Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Howrah Violence: সুকান্তর পর শুভেন্দু! এবার হাওড়া যাওয়ার পথে বিরোধী দলনেতাকে আটকাল পুলিশ!

    Howrah Violence: সুকান্তর পর শুভেন্দু! এবার হাওড়া যাওয়ার পথে বিরোধী দলনেতাকে আটকাল পুলিশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সভাপতির পর এবার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। হাওড়া (Howrah) যাওয়ার পথে সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) আটক করে গ্রেফতার করার পর এবার শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারীর পথ আটকাল মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। 

    [tw]


    [/tw]

    গত তিনদিনের হিংসায় হাওড়ায় ভাঙা হয়েছে বিজেপির (BJP) দুটি কার্যালয়। মারধর করা হয়েছে বিজেপি কর্মীদের। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী ও ভাঙা পার্টি অফিস দেখতেই হাওড়া যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পথেই তাঁকে আটকানো হয়। তমলুকের নিমতৌড়িতে রাধামণি মোড়ে শুভেন্দু অধিকারীকে আটকায় পুলিশ। বাধা দেওয়ায় পুলিশের সঙ্গে বচসা হয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। 

    আরও পড়ুন: হাওড়া যাওয়ার পথে গ্রেফতার সুকান্ত, রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ বিজেপির

    বিরোধী দলনেতার হাওড়া যাওয়া আটকাতে গতকাল রাত থেকে অতিসক্রিয় হয়ে ওঠে রাজ্যের পুলিশ। মধ্যরাত থেকেই বিশাল বাহিনী মোতায়েন করা হয় শুভেন্দু অধিকারীর কাঁথির বাড়ির সামনে। রাতারাতি শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি ঘিরে ফেলে রাজ্য পুলিশ। যাতে কেউ আস্তে যেতে না পারেন তার জন্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বাড়ির সামনে বসানো হয় ব্যারিকেড। বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনীকে। এক কথায় শুভেন্দু অধিকারীর কাঁথির বাড়ির সামনে পুলিশের ছিল ‘সাজো সাজো রব’। এদিন সকাল হতেই দেখা যায় গোটা বাড়ি কার্যত ঘিরে ফেলেছে রাজ্য পুলিশ। মোতায়েন রাজ্য পুলিশের বিশেষ বাহিনী। 

    [tw]


    [/tw]

    ঠিক একইভাবে শনিবারও বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে আটকাতে ব্যবস্থা নিয়েছিল বিধাননগর পুলিশ। তবে, গতকালের মতো বিনা নোটিশে, মুখের কথায় আটকানো নয়। শুভেন্দু অধিকারীকে রীতিমতো নোটিশ পাঠায় কাঁথি থানা। আইসি অমলেন্দু বিশ্বাসের সই করা সেই নোটিশে বলা হয়, “বাইরে পরিস্থিতি ভালো নয়, তাই হাওড়ায় যেতে পারবেন না বিরোধী দলনেতা। নোটিশে আরও বলা হয়েছে, হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় ইতোমধ্যেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যেন ১৪৪ ধারা ভাঙার চেষ্টা না করেন।

    শুভেন্দুর হাওড়া যাওয়া আটকানো নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন অমিত মালব্য (Amit Malviya)। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, ‘সুকান্ত মজুমদারকে আটকের পর শুভেন্দুকে আটকানোর চেষ্টা। শুভেন্দু অধিকারী যাতে হাওড়ায় যেতে না পারেন, সেই ব্যবস্থা করছে। বিক্ষোভকারীদের নয়, বিজেপিকে আটকানোই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মূল লক্ষ্য। রাজ্য সরকারকে ট্যুইটে নিশানা বিজেপি নেতা অমিত মালব্যের। এদিকে, গতকাল তাঁকে গ্রেফতার করার প্রতিবাদে এদিন মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন: “আপনার পাপের ফলে ভুগতে হচ্ছে জনগণকে”, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    গত তিনদিন ধরে হাওড়ায় (Howrah violence) দুস্কৃতী তাণ্ডবে বেসামাল প্রশাসন। শুক্রবার ভাঙচুর চালানো হয় হাওড়া গ্রামীণ এলাকায়। ভাঙা হয় পাঁচলায় বিজেপির কার্যালয়। আগুন ধরিয়ে দেয় উন্মত্ত জনতা। শনিবার হামলা চলে হাওড়ার রঘুদেবপুর অঞ্চলে। এখানেও টার্গেট বিজেপির আরেক কার্যালয়। যথেচ্ছ তাণ্ডব চালায় উন্মত্ত উশৃঙ্খল বাহিনী। পুলিশের চোখের সামনে পুরো ঘটনা ঘটলেও বাধা দেওয়ার কোনও চেষ্টাই করেনি হাওড়া পুলিশ। গতকালই “কর্তব্যে গাফিলতির” কারণে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে হাওড়ার দুই পুলিশকর্তাকে।

    যদিও আজ সকালেই পুলিশকর্তাদের সরিয়ে দেওয়াকে কটাক্ষ করেছেন, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলিপ ঘোষ। খড়গপুরে চা-চক্রের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, পুলিশ কর্তাদের সরিয়ে দেওয়া ‘স্রেফ আইওয়াশ’। তিনি বলেন, “যারা অশান্তি করছে, মুখ্যমন্ত্রী তাদের আটকাতে পারছেন না বরং উসকে দিচ্ছে। তিন দিন ধরে বাস বন্ধ হচ্ছে, জাতীয় সড়কে অবরোধ হচ্ছে, ট্রেন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দেশের সমস্ত প্রান্তে একদিনের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও এরাজ্যে করা যাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, “পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাচ্ছে হেরো মুখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক স্বার্থে দাঙ্গাকারীদের ব্যবহার করছে।” 

     

     

  • Coal Scam: কয়লা-কাণ্ডে সিবিআইয়ের চার্জশিটে ৪১ জনের নাম! জানুন কে কে সেই তালিকায়

    Coal Scam: কয়লা-কাণ্ডে সিবিআইয়ের চার্জশিটে ৪১ জনের নাম! জানুন কে কে সেই তালিকায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার কাণ্ডে (Coal Scam) মঙ্গলবার আসানসোলের বিশেষ আদালতে চার্জশিট জমা দিল দিল সিবিআই (CBI)। ৪১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে সেই চার্জশিটে। সোমবারই বিনয় মিশ্র এবং লালা ওরফে অনুপ মাজির তিন সহযোগীর নামে বিশেষ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত।

    সূত্রের খবর, অনুপ মাজি ও বিকাশ মিশ্র ছাড়াও ৮ জন ইসিএল অফিসার, ৪ জন কয়লা মাফিয়া (জয়দেব মণ্ডল, নারায়ণ খারকা ওরফে নারায়ণ নন্দ, নীরদ মণ্ডল এবং গুরুপদ মাঝি), ১০ জন কোম্পানি ডিরেক্টর, ১৫ জন কয়লা কারবারির নাম রয়েছে চার্জশিটে। বিনয় মিশ্র ও রত্নেশ্বর ভার্মা দুজনেই পলাতক। তাদের নামেও চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই।

    গত শনিবার বিনয় মিশ্র সহ বেশ কয়েকজনের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে চেয়ে আদালতে বিশেষ রিপোর্ট জমা দিয়েছিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, কীভাবে কয়লা মাফিয়ারা অবৈধভাবে কয়লা পাচার করত এবং কীভাবে তাদের মধ্যে এই নেটওয়ার্ক চালু ছিল, সেই সমস্ত তথ্য এদিন আদালতে তুলে দেওয়া হয়। কয়লা পাচার কাণ্ডে একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যে সব নথিপত্র সিবিআই-এর গোয়েন্দারা হাতে পেয়েছেন এবং যে সব তথ্যপ্রমাণ তাঁরা একত্রিত করেছেন, সেই সব কিছু সংশ্লিষ্ট চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: মহামারির পর মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি! জানুন কী বলছে সমীক্ষা

    কয়লা পাচার কাণ্ডে সিবিআই চার্জশিট জমা দিলেও এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত চার্জশিট দেয়নি সিআইডি। এই দুর্নীতি নিয়ে সিবিআইয়ের সমান্তরাল তদন্ত চালাচ্ছে সিআইডি। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে গঠন করা হয় ২০ জনের এই তদন্তকারী দল। যার নেতৃত্বে রয়েছেন সিআইডির ডিআইজি। কয়লা কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ৩০টির বেশি মামলার দায়ের হয়েছে। উল্লেখ্য, ইসিএলের পক্ষ থেকে কয়লা চুরি, দুর্নীতি–সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়েছে। প্রথমে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে বিনয় মিশ্র, রত্নেশ্বর ভার্মা, নীরজ সিং এবং অমিত সিংয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।

  • KK Death: কেকে-র মৃত্যুর পর সতর্কতা! ৯ দফা নির্দেশিকা পুলিশের, কী আছে তাতে?

    KK Death: কেকে-র মৃত্যুর পর সতর্কতা! ৯ দফা নির্দেশিকা পুলিশের, কী আছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেকে-র মৃত্যুর (KK Death) ঘটনায় কাঠগড়ায় আয়োজক-উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে হল ও অডিটোরিয়াম কর্তৃপক্ষ।  এমনকি, বাদ যায়নি পুলিশও। সকলের বিরুদ্ধেই উঠেছে চরম উদাসীনতা, অপেশাদারিত্ব, অপরিণামদর্শিতার অভিযোগ। সমাজ থেকে শুরু করে সমাজ-মাধ্যম— সর্বত্র কেকে-র (KK) মৃত্যু নিয়ে চলছে দোষারোপের পালা। চলছে আক্রমণ ও প্রতি-আক্রমণ।

    পুলিশের বিরুদ্ধেও উঠেছে অভিযোগের আঙুল। যে হল-এ সদ্যপ্রয়াত সঙ্গীতশিল্পীর অনুষ্ঠান ছিল, সেই নজরুল মঞ্চের (Nazrul Manch) ব্যবস্থাপনায় একের পর এক খামতির খতিয়ান প্রকাশ্যে আসতে শুরু হওয়ায় প্রশ্নের মুখে আরক্ষা বাহিনীর পারদর্শিতা। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কী করে, পুলিশের তরফে এত বড় খামতি থেকে গেল? কী করেই বা ২৪০০ আসন বিশিষ্ট হলে ৭০০০ মানুষ ঢুকে পড়ল? 

     

    প্রশ্ন উঠছে, কেন অনুষ্ঠানে এক ঘণ্টার জন্য এসি বন্ধ ছিল? কেন কেকে বারবার অনুরোধ করা সত্বেও মঞ্চে গরম স্পটলাইট নেভানো হয়নি? কেন ফায়ার এক্সটিংগুইশার স্প্রে করা হচ্ছিল? একের পর এক গাফিলতি ও অবহেলার অভিযোগ ওঠায় গোটা ঘটনায় পুলিশ বাহিনীকে যে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। 

    এখন কেকে-র মৃত্যুর পর ঘুম ভাঙল পুলিশের। সারা দেশ তোলপাড় হওয়ার পর শেষে নড়েচড়ে বসল পুলিশ। কলকাতায় কনসার্ট করা নিয়ে কড়া নির্দেশিকা জারি করল লালবাজার! অবশেষে জারি করা হয়েছে ৯ দফা নির্দেশিকা। আয়োজকদের একটি আন্ডারটেকিং নিতে হবে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, অনুষ্ঠান সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য আগে জানাতে হবে স্থানীয় থানাকে। আসন সংখ্যার বেশি পাস ইস্যু করা যাবে না। আয়োজকদের লিখিতভাবে জানাতে হবে যে, দর্শক সংখ্যা হলের ক্যাপাসিটির ঊর্ধ্বে হবে না।

     

    এছাড়া, ৯ দফার নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে— পাস ছাড়া হলে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে না। একটি পাসে একজনই প্রবেশ করতে পারবেন। অনুষ্ঠানের সময় প্রবেশ ও প্রস্থানের প্রত্যেকটি পয়েন্টে যথেষ্ট পরিমাণ নিরাপত্তারক্ষী/স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে। এছাড়া, অনুষ্ঠানের ভেন্যুতে অ্যাম্বুল্যান্স, চিকিৎসকের ব্যবস্থা রাখতে হবে। পাশাপাশি, কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে নিকটবর্তী কোনও হাসপাতালে আইসিইউ সমেত আগাম ব্যবস্থা রাখতে হবে। 

  • Anubrata Mondal: রাজীব ভট্টাচার্য কি কেষ্টর ‘বেনামি’, কার চিকিৎসার জন্য ৬৬ লাখ দিয়েছিলেন? তদন্তে ইডি-সিবিআই

    Anubrata Mondal: রাজীব ভট্টাচার্য কি কেষ্টর ‘বেনামি’, কার চিকিৎসার জন্য ৬৬ লাখ দিয়েছিলেন? তদন্তে ইডি-সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমে সায়গল হোসেন (Saigal Hossain)। তারপর বিদ্যুৎবরণ গায়েন (Bidyut Gayen)। এবার গরুপাচার কাণ্ডে (Cattle smuggling case) সিবিআইয়ের নজরে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) আরেক ঘনিষ্ঠ রাজীব ভট্টাচার্য (Rajib Bhattacharya)। 

    কেষ্টর সম্পত্তির খোঁজে আজ, সোমবার বোলপুরের শিব শম্ভু রাইস মিলে হানা দিয়েছে সিবিআই (CBI)। গত কয়েকদিনের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয় চালকলে হানা দিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। এর আগে ভোলে ব্যোম রাইস মিলে (Bhole Vyom Ricemill) হানা দিয়েছিল সিবিআই। সেখান থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করে তদন্তকারী দল। জানা গিয়েছে কেষ্টর ঘনিষ্ঠ হিসেবে একাধিক রাইস মিলের সঙ্গে জড়িত এই রাজীব।

    কিন্তু, কে এই রাজীব? কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি, কেষ্টর সবকটি রাইস মিলের ‘অপারেটর’ হচ্ছেন এই রাজীব। জানা গিয়েছে, একসময়ে বীরভূমের ছোট চাল ব্যবসায়ী ছিলেন রাজীব ভট্টাচার্য। অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হওয়ার পর বিপুল সম্পত্তি মালিক হন তিনি। বর্তমানে রাজীবের আওতায় ৫টি রাইস মিল রয়েছে।

    আরও পড়ুন: কেষ্ট যোগ! ভোলে ব্যোমের পর শিবশম্ভু রাইস মিলে হানা সিবিআইয়ের, কী মিলল?

    কীভাবেই বা সিবিআই রেডারে এলেন তিনি? গরুপাচার কাণ্ডের তদন্তে নেমে রাজীবের নাম জানতে পারে সিবিআই। ইতিমধ্যে তাঁকে একবার জেরাও করে তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তকারী সংস্থার কাছে জমা দিতে হয় আয়-ব্যয় সংক্রান্ত সমস্ত হিসেবনিকেশ। আর তাতেই ইডি-সিবিআইয়ের হাতে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। 

    কী এসেছে ইডি-সিবিআইয়ের হাতে? রাজীব ভট্টাচার্যর আয়-ব্যয়ের হিসেব খতিয়ে দেখতে গিয়ে একটি চমকপ্রদ তথ্য পান গোয়েন্দারা। রাজীবের পেশ করা তাঁর সংস্থার ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের ব্যালান্স শিটে দেখা যাচ্ছে, ওই সময় টাটা মেডিক্যাল সেন্টার ট্রাস্টকে দেওয়া হয়েছিল ৬৬ লক্ষ টাকা। প্রশ্ন হচ্ছ, কীসের জন্য এই বিপুল অঙ্কের টাকা দেওয়া হয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে? 

    গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, প্রায়ই একই সময় ওই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন কেষ্টর স্ত্রী ছবি মণ্ডল। কাকতালীয়? নাকি, অনুব্রতর স্ত্রীর (বর্তমানে প্রয়াত) চিকিৎসার খরচ বাবদই কি দেওয়া হয়েছিল ওই টাকা? সূত্রের খবর, জেরায় কেষ্ট দাবি করেছেন, তাঁর নাকি বেনামিতে কোনও সম্পত্তিই নেই। যা আছে, তাঁর ও পরিবারের নামে!

    আরও পড়ুন: বোলপুরে ফের সিবিআই হানা, এবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ পুরকর্মীর বাড়িতে তদন্তকারীরা

    আবার সূত্রের খবর, রাজীব তদন্তকারী সংস্থার কাছে দাবি করেন, অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর কেবলমাত্র রাজনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। ব্যবসায়িক কোনও সম্পর্ক নেই। প্রশ্ন হচ্ছে, তাই যদি হয়, তাহলে হঠাৎ কেন রাজীব ভট্টাচার্যর সংস্থা থেকে টাটা মেডিক্যাল সেন্টারকে দেওয়া হল এই বিপুল পরিমাণ টাকা? এই রাজীব ভট্টাচার্যর নামেই কি আদতে লুকিয়ে রয়েছে অনুব্রতর বেনামি সম্পত্তির ভাণ্ডার? সবদিক খতিয়ে দেখছে ইডি-সিবিআই।

  • TMC 21 July: নামেই শহিদ দিবস! দিকে দিকে মোচ্ছব আর ক্ষমতার আস্ফালনের ছবি

    TMC 21 July: নামেই শহিদ দিবস! দিকে দিকে মোচ্ছব আর ক্ষমতার আস্ফালনের ছবি

    সুশান্ত দাস: নাম শহিদ দিবস (Shahid Diwas)। কিন্তু শহিদদের স্মরণ করা নয়, তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) পরিচালিত এই সমাবেশ হয়ে উঠল মোচ্ছবের কর্মসূচি। বর্ণাঢ্য ট্যাবলো থেকে শুরু করে দেদার খানাপিনা— বাদ গেল না কিছুই। একটা দুঃখজনক, বেদনাদায়ক অধ্যায়কে স্মরণ করার মঞ্চ বদলে গেল শক্তি প্রদর্শনের স্থলে।

    কোভিড অতিমারির (Covid Pandemic) জেরে জারি হওয়া বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার জেরে গত ২ বছর ভার্চুয়ালি শহিদ দিবস পালন করতে হয়েছিল তৃণমূলকে। তাই করোনার ভয় কাটতেই এবছর যেন তেড়েফুঁড়ে উঠেছিল রাজ্যের শাসক দল। মাসখানেক আগে থেকেই রাজ্যের সব প্রান্তে চড়ে বেরিয়েছিল শাসক দলের নেতাকর্মীরা। লক্ষ্য, শহিদ দিবসে লোক ভরানো। পুলিশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দফতরে কর্মরত উচ্চপদস্থ কর্মী-আধিকারিকরা— সকলেই কার্যত উঠেপড়ে লেগেছিলেন অনুষ্ঠানকে সফল করার জন্য।

    বুধবার থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন আসতে শুরু করে দিয়েছিল। তাদের থাকার জন্য বিশাল আয়োজন করা হয়েছিল শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে। আর সেখানে সব ধরনের ব্যবস্থাই ছিল। যেমন সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউ জুড়ে ছিল পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। সেখানে দেখা গেল একেবারে পিকনিকের আমেজ। ত্রিপল পেতে চলছে রান্না। মেনুতে রয়েছে ডিম-ভাত থেকে শুরু করে ভাত-আলু পোস্ত, মুরগির মাংস। যাতে একেবারে পেটপুরে মাংস খেয়ে শাসক দলের শহিদ-স্মরণে অংশ নিতে পারেন কর্মী, সমর্থকরা। প্রায় একই চিত্র ধরা পড়েছে মেয়ো রোডে। সেখানকার মেনুতে ছিল মাংস-ভাত, ডাল আর ছ্যাঁচড়ার তরকারি।

    আরও পড়ুন: উন্নয়নে ৮০% বরাদ্দ ছাঁটাই, রোজের খরচে কোপ ৫০%, নবান্নের হেঁসেল আর চলছে না

    এতো গেল খাওয়া-দাওয়ার পালা। এবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক আমেজে। শহিদ স্মরণ বলতেই মানুষের মনে স্বাভাবিকভাবেই একটা দুঃখ ভরে আসে। কিন্তু, তৃণমূলের শহিদ দিবস ছিল ভিন্নরূপী। সেখানে যেমন ছিল ট্যাবলো তেমনই ছিল ধামসা-মাদল। সল্টলেকে বর্ণাঢ্য মিছিল বের করে শাসক দলের কর্মী-সমর্থকরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোশ পরে, শাঁখ বাজিয়ে, ঢাকের তালে মিছিল হয়। 

    একুশের সমাবেশে যোগ দিতে হাজরায় সুসজ্জিত ট্যাবলো নিয়ে বের হন কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। কেউ ঢোল করতাল বাজিয়ে তো কেউ আবার ধামসা, মাদল বাজাতে বাজাতে সমাবেশে হাজির হয়েছে। দেখে বোঝার উপায় নেই, এটা শহিদ স্মরণ না পুজোর শোভাযাত্রা! মনে হবে যেন কোনও বিজয়োৎসব পালন হচ্ছে।  

    একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের জন্য ক্ষমতার আস্ফালনে সরকারি পরিকাঠামোর অপব্যবহার কীভাবে করতে হয়, তা মমতার সরকার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। সরাসরি সম্প্রচারের জন্য শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় লাগানো হয়েছে জায়ান্ট স্ক্রিন। একদিন আগে থেকেই রাস্তা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে বাস। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শহরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। পুলিশ থেকে শুরু করে পুরসভা, পূর্ত থেকে বিদ্যুৎ— এদিনের রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের জন্য কাজে লাগানো হয় সরকারের প্রায় সব বিভাগকেই। 

    এরপরও কি বলা যাবে না যে, এটা শক্তি প্রদর্শন ছাড়া অন্য কিছুই নয়!

    আরও পড়ুন: দাম কম হলেও চোলাইয়ের ‘টেম্পারে’ ফেল ২৮ টাকার ‘বাংলা’, বিষমদে মৃত্যু সেই কারণে?

  • West Bengal: উন্নয়নে ৮০% বরাদ্দ ছাঁটাই, রোজের খরচে কোপ ৫০%, নবান্নের হেঁসেল আর চলছে না

    West Bengal: উন্নয়নে ৮০% বরাদ্দ ছাঁটাই, রোজের খরচে কোপ ৫০%, নবান্নের হেঁসেল আর চলছে না

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাগেরোয় নবান্ন (Nabanna)। সংসার চালানোর টাকা নেই। কারণ মেলা, খেলা, খয়রাতি এবং উৎসবের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। অথচ রোজগারের বালাই নেই। বাধ্য হয়ে অর্থ দফতর বেতন ছাড়া বাকি সব খরচ হ্যাচকা টান মেরে বন্ধ করে দিয়েছে। বাজেটে বড় মুখ করে যে সব গালভরা কথা বলা হয়েছিল, অর্থ দফতর গত ১০ জুলাই নির্দেশিকা জারি করে বলে দিয়েছে, কেবলমাত্র বেতনের টাকাটুকুই পুরো খরচ করা যাবে, বাকি সব কিছুর উপরই সারা বছর কোপ পড়ছে। 

    নবান্ন সূত্রের খবর, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের চার মাস কেটে গিয়েছে। বছরের শুরুতে খরচের বহর বাড়াতে নিষেধ করে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। অনেকের আশা ছিল, প্রথম ত্রৈমাসিকের পর অন্তত খরচের রাশ আলগা হবে। তবে গত ১০ জুলাইয়ের নয়া নির্দেশেও বলে দেওয়া হয়েছে, সারা বছরই খরচে লাগাম থাকবে। কেবল বাজেটে বেতন-পেনশন খাতে যে টাকা ধরা আছে তা খরচ করা যাবে। প্রশাসনিক খরচ থেকে রাজ্যের উন্নয়ন প্রকল্পের খরচও করা যাবে না। কারণ ভাঁড়ারে টাকা নেই।

    অর্থ কর্তারা জানাচ্ছেন, এবারের বাজেটে অর্থমন্ত্রী ১ লক্ষ ২৬ হাজার কোটি টাকার স্টেট ডেভেলপমেন্ট স্কিম বা উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন। কিন্তু যা অবস্থা তাতে উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ২০ শতাংশের বেশি টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়। ফলে প্রতিটি দফতরকে বলে দেওয়া হয়েছে, বাজেটে যে পরিমাণ টাকা উন্নয়ন খাতে ধরা হয়েছে তার ২০ ভাগই কেবল খরচ করতে হবে। বেশি খরচ হলে তার দায় অর্থ দফতর নেবে না। শুধুমাত্র বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ক্ষেত্রে ছাড় থাকছে। 

    আরও পড়ুন: একুশের সমাবেশ রাজনৈতিক না সরকারি অনুষ্ঠান? প্রশাসনিক ব্যস্ততা দেখে উঠছে প্রশ্ন

    একইভাবে কোপ পড়ছে সরকার চালানোর প্রশাসনিক খরচেও। বেতন এবং উন্নয়নের বাইরে সবচেয়ে বেশি খরচ হয় এই প্রশাসনিক খরচে। সরকারি গাড়ি ঘোড়া, ইলেকট্রিক বিল, সরকারি অনুষ্ঠানসহ নানা খাতে ৫৮টি দফতরের প্রশাসনিক খরচ বাবদ বাজেটে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটি টাকা ধরা আছে। অর্থ দফতরের নির্দেশ, বাজেট বরাদ্দের ৫০% টাকাতেই সারা বছরের সরকারের সংসার চালিয়ে নিতে হবে। এক দফতরের সচিবের আক্ষেপ, সংসার চালানোর খরচ যদি ৫০ ভাগ কমিয়ে দেওয়া হয় তা হলে কি সংসার চলে? এর চেয়ে খারাপ অবস্থা আর কী-ই বা হতে পারে।

    দফতরের নির্দেশ, কোনও একটি প্রকল্পের খরচ দেড় কোটি টাকার বেশি হলেই নবান্নে ফাইল পাঠিয়ে অনুমোদন নিতে হবে। এক সরকারি কর্তার কথায়, মন্ত্রীমশাইয়ের বাথরুম সারাই করতেই তো অনেক সময় দেড় কোটি টাকার বেশি খরচ হয়, সেই ফাইল যদি নবান্ন পাঠিয়ে অনুমোদন নিয়ে আসতে হয় তা হলে সরকার কেমন চলছে বোঝাই যাচ্ছে।

    গত চার মাসে ২২টি দফতরের আরআইডিএফ প্রকল্পে ৫৩৪ কোটি টাকা দিতে পেরেছে নবান্ন। এর বাইরে হাপিত্যেশ করে বসে রয়েছে তৃণমূল সরকার। নরেন্দ্র মোদি (Modi) টাকা পাঠালে তবেই উন্নয়নের ঢাক বাজাতে পারবে তারা। রাজ্যের কঠিন আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (Reserve Bank of India) ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে বাংলাকে। সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদিও পাইয়ে দেওয়ার প্রকল্পের সর্বনাশা পরিস্থিতির কথা রাজ্যগুলিকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। এরাজ্যে মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রী-সিরিজের প্রকল্পগুলির মাধ্যমে খয়রাতির ধাক্কায় এবার রাজ্য সরকারই না দেউলিয়া হয়ে যায়। অনেকের মতে, যে সরকার উন্নয়ন খাতে বাজেটের ৮০ ভাগ বরাদ্দ ছাঁটাই করে দেয় সেই সরকার কি আদৌ সুস্থির?

    আরও পড়ুন: হাসপাতালগুলিতে মজুত রাখতে হবে রক্ত! ২১ জুলাইয়ের আগে সরকারি নির্দেশ ঘিরে বিতর্ক

  • Hooch tragedy: দাম কম হলেও চোলাইয়ের ‘টেম্পারে’ ফেল ২৮ টাকার ‘বাংলা’, বিষমদে মৃত্যু সেই কারণে?

    Hooch tragedy: দাম কম হলেও চোলাইয়ের ‘টেম্পারে’ ফেল ২৮ টাকার ‘বাংলা’, বিষমদে মৃত্যু সেই কারণে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বর্ধমানের পর ফের হাওড়া। চোলাই বা বিষমদ খেয়ে আবারও মৃত্যুর ঘটনা। এক মাসের মধ্যে অন্তত ১৪ জনের মারা যাওয়ার ঘটনায় ফের চর্চা শুরু হয়েছে। বছর খানেক আগে আবগারি দফতর ২৮ টাকার ‘বাংলা’ মদ চালু করেছিল। লক্ষ্য ছিল চোলাইয়ের দামে সরকারি মদ বিক্রি শুরু হলে দমানো যাবে বিষমদের কারবার। ২৮ টাকার বাংলায় মেশানো হয়েছিল মহুয়ার গন্ধও। বাজারও পেয়েছে সেই সস্তার সরকারি মদ। তারপরেও কেন এক মাসে বর্ধমান এবং হাওড়াতে বিষমদে লোকজন মারা যাচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: বর্ধমানের পর এবার হাওড়া, ফের বিষমদের বলি ৭, চোলাইয়ের ঠেকে ভাঙচুর

    আবগারি কর্তারা জানাচ্ছেন, ২৮ টাকার সরকারি মদ কার্যত চোলাইয়ের থেকেও সস্তা। ২৮ টাকায় মহুয়ার গন্ধ মিশিয়ে ৩০০ মিলিলিটার বাংলা বাজারে ছাড়া হয়েছে। চোলাই যেখানে ৬০-৬৫ টাকায় ৬০০ এমএল পাওয়া যায়। ৩০০ মিলিলিটার চোলাইয়ের দাম ৩৫ টাকা। দাম বেশি হওয়া সত্ত্বেও কেন তা হলে লোকে চোলাই ছাড়তে চাইছে না। আবগারি দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, সরকারের সঙ্গে দামে প্রতিযোগিতায় না পেরে চোলাইয়ে কারবারিরা নেশার ‘গুণে’ নেশাড়ুদের টেনে নিচ্ছে। সরকারি মদ ৭০ডিগ্রি আপে ভিত্তিতে তৈরি। অর্থাৎ স্পিরিটের শুদ্ধতা এমন করা হয়েছে যাতে কম দামে খুব বেশি নেশাও না হয়। সরকারের এই প্রবণতাকেই চোলাই কারবারিরা হাতিয়ার করেছে। ফলে তারা এখন চোলাইয়ের ‘’টেম্পার’ বাড়িয়ে দিয়েছে। এই টেম্পারের কারণেই বার বার মদে বিষক্রিয়া হচ্ছে। মানুষ মারা যাচ্ছে। আবগারি কর্তারা জানাচ্ছেন, চোলাইয়ের কারবারিরা সরকারি বাংলা মদের চেয়েও অতিরিক্ত নেশার মদ তৈরি করতে নানা রাসায়নিক মেশাচ্ছে। ফলে এক বোতল মদে ৫-১০ টাকা বেশি দিয়েও অনেকে ২৮ টাকার বাংলা পান করছেন না, টেম্পার থাকা চোলাই বেশি পছন্দ করছে। ফলে সরকারি মদ সস্তা হওয়ার পরেও চোলাই তার বাজার ধরে রেখেছে। কর্তারা জানাচ্ছেন, হাতুড়ে পদ্ধতিতে টেম্পার বাড়াতে গিয়েই মদে বিষক্রিয়া হয়ে যাচ্ছে। প্রাণ যাচ্ছে লোকের। 

    আরও পড়ুন: ২১ জুলাই ‘নো শাটডাউন’, মোবাইল বার্তায় নির্দেশ বিদ্যুৎ দফতরের

    আবগারি কর্তাদের একাংশের আরও দাবি, ২৮ টাকার বাংলা রাজ্যের সর্বত্র ব্যাপকভাবে ছাড়া হয়নি। তা হলে সাধারণ বাংলা মদ আর বিক্রি হবে না। সেই কারণে যে সব এলাকায় চোলাইয়ের কারবার ব্যাপকভাবে চলত সেখানেই ২৮ টাকার বাংলা বিক্রি করা হত। ফলও তাতে মিলেছে, চোলাইয়ের দাপট কমেছে। কিন্তু চোলাইওয়ালারা এলাকা ছেড়ে অন্যত্র ব্যাবসা ছড়িয়ে দিয়েছে। আবগারি দফতরের দাবি, বর্ধমান এবং হাওড়া দুটি স্থানেই ২৮ টাকার বাংলা বিক্রির অনুমোদন ছিল না। ফলে সেখানে হাই টেম্পারের চোলাই বা বিষমদই ছিল সুপারহিট। এখন উপায়? এক মাসে ১৪ জন মারা যাওয়ার পর এবার ২৮ টাকার বাংলা রাজ্যের সর্বত্র বিক্রির ব্যবস্থা করা হতে পারে। সস্তা দামের সঙ্গে নেশার গুণমানও(টেম্পার) কি বাড়ানো হবে? নিরুত্তর আবগারি কর্তারা। 

     

  • TMC 21 July: ২১ জুলাই ‘নো শাটডাউন’, মোবাইল বার্তায় নির্দেশ বিদ্যুৎ দফতরের

    TMC 21 July: ২১ জুলাই ‘নো শাটডাউন’, মোবাইল বার্তায় নির্দেশ বিদ্যুৎ দফতরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এর আগে হাসপাতালে রক্ত মজুত রাখা হয়েছে, ধর্মতলায় রেলিং উপড়ে ফেলা, গাছ কাটা, আলো লাগানো, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, এলাকায় জীবাণু নাশক ছড়ানো সবই হয়েছে। এক প্রকার বাধ্য হয়েই মধ্য ও দক্ষিণ কলকাতার প্রায় সবই স্কুলই আগামীকাল ছুটি ঘোষণা করে দিয়েছে। 

    এর পর শেষ দফায় অন্য দফতরগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে থেমে থাকল না বিদ্যৎ দফতরও। ২১ জুলাই রাজ্যের কোথাও শাটডাউন নেওয়া যাবে না। বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির সমস্ত সার্কেল অফিস পর্যন্ত এই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কোনও লিখিত নির্দেশ নয়, বিদ্যুৎ ভবন থেকে কর্তারা ওয়াটসঅ্যাপ বার্তার মাধ্যমে নীচ পর্যন্ত একথা জানিয়ে দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: একুশের সমাবেশ রাজনৈতিক না সরকারি অনুষ্ঠান? প্রশাসনিক ব্যস্ততা দেখে উঠছে প্রশ্ন

    বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কর্মীদের একাংশের মতে, কখনও কখনও লোড বণ্টন, রুটিন মেরামত, লাইনের ধারে গাছ কাটা, বিদ্যুৎ লাইনে গোলমাল ধরা পড়লে লোডশেডিং করতে হয়। গ্রামেগঞ্জে রোজই কোথাও না কোথাও আধ-এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ রাখতে হয়। সাধারণত মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা, দুর্গাপুজো, কালীপুজো, ঈদের সময় ‘নো শাটডাউন’ অর্ডার করা হয়। এই প্রথম শাসক দলের রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের জন্য এমন আপৎকালীন নির্দেশ জারি করা হল।

    কর্তাদের কেউ কেউ মশকরা করে বলেছেন, আসলে ২১ জুলাইকে কেন্দ্র করে যা কিছু প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তার অধিকাংশই কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম করেছেন। বাকি স্বাস্থ্য বা পুলিশ দফতরের মন্ত্রী তো মুখ্যমন্ত্রী নিজেই রয়েছেন। ফলে বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাসের কাজ দেখানো এবং নম্বর তোলার সুযোগ ছিল না। শেষ লগ্নে এসে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা তাই ওয়াটসঅ্যাপ বার্তার মাধ্যমে রাজ্যে কোথাও শাটডাউন নেওয়া যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে।

    আরও পড়ুন: হাসপাতালগুলিতে মজুত রাখতে হবে রক্ত! ২১ জুলাইয়ের আগে সরকারি নির্দেশ ঘিরে বিতর্ক

    যখন মমতার ভক্তকুল সকলেই প্রায় কলকাতামুখী সেখানে গ্রামে কোথায় লোডশেডিং হল তাতে কী এমন মহাভারত অশুদ্ধ হবে? এক কর্তার জবাব, এত প্রশ্ন করছেন কেন, স্বাস্থ্য দফতর সারা রাজ্যে সমস্ত হাসপাতালে রক্ত মজুত রাখার লিখিত নির্দেশ দিয়েছে, আর বিদ্যুৎ দফতর লোডশেডিংয়ে না করাতে ভুলটা কি করেছে?   

  • TMC Shahid Dibas: হাসপাতালগুলিতে মজুত রাখতে হবে রক্ত! ২১ জুলাইয়ের আগে সরকারি নির্দেশ ঘিরে বিতর্ক

    TMC Shahid Dibas: হাসপাতালগুলিতে মজুত রাখতে হবে রক্ত! ২১ জুলাইয়ের আগে সরকারি নির্দেশ ঘিরে বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পালন হবে শহিদ দিবস (shahid dibas)। অথচ হাসপাতালগুলিকে (Hospitals) পরিকাঠামো প্রস্তুত করে রাখতে বলা হয়েছে। বিরোধীদের প্রশ্ন, তৃণমূলের একুশে জুলাই শহিদ সমাবেশে কী এমন ঘটবে, যে সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখতে হবে? ব্লাড ব্যাংকে (Blood Bank) মজুত রাখতে হবে রক্ত? 

    ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই মহাকরণ অভিযানের ডাক দিয়েছিল যুব কংগ্রেস (Yuba Congress)। অভিযান হয়েছিল তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata banerjee) নেতৃত্বে। তখন বাম আমল। অভিযান রুখতে গুলি চালায় পুলিশ। খুন হন ১৩ জন। তাঁদের শহিদ আখ্যা দেয় কংগ্রেস। তার পর থেকে প্রতি বছর ওই দিনে শহিদ দিবস পালন করে কংগ্রেস। কংগ্রেস ভেঙে মমতা যখন তৃণমূল প্রতিষ্ঠা করেন, তখন থেকে ফি বছর ২১ জুলাই ঘটা করে দিনটি পালন করেন তৃণমূল নেত্রী। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান পরিণত হয়েছে তৃণমূলের প্রচারের হাতিয়ারে। ইদানিং শহিদরা চলে গিয়েছেন পিছনের সারিতে। সামনে চলে এসেছেন তৃণমূলের তারকারা। প্রতিবার যাদের দেখিয়ে ভোট কুড়োয় ঘাসফুল শিবির। 

    আরও পড়ুন : দলীয় কোন্দলের জের, আরামবাগে যুবর মারে জখম তৃণমূল নেতা

    এবারও ২১ জুলাই পালিত হবে শহিদ দিবস। সেই উপলক্ষে সরকারের তরফে হাসপাতালগুলিকে দেওয়া হয়েছে চিঠি। তাতেই সভা চত্বরের বিভিন্ন রাস্তায় থাকা হাসপাতালগুলিকে পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। মজুত রাখতে বলা হয়েছে প্রচুর রক্ত। যা দেখে বিরোধীদের প্রশ্ন, তাহলে কি এবারের শহিদ দিবসে রক্ত ঝরানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী? রাজ্য প্রশাসনের জোড়া চিঠিকে হাতিয়ার করে শাসক দলের কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ২১ জুলাই দিনটিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে “জেহাদি” দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তাঁর প্রশ্ন, কেন শহিদ মিছিলের রাস্তায় থাকা হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত থাকতে করে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে? তাঁর আরও প্রশ্ন, এটা দলের কর্মকাণ্ড না সরকারের? তাঁর মতে, এভাবে ক্ষমতায় থেকে জনস্বাস্থ্য পরিকাঠামোর চরম অপব্যবহার করছে তৃণমূল। 

    [tw]


    [/tw]

    গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে দলীয় কর্মসূচি পালনের অধিকার রয়েছে সব দলেরই। তবে সেই কর্মসূচিকে ঘিরে যেভাবে রক্ত ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করা হচ্ছে, তাতে আতঙ্কিত বিরোধীরা। 

  • Birbhum Bombs recovered: বারুদের স্তূপ বীরভূম! এবার ডোবা থেকে উদ্ধার ট্রাঙ্ক-ভর্তি বোমা

    Birbhum Bombs recovered: বারুদের স্তূপ বীরভূম! এবার ডোবা থেকে উদ্ধার ট্রাঙ্ক-ভর্তি বোমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বগটুই ঘটনার পর কেটে গেছে ৬৭ দিন। এখনও বীরভূম জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্ধার হচ্ছে বোমা বারুদ অস্ত্র। এবার ডোবা থেকে এক ট্রাঙ্ক ভর্তি বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। আবার কেন্দ্রস্থল সেই মাড়গ্রাম, যেখান থেকে গত ২ মাসে অন্তত ৪ বার বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। 

    ২১ মার্চের ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল যাবতীয় বোমা অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। তারপর থেকে উদ্ধার হয়েই যাচ্ছে। বগটুই গ্রাম থেকে খুব বেশি দূরে নয় মাড়গ্রাম। গত ২ মাসে এই এলাকার নাম বারবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে। 

    কখনও ড্রামের মধ্যে, নদীর পাড়ে, কখনও পরিত্যক্ত শৌচাগারের চেম্বার, কখনও আবার ঝোপ। সাম্প্রতিককালে, বীরভূম জেলার একাধিক জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে চারশোরও বেশি তাজা বোমা। 

    এর আগে গত ২৫ মার্চ, মাড়গ্রাম থানার অন্তর্গত ছোট ডাঙাল গ্রামেও থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর তাজা বোমা। প্রায় ২০০ বোমা উদ্ধার হয়। খালের পাশে ৬ টি ব্যারেলের মধ্যে বোমাগুলি রাখা ছিল। খবর পেয়ে সেগুলি উদ্ধার করে পুলিশ। 

    একদিন পরই, মাড়গ্রামে রামপুরহাট-বিষ্ণুপুর রাজ্য সড়কের ধারে নির্মীয়মাণ বাড়ির পিছনের চৌবাচ্চায় ৪ বালতি-ভর্তি বোমা মিলেছিল। বালতিগুলি খড় দিয়ে চাপা দেওয়া ছিল। স্থানীয় মানুষ খবর দেয় পুলিশকে। অন্তত ৪০টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়। 

    ফের একবার বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে শিরোনামে মাড়গ্রাম। এবার মাড়গ্রাম থানার মাহিপাড়া থেকে উদ্ধার করা হল ট্রাঙ্কভর্তি বোমা। আর শুধু মাড়গ্রাম নয়, গোটা বীরভূম জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গত ২ মাসে বিপুল পরিমাণ বোমা উদ্ধার হয়েছে। রামপুরহাট থেকে দুবরাজপুর  বা  নানুর থেকে লাভপুর– বারবার বোমা উদ্ধার হয়েছে এই জলা থেকে। 

    এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক সাম্প্রতিককালে বীরভূম থেকে বোমা-আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হওয়ার ঘটনাবলি-

    ২৫ মার্চ – বোমা উদ্ধার মাড়গ্রামে
    ২৬ মার্চ – বোমা উদ্ধার মাড়গ্রামে
    ৪ এপ্রিল – লোকপুরে তাজা বোমা উদ্ধার
    ৯ এপ্রিল – নানুরে ৫ টি আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার ৫ জন।
    ১৬ এপ্রিল – বোমা উদ্ধার মাড়গ্রামে
    ৩ মে – রামপুরহাটে তাজা বোমা উদ্ধার
    ১০ মে – বোমা উদ্ধার পাইকরে
    ১১ মে – পিস্তল উদ্ধার রামপুরহাটে
    ১৬ মে – আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার রামপুরহাটে
    ১৯ মে – আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার রামপুরহাটে
    ২৪ মে – আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার রামপুরহাটে
    ২৫ মে  – আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার রামপুরহাটে
    ২৫ মে – আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার লাভপুরে
    ২৭ মে – বোমা উদ্ধার মাড়গ্রামে

    এপ্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, “প্রতিদিন বোমা উদ্ধারের পরও কিভাবে এলাকায় এত বোমা পাওয়া যাচ্ছে? কাদের মদতে এলাকায় বোমা বারুদের শিল্প তৈরি হচ্ছে?” বিরোধীদের কটাক্ষ, বারুদের স্তূপের উপর বসে আছে গোটা জেলা। এই জেলায় যত বোমা এবং বারুদ মজুত আছে তাতে শুধু বীরভূম কেন, একটা দেশ উড়ে যেতে পারে! 

     

LinkedIn
Share