? শিক্ষার সর্বস্তরের লজ্জা প্রকট আদালতে!

    ২০১৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন অস্থায়ী উপাচার্য সুরঞ্জন দাস যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে যোগ দেন। ফলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে শূন্যস্থান তৈরি হয়। সেই শূন্যপদেই রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপিকা সোনালি চক্রবর্তীকে স্থায়ী উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করে রাজ্য। এরপর ২০২১ সালে তাঁকে ফের উপাচার্য পদে পুনর্নিয়োগ করে সরকার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সোনালি চক্রবর্তীর নিয়োগে আচার্য তথা রাজ্যপালের কোনও সই ছিল না। সেই থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। তৎকালীন রাজ্যপাল ও আচার্য জগদীপ ধনকড় কোনওরকম বাছাই ছাড়াই সোনালি চক্রবর্তীর পুনর্নিয়োগকে স্বজনপোষণের অনন্য নজির বলে উল্লেখ করেন। রাজভবনের সিলমোহর ছাড়াই বেআইনি ভাবে ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের অভিযোগ তুলে সরব হন ধনকড়।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • West Bengal: প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে ফের তিন জায়গায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, জলে ডুবে মৃত মোট ৪

    West Bengal: প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে ফের তিন জায়গায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, জলে ডুবে মৃত মোট ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল মায়ের বিদায়বেলায় জলপাইগুড়ির মালবাজারের ঘটনার পাশাপাশি আরও দুই জায়গায় ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। জলাপাইগুড়ি ছাড়া মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমেও ঘটেছে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে মুর্শিদাবাদের সাটুইয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে মোট দুই জনের। অন্য ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জের ধুলিয়ানে। সেখানে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আবার বীরভূমেও জলের তলায় তলিয়ে যান ৮০ বছরের এক যুবক।

    মুর্শিদাবাদে কী ঘটেছিল?

    প্রথম ঘটনাটি ঘটেছিল মুর্শিদাবাদের সাটুইয়ে। সেখানেও মা দুর্গার প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয় দুই জনের। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদেরই সামসেরগঞ্জের ধুলিয়ানে। ওই এলাকার কাঞ্চনতলা গঙ্গাঘাটে এই ঘটনাটি ঘটেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেখানেও প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে নৌকা করে যাচ্ছিলেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে এক ব্যক্তি নৌকা থেকে পরে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম অমিত সিংহ, বাড়ি ধুলিয়ান পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের রায়গঞ্জে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ।

    আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে দুর্গা বিসর্জনে গিয়ে হড়পা বানে মৃত অন্তত ৮, ঠিক কী ঘটেছিল?

    বীরভূমের দুর্ঘটনা

    প্রতিমা নিরঞ্জনের মধ্যেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল বীরভূমের ভীমগড়েও। সূত্রের খবর অনুযায়ী,  ইসগড়া গ্ৰাম থেকে বুধবার লোবা কালি মন্দিরে ১২ জন যুবক পুজো দিতে যান। তাঁরা দাবি করেছেন, পুজো দেওয়ার পর তাঁরা অজয় নদে স্নান করতে নামেন। আর সেকানে স্নান করতে গিয়েই জলে তলিয়ে যান ওই ব্যক্তি। ৪০ বছর বয়সী ওই মৃতের নাম কালিচরণ দত্ত। স্থানীয় সূত্রে খবর, করতে পারেনি। কালিচরণ জলেই তলিয়ে যান। পরে দুবরাজপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছান ও মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিউড়ি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।

    প্রায় প্রতি বছরই দশমীর দিন অনেক রাজ্যেই এমন দুর্ঘটনা দেখা যায়। প্রতিমা বিসর্জন করতে অনেকেই জলে ডুবে প্রাণ হারান। ফলে এবারও এমনই ঘটনা দেখা গেল পুরো রাজ্য জুড়ে। তবে এবারের মালবাজারের ঘটনার ফলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

  • Tapan Dutta Murder: তপন দত্ত হত্যা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখল হাইকোর্ট

    Tapan Dutta Murder: তপন দত্ত হত্যা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতে বড় ধাক্কা খেল তৃণমূল সরকার। পরিবেশ কর্মী তপন দত্ত হত্যা মামলায় (Tapan Dutta Murder Case) সিবিআই তদন্তের (CBI Probe) নির্দেশ বহাল। সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখল কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলা নিম্ন আদালত, কলকাতা হাই কোর্ট এমনকি, সুপ্রিম কোর্টেও উঠেছে। কিন্তু এখনও সুবিচার পাননি নিহত তপনের স্ত্রী প্রতিমা দত্ত। গত ৯ জুন তপন দত্ত খুনের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য সরকার এবং অন্যতম অভিযুক্ত ষষ্ঠী গায়েন। কিন্তু সেই আবেদন শুক্রবার খারিজ করে দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।  

    আরও পড়ুন: পিএফআইকে সাড়ে ৫ কোটি টাকা জরিমানার নির্দেশ কেরল হাইকোর্টের

    ২০১১ সালের ৬ মে গুলিতে প্রাণ হারান। এই ঘটনায় তৃণমূলের ১৩ জন স্থানীয় তৃণমূল নেতার নাম জড়ায়। তারপর থেকেই অস্বস্তিতে তৃণমূল সরকার। এক দশক কেটে গেলেও এই ঘটনায় কোনও সুবিচার হয়নি। অভিযুক্তরা আজও শাস্তি পায়নি। এতদিন এই তদন্তের ভার ছিল সিআইডির ওপর। রাজ্য সরকারের এই গোয়েন্দা সংস্থা তদন্তের পর জানায়, জলাজমি ভরাটের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন বলেই তপনবাবুকে খুন হতে হয়েছে। ২০১১ সালের ৩০ অগাস্ট সিআইডি মামলার চার্জশিট পেশ করে। চার্জশিটে হাওড়ার একাধিক তৃণমূল নেতার নাম ছিল।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের টাকা নয়ছয়, শুভেন্দুর চিঠি নির্মলাকে, আরটিআই পত্রবোমা রাজ্যকেও

    শুরুতে তপন দত্ত খুনের মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৎকালীন তৃণমূলের জেলা সভাপতি  অরূপ রায় সহ ১৩ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। কিন্তু পরে ওই মামলার চার্জশিট থেকে ৮ জনের নাম বাদ দিয়েছিল সিআইডি। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন তপন দত্তের স্ত্রী প্রতিমা দত্ত।  

    সিঙ্গল বেঞ্চে এই মামলা চলাকালীন বিচারপতি প্রশ্ন তুলেছিলেন, সিআইডি তদন্তে কেন আটজনের নাম বাদ দেওয়া হল? মামলাকারীর সিআইডি তদন্তের প্রতি অনাস্থা অনেকাংশেই যুক্তিসঙ্গত মনে হয়েছিল আদালতের। তাই  সিঙ্গল বেঞ্চের তরফে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।  

    এরপর ওই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ষষ্ঠী গায়েন ও রাজ্য সরকার সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়। তবে তাতেও বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। সিবিআই  তদন্তের নির্দেশই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

     

  • DA Case: কেন্দ্রের ডিএ বৃদ্ধিতে ফের পিছলো রাজ্য, ব্যবধান বেড়ে দাঁড়াল ৩৫%

    DA Case: কেন্দ্রের ডিএ বৃদ্ধিতে ফের পিছলো রাজ্য, ব্যবধান বেড়ে দাঁড়াল ৩৫%

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মরশুমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর এনে দিয়েছে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ ৩৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হল ৩৮ শতাংশ। অর্থাৎ একদিকে যেমন ৪ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার, অন্যদিকে তেমনি রাজ্য সরকার ডিএ-এর (DA Case) দৌঁড়ে অনেকটা পিছিয়ে গেল। এর ফলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেতনের ব্যবধান আরও বাড়ল। ডিএ-ব্যবধান বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৫ শতাংশ।

    এর আগেই ডিএ (DA Case) মামলায় রাজ্যের আর্জি খারিজ হয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ফলে অস্বস্তিতে রয়েছে রাজ্য সরকার। সেদিন বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছিল, মহার্ঘ ভাতা (DA Case) সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য। এটা সরকারের তরফে দেওয়া কোনও অনুদান নয়। তাই বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তাতেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি রাজ্য সরকার।  

    আরও পড়ুন: প্রাক-পুজো উপহার! কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ৪ শতাংশ ডিএ বাড়াল মোদির মন্ত্রিসভা

    এবারে কেন্দ্রের তরফে নতুন ডিএ ঘোষণার পরে রাজ্যের বিভিন্ন কর্মচারী সংগঠনগুলোও আইনি লড়াইয়ের সঙ্গে সঙ্গে পথে নেমে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কর্মী সংগঠনগুলি জানিয়েছে, সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় কেন্দ্র ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে নতুন হারে ডিএ দিতে শুরু করে। তার পরে জুলাই ও জানুয়ারি, বছরে দু’বার রীতি মেনে ডিএ বাড়াতে থাকে তারা। বুধবার কেন্দ্র যে-ডিএ ঘোষণা করেছে, তা কার্যকর হবে গত জুলাই থেকে। ফলে এখন কেন্দ্রীয় কর্মীদের ডিএ-র পরিমাণ বেড়ে হচ্ছে ৩৮%। বাংলায় ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় ২০২১-এর ১ জানুয়ারি মাত্র ৩% ডিএ চালু হওয়ায় বাস্তবে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সেই ব্যবধান বেড়ে দাঁড়াল ৩৫ শতাংশে।   

    কর্মী সংগঠন থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, কয়েক বছর ধরে সর্বনিম্নের বেতনে চাকরি করা কর্মচারীদের অনেক টাকার লোকসানও হচ্ছে। যারা গ্রুপ ডি-তে কাজ করেন তাঁদের প্রায় ৭০০০ টাকাকর মত লোকসান হচ্ছে ও যাঁরা গ্রুপ সি-তে চাকরি করেন তাঁদের প্রায় ১০০০০ টাকা লোকসান হচ্ছে।

    মামলাকারী কর্মী সংগঠন কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেছেন, আদালত ডিএ (DA Case) মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেও রাজ্য সরকার এই বিষয়কে এড়িয়ে চলেছে। তবে তাঁরা এই রাজ্য সরকারের থেকে ডিএ আদায় করেই ছাড়বে ও দরকার পড়লে আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি রাস্তায় আন্দোলনো বসবেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল অভিযোগ করেছেন, “রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা চরম আর্থিক বঞ্চনার শিকার। প্রতারণা করছে তৃণমূল সরকার। পুজোর ছুটির পরে ফের রাস্তায় নামব আমরা।’’ তবে এই নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেখাননি রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের সর্বশেষ রায়ের পরে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ নেবে সেটার অপেক্ষায় রাজ্যের সরকারি কর্মচারী।  

  • Durga Puja Weather: ষষ্ঠী থেকে দশমী— বৃষ্টিতে ভাসবে কলকাতা? কী বলছে আবহাওয়া দফতর?

    Durga Puja Weather: ষষ্ঠী থেকে দশমী— বৃষ্টিতে ভাসবে কলকাতা? কী বলছে আবহাওয়া দফতর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ষষ্ঠী (Durga Shasthi) থেকে দশমী (Vijaya Dashami) কলকাতা (Kolkata) সহ দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) বৃষ্টির সম্ভাবনা। কোথাও মাঝারি, কোথাও ভারী বৃষ্টি হতে পারে, এমনই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Alipore MeT Department)। পূর্বাভাস, ১ অক্টোবর, ষষ্ঠীর দিনই বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। সপ্তমীর মধ্যে তা শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে সপ্তমী, অর্থাৎ ২ অক্টোবর থেকে কলকাতা ও উপকূলের জেলাগুলিতে বৃষ্টি বাড়বে। যার জেরে পুজোয় (Durga Puja 2022) বৃষ্টিতে ভাসতে পারে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। দশমী পর্যন্ত বৃষ্টি থামার সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

    চলতি সপ্তাহের শুরুর দিনগুলোতেও বজ্র-বিদ্যুত্‍ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। সপ্তমী, অষ্টমীতে কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, সপ্তমীর দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। অষ্টমীর দিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায়।  নবমী ও দশমীও হালকা থেকে মাঝারি বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলায়। সেই কারণেই এবার দক্ষিণবঙ্গ পুজোয় ভাসতে পারে বৃষ্টিতে।

    আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোতে চারদিনই বৃষ্টি! কোন কোন দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা?

    আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে আরও খবর, উত্তরবঙ্গের (North Bengal) কিছু জেলাতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। এই মুহূর্তে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হলেও সপ্তমী থেকে এর পরিমাণ বাড়বে। তা চলবে অষ্টমী ও নবমী পর্যন্ত। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পুজোর আগে যাঁরা পাহাড়ে বেড়াতে গিয়েছেন, বা পুজোর মধ্যে পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান করেছেন, তাঁদের পরিকল্পনাতেও বাধ সাধতে পারে বৃষ্টি। 

    এমনিতে এবার মহালয়া থেকেই কলকাতার একাধিক মণ্ডপে মানুষের ঢল নেমেছে। তার ওপর বৃষ্টির ভ্রুকুটি থাকায় চতুর্থীতেই রাস্তায় মানুষের ঢল। ভিড় দেখে যেন মনে হচ্ছিল দেবী দুর্গার বোধন হয়ে গিয়েছে। যেন ষষ্ঠী এসে গিয়েছে। সকাল থেকেই প্রচুর মানুষ রাস্তায় নেমে পড়েছে। পঞ্চমীর সকালেও ঠাকুর দেখার উৎসাহ চোখে পড়ার মতো।

    আরও পড়ুন: পুজোর আগে কাটছে না ‘ডেঙ্গি বিপদ’, তবে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share