Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Partha Chatterjee ED Custody: এসএসসি কাণ্ডে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ২ দিনের ইডি হেফাজতে পাঠাল আদালত

    Partha Chatterjee ED Custody: এসএসসি কাণ্ডে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ২ দিনের ইডি হেফাজতে পাঠাল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসিকাণ্ডে (SSC scam) ২ দিনের ইডি হেফাজতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। ১৯-ঘণ্টার ওপর জেরা করার পর গতকাল গভীর রাতে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রীকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। শনিবার দুপুরে তাঁকে তোলা হয় ব্যাঙ্কশাল কোর্টে (Bankshall Court)। সেখানে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে ২ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আবেদন করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আদালতে ইডি (ED) দাবি করে, তদন্তে একেবারেই সহযোগিতা করছেন না পার্থ। ফলে, তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করার অনুমতি দেওয়া হোক। তদন্তকারী সংস্থার এই আবেদনে গ্রহণ করেন বিচারক। উল্টোদিকে জামিনের আবেদন করেন পার্থর আইনজীবী। কিন্তু, সেই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক। তৃণমূল মহাসচিবকে ২ দিনের জন্য ইডি হেফাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এখান থেকে পার্থকে নিয়ে যাওয়া হবে সিজিও কমপ্লেক্সে। 

    আরও পড়ুন: অর্পিতাকে চিনতেন মুখ্যমন্ত্রী! কী বললেন বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য?

    এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষে অবশেষে শনিবার সকালে গ্রেফতার করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। একইসঙ্গে আটক করা হয়েছে তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। শুক্রবার, সকাল ৭টা নাগাদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এই দুর্নীতিকাণ্ডে আরেক অভিযুক্ত পরেশ অধিকারী সহ একসঙ্গে ১৩টি জায়গায় হানা দেয় ইডি। পরে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে চিরকূটে লেখা অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নাম দেখে সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। পরে, দুপুর তিনটে নাগাদ সেখানে হানা দেয় ইডি। তখনও ইডি আধিকারিকরা জানেন না, তাঁদের জন্য সেখানে অপেক্ষা করছে ‘জ্যাকপট’। 

    আরও পড়ুন: এটা তো সবে ট্রেলার, পুরো সিনেমা এখনও বাকি! ট্যুইটে কাকে বিঁধলেন শুভেন্দু অধিকারী?

    অর্পিতার ফ্ল্যাটে থেকে নগদ ২১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রায় ৭৯ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার গয়না। প্রায় ৫৪ লক্ষ টাকার বিদেশি মুদ্রাও উদ্ধার হয় ফ্ল্যাট থেকে। একেবারে, ২ হাজার ও ৫০০-র নোটের ২ বস্তা ভর্তি বাণ্ডিল বাণ্ডিল টাকা উদ্ধার করা হয়। ইডি সূত্রে দাবি, জেরায় অর্পিতা জানিয়েছেন, এসএসসির চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিত দালালরা। সরকারি কর্মচারি, আমলা হয়ে টাকা যেত নেতা-মন্ত্রীদের কাছে। পাশাপাশি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তিনি শুধুই চিনতেন বলে ইডি-কে জানিয়েছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।

  • Partha Chatterjee Arrested: এসএসসি কাণ্ডে গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়, আজই তোলা হবে আদালতে

    Partha Chatterjee Arrested: এসএসসি কাণ্ডে গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়, আজই তোলা হবে আদালতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষে অবশেষে শনিবার সকালে গ্রেফতার করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সিজিও কমপ্লেক্সে। আজই তাঁকে সম্ভবত তোলা হবে আদালতে। সেখানে পার্থকে নিজেদের হেফাজতে চাইতে পারে ইডি। একইসঙ্গে আটক করা হয়েছে তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। গতকাল অর্পিতার ফ্ল্যাটে থেকে নগদ ২১ কোটির বেশি টাকা ও প্রায় ৭৯ লক্ষাধিক টাকার গয়না উদ্ধার করেছন তদন্তকারীরা। প্রায় ৫৪ লক্ষ টাকার বিদেশি মুদ্রাও উদ্ধার হয় ফ্ল্যাট থেকে।

    শুক্রবার, সকাল ৭টা নাগাদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এই দুর্নীতিকাণ্ডে আরেক অভিযুক্ত পরেশ অধিকারী সহ একসঙ্গে ১৩টি জায়গায় হানা দেয় ইডি। পরে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে চিরকূটে লেখা অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নাম দেখে সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। পরে, দুপুর তিনটে নাগাদ সেখানে হানা দেয় ইডি। তখনও ইডি আধিকারিকরা জানেন না, তাঁদের জন্য সেখানে অপেক্ষা করছে ‘জ্যাকপট’। একেবারে, ২ হাজার ও ৫০০-র নোটের ২ বস্তা ভর্তি বাণ্ডিল বাণ্ডিল টাকা উদ্ধার করা হয়। 

    একদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি, অন্যদিকে অর্পিতার ফ্ল্যাট– রাতভর জেরাপর্ব চলে। ইডি সূত্রে দাবি, তদন্তে নেমে অর্পিতার সম্পত্তির যে খতিয়ান উঠে এসেছে, তাতে তদন্তকারীদের চোখ কপালে ওঠার জোগাড়! সূত্রের খবর, অর্পিতা এবং তাঁর আত্মীয়দের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তিক হদিশও মিলেছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, কলকাতা শহরেই অর্পিতার দু’টি ফ্ল্যাট এবং একটি বাড়ির হদিশ মিলেছে। বেলঘরিয়া রথতলা এলাকায় অভিজাত ক্লাবটাউন হাইটসে ১১০০ ও ১৬০০ স্কোয়ার ফিটের অর্পিতার দু’টি ফ্ল্যাট রয়েছে। একটি ব্লক টু-য়ে, অন্যটি ব্লক ফাইভে। এর মধ্যে বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের সঙ্গে রয়েছে টেরেস। 

    এত বিপুল সম্পত্তি কোথা থেকে এল? সেই প্রশ্ন করা হয় অর্পিতাকে। কিন্তু, কোনও সদুত্তর মেলেনি। ইডি সূত্রে দাবি, জনের কেউই নাকি তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। এরপরই , এর পরই সকালে পার্থকে গ্রেফতারির প্রক্রিয়া শুরু হয়। সাক্ষী ডেকে এনে সই করানো হয় গ্রেফতারি মেমোয়। একইসঙ্গে আটক করা হয় অর্পিতাকেও। পরে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ক সুকান্ত আচার্যকে আটক করে ইডি। সুকান্ত এসএসসি-র উপদেষ্টা কমিটির সদস্য। নিউ ব্যারাকপুরের বাড়ি থেকে তাঁকে আটক করে ইডি। নিয়ে যাওয়া হয় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। 

  • Anubrata Mondal: কোথায় কেষ্ট? পার্থর পর এবার কি অনুব্রতর পালা? জোর জল্পনা!

    Anubrata Mondal: কোথায় কেষ্ট? পার্থর পর এবার কি অনুব্রতর পালা? জোর জল্পনা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলেছিলেন একুশের (TMC Shahid Diwas) সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন। একেবারে দলনেত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই মঞ্চে থাকবেন। এও জানিয়েছিলেন, তাঁর জেলা থেকে ২ লক্ষ মানুষ সমাবেশে যোগ দেবে। বাকিটা ইতিহাস। কোনও কথাই রাখতে পারেননি কেষ্ট। 

    কিন্তু, একুশের সভায় না থেকে কোথায় ছিলেন অনুব্রত (Anubrata) মণ্ডল? জানা গিয়েছে, বাড়িতেই ছিলেন কেষ্ট। ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, তাঁর শরীর ভালো নেই। তাই তিনি যেতে পারেননি। এই প্রথম নয়। বেশ কিছুদিন যাবৎ কেষ্টকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। দলীয় কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করলেও প্রকাশ্য কোনও সভায় দেখা যায়নি অনুব্রতকে। সূত্রের খবর, এখন নাকি অনুব্রত বোলপুরের বাড়ি থেকে আর বেরোতে চাইছেন না। কারও সঙ্গে দেখা করছেন না। 

    কিন্তু, কীসের জন্য দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমাবেশে হাজির থাকতে পারলেন না দলনেত্রীর প্রিয় কেষ্ট? এমন কী হয়েছে তাঁর? সূত্রের দাবি, গত কয়েকদিনে বারবার শিরোনামে উঠে এসেছেন বীরভূমের এই নেতা ৷ বর্তমানে পাঁচটি মামলায় কেষ্টর মাথার ওপর কেন্দ্রীয় তদন্তের খাঁড়া ঝুলছে। গরু পাচার, গৌরব সরকার খুনের মামলা, জোড়া বোমা বিস্ফোরণ, বগটুই ও ভাদু শেখের খুনের ঘটনা। এরমধ্যে, বোমা বিস্ফোরণের তদন্ত করছে এনআইএ। বাকিগুলি খতিয়ে দেখছে সিবিআই (CBI)।

    আরও পড়ুন: গরু পাচার মামলায় বিপুল সম্পত্তির হদিশ অনুব্রতর? আদালতে তথ্য দিল সিবিআই

    সূত্রের খবর, এছাড়াও গরুপাচারকয়লা পাচারের ঘটনায় শোনা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রেই আসরে নামতে চলেছে ইডি-ও (Enforcement Directorate)। দিল্লির ইডি দফতর থেকে কলকাতার সিবিআই দফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে এবং বিভিন্ন তথ্য চাওয়া হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এর পর কেষ্ট মণ্ডল ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের দিকে ঘুরতে পারে ইডি তদন্তের ভার। শোনা যাচ্ছে, মেয়ে ও মৃত স্ত্রীর নামে বিপুল সম্পত্তি রয়েছে কেষ্টর। তার হদিশ মিলেছে। এর পাশাপাশি, রাজ্যের এক মন্ত্রীর সঙ্গে বহু পার্টনারশিপে বেনামি সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে ইডি।

    সবমিলিয়ে, এখন চরম সংকটের মুখে অনুব্রত। একুশের মঞ্চ থেকে দলনেত্রীর মুখ দিয়ে ১৩০ বার ইডি-সিবিআই-ভয় শব্দগুলি বেরিয়েছে। তা শুনেই কি আরও ভয় পাচ্ছেন কেষ্ট?

  • Partha Chatterjee: এসএসকেএম নৈব নৈব চ, পার্থর স্বাস্থ্যপরীক্ষা জোকা ইএসআই-তে, প্রয়োজনে তৈরি সেনা হাসপাতালও

    Partha Chatterjee: এসএসকেএম নৈব নৈব চ, পার্থর স্বাস্থ্যপরীক্ষা জোকা ইএসআই-তে, প্রয়োজনে তৈরি সেনা হাসপাতালও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতিতের ঘটনা থেকে সতর্ক এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directodate)। এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC scam) গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) নিয়মমাফিক স্বাস্থ্যপরীক্ষা কোথায় করানো হবে, সেই নিয়ে সতর্ক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল।

    অতীতে, সারদা হোক বা নারদ, এসএসসি হোক বা কয়লাপাচার— যে কোনও মামলায় রাজ্যের শাসক দলের কোনও নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেফতারের মতো পরিস্থিতি তৈরি হলেই, তাঁরা সটান গিয়ে ভরতি হয়ে যাচ্ছেন এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে। যার জেরে, সবকিছু আয়ত্তের মধ্যে থেকেও শেষ মুহূর্তে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে সিবিআই-ইডির (CBI-ED) মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলকে। 

    পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে রাজ্য রাজনীতির অলিন্দে কান পাতলেই শোনা যায়, এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ড শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের নিরাপদ আশ্রয় হয়ে উঠেছে। তাই এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, তার জন্য এবার আগাম সতর্কতা অবলম্বন করতে চাইছে ইডি। 

    সূত্রের খবর, ইডি একেবারেই চাইছে না, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা এসএসকেএমে করাতে। তাদের পছন্দ সামরিক হাসপাতাল। যে কারণে, ইডি (ED) চাইছে, আদালতে পেশ করার আগে কমান্ড হাসপাতালে (Command Hopsital) মন্ত্রীমশাইয়ের নিয়মমাফিক স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে।

    তবে, এর জন্য দিল্লি থেকে অনুমতি মেলা প্রয়োজন। ইডি সূত্রে খবর, অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেলের অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল কলকাতা টিম। তা একবার হাতে চলে এলেই, কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হতো পার্থকে। যদিও, সেই নির্দেশ আসতে দেরি হওয়ায় শেষমেশ জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় রাজ্যের বর্তমান শিল্পমন্ত্রী তথা তৃণমূল মহাসচিবকে। সেখানেই হয় বিধিমাফিক স্বাস্থ্যপরীক্ষা।

    এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষে অবশেষে শনিবার সকালে গ্রেফতার করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সিজিও কমপ্লেক্সে। আজই তাঁকে সম্ভবত তোলা হবে আদালতে। সেখানে পার্থকে নিজেদের হেফাজতে চাইতে পারে ইডি। একইসঙ্গে আটক করা হয়েছে তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। গতকাল অর্পিতার ফ্ল্যাটে থেকে নগদ ২১ কোটির বেশি টাকা ও প্রায় ৫০ লক্ষাধিক টাকার গয়না উদ্ধার করেছন তদন্তকারীরা। 

  • BJP: মমতা আদিবাসী বিরোধী? পোস্টার সাঁটিয়ে প্রমাণ বঙ্গ বিজেপি-র

    BJP: মমতা আদিবাসী বিরোধী? পোস্টার সাঁটিয়ে প্রমাণ বঙ্গ বিজেপি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presidential Election) উপলক্ষে শহর কলকাতা ছয়লাপ বিজেপির (BJP) পোস্টারে। সেখানেই তুলে ধরা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর স্বরূপ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) আখ্যা দেওয়া হয়েছে উপজাতি সম্প্রদায় বিরোধী (Anti Tribal) হিসেবে। পোস্টারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) দেখা যাচ্ছে এনডিএ (NDA) প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর (Draupadi Murmu) সঙ্গে। তারই নীচে একটি ছবি দেওয়া হয়েছে, যাতে দেখা যাচ্ছে জনজাতির দুই মহিলা গ্লাভস পরে নাচছেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। এখানেই আপত্তি বঙ্গ বিজেপির।

    রাত পোহালেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। এনডিএ-র তরফে প্রার্থী হয়েছেন বিজেপির দ্রৌপদী মুর্মু। বিজেপি-বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিনহা। যশবন্ত তৃণমূলের প্রাক্তন ভাইস প্রসিডেন্ট। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং উদ্যোগী হয়ে তাঁকে টিকিট পাইয়ে দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী এই দুই প্রার্থীর ফারাক বিস্তর। দ্রৌপদী জনজাতি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। যশবন্ত উচ্চবর্ণের। সেই দ্রৌপদীকে তৃণমূল সমর্থন করছে না বলেই এখনও পর্যন্ত খবর। একেই হাতিয়ার করেছে বিজেপি।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীকে সমর্থন করে বিজেপিকে বার্তা উদ্ধব ঠাকরের?

    শহর ছেয়ে যাওয়া পোস্টারে রয়েছে দুটি ছবি। একদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে হাসি মুখে দাঁড়িয়ে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী। আর তারই নীচে জনজাতি দুই মহিলার সঙ্গে নাচের তালে পা মেলাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনজাতির প্রতিনিধি ওই দুই মহিলার হাতে গ্লাভস। ছবিটি আলিপুরদুয়ার জেলার একটি অনুষ্ঠানের খণ্ডচিত্র। কিছুদিন আগেই ছবিটি ভাইরাল হয়েছিল। দেখা যাচ্ছিল, গণবিবাহের অনুষ্ঠানে আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে নাচছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু নাচার সময় তিনি যাদের হাত ধরলেন, তাদের হাতে গ্লাভস পরা। এই ছবি দেখিয়েই বঙ্গ বিজেপির দাবি , নাচের তালে পা মেলানোর দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে নিছকই ছবি তোলার উদ্দেশ্যে। চমক জাগানোই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্য। খতিয়ে দেখলেই তাঁর স্বরূপ বেরিয়ে আসে। আর এই ছবি দেখিয়েই বঙ্গ বিজেপির দাবি, মুখ্যমন্ত্রী আসলে উপজাতি সম্প্রদায় বিরোধী।   

    আরও পড়ুন : পাখির চোখ ২৪ , দুর্বল বুথে শক্তি বাড়াতে নতুন কৌশল বিজেপি-র

    তবে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদীর হয়ে তৃণমূল বিধায়ক ও সাংসদদের কাছে ভোট চেয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। যদিও দ্রৌপদীকে সমর্থনের ব্যাপারে ইতিমধ্যেই ভাঙন ধরেছে বিজেপি-বিরোধী শিবিরে। কংগ্রেসের জোটসঙ্গী শিবসেনা, সমাজবাদী পার্টির জোটসঙ্গী এসবিএসপি এবং আরজেডির জোটসঙ্গী ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীকেই সমর্থন করবে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে। সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের কাকা শিবপাল সিং যাদবও সমর্থন করছেন দ্রৌপদীকেই।

    সোমবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ভোটকে ঘিরে টানটান উত্তেজনা শাসক, বিরোধী দুই শিবিরেই। জয়ের পাল্লা ভারী দ্রৌপদীর দিকেই। হার নিশ্চিত বুঝে তৃণমূল নেত্রী বলেছিলেন, আগে জানলে তিনি দ্রৌপদী মুর্মুকেই সমর্থন করতেন। তবে দেশে এই প্রথম কোনও আদিবাসী মহিলা যখন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হয়েছেন, তখন তাঁকে সমর্থন নিয়ে দূরত্ব বজায় রেখে, মুখ্যমন্ত্রী এটাই বুঝিয়ে দিলেন যে কোনটা তাঁর মুখ, কোনটা মুখোশ। আর একের পর এক এমন ঘটনা তুলে ধরেই রাজ্য বিজেপি স্পষ্ট করে দিল আদিবাসী সম্পর্কে মমতার স্বরূপ।  

     

  • Presidential Election: আদিবাসী সাজে বিজেপি বিধায়কেরা! ভোটের লাইনে ইন্দ্রনীল, অগ্নিমিত্রা, শুভেন্দু, মহুয়ারা

    Presidential Election: আদিবাসী সাজে বিজেপি বিধায়কেরা! ভোটের লাইনে ইন্দ্রনীল, অগ্নিমিত্রা, শুভেন্দু, মহুয়ারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (President Election) প্রক্রিয়া। সোমবার দুই রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu) বনাম যশবন্ত সিন্‌হার (Yashwant Sinha)  লড়াইয়ে দেশের প্রায় ৪,৮০০ জন সাংসদ ও বিধায়ক ভোট দেবেন। দ্রৌপদী এনডিএ-র প্রতিনিধি। বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের হিসাব অনুযায়ী, তিনি মোট ভোটের অন্তত ৬২ শতাংশ ভোট পেয়ে জিততে চলেছেন। 

    বিধানসভায়  আজ সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলবে।  শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সাংসদ ও বিধায়ক মিলে মোট ভোটার ২৫৪। জেলাওয়াড়ি কয়েকটি ভাগ করে বিধায়কদের ভোট-পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কয়েক জন মন্ত্রীকে। লোকসভার সাংসদদের ক্ষেত্রে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভায় সুখেন্দু শেখর রায়কে দায়িত্ব দিয়েছে তৃণমূল। 

    বিরোধী দল বিজেপির হাতে রয়েছে ৭০ জন বিধায়ক এবং কার্যত ১৬ জন সাংসদ। বিজেপির তরফে রবিবারই তাঁদের নিউটাউনের একটি হোটেলে রাখা হয়। সেখান থেকেই এদিন সকালে বাসে করে বিধানসভায় আসেন বিজেপির বিধায়ক এবং সাংসদরা। তাঁদের প্রত্যেকের গলাতেই ছিল হলুদ রঙের উত্তরীয়। জানা গেল এগুলি আদিবাসী সংস্কৃতির প্রতীক। যেহেতু রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শাসক দল বিজেপির প্রার্থী দ্রৌপদী জনজাতির প্রতিনিধি। তাঁকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানাতে আদিবাসীদের ব্যবহৃত কাপড়ের উত্তরীয় গলায় পড়ে বিধানসভায় এসেছেন বিজেপির বিধায়কেরা। তাঁদের দাবি, আদিবাসী রীতি-নীতিকে সম্মান জানিয়ে তাঁরা এই পোশাক পরে এসেছেন। তাঁদের কথায়,  দেশ প্রথম আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপতি পেতে চলেছে। তাই এই সাজ। বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু ৭০ শতাংশ ভোট পেয়ে জিততে চলেছেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন।

    আরও পড়ুন: শুরু হল রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ভোট দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    বিধানসভার বাইরে ভোটের লম্বা লাইনে হাজির তৃণমূলের মন্ত্রী, বিধায়ক এবং সাংসদরাও। ছিলেন ইন্দ্রনীল সেন, শশী পাঁজা, মহুয়া মৈত্ররা। কলকাতার মেয়র এবং রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দাবি, ক্রস ভোটিং হবে বাংলায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে। তিনি জানিয়েছেন, বিজেপির অনেকেই বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিন্‌হা ভোট দেবেন। ফিরহাদের ক্রস ভোটিং মন্তব্যের জবাব দেন বিজেপি নেত্রী এবং বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। তিনি বলেন, ‘‘ওঁরা যা-ই বলুন আমরা আমাদের ভোট দ্রৌপদী মুর্মুকেই দেব।’’ অগ্নিমিত্রার মতে,তৃণমূলের অনেকে বরং দ্রৌপদীকেই ভোট দিতে ইচ্ছুক। শেষ হাসি কে হাসবেন, তা জনাতে অবশ্য অপেক্ষা করতে হবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।

  • Jagdeep Dhankhar: রাজ্যে গণতন্ত্র রক্ষার্থে গর্জে উঠুন বুদ্ধিজীবীরা, আহ্বান রাজ্যপালের

    Jagdeep Dhankhar: রাজ্যে গণতন্ত্র রক্ষার্থে গর্জে উঠুন বুদ্ধিজীবীরা, আহ্বান রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ও আমলাতন্ত্র নিয়ে ফের একবার ক্ষোভ উগড়ে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর (governor Jagdeep Dhankhar)। রাজ্যে গণতন্ত্র রক্ষা করতে বুদ্ধিজীবী এবং সুশীল সমাজের উচিত একসঙ্গে গর্জে ওঠা, অভিমত রাজ্যপালের। ঝটিকা সফরে বুধবার দার্জিলিংয়ে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। জিটিএ (GTA) নির্বাচনের পর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই পাহাড়ে পা রাখেন তিনি। এদিন তিনি সকালে কলকাতা থেকে বিমানে বাগডোগরায় নেমে সোজা সড়কপথে চলে যান দার্জিলিং। বৃহস্পতিবার দার্জিলিংয়ের লালকুঠিতে জিটিএ (GTA)-র চিফ এগজিকিউটিভের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান রয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে   রাজ্যপাল জানান, রাজ্যে প্রশাসনিক অনেক সমস্যা রয়েছে, যেটা সকলেই জানে। কিন্তু ভয়ের কারণে, কেউ সেসব বিষয়ে কথা বলতে চায় না। তিনি সমাজের বুদ্ধিজীবীদের অনুরোধ করেন, রাজ্যের সমস্যাগুলি নিয়ে যেন তাঁরা সরব হন। ট্যুইটবার্তায় তিনি জানান, ‘নাগরিক সমাজ ও বুদ্ধিজীবীদের নিশ্চুপতা আমার কাছে খুব বেদনাদায়ক। আর্থিক বিষয়ে ও আমলাতন্ত্রে সাম্প্রদায়িক পৃষ্ঠপোষকতা ও সাম্প্রদায়িক ক্ষমতায়ন কোনওভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। সাম্প্রদায়িক পৃষ্ঠপোষকতা বাস্তবে গণতন্ত্রের মূল্যবোধ বিরোধী। নাগরিক সমাজ ও বুদ্ধিজীবীদের সেই বিষয়ে সরব হওয়া উচিৎ। হাইকোর্টের মত অনুযায়ী রাজ্যের প্রত্যেক কোনায় তোলাবাজি, সিন্ডিকেট রাজ চলছে। এসব আইনের ভূমিকা নয়। এটা একমাত্র শাসকের শাসন চললেই হয়। গণতন্ত্রে এসবের জায়গা নেই। বিভিন্ন সময়ে শাসকদল রাজ্যের সার্বিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, শিল্পের কথা বললেও আদতে তার দেখা নেই। বিভিন্ন সময়ে রাজ্যের মন্ত্রীদের নাম জড়িয়ে পড়ছে নানা আর্থিক দূর্নীতিতে। অথচ মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন সুশীল সমাজ। প্রতিবাদ করতে দেখা যাচ্ছে না বুদ্ধিজীবিদের। এটা সমাজের পক্ষে ভয়ংকর। রাজ্যের পরিস্থিতি ঠিক করতে হলে প্রথমেই এগিয়ে আসতে হবে সুশীল সমাজকে।’ যতদিন পর্যন্ত অনিয়মের বিরুদ্ধে সমাজ গর্জে না উঠবে ততদিন পর্যন্ত এ রাজ্যের হাল ফিরবে না বলেও মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল। 

    আরও পড়ুন: শ্যুটিং বিশ্বকাপে সোনা জয় বঙ্গকন্যা মেহুলির

    গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (GTA) নির্বাচনের পর পাহাড় সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার জিটিএর নবনির্বাচিত ৪৫ জন সদস্যের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তিনি। তবে চেয়ারম্যান পদে এখনও শপথ নেওয়া বাকি অনীত থাপার। এমতাবস্থায় রাজভবনে অনীত থাপাকে শপথগ্রহণ করাতেই পাহাড়ে রাজ্যপাল। প্রোটোকল মেনেই এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চলেছেন তিনি। এর পাশাপাশি জিটিএ নিয়ে পুরো বিষয়টিও বুঝে নিতে চাইছেন ধনকড়।

  • Coal Scam: কয়লা-কাণ্ডে ধৃত আরও এক ইসিএল কর্তা! ইডির দফতরে হাজিরা এড়ালেন তৃণমূল মন্ত্রী-বিধায়ক

    Coal Scam: কয়লা-কাণ্ডে ধৃত আরও এক ইসিএল কর্তা! ইডির দফতরে হাজিরা এড়ালেন তৃণমূল মন্ত্রী-বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার কাণ্ডে (Coal Scam) শুক্রবার ইডির কাছে গেলেন না রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক (Moloy Ghatak) এবং তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো। এদিন দিল্লির সদর দফতরে দু’জনকে তলব করেছিল ইডি (ED)। এ নিয়ে চতুর্থবার ইডির তরফে মলয়কে ডাকা হয়। কিন্তু এদিনও হাজিরা এড়ালেন মন্ত্রী। অন্যদিকে,কয়লা দুর্নীতিতে আবার ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেডের এক প্রাক্তন কর্তাকে গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI)। এদিন ইসিএলের প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার সুভাষ মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে তদন্তকারী অফিসারেরা। আজ, শনিবার তাঁকে আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তোলা হয়। তাঁকে ৩ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় আসানসোল আদালত। 

    সূত্রের খবর, শুক্রবার সময় পেরিয়ে গেলেও ইডির সদর দফতরে যাননি মন্ত্রী মলয়। এমনকি বাঘমুন্ডির তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোও আসেননি। তবে সুশান্ত তদন্তকারী অফিসারদের ইমেল করে জানিয়েছেন যে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য ব্যস্ত থাকায় এদিন যেতে পারেননি তিনি। আরও জানিয়েছেন, প্রয়োজনে কলকাতায় এসে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন অফিসাররা। কিন্তু, হাজিরা এড়ানোর বিষয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের কিছুই জানাননি মলয় ঘটক। ফের মলয়কে নোটিস পাঠাতে পারে ইডি।

    আরও পড়ুন: কোটি কোটি টাকার লেনদেন! ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতে ৭ ইসিএল আধিকারিক

    অন্যদিকে শুক্রবার সকালেই কলকাতার নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই নোটিশ দিয়ে ডেকে পাঠায় ইসিএলের প্রাক্তন কর্তা সুভাষ মুখোপাধ্যায়কে। দীর্ঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাস তিনেক আগেই তিনি ইসিএলের শাঁকতরিয়ার সদর দফতরের জেনারেল ম্যানেজার পদ থেকে অবসর নেন বলে জানিয়েছেন অভিযুক্তের আইনজীবী উদয়চাঁদ মুখোপাধ্যায়। ২০২০ সালে কয়লা কাণ্ডের মামলায় সুভাষ বাবুর ফ্ল্যাটে সিবিআই তল্লাশি চালিয়ে কিছু কাগজপত্র, আবাসনের দলিল এবং ২৬ টি কিষান বিকাশ পত্র ও বেশ কয়েক লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছিল। সম্প্রতি সুভাষ মুখোপাধ্যায় কলকাতার উচ্চ আদালতে ওই জিনিসগুলি ফেরত পাওয়ার আবেদন জানান। আদালত জানিয়েছিল সিবিআই আদালতেই এর আবেদন করতে হবে। সেইমতো গত ৩০ মার্চ আসানসোলের সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বাড়ির দলিল, কিষান বিকাশ পত্র সহ বেশ কিছু কাগজ ফেরত দেওয়ার। যদিও ধৃতের আইনজীবির দাবি টাকা বাদ দিয়ে আদালতের নির্দেশ মতো বাকি সব নথিপত্রই সিবিআই ফেরত দিয়েছে। 

    এদিন সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়, সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া অনুপ মাঝি ওরফে লালার যোগসূত্র মিলেছে। তাই তাঁকে ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। কীভাবে লালা ইসিএলের জমিতে বেআইনিভাবে কয়লা তোলার সুযোগ পেল, তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন করা হয় ইসিএলের প্রাক্তন জিএমকে। কোনও প্রশ্নেরই সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি তিনি। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

     

  • SSC Scam: অর্পিতাকে চিনতেন মুখ্যমন্ত্রী! কী বললেন বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য?

    SSC Scam: অর্পিতাকে চিনতেন মুখ্যমন্ত্রী! কী বললেন বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে চিনতেন। এমনকী অর্পিতা ভালো কাজ করেন বলে প্রকাশ্যেই সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এক মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  (Mamata Banerjee ) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee), ভিডিও পোস্ট করে ট্যুইট বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অমিত মালব্যর।

    এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকান্ডে শুক্রবার থেকেই তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। অন্যদিকে হরিদেবপুরের ফ্ল্যাট থেকে নগদ ২১ কোটি টাকা উদ্ধার হওয়ায় আটক করা হয়েছে ‘পার্থ ঘনিষ্ঠ’ অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। ইডির প্রাথমিক ধারণা, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া নগদ ২১ কোটি টাকার সঙ্গে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির নিবিড় যোগ রয়েছে। এরই মাঝে একটি পুরনো ভিডিও ট্যুইট করলেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য।

    [tw]


    [/tw]

    ট্যুইট বার্তায় অমিত মালব্য লেখেন, ‘খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি মঞ্চ থেকে সর্বসমক্ষে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগীর প্রশংসা করেছিলেন। তাঁরই বাড়ি থেকে ইডি খুব বেশি নয়, মাত্র ২০ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে। মমতা তাঁর সম্পর্কে জানতেন এবং তিনি যে ‘ভালো কাজ’ করছেন সেই বিষয়েও জানতেন।’

    আরও পড়ুন: এটা তো সবে ট্রেলার, পুরো সিনেমা এখনও বাকি! ট্যুইটে কাকে বিঁধলেন শুভেন্দু অধিকারী?

    এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতি ও বেআইনি আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই বলে শুক্রবারই দাবি করেছিলেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। কিন্তু, বিজেপি নেতা অমিত মালব্যের ট্যুইট অন্য ইঙ্গিত দিচ্ছে, বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। অমিত মালব্যর ট্যুইট করা ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পুজো বলে পরিচিত নাকতলা উদয়নের দুর্গা মণ্ডপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই অনুষ্ঠান মঞ্চেই দেখা যায়, অর্পিতার প্রশংসা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অর্পিতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘অর্পিতা, তুমি ওড়িশায় সিনেমা কর শুনলাম। ভাল করে কর। ওড়িয়া বুঝতে পার? সুতরাং ও ওড়িশায় কাজ করে, বাংলার মেয়ে, আমি আগেরবারও দেখিলাম ও এসেছিল, ববিদের ওখানেও যায়।’

  • Partha Chatterjee: মন্ত্রিত্ব থেকে দলীয় পদ, সবকিছু থেকেই পার্থকে ছেঁটে ফেললেন মমতা

    Partha Chatterjee: মন্ত্রিত্ব থেকে দলীয় পদ, সবকিছু থেকেই পার্থকে ছেঁটে ফেললেন মমতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমে মন্ত্রিত্ব, তারপর পদ। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সবকিছু হারালেন একদা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বলা ভালো, এসএসসি কেলেঙ্কারির দায় মাথায় চাপিয়ে পার্থকে দল থেকেই ছেঁটে ফেলল তৃণমূল। বিকেল পাঁচটার বৈঠকের পর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, যতদিন না তদন্ত শেষ হচ্ছে, দল থেকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। অর্থাৎ, পার্থ আর তৃণমূলের মহাসচিব থাকছেন না। থাকছেন না তৃণমূল মুখপত্র জাগো বাংলার সম্পাদকের পদেও। পাঁচটি পদ থেকেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। 

    ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মা মাটি মানুষের সরকারে কার্যত দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দলেও ছিলেন মহাসচিব পদে। কিন্তু টালিগঞ্জের পর বেলঘরিয়াতেও মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের পর আর ঝুঁকি নিতে পারল না দল। আজ বিকেলেই তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠক বসে। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, তদন্ত যতদিন না শেষ হবে, ততদিন দল থেকে সাসপেন্ড থাকবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিজেকে যেদিন নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবেন , সেদিনই দল তাঁর ওপর শাস্তি অপসারণ নিয়ে ফের চিন্তাভাবনা করবে। 

    বিকেলের এই সিদ্ধান্তের আগে আজ দুপুরেই মন্ত্রিত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁর হাতে থাকা তিনটি দফতরই আপাতত থাকছে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। তবে শিল্প দফতর নিজের হাতে রেখে বাকি দুটি দফতর বন্টন করে দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে, তথ্য প্রযুক্তি পেতে পারেন ব্রাত্য বসু। পরিষদীয় মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি তাপস রায়ের। নবান্ন সূত্রে অবশ্য নির্মল ঘোষের নামও পরিষদীয় মন্ত্রী হিসেবে ভেসে উঠছে। পার্থকে মন্ত্রিত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সরকারি নোটিফিকেশন আজই জারি হয়।  ২৮জুলাই থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। তবে সরকারি নোটিফিকেশনে বরখাস্ত শব্দটি ব্যবহার না করে অব্যাহতি শব্দটি লেখায় সরকারের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। 

    শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কেলেঙ্কারির ঘটনায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যেভাবে কামিনীকাঞ্চন যোগ সামনে এসেছে, তাতে তৃণমূল কংগ্রেস যে দায় এড়াতে পারে না, বিরোধীরা বারবার সেই প্রসঙ্গ সামনে এনেছে। রাজ্যের সাধারণ মানুষের মনেও প্রশ্ন উঠেছে, একা পার্থ চট্টোপাধ্যায় কি এই কোটি কোটি টাকা তুলতে পারেন? নাকি সঙ্গে আছে দলের আরও অনেকে? খোদ অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ও ইডির জেরার মুখে জানিয়েছেন, এই টাকা তোলার সঙ্গে অনেকেই যুক্ত আছে। এই অভিযোগ আর মানুষের মনে ওঠা প্রশ্ন , ভাবাতে শুরু করেছে তৃণমূলকে। তাই যে মুখ্যমন্ত্রী দুদিন আগে বলেছিলেন, এটা ষড়যন্ত্র কিনা দেখতে হবে, এখন তিনিও বুঝতে পারছেন, শিয়রে সমন। তাই আপাতত পার্থকে বলি দিতে পিছু হঠলেন না তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, যে সমস্ত ছবি সামনে আসছে, তার প্রেক্ষিতেই দল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

    দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান দলের সমস্ত পদ থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে  সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব ছাড়াও দলীয় মুখপত্র জাগো বাংলার সম্পাদক, জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য এবং শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। ইডি তল্লাশির ৪৮ ঘণ্টা পর প্রথমবার মুখ খুলেছিল তৃণমূল। তখনও এই দ্বন্দ্ব ছিল। ৭২ ঘণ্টা পর মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও তখন মন্ত্রী পার্থ নয়, নিজেকে বাঁচাতেই ব্যস্ত ছিলেন দলনেত্রী। বলেন আমার হাতেও আলকাতরা আছে, আমাকে বদনাম করলে আমিও আলকাতরা লাগাতে পারি। কোন ওয়াশিং মেশিন তা ধুতে পারবে না।

    সময়ই বলবে, এসএসসি কেলেঙ্কারিতে ৫০ কোটিরও বেশি টাকা উদ্ধারে কারা কারা জড়িত। তবে শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস যে মানুষের বিশ্বাস একেবারেই হারিয়েছে, তা দোকানে-বাজারে কান পাতলেই বোঝা যাচ্ছে। 

     

LinkedIn
Share