Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Coal Smuggling: কোলে ২ বছরের ছেলে, ইডি-র তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির রুজিরা

    Coal Smuggling: কোলে ২ বছরের ছেলে, ইডি-র তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির রুজিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লাপাচারকাণ্ডে (Coal smuggling case) তলব পেয়ে শিশুসন্তানকে নিয়েই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) সামনে হাজিরা দিলেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rujira Banerjee)। বুধবার,  অভিষেকে-পত্নীকে তলব করেছিল ইডি (ED)। বৃহস্পতিবার সকাল সকাল ১১টা নাগাদ কোলে ২ বছরের শিশুকে নিয়ে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) হাজির হলেন তিনি।  

    কয়লাপাচার-কাণ্ডে এর আগে একাধিক বার অভিষেক (Abhishek Banerjee) এবং রুজিরাকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। অভিষেক দু’বার হাজিরাও দিয়েছিলেন ইডি দফতরে গিয়ে। কিন্তু রুজিরা যাননি। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর দু’বছরের পুত্র সন্তানকে কলকাতায় রেখে দিল্লি যাওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। তদন্তকারী অফিসাররা যদি কলকাতায় ডাকেন তাহলে তাঁর হাজিরার মুখোমুখি হতে কোনও অসুবিধা নেই।

    কিন্তু, ইডি তাদের দাবিতে অনড় থাকায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন রুজিরা। শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয়, কলকাতায় এসে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ইডি। সেইমতো, অভিষেক-পত্নীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দিল্লি থেকে কলকাতায় এসেছেন ইডি আধিকারিকরা। 

    আরও পড়ুন: কয়লাকাণ্ডে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের, করা হল কোন প্রশ্ন?

    কিছুদিন আগে, এই কয়লা পাচার কাণ্ড নিয়ে তাঁকে বাড়িতে গিয়ে জেরা করে এসেছিল সিবিআই (CBI)। তখনই এই টাকা লেনদেনের বিষয়টি উঠে আসে। তাই এবার রুজিরাকে জেরা করতে চায় ইডি। সূত্রের খবর, কয়লা পাচার কাণ্ডে বিদেশি লেনদেনের বিষয় নিয়ে তাঁকে জেরা করা হতে পারে। 

    ইডি সূত্রে খবর, কয়লা পাচারকাণ্ডে তদন্তের কেন্দ্রে রয়েছে ব্যাঙ্ককের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। ইডি-র দাবি, কয়লা পাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি (Anup Majhi) ওরফে লালার টাকা বিভিন্ন হাত ঘুরে ব্যাংককের একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে গিয়েছে। সেখানে জমা পড়েছে কয়লা পাচারের টাকা।

    ইডি সূত্রে দাবি, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তারা জানতে পারে, বিদেশি ব্যাঙ্কে ওই অ্যাকাউন্টের মালিক রুজিরা নরুলা। ইডি-র দাবি, রুজিরা নরুলাই হলেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইডি সূত্রে দাবি, প্রাথমিকভাবে ওই অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন রুজিরা।

    আরও পড়ুন: কয়লা, গরুপাচার, এসএসসি দুর্নীতির তদন্তরত অফিসারকে কেন সরিয়ে দিল সিবিআই?

     

  • Saigal Hossain: সায়গলকে ঘিরে থাকতেন ১৪ ‘ভূত’, জানেন কি তাঁরা কারা?

    Saigal Hossain: সায়গলকে ঘিরে থাকতেন ১৪ ‘ভূত’, জানেন কি তাঁরা কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী পুলিশ কনস্টেবল সায়গল হোসেনের (Saigal Hossain) সাম্রাজ্যে হানা দিয়ে কার্যত চক্ষু চড়কগাছ তদন্তকারীদের। সায়গলের নামি-বেনামি সম্পত্তির হিসাব কষে কয়েকশো কোটি টাকার হদিশ মিলেছে। তার মধ্যে ৬০টি জমির ডিড মিলেছে শুধু ডোমকলেই। সিবিআই (CBI) তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, সায়গলকে ঘিরে অন্তত ১৪ জনের সন্ধান মিলেছে, যাঁরা তোলাবাজির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই ১৪ জনের গ্যাং ধরা পড়লেই আরও কয়েকশো কোটি টাকার হদিশ মিলবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

    সিবিআই সূত্রের খবর, সায়গলের সাম্রাজ্য ছড়িয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি জেলায়। তাঁর সঙ্গতকারীদের মধ্যে ডোমকলের ব্রিজ মোড়ের বাসিন্দা এক ব্যক্তিকে নজরে রাখা হয়েছে। জমির কাগজ, সোনাদানা বা নগদের বিস্তারিত বিবরণ তাঁর কাছে আছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ডোমকলের রসুলপুর, ডোমকল বিডিও মোড়, ডোমকলের ভাদুরিয়া পাড়ার আরও ছয় যুবকও রয়েছে তদন্তকারীদের নজরে।

    আরও পড়ুন: কেন গ্রেফতার অনুব্রতর দেহরক্ষী, এত সম্পত্তি হল কীভাবে?

    জানা যাচ্ছে, দুবরাজপুরের দুই ব্যক্তি, সিউড়ির হাটজানবাজারের এক যুব তৃণমূল নেতা, ইলামবাজারের দুই তৃণমূল নেতা, রানিনগর শেখ পাড়া এবং ইসলামপুরের নাজিরপুরের দুই যুবকও ছিলেন সায়গল সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রক। তদন্তকারীদের দাবি, এই ১৪ জন তৃণমূল নেতা ও ব্যবসায়ীর মাধ্যমেই সায়গল অপারেট করত। গ্রেফতারির পর এঁদের অনেকেই এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। তবে আজ না হয় কাল গরু, কয়লা, পাথর, বালির সাম্রাজ্যে হানা দেওয়া হলেই এরা ধরা পড়বেন বলে জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

    এদের মধ্যে দু-এক জন ইতিমধ্যেই তদন্তে সহযোগিতাও করছেন। সেই কারণেই সায়গলের ৬০টির বেশি জমির ডিড, ছটি বাড়ি-ফ্ল্যাট, পেট্রল পাম্প, রিসর্ট, ডাম্পার, অজস্র মোটরবাইক, চারচাকা, সোনা, নগদ উদ্ধার হয়েছে। দ্রুত আরও সম্পত্তি উদ্ধার হতে চলেছে বলে তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন।

    আরও পড়ুন: ফের সাতদিনের সিবিআই হেফাজতে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন

    তাঁদের অনেকের প্রশ্ন, যদি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী এক পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকেই এত টাকা-সম্পত্তি উদ্ধার হয়, তা হলে আরও বড় চাঁইরা ধরা পড়লে কী পরিমাণ সম্পত্তি পাওয়া যাবে। গরুপাচার (Cattle smuggling) চক্রে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ গ্রেফতারি সামনের দিনে হতে চলেছে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে।

  • SSC Scam: তিনি ‘অজ্ঞ’, সব জানেন শিক্ষাসচিব, সিবিআইকে জানিয়ে এলেন পার্থ

    SSC Scam: তিনি ‘অজ্ঞ’, সব জানেন শিক্ষাসচিব, সিবিআইকে জানিয়ে এলেন পার্থ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মজার কাণ্ড সিবিআই (CBI) দফতরে। হেসেই লুটোপুটি তদন্তকারীরা। এমনও হতে পারে? কিন্তু এমনই হয়েছে। 

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) নির্দেশে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Recruitment Scam) তদন্তে নেমে দুদফায় জেরা করা হয় শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee)। পার্থবাবু তদন্তকারীদের জানিয়ে এসেছেন, তিনি অজ্ঞ, এসএসসি চাকরি কীভাবে হয়েছে তা কিছুই জানেন না। কারণ এসএসসি স্বশাসিত সংস্থা, মন্ত্রীকে কিছু জানানোর প্রশ্নই ওঠে না। তবে এখানেই শেষ হচ্ছে না হাসির কারণ। তদন্তকারীরা দলিল-দস্তাবেজ খুলে বসতেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী জানিয়ে দেন, তিনি নন, সব জানেন স্কুল শিক্ষাসচিব (State education secretary)। এত কাণ্ড যে হয়েছে তা তাঁর জানাই ছিল না।

    পার্থবাবুর মুখে একথা শুনে মুচকি হাসি দেখা যায় তদন্তকারীদের মুখে। আপাতত দুদফায় জেরা করা হয়েছে তাঁকে। তার মাঝেই সিবিআইয়ের হাতে এসেছে আরও তথ্য। সে সব সামনে রেখে ফের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে জেরা করা হবে বলে তদন্তের গতি-প্রকৃতির খবর যাঁরা রাখছেন, তাঁদের একাংশ জানাচ্ছেন। শিক্ষামহলের একাংশ অবশ্য এও দাবি করছেন, এসএসসি দুর্নীতির যাবতীয় দায় শিক্ষাসচিবের উপর চাপিয়ে দিয়ে পার্থবাবু আসলে শিক্ষা দফতরের বর্তমান হর্তা-কর্তাদের দিকেই ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: এসএসসি মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিস, শান্তিপ্রসাদের বাড়িতে সিবিআই

    কারণ আদালতে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির আসা ইস্তক বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছেন। তা হল, তাঁর আমলে এসব কিছু হয়নি। এমনকি আদালতে দাঁড়িয়ে সরকার বেনিয়মের প্যানেল বাতিল পর্যন্ত করতে উদ্যত হয়েছিল। যা এক প্রকার নিয়োগে দুর্নীতি মেনে নেওয়ারই সামিল। এর অর্থ বর্তমান শিক্ষা দফতরের কর্তারা দুর্নীতির দায় পুরনো মন্ত্রী-আমলাদের উপরই চাপিয়ে দিতে চাইছেন বলে বোকাসোকা মানুষেরাও বুঝতে পারছেন। 

    সেই কারণেই কি সিবিআইয়ের সামনে গিয়ে নিজের দায় ঝেরে ফেলে শিক্ষাসচিব মনীশ জৈনের (Manish Jain) সরকারি দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে এসেছেন প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী? তদন্তকারীদের একাংশ সূত্রে পাওয়া গিয়েছে, নিয়োগ যে একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া সে কথাও ঠারেঠোরে বোঝাতে চেয়েছেন পার্থবাবু। অর্থাৎ, শিক্ষামন্ত্রী বদলানোর সঙ্গেই দায় কেউ বয়ে নিয়ে যান না, সেই পদে যাঁরাই বসে থাকেন তাঁদেরও সমান দায়ভার থেকে যায়। বিকাশ ভবনে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কানেও এ কথা পৌঁছেছে। তিনি ‘কাগজপত্র’ সামলাতে বিশেষ সতর্কতাও নিয়েছেন। ঘনিষ্ঠ মহলে নাকি জানিয়েছেন, লক্ষ লক্ষ বেকার ছেলেমেয়েদের চাকরি নিয়ে দুর্নীতি হয়ে থাকলে তা সমর্থনযোগ্য নয়।

    আরও পড়ুন: কয়লা, গরুপাচার, এসএসসি দুর্নীতির তদন্তরত অফিসারকে কেন সরিয়ে দিল সিবিআই?

    তবে শুধু পার্থবাবু নন, নিয়োগ সংক্রান্ত তদারক কমিটির সদস্যরাও সিবিআইয়ের ‘বন্ধু’ হওয়ার চেষ্টাই করছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তদন্তকারীদের সামনে তাঁদের সকলের আকুতি, সহযোগিতা করছি, কিন্তু আমাদের যেন বেশি টানাটানি না করা হয়। সরকারের আইনজীবীরা বার বার সিবিআইয়ের তলব পাওয়া অফিসারদের পাখি পড়া করে পাঠাচ্ছেন, কোনও প্রশ্নেরই যেন জবাব দেবেন না। সূত্রের খবর, কিন্তু তদন্তের শুরুতে তাঁরা সেই চেষ্টা করলেও কাগজপত্র সামনে আনতেই তাঁদের ব্যবহার হয়ে যাচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাধ্য ছাত্রের মতো।

    যদিও সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে আদালত থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যেও নানা প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। আদৌ কি কিছু হবে? এসএসসি দুর্নীতির তদন্তরত এক কর্তার কথায়, ‘রাজ্য পুলিশের দারোগাদের তদন্ত শুরু হয় অভিযুক্তকে গ্রেফতারি দিয়ে। তার পর নথি সংগ্রহ শুরু হয়। সিবিআই তদন্তের ধারা সম্পূর্ণ বিপরীত। এখানে তদন্ত শেষ করে গ্রেফতারি হয়। রাজ্যের লক্ষ লক্ষ প্রতারিত পরীক্ষার্থীকে বিচার দেওয়ার ভার দিয়েছে আদালত। সেই কাজ নিখুঁতভাবে করতে একটু সময় লাগবে।’

    (স্কুল শিক্ষা সচিব মনীশ জৈন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে তদন্তকারী কমিটির সামনে কী বলেছেন তা মাধ্যম আগামীকাল জানাবে।) 

     

  • Suvendu Adhikari: কেন্দ্রের চাপে ‘বাংলা’ সরে ফের বসছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম? ট্যুইট শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: কেন্দ্রের চাপে ‘বাংলা’ সরে ফের বসছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম? ট্যুইট শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যবাসীকে বোকা বানাতে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম নিজেদের নামে চালানোর চেষ্টা করেছিল। এখন কেন্দ্রের গুঁতোয় ফের নিজেদের দেওয়া নাম বাংলা আবাস যোজনা (Bangla Awaas Yojana) প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে মমতা সরকার। ট্যুইট করে এমনটাই জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    এই প্রেক্ষিতে, তিনি বিডিওদের পাঠানো একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের স্ক্রিনশট শেয়ার করেন। সেখানে জেলাশাসকের তরফে বিডিওদের স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়িতে উপযুক্ত লোগো যেন আঁকা থাকে তা যেন নিশ্চিত করা হয়। 

    [tw]


    [/tw]

    শুভেন্দু ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘বিডিওদের এই জরুরি বার্তা পাঠিয়েছেন জেলাশাসক। তাতে কেন্দ্রীয় দলের পরিদর্শনের আগে বিডিওদের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ‘সঠিক’ নাম ও লোগো সাঁটতে বলা হয়েছে। সেই লোগোও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ এভাবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু। তাই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের বিডিওর কথা না শুনে নিজেদের ইচ্ছামতো প্রকল্পের বাড়ি পরিদর্শনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: বাংলা আবাস যোজনা নাম মুছলে তবেই মিলবে টাকা, রাজ্যকে জানিয়ে দিল কেন্দ্র

    কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে দিয়ে সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে রাজ্য সরকার। এমন অভিযোগে বারবার সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে জানানো হয়েছিল, আবাস যোজনায় প্রধানমন্ত্রীর নাম যুক্ত না করলে কেন্দ্র এই প্রকল্পে আর টাকা দেবে না। 

    সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদদের একটি প্রতিনিধি দল আবাস যোজনার বাড়ির বরাদ্দ কেন রাজ্যে আসছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের (Giriraj Singh) দ্বারস্থ হয়েছিল। মন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগে বাংলা আবাস যোজনা নামটি বাতিল করলে ফের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা করা হোক, তার পরেই টাকা দেওয়ার প্রশ্ন আসবে। এমনকি, কেন্দ্রের নতুন প্রকল্প ‘আবাস প্লাস’ বাবদও বাংলাকে কোনও টাকা দেওয়া হবে না বলে জানায় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক।
     
    ২০১৭ সালের ২১ অগাস্ট এবং ২০২২ সালের ১২ মে রাজ্য সরকারকে দুটি চিঠি পাঠিয়ে একথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তৃণমূল প্রতিনিধি দলকে জানিয়ে দেন। বলা হয়, রাজ্য পঞ্চায়েত দফতর অবশ্য কেন্দ্রের চিঠির কোনও জবাব দেয়নি। বাংলা আবাস যোজনার নাম বদল করা হবে, সে কথাও জানায়নি। 

    আরও পড়ুন: কেন ১০০ দিনের কাজে রাজ্যের টাকা আটকেছে কেন্দ্র? রইল ৮ কারণ

  • PMAY-G: বাংলা আবাস যোজনা নাম মুছলে তবেই মিলবে টাকা, রাজ্যকে জানিয়ে দিল কেন্দ্র

    PMAY-G: বাংলা আবাস যোজনা নাম মুছলে তবেই মিলবে টাকা, রাজ্যকে জানিয়ে দিল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PMAY-G) নাম বদলে রাজ্য সরকার নাম দিয়েছে বাংলা আবাস যোজনা। কিন্তু এই নাম ফের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা না করলে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও টাকা দেবে না। যতক্ষণ না দেশের প্রধানমন্ত্রীর নামে এই প্রকল্পের নাম ফের বদল হচ্ছে ততক্ষণ রাজ্যে আবাস-প্লাস প্রকল্পে একটি ঘরও আসবে না। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রেই এখবর জানা গিয়েছে।

    সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদদের একটি প্রতিনিধি দল আবাস যোজনার বাড়ির বরাদ্দ কেন রাজ্যে আসছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের (Giriraj Singh) দ্বারস্থ হয়েছিল। মন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগে বাংলা আবাস যোজনা (Bangla Awaas Yojana) নামটি বাতিল করলে ফের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা করা হোক, তার পরেই টাকা দেওয়ার প্রশ্ন আসবে। 

    ২০১৭ সালের ২১ অগাস্ট এবং ২০২২ সালের ১২ মে রাজ্য সরকারকে দুটি চিঠি পাঠিয়ে একথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তৃণমূল প্রতিনিধি দলকে জানিয়ে দেন। রাজ্য পঞ্চায়েত দফতর অবশ্য কেন্দ্রের চিঠির কোনও জবাব দেয়নি। বাংলা আবাস যোজনার নাম বদল করা হবে, সে কথাও জানায়নি। তার জেরে রাজ্যের প্রায় ১০-১২ লক্ষ গরিব মানুষ বাড়ি পাচ্ছেন না বলে দাবি করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। 

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারীর কথায়,“পশ্চিমবঙ্গ তো দেশের বাইরে নয়। যদি সারা দেশে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা চলতে পারে, তা হলে পশ্চিমবঙ্গে তার নাম কেন বদল হবে। আসলে রাজ্য সরকারের ম্যাচিং গ্রান্ট দেওয়ার টাকা নেই, সেই কারণে গরিব মানুষের পাকা বাড়ি তৈরি্র যে স্বপ্ন নরেন্দ্র মোদিজি (Modi) দেখিয়েছেন এ রাজ্যে তা পূরণ করতে দিচ্ছেন না মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়।” রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের এক কর্তা জানান, বাংলা আবাস যোজনা নাম বদলাতে রাজি নয় নবান্ন। সেই কারণেই জটিলতা অব্যাহত রয়েছে।

    এইভাবে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নামবদল করেছে মমতা প্রশাসন

     

    কেন পাকা বাড়ির টাকা পাচ্ছে না রাজ্য?

    গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক সূত্রের দাবি, গত ১২ মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রকে চিঠি লিখে জানান, ২০১৬-১৭ সাল থেকে রাজ্য সরকার ৩২ লক্ষ বাড়ি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় তৈরি করেছে। দেশে এই প্রকল্পে প্রথম হয়েছে রাজ্য। তারপরেও কেন টাকা আটকে রাখা হয়েছে। মন্ত্রক জানাচ্ছে, ২০১১ সালের আর্থ সামাজিক জাতি সমীক্ষার পর বাংলায় ৩৪ লক্ষ ৭৮ হাজার ৬০৮টি পাকা বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৩৪ লক্ষ ৮৮ হাজার। এই প্রকল্পে রাজ্যের তহবিলে ১৩৩৮ কোটি টাকা পড়ে রয়েছে। গত ২৪ মার্চেও আবাস যোজনার জন্য ৬৮৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার সব কাজ শেষ করতে এই টাকা যথেষ্ঠ। 

    কেন রাজ্য সরকার ম্যাচিং গ্রান্টসহ উপভোক্তাদের টাকা পাঠাচ্ছে না সেই প্রশ্নও তুলেছে কেন্দ্রীয় কর্তারা। তবে ২০২১-২২ সাল থেকে আবাস-প্লাস (Awaas+) নামে নতুন প্রকল্প শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমেও আরও অন্তত ১০-১২ লক্ষ পরিবার পাকা বাড়ি হবে। কিন্তু ন্যাশনাল লেভেল মনিটররা রাজ্যে এসে এই প্রকল্পে ভুরি ভুরি অভিযোগ পেয়েছেন। কাটমানি খাওয়া, পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আবার তাদের বাড়ি দেওয়া, রাজনৈতিক রং দেখে বাড়ি দেওয়া এবং পর্বত প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগের সঙ্গে দেখা যায় নাম বদলে দেওয়ার ঘটনাও।

    আরও পড়ুন: কেন ১০০ দিনের কাজে রাজ্যের টাকা আটকেছে কেন্দ্র? রইল ৮ কারণ

    কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন সচিব রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ২২ এপ্রিল, ২৫ এপ্রিল দুটি ডিও লেটার লিখে প্রকল্পের অনিয়মের ব্যাপারে ১ মে-র মধ্যে জবাব চেয়েছিলেন। তার কোনও জবাব দেয়নি রাজ্য। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক (Ministry of Finance) কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল হলে তার টাকা না দেওয়ার কথাও রাজ্যগুলিকে জানিয়ে রেখেছে। তার পরেও নবান্ন (Nabanna) কোনও পদক্ষেপ করেনি। ফলে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকও (Ministry of Urban Development) জানিয়ে দিয়েছে বাংলা আবাস যোজনা বদলে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা করলে তবেই মিলবে গ্রামে পাকা বাড়ির তৈরির বরাদ্দ।

  • Howrah Violence: বিজেপিকে রুখতে অতিসক্রিয় পুলিশ! হাওড়া যাওয়ার আগেই ‘গৃহবন্দি’ সুকান্ত 

    Howrah Violence: বিজেপিকে রুখতে অতিসক্রিয় পুলিশ! হাওড়া যাওয়ার আগেই ‘গৃহবন্দি’ সুকান্ত 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্তি হল টানা দু’দিন। সড়ক অবরোধ, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়াছুড়ি, বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙচুর। তার পরেও ঢাল-তরোয়াল নিয়ে পুলিশ রইল দাঁড়িয়ে। এহেন ‘নিধিরাম সর্দার’ পুলিশই অতিসক্রিয় হয়ে উঠল শনিবার। ভাঙচুর হওয়া পার্টি অফিসের হাল দেখতে যখন পথে নামলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), বাহাদুরি কুড়নোর আশায় তখন তাঁর পথ আগলাল সেই পুলিশই। পুলিশের বিরুদ্ধে গৃহবন্দি করে রাখার অভিযোগ সুকান্তর।

    আরও পড়ুন :”ফের বাংলার মানুষকে বোকা বানালেন মুখ্যমন্ত্রী!” কী প্রসঙ্গে বললেন সুকান্ত?

    অগ্নিগর্ভ হাওড়া। বিক্ষোভকারীদের রোষের আগুনে পুড়েছে দোকান, পুলিশের কিয়স্ক। ভাঙচুর করা হয়েছে বিজেপির পার্টি অফিস। দু’দিন ধরে প্রতিবাদীদের তাণ্ডব চললেও, প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। হাওড়ার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শনিবার সকালে বাড়ি থেকে রওনা দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি যখন নিউটাউনের বাড়ি থেকে বের হচ্ছিলেন, তখনই তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ। তড়িঘড়ি তাঁর বাড়ির সামনে বসিয়ে দেওয়া হয় গার্ড রেল। মোতায়েন করা হয় পুলিশ। পুলিশের এই অতিসক্রিয়তায় ক্ষোভ উগরে দেন সুকান্ত। বলেন, “পদাধিকারী হিসেবে হাওড়ায় ভাঙচুর হওয়া পার্টি অফিসে যাওয়া আমার কর্তব্য। কিন্তু কোনও কাগজপত্র ছাড়াই আমাকে আটকে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, পুলিশ কোনও কারণ দেখাতে পারেনি। বলেছে, হাওড়ায় ১৪৪ ধারা জারি। কিন্তু হাওড়া আমার বাড়ি থেকে অনেক দূর। ১১টা নাগাদ যখন আমি বাড়ি থেকে বেরতে গিয়েছিলাম, তখনই আমাকে আটকে দেওয়া হয়। কেন আমাকে বাড়ির মধ্যে বন্দি করে রাখা হল, বুঝতে পারছি না।”

    [tw]


    [/tw]

    হাওড়ার ঘটনায় রাজ্য সরকারকে আক্রমণ শানান সুকান্ত। বলেন, “মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায় তিন দিন ধরে বসে আছেন। কোনও পদক্ষেপ করেনি। তিনি তাঁর প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি কোনও পদক্ষেপ করলে আজ এই পরিস্থিতি তৈরি হত না। ঝাড়খণ্ডে প্রতিবাদ হয়েছে। কিন্তু পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের উচিত ছিল লাঠিচার্জ করা।

    সুকান্তকে আটকানো হলেও, এদিন পাঁচলা গিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। ভাঙচুর হওয়া পার্টি অফিস ঘুরে দেখেন তিনি। হাওড়ার (Howrah) অশান্তির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনিও। দিলীপের অভিযোগ, হাওড়া থেকে মালদহ-মুর্শিদাবাদ পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় যে অশান্তি হচ্ছে, সরকার তা থামানোর চেষ্টা করছে না। এ রাজ্যের বিরাট এলাকার মানুষ অ-সুরক্ষিত। তাঁর অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে হিংসা চালানো হচ্ছে হাওড়ায়। তার পরেও পুলিশ তা আটকায়নি।

    সুকান্তের মতোই এদিন পাঁচলা যাওয়ার পথে আটকে দেওয়া হয়েছে বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের (Priyanka Tibrewal) গাড়ি। কিছুক্ষণ পরেই অবশ্য ছেড়ে দেওয়া হয়। ১৪৪ ধারা জারির কথা বলে পাঁচলায় তাঁকে ফের আটকায় পুলিশ। এলাকার একটি ক্লাবঘরে বসে পড়েন প্রিয়ঙ্কা। প্রসঙ্গত, এই প্রিয়ঙ্কাই ভবানীপুর উপনির্বাচনে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বাজি ছিলেন বিজেপির। এদিকে, রবিবার ভাঙচুর হওয়া পার্টি অফিস পরিদর্শনে যাবেন শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারী। এদিন নিজেই ট্যুইট করে এ কথা জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। 

    [tw]


    [/tw]

     

  • Calcutta High Court DA case: ডিএ বকেয়া থাকায় ২ রাজ্য সরকারি কর্তার বেতন বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court DA case: ডিএ বকেয়া থাকায় ২ রাজ্য সরকারি কর্তার বেতন বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে একাধিকবার। তার পরেও মেটানো হয়নি কর্মীদের ডিএ (DA)। সেই কারণে এবার রাজ্যের দুই বিদ্যুৎ (electricity) সংস্থা পিডিসিএল (PDCL) এবং এসিডিএসএলের (ACDSL) বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ওই দুই সংস্থার কর্তাদের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত। যতদিন না কর্মীদের বকেয়া ডিএ-র পাঁচভাগের একভাগ মেটানো হচ্ছে, ততদিন বেতন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    রাজ্যের দুই বিদ্যুৎ সংস্থা পিডিসিএল এবং এসিডিএসএলের কর্মীরা তাঁদের বকেয়া ডিএ দেওয়া হচ্ছে না বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ জানাচ্ছিলেন। তার পরেও মহার্ঘ ভাতা না মেলায় আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা। এই অভিযোগের ভিত্তিতে কর্মীদের ডিএ মেটানোর সময় বেঁধে দিয়েছিল আদালত। সেই সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় এবার কর্তাদের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

    আরও পড়ুন : হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট, রক্ষাকবচের জন্য ছুটছেন মন্ত্রী পার্থ, কিন্তু পাবেন কি?

    এই মামলায় আদালতের নির্দেশ ছিল, বকেয়া ডিএ-র পাঁচভাগের এক ভাগ মিটিয়ে দিতে হবে কর্মীদের। তা না মেটানোয় রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের জেনারেল ম্যানেজার ও দুই সংস্থার সিএমডি-র বেতন বন্ধের নির্দেশ দেয় আদালত। এদিন আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, যতদিন না কর্মীদের বকেয়া ডিএর পাঁচ ভাগের একভাগ মেটানো হচ্ছে, ততদিন বেতন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে নির্দেশ পালনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।

    আদালতের নির্দেশে ২০১৯ ও ২০২০ সালের বকেয়া ডি এ-র পাঁচ ভাগের এক ভাগ মিটিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা না দিয়ে শুধু ২০১৯ সালের বকেয়ার এক পঞ্চমাংশ দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালের নতুন রোপা রুল (রিভিশন অব পে অ্যান্ড অ্যালাওয়েন্সেস) অনুযায়ী বকেয়া ডিএ হিসাব করে তার এক পঞ্চমাংশ দেওয়া হল না কেন, সে প্রশ্ন তোলে আদালত।

    আরও পড়ুন : বেনজির বিক্ষোভের সাক্ষী হাইকোর্ট, এবার তৃণমূলের রোষে খোদ বিচারপতি

    এর পরেই এদিন দুই সংস্থাকে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি বলেন, টাকার জন্য কাঁদছে। অবাক লাগে। তাঁর প্রশ্ন, বাদাম খাওয়ার টাকা দিয়েছেন নাকি? সংস্থার কর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কর্মীরাও মানুষ। তাঁরা এন্ট্রি খাতা নন। তাঁদের ছাড়া সংস্থা চলে না। ঠিক মতো ব্যবহার করুন।

    এর আগের শুনানিতে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, ২৩ জুনের মধ্যে দুই সংস্থার প্রায় ২০ হাজার কর্মীর বকেয়া ডিএ-র পাঁচভাগের একভাগ মিটিয়ে দিতে হবে। বকেয়া মেটানোর পরের দিন আদালতে এসে নির্দেশ পালন হয়েছে কিনা, তাও জানাতে বলা হয়েছিল। সময় দেওয়া হয়েছিল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। সেই কারণেই শুক্রবার হয় ওই মামলার শুনানি।

     

  • Primary TET: প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলায় সিবিআইকে ‘সিট’ গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Primary TET: প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলায় সিবিআইকে ‘সিট’ গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ (TET) দুর্নীতি মামলায় সিবিআইকে এবার সিট গঠনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। টেটে বেআইনি নিয়োগের পর্দা ফাঁস করতে হাইকোর্টের নির্দেশ, আদালতের নজরদারিতে পুরো ঘটনার তদন্ত চালাবে সিবিআই (CBI)। এর জন্য দক্ষ অফিসারদের নিয়ে একটা বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠন করতে হবে। কলকাতার একজন যুগ্ম অধিকর্তাকেও এই টিমে রাখতে হবে। কাদের নিয়ে সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হল, তার পুরো তালিকা আদালতে শুক্রবার জমা দিতে হবে। 

    আদালত জানিয়েছে, যতদিন না প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত শেষ হচ্ছে, ততদিন এই সিটের কোনও সদস্যকে অন্য কাজে নিযুক্ত করা যাবে না। করা যাবে না বদলিও। মোট ১২ থেকে ১৩ জনকে এই সিটে রাখতে হবে বলেও জানিয়েছে হাইকোর্ট। গোয়েন্দা তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangyopadhyay) বলেন, সিবিআইয়ের গতি শ্লথ। তারা দ্রুত কাজ করুক। সাধারণ মানুষ তদন্তের অপেক্ষায় আছে।

    আরও পড়ুন: চাকরি গেল ২৬৯ জনের! প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলাও গেল সিবিআই-এর কাছে

    প্রাথমিক টেট মামলায় এদিনই রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী জানান, এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মামলা। গুরুত্ব দিয়েই তদন্ত করছে সিবিআই। তখন বিচারপতি জানান, গত নভেম্বর থেকে আপনাদের কাজে কোনও গতি নেই কেন? আমি এই দুর্নীতির শেষ দেখতে চাই। সংবাদমাধ্যম দারুণ কাজ করছে। আমি সারদা , নারদ চাই না। তখন সিবিআই আইজীবী বলেন, ত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণভাবে এই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। আমরা আমাদের কাজে প্রচণ্ড সিরিয়াস। মিডিয়া আমাদের গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই দুর্নীতির শিকড়ে যাব।

    এরপরই এজলাসে প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাসকে (Upendra Biswas) ডাকেন বিচারপতি। উপেন বিশ্বাসের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরই চন্দন ওরফে রঞ্জনের নামে এফআইআর করে সিবিআই। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, উপেন বিশ্বাস আপনি সামনে আসুন। আপনি তো এক সময় জয়েন্ট ডিরেক্টর (CBI Joint Director) ছিলেন। আপনার পরামর্শ কী? সিবিআই কি তাদের কাজে ওয়াকিবহাল? আপনি মোবাইলে লাইভ করলেন। পুলিশে অভিযোগ করলেন না কেন?

    উপেন বিশ্বাস তখন বলেন, আমি সিবিআই-এর সঙ্গে সহযোগিতা করব। ওদের লোকসংখ্যা কম। সিবিআই অধিকর্তাকে অনেক বেশি দায়িত্ব নিতে হবে। এই দুর্নীতির কিংপিন একজন নয়। এই কেসে সিট গঠন করা হোক। সিট রিপোর্ট দিক। তারপর পরবর্তী নির্দেশ হবে।

    আরও পড়ুন: এসএসসি দুর্নীতিতে কোটি কোটি টাকার লেনদেন! গেছে কার পকেটে? তদন্তে ইডি

    বিচারপতি তখন বলেন, আপনি একসময় মন্ত্রী ছিলেন। তারপর আপনি সৎ রঞ্জন-এর পরিচয় দিচ্ছেন! উপেন বিশ্বাস তখন বলেন, আমি আমার বাবার নামে শপথ নিয়ে বলছি, রঞ্জন-ই চন্দন। যিনি সৎ পথে টাকা নিয়ে অযোগ্যদের চাকরি দেন। উপেন আরও বলেন, আপনি আমায় যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করব।

    এই প্রেক্ষিতেই উপেন বিশ্বাস বলেন, রঞ্জন হচ্ছে মাঝের মাকড়শা। তাকে ধরেই ওপরে উঠতে হবে। তাহলে বৃহত্তর এই ষড়যন্ত্রের পেছনে যারা বড় মাথা আছে তাদের কাছে পৌঁছানো যাবে। এখানে দুর্নীতি হয়েছে সাজিয়ে গুছিয়ে। আমি যে ভিডিওটা আপলোড করেছি ওটা প্রথম পর্ব। পরে আরও তথ্য আছে। আমি দুর্নীতির শেষ দেখতে চাই।

    সব শুনে বিচারপতি সিবিআইকে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের নির্দেশ দেন। 

  • CBI Quizzes Rujira Banerjee: কয়লাকাণ্ডে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের, করা হল কোন প্রশ্ন?

    CBI Quizzes Rujira Banerjee: কয়লাকাণ্ডে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের, করা হল কোন প্রশ্ন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার কাণ্ডে (Coal Smuggling Scam) এবার তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Rujira Banerjee) জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের (CBI)। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ অভিষেকের কলকাতার বাড়ি শান্তিনিকেতনে হাজির হন কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এদিন সিবিআইয়ের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যান রুজিরা বাড়িতে। এই চারজনের মধ্যে দুজন মহিলা। এদিকে, এদিনই প্রচারের কাজে ত্রিপুরা গিয়েছেন অভিষেক।  

    কয়লা, গরুপাচার, এসএসসি দুর্নীতির তদন্তরত অফিসারকে কেন সরিয়ে দিল সিবিআই?

    সিবিআই সূত্রে খবর, এদিন রুজিরাকে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করা হয়। তার মধ্যে ছিল কয়লা পাচারের টাকা কোন কোন ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে গিয়েছিল? কোন কোন প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা এসেছিল? কারা লাভবান হয়েছেন?

    সম্প্রতি অভিষেক ও রুজিরাকে চিঠি দিয়েছিল সিবিআই। ওই চিঠিতে গোয়েন্দারা জানতে চান, তাঁরা কবে সিবিআইয়ের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন? সেই চিঠির উত্তর পেয়েই এদিন সটান শান্তিনিকেতনে হাজির হয় সিবিআই।

    সিবিআইয়ের এদিনের জেরার আগে দিল্লিতে ইডি-র জেরার মুখে পড়েছিলেন অভিষেক। সেবার তাঁকে মূলত কয়লা পাচারকাণ্ডের টাকাপয়সার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়।

    আরও পড়ুন : এবার কয়লা পাচারকাণ্ডে তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লাকে তলব সিবিআইয়ের

    কয়লাপাচার কাণ্ডে জেরা করতে অভিষেক ও তাঁর স্ত্রীকে দিল্লিতে তলব করেছিল সিবিআই।এর পরেই দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। তিনি জানিয়েছিলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সন্তানদের ছেড়ে দিল্লিতে গিয়ে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হওয়া সম্ভব নয় রুজিরার পক্ষে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সেই আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়। এর পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, অভিষেক ও তাঁর স্ত্রীকে জেরা করা হোক কলকাতায়। সেই মতো এদিন তাঁর বাড়িতে হাজির হয় সিবিআই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিবিআই কর্তা বলেন, মামলার বিষয়ে আমরা কিছু নতুন তথ্য পেয়েছি। তার জন্য ফের রুজিরার বক্তব্য রেকর্ড করার প্রয়োজন রয়েছে।

    প্রসঙ্গত, কয়লা পাচারকাণ্ডে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হল রুজিরাকে। এর আগে চলতি বছরের মার্চ মাসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিষেক-পত্নী।

     

     

  • Partha Chatterjee: অ্যারেস্ট মেমোয় মমতার নাম-নম্বর লিখলেন কেন পার্থ? জড়িয়ে দিতে নাকি বিপদের বন্ধু হিসাবে

    Partha Chatterjee: অ্যারেস্ট মেমোয় মমতার নাম-নম্বর লিখলেন কেন পার্থ? জড়িয়ে দিতে নাকি বিপদের বন্ধু হিসাবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি কেলেঙ্কারিতে (SSC scam) ইডি’র (ED) হাতে গ্রেফতারির সময় অ্যারেস্ট মেমোয় (Arrest Memo) মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ও মোবাইল নম্বর লিখে দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। যা নিয়ে তোলপাড় তৃণমূলের অন্দরের রাজনীতি। শুধু নাম লেখাই নয়, গ্রেফতারির রাতে ২টো থেকে সকাল পর্যন্ত অন্তত চার বার মুখ্যমন্ত্রীকে ফোনও করেছিলেন পার্থবাবু। এখানেই শেষ নয়। পরের দিন স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানিয়েও দেন, মুখ্যমন্ত্রীকে ফোনে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে পারেননি তিনি।

    ইডির জেরার মুখে পার্থবাবু যে দিব্যি সচেতন রয়েছেন তা তদন্তকারী সংস্থা আদালতেই জানিয়েছে। তল্লাশি ও জেরা পর্বে পার্থবাবুর আইনজীবীও সঙ্গে ছিলেন। ফলে অ্যারেস্ট মেমোয় মুখ্যমন্ত্রীর নাম জুড়ে দেওয়া নেহাৎই কাকতালীয় নয় বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট পক্ষ। পার্থবাবুর ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, স্ত্রী ও মা মারা যাওয়ার পর নাকতলার বাড়িতে একাই থাকতেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর মেয়ে-জামাই বিদেশে থাকেন। ফলে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া তাঁর নিকটতম আর কেই বা আছেন? মুখ্যমন্ত্রীর ডাকেই তো তিনি চাকরি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি দলের মহাসচিব, ফলে দল এসএসসি কেলেঙ্কারির পর তাঁকে ছেড়ে দিতে চাইলেও তিনি তো দল ছাড়তে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে তৃণমূলে তাঁর একমাত্র যোগসূত্র রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অ্যারেষ্ট মেমোয় তাঁর নাম সেই কারণেই দিয়েছেন বলে পার্থবাবুর ঘনিষ্ঠ আইনজীবীরা মাধ্যমকে জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: হুইল চেয়ারে আইসিসিইউ রোগী! পার্থকে দেখে বিস্মিত হৃদরোগ চিকিৎসকদের একাংশ

    অনেকে আবার এরমধ্যে রাজনীতিও খুঁজছেন। তাঁদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিক্ষক নিয়োগ (Teacher Recruitment) নিয়ে বিধায়কদের মধ্যে যে কোটা ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল তা এখন দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট। কয়েক জন বিধায়কের প্যাডে সই করা চাকরি প্রার্থীদের নামের তালিকা আদালতে পর্যন্ত জমা পড়েছে। পার্থবাবুর ঘনিষ্ঠদের দাবি, শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ নিয়ে যা হয়েছে তা দলের সর্বোচ্চস্তরের সিদ্ধান্ত ছিল। গত নভেম্বরে যখন প্রথম কলকাতা হাইকোর্ট এ নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু করে তখনই পার্থবাবু অশণি সঙ্কেত দেখেছিলেন। দলও সেই সময় থেকে পার্থবাবুর সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে থাকে। এমনকি বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও পার্থবাবুর ভূমিকা সেভাবে চোখে পড়েনি।

    তৃণমূলের দলীয় সূত্রের খবর, পরিস্থিতি বেগতিক বুঝতে পেরে পার্থবাবু দলের অন্দরে বার্তা দেন, যদি এসএসসি কেলেঙ্কারি নিয়ে দল তাঁর পাশে না দাঁড়ায় তা হলে তিনিও মুখ খুলতে বাধ্য হবেন। এর পর দলের তরফে আইন মন্ত্রী মলয় ঘটককে বিষয়টি নিয়ে তৎপর হতে বলা হয়। ঘটনাচক্রে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ের উপর কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিতাদেশ গিয়ে বিচারপতি রণজিৎ বাগ কমিটির তদন্ত রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দেয়। সেই কমিটির সামনে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা সচিব জানিয়ে দেন, সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও সিবিআই তদন্ত বজায় রাখে।

    আরও পড়ুন: কেন অমর্ত্য সেন নিচ্ছেন না বঙ্গবিভূষণ? বিদেশে থাকার জন্যই কি, না অন্য কারণ?

    পার্থবাবু ক্রমেই বুঝতে পারছিলেন চাকরি চুরির মামলায় তাঁর পরিণতি ভাল হবে না। ঘনিষ্ঠ মহলে বলেও রেখেছিলেন, যদি দলের সমর্থন না থাকে, তা হলে মুখ খুলতে বাধ্য হব। তাঁর কাছেও যে নবান্ন (Nabanna) থেকে পাঠানো তালিকা রয়েছে সে কথাও ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন অনেককেই। গ্রেফতারির পর অ্যারেস্ট মেমোয় মমতার নাম লিখে মহাসচিব শুধু মুখ্যমন্ত্রীকে জড়িয়েই নেননি, উল্টে পাল্টা চাপও তৈরি করেছেন। যার মোদ্দা কথা হল, শিক্ষক নিয়োগের কোটা পদ্ধতিতে টাকা তোলার সিদ্ধান্ত ছিল দলগত, তাই গ্রেফতারির নথিতেও সেই দাগ যেন রেখে গেলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। যদিও ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করে দিয়েছিলেন, জেনে বুঝে কেউ ভুল করলে শাস্তি পেতে হবে। তবে অজান্তে ভুল করলে শুধরে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত। অ্যারেস্ট মেমোয় মমতা জেনেবুঝে ভুল, নাকি অজান্তে ভুল তা ইডি যখন তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাবে তখনই স্পষ্ট হবে।

LinkedIn
Share