Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari on TMC: তৃণমূল পার্টিটা আর ছ’মাসও টিকবে না, ডেডলাইন শুভেন্দুর 

    Suvendu Adhikari on TMC: তৃণমূল পার্টিটা আর ছ’মাসও টিকবে না, ডেডলাইন শুভেন্দুর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC) পার্টিটা আর ছ মাসও টিকবে না। এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ‘আগামী ছ মাসের মধ্যে সামনে আসবে নতুন তৃণমূল’ লেখা পোস্টারে ছয়লাপ শহর। সেই প্রেক্ষিতেই একথা বলেন শুভেন্দু। পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় সংবাদ মাধ্যমকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ইডি (ED) এবং সিবিআই (CBI) তাদের কাজ করছে। তৃণমূল পার্টিটা আর ছ মাসও টিকবে না। ডিসেম্বরই তাদের ডেডলাইন।

    কলকাতা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে টাঙানো হয়েছে একাধিক হোর্ডিং। যার কোনওটায় লেখা, ‘আগামী ছ মাসের মধ্যে সামনে আসবে নতুন তৃণমূল’। কোনওটায় আবার লেখা, ‘চলুন লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হোন’। কোনও কোনওটায় আবার লেখা হয়েছে, ‘ঠিক যেমন সাধারণ মানুষ চায়’। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য এই হোর্ডিং টাঙানোর কথা অস্বীকার করেছে। তবে হোর্ডিং নিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে বিঁধতে ছাড়েননি শুভেন্দু। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য, কয়লা থেকে গরু কোনও কিছু থেকে তোলাবাজি বাদ রাখেনি তৃণমূল কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জালে যখন একের পর এক নেতা মন্ত্রী বিভিন্ন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন, তখন তা থেকে দলকে বাঁচাতেই নয়া তৃণমূলের কৌশল নিয়েছে ‘তোলামূল’ পার্টি। এর পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ইডি যেভাবে তদন্তের গতি বড়িয়েছে, তাতে তৃণমূল দলটাই ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বাংলা থেকে মুছে যাবে।

    আরও পড়ুন : “তৃণমূলের ১০০ জনের নাম তুলে দিয়েছি…”, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর শুভেন্দু

    এদিন দিঘায় সৈকত নগরে দিঘা তিরঙ্গা যাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নেন শুভেন্দু। সেখানেই তৃণমূলকে নিশানা করেন তিনি। এর আগে ১২ অগাস্ট নন্দীগ্রামে হর ঘর তিরঙ্গা বাইক কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। পুলিশি বাধায় ওই কর্মসূচি আর পালন করা যায়নি। ওই ঘটনায়ও শুভেন্দু দুষছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেছিলেন, হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি কোনও রাজনৈতিক কিংবা ধর্মীয় সমাবেশ কিংবা জন সমাবেশ নয়। আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই ওই কর্মসূচি পালন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ নির্দেশ দেয় শুভেন্দু অধিকারিকে কোনও প্রচার করতে না দিতে।

    আরও পড়ুন : অনুব্রত একজন মাফিয়া, মমতার প্রশ্রয়ে ওর বাড়বাড়ন্ত, বললেন শুভেন্দু

     

  • Anubrata Mondal: অন্যদের গুড়-বাতাসা খাওয়াতেন! সিবিআই হেফাজতে কী খেলেন কেষ্ট?

    Anubrata Mondal: অন্যদের গুড়-বাতাসা খাওয়াতেন! সিবিআই হেফাজতে কী খেলেন কেষ্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভা ভোটের আগে তাঁর মুখে শোনা গিয়েছিল, ‘ভয়ঙ্কর খেলা হবে’ স্লোগান। কিন্তু সেই খেলার পরিণতি যে এতটা ভয়ঙ্কর হবে তা হয়ত ভাবতেই পারেননি কেষ্ট। তাই কী এখন চুপ করে গিয়েছেন তিনি। শুধুই সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলছেন। তিনি তো বুঝতেই পারেননি, যে বীরভূমে নিজের একছত্র আধিপত্য গড়ে তুলেছিলেন সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করবে সিবিআই। তাঁর গড় থেকেই আটক হবেন তিনি। বৃহস্পতিবার সারাদিন ধকল সামলে রাত ২.৪৫ মিনিটে দীর্ঘ সাড়ে সাত ঘণ্টা যাত্রার পর নিজাম প্যালেসে পৌঁছন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ক্লান্ত কেষ্ট।

    সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাতে নিজাম প্যালেসে ঢুকে ‘ফ্রেশ’ হয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। ১৫ তলায় অফিসারদের একটি ঘরে রাখা হয়েছে অনুব্রতকে। ঘরে একটি ক্যাম্প খাটে গদি পেতে শুতে দেওয়া হয়। ঘুম ভাঙে সকাল নটার পর। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর চা বিস্কুট খান অনুব্রত। একদা সকলকে গুড়-বাতাসা খাওয়ানো বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার এখন দিন শুরু হচ্ছে চা-বিস্কুট দিয়ে। বীরভূমকে বিরোধী-শূন্য করতে গিয়ে আজ তিনি নিজেই সিবিআই হেফাজতে। তিনি তো দূরের কথা তাঁর অনুগামীরাও এই দিন দেখতে হবে ভাবেননি।

    বৃহস্পতিবার গরু-পাচার কাণ্ডে বীরভূমে অনুব্রতের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে তাঁকে হেফাজতে নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরা। সিবিআই সূত্রে খবর, গতকাল রাতে নিজাম প্যালেসে আসার পর কিছু হাল্কা খাবার দেওয়া হয় তাঁকে। সময় মেনে ওষুধও দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: দুর্দিনে পাশে নেই দল, তাই কি কেষ্টর চোখে জল?

    শুক্রবার সকাল থেকেই জেরা শুরু করা হয়েছে অনুব্রতকে। অভিযোগ, বীরভূমকে পাচারের ট্রানজিট রুট হিসাবে ব্যবহার করেছেন অনুব্রত। সিবিআই জানতে চায়, কীভাবে গরু পাচারে মদত দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল? বিনিময়ে কত টাকা নিয়েছেন? সিবিআই অনুব্রতর কাছে জানতে চাইতে পারে, ইলামবাজারের গরুহাটের কথা। শেখ লতিফের কথা উঠে এসেছে ইতিমধ্যেই। অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের মোবাইল ফোনে বার বার পাওয়া গিয়েছে এই শেখ লতিফ ও এনামুল হকের ফোন নম্বর। শেখ লতিফ ও এনামুল হকের সঙ্গে সায়গল হোসেনের যোগাযোগ কেমন, সেই বিষয়ে কতটা জানতেন অনুব্রত, তাই নিয়ে আজ অনুব্রতকে জেরা করতে পারে সিবিআই। এছাড়াও, অনুব্রত মণ্ডল সরাসরি শেখ লতিফ ও এনামুল হকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতেন কি না, কেন গরু পাচারের টাকা তাঁর নাম করে আসত এই সমস্ত বিষয়ে আজ জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে অনুব্রত মণ্ডল কি তদন্তে সহযোগিতা করবেন?

    আরও পড়ুন: সকালে গ্রেফতার, সন্ধ্যে হেফাজত, রাতেই নিজাম প্যালেস! বৃহস্পতিবার অনুব্রতর সারা দিন

    অন্যদিকে, জেরার সময় অনুব্রতর মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য আলিপুর কমান্ড হাসপাতালকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে । দুপুরে বা বিকেলের পরে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য তাঁকে পাঠানো হতে পারে হাসপাতালে । পাঠানো হয়েছে কোর্টের নির্দেশনামার প্রতিলিপি। সিবিআই সূত্রে খবর, এদিন অনুব্রতর আইনজীবীকে তাঁর সঙ্গে ৩০ মিনিটের জন্য দেখা করতে দেওয়া হবে।

  • Suvendu on Anubrata: অনুব্রত একজন মাফিয়া, মমতার প্রশ্রয়ে ওর বাড়বাড়ন্ত, বললেন শুভেন্দু 

    Suvendu on Anubrata: অনুব্রত একজন মাফিয়া, মমতার প্রশ্রয়ে ওর বাড়বাড়ন্ত, বললেন শুভেন্দু 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তদন্তে অসহযোগীতার অভিযোগ তুলে গরুপাচার মামলায় দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে তাঁর বোলপুরের বাড়ি থেকে আজ সকালে গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI)। বুধবার সিবিআইয়ের দশম হাজিরা এড়ানোর পর বৃহস্পতিবার সকালে অনুব্রতর বাড়িতে পৌঁছয় সিবিআই। দেড় ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি গোটা বাড়িতে তল্লাশি চালান সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। এর পর তাঁকে নিয়ে দুর্গাপুরের দিকে রওনা দিয়েছে কনভয়। সিবিআইয়ের দাবি, গরুপাচারকাণ্ডে অনুব্রতর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে চার্জশিটে তাঁর নামের উল্লেখ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সিবিআইয়ে তদন্তে অসহযোগিতা করছেন তিনি। এমনকী বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর বাড়িতে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা পৌঁছলে তাঁদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন অনুব্রত।

    আরও পড়ুন: একসময় বেচতেন মাগুর, সেখান থেকে কীভাবে তৃণমূলের ‘মুগুর’ হয়ে উঠলেন কেষ্ট? 

    এবার অনুব্রত কাণ্ডে প্রতিক্রিয়া দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সাংবাদিকদের মাধ্যমে তিনি বীরভূমের জেলা সভাপতিকে অনুরোধ করেন, “যাদের নির্দেশে এই কাজ করেছেন, সেই নামগুলো দয়া করে বলে দিন।”   

    শুভেন্দু আরও বলেন, “অনুব্রত মণ্ডল একজন মাফিয়া। হাটে মাগুর মাছ বিক্রি করত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে সে আজকে ১,০০০ কোটি টাকার মালিক। এতো মমতা ব্যানার্জির সৃষ্টি।”   

    অনুব্রতর উদ্দেশ্যে অনুরোধের সুরে শুভেন্দু বলেন, “আমি আশা করব এই অনুব্রত মণ্ডলের মতো লোকেরা কাদের নির্দেশে গরু, কয়লা, বালি পাচার করেছে এবং বিরোধী দলের লোকেদের বিশেষ করে হিন্দুদের ওপরে পুরো বীরভূম জেলায় যে অত্যাচার করেছেন তাদের নাম বলে দিন।  নির্বাচন পরবর্তী সময়ে কয়েক হাজার লোককে ঘরছাড়া করা, মানুষকে খুন করা, কার ইন্ধনে হয়েছে? আশা করব, তিনি যার যার নির্দেশে করেছেন, আর মুড়ির টিনে করে যাদের কাছে টাকা পাঠিয়েছেন সেই নামগুলো দয়া করে বলে দেবেন।”

    আরও পড়ুন: গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল! নিয়ে যাওয়া হতে পারে সিবিআই ক্যাম্প অফিসে

    তৃণমূলের অন্যান্য নেতাদের দিকেও এদিন আক্রমণ শানান শুভেন্দু। কটাক্ষ করে বলেন, “যাদের শেষ দশ বছরের আইটি রিটার্নের ফাইল ঠিক আছে, তাদের তো ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। দেখবেন তৃণমূল নেতাদের আইটি রিটার্নের ফাইলের সঙ্গে সম্পত্তির কোনও মিল খুঁজে পাবেন না। এই দুর্নীতি শুরু হয়েছে নীচু স্তর থেকে। ১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজার থেকে নির্মাণ সহায়ক, সবাই কোটি কোটি টাকার মালিক।”

    জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম সরাসরি উল্লেখ করে বিজেপি নেতা বলেন,”নোট বন্দীর সময় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী স্থানীয় ব্যাঙ্ক থেকে ৪ কোটি টাকা বদলেছেন। কোথা থেকে এল এই টাকা? মেদিনীপুরের এক প্রাক্তন বিধায়ক ১৫ কোটি টাকা বদলেছেন। এই টাকার উৎস কী? খোঁজ নিয়ে দেখবেন ২০১৬ সালের পর থেকে হঠাৎ বেড়েছে এই নেতাদের সম্পত্তি।”  

     

     

     

     

        

     

  • SOURYA  CHAKRA: প্রথম বাঙালি শৌর্য চক্র বিজেতার সঙ্গে দেখা করার সময় নেই মুখ্যমন্ত্রীর

    SOURYA CHAKRA: প্রথম বাঙালি শৌর্য চক্র বিজেতার সঙ্গে দেখা করার সময় নেই মুখ্যমন্ত্রীর

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ তাঁর স্লোগান জয় বাংলা। নির্বাচনে জয়ঢাক বাজিয়ে তিনি দাবি করেন, বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়। কখনও বলেন বাংলার গর্ব মমতা। কিন্তু বাঙালির বিরল কৃতিত্বে তাঁর সাড়া নেই। পশ্চিমবঙ্গের প্রথম শৌর্য চক্র বিজেতা, মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানে অন্যতম কৃতিত্বের দাবিবার হুগলির বরগাছিয়ার বাসিন্দা দিলীপ মালিকের সঙ্গে দেখা করার সময় পান না তিনি। দুবার চিঠি দিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর দর্শন পাননি সিআরপির কোবরা বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডান্ট। স্বাধীনতা-৭৫ এ দেশজুড়ে যখন বীর শহিদ, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করা জওয়ানদের স্মরণ করা হচ্ছে তখন বাংলায় উপেক্ষিতই থেকে গিয়েছেন একমাত্র শৌর্যচক্র বিজেতা।

    তবে বাংলায় উপেক্ষিত হলেও দেশজুড়ে দিলীপবাবুকে উচ্ছ্বসিত সকলেই। কেন্দ্রীয় বাহিনীর শীর্ষ কর্তারা জানাচ্ছেন, শৌর্য চক্র পাওয়া এমনিতেই বিরাট কৃতিত্বের। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শৌর্য চক্র প্রাপকেরা মরনোত্তর পদক পান। অর্থাৎ কোনও অপারেশনে গিয়ে বা যুদ্ধ ক্ষেত্রে গিয়ে লড়াইয়ে ময়দানে প্রাণ দিয়ে দেশের সম্মান রক্ষাকারীদের এই পদক দিয়ে সম্মান জানানো হয়। সেনাবাহিনী থেকেই এই পদক প্রাপকের সংখ্যা বেশি। দিলীপবাবুর কৃতিত্ব এই কারণেই আরও বিরল। কারণ, তিনি জীবিত অবস্থা শৌর্য চক্র পেয়েছেন। যার অর্থ, অপারেশনে নেতৃত্ব শুধু নয়, সফল অপারেশনে নিজেকে ও তাঁর জওয়ানদের সুরক্ষিত রাখতে সমর্থ হয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয়ত দিলীপবাবু আধা সামরিক বাহিনী সিআরপির অফিসার।

    ২০১৯ সালে বিহারের ঔরঙ্গাবাদে বাংলা বাগিচায় মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অপারেশনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। কোবরা বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডান্ট হিসাবে সামনে থেকে লড়ে সেই অপারেশনে বিজয় পেয়েছিল সিআরপি। নধরপুষ্ট আম বাঙালির চেহারা যাঁদের মনে থাকে তাঁরা ভেবে দেখবেন হুগলির দিলীপ মালিক কোবরা বাহিনীর মতো ভয়ঙ্কর এক কমান্ডো বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডান্ট ছিলেন।

    ২০২২ এর মে মাসে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তাঁকে শৌর্য চক্র সম্মানে ভূষিত করেছেন। দেশ তাঁকে সম্মান দিয়েছেন। কিন্তু প্রথম বাঙালি শৌর্য চক্র বিজেতা বার বার চেষ্টা করেও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। অনেকে মনে করছেন, ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার আগে মাওবাদীদের সঙ্গে গোপন বোঝাপড়া ছিল তৃণমূলের। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সরকার নন্দীগ্রাম আন্দোলন সম্পর্কে সরকারি অবস্থান জানাতে গিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে পর্যন্ত হলফনামা দিয়ে সে কথা জানিয়েছিল। বিহারে মাওবাদীদের নিকেশ অভিযানে নামা কোবরা বাহিনীর অফিসারের সঙ্গে সেই কারণেই কি দেখা করতে চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী।   

  • Anubrata Mondal: গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল! নিয়ে যাওয়া হতে পারে সিবিআই ক্যাম্প অফিসে

    Anubrata Mondal: গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল! নিয়ে যাওয়া হতে পারে সিবিআই ক্যাম্প অফিসে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জল্পনার অবসান। বহু নাটকের পর অবশেষে গরুপাচার (Cow Smuggling Case) মামলায় সিবিআই (CBI) আটক করল অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। গরু পাচার মামলায় একাধিকবার তাঁকে নোটিশ পাঠায় সিবিআই। বারবার নানা অজুহাতে তিনি সিবিআইকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এমনকি অসুস্থতার অভিযোগে পিজি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন অনুব্রত। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁর সাস্থ্য পরীক্ষা করে জানিয়ে দিয়েছিলেন ভর্তির কোনো প্রয়োজন নেই। তখন তিনি কলকাতা থেকে বীরভূম ফিরে যান। ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে বীরভূম মহকুমা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক অনিয়ে জোর করে অসুস্থতার সার্টিফিকেট লিখিয়েছিলেন অনুব্রত, অভিযোগ এমনটাই। কিন্তু তাতেও রেহাই পেলেন না।

    শেষপর্যন্ত তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে আটক করে সিবিআই। বৃহস্পতিবার বোলপুরে অনুব্রতর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে আটক করেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। বুধবার সিবিআইয়ের দশম তলব এড়িয়ে যান অনুব্রত। তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে বলেই কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালেই বোলপুরে পৌঁছে যান গোয়েন্দারা। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়েই অনুব্রতর বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই।  

    আরও পড়ুন: পার্থ-অনুব্রত কাণ্ডের জের! “সবাই চোর নয়”, সাফাই আতঙ্কিত তৃণমূলের

    এদিন সকালে অনুব্রতর বাড়িতে ঢুকেই ভিতর থেকে তাঁর বাড়ির সমস্ত গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন আধিকারিকরা। বাইরে রাখা থাকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যদের। বাড়ির প্রত্যেকের এবং অনুব্রতর দেহরক্ষীদের ফোন কেড়ে নিয়ে বাইরে বের করে দেওয়া হয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) পর তৃণমূলের (TMC) আরও এক হেভিওয়েট নেতা কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে। আজ সকালে আদালতের নির্দেশনামা ও মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে বোলপুরের নীচুপট্টিতে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়িতে পৌঁছে যান সিবিআই অফিসাররা। ঘণ্টাখানেক পর অনুব্রতকে বাড়ি থেকে বার করা হয়। বসানো হয় সিবিআইয়ের গাড়িতে।জানা যাচ্ছে, সিবিআইয়ের ক্যাম্প অফিসে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে দফায় দফায় তাঁকে জেরা করবেন সিবিআই আধিকারিকরা। গরুপাচার মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। 

     

  • SSC Scam: এবার পার্থর পকেটেও কাট ছাঁট! জানেন কত হল প্রাক্তন মন্ত্রীর এখনকার বেতন?

    SSC Scam: এবার পার্থর পকেটেও কাট ছাঁট! জানেন কত হল প্রাক্তন মন্ত্রীর এখনকার বেতন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলবন্দি বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছে শাসকদল৷ মন্ত্রিসভা থেকে ছেঁটে ফেলার পর দলের সমস্ত পদ থেকেও বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁকে৷ এমনকী তৃণমূল থেকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে প্রাক্তন মহাসচিবকে৷ এবার বেতনে কোপ পড়ল পার্থের৷ বিধানসভা সচিবালয় সূত্রে খবর, অন্যান্য বিধায়কদের তুলনায় ৬০ হাজার টাকা কম বেতন পাবেন তিনি৷ 

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Bengal Recruitment Scam) এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় । এক সময় তিনি রাজ্য মন্ত্রিসভার দু’নম্বর ব্যক্তি হলেও এখন তিনি আর মন্ত্রী নন। সম্প্রতি বিধানসভার তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দুর্নীতির অভিযোগ মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে বিধানসভার কোনও কমিটিতে রাখা হবে না। এর প্রভাব পড়েছে তাঁর বেতনেও।  বিধানসভায় মোট ৪১টি কমিটি রয়েছে। প্রত্যেক বিধায়ককে ন্যূনতম দুটি কমিটিতে রাখা হয়, যাতে তাঁরা মাসে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা বৈঠক-ভাতা নিশ্চিত করতে পারেন৷ 

    আরও পড়ুন: সিবিআই হেফাজতে আসতে পারেন পার্থ! ১৩১টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান

    বিধায়করা মাসিক ২১ হাজার ৮৭০ টাকা মূল বেতন পেয়ে থাকেন, কোনওরকম ভাতা ছাড়া। এরপর যদি কোনও বিধায়ক পরিষদীয় কমিটির মিটিংগুলিতে যোগদান করেন, তবে ভাতা হিসেবে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে তাঁর মোট বেতন গিয়ে দাঁড়ায় ৮২ হাজার টাকা। তৃণমূল পরিষদীয় দলের এক সদস্যের কথায়, “পার্থ এখন জেলে রয়েছেন৷ উনি কবে আবার বিধানসভায় এসে কাজে যোগ দিতে পারবেন, তার কোনও ঠিক নেই। তাই তাঁকে কমিটিতে রাখারও কোনও মানে হয় না৷ এর চেয়ে যে সকল বিধায়ক নিয়মিত বৈঠকে যোগ দিতে পারবেন,  তাঁদেরকেই সুযোগ দেওয়া উচিত।”

    এমনিতেই সময় ভালো যাচ্ছে না রাজ্যের প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রীর। ইডি (ED)-র জেরার মুখে পড়েছেন ৷ তাঁর একের পর এক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সিল করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে মন্ত্রিত্ব হারিয়ে বিগত দিন যে পরিমাণ বেতন পেতেন, তাও কমেছে পার্থর। সবমিলিয়ে এখন পার্থের শিরে-সংক্রান্তি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Co-operative Bank Recruitment Scam: এবার রাজ্যের সমবায় ব্যাংক নিয়োগেও দুর্নীতি! জড়াল মন্ত্রী অরূপ রায়ের নাম

    Co-operative Bank Recruitment Scam: এবার রাজ্যের সমবায় ব্যাংক নিয়োগেও দুর্নীতি! জড়াল মন্ত্রী অরূপ রায়ের নাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দমকলের পর এবার রাজ্যের সমবায় ব্যাংক নিয়োগেও লাগল দুর্নীতির ছায়া। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি (Teachers Recruitment scam) নিয়ে একের পর এক অভিযোগ সামনে এসেছে রাজ্যে। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক বা প্রাথমিক থেকে শিক্ষাকর্মী সর্বত্রই নিয়োগ দুর্নীতিতে জেরবার তৃণমূল সরকার। এবার ব্যাংকে নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠল।  তমলুক – ঘাটাল কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকে (Co Operative Bank) মন্ত্রী ও চেয়ারম্যান ঘনিষ্ঠদের বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার একটি জনস্বার্থ মামলায় অতিরিক্ত হলফনামা পেশ করেছেন মামলাকারীরা। সেই হলফনামায় নাম রয়েছে খোদ মন্ত্রী অরূপ রায়ের (Arup Roy)। 

    কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জমা পড়া অতিরিক্ত হলফনামায় নিয়ম ভেঙে মন্ত্রী ঘনিষ্ঠদের চাকরি পাওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), পরেশ অধিকারী, অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) সঙ্গে একই সারিতে পড়লেন মন্ত্রী অরূপ রায়ও। মন্ত্রী বা ব্যাংকের চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ অনেককে নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এদিন হলফনামা পেশ করা হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে মন্ত্রী জানিয়েছেন, এমন কোনও দুর্নীতিই হয়নি। এই অভিযোগ অসত্য ভিত্তিহীন। তিনি জানান, প্রকৃত তদন্ত হোক। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁরা শাস্তি পাবে।

    হাইকোর্টে দাখিল হলফনামায় অভিযোগ, সমবায়মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সত্য সামন্তের বোন সমবায় ব্যাংকে চাকরি পেয়েছেন। ৫২টি শূন্যপদ থাকলেও নিয়োগ হয়েছে ১৩৪ জনের। একাধিক ব্যক্তির ঘনিষ্ঠদের চাকরি হয়েছে তমলুক-ঘাটাল কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকে। এই ব্যাংকে তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে আদালতে। 

    আরও পড়ুন: পেগাসাস বিতর্কে স্বস্তি কেন্দ্রের! মাত্র ৫টি ফোনে ম্যালওয়ারের অস্তিত্ব মত শীর্ষ আদালতের

    অতিরিক্ত হলফনামায় বলা হয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি প্রয়াত দেবব্রত দাসের ভাইপোও অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছেন। চাকরি পেয়েছেন সেই ব্যাংকের চেয়ারম্যান গোপাল চন্দ্র মাইতির ভাইপো। এখানেই শেষ নয়। অতিরিক্ত হলফনামায় দাবি, কেন্দ্রীয় এই সমবায় ব্যাঙ্কের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সিইও প্রণয় কুমার চক্রবর্তীর ভাইপোও চাকরি পেয়েছেন। এছাড়াও ব্যাংক সচিব কৌশিক কুলভির ভাইপো, ব্যাংক কর্তা নিমাই অধিকারীর মেয়ে এবং ব্যাংকের কর্তা তপন কুমার কুলিয়ার ছেলেও চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ।

    মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, নিয়ম বহির্ভূত ভাবে নিয়োগের জন্য দুই দফায় অনুমতি দিয়েছিলেন মন্ত্রী অরূপ রায়। অভিযোগ, কো-অপারেটিভ, সার্ভিস কমিশন ছাড়া নিয়োগ করতে পারবে ব্যাংক, এই মর্মে দুবার অনুমোদন দিয়েছিলেন মন্ত্রী। মামলাকারীদের দাবি, কো-অপারেটিভ সার্ভিস কমিশন ছাড়া নিয়োগ করা আইনবিরুদ্ধ। মোট ২০৩৫ জন আবেদন করেছিলেন এবং ব্যাংকের নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরে ফি জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু ফি জমা দেওয়ার এই তালিকায় ১০০ টির বেশি নাম ফাঁকা রয়েছে বলে অভিযোগ। আবেদন না করেও অনেকে চাকরি পেয়েছেন এমনই দাবি মামলাকারীদের। অভিযোগ, মেধাতালিকায় নাম না থাকা সত্ত্বেও অনেকে চাকরি পেয়েছেন। ২০১৯ সালের বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে এই নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হয়। এই নিয়োগ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় ২০২১ সালে। সেই মামলাতেই অতিরিক্ত হলফনামা দাখিল করে নতুন এই অভিযোগ জানানো হয়েছে।

  • IPS Rajib kumar : পুলিশে ফের সক্রিয় রাজীব কুমার, তিনিই কি পরবর্তী ডিজি?

    IPS Rajib kumar : পুলিশে ফের সক্রিয় রাজীব কুমার, তিনিই কি পরবর্তী ডিজি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের কার্যকলাপে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছেন বিতর্কিত আইপিএস অফিসার রাজীব কুমার। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, ইদানীং নাকি তাঁর পরামর্শেই চলছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। নবান্নের (Nabanna) খবর, গত দুই তিন বারের আইপিএস বদলিও হয়েছে রাজীব কুমারের অঙ্গুলিহেলনে। এমনকী সিআইডি প্রধানের পদ থেকে ছাঁটা পড়েছেন জ্ঞানবন্ত সিংহের মতো চোদ্দতলার এক প্রকার তল্পিবাহক অফিসারও। হঠাৎই রাজীব কুমারের সক্রিয় হয়ে ওঠার নেপথ্যে ফের চর্চা শুরু হয়েছে তা হলে পঞ্চায়েত ভোটের পর তিনিই কি হচ্ছেন রাজ্যের পরবর্তী ডিজি?

    শোনা যাচ্ছে, মহারাষ্ট্রের সরকার পতনের পর নবান্ন রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগ, সিআইডি, এসটিএফকে ফের বিরোধী দলের ব্লকস্তর পর্যন্ত নেতাদের ফোনে নজরদারি চালাতে নির্দেশ দিয়েছে। বাদ যাচ্ছে না শাসক দলের বেশ কিছু নেতার ফোনও। বিশেষ করে পুরনো তৃণমূল এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একদা ঘনিষ্ঠ সমস্ত মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়কদের উপর রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগই কড়া নজরদারি চালাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: কেন অনুব্রতর বাড়িতে ডাক্তার? হাসপাতাল সুপারকে ধমক স্বাস্থ্য কর্তার, দায় নেবে না নবান্ন

    রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান রাজীব মিশ্র নজরদারির দায়িত্বে থাকা অফিসারদের দেদার ফোন ট্যাপিংয়ের সঙ্গে এমন নির্দেশও দিয়েছেন যাতে নজরদারির কোনও নথি দফতরের সংগ্রহে না রাখা হয়। অর্থাৎ ফোন শোনার পর পরই কিছুদিনের মধ্যেই সেগুলি নষ্ট করে দিচ্ছে গোয়েন্দা বিভাগ। একইভাবে সক্রিয় হয়েছে সিআইডি এবং এসটিএফ। আইপিএস মহলের অনেকেই সেই কারণে মনে করছেন, রাজ্য পুলিশের পরবর্তী ডিজি হতে চলেছেন রাজীব কুমার। তাই এক বছর আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছেন। পুরনো নকশা মতোই কাজ শুরু করেছে রাজ্য পুলিশ।

    নবান্নের খবর, বর্তমান ডিজি মনোজ মালব্য ২০২৩ এর ৩১ মে অবসর নেবেন। ডিজি হওয়ার প্রশ্নে সিনিয়রিটির  নিরিখে রাজ্যে কর্মরত অফিসারদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন বিবেক সহায়, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, রাজীব কুমার, রণবীর কুমার, রাজেশ কুমার, দেবাশিস রায় এবং জয়ন্ত বসু। আইপিএস কর্তাদের একাংশের ধারণা, রাজীব কুমার, রণবীর কুমার এবং রাজেশ কুমারের ২০২৬ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত চাকরি রয়েছে। ফলে তাঁদের মধ্য থেকেই কেউ একজন পরবর্তী ডিজি হতে পারেন। বাঙালি কোনও অফিসারকে বসাতে হলে সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের নামও ভাবতে পারে নবান্ন। কিন্তু পরবর্তী ডিজিই লোকসভা ভোট পরিচালনা করবেন, সে দিক থেকে মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বস্ত লোককেই চাইবেন বলে ধরে নিচ্ছেন আইপিএসদের একাংশ।

    আরও পড়ুন: ফের তলব এড়ালেন অনুব্রত, এবার কোন পথে হাঁটবে সিবিআই?

    সারদা মামলায় এখন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জামিনে রয়েছেন রাজীব কুমার। সিবিআই সর্বোচ্চ আদালতে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করার জন্য তৎপর হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে। কারণ, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যে ভাবে এগচ্ছে তাতে এসএসসি মামলার জাল কিছু গুটিয়ে আনার পর চিট ফান্ড, কয়লা, গরু পাচারের মামলাগুলিতেও সক্রিয় হবে বলে ধরে নেওয়া যায়। এখন রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগ, সিআইডিসহ নবান্নর বিশ্বাসভাজন হিসাবে কাজ করছেন যে গুটিকয় আইপিএস তাঁদের কয়লা, গরু, চিটফাণ্ড কাণ্ডে যোগসূত্র রয়েছে বলেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের হাতে নথি রয়েছে। ফলে পিঠ বাঁচাতেই বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে পাল্টা মামলা তৈরিতে মরিয়া তাঁরা। অনেকেই জানাচ্ছেন, রাজীব কুমারের পুলিশি কর্মকাণ্ডে ফের সক্রিয় হয়ে ওঠার পিছনে সে সবও কারণ থাকতে পারে। কারণ, তথ্য প্রযুক্তি সচিব হিসাবে নিযুক্ত থাকলেও তাঁর কাছে প্রতিদিনই বেশ কয়েকজন আইপিএস অফিসার দেখা করতে আসছেন। এমন দেখা করতে আসা কয়েকজন সম্প্রতি গুরুত্বপূর্ণ পোস্টিংও পেয়েছেন। ডিজি নবান্ন বা ভবানী ভবনে বসলেও ওয়েবেল ভবনই এখন পুলিশ মহলের নতুন ক্ষমতাকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

    কিছুদিন আগে পর্যন্ত রাজীব কুমার ঘনিষ্ঠ মহলে স্বেচ্ছাবসর নিয়ে বিদেশে পড়াশোনা করতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করতেন। তাঁর কৃতকর্মের জন্য আপেক্ষ করতেন। এখন সে সবের বালাই নেই বলেই শোনা যাচ্ছে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার থাকাকালীন তাঁরই সতীর্থরা রাজীব কুমারকে ডেপুটি সিএম বলে মজা করতেন। পুলিশি সক্রিয়তা, রাজ্য পুলিশের বিরোধীদের উপর নজরদারি বেড়ে যাওয়ায় এখন আবার অনেকেই রাজীব কুমার পুরনো ভূমিকায় ফিরতে চাইছেন বলে মনে করছেন।

  • Professor Bikini Controversy: ইনস্টাগ্রামে পুরনো বিকিনি-পোস্টের জেরে চাকরি গেল সেন্ট জেভিয়ার্সের অধ্যাপিকার

    Professor Bikini Controversy: ইনস্টাগ্রামে পুরনো বিকিনি-পোস্টের জেরে চাকরি গেল সেন্ট জেভিয়ার্সের অধ্যাপিকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপরাধ বিকিনি (Bikini) পরে ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট করা। আর এই কারণেই চাকরি গেল এক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকার। যে সে বিশ্ববিদ্যালয় নয়। ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার এক অত্যন্ত কুলীন বিশ্ববিদ্যালয়ে। নাম সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় (St. Xavier’s University)। শিক্ষিকার বিকিনি পরা ছবি এক ছাত্র দেখে ফেলায়, তাঁকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এমনই অভিযোগ করেছেন ওই অধ্যাপিকা (Professor)।

    আরও পড়ুন: কেন অনুব্রতর বাড়িতে ডাক্তার? হাসপাতাল সুপারকে ধমক স্বাস্থ্য কর্তার, দায় নেবে না নবান্ন  
     
    সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই প্রাক্তন অ্যাস্টিস্ট্যান্ট প্রফেসর বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলেন, “প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের বাবা তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান, এরপরই তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।” সেন্ট জেভিয়ার্স যদিও এই সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়েছে,স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়েছিলেন ওই অধ্যাপিকা। 

    ভাইরাল হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ছাত্রের বাবার লেখা সেই চিঠি। চিঠিতে বি কে মুখোপাধ্যায় নামে ওই ব্যক্তি লিখেছেন, “আমার ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপিকার বিকিনি পরা ছবি দেখতে পেয়েছে। ছবিগুলি অত্যন্ত কুরুচিকর, অশ্লীল,প্রায় নগ্ন বললেই চলে। ছবিগুলিতে শিক্ষিকা যৌন উত্তেজনামূলক পোশাক পরে রয়েছেন। শিক্ষিকার অন্তর্বাস পরা ছবি ছেলে দেখছে, বাবা হিসেবে আমার কাছে ভীষণ লজ্জার এই দৃশ্য। একজন ১৮ বছরের ছেলে তার অধ্যাপিকার স্বল্পাবাসের ছবি দেখছে, তাও আবার প্রকাশ্যে পাবলিক প্ল্যাটফর্মে, এটি অত্যন্ত নিকৃষ্টমানের ও লজ্জাজনক ঘটনা।” 

    আরও পড়ুন: ‘দিদি’ ফোন ধরছেন না, সিবিআই ডাকে বিচলিত কেষ্টর চোখে ঘুম নেই  

     

    প্রাক্তন অধ্যাপিকার অভিযোগ, এর পরই তাঁকে ডেকে পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৈঠক চলাকালীন তাঁকে অভিভাবকের চিঠিটিও দেখানো হয়। তাঁকে চাকরিতে ইস্তফা দেওয়ার কথা বলা হয়। গত ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর ওই অধ্যাপিকা পুলিশে অভিযোগ জানান, তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে থাকতে পারে। কারণ তাঁর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল প্রাইভেট মোডে রয়েছে, কোনও ছবিই বাইরের কারও পক্ষে দেখা সম্ভব নয়। তা সত্ত্বও কী করে ওই ছাত্র ছবি দেখতে পেল তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। 

    অধ্যাপিকার অভিযোগ একরকম জোড় করেই ইস্তফা দেওয়ানো হয় তাঁকে। যদিও সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ওই অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়েছেন বলেই দাবি তাঁদের।  

  • Anubrata treatment fiasco: কেন অনুব্রতর বাড়িতে ডাক্তার? হাসপাতাল সুপারকে ধমক স্বাস্থ্য কর্তার, দায় নেবে না নবান্ন

    Anubrata treatment fiasco: কেন অনুব্রতর বাড়িতে ডাক্তার? হাসপাতাল সুপারকে ধমক স্বাস্থ্য কর্তার, দায় নেবে না নবান্ন

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ এসএসকেএম হাসপাতাল ফিরিয়ে দিয়েছে। তারপরেও কেন অনুব্রত মণ্ডলের(Anubrata) চিকিৎসার জন্য  সরকারি ডাক্তাররা তাঁর বাড়ি গেলেন তা নিয়ে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মুর কাছে জবাব তলব করল স্বাস্থ্য ভবন। সূত্রের খবর, রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা মঙ্গলবারই ফোন করে হাসপাতাল সুপারকে ধমক দেন। তারপরেই তড়িঘড়ি অবস্থান বদলে চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী সংবাদমাধ্যমে জানিয়ে দেন, চাপের মুখে বাধ্য হয়ে তিনি অনুব্রতর বাড়ি গিয়েছিলেন। এর থেকে স্পষ্ট রাজ্যের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক স্তর এবার কেষ্ট মণ্ডলকে ঝেড়ে ফেলতে চাইছে। তাই সরকারি চিকিৎসকদের তাঁর চিকিৎসা না করার ফরমান জারি করে দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন।

    ফের তলব এড়ালেন অনুব্রত, এবার কোন পথে হাঁটবে সিবিআই?

    সরকারি সূত্রের খবর, বীরভূম জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়িও স্বাস্থ্য ভবনকে জানিয়ে দেন বোলপুর হাসপাতালের সুপার যে অনুব্রতর বাড়িতে ডাক্তার পাঠাচ্ছেন তা তাঁর জানা ছিল না। তাঁকে পুরো প্রক্রিয়ার বাইরে রাখা হয়েছিল। জানা যাচ্ছে, জেলার স্বাস্থ্য কর্তারা না জানলেও জেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ এক কর্তা এবং এক পুলিশ অফিসার এ নিয়ে অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। তাঁরাই বোলপুরের সুপারকে কেষ্টর বাড়িতে ডাক্তার পাঠিয়ে আনফিট সার্টিফিকেট দিতে বলেছিলেন। এখন স্বাস্থ্য ভবন বেঁকে বসায় তাঁরাও আর দায় নিচ্ছেন না।

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, পিজি হাসপাতাল কেষ্টকে ভর্তি না করার পরই বোঝা উচিৎ ছিল সরকার আর ওই ব্যক্তির চিকিৎসা নিয়ে জড়াতে চায় না। তারপরও সরকারি ডাক্তাররা তাঁর বাড়িতে গিয়ে ভিন্ন মত পোষণ করায় রাজ্য প্রশাসনের সর্বোচ্চস্তর থেকে বিরক্তি প্রকাশ করা হয়। ঘটনাচক্রে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই স্বাস্থ্য অধিকর্তা বোলপুরের সুপারকে ধমক দিয়ে আর কোনও চিকিৎসা না করার পরামর্শ দেন। কেন ওই ডাক্তারকে পাঠানো হয়েছিল তাও সবার সামনে জানিয়ে দিতে নির্দেশ দেন।

    গরু পাচার মামলায় সিবিআই চার্জশিটে কাদের নাম?

    স্বাস্থ্য ভবনের এমন অবস্থানে প্রমাদ গুনতে শুরু করেছেন জেলা তৃণমূলের নেতারা। যে কর্তা হাসপাতাল সুপারকে ফোন করে নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনিও নবান্নে নানা ব্যাখ্যা পাঠিয়েছেন। তৃণমূল নেতারা বুঝতে পারছেন যে কেষ্টর মাথায় অক্সিজেন পৌঁছানো নিয়ে রাজ্যের সর্বময়কত্রীর চিন্তার শেষ ছিল না, তিনিই এখন অনুব্রতর পশ্চাৎদেশের অসুখেও গা করছেন না। তৃণমূল নেতারা আড়ালে বলছেন,  পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের(parta chatterjee) পর অনুব্রত মণ্ডলের দায়ও দল ঝেড়ে ফেলল। এখন হাজতবাস ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।

LinkedIn
Share