Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Black Fever: জেলায় বাড়ছে কালাজ্বরের প্রকোপ, সংক্রমিত ৬৫

    Black Fever: জেলায় বাড়ছে কালাজ্বরের প্রকোপ, সংক্রমিত ৬৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে ফের বাড়ছে কালাজ্বরের (Black Fever) প্রকোপ। গত কয়েক সপ্তাহে বাংলার ১১টি জেলায় কালাজ্বরে সংক্রমিত হয়েছেন ৬৫ জন। সংক্রমণ রুখতে নজরদারি চলছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের (Health department) এক শীর্ষ আধিকারিক। তিনি জানান, দার্জিলিং (Darjeeling), মালদহ (Malda), উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur), দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) এবং কালিম্পংয়ে এই জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি বলে জানান ওই আধিকারিক।

    উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গেও কালাজ্বরে সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও মুর্শিদাবাদের মতো জেলাগুলিতেও এই রোগে সংক্রমিতের খোঁজ মিলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কালাজ্বর ছড়ায় মাছি থেকে। রোগের উপসর্গ হল, জ্বর থাকবে ১৪ দিন ধরে। জ্বরের পাশাপাশি কমে যাবে খিদে, কমবে ওজন। চামড়া যাবে শুকিয়ে। রক্তাল্পতা ও বমি বমি ভাবের উপসর্গও থাকবে। সংক্রমিতের যকৃত বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, সময় মতো কালাজ্বর ধরা পড়লে দ্রুত রোগ নিরাময় সম্ভব। স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা জানান, জেলায় এই জ্বরের প্রকোপ বাড়লেও, কলাকাতায় এখনও সংক্রমিতের কোনও খবর মেলেনি। বিহার, উত্তর প্রদেশ এবং ঝাড়খণ্ডে যাঁরা দীর্ঘদিন ছিলেন, তাঁরাই এই জ্বরে সংক্রমিত হয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে আসা বেশ কয়েকজনের শরীরেও এই জ্বরের সংক্রমণ দেখা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন : কয়লা-কাণ্ডে ধৃত আরও এক ইসিএল কর্তা! ইডির দফতরে হাজিরা এড়ালেন তৃণমূল মন্ত্রী-বিধায়ক

    রাজ্য থেকে কালাজ্বর নির্মূল হয়ে গিয়েছিল বলে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। কিন্তু গত কয়েকদিনে ফের মিলছে সংক্রমিতের হদিশ। গত কয়েক দিনে ১১ জেলায় ৬৫ জনের শরীরে এই রোগের জীবাণু মিলেছে। সংক্রমণ রুখতে সরকার সব রকমের ব্যবস্থা নিয়েছে বলেও জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। কালাজ্বরে সংক্রমিতদের নিখরচায় চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথাও জানান রাজ্য সচিবালয়ের এক শীর্ষ আমলা। কোনও বেসরকারি ল্যাবরেটরি কিংবা হাসপাতালে পরীক্ষায় যদি কালাজ্বরের জীবাণুর হদিশ মেলে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। জ্বরে সংক্রমিতদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আমলা। তবে এই রোগে এখনও পর্যন্ত একজনের মৃত্যুর খবর মেলেনি বলেও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুন : মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে নয়া পদ্ধতি আবিষ্কার আইসিএমআর-এর

  • Mamata Banerjee: “দলের লোক হলে টেনে চারটে থাপ্পড় মারতাম”, জেলাশাসককে বলছেন মুখ্যমন্ত্রী!

    Mamata Banerjee: “দলের লোক হলে টেনে চারটে থাপ্পড় মারতাম”, জেলাশাসককে বলছেন মুখ্যমন্ত্রী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ভরা প্রশাসনিক সভায় জেলাশাসককে ‘টেনে চারটে থাপ্পড় মারতাম’ বলে মন্তব্য করছেন মুখ্যমন্ত্রী! এমন বেনজির আক্রমণের ও অসৌজন্যতার সাক্ষী থাকল রাজ্যবাসী। প্রকাশ্য সভায় একজন আইএএস অফিসার, পদস্থ আধিকারিকের উদ্দেশ্যে মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরণের ভাষা ব্যবহারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরা।

    তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী (chief minister) হওয়ার পর তিনদিনের জঙ্গলমহল সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার পুরুলিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক (Purulia administrative meet) ছিল। সেখানেই ঘটে যায় এই অনভিপ্রেত ঘটনা। এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে জেলায় ইটভাটা থেকে আদায় হওয়া রাজস্ব গায়েব হয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন এক তৃণমূল নেতা। জানান, কয়েকজনের পকেটে ঢোকে সেই টাকা। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসককে বলেন, ‘ডিএম, শুনতে পাচ্ছো? এগুলো তৃণমূল করেনি। করেছে প্রশাসনের নীচের তলার কর্মীরা। নিজেরাই টাকাটা খেয়ে নেয়। কী জেলা চালাচ্ছো তুমি? এতদিন জেলায় আছো। তোমার সম্পর্কে আমার ধারণাই বদলে গেল।’

    এরপরই জেলাশাসক রাহুল মজুমদারকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এত কিছু দিচ্ছি। তবু কয়েকজন কেন এত লোভি হয়ে গিয়েছে। আর কত চাই? আমার পার্টির লোক হলে টেনে চারটে থাপ্পড় মারতাম। তাদের আমি সব সময় শাসন করি।’ স্বাভাবিকভাবেই, মুখ্যমন্ত্রীর থেকে এধরনের কথা আশা করেননি, ফলে বেশ জড়সড় হয়ে বসে থাকতে দেখা যায় পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদারকে। কেন তিনি নীচু তলার কর্মীদের এ ধরনের আচরণ কেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না, সে প্রশ্নও এ দিনের প্রশাসনিক বৈঠকে শুনতে হয়েছে জেলাশাসককে।

    মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের নিন্দা করে রাজ্যসভার সাংসদ তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ফেসবুকে লিখেছেন, ‘একজন জেলা শাসক, অবশ্যই আইএএস। তাঁকে প্রকাশ্য সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমার দলের হলে টেনে এক থাপ্পড় মারতাম। এই না হলে মুখ্যমন্ত্রী! মুখ্যসচিব বা মুখ্যপরামর্শদাতা কি অপেক্ষা করছেন দুই থাপ্পড়ের অপেক্ষায়? হায় রে আত্মমর্যাদা বোধ! গুন্ডারানিকে এত ভয়?’

  • Raju Bista: জিটিএ নির্বাচন অবৈধ, রুখবই! সাফ জানালেন রাজু বিস্ত

    Raju Bista: জিটিএ নির্বাচন অবৈধ, রুখবই! সাফ জানালেন রাজু বিস্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জিটিএ নির্বাচন (gta election) রুখবই। শুক্রবার জোর গলায় জানিয়ে দিলেন পাহাড়ের সাংসদ বিজেপির রাজু বিস্ত (Raju Bista)। জিটিএ নির্বাচনকে অবৈধও ঘোষণা করেন রাজু। এদিনই শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য সরকার (Bengal govt)। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এহেন মন্তব্য রাজুর।

    ২৬ জুন জিটিএ নির্বাচন হওয়ার কথা। জিটিএ ভোটের বিরোধিতায় পাহাড়ের সিংমারিতে অনশন করছেন মোর্চা নেতা বিমল গুরুং (Bimal Gurung)। বিমলের সুরে সুর মিলিয়ে জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতা করলেন এবার রাজুও। তিনি বলেন, জিটিএ নির্বাচন অবৈধ। কারণ হিসেবে রাজু বলেন, জিটিএ চুক্তি ছিল ত্রিপাক্ষিক। তাই কেন্দ্র এবং চুক্তির একটি পক্ষ মোর্চাকে এড়িয়ে এক তরফা নির্বাচন করা যাবে না।

    আরও পড়ুন : আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনে অ্যাডভান্টেজ বিজেপি, শক্তি খোয়াবে কংগ্রেস?

    এদিন শিলিগুড়ির নকশালবাড়িতে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছিলেন রাজু। সেখানেই জিটিএ নির্বাচনের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। বিজেপি সাংসদ বলেন, আগে পাহাড় সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত। কয়েক দশক ধরে পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয় না। কার্শিয়াং ও কালিম্পং পুরসভার নির্বাচন এখনও বাকি। এমতাবস্থায় এসবে নজর না দিয়ে রাজ্য সরকার গায়ের জোরে জিটিএ নির্বাচন করিয়ে নিতে চাইছে। তাঁর অনুগামীদের পাহাড়ের মসনদে বসাতে চাইছেন। আমি এসব নিয়ে দিল্লিকে রিপোর্ট দিচ্ছি। সর্বশক্তি দিয়ে এই নির্বাচন রুখব। তাঁর মতে, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিটিএ নির্বাচন করিয়ে একটি অবৈধ বিষয়কে টেনে তোলার চেষ্টা করছে রাজ্য। রাজ্য সরকারের এই চেষ্টা তৃণমূল সরকারের হতাশা এবং আমাদের অঞ্চল ও জনগণের প্রতি তাদের স্বৈরাচারী মনোভাব উভয়ই প্রদর্শন করে। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য সরকার জোর করে জিটিএ চাপিয়ে দিতে চাইছে।

    আরও পড়ুন : ফের পরিবারতন্ত্রের প্রতি কটাক্ষ মোদির

    রাজু বলেন, গত ২০ বছর ধরে রাজ্য সরকার আমাদের অঞ্চলে ভোট করেনি। এভাবে জনগণকে তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। পঞ্চায়েত সম্পর্কিত উন্নয়ন তহবিল ও বিভিন্ন প্রকল্পে আমাদের অঞ্চলকে পাঁচ হাজার কোটি টাকারও বেশি প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও রাজ্য সরকার পঞ্চায়েত ভোট করেনি। এখন জিটিএ চাপিয়ে দিচ্ছে।

    পাহাড়ে গণতন্ত্র নেই বলেও অভিযোগ করেন সাংসদ। বলেন, এই অঞ্চলে গণতন্ত্র নেই। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ভোট হয় না। রাজুর অভিযোগ, ভোট হয় তৃণমূলের ক্যাডারদের কাজে লাগিয়ে। বিজেপি সাংসদ বলেন, এটা সকলের কাছে স্পষ্ট যে, জিটিএ দার্জিলিং পাহাড়, তরাই এবং ডুয়ার্সের মানুষের সুবিধার জন্য নয়। এটি আমাদের অঞ্চলের মানুষের আকাঙ্খা পূরণ করতে পারে না। আমাদের অঞ্চলের উন্নয়নও করতে পারে না। তৃণমূলের শাসনে আমাদের এলাকায় কোনও উন্নয়ন হয়নি। বরং ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। আমরা বৈষম্যের শিকার। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল আমাদের অঞ্চল ও মানুষের উন্নতির জন্য কখনও আন্তরিক নয়।

     

  • Sukanta Majumder: বিজেপির প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার হাজরা মোড়, গ্রেফতার সুকান্ত

    Sukanta Majumder: বিজেপির প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার হাজরা মোড়, গ্রেফতার সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির প্রতিবাদ করতে গিয়ে গ্রেফতার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন হাজরা মোড় থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ জনৈক অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে প্রচুর নগদ টাকা, সোনা বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। এর পরেই  চোর ধর, জেল ভর কর্মসূচির ডাক দেয় বিজেপি। শনিবার সেই কর্মসূচি পালন করতে গেলেই গ্রেফতার করা হয় সুকান্তকে।

    এদিনের এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিজেপির দক্ষিণ কলকাতা শাখা। দুপুর আড়াইটে নাগাদ সেখানে হাজির হন সুকান্ত। অভিযোগ, গাড়ি থেকে নামতেই বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে ঘিরে ধরে পুলিশ। বিজেপি কর্মীদের ধরপাকড়ও করতে শুরু করে। সুকান্তের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তিও হয়। আটক করা হয় সুকান্তকে। পরে করা হয় গ্রেফতার।

    আরও পড়ুন : এসএসসি-দুর্নীতির টাকা পাচার বাংলাদেশে? হাওয়ালা-যোগ খতিয়ে দেখছে ইডি

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, মমতা সরকারের মন্ত্রী, নেতাদের দুর্নীতি ফাঁস হচ্ছে। প্রশাসন ও শাসক দল বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে। ফলে আন্দোলন করলেই গ্রেফতার বা আটক করা হচ্ছে। পুলিশ শাসক দলের ক্যাডারের মতো আচরণ করছে। কিন্তু এতে সত্যকে চাপা দেওয়া যাবে না। সুকান্তের অভিযোগ, মহিলা পুলিশরাও গায়ে হাত দিয়েছেন তাঁর।

    এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে ৫০ কোটি নগদ সহ বহুমূল্যের সোনা, রুপো, স্থাবর সম্পত্তির দলিল। ঘরে বাইরে চাপের মুখে পড়ে পার্থকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দিয়েছে তাঁর দল তৃণমূল। সাসপেন্ড করা হয়েছে দলীয় সব পদ থেকেও। তৃণমূলের নানা দুর্নীতির প্রতিবাদেই সরব হয়েছে বঙ্গ বিজেপি। যার প্রতিবাদ করতে গিয়েই ‘হেনস্থা’র শিকার হন সুকান্ত।

    এদিকে, সুকান্তকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি বিজেপির দক্ষিণ কলকাতা জেলা বিজেপির সভানেত্রী সংঘমিত্রা চৌধুরীকেও আটক করে পুলিশ। পুলিশের দাবি,  যেখানে বিজেপির কর্মসূচি পালিত হচ্ছিল, সেখান থেকে সামান্য দূরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাড়ি। এলাকাটি হাই সিকিউরিটি জোন। তাই আটক করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিক্ষোভরত বিজেপি নেতাকর্মীদের।

    আরও পড়ুন : শুধু এসএসসি নয়, পার্থ-অর্পিতা জড়িত প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতেও! আদালতে দাবি ইডি-র

  • TMC 21 July: একুশের সমাবেশ রাজনৈতিক না সরকারি অনুষ্ঠান? প্রশাসনিক ব্যস্ততা দেখে উঠছে প্রশ্ন

    TMC 21 July: একুশের সমাবেশ রাজনৈতিক না সরকারি অনুষ্ঠান? প্রশাসনিক ব্যস্ততা দেখে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা বিষয়টা পুরোটাই রাজনৈতিক। কিন্তু শাসক দলের রাজনৈতিক সভা ঘিরে প্রশাসনিক স্তরে যে ব্যস্ততা, যে সাজ সাজ রব লেগেছে, তা তাজ্জব করার মতো। 

    বৃহস্পতিবার ঘটা করে একুশের সমাবেশ করছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। ইতিমধ্যেই, রাজ্যজুড়ে তার তোড়জোড়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে শাসক শিবির। তবে, রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে দল যে মাতামাতি করবে, যাবতীয় আয়োজন করবে তা বলা বাহুল্য। কিন্তু, একুশের সভা ঘিরে প্রশাসনিক ব্যস্ততা— শাসক দলের ক্ষমতার অপব্যবহারকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে।

    এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল কলকাতা পুলিশের ‘ASL Meeting’-কে ঘিরে। কী এই ASL বৈঠক? পুরো অর্থ, অ্যাডভান্সড সিকিউরিটি লিয়াজোঁ। কোনও ভিভিআইপি, সাধারণত প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির সফরের আগে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আগে গিয়ে সফরস্থলের ময়না করে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে এবং গোটা এলাকা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা রয়েছে কি না তা নিশ্চিত করে।

    কিন্তু, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে চলা দলীয় সুপ্রিমোর নিরাপত্তার জন্য সম্প্রতি হেয়ার স্ট্রিট থানায় বসেছিল এধরনের এএসএল বৈঠক। তৃণমূলের সাফাই, সাম্প্রতিককালে মমতার (Mamata) বাসভবনে ঢুকে পড়া অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি পাকড়াও হওয়ার পরই তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু, প্রশ্ন হল, প্রকাশ্য জনসমাবেশের ক্ষেত্রে এধরনের বৈঠকের তাৎপর্য কী?

    আরও পড়ুন: হাসপাতালগুলিতে মজুত রাখতে হবে রক্ত! ২১ জুলাইয়ের আগে সরকারি নির্দেশ ঘিরে বিতর্ক

    শুধু যে মমতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের রাতের ঘুম উড়েছে তা নয়। এখন শাসক দলের কর্মসূচিকে সফল করতে কোনও কসুর রাখছেন না কর্তাব্যক্তিরা। তার প্রমাণ মিলল রাজ্যের পূর্ত দফতরকে লেখা পুরসচিবের চিঠি। সেখানে অনুষ্ঠান ও সংলগ্ন এলাকায় আলো বসানোর জন্য বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, কী কী করতে হবে, তার একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকাও দেওয়া হয়েছে। 

    আবার, শহরের যে এলাকায় অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে সভা করার অনুমতি দেয় না পুলিশ, সেখানেই তৃণমূলের সমাবেশের কথা মাথায় রেখে কলকাতা পুলিশের তরফে পুরসভার কাছে পাঠানো হয়েছে একগুচ্ছ প্রস্তাব ও আবেদন। তাতে বলা হয়েছে— 

    কোন কোন জায়গায় পানীয় জলের বন্দোবস্ত রাখতে হবে। 

    কোন কোন জায়গায় গাছ কাটতে হবে।

    কোন কোন জায়গায় ডাস্টবিন রাখতে হবে।

    কোথায় ড্রেন পরিষ্কার করতে হবে।

    কোথায় খোলা তার রয়েছে, যাতে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করতে হবে।

    চিঠিতে বলা হয়েছে, ধর্মতলার সিইএসসি দফতর ও কেসি দাসের মধ্যবর্তী স্থলে রাস্তার মাঝে থাকা সব রেলিং তুলে দিতে হবে। মঞ্চে ড্রাই স্যানিটাইজেশন করতে হবে।

    আরও পড়ুন: মমতা আদিবাসী বিরোধী? পোস্টার সাঁটিয়ে প্রমাণ বঙ্গ বিজেপি-র 

    মঞ্চমুখী একাধিক রাস্তা স্যানিটাইজ করতে হবে। পাশাপাশি, সমর্থকরা যেখানে থাকবেন, তার প্রত্যেকটিতে যথাযথ আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। 

    পাশাপাশি, শাসক দলের রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের জন্য পুলিশের তরফে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্তও একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী, ২১ তারিখ শহরের একাধিক ব্যস্ত রাজপথ কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। আমহার্স্ট স্ট্রিট থেকে শুরু করে বিধান সরণী, কলেজ স্ট্রিট, ব্রেবোর্ন রোড, স্ট্র্যান্ড রোড, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, বেন্টিং স্ট্রিট, রবীন্দ্র সরণী প্রভৃতিতে ভোর চারটে থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়েছে। আবার পুর ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকরা যাতে সঠিকমতো নিজেদের দায়িত্ব পালন করেন, তার জন্য পুরসচিবের তরফে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    বিরোধীদের বলছে, ক্ষমতায় থেকে সরকারি অর্থের অপচয় ও পরিকাঠামোর অপব্যবহারের উৎকৃষ্ট উদাহরণ এর চেয়ে আর কি-ই বা হতে পারে! একুশের সমাবেশ ঘিরে শাসক দলের এই ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে মুখ খুলেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেছেন, “আমরাও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে এনে এর চেয়েও বড় সভা করি, করবও। সমস্ত আয়োজন দলীয়ভাবেই করা হয়। ২১ জুলাই নিয়ে যেভাবে পুলিশ, প্রশাসন এবং তৃণমূল এক হয়ে গিয়েছে তাতে সাধারণ মানুষের আর প্রশাসনের উপর কোনও আস্থ থাকবে না। শাসক দল এবং প্রশাসনের মধ্যে সমস্ত বিভাজন রেখা মুছে গিয়েছে। সরকারি অর্থে এবং প্রয়াসে তৃণমূলের সভা সফল করতে নেমেছে পুলিশ। এই কারণেই পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তন দরকার।”

  • Abhishek Banerjee: শর্ত সাপেক্ষে অভিষেককে দুবাই যাওয়ার অনুমতি হাইকোর্টের 

    Abhishek Banerjee: শর্ত সাপেক্ষে অভিষেককে দুবাই যাওয়ার অনুমতি হাইকোর্টের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শর্ত সাপেক্ষে তৃণমূলের (tmc) সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) দুবাই যাওয়ার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta high court)। তাঁর স্ত্রী রুজিরাকেও তাঁর সঙ্গে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মানবিকতার প্রেক্ষিতেই তাঁদের বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আদালত।  

    কয়লা পাচারকাণ্ডে নাম জড়ায় অভিষেক, তাঁর স্ত্রী ও শ্যালিকার। অভিষেক ও রুজিরাকে আগে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। অভিষেকের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেন্দ্রীয় ওই সংস্থা। চোখের চিকিৎসার জন্য দুবাই যাবেন বলে অনেক আগেই ইডিকে জানিয়েছিলেন অভিষেক। তার পরেও ইডির পক্ষ থেকে কোনও সাড়শব্দ মেলেনি বলে অভিযোগ। ৩ জুন, শুক্রবার দুবাই যাওয়ার কথা অভিষেকের। তার ঠিক আগের দিন তিনি দুবাই যেতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পরেই আদালতের দ্বারস্থ হন অভিষেক।

    আরও পড়ুন : এবার কয়লা পাচারকাণ্ডে তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লাকে তলব সিবিআইয়ের

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল সব ধরনের তদন্তে সহযোগিতা করবেন অভিষেক ও তাঁর স্ত্রী। সেই মতো ইডির তদন্তে অভিষেক সব রকম সহযোগিতা করছেন বলে দাবি অভিষেক ঘনিষ্ঠদের। এদিনের শুনানিতে ইডির তরফে আশঙ্কা করা হয়, অভিষেক ব্যানার্জি বিদেশ পালিয়ে যেতে পারেন। আদালত ইডির এই যুক্তি খারিজ করে মন্তব্য করে, অভিষেক ব্যানার্জি একজন সাংসদ। কয়লাকাণ্ডে তদন্ত শুরু হওয়ার পরেও তিনি একাধিকবার বিদেশ যাত্রা করেছেন। তাই ইডির এই আশঙ্কা ভিত্তিহীন।

    আরও পড়ুন : গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই দফতরে অনুব্রত মণ্ডল, কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    তবে আদালত অভিষেককে জানিয়েছে, মামলাকারীকে বিমানের টিকিট এবং দুবাইয়ের কোথায় তাঁরা থাকবেন, সেই ঠিকানা ইডির কাছে দিতে হবে। যে হাসপাতালে তিনি চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন, সেই হাসপাতাল এবং থাকার জায়গার ফোন নম্বরও জানাতে হবে। এর সাহায্যেই ইডি যাতে তাঁদের ওপর নজর রাখতে পারে, তাই এই ব্যবস্থা। ১০ জুনের মধ্যে তাঁকে ফেরত আসতে হবে বলেও শর্ত দেয় আদালত।  

    আদালত জানিয়েছে, রাইট টু লাইফ মানে রাইট টু গেট প্রপার ট্রিটমেন্ট পাওয়া। তিনি নিজের পছন্দ মতো চিকিৎসকের কাছে যেতে পারেন। সেটা থেকে তাঁকে আটকানো যায় না। নোটিস পাঠানোর পর যদি তিনি যেতেন, তাহলে আদালতের নির্দেশ অমান্য করার বিষয়টি আসত বলেও জানানো হয়েছে।

     

  • Arpita Mukherjee: পণ্ডিতিয়া রোডে ফোর্ট ওয়েসিস-এর বন্ধ ফ্ল্যাটে ফের হানা ইডি-র, তালা ভেঙে চলছে তল্লাশি

    Arpita Mukherjee: পণ্ডিতিয়া রোডে ফোর্ট ওয়েসিস-এর বন্ধ ফ্ল্যাটে ফের হানা ইডি-র, তালা ভেঙে চলছে তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার চেষ্টা করেও হয়নি। বৃহস্পতিবার তালা ভেঙে পণ্ডিতিয়া রোডে (Panditia Road) অভিজাত ফোর্ট ওয়েসিস (Fort Oasis)-এর বন্ধ ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ঢুকল ইডি (ED)। চলছে তল্লাশি।

    মঙ্গলবারও আবাসনের ৬ নম্বর টাওয়ারের ৫০৩ নম্বরের ওই ফ্ল্যাটে এসেছিলেন তদন্তাকারীরা। কিন্তু দরজা খুলতে পারা যায়নি। শেষে একটি নকল চাবি তৈরি করে, এমন একজনকে নিয়ে আসা হয়েছিল। অনেক চেষ্টাতেও শেষে তিনি দরজা খুলতে পারেননি। ওই দিন বিষয়টি রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশকে জানিয়ে ফ্ল্যাটের দরজা খুলতে না পেরে তা ‘সিল’ করে এসেছিলেন ইডি আধিকারিকেরা। 

    বৃহস্পতিবার সকালে ফের স্থানীয় থানায় গিয়ে কথা বলে ইডি। তারপর পণ্ডিতিয়ার ওই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় ইডি। সঙ্গে ছিল স্থানীয় থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, ফ্ল্যাটে রয়েছে দুটি দরজা, একটি স্টিল ও একটি কাঠের। স্টিলের দরজাটি ‘মেড-ইন-চায়না’। শেষে দরজা ভেঙেই এই ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেছে ইডি। এখনও পর্যন্ত ওই ফ্ল্যাটেই রয়েছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: ১৮ জোড়া সোনার দুল, ১১টি সোনার বালা…! অর্পিতার ফ্ল্যাটে উদ্ধার হওয়া সোনার পুরো তালিকা

    সূত্রের খবর, প্রথমে ওই ফ্ল্যাটে সরাসরি প্রবেশ করতে পাচ্ছিলেন না ইডির আধিকারিকরা। কারণ ওই ফ্ল্যাটটি সরাসরি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে নেই। আগের যেকটি ফ্ল্যাটে ইডি হানা দিয়ে ছিল সেগুলি অর্পিতার নামে ছিল। এই ফ্ল্যাটটি অন্য এক মহিলার নামে রয়েছে। এই ফ্ল্যাটের মালিকের নাম স্মিতা ঝুনঝুনওয়ালা। তাঁর সঙ্গে অনেকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ইডি। কিন্তু যোগাযোগ করা যায়নি। 

    যদিও, এই ফ্ল্যাটের সঙ্গে অর্পিতার ভালো যোগসূত্র রয়েছে বলে তদন্তে জানতে পেরেছেন আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে, ২০১৫ সালে ওই আবাসনের ডেভলপারের সঙ্গে কথা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। এই আবাসনের একটি ফ্ল্যাট পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ের নামে বরাদ্দ করার কথা হয়। ৫০৩ নম্বর ওই ফ্ল্যাটটি অন্য একজনের নামে হলেও তার দেখাশুনো করতেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)।

    আরও পড়ুন: ফের ইডি হেফাজত! ৫ অগাস্ট পর্যন্ত CGO কমপ্লেক্সের জেলেই থাকতে হবে পার্থ-অর্পিতাকে

    ইডি ফ্ল্যাটে ঢোকার পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে, টালিগঞ্জ, বেলঘরিয়ার মতো অর্পিতার ‘যোগ’ থাকা এই ফ্ল্যাটেও কি মিলবে নগদ টাকা! উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

  • Suvendu Sukanta: হাওড়ায় যেতে কেন বাধা? সুকান্ত-শুভেন্দুকে মামলায় অনুমতি হাইকোর্টের

    Suvendu Sukanta: হাওড়ায় যেতে কেন বাধা? সুকান্ত-শুভেন্দুকে মামলায় অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া (Howrah) ঢোকার চেষ্টা করলে বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে (BJP State President) গ্রেফতার এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে (Leader of Opposition) বাধা কেন দেওয়া হয়েছে, এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। 

    রাজ্যের পুলিশ, প্রশাসন ও সরকারের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu) এবং বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)৷ বিষয়টি নিয়ে মামলার অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুই নেতা৷ কলকাতা হাইকোর্ট তাঁদের সেই আবেদন মেনে নিয়ে মামলা রুজু করার অনুমতি দিয়েছে৷

    পয়গম্বরকে (Prophet Row) নিয়ে বিজেপির নিলম্বিত জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মার আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে গত কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা (Howrah Violence)৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শুক্রবার থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ছিল হাওড়ায়। সোমবার তা পুনরায় চালু করা হয়। উলুবেড়িয়া সহ বেশ কিছু এলাকায় জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। 

    আরও পড়ুন: “দিদিমনি অবসর নিলেও আচার্য হতে পারবেন না”, মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে শুক্রবার রাতে বিজেপি-র কার্যালয় ভাঙচুর ও কর্মীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে৷ তারপরই হাওড়া যাওয়ার উদ্যোগ নেন শুভেন্দু ও সুকান্ত৷ কিন্তু, তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ৷ শনিবার সেই পার্টি অফিসে যেতে চেয়েছিলেন সুকান্ত। কিন্তু, তাঁদের আটকে দেওয়া হয়।

    নিউ টাউনের বাড়িতে বেরোতেই পুলিশ আটকায় সুকান্ত মজুমদারকে। কিন্তু পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই গাড়ি করে রওনা দেন হাওড়ার উদ্দেশে। কিন্তু মাঝ পথেই তাঁর গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। তখন পায়ে হেঁটে যাওয়ার চেষ্টা করায় তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে।

    অন্যদিকে, রবিবার একইভাবে কাঁথি থেকে হাওড়ায় যেতে চেয়েছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু পুলিশ হাওড়ায় যেতে দেয়নি তাঁকেও। নন্দীগ্রামে দীর্ঘক্ষণ পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হওয়ার পর শুভেন্দু হাওড়া না গিয়ে কলকাতায় এসে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন শুভেন্দু। একই সঙ্গে তাঁকে ‘বেআইনি ভাবে’ হাওড়া যাওয়ায় বাধা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ ত্রিবেদীকেও চিঠি দেন শুভেন্দু। 

    আরও পড়ুন: বেথুয়াডহরি স্টেশনে ভাঙচুর বিক্ষোভকারীদের, প্রতিবাদে ৭২-ঘণ্টা ব্যবসা বন‍্‍ধ

    শুভেন্দু আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, হাওড়ায় ঢুকতে তাঁকে বাধা দেওয়া হলে, তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন। এই দুই ঘটনায় পুলিশের অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করার অনুমতি চান সুকান্ত-শুভেন্দু। সোমবার, তাঁদের সেই আবেদন মঞ্জুর করে উচ্চ আদালত।

  • Howrah Hooch Tragedy: বর্ধমানের পর এবার হাওড়া, ফের বিষমদের বলি ৭, চোলাইয়ের ঠেকে ভাঙচুর

    Howrah Hooch Tragedy: বর্ধমানের পর এবার হাওড়া, ফের বিষমদের বলি ৭, চোলাইয়ের ঠেকে ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ফের বিষমদের (spurious liquor) বলি। হাওড়ার (Howrah) ঘুসুড়ির (Ghusuri) মালিপাঁচঘড়ায় বিষমদ খেয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। মৃতদের পরিবারের দাবি, বিষমদের বলি হয়েছেন এই সকলে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকার একটি চোলাই ঠেকের (Hooch) বিষমদ খেয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও অনেকে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ (Howrah Police)।

    হাওড়ার ঘুসুড়ির মালিপাঁচঘড়া থানার ধর্মতলা এলাকায় রয়েছে অবৈধ চোলাইয়ের ঠেক। জানা গিয়েছে, ঠেকটি চালায় প্রতাপ কর্মকার নামে একজন। এই ঠেকেই নিত্য যাতায়াত করে মদ্যপায়ীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, মালিপাঁচঘড়া থানার পিছনেই রেললাইনের ধারে নিয়মিত বসে ওই চোলাইয়ের ঠেক। সেই ঠেকেই মদ্যপান করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকে। মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। পুলিশকে না জানিয়েই দেহ দাহ করে দেওয়া হয়েছে বলেও একটি সূত্রের খবর।  

    আরও পড়ুন : কয়লা-কাণ্ডে সিবিআইয়ের চার্জশিটে ৪১ জনের নাম! জানুন কে কে সেই তালিকায়

    ঘটনার পরে পরেই জনরোষের হাত থেকে বাঁচতে গা ঢাকা দিয়েছে ঠেকের মালিক। পরে যদিও গ্রেফতার করা হয় তাকে। মৃ্ত্যুর খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে পুরো বিষয়টি জানার চেষ্টা করছেন পুলিশের পদস্থ কর্তারা। ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর করে চোলাইয়ের ঠেকটি। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই ঠেকে নিত্য তৈরি হয় চোলাই। প্রকাশ্যেই বিক্রিও হয়। প্রতিবাদ করলেই হুমকি দেওয়া হত বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার জেরেই ঠেকমালিকের এই রমরমা কারবার। 

    আরও পড়ুন : উন্নয়নে ৮০% বরাদ্দ ছাঁটাই, রোজের খরচে কোপ ৫০%, নবান্নের হেঁসেল আর চলছে না

    দিন কয়েক আগে বর্ধমানে বিষমদকাণ্ডে আট জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্ধামানের দুটি হোটেলে মদ্যপান ও খাবার খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। তাঁদের মধ্যে আটজনের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। বেসরকারি মতে মৃতের সংখ্যা আরও বেশি। ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, বাংলায় মদ-লটারিতে শেষ হয়ে যাচ্ছে মানুষ। তিনি বলেন, সরকারের সব থেকে বেশি আয় এই মদ থেকে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের হাতে যে টাকা দিচ্ছেন, তা চলে যাচ্ছে পরিবারের পুরুষদের হাতে। সেই টাকায় তারা মদ খাচ্ছে। তাই এভাবে মানুষ শেষ হয়ে যাচ্ছে।

    বেশ কয়েক বছর আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়ও বিষমদের বলি হয়েছিল বেশ কয়েকজন। মৃতদের পরিবারকে দু লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল তৃণমূল সরকার। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। তার পরেও ইতি পড়েনি বিষমদে বলিতে। বর্ধমানের পর যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ হাওড়ার ঘুসুড়ি।

     

  • Dumdum Airport: কলকাতা বিমানবন্দরের প্রশাসনিক ক্ষমতা সুকান্ত-শুভেন্দুর হাতে দিল কেন্দ্রীয় সরকার

    Dumdum Airport: কলকাতা বিমানবন্দরের প্রশাসনিক ক্ষমতা সুকান্ত-শুভেন্দুর হাতে দিল কেন্দ্রীয় সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কলকাতা বিমানবন্দরের প্রশাসনিক ক্ষমতা কার্যত দখল করল বিজেপি। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কলকাতা বিমানবন্দর উপদেষ্টা কমিটির সদস্য নিয়োগ করেছে। গত ৫ অগস্ট কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের উপসচিব এক নির্দেশিকায় এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।

    পদাধিকার বলে এই উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। ফলে দীর্ঘদিন ধরেই কলকাতা বিমানবন্দরের মতো কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানে তৃণমূল ছড়ি ঘোরাচ্ছে বলে অভিযোগ ছিল বিজেপির। এখন উপদেষ্টা কমিটিতে রাজ্য বিজেপির দুই শক্তিশালী নেতাকে নিয়োগ করার ফলে বিমানবন্দরের প্রশাসনিক ক্ষমতা কার্যত বিজেপির নিয়ন্ত্রণে চলে এল বলে মনে করা হচ্ছে।

    কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে ভারত সরকারের প্রশাসনে গুরুত্ব বাড়ল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta) এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। দমদম বিমান বন্দরের প্রশাসনিক ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূলের স্থানীয় কিছু শ্রমিক নেতা উপদ্রব চালাচ্ছিল বলে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা পড়েছিল। বিমানবন্দরের অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ থেকে শুরু করে পরিষেবা ক্ষেত্রে তৃণমূলীদের দাপাদাপি মারাত্মক আকার নিয়েছিল। এমনকী বিমান বন্দরের ট্যাক্সি ইউনিয়ন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে যাত্রীদের একপ্রকার বাড়তি ভাড়া দিতেও বাধ্য করা হচ্ছে, এমন অভিযোগও হামেশাই ওঠে। সে সব বিচার করেই কলকাতা বিমানবন্দরে প্রশাসনিক ক্ষমতা তৃণমূলের থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। উপদেষ্টা কমিটিতে সুকান্ত এবং শুভেন্দুকে (Suvendu) জুড়ে দেওয়ার ফলে বিমানবন্দরের আমলারাও বিজেপির কথা মতোই চলবেন বলে অনেকে মনে করছেন।

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথায়, দমদম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাত্রী সাচ্ছন্দ্য এবং পরিষেবা বাড়ানোর লক্ষ্যেই কাজ করা হবে। রাজনৈতিক দলের অনৈতিক হস্তক্ষেপ কমানো আমাদের লক্ষ্য। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মতে, তোলামূল বাহিনীর সিন্ডিকেটরাজ বিমান বন্দরে আর চলবে না। পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে বিমানবন্দরের প্রশাসন যাতে পরিচালিত হয়, সেই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াজিকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।   

     

LinkedIn
Share