Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Rath Yatra 2022: পশ্চিমবঙ্গের এই প্রাচীন রথযাত্রাগুলোও সমান ঐতিহ্যবাহী, জানেন কি?

    Rath Yatra 2022: পশ্চিমবঙ্গের এই প্রাচীন রথযাত্রাগুলোও সমান ঐতিহ্যবাহী, জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরীর জগন্নাথের রথযাত্রা হল বিশ্বের সব থেকে বড় আর প্রসিদ্ধ রথযাত্রা। তবে পুরীর পাশাপাশি,  পশ্চিমবঙ্গেরও বহু প্রাচীন আর প্রসিদ্ধ বেশ কিছু রথযাত্রা এখনও হয়ে থাকে। তার মধ্যে যেমন রয়েছে মায়াপুরের ইসকনের রথ, তেমনই রয়েছে মাহেশের রথও।

    মাহেশের রথ: পশ্চিমবঙ্গের তথা ভারতের অন্যতম প্রাচীন রথযাত্রা হল শ্রীরামপুরের মাহেশের রথযাত্রা। বিশালাকারের এই রথ। রথকে ঘিরে একমাসের মেলাও বসে এই এলাকায়। ১৩৯৬ সাল থেকে এই রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। রথের ওজন ১২৫ টন। উচ্চতা ৫০ ফুট। চাকার সংখ্যা ১২টি। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেঅ এখানে দর্শনার্থীরা আসেন না, দেশ-বিদেশের নানা প্রান্তের মানুষও আসেন এখানে। 

    আরও পড়ুন: কীভাবে শুরু হয়েছিল পুরীর জগন্নাথ রথযাত্রা? জেনে নিন

    গুপ্তিপাড়ার রথ: হুগলির গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রা বাংলার রথযাত্রাগুলোর মধ্যে অন্যতম বিখ্যাত রথযাত্রা। ১৭৪০ সালে এই রথ উৎসব শুরু করেন মধুসূদানন্দ। তবে এই নিয়ে অনেক মতভেদ আছে। গুপ্তিপাড়ার রথের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য হল ৪০ কুইন্টাল খাবারের ভাণ্ডার লুট প্রথা। পুরীর রথকে যেমন জগন্নাথ দেবের রথ বলে, গুপ্তিপাড়ার রথকে বলে বৃন্দাবন জীউর রথ। এই রথের ১৬টি চাকা। উচ্চতা ৩৬ ফুট।

    মায়াপুরে ইসকনের রথ: শ্রী চৈতন্যদেবের জন্মস্থান নদীয়ার মায়াপুরে ইসকনের রথ খুবই প্রসিদ্ধ। মহা সমারোহ এবং ভক্ত সমাগমের সঙ্গে এখানে রথযাত্রা হয়ে থাকে। পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম বিখ্যাত রথ উৎসব। 

    মহিষাদলের রথ: পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের রথযাত্রা খুবই বিখ্যাত। এটি দুশো বছরের পুরোনো রথ। ১৭৭৬ সালে মহিষাদল বাড়ির জমিদার আনন্দলালের স্ত্রী জানকী এই উৎসবের শুরু করেন। তোপধ্বনি করে রথযাত্রার সূচনা হয়।

    আরও পড়ুন: প্রতিবছর রথযাত্রার আগে জ্বর আসে জগন্নাথদেবের, কেমন করা হয় চিকিৎসা?

    রাজবলহাটের রথ: হুগলির জঙ্গিপাড়ার রাজবলহাটের রথযাত্রা পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম বিখ্যাত রথযাত্রা। এই রথে জগন্নাথ, বলভদ্র, সুভদ্রার পরিবর্তে রাধাকৃষ্ণকে বসিয়ে টানা হয়। সঙ্গে থাকেন নিতাই-গৌরও।

    আমাদপুরের রথ: বর্ধমানের মেমারি অঞ্চলের ছোট্ট গ্রাম আমোদপুর বা আমাদপুর। গ্রাম ছোট্ট হলেও, এই গ্রামে রথযাত্রা পালন করা হয় ধুমধাম করে। গ্রামের জমিদার পরিবারের দেবতা হলেন রাধামাধব। সেই রাধামাধবকে নিয়ে হয় রথযাত্রা। গ্রামেরই প্রাচীন মন্দিরে পুজো হয় তাঁর। রথের দিন সকালে তাঁকে প্রথমে দুর্গাবাড়ি (মা দুর্গার মন্দির), পরে সারা গ্রাম ঘোরানো হয়।

  • BJP Letter to Mamata: “দ্রৌপদীদেবীর জয় নিশ্চিত, তা সত্ত্বেও…”, মমতাকে চিঠি বঙ্গ বিজেপির 

    BJP Letter to Mamata: “দ্রৌপদীদেবীর জয় নিশ্চিত, তা সত্ত্বেও…”, মমতাকে চিঠি বঙ্গ বিজেপির 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ-র (NDA) বাজি বিজেপির (BJP) দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi murmu)। জোটবদ্ধ হয়ে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি বিরোধী দলগুলিও। তা সত্ত্বেও রাজ্য বিজেপি  ভোট চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধীদের কাছেও। সেই মতো দ্রৌপদীকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখল বঙ্গ বিজেপি। চিঠির নীচে সই করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    আরও পড়ুন : এখনও অন্ধকারে! অবশেষে বিদ্যুৎ এল রাষ্ট্রপতি প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর গ্রামে

    জুলাই মাসের ১৮ তারিখে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ওই নির্বাচনে এনডিএ-র প্রার্থী বিজেপির দ্রৌপদী। নির্বাচন নয়, রাষ্ট্রপতি যাতে সর্বসম্মতভাবে মনোনীত হন সেজন্য বিরোধীদের কাছে আবেদন করেছিলেন রাজনাথ। তার পরেও বিজেপিকে মাত দিতে সম্মিলিতভাবে প্রার্থী দিয়েছে ১৮টি বিরোধী দল। প্রার্থী হয়েছেন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া যশবন্ত সিনহা। তার পরেও মুখ্যমন্ত্রী তথা  তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি।

    এর কারণও ব্যাখ্যা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত। বলেন, দ্রৌপদী মুর্মু প্রথম কোনও জনজাতি সম্প্রদায়ের রাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন। আমরা চাই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও তাঁকেই নির্বাচিত করুন।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি পদে এগিয়ে দ্রৌপদী মুর্মু! ‘ঘরের মেয়ে’ কে সমর্থন নবীনের

    রাজনৈতিক মহলের হিসেব বলছে, সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে দ্রৌপদী অনেক এগিয়ে।এডিএর শরিক নয়, এমন কয়েকটি দলও দ্রৌপদীকেই সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছে। তাই দ্রৌপদীর জয় একপ্রকার নিশ্চিত। তা সত্ত্বেও মমতা সহ রাজ্যের সব বিধায়ক ও তৃণমূল (TMC) এবং কংগ্রেসের (Congress) সাংসদদের চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। মমতাকে পাঠানো চিঠিতে বিজেপির তরফে লেখা হয়েছে, দ্রৌপদীদেবীর বিজয় নিশ্চিত। তা সত্ত্বেও ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে আপনার কাছে তাঁর হয়ে ভোট প্রার্থনা করছি। কারণ, বর্তমান সময়ের কষ্ঠিপাথরে শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মুর দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে আসীন হওয়া সর্বোত্তম পদক্ষেপ বলে আমরা মনে করি।

     

  • Mahua Moitra:’স্মোকিং কালী’ বিতর্ক, হাত ছাড়ল দল, তৃণমূলকে আনফলো মহুয়ার 

    Mahua Moitra:’স্মোকিং কালী’ বিতর্ক, হাত ছাড়ল দল, তৃণমূলকে আনফলো মহুয়ার 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি মা কালীকে নিয়ে তির্যক মন্তব্য করেছেন তৃণমূল (Trinamool) সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। তার জেরে বিভিন্নমহলে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন তিনি। এমনকি সমালোচনা করতে ছাড়েনি দলও। দলেও তিনি ব্রাত্য হয়ে গিয়েছেন। সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের ট্যুইটার (Twitter) হ্যান্ডেল থেকে মহুয়ার মন্তব্যের বিরোধিতা করা হয়েছে। দলের এই আচরণে ক্ষুব্ধ মহুয়া। প্রকাশ্যে দিলেন প্রতিক্রিয়া। তৃণমূলের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেলকে আনফলো (Unfollow) করলেন মহুয়া। 

    তৃণমূল এ ব্যাপারে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, “দেবী কালী সম্পর্কে মহুয়া মৈত্রের মতামতগুলি একান্তই ব্যক্তিগত। কোনওভাবেই পার্টি তা সমর্থন করে না এবং পার্টি অনুমোদিতও নয়। তৃণমূল কংগ্রেস এই ধরনের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে।” ট্যুইটটি টিএমসির অফিসিয়াল হ্যান্ডেলে পোস্ট করার পরই মহুয়া মৈত্র আনফলো করেন তৃণমূলকে।   

    [tw]


    [/tw]

    পরিচালক লীনা মণিমেকলাই একটি ছবির পোস্টার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার পর বিতর্ক শুরু হয়। পোস্টারে দেবী কালীর রূপে একজন মহিলাকে দেখানো হয়েছে। ছবিতে তাঁকে সিগারেট খেতে দেখা যাচ্ছে। ত্রিশূল  রয়েছে তাঁর হাতে। সেইসঙ্গে দেবীর হাতে রয়েছে এলজিবিটি সম্প্রদায়ের পতাকা। এই পোস্টার মুক্তি পেতেই ভারত তথা বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়। অভিযোগ ওঠে ছবি নির্মাতারা ইচ্ছাকৃত ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হেনেছেন।

    আরও পড়ুন: “বৃথা চেষ্টা, একটা বিগ জিরো…”, মমতার দিল্লি সফরকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    স্রোতের বিপরীতে গিয়ে মঙ্গলবার একটি সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে মহুয়া মৈত্র বলেন, মা কালী তাঁর কাছে একজন মাংসভোজী, মদ পান করা দেবী। মহুয়া বলেছিলেন, “আপনি যখন সিকিম যাবেন, আপনি দেখতে পাবেন যে তাঁরা দেবী কালীকে হুইস্কি দেয়। কিন্তু আপনি যদি উত্তরপ্রদেশে যান এবং আপনি যদি তাঁদের বলেন যে আপনি দেবীকে প্রসাদ হিসেবে হুইস্কি নিবেদন করেন, তাহলে তাঁরা আপনাকে অধার্মিক বলবে।” তাঁর প্রতিক্রিয়ার তীব্র সমালোচনা হয় রাজনৈতিক মহলে। বিরোধীরা তোপ দাগেন। বিপদ বুঝে সাংসদের পাশ থেকে সরে দাঁড়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। 

    আরও পড়ুন: হাওড়ায় ‘ফেল’ দুই পুলিশকর্তার কলকাতায় ‘প্রোমোশন পোস্টিং’!

    তৃণমূল মহুয়ার বক্তব্য থেকে দূরে সরে যেতেই মহুয়াও ট্যুইটারে আনফলো করেছেন দলকে। যদিও দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata) আনফলো করেননি তিনি। মহুয়ার এই অবস্থান নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রথমত তিনি বিতর্কিত মন্তব্য করে দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন। তারপরে ট্যুইটারে দলকে আনফলো করায় আরও অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির। 

     

     

  • Coal Scam: কয়লা-কাণ্ডে বিনয় ও বিকাশ মিশ্রের ১৪ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত!

    Coal Scam: কয়লা-কাণ্ডে বিনয় ও বিকাশ মিশ্রের ১৪ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার কাণ্ডে (Coal Smuggling Case) অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র (Vinay Mishra) ও বিকাশ মিশ্রর একটি কোম্পানির নামে কেনা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত (Property Seized) করল ইডি অর্থাৎ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। কয়লা দুর্নীতিতে (Coal Scam) অভিযুক্ত বিনয় ও বিকাশের ওই সম্পত্তির মূল্য আনুমানিক ১৩ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা।

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) গোপীনাথপুরে হানা দিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকে বিনয় ও বিকাশের দু’টি সম্পত্তি বেআইনি লেনদেন প্রতিরোধ আইন, ২০২২-এর (PMLA) আওতায় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই দু’টি সম্পত্তির মালিকানা রয়েছে ‘এলটিবি ইনফ্রা কনসালট্যান্ট’ নামে একটি সংস্থার হাতে। তদন্ত চলছে।

    আরও পড়ুন: পার্থ, পরেশের বাড়ি সহ ১৩ জায়গায় হানা ইডি-র, কী মিলল তল্লাশিতে?

    পশ্চিমবঙ্গের কয়লা দুর্নীতি (Bengal Coal Scam) মামলায় এর আগেই একাধিক অভিযুক্তের ২০৪ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইডি সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই বিনয় ও বিকাশের বিপুল অঙ্কের লেনদেনের খবর পেয়েছেন। ৭৩১ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলে খবর। লালা ওরফে অনুপ মাঝির (Anup Majhi) মারফত এই লেনদেন হয়েছে বলে ইডির প্রাথমিক অনুমান। তবে কেবল কয়লা মামলা নয়। বিনয় মিশ্রর বিরুদ্ধে গরু পাচারেরও অভিযোগ রয়েছে,তার তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। বিনয়ের বিরুদ্ধে আগেই হুলিয়া জারি করেছে তারা।

    আরও পড়ুন: কোটি কোটি টাকার লেনদেন! ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতে ৭ ইসিএল আধিকারিক

    এবার ইডির পালা। প্রসঙ্গত, কিংফিশারের কর্ণধার বিজয় মালিয়া (Vijay Mallya), শিল্পপতি মেহুল চোকসি (Mehul Choksi) ও নীরব মোদির (Nirav Modi) বিরুদ্ধে আইনের যে-ধারায় তদন্ত চলছে, বিনয়ের বিরুদ্ধেও সেই ধারা প্রয়োগের জন্য আইনি প্রস্তুতি শুরু করেছে ইডি। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে বিনয়ের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্তকারীরা জানান, ‘ফিউজিটিভ ইকনমিক অফেন্ডার’ (পলাতক আর্থিক অপরাধী) হিসেবে আইনের ধারায় বিনয়কে অভিযুক্ত বলে ঘোষণা করার জন্য সম্প্রতি নিম্ন আদালতে আবেদন করা হয়েছে। দেশ ও বিদেশে থাকা তাঁর সমস্ত বিষয়সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার যে আইনি প্রস্তুতি শুরু করেছিল ইডি, বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানে হানা তারই প্রথম ধাপ বলে অনুমান।

  • Primary TET Scam: ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণদের তথ্য চাইল সিবিআই, স্কুলে স্কুলে গেল নির্দেশ

    Primary TET Scam: ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণদের তথ্য চাইল সিবিআই, স্কুলে স্কুলে গেল নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে (Primary Teachers Recruitment) দুর্নীতির (Primary TET Scam) অভিযোগের তদন্তে কোমর কষে নামল সিবিআই (CBI)। ওই দুর্নীতির ঘটনায় তথ্য তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চলতি মাসের ১৬ তারিখে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের (Primary Education Board) তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, সিবিআইয়ের হাতে তথ্য তুলে দিতে হবে। সেই কারণে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় যাঁরা কৃতকার্য হয়ে প্রাথমিক শিক্ষকের (Primary Teachers) চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের সমস্ত নথিপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলায় সিবিআইকে ‘সিট’ গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের

    সোমবার রাজ্য শিক্ষা দফতর (West Bengal Education Department) থেকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদগুলিকে পাঠানো এক নির্দেশিকায় ১০টি তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে। এগুলি হল— নিয়োগপত্রের প্রতিলিপি, চাকরিতে যোগদানের নথি, ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড, টেটে যোগ্যতা অর্জনের তথ্য, সর্বস্তরের পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড, রেজাল্ট ও সার্টিফিকেট, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রশিক্ষণের শংসাপত্র, জাতিগত শংসাপত্র (যদি থাকে), প্যারাটিচার এনগেজমেন্ট লেটার, আগে যদি কোনও কাজের অভিজ্ঞতা থাকে তার শংসাপত্র এবং ২০১৪ সালের টেট সংক্রান্ত যদি কোনও তথ্য থেকে থাকে, তাও।

    শিক্ষক নিয়োগে যে ‘ভুল’ হয়েছে, বিধানসভায় তা স্বীকারও করে নিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, শিক্ষায় যদি এক লক্ষ চাকরি হয়ে থাকে, তাহলে তাতে ১০০টি ক্ষেত্রে ভুল রয়েছে। তা আমরা শুধরে নেব। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যই প্রমাণ করে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে।

    মুখ্যমন্ত্রীর এই ‘স্বীকারোক্তি’কে হাতিয়ার করে আক্রমণ শানিয়েছে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি। সংগঠনের তরফে স্বপন মণ্ডল বলেন, শিক্ষক নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা মুখ্যমন্ত্রী প্রকারান্তরে বিধানসভায় স্বীকার করে নিয়েছেন। প্রাথমিক বোর্ড থেকে যে তথ্য চাওয়া হয়েছে, তাতেও প্রমাণিত নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। অপরাধীদের শাস্তি চাই।

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি (BJP) বিধায়ক শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারী বলেন, আমাদের দাবি, যাঁরা ঘুরপথে চাকরি পেয়েছেন তাঁদের নয়, যোগ্য ব্যক্তিদের চাকরি দিতে হবে। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই যে তদন্ত করছে, তাতে গতি এনে অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

    এদিকে, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় এবার পর্ষদ (West Bengal Board of Primary Education) সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দিল হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt)।

     

  • Calcutta High Court: শুভেন্দুকে নেতাই যেতে বাধা কেন? ডিজি, এসপির বিরুদ্ধে রুল জারি হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: শুভেন্দুকে নেতাই যেতে বাধা কেন? ডিজি, এসপির বিরুদ্ধে রুল জারি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আদালত অবমাননার (Court of Contempt) মামলায় রাজ্য পুলিশের ডিজি (West Bengal Police DG), ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার (Superintendent of Police) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে রুল (Rule) জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt)। পশ্চিম মেদিনীপুরের নেতাই (Netai) গ্রামে যাওয়ার পথে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Leader of Opposition) শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu) বাধা দেওয়াতেই শোকজ করা হয়েছে এই তিন আধিকারিককে। জুলাই মাসের ৩০ তারিখে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে হাজির হয়ে জবাব দিতে হবে তাঁদের। এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।

    আরও পড়ুন : হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট, রক্ষাকবচের জন্য ছুটছেন মন্ত্রী পার্থ, কিন্তু পাবেন কি?

    ফি-বছর ৮ জানুয়ারি দিনটি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। ওই দিনেই ঘটেছিল নেতাই গণহত্যা (Netai Massacre)। সিপিএমের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন নিরীহ গ্রামবাসী। ওই ঘটনার পর থেকে প্রতিবছর দিনটি পালন করেন শুভেন্দু। প্রতি বারের মতো চলতি বছরও ৮ তারিখ সকালে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে নেতাই যাচ্ছিলেন শুভেন্দু। নেতাইয়ের ২০ কিলোমিটার আগেই আটকে দেওয়া হয় তাঁকে। ডিজি, ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নির্দেশেই তাঁর গাড়ি আটকে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়েই নেতাই না গিয়ে ফিরতে হয়েছিল শুভেন্দুকে।

    আরও পড়ুন : ‘‌বৈবাহিক ধর্ষণ’‌ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত দিল্লি হাইকোর্ট, মামলা যেতে পারে শীর্ষ আদালতে

    আদালত সূত্রে খবর, এর আগে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (Advocate General) কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের (Justice Sabyasachi Bhattacharya) এজলাসে হাজির হয়ে আশ্বস্ত করেছিলেন, রাজ্যর যে কোনও প্রান্তে যেতে পারেন বিরোধী দলনেতা। রাজ্যই তাঁর প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেবে। তার পরেও নেতাই যাওয়ার পথে বাধা দেওয়া হয় শুভেন্দুকে। এর পরেই রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য সহ তিন আধিকারিকের বিরুদ্ধে আলাদত অবমাননার মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে রুল জারি করে আদালত। জুলাই মাসের ৩০ তারিখে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে হাজির হয়ে তাঁদের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।

     

  • Calcutta High Court: এখন থেকে মাদক উদ্ধারের ভিডিওগ্রাফি বাধ্যতামূলক, পুলিশকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: এখন থেকে মাদক উদ্ধারের ভিডিওগ্রাফি বাধ্যতামূলক, পুলিশকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাদক মামলায় (Narcotics Related Case) কাউকে গ্রেফতার করা হলে কিংবা অভিযুক্তের কাছ থেকে বেআইনি কোনও সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হলে পুরো প্রক্রিয়াটি ভিডিওগ্রাফি (Videography) করে রাখতে হবে। সম্প্রতি এই মর্মে রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সংশ্লিষ্ট আধিকারিক এই নির্দেশ অমান্য করলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।  

    আরও পড়ুন : ডিএ বকেয়া থাকায় ২ রাজ্য সরকারি কর্তার বেতন বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

    আদালত সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের লালগোলা থানায় মাদক সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়ের হয়। সেই মামলায় অভিযুক্তের কাছ থেকে মাদক উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। যদিও প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি ভিন্ন। তাঁরা বলছেন, অভিযুক্তের কাছ থেকে আদৌ কোনও বেআইনি সামগ্রী উদ্ধার হয়নি। পরে পুলিশ জোর করে ‘ভুয়ো’ সিজার লিস্টে সই করিয়েছে অভিযুক্তকে দিয়ে। সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে জাল নথিপত্র পেশের অভিযোগও উঠেছে। এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে মামলাটি। মামলাকারীদের বক্তব্য জানার পর বেঞ্চের তরফে বলা হয়, আজকাল সব পুলিশ কর্মী ও আধিকারিকের কাছে স্মার্ট ফোন থাকে। তাই মাদক মামলায় কাউকে গ্রেফতার করা হলে কিংবা কোনও সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হলে পুরো প্রক্রিয়াটি ভিডিও রেকর্ডিং বা ভিডিওগ্রাফি করে রাখতে হবে পুলিশ আধিকারিকদের। কোনও পরিস্থিতিতেই এই নির্দেশ অমান্য করা চলবে না। আদালতের এই নির্দেশের বিষয়ে যাতে দ্রুত রাজ্যের সব থানাকে ওয়াকিবহাল করা হয়, তা-ও নিশ্চিত করতে ডিভিশন বেঞ্চের তরফে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে। বলা হয়েছে, অবিলম্বে রাজ্যের প্রত্যেক পুলিশ সুপারের কাছে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা পাঠিয়ে দিতে হবে। সকলে আদালতের নির্দেশ মানছেন কিনা, পুলিশ সুপারদের সেদিকেও নজর রাখতে হবে।

    আরও পড়ুন : ডিএ বকেয়া থাকায় ২ রাজ্য সরকারি কর্তার বেতন বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

    যে মামলা ঘিরে এই রায় দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ, লালগোলা থানা এলাকার সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্তের নাম কবীর শেখ। তাঁর দাবি, মিথ্যা মাদক মামলায় পুলিশ ফাঁসিয়েছে তাঁকে। ‘ভুয়ো’ সিজার লিস্ট তৈরি করে জোর করে তাঁকে তাতে সই করতে বাধ্য করা হয়েছে। বিনা ‘দোষে’ তাঁকে কারাবাসও করতে হয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রমাণের অভাবে ইতিমধ্যেই কবীরের জামিন মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।

     

  • Coal Smuggling: কোলে ২ বছরের ছেলে, ইডি-র তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির রুজিরা

    Coal Smuggling: কোলে ২ বছরের ছেলে, ইডি-র তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির রুজিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লাপাচারকাণ্ডে (Coal smuggling case) তলব পেয়ে শিশুসন্তানকে নিয়েই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) সামনে হাজিরা দিলেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rujira Banerjee)। বুধবার,  অভিষেকে-পত্নীকে তলব করেছিল ইডি (ED)। বৃহস্পতিবার সকাল সকাল ১১টা নাগাদ কোলে ২ বছরের শিশুকে নিয়ে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) হাজির হলেন তিনি।  

    কয়লাপাচার-কাণ্ডে এর আগে একাধিক বার অভিষেক (Abhishek Banerjee) এবং রুজিরাকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। অভিষেক দু’বার হাজিরাও দিয়েছিলেন ইডি দফতরে গিয়ে। কিন্তু রুজিরা যাননি। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর দু’বছরের পুত্র সন্তানকে কলকাতায় রেখে দিল্লি যাওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। তদন্তকারী অফিসাররা যদি কলকাতায় ডাকেন তাহলে তাঁর হাজিরার মুখোমুখি হতে কোনও অসুবিধা নেই।

    কিন্তু, ইডি তাদের দাবিতে অনড় থাকায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন রুজিরা। শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয়, কলকাতায় এসে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ইডি। সেইমতো, অভিষেক-পত্নীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দিল্লি থেকে কলকাতায় এসেছেন ইডি আধিকারিকরা। 

    আরও পড়ুন: কয়লাকাণ্ডে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের, করা হল কোন প্রশ্ন?

    কিছুদিন আগে, এই কয়লা পাচার কাণ্ড নিয়ে তাঁকে বাড়িতে গিয়ে জেরা করে এসেছিল সিবিআই (CBI)। তখনই এই টাকা লেনদেনের বিষয়টি উঠে আসে। তাই এবার রুজিরাকে জেরা করতে চায় ইডি। সূত্রের খবর, কয়লা পাচার কাণ্ডে বিদেশি লেনদেনের বিষয় নিয়ে তাঁকে জেরা করা হতে পারে। 

    ইডি সূত্রে খবর, কয়লা পাচারকাণ্ডে তদন্তের কেন্দ্রে রয়েছে ব্যাঙ্ককের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। ইডি-র দাবি, কয়লা পাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি (Anup Majhi) ওরফে লালার টাকা বিভিন্ন হাত ঘুরে ব্যাংককের একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে গিয়েছে। সেখানে জমা পড়েছে কয়লা পাচারের টাকা।

    ইডি সূত্রে দাবি, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তারা জানতে পারে, বিদেশি ব্যাঙ্কে ওই অ্যাকাউন্টের মালিক রুজিরা নরুলা। ইডি-র দাবি, রুজিরা নরুলাই হলেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইডি সূত্রে দাবি, প্রাথমিকভাবে ওই অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন রুজিরা।

    আরও পড়ুন: কয়লা, গরুপাচার, এসএসসি দুর্নীতির তদন্তরত অফিসারকে কেন সরিয়ে দিল সিবিআই?

     

  • Saigal Hossain: সায়গলকে ঘিরে থাকতেন ১৪ ‘ভূত’, জানেন কি তাঁরা কারা?

    Saigal Hossain: সায়গলকে ঘিরে থাকতেন ১৪ ‘ভূত’, জানেন কি তাঁরা কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী পুলিশ কনস্টেবল সায়গল হোসেনের (Saigal Hossain) সাম্রাজ্যে হানা দিয়ে কার্যত চক্ষু চড়কগাছ তদন্তকারীদের। সায়গলের নামি-বেনামি সম্পত্তির হিসাব কষে কয়েকশো কোটি টাকার হদিশ মিলেছে। তার মধ্যে ৬০টি জমির ডিড মিলেছে শুধু ডোমকলেই। সিবিআই (CBI) তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, সায়গলকে ঘিরে অন্তত ১৪ জনের সন্ধান মিলেছে, যাঁরা তোলাবাজির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই ১৪ জনের গ্যাং ধরা পড়লেই আরও কয়েকশো কোটি টাকার হদিশ মিলবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

    সিবিআই সূত্রের খবর, সায়গলের সাম্রাজ্য ছড়িয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি জেলায়। তাঁর সঙ্গতকারীদের মধ্যে ডোমকলের ব্রিজ মোড়ের বাসিন্দা এক ব্যক্তিকে নজরে রাখা হয়েছে। জমির কাগজ, সোনাদানা বা নগদের বিস্তারিত বিবরণ তাঁর কাছে আছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ডোমকলের রসুলপুর, ডোমকল বিডিও মোড়, ডোমকলের ভাদুরিয়া পাড়ার আরও ছয় যুবকও রয়েছে তদন্তকারীদের নজরে।

    আরও পড়ুন: কেন গ্রেফতার অনুব্রতর দেহরক্ষী, এত সম্পত্তি হল কীভাবে?

    জানা যাচ্ছে, দুবরাজপুরের দুই ব্যক্তি, সিউড়ির হাটজানবাজারের এক যুব তৃণমূল নেতা, ইলামবাজারের দুই তৃণমূল নেতা, রানিনগর শেখ পাড়া এবং ইসলামপুরের নাজিরপুরের দুই যুবকও ছিলেন সায়গল সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রক। তদন্তকারীদের দাবি, এই ১৪ জন তৃণমূল নেতা ও ব্যবসায়ীর মাধ্যমেই সায়গল অপারেট করত। গ্রেফতারির পর এঁদের অনেকেই এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। তবে আজ না হয় কাল গরু, কয়লা, পাথর, বালির সাম্রাজ্যে হানা দেওয়া হলেই এরা ধরা পড়বেন বলে জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

    এদের মধ্যে দু-এক জন ইতিমধ্যেই তদন্তে সহযোগিতাও করছেন। সেই কারণেই সায়গলের ৬০টির বেশি জমির ডিড, ছটি বাড়ি-ফ্ল্যাট, পেট্রল পাম্প, রিসর্ট, ডাম্পার, অজস্র মোটরবাইক, চারচাকা, সোনা, নগদ উদ্ধার হয়েছে। দ্রুত আরও সম্পত্তি উদ্ধার হতে চলেছে বলে তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন।

    আরও পড়ুন: ফের সাতদিনের সিবিআই হেফাজতে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন

    তাঁদের অনেকের প্রশ্ন, যদি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী এক পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকেই এত টাকা-সম্পত্তি উদ্ধার হয়, তা হলে আরও বড় চাঁইরা ধরা পড়লে কী পরিমাণ সম্পত্তি পাওয়া যাবে। গরুপাচার (Cattle smuggling) চক্রে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ গ্রেফতারি সামনের দিনে হতে চলেছে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে।

  • SSC Scam: তিনি ‘অজ্ঞ’, সব জানেন শিক্ষাসচিব, সিবিআইকে জানিয়ে এলেন পার্থ

    SSC Scam: তিনি ‘অজ্ঞ’, সব জানেন শিক্ষাসচিব, সিবিআইকে জানিয়ে এলেন পার্থ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মজার কাণ্ড সিবিআই (CBI) দফতরে। হেসেই লুটোপুটি তদন্তকারীরা। এমনও হতে পারে? কিন্তু এমনই হয়েছে। 

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) নির্দেশে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Recruitment Scam) তদন্তে নেমে দুদফায় জেরা করা হয় শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee)। পার্থবাবু তদন্তকারীদের জানিয়ে এসেছেন, তিনি অজ্ঞ, এসএসসি চাকরি কীভাবে হয়েছে তা কিছুই জানেন না। কারণ এসএসসি স্বশাসিত সংস্থা, মন্ত্রীকে কিছু জানানোর প্রশ্নই ওঠে না। তবে এখানেই শেষ হচ্ছে না হাসির কারণ। তদন্তকারীরা দলিল-দস্তাবেজ খুলে বসতেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী জানিয়ে দেন, তিনি নন, সব জানেন স্কুল শিক্ষাসচিব (State education secretary)। এত কাণ্ড যে হয়েছে তা তাঁর জানাই ছিল না।

    পার্থবাবুর মুখে একথা শুনে মুচকি হাসি দেখা যায় তদন্তকারীদের মুখে। আপাতত দুদফায় জেরা করা হয়েছে তাঁকে। তার মাঝেই সিবিআইয়ের হাতে এসেছে আরও তথ্য। সে সব সামনে রেখে ফের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে জেরা করা হবে বলে তদন্তের গতি-প্রকৃতির খবর যাঁরা রাখছেন, তাঁদের একাংশ জানাচ্ছেন। শিক্ষামহলের একাংশ অবশ্য এও দাবি করছেন, এসএসসি দুর্নীতির যাবতীয় দায় শিক্ষাসচিবের উপর চাপিয়ে দিয়ে পার্থবাবু আসলে শিক্ষা দফতরের বর্তমান হর্তা-কর্তাদের দিকেই ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: এসএসসি মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিস, শান্তিপ্রসাদের বাড়িতে সিবিআই

    কারণ আদালতে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির আসা ইস্তক বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছেন। তা হল, তাঁর আমলে এসব কিছু হয়নি। এমনকি আদালতে দাঁড়িয়ে সরকার বেনিয়মের প্যানেল বাতিল পর্যন্ত করতে উদ্যত হয়েছিল। যা এক প্রকার নিয়োগে দুর্নীতি মেনে নেওয়ারই সামিল। এর অর্থ বর্তমান শিক্ষা দফতরের কর্তারা দুর্নীতির দায় পুরনো মন্ত্রী-আমলাদের উপরই চাপিয়ে দিতে চাইছেন বলে বোকাসোকা মানুষেরাও বুঝতে পারছেন। 

    সেই কারণেই কি সিবিআইয়ের সামনে গিয়ে নিজের দায় ঝেরে ফেলে শিক্ষাসচিব মনীশ জৈনের (Manish Jain) সরকারি দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে এসেছেন প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী? তদন্তকারীদের একাংশ সূত্রে পাওয়া গিয়েছে, নিয়োগ যে একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া সে কথাও ঠারেঠোরে বোঝাতে চেয়েছেন পার্থবাবু। অর্থাৎ, শিক্ষামন্ত্রী বদলানোর সঙ্গেই দায় কেউ বয়ে নিয়ে যান না, সেই পদে যাঁরাই বসে থাকেন তাঁদেরও সমান দায়ভার থেকে যায়। বিকাশ ভবনে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কানেও এ কথা পৌঁছেছে। তিনি ‘কাগজপত্র’ সামলাতে বিশেষ সতর্কতাও নিয়েছেন। ঘনিষ্ঠ মহলে নাকি জানিয়েছেন, লক্ষ লক্ষ বেকার ছেলেমেয়েদের চাকরি নিয়ে দুর্নীতি হয়ে থাকলে তা সমর্থনযোগ্য নয়।

    আরও পড়ুন: কয়লা, গরুপাচার, এসএসসি দুর্নীতির তদন্তরত অফিসারকে কেন সরিয়ে দিল সিবিআই?

    তবে শুধু পার্থবাবু নন, নিয়োগ সংক্রান্ত তদারক কমিটির সদস্যরাও সিবিআইয়ের ‘বন্ধু’ হওয়ার চেষ্টাই করছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তদন্তকারীদের সামনে তাঁদের সকলের আকুতি, সহযোগিতা করছি, কিন্তু আমাদের যেন বেশি টানাটানি না করা হয়। সরকারের আইনজীবীরা বার বার সিবিআইয়ের তলব পাওয়া অফিসারদের পাখি পড়া করে পাঠাচ্ছেন, কোনও প্রশ্নেরই যেন জবাব দেবেন না। সূত্রের খবর, কিন্তু তদন্তের শুরুতে তাঁরা সেই চেষ্টা করলেও কাগজপত্র সামনে আনতেই তাঁদের ব্যবহার হয়ে যাচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাধ্য ছাত্রের মতো।

    যদিও সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে আদালত থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যেও নানা প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। আদৌ কি কিছু হবে? এসএসসি দুর্নীতির তদন্তরত এক কর্তার কথায়, ‘রাজ্য পুলিশের দারোগাদের তদন্ত শুরু হয় অভিযুক্তকে গ্রেফতারি দিয়ে। তার পর নথি সংগ্রহ শুরু হয়। সিবিআই তদন্তের ধারা সম্পূর্ণ বিপরীত। এখানে তদন্ত শেষ করে গ্রেফতারি হয়। রাজ্যের লক্ষ লক্ষ প্রতারিত পরীক্ষার্থীকে বিচার দেওয়ার ভার দিয়েছে আদালত। সেই কাজ নিখুঁতভাবে করতে একটু সময় লাগবে।’

    (স্কুল শিক্ষা সচিব মনীশ জৈন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে তদন্তকারী কমিটির সামনে কী বলেছেন তা মাধ্যম আগামীকাল জানাবে।) 

     

LinkedIn
Share