Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Cossipore BJPY Leader Death: ভোট-পরবর্তী হিংসার বলি বিজেপি কর্মী অর্জুনও?

    Cossipore BJPY Leader Death: ভোট-পরবর্তী হিংসার বলি বিজেপি কর্মী অর্জুনও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তাহ পার হয়নি বিজেপির সংকল্প যাত্রার। ৫ মে ঘটা করে বর্ষপূর্তি পালন করেছে তৃণমূলও। এই আবহেই আরেক বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যুতে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ আরও একবার সামনে চলে এল।

    শুক্রবার কাশীপুর রেল কোয়ার্টারের পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় অর্জুন চৌরাসিয়া নামের এক যুবকের। তিনি বিজেপি যুব মোর্চার কর্মী ছিলেন। পরিবারেরও দাবি, অর্জুন বিজেপির কর্মী ছিলেন। তাদের অভিযোগ, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে প্রায়ই খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল অর্জুনকে।

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর এরাজ্যে খুন হন বেশ কয়েকজন বিরোধী নেতা ও কর্মী। এর সিংহভাগই পদ্ম শিবিরের বলে দাবি বিজেপির।  ঘটনার প্রতিবাদে সপ্তাহখানেক আগে সংকল্পযাত্রা কর্মসূচি পালন করে রাজ্য বিজেপি। রানি রাসমণি অ্যাভেনিউয়ের মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, বাংলায় বর্তমানে বর্বরোচিত অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরে। ২০২১ সালের ২ মে-র পরে ভোট পরবর্তী যে সন্ত্রাস দেখা গিয়েছিল, তা আর কোনও নির্বাচনের পরে দেখা যায়নি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর ভোট পরবর্তী হিংসার বর্ষপূর্তিতে পথে নেমেছিল বিজেপি। ভোটের পরে বিজেপি কর্মীদের ওপর যে অত্যাচার করা হয়েছিল এবং গণতন্ত্র লুঠ করা হয়েছিল, তার প্রতিবাদেই বুধবার রাজ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন সংকল্পযাত্রা কর্মসূচি পালন করে বিজেপি। 

    আরও পড়ুন: বিজেপি যুব নেতার রহস্যমৃত্যু, রণক্ষেত্র কাশীপুর, সিবিআই চাইলেন অমিত শাহ

    সেই যাত্রার কর্মসূচি পালনের পরে পরেই ৫ মে বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান করে তৃণমূল। এই অনুষ্ঠানে ভাষণও দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই জোড়া কর্মসূচির রেশ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগেই রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে অর্জুনের। মৃতের পরিবারের পাশাপাশি বিজেপিরও দাবি, অর্জুন বিজেপির যুব মোর্চার কর্মী ছিলেন। বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। যে গামছায় অর্জুনের দেহ ঝুলছিল, সেটি চৌরাসিয়া পরিবারের কারওর নয় বলেই দাবি সদস্যদের। যদিও স্থানীয় বিধায়ক তথা কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের দাবি, অর্জুন তৃণমূলের কর্মী ছিলেন। তিনি আত্মহত্যা করেছেন। 

  • SpiceJet Horror: ঘটনার সময় বিমান ছিল অটোপাইলট মোডে! ‘বসিয়ে দেওয়া’ হল পাইলট, ইঞ্জিনিয়ারদের

    SpiceJet Horror: ঘটনার সময় বিমান ছিল অটোপাইলট মোডে! ‘বসিয়ে দেওয়া’ হল পাইলট, ইঞ্জিনিয়ারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবতরণের আগে রবিবার সন্ধ্যায় কালবৈশাখী (Norwester Kalbaisakhi) ঝড়ের কবলে পড়া স্পাইসজেটের (Spicejet) মুম্বই-অণ্ডালগামী (Mumbai-Durgapur flight SG-945)  বিমানের দুই পাইলট-সহ অন্য কর্মীদের আপাতত বসিয়ে (Grounded) দেওয়া হল। রেডারে বজ্রগর্ভ মেঘ দেখা সত্বেও বিমানচালক কেন পথ পরিবর্তন করেননি, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে স্পাইসজেট বিমান সংস্থা। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গিয়েছে ওই ঘটনার সময় কিছুক্ষণ বিমানটি অটোপাইলট (Autopilot) মোডে ছিল। বিমানটিকে উড়তে অনুমতি দেওয়ার কারণে বসিয়ে দেওয়া হল আরও দুই ব্যক্তিকে। পাশাপাশি, বি৭৩৭-৮০০ (Boeing 737-800)  বিমানটির উড়ানেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন’ (DGCA) ওই বিমানের দুই পাইলট-সহ সমস্ত কর্মীকেই ‘বসিয়ে’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বসিয়ে দেওয়া হয়েছে বিমানটির ওড়ায় ছাড়পত্র দেওয়া রক্ষণাবেক্ষণ ইঞ্জিনিয়ার এবং ওই সময় স্পাইসজেটের রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগে কর্মরত ব্যক্তিকেও। রবিবারের ঘটনার পর স্পাইসজেটের সমস্ত বিমানেরই পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে ডিজিসিএ। এরই পাশাপাশি, বি৭৩৭-৮০০ বিমানটিও আর উড়তে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

    ডিজিসিএ-র প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, ঝড়ের কবলে পড়ে ওই বিমানের ১৪ জন যাত্রী এবং তিন জন কর্মী আহত হয়েছেন। কারও মাথায়, কারও পিঠে, ঘাড়ে ও মুখে চোট লেগেছে। এখনও তিন জন যাত্রী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। মাথায় ও পিঠে গুরুতর চোট লাগায় তাঁদের মধ্যে দু’জন আপাতত দুর্গাপুরের একটি হাসপাতালে আইসিইউ-তে ভর্তি। বিমানটিতে ১৯৫ জন যাত্রী ছিলেন। ওই ঘটনার কথা মনে পড়লে এখনও আতঙ্কে যাত্রীরা।

  • Suvendu at BJP Rally: “তৃণমূল জমানায় বাংলায় বর্বরোচিত অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে”, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu at BJP Rally: “তৃণমূল জমানায় বাংলায় বর্বরোচিত অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে”, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: ২০২১ সালের ২ মে-র পর বাংলায় যে ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাস (Post poll violence) দেখা গিয়েছিল, তা অন্য কোনও ভোটে হয়নি। এমনটাই জানালেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Opposition leader) বললেন, তৃণমূল (TMC) জমানায় বাংলায় (West Bengal) বর্বরোচিত অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। 

    ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের (2021 Assembly elections) পর রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসার বর্ষপূর্তিতে পথে নেমেছিল বিজেপি। ভোটের পরে বিজেপি কর্মীদের ওপর যে অত্যাচার চালানো হয়েছিল এবং গণতন্ত্র লুঠ করা হয়েছিল তার প্রতিবাদে আজ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংকল্প মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত মিছিল। মিছিলে সামিল সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী। 

    এরপর রানী রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের মঞ্চ থেকে নিজের বক্তব্য রাখলেন শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, বাংলায় বর্তমানে বর্বরোচিত অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরে। ২০২১ সালের ২ মে-র পরে ভোট পরবর্তী যে সন্ত্রাস দেখা গিয়েছিল তা আর কোনও নির্বাচনের পরে দেখা যায়নি।

    শুভেন্দুর মতে, ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনায় একাধিক বিজেপি কর্মীদের আক্রান্ত হতে হয়েছে। সেই সময় বিজেপি নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রায় ১২ হাজার এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল । তাঁর প্রশ্ন, শিখ দাঙ্গার ১৫ বছর পর অভিযুক্ত কংগ্রেস নেতার যদি জেল হতে পারে তাহলে ভোট সন্ত্রাসের অভিযোগে অভিযুক্তদের জেল কেন হবে না?

    আসন্ন অমিত শাহর রাজ্য সফর প্রসঙ্গেও বলেছেন শুভেন্দু। বললেন, বাংলায় আসছেন অমিত শাহ, বাংলাকে ভয়মুক্ত করবেন। ২১৩ আসনে জিতেও শান্তিতে নেই তৃণমূল কংগ্রেস। পাশে থাকতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ‍বাধ্য করাবে বঙ্গ বিজেপি।

    পাশাপাশি, আগামী ৮ মে নন্দীগ্রামে (Nandigram) বিশেষ কর্মসূচি পালন করা হবে বলেও ঘোষণা করলেন বিজেপি বিধায়ক। বললেন, ৮ মে নন্দীগ্রামে স্বৈরাচারী শাসকের পরাজয়ের বর্ষপূর্তি পালন করা হবে। ১১ মে দেউচা পাঁচামি (Deucha Pachami) যাব, সঙ্গে থাকবেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)।

     

  • Sukanta Attacks Mamata: ‘১০০ দিনের কাজের টাকা গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের পকেটে’, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Attacks Mamata: ‘১০০ দিনের কাজের টাকা গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের পকেটে’, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজে (MGNREGA) যে পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে, এবং একের পর এক তৃণমূল (TMC) নেতার পকেটে টাকা ঢুকেছে, তার জন্য অডিট হয়েছে এবং চরম দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। কেন্দ্র সরকারের অডিট টিম দেখেছে, দুর্নীতি হয়েছে। তাই টাকা বন্ধ করেছে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের বঞ্চনার অভিযোগের জবাব এভাবেই দিলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Modi) বঞ্চনার অভিযোগ তুলে চিঠি লেখেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিচ্ছে না, তুলে নিয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে টাকা দেওয়ার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী। 

    কেন্দ্রীয় প্রকল্পে সব রাজ্যে  ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ হয়। সেই কাজ করায় বিভিন্ন রাজ্য সরকার। প্রকল্পের পুরো টাকাই দেয় কেন্দ্র। মমতার দাবি, গত চারমাস ধরে কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ওই প্রকল্পে টাকা দিচ্ছে না। সেই কারণেই বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখেন মমতা। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, দেরি না করে অবিলম্বে ১০০ দিনের প্রকল্প  ও আবাস যোজনার (pm awas yojana fund) টাকা দিয়ে দিন।

    মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, কাজ শেষ হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে শ্রমিকদের মজুরি দিয়ে দেওয়ার কথা। তবে গত চার মাস ধরে ওই প্রকল্পে টাকা দেয়নি কেন্দ্র। স্বাভাবিকভাবেই মজুরি পাননি প্রকল্পে অংশ নেওয়া শ্রমিকরা। আবাস যোজনায়ও রাজ্যের পারফরমেন্স ভাল বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, আবাস যোজনায় এ রাজ্যের পারফরমেন্স ভাল। তারপরেও ওই প্রকল্পে কেন নতুন করে বরাদ্দ হয়নি, সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।

    [tw]


    [/tw]

    মমতার এই দাবির তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলের মতে, ভোট কুড়োতে নানা প্রকল্পে খয়রাতি করছে রাজ্য সরকার। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, যুবশ্রী সহ নানা প্রকল্পে জলে যাচ্ছে রাশি রাশি টাকা। প্রকৃত উপভোক্তারা টাকা পাচ্ছেন না। টাকা ঢুকছে তৃণমূল নেতাদের পকেটে। যার জেরে তৃণমূলের বহু ছোট-বড়-মেজ-সেজ নেতা রাতারাতি বড়লোক বনে গিয়েছেন।

    ১০০ দিনের কাজেও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজে যে পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে, এবং একের পর এক তৃণমূল নেতার পকেটে ঢুকেছে, তার জন্য অডিট হয়েছে এবং চরম দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। কেন্দ্র সরকারের অডিট টিম দেখেছে, দুর্নীতি হয়েছে। তাই টাকা বন্ধ করেছে।

    আরও পড়ুন : অভিষেক-জায়া রুজিরার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি দিল্লির আদালতের

     

  • Suvendu Attacks Partha: এসএসসির দুর্নীতির টাকায় স্ত্রীর নামে ঝাঁ চকচকে স্কুল করেছেন পার্থ! দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Attacks Partha: এসএসসির দুর্নীতির টাকায় স্ত্রীর নামে ঝাঁ চকচকে স্কুল করেছেন পার্থ! দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসির দুর্নীতির (SSC scam) টাকায় প্রয়াত স্ত্রীর নামে ঝাঁ চকচকে বেসরকারি স্কুল করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তৃণমূলের (TMC) পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। এমনই অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu)। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় ওই স্কুল রয়েছে, দাবি শুভেন্দুর। বিরোধী দলনেতার দাবি, সুরম্য এই স্কুলের চেয়ারম্যান পার্থর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য।

    আরও পড়ুন : নথি নষ্টের আশঙ্কায় “সিল” এসএসসি দফতর, নিরাপত্তায় সিআরপিএফ, মধ্যরাতে নির্দেশ হাইকোর্টের

    এসএসসিকাণ্ডে বিপাকে রাজ্য সরকার। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিজাম প্যালেসে ডেকে জেরা করেছেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা। তৃণমূল সরকারের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকেও (Paresh Adhikary) বার কয়েক জেরা করেছেন তাঁরা। অবৈধভাবে স্কুল শিক্ষকের চাকরি পাওয়ায় পরেশের কন্যা অঙ্কিতাকে (Ankita Adhikary) বরখাস্তও করেছে আদালত। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, এসএসসির দুর্নীতির টাকায় আখের গুছিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।

    [tw]


    [/tw]

    শুভেন্দুর দাবি, পার্থর ওই স্কুলে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা দেওয়া হয়। সবুজের মাঝে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার সমস্ত পরিকাঠামো এই স্কুলে রয়েছে। স্কুল নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৭০ কোটিরও বেশি টাকা। ট্যুইটে শুভেন্দু লেখেন, পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় সম্প্রতি গড়ে উঠেছে বিসিএম ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। সবুজের মাঝে অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্যে ভরা এই স্কুল বিশ্বমানের শিক্ষা প্রদান করছে।

    আরও পড়ুন : শান্তিপ্রসাদ সিনহা সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের সিবিআইয়ের

    অন্য একটি ট্যুইটে শুভেন্দু লেখেন, বিসিএস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের উদ্বোধন করেছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করার পিছনে গভীর আগ্রহ দেখিয়েছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। আর একটি ট্যুইটে শুভেন্দু জানান, কাকতালীয়ভাবে বিসিএস বাবলি চ্যাটার্জি মেমোরিয়ালের সংক্ষিপ্ত রূপ। যা তাঁর স্ত্রীর নামের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। এই প্রকল্পে ৭০ কোটি টাকারও বেশি খরচ হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এই তাজমহল (Taj Mahal) স্বরূপ স্কুলের নির্মাণ কার্যের সময় বেশ কিছু স্থান পরিদর্শন করেছিলেন।

    [tw]<bloc


    kquote class=”twitter-tweet”>

    The swanky BCM International School has been recently developed at Pingla; Paschim Medinipur. The school is offering world class infrastructure with plush interiors, lush green landscaping and what not besides imparting education.

    Don’t get confused. This is not an advertorial.

    — Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) May 22, 2022

    [/tw]

    এর পরেই শুভেন্দুর কটাক্ষ-ট্যুইট, স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির (Teachers recruitment scam) তহবিল কোথায় হারিয়ে গিয়েছে? তাঁরা জানেন কোথা থেকে শুরু করতে হবে? কল্যাণময় ভট্টাচার্য এই স্কুলের চেয়ারম্যান, প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি। তিনি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাতা। তাঁর কাকা কৃষ্ণপ্রসাদ অধিকারী স্কুলের দৈনন্দিন কাজকর্ম পরিচালনা করেন।

     

  • Saugata Roy: এত টাকা এল কোথা থেকে? কেকে এর কনসার্ট নিয়ে প্রশ্ন সৌগতর

    Saugata Roy: এত টাকা এল কোথা থেকে? কেকে এর কনসার্ট নিয়ে প্রশ্ন সৌগতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় সঙ্গীতশিল্পী কেকে’র (KK) মৃত্যুর পর নজরুল মঞ্চে (NaZruk Mancha) তৃণমূল ছাত্র সংসদ আয়োজিত অনুষ্ঠানের খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধীরা৷ সেই প্রশ্ন এবার শোনা গেল তৃণমূলের (TMC) বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়ের (Saugata roy) মুখে৷ দলীয় একটি অনুষ্ঠানে নোয়াপাড়া এলাকায় গিয়ে দমদমের সাংসদ প্রশ্ন তোলেন, কেকে-এর কনসার্টের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। ওই বিপুল অঙ্কের টাকা এল কোথা থেকে?

    সৌগতর কথায়, কলেজে পড়াশোনার সময় তাঁরাও শিল্পীদের আনতেন৷ কিন্তু লাখ লাখ টাকা দিয়ে মুম্বই থেকে সঙ্গীত শিল্পীদের নিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদ৷ সৌগত বলেন, ‘এই যে কৃষ্ণকুমার গান গাইতে এসে মারা গেল, আমি শুধু ভাবি এত টাকা কোথা থেকে এল৷ ৩০ লাখ না ৫০ লাখ কত যেন নিয়েছে৷ কে দিয়েছে? টাকা তো হাওয়ায় ভেসে আসে না৷ এত খরচ করে মুম্বই থেকে শিল্পী আনার কি খুব দরকার ছিল? অনেক ছেলে হাল্লা করল, নাচল৷ তাতে কী লাভ হল?’

    আরও পড়ুন: ১৯৪৭ সালে আজকের দিনে পাশ হয় পশ্চিমবঙ্গ গঠনের প্রস্তাব, কী ঘটেছিল সেদিন?

    গত মে মাসে গুরুদাস কলেজের ফেস্টে গান গাইতে এসে মৃত্যু হয় কেকে’র৷ কলকাতার নজরুল মঞ্চে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানের দায়িত্বে ছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ৷ নজরুল মঞ্চে গান গাওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন কেকে৷ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে হোটেলে তাঁর মৃত্যু হয়৷ সঙ্গীতশিল্পীর মৃত্যুর পরই বিরোধীরা ওই অনুষ্ঠানে খরচ হওয়া টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল৷ জানিয়েছিল, কলেজের ছাত্র সংসদের কাছে এত টাকা আসে কোথা থেকে৷ এবার সেই প্রশ্ন তুলে দলের ছাত্র সংগঠনের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন সৌগত৷

     তাঁর অভিযাগ, এত টাকা খরচ করে অনুষ্ঠান করতে হলে প্রোমোটার বা স্থানীয় মস্তানদের কাছে মাথা নত করতে হয়। প্রশ্ন তুলেছেন কলেজ ছাত্র সংগঠনের নৈতিকতা নিয়েও। স্বাভাবিকভাবেই শাসকদলের সাংসদের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে সরব হয়েছে বিরোধীরা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “এটা বাংলায় ওপেন সিক্রেট। সবাই জানে এরা কীভাবে কাজ করে। একজন প্রবীণ নেতা এবং অধ্যাপক হওয়ার কারণে তিনি অন্তত সত্যটা স্বীকার করেছেন।” রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষের খোঁচা, “শিক্ষিত মানুষ তো। সবটা বুঝতে পারছেন। এমন মন্তব্য করে বিপদে পড়ছেন নিজের দলেই। এই তো চলছে রাজ্যে। শুধু নাচ-গান-ফুর্তি। শিক্ষা নেই, চাকরি নেই।” সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলছেন, “সৌগতবাবু যা বলেছেন একদম ঠিক কথা।” উল্লেখ্য,কেকের অনুষ্ঠানের খরচ পুরোটাই কলেজ কর্তৃপক্ষ দিয়েছিল বলে দাবি করেছিল টিএমসিপি।

  • Hanskhali Rape: হাঁসখালিকাণ্ডে ক্রমেই ফাটল চওড়া হচ্ছে তৃণমূলে?

    Hanskhali Rape: হাঁসখালিকাণ্ডে ক্রমেই ফাটল চওড়া হচ্ছে তৃণমূলে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার হাঁসখালিকাণ্ডে (Hanskhali case) গাড্ডায় তৃণমূল(Tmc)। ঘটনার জেরে দলের অন্দরে ক্রমেই বাড়ছে মতানৈক্য। খোদ তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন দলেরই সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Maitra)। আবার বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা সৌগত রায়ের(Saugata Roy) সঙ্গে সহমত পোষণ করতে পারছেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা দলের আর এক সাংসদ শতাব্দী রায় (Shatabdi roy)। এই চার নেতানেত্রীর পরস্পর বিরোধী মন্তব্যে যারপরনাই হতাশ তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
    দিন কয়েক আগে বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে গিয়ে বছর চোদ্দর এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ। বাড়ি ফেরার আগেই শুরু হয় রক্তক্ষরণ। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে ওই রাতেই মৃত্যু হয় নির্যাতিতার। ঘটনার পরে পরেই দেহ নিয়ে গিয়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। গোটা ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে তৃণমূলের দিকে। এর পরেই লাভ অ্যাফেয়ারের তত্ত্ব খাড়া করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার বিতর্কিত মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় গোটা রাজ্যে। এর পরেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামে তৃণমূল। তড়িঘড়ি সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় নির্যাতিতার বাড়িতে। সেখানে তিনি ভারতীয় আইন তুলে ধরে বলেন, ভালোবাসা থাকলেও নাবালিকার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা যায় না। মহুয়ার মন্তব্য যে তৃণমূল নেত্রীর বিপ্রতীপ, তা বলাই বাহুল্য। 
    গোল বেঁধেছে সৌগত-শতাব্দীর মধ্যেও। হাঁসখালির ঘটনা প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত বলেন, যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা সেখানে নারী নির্যাতনের একটি ঘটনা ঘটলেও, তা লজ্জার। সৌগতর পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন শতাব্দী। তিনি বলেন, আমি সৌগতদার সঙ্গে এক মত নই। মহিলা-পুরুষের বিভেদের বিষয় এটা নয়। মহিলা মুখ্যমন্ত্রী কি চেয়েছেন এটা?
    কথায় বলে, বিনাশকালে বুদ্ধি নাশ হয়। তাহলে কি শেষের সেদিন শুরু হয়ে গেল তৃণমূলে?

     

  • ED raid: রাজ্যে ভুয়ো পরিচয়পত্র বানাচ্ছে বাংলাদেশিরা! কলকাতা সহ ১০ জায়গায় হানা ইডি-র

    ED raid: রাজ্যে ভুয়ো পরিচয়পত্র বানাচ্ছে বাংলাদেশিরা! কলকাতা সহ ১০ জায়গায় হানা ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে রাজ্যে এসে ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে বসবাস করছে এমন ব্যক্তিদের সন্ধানে তল্লাশি চালাল ইডি (ED)। শুক্রবার কলকাতা-সহ দুই ২৪ পরগণার আট থেকে দশটি জায়গায় তল্লাশি চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগরের তিনটি জায়গায়, দমদমের একটি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার দু’টি জায়গা মিলিয়ে মোট ১০টি জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারী অফিসারেরা। এদিন সকাল থেকে ইডি-র প্রায় ৬০-৭০ জন আধিকারিক একাধিক দলে ভাগ হয়ে তল্লাশি অভিযান চালান। 

    ইডি সূত্রে দাবি, বাংলাদেশের তদন্তকারী সংস্থার দেওয়া খবরের ভিত্তিতে তল্লাশি চালানো হয়। এক আন্তর্জাতিক টাকা পাচার চক্রের মাথা প্রশান্তকুমার হালদার। বাংলাদেশে তাঁর বিরুদ্ধে বিপুল অঙ্কের টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। বাংলাদেশি হলেও, এপার বাংলায় ঢুকে নিজেকে ভারতীয় বলে পরিচয় দেন প্রশান্তকুমার পাল। তিনি নিজেকে পরিচয় দেন শিবশঙ্কর হালদার বলে। এমনকী, এদেশে ভুয়ো আধার কার্ড, রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড তৈরি করেন তিনি। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সেইসব জাল নথি ব্যবহার করে এদেশে প্রশান্ত কুমার পাল ও তাঁর সহযোগীরা প্রায় হাজার কোটি টাকা পাচার করেন। প্রশান্তকুমার হালদারের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। বেআইনি টাকার হদিশ পেতে তল্লাশি অভিযান শুরু করে ইডি দেখে এদেশে ভুয়ো পরিচয়পত্রই বানিয়ে ফেলেছে অভিযুক্তেরা। শুধু তাই নয়, ভুয়ো পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে এরাজ্যে বাংলাদেশিরা রীতিমতো ব্যবসা খুলে বসেছে। বিপুল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বানিয়েছে। 

     স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অশোকনগরের মাছ ব্যবসায়ী সুকুমার মৃধাও এই চক্রের সঙ্গে জড়িত। তদন্তে জানা গিয়েছে, সুকুমার মাছ ব্যবসার আড়ালে হাওয়ালার কারবারে যুক্ত। বিভিন্ন অঞ্চলে জমি জায়গা কিনে ব্যবসা করেন তিনি। অশোকনগরে তাঁর একাধিক বাড়ি ও দোকান রয়েছে। এর সঙ্গে উঠে আসছে প্রশান্ত হালদার নামে এক ব্যক্তির নাম। প্রশান্ত মারফৎ এদেশে টাকা নিয়ে আসেন সুকুমার। শুক্রবার অশোকনগরে সুকুমার মৃধা-সহ প্রণব হালদার ও স্বপন মিশ্রর বাড়িতে একযোগে হানা দেন ইডির আধিকারিকরা। ইডির এক আধিকারিক জানান, রাজ্যে হালদারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন মৃধা। মনে করা হচ্ছে, শহরের বিভিন্ন জায়গায় বেনামে জমি কিনেছে তারা। মৃধা এবং হালদারের পরিবারের লোকজনদের থেকে খোঁজখবর নিচ্ছে ইডি।

  • insas rifle snatched: “বাংলা জেহাদিদের আঁতুড়ঘর”, বিএসএফের রাইফেল ছিনতাইকাণ্ডে ট্যুইট সুকান্তর

    insas rifle snatched: “বাংলা জেহাদিদের আঁতুড়ঘর”, বিএসএফের রাইফেল ছিনতাইকাণ্ডে ট্যুইট সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তৃণমূলের রাজত্বে বাংলা হয়েছে জেহাদিদের (jihadi) আঁতুড়ঘর। রাজ্যটি জেহাদিদের প্রিয় জায়গা হয়ে উঠেছে।” এমনটাই মনে করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (sukanta majumder)। মঙ্গলবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার ঘোজাডাঙা স্থলবন্দরের কাছে বিএসএফের (BSF) কর্তব্যরত এক মহিলা কনস্টেবলের কাছ থেকে ইনস্যাস (Insas) রাইফেল ছিনতাই প্রসঙ্গে এমন ট্যুইট করেন সুকান্ত।

    বিএসএফ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার গভীর রাতে ১৫৩ ব্যাটেলিয়নের এক মহিলা কনস্টেবল পাহারা দিচ্ছিলেন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে (India Bangladesh border) ঘোজাডাঙা স্থলবন্দরের কাছে। আচমকাই কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় ইনসাস অ্যাসল্ট রাইফেল (Assault rifle) ও ২০ রাউন্ড গুলি। বিএসএফের এক আধিকারিক জানান, প্রহরারত মহিলা কনস্টেবলকে মারধর করে দুষ্কৃতীরা তাঁর সঙ্গে থাকা রাইফেল ও গুলি ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়।  

    এরপরই এলাকায় চিরুনি-তল্লাশি শুরু করে বিএসএফ। আটক করা হয় এক ডজনেরও বেশি সন্দেহভাজনকে। তবে বুধবার সন্ধে পর্যন্ত হদিশ মেলেনি খোয়া যাওয়া রাইফেলের। শেষমেশ বিএসএফের তরফে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বসিরহাট থানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার জোবি টমাস কে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তাদের একটি ইনসাস রাইফেল (insas rifle) চুরি গিয়েছে বলে আমরা বিএসএফের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। সেই অনুযায়ী, আমরা মামলা শুরু করেছি। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। তদন্ত চলছে। আমরা সব দিক খতিয়ে দেখছি। পুলিশের একটি অংশের মতে, রাইফেলটি ছিনিয়ে নিয়ে দুষ্কৃতীরা বাংলাদেশে গা-ঢাকা দিতে পারে।

    বিএসএফের এক মহিলা কনস্টেবলকে মারধর করে রাইফেল ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় যারপরনাই বিস্মিত বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ট্যুইট করেন তিনি। লেখেন, “তৃণমূলের শাসনে পশ্চিমবঙ্গ জেহাদিদের আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। ঘোজাডাঙার এই ঘটনাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এ রাজ্য জিহাদিদের প্রিয় জায়গায় পরিণত হয়েছে।”

    [tw]


    [/tw]

    বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই ট্যুইটের প্রেক্ষিতে তৃণমূলের তরফে অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

     

  • Bidisha Dey Majumdar: ফের রহস্যমৃত্যু! পল্লবীর পর আরও এক টলিউড অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

    Bidisha Dey Majumdar: ফের রহস্যমৃত্যু! পল্লবীর পর আরও এক টলিউড অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পল্লবী দে-র (Pallavi Dey) পর এবার বিদিশা দে মজুমদার (Bidisha Dey Majumdar)। টলিউডে অপমৃত্যুর (mysterious death) ঘটনা যেন থামছেই না। পল্লবী দে-র মৃত্যু নিয়ে এখনও জট পুরোপুরি কাটেনি, তার আগেই আরও এক মডেল এবং অভিনেত্রীর মৃত্যুতে হতবাক টলিপাড়া (Tollywood)। দমদমের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল উঠতি অভিনেত্রী বিদিশার দে মজুমদারের দেহ। ২১ বছর বয়সী অভিনেত্রী সেই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।  

    ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, বুধবার সন্ধ্যায় উদ্ধার হয়েছে বিদিশার দেহ। কিন্তু কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, খুন না আত্মহত্যা তা এখনও জানা যায়নি। বিদিশার পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারী অফিসাররা। এখনও পর্যন্ত বিশেষ কোনও তথ্য পায়নি পুলিশ।

    অভিনেত্রীর দেহ ইতিমধ্যেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মৃত্যুর কারণ নিয়ে তাঁদের কাছেও ধোঁয়াশা রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: দক্ষিণ কলকাতার আবাসন থেকে টেলি অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, খুন না আত্মহত্যা?

    বিদিশার প্রতিবেশীদের দাবি, দেড় মাস আগে ওই এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতে এসেছিলেন বিদিশা। নিয়মিত মডেলিং করতেন বিদিশা। এর পাশপাশি ‘ভাঁড়: The Clown’ নামে একটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, সোশ্যাল মিডিয়ায় শেষ বুধবার ভোরে অনলাইন দেখা গিয়েছে বিদিশাকে। তারপর আর ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপে অনলাইন দেখা যায়নি। 

    কাজ না থাকলে বেলা করে ঘুম থেকে উঠতেন অভিনেত্রী। অনেকেই জানতেন সেকথা। তাই অনেক বেলা অবধি দরজা না খুললেও কারও কোনও সন্দেহ হয়নি। কিন্তু  বিকেল গড়িয়ে গেলেও ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় বিদিশার ফ্ল্যাটমেট দিশানী দুশ্চিন্তায় পড়েন। তিনি কলেজ গিয়েছিলেন। ফিরে এসে সাড়া না পেয়ে ঘরের দরজা ঠেলে ঢুকে দেখেন, গলায় ফাঁসি দিয়ে ঝুলছেন মৃত অভিনেত্রী।  তারপরেই তিনি ফোন করে এক পরিচিতকে জানান বিষয়টি। নৈহাটির মেয়ে বিদিশা। কাজের সূত্রে থাকতেন নাগের বাজারের রামগড় কলোনির একটি ফ্ল্যাটে। দিশানীও থাকতেন তাঁর সঙ্গে। 

     

LinkedIn
Share