Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Gyanwant Singh: কয়লাপাচার মামলায় ইডির দফতরে হাজিরা এড়ালেন জ্ঞানবন্ত! কীসের ভয়?

    Gyanwant Singh: কয়লাপাচার মামলায় ইডির দফতরে হাজিরা এড়ালেন জ্ঞানবন্ত! কীসের ভয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লাপাচার কাণ্ডে সোমবার দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) সদর দফতরে হাজিরা এড়ালেন রাজ্য পুলিশের এডিজি এসটিএফ জ্ঞানবন্ত সিং (ADG STF Gyanwant Singh) ৷  এ দিন সকাল ১১ টায় দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু হাজিরা দেননি তিনি। 

    এডিজি এসটিএফ জ্ঞানবন্ত সিং-কে এর আগেও দিল্লিতে তলব করা হয়েছিল। ইডির দফতরে হাজিরাও দিয়েছিলেন তিনি। ইডি সূত্রের খবর, বাংলায় যখন রমরমিয়ে কয়লাপাচার চক্র কাজ চালাচ্ছিল, সেই সময় রাজ্যের এডিজি আইনশৃঙ্খলা পদে ছিলেন এই জ্ঞানবন্ত। তাঁর নজর এড়িয়ে কীভাবে কোটি কোটি টাকার কয়লাপাচার হল, তা জানতে চাইছে ইডি ৷ সূত্রের খবর, কয়লাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালাকে জেরা করেই জ্ঞানবন্তের নাম জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তারপরই তাঁকে তলব করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: কয়লা কাণ্ডেও সক্রিয় ইডি, তলব ৮ আইপিএস অফিসারকে

    শুধু জ্ঞানবন্ত নয়, রাজ্যের মোট আটজন আইপিএস অফিসারকে তলব করেছে ইডি। যাঁদের তলব করা হয়েছে, সেই তালিকায় জ্ঞানবন্ত ছাড়াও রয়েছেন আইপিএস শ্যাম সিং, রাজীব মিশ্র, তথাগত বসু, সুকেশ জৈন, ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, এস সেলভামুরুগন ও কোটেশ্বর রাও। তাঁরা প্রত্যেকেই বিভিন্ন ওই সময় কোনও না কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। এদের মধ্যে কেউ সেই সময় ছিলেন ডিআইজি, কেউ আইজি, কেউ পুলিশ সুপার। তাঁরা কি কয়লা পাচারের ব্যাপারে ওয়াকিবহাল ছিলেন? পুলিশ আধিকারিকদের সামনে দিয়ে কী ভাবে পাচার হত? তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।

    জ্ঞানবন্ত পশ্চিমাঞ্চলের আইজিও ছিলেন। পশ্চিমাঞ্চলের বিরাট এলাকা জুড়ে এই কয়লা চুরি রমরমিয়ে চলে বলে জানতে পারেন তদন্তকারী অফিসারেরা। কীভাবে তাঁর নজর এড়িয়ে কয়লাপাচার হল? দায়িত্ববান পুলিশ আধিকারিক হয়েও কেন আইনি পদক্ষেপ নেননি তিনি? কয়লাপাচার হচ্ছে, এই খবর তিনি কি জানতেন না? এমন একাধিক প্রশ্ন রয়েছে ইডির কাছে, বলে খবর। এই মামলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর স্ত্রী রুজিরাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি।

  • Belur Math: জন্মাষ্টমীর ভোরে খুঁটি পুজো ও কাঠামো পুজো বেলুড় মঠে, দুর্গা পুজোর শুভারম্ভ

    Belur Math: জন্মাষ্টমীর ভোরে খুঁটি পুজো ও কাঠামো পুজো বেলুড় মঠে, দুর্গা পুজোর শুভারম্ভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মাষ্টমীর ভোরে বেলুড় মঠের দুর্গা পুজোর শুভ সূচনা হল। নিয়ম মাফিক প্রতি জন্মাষ্টমীর সকালে দেবী দুর্গার কাঠামো পুজো এবং মন্ডপের খুঁটি পূজার শুভারম্ভ হয় এই দিনটিতে। গত দুবছর করোনার কারণে মহা পুজোর সমারোহে খামতি থাকলেও এ বছর সব সুদে মূলে উসুল করে নিচ্ছে বেলুড় মঠ (Belur Math)।  

    ভোরে মূল মন্দিরে মঙ্গলারতির পর মন্দিরের ভিতরে শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেবের মূর্তির পাশেই শুরু হয় কাঠামো পুজো। ফুল ধুপ বৈদিক মন্ত্রাচরণ সন্ন্যাসীদের সমবেত প্রার্থনা দিয়ে দেবীর কাঠামোকে পূজা করা হয়। বস্তুতপক্ষে দেবীর এটি স্থায়ী কাঠামো। প্রতিবার দশমীতে গঙ্গায় বিসর্জিত হওয়ার পর সেটি গঙ্গা থেকে তুলে এনে রাখা হয় এবং সেটিতেই দুর্গার মূর্তি তৈরি করা হয়। এক কথায় আজ থেকেই বেলুড় মঠে দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল।

    আরও পড়ুন: নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়ে রূপ নিচ্ছে সাইক্লোনের, আপনার জেলাতেও কি আছড়ে পড়বে ঝড়?

    বেলুড় মঠের স্বামী ভক্তিপ্রিয়ানন্দজি মহারাজ বলেন, ‘‘সাধারণত জন্মাষ্ঠমী তিথিতে এই কাঠামো পুজোর প্রচলন আছে৷ বেলুড় মঠের কাঠামো পুজো হয় জন্মাষ্ঠমীর এই তিথিতেই৷ এবার শ্রীকৃষ্ণের জন্মোৎসব যেটা, সেটা গতকাল পালন করেছি৷ আজ কাঠামো পুজো শুরু হয়ে গিয়েছে ৭.১৫ থেকে৷ প্যান্ডেলের খুঁটি পোঁতা এবং পুজোও হবে মাঠে৷ বিগত দু’বছর করোনার জন্য বন্ধ ছিল৷ এবার বাইরে আগের মতো পুজো হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ সেখানেও কাঠামো পুজোর মতোই খুঁটি পুজো হবে৷ আমাদের সব কাজ যাতে সুষ্ঠুভাবে সুসম্পন্ন হয়, সেজন্য মায়ের কাছে প্রার্থনা৷’’ তিনি বলেন, ‘‘এবার সবকিছু আগের মতো হবে৷ ২০১৯ সালে এবং তার আগেও যেভাবে দুর্গা পুজো হয়েছে, এবারও সেভাবেই হবে৷ নবপত্রিকার স্নান থেকে আরম্ভ করে কুমারী পুজো, সন্ধি পুজো, নবমীর হোম বাকি সবকিছু আগের মতোই হবে বলে মনস্থ করা হয়েছে৷’’

    আরও পড়ুন: ফের মুম্বইয়ে জঙ্গি-নাশকতার ছক! মিলল অস্ত্রবোঝাই নৌকা, কী বলছেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী

    করোনা নামক অতিমারির জন্য গত বছর ধরে সেভাবে দুর্গা পুজোর আয়োজন করা হয়নি বেলুড় মঠে (Belur Math)৷ এখন করোনার আগের রূপ অনেকটাই স্থিমিত৷ সরকারের তরফে বিধিনিষেধও তুলে নেওয়া হয়েছে৷ ফলে এবছর শারদোৎসবের সবই আগের মতো হবে বেলুড় মঠে৷ সেইমতোই জন্মাষ্ঠমীর দিন প্রথামাফিক কাঠামো পুজোর পাশাপাশি খুঁটি পুজোও করা হল এখানে৷

  • SSC Scam: ১৪ দিনের জেল হেফাজত পার্থ-অর্পিতার! কেউ ছাড় পাবে না,  প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নিশানায় কারা?

    SSC Scam: ১৪ দিনের জেল হেফাজত পার্থ-অর্পিতার! কেউ ছাড় পাবে না, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নিশানায় কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Teacher Recruitment) আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজত পার্থ-অর্পিতার। এদিন নির্দেশ মতোই আদালত কক্ষে পেশ করা হয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee)। সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী এদিন আদালতে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতির কথা উল্লেখ করে জামিনের আবেদন করেন। সূত্রের খবর, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী নিজেও হাত জোড় করে জামিনের আবেদন জানান। কিন্তু তা খারিজ করে দেন বিচারপতি। তবে এদিন অর্পিতা মুখোপাধ্যায় বা তাঁর আইনজীবী জামিনের কোনও আবেদন জানাননি।

    ৫ অগাস্ট SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ এবং অর্পিতাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের রায় দেয় ব্যাঙ্কশাল আদালত। ১৪ দিন পর এদিন আদালতে পেশ করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। আদালতে পার্থের আইনজীবী জানান, পার্থের হিমোগ্লোবিন কম। তাঁর শরীরে ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ বেড়েছে। একা চলাফেলার ক্ষেত্রেও তাঁর অসুবিধা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পার্থের আইনজীবী। এর প্রেক্ষিতে ইডির আইনজীবী জানান, এই বয়সে এগুলি স্বাভাবিক। তাঁর পাল্টা দাবি, পার্থ তদন্তে সহযোগিতা করেননি। পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে বিপুল অর্থের উৎস সম্পর্কেও মুখ খোলেননি প্রাক্তন মন্ত্রী। ইডি প্রথমে ৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কথা জানালেও পরে আরও ১০টি অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে বৃহস্পতিবার দাবি করেছে ইডি। পার্থের স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের নামে একটি ট্রাস্টের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এই ট্রাস্টের নামে একটি ‘ইন্টারন্যাশনাল স্কুল’ আছে বলে আদালতকে জানিয়েছেন ইডি-র আইনজীবী। এই ট্রাস্টের মাধ্যমে টাকা তছরুপ করা হত বলেও দাবি করেছে ইডি।

     
    এদিন আদালতের প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে পার্থের মন্তব্য ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, “কেউ ছাড়া পাবে না।” যা নিয়ে শুরু হয়েছে প্রবল জল্পনা। কিছুটা বিরতি নিয়ে তাঁর সংযোজন, “সময়ে সব কিছু প্রমাণ হবে।” তবে এই ‘কেউ’ বলতে তিনি কাদের দিকে ইঙ্গিত করলেন, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি পার্থ। শুধুমাত্র সময়ে প্রমাণ হবে বলেই জোরালো ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন। ফলে আদালতে দাঁড়িয়ে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তন মন্ত্রীর এমন মন্তব্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
  • Suvendu Adhikari: আদালতে স্বস্তি শুভেন্দুর! বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে আনা জনস্বার্থ মামলা খারিজ করল হাইকোর্ট

    Suvendu Adhikari: আদালতে স্বস্তি শুভেন্দুর! বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে আনা জনস্বার্থ মামলা খারিজ করল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষে রায় দিল আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে যে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল, তা বুধবার খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সারদা মামলায় শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়ে ওই জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলা খারিজ করেছে।

    ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেন জেল থেকে লেখা চিঠিতে দাবি করেছিলেন, শুভেন্দু তাঁর কাছ থেকে ‘বেআইনি ভাবে’ টাকা নিয়েছেন। এই চিঠিকে সামনে রেখেই নন্দীগ্রামের বিধায়কের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিল তৃণমূল। শুভেন্দু পাল্টা দাবি করেছিলেন, রাজনৈতিক চাপের মাধ্যমে সারদা-কর্তাকে দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ আনা হচ্ছে। সারদা-তদন্তে শুভেন্দু অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে সম্প্রতি একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি দায়ের করেছিলেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। বুধবার এই মামলা খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।

    আরও পড়ুন: কেন অনুব্রতর বাড়িতে ডাক্তার? হাসপাতাল সুপারকে ধমক স্বাস্থ্য কর্তার, দায় নেবে না নবান্ন

    সম্প্রতি আদালতে তোলার সময়ও সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন দাবি করেন, প্রথম চিঠিতে মুকুল রায়, অধীর চৌধুরীর নাম দিয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় চিঠিতে শুভেন্দু অধিকারীর নাম দেন। শুধু তাই নয়, শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর নামও বলেছিলেন সুদীপ্ত। তিনি দাবি করেন, কন্টাই পুরসভায় একটা বিল্ডিং করেছিল সারদা। আর তাতে সৌমেন্দু অধিকারী পুরোপুরি জড়িত ছিলেন বলে জানান সুদীপ্ত সেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, শুভেন্দু অধিকারী তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন অনেকবারই, তাঁকে ব্ল্যাকমেল করতেন বলেও অভিযোগ।

    বিরোধী দলনেতা বারবারই দাবি করেছেন, তাঁকে মিথ্যা জড়ানো হয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে তাঁকে। শুভেন্দুর আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার এদিন বলেন, ‘‘প্রায় ন’বছর আগে ঘটনাটি ঘটেছে। অথচ বিধানসভা নির্বাচনের আগে ওই চিঠি লিখেছিলেন সুদীপ্ত। ফলে ওই চিঠির পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে কি না, দেখতে হবে।’’ সিবিআইয়ের আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী আদালতকে জানান, তদন্ত চলছে। তদন্তকারী সংস্থার আতশকাচের তলায় অনেকেই রয়েছেন। প্রয়োজনে সকলকে ডাকা হবে। মঙ্গলবার এই মামলাটির রায়দান স্থগিত রেখেছিল হাইকোর্ট। বুধবার এই সংক্রান্ত মামলাটি খারিজ করে দিল উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ।

  • Partha Chatterjee: ‘টাকা মাটি মাটি টাকা’! সেলে পার্থর হাতে কথামৃত! ফিরবে চৈতন্য?

    Partha Chatterjee: ‘টাকা মাটি মাটি টাকা’! সেলে পার্থর হাতে কথামৃত! ফিরবে চৈতন্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসি নেই। রয়েছে পাখা। গদিওয়ালা বিছানা নেই। রয়েছে একটা চৌকি। অ্যাটাচড বাথ নয়, সেলের এক কোণে দেওয়াল তুলে ঘেরা জায়গায় রয়েছে শৌচালয়। প্রেসিডেন্সি জেলে সাধারণ বন্দিদের মতোই দিন কাটাচ্ছেন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। 

    আর একাকী সেলে তাঁর সময় কাটছে বই পড়ে ও জেলের অভিজ্ঞতা লিখে। সে কারণে বাড়ি থেকে প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে দুটি বই। লেখালেখি করে বই পড়ে জেলের দিন কাটছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তাঁর সেল ব্লকে আসছে বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি সহ মোট ৮টি করে সংবাদপত্র। যদিও সেদিকে নজর নেই তাঁর। সংবাদপত্র থেকে বেশ কিছুদিন ধরেই মুখ ফিরিয়েছেন পার্থ।

    আরও পড়ুন: কেন অনুব্রতর বাড়িতে ডাক্তার? হাসপাতাল সুপারকে ধমক স্বাস্থ্য কর্তার, দায় নেবে না নবান্ন

    সেলের বাইরে যখন হাঁটাহাঁটি করছেন তখন কোনও কটূক্তি যেন ধেয়ে না আসে বা কেউ তাঁকে বিরক্ত যেন করতে না পারে তাই সর্বক্ষণ সঙ্গে রয়েছেন দুজন কারারক্ষী। নিরাপত্তায় তাঁর সেলের বাইরেই রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরাও। সাধারণের মতো জেলে থাকলেও মাঝে মধ্যেই পার্থর দিনযাপনে আসছে আবদারও। গতকাল চপ ও বেগুনি খেতে চেয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। কারা দফতর সূত্রে খবর ডাল, ভাত, তরকারি ও মাছ দিয়েই মধ্যাহ্নভোজ সারছেন তিনি।

    গত শুক্রবার ইডির হেফাজত থেকে আদালতের নির্দেশে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে এসেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রথমদিকে সংশোধনাগারে তাঁর নানান বায়না থাকলেও বর্তমানে সাধারন বন্দিদের মতোই দিন কাটাচ্ছেন রাজ্যের এই প্রাক্তন মন্ত্রী। তিনি জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবদার করেছিলেন খাতা ও কলম দেওয়ার জন্য। কারণ তিনি লিখবেন জেলের প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা। 

    আরও পড়ুন: পার্থ-অনুব্রত কাণ্ডের জের! “সবাই চোর নয়”, সাফাই আতঙ্কিত তৃণমূলের

    সেই মতো পার্থকে দেওয়া হয়েছে খাতা কলম। তাঁর আইনজীবী সুকন্যা ভট্টাচার্যকে অনুরোধ করেছিলেন সময় কাটানোর জন্য বই পাঠাতে। সেই মতো পার্থর বাড়ি থেকে সুকন্যা জেলে এনে দিয়েছেন শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণের কথামৃত ও মহাশ্বেতা দেবীর লেখা বাংলা সাহিত্য অমনিবাস। 

  • Abhishek Banerjee in Dubai: জানত না রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশও! দুবাই সফর কেন ‘গোপন’ রাখলেন অভিষেক?

    Abhishek Banerjee in Dubai: জানত না রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশও! দুবাই সফর কেন ‘গোপন’ রাখলেন অভিষেক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর পোস্টার ঘিরে যে সময় উত্তাল বঙ্গ-রাজনীতি, ঠিক সেই সময় চুপচাপ ‘গোপনে’ দুবাই গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। 

    গত রবিবার মধ্যরাতে দুবাই গিয়েছেন অভিষেক (Abhishek Banerjee in Dubai)। দলের তরফে জানানো হয়েছে, চোখের চিকিৎসা করাতেই স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে দুবাই গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (AITC General Secretary)। ভালো কথা, তিনি যেতেই পারেন। বলা বাহুল্য, তিনি এর আগেও গেছেন। কিন্তু, এবার তাঁর যাত্রা নিয়ে এত কৌতুহল বা এত প্রশ্ন কেন? 

    সূত্রের খবর, অভিষেক যে দুবাই যাচ্ছেন, তা জানতেন না কেউ-ই। অর্থাৎ, তৃণমূলের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ যে দুবাই যাচ্ছেন, তা ঘুণাক্ষরেও কাউকে জানানো হয়নি। জানা গিয়েছে, তাঁর এই যাত্রা সম্পর্কে কোনও ধারণাই ছিল না স্টেট প্রোটোকলের। এমনকী, কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ থেকে শুরু করে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ বা আইবি – কারও কাছে কোনও তথ্য ছিল না। সূত্রের খবর, অভিষেকের যাওয়ার বিষয়টা এতটাই গোপনীয়তায় মোড়া ছিল যে, এয়ারপোর্ট পুলিশ ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে শেষ মুহূর্তে জানানো হয়।

    আরও পড়ুন: ১৪ দিনের জেল হেফাজত পার্থ-অর্পিতার! কেউ ছাড় পাবে না, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নিশানায় কারা?

    অভিষেক যে দুবাই গিয়েছেন, তা জানা যায় যাত্রার একদিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর। ততক্ষণে দক্ষিণ কলকাতায় তাঁর নামে দক্ষিণ কলকাতা জুড়ে যে পোস্টার পড়েছে, তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা ছড়িয়েছে। কিন্তু, কেন এত গোপন রাখা হয়েছিল তাঁর দুবাই যাত্রার বিষয়টি? যাত্রার বিষয়টি কার থেকে আড়াল করতে চাইছিলেন? সংবাদমাধ্যমের থেকে নাকি দলীয় নেতা-কর্মীদের থেকে? তাই যদি হয়, তাহলেও প্রোটোকল কেন তাঁর যাত্রার বিষয়টা জানল না? গোয়েন্দারাও কেন ছিলেন অন্ধকারে? তাহলে কি ইডি-সিবিআইকে আড়াল করতেই এই পদক্ষেপ? আর যখন তিনি চোখের চিকিৎসার জন্যই যাচ্ছেন, তাহলে এত লুকোচুরির কী প্রয়োজন?

    একাধিক কাণ্ড নিয়ে তৃণমূল যখন অথৈ জলে, তখন অভিষেকের এই বিদেশ যাত্রা অবশ্যই রাজ্য রাজনীতির মহলে আলোড়ন তুলেছে, বিশেষ করে অভিষেকের পোস্টার নিয়ে যখন ছয়লাপ কালীঘাট চত্বর। কোনও পোস্টারে লেখা, ‘আগামী ৬ মাসের মধ্যে সামনে আসবে নতুন তৃণমূল। ঠিক যেমন সাধারণ মানুষ চায়।’ কোনও পোস্টারে আবার লেখা, ‘চলুন লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হন। এই লড়াই আমাদের ২৪ এর লড়াই।’

    আরও পড়ুন: তৃণমূল পার্টিটা আর ছ’মাসও টিকবে না, ডেডলাইন শুভেন্দুর

    এখানে মনে করিয়ে দেওয়া যাক, ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে ‘নতুন তৃণমূলে’র ডাক দিয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেই সভার পর ইডির (ED) জালে ধরা পড়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা দলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), সিবিআই (CBI) হাতকড়া পরিয়েছে বীরভূম (Birbhum) জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। ফলে, এই পরিস্থিতিতে অভিষেকের নামে এবং উদ্ধৃতি দিয়ে পোস্টার পড়ায় নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে। এই সব প্রশ্ন এড়াতেই কি ‘গোপনে’ বিদেশ যাত্রার সিদ্ধান্ত নিলেন অভিষেক?

    অনেকে অভিষেকের এই যাত্রার সঙ্গে আবার কংগ্রেসের (Congress) রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) আচমকা দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বিদেশে চলে যাওয়ার মিল খুঁজে পাচ্ছেন। তাঁদের মতে, মিল তো হওয়ারই কথা। দুজনই তো ‘যুবরাজ’।

  • Anubrata Mandal: অনুব্রতের চালকলে সিবিআই হানা! মিলল রাজ্য সরকারের স্টিকার লাগানো ৫টি গাড়ি

    Anubrata Mandal: অনুব্রতের চালকলে সিবিআই হানা! মিলল রাজ্য সরকারের স্টিকার লাগানো ৫টি গাড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  এবার বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) চালকলে হানা দিল সিবিআই (CBI)। মিলল পাঁচটি বিলাসবহুল গাড়ি। প্রতিটিতে তৃণমূলের স্টিকার লাগানো। এই গাড়ির মালিক কে? কী কাজে ব্যবহার করা হত এই গাড়িগুলি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে একাধিকবার প্রশ্ন করা হলেও মুখে কুপুপ এঁটেছেন মিল কর্মীরা।  স্থানীয়দের দাবি, প্রায়ই ওই মিলে যেতেন অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা। 

    শুক্রবার সকালে প্রায় সোয়া দশটা নাগাদ ভোলে ব্যোম রাইস মিলে প্রবেশ করে সিবিআই। তবে শুরুতে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠে এসেছিল। দরজার তালা খোলা নিয়ে বেশ অনেকক্ষণ টালবাহানা চলে। প্রথমে নিরাপত্তারক্ষীরা বলেন , তাঁদের কাছে চাবি নেই। প্রায় মিনিট ৪০ পরে দরজা খুলে ভেতরে ঢোকেন সিবিআই আধিকারিকরা। সূত্রের খবর বোলপুরের ওই ভোলে ব্যোম রাইসমিল আসলে অনুব্রতের স্ত্রী এবং মেয়ের নামে। অনুব্রত কন্যা সুকন্যা ওই মিলে বসতেন। প্রায় ৪৫ বিঘা জায়গার ওপর অবস্থিত ওই রাইসমিল।

    আরও পড়ুন: অনুব্রতর ১৭ কোটির FD-তেই লুকিয়ে আরও ১৯ জনের ‘প্রাণভোমরা’! তাই কি ইডি-সিবিআইতে আপত্তি?

    সিবিআই সূত্রে খবর, চালকলের ভিতরে প্রবেশ করে তদন্তকারী অফিসারদের চোখ যায় একটি জায়গায়। সেখানে সার দিয়ে একের পর এক ঝকঝকে এসইউভি দেখতে পান তাঁরা। ওই গাড়িগুলির মালিক কে, তা জানার চেষ্টা করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। ঝকঝকে সেই সব গাড়িতে আবার সাঁটানো রয়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার’ লেখা স্টিকার। রয়েছে পাইলট কারও। পাশাপাশি, নিরাপত্তা রক্ষীরা কেন আধ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে গেট খোলেননি, সেটাও জানার চেষ্টা করছেন আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, গত দু’মাস ধরে এই চালকলটি বন্ধ রয়েছে। তা সত্ত্বেও এত কর্মী ভিতরে কী করছেন, সেই প্রশ্নও উঠেছে। 

    গরুপাচার মামলার তদন্তে সিবিআইয়ের নজরে অনুব্রত সহ তাঁর একাধিক ঘনিষ্ঠের সম্পত্তি। ইতিমধ্যে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১৭ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। স্থানীয় সূত্রের খবর ২০১১ সালের আগে এই রাইস মিল অনুব্রত মণ্ডলের ছিল না। ছিল অন্য কারও হাতে। ২০১৩ সালে অনুব্রত মণ্ডল তা কিনে নেন। সূত্রের খবর, আনুমানিক ৫ কোটি টাকা দিয়ে চালকলটি কেনেন অনুব্রত। এ-ও জানা যাচ্ছে, ওই চালকল বিক্রি করতে আগের মালিক হারাধন মণ্ডলকে এক প্রকার বাধ্য করা হয়। ব্যবসা চালাতে না পেরে কলটি বিক্রি করে দেন তিনি। 

     

  • Anubrata Mondal: একসময় বেচতেন মাগুর, সেখান থেকে কীভাবে তৃণমূলের ‘মুগুর’ হয়ে উঠলেন কেষ্ট?

    Anubrata Mondal: একসময় বেচতেন মাগুর, সেখান থেকে কীভাবে তৃণমূলের ‘মুগুর’ হয়ে উঠলেন কেষ্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে গ্রেফতার কেষ্ট। গরুপাচার মামলায় (Cattle smuggling) সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বৃহস্পতিবার, সকালে বোলপুরের (Bolpur) নীচুপট্টিতে বাড়ি থেকে অনুব্রতকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    ভাগ্যের উত্থান পতন কাকে বলে তা অনুব্রতকে না দেখলে টের পাওয়া যায় না। এই অনুব্রত মণ্ডল যাঁর নির্দেশে বাঘে গরুতে একঘাটে জল খেত, তৃণমূলের সেই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা আজ সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার। তবে অনুব্রত মণ্ডল রাতারাতি এইভাবে ‘বেতাজ বাদশা’ হয়ে উঠেছেন এমন নয়। শোনা যায়, একসময় কেষ্ট হাটে মাছ বেচতেন। সেখান থেকে আজ ১০০০ কোটি টাকার মালিক কেষ্ট। 

    কীভাবে এত প্রতিপত্তি হল কেষ্টর?

    বর্তমানে অনুব্রত মণ্ডল বোলপুরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নিচুপট্টির বাসিন্দা হলেও তার আসল বাড়ি বীরভূমের নানুরের হাট সেরান্দি গ্রামে। অনুব্রত মণ্ডলরা তিন ভাই, অনুব্রত হলেন মেজ। শোনা যায়, অষ্টম শ্রেণি পাস করার পর তিনি মাছ বেচা শুরু করেন। এ-ও শোনা যায়, পাশাপাশি তাঁদের একটি গ্রিলের কারখানা ছিল, সেটিও তিনি সামলাতেন। রাজনীতির সঙ্গে তিনি যুক্ত থাকলেও ২০০১ সালে নানুরের সুচপুরের ঘটনায় তার একাধিক পদক্ষেপ নজর কাড়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ২০০৩ সালে তৃণমূলের জেলা সভাপতির দায়িত্ব পান কেষ্ট।

    আরও পড়ুন: গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল! নিয়ে যাওয়া হতে পারে সিবিআই ক্যাম্প অফিসে

    অনুব্রত মণ্ডল জেলা সভাপতি দায়িত্ব পাওয়ার পর বামেদের লাল দুর্গ হিসাবে পরিচিত বীরভূমে নিজের দাপট দেখাতে শুরু করেন। ২০১১ সালে তৃণমূল রাজ্যের শাসক দল হিসেবে পরিণত হলে দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতায় পরিণত হন অনুব্রত মণ্ডল। তবে এর সঙ্গে সঙ্গেই তার নামের পাশে যুক্ত হতে শুরু করে গরু পাচার, কয়লা পাচার, ভোট পরবর্তী হিংসা সহ বিভিন্ন মামলা। এই সকল মামলায় একাধিকবার তলব পাওয়ার পর অবশেষে বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেফতার করল সিবিআই।

    এদিন সকালেই অনুব্রতর বাড়িতে পৌঁছে যায় সিবিআই। সার্চ ওয়ারেন্ট সঙ্গে নিয়ে যায়। সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। সিবিআই মোট ২ কোম্পানি আধাসেনা জওয়ান নিয়ে যায় বলে সূত্রে খবর। অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে পৌঁছনোর পর বাড়ি ঘিরে ফেলেন আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানরা। অনুব্রতর বাড়িতে যাঁরা আছেন, তাঁদের সবার ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়। একদিকে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকেন সিবিআই আধিকারিকরা। অন্যদিকে তাঁর বাড়িতে চলতে থাকে তল্লাশি। ঘণ্টা দুয়েক পর, কেষ্টকে গ্রেফতার করে বের করে নিয়ে যায় সিবিআই। গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি সিবিআই সূত্রের। 

    আরও পড়ুন: পার্থ-অনুব্রত কাণ্ডের জের! “সবাই চোর নয়”, সাফাই আতঙ্কিত তৃণমূলের

    এখন কেষ্ট গ্রেফতার হওয়ায় তৃণমূলের অক্সিজেন যে অনেকটাই কমে গেল, তা বলাই বাহুল্য।

  • Sukanta Majumdar: রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি সুকান্তর, কী লিখলেন তিনি?

    Sukanta Majumdar: রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি সুকান্তর, কী লিখলেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (President Draupadi Murmu) দ্বারস্থ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে নালিশ জানালেন তিনি। রাষ্ট্রপতির হাতে একটি স্মারকলিপিও তুলে দেন সুকান্ত। সেখানে এসএসসি কাণ্ড (SSC scam) ও পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) থেকে শুরু করে গরুপাচারকাণ্ড (Cattle smuggling) ও অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)-সহ একাধিক ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে স্মারকলিপি দেন সুকান্ত মজুমদার।

    আরও পড়ুন: কেন অনুব্রতর বাড়িতে ডাক্তার? হাসপাতাল সুপারকে ধমক স্বাস্থ্য কর্তার, দায় নেবে না নবান্ন

    রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে সুকান্ত বলেছেন, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁর ঘনিষ্ঠর বাড়ি থেকে বিপুল নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে। গরু পাচার মামলায় সিবিআই তলব করা সত্ত্বেও হাজিরা এড়িয়ে যাচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল। 

    চিঠিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দুর্নীতি ও বেআইনি কার্যকলাপের জেরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পরেশ অধিকারী, শওকত মোল্লার মতো তৃণমূলের একাধিক নেতা রয়েছেন সিবিআই বা ইডি-র রাডারে। একইসঙ্গে ১৯ জন নেতার সম্পত্তি সংক্রান্ত যে মামলায় ইডি-কে পার্টি করতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট, সেই প্রসঙ্গও চিঠিতে উল্লেখ করেন দেন সুকান্ত।

    চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, শিক্ষা সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগের মাঝেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে বসতে চাইছেন। এ সব বিষয় উল্লেখ করে সুকান্ত মজুমদারের আর্জি, যাতে রাষ্ট্রপতি এ রাজ্যের পরিস্থিতির ওপর নজর দেন।

    আরও পড়ুন: ধনখড়ের প্রশ্নের মুখে মমতার ১৯ বিল, নতুন রাজ্যপাল কি আদৌ সই করবেন?

  • Anubrata Mondal: পার্থ এফেক্ট! “অনুব্রতকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই”, জানাল এসএসকেএম মেডিক্যাল বোর্ড

    Anubrata Mondal: পার্থ এফেক্ট! “অনুব্রতকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই”, জানাল এসএসকেএম মেডিক্যাল বোর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগেভাগেই প্রস্তুত রাখা ছিল উডবার্ন ওয়ার্ডের (Woodburn ward) ২১৬ নম্বর কেবিন। সেইমতো, সিবিআই হাজিরা (CBI summon) এড়িয়ে এসএসকেএমেই (SSKM) পৌঁছলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। কিন্তু, কেষ্টকে পরীক্ষা করে মেডিক্যাল বোর্ড জানিয়ে দিল, “অনুব্রতকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই।” 

    আজই গরু পাচার মামলায় নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অনুব্রত মণ্ডলের। কিন্তু, আইনজীবী মারফৎ কেষ্ট তদন্তকারী সংস্থাকে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছেন, ফিসচুলার পুরনো সমস্যা নাকি ফের মাথাচাড়া দিয়েছে।  সঙ্গে নাকি কাশি হচ্ছে, ঘাড়ের পিছনে প্রবল ব্যথা-ও নাকি রয়েছে কেষ্টর। কাধিক শারীরিক জটিলতা থাকার জন্য মেডিক্যাল চেক আপের প্রয়োজন রয়েছে তৃণমূল নেতার। এমনটাই জানিয়েছেন আইনজীবী। এমতাবস্থায় অনুব্রতর পক্ষে সম্ভব নয়, হাজিরা দেওয়ার। তাঁকে পরে কোনও একটা সময় দেওয়া হোক। 

    এদিকে, অনুব্রতর ভর্তি হওয়া নিয়ে এসএসকেএমে-র অন্দরেই দেখা দেয় বিতর্ক। অনুব্রতর চিকিৎসা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত ছিল মেডিক্যাল বোর্ড। একদল চাইছিলেন, তাঁকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা করতে। আরেকদল অনুব্রতকে পরীক্ষা না করে ভর্তি করতে নারাজ ছিলেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এই নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক হয় মেডিক্যাল বোর্ডের। শেষমেশ, কেষ্টকে এদিন পরীক্ষা করে মেডিক্যাল বোর্ড জানিয়ে দিল, “অনুব্রতকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই।”

    আরও পড়ুন: ‘দিদি’ ফোন ধরছেন না, সিবিআই ডাকে বিচলিত কেষ্টর চোখে ঘুম নেই

    হাসপাতালের এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে অনেকেই একে “পার্থ-এফেক্ট” বলে অভিহিত করছেন। সম্প্রতি, এসএসসি কাণ্ডে ইডি-র হাতে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিবও অসুস্থ হওয়ায় তাঁকে এসএসকেএমে ভর্তি করার নির্দেশ দেয় নিম্ন আদালত। এসএসকেএমে-র চিকিৎসকরা পার্থকে আইসিইউ-তে রাখার সুপারিশ করে। এদিকে, নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি-র তরফে দাবি করা হয়, এসএসকেমে পার্থ ‘ডন’-এর মতো আচরণ করছেন। তাঁকে এইমসে স্থানান্তর করে সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হোক। ইডি-র আবেদনকে মান্যতা দিয়ে হাইকোর্ট ভুূবনেশ্বর এইমসে পার্থর স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দেয়।

    সেখানে পরীক্ষা করে ভুবনেশ্বর এইমসের মেডিক্যাল বোর্ড সাফ জানিয়ে দেয়, হাসপাতালে পার্থকে ভর্তি করার কোনও প্রয়োজন নেই। তাঁর  যা যা সমস্যা রয়েছে সবই ক্রনিক। বাড়িতে থেকে নিয়মিত ওষুধ খেলেই হবে। এই ঘটনায় এসএসকেএমের মুখ যে পোড়ে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ ছিল না। পার্থ-এপিসোডে মুখে কিছু না বললেও, ভেতর ভেতর শাসক দলের সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তুষ্ট চিকিৎসকদের একাংশ।

    এর আগেও, সিবিআই-ইডির তলব পেয়ে বিভিন্ন দুর্নীতিতে নাম উঠে আসা শাসক দলের একাধিক হেভিওয়েট নেতাদের এসএসকেএমে ভর্তি হওয়া ঘিরে জলঘোলা হয়েছে বিস্তর। বিরোধী দল বারবার এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এমনকী, মহামান্য হাইকোর্টেও তীব্র সমালোচিত হতে হয়েছে রাজ্য প্রশাসনকে। আদালতের পর্যবেক্ষণে মুখ পুড়েছে রাজ্যের এই প্রথম সারির হাসপাতালের।

    আরও পড়ুন: কোথায় কেষ্ট? পার্থর পর এবার কি অনুব্রতর পালা? জোর জল্পনা! 

    পার্থকাণ্ডের জেরে যেভাবে এই সুপার-স্পেশালিটি হাসপাতাল নিয়ে যেভাবে একাধিক অভিযোগের তির ধেয়ে এসেছে, অনেকেই মনে করছেন, নতুন করে আর বিতর্ক ঘৃতাহুতি দিতে চায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিরোধীদের কটাক্ষ, এসএসকেএম তো উপলক্ষ্য। আসলে সরকারের মনোভাবই ফুটে উঠেছে। তৃণমূল সূত্রে খবর,  অনুব্রতর বিষয়ে “উদাসীন” মনোভাব দেখাতে শুরু করেছে তৃণমূল। ঠিক যেমনটা পার্থর ক্ষেত্রে হয়েছিল। তৃণমূল সূত্রে খবর, বহু চেষ্টা করেও, ‘দিদি’-র সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি কেষ্ট। আর এখন, হাসপাতাল ভর্তিতে ‘না’ শুনতে হল। 

    সবমিলিয়ে সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না কেষ্ট মণ্ডলের!

     

     

     

     

     

     

LinkedIn
Share