Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • RG Kar Incident: ‘‘ঘরে মেয়ের দেহ, তখন পুলিশ টাকা দিতে চেয়েছিল’’, বিস্ফোরক নির্যাতিতার বাবা

    RG Kar Incident: ‘‘ঘরে মেয়ের দেহ, তখন পুলিশ টাকা দিতে চেয়েছিল’’, বিস্ফোরক নির্যাতিতার বাবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি চাননি মেয়েকে দ্রুত দাহ করা হোক। কিন্তু থানায় ও তাঁর বাড়িতে যেভাবে ৩০০-৪০০ করে পুলিশ ঘিরে রেখেছিল, তারপর আর কিছু করার ছিল না তাঁর। সেই কারণেই ওই রাতে মেয়ের দেহ দাহ করতে বাধ্য হন বলে জানালেন আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) নির্যাতিতার বাবা। প্রায় এক মাস হতে চলল। গত ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। আর পুরো ঘটনা সুকৌশলে চাপা দিতে বদ্ধ পরিকর ছিল পুলিশ। কিন্তু কেন? 

    নির্যাতিতার বাবার প্রশ্ন

    বুধবার তিলোত্তমার জন্য ‘বিচার পেতে আলোর পথে’ নামে কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন। আরজি করেও সেই কর্মসূচি পালন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন নির্যাতিতার পরিবার। সেখানেই পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তাঁদের অভিযোগ, “টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল পুলিশ। কেন? এই প্রশ্নের উত্তর চাই।” আরজি করে (RG Kar Incident)  গিয়ে নির্যাতিতার বাবা কয়েকটি প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেছেন, ‘‘হাসপাতালের তরফে কী ভাবে কোনও পরীক্ষা ছাড়াই বলা হল, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন? সে দিন মেয়ের মুখ দেখতে আমাদের সাড়ে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল। ওর মা ওঁদের হাতে-পায়ে ধরেছেন মেয়ের মুখ দেখার জন্য। কেন ময়নাতদন্ত করতে দেরি হল? আমি টালা থানায় এফআইআর করি সন্ধ্যা সাড়ে ৬’টা থেকে ৭টার মধ্যে। কিন্তু সেই এফআইআর রাত পৌনে ১২টায় নথিভুক্ত হল কেন? পুলিশ কেন অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করল?’’

    আরও পড়ুন: রাতে রাজপথে জনস্রোত! ‘তিলোত্তমা’র স্মৃতিতে আলো নিভিয়ে বাতি জ্বালাল কলকাতা

    টাকা দিতে চাইল পুলিশ

    মেয়ের মৃত্যুর (RG Kar Incident) ক্ষত এখনও দগদগে। এরই মধ্যে পুলিশের বিরুদ্ধে টাকা দেওয়ার অভিযোগ তুললেন নির্যাতিতার বাবা।  তিনি বলেন, “আমার ঘরে তখনও আমার মেয়ের দেহ শোয়ানো। পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে ডিসি সেন্ট্রাল আমাকে টাকা দিতে চেয়েছিলেন। আমরা আমাদের মতো জবাব দিই। সাদা কাগজে সই করানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। আমি সেই কাগজ ছিঁড়ে ফেলে দিই।” সে দিন রাতে কীভাবে তাঁর মেয়ের দেহ নিয়ে যাওয়া হল, সেই বর্ণনাও দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “দেহ রেখে দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমাদের ওপর প্রেসার তৈরি করা হয়েছিল। টালা থানায় এক ঘণ্টা বসেছিলাম। তারপর বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরে যাই। বাড়ি গিয়ে দেখি সেখানে ৪০০ পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে। তখন আর আমাদের কিছু করার ছিল না দেহ পোড়াতে বাধ্য হই। কিন্তু সেদিন শ্মশানের খরচ কারা দিল, আমরা জানতে পারিনি আজ পর্যন্ত। আমার মেয়ে বোধ হয় বলে গেল, আমার বাপি এই টাকাটাও খরচ করতে পারল না! এই প্রশ্নের উত্তর কে দেবে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: রাতে রাজপথে জনস্রোত! ‘তিলোত্তমা’র স্মৃতিতে আলো নিভিয়ে বাতি জ্বালাল কলকাতা

    RG Kar Incident: রাতে রাজপথে জনস্রোত! ‘তিলোত্তমা’র স্মৃতিতে আলো নিভিয়ে বাতি জ্বালাল কলকাতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘড়িতে তখন রাত ৯টা। হঠাতই আঁধার নামল কলকাতায়। পাড়ায়, পাড়ায়, আবাসনে, বাড়িতে, দোকানে আলো বন্ধ। আলো নিভল ভিক্টোরিয়াতে। আলো নিভল রাজভবনেও। প্রতিবাদী কলকাতা। বিপ্লবের শহর ফের সরব। আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে সকলে সামিল। রাত নামতেই এক অদৃশ্য মানবশৃঙ্খল তৈরি হল সিঁথির মোড়, টালা, শ্যামবাজার, কলেজ স্কোয়্যার, যাদবপুর-সহ গোটা শহরের নানা প্রান্তে। হাতে হাত রেখে হাজার কণ্ঠে ধ্বনিত হলো, ‘তোমার স্বর আমার স্বর, জাস্টিস ফর আরজি কর’।

    বেনজির প্রতিবাদ

    বুধবার রাত ৯টা (RG Kar Incident) বাজতেই পাড়ায়, পাড়ায়, আবাসনে, বাড়িতে, দোকানে লাইট বন্ধ হয়ে যায়। বারান্দায় ব্যালকনিতে জ্বলে ওঠে প্রতিবাদের মোমবাতি। অন্ধকার রাত ঢেকে দেওয়ার জোরালো এবং ঐক্যবদ্ধ চেষ্টা হল প্রতিবাদের সেই আলো জ্বালিয়ে। ৯টা বাজলেই বাড়ির আলো বন্ধ করে, মোমবাতি জ্বালিয়ে মানুষ যেন প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে পড়েন। আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে জনমানসকে আহ্বান জানিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কলকাতায় এহেন প্রতিবাদ অভিনব শুধু নয়, অভূতপূর্বও বটে। রাজনৈতিক দল বা মঞ্চের ডাকে বাংলায় প্রতিবাদ, আন্দোলন, বিক্ষোভ অতীতে বহু হয়েছে। সেই জন্যই তো  কলকাতা মিছিল নগরী বলেও পরিচিত। তবে রাজনৈতিক রঙের ঊর্ধ্বে উঠে এ ধরনের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ কলকাতা তথা বাংলায় বেনজির। 

    ফের রাত দখল

    আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Incident) প্রতিবাদে এর আগে গত ১৪ অগস্ট রাত দখলে নেমে পড়েছিলেন শহরবাসী। সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ থেকে স্কুল পড়ুয়া শিশু— কেউই বাকি ছিলেন না সেই জমায়েতে। বুধবার রাতে অনেকটা সেভাবেই প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে পড়লেন হাজার হাজার শহরবাসী। আরজি কর হাসপাতালের সামনে, যাদবপুরে ৮বি বাসস্ট্যান্ডে, বিশ্ববাংলা মোড়ে রাত ৮টা থেকেই জমায়েত শুরু হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি করের শুনানির কথা মাথায় রেখে বুধবার ফের রাত দখলের আহ্বান জানানো হয়। পরে যদিও জানা যায় শুনানির দিন পিছিয়ে গিয়েছে। তাতে কী? দ্রুত বিচারের দাবিতে এক হওয়ার আওয়াজ উঠল রাজপথে। আট থেকে আশি— সন্ধ্যা থেকে পথে। বর্ষীয়ানরা নিজেদের মেয়ে, নাতনির মুখ মনে করে জয়ামেতে এসেছেন বলে জানিয়েছেন। মোমবাতির সঙ্গে চলেছে পথে আঁকা, বার্তা লিখন। 

    আরও পড়ুন: ৫২ বাড়িয়ে ৮০! কার চাপে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে বাড়ানো হত নম্বর?

    ঋতুপর্ণাকে ‘গো-ব্যাক

    এই ভিড়ে মিশে বিচার চেয়েছেন টলিপাড়ার অনেকেই। উপস্থিত ছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, তথাগত মুখোপাধ্যায়, দেবলীনা দত্ত, বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়, সোহম মজুমদার, সোলাঙ্কি রায়, ঋষভ বসু, রাতাশ্রী দত্তরা। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে ঋতুপর্ণা জমায়েতে উপস্থিত হতেই ওঠে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। চার পাশ থেকে উলু ধ্বনি এবং শঙ্খ বাজিয়ে ব্যঙ্গ করা হয় অভিনেত্রীকে। কিছুক্ষণ পর গাড়িতে উঠে শ্যামবাজার ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন ঋতুপর্ণা। অন্য দিকে, দক্ষিণ কলকাতায় সন্ধ্যা থেকেই রাস্তায় জমায়েত বড় হতে শুরু করে। ঢাকুরিয়া, লেক গার্ডেন্স, গড়িয়া মোড়-সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদে শামিল হন মানুষ। তবে সব থেকে বেশি ভিড় লক্ষ করা যায় যাদবপুরে ৮বি বাসস্ট্যান্ডে। সেখানে আন্দোলনকারীরা (RG Kar Incident) গান, কবিতা এবং নাটকের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North Bengal Medical: ৫২ বাড়িয়ে ৮০! কার চাপে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে বাড়ানো হত নম্বর?

    North Bengal Medical: ৫২ বাড়িয়ে ৮০! কার চাপে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে বাড়ানো হত নম্বর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে প্রতিবাদের রেশ এবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেও (North Bengal Medical) দুর্নীতির অভিযোগের বিস্ফোরণ ঘটল। অভিযোগ খোদ অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিত সাহা এবং ডিন সন্দীপ সেনগুপ্তর বিরুদ্ধে। পরীক্ষায় কারচুপি, ছাত্র-ছাত্রীদের হুমকিতে মদত দেওয়ার অভিযোগের পাশাপাশি অবৈধভাবে তৃণমূলের নামে ছাত্র সংসদ পরিচালনার অনুমোদন দেওয়ার অভিযোগে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এ নিয়ে বুধবার তাঁরা কলেজের অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি দেন।

     অধ্যক্ষকে ঘেরাও কেন? (North Bengal Medical)

    রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন ও জুনিয়র ডাক্তাররা এদিন তৃণমূলের ছ’জন ছাত্রনেতার নামে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া, হস্টেলে ঘর বণ্টন নিয়ে দাদাগিরি, অনৈতিকভাবে টাকা তোলার অভিযোগ করেন। ওই  ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছাত্র সংসদ বাতিলের দাবিতে অধ্যক্ষ ও ডিনকে ঘেরাও করেন আন্দোলন রত জুনিয়র ডাক্তাররা। আরজি করকাণ্ডে বিতর্কিত তৃণমূল ছাত্র নেতা অভীক দের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে (North Bengal Medical) প্রবেশ নিষিদ্ধ করার দাবিও জানান তাঁরা। তৃণমূল ছাত্র নেতা সোহম মণ্ডল ও সাহিন সরকারকে অবিলম্বে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের হস্টেল থেকে বরখাস্ত করার জোরালো দাবিও রয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘বিচার চাই’! বাংলার ইতিহাসে দীর্ঘতম মানব বন্ধন, অভিনব প্রতিবাদের সাক্ষী কলকাতা

    কে অভীক দে?

    নির্যাতিতা কাণ্ডে যে সব ভিডিও ভাইরাল হচ্ছিল, সেখানে সেমিনার রুমে এক লাল জামা পরা যুবককে দেখা গিয়েছিল। লালবাজার যাঁকে ফিঙ্গার প্রিন্ট বিশেষজ্ঞ বলেছিল। যদিও পরে জানা যায়, ওই যুবকের নাম অভীক দে। এসএসকেএমের সার্জারির পিজিটি তিনি। আরও পরে জানা যায়, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করেন তিনি। যদিও এ নিয়ে সংগঠনের তরফে সেভাবে মুখ খোলেনি কেউই। অবশেষে সোমবার রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কর ভট্টাচার্য প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানান, অভীক দে-কে বরখাস্ত করা হল। এই অভিক দে-র বিরুদ্ধেই উঠছিল জোর করে চাপ দিয়ে নম্বর বাড়ানোর অভিযোগ।

     দুর্নীতির অভিযোগের বিস্ফোরণ!

    জুনিয়র ডাক্তারদের (North Bengal Medical) ঘেরাও আন্দোলনের মাঝে অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহা ও ডিন সন্দীপ সেনগুপ্তকে দুর্নীতির অভিযোগে চেপে ধরেন অধ্যাপক চিকিৎসকরাও। সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক চিকিৎসক এসকে রায়ের অভিযোগ, অধ্যক্ষ ও ডিন কীভাবে পরীক্ষায় কারচুপির পাশাপাশি আর্থিক দুর্নীতিতে যুক্ত রয়েছেন। তিনি বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন আমাদেরকে ডেকে হুমকি দেওয়া হয়েছে, নকল না ধরার জন্য। ফেল করা এক ছাত্রীকে পাশ করানোর জন্য সন্দীপ সেনগুপ্ত দিনের পর দিন নানা চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। ট্যাবুলেশন শিটে হোয়াইটনার দিয়ে প্রকৃত নম্বর মুছে উত্তরের লবির ছাত্রদের নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

    ৫২ নম্বর বাড়়িয়ে ৮০!

    এই অভীকের বিরুদ্ধে শুধু জুনিয়র চিকিৎসকরা নয়, ডিপার্টমেন্টাল হেডরাও সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, বিশেষ একজন ছাত্র নেতার নম্বর সাদা কালি দিয়ে মুছে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এইচওডি-রা বলছেন, তাঁরা ৫২-৫৩ নম্বর দিয়েছিলেন। অথচ মার্কশিটে নম্বর লেখা ৮০। এক অধ্যক্ষ বলেন, “নম্বর ধরে ধরে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের ডাকলে ফাইল দেখাব।” এদিন ছাত্রছাত্রী এবং অধ্যাপকরা ঘিরে ধরেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ডিন ও অধ্যক্ষকে। তাঁরা জানতে চান নম্বর বাড়ানোর পিছনে কে যুক্ত। প্রথমে ডিন মানতে না চাইলেও পরে আন্দোলনকারীদের চাপে পড়ে কার্যত মুখ খোলেন তিনি। ডিন অফ স্টুডেন্স বলেন, “কোনও-কোনও সময় অভীক দে-র ফোন আসত। তবে বারবার ফোন এলে আমি বিরক্ত হয়ে বেরিয়ে যেতাম। অভীক ছাড়া কেউ ফোন করত না। তবে যতক্ষণ হলে ছিলাম, ততক্ষণ কড়া গার্ড দিয়েছি।” পাল্টা আন্দোলনকারীরা বলতে থাকেন নাম বলুন নাম। তখন আবার ডিন বলেন, “আমি অ্যাপোলজি চেয়ে বলছি, কয়েকটা ক্ষেত্রে প্রিন্সিপাল স্যরের কাছেও ফোন আসত। অভীক ছাড়া ফাইনাল ইয়ারে শাহিন সরকার ফোন করেছিল। আর কেউ নেই।” যদিও, প্রিন্সিপাল বলেন, “আমার কাছে কোনও ফোন আসত না।” আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা একটি ছবি দেখিয়ে প্রমাণ করেন এখানে পরীক্ষা হল থেকে প্রতিটি অনুষ্ঠানে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে (North Bengal Medical)  অভীকের অবাধ বিচরণ ছিল। সেই ছবিতে দেখা যায়, অধ্যক্ষের জন্মদিনে কেক খাইয়ে দিচ্ছেন অভীক। কলেজ ক্যাম্পাসেই সেই অনুষ্ঠান হয়েছিল। এরপর মাধা নিচু করে চুপ করে বসে থাকেন অধ্যক্ষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata metro: ৫ সেপ্টেম্বর থেকে সকাল বেলায় বাড়ছে মেট্রোর সংখ্যা

    Kolkata metro: ৫ সেপ্টেম্বর থেকে সকাল বেলায় বাড়ছে মেট্রোর সংখ্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতাবাসীর জন্য ফের সুখবর। সকালে বৃদ্ধি (Increasing) পাচ্ছে মেট্রো (Kolkata metro)। এ খবর জানালো কলকাতা মেট্রো। আগামিকাল ৫ সেপ্টেম্বর থেকেই এই পরিবর্তন দেখা যাবে। ট্রেন বাড়ছে ব্লু লাইনে। মহানায়ক উত্তমকুমার মেট্রো স্টেশন থেকে দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত। সোম থেকে শুক্রবার পর্যন্ত মোট ট্রেন চলবে ২৯০টি। কম সময়ে শহর কলকাতার একপ্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে পৌঁছে যেতে এই মেট্রো পরিষেবা সাধারণ মানুষের প্রথম পছন্দ। তাই মেট্রোয় অতিরিক্ত ভিড় কমবে বলে মনে করছেন যাত্রীদের একাংশ।

    কোন সময় মেট্রো চলবে (Kolkata metro)?

    এতো দিন পর্যন্ত এই লাইনে মোট মেট্রো চলত ২৮৮টি। এবার এই ট্রেন সংখ্যা বৃদ্ধি (Increasing) পাওয়ায় যাত্রীদের পরিষেবা আরও সুগম হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বাড়তি ট্রেনের মধ্যে একটি চলবে সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে। এটি ছাড়বে মহানায়ক উত্তম কুমার থেকে আর যাবে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত। পাশাপাশি অপর ট্রেনটি চলবে সকাল ৭ টা ৫৪ মিনিটে থেকে। এই মেট্রোটি (Kolkata metro) ছাড়বে দক্ষিণেশ্বর থেকে, যাবে কবি সুভাষ স্টেশন পর্যন্ত। তবে দুই মেট্রোর নতুন সংযোজন হলেও বাকি সময়সূচির তেমন বদল ঘটবে না। এই শাখায় প্রথম মেট্রো ছাড়ছে সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে। এটি চলবে দমদম থেকে, যাবে কবি সুভাষ পর্যন্ত। একই সময়ে কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত আসছে অন্য একটি মেট্রো। আবার রাত ৯টা ২৮ মিনিটে শেষ মেট্রো ছাড়বে দক্ষিণেশ্বর স্টেশন থেকে, গন্তব্য কবি সুভাষ স্টেশন। একই ভাবে রাত ৯টা বেজে ৩০ মিনিটে কবি সুভাষ ছাড়বে মেট্রো, যাবে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত।

    আরও পড়ুনঃ নারী-শিশু সুরক্ষায় মমতার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ রিজিজুর, সরব শুভেন্দুও

    ছুটির দিনেও চলবে হাওড়া ময়দান-এসপ্ল্যানেড মেট্রো

    দৈনন্দিন জীবনে মানুষ ট্রেন এবং মেট্রো (Kolkata metro) ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে থাকেন কালকাতাবাসী। নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার এবং যাত্রাপথকে আরও সুরক্ষিত করতে কলকাতা মেট্রো নিরন্তর কাজ করে চলেছে। কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র কয়েকদিন আগেই বলেছিলেন, “মেট্রোর সাধারণ টাইমে কোনও বদল আসছে না। আগামী ৫ তারিখ থেকে বদল আসছে গঙ্গার নিচের মেট্রো পরিষেবাতেও। এখন থেকে ছুটির দিন রবিবারও পাওয়া যাবে হাওড়া ময়দান-এসপ্ল্যানেড মেট্রো পরিষেবা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kiren Rijiju: নারী-শিশু সুরক্ষায় মমতার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ রিজিজুর, সরব শুভেন্দুও

    Kiren Rijiju: নারী-শিশু সুরক্ষায় মমতার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ রিজিজুর, সরব শুভেন্দুও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে রাজ্য সরকার, পুলিশ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। এই আবহের মধ্যে মঙ্গলবারই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পাশ হয়েছে ‘অপরাজিতা মহিলা ও শিশু বিল’। সেই বিল পাশের চব্বিশ ঘণ্টা কাটার আগেই নারী সুরক্ষা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হলেন মোদি সরকারের মন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju)।  রিজিজুর বক্তব্যের রেশ টেনে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।

    ঠিক কী বলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী? (Kiren Rijiju)

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju) উল্লেখ করেছেন, ২০১৮ সালে সংসদে ‘ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের মোকাবিলায় একটি কঠোর আইন’ পাস করা হয়েছিল, যার লক্ষ্য ছিল ধর্ষণ ও পকসো আইনের মামলাগুলির দ্রুত বিচার ও সমাধানের জন্য ফাস্ট-ট্র্যাক বিশেষ আদালত (এফটিএসসি) প্রতিষ্ঠা করা। তিনি আরও অভিযোগ, করেছেন যে ২০১৯, ২০২০ এবং ২০২১ সালে একাধিকবার যোগাযোগ করা সত্ত্বেও তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ফৌজদারি (সংশোধনী) আইন, ২০১৮-এর অধীনে এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পে সম্মতি দেয়নি। চিঠিতে কিরেন রিজিজু পশ্চিমবঙ্গে বিচারাধীন ধর্ষণ ও পকসো আইনের দ্রুত বিচার ও নিষ্পত্তির জন্য এফটিএসসি গঠনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন। চিঠিতে বলা হয়েছিল যে, ২০টি ই-পকসো আদালত সহ ১২৩টি এফটিএসসি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে, রাজ্য সরকারের সম্মতি পাওয়া যায়নি। রিজিজু জানান, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী নারী ও শিশুদের জন্য দ্রুত ন্যায়বিচার প্রদানের ‘সবচেয়ে পবিত্র দায়িত্ব’ উপেক্ষা করায় তিনি ‘দুঃখিত’ বোধ করছেন। এটি একটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। দয়া করে এটাকে রাজনৈতিক ইস্যু বানাবেন না। খুব শক্তিশালী আইন প্রয়োজনীয়, কিন্তু শক্তিশালী পদক্ষেপ আরও গুরুত্বপূর্ণ। যখন চিঠিটি লেখা হয়েছিল, তখন সংবাদমাধ্যমে এই খবরটি ব্যাপকভাবে প্রচার করেছিল, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছিল!

    <

    সরব শুভেন্দুও

    বিরোধী বিজেপি বিধায়করা রাজ্য সরকারের এই বিলকে সমর্থন করার পরেই বিলটি পাস করা হয়েছিল। শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, এই নৃশংস অপরাধের বিষয়ে ‘জনগণের ক্ষোভ ও প্রতিবাদ থেকে নজর ঘোরাতে’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিলটি উত্থাপন করেছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকারের আসল সত্যিটা সামনে আনার জন্য মাননীয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজুকে ধন্যবাদ।” এর পর ওই পোস্টে রিজিজুর (Kiren Rijiju) পোস্ট করা ছবির কথা উল্লেখ করেন। শুভেন্দু লেখেন, “২০২১ সালের এই চিঠি, তৎকালীন কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার মন্ত্রীর পাঠানো। কিরেন রিজিজু ফাস্ট ট্র্যাক স্পেশাল কোর্ট এবং পকসো আদালত প্রতিষ্ঠার বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দায়সারা মনোভাব তুলে ধরেন।” ওই পোস্টে শুভেন্দু আরও লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করার পরেও তিনি মহিলা ও শিশুদের জন্য দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই বিষয়টি উপেক্ষা করেছিলেন।” এর পর মমতার উদ্দেশে শুভেন্দু লিখেছেন, মুখ্যমন্ত্রী যে চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য এখন নারী নির্যাতন বিরোধী বক্তব্য রাখছেন, তা মানুষ বুঝতে পারছে। তাই…

    <

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদ, রাজ্যের দেওয়া পুরস্কার ফেরাচ্ছেন চন্দন-সুদীপ্তা-বিপ্লব

    RG Kar Protest: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদ, রাজ্যের দেওয়া পুরস্কার ফেরাচ্ছেন চন্দন-সুদীপ্তা-বিপ্লব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Protest) আরও গাড্ডায় রাজ্য সরকার। এবার সরকারের দেওয়া পুরস্কার ফেরাতে শুরু করলেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের কৃতীরা। এই তালিকায় রয়েছেন নাট্যকার চন্দন সেন, অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী এবং অভিনেতা তথা নাট্য পরিচালক বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকার তাঁদের যেসব পুরস্কার দিয়েছেন, সেগুলো যে তাঁরা ফেরাতে চান, তা ইতিমধ্যেই মেল করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছেন চন্দন-সুদীপ্তা-বিপ্লব।

    পুরস্কার ফেরাচ্ছেন চন্দন (RG Kar Protest)

    প্রবীণ নাট্যকার চন্দন সেনের কথাই ধরা যাক। ২০১৭ সালে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার তাঁকে দীনবন্ধু মিত্র পুরস্কারে (Dinbandhu Mitra Honour) ভূষিত করে। নাট্যক্ষেত্রে অবদানের জন্য নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্রের নামে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। নাট্য ক্ষেত্রে এটি রাজ্য সরকারের দেওয়া সর্বোচ্চ সম্মান। নাট্যকার জানান, রাজ্যে বর্তমানে যে পরিস্থিতি চলছে, সেই আবহে শাসক দলের বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক যে কটাক্ষ করেছেন, তাতে তিনি ব্যথিত। নাটকের সূত্রেই কাঞ্চনের সঙ্গে পরিচিত তিনি। এরই প্রতিবাদে ও অসম্মান বোধ করায় রাজ্য সরকারের দেওয়া এই পুরস্কার ফিরিয়ে দিচ্ছেন তিনি। সঙ্গে ফেরাচ্ছেন রাজ্য সরকারের দেওয়া নগদ ২৫ হাজার টাকাও।

    আরও পড়ুন: “শাহজাহানকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে তো?”, মমতাকে মোক্ষম প্রশ্ন শিবরাজের

    মেল করে জানালেন সিদ্ধান্ত

    পুরস্কার এবং সরকারের দেওয়া টাকা যে তিনি ফেরাবেন, চন্দন তা রাজ্য সরকারের তথ্য সংস্কৃতি দফতরকে মেল করে জানিয়েও দিয়েছেন। বিশিষ্টজনেদের একটা বড় অংশের মতে, কাঞ্চনের মন্তব্যের পর সরকার কিংবা তৃণমূলের তরফে এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়নি, কাঞ্চনকেও কিছু বলা হয়নি। তাই কাঞ্চনের কথা শাসক দলের কথা ধরে নিয়েই নাট্যকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। চন্দন জানান, আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কষ্টার্জিত বেতন (RG Kar Protest) নিয়ে প্রশ্ন তুলে কাঞ্চন যে কটাক্ষ করেছেন, তার প্রতিবাদেও এই পুরস্কার প্রত্যাখ্যান বলে জানিয়েছেন চন্দন। আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমেছে কলাকুশলীদের একাংশও। বিরোধীদের দাবি, শাসক দলের ছত্রছায়ায় যাঁরা রয়েছেন কিংবা তৃণমূলের দয়ায় যাঁরা ‘করেকম্মে’ খাচ্ছেন, তাঁরা অবশ্য পথে নামেননি। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, যাঁদের মেরুদণ্ড ঋজু, তাঁরাই ফেরাচ্ছেন শাসক দলের পুরস্কার কিংবা আর্থিক অনুদান অথবা দুটোই।

    পুরস্কার ফেরাচ্ছেন বিপ্লবও

    পুরস্কার এবং পুরস্কার বাবদ পাওয়া অর্থমূল্য ফেরাচ্ছেন নাট্য পরিচালক বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। চলতি বছরই সেরা নির্দেশক হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ নাট্য অ্যাকাডেমি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছিল তাঁকে। কাঞ্চন-কাঁটায় বিদ্ধ তিনিও। সেই কারণেই পুরস্কার এবং পুরস্কার বাবদ সরকারের দেওয়া ৩০ হাজার টাকা ফেরাচ্ছেন বিপ্লব। পুরস্কার ফেরতের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই পুরস্কারের বিনিময়ে প্রশ্নহীন আনুগত্য চেয়েছিল সরকার। আনুগত্যের চাহিদা ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করছি।” তিনি জানান, আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তিনিও তার শরিক। তাছাড়া অভিনেতা-বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের মন্তব্যও আহত করেছে তাঁকে। সব মিলিয়েই পুরস্কার এবং পুরস্কার বাবদ অর্থমূল্য ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিপ্লবও। তিনি জানান, শীঘ্রই তিনি এ ব্যাপারে মেল করবেন নাট্য অ্যাকাডেমির সচিবকে।

    পুরস্কার ফেরানোর তালিকায় রয়েছেন সুদীপ্তাও

    পুরস্কার ফেরাচ্ছেন (RG Kar Protest) সুদীপ্তা চক্রবর্তীও। তৃণমূল নেতা কাঞ্চনের বিতর্কিত মন্তব্যের পর রাজ্য সরকারের দেওয়া পুরস্কার ফেরত (Dinbandhu Mitra Honour) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবারই মেল করে রাজ্য সরকারকে এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী। বিশেষ চলচ্চিত্র সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল তাঁকে। সেই সম্মানই ফেরাচ্ছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় চিঠির বৃত্তান্ত তুলে ধরেন সুদীপ্তা। ক্যাপশনে লেখেন, “আপোশ করিনি। আপোশ করবও না। ভেবেছিলাম, সরকারি পুরস্কার আমার যোগ্যতার জন্য দেওয়া হয়েছিল। পরশু রাতে মাননীয় বিধায়ক যখন দাবি করলেন রাস্তায় নামলে পুরস্কার ফেরত দেওয়ার, সিদ্ধান্ত তখনই নিয়েছিলাম। ইমেল ঠিকানা পেয়ে চিঠিটা পাঠাতে একটু দেরি হল।” সুদীপ্তা জানান, ন্যায় বিচার চেয়ে তিনি লড়ছেন, লড়বেন। ২০১৩ সালের ২৪ জুলাই স্পেশাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড সম্মানে ভূষিত করা হয় সুদীপ্তাকে। ২০০০ সালে তিনি পেয়েছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

    কী লিখেছেন অভিনেত্রী

    চিঠিতে সুদীপ্তা লিখেছেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে সম্মানীয় কাঞ্চন মল্লিক পয়লা সেপ্টেম্বর যে মন্তব্য করেছেন, তার জন্যই আমি এই পুরস্কার ফিরিয়ে দিতে চাইছি। আমি আমার সার্টিফিকেটও ফেরত দিতে চাইছি। নগদ ২৫ হাজার টাকাও আমায় দেওয়া হয়েছিল। সেটাও কীভাবে ফেরত দেব বা কোন বিভাগে ফেরত দিতে পারব, সেটা জানালে ভালো হয়।”

    প্রসঙ্গত, আরজি করকাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য। এই আবহে কষ্টার্জিত বেতন নিয়ে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন কাঞ্চন। আরজি করে নির্যাতিতার পরিবারকে সুবিচার দেওয়ার দাবিতে অভিনয় জগতের যাঁরা আন্দোলন করছিলেন, তাঁদের একহাত নিয়েছিলেন কাঞ্চন। উত্তরপাড়ার বিধায়ক বলেছিলেন, “আচ্ছা ধরুন, যাঁরা বলছেন, এই আমাদের সহকর্মী এই চারিদিক থেকে, তাঁরা যাঁরা সরকারি পুরস্কার বা ইত্যাদি নিয়েছিলেন, তাঁরা ফেরত দেবেন (Dinbandhu Mitra Honour), বলুন ফেরত দিয়ে দিচ্ছি (RG Kar Protest)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC MLA:  ‘তৃণমূল বিধায়ক দিতেন কুপ্রস্তাব’, মহিলা পুরকর্মীর বিস্ফোরক অভিযোগ

    TMC MLA: ‘তৃণমূল বিধায়ক দিতেন কুপ্রস্তাব’, মহিলা পুরকর্মীর বিস্ফোরক অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড নিয়ে রাজ্যজুড়ে চলছে আন্দোলন। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এই আবহে চুঁচুড়া পুরসভার এক মহিলা কর্মীকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে হুগলির চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) অসিত মজুমদারের বিরুদ্ধে। মহিলার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। একইসঙ্গে  তাঁর নামে শহরজুড়ে পোস্টার পড়েছে। সাদা কাগজের ওপর কালো কালিতে লেখা দু’টি লাইন-‘বিধায়ক তুমি দূর হটো, চুঁচুড়ার নারীদের সম্মান বাঁচাও’। বুধবার সকাল থেকেই হুগলির চুঁচুড়ার বিভিন্ন জায়গায় নজরে পড়েছে এই পোস্টার। কে বা কারা রাতের অন্ধকারে এই পোস্টার সাঁটিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে পোস্টারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে জেলাজুড়ে।

    ভাইরাল ভিডিওতে কী রয়েছে (TMC MLA)

    মঙ্গলবার চুঁচুড়া পুরসভার এক মহিলা কর্মীর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে মহিলা কর্মী বলেন, “মহিলাদের উনি (বিধায়ক) সম্মান করেন না। ওঁর মুখের ভাষা খুবই খারাপ। মহিলাদের কুকথা বলেন। ভিডিও কল এবং মেসেজ করেন মহিলাদের। এখন ধিক্কার মিছিল করছেন শহরে। কিন্তু উনিই তো মহিলাদের সম্মান দিতে জানেন না। কেন এত দিন অভিযোগ করা হয়নি?

    মহিলার দাবি, “মহিলারা ভয়ে অভিযোগ করেন না। আমরা ভয় পাই না। তাই অভিযোগ করি। আমার কাছে অনেক প্রমাণ আছে। সময় মতো সেগুলো সামনে আনব। ২০১৬ সাল থেকে আমি ‘বিধায়কের (TMC MLA) বাড়িতে’ কাজ করছি। পুরসভার কর্মী হওয়ার পরেও আমাকে বিধায়কের বাড়িতে কাজ করতে হত। শুধু আমি একা নই, স্বামীও বিধায়কের টুকটাক লেখালিখির কাজ করে দিতেন। মাস ছয় আগে বিধায়কের বাড়ির কাজ ছেড়ে দিয়েছি। আমি যত দিন নিজের সম্মান পেয়েছিলাম, তত দিন ওঁর সঙ্গে ছিলাম। যখন সম্মানহানি হল, তখন বেরিয়ে এসেছি। যখন আমি ওঁর কুপ্রস্তাবে রাজি হইনি, তখনই আমায় চোর বদনাম দিয়ে তাড়িয়ে দিলেন।” শুধু তিনি একা নন, অনেক মহিলাকেই কুপ্রস্তাব দিতেন ওই বিধায়ক, এমন অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযোগকারিণীর দাবি, “আমার কাছে ভিডিও কলের চ্যাট আছে।” তবে তিনি আশাবাদী দল ব্যবস্থা নেবে বিধায়কের বিরুদ্ধে। তাঁর কথায়, “আমি দলকে জানিয়েছি।”

    ভিডিও পোস্ট লকেটের

    প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, বিজেপি নেতা সজল ঘোষেরা সেই ভিডিও সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে সুর চড়াচ্ছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। লকেটের কথায়, “এমন আর কত মহিলার সঙ্গে আপনি সেফ সাইড করতেন বিধায়কবাবু (TMC MLA)! আপনি আবার নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে। হাস্যকর! রক্ষক যে নিজেই ধর্ষক, এটাই তৃণমূলের মেরুদণ্ড।” সজলের সমাজমাধ্যমেও একই পোস্ট ঘুরছে।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    এই অভিযোগ সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে চাননি চুঁচুড়ার বিধায়ক (TMC MLA)। হুগলি-শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের চেয়ারপার্সন অসীমা পাত্র ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন,“ আমি নিজেই জানি না বিষয়টা। প্রমাণ ছাড়া কিছু বলতে পারি না। যাঁরা অভিযোগ করছেন, তাঁদের সঙ্গে আমরা কথা বলব। কী অভিযোগ আছে সব শুনব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birupaksha Biswas: ‘‘ভাইরাস বিরূপাক্ষকে ঢুকতে দেব না’’, ডায়মন্ড হারবারে বিক্ষোভ জুনিয়র চিকিৎসকদের

    Birupaksha Biswas: ‘‘ভাইরাস বিরূপাক্ষকে ঢুকতে দেব না’’, ডায়মন্ড হারবারে বিক্ষোভ জুনিয়র চিকিৎসকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Kakdwip Hospital) বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের  (Birupaksha Biswas) বিরোধিতায় বিক্ষোভ দেখান জুনিয়র চিকিৎসকরা। প্রসঙ্গত, আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে বদলি করা হয় কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। বিক্ষোভকারীদের একটাই দাবি, কোনওভাবেই ‘ভাইরাস’ বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Kakdwip Hospital) কাজে যোগদান করতে দেওয়া হবে না। ঠিক এই দাবিতেই জুনিয়র ডাক্তাররা বুধবার দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbour) সিএমওএইচ দফতরের বাইরে। এর পাশাপাশি কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বাইরেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে (Birupaksha Biswas) কোনওভাবেই ঢুকতে দেওয়া হবে না হাসপাতালে- এই দাবিতে আজ বুধবার বিকেলে গণ-আন্দোলন ও ঘেরাও কর্মসূচিরও ডাক দিয়েছেন চিকিৎসক পড়ুয়ারা।

    জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কলুষিত করবেন বিরুপাক্ষ!

    বিক্ষোভকারীদের দাবি, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে বদলি হওয়া বিরূপাক্ষ (Birupaksha Biswas) এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কলুষিত করবেন। তাই তাঁকে কোনওভাবে কাজে যোগ দিতে দেওয়া হবে না। প্রসঙ্গত বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে বদলি করা হয়েছিল ২০২৩ সালের ১৩ অগাস্ট অর্থাৎ আজ থেকে ঠিক ১৩ মাস আগে। কিন্তু প্রভাবশালী ও বাহুবলী ডাক্তার নেতা, সন্দীপ ঘনিষ্ঠ বিরূপাক্ষ নিজের সেই বদলি নির্দেশকেও আটকে রেখেছিলেন। সিবিআইয়ের হাতে সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির পর মঙ্গলবার আরজি করে প্রাক্তন অধ্যক্ষকে সাসপেন্ড করে স্বাস্থ্য দফতর। তারপরেই আসে বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের বদলির নির্দেশ। গণ-আন্দোলনের চাপে পড়েই কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্ত, এমনটা বলছেন কেউ কেউ। বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের (Birupaksha Biswas) বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এক ডাক্তারি ছাত্রকে রেজিস্ট্রেশন আটকে দেওয়ার হুমকির অডিও কল সম্প্রতি ভাইরাল হয় (মাধ্যম সত্যতা যাচাই করেনি), সেখানকার কণ্ঠস্বরকে বিরূপাক্ষ বলে দাবি করতে শোনা যায়। এছাড়া আরজি কর কাণ্ডের পরের দিন সেমিনার রুমে দেখা যায় বহিরাগত বিরুপাক্ষকে। এখানেও ওঠে একাধিক প্রশ্ন।

    থ্রেট কালচারে’র দুই কালপ্রিট

    বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের (Birupaksha Biswas) বিরুদ্ধে ডায়মন্ড হারবারের সিএমওএইচ এবং ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour) মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, রাজ্যজুড়ে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ‘থ্রেট কালচারে’র দুই কালপ্রিট হলেন এসএসকেএমের পিজিটি চিকিৎসক অভীক দে এবং সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। সেই ‘থ্রেট কালচার’ ডায়মন্ড হারবারের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ঢুকতে দেবেন না-বলে জানিয়েছেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, জুনিয়র ডাক্তাররা অভিযোগ করেছেন, ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের গাইনোকলোজি বিভাগের প্রাক্তন এইচওডি অধ্যাপক চিকিৎসক সমাদৃতা চক্রবর্তীকে সরিয়ে দেওয়ার পিছনেও বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের (Birupaksha Biswas) হাত ছিল। তাঁকেও হুমকি ও অকথ্য ভাষায় গালাগালি করা হয় বলে অভিযোগ।

    ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন ডাক্তার পড়ুয়ারা (Diamond Harbour)

    জুনিয়র চিকিৎসক সাগ্নিক মিদ্দা বলেন, ‘‘বিরূপাক্ষর (Birupaksha Biswas) অর্ডার এসেছিল ২০২৩ সালে। এতদিন নিজের প্রভাব খাটিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে থেকে গিয়েছিলেন। এখন সেখানকার আন্দোলন ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। এতদিনে উনি ট্রান্সফার নিতে বাধ্য হয়েছে। ওখানকার ছাত্ররা জনিয়ে দিয়েছে, কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিক বা না নিক, পড়ুয়ারাই যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে। আমাদের গায়নো বিভাগের প্রাক্তন এইচওডি সমাদৃতা ম্যাডামকে থ্রেট দিয়েছিলেন বিরূপাক্ষ (Birupaksha Biswas)। তাই ওনার সঙ্গে সম্পর্ক পুরনো দিনের। আর উনি যদি এখানে আসেন সম্পর্ক কীভাবে ঝালিয়ে নিতে হয় আমরা জানি। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত এই অর্ডার ফিরিয়ে নেওয়া না হচ্ছে আমাদের অবস্থান চলবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Raiganj Medical: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদ, শিক্ষক দিবসে উপোস করার সিদ্ধান্ত চিকিৎসকদের

    Raiganj Medical: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদ, শিক্ষক দিবসে উপোস করার সিদ্ধান্ত চিকিৎসকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের (RG Kar Protest) জেরে উত্তাল সারা দেশ। রাজ্যজুড়ে চলছে আন্দোলন। এবার এই ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষক দিবসকে অন্যভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিলেন রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক শিক্ষকরা। মেডিক্যালের (Raiganj Medical) সহকারি অধ্যাপক ডাঃ বিদ্যুৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্য চিকিৎসকরা তাঁদের কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন।

    শিক্ষক দিবসে এবার উপোস (Raiganj Medical)

    রায়গঞ্জ মেডিক্যাল (Raiganj Medical) কলেজের চিকিৎসক শিক্ষক বিদ্যুৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এবারের শিক্ষক দিবস অন্য বারের মতো নয়। আরজি করে যে ঘটনা ঘটেছে তার জেরে এবারের শিক্ষক দিবসে কোনও শিক্ষকের শুভেচ্ছা গ্রহণের নৈতিক অধিকার নেই। তাই এবারে মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক তথা আমরা শিক্ষকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবারে শিক্ষক দিবসে উপোস করব। আমরা কোনও উপহার নেব না। পাশাপাশি ওইদিন বিকেলে আমরা শপথগ্রহণও করব।” তিনি আরও বলেন, নিজেদের কাছে শপথ নেব যে, শিক্ষাঙ্গনে কোনও দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। দুর্নীতি দেখলে রুখে দাঁড়াব। আত্মশুদ্ধির মধ্যে দিয়েই সমাজ শুদ্ধ হবে।

    আরও পড়ুন: ‘বিচার চাই’! বাংলার ইতিহাসে দীর্ঘতম মানব বন্ধন, অভিনব প্রতিবাদের সাক্ষী কলকাতা

    প্রতিবাদে সামিল শিক্ষকরাও

    চিকিৎসক শিক্ষকদের এমন অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়েছেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষিকারাও। রায়গঞ্জ (Raiganj Medical) সহ আশপাশের এলাকার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ৫ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায় ঘড়িমোড়ে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হওয়ার কথা। অনিরুদ্ধ সিন‍্‍হা নামে এক প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘আগামী ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক সমাজ রাজপথের দখল নেবে। এই অন্যায় ও অত্যাচার মেনে নেওয়া যায় না। তাই সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী সবাই এতে সামিল হন।’’ আরেক শিক্ষক দীপাঞ্জন ঘটকের কথায়, ‘‘দ্রুত ন্যায়বিচারের দাবিতে প্রতিবাদে মুখরিত একটা ব্যতিক্রমী শিক্ষক দিবসের লক্ষ্যে এটাই আমাদের প্রয়াস। সব ক্ষেত্রের শিক্ষকদেরই ভেদাভেদহীন উপস্থিতি সুনিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’’ রায়গঞ্জের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা দেবযানী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আরজি করে যে ঘটনা ঘটেছে তা নারকীয়! সকলেই প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এর মধ্যে চিকিৎসক তথা শিক্ষকদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচিকে সমর্থন জানাচ্ছি।’’ রায়গঞ্জের দেবীনগর কৈলাস চন্দ্র রাধারানি বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষিকা রাখি বিশ্বাস চিকিৎসক শিক্ষকদের এই সিদ্ধান্তে সহমত পোষণ করেছেন। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর কোনও উপহার গ্রহণ করব না বলে জানান তিনি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Scam: ‘আরজি করে সন্দীপের হাত ধরে হওয়া দুর্নীতি বিগ স্ক্যাম’, বলল আদালত

    RG Kar Scam: ‘আরজি করে সন্দীপের হাত ধরে হওয়া দুর্নীতি বিগ স্ক্যাম’, বলল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে (RG Kar Scam) চিকিৎসক পড়ুয়ার খুনের পাশাপাশি এই হাসপাতাল দুর্নীতির আঁতুড়ঘর। প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের হাত ধরে এই হাসপাতালে বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে। তাঁর হাত ধরেই কাজের বরাত পেয়েছেন ঘনিষ্ঠরা। ইতিমধ্যেই সেই দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই। আর এই দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন আলিপুর আদালতের বিচারক সুজিত কুমার ঝা।

    আদালতে কী জানাল সিবিআই? (RG Kar Scam)

    এক সরকারি হাসপাতাল (RG Kar Scam) থেকে আরেক সরকারি হাসপাতাল। সন্দীপ ঘোষের সহচর ছিলেন বিপ্লব সিং, সুমন হাজরা-রা। সন্দীপের সঙ্গেই হাসপাতাল বদল হত বিপ্লব-সুমনদের। আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতিতে এবার ত্রিফলা যোগের দাবি করল সিবিআই। আলিপুর আদালতে তাদের দাবি, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে থাকাকালীন সন্দীপের সঙ্গে পরিচয় হয় ভেন্ডর বিপ্লব সিংয়ের। সন্দীপ ন্যাশনাল মেডিক্যালের সুপার পদে বদলি হতেই, সেখানে কাজ পেতে শুরু করেন বিপ্লব। তাঁর সূত্র ধরেই আরেক ভেন্ডর সুমন হাজরার সঙ্গে পরিচয় হয় সন্দীপের (Sandip Ghosh)। সুমনও ন্যাশনাল মেডিক্যালে বরাত পেতে শুরু করেন। এরপর সন্দীপ আরজি কর মেডিক্যালের অধ্যক্ষ হওয়ার পর যাবতীয় টেন্ডার যেত বিপ্লব-সুমনের কাছে। আর জি কর মেডিক্যালে দুর্নীতির জাল তৈরিতে প্রত্যক্ষ যোগ ছিল সন্দীপ-বিপ্লব-সুমনের। আদালতে নথি পেশ করে দাবি করেছে সিবিআই। সিবিআইয়ের আইনজীবী আরও দাবি করেন, ধৃত তিন জনের সঙ্গে সন্দীপ ঘোষের গভীর ষড়যন্ত্র ছিল। সেটা সামনে আসা দরকার।

    আরও পড়ুন: ‘বিচার চাই’! বাংলার ইতিহাসে দীর্ঘতম মানব বন্ধন, অভিনব প্রতিবাদের সাক্ষী কলকাতা

    আরজি করে ‘বিগ স্ক্যাম’

    আলিপুর বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালতের বিচারক সন্দীপ ঘোষকে সিবিআই হেফাজতে পাঠানোর আদেশনামায় লিখেছেন, ‘‘কেস ডায়েরি যত্ন সহকারে খুঁটিয়ে পড়ার পর বোঝা যাচ্ছে এই কেস একটি বড় স্ক্যাম। এজেন্সিকে এই দুর্নীতির মানি ট্রেল ও কীভাবে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তা খুঁজে বের করতে হবে।’’ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর আরজি করের (RG Kar Scam) আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া সন্দীপ ঘোষ-সহ তিন জনকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক সুজিত কুমার ঝা-এর এজলাসে মামলাটি ওঠে। তবে সন্দীপের আইনজীবী জামিনের আর্জি জানাননি। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার তাঁদের আদালত চত্বরে দেখা মাত্রই ক্ষোভ উগরে দিলেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে আইনজীবীদের একটা বড় অংশ। নিজাম প্যালেস থেকে আলিপুর আদালতে শোনা গেল চোর-চোর ও ধিক্কার স্লোগান। আদালত কক্ষ থেকে সন্দীপ-সহ চারজনকে বের করার সময়েও, ফের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আদালত চত্বর। স্লোগানের পাশাপাশি সন্দীপ ঘোষকে চড়ও মারেন একজন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share