Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Dilip Ghosh: “খালি মোদিজীর টাকায় ফুটানি মারবেন…মানুষ কি বুঝতে পারে না!”, মমতাকে আক্রমণ দিলীপ ঘোষের

    Dilip Ghosh: “খালি মোদিজীর টাকায় ফুটানি মারবেন…মানুষ কি বুঝতে পারে না!”, মমতাকে আক্রমণ দিলীপ ঘোষের

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি কেন্দ্রের (central government) কাছে বিপুল বকেয়া টাকার (pending dues) হিসেব নিয়ে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন (Nabanna) সভাঘর থেকে কেন্দ্রের এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Modi) বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। এমনকী, রাজ্যের চিঠিতে কেন্দ্র  জবাব দিচ্ছে না অভিযোগ তুলে মোদি সরকারকে আক্রমণ করেন তিনি। এবার এই ইস্যুতেই তৃণমূল সুপ্রিমোকে পাল্টা বিঁধলেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

    প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতার তোলা অভিযোগের একের পর এক জবাব দিলেন বিজেপি সাংসদ। বললেন, ‘‌রাজ্যের বকেয়া রয়েছে নাকি। দিল্লির কাছে আমিও জানতে চাইছি ৯৭ হাজার কোটি টাকার হিসেব এল কোথা থেকে? ৪৩ হাজার কোটি টাকা আমফান–সহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য তা বোঝা গেল৷ আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেলিকপ্টারে চড়ে যে খরচ করেছেন সেই খরচ দাবি করছেন। 

    অন্য রাজ্যের উদাহরণ দিয়ে বিজেপি নেতার  আরও কটাক্ষ, ‘পার্টির লোককে সরকারি পয়সায় পুষবেন আর সেই টাকা দিল্লি দেবে? অন্য রাজ্য কান্নাকাটি করে না। কেন টাকা নেই টাকা নেই বলে দাবি? খালি মোদিজির টাকায় ফুটানি মারবেন। আর দিল্লির প্রকল্প নিজের নামে চালাবেন। বাংলার মানুষ কি বুঝতে পারে না?’

     

     

     

  • Arjun Singh: অর্জুন সিংয়ের বাড়ির সামনে বোমা,  এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলে

    Arjun Singh: অর্জুন সিংয়ের বাড়ির সামনে বোমা, এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনআইএ-র (NIA) হাতে গ্রেফতার তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলে। বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের(Arjun singh) বাড়ির সামনে বোমা রাখার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ব্যারাকপুরের বিজেপি (BJP) সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বাড়ির সামনে থেকে ৪৫টি বোমা উদ্ধার হয়। ওই ঘটনায় তৃণমূল নেতা সুনীল সিংয়ের (Sunil singh) ছেলেকে গ্রেফতার করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন অর্জুন সিং। তার পর থেকে তাঁকে নানাভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকবার তাঁর ওপর হামলাও করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে মতান্তরের জেরে দল ছাড়েন অর্জুন। তাঁর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই দল তৃণমূল সঙ্গ ত্যাগ করেন সুনীলও। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় ৭৭টি আসন পায় বিজেপি। রাজ্যের ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। এর পরেই বিজেপি সঙ্গ ত্যাগ করে ফের তৃণমূলে যোগ দেন সুনীল। পুরভোটে তৃণমূলের টিকিটে জিতে কাউন্সিলরও হন তিনি।   

    বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে অর্জুনকে শায়েস্তা করতে উঠেপড়ে লাগে রাজ্যের শাসক দল। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে চরমে ওঠে রাজ্যের শাসক দলের অত্যাচার। অর্জুনের বাড়ির সামনে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করেও একবার বোমা ছোড়া হয়। তার পরেও তৃণমূলে ফেরানো যায়নি অর্জুনকে।

    সম্প্রতি অর্জুনের বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার হয় ৪৫টি বোমা। এক সঙ্গে এতগুলি বোমা উদ্ধারের ঘটনায় জঙ্গি যোগের গন্ধ পায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। তদন্ত শুরু হতেই উঠে আসে সুনীলের ছেলের নাম। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তৃণমূলের দাবি, বিজেপি ছেড়ে শাসক দলে যোগ দিতেই সুনীলকে শায়েস্তা করতে লেগেছে কেন্দ্র। তাই গ্রেফতার করা হয়েছে সুনীলের ছেলেকে। অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির পাল্টা দাবি, আইনের ঊর্ধ্বে কেউই নন।

    আরও পড়ুন : মুম্বইজুড়ে দাউদ-সঙ্গীদের খোঁজে হানা এনআইএ-র, গ্রেফতার ছোটা শাকিলের ভগ্নিপতি

     

     

     

  • Trishakti corps: সমন্বয় বাড়াতে শিলিগুড়িতে কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে যৌথ মহড়া সেনার

    Trishakti corps: সমন্বয় বাড়াতে শিলিগুড়িতে কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে যৌথ মহড়া সেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামরিক মহড়া চাক্ষুষ করলেন উত্তরবঙ্গের (North Bengal) আমজনতা। শিলিগুড়ির (Siliguri) কাছে তিস্তা ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে (Teesta field firing range) সম্প্রতি হয়ে গেল ওই মহড়া। ভারতীয় সেনার (Indian Army) ত্রিশক্তি কোরের (Trishakti corps) সঙ্গে ওই মহড়ায় যৌথভাবে অংশ নেয় কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী (CAPF)। সামরিক ও পুলিশ বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি ও সক্ষমতা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যেই আয়োজন করা হয়েছিল এই বিশেষ মহড়ার। যার পোশাকি নাম “কৃপাণ শক্তি” (EX KRIPAN SHAKTI)।

    যৌথবাহিনীর ওই মহড়ায় প্রথমে সক্ষমতা প্রদর্শন করে ত্রিশক্তি কোরের সদস্যরা। লক্ষ্যবস্তুতে তাঁরা কত দ্রুত আঘাত হানতে পারেন, তারই প্রমাণ দেন এই সেনা জওয়ানরা। লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষিপ্র গতিতে আঘাত হানতে পারার কারণেই এই বাহিনীর এত নামডাক। এদিন এই বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্নরকমের সামরিক হাতিয়ার ও সরঞ্জাম ব্যবহার করে দেখান। বন্দুক, মর্টার, ইনফ্যান্ট্রি কমব্যাট ভেহিক্যালস, হেলিকপ্টার সহ বিভিন্ন সেনা-সরঞ্জাম। কেবল শব্দ শুনেই কীভাবে লক্ষ্য বস্তুতে আঘাত হানতে হয় (sensor to shooter), এদিন মহড়া হয়েছে তারও।

    এদিনের এই মহড়ায় অংশ নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীর (Central Armed Police Forces) জওয়ানরাও। দক্ষতার প্রমাণ দেন এই জওয়ানরাও। বিপদ ঘনালে এই দুই বাহিনী যে ক্ষিপ্রতার সঙ্গে তার মোকাবিলা করতে প্রস্তুত, এদিন মূলত মহড়া হয়ে গেল তারই।

    মহড়া শেষে আয়োজন করা হয়েছিল অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শনের। আমজনতাও তিস্তা রেঞ্জে গিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিভিন্ন হাতিয়ার চাক্ষুষ করেন। মহড়ার সময় উপস্থিত ছিলেন সেনা লেফটেন্যান্ট জেনারেল তরুণ কুমার আইচ, ত্রিশক্তি কোরের জেনারেল কমান্ডিং অফিসার সহ দস্থ সেনাকর্তারা। কর্তাদের পাশাপাশি মহড়া চাক্ষুষ করেছেন বিএসএফ (BSF), সশস্ত্র সীমা বল (SSB), স্থানীয় সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের লোকজন। উপস্থিত ছিলেন স্কুল-কলেজের এনসিসি (NCC) ক্যাডেটরাও।

    সেনার এক মুখপাত্র জানান, মহড়ার মূল লক্ষ্য ছিল বাহিনীর বিভিন্ন বিভাগের জওয়ানদের মনোবল বাড়ানো। বিদেশি যে কোনও শক্তির মোকাবিলা করতে আমাদের সেনা যে প্রস্তুত, সেই বার্তাও দেওয়া হয়।

     

  • Summer Vacation: কেন্দ্রের টাকা মারতেই কি স্কুলে গরমের ছুটিবৃদ্ধি? তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Summer Vacation: কেন্দ্রের টাকা মারতেই কি স্কুলে গরমের ছুটিবৃদ্ধি? তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরমের ছুটি এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত ঘিরে তৈরি বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতে এবার ছুটির মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণা মমতা প্রশাসনের। রাজ্যে স্কুলের ছুটির মেয়াদ আরও ১১ দিন বাড়াল স্কুল শিক্ষা দফতর (West Bengal School Department)। স্কুল ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ১৫ জুন।  কিন্তু এখন স্কুলে গরমের ছুটির মেয়াদ আগামী ২৬ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

    প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি গরম ও আর্দ্রতার কারণে রাজ্যে একাধিক মৃত্যু। পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের। পড়ুয়াদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত বলে জানাল সরকার। অসহনীয় গরমে পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে এর আগে গ্রীষ্মের ছুটি এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। ১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত গরমের ছুটি দেওয়া হয়েছিল। নবান্নর (Nabanna) এই সিদ্ধান্ত ঘিরে প্রশ্ন উঠেছিল বিভিন্ন মহলে। 

    আরও পড়ুন: হয় ছুটি নয় অনলাইন, রাজ্যের চাপ বেসরকারি স্কুলগুলিকে, কটাক্ষ বিজেপির

    সেই ‘সমালোচনা’র রেশ কাটতে না কাটতেই ফের স্কুলে গরমের ছুটি নিয়ে দ্বিমত তৈরি হল। গরমের ছুটি বাড়ানো নিয়ে ফের প্রশ্নের মুখে পড়েছে শিক্ষা দফতরের ভূমিকা। সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সরব হয়েছেন শিক্ষাবিদদের একাংশ। তাঁদের মতে, এই সিদ্ধান্ত একেবারে ‘অযৌক্তিক’।

    শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার বলেন, ‘এই তো বর্ষা এসে যাবে। দু’একদিনের মধ্যে বর্ষা এসে যাবে। এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। অতিমারী গেল, স্কুল এতদিন বন্ধ। অন্তত সপ্তাহে চারদিন খোলা থাক। নয়তো সপ্তাহে অন্তত তিনদিন খোলা থাক।’ একইভাবে, শিক্ষাবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি বলেন, এটা নিয়ে ভাববার সময় এসেছে। তাঁর মতে, করোনা কালে দুবছর পড়াশোনা হয়নি, তারপর আগেই গরমের ছুটি বেড়েছে। এরপর ছুটি বাড়ানো হলে পড়াশোনার অভ্যাসটাই চলে যাবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: পঁচিশে পাশ, পঁয়ত্রিশে বিজ্ঞানের পাঠ

    তবে, রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে অন্য সমীকরণ দেখছে বিজেপি (BJP)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Leader of Opposition) শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারীর দাবি, কেন্দ্রের টাকা মারতেই এই সিদ্ধান্ত তৃণমূল সরকারের। তিনি জানান, শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা মারতেই মমতার সরকারের এই সিদ্ধান্ত।

  • Paresh Adhikary: শনিবার টানা চার ঘণ্টা জেরা পরেশকে, ডাকা হতে পারে আবারও?

    Paresh Adhikary: শনিবার টানা চার ঘণ্টা জেরা পরেশকে, ডাকা হতে পারে আবারও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই (cbi) কর্তাদের টানা জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পরেশ অধিকারী (Paresh Chandra Adhikary)। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School service commission) শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Teachers recruitment scam) মামলায় আজকের ধরে পরপর তিনদিন তদন্তকারীদের প্রশ্নের মুখে পড়লেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। 

    বৃহস্পতিবার একপ্রস্ত জেরা করার পর শুক্রবার ফের একদফা জেরা করা হয় তাঁকে। শনিবার হয় আরও একবার। এদিন বেলা এগারোটা নাগাদ তাঁকে জেরা করতে শুরু করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা। নিজাম প্যালেস থেকে বের হন ঘণ্টা চারেক পরে। সিবিআইয়ের একটি সূত্রের খবর, আগামিকাল, রবিবার ফের একবার নিজাম প্যালেসে ডাকা হতে পারে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে।

    এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (ssc recruitment scam) মামলায় তৃণমূল নেতা তথা শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে মেয়ে অঙ্কিতাকে অনৈতিকভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর পরেই কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে  জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দেয়। তার পরেও প্রথম নির্দেশে হাজিরা না দেওয়ায় পরেশ ও তাঁর মেয়ে অঙ্কিতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে সিবিআই।  

    আরও পড়ুন : চাকরি থেকে বরখাস্ত পরেশ-কন্যা অঙ্কিতা, বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রথমবার নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজির হন পরেশ। সেদিন কয়েক ঘণ্টা জেরার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। শুক্রবার ফের জেরা করা হয় পরেশকে। এদিন প্রায় সাড়ে ছ’ঘণ্টা সিবিআইয়ের প্রশ্নবাণের সামনে বসেছিলেন তিনি। যদিও নিজাম প্যালেসে তাঁকে থাকতে হয়েছিল ন’ ঘণ্টা। শনিবার ফের নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজির হন পরেশ। এদিন তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পুরো পর্ব এদিন ভিডিওগ্রাফি করা হয়। এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহার দেওয়া বয়ানের সঙ্গে পরেশের বয়ান মিলিয়েও দেখা হয়।

    কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, এদিন বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন পরেশ। বেশ কিছু প্রশ্নের জবাবে ছিলেন নীরব। তাই সন্তুষ্ট নন তদন্তকারীরা। সেই কারণেই রবিবার ফের ডাকা হতে পারে তাঁকে। সিবিআই সূত্রে খবর, কোন কোন প্রভাবশালীর সঙ্গে পরেশের যোগাযোগ রয়েছে, এদিন মন্ত্রীর কাছে তা জানতে চাইতে পারেন গোয়েন্দারা। বাম জমানার মন্ত্রী পরেশ তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আগে কোন কোন নেতার সঙ্গে কী কী বিষয়ে তাঁর আলোচনা হয়েছিল, তাও জানতে চাইতে পারেন। নির্দিষ্ট কোনও বিষয়ে পরেশের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও রফা হয়েছিল কিনা, তাও জানতে চাইতে পারেন গোয়েন্দারা।  

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu) দাবি করেছিলেন, তিনটি শর্তে পরেশ যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। প্রথম শর্ত, মেধা তালিকায় ওয়েন্টিং লিস্টে না থাকা সত্ত্বেও মেয়ের চাকরি। দ্বিতীয় শর্ত, চ্যাংরাবান্ধা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের পদ এবং তৃতীয় শর্ত, কোচবিহার লোকসভার টিকিট। তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে এই প্রথম শর্তটি নিয়ে তাঁর সত্যি সত্যিই কোনও আলোচনা হয়েছিল কিনা, রবিবার তা জানতে চাইতে পারেন তদন্তকারীরা।

     

  • CBI: কয়লা, গরুপাচার, এসএসসি দুর্নীতির তদন্তরত অফিসারকে কেন সরিয়ে দিল সিবিআই?

    CBI: কয়লা, গরুপাচার, এসএসসি দুর্নীতির তদন্তরত অফিসারকে কেন সরিয়ে দিল সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা (Coal smuggling case), গরু পাচার (Cattle smuggling case) এবং এসএসসি দুর্নীতির (SSC recruitment scam) তদন্তরত যুগ্ম-অধিকর্তা পঙ্কজ শ্রীবাস্তবকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিল সিবিআই (CBI)। তাঁর পরিবর্তে নতুন অফিসারকে সোমবারই বসানো হয়েছে। ১৯৯৫ ব্যাচের হিমাচল প্রদেশ ক্যাডারের আইপিএস এন বেনুগোপাল গতকালই কলকাতা জোনের যুগ্ম-অধিকর্তার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এদিনই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পত্নী রুজিরাকে জেরার নোটিস পাঠিয়েছে সিবিআই।

    পঙ্কজ শ্রীবাস্তবকে কেন এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সরিয়ে দেওয়া হল তা নিয়ে তদন্তকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সব মহলে কৌতুহল তৈরি হয়েছে। এনিয়ে অবশ্য ওই যুগ্ম-অধিকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কিছু বলতে অস্বীকার করেন। সিবিআই সূত্রের খবর, বছর দুই আগেই তাঁকে দিল্লি সদর দফতরে প্রশিক্ষণ বিভাগে বদলি করা হয়েছিল। সেইসঙ্গে কলকাতা জোনের অতিরিক্ত চার্জ ছিল তাঁর কাছে। ইদানীং কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আটটি নতুন মামলা সিবিআইয়ের হাতে এসেছে। তার মধ্যে এসএসসি দুর্নীতির জাল এতটাই ছড়িয়েছে যে কলকাতায় একজন পূর্ণ সময়ের যুগ্ম-অধিকর্তার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। সেই কারণেই এমন পদক্ষেপ বলে অনেকে মনে করছেন।

    আরও পড়ুন: কয়লাকাণ্ডে অভিষেক-পত্নীকে তলব সিবিআইয়ের, আগামীকাল জেরা কলকাতাতেই?

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ভোট পরবর্তী হিংসার প্রায় ৬০টি মামলা, গরু পাচার, কয়লা পাচার, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলার চাপ সামলাতে আরও কয়েকজন অফিসারকে পাঠানো হতে পারে। শুধু এসএসসি দুর্নীতি তদন্ত করতেই যে সংখ্যক অফিসার প্রয়োজন তা কলকাতা জোনের নেই বলে তৃণমূলস্তরের তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন। সংস্থা সূত্রের খবর, এখন থেকে পঙ্কজ শ্রীবাস্তব দিল্লি থেকেই সিবিআইয়ের প্রশিক্ষণ দেখার পাশাপাশি কলকাতার চিটফান্ডের সমস্ত মামলা দেখভাল করবেন। সারদা, রোজভ্যালিসহ চিটফান্ডের সব মামলা এখনও তাঁর হাতেই থাকছে। ২০১৯ সালে সারদা চিটফান্ডের তদন্তের সূত্রেই কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল সিবিআই। তার নেতৃত্বে ছিলেন পঙ্কজ। নারদা মামলায় চার মন্ত্রীকে গ্রেফতারের নেপথ্যেও ছিলেন তিনি। তাঁর বদলিতে সিবিআইয়ের তদন্তের গতি প্রকৃতি এখন কোনদিকে যায় তা জানতে কৌতুহল তৈরি হয়েছে।

    আরও পড়ুন: কেন গ্রেফতার অনুব্রতর দেহরক্ষী, এত সম্পত্তি হল কীভাবে?

    তদন্তকারী সংস্থার খবর রাখেন এমন অনেকেই জানাচ্ছেন, গত একবছরে সিবিআই বেশ কয়েকটি স্পর্শকাতর মামলা হাতে পেলেও কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারেনি। অনেকেরই মনে প্রশ্ন, কেন অনুব্রত মণ্ডলকে এখনও ছেড়ে রেখেছে সিবিআই! কেন এসএসসি মামলায় হাইকোর্টের রায় আসার পরেও ঢিমেতালে চলছে তদন্তকারী সংস্থা! কেন কয়লা পাচার ও গরু পাচারের আসল মাথাদের ছোঁয়া হচ্ছে না? নতুন পূর্ণ সময়ের যুগ্ম-অধিকর্তার কাঁধে এখন সেই ভার। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একাংশে দাবি, গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত সব শেষ, এবার সম্ভবত ‘অ্যাকশন’ শুরু হবে। 

  • Hanskhali Minor Rape: হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ডের তদন্তভারও পেল সিবিআই, প্রবল চাপে মমতা-প্রশাসন

    Hanskhali Minor Rape: হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ডের তদন্তভারও পেল সিবিআই, প্রবল চাপে মমতা-প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও বিড়ম্বনার মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন রাজ্য প্রশাসন। বগটুইকাণ্ড ও তপন কান্দু হত্যা-মামলার তদন্তভার আগেই সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বীরভূম গণহত্যা থেকে শুরু করে কংগ্রেস কাউন্সিলর খুন, সব ক্ষেত্রেই মুখ পুড়েছে রাজ্য পুলিশের। এবার নদিয়ার হাঁসখালির ধর্ষণ মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তের দাবিতে উচ্চ আদালতে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা।

    সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে এই মামলায় জনস্বার্থ মামলা দাখিল করেন জনৈক আইনজীবী অনিন্দ্য সুন্দর দাস। এদিকে এই ঘটনায় আরও একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। সেটি করেছেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। হাঁসখালির ঘটনার প্রতিবাদে মৌন মিছিল বের করে বিজেপি। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়ে এই মিছিলের ডাক দেয় বিজেপি। নেতৃত্বে স্থানীয় বিধায়ক আশিস বিশ্বাস। পাশাপাশি, বিজেপি মহিলা মোর্চা সভানেত্রীর নেতৃত্বে সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল পৌঁছয় গ্রামে। তাঁরা থানায় তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে কথা বলেন।

    অভিযোগ, গত ৪ এপ্রিল ১৪ বছরের নাবালিকাকে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে মদ্যপান করায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সমর গয়ালির ছেলে ব্রজগোপাল গয়ালি ওরফে সোহেল। এর পর সে ও তার বন্ধুরা মিলে গণধর্ষণ করে নাবালিকাকে। রাতে এক মহিলাকে দিয়ে নাবালিকা প্রেমিকাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় সে। এর পর ক্রমশ অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে নাবালিকা। কিন্তু নাবালিকাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধা দেয় ব্রজগোপাল। পরে বাড়িতেই মৃত্যু হয় নাবালিকার। 

    রাতারাতি ওই নাবালিকার দেহ জোর করে দাহ করানোর অভিযোগও উঠেছে ওই তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে। পরিবারের দাবি, দ্রুত নাবালিকার দেহ সৎকারে বাধ্য করে ব্রজগোপাল। পুলিশকে এই বিষয় না জানাতে হুমকি দেয় নাবালিকার পরিবারকে। বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার, খুন করে ফেলার হুমকিও দেয় ব্রজগোপাল। জানা যায়, ওই নাবালিকার দেহ গত সোমবার রাতে দাহ করা হয়েছিল বিনা ডেথ সার্টিফিকেটে। ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়া কীভাবে দেহ দাহ করা হল তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

    পরিবারের দাবি, সোমবার রাতে নাবালিকাকে ধর্ষণের পর অসুস্থ অবস্থায় কোয়াক ডাক্তার অসিতকুমার বিশ্বাসের কাছে ওষুধ আনতে যান ওই নাবালিকার পরিবার। আর ফেরেননি। ধর্ষণের জেরে অত্যাধিক রক্তপাতে ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার স্থানীয় শ্মশানে দাহ করা হয় ওই নির্যাতিতা কিশোরীর দেহ। কেরোসিন ঢেলে দাহ করা হয়েছিল। পাশাপাশি প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টাও করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।

    এই ঘটনার কয়েকদিন পর হাঁসখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করে মৃত কিশোরীর পরিবার। এরপরই মূল অভিযুক্ত ব্রজগোপালকে গ্রেফতারির দাবি ওঠে। রবিবার তাকে গ্রেফতার করে হাঁসখালি থানার পুলিশ। পাশাপাশি অভিযুক্তের বাবা সমীর গয়ালি যিনি পঞ্চায়েত সদস্য, তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নদিয়া জেলা দক্ষিণের সভাপতি রত্না ঘোষ কর এ প্রসঙ্গে জানান, সমীর গয়ালিকে তৃণমূল দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে, সমরের ভাগ্নে দিবাকরকে আটক করেও পরে তাঁকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। 

    এদিন, শ্মশানকর্মী ও কোয়াক ডাক্তারকে রানাঘাট মহকুমা আদালতে পাঠায় পুলিশ। শ্মশানকর্মী করুণা বাউলি ও কোয়াক ডাক্তার অসিতকুমার বিশ্বাসকে পুলিশে আদালতে পাঠায় গোপন জবানবন্দির জন্য।

  • Heat wave: অস্বস্তিকর গরমে নাজেহাল শহরবাসী,বৃষ্টির আশায় কলকাতা

    Heat wave: অস্বস্তিকর গরমে নাজেহাল শহরবাসী,বৃষ্টির আশায় কলকাতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র গরমে জ্বলছে কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গ (Heat wave in Bengal)৷ দক্ষিণবঙ্গের  সাত জেলায় বুধবারও তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করল আলিপুর হাওয়া অফিস। কলকাতায় তাপপ্রবাহ না হলেও, গরম এবং অস্বস্তিকর আবহাওয়ার জন্য তাপপ্রবাহের মতোই অনুভব হবে বলে মত আবহবিদদের।

    সোমবারের মতো মঙ্গলবারও কলকাতায় গরমে নাজেহাল অবস্থা। চাঁদিফাটা রোদ্দুরে কাহিল শহরবাসী। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, এদিন শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে। শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে। গতকাল কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে চার ডিগ্রি বেশি। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। শহরে বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বাধিক ৮৯ শতাংশ, ন্যূনতম ৩৪ শতাংশ। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগামী কয়েকদিন পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূমে তাপপ্রবাহ পরিস্থতি বজায় থাকবে। 

    কবে বৃষ্টি: বৈশাখ মাসের ১০ তারিখ হয়ে গেলেও কালবৈশাখীর দেখা নেই। আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বৃষ্টির কোনও সম্ভবনাও নেই, বলে জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। তবে সামনের সপ্তাহের শুরুতে সোমবার অর্থাৎ মে মাসের ২ তারিখ থেকে বৃষ্টি হতে পারে।

    গরমে স্কুল: গরমে পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করল রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর (Advisory for schools due to heat wave)৷ ক্লাস শুরুর সময় এগিয়ে নিয়ে এসে মর্নিং স্কুল করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার ৷ হাসফাঁস করা গরমে নাজেহাল অবস্থা মানুষের (Bengal Govt advisory for schools)৷ চাঁদিফাটা রোদ্দুরে রাস্তায় বেরনোই দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে ৷ তীব্র দাবদাহে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই ৷ এই অবস্থায় স্কুলপড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করল রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর ৷ বিকাশ ভবনের সেই জরুরি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, তাপপ্রবাহ থেকে পড়ুয়াদের বাঁচাতে প্রাথমিক, এসএসকে, এমএসকে থেকে শুরু করে উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত ক্লাস গুলির পড়ুয়াদের জন্য মর্নিং স্কুল করতে হবে । অর্থাৎ বর্তমান পরিস্থিতিতে স্কুলের সময় এগিয়ে নিয়ে এসে সকালে করতে হবে । সূর্য যখন মধ্যগগনে থাকবে, তার আগেই যাতে বাড়ি ফিরে পড়তে পারে পড়ুয়ারা ৷ তাদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে ৷ যে সব স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষে তা করা সম্ভব হবে না, তাদেরকে গরম থেকে পড়ুয়াদের রক্ষার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে ৷ এ ক্ষেত্রে স্থানীয় স্বাস্থ্য আধিকারিকদের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে ৷

    গরমে অনলাইন: এই পরিস্থিতিতে খুদে পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে অফলাইন ক্লাস বন্ধ করলvসাউথ পয়েন্ট স্কুল। মঙ্গলবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী তিনদিনের জন্য বন্ধ থাকবে অফলাইন ক্লাস। পঠন-পাঠন সচল রাখতে ক্লাস চলবে অনলাইনে। আগামী সপ্তাহে আবহাওয়ার উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেইমত আগামী সোমবার থেকে ফের অফলাইন ক্লাস শুরু করা হবে।

    দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও গরম বজায় থাকবে। গত কয়েকদিনে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হয়েছে, যার জেরে সেখানে মনোরম পরিবেশ বজায় ছিল। কিন্তু, আগামী কয়েকদিনে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তাই সেখানেও তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

  • Saigal Hossain: ফের সাতদিনের সিবিআই হেফাজতে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন

    Saigal Hossain: ফের সাতদিনের সিবিআই হেফাজতে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সাতদিনের সিবিআই (CBI) হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেন (Saigal Hossain)। গরুপাচার (Cattle smuggling) মামলায় এদিন আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয় তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতির দেহরক্ষীকে। দেড় ঘণ্টা ধরে দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর এদিন সায়গল হোসেনকে ফের ৭ দিনের হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। 

    কেন গ্রেফতার অনুব্রতর দেহরক্ষী, এত সম্পত্তি হল কীভাবে?

    সাতদিন সিবিআই হেফাজতে থাকার পর শুক্রবার আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয় অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে। কলকাতা নিজাম প্যালেস থেকে সিবিআই আধিকারিকরা সকালে রওনা দেন। আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তাঁকে পেশ করা হয় সাড়ে ১১টা নাগাদ।

    এদিনের শুনানিতে সায়গলের পুনরায় হেফাজতের দাবি পেশ করে সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থার তরফে বলা হয়, সায়গলের কাছে গরু পাচার মামলার অনেক তথ্য রয়েছে। তাঁর বক্তব্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। এছাড়াও আয়বহির্ভূত বিপুল সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গেছে সায়গলের কাছ থেকে। ফলে, গরুপাচার মামলায় তদন্তের অগ্রগতির জন্য তাঁকে আরও জেরা করা প্রয়োজন। 

    তদন্তকারীদের একাংশ জানাচ্ছেন, জেলে যাওয়ার আগে এনামুলের সঙ্গে সায়গলের এক বছরে শতাধিক বার টেলিফোনে কথা হয়েছে। তদন্তে দেখা গিয়েছে, এনামুলের ওই ফোনটি নেওয়া ছিল তাঁর এক ভাইয়ের নামে। তিনি স্বীকার করে নেন, তাঁর নামে ফোনটি নেওয়া হলেও সেটা ব্যবহার করতেন এনামুলই। তদন্তকারীদের আরও দাবি, নামে-বেনামে প্রচুর সম্পত্তির মালিক এই সায়গল। সম্প্রতি, বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। সেই সম্পত্তির উৎস কী, তা জানতে তাঁকে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন। দু’পক্ষের সওয়াল-পর্ব শেষে সায়গলকে ফের সাত দিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়ে দেন বিচারক। এই মামলার পরবর্তী শুনানি দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ২৪ জুন।

    আরও পড়ুন: অনুব্রত মন্ডলের দেহরক্ষী সায়গলের বোলপুরের বাড়িতে সিবিআইয়ের তল্লাশি

  • Dilip Attacks Partha: কার চক্রান্তের কথা বলছেন? পার্থকে নিশানা দিলীপের, আক্রমণ অর্পিতাকেও

    Dilip Attacks Partha: কার চক্রান্তের কথা বলছেন? পার্থকে নিশানা দিলীপের, আক্রমণ অর্পিতাকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chaterjee)। সম্প্রতি তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করেছে তাঁর দল তৃণমূল (TMC)। পার্থের মাথার ওপর থেকে আশীর্বাদী হাত সরে গিয়েছে তৃণমূল নেত্রীর। আক্ষরিক অর্থেই একা হয়ে গিয়ে পার্থের দাবি, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। পার্থের এই দাবিকেই হাতিয়ার করেছেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর প্রশ্নবাণ, পার্থবাবু কার চক্রান্তের কথা বলছেন?

    এসএসসি দুর্নীতিকান্ডে তদন্তে নেমে কেঁচো নয়, কেউটের সন্ধান পেয়েছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। পার্থ ও তাঁর ঘনিষ্ঠ জনৈক অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে রাশি রাশি টাকা। হাইকোর্টের নিয়ম মেনে এদিন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পার্থ অর্পিতাকে। সেখানেই কান্নায় ভেঙে পড়েন অর্পিতা। আর পার্থ দাবি করেন তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। পার্থের এই ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’কেই অস্ত্র করেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর প্রশ্ন, পার্থবাবু কার চক্রান্তের কথা বলছেন? দিলীপ বলেন, উনি কোনও সাধারণ মানুষ নন। ওনার দায়িত্ব লোকের সামনে নিয়ে আসা। উনি মন্ত্রী, এত বড় নেতা, পুরানো রাজনীতিবিদ। তাই লোকে ওনাকে এত টাকা দিয়েছিল। তিনি বলেন, মানুষের বিশ্বাসটাকে রেখে বাংলার রাজনীতি যাতে কলুষমুক্ত হয়, সেজন্যও অন্তত ওনার বলা উচিত কারা চক্রান্ত করছে। এখন ফেঁসে গিয়েছেন। সত্যি সত্যিই কেউ চক্রান্ত করে থাকলে বলা উচিত।

    আরও পড়ুন : বেনামি ফ্ল্যাটের ‘মালকিন’ অর্পিতা, ভিজিটরদের নাম-ধাম জানতে কেন নিষেধ ছিল নিরাপত্তাকর্মীদের?

    এদিন অর্পিতাকেও নিশানা করেছেন দিলীপ। বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি বলেন, উনিও ঘর থেকে বেরনোর সময় বলেছিলেন বিজেপির চক্রান্ত। কান্নাকাটি করে তো আর বাঁচা যাবে না। তাহলে হয়তো লঘু হতে পারে সাজা। নইলে আরও কঠোর সাজা হবে। তিনি বলেন, উনি কান্নাকাটি না করে সত্য সামনে নিয়ে আসুন।

    এদিন তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন প্রদেশ কংগ্রস সভাপতি অধীর চৌধুরীও। তিনি বলেন, তৃণমূলের ভোটার, সমর্থকরা সৎ। তাঁদের সততা, আন্তরিকতাকে ব্যবহার করে তৃণমূলের নেতারা ধনকুবেরে রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলার মানুষ নতুন চেহারা দেখছেন তৃণমূলের। সবে তো শুরু হয়েছে, এখনও অনেক বাকি রয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন : পার্থকে সরালেও এখনও কেন বহাল পরেশ? মমতাকে আক্রমণ বিজেপির

    বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, কে ষড়যন্ত্র করেছে, সেই নামটা ওঁর নির্দিষ্ট করে বলা উচিত। কারণ বাংলার মানুষ গভীরতম ষড়যন্ত্রের শিকার। বাংলার মানসম্মান নষ্ট হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বলা উচিত কে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। না হলে একথা বলার কোনও মানে হয় না। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, চক্রান্ত হলে আইনের পথ খোলা রয়েছে।

     

LinkedIn
Share