Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • CBI Quizzes Paresh Pal: বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনের মামলায় সিবিআই দফতরে হাজিরা পরেশ পালের

    CBI Quizzes Paresh Pal: বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনের মামলায় সিবিআই দফতরে হাজিরা পরেশ পালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার (Abhijit Sarkar Murder Case) খুনের মামলায় সিবিআই (CBI) দফতরে হাজিরা দিলেন বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল (MLA Paresh Pal) ৷ ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরেশ পালকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে নোটিস পাঠিয়েছিল ৷ প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২ মে ভোটের ফলপ্রকাশের পরই বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারকে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে ৷ ওই ঘটনায় শাসকদলের বিধায়ক পরেশ পাল যুক্ত বলে অভিযোগ করে বিজেপি ৷ ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তে অভিজিতের মৃত্যু নিয়েই তাঁকে এদিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় ৷

    প্রায় তিন ঘণ্টা জেরার পর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে যান পরেশ পাল। তিনি জানান, যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। সিবিআইয়ের সঙ্গে তিনি সবরকম সহযোগিতা করবেন। এর পাশাপাশি জানান সিবিআই তাঁকে বলেছে যে আর তাঁকে ডাকা হবে না।। অভিজিৎ সরকারের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার বলেছিলেন, তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং ভিডিও রয়েছে, যা তিনি সিবিআইয়ের কাছে জমা দিয়েছেন যেখানে দাবি করা হয়েছে অভিজিৎ সরকার মৃত্যুর পেছনে পরেশ পাল ও তার লোকজন দায়ী। কিন্তু এই দাবিকে নস্যাৎ করেছেন পরেশ পাল। মানুষের তাঁদের ওপর আস্থা রেখেছে, তাই বিপুল ভোট দিয়ে তাঁদের এনেছেন। এই কাজের সঙ্গে তৃণমূল জড়িত নয় বলে দাবি করেন তিনি।

  • Kaliachak: কালিয়াচকে জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করাচ্ছে পুলিশ! সিবিআই, এনআইএ-কে যৌথ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Kaliachak: কালিয়াচকে জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করাচ্ছে পুলিশ! সিবিআই, এনআইএ-কে যৌথ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  মালদার (Malda) কালিয়াচকের (Kaliachak) ধর্মান্তরনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta high court)। এই মামলায় সিবিআই (CBI) এবং এনআইএ-কে (NIA) যৌথভাবে তদন্ত করবে এবং আদালতকে স্ট্যাটাস রিপোর্ট দেবে।

    সম্প্রতি, কালিয়াচকে কয়েকটি গরিব হিন্দু পরিবারকে ধর্ম পরিবর্তনের (forceful conversion) জন্য ক্রমাগত চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। বলপূর্বক ধর্মান্তরণের প্রতিবাদে ধর্নায় বসেন ওই হিন্দু পরিবারগুলির মহিলা ও শিশুরা। পরিবারগুলির অভিযোগ, তাদের পরিবারের পুরুষ সদস্যদের গ্রেফতার করে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। ওই এলাকায় আগেও দুই হিন্দু পরিবারকে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁদের অভিযোগ, কালিয়াচক থানার আইসি-ই তাঁদের ধর্ম পরিবর্তন করতে চাপ দিচ্ছেন।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সংক্রান্ত একটি পোস্ট করে ধর্মান্তরণের বিরুদ্ধে সরব হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানান, কালিয়াচক থানার পুলিশ জোর করে ধর্মান্তকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে। অভিযোগের নিশানায় ছিলেন কালিয়াচক থানার আইসি। অভিযোগ, ধর্ম পরিবর্তন না করলে পুরুষদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। আরও অভিযোগ, এর আগেও ২ জনকে চাপ দিয়ে ধর্মান্তকরণ করা হয়েছে।

    একজন সরকারি আধিকারিকের এহেন আচরণে যারপরনাই বিস্মিত বিজেপি নেতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সুকান্ত লেখেন, গণতান্ত্রিক দেশ ভারতবর্ষ সংবিধান অনুসারে চলে। সংবিধানের ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদ ভারতের প্রত্যেকটি নাগরিককে তাঁর ধর্ম পালনের স্বাধীনতা দিয়েছে। সেই স্বাধীনতা রক্ষা করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের অর্থাৎ ক্ষমতায় বসে থাকা সরকারের। সেখানে একজন সরকারি পুলিশ অফিসার যিনি থানার ইন্সপেক্টর তিনি কীভাবে ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য কোনও মানুষকে চাপ দিতে পারেন? এটা পুরোপুরি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

    পশ্চিম বাংলায় ধর্মীয় স্বাধীনতাও বিপন্ন হওয়ায় ক্ষুব্ধ বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি লেখেন,  পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে চাকরি নেই, শিল্প নেই, সুশাসন নেই, বাক্ স্বাধীনতাও নেই। এছাড়াও নানা সমস্যা রয়েছে। এর পরেই তাঁর প্রশ্ন, তাই বলে সাধারণ মানুষের ধর্ম পালনের স্বাধীনতাটুকুও থাকবে না? তাঁর আশঙ্কা, তৃতীয়বার ক্ষমতালাভের পর কিছু নিষিদ্ধ গোষ্ঠী ক্ষমতার অলিন্দে থেকে মুখোশের আড়ালে তাদের স্বার্থ কায়েম করতে চাইছে না তো?

    হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষাও দাবি করেন সুকান্ত। তিনি লেখেন, সরকারকে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে হবে। এই পরিবারগুলোর অভিযোগ প্রশাসনকে যথাযথ গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে। তার পরেও সরকার কোনও পদক্ষেপ না করলে ভবিষ্যতে পথে নেমে এর প্রতিবাদ করবে বিজেপি।

    থানার আইসি-র নেতৃত্বে জোর করে ধর্মান্তরণের ঘটনায় আলোড়ন পড়ে যায়। জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই বিচারপতি নির্দেশ দেন, সিবিআই ও এনআইএ যৌথ তদন্ত করবে অভিযোগের ভিত্তিতে। আগামী ২১ জুনের মধ্যে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকেই তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। 

     

  • Suvendu Letter to Modi: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নামবদল করছে রাজ্য! প্রধানমন্ত্রী মোদিকে চিঠি শুভেন্দুর

    Suvendu Letter to Modi: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নামবদল করছে রাজ্য! প্রধানমন্ত্রী মোদিকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Mamata government) জারি করা নির্দেশিকায় কেন্দ্রের প্রকল্পের (central projects) নাম বদল করে দেওয়া হচ্ছে রাজ্যের নামে। শাসকদলের (TMC) ‘নির্দেশে’ এই কাজ করছেন খোদ জেলাশাসক (District Magistrate)। এই মর্মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Modi) চিঠি লিখলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu)। 

    নন্দীগ্রামের (Nandigram) বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ, কেন্দ্রের অন্তত ৩টি প্রকল্পের নাম রাজ্যের নামে বদল করেছেন উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) জেলাশাসক তথা কালেক্টর অরবিন্দ কুমার মীনা (Arvind Kumar Mina)। শুভেন্দুর অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দলের নির্দেশেই এই কাজ করছেন কেন্দ্রীয় ক্যাডারের আধিকারিক। 

    প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে শুভেন্দু লেখেন, এই আমলার কাজ একজন আইএএস অফিসারের কর্তব্যের পরিপন্থী। চিঠিতে শুভেন্দু উল্লেখ করেন, কীভাবে কেন্দ্রের তিন প্রকল্প — প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা ও স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পের নাম বদল করে যথাক্রমে বাংলা আবাস যোজনা, বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনা ও মিশন নির্মল বাংলা রাখা হয়েছে।

    রাজ্য সরকারের যে নির্দেশিকায় এই নাম পরিবর্তন করা হয়েছে, টুইটারে (Twitter) তার ছবি প্রকাশ করেন শুভেন্দু। সেখানে তিনি লেখেন, উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসকের এই নির্দেশিকা দেখে আমি বিস্মিত। কার কথায় তিনি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল করলেন? না কি তিনি নিজের ইচ্ছেতে এই কাজ করেছেন? একজন কেন্দ্রীয় ক্যাডারের অফিসারের থেকে এটা আশা করা যায় না। 

    পরে, প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠির সঙ্গেও সরকারি নির্দেশিকার একটি কপিও পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। পরে মোদিকে পাঠানো চিঠির প্রতিলিপিও সামাজিক মাধ্য়মে (social media) প্রকাশ করেন শুভেন্দু। সেখানেও তিনি জেলাশাসকের বিরুদ্ধে রাজ্যের শাসক দলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ তোলেন। ওই আমলার (IAS) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। 

     

  • TMC: একুশের ভোটে বনগাঁ দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী আদতে বাংলাদেশি নাগরিক? বলছে হাইকোর্টের রায়

    TMC: একুশের ভোটে বনগাঁ দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী আদতে বাংলাদেশি নাগরিক? বলছে হাইকোর্টের রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এপারের ভোটে লড়ছে ওপার বাংলার নাগরিক! 

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনেই এমন কাণ্ড ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকে বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আলো রানী সরকার। 

    তবে, বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের কাছে দু’হাজার ভোটে হেরে যান তিনি। এরপরই বিতর্কের সূত্রপাত। নির্বাচনী ফলাফল মানতে রাজি হননি ভোটে হেরে যাওয়া আলো রানী। দাবি করতে থাকেন যে তিনিই জিতেছেন। তাঁর আরও দাবি যে, তাঁকে চুরি করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

    যেমন ভাবা তেমন কাজ। ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। আর এতেই কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়ে। তখনই জানা যায়, আলো রানী সরকার আদতে বাংলাদেশের বাসিন্দা! তাঁর নাম রয়েছে বাংলাদেশের ভোটার তালিকায়!

    জানা গিয়েছে, ওপার বাংলার বরিশাল জেলায় জন্ম আলো রানীর। তাঁর ভাই-মা সহ পরিবার এখনও বরিশালের পিরোজপুরের বাসিন্দা। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশের বাসিন্দা চিকিৎসক হরেন্দ্রনাথ সরকারের সঙ্গে আলো রানীর বিয়ে হয়। 

    নির্বাচনের সময় তৃণমূল প্রার্থী আলো রানীর দাবি ছিল, তাঁর জন্ম হুগলির বৈদ্যবাটিতে, বিয়ের পর তাঁর নাম কোনওভাবে বাংলাদেশের ভোটার কার্ডে উঠে যায়। তিনি প্রত্যাহার করার আবেদন জানিয়েছেন। যদিও এই মর্মে কোনও প্রামাণ্য নথিই তিনি জমা করতে পারেননি আদালতে। 

    এই প্রেক্ষিতে, কলকাতা হাইকোর্ট তৃণমূল প্রার্থী আলো রানী সরকারের আবেদন খারিজ করে দিল। খারিজের কারণ হিসেবে বিচারপতি জানিয়েছেন, “আলো রানী সরকারের নাম রয়েছে বাংলাদেশের ভোটার তালিকায়।”

    অর্থাৎ, এরাজ্যের তো নয়ই, এমনকী এদেশের বাসিন্দাও নন তিনি। তাহলে, কোন জাদুমন্ত্রে তিনি এরাজ্যের ভোটার হলেন? শুধু তাই নয়, কী করে ভোটে প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পেলেন? আর কী করেই বা সেই যোগ্যতা অর্জন করলেন? 

    হাইকোর্ট তার রায়ে জানিয়েছে, ভারতীয় জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী, আলো রানী সরকারের বাংলায় তো বটেই, ভারতের কোনও প্রান্তে কোনও নির্বাচনেই প্রার্থী হওয়ার কোনও যোগ্যতা নেই।

    গোটা বিষয়টি ট্যুইট করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন তুলেছেন, যে রাজনৈতিক দল একজন বাংলাদেশিকে নির্বাচনে প্রার্থী করতে পারে, সে রাজনৈতিক দলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হবে না কেন?

    [tw]


    [/tw]

  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর অফিসে পুলিশ কেন? রাজ্যের রিপোর্ট চাইলেন ধনখড়

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর অফিসে পুলিশ কেন? রাজ্যের রিপোর্ট চাইলেন ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কার্যালয়ে হানা পুলিশের। পুলিশি হানার কারণ জানতে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের। ঘটনার নিন্দায় সরব বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।

     

    [tw]


    [/tw]

     

    নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ নেতা মেঘনাদ পাল। তাঁর স্ত্রী মহুয়া ভুয়ো সার্টিফিকেট দিয়ে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের পদে নিয়োগ পেয়েছেন, এমন এক অভিযোগ তুলে তমলুক কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এসডিপিও-র নেতৃত্বে এক বিশাল পুলিশ বাহিনী এদিন নন্দীগ্রামে মহুয়ার বাড়িতে যায়। সেখানে তাঁকে না পেয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কার্যালয়ে হানা দেয়। অভিযোগ, আগাম কোনও খবর না দিয়ে শুভেন্দুর কার্যালয়ে ঢুকে পড়ে এসডিপিও-র নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী।

    ঘটনায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ শুভেন্দু। বিধায়কের কার্যালয়ে পুলিশ আসা নিয়ে রাজ্যপালের কাছে নালিশ করেছেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মুখ্যসচিবের কাছে গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। ট্যুইটে রাজ্যপাল লেখেন, বিরোধী দলনেতার নন্দীগ্রামের কার্যালয়ে পুলিশ হানা দিয়েছে। বিষয়টি উদ্বেগের। তাই আমি মুখ্যসচিবের কাছে এনিয়ে জবাব চেয়েছি। 

    [tw]


    [/tw]

    রাজ্যপালকে জানানোর পাশাপাশি শুভেন্দু নিজেও একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, তাঁর বিধায়ক কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে পুলিশ। ভিডিও পোস্ট করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, “কোনও পূর্ব সূচনা না দিয়ে কোনও সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই এবং ম্যাজিস্ট্রেটের অনুপস্থিতিতে আচমকা আচমকা মমতা পুলিশ (পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ) আমার নন্দীগ্রামের বিধায়ক কার্যালয়ে অনধিকার প্রবেশ করে। মমতা সরকারের পুলিশের এই জঘন্য অপব্যবহার বিরোধী দলনেতার প্রতি এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের প্রমাণ।”

    [tw]


    [/tw]

    পদ মর্যাদায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা একজন পূর্ণমন্ত্রীর সমান। তাই ঘটনাটি বাড়তি মাত্রা পেয়েছে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও (Sukanta Majumdar)। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রের ইতিহাসের লজ্জাজনক দিন। আমরা এমন একটা রাজ্যে বাস করি, যেখানে সাংবিধানিক পদ মর্যাদা সম্পন্ন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মহাশয়ের কার্যালয় পর্যন্ত পুলিশ পাঠাতে বাকি রাখল না পশ্চিমবঙ্গের শাসক। এই ঘটনা এক প্রকাশ গণতন্ত্রকে হত্যা করার চেষ্টা। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসন অপরাধ দমন কম, বিরোধী দমন করতেই বেশি তৎপর।এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।

    আরও পড়ুন : শুভেন্দুকে নিয়ে সৌরভের বাড়িতে ‘শাহি’ভোজ অমিতের, কী ছিল মেনুতে?

     

     

     

  • Paresh Adhikary: আরও বিপাকে পরেশ অধিকারী, মন্ত্রীকে হাজিরার ‘ডেডলাইন’ হাইকোর্টের

    Paresh Adhikary: আরও বিপাকে পরেশ অধিকারী, মন্ত্রীকে হাজিরার ‘ডেডলাইন’ হাইকোর্টের

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC recruitment scam) মামলায় আরও বিপাকে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী (Paresh Adhikary)। 

    গত মঙ্গলবার, অর্থাৎ ১৭ মে রাত ৮টায় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) হাজির না হওয়ায় বৃহস্পতিবার আদালত অবমাননার (contempt of court) মামলায় কড়া নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। আজ রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে শেষ সুযোগ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High court)। এদিনই বিকেল ৩টার মধ্যে সিবিআই (CBI) অফিসে হাজির হতে হবে মন্ত্রীকে। যদি তিনি সেটা না করেন, তাহলে বিকেল ৩টের পর আদালত পরবর্তী নির্দেশ দেবে। এদিকে, আদালত যখন পরেশ অধিকারীকে নিয়ে বেজায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে, তখন তাঁর আইনজীবী ছুটতে ছুটতে এসে জানান, পরেশ অধিকারী কোচবিহারে আছেন।

    আরও পড়ুন: কলকাতা না এসে মেয়েকে নিয়ে নামলেন বর্ধমান স্টেশনে, হাইকোর্টে ফের ধাক্কা খেলেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী

    মঙ্গলবার রাতেই মন্ত্রীকে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, মন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে ইমেল পাঠিয়ে মঙ্গলবার রাত আটটার মধ্যে হাজির হতে বলেছিল সিবিআই। কিন্তু রাজ্যে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আসেননি। উল্টে জানা যায়, মেয়ে অঙ্কিতাকে নিয়ে পদাতিক এক্সপ্রেসে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন মন্ত্রী। তবে, শিয়ালদহ স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দিলেও মাঝপথ থেকে মেয়েকে নিয়ে ‘উধাও’ হয়ে যান পরেশ। তিনি যে কলকাতায় না এসে বর্ধমানেই ট্রেন থেকে নেমে গিয়েছেন, সেই ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল৷ সেই খবরে সিলমোহরও পড়ে। বর্ধমান স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে মেয়ে অঙ্কিতার সঙ্গে মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর ছবিও মিলেছে৷ কিন্তু এবার হাই কোর্টের চরম হুঁশিয়ারির মুখে পড়লেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।

    স্কুল সার্ভিস কমিশন (School service commission) নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় নাম জড়িয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে৷ ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে পরেশ অধিকারী ২০১৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। অভিযোগ, বাম জমানার খাদ্যমন্ত্রী শাসকদলে যোগ দেওয়ার পরই মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর (Ankita Adhikary) নাম উঠে যায় এসএসসি নিয়োগের মেধাতালিকায়। অভিযোগ, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে বেআইনিভাবে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে।

    বর্তমানে অঙ্কিতা মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। মামলাকারীদের দাবি, পার্সোনালিটি টেস্টে না বসেও এবং মেধাতালিকায় নাম না থেকেও অঙ্কিতা চাকরি পেয়েছেন। প্রভাব খাটিয়ে মেয়েকে স্কুল শিক্ষিকার চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট৷ অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হলেই সিবিআই পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করবে বলেও জানান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ 

    আরও পড়ুন: নথি নষ্টের আশঙ্কায় “সিল” এসএসসি দফতর, নিরাপত্তায় সিআরপিএফ, মধ্যরাতে নির্দেশ হাইকোর্টের

    সিঙ্গল বেঞ্চের দেওয়া নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বুধবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পরেশ অধিকারী। কিন্তু মামলা শুনবে না বলে জানিয়ে দেয় বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। পরে প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারী এবং মেয়ে অঙ্কিতার মামলার শুনানির জন্য বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চকে নির্দিষ্ট করেছেন প্রধান বিচারপতি। মন্ত্রী ও রাজ্যের আবেদন সবটাই শুনবেন বিচারপতি তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। আজই শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

  • Ssc Scam: শান্তিপ্রসাদ সিনহা সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের সিবিআইয়ের

    Ssc Scam: শান্তিপ্রসাদ সিনহা সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি(ssc) মামলায় অভিযুক্ত শান্তিপ্রসাদ সিনহার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের সিবিআইয়ের। কেবল শান্তি প্রসাদ নন, অভিযোগ দায়ের হয়েছে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সমরজিৎ আচার্য, সৌমিত্র সরকার ও অশোক সাহার। এঁদের মধ্যে শান্তিপ্রসাদের নামই বিশেষ করে উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ তাঁর সুপারিশেই নিয়োগ করা হত এসএসসিতে।

    বৃহস্পতি, শুক্রবারের পর শনিবার ফের একপ্রস্ত জেরা করা হয় রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ চন্দ্র অধিকারীকে(Paresh Chandra adhikary)। এদিন নিজাম প্যালেসে সিবিআই(cbi) কর্তারা তাঁকে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে জেরা করেন। সূত্রের খবর, বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিলেও, বেশ কয়েকটি প্রশ্নের জবাবে নীরব ছিলেন পরে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের মেয়েকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। আদালত অবমাননার অভিযোগও দায়ের হয়েছে পরেশের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন : নথি নষ্টের আশঙ্কায় “সিল” এসএসসি দফতর, নিরাপত্তায় সিআরপিএফ, মধ্যরাতে নির্দেশ হাইকোর্টের

    এসএসসিকাণ্ডে লেজেগোবরে দশা রাজ্য সরকারের। এর আগে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বেশ কয়েক দফায় জেরা করেছে সিবিআই।সদুত্তর না মেলায় আরও কয়েকবার তাঁকে জেরা করা হতে পারে। রক্ষাকবচের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন পার্থ। তবে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তার অনুমতি দেয়নি। তাই পার্থকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছে।

    প্রসঙ্গত, এসএসসির গ্রুপ-সির নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় বাগ কমিটি যে রিপোর্ট জমা দিয়েছিল, তাতে এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহার নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। শান্তিপ্রসাদ সিনহার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার অনুরোধও জানানো হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, শান্তি প্রসাদের নির্দেশেই ভুয়ো প্যানেল তৈরি করা হয়েছিল। সেই প্যানেলে যাঁদের নাম থাকত, তাঁদের ওএমআর শিট নষ্ট করে দেওয়া হত প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে। তাঁর নির্দেশেই বাকিরা এসব কাজ করতেন বলেও অভিযোগ।এই সব কারণেই শান্তিপ্রসাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের।

    আরও পড়ুন : দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি ৭ হাজার পদ তৈরি এসএসসি-তে?

    এদিকে, এসএসসিকাণ্ডে বর্তমান পরিস্থিতিতে লন্ডন সফর বাতিল করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে মউ চুক্তি স্বাক্ষর করার জন্য শনিবারই তাঁর লন্ডন উড়ে যাওয়ার কথা ছিল। এদিন তাঁর সঙ্গে লন্ডন যাওয়ার কথা ছিল শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনেরও। দুজনেই আপাতত লন্ডন যাচ্ছেন না বলে খবর।

     

  • anubrata mandal: গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই দফতরে অনুব্রত মণ্ডল, কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    anubrata mandal: গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই দফতরে অনুব্রত মণ্ডল, কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করলেন অনুব্রত মণ্ডল(anubrata mandal)!

    শেষমেশ বৃহস্পতিবার সাত সকালেই নিজাম প্যালেসে গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই(cbi) দফতরে হাজিরা দিলেন তৃণমূলের(tmc) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এদিন সকাল ৯টা ৫০ মিনিট নাগাদ সিবিআই দফতরে হাজির হন তিনি। বুধবার সন্ধেয় সিবিআই দফতরে হাজির হয়েছিলেন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও।

    ৬ এপ্রিল গরু পাচারকাণ্ডে দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রতকে নিজাম প্যালেসে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআই। সেদিন সকালে চিনার পার্কের বাড়ি থেকে বেরিয়েও পরে আর সিবিআই দফতরে হাজির হননি তিনি। শারীরিক অসুস্থতার জেরে এসএসকেএম হাসপাতালের(sskm hospital) উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হন তিনি। অনুব্রত তখন সিবিআইকে জানিয়েছিলেন, তারা চাইলে হাসপাতালে এসে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। হাসপাতাল থেকে ছুটির পরে ফের একবার সিবিআইকে চিঠি দেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর বাড়িতে বা ভার্চুয়াল মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজি আছেন তিনি।

    পরে সিবিআইকে ফের একবার চিঠি দিয়ে তিনি জানান, ২১ মে’র পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রস্তুত। নির্দিষ্ট ডেডলাইন শেষ হওয়ার আগেই বুধবার সিবিআই দফতরে ফের আইনজীবি মারফৎ চিঠি পাঠান অনুব্রত। জানিয়ে দেন, গরু পাচারকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদে রাজি হন তিনি। সেই মতো বীরভূমের তৃণমূল নেতাকে সময় দেয় সিবিআই। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে। এদিন তার ঢের আগেই চিনার পার্কের বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিজাম প্যালেসে পৌঁছে যান তিনি।           

    এসএসসি মামলায় বুধবার সন্ধেয় সিবিআইয়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা তাঁকে জেরা করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। তার পরের দিনই সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দিলেন অনুব্রত। তাঁকে জেরা করে গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তের জট খুলতে পারে বলেই আশা তদন্তকারীদের।

    আরও পড়ুন : নিজাম প্যালেসে সাড়ে তিন-ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে

    রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পার্থকে(partha chaterjee ) কেবল জিজ্ঞাসাবাদ করেই ছেড়ে দিয়েছে সিবিআই। তার পরেই সাহস পেয়েছেন অনুব্রত। সেই কারণেই এদিন বীরভূমের(Birbhum) দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত সাত সকালে হাজির হয়েছেন সিবিআই দফতরে।

     

     

  • SSC Recruitment Scam: নথি নষ্টের আশঙ্কায় “সিল” এসএসসি দফতর, নিরাপত্তায় সিআরপিএফ, মধ্যরাতে নির্দেশ হাইকোর্টের

    SSC Recruitment Scam: নথি নষ্টের আশঙ্কায় “সিল” এসএসসি দফতর, নিরাপত্তায় সিআরপিএফ, মধ্যরাতে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নজিরবিহীন! মধ্যরাতে হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) নির্দেশে “সিল” করে দেওয়া হল স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service commission) দফতর। গোটা ভবন মুড়ে ফেলা হল কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC frecruitment scam) নাটকীয় মোড় নিল বুধবার মধ্যরাতে।

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Teachers Recruitment scam) মামলায় সাড়ে তিন ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ-পর্ব সেরে বুধবার রাত ৯টা নাগাদ নিজাম প্যালেস থেকে বের হন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তার মধ্যেই, আচমকা এসএসসি (SSC) চেয়ারম্যান পদে রদবদল ঘটে। হঠাৎই চেয়ারম্যান পদে ইস্তফা দেন সিদ্ধার্থ মজুমদার। দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ৪ মাসের মধ্যেই। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই এসএসসি-র চেয়ারম্যান হিসেবে আইএএস অফিসার শুভ্র চক্রবর্তীকে নিয়োগ করে রাজ্য সরকার।

    এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের আশঙ্কা এই পরিস্থিতির মাঝেই গুরুত্বপূর্ণ নথি সরিয়ে ফেলা হতে পারে। আদালতের কাছে তাঁদের আর্জি অবিলম্বে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং এসএসসির দফতরে সিআরপিএফ মোতায়েন করা হোক। চাকরিপ্রার্থীদের এই আবেদনে সাড়া দিয়ে এ দিন রাতারাতি রাত সাড়ে দশটায় বেনজিরভাবে হাইকোর্টে শুরু হয় শুনানি।

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) এজলাসে শুনানি শুরু হয়। নিজের চেম্বার থেকেই মামলা শোনেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মামলাকারীরা জানান, কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার ইস্তফা দিয়েছেন। যিনি মঙ্গলবারই রাজ্যের শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার চাকরি ‘দুর্নীতিতে’ নম্বর জানিয়েছেন। অধ্যাপক মজুমদার ইস্তফা দেওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    অবিলম্বে সিআরপিএফ মোতায়েন করে নথি সংরক্ষণের আবেদন করেন এসএসসির (SSC) চাকরিপ্রার্থীরা। ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানিতে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেন, কমিশনের হাতে থাকা হার্ড ডিস্ক-সহ নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় নথি সংরক্ষণ করা হোক।  পাঁচ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য বা তাঁদের লোকজন নথি নষ্ট করতে পারেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত।

    এরপরই প্রায় মধ্যরাতে বিশেষ নির্দেশ দেয় আদালত। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ শুনে একের পর এক কড়া নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বলেন, বুধবার রাত সাড়ে বারোটা থেকে CRPF’এর নিরাপত্তায় মোড়া থাকবে SSC সদর দফতর আচার্য সদন। বৃহস্পতিবার দুপুর একটা অবধি কোনও সরকারি আধিকারিক, কোনও কর্মী এসএসসি-র অফিসে ঢুকতে পারবেন না কেউ। চেয়ারম্যানের পদত্যাগের পর থেকে কে বা কারা দফতরে ঢুকেছে তার সিসি ফুটেজ কাল বেলা ১২টার মধ্যে পেশের নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট। 

    সূত্রের খবর, হাইকোর্টের সেই নির্দেশের পর বিচারপতির চেম্বার থেকেই সিআরপিএফের (CRPF) অফিসে ফোন করা হয়। আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত কথা বলেন।

     

     

  • Paresh Adhikary: কলকাতা না এসে মেয়েকে নিয়ে নামলেন বর্ধমান স্টেশনে, হাইকোর্টে ফের ধাক্কা খেলেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী

    Paresh Adhikary: কলকাতা না এসে মেয়েকে নিয়ে নামলেন বর্ধমান স্টেশনে, হাইকোর্টে ফের ধাক্কা খেলেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি (SSC) শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার সিঙ্গল বেঞ্চের দেওয়া নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বুধবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী (Paresh Adhikary) । কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চে বড় ধাক্কা খেলেন মন্ত্রী। পরেশ অধিকারীর মামলা শুনবে না বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলা থেকে অব্যাহতি চাইল বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ।

    গতকাল, রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর মেয়ের চাকরিতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। অভিযোগ, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে বেআইনিভাবে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। বর্তমানে অঙ্কিতা মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। মামলাকারীদের দাবি, পার্সোনালিটি টেস্টে না বসেও এবং মেধাতালিকায় নাম না থেকেও অঙ্কিতা চাকরি পেয়েছেন। এই ঘটনায় মঙ্গলবার সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।  এই অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার জেরেই পরেশকে সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেয় আদালত।

    আরও পড়ুন: আজই হয় হাজিরা সিবিআইয়ে নয়তো হেফাজত, গ্রেফতারি এড়াতে ডিভিশন বেঞ্চে মন্ত্রী পার্থ

    নির্দেশকে চ্যালেঞ্চ করে ডিভিশন বেঞ্চে যান পরেশ অধিকারী। সিবিআই-জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিচারপতি টন্ডনের বেঞ্চের দ্বারস্থ হন তিনি। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মামলা থেকে অব্যাহতি চান বিচারপতি টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ।  বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) সিঙ্গল বেঞ্চ বলেছিল, মঙ্গলবার রাত আটটার মধ্যে নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) হাজিরা দিতে হবে পরেশ অধিকারীকে। কিন্তু, কলকাতায় না থাকায় সেই হাজিরা দেননি রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। সেই সময় তিনি কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন।

    এদিকে, পরেশের কলকাতায় আসা নিয়েও তৈরি হয় ধোঁয়াশা। গতকাল আদালত যখন রায় দিচ্ছিল, সেই সময় মেখলিগঞ্জে ছিলেন পরেশ। নির্দেশ পাওয়া মাত্রই তিনি মেয়ে অঙ্কিতাকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থেকে রাত পৌনে ৮টার পদাতিক এক্সপ্রেসে চড়ে রওনা হন কলকাতার উদ্দেশে। কিন্তু, বুধবার সকালে দেখা যায়, পদাতিক এক্সপ্রেস নির্ধারিত সময়ে কলকাতায় পৌঁছলেও, তাতে নেই মন্ত্রী পরেশ অধিকারী ও তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা। আজ সকাল ৬টা ৪৫-এ শিয়ালদা স্টেশনের ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছয় পদাতিক এক্সপ্রেস। ট্রেন অ্যাটেন্ড্যান্ট জানান, এইচ-১ কামরার নম্বর সি কুপে ছিলেন পরেশ অধিকারী ও তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী।

    ট্রেনের অ্যাটেন্ড্যান্ট দাবি করেন, মাঝপথেই  ট্রেন থেকে নেমে যান মন্ত্রী ও তাঁর কন্যা। পরে, জানা জায়, বর্ধমান স্টেশনে নেমে যান তাঁরা। স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে সেই ছবি। জানা গিয়েছে, ভোর ৪: ৫২ মিনিটে বর্ধমান স্টেশনের ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এসে থামে পদাতিক এক্সপ্রেস৷ মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর সঙ্গে ভোর ৪: ৫৬ মিনিট নাগাদ দেখা যায় পরেশ অধিকারীকে৷ এরপর ভোর ৫:০৪ মিনিট নাগাদ বর্ধমান স্টেশন চত্বর থেকে একটি সাদা স্করপিও গাড়িতে করে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় পরেশ অধিকারীকে৷

    আরও পড়ুন: “সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে কোনও ভুল নেই”, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বহাল সিবিআই তদন্ত

LinkedIn
Share