Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Primary TET Scam: মানিকের অপসারণ বহাল, এখনই চাকরি পাবেন না ২৬৯ জন, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Primary TET Scam: মানিকের অপসারণ বহাল, এখনই চাকরি পাবেন না ২৬৯ জন, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্ষেপে টেট কেলেঙ্কারির (TET Scam) তদন্ত করবে সিবিআই (CBI)। আগেই এই রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) সিঙ্গল বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায় বহাল রাখল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও। শুধু তাই নয়, যে ২৬৯ জনের চাকরি খোয়া গিয়েছিল, তাঁদেরও এখনই পুনর্বহাল করা যাবে না বলেও রায় দিয়েছে ওই বেঞ্চ। শুক্রবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench) এই মামলায় বহাল রাখল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের (Single Bench) রায়ই। পর্ষদ সভাপতির পদ থেকে মানিক ভট্টাচার্যকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশও সমর্থন করেছে ডিভিশন বেঞ্চ।
    প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেতে গেলে বসতে হয় টেট পরীক্ষায়। ২০১৪ সালে জারি হয়েছিল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি। পরের বছর ১১ অক্টোবর ওই পরীক্ষা হয়। ফল প্রকাশ হয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। প্রকাশিত হয় মেধাতালিকা। পরের বছর ডিসেম্বরে ফের বের হয় মেধাতালিকা। পরীক্ষায় বসেছিলেন ২৩ লক্ষ কর্মপ্রার্থী। নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন ৪২ হাজার। এই দ্বিতীয় তালিকা বেআইনি বলে আদালতে জানিয়েছিলেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং সুদীপ্ত দাশগুপ্ত। পরে ২৬৯ জনের চাকরি বাতিল করে হাইকোর্ট। 
    ওই নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছিল বলে সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়েছিল। যে ২৭৩ জনকে অতিরিক্ত এক নম্বর দেওয়া হয়েছিল, তার কারণ কী জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি। সেই সংক্রান্ত নথিও চেয়ে পাঠানো হয়। যদিও কর্তৃপক্ষ তা দিতে ব্যর্থ হয়। ওই ২৭৩ জনকে কেন অতিরিক্ত এক নম্বর দেওয়া হয়েছিল, তার কারণও দর্শাতে পারেনি বোর্ড। আদালতে হাজির করতে পারেনি ওএমআর শিটও। তার পরেই মানিককে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। এদিন ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সিঙ্গল বেঞ্চের রায় যথাযথ। বেআইনি নিয়োগের তদন্তের ভার যে সিবিআইকে দেওয়া হয়েছিল, এদিন তাও বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতে মানিক জানিয়েছিলেন অযথা তাঁর নাম নেওয়া হচ্ছে, কলঙ্ক লেপন করা হচ্ছে যা সংবিধানের ২১ নম্বর ধারার পরিপন্থী।

    আরও পড়ুন : টেট মামলায় আদালতে হাজিরা কেষ্ট কন্যার, উঠল ‘গরু চোর’ স্লোগান

    ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, পুরো পরিস্থিতি বিচার করেই রায় দিয়েছে সিঙ্গল বেঞ্চ। বিচার করলেই হবে না, রায়টাকে কার্যকরও করতে হবে। এদিনও ২৭৩ জন চাকরি প্রার্থীকে কেন অতিরিক্ত এক নম্বর দেওয়া হয়েছে, তারও ব্যাখ্যা দিতে পারেনি বোর্ড। আদালত জানায়, এ রকম একজন ব্যক্তি (মানিক ভট্টাচার্য) অতিরিক্ত কোনও সুবিধা দাবি করতে পারেন না। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই ২৭৩ জনকে চাকরিতে পুনর্বহালও করা যাবে না। আদালতের নির্দেশ, কেলেঙ্কারির তদন্ত করবে সিবিআই। এই সংস্থাই তদন্ত করবে আর্থিক কেলেঙ্কারিরও। আদালতের নজরদারিতেই হবে তদন্ত। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে হস্তক্ষেপ করা হবে না। যে ২৭৩ জনকে অতিরিক্ত এক নম্বর দেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যে ২৬৯ জনের কোনও দাবিই মান্যতা পাবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Durga Puja UNESCO: প্রকল্প ছিল কেন্দ্রের, রূপ দিয়েছিলেন তপতী গুহ-ঠাকুরতা, দুর্গাপুজোর ইউনেস্কো স্বীকৃতির নেপথ্যে এঁরাই?

    Durga Puja UNESCO: প্রকল্প ছিল কেন্দ্রের, রূপ দিয়েছিলেন তপতী গুহ-ঠাকুরতা, দুর্গাপুজোর ইউনেস্কো স্বীকৃতির নেপথ্যে এঁরাই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্টেটাস (Bengal Durga Puja UNESCO Heritage status) পাওয়ার কৃতিত্ব দাবি করে সাম্প্রতিককালে উচ্চনাদে নিজেদের ঢাক পিটিয়েই চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এমনকী, এর জন্য খরচ করা হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ঘটা করে আয়োজন করা হয়েছে শোভাযাত্রার। 

    কিন্তু, রাজ্য প্রশাসন যতই এই বিষয়ে কৃতিত্ব দাবি করুক না কেন, আদতে এই কৃতিত্ব কতটা এরাজ্যের, আদৌ কোনও কৃতিত্ব রয়েছে কিনা তা নিয়ে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে। আর ঠিক এই প্রশ্নটাই তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির (Bengal BJP) পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য (Amit Malviya)। এদিন ট্যুইটারে তিনি লেখেন, ‘‘দুর্গাপুজোর (Durga Puja) জন্য ইউনেস্কোর ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ ট্যাগের (UNESCO Intangible Cultural Heritage tag) কৃতিত্ব নিতে শোভাযাত্রার আয়োজন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সত্যিটা হল, এই স্বীকৃতির নেপথ্যে তাঁর কোনও ভূমিকা নেই। কারণ, স্বীকৃতি মিলেছে মোদি সরকারের অধিনস্থ সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমির প্রতিষ্ঠানের প্রচেষ্টায়।’’

    আরও পড়ুন: কেন দুর্গোৎসব কমিটিগুলোকে দেওয়া হচ্ছে অনুদান? রাজ্যের ব্যাখ্যা তলব হাইকোর্টের

    কেন অমিত মালব্য এই কথা বলছেন? সম্প্রতি, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (West Bengal Government) একটি পুরনো চিঠি প্রকাশ্যে এসেছে। সেই ২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারির তারিখের ওই চিঠিটি রয়েছে রাজ্যের তৎকালীন প্রধান সচিব অত্রি ভট্টাচার্যের প্যাডে। কী আছে তাতে? ওই চিঠিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমির (Sangeet Natak Akademi) মাধ্যমে অধ্যাপক তপতী গুহ-ঠাকুরতা (Tapati Guha Thakurta) এবং কলকাতাস্থিত সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সেসের (Centre for Studies in Social Sciences) অধিনস্থ বিভাগ যদুনাথ ভবন মিউজিয়াম ও রিসোর্স সেন্টারকে প্রদান করেছে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক। 

     

    কে এই তপতী গুহ-ঠাকুরতা? এক দশকের বেশি সময় ধরে দুর্গাপুজো নিয়ে কাজ করছেন কলকাতার সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশাল সায়েন্সেস অধিকর্তা তপতী গুহ-ঠাকুরতা। দুর্গাপুজো যাতে ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্বীকৃতি পায়, সেজন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, যাতে দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা দেওয়া হয়, সেজন্য কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে খসড়া ডসিয়ার তৈরি করেছিলেন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে কাজ শুরু করেছিলেন। ২০১৯ সালের মার্চে সেই ডসিয়ার জমা দিয়েছিলেন। তাতে দুর্গাপুজোর সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন পক্ষের মন্তব্য তুলে ধরেছিলেন।

    আরও পড়ুন: বকেয়া ডিএ না মিটিয়ে পুজোয় অনুদান! দুর্নীতিকে আড়াল নাকি নজরে পঞ্চায়েত?

    এখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোনও ভূমিকা আদৌ ছিল কি? জানা গিয়েছে, গবেষণার জন্য এই উৎসব সংক্রান্ত বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার বা সত্ত্বাধিকারীদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। সেই তালিকায় যেমন ছিলেন মৃৎশিল্পী ও বিভিন্ন কুশীলবরা, তেমনই রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গেও শলা-পরামর্শ করা হয়েছিল। ব্যাস, ওইটুকুই। বাকিটা ইতিহাস। ইউনেস্কোর স্বীকৃতি মিলতেই, নিজেদের ভুয়ো কৃতিত্ব দাবি করতে ময়দানে নেমে পড়ে মমতা প্রশাসন। কোটি কোটি টাকা অপচয়ে শোভাযাত্রার আয়োজনও করা হয়। অথচ, কার্যত আড়াল করেই রেখে দেওয়া হল এই কৃতিত্বের আসল রূপকারদের।

  • High Court on TET Exam: ভুল প্রশ্নের জের! ২৩ টেট পরীক্ষার্থীকে দ্রুত চাকরি দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

    High Court on TET Exam: ভুল প্রশ্নের জের! ২৩ টেট পরীক্ষার্থীকে দ্রুত চাকরি দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক দিবসে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ফের রায় কলকাতা হাইকোর্টের। ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় (2014 TET Case) প্রশ্নপত্রে ভুল ছিল। ছয়টি ভুল প্রশ্নের কারণে টেট-এ পাস মার্ক না পাওয়ার অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ২৩ টেট পরীক্ষার্থী। ওই ২৩ পরীক্ষার্থীকে আগামী  ২৩ দিনের মধ্যে শিক্ষক পদে নিয়োগের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijeet Ganguly)।

    আরও পড়ুন: এসএসসি দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রসন্নর চার দিনের সিবিআই হেফাজত
     
    প্রসঙ্গত, আগেই এই মামলায় বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশে ভুল প্রশ্ন থাকায় বাড়তি ৬ নম্বর দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু বাড়তি নম্বর পেয়েও অনেকেই চাকরি পাননি বলে অভিযোগ। টেট-এর প্রশ্নপত্রের ভুল নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলায় বিশ্বভারতীর বিশেষ কমিটি জানায়, ছটি প্রশ্নই ভুল। কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পরই ২০১৮ সালের শেষের দিকে এই কেসে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় অতিরিক্ত ছয় নম্বর করে দেওয়া হবে বলে জানান। কিন্তু মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, অতিরিক্ত ৬ নম্বর পাওয়ার পরেও চাকরি মেলেনি। 

    আরও পড়ুন: চারদিনের সফরে ভারতে শেখ হাসিনা, মোদির সঙ্গে বৈঠকে নজরে জলবণ্টন

    মামলাকারীদের কথায়, যোগ্যতামান ভিন্ন থাকায় ২০২০ সালে চাকরি পাননি তাঁরা। আগেরদিনের শুনানিতে পর্ষদের কাছে এই বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন শুনানি শেষে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, আদলতের নির্দেশের পর ৬ নম্বর দেওয়া হয়েছিল, সেই নম্বর দেওয়াতে যাঁরা পাশ করেছেন এমন ২৩ জনকে চাকরি দিতে হবে। ভবিষ্যতে শূন্যপদ তৈরি হলেই তাঁদের চাকরি দেওয়ার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দেন বিচারপতি। তিনি আরও বলেন, এই ২৩ জন ছয় বছর ধরে বঞ্চিত। আর সময় দেওয়া যাবে না। ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব এই প্রক্রিয়া শেষ করার কথাও বলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu on Mamata: মমতার ‘গদ্দার’ কটাক্ষের জবাব দিলেন শুভেন্দু, কী বললেন জানেন?

    Suvendu on Mamata: মমতার ‘গদ্দার’ কটাক্ষের জবাব দিলেন শুভেন্দু, কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) মতো মানুষদের কড়া শাস্তি হওয়া উচিত। বুধবার এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) প্রেরণায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৮০০ থেকে ১০০০ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এভাবে তিনি বেকার যুবক যুবতীদের স্বপ্নভঙ্গ করে দিয়েছেন। এর পরেই শুভেন্দু বলেন, এই সব মানুষের কড়া শাস্তি হওয়া উচিত। তিনি বলেন, বিশেষ আদালত বসিয়ে বিচার করতে হবে।

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায়ই ৮০০ থেকে ১০০০ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং এভাবে বেকার যুবক যুবতীদের স্বপ্ন  ভেঙে চুরমার করে দিয়েছেন। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে গদ্দার বলে অভিহিত করেছিলেন। এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু বলেন, গদ্দার বলার আগে ওঁর এ ব্যাপারে ভাবা উচিত ছিল। কে গদ্দার, সবাই জানে। তিনি বলেন, নন্দীগ্রাম বিধানসভা নির্বাচনের ফলই বলে দেবে কে গদ্দার, আর কে নয়। মানুষ এর উত্তর ওঁকে দিয়েছেন। তাই আমি আর এর বেশি কিছু বলতে চাই না।

    এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে প্রায় পঞ্চাশ কোটি টাকা। হদিশ মিলেছে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তিরও। বুধবার স্পেশাল কোর্টে তোলা হলে পার্থ ও অর্পিতার বিচার বিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানো হয়। গত মাসেই পার্থ ও অর্পিতাকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পার্থ গ্রেফতার হতেই তাঁকে ছেঁটে ফেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থ খোয়ান মন্ত্রিত্ব। কেড়ে নেওয়া হয় তাঁর তৃণমূলের সদস্য পদও।

    আরও পড়ুন : অনুব্রত একজন মাফিয়া, মমতার প্রশ্রয়ে ওর বাড়বাড়ন্ত, বললেন শুভেন্দু

    এর কয়েক সপ্তাহ পরেই গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই গ্রেফতার করে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। এর পরেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। তাদের অভিযোগ, বিরোধীদের দমন করতে কেন্দ্র ব্যবহার করছে কেন্দ্রীয় বিভিন্ন সংস্থাকে। সাহস থাকলে তাঁকে গ্রেফতার করা হোক বলেও বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Partha Chatterjee: ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত পার্থ-অর্পিতার! আদালতে কী বললেন প্রাক্তন মন্ত্রীর আইনজীবী?

    Partha Chatterjee: ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত পার্থ-অর্পিতার! আদালতে কী বললেন প্রাক্তন মন্ত্রীর আইনজীবী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ মামলায় ফের জেল হেফাজত পার্থ-অর্পিতার। বুধবার যে কোনও মূল্যে জামিন চেয়েছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। শারীরীক অসুস্থতার কথা বলেছিলেন বারবার। কিন্তু আদালত তাতে আমল দিতে নারাজ। এদিন ফের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তাঁকে ফের ১৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এদিন কোর্টে এসে নয়, জেল থেকে ভার্চুয়ালিই শুনানি হয় পার্থ-অর্পিতার। আদালত এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেয় জেলে তাঁদের কোনও মৌলিক অধিকার খর্ব হয়নি। যে কোনও শর্তে জামিনের আবেদন পার্থর, খারিজ আদালতের।

    এদিন আদালতে ভার্চুয়াল হাজিরার বিরোধিতা করে পার্থর আইনজীবী জানান, ‘আমার মক্কেলের শারীরিকভাবে হাজিরা দেওয়ার মৌলিক অধিকার রয়েছে।’ তবে, ভার্চুয়ালিই শুনানি হবে পার্থ-অর্পিতার, বলে জানিয়ে দেয় আদালত। তারপর যে কোনও শর্তে জামিন চান পার্থ। তাঁর আইনজীবী জানান,  ‘প্রয়োজনে একা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বাড়িতে রাখুন পুলিশি নজরদারিতে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অপা ইউটিলিটি সার্ভিসেসের অংশীদার ছিলেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এসএসসি বোর্ডের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন না। তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। বিভিন্ন রকম শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে তাঁর। চিকিৎসারও প্রয়োজন রয়েছে।’ 

    আরও পড়ুন: গরুপাচার মামলায় এবার সিবিআই- এর হাতে গ্রেফতার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর

    অন্যদিকে ইডির আইনজীবী জানান, পার্থর নতুন আরও ৩০টি অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছে ইডি। মোট ১০০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। সেই সব অ্যাকাউন্টের লেনদেন খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তাই পার্থকে জেল হেফাজতে রেখে সওয়াল করতে চায় ইডি। 

    অন্যদিকে, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) মিডলম্যান প্রসন্ন রায়ের আরও সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। বুধবার সকালে নিউটাউনের মহিষবাথান লোহারপুলের কাছে ‘মারলিন’ অভিজাত আবাসনের এক ফ্ল্যাট হানা দেয় সিবিআই (CBI)। প্রায় তিন ঘণ্টা চলে তল্লাশি। কার নামে কার থেকে কেনা হয়েছে ফ্ল্যাট, প্রসন্নর নামে কেনা হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। এদিন সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ আবাসনের গেটে পৌঁছে যায় সিবিআই আধিকারিকরা। ফ্ল্যাটের নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে বেশকিছুক্ষণ কথা বলেন। সঙ্গে ছিলেন সিআরপিএফ আধিকারিকরা। যাতে তল্লাশি চালানোর সময় সিবিআইকে বাধার মুখে না পড়তে হয়। এদিকে ফ্ল্যাটের চাবির জন্য প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করেন তদন্তকারীরা। পরে মাস্টার কি দিয়ে ফ্ল্যাটের দরজা খুলে ভিতরে ঢোকেন তাঁরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
  • Kolkata Schoolgirls Scare: স্কুলের বাইরে একা দেখলেই ছোট্ট মেয়েদের মডেল হওয়ার প্রলোভন! কে এই বোরখা পরিহিত মহিলা?

    Kolkata Schoolgirls Scare: স্কুলের বাইরে একা দেখলেই ছোট্ট মেয়েদের মডেল হওয়ার প্রলোভন! কে এই বোরখা পরিহিত মহিলা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনার মেয়ে কি একা স্কুলে যায়? স্কুলের বাইরে গাড়ির জন্য একা দাঁড়িয়ে থাকে আপনার শিশুকন্যা? তাহলে সতর্ক হোন। কলকাতার বুকে নতুন একদল বোরখা পরিহিতার খোঁজ মিলল। যারা স্কুলের সামনে ছাত্রীদের একা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলেই মডেল হওয়ার প্রলোভন দেখাচ্ছে। 

    দক্ষিণ কলকাতার পার্ক সার্কাস এলাকায় অবস্থিত মেয়েদের একটি নামী বেসরকারি স্কুলের সামনে শুক্রবার এই ধরনের ঘটনা ঘটে। ওই স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীর মা জানান, তাঁর দুই মেয়ে ওই স্কুলে পড়েন। বড় মেয়ে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। দুই মেয়ে একসঙ্গে গাড়িতে করে বাড়ি ফেরে। দুজনের ছুটির সময় একটু আলাদা। ছোট মেয়ের আগে ছুটি হয়। বড় মেয়ের পরে। বড় মেয়ের জন্য ছোট মেয়ে একাই স্কুলের সামনে একটু অপেক্ষা করতে হয়। তবে স্কুল চত্বরে তখন লোক থাকে তাই তাঁরা এতদিন কিছু ভাবেননি।

    তবে, শুক্রবার তাঁর ছোট মেয়ে বাড়ি গিয়ে জানায়, সে যখন একা স্কুলের বাইরে দাঁড়িয়েছিল তখন এক বোরখা পরা দিদি এসে জিজ্ঞেস করে সে কী হতে চায়? মডেল হতে চায় কিনা জানতে চায়। তার দিদি চলে এলে মেয়েটি তাকেও জিজ্ঞাসা করে সে কী হতে চায়? ওরা দুই বোন আগ্রহ না দেখানোয় সে চলে যায়। এই কথা শুনে চমকে ওঠে ওই ছাত্রীর মা। স্কুলের অন্য ছাত্রীদের অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরেই এরকম একজন নয়, তিন-চারজন মহিলা ঘুরে বেড়াচ্ছে স্কুলের সামনে। বড় নয়, বিশেষ করে ছোট ছোট বাচ্চাদের, বিশেষ করে পাঁচ থেকে আট বছরের শিশুকন্যাদের টার্গেট করেছে তারা।  কোনও ছাত্রীকে একা পেলেই চলছে কথোপকথন। প্রলোভন দেখানোর পালা। যদি কেউ ফাঁদে পা দেয়!

    আরও পড়ুন: বিজেপি নেত্রী সোনালি ফোগাট খুনে নয়া মোড়, এ কী বললেন তাঁর সহকারী?

    এরপরই ওই অভিভাবিকা চিঠি দিয়ে গোটা ঘটনা স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানান। ই-মেল পাঠানো হয় স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছে। স্কুলের সামনে নিরাপত্তা জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়। ছাত্রীদের সুরক্ষার কথা ভেবে তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ নেয় স্কুল। প্রিন্সিপাল জানান, বিষয়টি পুলিশকে জানোনো হয়েছে। অভিভাবকদেরও সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। সব অভিভাবকদের মধ্যে বিষয়টি ছড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এই ঘটনার পরে আতঙ্কিত অভিভাবকেরা। বহু শিশুই একা স্কুল থেকে আসা-যাওয়া করে। এই পরিস্থিতে যে কোনও কিছু হতে পারে। প্রশ্ন উঠছে এই চক্র নিয়েও। এটা কী তাহলে কোনও নতুন প্রতারণা চক্র? যারা শিশুদের অপহরণ করে পাচার করার কথা ভাবছে? মডেল হওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে চলছে পাচার-চক্র? 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Anubrata Mondal: গরুপাচার মামলায় এবার সিবিআই- এর হাতে গ্রেফতার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর

    Anubrata Mondal: গরুপাচার মামলায় এবার সিবিআই- এর হাতে গ্রেফতার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় আরও এক কেষ্ট-ঘনিষ্ঠকে গ্রেফতার করল সিবিআই। এদিন সকালে বোলপুরের তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে প্রায় দু ঘণ্টা তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। এই বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে মনু অনুব্রতর ছায়াসঙ্গী হিসেবে পরিচিত। আয়-ব্যয় সংক্রান্ত নথি যাচাই করে, দু ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর আটক করা হয় তাঁকে। আয়-ব্যয় সংক্রান্ত নথি যাচাইয়ের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় কনসালট্যান্টের অফিসে।

    বোলপুরে একসঙ্গে ৪ জায়গায় হানা দিয়েছে সিবিআই। তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়ি ছাড়াও তৃণমূল কর্মী সুদীপ রায় ও অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ সুজিত দে- র বাড়িতেও চলছে সিবিআই তল্লাশি। সিবিআই সূত্রে দাবি, গরুপাচার মামলার তদন্তে উঠে এসেছে অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ এই তিনজনের নাম। সেই কারণেই এই অভিযান। একইসঙ্গে তল্লাশি চলছে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির বোলপুরের বাড়িতে।

    আরও পড়ুন: পারলে আমাকে জেলে ভরো…মমতার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কী বললেন নাড্ডা?

    সিবিআই গোয়েন্দাদের দাবি, অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিপুল সম্পত্তির নথি গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। অনুব্রতর একার নামেই ২৪টি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। এছাড়া অনুব্রত-কন্যা সুকন্যার নামে ২৬টি সম্পত্তির নথি পেয়েছেন গোয়েন্দারা। অনুব্রতর স্ত্রী ছবি মণ্ডলের নামেও ১২টি সম্পত্তি রয়েছে। অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের নামে ৪৭টি সম্পত্তি রয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনের নামে রয়েছে ৩২টি সম্পত্তি! বিদ্যুতের স্ত্রী মহুয়া গায়েনের নামে ২টি জায়গায় সম্পত্তি রয়েছে। অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ কমলকান্তি ঘোষ ও তাঁর পরিবারের নামে ১৮টি সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন সিবিআই গোয়েন্দারা।   

    আরও পড়ুন: অনুব্রত মামলায় বিচারককে হুমকি চিঠি-কাণ্ডে ধৃত আইনজীবী! আটক তাঁর সহকারীও 

    মঙ্গলবার আসানসোলে অনুব্রতকে জেরা করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। অনুব্রত-ঘনিষ্ঠদের এত বিপুল সম্পত্তির উৎস কী, তার সন্ধানে রয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও সংশোধানাগারে জেরা করেন সিবিআই গোয়েন্দারা। তার পর দিনই কেষ্ট-ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই।       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্টে অতিরিক্ত ৯ জন বিচারপতি নিয়োগ কেন্দ্রের

    Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্টে অতিরিক্ত ৯ জন বিচারপতি নিয়োগ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতির অভাবে ঝুলে রয়েছে মামলা। দীর্ঘায়িত হচ্ছে বিচার প্রক্রিয়া। এবার সেই সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হল কেন্দ্র (Centre)। কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ৯জন অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)।

    দেশের প্রাচীনতন হাইকোর্ট কলকাতা হাইকোর্ট। ১৮৬১ সালের হাইকোর্ট আইন বলে ১৮৬২ সালের ১ জুলাই স্থাপিত হয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সময় এই আদালতের নাম ছিল হাইকোর্ট অফ জুডিকেচার অ্যাট ফোর্ট উইলিয়াম। বর্তমানে সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ কলকাতা হাইকোর্টের অন্তর্ভুক্ত। আন্দামান ও নিকোবরের রাজধানী পোর্ট ব্লেয়ারে কলকাতা হাইকোর্টের একটি সার্কিট বেঞ্চ রয়েছে। ১৮৭২ সালে স্যার বার্নেস পিকক কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হন। হাইকোর্টের প্রথম ভারতীয় বিচারক ছিলেন শম্ভুনাথ পণ্ডিত। হাইকোর্টের প্রথম প্রধান বিচারপতি ছিলেন রমেশ চন্দ্র মিত্র। প্রথম পূ্র্ণ মেয়াদের ভারতীয় প্রধান বিচারপতি ছিলেন ফণীভূষণ চক্রবর্তী।

    বরাবরই কলকাতা হাইকোর্টের ওপর মামলার চাপ পাহাড় প্রমাণ। বিচারপতি থাকার কথা ৭২ জন। অথচ রয়েছেন মাত্র ৪৬ জন। শূন্য পদের সংখ্যা ২৬। অতিরিক্ত এই ৯ জনের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ায় শূন্যপদের সংখ্যা কমে দাঁড়াল ১৭। স্বাভাবিক ভাবেই বিলম্বিত হচ্ছে বিচার প্রক্রিয়া। সেই সমস্যা মেটাতে অতিরিক্ত ৯ জন বিচারপতি নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করল মোদি সরকার। যাঁদের নিয়োগ করা হল, তাঁরা হলেন, বিশ্বরূপ চৌধুরী, পার্থ সারথি সেন, প্রসেনজিৎ বিশ্বাস, উদয় কুমার, অজয় কুমার গুপ্ত, সুপ্রতিম ভট্টাচার্য, পার্থ সারথি চ্যাটার্জি, অপূর্ব সিনহা রায় এবং মহম্মদ শাব্বার রাশিদি। সিনিয়রিটির ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়েছে এঁদের। 

    আরও পড়ুন : পুরুলিয়া সূচকাণ্ডে মা, প্রেমিকের ফাঁসির সাজা রদ করে যাবজ্জীবন দিল হাইকোর্ট

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Nadda on Mamata: পারলে আমাকে জেলে ভরো…মমতার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কী বললেন নাড্ডা? 

    Nadda on Mamata: পারলে আমাকে জেলে ভরো…মমতার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কী বললেন নাড্ডা? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারই তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য বিজেপিকে (BJP) চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত একটি জনসভায় বক্তব্য রাখছিলেন মমতা। সেখানেই বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানান তিনি। এদিন তার কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল বিজেপি। 

    দলের হেভিওয়েট দুই নেতাকে গ্রেফতার করেছে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইডি। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তৃণমূলের পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) গ্রেফতার হয়েছেন এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (SSC Scam)। আর তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandol) গ্রেফতার হয়েছেন গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case)। দুজনকেই প্রথমে তলব করেছিল সিবিআই। পরে করা হয় গ্রেফতার। এদিনের সমাবেশে সেই প্রসঙ্গ টেনে গেরুয়া শিবিরকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে আমরা বিজেপিকে শূন্যে নামিয়ে আনব। তারা চায়, তৃণমূলের অন্য নেতাদেরও গ্রেফতার করতে। এর পরেই বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মমতা বলেন, এসো, আমাকে গ্রেফতার কর, যদি পার। আমি জেল থেকে বিজেপিকে গোহারা হারাব। তৃণমূল নেত্রী বলেন, এর পর ওরা মলয় (ঘটক) এবং ফিরহাদ (হাকিম)কে গ্রেফতার করতে চায়। অভিষেককেও…। মমতা বলেন, অভিষেককে ইতিমধ্যেই নোটিশ পাঠিয়েছে, নোটিশ পাঠিয়েছে তার স্ত্রীকেও। আমি বলছি, এমনকী তাদের ছেলেকেও নোটিশ পাঠাবে।

    আরও পড়ুন : সিবিআই থেকে জেল হেফাজত হতেই কেষ্ট-‘কলঙ্ক’ ঝেড়ে ফেলতে চাইছে তৃণমূল?

    দিল্লি দখল যে তাঁর প্রধান লক্ষ্য এদিন তাও গোপন করেননি মমতা। বলেন, আমার মূল লড়াই দিল্লির জন্য। দিল্লি থেকে বিজেপিকে তাড়াব। ২০২৪ সালে বিজেপিকে আমরা দিল্লি থেকে দূর করব। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা ভয় ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি লোকসভা নির্বাচন জিততে চায় প্রত্যেকে জেলের ভিতরে রেখে। আমি বলছি, তোমার যদি ধৃষ্টতা থাকে, তাহলে আমাকেও জেলে ঢোকাও। আমরা দেখব, নির্বাচনের ফল কী হয়। তৃণমূল নেত্রী বলেন, আমরা লড়াই করব, এবং আমরা জিতব এবং বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করব।           

    তৃণমূল নেত্রীর এই মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। এই মুহূর্তে ত্রিপুরা সফরে রয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। তিনি বলেন, বিজেপি তৃণমূলের জনবিরোধী নীতি, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা এবং মহিলাদের ওপর নৃশংসতার বিরোধী। তাঁর তোপ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। অথচ তাঁর রাজ্যেই মহিলা পাচারের ঘটনা দেশের মধ্যে সব চেয়ে বেশি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Saigal Hossain: আদালতের কাজকর্ম স্থগিত, ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে সায়গল হোসেন 

    Saigal Hossain: আদালতের কাজকর্ম স্থগিত, ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে সায়গল হোসেন 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেন (Saigal Hossain)। আজ বৃহস্পতিবার আসানসোল আদালতে তাঁকে পেশ করা হলেও হয়নি মামলার শুনানি। এক আইনজীবীর মৃত্যুতে আদালতের সমস্ত কাজকর্ম স্থগিত রয়েছে। শুনানি না হওয়ায় সায়গলকে আবার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের (Jail Custody) নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই- এর বিশেষ আদালত। ১৫ সেপ্টেম্বর ফের তাঁকে আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

    আরও পড়ুন: গরুপাচার মামলায় এবার সিবিআই- এর হাতে গ্রেফতার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর

    গত ৯ জুন সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই (CBI)। প্রথমে তাঁকে সিবিআই হেফাজত এবং পরে জেল হেফাজতে নেওয়া হয়। গত ১৮ অগাস্ট আদালতে তোলা হয়েছিল তাঁকে। সে দিন তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। সেইমতো আজ তাঁকে সিবিআই আদালতে তোলা হয়। কিন্তু আজ মামলার শুনানি না হওয়ায় ফের ১৫ সেপ্টেম্বর আদালতে তোলা হবে সায়গলকে।

    আরও পড়ুন: সায়গলকে হেফাজতে চায় ইডি, সিবিআই- এর নজরে অনুব্রতর ড্রাইভার

    ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে এদিন আসানসোল আদালতে তাঁর মামলার শুনানি ছিল। এই মামলার শুনানির দিকে নজর ছিল গোটা রাজ্যের। সকলকে হতাশ করে পিছিয়ে গিয়েছে মামলার শুনানি। সায়গলের আইনজীবীর তরফ থেকে এদিন জামিনের আবেদন করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু আদালতে মামলার শুনানি না হওয়ায় জামিনের আবেদন করাও সম্ভব হল না। বিনা শুনানিতেই সিবিআই- এর বিশেষ আদালতের নির্দেশে ফের সেই জেলেই ঠাঁই হল সায়গলের। 

    প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অনুব্রত মণ্ডলের আগেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। ডোমকল থেকে বোলপুর, তাঁর একাধিক বাড়ি-জমির হদিশও পেয়েছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। বর্তমানে আসানসোল সংশোধনারে বন্দি সায়গল। সম্প্রতি গরুপাচার মামলায় কেষ্ট মণ্ডলকেও গ্রেফতার করেছে সিবিআই। টানা বেশ কয়েকদিন সিবিআই হেফাজতের পর অনুব্রতর বর্তমান ঠিকানা আসানসোল সংশোধনাগার। অর্থাৎ ফের একই জায়গায় মালিক এবং দেহরক্ষী। শোনা যায়, অনুব্রত জেলে আসার পরই তাঁর সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছিলেন সায়গল। ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে এদিন জামিনের আশায় ছিলেন তিনি। কিন্তু জামিন মেলেনি। তাই জেলেই ফিরে গেলেন সায়গল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share