Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • SSC Scam: ফের ইডি হেফাজত! ৫ অগাস্ট পর্যন্ত CGO কমপ্লেক্সের জেলেই থাকতে হবে পার্থ-অর্পিতাকে

    SSC Scam: ফের ইডি হেফাজত! ৫ অগাস্ট পর্যন্ত CGO কমপ্লেক্সের জেলেই থাকতে হবে পার্থ-অর্পিতাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee and Arpita Mukherjee) আরও দুই দিনের ইডি হেফাজত। SSC দুর্নীতির মামলায় (SSC Scam) এখনও সব তথ্য হাতে আসেনি। তাই দু’জনকেই ফের একবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারদিনের হেফাজতে চেয়েছিল ইডি। সেই আবেদনে সাড়া দিল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। তবে চারদিন নয় আরও ২ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিলেন বিচারক। ৫অগাস্ট পর্যন্ত সল্টলেকের CGO কমপ্লেক্সের জেলেই থাকতে হবে পার্থ-অর্পিতাকে। জানা গিয়েছে, এদিন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী আদালতে জামিনের আবেদন করেননি। তবে ইডি হেফাজতের বিরোধিতা করেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীও এই হেফাজতের বিরোধিতা করেন।

    এদিন ব্যাঙ্কশাল কোর্টে পেশের আগে, জোকা ইএসআই হাসপাতালে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) স্বাস্থ্য পরীক্ষা করায় ইডি (ED)। এদিন সকাল সোয়া ১১টা নাগাদ পার্থ-অর্পিতাকে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের করে নিয়ে আসা হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে। সেখানে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করিয়ে দু’জনকে নিয়ে ব্যাঙ্কশাল কোর্টের উদ্দেশে রওনা হন ইডির আধিকারিকরা। হাসপাতালে থেকে বের হওয়ার সময় চুপ রইলেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। মুখের কাছে দু’হাত জড়ো করে রেখে, চোখ বন্ধ অবস্থায় হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। বরং হুইল চেয়ারে বসে থরথর করে কাঁপছিলেন তিনি। তাঁর শরীরি ভাষাই বলে দিচ্ছিল যে, তিনি যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছেন।  

    আরও পড়ুন: অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ কেরিম খান, টুলু মণ্ডলের বাড়িতে যৌথ অভিযানে ইডি-সিবিআই

    উল্টো দিকে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee) মাস্ক নামিয়ে কিছু বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে মুখ খুলতে দেননি। বুধবারও হাউ হাউ করে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতাকে। এর আগে জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে গিয়ে একাধিকবার মুখ খুলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। কখনও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন তিনি। কখনও আবার বলেছেন, “নেত্রীর সিদ্ধান্ত ঠিক”, তবে দল থেকে সাসপেন্ড প্রসঙ্গে হেঁয়ালি বজায় রেখে জানান, সময় এলে বোঝা যাবে। 

    আরও পড়ুন: অভিজাত আবাসন থেকে নেল আর্ট পার্লার, ‘গুপ্ত’ধনের সন্ধানে অভিযান ইডি-র

    সময় এলে সবকিছু বলব, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করেই বুধবার তাঁকে আরেক দফা নিজেদের হেফাজতে রাখার আর্জি জানায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। নগর আদালতের ইডি স্পেশাল কোর্টে এই আর্জি করেন তদন্তকারীরা। অফিসারদের দাবি, থিতু হওয়ার জন্য সময় চাইছেন পার্থ। ২৪ জুলাই গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে অর্পিতা ইডির বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। তাদের দেওয়া সূত্র ধরে একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে প্রাথমিক সাফল্যও পেয়েছে ইডি। 

     

     

  • ED-CBI Joint Raid Birbhum: অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ কেরিম খান, টুলু মণ্ডলের বাড়িতে যৌথ অভিযানে ইডি-সিবিআই

    ED-CBI Joint Raid Birbhum: অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ কেরিম খান, টুলু মণ্ডলের বাড়িতে যৌথ অভিযানে ইডি-সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার (Kolkata) পর এবার নজরে বীরভূম (Birbhum)। এসএসসি কাণ্ডে (SSC scam) তদন্তের মাঝেই এবার কয়লাকাণ্ড (Coal smuggling) ও গরুপাচার কাণ্ডের (Cattle smuggling) তদন্তেও ময়দানে নামল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। তবে একা নয়, একেবারে সিবিআই-কে (CBI) সঙ্গে নিয়ে বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ী ও এক নেতার বাড়িতে সাতসকালে অভিযান চালাল যৌথ দল।

    বুধবার সকালে সিজিও কমপ্লেক্স (CGO complex) থেকে সকালে রওনা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের ৬টি গাড়ির কনভয়। বেলা এগারোটার কিছু পরে বোলপুর (Bolpur) পৌঁছয় ইডি-সিবিআই নিয়ে গঠিত যৌথ তদন্তকারী দল। বিশ্বভারতীর (Viswa Bharati) রতন কুটির গেস্ট হাউজে ওঠেন আধিকারিকরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই দুটি দলে বিভক্ত হয়ে অভিযানে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা। গন্তব্য, তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী এবং এক নেতার বাড়ি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে একটি দল যায় নানুরের বাসাপাড়া ও আরেকটি দল যায় সিউড়ির (Siuri) দিকে। 

    আরও পড়ুন: আজ ফের আদালতে পেশ পার্থ-অর্পিতাকে, পুনরায় হেফাজতে চাইবে ইডি?

    নানুরের (Nanur) বাসাপাড়ায় বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খানের (TMC leader Kerim Khan) বাড়িতে যান অফিসারেরা৷ প্রসঙ্গত, ভোট-পরবর্তী হিংসায় অভিযুক্ত হিসাবে নাম রয়েছে এই কেরিম খানের৷ গরুপাচার কাণ্ডে তাঁকে এদিন জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। এছাড়া কেরিম খানের ডান হাত হিসাবে পরিচিত তৃণমূল (TMC) নেতা তথা নানুরের আটকুলা গ্রামে চালের আড়তের মালিক মুক্তার শেখের বাড়িতেও যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারেরা। 

    অন্যদিকে, পাথর ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডলের (Stone trader Tulu Mondal) বাড়িতে সকাল সকাল হানা দেয় সিবিআই অফিসারেরা।  এরা দু’জনেই তৃণমূল বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত। স্থানীয়দের দাবি, টুলু মণ্ডল কয়েকশো কোটি টাকার মালিক। তাই তাঁর বিপুল সম্পত্তির উৎস খুঁজতেই ইডি আধিকারিকেরা তাঁর বাড়িতে গিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। পাথর ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডলের ৩টি বাড়িতে একযোগে তল্লাশি চলছে।

    ইতিমধ্যে কয়লা পাচার মামলায় অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতার দেহরক্ষী সায়গল হোসেন (Saigal Hossain)। ইলামবাজার-সহ বীরভূমের নানা জায়গায় সায়গলের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, এই সায়গলকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে উঠে এসেছে টুলু ও কেরিমের নাম। অভিযোগ, সায়গলের ব্যবসা নাকি টুলু দেখতেন। অন্য দিকে, এঁদের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করতেন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম। এই সব সূত্র ধরেই ইডি ওই দুই বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে বলে খবর।

    আরও পড়ুন: অভিজাত আবাসন থেকে নেল আর্ট পার্লার, ‘গুপ্ত’ধনের সন্ধানে অভিযান ইডি-র

    অন্যদিকে, এসএসসি কাণ্ডে বীরভূমে পার্থ-অর্পিতার (Partha-Arpita) বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেতে এদিন অভিযানে নামে ইডি-র (ED) আরেকটি দল। এদিন সকালে শান্তিনিকেতনের (Shantiniketan) বাড়ি ‘অপা’-য় পৌঁছে তল্লাশি শুরু করে ইডি। প্রথমেই ওই বাড়িতে প্রবেশ করার পরই বাড়ির কেয়ারটেকারের থেকে বাড়ির দলিল পান ইডি আধিকারিকরা। রীতিমতো গোটা বাড়িটিকে ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

    শান্তিনিকেতনের ফুলডাঙার ‘অপা’ (Apa) কার্যত এখন দর্শনীয় স্থান। সামনে বিশাল লন, বিভিন্ন গাছপালায় সুসজ্জিত একটি বাড়ি। বাড়িটি শিক্ষক দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। ইডির হাতে এসেছে বোলপুরের জমির দলিল। ২০১২ সালের জানুয়ারিতে কলকাতার সুসেন বন্দ্যোপাধ্যায়-শ্যামলী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে ‘অপা’ বাড়িটি কিনেছিলেন পার্থ-অর্পিতা। বাড়িটির দলিলেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সই মিলেছে৷

  • ED Raids Arpita Properties: অভিজাত আবাসন থেকে নেল আর্ট পার্লার, ‘গুপ্ত’ধনের সন্ধানে অভিযান ইডি-র

    ED Raids Arpita Properties: অভিজাত আবাসন থেকে নেল আর্ট পার্লার, ‘গুপ্ত’ধনের সন্ধানে অভিযান ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি কাণ্ডের (SSC scam) তদন্তে নেমে মঙ্গলবার দিনভর শহরের মোট ৬টি জায়গায় ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। মঙ্গলবার সকালেই ফের সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স (CGO complex) থেকে ইডি (ED) আধিকারিকদের চারটি দল অভিযানে বেরিয়ে পড়ে। একটি দল যায় গড়িয়াহাট (Gariahat) এলাকার পণ্ডিতিয়া রোডে (Panditia Road)। দ্বিতীয় দলটি মাদুরদহ (Madurdaha) এবং তৃতীয় দল বরানগরে (Baranagar) যায়। চতুর্থ দলটি যায় পাটুলিতে (Patuli)। 

    দক্ষিণ কলকাতার পণ্ডিতিয়া এলাকার ফোর্ট ওয়েসিস (Fort Oasis) নামের অভিজাত আবাসনে অভিযান চালায় ইডি-র একটি দল। ইডি সূত্রে খবর, ওই আবাসনের ছ’নম্বর ব্লকের ৫০৩ নম্বর ফ্ল্যাটটি অর্পিতাকে ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদিও খাতায়কলমে ফ্ল্যাটটি অন্য এক ব্যক্তির নামে। ইডি সূত্রে খবর, ওই ফ্ল্যাটটি ওম ঝুনঝুনওয়ালা নামে এক ব্যক্তির নামে নথিভুক্ত করা আছে। 

    তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে খবর, কলকাতার কোনও এক নামজাদা শিল্পপতির কাছ থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এই ফ্ল্যাটটি উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন ২০১৫-১৬ সাল নাগাদ, যে সময়ে তিনি আসীন ছিলেন বাংলার শিক্ষামন্ত্রীর পদে। দক্ষিণ কলকাতার এই বন্ধ ফ্ল্যাটটিতেও কোটি কোটি টাকা লুকিয়ে রাখা হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর।

    আরও পড়ুন: “তৃণমূলের ১০০ জনের নাম তুলে দিয়েছি…”, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর শুভেন্দু

    দীর্ঘ চেষ্টা করেও ঝুনঝুনওয়ালা নামে সেই ব্যক্তির কোনও হদিস পাওয়া যায়নি বলে সূত্রের খবর। স্বাভাবিকভাবেই ইডি এখন তাঁর খোঁজ শুরু করেছে। ওই ফ্ল্যাট বেনামে কেনা হয়েছিল বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের। আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী জানিয়েছে, কয়েকমাস ধরে তালাবন্ধ ওই ফ্ল্যাটের মালিক। যদিও ইডি সূত্রে দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সূত্রে পণ্ডিতিয়া রোডের এই ফ্ল্যাটটি ব্যবহার করতেন অর্পিতা। আপাতত, ফ্ল্যাটটি সিল করে দিয়েছে ইডি।

    এই আবাসনের পাশাপাশি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা একাধিক নেল আর্টের (nail art) দোকানে তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অর্পিতা ও পার্থর নামে থাকা বেলঘরিয়ার (Belghoria) ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে এই সব নেইল আর্ট শপ সম্পর্কে জানতে পারেন ইডি আধিকারিকরা৷ সেই তথ্যের ভিত্তিতেই এ দিন ৬টি জায়গায় অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থা৷ 

    একটি দল আসে দক্ষিণ কলকাতার পাটুলিতে পালকি রেস্টুরেন্টের উল্টো দিকে অর্পিতার নেল আর্ট পার্লারে। এদিন পাটুলির ‘ম্যাজিক টাচ, দ্য নেল প্লেস’ দোকানটিতে অভিযান করেন ইডি আধিকারিকরা। এদিন সেই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ দাসকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকরা। তদন্তকারীদের ধারণা, নেল আর্টের দোকান কিনতে বা ভাড়া নিতে সাহায্য নেওয়া হয়েছিল কাউন্সিলরের। যদিও প্রসেনজিতের দাবি, দোকান কেনা বা লিজের ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। তবে কিছু নথিপত্র সম্ভবত পাওয়া গিয়েছে। প্রয়োজনে সেটি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যেতে পারেন তদন্তকারীরা। 

    আরও পড়ুন: মাথায় লাগলে শান্তি পেতাম, পার্থকে জুতো ছুড়ে বললেন মহিলা

    পাটুলির পাশাপাশি বরানগর, লেক গার্ডেন্স এবং লেক ভিউ রোডের নেল আর্ট স্টুডিওতেও তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, মাঝে মধ্যেই এই শপগুলিতে যেতেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়৷ বরানগর ও লেক ভিউ-র পার্লার থেকেও নথি সংগ্রহ করেন ইডি আধিকারিকরা। লেকভিউ পার্লারটি বেশ কয়েকদিন ধরে বন্ধ ছিল। দুপুরে ইডি আধিকারিকরা পৌঁছলেও পার্লার বন্ধ থাকায় তাঁরা অপেক্ষা করতে থাকেন। এরপর পার্লারের ম্যানেজার এসে পার্লারটি খুলে দেন। বেশ কিছুক্ষণ তল্লাশি চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথির পাশাপাশি সিসিক্যামেরার হার্ডডিস্কও বাজেয়াপ্ত করেন তাঁরা। 

    বরানগরে অর্পিতার নেল আর্ট পার্লারেও চলে তল্লাশি। সেখান থেকেও গুরুত্বপূর্ণ নথি সংগ্রহ করেন ইডি আধিকারিকরা। ইডির আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বেশ কিছু কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে৷ যেগুলি তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে৷ সেই সব কাগজগুলিকে কেন্দ্রীয় সংস্থা বাজেয়াপ্ত করেছে৷ তবে, নেইল আর্ট শপগুলিতে কোনও টাকা বা মূল্যবান সামগ্রী এখনও পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছে৷ 

    অন্যদিকে, মাদুরদহের ওম ভিলা আবাসনেও তল্লাশি অভিযানে যান ইডি-র আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, এখানে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের একটি জমি ছিল। যেখানে কয়েকজন ফ্ল্যাটও কেনেন বলে খবর। সেই সংক্রান্ত তথ্য জানতেই তল্লাশি অভিযান চালানো হয় মাদুরদহে। ফ্ল্যাটের পরিচারিকা এবং কেয়ারটেকারের সঙ্গে কথাও বলেন তাঁরা। একইসঙ্গে কেন্দুয়া মেন রোড সংলগ্ন একটি ফ্ল্যাটেও হানা দেয় ইডি।

    আরও পড়ুন: “আমার অনুপস্থিতিতে ঘরে…”, এবার মুখ খুললেন অর্পিতা, করলেন বিস্ফোরক অভিযোগ

  • TMC on ‘Chor’ slogan: পার্থ-অনুব্রত কাণ্ডের জের! “সবাই চোর নয়”, সাফাই আতঙ্কিত তৃণমূলের

    TMC on ‘Chor’ slogan: পার্থ-অনুব্রত কাণ্ডের জের! “সবাই চোর নয়”, সাফাই আতঙ্কিত তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একের পর এক দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হচ্ছে তৃণমূল (TMC) নেতাদের। আত্মবিশ্বাস তলানিতে এসে ঠেকেছে রাজ্যের শাসক দলের। জনতার রোষে এতটাই জর্জরিত তৃণমূল যে সাংবাদিক বৈঠক করে ‘তৃণমূলে সবাই চোর নয়’ – এই বিবৃতি দিতে হচ্ছে প্রথম সারির নেতাদের। আর এই সবে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকায় যে মোটেই খুশি নয় তাঁরা সে কথাও জানিয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের হয়ে প্রচার অর্পিতার, প্রকাশ্যে ছবি, এর পরেও অস্বীকার করবে শাসক দল?

    হাসপাতাল থেকে হাসতাপাল। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের দেখলেই এখন ভেসে আসছে একটাই আওয়াজ। কেউ মুখ লুকিয়ে কোনও রকমে পালাচ্ছেন। কেউ আবার বুকে হাত দিয়ে সবকিছু শুনছেন। উপায় নেই। অনেকে বলছেন, পাপের ফল। যে যাই বলুক, একের পর এক কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পর এখন আর কেউ ভয় পাচ্ছে না শাসককে। তাই কেলেঙ্কারির নায়কদের দেখলেই রব উঠছে, চোর চোর চোর। এসএসসি কেলেঙ্কারি থেকে গরু, কয়লা পাচার। দুর্নীতির পাহাড়ে বসে কিছুদিন আগেও ক্ষমতার আস্ফালন করতে দেখা গিয়েছিল এই নেতাদের। এখন সবকিছু সামনে আসতেই লজ্জায় মুখ লুকোনোর জায়গা পাচ্ছেন না তাঁরা। অনুব্রত থেকে পার্থ জনতার ‘চোর’ বদনাম থেকে রেহাই পাননি কেউ। এমনকি হাসপাতাল চত্বরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দেখে জুতোও চুড়ে মারেন এক মহিলা।  কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার ভয়ে সিঁটিয়ে আছেন আরও অনেকে। সকলেই ভয় পাচ্ছেন, তাঁকেও না শুনতে হয় এই চোর অপবাদ। চায়ের ঠেক থেকে বিধানসভা সব জায়গায় একটাই আলোচনা, ‘তৃণমূল সরকারের দুর্নীতি’। আর এতেই বেজায় বিপদে পড়েছে তৃণমূল। 

    আরও পড়ুন: কয়লা-পাচার কাণ্ডে আজ সিবিআই আদালতে সাত ইসিএল কর্তা

    তাই ঢাক ঢোল পিটিয়ে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ‘চোর’ না হওয়ার সাফাই দিতে হচ্ছে।  তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ব্রাত্য বসু, ফিরহাদ হাকিমসহ (Firhad Hakim) অন্যান্য নেতারা। ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আমি লজ্জিত, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যা করেছেন। এই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে চিনতাম না। কিন্তু, তার মানে এই নয়, তৃণমূল কংগ্রেস করা মানে সবাই চোর। মানুষের কাজ করার স্বার্থে আমরা কাজ করেছি। তারপরও ব্যক্তিগতভাবে চক্রান্ত করা হচ্ছে। অপমান করা হচ্ছে। একটা মামলা হয়েছে। ২০১৭ সালে। আমাদের সম্পত্তি খুব বেড়ে গিয়েছে। আমরা কোনও ফ্যাক্ট লুকিয়েছি? অনেকে রোজগারের টাকায়, ব্যবসা করেছি? অদ্ভুত লাগে, অর্ধ সত্য প্রকাশিত হচ্ছে।”  

    শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) বলেন, ” আয়বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আদালতের দেওয়া তালিকায় তৃণমূলের নেতাদের পাশাপাশি বাম, কংগ্রেস নেতাদের নামও রয়েছে। সেই সব নাম নিয়ে সংবাদমাধ্যমের একাংশ টুঁ শব্দ করছে না। উল্টে সংবাদমাধ্যমের একাংশ ‘ক্যাঙারু কোর্ট’ বা ‘খাপ পঞ্চায়েত’ বসাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের সম্পত্তি নিয়ে।” 

    তাহলে কি এবার ভয় পেতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেতারা! এবার কার ডাক পড়বে ইডি দফতরে তার ভয়ে সিটিয়ে যাচ্ছেন! তার তাতেই কি আগাম সাফাই? যাতে এরপর তাঁদের দিকেও না আসে চোর স্লোগান। এমনটাই কিন্তু বলছে রাজনৈতিক মহল।  

  • Purulia Child Needle Case: পুরুলিয়া সূচকাণ্ডে মা, প্রেমিকের ফাঁসির সাজা রদ করে যাবজ্জীবন দিল হাইকোর্ট

    Purulia Child Needle Case: পুরুলিয়া সূচকাণ্ডে মা, প্রেমিকের ফাঁসির সাজা রদ করে যাবজ্জীবন দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরুলিয়ার বিখ্যাত সূচকাণ্ড মামলায় (Purulia Child Needle Case) দোষীদের মৃত্যুদণ্ড রদ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt)। বদলে, দুই দোষীকে  যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে উচ্চ আদালত।

    ২০১৭ সালের সেই ঘটনায় শিউরে উঠেছিল গোটা বাংলা। সাড়ে তিন বছরের ফুটফুটে শিশুকন্যার সারা শরীরে সূচ ফুটিয়ে নারকীয় ভাবে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর মা মঙ্গলা গোস্বামী এবং মায়ের তান্ত্রিক প্রেমিক সনাতন ঠাকুরের বিরুদ্ধে। পেশায় কীর্তনশিল্পী তথা ওঝা সনাতনের বিরুদ্ধেই শিশুটির শরীরে সাতটি সুচ ফুটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই পরিকল্পনায় যোগ দেয় শিশুর মা মঙ্গলাও। পুলিশি তদন্তে উঠে আসে, পথের কাঁটা সরাতে পরিকল্পনা করে শিশুকন্যার ওপর অত্যাচার চালায় সনাতন ঠাকুর।

    আরও পড়ুন: বকেয়া ডিএ না মিটিয়ে পুজোয় অনুদান! দুর্নীতিকে আড়াল নাকি নজরে পঞ্চায়েত?

    ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুকে প্রথমে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শিশুটির শরীর থেকে বের করা হয় সাতটি সূচই। কিন্তু, তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। কয়েকদিন পর মৃত্যু হয় ওই শিশুর। পুলিশ প্রথমে ওই শিশুর মাকে গ্রেফতার করে। পরে তার প্রেমিককে উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করে। ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ২০২১ সালে ফাঁসির সাজা শোনায় পুরুলিয়া আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট। ঘটনাকে বিরলতম বলে উল্লেখ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হিসেবে দুজনকেই ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছিল নিম্ন আদালত। 

    এরপরে দোষীরা নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। সেই রায় পরিবর্তন করে বৃহস্পতিবার ফাঁসি সাজা রদের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি বিভাসরঞ্জন দে-এর ডিভিশন বেঞ্চ। সেই সঙ্গে হাইকোর্টের আরও নির্দেশ, দোষীরা ৩০ বছর পর্যন্ত জামিনের আবেদন করতে পারবে না। অর্থাৎ জেলে থাকার সময়সীমা ৩০ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরেই দোষীরা জামিনের জন্য আবেদন জানাতে পারবে।

    আরও পড়ুন: এবার রাজ্যের সমবায় ব্যাংক নিয়োগেও দুর্নীতি! জড়াল মন্ত্রী অরূপ রায়ের নাম

     

  • Sunil Bansal: কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র জায়গায় বাংলার দায়িত্বে সুনীল বনসল, জানেন তিনি কে?

    Sunil Bansal: কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র জায়গায় বাংলার দায়িত্বে সুনীল বনসল, জানেন তিনি কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় যখন রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থা চলছে, সেই মাহেন্দ্রক্ষণেই পর্যবেক্ষক বদল করে ফেলল বিজেপি (BJP)। রাজ্য বিজেপিতে নয়া পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হল সুনীল বনসলকে (Sunil Bansal)। সুনীল বনসলকে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছেন যোগী রাজ্যের সংগঠন সামলানো সুনীল বনসলকে বাংলা বিজেপির পর্যবেক্ষক করা হল। সেইসঙ্গে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওড়িশা ও তেলঙ্গনার। ঘটনাচক্রে এই তিনটিই অ-বিজেপি শাসিত রাজ্য।

    একুশের ভোটে বাংলায় পরাজয়ের পর থেকেই কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে সেভাবে দেখা যায়নি। তবুও বাংলা বিজেপির দায়িত্বে খাতায় কলমে ছিলেন ইন্দোরের নেতা। বুধবার আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁকে সেই পদ থেকে সরিয়ে দিল বিজেপি (BJP)। বাংলার সঙ্গে যোগ না থাকা কাউকে আর দায়িত্ব দিতে চায়নি বিজেপি। এই রাজ্য সম্পর্কে সম্যক ধারণা রয়েছে, এমন কোনও ব্যক্তিকেই দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভেবেছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেই মতো দায়িত্ব বণ্টন করা হল। সুনীল বনসলের পৈতৃক বাড়ি দুর্গাপুরে। তবে দীর্ঘদিন তিনি সঙ্ঘের কাজের জন্য বাইরে বাইরে থাকতেন। আরএসএসের প্রচারক ছিলেন সুনীল। অনেকের বক্তব্য, বাংলা যোগের কারণেই এই নেতাকে সুকান্ত, শুভেন্দুদের পর্যবেক্ষক করে পাঠানো হল।

    আরও পড়ুন: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় শান্তিপ্রসাদ সিন্‌হা ও অশোক সাহাকে গ্রেফতার সিবিআইয়ের

    কেন সুনীল? বিজেপি নেতাদের মতে, উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটের আগে দারুন কাজ করেছেন তিনি। দলের দাবি, সুনীল ছাত্র সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীনই দেশের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ দখল করেছিল এবিভিপি (ABVP)। সূত্রের খবর, উত্তর প্রদেশে যোগী আদিত্যনাথকে জেতানোর পেছনে বড় ভূমিকা ছিল সুনীল বনসলের। সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপিতে এ বার গুরুত্বপূর্ণ পদে সেই সুনীল। ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি জে পি নাড্ডার নির্দেশে বাড়তি দায়িত্ব পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা এবং তেলেঙ্গানায় দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করার গুরুদায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে সুনীলেরর কাঁধে। সেই সঙ্গে উত্তর প্রদেশের সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদেও সতীশ বনসলকে নিযুক্ত করল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

    উত্তরপ্রদেশ বিজেপির এক নেতা জানাচ্ছেন, অমিত শাহ প্রচারের সামনে থাকলেও উত্তরপ্রদেশে সাফল্যের নেপথ্যে ছাত্র-নেতা সুনীলের ভূমিকাও উল্লেখযোগ্য ছিল। তাঁর কৌশল এবং অমিত শাহের মস্তিষ্কের জোরেই বিজেপি লোকসভা ভোটের নিরিখে এখন ওই রাজ্যে ৪০৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৩২৭টি-তে এগিয়ে ছিল। বাংলায় সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন, তারপর লোকসভা। এই দুই নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই বঙ্গ বিজেপির দায়িত্ব দেওয়া হল সুনীলকে।

  • Anubrata Mondal: ফের তলব এড়ালেন অনুব্রত, এবার কোন পথে হাঁটবে সিবিআই? 

    Anubrata Mondal: ফের তলব এড়ালেন অনুব্রত, এবার কোন পথে হাঁটবে সিবিআই? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সিবিআই তলব (CBI Summon) এড়ালেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। এখনও পর্যন্ত গরুপাচার মামলায় ১০ বার কেষ্টকে তলব করেছে সিবিআই। এর মধ্যে মাত্র একবার তিনি নিজাম প্যালেসে গিয়ে হাজিরা দিয়েছেন। এবার নিজের আইনজীবীকে দিয়ে চিঠি পাঠিয়ে সিবিআইকে নিজাম প্যালেজে উপস্থিত না হওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি। ফের ঢাল করলেন শারীরিক অসুস্থতাকেই। চিঠির সঙ্গে চিকিৎসা সম্পর্কিত নথিও জমা দিয়েছেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: বুধবার ফের সিবিআইয়ের তলব, এবার কী করবেন কেষ্ট?

    সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, অনুব্রত চিঠিতে জানিয়েছেন তিনি অসুস্থ এবং বেড রেস্টে রয়েছেন। প্রমাণস্বরূপ তিনি, বোলপুরের চিকিৎসকের এবং এসএসকেএমের প্রেসক্রিপশন পেশ করেছেন। এখানেই প্রশ্ন উঠছে যে, সিবিআই হাজিরা এড়াতে নিজের প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে জোর করেই কি এই ‘বেড রেস্ট’- লিখিয়ে নিয়েছেন কেষ্ট? প্রশ্ন যে অমূলক নয়, তা কেষ্টর বাড়িতে যাওয়া চিকিৎসকের দাবি থেকেই প্রকট। 

    গতকাল অনুব্রত সম্পর্কে বিস্ফোরক দাবি করেছেন, বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী। একটি সংবাদমাধ্যমে ওই চিকিৎসক দাবি করেন, বেড রেস্ট লিখে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন খোদ কেষ্ট মণ্ডলই। তৃণমূলের এই নেতার কথাতেই তিনি ১৪ দিনের বেড রেস্টের কথা লিখে দেন। চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারীর জানান, বাড়িতে গেলে ১৪ দিনের বেড রেস্ট লিখে দিতে বলেন অনুব্রত মণ্ডল।

    এপ্রসঙ্গে, অনুব্রতকে প্রভাবশালী উল্লেখ করে চন্দ্রনাথ জানান, তাঁকে ওই জেলায় থাকতে হবে। এর থেকেই স্পষ্ট, বীরভূমে কতটা প্রভাব রয়েছে এই তৃণমূল নেতার। জানান, তৃণমূল জেলা সভাপতি বলেছিলেন, তাই ফেলতে পারেননি, সাদা কাগজে অ্যাডভাইস লিখে দিয়েছেন।

    ওই চিকিৎসকের আরও দাবি, সাদা কাগজে লিখে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার। আর এখানেই দানা বেঁধেছে আরেক বিতর্ক। জানা গিয়েছে, যখন সুপার এই নির্দেশ দিয়েছিলেন, তখন তিনি ছুটিতে ছিলেন। প্রশ্ন উঠছে ছুটিতে থাকাকালীন কী কোনও সুপার কী এই রকম নির্দেশ দিতে পারেন! যেখানে এই মুহূর্তে হাসপাতালে অ্যাক্টিং সুপার রয়েছেন।

    এদিকে, কেষ্ট বারবার শারীরিক অসুস্থতার অজুহাতে হাজিরা এড়ানোয় তাহলে কি ফের তলব করা হবে অনুব্রতকে? নাকি আদালতের দ্বারস্থ হবে সিবিআই? নাকি বাড়ি গিয়ে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন গোয়েন্দারা? সিবিআইয়ের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকেই এখন নজর সকলের।

     

     

     

  • Mamata-Modi Delhi Meet: দিল্লি গিয়ে সেটিং কি হল, দিদিকে কী বললেন মোদি?

    Mamata-Modi Delhi Meet: দিল্লি গিয়ে সেটিং কি হল, দিদিকে কী বললেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ তিনদিনের দিল্লি সফর সেরে ফিরে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata)। দিল্লি যাওয়ার পর থেকেই কলকাতায় সিপিএম-কংগ্রেস বলতে শুরু করে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেটিং করতে গিয়েছেন মমতা। ইডি-সিবিআইয়ের (ED-CBI) তৎপরতায় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC scam) এখন উচ্চগ্রামে চলছে। ৫১ কোটি নগদ উদ্ধার হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বান্ধবীর ঘর থেকে। গত ১১ বছরে তোলাবাজি, সিন্ডিকেটবাজি করে যে সমস্ত তৃণমূল (TMC) নেতারা কোটি কোটি টাকা রোজগার করেছেন, তাঁরাও চাইছিলেন দিদি যেন মোদির (Modi) সঙ্গে সেটিং করে ফিরে আসেন। তা হলে অন্তত ইডি-সিবিআইয়ের হাত থেকে তাঁরা বাঁচবেন। কিন্তু সেটিং কি হল?  প্রধানমন্ত্রী কি বলেছেন মমতাকে?

    দিল্লির খবরওয়ালাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, সেটিং তো দূরের কথা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবার মমতাকে বিশেষ পাত্তা দেননি। প্রধানমন্ত্রীর হাবভাবও তেমন ভাল লাগেনি মুখ্যমন্ত্রীর। তাই বৈঠক শেষে দিদির মন ফুরফুরে ছিল না। বরং দিল্লি থেকে চিন্তা নিয়েই কলকাতা ফিরে এসেছেন তিনি।

    সূত্রের খবর, দিল্লি পৌঁছেই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে একান্ত বৈঠকে বসেছিলেন মমতা। মিনিট কুড়ির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে রিসেপশন পর্যন্ত সঙ্গী ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রেসিডেন্ট কমিশনার এবং এক সাংবাদিক। অতীতে মোদির সঙ্গে বৈঠক থেকে বেরিয়ে মমতাকে যেমন উৎফুল্ল দেখায়, এ বার তেমন ছিল না। অনেকেই মনে করছেন, বৈঠকে রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়ে সরকারিভাবে বলা হলেও আসলে ইডি-সিবিআই যেন ব্যানার্জী পরিবারে হাত না দেয়, সেই আর্জিই জানাতে গিয়েছিলেন মমতা। তাঁর যুক্তি ছিল, কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে তিনি কংগ্রেসকে কোণঠাসা করে দিচ্ছেন। বিজেপির সুবিধা হয় এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তাঁকে শুধু পশ্চিমবঙ্গটুকু ছেড়ে দেওয়া হোক। প্রধানমন্ত্রী মমতার কথা শুনে গিয়েছেন শুধু। কোনও আশ্বাস তো দূরের কথা সরকারের দুর্নীতি বিরোধী অবস্থানে যে কোনও শিথিলতা দেখাবে না, তাও ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন।

    নীতি আয়োগের বৈঠকে হাজির মমতা, কিছু না বলেই ধরলেন কলকাতার উড়ান

    পরের দিন বিকালে ছিল ‘আজাদি কি অমৃত মহোৎসব’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বাধীন কমিটির বৈঠক। সেই বৈঠকে মমতা থাকলেও মোদি দৃশ্যত পাত্তা দেননি মমতাকে। স্বাধীনতা ৭৫ উদযাপনের অনুষ্ঠান নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) রিপোর্ট পেশ করেন অস্থায়ী রাজ্যপাল লা গণেশন (La Ganeshan)। মমতাকে একটি শব্দ বলারও সুযোগ দেওয়া হয়নি। অনেকে জানাচ্ছেন, শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, বৈঠকে উপস্থিত অন্য বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরাও মমতার সঙ্গে খেজুরে আলাপ করেননি। বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী স্মৃতি ইরানির (Smriti Irani) সঙ্গে কিছুটা কথা বলে চলে আসেন। প্রধানমন্ত্রীর চায়ের আসরে যোগ দেননি।

    কেন্দ্রের টাকা নয়ছয়, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর

    এর পর শেষ বৈঠকটি ছিল নীতি আয়োগের (Niti Aayog) বৈঠক। সেখানেও প্রধানমন্ত্রী এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন মাত্র। অন্য মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে দু-এক কথা বললেও মমতার সঙ্গে বাক্যালাপ করেননি। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে নীতি আয়োগের বৈঠকের মাঝপথেই কলকাতার বিমান ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। সংসদের অধিবেশনের শেষ দিনে চা চক্রে তৃণমূল সাংসদ নীতি আয়োগের বৈঠকের প্রসঙ্গ পাড়তেই প্রধানমন্ত্রী তাঁকে সবার সামনেই বলেন, দিদি খুশি হয়েছেন?

    বিজেপির অন্দরের লোকেরা জানেন এটি আসলে মোদিজির মোক্ষম খোঁচা। সেটিং করতে গিয়ে যে জোর ধাক্কা খেয়েছেন তাঁর প্রমাণ কলকাতা ফিরতে না ফিরতেই অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) আগামীকাল সকাল ১১টায় তলব করেছে সিবিআই। দিল্লি থেকে অতিরিক্ত নির্দেশক অজয় ভাটনাগর এসেছেন চলতি মামলার তদন্ত করতে। আগামী কয়েক দিনেই বোঝা যাবে দিল্লির সফরে লাড্ডু মিলেছে কি না?

  • SSC  Scam: হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্যের! এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ার নথি খতিয়ে দেখার অনুমতি মামলাকারীকে

    SSC Scam: হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্যের! এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ার নথি খতিয়ে দেখার অনুমতি মামলাকারীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  এসএসসি শিক্ষক নিয়োগে (SSC recruitment) নয়া ‘দুর্নীতির’ অভিযোগ নিয়ে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। ২০১৪ সাল থেকে এসএসসি-র মাধ্যমে যে ৪২ হাজার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছিল রাজ্য সরকার তার একটি মেধাতালিকা (merit list) প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। তাঁর করা মামলা গ্রহণ করেছে আদালত। এই মর্মে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের তরফে একটি অর্ডার প্রকাশ করা হয়। যেখানে আবেদনকারীর আর্জি মেনে নিয়ে আদালত জানিয়েছে, যে ৪২ হাজার ৮০০ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল তাঁদের কীসের ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়েছে সেই নথি প্রকাশ করুক রাজ্য সরকার। প্রকাশিত সেই নথি পরীক্ষা করতে পারবে মামলাকারী। এমনই নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।

    মামলার ভারে ইতিমধ্যেই বিপর্যস্ত এসএসসি। আলাদা বোর্ড হলেও একেবারে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ (Primary Teachers Recruitment) থেকে দুর্নীতির অভিযোগের শুরু। এরপর উচ্চপ্রাথমিক, নবম-দশম ছাড়াও গ্রুপ সি এবং গ্রু ডি নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে কারচুপি। মেধাতালিকায় প্রথমের দিকে নাম থাকলেও তাঁকে নিয়োগ না করে সুযোগ পেয়েছেন অনেক পিছনে থাকা চাকরি প্রার্থী। এই সংক্রান্ত একের পর এক অভিযোগ দায়ের হয় হাইকোর্টে। হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। নিয়োগে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তদন্তে নামে ইডি।

    আরও পড়ুন: এসএসসিকাণ্ডে এবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ডেরায় সিবিআই

    সিবিআই (CBI) তদন্ত এবং নিয়োগ দুর্নীতি সামনে আসার পর থেকে হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhikary) কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর। এছাড়াও সিদ্দিক গাজি নামে এক অঙ্ক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছে হাইকোর্ট। অন্যদিকে ২০১৪ সালের প্রাথমিকের টেট (Primary TET) পরীক্ষায় অনিয়ম করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এবার মেধাতালিকা প্রকাশের নথি সামনে এলে তার থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়ার দুর্নীতি আরও স্পষ্ট হবে বলে মনে করেন আবেদনকারী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। এর ফলে রাজ্য সরকারের মুখোশ খুলে যাবে বলে মনে করেন এই বিজেপি নেতা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: সিবিআই অনুব্রতকে নিয়ে যেতেই একে একে মুখ খুলছেন স্থানীয়রা, কী বলছেন তাঁরা?

    Anubrata Mondal: সিবিআই অনুব্রতকে নিয়ে যেতেই একে একে মুখ খুলছেন স্থানীয়রা, কী বলছেন তাঁরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। বোলপুরে (Bolpur) অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বাড়ি ছিল বীরভূমের (Birbhum) রাজনীতির ‘নিউক্লিয়াস’। নিচুপট্টির এই বাড়ি থেকেই পরিচালিত হত জেলার যাবতীয় কর্মকাণ্ড, তা সে রাজনৈতিক হোক বা প্রশাসনিক। কিন্তু, গত ৩৬-ঘণ্টায় বিস্তর পট-পরিবর্তন ঘটে গেছে। বৃহস্পতিবার, গরুপাচার মামলায় (Cattle smuggling) অনুব্রতকে ১০ দিন সিবিআই (CBI) হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    স্থানীয়দের মতে, বীরভূমের ‘বেতাজ বাদশা’ ছিলেন কেষ্ট। তাঁর প্রভাব ও প্রতাপ এতটাই ছিল যে, স্থানীয় প্রশাসন তাঁর নির্দেশেই চলত। এমনকী, দলের শীর্ষ নেতৃত্বকেও কার্যত বুড়ো আঙুল দেখাতেন। এতটাই ছিল তাঁর দাপট। স্থানীয়রা জানালেন, তিনি (অনুব্রত) ছিলেন বীরভূমের অঘোষিত রাজা। গোটা জেলা ছিল তাঁর সাম্রাজ্য। আর সেই সাম্রাজ্য চালাতেন নিচুপট্টির এই বাড়ি থেকেই।

    আরও পড়ুন: অন্যদের গুড়-বাতাসা খাওয়াতেন! সিবিআই হেফাজতে কী খেলেন কেষ্ট?

    অনুব্রত মণ্ডল বাড়িতে থাকলে রাস্তায় গাড়ি, মোটরবাইকের ভিড় লেগে থাকত। বিভিন্ন জায়গা থেকে সাক্ষাত্‍প্রার্থীরাও আসতেন। গমগম করত গাড়ি আর মানুষের ভিড়ে। আজ বাড়ির মালিক সিবিআই হেফাজতে। রয়েছেন নিজাম প্যালেসে। ফলে, শুনশান বোলপুরের নিচুপট্টিতে কেষ্টর বাড়ির চত্বর পুরোপুরি ফাঁকা। এক প্রতিবেশী জানালেন, আজ বাড়িতে কেউ নেই। শুধু কয়েকজন পুলিশ কর্মী রয়েছেন পাহারায়।

    স্থানীয়দের দাবি, পুলিশ ও প্রশাসনের যে সকল উচ্চপদস্থ আধিকারিক বীরভূমে দীর্ঘদিন ধরে পোস্টেড ছিলেন, তাঁদের সকলের সঙ্গেই কেষ্টর সুসম্পর্ক ছিল। বা বলা ভাল, সকলেই কেষ্ট-দার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই চলতেন। তাঁদের কথায়, কে-ই বা জলে কুমীর এবং ডাঙায় বাঘের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক রাখতে চায়? ফলে, অনুব্রত যা চাইতেন, জেলায় তাই হতো। রাজনৈতিক হোক বা প্রশাসনিক— সব সিদ্ধান্ত নিতেন অনুব্রতই। 

    আরও পড়ুন: দুর্দিনে পাশে নেই দল, তাই কি কেষ্টর চোখে জল?

    স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে বীরভূমে কেষ্ট এমন একটা ‘সিস্টেম’ চালু করেছিলেন, যাতে করে ওই জেলার যাবতীয় প্রধান সিদ্ধান্তগুলি তিনিই নিতেন। মাঝে কেষ্টর একটা বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী তৈরি হয়েছিল বটে। তাঁদের দাবি, একটা গোষ্ঠী সেই সময় মুকুল রায়ের দিকে ঝুঁকেছিল। কিন্তু, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব উধাও হয়ে যায়। আর অনুব্রত হয়ে ওঠেন বীরভূম জেলার ‘শেষ কথা’।

    স্থানীয়দের মতে, দীর্ঘদিন ধরেই গরু, কয়লা ও বালি পাচারের ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে বীরভূম। তাঁরা জানান, বীরভূমের বাতাসে টাকা নাকি ভেসে বেড়ায়। আর সবকিছুর হিস্-সা আসত কেষ্টর কাছে। সিবিআইয়ের চার্জশিটে নাম থাকা আব্দুল লতিফ হল গরু হাটের মালিক। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, আব্দুল লতিফের সঙ্গে অনুব্রতর দেহরক্ষক বর্তমানে জেল হেফাজতে থাকা সায়গল হোসেনের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল।

LinkedIn
Share