Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Aparupa Poddar:  এবার ডেঙ্গি আক্রান্ত তৃণমূল সাংসদের স্বামী ও কন্যা! রাজ্যে প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা

    Aparupa Poddar: এবার ডেঙ্গি আক্রান্ত তৃণমূল সাংসদের স্বামী ও কন্যা! রাজ্যে প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমশ ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। কলকাতা থেকে কালিম্পং প্রতিদিন বাড়ছে সংক্রমণ। এবার খোদ তৃণমূল সাংসদের (TMC MP) ঘরে ডেঙ্গির হানা। আক্রান্ত আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের স্বামী ও মেয়ে। দু’জনেই শ্রীরামপুরের নার্সিংহোমে ভর্তি। তবে তৃণমূল সাংসদের ডেঙ্গি পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। প্রসঙ্গত,আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের স্বামী সাকির আলি রিষড়া পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর। তৃণমূল সাংসদ জানিয়েছেন, সম্প্রতি হায়দরাবাদ থেকে ঘুরে আসার পর, তাঁর স্বামী ও ২ বছরের মেয়ের ডেঙ্গি ধরা পড়ে। 

    আরও পড়ুন: রেকর্ড পারদ-পতন কলকাতায়! অক্টোবরেই তাপমাত্রা নামল ২০ ডিগ্রির নীচে

    স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যে এ মরসুমে এখনও অবধি ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ছুঁইছুঁই। সূত্রের দাবি, রাজ্যে এখনও অবধি ৭২ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত প্রাণ হারিয়েছেন। যদিও বিরোধীদের দাবি, সংখ্যাটা এর চেয়ে অনেক বেশি!চিকিৎসকদের ওপর চাপ দিয়ে, ডেঙ্গিতে মৃত্যু না লিখতে বাধ্য করা হচ্ছে। আর এমনটা করে আরও বেশি করে সাধারণ মানুষকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। 

    আরও পড়ুন: ফের পারদ নামল কুড়ির ঘরে, শীতের প্রাক্কালে নিম্নচাপ! বাংলায় কি প্রভাব পড়বে?

    প্রসঙ্গত, রীতিমতো প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে ডেঙ্গি।  সম্প্রতি ডেঙ্গির নতুন একটি ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে। সুস্থ হয়ে ওঠার পরও, ফের হঠাৎ কমতে থাকছে প্লেটলেটের সংখ্যা। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, একাধিক ডেঙ্গি রোগীর মধ্যে এই উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। ডেঙ্গির নতুন এই ভ্যারিয়েন্টকে আপাতত ডি-২ বলেই উল্লেখ করা হচ্ছে। মূলত উত্তর প্রদেশ ও দিল্লিতে কিছু সংখ্যক রোগীর মধ্যে বর্তমানে এই উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। ডেঙ্গির এই নতুন ভ্যারিয়েন্টে রোগীদের প্রথম দুই দিন জ্বর থাকছে। তৃতীয় দিন থেকে কমতে শুরু করছে জ্বর। রোগী যখন সম্পূর্ণ সুস্থবোধ করছেন, সেই সময়ই হঠাৎ প্লেটলেটের সংখ্যা কমতে শুরু করছে। দ্রুত শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায়, অনেকে বিনা চিকিৎসাতেই মারা যাচ্ছেন। একাধিক রোগীর খিঁচুনিও হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সদ্য করোনামুক্তদের ডেঙ্গি হলে, তার প্রভাব পড়ছে লিভারে। হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হওয়ারও সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sukanya Mondal: ‘‘সব বলে এসেছি…’’, ইডি-র সামনে কোন কোন সত্যের খোলসা করলেন কেষ্ট-কন্যা?

    Sukanya Mondal: ‘‘সব বলে এসেছি…’’, ইডি-র সামনে কোন কোন সত্যের খোলসা করলেন কেষ্ট-কন্যা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা তিনদিন দফায় দফায় দিল্লিতে অনুব্রত (Anubrata Mondal) কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে (Sukanya Mondal) জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি (Enforcement Directorate)। ইডির তলবেই বুধবার দিল্লিতে উড়ে গিয়েছেন সুকন্যা। শুক্রবার প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। বুধ, বৃহস্পতির পর শুক্রবারও দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দেন সুকন্যা। সেখানে দীর্ঘ জেরার পর বেরিয়ে সুকন্যা সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘যা সত্যি, সবটাই বলে এসেছি।’’ যদিও ঠিক কী বলেছেন, তা নিয়ে মুখ খোলেননি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

    দিল্লিতে ইডির হেড কোয়ার্টারে বুধবার প্রায় আট ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কেষ্ট-কন্যাকে। এর পর বৃহস্পতিবার সকালে ইডির দফতরে ঢুকে সন্ধ্যেয় বের হন তিনি। বৃহস্পতিবার বেরোনোর সময় সুকন্যাকে জানানো হয়, শুক্রবার আবার আসতে হবে। সেই মতো শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ তিনি ঢোকেন ইডির দফতরে। সূত্রমতে, পেশায় স্কুল শিক্ষক সুকন্যার অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা কী ভাবে এল, সেই প্রশ্নই সুকন্যাকে করেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, এ প্রশ্নের জবাব বার বারই এড়িয়ে গিয়েছেন সুকন্যা। সুকন্যার জবাবে এখনও সন্তুষ্ট নন গোয়েন্দারা। সুকন্যার পাশাপাশি বুধ এবং বৃহস্পতিবার ইডির দফতরে তলব করা হয়েছিল  অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে। শুক্রবারও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। 

    আরও পড়ুন: আদৌ কি লটারি জিতেছিলেন অনুব্রত? লটারি বিক্রেতার বয়ানে ঘনীভূত রহস্য

    এদিকে মেয়ের চিন্তায় টিভির পর্দা থেকে চোখই সরছে না বাবা অনুব্রতর। টানা তিন দিন একটানা টিভির পর্দায় নজর রাখলেন বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি। এমনিই গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন অনুব্রত। মেয়েকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হওয়ার পর থেকে, কার্যত দু’চোখের পাতা এক করেননি তিনি। রাতেও সেলের আলো জ্বালিয়ে রাখেন। কারারক্ষীরা জানিয়েছেন, পাহারা দেওয়ার সময়ে উঁকি দিয়ে তাঁরা দেখেছেন অনুব্রত জেগেই রয়েছেন। জানা গিয়েছে, দিনভর কারও সঙ্গে কথা বলেননি এই তিন দিন। শুধু খাবার খাওয়ার সময় কারারক্ষীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছিলেন অনুব্রত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

     

     

     

  • DA : রাজ্যের ভাঁড়ার কার্যত শূন্য! জানেন ডিএ-মামলায় কী বলল রাজ্য সরকার?

    DA : রাজ্যের ভাঁড়ার কার্যত শূন্য! জানেন ডিএ-মামলায় কী বলল রাজ্য সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের আর্থিক দুরবস্থা প্রকট,আদালতে তা স্বীকার করে নিল রাজ্য। ডিএ মামলা (DA Case) গড়াল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) পর্যন্ত। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দেওয়ার বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টে গেল পশ্চিমবঙ্গ সরকার (West Bengal Government)। শীর্ষ আদালতে দেওয়া হলফনামায় নিজেদের দাবি রাখতে গিয়ে রাজ্যের আর্থিক হাল যে কার্যত বেহাল,তা একপ্রকার মেনেই নিল রাজ্য সরকার।

    আরও পড়ুন: ডিএ মামলায় ফের ধাক্কা রাজ্যের! রিভিউ পিটিশন খারিজ করল হাইকোর্ট

    রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) দেওয়ার ব্যাপারে গত ২০ মে রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে উচ্চ আদালত জানিয়ে দিয়েছিল, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে। হাইকোর্টের রায়কে (Calcutta High Court) চ্যালেঞ্জ করে অবশেষে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করল রাজ্য।  পিটিশনে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি তাতে হাইকোর্টের রায়ের বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। তারা যে হারে ডিএ দেয় তার থেকে বেশি ডিএ দিতে গেলে অপ্রত্যাশিত সমস্যা তৈরি হবে। আসতে পারে আর্থিক বিপর্যয়।  

    আরও পড়ুন: কার্ড দেখালেই বেসরকারি হাসপাতালে ‘বেড ফাঁকা নেই’, স্বাস্থ্য সাথী কি কেবল ‘বিজ্ঞাপন’?

    প্রসঙ্গত, ২০ মে হাইকোর্টের দেওয়া রায় রাজ্য না মানায়, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত। এ ব্যাপারে আদালত অবমাননা করা হয়েছে কি না তা জানতে চেয়ে ৪ নভেম্বরের মধ্যে হলফনামার মাধ্যমে মুখ্যসচিব ও রাজ্যের অর্থসচিবের থেকে জবাব চেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে হলফনামা দিয়ে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, আদালত অবমাননার মামলা গ্রহণযোগ্য নয় কারণ, কলকাতা হাইকোর্টের ২০ মে-র রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করেছে রাজ্য সরকার। হাইকোর্ট আদর্শগত অবস্থানের কথা বললেও তা প্রয়োগ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হবে রাজ্য সরকারকে। ভেঙে পড়তে পারে রাজ্যের আর্থিক শৃঙ্খলা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: আদৌ কি লটারি জিতেছিলেন অনুব্রত? লটারি বিক্রেতার বয়ানে ঘনীভূত রহস্য

    Anubrata Mondal: আদৌ কি লটারি জিতেছিলেন অনুব্রত? লটারি বিক্রেতার বয়ানে ঘনীভূত রহস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রেফতার হওয়ার কিছুদিন আগেই বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) লটারিতে এক কোটি টাকা জেতার খবর সামনে এসেছিল। অন্তত লটারি সংস্থার বিজ্ঞাপনে এমনটাই দাবি করা হয়েছিল। এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে লটারি বিক্রেতার (Lottery Seller) সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা। বোলপুরে সিবিআই- এর অস্থায়ী ক্যাম্পে (CBI Camp) তলব করা হয় লটারি বিক্রেতা মুন্না শেখকে। সেখানে এক ঘণ্টা কাটিয়ে বেরিয়ে এক বিস্ফোরক দাবি করলেন মুন্না। মুন্না সাংবাদিকদের জানান, কেষ্ট মণ্ডলকে টিকিটই বিক্রি করেননি তিনি।

    ‘রাহুল লটারি এজেন্সি’ থেকে লটারির টিকিট কিনেছিলেন এক টিকিট বিক্রেতা। সেই বিক্রেতার থেকে লটারি কেনেন মুন্না। তাঁর বিক্রি করা একটি টিকিটেই এক কোটি টাকা পুরস্কার পেয়েছেন ক্রেতা। বিজ্ঞাপনে নাম ছিল অনুব্রতর। বিক্রেতার এই বয়ানে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি কালো টাকা সাদা করার কারাবার চলত সেখানে?

    আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় বীরভূম থেকে ৫ তৃণমূল কর্মী গ্রেফতার 

    অনুব্রতর লটারি জেতা নিয়ে কয়েক দিন আগেই তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। তদন্তে নেমে শুক্রবার ওই লটারি বিক্রেতার দোকানে হানা দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এর পর লটারি বিক্রির নথি নিয়ে শুক্রবার বোলপুরে সিবিআই-এর অস্থায়ী শিবিরে যান লটারির টিকিট বিক্রেতা এবং তাঁর দোকানের কর্মীরা। সেখানেই লটারি বিক্রেতা অনুব্রতকে টিকিট বিক্রি করেননি বলে জানান। 

    লটারির টিকিট কেটে ভাগ্য বদল হয়েছে বহু মানুষের। কিন্তু তাদের বেশির ভাগই সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। তবে সাম্প্রতিক কালে লটারি বিজয়ীদের তালিকায় নাম উঠে আসছে অনেক হেভি ওয়েটদের। কোটি কোটি টাকা জেতার খবর সামনে আসছে। এটা কি শুধুই কাকতালীয় ঘটনা? নাকি কালো টাকা সাদা করতে এই পন্থা অবলম্বন? টাকার বিনিময়ে আসল লটারি জয়ীর কাছ থেকে টিকিট নিয়ে আয়োজকদের কাছ থেকে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকানো হচ্ছে! সেটাই খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

     

  • TET Exam 2022: বায়োমেট্রিক অ্যাটেনড্যান্স, ফেস স্ক্যান, ভিডিওগ্রাফি, নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থায় টেট পরীক্ষা

    TET Exam 2022: বায়োমেট্রিক অ্যাটেনড্যান্স, ফেস স্ক্যান, ভিডিওগ্রাফি, নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থায় টেট পরীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। চলছে দফায় দফায় চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন। একদিকে যখন নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে চরম টানাপোড়েন চলছে ঠিক তখনই ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিক টেট পরীক্ষা নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। প্রায় কয়েক লক্ষ চাকরি প্রার্থী আবেদন করেছেন। বিতর্কের মাঝে সুষ্ঠভাবে পরীক্ষা নেওয়াটাই একটা চ্যালেঞ্জ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে। টান টান করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ভিডিওগ্রাফি, ফেস রেকগনিশন থেকে শুরু করে বায়োমেট্রিক অ্যাটেনড্যান্স, একাধিক নিরাপত্তা বলয় থাকছে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে।    

    রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পরীক্ষা কেন্দ্র তৈরি করা হবে। এই বিষয় নিয়ে বৈঠকও করে ফেলেছে মধ্য শিক্ষা পর্ষদ। কিছুদিন আগেই নতুন করে টেট পরীক্ষা নেওয়ার প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চলছে আন্দোলন। ধর্মতলা চত্ত্বরে চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন ৬০০ দিন পার করেছে। তাঁরা তাঁদের নিয়োগ পত্রের দাবিতে অনড়। কিন্তু পর্ষদ সেই দাবি অগ্রাহ্য করেই ডিসেম্বরে টেট পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    আরও পড়ুন: এবার তাপস মণ্ডলের দুই হিসাব রক্ষককে তলব ইডির

    জানা গিয়েছে, বায়োমেট্রিক অ্যাটেনড্যান্স-এর মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের ফেস এবং সই স্ক্যান করা হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে যাতে কোনও ভাবেই ভুয়ো পরীক্ষার্থী ঢুকতে না পারে, তাই এই ব্যবস্থা। প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রেই থাকবে এই সুরক্ষা ব্যবস্থা। তবে শুধু পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে নয়, পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতরেও থাকবে ভিডিও রেকর্ডিং এর ব্যবস্থা।    

    পরীক্ষার সময় কোনও রকম বিশৃঙ্খলা এড়াতেও বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। এইসব বিশেষ ব্যবস্থার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করা হবে। নিরাপত্তা বিষয়ে কোনও কার্পণ্য করতে রাজি নয় পর্ষদ। পাশাপাশি সিলেবাসের ক্ষেত্রেও আনা হয়েছে একাধিক বদল। মোট ১৫০ টি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে।   

    সময় থাকবে ১৫০ মিনিট। থাকবে না কোন নেগেটিভ মার্কিং। ১৫০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। সাম্প্রতিক সময়-এর নিরিখে এ বছর প্রাথমিকের টেটকে কেন্দ্র করে বিশেষভাবে সতর্ক হতে চাইছে পর্ষদ। তার জন্যই নিরাপত্তা সংক্রান্ত এই পদক্ষেপ বলেই দাবি পর্ষদের আধিকারিকদের। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

          

     

     
     
     
  • SSC Scam: সিবিআই তদন্তের মাঝেই এবারে ইডির জেরার মুখোমুখি পরেশ অধিকারী

    SSC Scam: সিবিআই তদন্তের মাঝেই এবারে ইডির জেরার মুখোমুখি পরেশ অধিকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) এবারে ইডির জেরার মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। গতকাল, সোমবার বেলা ১২ টা নাগাদ তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে যেতে দেখা যায়। দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর তিনি ইডি দফতরের বাইরে বেরলে তাঁকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। তখন তিনি জানান, কিছু নথিপত্র ফেরত দেওয়ার জন্য তাঁকে ডেকেছিল ইডি। তবে সেগুলি কী ধরনের নথি, তা জানাননি তিনি। কিন্তু সূত্রের খবর অনুযায়ী, এসএসসি-তে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল।

    গতকাল তিনি ইডির জিজ্ঞাসাবাদের পর দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ বেরিয়ে আসেন। ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে পরেশ বলেন, ‘‘কিছু নথি নিতে আজ এসেছিলাম। যে নথিপত্র আমার বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল, সেগুলি ফেরত নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাকে চিঠি দেওয়া হয়। তাই এসেছি।’’ এদিকে জানা গিয়েছে, শীঘ্রই ফের চিঠি দিয়ে পরেশ অধিকারীকে তলব করা হতে পারে ইডির অফিসে। কিন্তু তাঁকে ফের কবে আসতে হবে তা এখনও জানানো হয়নি। পরবর্তী হাজিরার তারিখ চিঠি দিয়েই জানানো হবে।

    আরও পড়ুন: একবার নয়, তিনবার লটারি জিতেছেন কেষ্ট-সুকন্যা! সিবিআই-এর হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    প্রসঙ্গত, পরেশের মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর (Ankita Adhikari) নিয়োগে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে। জুলাই মাসে বাড়িতে তল্লাশির পর বেশ কিছু নথিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। সেই নথি খতিয়ে দেখেই এদিন তাঁকে তলব করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। ২০১৬ সালে শিক্ষক নিয়োগের সময় এসএসসি মেধাতালিকায় বেআইনিভাবে মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতার নাম ঢোকানো হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ববিতা সরকার নামে এক চাকরিপ্রার্থীর মামলা করার পরই এসব তথ্য প্রকাশ্যে আসে।

    এরপর অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে ববিতাকে সেই চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হয় ও যতদিন অঙ্কিতা শিক্ষিকা ছিলেন, ততদিনের বেতন দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। হাইকোর্টের নির্দেশে এসএসসি দুর্নীতি-কা‌ণ্ডের তদন্ত করেছে সিবিআই। সেই সূত্রে এর আগে পরেশকে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। এই প্রথম আরও এক কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি-র জেরার মুখে পড়তে হল পরেশকে। ইডি সূত্রের খবর, মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে বেআইনি ভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য কোনও টাকার লেনদেন হয়েছে কি না, ও কীভাবে সেই টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হয়েছে তা জানতেই পরবর্তীতে ফের তলব করা হবে পরেশ অধিকারীকে।

  • Anubrata Mondal: একবার নয়, তিনবার লটারি জিতেছেন কেষ্ট-সুকন্যা! সিবিআই-এর হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    Anubrata Mondal: একবার নয়, তিনবার লটারি জিতেছেন কেষ্ট-সুকন্যা! সিবিআই-এর হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) লটারির মাধ্যমে এক কোটি টাকা পাওয়ার বিষয়টিতে তদন্ত করতে নেমে আরও এক চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা একবার নয়, তিনবার লটারি জিতেছেন। সেই লটারির টাকা দুবার সুকন্যার অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে, যার পরিমাণ প্রায় ৫১ লক্ষ টাকা। আর একবার কেষ্টর অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। ২০১৯ সালে অনুব্রতর অ্য়াকাউন্টে এই লটারির ১০ লক্ষ টাকা ঢুকেছিল বলে দাবি করলেন তদন্তকারীরা। এ যেন কেঁচো খুঁড়তে কেউটে!

    যেখানে একবারই লটারি জিততে পারে না মানুষ, সেখানে অনুব্রত মণ্ডল কীভাবে বার বার লক্ষ লক্ষ টাকা লটারি জিতে যাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনুব্রত মণ্ডলের এক কোটি টাকা লটারিতে পাওয়ার রহস্যভেদ করতে বার বার জেরার মুখে পড়তে হয়েছে কেষ্ট-কন্যাকেও। আর এরই মধ্যে এত পরিমাণে লটারি জেতার খবর সামনে আসতেই সিবিআই আধিকারিকরা সন্দেহ করছেন যে, লটারি জয়ের নামে অনুব্রত আসলে গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করেছেন না তো? বারবার একই পরিবার লটারি পাচ্ছে, তাই প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে, তাহলে কি এভাবেই গরুপাচারের কালো টাকা লটারির মাধ্যমে সাদা করা হয়েছে? আর কোনও লটারি অনুব্রতর আত্মীয় বা ঘনিষ্ঠদের নামে কেনা হয়েছিল? এসবই খতিয়ে দেখছে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে ব্যাপক অনিয়ম, সিবিআই তদন্তের দাবিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছিল, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে ১ কোটি টাকা জিতেছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। আর এবারে সুকন্যার অ্যাকাউন্টে লটারির টাকা আসার তথ্য সিবিআই-এর হাতে এসেছে। এক বার ঢোকে ২৫ লক্ষ টাকা, আর এক বার ২৬ লক্ষ টাকা, অর্থাৎ ৫১ লক্ষ টাকা। লটারির ১ কোটি টাকার তদন্ত করতে আসানসোল জেলে গিয়েও জেরা করা হয়েছে কেষ্টকে। আবার বারবার তলব করা হয়েছে তাঁর মেয়ে সুকন্যাকেও।

    আবার গত সপ্তাহে বোলপুরে লটারির দোকানে হানাও দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এরপর গতকাল বোলপুরের লটারি বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। লটারির টিকিট বিক্রেতা মুন্না শেখ সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে হাজিরা দেন। সেখানে প্রায় একঘণ্টা ছিলেন তিনি। সিবিআই ক্যাম্প থেকে মুন্না বেরিয়ে এলে তাঁকে অনুব্রতর লটারি জয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, অনুব্রতকে কখনও লটারি বিক্রি করেননি তিনি। লটারি জয়ের নামে অনুব্রত বা সুকন্যার অ্যাকাউন্টে আরও কোনও টাকা ঢুকেছে কি না, সেটাই এখন খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা৷ পরবর্তীতে লটারির রহস্যভেদে আর কী কী তথ্য উঠে আসে সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্যবাসী।

  • Suvendu Adhikari: নাকা চেকিংয়ের আওতায় পড়ুক মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ও! দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: নাকা চেকিংয়ের আওতায় পড়ুক মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ও! দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভিআইপি-দের গাড়িতে করে চলছে অস্ত্র পাচার। লেনদেন হচ্ছে টাকার। প্রশাসনিক বৈঠকে সতর্কবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। পুলিশকে নাকা চেকিং বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে সমর্থন করেই পাল্টা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বলেলন, মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ও যেন নজরদারির আওতায় থাকে। জনগণের নিরাপত্তার জন্য সেই কনভয়ও যেন বাদ না পড়ে।

    ভিডিওগ্রাফি করে চেকিংয়ের দাবি শুভেন্দুর

    নন্দীগ্রামে, নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে এক  কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “একবার নয়, ১০০ বার চেকিং করতে পারে। শুধু চেকিং করাই নয়, ভিডিওগ্রাফি করে চেকিং করতে হবে। আর অবশ্যই এই নজরদারি প্রক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকেও রাখতে হবে। নাকা চেকিং চালু হলে নিয়ম সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। কারণ উনিও (মুখ্যমন্ত্রী) তো ভিআইপি।” উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার নদিয়ার প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বলেন, “ভিআইপি’দের গাড়িতে যেন অস্ত্র আমদানি না হয়। ভিআইপি’দের স্পেশাল প্রটোকশনের নাম করে অনেকে অস্ত্র ও নোট ক্যারি করে। তাই নাকা চেকিং বাড়াতে হবে। ” মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরে শুভেন্দু বলেন, ‘‘একবার নয়, পুলিশ একশো বার বিরোধী দলনেতার গাড়িতে তল্লাশি করতে পারে। তবে ভিডিয়োগ্রাফির মাধ্যমে আইপিসি এবং সিআরপিসি মেনেই তল্লাশি করতে হবে। আর পুলিশকে তৃণমূল বেতন দেয় না। তারা সরকারের টাকায় বেতন পান। তাই মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য হবে।’’ মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতার দাবি-পাল্টা দাবি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক মহলে চাপান-উতোর শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানেও ছিলেন টেট-চাকরিপ্রার্থীকে কামড় দেওয়া পুলিশকর্মী! কী বললেন শুভেন্দু?

    মমতার দাবি, সুকান্তের অভিযোগ

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-এর দিকেও অভিযোগের আঙুল তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়,“একটা চক্রান্ত চলছে। স্পর্শকাতর জায়গাগুলো দেখে রাখুন। বিহার থেকে হাজার টাকায় অস্ত্র আসছে। ও-পার থেকে চলে আসছে। এখান-সেখান থেকে চলে আসছে। এগুলো সামলাতে হবে।” অশান্তির আশঙ্কা সম্পর্কে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্তের মন্তব্য, ‘‘উনি ভয় পেয়েছেন দেখে ভাল লাগছে। আমরা তো শুধু বলেছি ডিসেম্বরে ঠান্ডা পড়বে, ওঁর সরকার কাঁপবে। আর তো কিছু বলিনি। বাকি কথা তো উনিই বলছেন। বাংলার মানুষ ২ মে ২০২১ থেকে শান্তি দেখেছে। উনি কি সেই শান্তির কথা বলছেন? শ্মশানের শান্তি?’’ 

    আরও পড়ুন : নবান্ন অভিযানে গিয়ে ‘মিথ্যা’ মামলায় গ্রেফতার, হাইকোর্টের দ্বারস্থ বঙ্গ বিজেপি

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • TET Agitation: পুলিশের কামড় খাওয়া অরুণিমা-সহ ৩০ জনের জামিন দিল আদালত

    TET Agitation: পুলিশের কামড় খাওয়া অরুণিমা-সহ ৩০ জনের জামিন দিল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি চেয়ে পুলিশের কামড় খাওয়া চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পাল সহ সব আন্দোলনকারী টেট চাকরিপ্রার্থী গতকাল অবশেষে জামিন পেল (TET Agitation)। পুলিশের এমন আচরণে সারা রাজ্যবাসী স্তম্ভিত। এমন নৃশংসতার খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাজ্য পুলিশকে ধিক্কার না করেও কেউ ছাড়েনি। কোনও অপরাধ না করেই এক রাত জেলে কাটিয়ে অবশেষে আন্দোলনকারীরা জামিন পেলে বাকি আন্দোলনকারী চাকরীপ্রার্থীরা উচ্ছাসে ফেটে পড়েন। চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ বলে ওঠেন, ‘মজবুত হলাম। মানসিকভাবে আমরা তৈরি হয়েছি। আরও আমরা গর্জে উঠে সাহস এবং সুযোগ পেলাম।’

    কী ঘটেছিল?

    গত বুধবার এক্সাইড মোড়ে চাকরির জন্য আন্দোলনে নামেন ২০১৪-এর টেটে উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা (TET Agitation)। আর তখই তাঁদের সেখান থেকে সরাতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। আন্দোলনকারীদের টেনে-হিঁচড়ে, চ্যাংদোলা করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হচ্ছিল। অনেকে আবার প্রিজন ভ্যানের নীচে শুয়েও বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল। আবার পুলিশের বিরুদ্ধে কয়েকজন আন্দোলনকারীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল। এরই মধ্যে অভিযোগ ওঠে, যে এক মহিলা পুলিশকর্মী অরুণিমার হতে কামড়ে দেয়।

    চাকরিপ্রার্থীকে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে (TET Agitation)। কিন্তু উল্টে সেই চাকরিপ্রার্থীকেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তবে শুধুমাত্র গ্রেফতারি নয়, টেট বিক্ষোভে আক্রান্ত অরুণিমা পাল-সহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলাও রুজু করা হয়েছিল। এরপর গতকাল ধৃতদের পেশ করা হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে। তারপর দুপক্ষের সওয়াল-জবাবের পর ওই ৩০ জন আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের জামিন দেয় আদালত।

    আরও পড়ুন: টেট বিক্ষোভকারীর হাতে কামড় পুলিশের! জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার আক্রান্তই

    আন্দোলনকারীদের প্রতিক্রিয়া

    বৃহস্পতিবার রাতে জামিনের পরেই উঠল স্লোগান (TET Agitation)। ‘লড়াই চলছে, চলবে।’ এক আন্দোলনকারী বললেন, ‘সরকার তো মুখ থুবড়েছে। ওদের কোনও লজ্জা নেই। আমরা অপরাধী নই। আমাদের পাঁচটা জামিন অযোগ্য ধারা দিয়ে ধরতে চেয়েছিল।’ আরও এক এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, ১৪ সাল থেকে বঞ্চিত হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাঁরা। আর তাঁদেরকেই আসামী বানানো হচ্ছে। তাঁরা কী অন্যায় করেছিল? তাঁদের যে ধারা দেওয়া হয়েছিল, জামিন অযোগ্য ধারা, কেন কী অন্যায় করেছিল? জামিন অযোগ্য ধারা দিতে হয়েছিল?’

    অরুণিমা কী বললেন?

    অরুণিমা বলেন, জামিনে মুক্তি পেয়ে অত্যন্ত খুশি তাঁরা (TET Agitation)। তবে থানায় থাকার সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা এখনও ভুলতে পারছেন না তাঁরা। মুক্তি পেয়ে অরুণিমা বলেন, ‘এটা সার্বিক জয়। আমরা ক্রিমিনাল নই। সেটা প্রমাণ হল। এতদিনে কোর্টের বিচারে তো প্রমাণ হয়েই গিয়েছে আমাদের চাকরি চুরি গিয়েছে।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, হাতে যেখানে কামড় দিয়েছে সেখানে ব্যথা রয়েছে। চিকিৎসা করাতে হবে। অঝোর ধারায় রক্ত ঝড়ছিল।

    পুলিশের আচরণে উঠছে প্রশ্ন

    আবার এরই মধ্যে এক ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে পুলিশকে বলতে শোনা যাচ্ছে, মৃত্যু হলে তার দায় নেবে পুলিশ। একেতেই এরূপ আচরণে হতবাক বঙ্গবাসী। তারপর আবার এই কথা, সবমিলিয়ে রাজ্যে পুলিশের কাজ নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। এরপর আন্দোলনকারীকে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগের ফলে ফের প্রশ্ন উঠছে যে, পুলিশের এমন আচরণের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে, নাকি সেই পুলিশকে আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে (TET Agitation)?

  • TET Scam: দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রাথমিকে ২০০৯ প্যানেলের ১৬৩২ জনকে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের

    TET Scam: দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রাথমিকে ২০০৯ প্যানেলের ১৬৩২ জনকে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০৯ সালের প্যানেলের ১৬৩২ শূন্যপদে নিয়োগে সবুজ সংকেত দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। নিয়োগ (TET Scam) হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas)। দু’সপ্তাহের মধ্যে পদক্ষেপের নির্দেশ বিচারপতির। ২০০৯ সালে নেওয়া হয় লিখিত পরীক্ষা। কিন্তু তার পরও ২০১১ সালে বাতিল ঘোষণা হয় সেই প্যানেল।   

    বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দেয়, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে ২০০৯ সালে প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। উত্তর ২৪ পরগনা, মালদা এবং হাওড়ার মতো দক্ষিণ ২৪  পরগনা জেলার ২০০৯ সালের চাকরিপ্রার্থীদের ক্ষেত্রেও একই ধরনের পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ।

    ২০০৯ সালের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে তৈরি নিয়োগ তালিকা প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালত জানিয়েছে, যাঁদের প্যানেলভুক্ত করা হয়েছে, তাঁদের নাম প্রকাশ করতে হবে। তা না হলে মামলাকারীরা জানতে পারবেন না তাঁদের অবস্থান।

    কী অভিযোগ?

    এর আগে এই প্যানেলে গুরুতর বেনিয়ম হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়ে আদালত আগেই পদক্ষেপ নিয়েছিল। সেই অনুযায়ী, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া ও মালদা জেলা আগেই নির্দেশ মতো নিয়োগ করেছে। কিন্তু দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নিয়োগ বাতিল করা হয়। সেই প্যানেলের ভিত্তিতেই দু’সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ শুরু করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুন: গরুপাচার মামলা যোগ, অনুব্রতর জামাইবাবুকে শুক্রবার দিল্লিতে তলব ইডির

    মামলাকারীদের আইনজীবী কমলেশ ভট্টাচার্য বলেন, “২০০৯ সালে রাজ্যজুড়ে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়৷ ২০১২ সালে চারটি জেলার প্যানেল বাতিল করে দেওয়া হয়৷ বেআইনি ভাবে প্যানেল তৈরি হয়েছে, এই অভিযোগে তা বাতিল করা হয়েছিল৷ আবার পরীক্ষার মাধ্যমে নতুন প্যানেল তৈরি হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু সেই পরীক্ষার ফল আজও প্রকাশিত হয়নি৷ এই অভিযোগেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা।” 

    এক চাকরিপ্রার্থী অরিন্দম মণ্ডল বলেন, “আদালতের রায়ে তাঁরা খুশি৷ আদালতের নির্দেশ মেনে তাঁদের নিয়োগ করার জন্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা৷”  

    অন্যদিকে, ২০১৪-র টেট চাকরিপ্রার্থীদের ৪০ দিনের ধরনার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, গান্ধিমূর্তির সামনে ধরনায় বসতে পারবেন চাকরিপ্রার্থীরা। বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, বুধবার রাতে ৩০জন প্রার্থীর নামে ৩৫৩, ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯ -সহ আরও বেশ কিছু ধারায় মামলা করা হয়েছে। আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

LinkedIn
Share