Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • RG Kar: ‘‘ওষুধের মান খুব খারাপ’’, সন্দীপকে বলেন নির্যাতিতা, উল্টে পান পাশ না করানোর হুমকি!

    RG Kar: ‘‘ওষুধের মান খুব খারাপ’’, সন্দীপকে বলেন নির্যাতিতা, উল্টে পান পাশ না করানোর হুমকি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৃতদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ খুলে বিক্রি করা থেকে মর্গে পর্নোগ্রাফি! সন্দীপ (Sandeep Ghosh) জমানায় আরজি কর হয়ে উঠেছিল এক অন্য জগৎ। এই সূত্র ধরেই এবার সামনে এসেছে ওষুধ-দুর্নীতি। আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, আরজি করের (RG Kar) নির্যাতিতা হাসপাতালের ওষুধের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন! জানা গিয়েছে, তাঁর (নির্যাতিতার) সহকর্মীরা বার বার সাবধান করার পরেও তিনি কোনওভাবে মুখ বন্ধ করেননি। রোগীদের এমন নিম্ন মানের পরিষেবা কেন দেওয়া হচ্ছে? কেন ওষুধের মান এত খারাপ? এমন বিষয়গুলিতে প্রকাশ্যেই বারবার সরব হতেন তিনি। কোনও কোনও মহলের প্রশ্ন, ‘‘এর ফলেই কি টার্গেট হতে হয় নির্যাতিতাকে?’’ শুধু তাই নয়, আনন্দবাজার প্রত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী,  দুই সহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘরেও গিয়েছিলেন ওই নির্যাতিতা। সেখানে গিয়ে বলে এসেছিলেন, ওষুধের মান এবং কার্যকারিতা তলানিতে। এর বিহিত হওয়া প্রয়োজন। নির্যাতিতার সহকর্মীদের অভিযোগ, সন্দীপ পাল্টা বলেছিলেন, ‘‘এত বেশি কথা বললে  (নির্যাতিতার) আর পাশ করা হয়ে উঠবে না।’’

    ওষুধের মান খারাপ নিয়ে অভিযোগ জমা পড়ত সন্দীপের টেবিলে (RG Kar) 

    আনন্দবাজার প্রত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্যাতিতাকে এমন হুমকির সুরে যখন কথাগুলি বলছিলেন সন্দীপ (Sandeep Ghosh), এই কথোপকথনের সময়ে হাসপাতালের আরও দুই কর্তা সেখানে হাজির ছিলেন। তাঁদেরই মধ্যে একজন আনন্দবাজার পত্রিকাকে বলেছেন, ‘‘গত কয়েক মাসে ওষুধের মান নিয়ে বিভিন্ন বিভাগ থেকে ডাক্তার-নার্সরা অহরহ অভিযোগ তুলেছেন। ওষুধের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় মৃত্যু, ওষুধের কার্যকারিতা না-থাকায় রোগীর অবস্থা উত্তরোত্তর খারাপ হওয়া— এমন বেশ কিছু অভিযোগ অধ্যক্ষের টেবিলে জমা পড়েছিল। কিন্তু কোনওটি নিয়েই নাড়াচাড়া হয়েছে বলে শোনা যায়নি।’’

    ওষুধের মান নিয়ে মুখ খুললে প্রাণে মারার হুমকি 

    হাসপাতালের অন্দরের (RG Kar) খবর, জেনারেল সার্জারি এবং প্লাস্টিক সার্জারির বেশ কয়েকজন চিকিৎসক দিন কয়েক আগেই রোগী মৃত্যু নিয়ে সরব হন। নানা গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। কিন্তু বিষয়টি বেশি দূর এগোয়নি। প্রতিবাদী এক শল্যচিকিৎসকের কথায়, ‘‘প্রাণে বাঁচতে হবে তো! ওষুধ নিয়ে বেশি মুখ খুললে প্রাণে মেরে দেওয়া হবে, এমন হুমকি দিয়ে ফোন পর্যন্ত এসেছে।’’ ওষুধ নিয়ে বেশি মুখ খুললে প্রাণে মেরে দেওয়া হবে, এর সঙ্গে নির্যাতিতার মৃত্য়ুর কোনও যোগসূত্র নেই তো? এমন প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ।

    হাসপাতালের এক শল্যচিকিৎসক বলেন, ‘‘অস্ত্রোপচারের পরে যে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়, বহু ক্ষেত্রেই তা কাজ করছে না। সর্বোচ্চ মাত্রাও বিফলে যাচ্ছে, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এমনকি, ক্ষতস্থান পরিষ্কার করার যে তরল, অনেক সময়েই দেখেছি সেটা স্রেফ রঙিন জল, তার ব্যবহারে ওই জায়গাটি জীবাণুমুক্ত হওয়ার পরিবর্তে আরও বেশি করে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে। অস্ত্রোপচার সফল হওয়ার পরেও কিছু রোগীকে হারিয়েছি আমরা। ডাক্তার হিসেবে নিজেদের প্রতি ধিক্কার জন্মাচ্ছে।’’

    অস্তিত্ব নেই ফার্মাকো-ভিজিল্যান্স কমিটির

    আনন্দবাজার প্রত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সার্জারি বিভাগ ছাড়াও একাধিক অভিযোগ এসেছে শিশু রোগ বিভাগ থেকেও। ওষুধ কাজ করছে না কোনওভাবে, সুস্থ হয়ে উঠতে থাকা শিশুরাও মারা যাচ্ছে — এমন অভিযোগ নিয়ে বারবার সরব হন ডাক্তাররা। জানানো হয় স্বাস্থ্য ভবনেও। কিন্তু এতে কোনও কাজ হয়নি। অনেকেই বলছেন, ‘‘স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশেই যে খারাপ মানের ওষুধ দেওয়া হত না, তা কে বলতে পারে?’’ অ্যান্টিবায়োটিক, লিভারের ওষুধ, স্নায়ুর ওষুধ, প্যারাসিটামল ইত্যাদি ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি অনিয়ম ধরা পড়েছে।

    জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রত্যেক মেডিক্যাল কলেজে ফার্মাকো-ভিজিল্যান্স কমিটি থাকার কথা। এই কমিটির কাজ ওষুধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঘটছে কি না, সেই বিষয়ে নজরদারি করা। কোনও মৃত্যুর পিছনে ওষুধের বিরূপ প্রভাব আছে কি-না তা খতিয়ে দেখা। কিন্তু অভিযোগের পাহাড় জমা হওয়ার পরেও, কোনও হাসপাতালেই এই কমিটির অস্তিত্ব টের পাওয়া গিয়েছে বলে শোনা যায়নি।

    খেসারত দিচ্ছেন গরিব মানুষরা

    সবচেয়ে কম দামে যারা ওষুধ (RG Kar) দিতে পারবে, তাদেরই (সংস্থা) বেছে নেওয়া হয় টেন্ডারের মাধ্যমে। স্বাস্থ্য কর্তাদের মতে, ‘‘কোথাও বলা হয়নি ওষুধের মানের সঙ্গে আপস করে কম খরচে কিনতে হবে। মান যদি সন্তুষ্ট করতে না পারে, তা হলে অন্য সংস্থাকে (তারা সর্বনিম্ন দর না দিলেও) বেছে নেওয়া যায়। শর্ত একটাই, কেন সর্বনিম্ন দরের সংস্থাকে বাছা হল না, অন্যটিকে বাছা হল, তা কমিটিকে বুঝিয়ে বলতে হবে। বাস্তবে এই পদ্ধতি মানা হয়ই না বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের এক প্রাক্তন কর্তার। তাঁর মতে, ‘‘ভুতুড়ে সংস্থা গজিয়ে ওঠে অনেক সময়েই। এমন সব সংস্থা, যাদের নামই কখনও শোনা যায়নি। এমনও দেখা গিয়েছে যে, শুধুমাত্র স্বাস্থ্য দফতরে ওষুধ সরবরাহ করবে বলেই একাধিক সংস্থার জন্ম হয়েছে। এমনও ঘটেছে, টেন্ডারে ন্যূনতম তিনটি সংস্থাকে অংশ নিতে হবে এমন নিয়ম থাকায় দু’টি ‘ভুতুড়ে’ সংস্থা অংশ নিয়েছে, যাতে তৃতীয় সংস্থাটি অনায়াসে বরাত পেয়ে যায়। এগুলো নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি বদলায়নি।’’ কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি, সিন্ডিকেট, সন্দীপ ঘোষদের দাদাগিরির খেসারত দিতে হচ্ছে গরিব মানুষদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: ‘‘ছোট না হলে প্রণাম করতাম’’, মাঝরাতে মশাল মিছিলে কুর্ণিশ জানালেন নির্যাতিতার মা

    RG Kar Protest: ‘‘ছোট না হলে প্রণাম করতাম’’, মাঝরাতে মশাল মিছিলে কুর্ণিশ জানালেন নির্যাতিতার মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Protest) সুবিচারের দাবিতে রাত জাগল কলকাতা। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে মধ্যরাতে অঙ্গীকার করলেন আন্দোলনকারীরা। প্রতিবাদের এই লড়াই চলবে, সাফ জানিয়ে দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররাও। এই আন্দোলনে যোগ দিয়ে নির্যাতিতার বাবা-মা জুনিয়র ডাক্তারদের কুর্ণিশ জানালেন। জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে বললেন, ‘‘ছোট না হলে প্রণামই করতাম।’’ 

    মশাল মিছিলে হুইলচেয়ারে প্রবীণরা (RG Kar Protest)

    শুক্রবার স্বাস্থ্যভবন থেকে সিজিও পর্যন্ত মিছিল করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। অন্যদিকে দক্ষিণ কলকাতার হাইল্যান্ড পার্ক থেকে উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার পর্যন্ত দীর্ঘ ৪২ কিলোমিটার রাস্তা মশাল হাতে মিছিল (RG Kar Protest) করল নাগরিক সমাজ। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছিল, ‘তিলোত্তমার জন্য একসাথে, এক পথে’। রাত দখল আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্সির গবেষক ছাত্রী রিমঝিম সিন‍্‍হা। তিনিই শুক্রবারের মশাল মিছিলের অন্যতম আয়োজক। তিনি জানান, রাত দখলের কর্মসূচির দিনেই ঘোষণা করা হয়েছিল আরজি করের ঘটনায় দোষীদের সাজা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। শুক্রবারের মিছিল চলমান আন্দোলনের আর একটি ধাপ। 

    এদিন বিকেল ৪টে নাগাদ শুরু হয় এই মিছিল। রুবি ক্রসিং, ভিআইপি বাজার, সায়েন্স সিটি, চিংড়িঘাটা, বেলেঘাটা বিল্ডিং মোড়, মল্লিক বাজার, এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও এসএসকেএম হাসপাতাল হয়ে মিছিল শেষ হয় শ্যামবাজারে। বিচারের দাবিতে মিছিলে পা মেলান সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। কোথাও হুইলচেয়ারে, কোথাও ওয়াকার নিয়েই মিছিলে সামিল হয়েছিলেন প্রবীণরাও। মিছিলে ছিলেন তারকা, বুদ্ধিজীবী, কর্পোরেট সংস্থার কর্মী, সরকারি চাকরিজীবী, বিজ্ঞানী, অধ্যাপক এমনকী বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিরাও৷ মিছিলে নেমেছিলেন সেলিব্রিটিরাও। শুক্রবারের মিছিলে ছিলেন কিছু অভিনেতা ও ফিল্ম পরিচালকও। মিছিলে দেখা যায় বিরসা দাশগুপ্তকেও। পথে নেমেছিলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র, বিদীপ্তা চক্রবর্তীরাও। মিছিলে স্লোগান ওঠে, ‘মশাল হাতে এক স্বর/ জাস্টিস ফর আর জি কর’। ‘আামার রাজ্য আমার দেশ/ অত্যাচারির হবে শেষ’। আন্দোলনের জনজোয়ারই বুঝিয়ে দিচ্ছিল যে এই প্রতিবাদ থামার নয়। এই আগুন নিভবে না। ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা শহর। নির্যাতিতার বিচার না হওয়া পর্যন্ত পথে নেমে এই আন্দোলন চলবে। এদিন গড়িয়াহাট মোড় থেকে রাসবিহারী পর্যন্তও হয় আরও একটি নাগরিক মিছিল। 

    আরও পড়ুন: তিরুপতির প্রসাদ লাড্ডুতে পশু চর্বি! হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত, সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

    ছোট না হলে প্রণাম করতাম

    শ্যামবাজারে নেতাজির মূর্তির পাদদেশে হাজির ছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। সেখান থেকে কিছুটা দূরেই আরজি কর। রাত তখন আড়াইটে মশাল তুলে দেওয়া হল নির্যাতিতার পরিবারের হাতে। সকলের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে চোখের জল ঝরালেন নির্যাতিতার মা। তিনি বললেন, ‘‘৯ তারিখের পর থেকে বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছি। মুখে কোনও কথা আসে না। কারণ, বুকের ব্যথা মুখ দিয়ে ব্যক্ত করা যায় না। ব্যথাটা বুকেই রয়েছে। তবে, একটাই আশা যে এত সাধারণ নাগরিক আমার পাশে আছেন, সবাই আমার মেয়েকে তাঁদের পরিবারের মেয়ে ভেবে আন্দোলনে নেমেছেন। আর জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor) তাঁরা তো আমার ছেলে-মেয়ে। তাঁরা যেভাবে ঝড়ে-বৃষ্টিতে রোদে পুড়ে কষ্ট করে এতদিন ধরে লড়াই (RG Kar Protest) চালিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের তো আমি কী বলব? ছোট না হলে প্রণামই করতাম। তাঁরা তো জনগণের সেবার জন্যই ডাক্তার হন। আজ সমাজই তাঁদের রাস্তায় এনে দাঁড় করিয়েছেন। তাই তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সমাজের সেবা করবেন, আন্দোলনও চালিয়ে যাবেন। এটাতে আমি খুব খুশি হয়েছি। যতদিন না আমার মেয়ে বিচার পাই, ততদিন এভাবেই রাস্তায় থাকুন। আমার পাশে থাকুন।’’

    কাজের মধ্যে থেকে বিচার ছিনিয়ে আনবে জুনিয়র ডাক্তাররা

    মিছিল (RG Kar Protest) থেকেই বিচার প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, “সিবিআইয়ের ওপরে আস্থা রাখতে হবে, উচ্চ আদালতের ওপরও আস্থা রাখতে। এত সহজে বিচার আসবে না, সময় লাগবে। জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে ফিরেছে। কাজের মধ্যে থেকেই বিচার ছিনিয়ে আনবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনও ঘটনা ঘটলে, ফের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি জুনিয়র ডাক্তারদের

    RG Kar: ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনও ঘটনা ঘটলে, ফের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি জুনিয়র ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবার থেকে কাজে ফিরছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আন্দোলনকারীদের পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, জরুরি পরিষেবায় ফিরছেন তাঁরা। আউটডোর-কোল্ড ওটি’র কাজে নয়। জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors) কর্মবিরতি উঠলেও, কর্মস্থলে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত সহ থ্রেট কালচার শেষ না হলে, আবারও আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা (RG Kar)। শুক্রবারই রাজ্যের বন্যা দুর্গতদের কাছে পৌঁছে যান আরজি করে চিকিৎসক পড়ুয়ারা। পাঁশকুড়া যায় ১০ জন চিকিৎসকের টিম। বন্যা দুর্গতদের ত্রাণ বিলি করেন তাঁরা। সেখানেই তাঁদের বলতে শোনা যায়, ‘‘২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবার যদি কোনও ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়, বাংলার কোনও হাসপাতালে তাহলে আবার কর্মবিরতিতে ফিরে যাব আমরা।’’

    জরুরি পরিষেবাতে যোগ দিচ্ছেন চিকিৎসক পড়ুয়ারা, আউটডোরে নয় (RG Kar)

    জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors) স্পষ্ট করে দেন, ‘‘আউটডোর এখন জয়েন করছি না। জরুরি পরিষেবাতে যোগ দিচ্ছি। আমরা যোগদান না করলেও পরিষেবা চলছে।’’ আরও একটি বিষয় উল্লেখ করেন তাঁরা। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমের কিছু পোস্ট দেখা গিয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, আন্দোলনকারীরা বন্যা দুর্গতদের একমাসের বেতন দান করেছেন। এমন পোস্ট পুরোপুরিই মিথ্যা বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। প্রসঙ্গত, শনিবার থেকেই রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে জরুরি পরিষেবা চালু হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে চিকিৎসক পড়ুয়া লহরী সরকার বলেন, ‘‘আমরা জরুরি পরিষেবা চালু করছি। ভয় না-পেয়ে আপনারা আসুন। আমরা পরিষেবা দেব। তবে বহির্বিভাগের ক্ষেত্রে আমাদের সিনিয়র চিকিৎসকেরা রয়েছেন।’’ উল্লেখ্য, আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গত ১৪ অগাস্ট রাতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। এর ফলে হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকদের বর্তমানে ‘ট্রমা কেয়ার’ বিভাগে কাজ করতে হবে। এই প্রসঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসক লহরী বলেন, ‘‘সমস্যা অবশ্যই হবে। সেই কারণে রাজ্য সরকারের কাছে পরিকাঠামোগত পরিবর্তনের দাবি জানানো হয়েছে।’’

    সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানির আগে দাবি পূরণ করতে হবে রাজ্য সরকারকে!

    সাধারণ মানুষের স্বার্থেই জরুরি পরিষেবা চালু করছেন তাঁরা, এমনটা সাফ জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে তাতেও রয়েছে শর্ত। জুনিয়র চিকিৎসক লহরী সরকার বলেন, ‘‘আমরা বেশ কিছু দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছিলাম। স্বাস্থ্য ভবন (RG Kar) সাফাই অভিযানের ডাক দিয়েছিলাম। রাজ্য সরকারের তরফে আমাদের বেশ কিছু দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। তবে এখনও কিছু দাবি রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানির আগে সেই দাবিগুলি পূরণ করতে হবে রাজ্য সরকারকে। আর তা না-হলে ফের কর্মবিরতি চালু হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bengal Governor: ‘‘ডিভিসি নয়, কংসাবতীর জলেই বন্যা’’, মমতার তত্ত্ব খারিজ করে দাবি রাজ্যপালের

    Bengal Governor: ‘‘ডিভিসি নয়, কংসাবতীর জলেই বন্যা’’, মমতার তত্ত্ব খারিজ করে দাবি রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ডিভিসি তত্ত্বের বিরোধিতা করলেন রাজ্যপাল (Bengal Governor)। তাঁর দাবি, ডিভিসি (দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন) নয়, রাজ্যের বন্যার জন্য দায়ী রাজ্য নিজেই। এর ব্যাখ্যাও করেন সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যের নিয়ন্ত্রণাধীন কংসাবতী বাঁধের জল ছাড়ার কারণেই এই বন্যা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এখানেই থেমে থাকেননি রাজ্যপাল। এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন বোস (Bengal Governor)। 

    ডিভিসির ওপর দায় না চাপিয়ে বন্যা মোকাবিলা করুন, মন্তব্য রাজ্যপালের (Bengal Governor)

    আনন্দ বোসের মতে, কোনও বাঁধই বন্যা পুরোপুরি আটকাতে পারে না, যদি জমা জলের পরিমাণ ক্রমশ বাড়তে থাকে। রাজ্যপাল (Bengal Governor) চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাফ জানিয়েছেন যে, কংসাবতী, শিলাবতী ও দ্বারকেশ্বর নদী এলাকায় প্রচুর বৃষ্টিপাত এবং কংসাবতী নদীর ওপর মুকুটমণিপুর বাঁধ থেকে জল ছাড়ার ফলে এইসব জায়গা প্লাবিত হয়েছে। রাজ্যপালের মতে, বাঁকুড়া, বীরভূম, মেদিনীপুরের মতো জেলাগুলি কোনওভাবেই ডিভিসি-এর আওতাভুক্ত নয়। ডিভিসির ওপর দায় না চাপিয়ে বন্যা মোকাবিলা করুন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের অভিযোগ, রাজ্যকে না জানিয়ে জল ছাড়া হয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার মুখ্যমন্ত্রীর সেই দাবিকে নস্যাৎ করেছে। 

    ডিভিসি (DVC) ইস্যুতে মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করার সময় ডিভিসির (DVC) সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মমতার মন্তব্যে পাল্টা তোপ দেগেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। বিজেপি নেতা বলেন, ‘‘উনি কি জানেন যে পশ্চিম বাংলার পশ্চিমাঞ্চলের ৭ থেকে ৮টি জেলায় আলো জ্বলে, কারখানা চলে, ট্রেন যায় ডিভিসির বিদ্যুতে। একটা পাওয়ার প্ল্যান্ট করতে পারেননি, এক ইউনিট বিদ্যুৎ নতুন করে জেনারেট করতে পারেননি, ডিভিসির ওপর নির্ভর করেন, আবার ডিভিসির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবেন বলেছেন, আমি আপনাকে চ্যালেঞ্জ করছি। আপনার যদি সাহস থাকে তাহলে ডিভিসির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে দেখান। রাজ্যের ৮টা জেলা অন্ধকারে ডুববে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

  • Junior Doctors: রাজ্যের বন্যা দুর্গতদের পাশে জুনিয়র ডাক্তাররা, বিলি করা হল ত্রাণ

    Junior Doctors: রাজ্যের বন্যা দুর্গতদের পাশে জুনিয়র ডাক্তাররা, বিলি করা হল ত্রাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ শুক্রবার থেকে আংশিক কর্মবিরতি উঠছে জুনিয়র ডাক্তারদের। এরই মধ্যে এদিন সকাল থেকে ত্রাণ নিয়ে বন্যা কবলিত বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে গেলেন জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctors)। জুনিয়র ডাক্তারদের এমন কর্মসূচিকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন রাজ্যের নাগরিক সমাজের বড় অংশ। বন্যা দুর্গত মানুষদের ত্রাণের পাশাপাশি ওষুধ ও চিকিৎসা পরিষেবাও এদিন পৌঁছে দেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, এমন কর্মসূচির কথা আগেই ঘোষণা করেছিল জুনিয়র ডাক্তাররা।

    বন্যায় ভাসছে রাজ্যের চার জেলার বিস্তীর্ণ অংশ

    সেপ্টেম্বর মাসে বন্যায় ভাসছে রাজ্যের একাধিক জেলা। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া, হুগলির আরামবাগ, খানাকুল, হাওড়ার আমতা, উদয়নারায়ণপুরের বিস্তীর্ণ গ্রাম রয়েছে জলের তলায়। এমন পরিস্থিতি যে, অসুস্থ হলে হাসপাতালে পর্যন্ত পৌঁছতে পারছেন না বন্যা কবলিত এলাকার মানুষজন। এই আবহে আজ থেকে দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে পথে নামলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

    নিত্য প্রয়োজনীয় (Junior Doctors) সামগ্রীর বিতরণের সঙ্গে খোলা হয় অভয়া ক্লিনিকও

    শুক্রবার সকালেই বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকদের একটি টিম ম্যাটাডোরে করে পাঁশকুড়ার পথে রওনা দেন। চাল, ডাল, আলু, মুসুর ডাল, বিস্কুট, সয়াবিন, চিঁড়ে, চিনি, ভোজ্য তেল ছাড়াও জুনিয়র চিকিৎসকরা এদিন বন্যা কবলিত এলাকায় পৌঁছে দেন পর্যাপ্ত ওষুধ। এর পাশাপাশি অভয়া ক্লিনিকের (Abhaya Clinic) মাধ্যমে জরুরি ওষুধও দেওয়া হয় বিনামূল্যে ৷

    আন্দোলনস্থলের সামগ্রীও তাঁরা (Junior Doctors) পৌঁছে দেন  বন্যা কবলিত এলাকায়

    প্রসঙ্গত, এগারো দিনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors) বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করেছিল জনগণ। তাঁদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে পাশে দাঁড়ান অনেকজনই। তাঁদের মধ্যে কেউ ত্রিপল, কেউ চৌকি, জামা-কাপড়, পানীয় জল, শুকনো খাবার-সহ নানা সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করেছেন। সেই সমস্ত ত্রিপল, চৌকি ও বেঁচে যাওয়া পানীয় জল, শুকনো খাবারও রাজ্যের বন্যা কবলিত এলাকার মানুষদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Darivit Incident: দাড়িভিট কাণ্ডের ৬ বছর, শহীদ স্মরণে একাধিক অনুষ্ঠান এবিভিপির

    Darivit Incident: দাড়িভিট কাণ্ডের ৬ বছর, শহীদ স্মরণে একাধিক অনুষ্ঠান এবিভিপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর দাড়িভিট কাণ্ডের ৬ বছর পূর্তি হল। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের এই দিনেই বাংলা ভাষার শিক্ষকের দাবিতে আন্দোলনে নামে দাড়িভিট স্কুলের পড়ুয়ারা। সেই আন্দোলনেই (Darivit Incident) পুলিশ গুলি চালায় বলে অভিযোগ। গুলিতে নিহত হন দুই ছাত্র নেতা রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মন। বর্বরোচিত সেই ঘটনার ৬ বছর পূর্তিতে শহীদ রাজেশ-তাপসের স্মরণে এদিন একাধিক অনুষ্ঠান হয় দাড়িভিটে। মিছিল, জনসভা, সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ, স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরের মাধ্যমে দিনভর দিনটি পালন করে এবিভিপি (Abvp)।

    কারা হাজির ছিলেন? (Darivit Incident) 

    সংগঠনের (Darivit Incident) দুই কর্মীর স্মরণ সভায় এদিন এবিভিপি নেতৃত্ব যেমন হাজির ছিলেন, তেমনই রাজেশ-তাপসের পরিবারের সদস্যরাও সামিল হন অনুষ্ঠানগুলিতে। মূল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এদিন সকালে। দাড়িভিট হাইস্কুল থেকে শহীদ রাজেশ-তাপসের সমাধিস্থল পর্যন্ত মিছিল করে এবিভিপি (Abvp)। এই মিছিলে অসংখ্য সাধারণ মানুষকেও সামিল হতে দেখা যায়। এদিনের শহীদ স্মরণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন এবিভিপির সর্বভারতীয় সহ সংগঠন সম্পাদক গোবিন্দ নায়েক, রায়গঞ্জ লোকসভার সাংসদ কার্তিক পাল, এবিভিপির উত্তরবঙ্গ প্রান্তের সভাপতি ডঃ বিশ্বজিৎ রায়, সংগঠনের জাতীয় কমিটির সদস্য শুভব্রত অধিকারী, এবিভিপির প্রাক্তন রাজ্য নেতা রাতুল বর্মন প্রমুখ।

    কী বলছেন এবিভিপি নেতৃত্ব? 

    বেলা একটা নাগাদ রাজেশ-তাপসের সমাধিস্থলে (Darivit Incident) শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এরপরে সমাধিস্থল থেকে কিছুটা দূরেই অনুষ্ঠিত হয় স্মরণসভা। এই সভায় এবিভিপির নেতা গোবিন্দ নায়ক বলেন, ‘‘রাজেশ-তাপস বিচার পাবেই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সঠিক পথেই এগোচ্ছে এবং আমরা আশাবাদী খুব তাড়াতাড়ি দুই শহীদ বিচার পাবে ও দোষীদের শাস্তি হবে।’’ প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মে মাসেই কলকাতা হাইকোর্ট দাড়িভিট কাণ্ডে (Darivit Incident) এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয়। এবিভিপির প্রাক্তন রাজ্য নেতা রাতুল বর্মন মাধ্যমকে ফোনে বলেন, ‘‘আজকের দিনেই পশ্চিমবঙ্গের ভাষা শহীদ রাজেশ-তাপস দেখিয়ে দিয়েছিলেন মাতৃভাষার জন্য আন্দোলন কীভাবে করতে হয়! নিজেদের প্রাণ বিসর্জন দিয়ে তাঁরা যুব সমাজের কাছে মাতৃভাষা রক্ষার লড়াইয়ের এক উদাহরণ স্থাপন করতে পেরেছেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: ধর্না তুললেও বিচারের দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের মহামিছিল, মশাল হাতে পথে নাগরিক সমাজ

    RG Kar Protest: ধর্না তুললেও বিচারের দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের মহামিছিল, মশাল হাতে পথে নাগরিক সমাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ধর্না প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ধর্না তোলার ঘোষণা বৃহস্পতিবার রাতেই করেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। শুক্রবার স্বাস্থ্য ভবনের সামনে থেকে ধর্না প্রত্যাহার করেন তাঁরা। আপাতত ধর্না তুলে নিলেও আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Protest) ন্যায় বিচারের দাবিতে অনড় ডাক্তাররা। সিবিআইয়ের কাছে বিচারের দাবিতে স্বাস্থ্যভবন থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত মিছিল করলেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। সমাজের সকল স্তরের মানুষ এদিনের মিছিলে অংশ নেন।

    মশাল হাতে মিছিল (RG Kar Protest)

    এদিন জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মশাল হাতে মিছিলে (RG Kar Protest) সামিল হন সাধারণ মানুষও। ১১ দিনের মাথায় স্বাস্থ্য ভবনের সামনে থেকে ধর্না তুলে নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এবার তাঁরা কাজে ফিরবেন। দাঁড়াবেন বন্যা দুর্গতদের পাশে। শনিবার থেকেই জরুরি পরিষেবায় যোগ দিচ্ছেন তাঁরা। মাঝে এক সপ্তাহের বিরতি। সরকার প্রতিশ্রুতি পূরণ না করলে তাঁরা ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাবেন। অন্যদিকে, সিবিআইয়ের ওপর চাপ বাড়াতে শুক্রবার দুপুরে স্বাস্থ্যভবন থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত মিছিল করেন তাঁরা। নির্যাতিতার বিচার চেয়ে এদিন পথে নামে নাগরিক সমাজও। হাইল্যান্ড পার্ক থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত চলছে মশাল মিছিল। মিছিলে যোগ দিয়েছেন অনেক বিশিষ্ট চিকিৎসক। পথে নেমেছেন অনেক শিল্পী।

    আরও পড়ুন: থ্রেট কালচার! কল্যাণী মেডিক্যালে ৩৯ জন ডাক্তারি পড়ুয়াকে বহিষ্কার

    কী বললেন জুনিয়র ডাক্তার?

    মিছিলে (RG Kar Protest) হাঁটতে হাঁটতেই এক জুনিয়র ডাক্তার (Junior Doctor) বললেন, “আমরা রাজনীতি করতে চাইলে এতদিন ধরে দাবি-দাওয়া নিয়ে বসে থাকতাম না। চেয়ারের লড়াই শুরু করতাম। সেটা আমরা করিনি। হাসপাতাল থেকে শুরু করে সামগ্রিক স্বাস্থ্য কাঠামো নিয়ে যে দাবিতে আমরা ছিলাম, সেখানেই আছি। আর বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতেই আমরা ধর্না তুলে বন্যা দুর্গত জায়গায় যাচ্ছি। তাই রাজনীতির কথা বলে আমাদের মনের জোর কমানো যাবে না।” এদিকে আরজি কর কাণ্ডে রাজ্য সরকারের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডার কাছে আহ্বান জানিয়েছেন ডাক্তাররা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: সন্দীপের নার্কো অ্যানালিসিস এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসির পলিগ্রাফ টেস্ট করাতে চায় সিবিআই

    CBI: সন্দীপের নার্কো অ্যানালিসিস এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসির পলিগ্রাফ টেস্ট করাতে চায় সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের আরও চাপ বাড়ল। এমনিতে তাঁকে হেফাজতে নিয়ে সিবিআই বার বার জেরা করেছে। এবার আরও বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে সিবিআই। একই সঙ্গে টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের পলিগ্রাফ টেস্ট করতে আদালতে আবদেন করেছে সিবিআই (CBI)।

    সন্দীপের নার্কো অ্যানালিসিস টেস্ট (CBI)

    জানা গিয়েছে, সন্দীপ ঘোষের নার্কো অ্যানালিসিস টেস্ট করানোর জন্য আবেদন করেছে সিবিআই। শিয়ালদা আদালতে পেশ করা আবেদনে সিবিআই (CBI) জানিয়েছে, আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনার ষড়যন্ত্রে সন্দীপ ঘোষ যুক্ত থাকতে পারেন। এই আশঙ্কায় তাঁর পলিগ্রাফ পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেই পরীক্ষায় তদন্তকারীদের করা কয়েকটি প্রশ্নে সন্দীপ ঘোষ বিভ্রান্তিকর উত্তর দিয়েছেন। সেই প্রশ্নগুলির সঠিক জবাব পাওয়া দরকার। সেজন্য সন্দীপ ঘোষকে গুজরাতে নিয়ে গিয়ে নারকো অ্যানালিসিস পরীক্ষা করাতে চায় সিবিআই। সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) নারকো অ্যানালিসিস পরীক্ষার মুখোমুখি হতে রাজি হবেন কি না, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, রাজ্য জুড়ে হওয়া লাগাতার আন্দোলনের জেরে চাপের মুখে বৃহস্পতিবার সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করেছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ থেকে টেন্ডার, স্বাস্থ্য দফতরে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি! নথি হাতে নিয়ে সরব শুভেন্দু

    টালা থানার প্রাক্তন ওসির পলিগ্রাফ টেস্ট

    নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করে খুনের মামলায় টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI)। এবার তাঁর পলিগ্রাফ টেস্ট করাতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অন্যদিকে, সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে আরও ৫ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আবেদনও জানায় তারা। এর আগে সন্দীপ ঘোষ-সহ ৬ জনের পলিগ্রাফ টেস্ট হয়েছে। মূলত কোনও ব্যক্তি কোনও নির্দিষ্ট বিষয়ে সত্যি বলছেন কি না, তা জানতেই এই বিশেষ পরীক্ষা করা হয়। এটা মূলত লাই ডিটেক্টর। কোনও প্রশ্নের নিরিখে ওই ব্যক্তির রক্তচাপ, শরীরের প্রতিক্রিয়া বুঝিয়ে দেয় তিনি মুখে যে কথা বলছেন, সেটাই সত্যি কি না। সূত্রের খবর, টালা থানার প্রাক্তন ওসিকে জেরা করে এখনও বেশি কিছু বিষয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তাই পলিগ্রাফ পরীক্ষার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। টালা থানার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যেই হাতে পেয়েছে সিবিআই। সূত্রের খবর, সিএফএসএলে যে সমস্ত ফুটেজ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে, আগামী ১-২ দিনের মধ্যে তার রিপোর্ট আসবে। পাশাপশি আরজি করের সিসিটিভি ফুটেজের পরীক্ষা শেষ। যে সব সন্দেহভাজনদের দেখা গিয়েছে, সেই বিষয় নিয়ে আরও জিজ্ঞেসাবাদের প্রয়োজন অভিযুক্তদের। সুপ্রিম কোর্টের পর এবার শিয়ালদা আদালতেও স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই। সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা দ্বিতীয় স্টেটাস রিপোর্টের কপি জমা দেওয়া হল এজেন্সির তরফে। মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘৮ জেলা অন্ধকারে ডুবে যাবে’’, ডিভিসি-সম্পর্ক ছেদ করতে মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘৮ জেলা অন্ধকারে ডুবে যাবে’’, ডিভিসি-সম্পর্ক ছেদ করতে মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে ‘ম্যান মেড বন্যা’ বলে কেন্দ্রকে দায়ী করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিভিসির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্য সরকারের দায় তিনি এড়িয়ে যেতে চান বলে বিরোধীদের অভিযোগ। উল্টে, ডিভিসি-র সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার তিনি হুমকি দিয়েছেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে তুলোধনা করেন।

    ডিভিসি ইস্যুতে মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    শুক্রবার বরানগরে প্রয়াত প্রাক্তন সাংসদ তপন সিকদারের স্মৃতিতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রয়াত দলীয় নেতাকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে মমতার নাম না করে তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘উনি কালকে বলেছেন না ডিভিসির (DVC) সঙ্গে কাট-আপ করে দিতে। উনি কি জানেন রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের সাত থেকে আটটি জেলার আলো জ্বলে, কারখানা চলে, ট্রেন যায় ডিভিসির বিদ্যুতে। একটা নতুন পাওয়ার স্টেশন করতে পারেননি, এক ইউনিট বিদ্যুৎ তৈরি করতে পারেননি। ডিভিসির উপর নির্ভর করেন আবার ডিভিসিকেই কাট-আপ করবেন বলেছেন। আমি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলছি, এক্ষুনি ডিভিসির সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে দেখান মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের আটটি জেলা অন্ধকারে ডুবে যাবে।’’

    আরও পড়ুন: থ্রেট কালচার! কল্যাণী মেডিক্যালে ৩৯ জন ডাক্তারি পড়ুয়াকে বহিষ্কার

    ঝাড়খণ্ড বর্ডার সিল করা নিয়ে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    শুধু তাই নয়। ঝাড়খণ্ডের সীমান্ত বন্ধ করা নিয়েও মমতাকে তুলোধনা করেন শুভেন্দু। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে গত চারদিন ধরে অনবরত জল ছাড়ায় বাংলার বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতির জন্য আগামী তিনদিন বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্ত সিল করারও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সেই নির্দেশের পরেই বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে বাংলা ও ঝাড়খণ্ড বর্ডার সিল করে দেওয়া হয়। এই নিয়েই এদিন ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন,  ‘‘ঝাড়খণ্ড বর্ডার আটকে দেওয়া হলে নাসিক থেকে পেঁয়াজ আসতে পারবে না। উত্তর পূর্বাঞ্চলের পণ্য পরিবহণও আটকে যাবে। ঝাড়খণ্ড সীমানা খুলে যদি না দেওয়া হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখব। জাতীয় সড়ক বন্ধ করা যায় না। রাজ্যপালকেও গোটা বিষয়টা জানাব।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North Bengal Medical: ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে কাজে যোগ, গ্রেফতার ২

    North Bengal Medical: ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে কাজে যোগ, গ্রেফতার ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড নিয়ে রাজ্যজুড়ে এখন তোলপাড় চলছে। এই আবহের মাঝে এবার জাল নিয়োগপত্র নিয়ে বিড়ম্বনায় রাজ্য। স্বাস্থ্য দফতরের লোগো, আধিকারিকের সই জাল করা নিয়োগপত্র প্রতারণা চক্র সক্রিয়। এক যুবক জাল নিয়োগপত্র নিয়ে শিলিগুড়ির (Siliguri) উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল (North Bengal Medical) কলেজে কাজে যোগ দিতে এসে ধরা পড়ায় এই দিকটি প্রকাশ্যে এসেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই যুবক ও তার সঙ্গে আসা আর এক যুবককে। দু’জনেই উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের কুমারজল গ্রামের বাসিন্দা।

    কীভাবে ধরা পড়ল জাল নিয়োগপত্র? (North Bengal Medical)

    চতুর্থ শ্রেণির পদের একটি নিয়োগপত্র নিয়ে বৃহস্পতিবার কলেজের অধ্যক্ষ অফিসে কাজে যোগ দিতে আসেন মুস্তাক আলি নামে এক যুবক। নিয়োগপত্রটি দেখে অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহার সন্দেহ হয়। মুস্তাক আলি ও তাঁর সঙ্গী ইমরানকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন অধ্যক্ষ। মেডিক্যাল কলেজ (North Bengal Medical) ফাঁড়ির পুলিশ এসে অভিযুক্ত ও তার সঙ্গীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিত সাহা বলেন, ‘‘কোনও নিয়োগপত্র ছাড়া হলে স্বাস্থ্যভবন থেকে পোর্টালে তা তোলা হয়। কিন্তু পোর্টালে এই নিয়োগপত্রের উল্লেখ নেই। নিয়োগপত্রে যে আধিকারিকের সই রয়েছে সেটিও সন্দেহজনক। এত অসঙ্গতি দেখে মেডিক্যাল কলেজ ফাঁড়ির পুলিশকে খবর দেওয়া দেয়।’’

    আরও পড়ুন: নিয়োগ থেকে টেন্ডার, স্বাস্থ্য দফতরে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি! নথি হাতে নিয়ে সরব শুভেন্দু

    কীভাবে প্রতারিত হলেন মুস্তাক আলি?

     প্রায় এক বছর আগে গ্রামেরই এক পরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে রায়গঞ্জের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটে দেখা হয় মুস্তাকের। ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে হাসপাতালে ওয়ার্ডবয়ের কাজের টোপ দেন সেই ব্যক্তি। মুস্তাক বলেন, ‘‘৫০ হাজার টাকা দেওয়ার পর দীর্ঘদিন তার দেখা পাইনি। হঠাৎই কিছুদিন আগে হোয়াটসঅ্যাপে একটি লিঙ্ক আসে। তাতে কাজে যোগ দেওয়ার কথা জানানো হয়। তারপর ওই ব্যক্তি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল (North Bengal Medical) কলেজের নিয়োগপত্র দিয়ে ছ’লক্ষ টাকা চান। ওই ব্যক্তি দাবি করেন, সরকারি চাকরি তাই বেশি টাকা দিতে হবে। বন্ধুদের কাছ থেকে ধার দেনা ৬০ হাজার টাকা ওই ব্যক্তিকে দিয়ে বলি বাকি টাকা পরে দেব। সেই নিয়োগপত্র নিয়ে কাজে যোগ দিতে আসি। বুঝতে পারিনি যে, আমাকে জাল নিয়োগপত্র দিয়ে প্রতারণা করা হয়েছে।’’ 

    জাল নিয়োগপত্র চক্রে ফের উত্তর দিনাজপুর যোগ

    এই ঘটনায় স্বাস্থ্য দফতরে চাকরির প্রতারণা চক্রে ফের উত্তর দিনাজপুর যোগ উঠে এল। প্রায় দুবছর আগে জাল নিয়োগপত্র নিয়ে উত্তরবঙ্গ মোডিক্যাল (North Bengal Medical) কলেজ হাসপাতালে কাজে যোগ দিতে এসে গ্রেফতার হয়েছিলেন মালদার এক ব্যক্তি। সেই ঘটনাতেও জাল নিয়োগপত্র দেওয়ার পিছনে উত্তর দিনাজপুর জেলার একটি প্রতারণা চক্রের হাত ছিল। পুলিশ তদন্ত করে কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছিল। তারপরেও এই চক্রের সক্রিয়তায় উঠছে প্রশ্ন।

     কী বলছে পুলিশ?

    মেডিক্যাল ফাঁড়ির পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবকদের জেরা করে জানা গিয়েছে, তাঁদের গ্রামেরই এক ব্যক্তি প্রতারণা করেছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, শুধু ওই ব্যক্তি একা নন। এই চক্রের জাল (North Bengal Medical) অনেক দূর বিস্তৃত। এর সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত রয়েছে। নিয়োগপত্রে যেভাবে স্বাস্থ্যভবনের লোগো ও স্ট্যাম্প ব্যবহার করা হয়েছে তাতে স্বাস্থ্যভবনের কোনও কর্মীর যুক্ত থাকার সম্ভাবনাও পুলিশ উড়িয়ে দিচ্ছে না। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। চক্রের মাস্টারমাইন্ডের খোঁজ চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share