Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • SSC Scam: এসএসসি দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রসন্নর চার দিনের সিবিআই হেফাজত

    SSC Scam: এসএসসি দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রসন্নর চার দিনের সিবিআই হেফাজত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ ঘনিষ্ঠ প্রসন্ন রায়কে চার দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বিশেষ আদালত। ৯ সেপ্টেম্বর আবার হাজিরা দেওয়ার কথা প্রসন্নর। ২৬ অগস্ট নিউটাউন থেকে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হন প্রসন্ন কুমার রায়। শিক্ষা দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত এসএসসি-র (SSC Scam তৎকালীন উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহা এবং মিডলম্যান প্রদীপ সিং-কে জিজ্ঞাসাবাদ করে নিউ টাউনের এই কোটিপতি প্রসন্ন রায়ের হদিশ পায় সিবিআই (CBI custody)। সেই মতোই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ।

    আরও পড়ুন: সামান্য রং-মিস্ত্রি থেকে দুবাইয়ে হোটেল-মালিক! পার্থ-ঘনিষ্ঠর উল্কাবেগে উত্থানে তাজ্জব সিবিআই

    সোমবার, সকালে তাকে সিবিআইয়ে বিশেষ আদালতে তোলা হলে আদালতের তরফে তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়নি। সিবিআইয়ের আইনজীবী তাঁকে আরও  জিজ্ঞাসাবাদ করার আর্জি জানায়। আদালতে সিবিআইয়ের তরফে বলা হয়, এসএসএসি নিয়োগ দুর্নীতিতে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির হাত রয়েছে। বহু টাকার বেআইনি লেনদেন হয়েছে। তদন্তে উঠে আসছে অনেকের নাম। কয়েকজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। তাই তাঁরা আরও পাঁচদিনের জন্য প্রসন্নকে নিজেদের হেফাজতে চায়। এমনকি প্রসন্ন রায় তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বলেও সিবিআইয়ের তরফে অভিযোগ করা হয়। সিবিআইয়ের আর্জি মেনে আদালত প্রসন্নকে চারদিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠায়।

    আরও পড়ুন: অর্পিতার মতো প্রসন্নরও রয়েছে ফিল্মি-যোগ? পার্থ-ঘনিষ্ঠদের ‘অপ’-কর্মেও মিল!

    অভিযোগ, সল্টলেকে প্রসন্নর একটি গাড়ি ভাড়ার অফিস রয়েছে। সূত্রের খবর, এই অফিস থেকেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের একাধিক তথ্য এবং নথি উদ্ধার করেছে। সিবিআই গোয়েন্দাদের দাবি, এই অফিসেই বসেই নাকি হত এসএসসি কাণ্ডের টাকার লেনদেন।  তদন্ত করে সিবিআই জানতে পেরেছে, প্রায়ই রাতে একাধিক গাড়ি করে আসত টাকা। সেই টাকা কোথা থেকে আসত, কে পাঠাত, কোথায় যেত, কার কাছে যেত— এই সব প্রশ্নের উত্তর বিশদে জানতে প্রসন্নকে আরও কিছুদিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছে সিবিআই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Durga Puja Donation: বকেয়া নেই সরকারি কর্মীদের  মহার্ঘ ভাতা! পুজো অনুদান মামলায় দাবি রাজ্যের

    Durga Puja Donation: বকেয়া নেই সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা! পুজো অনুদান মামলায় দাবি রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কোনও মহার্ঘ ভাতা (DA)বকেয়া নেই। মঙ্গলবার পুজো অনুদান মামলায় হাই কোর্টে হলফনামা দিয়ে এমনটাই জানাল রাজ্য সরকার। রাজ্যের ৪৩ হাজার দুর্গাপুজো কমিটিকে আসন্ন পুজো উপলক্ষে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। মামলাকারীদের দাবি, যেখানে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বাকি রয়েছে, সেখানে পুজো কমিটিকে অনুদান দেওয়া ঠিক নয়। এ প্রসঙ্গেই রাজ্য সরকারের তরফে এদিন হাই কোর্টে হলফনামা পেশ করা হয়। 

    রাজ্যের কাছে কোনও মহার্ঘ ভাতা বকেয়া নেই। তাই এই মামলার গ্রহণযোগ্যতাও নেই। কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা এবং পূজোর অনুদান দুটি সম্পূর্ন আলাদা বিষয়। দুটিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসে অভিযোগ করা যায় না। অনুদান নিয়ে এদিন আদালতে রাজ্য বেশ কয়েকটি যুক্তি দিয়েছে। রাজ্যের মতে, কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা এবং পূজোর অনুদান দুটি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। দুটিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসে অভিযোগ করা যায় না। রাজ্য সরকার পূজো কমিটিগুলোকে বিদ্যুৎ বিলে কোনও ছাড় দিচ্ছে না। পুজো সংক্রান্ত অনুদানের জন্য ২০১৮ সাল থেকেই “পুলিশ ” অনুশীর্ষে অর্থাৎ ” সেফ ড্রাইভ ও সেভ লাইফ” খাতে অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রের অবস্থান জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    সংবিধান অনুযায়ী রাজ্য সরকার মনে করলে জনগণের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারে। এতে কোনও বাধা নেই। ইউনেস্কোর তরফ থেকে দুর্গাপূজোকে হেরিটেজ তকমা দেওয়া হয়েছে। এটা রাজ্যের তথা দেশের জন্যও গর্বের বিষয়।  সংবিধানের 51A ধারা অনুযায়ী হেরিটেজ রক্ষা করার দ্বায়িত্ব দেশের প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে এবং রাজ্য সরকারের কাছে প্রত্যাশা করা হয় যেন তারা এগুলিকে সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করে। তাই দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে উৎসবকে মসৃণ ভাবে পরিচালনা করার জন্য এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়। কোনও নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে উৎসাহিত করার জন্য এই অর্থ বরাদ্দ হয় না। তাই সব দিক বিবেচনা করলে এই মামলা করার কোনও গ্রহণযোগ্য অবস্থান মামলাকারীর নেই।

  • TMC Corruption: এবার তৃণমূল পুর-চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে উদ্ধার ৮০ লক্ষ নগদ! কে এই রাজু সাহানি?

    TMC Corruption: এবার তৃণমূল পুর-চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে উদ্ধার ৮০ লক্ষ নগদ! কে এই রাজু সাহানি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), কেষ্ট মণ্ডলের (Anubrata Mondal) কাণ্ডের রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই এবার আরেক তৃণমূল নেতার বাড়ি থেক উদ্ধার হল বাণ্ডিল বাণ্ডিল টাকা। ফিরে এল ইডি হানায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া কোটি কোটি টাকার স্মৃতি। এই ঘটনায় নতুন চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যে। 

    ফের প্রকাশ্যে শাসক দলের আরেক কীর্তিমান। শুক্রবার, হালিশহর পুরসভার (Halisahar Municipality) চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল (TMC) নেতা রাজু সাহানির (Raju Sahani) নিউটাউনের ফ্ল্যাটে হানা দেয় সিবিআই। সেখান থেকেই প্রায় নগদ ৮০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। এরপরই রাজু সাহানিকে গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI)।

    আরও পড়ুন: মমতার ‘গদ্দার’ কটাক্ষের জবাব দিলেন শুভেন্দু, কী বললেন জানেন?

    কে এই রাজু সাহানি? হালিশহরের এক সময়ের দাপুটে সিপিএম নেতা ছিলেন লক্ষ্মণ সাহানি। ১১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দু’বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। রাজু হলেন সেই লক্ষ্মণ সাহানির ছেলে। কয়েকবছর আগে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন লক্ষ্মণ। সেইসঙ্গে দলবদল করেন ছেলেও। স্রেফ প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা নন, তিনি এখন হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যানও। সিবিআই সূত্রের খবর, গত কয়েক দিন ধরে পুরসভার আসছিলেন না রাজু। কলকাতায় নিজের ফ্ল্যাটে কার্যত গা-ঢাকা দিয়েছিলেন। 

    কেন সিবিআই রেডারে চলে আসেন রাজু? সিবিআই সূত্রে খবর, সনমার্গ কো অপারেটিভ চিটফান্ড মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন তৃণমূল পরিচালিত হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান। রাজু সাহানি দীর্ঘদিন ধরেই ওয়াচ লিস্টে ছিল। অভিযোগ, সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে বর্ধমান সনমার্গ ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন চিটফান্ড থেকে প্রচুর টাকা ‘প্রটেকশন মানি’ হিসাবে নিয়েছেন রাজু সাহানি। মাঝে মাঝেই তার কাছে পৌঁছে যেত মোটা টাকার বাণ্ডিল।

    আরও পড়ুন: প্রকল্প ছিল কেন্দ্রের, রূপ দিয়েছিলেন তপতী গুহ-ঠাকুরতা, দুর্গাপুজোর ইউনেস্কো স্বীকৃতির নেপথ্যে এঁরাই?

    কী মিলেছে তল্লাশি থেকে? শুক্রবার কলকাতার নিউটাউনের ফ্ল্যাট থেকেই রাজুকে গ্রেফতার করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় নগদ ৮০ লক্ষ টাকা। ধৃতকে নিয়ে আসা হয় হালিশহরে। সেখানকার বাড়ি থেকে কয়েক কোটি টাকা সম্পত্তি ও একটি দেশি পিস্তল পাওয়া যায়। এমনকী তাইল্যাণ্ডের ব্যাংক একাউন্টের হদিশও মিলেছে। দাবি, সেই ব্যাংক একাউন্টে রয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা।
     
    সাম্প্রতিককালে, শাসক দলের একের পর এক নেতার বিরুদ্ধে উঠেছে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ। পার্থ ও তাঁদের ঘনিষ্ঠদের বাড়ি থেকে বিপুল নগদ থেকে শুরু করে প্রচুর নামী-বেনামী সম্পত্তির হদিশ উঠে এসেছে ইডি-সিবিআইয়ের (ED-CBI) হাতে। পার্থ, অনুব্রত ও তাঁদের ঘনিষ্ঠরা এখন শ্রীঘরে। তাঁদের বিরুদ্ধে চলছে মামলা। তার মধ্যেই শাসক দলের আরেক মূর্তিমানের আবির্ভাব ঘটায় রাজ্য রাজনীতিতে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে। শনিবার রাজুকে আসানসোল সিবিআই আদালতে পেশ করা হলে, তাঁকে পাঁচদিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়ে দেন বিচারক। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Baguiati Students Murder: বাগুইআটিতে জোড়া খুন, নিহত দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী

    Baguiati Students Murder: বাগুইআটিতে জোড়া খুন, নিহত দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাগুইআটিতে অপহরণের (Baguiati Twin Kidnapping and Murder) পরে দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ। বাসন্তীরই দুই পৃথক জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয় অপহৃত দুই ছাত্রের মৃতদেহ। মৃতদের নাম অভিষেক নস্কর ও অতনু দে। নয়ানজুলিতে তাদের দেহগুলি পাওয়া যায়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে, মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী-সহ ২ জন এখনও ফেরার। পুলিশের দাবি, অপহরণের পর চলন্ত গাড়িতেই ওই দুই ছাত্রকে খুন করা হয়। 

    ২২ অগাস্ট বাগুইআটির জগত্‍পুর থেকে দুই ছাত্রকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে। ১ কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে বাড়িতে এসএমএস পাঠায় অপহরণকারীরা। টাকা না দিলে খুনের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। এরপর ২৩ অগাস্ট বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। ২৪ অগাস্ট নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। তার পরেও পুলিশ তৎপর হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। দুই ছাত্রকে অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়ার পরও ওই দুই ছাত্রের মৃতদেহ মিলল বসিরহাটে। বাগুইআটি থানার ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন ছাত্রের পরিবার। এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী পলাতক। তার খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিস ট্রাস, ভারত-ব্রিটেন সম্পর্কের নতুন সমীকরণ?

    গত মাসের ২২ তারিখে বাগুইআটির জগৎপুর খাল ধারের বাসিন্দা অতনু দে ও অর্জুনপুরের বাসিন্দা অভিষেক নস্কর দুই ছাত্র বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরের দিন পরিবারের কাছে এক কোটি টাকার মুক্তিপণ চেয়ে ফোনে এসএমএস আসে। তারপরেই পরিবারের তরফে বাগুইআটি থানায় অভিযোগ জানানো হয়। 

    পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ কোনওরকম ভাবেই সাহায্য করেনি। গতকাল রাতে পুলিশের তরফে জানানো হয় অতনু দে ও অভিষেক নস্কর নামে নিখোঁজ দুই ছাত্রের দেহ মিলেছে বসিরহাটে। এরপরে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন মৃতের পরিবার থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিবার সূত্রে খবর, অতনু দে বাইক কেনার জন্য সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেয়। এরপর ২২ অগাস্ট বাইক কেনার জন্য অতনু দে ও অভিষেক নস্করকে সঙ্গে নিয়ে যায় সত্যেন্দ্র চৌধুরী। তারপর থেকে দুই অতনু দে ও অভিষেক নস্কর নিখোঁজ হয়ে যায়। এরা সম্পর্কে মামাতো পিসতুতো ভাই।

    আরও পড়ুন: তিনবছরে বিজয়ীদের আয় ৫৮ হাজার কোটি টাকা, সিবিডিটির নজরে গেমিং অ্যাপ

    ২৪ অগাস্ট বাগুইআটি থানায় অপহরণের অভিযোগ করেন অতনু দে’র বাবা বিশ্বনাথ দে। বিশ্বনাথ দে’র ফোনে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে এসএমএস আসতে থাকে। পরিবারের দাবি, পুলিশকে অভিযোগ জানানোর পর এবং এক কোটি মুক্তিপণ চাওয়ার কথা জানানোর পরও পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিশ ব্যবস্থা নিলে দুই ছাত্রকে জীবিত পাওয়া যেত। এভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী দুই ছাত্রের মৃত্যুর খবর মিলত না। গতকাল অভিজিৎ বোস নামে একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাগুইআটি থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীর নাম। অভিজিৎ বোস, শামীম আলী, সাহিল মোল্লা ও দিব্যেন্দু দাস কে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী পলাতক। তার খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

    এদিকে সত্যেন্দ্র চৌধুরীর জগৎপুরে বাড়িতে ভাঙচুর চালায় অতনুর পরিবার ও প্রতিবেশীরা। ঘটনাস্থলে যায় বাগুইআটি থানার পুলিশ। পুলিশের দাবি, খুন করার উদ্দেশ্য নিয়ে আগে থেকে গাড়িতে দড়ি রেখেছিল। অতনুর থেকে বাইক কিনে দেওয়ার পঞ্চাশ হাজার টাকা নেয় সত্যেন্দ্র চৌধুরী। পরে আরও টাকার দাবি করে সত্যেন্দ্র। সেই টাকা দিতে অস্বীকার করে অতনু। এরপরই দুজনকে চলন্ত গাড়িতে খুন করা হয়। এরপর বসিরহাটের আলাদা আলাদা জায়গায় ফেলা দুই ছাত্রের মৃতদেহ।

    ধৃতরা হল…..
    ১) অভিজিৎ বোস (২৫), নিউটাউনে থাকত। বর্তমানে হাওড়ায় থাকে। ধাবায় কাজ করে। বছর তিনেক আগে জগাছা থানায় ল্যাপটপ চুরি কেসে গ্রেফতার হয়।
    ২) শামীম আলী (২০), বাগুইআটি থানার আটঘড়ার বাসিন্দা।
    ৩) সাহিল মোল্লা (২০), আটঘড়ার বাসিন্দা।
    ৪) দিব্যেন্দু দাস, বাগুইআটি থানার চণ্ডীবেড়িয়ার বাসিন্দা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Anubrata Mondal: ফের মিলল অনুব্রতর সম্পত্তির হদিশ, কোথায় জানেন?  

    Anubrata Mondal: ফের মিলল অনুব্রতর সম্পত্তির হদিশ, কোথায় জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মিলল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandol) বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ। অনুব্রতর হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারিকে  জিজ্ঞাসাবাদ করে বীরভূমের তৃণমূল (TMC) নেতা অনুব্রতর সম্পত্তির হদিশ পেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। বুধবারই ফের আদালতে পেশ করা হবে গরু পাচার মামলায় (Cattle Sumggling Scam) ধৃত তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে। তার ঠিক আগের দিনই খোঁজ মিলল সম্পত্তির।

    গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। ইতিমধ্যেই তাঁর নামে বেনামে থাকা প্রচুর সম্পত্তির হদিশও পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। পেয়েছে রেজিস্টার্ড সম্পত্তির হদিশও। অনুব্রত তো বটেই, তাঁর কন্যা এবং প্রয়াত স্ত্রী ছাড়াও অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তির পরিমাণও চমকে দেওয়ার মতো। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রতর একার নামেই রয়েছে ২৪টি সম্পত্তি। তাঁর মেয়ের সম্পত্তির পরিমাণ ২৬টি। অনুব্রতর প্রয়াত স্ত্রী ছবির নামেও রয়েছে ১২টি সম্পত্তি। সব মিলিয়ে মণ্ডল পরিবারের নথিভুক্ত সম্পত্তির পরিমাণ ৬২টি।

    জানা গিয়েছে, অনুব্রতর হিসাব রক্ষক মণীশকে সোমবার তলব করে সিবিআই। সেখানে তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন নথিপত্র চেয়ে নেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এর আগে অগাস্ট মাসেও একবার মণীশকে তলব করেছিল সিবিআই। সেদিন ঘণ্টা দুয়েক ধরে জেরা করা হয় তাঁকে। এদিন মণীশকে ফের জেরা করেই জানা গেল, বোলপুরে আরও সম্পত্তি রয়েছে অনুব্রতর নামে। কেবল অনুব্রত নন, তাঁর ঘনিষ্ঠ অনেকের নামেও আরও প্রচুর পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ মিলেছে।

    আরও পড়ুন : অনুব্রত, তাঁর ঘনিষ্ঠদের নথিভুক্ত সম্পত্তি ঠিক কত? জানলে চোখ কপালে উঠবে

    এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে আর এক কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। গ্রেফতার করা হয়েছিল পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। অর্পিতার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তবে তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ অর্থের হদিশ মেলেনি। যা মিলেছে, তা হল বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির। অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের জেরা করে সেই সম্পত্তিরই খোঁজ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Dengue: রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি, দিনের পর দিন বাড়ছে সংক্রমণ

    Dengue: রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি, দিনের পর দিন বাড়ছে সংক্রমণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সেই অর্থে বঙ্গে (West Bengal) বর্ষার বৃষ্টি হয়নি। তাতে কি? পুজোর মুখে ডেঙ্গি (Dengue) এসে হাজির। কেবল হাজির নয়, রীতিমতো চোখ রাঙাচ্ছে মশাবাহিত এই রোগ। জানা গিয়েছে, গত দু সপ্তাহে এ রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন দু হাজার ২৪০ জন। গোটা রাজ্যের ছবিটাও চোখ কপালে তোলার পক্ষে যথেষ্ট। সংক্রমিতের সংখ্যা ছ হাজার ৪২৪ জন। গত এক সপ্তাহে কেবল সরকারি হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছেন ছশোর কাছাকাছি ডেঙ্গি সংক্রমিত রোগী।

    ফি বৃহস্পতিবার ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে হয় সাপ্তাহিক আলোচনা। সেখানকার একটি সূত্র থেকেই জানা গিয়েছে, গোটা রাজ্যে ডেঙ্গি চোখ রাঙালেও, সংক্রমণ সব চেয়ে বেশি হাওড়া (Howrah), জলপাইগুড়ি এবং উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 Pargana)। সম্প্রতি হাওড়ায় ডেঙ্গি সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বছর এগারোর শুভম সরকারের। শনিবার এনআরএস (NRS) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। কিছু দিন আগে হাওড়া পুরসভারই আট নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছিল এক যুবকের। 

    আরও পড়ুন : প্রাণঘাতী রোগ থেকে মুক্তি পেতে চান? প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন দানা শস্য বা হোল গ্রেন

    প্রাণঘাতী ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে বছর সাঁইত্রিশের সন্দীপকুমার মুখোপাধ্যায়ের। উত্তরপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। দিন কয়েক আগেও এই ওয়ার্ডেরই এক যুবকের মৃত্যু হয়েছিল ডেঙ্গিতে। ডেঙ্গি মারণ থাবা বসিয়েছে লাগোয়া শহর শ্রীরামপুরেও। কিছু দিন আগে এখানেও মৃত্যু হয় ডেঙ্গি সংক্রমিত এক মহিলার। জানা গিয়েছে, গত এক সপ্তাহে কলকাতা পুরসভায় ডেঙ্গি সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়েছে ১৪২ জন। যমজ শহর হাওড়ায় ৬৪ জন। বালি পুরসভায় ৬৩ জন।আর উত্তরপাড়ায় ৩৭ জন। উত্তর ২৪ পরগনায়ও দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গি সংক্রমিতের সংখ্যা।

    ডেঙ্গি সংক্রমণ যে ক্রমেই বাড়ছে, সে ছবি ধরা পড়ছে রোগ পরীক্ষায়ও। কলকাতায় ডেঙ্গির এনএস-১ পরীক্ষা করিয়েছিলেন ৪২৪০ জন। তাঁদের মধ্যে পজিটিভ কেস ২৯৬। আইজিএম টেস্ট করিয়েছিলেন ১৫৭১ জন। তাঁদের মধ্যে পজিটিভ ১৩৩। হাওড়ায় এনএস-১ টেস্ট করিয়েছিলেন ২৯৮১। তার মধ্যে পজিটিভ রোগীর সংখ্য ৪৬১। উত্তর ২৪ পরগনায় ওই টেস্ট করিয়েছেন ৫৭৭১। পজিটিভ ৪৬৭।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Attacks Abhishek: ‘৮ ব্যাগ সোনা ছিল, একটা আটকেছে কাস্টমস…’, অভিষেককে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Attacks Abhishek: ‘৮ ব্যাগ সোনা ছিল, একটা আটকেছে কাস্টমস…’, অভিষেককে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লাকাণ্ডে (Coal Smuggling scam) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) একহাত নিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুক্রবার খয়রাশোলের (Khairasol) সভা থেকে তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে তুলোধনা করেন। ফের উত্থাপন করেন সোনা পাচারের বিষয়টি।

    ঠিক কী বলেছেন শুভেন্দু? গতকাল অভিষেক দাবি করেছিলেন, ইডি-সিবিআই-কে বিরোধীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। এপ্রসঙ্গে জবাব দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুক্রবার খয়রাশোলের গোষ্ঠডাঙাল মাঠে সভা ছিল শুভেন্দুর। সভা শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, এখানে প্রতিহিংসা বা রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। যা হচ্ছে, আদালতের নির্দেশে ও নজরদারিতে। শুভেন্দু জানিয়ে দেন, ইডি কারও বিরুদ্ধে এমনি-এমনিই ব্যবস্থা নেয় না। 

    আরও পড়ুন: এবার তৃণমূল পুর-চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে উদ্ধার ৮০ লক্ষ নগদ! কে এই রাজু সাহানি?

    বিরোধী দলনেতার প্রশ্ন, যিনি (অভিষেক) সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে এত বড় বড় কথা বলছেন, তিনি এটা আগে বলুন যে, রুজিরা নারুলার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কী? প্রত্যেক মাসে তাইল্যান্ড থেকে ভাট (তাইল্যান্ডর টাকা) ব্যাংক ট্রান্সফার হয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনের আগে রুজিরা ও মানেকা গম্ভীর তাঁদের সব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেন। ২৪টা কলকাতা-ব্যাংকক ফ্লাইটের টিকিট রয়েছে। 

    এখানেই থেমে থাকেননি শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘’কলকাতায় আটটা সোনার ব্যাগ নিয়ে আসা হয়েছিল। একটা ধরা পড়ে কাস্টমসের হাতে। সেই সময় বিধাননগর কমিশনারেটের প্রধান ছিলেন জ্ঞানবন্ত সিং (Gyanwant Singh)। তিনি গ্রিন করিডর করে তাঁদের বের করে এনেছিলেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানান, ৮টি সোনা ভর্তি ব্যাগ সব গিয়ে ওঠে কালীঘাট (Kalighat) অঞ্চলের ‘শান্তিনিকেতন’-এ।’

    আরও পড়ুন: মানিকের অপসারণ বহাল, এখনই চাকরি পাবেন না ২৬৯ জন, নির্দেশ হাইকোর্টের

    কয়লা পাচারকাণ্ডে শুক্রবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা সংক্ষেপে ইডির দফতরে সাত ঘণ্টা জেরার মুখোমুখি হওয়ার পর বেরিয়ে এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন যে এই মামলায় ফেরার বিনয় মিশ্রর সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর নিয়মিত যোগাযোগ আছে। খয়রাশোল থেকে পাল্টা দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। জানিয়ে দেন, যিনি এধরনের অভিযোগ করছেন, তা প্রমাণ করার দায়ও তাঁরই। নন্দিগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘বিনয় মিশ্রকে যুব ভাইস প্রেসিডেন্ট করেছিলেন অভিষেক। যুব দলের সাধারণ সম্পাদকও করেছিলেন। বিনয় মিশ্রের সঙ্গে ওঁর কী সম্পর্ক, সবাই জানে। আমার ফোন নম্বরও সবাই জানে।’

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • NCRB Report on Domestic Violence: গার্হস্থ্য হিংসার নিরিখে দেশে শীর্ষে বাংলা, বলছে এনসিআরবি রিপোর্ট 

    NCRB Report on Domestic Violence: গার্হস্থ্য হিংসার নিরিখে দেশে শীর্ষে বাংলা, বলছে এনসিআরবি রিপোর্ট 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবচেয়ে বেশি গার্হস্থ্য হিংসার ঘটনা ঘটেছে বাংলাতেই। এমনটাই জানাল ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর রিপোর্ট (NCRB Report 2021)। ২০২১ সালে এই রাজ্যেই শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি গার্হস্থ্য হিংসার (Domestic Violence) মামলা দায়ের করেছেন রাজ্যের মেয়েরা। গার্হস্থ্য হিংসার মামলায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যোগীরাজ্য উত্তর প্রদেশ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাজস্থান। 

    এর আগে ২০১৯ সালে এনসিআরবি ডেটার নিরিখে এই একই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) তৃতীয়স্থানে ছিল। দু বছরেই প্রথম স্থানে উত্থান। একবছরে বাংলায় ৪৯৮এ ধারায় ১৯ হাজার ৯৫২টি মামলা দায়ের হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ভারতে বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা, কী করে প্রতিহত করবেন?

    উত্তর প্রদেশে এই একই ধারায় এক বছরে মামলা দায়ের হয়েছে ১৮ হাজার ৩৭৫টি। রাজস্থানে এক বছরে গার্হস্থ্য হিংসার মামলার সংখ্যা ১৬ হাজার ৯৪৯টি। সবচেয়ে কম গার্হস্থ্য হিংসার ঘটনা ঘটেছে গোয়ায়। সেখানে গোটা বছরে মাত্র একটি গার্হস্থ্য হিংসার মামলা দায়ের হয়েছে। নাগাল্যান্ড এবং সিকিমে যথাক্রমে ২টি এবং ৩টি মামলা দায়ের হয়েছে।  

    সেই তুলনায় বাংলায় গার্হস্থ্য হিংসার এই পরিসংখ্যান দুশ্চিন্তায় ফেলেছে সংশ্লিষ্ট মহলকে। রিপোর্ট অনুযায়ী এই রাজ্যে প্রতি এক লক্ষ মহিলার মধ্যে ৪১.৫ জন পারিবারিক হিংসার শিকার হয়েছেন। যেখানে গোটা দেশে গার্হস্থ্য হিংসার গড় ২০.৫, সেখানে রাজ্যের গড় দ্বিগুণেরও বেশি। রাজ্যে পারিবারিক হিংসার গড় ৪১.৫। এই পরিসংখ্যানে অস্বস্তিতে রাজ্য প্রশাসনও। 

    আরও পড়ুন: ২০২১ সালে জঙ্গিদের থেকে মাওবাদীদের হাতে নিহত হয়েছেন বেশি পুলিশকর্মী, বলছে এনসিআরবি রিপোর্ট

    তবে দেশের অন্যান্য মহানগরগুলির তুলনায় কলকাতায় পারিবারিক হিংসার অভিযোগ অনেকটাই কম। তিলোত্তমায় ৮৪১টি গার্হস্থ্য হিংসার মামলা দায়ের হয়েছে। যেখানে দিল্লিতে ৪ হাজার ৬৭৪টি, হায়দ্রাবাদে ১ হাজার ৬৭৮টি, জয়পুরে ১২০০টি এবং লখনউ- এ ১ হাজার ১০১টি মামলা দায়ের হয়েছে। 

    এছাড়া মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের নিরিখেও প্রথম পাঁচ রাজ্যে নাম রয়েছে বাংলার। ২০২১ সালে এই রাজ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ৩৫,৮৮৪টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যা ২০২০ সালের (৩৬,৪৩৯) থেকে সামান্য কম হলেও ২০১৯ সালের (২৯,৮৫৯) থেকে অনেকটাই বেশি। মহিলাদের বিরুদ্ধে সবথেকে বেশি অপরাধের ঘটনা ঘটেছে উত্তর প্রদেশে (৫৬,০৮৩)। এরপরেই রয়েছে রাজস্থান (৪০,৭৩৮), তারপরে রয়েছে মহারাষ্ট্র (৩৯,৫২৬)। আর এরপরেই পঞ্চম স্থানে রয়েছে বাংলা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Primary TET Scam: মানিকের অপসারণ বহাল, এখনই চাকরি পাবেন না ২৬৯ জন, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Primary TET Scam: মানিকের অপসারণ বহাল, এখনই চাকরি পাবেন না ২৬৯ জন, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্ষেপে টেট কেলেঙ্কারির (TET Scam) তদন্ত করবে সিবিআই (CBI)। আগেই এই রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) সিঙ্গল বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায় বহাল রাখল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও। শুধু তাই নয়, যে ২৬৯ জনের চাকরি খোয়া গিয়েছিল, তাঁদেরও এখনই পুনর্বহাল করা যাবে না বলেও রায় দিয়েছে ওই বেঞ্চ। শুক্রবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench) এই মামলায় বহাল রাখল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের (Single Bench) রায়ই। পর্ষদ সভাপতির পদ থেকে মানিক ভট্টাচার্যকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশও সমর্থন করেছে ডিভিশন বেঞ্চ।
    প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেতে গেলে বসতে হয় টেট পরীক্ষায়। ২০১৪ সালে জারি হয়েছিল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি। পরের বছর ১১ অক্টোবর ওই পরীক্ষা হয়। ফল প্রকাশ হয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। প্রকাশিত হয় মেধাতালিকা। পরের বছর ডিসেম্বরে ফের বের হয় মেধাতালিকা। পরীক্ষায় বসেছিলেন ২৩ লক্ষ কর্মপ্রার্থী। নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন ৪২ হাজার। এই দ্বিতীয় তালিকা বেআইনি বলে আদালতে জানিয়েছিলেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং সুদীপ্ত দাশগুপ্ত। পরে ২৬৯ জনের চাকরি বাতিল করে হাইকোর্ট। 
    ওই নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছিল বলে সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়েছিল। যে ২৭৩ জনকে অতিরিক্ত এক নম্বর দেওয়া হয়েছিল, তার কারণ কী জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি। সেই সংক্রান্ত নথিও চেয়ে পাঠানো হয়। যদিও কর্তৃপক্ষ তা দিতে ব্যর্থ হয়। ওই ২৭৩ জনকে কেন অতিরিক্ত এক নম্বর দেওয়া হয়েছিল, তার কারণও দর্শাতে পারেনি বোর্ড। আদালতে হাজির করতে পারেনি ওএমআর শিটও। তার পরেই মানিককে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। এদিন ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সিঙ্গল বেঞ্চের রায় যথাযথ। বেআইনি নিয়োগের তদন্তের ভার যে সিবিআইকে দেওয়া হয়েছিল, এদিন তাও বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতে মানিক জানিয়েছিলেন অযথা তাঁর নাম নেওয়া হচ্ছে, কলঙ্ক লেপন করা হচ্ছে যা সংবিধানের ২১ নম্বর ধারার পরিপন্থী।

    আরও পড়ুন : টেট মামলায় আদালতে হাজিরা কেষ্ট কন্যার, উঠল ‘গরু চোর’ স্লোগান

    ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, পুরো পরিস্থিতি বিচার করেই রায় দিয়েছে সিঙ্গল বেঞ্চ। বিচার করলেই হবে না, রায়টাকে কার্যকরও করতে হবে। এদিনও ২৭৩ জন চাকরি প্রার্থীকে কেন অতিরিক্ত এক নম্বর দেওয়া হয়েছে, তারও ব্যাখ্যা দিতে পারেনি বোর্ড। আদালত জানায়, এ রকম একজন ব্যক্তি (মানিক ভট্টাচার্য) অতিরিক্ত কোনও সুবিধা দাবি করতে পারেন না। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই ২৭৩ জনকে চাকরিতে পুনর্বহালও করা যাবে না। আদালতের নির্দেশ, কেলেঙ্কারির তদন্ত করবে সিবিআই। এই সংস্থাই তদন্ত করবে আর্থিক কেলেঙ্কারিরও। আদালতের নজরদারিতেই হবে তদন্ত। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে হস্তক্ষেপ করা হবে না। যে ২৭৩ জনকে অতিরিক্ত এক নম্বর দেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যে ২৬৯ জনের কোনও দাবিই মান্যতা পাবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Durga Puja UNESCO: প্রকল্প ছিল কেন্দ্রের, রূপ দিয়েছিলেন তপতী গুহ-ঠাকুরতা, দুর্গাপুজোর ইউনেস্কো স্বীকৃতির নেপথ্যে এঁরাই?

    Durga Puja UNESCO: প্রকল্প ছিল কেন্দ্রের, রূপ দিয়েছিলেন তপতী গুহ-ঠাকুরতা, দুর্গাপুজোর ইউনেস্কো স্বীকৃতির নেপথ্যে এঁরাই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্টেটাস (Bengal Durga Puja UNESCO Heritage status) পাওয়ার কৃতিত্ব দাবি করে সাম্প্রতিককালে উচ্চনাদে নিজেদের ঢাক পিটিয়েই চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এমনকী, এর জন্য খরচ করা হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ঘটা করে আয়োজন করা হয়েছে শোভাযাত্রার। 

    কিন্তু, রাজ্য প্রশাসন যতই এই বিষয়ে কৃতিত্ব দাবি করুক না কেন, আদতে এই কৃতিত্ব কতটা এরাজ্যের, আদৌ কোনও কৃতিত্ব রয়েছে কিনা তা নিয়ে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে। আর ঠিক এই প্রশ্নটাই তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির (Bengal BJP) পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য (Amit Malviya)। এদিন ট্যুইটারে তিনি লেখেন, ‘‘দুর্গাপুজোর (Durga Puja) জন্য ইউনেস্কোর ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ ট্যাগের (UNESCO Intangible Cultural Heritage tag) কৃতিত্ব নিতে শোভাযাত্রার আয়োজন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সত্যিটা হল, এই স্বীকৃতির নেপথ্যে তাঁর কোনও ভূমিকা নেই। কারণ, স্বীকৃতি মিলেছে মোদি সরকারের অধিনস্থ সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমির প্রতিষ্ঠানের প্রচেষ্টায়।’’

    আরও পড়ুন: কেন দুর্গোৎসব কমিটিগুলোকে দেওয়া হচ্ছে অনুদান? রাজ্যের ব্যাখ্যা তলব হাইকোর্টের

    কেন অমিত মালব্য এই কথা বলছেন? সম্প্রতি, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (West Bengal Government) একটি পুরনো চিঠি প্রকাশ্যে এসেছে। সেই ২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারির তারিখের ওই চিঠিটি রয়েছে রাজ্যের তৎকালীন প্রধান সচিব অত্রি ভট্টাচার্যের প্যাডে। কী আছে তাতে? ওই চিঠিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমির (Sangeet Natak Akademi) মাধ্যমে অধ্যাপক তপতী গুহ-ঠাকুরতা (Tapati Guha Thakurta) এবং কলকাতাস্থিত সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সেসের (Centre for Studies in Social Sciences) অধিনস্থ বিভাগ যদুনাথ ভবন মিউজিয়াম ও রিসোর্স সেন্টারকে প্রদান করেছে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক। 

     

    কে এই তপতী গুহ-ঠাকুরতা? এক দশকের বেশি সময় ধরে দুর্গাপুজো নিয়ে কাজ করছেন কলকাতার সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশাল সায়েন্সেস অধিকর্তা তপতী গুহ-ঠাকুরতা। দুর্গাপুজো যাতে ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্বীকৃতি পায়, সেজন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, যাতে দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা দেওয়া হয়, সেজন্য কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে খসড়া ডসিয়ার তৈরি করেছিলেন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে কাজ শুরু করেছিলেন। ২০১৯ সালের মার্চে সেই ডসিয়ার জমা দিয়েছিলেন। তাতে দুর্গাপুজোর সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন পক্ষের মন্তব্য তুলে ধরেছিলেন।

    আরও পড়ুন: বকেয়া ডিএ না মিটিয়ে পুজোয় অনুদান! দুর্নীতিকে আড়াল নাকি নজরে পঞ্চায়েত?

    এখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোনও ভূমিকা আদৌ ছিল কি? জানা গিয়েছে, গবেষণার জন্য এই উৎসব সংক্রান্ত বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার বা সত্ত্বাধিকারীদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। সেই তালিকায় যেমন ছিলেন মৃৎশিল্পী ও বিভিন্ন কুশীলবরা, তেমনই রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গেও শলা-পরামর্শ করা হয়েছিল। ব্যাস, ওইটুকুই। বাকিটা ইতিহাস। ইউনেস্কোর স্বীকৃতি মিলতেই, নিজেদের ভুয়ো কৃতিত্ব দাবি করতে ময়দানে নেমে পড়ে মমতা প্রশাসন। কোটি কোটি টাকা অপচয়ে শোভাযাত্রার আয়োজনও করা হয়। অথচ, কার্যত আড়াল করেই রেখে দেওয়া হল এই কৃতিত্বের আসল রূপকারদের।

LinkedIn
Share