Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Piyali Basak: এভারেস্টের পর লোৎসে, পরপর জোড়া শৃঙ্গ জয় বঙ্গকন্যার

    Piyali Basak: এভারেস্টের পর লোৎসে, পরপর জোড়া শৃঙ্গ জয় বঙ্গকন্যার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এভারেস্ট (Mt Everest) ছুঁয়েই একছুটে লোৎসে (Mt Lhotse)। পৃথিবীর শীর্ষতম বিন্দু থেকে চতুর্থ শীর্ষ বিন্দুতে। আশা-আশঙ্কার মধ্যেই সফল লক্ষ্য। এভারেস্টের (8849m) পর লোৎসেতে (8516m) পা রাখলেন চন্দননগরের মেয়ে পিয়ালি বসাক (Piyali Basak)। পরপর দুটি শৃঙ্গ জয় করে নজির গড়লেন হুগলির পিয়ালি।

    অতিরিক্ত অক্সিজেনের সাহায্য ছাড়া এভারেস্ট-লোৎসে জোড়া শৃঙ্গ অভিযান লক্ষ্য ছিল পিয়ালির। ধৌলাগিরিতে পিয়ালি উঠেছিলেন অক্সিজেন ছাড়াই। কিন্তু রবিবার খারাপ আবহাওয়ার জন্য ৮৪৫০ মিটার উচ্চতায় পৌঁছে বকি পথটুকু অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহারে বাধ্য হন বছর একত্রিশের পিয়ালি। পরিকল্পনা ছিল, এভারেস্ট সামিট শেষে চার ক্যাম্প ফোর-এ ফিরে যত দ্রুত সম্ভব লোৎসের দিকে এগোবেন। 

    সোমবার সকাল ১১ টা নাগাদ ক্যাম্প ফোর থেকে বেরিয়েছিলেন পিয়ালি। এভারেস্ট থেকে নামার পর ‘স্নো ব্লাইন্ডনেস’ হয় তাঁর। এরপরই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লোৎসে জয় বঙ্গকন্যার। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিন নম্বর বেস ক্যাম্পে ফিরে এসেছেন পিয়ালি। এভারেস্টের থেকেও আরও জটিল এবং আরও কঠিন অভিযান ছিল লোৎসে। অনেকেই চেষ্টা করেন। সবাই পারেন না। অসাধ্য সাধন করেছেন পিয়ালি, অভিমত পর্বতারোহীদের।

    ছোট থেকেই পাহাড় টানে পিয়ালিকে। ছবি আঁকা তাঁর শখ। যেমন তেমন নয় রীতিমত অয়েল পেইন্টিং। পিয়ালির রঙ-তুলি ক্যানভাসের স্ট্রোকেও শুধু বরফ আর পাহাড়ের হাতছানি। দীর্ঘদিন ধরেই এভারেস্টের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পিয়ালি। তবে তাঁর যাত্রার পথে মূল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল অর্থ। বাড়ি বন্ধক রেখে এবং নিজের যাবতীয় সঞ্চয় একত্র করেও ১৮ লাখ টাকার বেশি হচ্ছিল না। এ দিকে, এভারেস্ট অভিযানের জন্য দরকার ছিল ৩৫ লাখ। নেপাল সরকার জানিয়ে দিয়েছিল, পুরো টাকা না পেলে এভারেস্ট অভিযান করতে দেবে না তারা।

    এই অবস্থায় ফেসবুকে পোস্ট করে সাধারণ মানুষের কাছে অর্থের আবেদন করেন পিয়ালি। সেখান থেকে আরও পাঁচ লাখের মতো টাকা ওঠে। তখনও দরকার ছিল ১২ লাখ। এমন সময় পিয়ালির সাহায্যে এগিয়ে আসে তাঁর এজেন্সি। তারাই আপাতত বাকি টাকা দিয়ে দেবে বলে জানায়। ফলে শেষ মুহূর্তে এভারেস্টে ওঠার অনুমতি পান পিয়ালি। রবিবার সকালেই তিনি বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে আরোহণ করেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লোৎসে জয় করে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে দেন এই বঙ্গকন্যা। জীবনধারা পরিবর্তন করা তাঁর লক্ষ্য। পাহাড়ের চূড়াতেও মেয়েদের অধিকারের বার্তা দেন পিয়ালি।

  • Suvendu Letter To Modi: মমতার দাবি আদৌ সত্যি তো? খতিয়ে দেখে টাকা দিন, প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ শুভেন্দুর

    Suvendu Letter To Modi: মমতার দাবি আদৌ সত্যি তো? খতিয়ে দেখে টাকা দিন, প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PMAY) নাম বদলে রাজ্যের নামে প্রকল্প চালানো হচ্ছে। সঙ্গে ১০০ দিনের কাজেও (MNREGA) ব্যাপক দুর্নীতি করছে তৃণমূল (TMC)। এই মর্মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Modi) তিনপাতার চিঠি লিখলেন শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারী। 

    বৃহস্পতিবারই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া অর্থ দাবি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদিকে লেখা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (Pradhan Mantri Awas Yojana), ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না। অনতিবিলম্বে যাতে সেই টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়, তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন মমতা।  পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী এ-ও দাবি করেছিলেন, এই অর্থ কেন্দ্রীয় সরকার আটকে রাখার ফলে গ্রামীণ উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে।

    ঠিক ২ দিন পর, প্রধানমন্ত্রীকে পাল্টা চিঠি লিখলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি অনুরোধ করলেন, টাকা দেওয়ার আগে সব দিক খতিয়ে দেখুক কেন্দ্র। শুভেন্দু জানালেন, রাজ্য সরকার যাতে সবরকম স্বচ্ছতা বজায় রাখে ও যাবতীয় প্রটোকল মেনে চলে, তা নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দফতরের আধিকারিকদের চিঠিতে অনুরোধ করেছেন তিনি।

    [tw]


    [/tw]

    প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে শুভেন্দু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের (Pradhan Mantri Awas Yojana) নাম বদলে দিয়ে “বাংলা আবাস যোজনা” (Bangla Awas Yojana) বলে রাজ্য সরকার নিজেদের নামে চালাচ্ছে। এমনকি সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ছবি বসাচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু জানিয়েছেন, এহেন কাজ শুধু যে নীতিবিরুদ্ধ তাই নয়, যে কৃতিত্বের দাবিদার রাজ্য নয়, তার দাবিও করা হচ্ছে। 

    ১০০ দিনের কাজ নিয়েও রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নন্দীগ্রামের (Nandigram) এই বিধায়ক। শুভেন্দুর মতে, ১০০ দিনের কাজ অর্থাৎ মনরেগা প্রকল্পের যে টাকা বকেয়া বলে দাবি উঠছে, সেই কাজে শাসকদল তৃণমূলের অনেকে দুর্নীতিতে যুক্ত। কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে বেনিয়ম চলে। তাই সেই টাকা যাতে কেন্দ্রের তরফে ঠিকঠাক বণ্টন হয়, সেদিকেও প্রধানমন্ত্রীকে নজর দিক। চিঠিতে এই আবেদনও করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

  • Partha Chatterjee: হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট, রক্ষাকবচের জন্য ছুটছেন মন্ত্রী পার্থ, কিন্তু পাবেন কি?

    Partha Chatterjee: হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট, রক্ষাকবচের জন্য ছুটছেন মন্ত্রী পার্থ, কিন্তু পাবেন কি?

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই হাজিরা থেকে ‘রক্ষাকবচ’ পেতে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একইভাবে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেও তিনি আবেদন করেছেন বর্তমান শিল্পমন্ত্রী। ফলে, আজ শুক্রবার, দুই আদালতে জোড়া শুনানির সম্ভাবনা। 

    এসএসসি দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম উপরে উঠে আসে। নিয়োগ সংক্রান্ত যে উপদেষ্টা কমিটি গঠনের অনুমোদন দিয়েছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সেটিও সম্পূর্ণ বেআইনি ছিল৷ এই প্রেক্ষিতে, তাঁকে সিবিআই অফিসে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুন: নিজাম প্যালেসে সাড়ে তিন-ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে

    সিবিআই-এর হাজিরা এড়ানোর জন্য পার্থবাবু বুধবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চ কোনও নির্দেশ দিতে রাজি হয়নি। পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে সেই মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। পাশাপাশি, সিঙ্গল বেঞ্চের কাছে এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতি মামলা ফিরিয়ে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। যার জেরে, সেদিন সন্ধ্যায় নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে হয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে। সেখানে তাঁকে প্রায় সাড়ে তিন-ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। 

    সূত্রের খবর, বর্তমানে উপদেষ্টা কমিটির  সঙ্গে তাঁর বক্তব্য মিলিয়ে দেখছে সিবিআই। পার্থ বিলক্ষণ জানেন, এক্ষেত্রে কোনও রকম অসঙ্গতি দেখা দিলে তাঁকে পুনরায় সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হতে পারে। ঘন ঘন ডাকা হতে পারে তাঁকে ৷ এমনকী প্রয়োজন পড়লে তৃণমূল মহাসচিবকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই ৷ সব মিলিয়ে চরম বিপাকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷ কড়া ব্যবস্থার হাত থেকে বাঁচতে ফের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: “কান টানলেই মাথা আসবে…”, কার দিকে ইঙ্গিত শুভেন্দুর?

    বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক ডিভিশন বেঞ্চে দ্রুত শুনানির আবেদন করেন পার্থ। কিন্তু, সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশের বিরুদ্ধে করা তাঁর আবেদন শোনেনি কোনও বেঞ্চই৷ ব্যক্তিগত কারণে এই মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে নেয় বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ।

    সেই শুরু। মামলাটি ফেরত যায় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের কাছে। তিনি মামলাটি পাঠিয়ে দেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চে। সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ আবেদনটি গ্রহণ করে। সেখানে পার্থর আইনজীবীর তরফে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন করা হলে, বিচারপতি সুব্রত তালুকদার সাফ জানান, কোনওভাবেই বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি সম্ভব নয়। তিনি জানান, শুক্রবার মামলাটি শুনতে পারেন। আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতির পরামর্শ আগামীকাল (অর্থাৎ শুক্রবার) চেষ্টা করুন। 

    আরও পড়ুন: নথি নষ্টের আশঙ্কায় “সিল” এসএসসি দফতর, নিরাপত্তায় সিআরপিএফ, মধ্যরাতে নির্দেশ হাইকোর্টের

    এদিকে, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছেন মন্ত্রী৷ বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতে তিনি স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন দাখিল করেছেন। দেশের সর্বোচ্চ আদালতে তিনি আবেদন করেছেন যে, স্কুল সার্ভিস কমিশন দুর্নীতি মামলায় তাঁকে কখনোই ‘পক্ষ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি। কিন্তু বর্তমানে সিবিআই অফিসে যেতে হচ্ছে তাঁকে। 

    এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তৃণমূল নেতা। ফলে আগামীদিনে সেই পদক্ষেপের হাত থেকে বাঁচার জন্য এদিন সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানালেন পার্থ। তাঁর সেই আবেদন গ্রহণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দায়ের করা মামলাটির শুনানি হতে পারে। ফলে আজ পার্থর এই জোড়া আবেদনের ফল কী হয় সেদিকেই দৃষ্টি থাকবে সকলের৷

     

  • JP Nadda: অমিত শাহের পর জুন মাসে রাজ্য সফরে আসতে পারেন জেপি নাড্ডা

    JP Nadda: অমিত শাহের পর জুন মাসে রাজ্য সফরে আসতে পারেন জেপি নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমিত শাহের (Amit Shah) সফরের পর রাজ্যে আসতে পারেন জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। অন্তত তেমন একটা সম্ভাবনার আভাস মিলেছে রাজ্য বিজেপি (West Bengal BJP) সূত্রে। গতমাসে দলের সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে দিল্লিতে দেখা করেছিলেন সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সেখানে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি নিজেই আগামী জুনে রাজ্যে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন দিলীপ ঘোষের কাছে। 
     
    মে মাসে একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে রাজ্যে আসছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারপরেই জুনে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতির বাংলায় আসা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে ইঙ্গিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, দলের সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেই রাজ্যে আসবেন সর্বভারতীয় সভাপতি।

    ৫ মে রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ। প্রথমে উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে বিএসএফের দফতর ঘুরে দেখবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখান থেকে উত্তরবঙ্গে যাবেন। শিলিগুড়িতে সভা রয়েছে শাহের। ৬ তারিখ কলকাতায় বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। সাংসদ-বিধায়করা ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন, বিজেপির জেলা সভাপতিরা। সেদিন রাতেই দিল্লি ফিরে যাবেন অমিত শাহ।

    মে মাসের শুরুতে অমিত শাহ, জুনে জেপি নাড্ডা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রত্যাশা অনুযায়ী ফলাফল না হওয়ায় এবার সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য বিজেপি। প্রাথমিক লক্ষ্য, ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভাল ফল করা। পাশাপাশি মমতা (Mamata) সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে আরও জোরদার করতে চাইছে বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সে কারণেই পরপর দু’মাসে দুই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের রাজ্য সফর।

     

  • KK Demise: বেহাল ব্যবস্থাপনাই প্রাণ কাড়ল কে কে-র! দাবি বিশেষজ্ঞ থেকে ভক্তদের

    KK Demise: বেহাল ব্যবস্থাপনাই প্রাণ কাড়ল কে কে-র! দাবি বিশেষজ্ঞ থেকে ভক্তদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ (Krishnakumar Kunnath) ওরফে কে কে (K K)। কলকাতার নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান করতে এসে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গায়কের মৃত্যুতে অনুষ্ঠান উদ্যোক্তাদের অব্যবস্থাপনার ছবি স্পষ্ট হয়ে উঠে আসছে।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, আসন সংখ্যার থেকে অনেক বেশি মানুষ ঢুকে পড়ে অডিটোরিয়ামে। অভিযোগ, ২৪০০ জনের আসন থাকলেও, আদতে মঙ্গলবার উপস্থিত ছিলেন সাত থেকে ৮ হাজার দর্শক! উদ্যোক্তারা ভিড় সামলাতে অসফল হয়েছেন। বদ্ধ অডিটোরিয়ামে এসি কাজ করছিল না বলেও দাবি করেছেন অনেকে। ভক্তরা তাঁদের প্রিয় গায়কের মৃত্যুর জন্যে অনুষ্ঠান কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাকেই দায়ী করেছেন।

    জানা গিয়েছে, মঞ্চেই নাকি কেকে বারবার জানাচ্ছিলেন তাঁর শরীর খারাপ লাগছে। স্পটলাইট অফ করতেও বলছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে হোটেলে ফিরে যান তিনি, সেখানে আরও অসুস্থ হওয়ার পর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। 

    আরও পড়ুন: কলকাতায় লাইভ শো চলাকালীন অসুস্থ হয়ে মৃত্যু শিল্পী কে কে-র

    বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ কুনাল সরকার গায়কের মৃত্যুর জন্যে অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করেন। নিজের টুইটে তিনি লেখেন, “বিষয়টি দুঃখের এবং লজ্জার। বেসামাল ভিড়, এসি বেহাল, গরম, মুখের ওপর জোরালো আলো, ২ ঘণ্টার ওপর সময় নষ্ট করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল। আমাদের ক্ষমা কর।”  

    [tw]


    [/tw]

    গতকালের নজরুল মঞ্চের অনুষ্ঠানে যারা উপস্থিত ছিলেন তাঁরা অনেকেই দাবি করেছেন, অনুষ্ঠান চলাকালীনই গায়ক যে অস্বস্তিতে রয়েছেন তা সকলে বুঝতে পারছিলেন। বার বার রুমাল দিয়ে ঘাম মুছছিলেন, মঞ্চের আলো নেভাতে বলছিলেন বার বার। বদ্ধ অডিটোরিয়ামে কেন এসি চলছে না তাও বার বার জিজ্ঞেস করছিলেন। নিজের অস্বস্থির কথাও বলেছেন। 

    ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা কে কের এক ভক্তের মতে, অনুষ্ঠান কর্তৃপক্ষের গাফিলতি এই মৃত্যুর অন্যতম বড় কারণ। ভিড় সামলাতেও ব্যর্থ হয়েছে তারা। এমনকি বদ্ধ অডিটোরিয়ামে এসি কাজ করছে না সেদিকেও নজর দেওয়া হয়নি। বার বার এসি চালাতে এবং স্পটলাইট বন্ধ করতে অনুরোধ করেন গায়ক। কিন্তু লাভ হয়নি।

    অব্যবস্থার অভিযোগে সরব হয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরিও। ট্যুইটারে উদ্যোক্তাদের গাফিলতিকেই দায়ী করেন তিনি। 

    [tw]


    [/tw]

     

  • East West Metro: মেট্রোর কাজে ক্ষতিগ্রস্ত বৌবাজারের বাসিন্দাদের পুনর্বাসন দাবি বিজেপির

    East West Metro: মেট্রোর কাজে ক্ষতিগ্রস্ত বৌবাজারের বাসিন্দাদের পুনর্বাসন দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর (East West Metro) কাজে বার বার কাঁপছে বৌবাজার (Bowbazar) এলাকা। আতঙ্কে বাসিন্দারা। অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ এবং পূনর্বাসন দেওয়া হোক বৌবাজার অঞ্চলের বাসিন্দাদের। বিজেপির (BJP) পুরসভা কমিটির পক্ষ থেকে মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজারের কাছে ৮ দফা ডেপুটেশন দেওয়া হয়।

    ডেপুটেশনে বলা হয়, ২০১৯ সালে মেট্রোরেলের কাজের জন্য ২৯ বাড়ি সম্পূর্ণ আব আংশিক ভাবে ধ্বসে যায়। ৭৮০ জন বাসিন্দাকে অন্য জায়গায় সরে যেতে হয়, সাময়িক মাথা গোঁজার জায়গা খুঁজে নিতে হয়েছে। প্রায় ১২০০ জন স্যাকরা কর্মচ্যুত হয়েছেন। এরা সবাই কাজ করতেন ছোট ছোট কারখানায়। 

    বিজেপির তরফে যে দাবি পেশ করা হয়, তার মধ্যে যেমন পুনর্বাসনের দাবি করা হয়েছে, ঠিক তেমনই কর্মবহারাদের ক্ষতিপূরণের দাবিও তোলা হয়েছে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন পুরসভায় বিরোধী দলনেতা মীনাদেবী পুরোহিত, সজল ঘোষ, কল্যাণ চৌবে প্রমুখ। 

    এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, বিজেপির ৮ দফা দাবি-

    #  ২০১৯ সালের ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে হবে।
    # ২০২২ সালের মে মাসের ক্ষতিগ্রস্থদেরও একই রকম পুনর্বাসন দিতে হবে।
    # যেখানে পুনর্বাসন দেওয়ার দরকার নেই সেখানে বাড়ি দোকান সারিয়ে দেওয়া হোক।
    # যাদের জীবন জীবিকা চলে গেছে তাঁদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
    # বয়স্ক, শিশু, মহিলা পরপর দুটি দুর্ঘটনায় যারা আতঙ্কিত, তাঁদের প্রয়োজনে পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ ছাড়াও কাউন্সিলিং-এর ব্যবস্থা করতে হবে।
    # মেট্রো কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত নির্মাণ এলাকায় তদারকি করতে হবে।
    # কাজের অগ্রগতির নিয়মিত বুলেটিন এলাকাবাসিকে জানাতে হবে।
    # পুনর্বাসনের জন্য মেট্রো কর্তৃপক্ষ এলাকার বাসিন্দা আর ব্যবসায়ীদের একটা যৌথ কমিটি গড়ে দিতে হবে।

     

  • Fly Ash Syndicate: ‘ছাইয়ের ঝগড়া’! ফরাক্কায় তুঙ্গে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল

    Fly Ash Syndicate: ‘ছাইয়ের ঝগড়া’! ফরাক্কায় তুঙ্গে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাইয়ের দখল কার? এনটিপিসির ছাই নিয়ে এবার খুনোখুনির আশঙ্কা ফরাক্কায়। তুঙ্গে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। নবান্ন থেকে স্থানীয় থানা- ফরাক্কার ব্লক সভাপতির চিঠি গেল সর্বত্র। একই বিষয়ে চিঠি গেছে জেলাশাসক থেকে শুরু করে এসডিপিও, জেলা পুলিশ সুপারের কাছেও। চিঠিতে তোলাবাজির অভিযোগ প্রাক্তন বিধায়কের বিরুদ্ধে। 

    চিঠি পাঠিয়েছেন ফরাক্কার তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শেখ আজারত আলি। নিজের প্রাণনাশের আশঙ্কা করে চিঠি পাঠিয়েছেন সর্বত্র। চিঠিতে অভিযোগ, প্রাক্তন বিধায়ক মইনুল হকের সিন্ডিকেট দখল রেখেছে এনটিপিসির ফ্লাই অ্যাশের কারবার। শেখ আজরাত আলির অভিযোগ, দৈনিক প্রায় ৭ লক্ষ টাকার কারবার চালাচ্ছেন ফরাক্কার পাঁচবারের বিধায়ক মইনুল হক।

    এনটিপিসির ফ্লাই অ্যাশ সাপ্লাইয়ের দখল কার হাতে থাকবে তাই নিয়ে কোন্দল। মুখোমুখি সমরে শেখ আজারাত আর মইনুল হকের দুই গোষ্ঠী। মইনুল পাঁচবারের কংগ্রেস বিধায়ক। একুশের নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রতীকে প্রার্থীও হন বিধানসভায়। হেরে যান তৃণমূলের মনিরুল ইসলামের কাছে। এরপরই ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে দলবদল করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন মইনুল হক। নব্য-পুরাতনের ঝগড়া তৃণমূলে আছেই। মইনুল যোগ দেওয়ায় সেই ঝগড়া বেড়েছে বই কমেনি। তবে শেখ আজারতের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মইনুল হক। মাধ্যমকে একান্ত সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন, ৫ বারের বিধায়ক থাকাকালীন তোলাবাজি সিন্ডিকেট করলাম না এখন করতে যাব কেন?

    মইনুলের পাল্টা অভিযোগ, পুরানো ঈর্ষা থেকেই এমন অভিযোগ শেখ আজারাতের। তিনি বলেন, বাংলার নয় আদতে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা আজারাত। তাকে ব্লক প্রেসিডেন্ট থেকে সরিয়েও দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সাংসদ খলিলুর রহমান সবই জানেন।

    সম্প্রতি, নদিয়ার তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে।  তাপস সাহা পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক ছিলেন। সেই সময় বিধায়ক থাকাকালীন তিনি চাকরি দেবেন বলে বহু মানুষের কাছে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন বলে অভিযোগ। কিন্তু, কাউকে চাকরি দেওয়া হয়নি, সেই সমস্ত ব্যক্তিদের টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি। এই প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছে  দুর্নীতি দমন শাখা। তদন্তকারীদের সামনে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তাপসের আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়াল বলে দাবি।

    কয়লা থেকে পাথর, গরুপাচারের একাধিক অভিযোগ বারবার উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। সিন্ডিকেট তোলাবাজিরও একাধিক অভিযোগ আছে। এবার ঝগড়া ছাই নিয়ে। কার দখল থাকবে ছাই পাচারে? কোন সিন্ডিকেট পাবে বরাত? পারষ্পরিক তরজা চলছিলই। এবার একে অপরকে প্রাণে মারার অভিযোগ দিয়ে চিঠি। দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে নাভিশ্বাস ফরাক্কার সাধারণ মানুষের। কেউ কেউ অবশ্য আড়ালে বলছেন, ‘ছাইয়ের ঝগড়া’!

  • Cyclone Asani: স্থলের আরও কাছে ‘অশনি’, অন্ধ্রপ্রদেশে লাল সতর্কতা, রাজ্যের কোথায় কেমন বৃষ্টি?

    Cyclone Asani: স্থলের আরও কাছে ‘অশনি’, অন্ধ্রপ্রদেশে লাল সতর্কতা, রাজ্যের কোথায় কেমন বৃষ্টি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতিপথ বদল করে অন্ধ্র উপকূলের কাঁকিনাড়ার কাছে ডাঙা ছোঁবে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ (Asani)। মঙ্গলবার মৌসম ভবন (IMD) জানিয়েছিল, সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) সমুদ্রেই থাকবে। স্থলভাগে প্রবেশ করবে না। কিন্তু এদিন আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শক্তিক্ষয় করে সাময়িক ভাবে স্থলে প্রবেশ করে, কিছুক্ষণ থেকে আবার সমুদ্রে ফিরে যাবে ‘অশনি’।

    বুধবার অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra pradesh) উপকূল জুড়ে এই মর্মে লাল সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে রওনা হওযা অধিকাংশ বিমান বাতিল (Flights cancelled) করা হয়েছে। বাতিল হয়ছে প্রায় ৪০টি ট্রেন (trains cancelled)। এমনকি পূর্বনির্ধারিত বোর্ডের পরীক্ষাও জরুরি পরিস্থিতিতে পিছিয়ে দিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। তবে মৌসম ভবন কিছুটা আশ্বস্ত করে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় যখন স্থলভাগে প্রবেশ করবে তখন সেটির তীব্রতা কিছুটা কম থাকবে বলে বড় ক্ষয় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার সকালে অন্ধ্র উপকূলে ঢোকার কথা ‘অশনি’র। তারপর সেটি মছলিপুরম, নরসাপুর, ইয়ানম, কাঁকিনাড়া, টুনি হয়ে ফের সমুদ্রে ফিরবে।

    আবহাওয়া ব্যুরোর এক অধিকর্তা বলেন, ‘‘উপকূলের দিকে আপাতত ১২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় এগোচ্ছে অশনি। তবে যত দ্রুত তার শক্তি ক্ষয় হওয়ার কথা ছিল, তা হয়নি।’’ তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘গত কয়েক ঘণ্টায় ঝড়ের আকৃতি ছোট হয়েছে তাতেই কিছুটা শক্তি সঞ্চয় করতে পেরেছে সেটি।’’ বুধবার সকালে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় ‘অশনি’ প্রভাবে বৃষ্টিও শুরু হয়েছে।

    ঘূর্ণিঝড় অশনির জেরে পশ্চিমবঙ্গে বিপদের কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তবে বুধবার থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ জেলায় (পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং নদিয়া) বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি জায়গায় ভারী বৃষ্টি (৭০ মিলিমিটার থেকে ১১০ মিলিমিটার) হতে পারে।  কলকাতা-সহ বাকিগুলি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তবে লাগাতার বর্ষণ হবে না। শুক্রবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

    অন্যদিকে, আগামিকাল বৃহস্পতিবার থেকে আগামী শনিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। বিশেষত আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে বৃষ্টির প্রাবল্য বেশি থাকবে। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ায় উত্তরবঙ্গের পরিমণ্ডলে প্রচুর পরিমাণে দখিনা বাতাস ঢুকছে। তার প্রভাবেই উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলা দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে বৃষ্টি হবে। 

  • Suvendu Adhikari: “কান টানলেই মাথা আসবে…”, কার দিকে ইঙ্গিত শুভেন্দুর?

    Suvendu Adhikari: “কান টানলেই মাথা আসবে…”, কার দিকে ইঙ্গিত শুভেন্দুর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকে (Teachers Recruitment scam) স্বাধীনতার পর দেশের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি হিসেবে উল্লেখ করে রাজ্য সরকারের (Mamata govt) তীব্র সমালোচনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারী।

    বুধবার এসএসসি দুর্নীতি (SSC scam) মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) ডেকে পাঠায় সিবিআই। এই প্রেক্ষিতে রাজভবনের সামনে থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন নন্দীগ্রামের বিজেপি (BJP) বিধায়ক।  তিনি বলেন, কত বড় দুর্নীতি হয়েছে, তা দিনের আলোর মতো এখন পরিস্কার। দুর্নীতির মূলে আছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কার সুপারিশে পার্থ চট্টোপাধ্যায় হাজার হাজার প্রার্থীকে চাকরি দিয়েছেন, তা এবার তাঁকে জানাতে হবে। 

    আরও পড়ুন: নিজাম প্যালেসে সাড়ে তিন-ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে

    এদিন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhikary) মেয়ের বেআইনি নিয়োগ নিয়ে তোপ দাগেন শুভেন্দু। জানান, মেয়ের চাকরি-সহ তিন শর্তে ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন পরেশ অধিকারী। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘পরেশ অধিকারী যোগদানের সময়ে তিনটি শর্ত রেখেছিলেন। প্রথম, সমস্ত নিয়ম ভেঙে তাঁর মেয়েকে চাকরি দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, তাঁকে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করতে হবে। তৃতীয়ত, চ্যাংড়াবান্ধা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান করতে হচ্ছে তাঁকে।’’

    শুভেন্দুর মতে, কোনও আদর্শগত কারণে তিনি তৃণমূলে যোগ দেননি। দেওয়া-নেওয়ার শর্তের ভিত্তিতে তাঁর তৃণমূলে যোগ দেওয়া। তাঁর আরও দাবি, ‘‘বিনিময়ের ভিত্তিতে পরেশের এই যোগদান তৃণমূলনেত্রীর নির্দেশ ছাড়া হয়নি। নিয়মের বাইরে গিয়ে পরেশের মেয়েকে নিয়োগ মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে হয়েছে। সেতুবন্ধনের কাজটি করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।’’

    আরও পড়ুন: কলকাতা না এসে মেয়েকে নিয়ে নামলেন বর্ধমান স্টেশনে, হাইকোর্টে ফের ধাক্কা খেলেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী

     

  • SSC Recruitment Scam: “সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে কোনও ভুল নেই”, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বহাল সিবিআই তদন্ত

    SSC Recruitment Scam: “সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে কোনও ভুল নেই”, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বহাল সিবিআই তদন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নিয়োগের দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্ত করবে বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বহাল থাকল সিঙ্গল বেঞ্চের রায়। মান্যতা দেওয়া হল অবসরপ্রাপ্ত রঞ্জিত বাগ কমিটির রিপোর্টে।

    এসএসসি-র নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগ ও গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। এদিন সেই নির্দেশকেই সিলমোহর দিল ডিভিশন বেঞ্চ৷ অর্থাৎ, নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত যে সাতটি মামলাতেই সিঙ্গল বেঞ্চ সিবিআই তদন্ত এবং অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাই বহাল রেখেছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি আনন্দ মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ৷ 

    এদিন এসএসসি-কে ভর্ৎসনা করে ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে কোনও ভুল নেই। এখনও পর্যন্ত যে তথ্যপ্রমাণ এসেছে তার কোনটাই এসএসসির পক্ষে যায়নি। এদিন রায় দিতে গিয়ে দুই বিচারপতি পর্যবেক্ষণে বলেন, সরকারি নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগে রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিক, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর নাম জড়িয়েছে৷ এই অবস্থায় সিঙ্গল বেঞ্চের বিচার প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিক ন্যায়বিচার প্রক্রিয়া থেকে কেউ বঞ্চিত হয়নি বলেই পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ৷ এমনকি, বিতর্কিত ভাবে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের বেতন বন্ধ করা বা ফেরত দিতে বলার সিদ্ধান্তেও কোনও ভুল নেই বলেও জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

     

LinkedIn
Share