Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Arpita Mukherjee Properties: অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কোথায় কী কী সম্পত্তি? উত্তর খুঁজতে দিকে দিকে হানা ইডি-র

    Arpita Mukherjee Properties: অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কোথায় কী কী সম্পত্তি? উত্তর খুঁজতে দিকে দিকে হানা ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিপুল সম্পত্তির (Arpita Mukherjee Properties) খোঁজ পেতে কলকাতার একাধিক জায়গায় একযোগে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। বেলঘরিয়ার অভিজাত ফ্ল্যাট থেকে কসবায় সংস্থার অফিস— সর্বত্র তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

    এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডের (SSC scam) তদন্তে ইডি-র (ED) কাছে এখন ‘তুরুপের তাস’ হয়ে উঠেছেন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অভিনেত্রী-মডেল অর্পিতা। বর্তমানে ইডি হেফাজতে রয়েছেন অর্পিতা। তাঁকে ক্রমাগত পালা পালা করে জেরা করে চলেছেন ইডি-র দুঁদে অফিসাররা। আর সেই জেরা থেকে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে তদন্তকারী দল। 

    গত শুক্রবার, টালিগঞ্জে অর্পিতার ডায়মন্ড সিটি সাউথের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে সেখান থেকে নগদ ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করা হয় প্রায় ৭৯ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার গয়না। এছাড়া ৫৪ লক্ষ টাকার বিদেশি মুদ্রাও উদ্ধার হয় ফ্ল্যাট থেকে। একেবারে, ২ হাজার ও ৫০০-র নোটের ২ বস্তা ভর্তি বাণ্ডিল বাণ্ডিল টাকা উদ্ধার করা হয়। 

    আরও পড়ুন: জোকা ইএসআই-তে ফের স্বাস্থ্য পরীক্ষা পার্থ-অর্পিতার, কী খেতে দেওয়া হচ্ছে মন্ত্রীমশাইকে?

    এখানেই শেষ নয়। ইডি সূত্রের দাবি, অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর নথি। এর মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট, জমি-বাড়ি ও অফিস সংক্রান্ত একাধিক দলিল। কলকাতা ও শহরতলি এলাকায় অর্পিতার অনেক ফ্ল্যাটের হদিশ মিলেছে। সেগুলিকে নিয়ে অর্পিতাকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করা হচ্ছে। ইডি-র আরও দাবি, নামে-বেনামে বিপুল সম্পত্তির মালিক অর্পিতা। জেরা থেকে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে সেই সম্পত্তির হদিশ পেতে তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    যার প্রেক্ষিতে, আজ অর্পিতার কোথায় কী কী সম্পত্তি রয়েছে, তার হদিশ পেতে শহরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। একটি দল বেলঘরিয়ায় অর্পিতার ফ্ল্যাটে হাজির হয়েছে। রথতলা এলাকায় অভিজাত ক্লাবটাউন হাইটসে রয়েছে অর্পিতার ২টি ফ্ল্যাট। একটি ১১০০ ও আরেকটি ১৪০০ স্কোয়ার ফিটের। ২টি ফ্ল্যাটের একটি রয়েছে ব্লক-২ তে, আরেকটি ব্লক-৫ তে। ২টি ফ্ল্যাটই এই মুহূর্তে তালাবন্ধ। কাছেই, বেলঘরিয়া দেওয়ান পাড়ায় রয়েছে পৈতৃক বাড়ি। সেখানে থাকেন তাঁর মা মিনতি মুখোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: বিধানসভায় ফিরল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি, ছাড়তে চলেছেন মন্ত্রিত্ব? জল্পনা

    ইডি-র আরেকটি দল তখন হানা দিয়েছে কসবার রাজডাঙায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) সংস্থা ইচ্ছে এন্টারটেনমেন্টের অফিসেও। সেখানেও তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা। ইডি জানতে পেরেছেন, এই সংস্থার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।

  • Mithun Chakraborty: রাজ্যে ৩ থেকে ৭৭ হয়েছে বিজেপি। বাংলায় আগামী দিনে বাজিমাত করবে পদ্ম-ই। বললেন মিঠুন

    Mithun Chakraborty: রাজ্যে ৩ থেকে ৭৭ হয়েছে বিজেপি। বাংলায় আগামী দিনে বাজিমাত করবে পদ্ম-ই। বললেন মিঠুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপিতে যোগদানের পর এই প্রথম বিজেপির রাজ্য দফতর মুরলিধর সেন লেনের অফিসে পা রাখলেন ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তী। জানালেন, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বিজেপির সঙ্গেই থাকবেন। এক সাধারণ কর্মীর মতোই দলের সব নির্দেশ পালন করবেন। কাজ করবেন বাংলার মানুষের জন্য। গত বিধানসভা নির্বাচনে তিনি ছিলেন রাজ্য বিজেপির তারকা-প্রচারক। কিন্তু ভোটে দলের বিপর্যয়ের পর বঙ্গ-রাজনীতির ময়দানে তাঁকে আর সে ভাবে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি। সোমবার ফের বঙ্গ রাজনীতিতে যোগ দিলেন ‘ডিস্কো-কিং’। এদিন রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পর মিঠুন চক্রবর্তী  বলেন, ‘‘দল আমাকে যে কাজ দিয়েছে, তা করে যাব আমি। আমি রাজনীতি করি না, আমি মানুষ-নীতি করি। বাংলার মানুষের জন্য কাজ করতে চাই এবং সেটা করবও।’’

    সোমবার সকালেই কলকাতায় পৌঁছন মিঠুন। যদিও কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বেরোনোর সময় সাংবাদিকদের সব প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি। পরে সন্ধ্যা নাগাদ মিঠুন পৌঁছে যান বিজেপির দফতরে। সেখানে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। কিন্তু কী নিয়ে নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি মিঠুন। তিনি বলেন, “সব ঠিক সময় মতো জানতে পারবেন।” শুধু জানান, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তাঁকে কিছু কাজ দিয়েছেন। সেই কাজ তিনি করবেন। প্রসঙ্গত, সোমবার বৈঠকে সুকান্ত ছাড়াও হাজির ছিলেন রাহুল সিন্‌হা, রুদ্রনীল ঘোষ এবং বিজেপির মহিলা মোর্চার সভাপতি তনুজা চক্রবর্তী-সহ অন্য নেতারা। “কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে আমি কলকাতায় এসেছি। তবে বাংলায়  আমার ‘বস’ (BOSS) সুকান্ত মজুমদার। ওঁর নির্দেশে বাংলার মানুষের স্বার্থে আন্দোলনে সামিল হব।” কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহা ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের পাশে বসিয়ে একথা বলেন মিঠুন চক্রবর্তী।

    আরও পড়ুন: “বাংলার হারানো গৌরব ফেরাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ”, রাজ্য সফরে এসে নাড্ডা

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে টানা ৫৫ দিন বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রচার কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন মিঠুন। কিন্তু ফলাফলে বঙ্গ জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে যায় বিজেপির। যদিও এতে মোটেই তিনি হতাশ নন তা জানিয়ে মিঠুনের যুক্তি, পরাজয় হলেও বাংলায় বিজেপির উত্থানে তিনি খুশি। পরিসংখ্যান দিয়ে বিজেপির এই তারকা প্রচারক বলেন, “তিন থেকে আমরা সাতাত্তর হয়েছি। ৫৫ লক্ষ থেকে বেড়ে দু কোটি আঠাশ লক্ষ  মানুষ গত বিধানসভায় আমাদের সমর্থন জানিয়েছেন। তাই নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। আমি গতবারের থেকেও এবার বেশি সময় দেব। বাংলায় আগামী দিনে বাজিমাত করবে বিজেপি।”

    গত বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে ব্রিগেডের মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন মিঠুন। তার পর থেকে ভোটের সময় রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে রোড শো থেকে শুরু করে বহু প্রচার কর্মসূচিতে দেখা যায় তাঁকে। বিজেপি সূত্রে খবর, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে নজরে রেখেই আবার বাংলায় পাঠানো হয়েছে অভিনেতাকে। লোকসভা কেন্দ্র ধরে ধরে প্রচার চালানোর যে কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব, সেই সব কর্মসূচিতে কাজে লাগানো হতে পারে মিঠুনকে। যদিও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছুই জানানো হয়নি গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে।

    রাজ্য বিজেপি-তে মিঠুন কী ভূমিকা পালন করতে চলেছেন জানতে চাইলে রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “মিঠুনদা হেভিওয়েট প্রচারক, ইংরেজিতে যাকে স্টার ক্যাম্পেইনার বলি আমরা। স্বাভাবিক ভাবেই সেই অস্ত্রকে নির্দিষ্ট জায়গায় ব্যবহার করা হবে। যুদ্ধে সবসময় তো পরমাণু বোমা ব্যবহার করা হয় না! আগে ছোটখাটো হ্যান্ড গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়। যখন পরমাণু বোমার প্রয়োজন হবে, আমরা চার্জ করব।”

  • Ashutosh Mukherjee: বিচারপতির পাশাপাশি ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কারকও, জন্মবার্ষিকীতে আশুতোষ-স্মরণ

    Ashutosh Mukherjee: বিচারপতির পাশাপাশি ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কারকও, জন্মবার্ষিকীতে আশুতোষ-স্মরণ

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে (Calcutta University) সারা বিশ্বের মানচিত্রে (World map) স্থান করে দিয়েছিলেন ‘বাংলার বাঘ’ আশুতোষ মুখোপাধ্যায় (Ashutosh Mukherjee)। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাণপুরুষ ছিলেন তিনি। ইংরেজি শিক্ষাব্যবস্থায় লালিত বাঙালিদেরকে ভারতীয় ঐতিহ্য ও বঙ্গসংস্কৃতিতে শিক্ষা দেওয়ার কথা বলেছিলেন আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। ১৮৬৪ সালের ২৯ জুন জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাবা গঙ্গাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ছিলেন যশস্বী ডাক্তার। সে কালের কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি ছাত্রদের বাংলায় লেখা বইয়ের অভাব দেখে প্র্যাকটিসের ফাঁকেই লিখেছিলেন বেশ কয়েকটা বই।  তাঁর প্রেরণাতেই ছোট থেকে বাংলা ভাষার প্রতি ভালবাসা জন্মায় আশুতোষের। 

    স্যর আশুতোষ মুখোপাধ্যায় তাঁর কর্মজীবনে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। আশুতোষের জন্ম বৌবাজারের মলঙ্গা লেনের এক ভাড়াটিয়া বাড়িতে। তবে তাঁদের পরিবারের আদি বসবাস ছিল হুগলি জেলার জিরাট-বলাগড় গ্রামে। আগাগোড়া মেধাবী ছাত্র ছিলেন আশুতোষ।  ১৮৭৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। তিনি ১৮৮৪ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি ও ১৮৮৫ সালে গণিতে এম.এ পাস করেন। পরের বছরে পদার্থবিদ্যাতেও এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৮৮৬ সালে প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ বৃত্তি অর্জন করেন। আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষ জ্যামিতির ওপর তার কাজের স্বীকৃতি দেন। ১৮৮৮ সালে তিনি বি.এল. ডিগ্ৰি লাভ করেন এবং তখন থেকেই আইন ব্যবসা শুরু করেন। পাশাপাশি তিনি অ্যাকাডেমিক পড়াশোনাও চালিয়ে যান। ১৮৮০ থেকে ১৮৯০ সালের মধ্যে বিভিন্ন জার্নালে তিনি উচ্চতর গণিতের উপর প্রায় বিশটির মতো প্রবন্ধ প্রকাশ করেন। ১৯০৪ সালে তিনি কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতির পদে অধিষ্ঠিত হন। ১৯০৬ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদে অধিষ্ঠিত হন। ১৯০৮ সালে তিনি ‘ক্যালকাটা ম্যাথেমেটিক্যাল সোসাইটি’ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯১৪ সাল পর্যন্ত তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের  দায়িত্ব পালন করেন।

    আরও পড়ুন: “দ্রৌপদীদেবীর জয় নিশ্চিত, তা সত্ত্বেও…”, মমতাকে চিঠি বঙ্গ বিজেপির

     আশুতোষ যখন বিশ্ববিদ্য়ালয়ের কর্মভার গ্রহণ করেন বাংলায় তখন স্বদেশীদের বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন চলছে। অভিযোগ উঠেছিল, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রিত ঔপনিবেশিক শিক্ষা পুঁথিগত, কেতাবি ও অবৈজ্ঞানিক এবং এই শিক্ষাব্যবস্থা ব্রিটিশ রাজের জন্য শুধু কেরানিই তৈরি করে। আশুতোষ এ মত মেনে নেননি। তিনিও স্বাধীনচেতা ও আত্মমর্যাদাসম্পন্ন মানুষই ছিলেন। তাঁর মতে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত পাশ্চাত্য শিক্ষাকেও জাতীয় স্বার্থে ব্যবহার করা সম্ভব। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার চেয়েছিলেন। একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বাঁচানোর জন্য সেই সময়ে তাঁর মতো এক ব্যক্তিত্বের প্রয়োজন ছিল। তবে কখনওই ব্রিটিশ শাসকদের দাবি মেনে নেনি তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচি সংস্কার করলেন, স্নাতকোত্তরে খুললেন নতুন নতুন বিষয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক ভাষাতত্ত্ব, ফলিত রসায়ন, প্রাচীন ভারত ও ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতির মতো বিষয়ের শুরু তাঁর চেষ্টাতেই। নিয়ে এলেন উপযুক্ত শিক্ষক। পদার্থবিদ্যায় সি ভি রমন, রসায়নে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় এলেন পড়াতে। গণেশ প্রসাদ, মেঘনাদ সাহা, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ, হাসান সুরাবর্দি সকলেই ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়কে এম এ পাশ করার পরেই এম এ ক্লাসে পড়ানোর ভার দিয়েছিলেন আশুতোষ। দর্শনের চেয়ার-অধ্যাপক করে বসিয়েছিলেন এক দক্ষিণী তরুণকে— নাম সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণ। শিক্ষার সংস্কারে আদর্শ শিক্ষক ছিলেন স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়।  ১৯২৩ সালে কলকাতা হাইকোর্ট ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণ করেন তিনি। ১৯২৪ সালের ২৫ মে পাটনায়  প্রয়াত হন ‘বাংলার বাঘ’।  

  • Malda Bus accident: মালদায় রাস্তার পাশে বাস উল্টে জখম অন্তত ২০ পড়ুয়া, ঠিক কী ঘটেছে?

    Malda Bus accident: মালদায় রাস্তার পাশে বাস উল্টে জখম অন্তত ২০ পড়ুয়া, ঠিক কী ঘটেছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মর্মান্তিক স্কুলবাস দুর্ঘটনায় (School Bus Accident ) জখম অন্তত ২০। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে মালদহের (Malda) ইংরেজবাজার থানার (English Bazar PS) লক্ষ্মীপুর এলাকায়। বাসটির যাত্রীরা সবাই স্থানীয় একটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের পড়ুয়া (Students)। আহত (Injured) পড়ুয়াদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে মালদহ জেলা হাসপাতালে। দুর্ঘটনার কারণ জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।  

    স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন স্কুল ছুটির পরে ৭১ জন পড়ুয়াকে নিয়ে ফিরছিল বাসটি। মালদহ মানিকচক রাজ্য সড়কের লক্ষ্মীপুর এলাকায় আচমকাই কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের ওই বাসটিকে পিছলাতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন। এর পরেই রাস্তার পাশে উল্টে যায় বাসটি। ভয়ে চিৎকার করতে থাকে পড়ুয়ারা। তাদের আর্ত চিৎকারে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। শুরু হয় উদ্ধার কার্য। খবর পেয়ে দ্রুত চলে আসে পুলিশও। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি থেকে একে একে বের করা হয় সব পড়ুয়াকেই। এদের মধ্যে অন্তত ২০ জন জখম হয়েছে। মাথায় আঘাত লেগেছে কয়েকজনের। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনকও। আহত পড়ুয়াদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। অ্যাম্বুলেন্সের পাশাপাশি টোটো করেও পড়ুয়াদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। বর্ষার নরম মাটি নাকি চালকের ভুলে এই ঘটনা তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।

    আরও পড়ুন : শুভেন্দুর কনভয়ে লরির ধাক্কা, কী হল জানেন?

    এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসেন ডিএসপি সহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। রাজু মোহন্ত নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখতে পেলাম বাসটি আস্তে আস্তে উল্টে যাচ্ছে। বাসটি সেই সময় আস্তেই যাচ্ছিল। কী করে যে হল, তা বুঝতে পারছি না। জানা গিয়েছে, এই এলাকায় রয়েছে একটি পেট্রোল পাম্প। স্বাভাবিকভাবেই জ্বালানি নিতে রাস্তা দিয়েই চলাচল করে ভারী যানবাহনও। বর্ষার ভিজে মাটিতে রাস্তাটির ক্ষতি হওয়ার কারণেই দুর্ঘটনা, নাকি চালকের ভুলে এই ঘটনা, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন : শুভেন্দুকে নেতাই যেতে বাধা কেন? ডিজি, এসপির বিরুদ্ধে রুল জারি হাইকোর্টের

     

  • Rath Yatra 2022: পশ্চিমবঙ্গের এই প্রাচীন রথযাত্রাগুলোও সমান ঐতিহ্যবাহী, জানেন কি?

    Rath Yatra 2022: পশ্চিমবঙ্গের এই প্রাচীন রথযাত্রাগুলোও সমান ঐতিহ্যবাহী, জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরীর জগন্নাথের রথযাত্রা হল বিশ্বের সব থেকে বড় আর প্রসিদ্ধ রথযাত্রা। তবে পুরীর পাশাপাশি,  পশ্চিমবঙ্গেরও বহু প্রাচীন আর প্রসিদ্ধ বেশ কিছু রথযাত্রা এখনও হয়ে থাকে। তার মধ্যে যেমন রয়েছে মায়াপুরের ইসকনের রথ, তেমনই রয়েছে মাহেশের রথও।

    মাহেশের রথ: পশ্চিমবঙ্গের তথা ভারতের অন্যতম প্রাচীন রথযাত্রা হল শ্রীরামপুরের মাহেশের রথযাত্রা। বিশালাকারের এই রথ। রথকে ঘিরে একমাসের মেলাও বসে এই এলাকায়। ১৩৯৬ সাল থেকে এই রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। রথের ওজন ১২৫ টন। উচ্চতা ৫০ ফুট। চাকার সংখ্যা ১২টি। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেঅ এখানে দর্শনার্থীরা আসেন না, দেশ-বিদেশের নানা প্রান্তের মানুষও আসেন এখানে। 

    আরও পড়ুন: কীভাবে শুরু হয়েছিল পুরীর জগন্নাথ রথযাত্রা? জেনে নিন

    গুপ্তিপাড়ার রথ: হুগলির গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রা বাংলার রথযাত্রাগুলোর মধ্যে অন্যতম বিখ্যাত রথযাত্রা। ১৭৪০ সালে এই রথ উৎসব শুরু করেন মধুসূদানন্দ। তবে এই নিয়ে অনেক মতভেদ আছে। গুপ্তিপাড়ার রথের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য হল ৪০ কুইন্টাল খাবারের ভাণ্ডার লুট প্রথা। পুরীর রথকে যেমন জগন্নাথ দেবের রথ বলে, গুপ্তিপাড়ার রথকে বলে বৃন্দাবন জীউর রথ। এই রথের ১৬টি চাকা। উচ্চতা ৩৬ ফুট।

    মায়াপুরে ইসকনের রথ: শ্রী চৈতন্যদেবের জন্মস্থান নদীয়ার মায়াপুরে ইসকনের রথ খুবই প্রসিদ্ধ। মহা সমারোহ এবং ভক্ত সমাগমের সঙ্গে এখানে রথযাত্রা হয়ে থাকে। পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম বিখ্যাত রথ উৎসব। 

    মহিষাদলের রথ: পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের রথযাত্রা খুবই বিখ্যাত। এটি দুশো বছরের পুরোনো রথ। ১৭৭৬ সালে মহিষাদল বাড়ির জমিদার আনন্দলালের স্ত্রী জানকী এই উৎসবের শুরু করেন। তোপধ্বনি করে রথযাত্রার সূচনা হয়।

    আরও পড়ুন: প্রতিবছর রথযাত্রার আগে জ্বর আসে জগন্নাথদেবের, কেমন করা হয় চিকিৎসা?

    রাজবলহাটের রথ: হুগলির জঙ্গিপাড়ার রাজবলহাটের রথযাত্রা পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম বিখ্যাত রথযাত্রা। এই রথে জগন্নাথ, বলভদ্র, সুভদ্রার পরিবর্তে রাধাকৃষ্ণকে বসিয়ে টানা হয়। সঙ্গে থাকেন নিতাই-গৌরও।

    আমাদপুরের রথ: বর্ধমানের মেমারি অঞ্চলের ছোট্ট গ্রাম আমোদপুর বা আমাদপুর। গ্রাম ছোট্ট হলেও, এই গ্রামে রথযাত্রা পালন করা হয় ধুমধাম করে। গ্রামের জমিদার পরিবারের দেবতা হলেন রাধামাধব। সেই রাধামাধবকে নিয়ে হয় রথযাত্রা। গ্রামেরই প্রাচীন মন্দিরে পুজো হয় তাঁর। রথের দিন সকালে তাঁকে প্রথমে দুর্গাবাড়ি (মা দুর্গার মন্দির), পরে সারা গ্রাম ঘোরানো হয়।

  • BJP Letter to Mamata: “দ্রৌপদীদেবীর জয় নিশ্চিত, তা সত্ত্বেও…”, মমতাকে চিঠি বঙ্গ বিজেপির 

    BJP Letter to Mamata: “দ্রৌপদীদেবীর জয় নিশ্চিত, তা সত্ত্বেও…”, মমতাকে চিঠি বঙ্গ বিজেপির 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ-র (NDA) বাজি বিজেপির (BJP) দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi murmu)। জোটবদ্ধ হয়ে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি বিরোধী দলগুলিও। তা সত্ত্বেও রাজ্য বিজেপি  ভোট চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধীদের কাছেও। সেই মতো দ্রৌপদীকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখল বঙ্গ বিজেপি। চিঠির নীচে সই করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    আরও পড়ুন : এখনও অন্ধকারে! অবশেষে বিদ্যুৎ এল রাষ্ট্রপতি প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর গ্রামে

    জুলাই মাসের ১৮ তারিখে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ওই নির্বাচনে এনডিএ-র প্রার্থী বিজেপির দ্রৌপদী। নির্বাচন নয়, রাষ্ট্রপতি যাতে সর্বসম্মতভাবে মনোনীত হন সেজন্য বিরোধীদের কাছে আবেদন করেছিলেন রাজনাথ। তার পরেও বিজেপিকে মাত দিতে সম্মিলিতভাবে প্রার্থী দিয়েছে ১৮টি বিরোধী দল। প্রার্থী হয়েছেন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া যশবন্ত সিনহা। তার পরেও মুখ্যমন্ত্রী তথা  তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি।

    এর কারণও ব্যাখ্যা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত। বলেন, দ্রৌপদী মুর্মু প্রথম কোনও জনজাতি সম্প্রদায়ের রাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন। আমরা চাই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও তাঁকেই নির্বাচিত করুন।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি পদে এগিয়ে দ্রৌপদী মুর্মু! ‘ঘরের মেয়ে’ কে সমর্থন নবীনের

    রাজনৈতিক মহলের হিসেব বলছে, সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে দ্রৌপদী অনেক এগিয়ে।এডিএর শরিক নয়, এমন কয়েকটি দলও দ্রৌপদীকেই সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছে। তাই দ্রৌপদীর জয় একপ্রকার নিশ্চিত। তা সত্ত্বেও মমতা সহ রাজ্যের সব বিধায়ক ও তৃণমূল (TMC) এবং কংগ্রেসের (Congress) সাংসদদের চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। মমতাকে পাঠানো চিঠিতে বিজেপির তরফে লেখা হয়েছে, দ্রৌপদীদেবীর বিজয় নিশ্চিত। তা সত্ত্বেও ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে আপনার কাছে তাঁর হয়ে ভোট প্রার্থনা করছি। কারণ, বর্তমান সময়ের কষ্ঠিপাথরে শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মুর দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে আসীন হওয়া সর্বোত্তম পদক্ষেপ বলে আমরা মনে করি।

     

  • Mahua Moitra:’স্মোকিং কালী’ বিতর্ক, হাত ছাড়ল দল, তৃণমূলকে আনফলো মহুয়ার 

    Mahua Moitra:’স্মোকিং কালী’ বিতর্ক, হাত ছাড়ল দল, তৃণমূলকে আনফলো মহুয়ার 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি মা কালীকে নিয়ে তির্যক মন্তব্য করেছেন তৃণমূল (Trinamool) সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। তার জেরে বিভিন্নমহলে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন তিনি। এমনকি সমালোচনা করতে ছাড়েনি দলও। দলেও তিনি ব্রাত্য হয়ে গিয়েছেন। সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের ট্যুইটার (Twitter) হ্যান্ডেল থেকে মহুয়ার মন্তব্যের বিরোধিতা করা হয়েছে। দলের এই আচরণে ক্ষুব্ধ মহুয়া। প্রকাশ্যে দিলেন প্রতিক্রিয়া। তৃণমূলের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেলকে আনফলো (Unfollow) করলেন মহুয়া। 

    তৃণমূল এ ব্যাপারে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, “দেবী কালী সম্পর্কে মহুয়া মৈত্রের মতামতগুলি একান্তই ব্যক্তিগত। কোনওভাবেই পার্টি তা সমর্থন করে না এবং পার্টি অনুমোদিতও নয়। তৃণমূল কংগ্রেস এই ধরনের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে।” ট্যুইটটি টিএমসির অফিসিয়াল হ্যান্ডেলে পোস্ট করার পরই মহুয়া মৈত্র আনফলো করেন তৃণমূলকে।   

    [tw]


    [/tw]

    পরিচালক লীনা মণিমেকলাই একটি ছবির পোস্টার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার পর বিতর্ক শুরু হয়। পোস্টারে দেবী কালীর রূপে একজন মহিলাকে দেখানো হয়েছে। ছবিতে তাঁকে সিগারেট খেতে দেখা যাচ্ছে। ত্রিশূল  রয়েছে তাঁর হাতে। সেইসঙ্গে দেবীর হাতে রয়েছে এলজিবিটি সম্প্রদায়ের পতাকা। এই পোস্টার মুক্তি পেতেই ভারত তথা বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়। অভিযোগ ওঠে ছবি নির্মাতারা ইচ্ছাকৃত ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হেনেছেন।

    আরও পড়ুন: “বৃথা চেষ্টা, একটা বিগ জিরো…”, মমতার দিল্লি সফরকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    স্রোতের বিপরীতে গিয়ে মঙ্গলবার একটি সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে মহুয়া মৈত্র বলেন, মা কালী তাঁর কাছে একজন মাংসভোজী, মদ পান করা দেবী। মহুয়া বলেছিলেন, “আপনি যখন সিকিম যাবেন, আপনি দেখতে পাবেন যে তাঁরা দেবী কালীকে হুইস্কি দেয়। কিন্তু আপনি যদি উত্তরপ্রদেশে যান এবং আপনি যদি তাঁদের বলেন যে আপনি দেবীকে প্রসাদ হিসেবে হুইস্কি নিবেদন করেন, তাহলে তাঁরা আপনাকে অধার্মিক বলবে।” তাঁর প্রতিক্রিয়ার তীব্র সমালোচনা হয় রাজনৈতিক মহলে। বিরোধীরা তোপ দাগেন। বিপদ বুঝে সাংসদের পাশ থেকে সরে দাঁড়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। 

    আরও পড়ুন: হাওড়ায় ‘ফেল’ দুই পুলিশকর্তার কলকাতায় ‘প্রোমোশন পোস্টিং’!

    তৃণমূল মহুয়ার বক্তব্য থেকে দূরে সরে যেতেই মহুয়াও ট্যুইটারে আনফলো করেছেন দলকে। যদিও দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata) আনফলো করেননি তিনি। মহুয়ার এই অবস্থান নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রথমত তিনি বিতর্কিত মন্তব্য করে দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন। তারপরে ট্যুইটারে দলকে আনফলো করায় আরও অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির। 

     

     

  • Coal Scam: কয়লা-কাণ্ডে বিনয় ও বিকাশ মিশ্রের ১৪ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত!

    Coal Scam: কয়লা-কাণ্ডে বিনয় ও বিকাশ মিশ্রের ১৪ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার কাণ্ডে (Coal Smuggling Case) অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র (Vinay Mishra) ও বিকাশ মিশ্রর একটি কোম্পানির নামে কেনা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত (Property Seized) করল ইডি অর্থাৎ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। কয়লা দুর্নীতিতে (Coal Scam) অভিযুক্ত বিনয় ও বিকাশের ওই সম্পত্তির মূল্য আনুমানিক ১৩ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা।

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) গোপীনাথপুরে হানা দিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকে বিনয় ও বিকাশের দু’টি সম্পত্তি বেআইনি লেনদেন প্রতিরোধ আইন, ২০২২-এর (PMLA) আওতায় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই দু’টি সম্পত্তির মালিকানা রয়েছে ‘এলটিবি ইনফ্রা কনসালট্যান্ট’ নামে একটি সংস্থার হাতে। তদন্ত চলছে।

    আরও পড়ুন: পার্থ, পরেশের বাড়ি সহ ১৩ জায়গায় হানা ইডি-র, কী মিলল তল্লাশিতে?

    পশ্চিমবঙ্গের কয়লা দুর্নীতি (Bengal Coal Scam) মামলায় এর আগেই একাধিক অভিযুক্তের ২০৪ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইডি সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই বিনয় ও বিকাশের বিপুল অঙ্কের লেনদেনের খবর পেয়েছেন। ৭৩১ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলে খবর। লালা ওরফে অনুপ মাঝির (Anup Majhi) মারফত এই লেনদেন হয়েছে বলে ইডির প্রাথমিক অনুমান। তবে কেবল কয়লা মামলা নয়। বিনয় মিশ্রর বিরুদ্ধে গরু পাচারেরও অভিযোগ রয়েছে,তার তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। বিনয়ের বিরুদ্ধে আগেই হুলিয়া জারি করেছে তারা।

    আরও পড়ুন: কোটি কোটি টাকার লেনদেন! ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতে ৭ ইসিএল আধিকারিক

    এবার ইডির পালা। প্রসঙ্গত, কিংফিশারের কর্ণধার বিজয় মালিয়া (Vijay Mallya), শিল্পপতি মেহুল চোকসি (Mehul Choksi) ও নীরব মোদির (Nirav Modi) বিরুদ্ধে আইনের যে-ধারায় তদন্ত চলছে, বিনয়ের বিরুদ্ধেও সেই ধারা প্রয়োগের জন্য আইনি প্রস্তুতি শুরু করেছে ইডি। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে বিনয়ের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্তকারীরা জানান, ‘ফিউজিটিভ ইকনমিক অফেন্ডার’ (পলাতক আর্থিক অপরাধী) হিসেবে আইনের ধারায় বিনয়কে অভিযুক্ত বলে ঘোষণা করার জন্য সম্প্রতি নিম্ন আদালতে আবেদন করা হয়েছে। দেশ ও বিদেশে থাকা তাঁর সমস্ত বিষয়সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার যে আইনি প্রস্তুতি শুরু করেছিল ইডি, বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানে হানা তারই প্রথম ধাপ বলে অনুমান।

  • Primary TET Scam: ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণদের তথ্য চাইল সিবিআই, স্কুলে স্কুলে গেল নির্দেশ

    Primary TET Scam: ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণদের তথ্য চাইল সিবিআই, স্কুলে স্কুলে গেল নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে (Primary Teachers Recruitment) দুর্নীতির (Primary TET Scam) অভিযোগের তদন্তে কোমর কষে নামল সিবিআই (CBI)। ওই দুর্নীতির ঘটনায় তথ্য তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চলতি মাসের ১৬ তারিখে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের (Primary Education Board) তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, সিবিআইয়ের হাতে তথ্য তুলে দিতে হবে। সেই কারণে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় যাঁরা কৃতকার্য হয়ে প্রাথমিক শিক্ষকের (Primary Teachers) চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের সমস্ত নথিপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলায় সিবিআইকে ‘সিট’ গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের

    সোমবার রাজ্য শিক্ষা দফতর (West Bengal Education Department) থেকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদগুলিকে পাঠানো এক নির্দেশিকায় ১০টি তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে। এগুলি হল— নিয়োগপত্রের প্রতিলিপি, চাকরিতে যোগদানের নথি, ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড, টেটে যোগ্যতা অর্জনের তথ্য, সর্বস্তরের পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড, রেজাল্ট ও সার্টিফিকেট, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রশিক্ষণের শংসাপত্র, জাতিগত শংসাপত্র (যদি থাকে), প্যারাটিচার এনগেজমেন্ট লেটার, আগে যদি কোনও কাজের অভিজ্ঞতা থাকে তার শংসাপত্র এবং ২০১৪ সালের টেট সংক্রান্ত যদি কোনও তথ্য থেকে থাকে, তাও।

    শিক্ষক নিয়োগে যে ‘ভুল’ হয়েছে, বিধানসভায় তা স্বীকারও করে নিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, শিক্ষায় যদি এক লক্ষ চাকরি হয়ে থাকে, তাহলে তাতে ১০০টি ক্ষেত্রে ভুল রয়েছে। তা আমরা শুধরে নেব। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যই প্রমাণ করে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে।

    মুখ্যমন্ত্রীর এই ‘স্বীকারোক্তি’কে হাতিয়ার করে আক্রমণ শানিয়েছে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি। সংগঠনের তরফে স্বপন মণ্ডল বলেন, শিক্ষক নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা মুখ্যমন্ত্রী প্রকারান্তরে বিধানসভায় স্বীকার করে নিয়েছেন। প্রাথমিক বোর্ড থেকে যে তথ্য চাওয়া হয়েছে, তাতেও প্রমাণিত নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। অপরাধীদের শাস্তি চাই।

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি (BJP) বিধায়ক শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারী বলেন, আমাদের দাবি, যাঁরা ঘুরপথে চাকরি পেয়েছেন তাঁদের নয়, যোগ্য ব্যক্তিদের চাকরি দিতে হবে। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই যে তদন্ত করছে, তাতে গতি এনে অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

    এদিকে, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় এবার পর্ষদ (West Bengal Board of Primary Education) সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দিল হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt)।

     

  • Calcutta High Court: শুভেন্দুকে নেতাই যেতে বাধা কেন? ডিজি, এসপির বিরুদ্ধে রুল জারি হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: শুভেন্দুকে নেতাই যেতে বাধা কেন? ডিজি, এসপির বিরুদ্ধে রুল জারি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আদালত অবমাননার (Court of Contempt) মামলায় রাজ্য পুলিশের ডিজি (West Bengal Police DG), ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার (Superintendent of Police) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে রুল (Rule) জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt)। পশ্চিম মেদিনীপুরের নেতাই (Netai) গ্রামে যাওয়ার পথে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Leader of Opposition) শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu) বাধা দেওয়াতেই শোকজ করা হয়েছে এই তিন আধিকারিককে। জুলাই মাসের ৩০ তারিখে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে হাজির হয়ে জবাব দিতে হবে তাঁদের। এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।

    আরও পড়ুন : হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট, রক্ষাকবচের জন্য ছুটছেন মন্ত্রী পার্থ, কিন্তু পাবেন কি?

    ফি-বছর ৮ জানুয়ারি দিনটি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। ওই দিনেই ঘটেছিল নেতাই গণহত্যা (Netai Massacre)। সিপিএমের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন নিরীহ গ্রামবাসী। ওই ঘটনার পর থেকে প্রতিবছর দিনটি পালন করেন শুভেন্দু। প্রতি বারের মতো চলতি বছরও ৮ তারিখ সকালে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে নেতাই যাচ্ছিলেন শুভেন্দু। নেতাইয়ের ২০ কিলোমিটার আগেই আটকে দেওয়া হয় তাঁকে। ডিজি, ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নির্দেশেই তাঁর গাড়ি আটকে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়েই নেতাই না গিয়ে ফিরতে হয়েছিল শুভেন্দুকে।

    আরও পড়ুন : ‘‌বৈবাহিক ধর্ষণ’‌ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত দিল্লি হাইকোর্ট, মামলা যেতে পারে শীর্ষ আদালতে

    আদালত সূত্রে খবর, এর আগে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (Advocate General) কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের (Justice Sabyasachi Bhattacharya) এজলাসে হাজির হয়ে আশ্বস্ত করেছিলেন, রাজ্যর যে কোনও প্রান্তে যেতে পারেন বিরোধী দলনেতা। রাজ্যই তাঁর প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেবে। তার পরেও নেতাই যাওয়ার পথে বাধা দেওয়া হয় শুভেন্দুকে। এর পরেই রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য সহ তিন আধিকারিকের বিরুদ্ধে আলাদত অবমাননার মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে রুল জারি করে আদালত। জুলাই মাসের ৩০ তারিখে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে হাজির হয়ে তাঁদের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।

     

LinkedIn
Share