Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Upper Primary: চাকরিপ্রার্থীরা বিক্ষোভ দেখাতেই আপার প্রাইমারি প্যানেল প্রকাশের দিন ঘোষণা

    Upper Primary: চাকরিপ্রার্থীরা বিক্ষোভ দেখাতেই আপার প্রাইমারি প্যানেল প্রকাশের দিন ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্ত সল্টলেক করুণাময়ী চত্বর। সোমবার আপার প্রাইমারির (Upper Primary) চাকরিপ্রার্থীরা বিক্ষোভ দেখান করুণাময়ীতে। এসএসসি ভবন ঘেরাওয়ের ডাক দেন তাঁরা। যখন করুণাময়ীতে (SSC Bhawan) আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন চলছে তখনই এল বিজ্ঞপ্তি। ২৫ সেপ্টেম্বর প্যানেল প্রকাশ করার কথা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। সোমবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, আগামী বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হবে মেধাতালিকা। ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রাখা হবে অস্থায়ী শিক্ষকের জন্য। বাকি পদে নিয়োগের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে। যদিও চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, শুধু মেধাতালিকা প্রকাশ করলে হবে না, ১০ বছর ধরে অপেক্ষা করছে তারা। নিয়োগ প্রক্রিয়াও শীঘ্র শুরু করতে হবে। 

    কবে প্যানেল প্রকাশ

    ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আপার প্রাইমারির (Upper Primary) নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর ডেডলাইন ছিল কলকাতা হাইকোর্টের। গত ২৮ অগাস্ট ৪ সপ্তাহের ডেডলাইন স্থির করেছিল আদালত। সেইমতোই সোমবার ২৩ তারিখ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হল ২৫ তারিখ অর্থাৎ আগামী বুধবার প্যানেল প্রকাশ করা হবে। ২০১৬ সালে প্রথম এসএলএসটি হয়েছিল। এখনও নিয়োগ পাননি যোগ্যরা। দ্রুত নিয়োগের দাবিতে আজই রাস্তায় নামেন চাকরিপ্রার্থীরা। আর এদিনই প্যানেল প্রকাশের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হল। হাইকোর্টের (Calcutta High Court)  নির্দেশ থাকার পরও কেন এখনও প্যানেল প্রকাশ করা হচ্ছে না, সে দাবিকে সামনে রেখেই এদিন পথে নামেন চাকরিপ্রার্থীরা। 

    আরও পড়ুন: “আমরা এক সঙ্গে পারি…”, মোদিকে আশ্বাস শ্রীলঙ্কার নয়া প্রেসিডেন্টের

    ধুন্ধুমার করুণাময়ী

    বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগে এদিন করুণাময়ী মেট্রো স্টেশন থেকে কাতারে কাতারে চাকরিপ্রার্থী রাস্তায় নেমে আসেন। গার্ডরেল পার করে চাকরিপ্রার্থীরা এসএসসি ভবনের (Upper Primary) দিকে ছুটে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে বচসাও বাধে তাদের। তবে চাকরি প্রার্থীদের একটা বড় অংশ আচার্য সদনের কাছাকাছি চলে যান। যে ব্যারিকেড ছিল, তা কার্যত ঠেলে সরিয়ে দিয়ে বেরিয়ে যান চাকরিপ্রার্থীরা। পুলিশ সামাল দিতে কিছুটা হিমশিমই খায়। কারণ, বিভিন্ন দিক থেকে এসএসসি ভবনের (SSC Bhawan) দিকে ছুটে যান চাকরিপ্রার্থীরা। অবশেষে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। তারপরই আপার প্রাইমারি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তির কথা জানানো হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ‘দ্রুত পোস্টমর্টেম না হলে রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে’! চিকিৎসককে হুমকি প্রাক্তন কাউন্সিলরের

    RG Kar: ‘দ্রুত পোস্টমর্টেম না হলে রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে’! চিকিৎসককে হুমকি প্রাক্তন কাউন্সিলরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘দ্রুত পোস্টমর্টেম না হলে রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে!’’ আরজি করের ফরেন্সিক মেডিসিনের অধ্যাপক অপূর্ব বিশ্বাসকে ঠিক এই ভাষায় হুমকি দিয়েছিলেন স্থানীয় এক প্রাক্তন কাউন্সিলর। এমনই অভিযোগ ওই চিকিৎসকের। আরও জানান, নিজেকে নির্যাতিতার ‘কাকা’ পরিচয় দিয়ে ফোন করেন ওই কাউন্সিলর।

    পোস্টমর্টেম না হলে রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে (RG Kar)

    আরজি করকাণ্ডে (RG Kar) ফের সিবিআই দফতরে তলব করা হয়েঠিল চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, অভীক দে এবং সৌরভ পালকে। সেইসঙ্গে ডাকা হয়েছিল চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাসকেও। নির্যাতিতার ময়না তদন্ত যে-তিন চিকিৎসক করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে একজন হলেন তিনি। ফরেন্সিক মেডিসিনের অধ্যাপক অপূর্ববাবু নির্যাতিতার ময়না তদন্ত করা নিয়ে রীতিমতো বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন। জানালেন, তাঁর ওপর কীভাবে দ্রুত পোস্টমর্টেম করার জন্য চাপসৃষ্টি করা হয়েছিল। 

    সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস বলেন, এক প্রাক্তন কাউন্সিলর সেদিন (৯ অগাস্ট) তড়িঘড়ি ময়নাতদন্ত করতে চাপ দিয়েছিলেন। নিজেকে নির্যাতিতার (RG Kar) কাকা পরিচয় দেওয়া ওই প্রাক্তন কাউন্সিলর সেখানে ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ওইদিন দ্রুত পোস্টমর্টেম না হলে রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে। তবে, তিনি রক্তের সম্পর্কের কেউ নন। বাইরের কেউ। বলেছিল ওই দিনই পোস্টমর্টেম করতে হবে। তিনি হলেন চিকিৎসকের বাড়ি যেখানে সেখানকার প্রাক্তন সিপিএম কাউন্সিলর। এনিয়ে অভিযুক্ত সেই কাউন্সিলর সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘এবার আমি এফআইআর করব। পুরো সাজিয়ে বলা হচ্ছে।’’ এদিকে গোটা ঘটনায় নানা প্রশ্ন উঠছে। সিপিএমের প্রাক্তন কাউন্সিলর বলে তিনি কোনও উল্লেখ করেননি। তবে ওখানকার প্রাক্তন কাউন্সিলর বলতে ওই সিপিএম কাউন্সিলর রয়েছেন। তবে, তাঁর কথাই ওই চিকিৎসক বলছেন কি না তা নিশ্চিত নয়। কারণ, ওই চিকিৎসক সরাসরি কারও নাম উল্লেখ করেননি।

    আরও পড়ুন: তিরুপতির লাড্ডুর ঘি কীভাবে তৈরি হত? জানতে উচ্চপর্যায়ের সিট গঠন চন্দ্রবাবুর

    হুমকি কেন মানলেন চিকিৎসকরা, উঠছে প্রশ্ন

    এমনিতেই নির্যাতিতার ময়না তদন্ত নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠেছে। যে-বিষয়টি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোটও। এবার বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস। কিন্তু, সেইসঙ্গে এই প্রশ্নও উঠছে যে, কেউ এমন হুমকি দিলেও সেই দাবি কেন মেনে নিয়েছিলেন ময়না তদন্তকারী চিকিৎসকরা। এদিকে রবিবার টালা থানার সাব ইনস্পেক্টর চিন্ময় বিশ্বাসকেও তলব করেছিল সিবিআই (CBI)। দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকেও। প্রসঙ্গত, আরজি করের (RG Kar) মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার থেকে তাঁর দেহ দাহ করা। গোটা প্রক্রিয়ায় একটা অস্বাভাবিক তাড়াহুড়ো করা হয়েছিল। এমনটাই দাবি করা হয়েছিল বিভিন্ন মহল থেকে। সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • IMA: আরজি কর কাণ্ডে কেন নিষ্ক্রিয় আইএমএ-র কলকাতা শাখা? প্রশ্ন তুলে ইস্তফা সহ-সভাপতির

    IMA: আরজি কর কাণ্ডে কেন নিষ্ক্রিয় আইএমএ-র কলকাতা শাখা? প্রশ্ন তুলে ইস্তফা সহ-সভাপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যখন তোলপাড় হয় সারা দেশ, তখনও নিষ্ক্রিয় ছিল চিকিৎসক সংগঠন আইএমএ-এর (IMA) কলকাতা শাখা। ঠিক এই অভিযোগে সংগঠনের সহ-সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন কৌশিক বিশ্বাস। জানা গিয়েছে, ইমেল মারফত তিনি এই ইস্তফাপত্র আইএমএ-এর কলকাতা শাখার সভাপতিকে পাঠিয়েছেন। সূত্রের খবর, রবিবারই সংগঠনের কলকাতা শাখার বৈঠক উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল আরজি কর (RG Kar Issue) ইস্যুতে। সেখানে দু’‌পক্ষের মধ্যে তুমুল বচসাও হয়েছিল। কেন আইএমএ (IMA) কলকাতা নিষ্ক্রিয় ছিল, এই প্রশ্ন বারবার উঠতে থাকে।

    কী বললেন কৌশিক?

    পদত্যাগের পর সংবাদমাধ্যমে কৌশিক বলেন, ‘‘আমি আইএমএ-র (IMA) কলকাতা শাখার সহ-সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। সেই মর্মে একটি ইমেল সংগঠনের সভাপতিকে পাঠিয়েছি। রাজ্য কমিটিকেও সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছি।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘আরজি করে (RG Kar Issue) যা ঘটেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে আইএমএ-র কলকাতা শাখার ভূমিকা খুবই হতাশাজনক ছিল। সেটাই আমার এই সিদ্ধান্তের অন্যতম কারণ। গত দেড় মাসে আইএমএ-র কলকাতা শাখা তেমন কোনও পদক্ষেপ করেনি। আমি এটা মেনে নিতে পারছিলাম না। সহ-সভাপতি হিসাবে এই নিষ্ক্রিয়তার দায় আমি এড়াতে পারি না। তাই ইস্তফা দিলাম।’’ কৌশিকের আরও অভিযোগ, ‘‘বর্তমানে আইএমএ-র কলকাতা শাখা যে বা যাঁরা চালান, তাঁরা যে বিশেষ গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত, তাদের সঙ্গে আমি কাজ করতে পারছি না।’’

    স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে কোনও পদক্ষেপ (IMA) সন্দীপের বিরুদ্ধে করা হয়নি

    সংগঠনের কলকাতা শাখার তরফে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে কোনও পদক্ষেপ সন্দীপের বিরুদ্ধে করা হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছেন কৌশিক। দিল্লির নির্দেশেই তাঁকে (সন্দীপ ঘোষ) পদ থেকে সরানো হয়েছিল। কৌশিক বলেন, ‘‘আমার মত ছিল, দিল্লির নির্দেশ আসার আগেই সন্দীপকে সরানো হোক। তা মানা হয়নি। পরে দিল্লি আইএমএ থেকে নির্দেশ আসে এবং তা কার্যকর করা হয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nirmal Ghosh: দেহ কেন দ্রুত দাহ করা হল? সিবিআই দফতরে হাজিরা তৃণমূল বিধায়কের

    Nirmal Ghosh: দেহ কেন দ্রুত দাহ করা হল? সিবিআই দফতরে হাজিরা তৃণমূল বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় এবার পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষকে তলব করল সিবিআই (CBI)। সোমবার তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। সকাল ১১টার আগেই তিনি কেন্দ্রীয় সংস্থার দফতরে পৌঁছে যান। নির্যাতিতার দেহ দাহ করার সময়ে তৃণমূল বিধায়ক পানিহাটি শ্মশানে ছিলেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।

    তৃণমূল বিধায়কের তত্ত্বাবধানেই দ্রুত দেহ দাহ! (Nirmal Ghosh)

    জানা গিয়েছে, ৯ অগাস্ট নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গেই স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ (Nirmal Ghosh) হাসপাতালে গিয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশে এই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। তারা বিধায়কের বয়ানও রেকর্ড করছে। পরিবারের দাবি, ঘটনার রাতে প্রথমবার ময়না তদন্তের পর দেহ যখন আরজি কর থেকে বার করে নিয়ে আসা হয়, তখন সঠিক তদন্তের জন্য দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু অভিযোগ, দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের আগেই দেহ দ্রুত আরজি কর থেকে বাড়িতে আনা হয়। বাবা-মা পৌঁছানোর আগেই সেই রাতে বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন নির্যাতিতার দেহ। বাড়ির সামনে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক নির্মল ঘোষ। অভিযোগ, বিধায়কের তত্ত্বাবধানেই দ্রুত দেহ পানিহাটি শ্মশানে নিয়ে গিয়ে দাহ করে দেওয়া হয়। সিবিআই সূত্রে খবর, আরজি করকাণ্ডের তদন্তে নেমে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর বিধায়কের কাছ থেকে জানতে চান তদন্তকারীরা। সেই তথ্য জানতে সিবিআই-এর তরফ থেকে বিধায়কের কাছে ফোন যায়। সেই সূত্রেই তিনি এদিন হাজিরা দেন।  

    আরও পড়ুন: তিরুপতির লাড্ডুর ঘি কীভাবে তৈরি হত? জানতে উচ্চপর্যায়ের সিট গঠন চন্দ্রবাবুর

    কী বললেন নির্মল?

    সোমবার সিজিওতে পৌঁচ্ছে নির্মল (Nirmal Ghosh) বলেন, ‘‘এটা তো আমার এলাকার ঘটনা। আমার কিছু জিনিসপত্র জমা দেওয়ার আছে। তাই এসেছি।’’ ঘটনার দিন আরজি কর থেকে সংবাদমাধ্যমকে নির্মল বলেছিলেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য মূল অপরাধীকে ধরা। সকলে তার জন্য চেষ্টা করছেন। সিপি-সহ পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এসেছেন। প্রশাসনিক কর্তারাও আছেন। একটি নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। কর্তব্যরত চিকিৎসককে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে। বিচার সুনিশ্চিত করার জন্য আমাদের তরফ থেকে যা করার করছি। ক্যামেরার সামনেই যা হওয়ার হচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত, আরজি করকাণ্ডে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। গ্রেফতার করা হয়েছে টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকেও। এই মামলায় চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, অভীক দে, টালা থানার এসআইকে সিজিওতে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন গোয়েন্দারা। নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত করেছিলেন যে চিকিৎসক, সেই অপূর্ব বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ বার নির্মলকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বন্যায় ভেঙেছে বাড়ি, বেতন থেকে দুর্গতকে ৫ লক্ষ টাকা তুলে দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: বন্যায় ভেঙেছে বাড়ি, বেতন থেকে দুর্গতকে ৫ লক্ষ টাকা তুলে দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসহায় বন্যা দুর্গত পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কিন্তু, এভাবে তিনি যে কথা রাখবেন তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া (Panskura Flood) ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গনেশচন্দ্র ভুঁইঞা। কথা দিয়েছিলেন তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে পাঁচ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার। সেই কথা রাখলেন শুভেন্দু। ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সেই সাহায্য পৌঁছে গেল ভাঙা বাড়ির মালিকের কাছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Suvendu Adhikari)

    টানা বৃষ্টি এবং ব্যারেজের জল ছাড়ার জেরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা বানভাসি। হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান সবচেয়ে বেশি প্লাবিত। ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে ঘাটালে বন্যার্তদের ভয়াবহ ছবি। একটু খাবার-ত্রিপলের জন্য হাহাকার করতে দেখা যায় তাঁদের। ২০ সেপ্টেম্বর প্লাবিত পাঁশকুড়া পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের জড়ন্দায় গিয়েছিলেন শুভেন্দু। তাঁকে (Suvendu Adhikari) সামনে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন গণেশবাবু ও তাঁর স্ত্রী। বলতে থাকেন কীভাবে নিমেশের মধ্যে তাঁর দোতলা বাড়ি-ঘর সর্বস্ব জলে ভেঙে গিয়েছে। সেদিন আশ্রয়হীন দুর্গতের গামছা দিয়ে চোখের জল মুছিয়ে দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর সামনে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগড়ে দেন তিনি। তিনি বলেন, বাঁধের ধস আটকাতে সেচ দফতরকে জানিয়েছিলাম। সেচ দফতরের ঠিকাদার কয়েকটি বস্তা দিয়ে চলে যান। বাঁধ মেরামত করেননি। সেদিন শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “আমি সরকার নই। তবে, আমি ব্যক্তিগতভাবে ৫ লক্ষ টাকা দেব।” তিনি আরও বলেন, “মেদিনীপুরের লোক মানেই আমার আত্মীয়। আমি সরকারের কেউ নই। তবুও বন্যার্তদের জন্য যতটুকু পারব করব।”

    আরও পড়ুন: তিরুপতির লাড্ডুর ঘি কীভাবে তৈরি হত? জানতে উচ্চপর্যায়ের সিট গঠন চন্দ্রবাবুর

    শুভেন্দুর দেওয়া চেক পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন দুর্গত

    রবিবার শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) প্রতিশ্রুতি মতো সেই টাকা দিয়ে যান শুভেন্দুর টিমের সদস্যরা। তাঁর মাসিক বেতন থেকে এই টাকা শুভেন্দু দিয়েছেন বন্যাদুর্গতদের। পাঁচ লক্ষ টাকার চেক হাতে পেয়ে ফের কান্নায় ভেঙে পড়লেন গণেশবাবু। সেদিন কেঁদেছিলেন আশ্রয় হারিয়ে, এদিন কাঁদলেন অন্ধকারের মধ্যে আশার আলো দেখে। অশেষ কৃতজ্ঞতা জানালেন শুভেন্দু অধিকারীকে। এই ঋণ তিনি কোনওদিন শোধ করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: জোড়া ঘূর্ণাবর্ত, মহালয়ার আগেই ভাসবে বাংলা! কী বলছে হাওয়া অফিস?

    Weather Update: জোড়া ঘূর্ণাবর্ত, মহালয়ার আগেই ভাসবে বাংলা! কী বলছে হাওয়া অফিস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগে ফের বৃষ্টি বাংলায়। হাওয়া অফিস (Weather Update) জানিয়েছে, সোমবারই বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হতে চলেছে। তা থেকে পরবর্তী সময়ে নিম্নচাপও দানা বাঁধতে পারে। মঙ্গলবার থেকে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) সম্ভাবনা রয়েছে। 

    কোথায় নিম্নচাপ

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) জানিয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ মায়ানমার উপকূল সংলগ্ন এলাকায় দু’টি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। মৌসুমি অক্ষরেখা বিস্তৃত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার উপর দিয়ে। তা ছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল থেকে দক্ষিণ মায়ানমার উপকূল পর্যন্ত আরও একটি অক্ষরেখা রয়েছে। এর প্রভাবে ঘূর্ণাবর্তগুলি থেকে সোমবারই একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হতে পারে বঙ্গোপসাগরে। অন্যদিকে, আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, সোমবার থেকেই দেশ থেকে মৌসুমী বায়ু একটু একটু করে সরে যাবে।  ২৩ সেপ্টেম্বর, সোমবার রাজস্থানের বেশ কিছু অংশ থেকে বর্ষা বিদায় নিতে পারে। ধীরে ধীরে উত্তর-পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলি থেকে বর্ষা বিদায় নেবে।

    কোথায় কত বৃষ্টিপাত

    আলিপুর হাওয়া অফিসের (Weather Update) পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবার উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমানে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার সতর্কতা রয়েছে দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার জন্য। তবে বুধবার থেকে দক্ষিণের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধ এবং বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টি (Heavy Rain) হতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং পূর্ব বর্ধমানে। বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে সর্বত্র।

    আরও পড়ুন: প্রজ্ঞা-তানিয়াদের দাপট! দাবা অলিম্পিয়াডে প্রথম বার জোড়া সোনা ভারতের

    উত্তরবঙ্গে বৃষ্টিপাত

    সোমবার দার্জিলিং থেকে মালদা সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস (Weather Update) রয়েছে। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি (Heavy Rain), সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইবে। বুধবার উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। সঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি এই তিন জেলায়। বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এই চার জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। বাকি জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: আরজি করকাণ্ডে দুর্নীতি! ফের সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে দীর্ঘ তল্লাশি চালাল সিবিআই

    CBI: আরজি করকাণ্ডে দুর্নীতি! ফের সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে দীর্ঘ তল্লাশি চালাল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের তৃণমূল কংগ্রেসের চিকিৎসক-বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই (CBI) হানা। কখনও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, কখনও সিবিআই, যাতায়াত লেগেই আছে তৃণমূলের এই চিকিৎসক নেতার বাড়ি, নার্সিংহোম, বাংলোয়। জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ নাগাদ সিঁথিতে সুদীপ্ত রায়ের (Sudipta Roy) বাড়িতে হাজির হয় তদন্তকারীদের একটি দল। রাত ১১টা নাগাদ বেরিয়ে যায় তারা।

    ঠিক কী অভিযোগ? (CBI)

    সিবিআই-ইডি ও স্টেট ভিজিল্যান্স কমিটিতে লিখিত অভিযোগও জমা পড়ে সুদীপ্ত রায়ের নামে। সেন্ট্রাল ল্যাব, কার্ডিওলজির মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট, নার্স নিয়োগে সুদীপ্ত রায় প্রভাব খাটাতেন বলে অভিযোগ করা হয়। সুদীপ্তর সিঁথির নার্সিংহোম তদন্তকারীদের স্ক্যানারে। সিবিআই-ইডি ও স্টেট ভিজিল্যান্স কমিটিতে জমা হওয়া অভিযোগ অনুযায়ী, জমা পড়ে, চিকিৎসক সুদীপ্ত রায় অত্যন্ত প্রভাবশালী। শাসকদলের বিধায়ক হওয়ার কারণে তিনি নিজের প্রভাব খাটিয়ে নিজের নার্সিংহোমে সরকারি নানা সরঞ্জাম নিয়ে যেতেন। তথ্যপ্রমাণও রয়েছে বলে অভিযোগপত্রে জানানো হয়। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির পর সুদীপ্ত রায়কে বারবারই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সিবিআই (CBI) তদন্ত শেষে সুদীপ্ত দাবি করেছিলেন, তিনি তদন্তকারী আধিকারিকদের সবরকম ভাবে সহযোগিতা করেছেন এবং ভবিষ্যতেও সহযোগিতা জারি রাখবেন। এদিকে উত্তরবঙ্গ লবির দুই নেতা অভীক ও বিরূপাক্ষ সম্পর্কে কিছু বলতে অস্বীকার করেছিলেন। গত ৯ অগাস্ট সকালে ফোনে কথা সন্দীপের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল বলে মেনে নিয়েছেন সুদীপ্ত রায়।

    আরও পড়ুন: তিরুপতির লাড্ডুর ঘি কীভাবে তৈরি হত? জানতে উচ্চপর্যায়ের সিট গঠন চন্দ্রবাবুর

    এর আগে ইডিও হানা দিয়েছিল

    সম্প্রতি আরজি কর দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে ৬ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। সেবার আরজি করের রোগী কল্যাণ সমিতির সদ্য প্রাক্তন সভাপতি সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। এছাড়া উত্তর কলকাতায় তাঁর নার্সিংহোমেও তল্লাশি চলে। পাশাপাশি হুগলির দাদপুরের দাঁড়পুর গ্রামে সুদীপ্ত রায়ের বাংলোতেও ইডি অভিযান চালায়। এছাড়াও বালিগঞ্জে এক ওষুধ ব্যবসায়ীর বাড়িতে পৌঁছায় ইডি। সেই ব্যবসায়ীর নাম সন্দীপ জৈন।  সেদিন প্রায় ২০ ঘণ্টা তাঁর বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাঁকে সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সেও ডাকা হয়। ১২ সেপ্টেম্বর সিবিআই (CBI) হানা দিয়েছিল তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে। জানা গিয়েছে, আরজি করে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়েই সুদীপ্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তাঁর মেয়েকেও জেরা করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। প্রসঙ্গত, আখতার আলির অভিযোগের ভিত্তিতে আরজি কর দুর্নীতি নিয়ে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু করে। তবে, আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ইডিও তদন্তে নামে। সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতারের পরই একাধিক প্রভাবশালীর নাম হাতে আসে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: পেঁয়াজের কালোবাজারি! মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি বিজেপি সাংসদের

    BJP: পেঁয়াজের কালোবাজারি! মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি বিজেপি সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যার অজুহাত দেখিয়ে পশ্চিমবঙ্গে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করছে মমতা সরকার। এমনই অভিযোগে এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন রাজ্যের বিজেপি (BJP) সাংসদ। পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো চিঠি লিখলেন কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশীকে। পুরুলিয়ার সাংসদ সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। সাংসদের দাবি, প্রশাসনের মদতে কালোবাজারের মাধ্যমে পেঁয়াজের দাম (Onion Price) অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘এটি মমতার পেয়াঁজ দুর্নীতি। তদন্ত করা উচিত।’’

    দাম স্বাভাবিক করতে মজুত পেঁয়াজ বাজারে আনার দাবি (BJP)

    সাংসদের আরও অভিযোগ, বন্যার অজুহাতকে কাজে লাগিয়ে অন্যায়ভাবে পণ্য পরিবহণ বন্ধ করে দিয়েছে মমতা সরকার। এই পেঁয়াজ দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারকে তদন্ত করারও আবেদন জানিয়েছেন পুরুলিয়ার বিজেপি (BJP) সাংসদ। একইসঙ্গে দাম স্বাভাবিক করতে মজুত পেঁয়াজ বাজারে আনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন সাংসদ।

    আরও পড়ুন: আন্দোলনের চাপে দিশাহারা মমতা সরকার, পিছিয়ে দেওয়া হল ‘দুয়ারে উদ্যম’ শিবির

    ইচ্ছাকৃত ভাবে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করেছেন তৃণমূল নেতারা

    প্রসঙ্গত, কলকাতার বাজারগুলিতে পেঁয়াজের দর কেজি প্রতি ৫০-৬০ টাকা। ১৫ দিনের আগেও পেয়াঁজের দাম (Onion Price) খুবই কম ছিল। বিজেপির সাংসদের বক্তব্য, ‘‘ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত বন্ধ থাকার সুবিধা নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা পণ্য মজুত রেখেছিলেন। এখন সীমান্ত পুনরায় খোলার পরে আমদানিকৃত জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তার মধ্যে পেয়াঁজও রয়েছে।’’ জ্যোতির্ময় জানান, পেয়াঁজের দাম ছিল ৪৫ টাকা, বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা। মূল্যবৃদ্ধির ফলে এটা হচ্ছে না। এর মূল কারণ ব্যবসায়ীদের কালোবাজারি। এর জন্য তৃণমূলকে দায়ী করছেন বিজেপি (BJP) সাংসদ। তাঁর মতে, ‘‘হিমঘর, বাজারের চাহিদা অনুযায়ী জোগান এই পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করেন তৃণমূল নেতারা। তাঁরাই ইচ্ছাকৃত ভাবে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করেছেন। সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • IMA West Bengal: আইএমএ-র বৈঠকে ধুন্ধুমার, বের করে দেওয়া হল তিন চিকিৎসককে

    IMA West Bengal: আইএমএ-র বৈঠকে ধুন্ধুমার, বের করে দেওয়া হল তিন চিকিৎসককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (IMA West Bengal) বৈঠকে ধুন্ধুমার। তার জেরে বৈঠক থেকে বের করে দেওয়া হল তিন চিকিৎসককে। সামনেই আইএমএ-র পশ্চিমবঙ্গ শাখার নির্বাচন (Doctors Expelled)। সেই নির্বাচনের প্রস্তুতি বৈঠক ছিল রবিবার। অভিযোগ, সেখানেই চিকিৎসকদের দুই লবির মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। তার পরেই ধুন্ধুমারকাণ্ড বাঁধে। একটি লবির তিন চিকিৎসককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কয়েকজন। শেষমেশ ওই চিকিৎসকদের বৈঠক থেকে বের করে দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়।

    ঝামেলার সূত্রপাত (IMA West Bengal)

    জানা গিয়েছে, যে তিন চিকিৎসককে নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত, তাঁরা হলেন চিকিৎসক তাপস চক্রবর্তী, জয়া মজুমদার এবং প্রিয়ঙ্কা রানা। এই চিকিৎসকরা উত্তরবঙ্গ লবির ঘনিষ্ঠ। তাঁদের দেখে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে শুরু করেন অন্য চিকিৎসকরা। এদিন পার্ক সার্কাসে বৈঠক ছিল আইএমএ-র রাজ্য শাখার (IMA West Bengal)। এই সংগঠনের বিভিন্ন পদে কারা মনোনয়নপত্র জমা দেবেন, মূলত তা নির্ধারণ করতেই ডাকা হয়েছিল বৈঠক। সেই বৈঠক শুরুর আগেই উত্তরবঙ্গ লবির তিন চিকিৎসককে দেখে খেপে যান অন্য চিকিৎসকরা। তাঁরা ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন। বৈঠক থেকে তাঁদের বের করে দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

    ‘থ্রেট কালচার’

    আরজি করকাণ্ডের পর প্রকাশ্যে আসে রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ‘থ্রেট কালচারে’র কথা। প্রকাশ্যে আসে ‘দাদাগিরি’র অভিযোগও। এই সব অভিযোগের নেপথ্যে ঘুরেফিরে আসে উত্তরবঙ্গ লবির কথা। তার পর থেকেই চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ উত্তরবঙ্গ লবির বিরুদ্ধে কার্যত খেপে রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: আন্দোলনের চাপে দিশাহারা মমতা সরকার, পিছিয়ে দেওয়া হল ‘দুয়ারে উদ্যম’ শিবির

    উত্তরবঙ্গ লবির মাথায় রয়েছেন সুশান্ত রায়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছেন শান্তনু সেন ও সুশান্ত রায়। সুশান্তকে ঘিরে রয়েছেন শান্তনুর অনুগামীরা। সুশান্তকে বলতে শোনা যায়, ‘এগুলো আপনাদের বানানো গল্প’। শান্তনুর অনুগামীদের বলতে শোনা যায়, ‘কোনওটাই বানানো গল্প নয়’। সুশান্তর কাছে শান্তনুকে হাতজোড় করে থাকতেও দেখা যায়। তাঁকে বৈঠক ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় তাপসকে। স্বাস্থ্য দফতরের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন জয়া। তাঁকেও বৈঠকে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি। বৈঠক থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক (Doctors Expelled) বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের বন্ধু বলে পরিচিত প্রিয়ঙ্কাকেও (IMA West Bengal)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: তৃণমূলের হিংসার বিরুদ্ধে সরব, বাঁকুড়ায় সুকান্তর উপস্থিতিতে কাউন্সিলর বিজেপিতে

    Sukanta Majumdar: তৃণমূলের হিংসার বিরুদ্ধে সরব, বাঁকুড়ায় সুকান্তর উপস্থিতিতে কাউন্সিলর বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মার খেয়ে কাঁদতে কাঁদতে আমার কাছে আসবেন না। পাল্টা মার দিয়ে আসুন। বাকিটা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বুঝে নেবে। বিজেপিকে ফোঁস করতে এলে ডান্ডা নিন।” তৃণমূলের (TMC) সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এমনই নিদান দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শনিবার বাঁকুড়ায় নারী সুরক্ষা মিছিল শেষে একটি প্রতিবাদ সভায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের চরম হুঁশিয়ারি দেন তিনি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা হলেও এরাজ্যের কোনও নারী সুরক্ষিত নন বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন তিনি।

    উল্লেখ্য আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে হত্যার পর থেকে ন্যায় বিচারের দাবিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে আক্রমণ করেছে বিজেপি। প্রাক্তন সিপি বিনীত গোয়েল এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে গ্রেফতারের দাবিও জানানো হয়েছে দলের তরফ থেকে।

    তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একহাত সুকান্তর (Sukanta Majumdar)

    রাজ্যের নারী সুরক্ষার দাবিতে শনিবার বাঁকুড়ার হিন্দু হাইস্কুল থেকে মাচানতলা পর্যন্ত বিজেপির একটি বিরাট পদযাত্রা করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মিছিল শেষ করে, রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের (TMC) সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একহাত নিয়েছেন তিনি। শাসকদল আশ্রিত সমাজ বিরোধীদের বিরুদ্ধে কড়া দাওয়াই দিয়েছেন। তিনি বলেন, “সকলকে মিলে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। নিজেদের অসহায়বোধ করবেন না। প্রয়োজনে ডান্ডা ধরবেন, এরপর সুকান্ত মজুমদার যা করার বুঝে নেবে।” অপর দিকে নির্দল হয়ে পুরভোটে লড়াই করেছিলেন অনন্যা রায় চক্রবর্তী। জয়ী হয়ে মমতার বিজয় মিছিলেও যোগদান করেছিলেন তিনি। এবার তৃণমূলের ক্রমবর্ধমান হিংসা এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে, মিছিলের শেষে বিজেপিতে যোগদান করেন। তাঁর সঙ্গে আরও যোগদান করেন বেশ কিছু লোকজন। সুকান্তর হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে বলেন, “আরজি কর নিয়ে রাজ্যে যা চলছে তা অত্যন্ত অন্যায়। এভাবে আর তৃণমূল করা যায় না। এখন থেকে নারী সুরক্ষার জন্য বিজেপির হয়ে কাজ করব।”

    আরও পড়ুনঃ আন্দোলনের চাপে দিশাহারা মমতা সরকার, পিছিয়ে দেওয়া হল ‘দুয়ারে উদ্যম’ শিবির

    তৃণমূলের বক্তব্য

    পাল্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে বাঁকুড়া সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “এই লোকসভায় বিজেপি হেরেছে। হারের পর আমাদেরকে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সুকান্তবাবু (Sukanta Majumdar) অসত্য বলছেন। কাউন্সিলরের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। লোভের জন্য এই কাজ করেছেন। জমি মাফিয়াদের সঙ্গে ওঁর প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share