Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: কেন্দ্রের টাকা নয়ছয়, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর 

    Suvendu Adhikari: কেন্দ্রের টাকা নয়ছয়, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বকেয়া অর্থ আদায় করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে দেখা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ঠিক তার পরের দিনই প্রধানমন্ত্রীকে পাঁচ পাতার একটি চিঠি পাঠালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু জানান, পশ্চিমবঙ্গে এই বিশাল আর্থিক দুর্নীতির বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নজরে আনার জন্যই চিঠি লেখা হয়েছে তাঁকে।

    প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে শুভেন্দু লিখেছেন, দিনের পর দিন এই দুর্নীতি চলছে। একশো দিনের কাজ দিয়ে গরিব মানুষকে টাকা দেওয়ার কথা ছিল। অথচ কোনও কাজ না দিয়েই টাকা খরচ করা হয়েছে। আর তা প্রমাণ করতে ভুল শংসাপত্রও দেওয়া হয়েছে। একশো দিনের কাজে বৃক্ষরোপণ করতে গিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগও তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পাঁচ পাতার ওই চিঠিতে তিনি লিখেছেন, নথিতে রাজ্য সরকার দেখিয়েছে হাজার হাজার হেক্টর জমিতে ম্যানগ্রোভ ও অন্য চারা গাছ রোপণ করা হয়েছে। আধিকারিকরা যখন পরিদর্শন করতে যান, তখন রাজ্যের তরফে বলা হয় ইয়াস, আমপান এবং অন্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে চারাগাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা গাছগুলিকে দেখিয়ে দাবি করা হয় একশো দিনের প্রকল্পের অধীনেই সে সব গাছ রোপণ করা হয়েছে। কুলতলি বিধানসভা কেন্দ্র, জয়নগর-২ ব্লক সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কিছু এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।

    আরও পড়ুন : এটা তো সবে ট্রেলার, পুরো সিনেমা এখনও বাকি! ট্যুইটে কাকে বিঁধলেন শুভেন্দু অধিকারী?

    এই দুর্নীতির জন্য রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তিনি লিখেছেন, তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা এই একশো দিনের কাজের প্রকল্পকে টাঁকশালে পরিণত করেছেন।গরিব চাকরি প্রার্থীদের হয় টাকা দেওয়া হয়নি, নয় তো জব কার্ড ছিনিয়ে নিয়েছেন দুর্নীতিগ্রস্ত স্থানীয় নেতারা। ওই চিঠিতেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, অন্য কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের ক্ষেত্রেও একই দুর্নীতি হয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে বদলে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম। বদলে নিজেদের ইচ্ছামতো নাম দিয়েছে। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা তদারকি করতে গেলে রাতারাতি সেসব নামের ফলক, সাইনবোর্ড বদলে দেওয়া হয়েছে। এভাবেই প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার নাম বদলে করা হয়েছে বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনা।

    আরও পড়ুন : “তৃণমূলের ১০০ জনের নাম তুলে দিয়েছি…”, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিকবার বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম রাজ্য সরকার বদলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি নেতারা। এবার কেন্দ্রীয় প্রকল্পে নানা দুর্নীতির অভিযোগও তুললেন শুভেন্দু।

     

  • ED summons 8 IPS Officers: এবার কয়লা কাণ্ডেও সক্রিয় ইডি, তলব ৮ আইপিএস অফিসারকে 

    ED summons 8 IPS Officers: এবার কয়লা কাণ্ডেও সক্রিয় ইডি, তলব ৮ আইপিএস অফিসারকে 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার কাণ্ডে আজই তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI)। এবার কয়লাপাচার কাণ্ডে (Coal Smuggling Scam) ৮ জন আইপিএসকে (8 IPS) তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। সূত্রের খবর রাজ্য পুলিশের এই ৮ আধিকারিককে ১৫ অগাস্টের পর তলব করেছে ইডি।

    আরও পড়ুন: বালি-পাথরের ‘নবগ্রহ’ ইডি-সিবিআইয়ের নজরে, কেষ্টর পর কে কে? 

    তালিকায় রয়েছেন, রাজীব মিশ্র ,সুকেশ জৈন, জ্ঞানবন্ত সিং,শ্যাম সিং, কোটেশ্বর রাও ,এস সেলভামুরগান, তথাগত বসু, ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। জ্ঞানবন্ত সিংকে ডাকা হয়েছে ২২ অগাস্ট, কোটেশ্বর রাওকে ডাকা হয়েছে ২৩ অগাস্ট, শ্যাম সিংকে ডাকা হয়েছে ২৪ অগাস্ট। এছাড়াও এস সেলভামুরগান, রাজীব মিশ্র, সুকেশ জৈন, তথাগত বসু এবং ভাস্কর মুখোপাধ্যায়কে যথাক্রমে ২৫, ২৬, ২৯, ৩০, ৩১ অগাস্ট তলব করেছে ইডি। 

    দিল্লির ইডি দফতরে তলব করা হয়েছে তাঁদের ৷ কয়লাপাচার কাণ্ডে ইতিমধ্যেই আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিংকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ইডি আধিকারিকরা ৷ দিল্লিতে দুবার ও কলকাতায় একবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে ৷ রেকর্ড করা হয়েছে তাঁর বয়ানও৷ এস সিলভা মুরগানকেও এর আগে একবার তলব করেছে কেন্দ্রীয় এই গোয়েন্দা সংস্থা।

    আরও পড়ুন: জুলাই মাসে রাশিয়া ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম কয়লা সরবরাহকারী, বলছে রিপোর্ট 

    ইডি আধিকারিকদের দাবি, কয়লাপাচার কাণ্ডে অন্যান্যদের জেরা করে এই ৮ আইপিএস অফিসারদের নাম উঠে এসেছে ৷ আসানসোল-রানিগঞ্জ, পুরুলিয়া, বাঁকুড়াসহ একাধিক জায়গায় কর্মরত থাকা কালীন এই পুলিশ আধিকারিকদের কাছে কয়লাপাচার সংক্রান্ত কোনও তথ্য ছিল কিনা তা জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে চাইবেন ইডি আধিকারিকরা। যদি জানা থাকে তাহলে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল ? কোনও প্রভাবশালীর নাম তাঁরা জানতেন কি না? ইডির আরও প্রশ্ন থাকবে, জানা থাকলে এবিষয়ে তাঁরা কোনও ব্যবস্থা নিয়েছিলেন কি না? এবিষয়ে কোনও ব্যক্তিকে আজ অবধি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কি না সে বিষয়েও এই আট আধিকারিকের কাছে জানতে চাইবে ইডি। 

    আগেও এই পুলিশ কর্তাদের তলব করা হয়েছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে যে শুধু নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ রয়েছে তাই নয়, সরাসরি পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগও উঠেছে। অভিযোগ, পুলিশের চোখের সামনে দিয়ে লরি করে কয়লা পাচার করা হত। তারপরও পুলিশের মুখ বন্ধ ছিল। মূলত আসানসোল, পুরুলিয়া এলাকাতেই চলত পাচার। 

    এঁদের মধ্যে কেউ তখন ছিলেন জেলার পুলিশ সুপার, কেউ ছিলেন আইসি। তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি, এই পুলিশ কর্তারা ইচ্ছে করেই আটকাননি পাচার। ইডি সূত্রের খবর, ওই পুলিশ আধিকারিকদের কাছে থাকত বিশেষ টোকেন নম্বর, যা দেখে কয়লার গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হত। কার্যত পাচারে সুবিধা করে দেওয়া হত। এমনকি আর্থিক দিক থেকে লাভবানও হতেন এই পুলিশকর্তারা বলে অভিযোগ করেছে ইডি। আগেও একাধিক অফিসারকে এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

    উল্লেখ্য, কয়লাপাচার কাণ্ডে এর আগে দিল্লিতে তলব করা হয় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। 

    এসএসসি দুর্নীতিতে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। পার্থ ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে ৫০ কোটিরও বেশি টাকা উদ্ধার হয়েছে। ওই টাকা এল কোথা থেকে তার তদন্তে নেমেছে ইডি। দশ বার নোটিস এড়ানোর পর আজ গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকে তার বোলপুরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এবার ইডির নজরে রাজ্যের ৮ আইপিএস অফিসার। ফলে রাজ্য সরকার যে যথেষ্ট বিপাকে রয়েছে তা বলাই বাহুল্য। 
        
     

  • By Elections: অশান্তির আঁচ উপনির্বাচনেও, মাথা ফাটল বিজেপি কর্মীর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    By Elections: অশান্তির আঁচ উপনির্বাচনেও, মাথা ফাটল বিজেপি কর্মীর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্তির আঁচ উপনির্বাচনেও!  রবিবার উপনির্বাচন (By Elections) হয় আসানসোল পুরনিগম ও বনগাঁ (Bongaon) পুরসভার দুই ওয়ার্ডে। সকাল থেকে কিছুক্ষণের জন্য নির্বিঘ্নে ভোট হলেও, অশান্তি শুরু হয় তার পরেই। কোথাও বিজেপি (BJP) কর্মীদের মারধর, কোথাও আবার শাসক দলের বাধায় বুথেই বসতে পারলেন না বিজেপির এজেন্ট। আসানসোলে (Asansole) এক বিজেপি কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।

    এদিন উপনির্বাচন হয় আসানসোল পুরনিগমের ছ নম্বর ওয়ার্ডে। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী পুর নিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, কোনও কারণ ছাড়াই বিজেপি কর্মীদের মারধর ও কয়েকজন এজেন্টকে বুথে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে জেকে নাগার মোড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে পদ্ম শিবির। উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুরের বিধায়ক বিজেপির লক্ষ্ণণ ঘোড়ই। বিজেপির অভিযোগ, বাবলু পাসওয়ান নামে তাদের এক কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। লক্ষ্ণণের অভিযোগ, উপনির্বাচনেও শাসক দল সন্ত্রাস চালাচ্ছে, বুথ লুঠ করছে। কিছুক্ষণ বিক্ষোভ প্রদর্শনের পরে লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেয় পুলিশ। এদিকে, মণ্ডলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮২ নম্বর বুথে বিজেপির এজেন্টকে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

    অশান্তি হয়েছে বনগাঁ পুরসভার উপনির্বাচনেও। এদিন ভোট হয় ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডের একটি বুথের বাইরে বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক বিজেপির স্বপন মজুমদারকে নিগ্রহের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাঁর নিরাপত্তারক্ষীকেও ধাক্কা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের অভিযোগ, নিরাপত্তা রক্ষী নিয়ে বিধায়ক এলাকায় ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করছেন। শনিবার বিভিন্ন বাড়িতে ফোন করে তিনি ভয় দেখিয়েছেন বলেও অভিযোগ। ঘটনার প্রতিবাদে এদিন বনগাঁ মহকুমা শাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয় তৃণমূল।

    আরও পড়ুন : ’২৪ সালে মানুষ নরেন্দ্র মোদির পক্ষেই ভোট দেবেন, দাবি সুশীল মোদির

    এদিকে, ওই ওয়ার্ডেরই কেশবলাল বিদ্যাপীঠে ভোট দেখতে যান বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিজেপির অশোক কীর্তনীয়া। তাঁকে দেখা মাত্রই চিৎকার জুড়ে দেন তৃণমূল কর্মীরা। অশোকের দাবি, তিনি ওই বুথেরই ভোটার। উত্তেজনা চরমে পৌঁছলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে সোচ্চার হয়েছে কংগ্রেসও (Congress)। ঘটনার প্রতিবাদে কংগ্রেস প্রার্থী প্রভাস পালের নেতৃত্বে এদিন দুপুরে বাজার মোড় এলাকায় পথ অবরোধ করে সোনিয়া গান্ধির দল। সন্ত্রাসের অভিযোগে পাটার মোডে পথ অবরোধ করে বিজেপিও। ওই একই অভিযোগে রামনগর রোড সংলগ্ন এলাকায় যশোর রোড অবরোধ করে সিপিএম-ও (CPM)।

    আরও পড়ুন : গুজরাট, হিমাচল প্রদেশের সঙ্গেই নভেম্বরে ভোট হবে জম্মু-কাশ্মীরেও?

  • CBI on TET Scam: সিবিআই হেফাজতে আসতে পারেন পার্থ! ১৩১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান 

    CBI on TET Scam: সিবিআই হেফাজতে আসতে পারেন পার্থ! ১৩১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) ইতিমধ্যেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (TET Scam) মামলায় গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI)। তাঁরই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। গতকাল একই মামলায় সিবিআই আটক করেছে ব্যবসায়ী প্রদীপ সিং- কে। 

    আরও পড়ুন: পার্থ-কাণ্ডে এবার উঠে এল এক ব্যাঙ্ক দম্পতির নাম! কালো টাকা সাদা করতে এরাই কি সাহায্য করত ?

    ব্যবসায়ীকে তাঁর নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করার পর তাকে জেরা করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি হাতে পেয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আজ প্রদীপকে আলিপুর সিবিআই আদালতে তোলা হলে তাঁকে সাত দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। আদালতে সিবিআই-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রদীপ সিং এর নাম শান্তি প্রসাদের কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে।    
     
    শান্তি প্রসাদ সিনহা গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন, যারা শিক্ষকের নিয়োগের চাকরির পরীক্ষায় অকৃতকার্য হত বা অনেক পেছনের দিকে নাম থাকত, তাদের নামের তালিকা বানিয়ে দিতেন প্রদীপ। প্রদীপ সরাসরি তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে যোগাযোগ করতেন। গোয়েন্দাদের ধারণা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভালো পরিচয় রয়েছে এই প্রদীপ সিং- এর। 

    আরও পড়ুন: এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গোপন জবানবন্দি দিচ্ছেন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা?

    সিবিআই এর পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, “এটি একটি বড় ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে ছোট দালাল থেকে বড় মাথা সবাই যুক্ত। কেউ নিস্তার পাবে না।” তাহলে কী এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও হেফাজতে (Custody) নেবে সিবিআই? ইডির থেকে হাত বদলি হয়ে পার্থ যাবেন সিবিআই- এর ডেরায়? এখন এই নিয়েই রাজ্যজুড়ে জল্পনা তুঙ্গে। 

    অপরদিকে ইডি (ED) যত পার্থ মামলার গভীরে ঢুকছে ততই নতুন নতুন দুর্নীতির খবর সামনে আসছে। আর  সন্ধান মিলছে পার্থ-অর্পিতার বিপুল সম্পত্তির। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া নগদ টাকা, সোনা-গয়না এবং দুটি সংস্থার নামে সম্পত্তি ও  ১৩১টি অ্যাকাউন্টে লেনদেনের ভিত্তিতে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু সম্পত্তি এখানেই শেষ একথা মানতে নারাজ গোয়েন্দারা।  তদন্তকারীদের দাবি, দুর্নীতির শিকড় আরও অনেক গভীরে। সেখানে পৌঁছলে, এই সম্পত্তি ও টাকার অঙ্ক ৩০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। গোয়েন্দাদের আরও দাবি, শুধু পার্থ-অর্পিতাই নন, চাকরি দুর্নীতির টাকার ভাগ পেয়েছেন রাজ্যের আরও বেশ কিছু প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • CBI Raids Rice Mill: কেষ্ট যোগ! ভোলে ব্যোমের পর শিবশম্ভু রাইস মিলে হানা সিবিআইয়ের, কী মিলল?

    CBI Raids Rice Mill: কেষ্ট যোগ! ভোলে ব্যোমের পর শিবশম্ভু রাইস মিলে হানা সিবিআইয়ের, কী মিলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এর আগেই অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ‘ভোলে ব্যোম’ রাইস মিলে (Rice Mill) হানা (Raid) দিয়েছিল সিবিআই (CBI)। হাতে এসেছিল বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি। সেখান থেকেই মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল এবং প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডলের নামে থাকা একাধিক সম্পত্তির নথি, দামী ৫ গাড়ি এবং একাধিক ডাম্পারের খোঁজ পেয়েছিল সিবিআই। এবার সোমবার সকালে অনুব্রতর ঘনিষ্ঠের রাইসমিল ‘শিব শম্ভুতে’ (Shiv Shambhu) পৌঁছে যান সিবিআই আধিকারিকরা। বোলপুরের শিব শম্ভু রাইসমিল প্রথম থেকেই সিবিআইয়ের স্ক্যানারে ছিল। আজ সেখানে দ্বিতীয়বারের জন্য হানা দিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, সিবিআই-এর দলের সঙ্গে রয়েছেন এফসিআই (FCI)-এর দুই আধিকারিক।  রাইস মিলে ঘুরপথে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের টাকা খাটানো হত কি না, সেটাই খতিয়ে দেখতে চায় সিবিআই। 

    আরও পড়ুন: বোলপুরে ফের সিবিআই হানা, এবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ পুরকর্মীর বাড়িতে তদন্তকারীরা

    জানা গিয়েছে, সিবিআই- এর হাতে তথ্য রয়েছে, এই সব রাইস মিল সরাসরি অনুব্রত মণ্ডলের নামে না থাকলেও অংশিদারিত্ব রয়েছে তাঁর। তার ভিত্তিতেই এই তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। শিব শম্ভু রাইস মিলে গিয়ে এ দিন নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে কথা বলছেন সিবিআই আধিকারিকরা।  

    বোলপুরের এই রাইস মিলটির দরজায় লেখা রয়েছে, ‘কেয়ার অব জে বি পাল অ্যান্ড ডি ডি পাল রাইস মিল’। কিন্তু বীরভূম রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের নথিতে এই মিলের মালিক হিসেবে নাম রয়েছে কমল কান্তি ঘোষের। নথি অনুযায়ী ২০১২ সালে লিজ নেওয়া হয়েছিল এই মিল। এই কমল কান্তি ঘোষ হলেন অনুব্রত মণ্ডলের ভগ্নিপতি অর্থাৎ অনুব্রতর বোন শিবানি ঘোষের স্বামী। এদিকে কিছুদিন আগেই কমল কান্তি নিজে জানিয়েছিলেন, তাঁর কোনও রাইস মিল নেই। তাহলে এই মিলের আসল মালিক কে? তা নিয়ে এখন উঠছে প্রশ্ন।

    আরও পড়ুন: ‘‘অনুব্রত ওয়েব সিরিজের সবে প্রথম ও দ্বিতীয় এপিসোড বেরিয়েছে…’’, খোঁচা সুকান্তর

    এই প্রসঙ্গে কমল কান্তির ছেলে রাজা ঘোষ বলেন, “আমার বাবার নামে ওই রাইস মিল, আমি এই প্রথম শুনলাম। আমার সঙ্গে বাবার দুবছর কোনও সম্পর্ক নেই। আমি কিছু জানিনা। বাবাকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করুন।”     

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিগত বেশ কিছুদিন ধরে বন্ধ রয়েছে এই রাইস মিল। অনেকেই মনে করছেন ইতিমধ্যেই মিলের মালিকানা বদল হয়েছে। 

    প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই ভোলে ব্যোম রাইস মিলে তল্লাশি চালায় সিবিআই। সেই রাইস মিলের গ্যারাজে দেখা যায় একাধিক বহুমূল্য গাড়ি। গাড়িগুলির মালিক কে তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। এ ছাড়া ওই মিলের নামে কোটি টাকার গাড়ির ডিল হয়েছিল বলেও জানতে পেরেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।   

    সূত্রের খবর, বীরভূমের আরও ১০টি রাইস মিলের দিকে নজর রয়েছে সিবিআইয়ের। সেই মিল গুলিতেও প্রয়োজনে তল্লাশি চালানো হতে পারে।  

  • Gyanwant Singh: কয়লাপাচার মামলায় ইডির দফতরে হাজিরা এড়ালেন জ্ঞানবন্ত! কীসের ভয়?

    Gyanwant Singh: কয়লাপাচার মামলায় ইডির দফতরে হাজিরা এড়ালেন জ্ঞানবন্ত! কীসের ভয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লাপাচার কাণ্ডে সোমবার দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) সদর দফতরে হাজিরা এড়ালেন রাজ্য পুলিশের এডিজি এসটিএফ জ্ঞানবন্ত সিং (ADG STF Gyanwant Singh) ৷  এ দিন সকাল ১১ টায় দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু হাজিরা দেননি তিনি। 

    এডিজি এসটিএফ জ্ঞানবন্ত সিং-কে এর আগেও দিল্লিতে তলব করা হয়েছিল। ইডির দফতরে হাজিরাও দিয়েছিলেন তিনি। ইডি সূত্রের খবর, বাংলায় যখন রমরমিয়ে কয়লাপাচার চক্র কাজ চালাচ্ছিল, সেই সময় রাজ্যের এডিজি আইনশৃঙ্খলা পদে ছিলেন এই জ্ঞানবন্ত। তাঁর নজর এড়িয়ে কীভাবে কোটি কোটি টাকার কয়লাপাচার হল, তা জানতে চাইছে ইডি ৷ সূত্রের খবর, কয়লাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালাকে জেরা করেই জ্ঞানবন্তের নাম জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তারপরই তাঁকে তলব করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: কয়লা কাণ্ডেও সক্রিয় ইডি, তলব ৮ আইপিএস অফিসারকে

    শুধু জ্ঞানবন্ত নয়, রাজ্যের মোট আটজন আইপিএস অফিসারকে তলব করেছে ইডি। যাঁদের তলব করা হয়েছে, সেই তালিকায় জ্ঞানবন্ত ছাড়াও রয়েছেন আইপিএস শ্যাম সিং, রাজীব মিশ্র, তথাগত বসু, সুকেশ জৈন, ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, এস সেলভামুরুগন ও কোটেশ্বর রাও। তাঁরা প্রত্যেকেই বিভিন্ন ওই সময় কোনও না কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। এদের মধ্যে কেউ সেই সময় ছিলেন ডিআইজি, কেউ আইজি, কেউ পুলিশ সুপার। তাঁরা কি কয়লা পাচারের ব্যাপারে ওয়াকিবহাল ছিলেন? পুলিশ আধিকারিকদের সামনে দিয়ে কী ভাবে পাচার হত? তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।

    জ্ঞানবন্ত পশ্চিমাঞ্চলের আইজিও ছিলেন। পশ্চিমাঞ্চলের বিরাট এলাকা জুড়ে এই কয়লা চুরি রমরমিয়ে চলে বলে জানতে পারেন তদন্তকারী অফিসারেরা। কীভাবে তাঁর নজর এড়িয়ে কয়লাপাচার হল? দায়িত্ববান পুলিশ আধিকারিক হয়েও কেন আইনি পদক্ষেপ নেননি তিনি? কয়লাপাচার হচ্ছে, এই খবর তিনি কি জানতেন না? এমন একাধিক প্রশ্ন রয়েছে ইডির কাছে, বলে খবর। এই মামলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর স্ত্রী রুজিরাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি।

  • Belur Math: জন্মাষ্টমীর ভোরে খুঁটি পুজো ও কাঠামো পুজো বেলুড় মঠে, দুর্গা পুজোর শুভারম্ভ

    Belur Math: জন্মাষ্টমীর ভোরে খুঁটি পুজো ও কাঠামো পুজো বেলুড় মঠে, দুর্গা পুজোর শুভারম্ভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মাষ্টমীর ভোরে বেলুড় মঠের দুর্গা পুজোর শুভ সূচনা হল। নিয়ম মাফিক প্রতি জন্মাষ্টমীর সকালে দেবী দুর্গার কাঠামো পুজো এবং মন্ডপের খুঁটি পূজার শুভারম্ভ হয় এই দিনটিতে। গত দুবছর করোনার কারণে মহা পুজোর সমারোহে খামতি থাকলেও এ বছর সব সুদে মূলে উসুল করে নিচ্ছে বেলুড় মঠ (Belur Math)।  

    ভোরে মূল মন্দিরে মঙ্গলারতির পর মন্দিরের ভিতরে শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেবের মূর্তির পাশেই শুরু হয় কাঠামো পুজো। ফুল ধুপ বৈদিক মন্ত্রাচরণ সন্ন্যাসীদের সমবেত প্রার্থনা দিয়ে দেবীর কাঠামোকে পূজা করা হয়। বস্তুতপক্ষে দেবীর এটি স্থায়ী কাঠামো। প্রতিবার দশমীতে গঙ্গায় বিসর্জিত হওয়ার পর সেটি গঙ্গা থেকে তুলে এনে রাখা হয় এবং সেটিতেই দুর্গার মূর্তি তৈরি করা হয়। এক কথায় আজ থেকেই বেলুড় মঠে দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল।

    আরও পড়ুন: নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়ে রূপ নিচ্ছে সাইক্লোনের, আপনার জেলাতেও কি আছড়ে পড়বে ঝড়?

    বেলুড় মঠের স্বামী ভক্তিপ্রিয়ানন্দজি মহারাজ বলেন, ‘‘সাধারণত জন্মাষ্ঠমী তিথিতে এই কাঠামো পুজোর প্রচলন আছে৷ বেলুড় মঠের কাঠামো পুজো হয় জন্মাষ্ঠমীর এই তিথিতেই৷ এবার শ্রীকৃষ্ণের জন্মোৎসব যেটা, সেটা গতকাল পালন করেছি৷ আজ কাঠামো পুজো শুরু হয়ে গিয়েছে ৭.১৫ থেকে৷ প্যান্ডেলের খুঁটি পোঁতা এবং পুজোও হবে মাঠে৷ বিগত দু’বছর করোনার জন্য বন্ধ ছিল৷ এবার বাইরে আগের মতো পুজো হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ সেখানেও কাঠামো পুজোর মতোই খুঁটি পুজো হবে৷ আমাদের সব কাজ যাতে সুষ্ঠুভাবে সুসম্পন্ন হয়, সেজন্য মায়ের কাছে প্রার্থনা৷’’ তিনি বলেন, ‘‘এবার সবকিছু আগের মতো হবে৷ ২০১৯ সালে এবং তার আগেও যেভাবে দুর্গা পুজো হয়েছে, এবারও সেভাবেই হবে৷ নবপত্রিকার স্নান থেকে আরম্ভ করে কুমারী পুজো, সন্ধি পুজো, নবমীর হোম বাকি সবকিছু আগের মতোই হবে বলে মনস্থ করা হয়েছে৷’’

    আরও পড়ুন: ফের মুম্বইয়ে জঙ্গি-নাশকতার ছক! মিলল অস্ত্রবোঝাই নৌকা, কী বলছেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী

    করোনা নামক অতিমারির জন্য গত বছর ধরে সেভাবে দুর্গা পুজোর আয়োজন করা হয়নি বেলুড় মঠে (Belur Math)৷ এখন করোনার আগের রূপ অনেকটাই স্থিমিত৷ সরকারের তরফে বিধিনিষেধও তুলে নেওয়া হয়েছে৷ ফলে এবছর শারদোৎসবের সবই আগের মতো হবে বেলুড় মঠে৷ সেইমতোই জন্মাষ্ঠমীর দিন প্রথামাফিক কাঠামো পুজোর পাশাপাশি খুঁটি পুজোও করা হল এখানে৷

  • SSC Scam: ১৪ দিনের জেল হেফাজত পার্থ-অর্পিতার! কেউ ছাড় পাবে না,  প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নিশানায় কারা?

    SSC Scam: ১৪ দিনের জেল হেফাজত পার্থ-অর্পিতার! কেউ ছাড় পাবে না, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নিশানায় কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Teacher Recruitment) আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজত পার্থ-অর্পিতার। এদিন নির্দেশ মতোই আদালত কক্ষে পেশ করা হয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee)। সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী এদিন আদালতে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতির কথা উল্লেখ করে জামিনের আবেদন করেন। সূত্রের খবর, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী নিজেও হাত জোড় করে জামিনের আবেদন জানান। কিন্তু তা খারিজ করে দেন বিচারপতি। তবে এদিন অর্পিতা মুখোপাধ্যায় বা তাঁর আইনজীবী জামিনের কোনও আবেদন জানাননি।

    ৫ অগাস্ট SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ এবং অর্পিতাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের রায় দেয় ব্যাঙ্কশাল আদালত। ১৪ দিন পর এদিন আদালতে পেশ করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। আদালতে পার্থের আইনজীবী জানান, পার্থের হিমোগ্লোবিন কম। তাঁর শরীরে ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ বেড়েছে। একা চলাফেলার ক্ষেত্রেও তাঁর অসুবিধা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পার্থের আইনজীবী। এর প্রেক্ষিতে ইডির আইনজীবী জানান, এই বয়সে এগুলি স্বাভাবিক। তাঁর পাল্টা দাবি, পার্থ তদন্তে সহযোগিতা করেননি। পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে বিপুল অর্থের উৎস সম্পর্কেও মুখ খোলেননি প্রাক্তন মন্ত্রী। ইডি প্রথমে ৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কথা জানালেও পরে আরও ১০টি অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে বৃহস্পতিবার দাবি করেছে ইডি। পার্থের স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের নামে একটি ট্রাস্টের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এই ট্রাস্টের নামে একটি ‘ইন্টারন্যাশনাল স্কুল’ আছে বলে আদালতকে জানিয়েছেন ইডি-র আইনজীবী। এই ট্রাস্টের মাধ্যমে টাকা তছরুপ করা হত বলেও দাবি করেছে ইডি।

     
    এদিন আদালতের প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে পার্থের মন্তব্য ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, “কেউ ছাড়া পাবে না।” যা নিয়ে শুরু হয়েছে প্রবল জল্পনা। কিছুটা বিরতি নিয়ে তাঁর সংযোজন, “সময়ে সব কিছু প্রমাণ হবে।” তবে এই ‘কেউ’ বলতে তিনি কাদের দিকে ইঙ্গিত করলেন, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি পার্থ। শুধুমাত্র সময়ে প্রমাণ হবে বলেই জোরালো ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন। ফলে আদালতে দাঁড়িয়ে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তন মন্ত্রীর এমন মন্তব্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
  • Suvendu Adhikari: আদালতে স্বস্তি শুভেন্দুর! বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে আনা জনস্বার্থ মামলা খারিজ করল হাইকোর্ট

    Suvendu Adhikari: আদালতে স্বস্তি শুভেন্দুর! বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে আনা জনস্বার্থ মামলা খারিজ করল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষে রায় দিল আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে যে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল, তা বুধবার খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সারদা মামলায় শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়ে ওই জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলা খারিজ করেছে।

    ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেন জেল থেকে লেখা চিঠিতে দাবি করেছিলেন, শুভেন্দু তাঁর কাছ থেকে ‘বেআইনি ভাবে’ টাকা নিয়েছেন। এই চিঠিকে সামনে রেখেই নন্দীগ্রামের বিধায়কের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিল তৃণমূল। শুভেন্দু পাল্টা দাবি করেছিলেন, রাজনৈতিক চাপের মাধ্যমে সারদা-কর্তাকে দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ আনা হচ্ছে। সারদা-তদন্তে শুভেন্দু অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে সম্প্রতি একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি দায়ের করেছিলেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। বুধবার এই মামলা খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।

    আরও পড়ুন: কেন অনুব্রতর বাড়িতে ডাক্তার? হাসপাতাল সুপারকে ধমক স্বাস্থ্য কর্তার, দায় নেবে না নবান্ন

    সম্প্রতি আদালতে তোলার সময়ও সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন দাবি করেন, প্রথম চিঠিতে মুকুল রায়, অধীর চৌধুরীর নাম দিয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় চিঠিতে শুভেন্দু অধিকারীর নাম দেন। শুধু তাই নয়, শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর নামও বলেছিলেন সুদীপ্ত। তিনি দাবি করেন, কন্টাই পুরসভায় একটা বিল্ডিং করেছিল সারদা। আর তাতে সৌমেন্দু অধিকারী পুরোপুরি জড়িত ছিলেন বলে জানান সুদীপ্ত সেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, শুভেন্দু অধিকারী তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন অনেকবারই, তাঁকে ব্ল্যাকমেল করতেন বলেও অভিযোগ।

    বিরোধী দলনেতা বারবারই দাবি করেছেন, তাঁকে মিথ্যা জড়ানো হয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে তাঁকে। শুভেন্দুর আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার এদিন বলেন, ‘‘প্রায় ন’বছর আগে ঘটনাটি ঘটেছে। অথচ বিধানসভা নির্বাচনের আগে ওই চিঠি লিখেছিলেন সুদীপ্ত। ফলে ওই চিঠির পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে কি না, দেখতে হবে।’’ সিবিআইয়ের আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী আদালতকে জানান, তদন্ত চলছে। তদন্তকারী সংস্থার আতশকাচের তলায় অনেকেই রয়েছেন। প্রয়োজনে সকলকে ডাকা হবে। মঙ্গলবার এই মামলাটির রায়দান স্থগিত রেখেছিল হাইকোর্ট। বুধবার এই সংক্রান্ত মামলাটি খারিজ করে দিল উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ।

  • Partha Chatterjee: ‘টাকা মাটি মাটি টাকা’! সেলে পার্থর হাতে কথামৃত! ফিরবে চৈতন্য?

    Partha Chatterjee: ‘টাকা মাটি মাটি টাকা’! সেলে পার্থর হাতে কথামৃত! ফিরবে চৈতন্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসি নেই। রয়েছে পাখা। গদিওয়ালা বিছানা নেই। রয়েছে একটা চৌকি। অ্যাটাচড বাথ নয়, সেলের এক কোণে দেওয়াল তুলে ঘেরা জায়গায় রয়েছে শৌচালয়। প্রেসিডেন্সি জেলে সাধারণ বন্দিদের মতোই দিন কাটাচ্ছেন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। 

    আর একাকী সেলে তাঁর সময় কাটছে বই পড়ে ও জেলের অভিজ্ঞতা লিখে। সে কারণে বাড়ি থেকে প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে দুটি বই। লেখালেখি করে বই পড়ে জেলের দিন কাটছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তাঁর সেল ব্লকে আসছে বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি সহ মোট ৮টি করে সংবাদপত্র। যদিও সেদিকে নজর নেই তাঁর। সংবাদপত্র থেকে বেশ কিছুদিন ধরেই মুখ ফিরিয়েছেন পার্থ।

    আরও পড়ুন: কেন অনুব্রতর বাড়িতে ডাক্তার? হাসপাতাল সুপারকে ধমক স্বাস্থ্য কর্তার, দায় নেবে না নবান্ন

    সেলের বাইরে যখন হাঁটাহাঁটি করছেন তখন কোনও কটূক্তি যেন ধেয়ে না আসে বা কেউ তাঁকে বিরক্ত যেন করতে না পারে তাই সর্বক্ষণ সঙ্গে রয়েছেন দুজন কারারক্ষী। নিরাপত্তায় তাঁর সেলের বাইরেই রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরাও। সাধারণের মতো জেলে থাকলেও মাঝে মধ্যেই পার্থর দিনযাপনে আসছে আবদারও। গতকাল চপ ও বেগুনি খেতে চেয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। কারা দফতর সূত্রে খবর ডাল, ভাত, তরকারি ও মাছ দিয়েই মধ্যাহ্নভোজ সারছেন তিনি।

    গত শুক্রবার ইডির হেফাজত থেকে আদালতের নির্দেশে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে এসেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রথমদিকে সংশোধনাগারে তাঁর নানান বায়না থাকলেও বর্তমানে সাধারন বন্দিদের মতোই দিন কাটাচ্ছেন রাজ্যের এই প্রাক্তন মন্ত্রী। তিনি জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবদার করেছিলেন খাতা ও কলম দেওয়ার জন্য। কারণ তিনি লিখবেন জেলের প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা। 

    আরও পড়ুন: পার্থ-অনুব্রত কাণ্ডের জের! “সবাই চোর নয়”, সাফাই আতঙ্কিত তৃণমূলের

    সেই মতো পার্থকে দেওয়া হয়েছে খাতা কলম। তাঁর আইনজীবী সুকন্যা ভট্টাচার্যকে অনুরোধ করেছিলেন সময় কাটানোর জন্য বই পাঠাতে। সেই মতো পার্থর বাড়ি থেকে সুকন্যা জেলে এনে দিয়েছেন শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণের কথামৃত ও মহাশ্বেতা দেবীর লেখা বাংলা সাহিত্য অমনিবাস। 

LinkedIn
Share