Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • ED Chargesheet: পার্থ-অর্পিতার ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! এসএসসি মামলায় চার্জশিট পেশ ইডি-র

    ED Chargesheet: পার্থ-অর্পিতার ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! এসএসসি মামলায় চার্জশিট পেশ ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের (Partha Chatterjee) গ্রেফতারির ৫৮ দিনের মাথায় চার্জশিট পেশ করল ইডি (ED Filed Chargee sheet on SSC Case)। সোমবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে চার্জশিট পেশ করা হয়। সূত্রের খবর, তাতে রয়েছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য।পার্থ-অর্পিতার (Arpita Mukherjee) ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। 

    আরও পড়ুন: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে এবার সিবিআই হেফাজতে পার্থ, সঙ্গী কল্যাণময়

    গত ২৩ জুলাই গ্রেফতার করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। দু দফায় অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল প্রায় ৫০ কোটি টাকা। সেই টাকার উৎস কী, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরে পার্থ ও অর্পিতার নামে থাকা একাধিক সম্পত্তির হদিশ পান ইডি আধিকারিকরা। 

    আরও পড়ুন: কুয়েটের সঙ্গে জেইই এবং নীট সংযুক্তিকরণের পথে ইউজিসি? জানুন বিস্তারি‘‘আমি ওদের বিশ্বাস করেছিলাম…’’, সিবিআই জেরায় দাবি পার্থর, ওরা কারা?

    ইডির পেশ করা চার্জশিট সম্পর্কে এই বিষয়গুলি জেনে নিন:

    • মোট ১৭২ পাতার চার্জশিট পেশ করেছে ইডি।
    • ট্রাঙ্কে ভরে নথি নিয়ে গিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা।
    • চার্জশিটে রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নাম।
    • নিয়োগ দুর্নীতিতে ১০৩ কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে চার্জশিটে বলে হয়েছে।
    • ৪০ টি অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে চার্জশিটে জানিয়েছে ইডি। যার মোট মূল্য ৪০.৩৩ কোটি টাকা।
    • মোট ৪৮.২২ কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
    • বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৩৫ টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, যাতে টাকার পরিমান ৭ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা রয়েছে।
    • বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাট, বাগানবাড়ি, জমি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।
    • বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির মধ্যে অনেকগুলিই রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে। এ ছাড়া শেল কোম্পানির নামেও রয়েছে বেশ কিছু সম্পত্তি।
    • গত ২৭ ও ২৮ জুলাই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের একাধিক ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৫০ কোটি নগদ টাকা ও প্রায় ৫ কোটি টাকার সোনা ও গয়না বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Weather Update: পুজোর মুখে বৃষ্টির সম্ভাবনা! কালই তৈরি হতে পারে নিম্নচাপ

    Weather Update: পুজোর মুখে বৃষ্টির সম্ভাবনা! কালই তৈরি হতে পারে নিম্নচাপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সপ্তাহ পরেই মহালয়া। পুজোর (Durga PUJa 2022) বাকি আর মাত্র ১০ দিন। চলছে শেষ পর্বের কেনাকাটা। করোনা (Covid-19) কমছে ধীরে ধীরে, এমন বার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। অতএব জমিয়ে ঠাকুর দেখা আর দেদার খাওয়া-দাওয়া। কিন্তু তার মধ্যেই কাঁটা নিম্নচাপ (Weather Updates)। এবার পুজো অন্য বছরের থেকে একটু এগিয়ে এসেছে। সেপ্টেম্বরের শেষে পুজো। তাই বৃষ্টির সম্ভাবনা থেকেই যায়। সঙ্গে নিম্নচাপের ভ্রূকুটি।

    আরও পড়ুন: ন্যায্যমূল্যের দোকানে ওষুধ পাওয়া যায় না, জীবনদায়ী ওষুধ চুরি হয় হাসপাতাল থেকে, ওষুধ কিনতে হিমশিম সাধারণ মানুষ

    আলিপুর (Alipur)আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস (Bengal Weather Forecast), ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা এখনই নেই। তবে মহালয়ার আগে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে ভিজবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ। দেবীপক্ষ শুরুর আগেই বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তের জেরে নিম্নচাপের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। চলতি সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার তৈরি হতে পারে নিম্নচাপ। এর প্রভাবে রাজ্যে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বুধবার থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে বৃষ্টি বেশি হবে৷ কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দু’এক জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। মাঝিদেরও বুধবার থেকে সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: নবান্নে CMO তে অভিযোগের পাহাড়! কাজই করছে না বহু দফতর?

    আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, কটা ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়ে রয়েছে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের কাছাকাছি অঞ্চলে । মঙ্গলবার নাগাদ ঘূর্ণাবর্তটি কিছুটা পশ্চিম দিকে এসে পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং মধ্য বঙ্গোপসাগরের কাছাকাছি আসবে । তারপর এটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, আশার কথা,এই নিম্নচাপের প্রভাব বেশি পড়বে ওড়িশায় । তবে বৃষ্টি চলবে দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। আকাশ মেঘলা থাকবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • West Bengal: ন্যায্যমূল্যের দোকানে ওষুধ পাওয়া যায় না, জীবনদায়ী ওষুধ চুরি হয় হাসপাতাল থেকে, ওষুধ কিনতে হিমশিম সাধারণ মানুষ

    West Bengal: ন্যায্যমূল্যের দোকানে ওষুধ পাওয়া যায় না, জীবনদায়ী ওষুধ চুরি হয় হাসপাতাল থেকে, ওষুধ কিনতে হিমশিম সাধারণ মানুষ

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল: কৃষ্ণনগর থেকে ক্যানসারের (Cancer) চিকিৎসা করাতে কলকাতার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসেন স্বপন চৌধুরী। বছর পঞ্চাশের স্বপন বাবুর পেটে বাসা বেঁধেছে ক্যানসার। নিয়মিত রেডিওথেরাপি করানোর পাশাপাশি প্রয়োজন ওষুধের। কিন্তু হাসপাতালের ন্যায্যমূল্যের দোকানে অধিকাংশ সময়েই ক্যানসারের ওষুধ পাওয়া যায় না। তাই রেডিওথেরাপি হয়ে গেলে হাসপাতাল চত্বরের গাছ তলায় স্বপন বাবুকে বসিয়ে রেখে স্ত্রী যান ওষুধ কিনতে। স্বপন বাবু বলেন, “এক সঙ্গে সব ওষুধ কেনার মতো সামর্থ্য নেই। সবচেয়ে কম দামের ওষুধ কিনতেই অন্তত দু’হাজার টাকা খরচ হয়। নামেই ফ্রি। হাসপাতালে কোনও ওষুধ পাওয়া যায় না।” স্বপন বাবুর স্ত্রী বলেন, “তিন বার এলাম। এক বার ও একটাও ওষুধ পেলাম না। এত বড় দোকান হাসপাতালের ভিতরে কেন করেছে, জানি না। এত খরচ সামলাবো কীভাবে! ক্যানসারের ট্রিটমেন্ট তো একদিনের ব্যাপার না। “

    এসএসকেএম হাসপাতালে ডায়াবেটিসের চিকিৎসা করাতে সোদপুর থেকে যান বছর পয়ষট্টির অনিকেত রায়। চিকিৎসক ফ্রি-তে পরিষেবা দিলেও নগদ টাকায় ওষুধ কিনতে হয়। কারণ, অধিকাংশ সময়েই ন্যায্য মূল্যের দোকানে ওষুধ থাকে না। অনিকেত বাবু বলেন, “ওষুধ অধিকাংশ সময়েই বাইরের দোকান থেকে কিনে নিই। ন্যায্যমূল্যের দোকানে ওষুধ থাকে না। বাইরের ওষুধ দোকানে তো স্বাস্থ্য সাথী কার্ড চলবে না। তাই নগদ টাকাতেই ওষুধ কিনতে হয়।” ডায়বেটিসের মতো ক্রনিক রোগে ধারাবাহিকভাবে নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়। অনিকেত বাবু বলেন, “বয়স্ক মানুষদের এই সব ক্রনিক রোগের ওষুধ যদি কখনোই সরকারি দোকানে পাওয়া না যায়, তাহলে আর সবকিছু বিনামূল্যে বলে লাভ কি! “

    শুধুমাত্র ধারাবাহিক রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে নয়, জরুরি চিকিৎসার ওষুধ ও অধিকাংশ সময় পাওয়া যায় না। পথ দুর্ঘটনায় আহত হয়ে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে দিন কয়েক আগে এক মহিলা ভর্তি হয়েছিলেন। তার পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে যে পাঁচটি ওষুধ প্রয়োজন বলে প্রেসক্রিপশনে লেখা হয়েছিল, তার চারটিই ন্যায্যমূল্যের দোকানে পাওয়া যায়নি।

    এই ঘটনাগুলো ব্যতিক্রম নয়। রাজ্যের অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালের ন্যায্যমূল্যের ছবিটা এরকমই।

    ক্যানসারের জীবনদায়ী ওষুধ, ডায়বেটিসের মতো ক্রনিক রোগের ওষুধ কিংবা করোনার মতো মহামারি ঠেকানোর ইঞ্জেকশন, সরকারি হাসপাতালের ন্যায্য মূল্যের দোকানে হয়রানিই যেন নিত্য সঙ্গী।

    এসএসকেএম-র মতো রাজ্যের প্রথম সারির সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল হোক কিংবা যে কোনও জেলা হাসপাতাল, সরকারি হাসপাতাল চত্বরে থাকা, ন্যায্য মূল্যের ওষুধ দোকানে অধিকাংশ সময়েই ওষুধ পাওয়া যায় না। পরিজনকে হাসপাতালে রেখেই এক দোকান থেকে আরেক দোকানে ছোটেন আত্মীয়রা। নগদ টাকায় হাসপাতালের বাইরের দোকান থেকে ওষুধ কিনতে হয়। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলেও ওষুধের দোকানে তো সেই কার্ডের পরিষেবা পাওয়া যায় না।

    আরও পড়ুন: নবান্নে CMO তে অভিযোগের পাহাড়! কাজই করছে না বহু দফতর?

    সরকারি হাসপাতালে নিখরচায় সমস্ত পরিষেবাই পাওয়া যাবে। অন্তত এমনটাই বারবার বলে রাজ্য সরকার। শহর থেকে জেলা, সব রাস্তায় পশ্চিমবঙ্গে নিখরচায় চিকিৎসার বিজ্ঞাপনে মোড়া। কিন্তু বাস্তবের ছবি অনেকটাই আলাদা। চিকিৎসার প্রথম ও প্রধান শর্ত ওষুধ, পেতেই হিমশিম অবস্থা সাধারণ মানুষের।

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ক্ষমতায় আসার পরেই রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ন্যায্যমূল্যের ওষুধ দোকান তৈরি হয়েছিল। সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, এই দোকানগুলো থেকে বিনামূল্যে ওষুধ পাবেন সাধারণ মানুষ। নিখরচায় চিকিৎসার এই ছিল প্রথম শর্ত। কিন্তু বাস্তবে এই দোকানগুলো থেকে হয়রানি ছাড়া আর কিছুই জুটছে না।

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওষুধ নিয়ে দুর্নীতি দীর্ঘদিনের। সরকারি হাসপাতালে ওষুধ ঠিকমতো স্টোর থেকে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছয়না। অসাধু চক্রের বাসা জাকিয়ে বসেছে প্রত্যেক হাসপাতালে।

    স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার কথায়, “এই সব অসাধু চক্র শেষ না করলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমবে না। তবে, এই সব চক্র শেষ করা কঠিন। কারণ, এই সব অসাধু চক্রের মাথায় রাজনৈতিক নেতাদের প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে। সরকারের কাছকাছি থাকা নেতাদের অঙ্গুলি হেলনেই সব চলছে। “

    প্রসঙ্গত গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে করোনার জীবনদায়ী ওষুধ টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন চুরির অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিধায়ক চিকিৎসক নির্মল মাজির বিরুদ্ধে। ওই ইঞ্জেকশনের বাজারে মূল্য চল্লিশ হাজার টাকা। অভিযোগ উঠেছিল, অবৈধভাবে ওই ইঞ্জেকশন হাসপাতাল থেকে বাইরে বিক্রি হচ্ছে। যদিও পরে রাজ্য সরকারের তদন্ত কমিটি নির্মল বাবুকে ক্লিনচিট দিয়ে দেয়।

    স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশের মতে, প্রত্যেক হাসপাতালের ন্যায্যমূল্যের ওষুধ দোকানে নজরদারি জরুরি। তবে সবচেয়ে বেশি জরুরি সদিচ্ছার। সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার সদিচ্ছা থাকলে তবেই ওষুধ নিয়ে অসাধু চক্র ভাঙা যাবে। তারপরে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব। না হলে, এই ভোগান্তির শেষ কোথায়, সেই উত্তর পাওয়া কঠিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Suvendu meets Meena Devi Purohit: পুলিশের আঘাতে আহত কাউন্সিলরের সঙ্গে দেখা করলেন শুভেন্দু 

    Suvendu meets Meena Devi Purohit: পুলিশের আঘাতে আহত কাউন্সিলরের সঙ্গে দেখা করলেন শুভেন্দু 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযানকে (Nabanna Abhijan) কেন্দ্র করে  উত্তাল হয় কলকাতা এবং হাওড়া। বিজেপি কর্মীদের আটকাতে জল কামান, কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে পুলিশ। লাঠি চার্জ করা হয়। বচসায় জড়ায় বিজেপি এবং পুলিশ। এই অশান্তির মাঝেই এমজি রোডে পুলিশের লাঠির আঘাতে মাথা ফাটে কলকাতা পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতের (Meena Devi Purohit)। তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছাড়াও পেয়ে যান হাসপাতাল থেকে। বৃহস্পতিবার মীনাদেবীকে দেখতে তাঁর আত্মীয়ের বাড়ি গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ভয়ে অন্ধ হয়ে গিয়েছেন, পুলিশ পিসি-ভাইপোর দাস নয়’’, ফের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা শুভেন্দুর 
     
    এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ওনাকে পুরুষ পুলিশ মেরেছে, আর আমার কাছে মহিলা পুলিশ পাঠিয়ে দিয়েছে। টি শার্ট জিন্স পরে একদম জগিং করতে করতে চলে এসেছে।” মঙ্গলবার অভিযান চলাকালীন বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেন, “আপনার লেডি অফিসার আমার গায়ে হাত দিয়েছে। ও কেন আমার গায়ে কেন হাত ধর বে! ছবিগুলো থাকল।” মহিলা পুলিশকে গ্রেফতার করার দাবি করেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা, বিধায়কের রাস্তা আটকে পুলিশ মস্করা করছে বলেও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। ভিডিওতে শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, “আমার শরীর স্পর্শ করবেন না। আপনি মহিলা, আমি পুরুষ। আপনার সিনিয়রকে ডাকুন।” ওই মহিলা পুলিশ আধিকারিক উত্তরে বলেন, “আমি স্পর্শ করছি না। আপনি চলুন।”

    আরও পড়ুন: ‘‘রাজ্যটাকে উত্তর কোরিয়া বানিয়ে দিয়েছেন ‘লেডি কিম’…’’, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর  

    কলকাতা পুরসভার ৪ নম্বর বরোর অন্তর্গত ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত। নিয়োগ দুর্নীতি-সহ একাধিক দাবিতে ১৩ সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, তিনদিক থেকে নবান্নে রওনা হয় বিজেপির মিছিল। বড়বাজার থেকে শুরু হওয়া মিছিলের সামনেই ছিলেন বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত। পুলিশ মিছিলে বাধা দিতেই তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। মাথা ফাটে কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতের। হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান মীনাদেবী পুরোহিত। নিজের বাড়িতে না গিয়ে সল্টলেকে ভাইয়ের বাড়িতে গিয়েছেন। বিজেপি নেত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এদিন সেখানে যান শুভেন্দু অধিকারী। মীনাদেবী পুরোহিতের সঙ্গে কথা বলেন বিরোধী নেতা। শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজ নেন। সেখান থেকেই নবান্ন অভিযানে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Protection From Dengue: রাজ্যে হু-হু করে বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ, নিজেকে বাঁচাবেন কী করে?

    Protection From Dengue: রাজ্যে হু-হু করে বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ, নিজেকে বাঁচাবেন কী করে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে (West Bengal) ঊর্ধ্বমুখী ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের গ্রাফ। বৃষ্টির সঙ্গে আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে ও যার জেরে মশার উপদ্রব বেড়েছে। বর্তমানে রাজ্য তথা গোটা দেশেই বাড়ছে মশাবাহিত এই রোগের প্রকোপ।  

    ফি-বছর বর্ষাকালে ভারতের বিপুল সংখ্যক মানুষ ডেঙ্গি রোগে আক্রান্ত হন। শহর হোক বা গ্রাম— মূলত জমা জলে বা বাড়ির আবর্জনা স্তূপেই এই মশা জন্মায়। এডিস ইজিপ্টাই মশা হল ডেঙ্গির বাহক। আবর্জনা স্তূপের জমে থাকা নোংরা জলে এই মশা নিজেদের বংশবৃদ্ধি করে থাকে। অন্যদিকে, ম্যালেরিয়ার বাহক হল অ্যানোফেলেস।

    এডিস মশা বেশিরভাগ দিনের বেলায় কামড়ায়। অপরদিকে ম্যালেরিয়া বাহিত মশাগুলো রাতের বেলায় কামড়ায়। ডেঙ্গিকে আমরা ‘break bone fever’-ও বলে থাকি। কারণ, কোনও মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে রোগীর পেশি এবং গাঁটে ব্যথা হয়। দুর্বল হয়ে পড়ে শরীর। তাই প্রায় প্রতিবছর ভারত সহ দক্ষিণ চিন, মেক্সিকো, তাইওয়ান, মধ্য আমেরিকা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মতো দেশগুলিতে ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। 

    আরও পড়ুন: উৎসবের মুখে রাজ্যে আশঙ্কা ধরাচ্ছে ‘ডেঙ্গি-৩’, কতটা বিপজ্জনক এই ভ্যারিয়েন্ট?

    সারা পৃথিবীতে প্রতি বছরই প্রায় ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ এতে আক্রান্ত হন এবং মৃত্যুর হার প্রায় ২.৫ শতাংশ। এডিস মশা কামড়ালে, রক্তে ডেঙ্গির জীবাণুটি সংক্রমণ হতে ২-৭ দিন সময় লাগে এবং এই সময় শরীরে জ্বর হয়। সাধারণত কামড়ানোর ৪-৫ দিন পর থেকে জ্বরের লক্ষণ দেখা যায়। যদি কোনও ব্যক্তি এই জ্বর থেকে সুস্থ হয়ে ওঠে তাহলে পুনরায় তার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। 

    যেকোনও রোগ থেকে বাঁচার সঠিক উপায় হলো আক্রান্ত হওয়ার আগেই নিজেকে রক্ষা করা।  ডেঙ্গিকে প্রতিরোধ করতে আমাদের বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে—

    মশা তাড়ানোর ক্রিম ব্যবহার করা

    ডেঙ্গির মশা তাড়ানোর জন্য ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে যাতে শরীরে কোনও মশা কামড়াতে না পারে। যদিও অনেকের স্কিন এলার্জি থাকায় সেক্ষেত্রে এই ক্রিম ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

    পোশাক নির্বাচনের দিকটি মাথায় রাখা         

    মশার হাত থেকে বাঁচতে যতটা সম্ভব গা ঢাকা লম্বা হাতা জামা পড়তে হবে। কারণ, মশা শরীরের উন্মুক্ত অংশ বা ত্বকের সন্ধান করে। এছাড়াও, হালকা রঙের পোশাক মশার হাত থেকে বাঁচতে সাহায্য করে।

    আরও পড়ুন: পুজোর আগে দুশ্চিন্তার মেঘ! ফের ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি, কলকাতাতেই আক্রান্ত ৪৫১ জন

    মশা প্রতিরোধক

    বাজারে মশা মারার ইলেকট্রনিক ব্যাট, মশা মারার কয়েল সহ নানা কোম্পানির ইলেকট্রনিক প্রতিরোধক পাওয়া যায়। এই প্রতিরোধকগুলি মশা তাড়ানোর জন্য বাড়িতে সারা দিন চালু রাখা যেতে পারে। এছাড়াও বাড়ির মেঝে পরিষ্কার রাখতে জলে সিট্রোনেলা এবং লেবুর রস যোগ করেও মশাকে তাড়ানো যায়।

    মশার প্রজনন স্থলকে চিহ্নিত করা

    বাড়ির ভিতরে এবং আশেপাশের স্থানগুলি পরীক্ষা করতে হবে। সাধারণত গৃহস্থালির জমা নোংরা জলে মশা বংশবৃদ্ধি হয়ে থাকে। এই সমস্ত স্থানগুলিকে পরিষ্কার করলে মশার বংশবিস্তার লোপ পায়। এছাড়াও বাড়িতে মশারির ব্যবহার করলেও মশার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।

    উপরের নির্দেশগুলি ছাড়াও, আরও বেশ কয়েকটি সতর্কতা পালন করলে মশার হাত থেকে বাঁচা যেতে পারে। ঘরকে সবসময় আলোকিত রাখতে হবে, আলোকিত ঘর থেকে মশা দূরে থাকে। আরেকটি খুব দরকারী পরামর্শ বাড়ির ভিতরে বা বাইরে যদি জায়গা থাকে তাহলে একটি নিম গাছ লাগানো যেতে পারে। নিম গাছ মশার হাত থেকে রক্ষা করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Dengue in Kolkata: উৎসবের মুখে রাজ্যে আশঙ্কা ধরাচ্ছে ‘ডেঙ্গি-৩’, কতটা বিপজ্জনক এই ভ্যারিয়েন্ট?

    Dengue in Kolkata: উৎসবের মুখে রাজ্যে আশঙ্কা ধরাচ্ছে ‘ডেঙ্গি-৩’, কতটা বিপজ্জনক এই ভ্যারিয়েন্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় এই মুহূর্তে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বিপজ্জনক ‘ডেঙ্গি-৩’। ডেঙ্গি ২-র পাশাপাশি আশঙ্কা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি ৩-এর ভ্যারিয়েন্টও। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের ল্যাব থেকে ডেঙ্গি আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় নাইসেডে। নাইসেডের রিপোর্টে উঠে এল চরম উদ্বেগজনক এই তথ্য। এখনও পর্যন্ত ৫০টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩৫টিতেই মিলেছে ডেঙ্গি থ্রি-এর ভাইরাস। নাইসেড আধিকারিক শান্তা দত্ত বলেন, “ডেঙ্গি ৩ বেশি, ৩৫টি ডেঙ্গি থ্রি, ১০টি ডেঙ্গি ২, এক দুটো ডেঙ্গি ওয়ান। ২০১৯-এ ডেঙ্গি ২ বেশি হয়েছিল। এবার ডেঙ্গি থ্রি সব থেকে বেশি।” 

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর আগে যদি কেউ ডেঙ্গি টু দাপট দেখিয়েছিল। ডেঙ্গি টু তে কেউ আক্রান্ত হলে, শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, তা এই ডেঙ্গি থ্রিয়ের মোকাবিলা করতে পারবে না। মাইক্রোবায়োলজিস্ট দেবকিশোর গুপ্তর কথায়, “এটা ৭০ শতাংশ স্যাম্পলে ডেঙ্গি থ্রি পাওয়া গেছে, এটা অ্যালার্মিং, প্লেটলেট কমে না, কিন্তু রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়, এটাই ডেঙ্গি থ্রিয়ের চরিত্র।”

    এতদিন শ্রীলঙ্কা, লাতিন আমেরিকা এবং আফ্রিকার কিছু দেশে ডেঙ্গি থ্রি-র ভ্যারিয়েন্ট প্রভাব দেখা যেত বেশি। এই বছর সিঙ্গাপুরেও ডেঙ্গি থ্রি-এর প্রকোপ দেখা গিয়েছে। সেই বিপজ্জনক ডেঙ্গি থ্রি-এ আক্রান্তের সংখ্যা এখন বাড়ছে বাংলাতেও।

    ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল (Police ommissioner Vinit Goyal Hospitalised)। বুধবার ক্যামাক স্ট্রিটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন নগরপাল। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। শহরে ফের ভয় ধরাতে শুরু করেছে ডেঙ্গি (Dengue in Kolkata)। কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে সাবধান করা হয়েছে শহরবাসীকে। শহরের পরিচ্ছন্নতা বজায়ে অতিরিক্ত নজর দিয়েছে প্রশাসন। 

    আরও পড়ুন: পুজোর আগে দুশ্চিন্তার মেঘ! ফের ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি, কলকাতাতেই আক্রান্ত ৪৫১ জন

    পুলিশ সূত্রে খবর, জ্বরে ভুগছিলেন পুলিশ কমিশনার। পরীক্ষা করালে, রিপোর্টে ডেঙ্গি ধরা পড়ে। তার পরই বুধবার হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

    কলকাতায় ডেঙ্গি সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে শহরবাসীর জন্য সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। ডেঙ্গি আক্রান্তদের প্লেটলেট না কমলেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। রোগীর শরীরে আদ্রতার মাত্রাতেও নজর রাখতে বলেছে স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে বলা হয়েছে, “বমি, মাথা ঘোরার উপসর্গ দেখলেই পরীক্ষা করতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।” 

    দক্ষিণ দমদম, কামারহাটি, শ্রীরামপুর, বিধাননগর, বালি, হাওড়া এলাকায় বাড়তি নজরদারি চলছে। নতুন করে ৫৩৭ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৮৫ জন।

    আরও পড়ুন: আপনি কি দ্বিতীয়বার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হতে পারেন? কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার ডেঙ্গি হয়েছে? 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Dengue in West Bengal: পুজোর আগে দুশ্চিন্তার মেঘ! ফের ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি, কলকাতাতেই আক্রান্ত ৪৫১ জন

    Dengue in West Bengal: পুজোর আগে দুশ্চিন্তার মেঘ! ফের ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি, কলকাতাতেই আক্রান্ত ৪৫১ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন্তা বাড়াচ্ছে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি। এবার করোনার পাশাপাশি নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue in West Bengal)। আক্রান্তের গ্রাফও ঊর্ধ্বমুখী। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। দুশ্চিন্তায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যাও উদ্বেগজনক। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট জেলার সীমান্ত থেকে সুন্দরবন অবধি, ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কপালে ভাঁজ ফেলেছে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। 

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গি মোকাবিলায় হল না সমন্বয়, ডেঙ্গির প্রকোপে তাই জেরবার রাজ্যবাসী! 
          
    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বরূপনগর সারাফুল হাসপাতালে ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। জ্বর নিয়ে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০ জন। সন্দেশখালি ঘোষপুরের হাসপাতালে গতকাল থেকেই আউটডোরে ডেঙ্গি রোগীদের ভিড় বাড়ছে। বেশিরভাগেরই রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গি পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ডেঙ্গি (Dengue) জ্বর নিয়ে ভর্তি অনেকে। হিঙ্গলগঞ্জ সান্ডেলেরবিল ব্লক হাসপাতালে ইতিমধ্যে দুজনের শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকজন জ্বরে আক্রান্ত। ডেঙ্গির ন্যুনতম উপসর্গ দেখলেই পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।   

    কলকাতায় ২৪টা ওয়ার্ডে ৪৫১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত মহানগরীতে মোট ৮০০ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। কলকাতা পুরসভার কাশিপুর, কালীঘাট, পূর্বাচল হালতু শহীদ স্মৃতি, রাজডাঙ্গা, ব্যানার্জি পাড়া, কালমার্কস সরণি, চেতলা হাট, নিউ আলিপুর সহ ২০- ২৫টি এলাকায় নতুন করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে ডেঙ্গি। গতকাল কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে এক মহিলা ডেঙ্গিতে প্রাণ হারিয়েছেন। ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গি ও মাল্টি অর্গান ফেলিওরের উল্লেখ রয়েছে।

    আরও পড়ুন: পুজোর আগে ফের চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি, ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত ৪০১ জন

    ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার কলকাতা পুরসভায় একটি বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বৈঠকের পর মেয়র জানান, ডেঙ্গি প্রতিরোধে ‘‌ফিভার ক্যাম্প’‌ করবে পুরসভা। এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কেন্দ্র সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় কেএমডিএর জমিতে পরীক্ষাকেন্দ্র তৈরি হবে। যেসব সংস্থা ডেঙ্গি টেস্ট করার পর পজিটিভ হলে সরকারকে জানাচ্ছে না ,তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    মেয়র আরও জানিয়েছেন, “যে সমন্ত ওয়ার্ড ডেঙ্গুপ্রবণ, সেইসব ওয়ার্ডেই ফিভার ক্যাম্পগুলি করা হবে। ক্যাম্পগুলিতে ২৪ ঘণ্টা ডেঙ্গি পরীক্ষা করা যাবে। শিশুদের জন্য বেডও থাকবে সেখানে। বেলেঘাটা আইডি ও এমআর বাঙুরে ৮০টা করে বেড থাকবে। দুটি হাসপাতালেই শিশুদের জন্য ১০টি করে সিসিইউ সংরক্ষিত থাকবে।” 

    ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তে চিন্তায় প্রশাসন। জরুরি নাগরিক পরিষেবা বিভাগের ছুটি বাতিলের ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। পুজোর সমস্ত ছুটি বাতিল করা হয়েছে নবান্নের পক্ষ থেকে। বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে পুর ও নগর উন্নয়ন দফতর। স্বাস্থ্য কর্মী ও কঞ্জারভেন্সি বিভাগের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতির মোকাবিলাতেই এই ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত সমস্ত ছুটি বাতিল করেছে নবান্ন। কঠোর ভাবে নির্দেশিকা পালন করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • ED Unearths Huge Cash: যোগ রাজ্যের এক মন্ত্রীরও? এবার পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল নগদ

    ED Unearths Huge Cash: যোগ রাজ্যের এক মন্ত্রীরও? এবার পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল নগদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনা লোন-অ্যাপ (Chinese Loan App) সংক্রান্ত প্রতারণার একটি মামলার তদন্তে নেমে এবার কলকাতার (Kolkata) পরিবহণ ব্যবসায়ীর (Transport Businessman) বাড়িতে খাটের তলা থেকে উদ্ধার হল কোটি কোটি টাকা। এবারও সন্ধানকারী সংস্থার নাম এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। 

    এদিন সকাল থেকেই ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় হানা দেয় ইডি (ED)। মূল তিনটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। একটি পার্ক স্ট্রিট অঞ্চলে, বাকি দুটির একটি মোমিনপুর ও গার্ডেনরিচে। এর মধ্যে, এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, শেষোক্ত জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে রাশি রাশি টাকা। এখনও পর্যন্ত তার বাড়িতে ৭ কোটি টাকা উদ্ধার। ব্যাংক থেকে লোক ডাকা হচ্ছে। প্লাস্টিকের থলিতে মোড়া ৫০০ টাকার অসংখ্য নোটের বান্ডিল পাওয়া গিয়েছে। মিলেছে ২০০০ টাকার নোটের বান্ডিলও।

    আরও পড়ুন: শনিবাসরীয় সকালে কলকাতার তিন জায়গায় হানা ইডি-র, কী উঠে এল?

    শনিবার সকালে গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল গলিতে নিসার খান নামে এক পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশিতে নামে ইডি। এই পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়ির খাটের নীচ থেকে কয়েকটি প্লাস্টিকে মোড়ানো ব্যাগে বিপুল টাকা পাওয়া গেছে। গোনার জন্য মেশিন আনা হচ্ছে। বাড়ির আনাচেকানাচে আরও টাকা রয়েছে কিনা তা দেখতেও তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডি কর্তারা। বাড়ির বাইরে মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এলাকার ঢোকা ও বেরোনোর মুখও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।  

    কে এই নিসার খান? 

    জানা গিয়েছে, নিসার আগে কলকাতা বন্দরে (Kolkata Port) কন্টেনার কাটাইয়ের ব্যবসা করতেন। এখন পরিবহণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। বেশ কয়েক জন নেতা-মন্ত্রীর  টাকা গচ্ছিত থাকে তাঁর কাছে। সেই টাকা ব্যবসায় খাটাতেন তিনি। 

    কী করে নিসারের সন্ধান পেল তদন্তকারীরা?

    মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে সারা দেশে প্রতারণা চক্রের বিরুদ্ধে যে তল্লাশি চলছে সেই সূত্রেই কলকাতার আমির খানের যোগাযোগ পেয়েছে ইডি। আমিরের যোগসূত্রে আসে নিসার খানের সন্ধান। এদিন সকাল সাড়ে আটটা থেকে ওখানে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন ইডি আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন: দুয়ারে ইডি-সিবিআই! জেলে যেতে পারেন? নেতাদের জন্য রইল শরীর ঠিক রাখার টোটকা

    রাজ্যের এক মন্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগ নিসারের?

    সূত্রের খবর, ওই টাকার উৎস কী সেই সংক্রান্ত কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি ওই ব্যবসায়ী। এমনকি, ওই টাকার কোনও বৈধ নথিপত্রও তিনি দেখাতে পারেননি বলে সূত্রের দাবি। সূত্র মারফৎ এও জানা যাচ্ছে, রাজ্য মন্ত্রিসভার এক হেভিওয়েটের সঙ্গে নিসারের ঘনিষ্ঠতার খবর পেয়েছে ইডি। কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরোতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। সবদিক খতিয়ে দেখছে ইডি। 

  • Anubrata Mondal: অনুব্রত-কন্যার কোটি টাকার এফডি ফ্রিজ়, সিবিআই নজরে মা কালীর গয়নার উৎসও

    Anubrata Mondal: অনুব্রত-কন্যার কোটি টাকার এফডি ফ্রিজ়, সিবিআই নজরে মা কালীর গয়নার উৎসও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের (Sukanya Mondal) নামে কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের হদিশ পেল সিবিআই (CBI)। পিতা-পুত্রীর নথিভুক্ত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির খোঁজ মিলেছিল আগেই। বৃহস্পতিবার মিলল নগদ টাকার হদিশ। এদিকে, ফি বছর কালীপুজোর সময় তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) যে মা কালীর বিগ্রহকে প্রচুর পরিমাণ সোনার গয়না পরাতেন, তার উৎস জানতে বোলপুরের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে জেরা করেছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।

    গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। তাঁর নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশও মিলেছে। কেবল তিনি নন, তাঁর প্রয়াত স্ত্রী এবং কন্যা সুকন্যার নামেও পাওয়া গিয়েছে সম্পত্তির হদিশ। তবে এতদিন যা পাওয়া যাচ্ছিল না, তা হল নগদ টাকা। এবার মিলল তার খোঁজও। তবে অনুব্রতর নামে নয়, এক কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের খোঁজ মিলেছে সুকন্যার নামে। বৃহস্পতিবার বোলপুরের ইন্ডিয়ান ব্যাংকের শাখায় যান কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। খতিয়ে দেখেন ব্যাংকের বিভিন্ন নথিপত্র। তখনই নজরে আসে সুকন্যার নামে কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের। তার পরেই ফ্রিজ করে দেওয়া হয় অ্যাকাউন্টটি।

    এদিকে, বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকায় রয়েছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের শাখা। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি গ্রেফতার হওয়ার পরেই ওই শাখার ওপর নজর ছিল সিবিআইয়ের। কারণ এই ব্যাংকেই অ্যাকাউন্ট রয়েছে অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের। ওই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে বছরে কত টাকা লেনদেন হয়েছে, তার খোঁজও এদিন নেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।  

    আরও পড়ুন : কয়লাপাচার কাণ্ডে মলয় ঘটকের বাড়িতে সিবিআই হানা, এবার কি গ্রেফতার রাজ্যের আইনমন্ত্রী? 

    ফি বার দ্বীপান্বিতা অমাবস্যায় ঘটা করে কালী পুজো করেন অনুব্রত। প্রতিবার বিগ্রহকে সাজানো হয় ৫৭০ ভরি সোনার গয়নায়। এই পরিমাণ সোনার গয়নার বর্তমান বাজারমূল্য তিন কোটি টাকার কাছাকাছি। মা কালীর এই গয়না যিনি গড়িয়েছিলেন, সেই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকেও জেরা করেছে সিবিআই। দেখতে চাওয়া হয় এই বিপুল পরিমাণ সোনার গয়নার রসিদও। সব গয়নাই তাঁর কাছে গড়ানো হয়েছিল কিনা, নাকি অন্য আরও কোনও স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকেও বিগ্রহের গয়না কেনা হয়েছিল, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Coal Smuggling: এবার দুধের কন্টেনারে কয়লা, জামুরিয়ায় বিরল পাচারে তাজ্জব পুলিশ

    Coal Smuggling: এবার দুধের কন্টেনারে কয়লা, জামুরিয়ায় বিরল পাচারে তাজ্জব পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই দুধের কন্টেনারে গরু পাচার করার ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল গোটা রাজ্য। ফের একই ঘটনা ঘটল। কিন্তু এবার গরুর বদলে কয়লা। কন্টেনারে করে কয়লা পাচারের (Coal Smuggling) ছক বানচাল করল পশ্চিম বর্ধমানের (East Bardhaman) জামুড়িয়া থানার পুলিশ! এ যেন এক সিনেমার ছক। অবৈধ কয়লা পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে এক জন। 

    পুলিশ সূত্রে খবর, তাদের কাছে কয়েক দিন ধরে খবর আসছিল জামুড়িয়া থানা এলাকা দিয়ে প্রচুর কয়লা পাচার হচ্ছে। সূত্র মারফত খবর পেয়ে নাকা চেকিং শুরু করে পুলিশ। জামুড়িয়া- রানিগঞ্জ রাস্তায় নাকা চেকিং চলাকালীন একটি দুধের কন্টেনার আটকায় পুলিশ। সেই গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা করার সময় ভিতরে কী আছে দেখতে গিয়ে হতবাক হয়ে যায় পুলিশ। দেখা যায়, দুধের কন্টেনারের ভিতরে বস্তা বস্তা কয়লা বোঝাই রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: আভাস ছিল কি, আগেই মলয় ঘটক রাজভবন থেকে কাগজপত্র সরিয়ে ছিলেন কেন?

    কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডে উত্তাল গোটা রাজ্য। ইতিমধ্যেই তদন্তের ভার পেয়েছে ইডি এবং সিবিআই। রাজ্যের তদন্তকারীর সংস্থা সিআইডিও ঘটনা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। রাতদিন তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। কিন্তু আটকানো যাচ্ছে না বেআইনি পাচার।  

    জামুড়িয়া থানার পুলিশ গাড়ির চালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। কোথা থেকে এল কয়লা? কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। এই পাচারের পিছনে কারা রয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। 

    আরও পড়ুন: কয়লাপাচার কাণ্ডে মলয় ঘটকের বাড়িতে সিবিআই হানা, এবার কি গ্রেফতার রাজ্যের আইনমন্ত্রী?

    পাশাপাশি ওই অঞ্চলে আর কোন কোন এলাকায় বেআইনি কয়লার কারবার চলছে সে বিষয়েও খোঁজ চালাচ্ছিল। এ নিয়ে ডিসি সেন্ট্রাল ডক্টর কুলদীপ এসএস বলেন, “পুলিশ সমস্ত থানা এলাকায় প্রত্যেকদিন নাকা চেকিং করে। জামুড়িয়ায় এই কন্টেনার উদ্ধার হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে, কোথা থেকে এই কয়লা নিয়ে আসা হয়েছে এবং কোথায় তা পাচার হচ্ছিল।”

    এর আগে পুরুলিয়ায় দুধের কন্টেনারে গরুপাচারের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ বার দুধের কন্টেনারে কয়লা পাচারের ঘটনায় তাজ্জব পুলিশ। 

LinkedIn
Share