Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • ED: আরজি করকাণ্ডে আরও চাপ বাড়বে! ইডির পূর্বাঞ্চলীয় শাখার দায়িত্বে এলেন দুঁদে অফিসার

    ED: আরজি করকাণ্ডে আরও চাপ বাড়বে! ইডির পূর্বাঞ্চলীয় শাখার দায়িত্বে এলেন দুঁদে অফিসার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড (RG Kar Incident) নিয়ে রাজ্যজুড়়ে তোলপাড় চলছে। নির্যাতিতা খুনের ঘটনার কয়েকদিন পরই তদন্ত শুরু করে সিবিআই। একইসঙ্গে আরজি করে হওয়া আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত চলছে জোরকদমে। সিবিআইয়ের সঙ্গে মাঠ দাপাচ্ছেন ইডি-র তদন্তকারী আধিকারিকরাও। দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষকে দফায় দফায় জেরা করে অনেক তথ্য পেয়েছেন ইডি (ED) আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই আরজি করের ঘটনা নিয়ে হাইকোর্ট থেকে জল গড়াচ্ছে সুপ্রিম কোর্টেও। ঠিক এই আবহের মধ্যে ইডির পূর্বাঞ্চলীয় শাখার স্পেশাল ডিরেক্টর বদলি হলেন।

    নতুন দায়িত্বে সত্যব্রত কুমার (ED)

    বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, এতদিন ইডির (ED) পূর্বাঞ্চলীয় শাখার স্পেশাল ডিরেক্টর পদে ছিলেন সুভাষ আগরওয়াল। তাঁর জায়গায় স্পেশাল ডিরেক্টর হলেন সত্যব্রত কুমার। পূর্বাঞ্চলীয় শাখার সদর দফতর কিন্তু কলকাতায় সিজিও কমপ্লেক্সেই। সূত্রের খবর, ২০০৪ সালের ব্যাচের আইআরএস অফিসার এই সত্যব্রত। নীরব মোদি, মেহুল চকসি, বিজয় মাল্য, ইকবাল মির্চির-র মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তে যুক্ত ছিলেন তিনি। নীরব মোদি ও মেহুল চকসির প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট  (PMLA) মামলায় দেশের মধ্যে প্রথম সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ২০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে ফিরিয়েছেন এই সত্যব্রত কুমার।

    আরও পড়ুন: জ্বলবে না উনুন! আজ পালিত হচ্ছে অরন্ধন উৎসব, জানুন রান্না পুজোর তাৎপর্য

    বাংলায় দুর্নীতির টাকা খুঁজে বের করতেই কি নতুন দায়িত্ব?

    এমনিতেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বড়সড় আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির শিকড় আর কোথায় রয়েছে তার খোঁজ চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা। এই দুর্নীতির সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে, তা গুরুত্ব দিয়ে দেখছে তদন্তকারী অফিসাররা। এবার বাংলায় দুর্নীতির লুকিয়ে রাখা টাকা খুঁজে বের করতেই কী সত্যব্রতকে দায়িত্ব দিল দিল্লি? বাড়ছে জল্পনা। ওয়াকিবহাল মহলের বড় অংশের মতে, রেশন দুর্নীতি থেকে শিক্ষা দুর্নীতি, একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ কেসে অভিযুক্তদের জামিন নিয়ে ক্ষুব্ধ দিল্লি। এই আবহের মধ্যে নতুন আধিকারিকের দায়িত্বে আসা নতুন মাত্রা পেয়েছে। যদিও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) অফিসারদের দাবি, এটা রুটিন বদলি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Police Commissioner: বিনীত গোয়েলকে সরিয়ে করা হল এডিজি, মমতা কি ঘুরিয়ে পুরস্কারই দিলেন?

    Kolkata Police Commissioner: বিনীত গোয়েলকে সরিয়ে করা হল এডিজি, মমতা কি ঘুরিয়ে পুরস্কারই দিলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলেনর চাপে সোমবার রাতে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে সরানোর ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারের তরফে বলা হয়েছিল, আজ, মঙ্গলবার বিকেল চারটে নাগাদ রদবদল করা হবে। সেই মোতাবেক, এদিন বিনীত গোয়েলকে সরিয়ে কলকাতা পুলিশের নতুন কমিশনারের নাম ঘোষণা করল নবান্ন। কলকাতার নতুন পুলিশ কমিশনার (Kolkata Police Commissioner) হলেন মনোজ কুমার ভার্মা (Manoj Kumar Verma)। তিনি এতদিন এডিজি আইন শৃঙ্খলার দায়িত্বে ছিলেন। বিনীতকে সরিয়ে এডিজি স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) করা হয়েছে। একইসঙ্গে সরানো হল ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্তকেও। তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ইএফআর-এর সেকেন্ড ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার পদে। এদিকে পুলিশ কমিশনারকে পদত্যাগ করতে হবে বলে যে দাবি উঠেছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে মমতার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফের বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, এক জায়গা থেকে সরিয়ে তাঁকে ফের নিয়ে যাওয়া হয়েছে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়। অনেকেই বলছেন, এটা কী ধরনের শাস্তি হল! মমতা কি তাঁকে এভাবে ঘুরিয়ে পুরস্কৃত করলেন? 

    কোথায় কোথায় রদবদল

    ১৯৯৮ ব্যাচের আইপিএস অফিসার মনোজ ভার্মা (Manoj Kumar Verma)। এর আগে তিনি রাজ্য পুলিশে এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) ছিলেন। এবার শুরু হতে চলেছে তাঁর নতুন ইনিংস। কলকাতার নতুন পুলিশ কমিশনার (Kolkata Police Commissioner) হচ্ছেন তিনি। কিছুক্ষণ আগেই এই বিষয়ে বিজ্ঞাপিত জারি করা হয় নবান্ন থেকে। রাজ্য পুলিশের যে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো রয়েছে তার নতুন এডিজি হচ্ছেন জ্ঞানবন্ত সিং। জাভেদ শামিম যিনি এতদিন পর্যন্ত এডিজি আইবি ছিলেন, তিনি এবার রাজ্য পুলিশের নতুন এডিজি আইন-শৃঙ্খলা হচ্ছেন। কলকাতার নতুন ডিসি নর্থ হলেন দীপক সরকার। এতদিন এই দায়িত্বে ছিলেন অভিষেক গুপ্তা। তাঁকে পাঠানো হল সেকেন্ড ব্যাটেলিয়নে। নতুন ডিসি নর্থ দীপক সরকার বাম আমলে এসডিপিও খড়্গপুর হিসাবে দায়িত্ব সামলেছেন। মাওবাদী দমন অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। অ্যাডিশনাল এসপি হিসাবে বীরভূম, নদিয়ায় কাজ করেছেন। তিনি পদোন্নতিতে আইপিএস হয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: অভিযুক্তই সিভিক! তাও নিরাপত্তার দায়িত্বে ঠিকাকর্মী? রাজ্যকে তোপ শীর্ষ আদালতের

    মনোজ ভার্মার পরিচয়

    বিভিন্ন সময়ে সংকট মোকাবিলার কাজে পুলিশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মনোজ কুমার ভার্মা (Manoj Kumar Verma)। ১৯৯৮ ব্যাচের এই আইপিএস অফিসার এর আগে ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার (Kolkata Police Commissioner) ছিলেন। জঙ্গলমহলে, দার্জিলিঙেও কাজ করেছেন। সেখানে সরকারের সাফল্য এসেছে। কলকাতা পুলিশে তিনি ডিসি ডিডি (স্পেশাল), ডিসি (ট্র্যাফিক) পদেও ছিলেন। আলোচনায় অন্য কয়েক জন আইপিএস অফিসারের নাম থাকলেও শেষ অবধি মনোজেই সিলমোহর দিয়েছে নবান্ন। ১৯৬৮ সালে মনোজের জন্ম। সেপ্টেম্বরই তাঁর জন্মমাস। ৩০ সেপ্টেম্বর তাঁর জন্মদিন। রাজস্থানের সওয়াই মাধোপুরে মনোজের জন্ম। ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করা মনোজ ২০১৯ পর্যন্ত দার্জিলিঙের আইজি পদে ছিলেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vishwakarma Puja: বারাসতে আলো বন্ধ করে মণ্ডপে তাণ্ডব, বিশ্বকর্মার মূর্তি ভেঙে জঙ্গলে ফেলল দুষ্কৃতীরা!

    Vishwakarma Puja: বারাসতে আলো বন্ধ করে মণ্ডপে তাণ্ডব, বিশ্বকর্মার মূর্তি ভেঙে জঙ্গলে ফেলল দুষ্কৃতীরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে হিন্দুদের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। এবার কলকাতা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে বিশ্বকর্মার (Vishwakarma Puja) মূর্তি ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বারাসতের (Barasat) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লি এলাকায়। এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Vishwakarma Puja)

    বারাসতের সুভাষপল্লি এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা বিশ্বকর্মা পুজোর (Vishwakarma Puja) আয়োজন করেছিলেন। রাস্তার ধারে মণ্ডপ তৈরি করে সেখানে বিশ্বকর্মার মূর্তি রাখা হয়। রাত দেড়টা পর্যন্ত মণ্ডপ সাজানোর কাজ করেছেন পাড়ার ছেলেরা। মণ্ডপে আলো জ্বেলে সকলেই বাড়ি ফিরে যান। সকালে এসে দেখেন, মণ্ডপ থেকে প্রতিমা উধাও। মণ্ডপে ভাঙচুর করা হয়েছে। বিশ্বকর্মার মূর্তি ভাঙচুর করে পাশের জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। মূর্তিতে থাকা সোলার সাজ সবই ড্রেনে ফেলে দেওয়া হয়েছে। সকালে নজর পড়তেই স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। যদিও খবর পেয়ে পুলিশ এসে ফের পুজো যাতে হয়, তার ব্যবস্থা করে। তবে, কী করে এই ধরনের ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলেছেন।

    আরও পড়ুন: জ্বলবে না উনুন! আজ পালিত হচ্ছে অরন্ধন উৎসব, জানুন রান্না পুজোর তাৎপর্য

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বহু বছর ধরে এখানে পুজো হয়ে আসছে। এই ধরনের ঘটনা আগে ঘটেনি। এক মহিলা বলেন, মণ্ডপে আলো জ্বলছিল। সেই আলো নিভিয়ে এই কাজ করা হয়েছে। আর বিশ্বকর্মা মূর্তি (Vishwakarma Puja) ভাঙচুর করে জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়েছে, এটা কোনও একজনের পক্ষে সম্ভব নয়। এর পিছনে আরও অনেকে জড়িত। আমরা অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। কারণ, এই ধরনের ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য।

    পুলিশ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে, সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    এ বিষয়ে এদিন বিজেপির রাজ্য কমিটির মুখপাত্র তথা শিক্ষা সেলের কো-কনভেনর দীপঙ্কর সরকার বলেন, এরকম ঘটনা আমরা আগে কোনদিনও বারাসতে (Vishwakarma Puja) দেখিনি। মূলত আমরা শুনে আসছি বাংলাদেশে এরকম হিন্দুদের ওপরে অত্যাচার চলছে, তাদের মন্দির-মূর্তি সব ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, বারাসতে এ ঘটনা নিন্দনীয়। সবথেকে দুঃখের বিষয় ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে সমস্ত ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করার কথা না বলে আগে পুজো করার কথা বলছে। আমরা অবিলম্বে চাই, যারা দোষী তাদেরকে পুলিশ গ্রেফতার করুক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: অভিযুক্তই সিভিক! তাও নিরাপত্তার দায়িত্বে ঠিকাকর্মী? রাজ্যকে তোপ শীর্ষ আদালতের

    Supreme Court: অভিযুক্তই সিভিক! তাও নিরাপত্তার দায়িত্বে ঠিকাকর্মী? রাজ্যকে তোপ শীর্ষ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারি হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ব্যবহার করা নিয়ে প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর (RG Kar Incident) মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় নিজেই গত শুনানির প্রসঙ্গ টেনে রাজ্যের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়ে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? তখনই রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান, ‘রাত্রি সাথী’ নামের একটি বাহিনী তৈরি করা হচ্ছে। নিরাপত্তা বিষয়ক এজেন্সিকে এই দায়িত্ব দেওয়া হবে। তখনই নিরাপত্তার বিষয়ে চুক্তিভিত্তিক তথা ঠিকাকর্মী নিয়োগের প্রবণতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে শীর্ষ আদালত। 

    সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ

    আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Incident) চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের মামলায় প্রথম গ্রেফতার হয়েছেন যিনি, তিনি কলকাতা পুলিশের একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। সেই প্রসঙ্গ টেনে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘অভিযুক্ত পুলিশের একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। নিরাপত্তার জন্য সিভিক ভলান্টিয়ারদের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি তো? নিরাপত্তার অভাব ছিল বলেই তো ওই সিভিক ভলান্টিয়ার সারা হাসপাতাল ঘুরে বেড়িয়েছেন। আবার নিরাপত্তার দায়িত্বে অস্থায়ী কর্মী রাখবেন? যেখানে সব সময় কাজ চলছে, ডাক্তারেরা ৩৬ ঘণ্টা কাজ করছেন, সেখানে এমন নিরাপত্তা কেন? ওই চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ৭ দিনের ট্রেনিং দিয়ে কী ভাবে তাঁদের থেকে উপযুক্ত নিরাপত্তার আশা করেন? কী ভাবে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিরাপত্তার দায়িত্বে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করতে পারে রাজ্য? রাজ্যের এই বিষয়ে ভাবা উচিত।’’

    নিরাপত্তার দায়িত্বে থাক পুলিশ

    হাসপাতালগুলিতে নিদেনপক্ষে পুলিশ রাখার পরামর্শ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা, সরকারি হাসপাতালগুলির পরিসংখ্যান এবং সেখানে কমবয়সি মহিলাদের কাজের বিষয় উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘‘২৮টি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে রাজ্যে। আরও ১৭টি হাসপাতাল সরকারের সঙ্গে যুক্ত। সেখানে ১৮-২৩ বছরের তরুণীরা কাজ করেন। তাঁদের নিরাপত্তায় চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ হলে নিরাপত্তাহীনতার প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক। সরকারি হাসপাতালে কমপক্ষে পুলিশকর্মী রাখা উচিত।’’ হাসপাতালে প্রশিক্ষিত পুলিশকর্মী নিয়োগের দাবি জানান জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং।

    আরও পড়ুন: রাতে কেন কাজ করতে পারবে না মেয়েরা? রাজ্যকে বিজ্ঞপ্তি পাল্টাতে সুপ্রিম-নির্দেশ

    নিরাপত্তার বিষয়ে রাজ্যের পদক্ষেপ

    এদিন সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) রাজ্যের তরফ জানানো হয়, নিরাপত্তার স্বার্থে আরজি কর (RG Kar Incident) মেডিক্যাল কলেজে আগে ৩৭টি সিসি ক্যামেরা ছিল। আরও ৪১৫টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে। একথা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘এখন বলছেন ৪১৫টি ক্যামেরা লাগানো হবে। আগে মাত্র ৩৭টি ছিল!’’ রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ‘‘স্বাস্থ্যসচিবকে বলুন মহিলা ডাক্তারদের বিশ্রামগারে যেন বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা থাকে।’’ রাজ্য জানিয়েছে, রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে ডাক্তারদের জন্য শৌচাগার, বিশ্রামকক্ষেরও ব্যবস্থা করা হবে। এরপর সুপ্রিম কোর্ট জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংকে জানান, সুরক্ষা-নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্যের আশ্বাস মেনে এবার তাঁদের কাজে ফেরা উচিত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: নির্যাতিতার বিচার চেয়ে বারাসত থেকে আরজি কর ১৮ কিমি রাস্তা জুড়ে মানববন্ধন

    RG Kar Protest: নির্যাতিতার বিচার চেয়ে বারাসত থেকে আরজি কর ১৮ কিমি রাস্তা জুড়ে মানববন্ধন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর ইস্যুতে (RG Kar Protest) রাজ্যজুড়ে আন্দোলন চলছে। রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন স্কুলের প্রাক্তনীরা পথে নেমে আন্দোলন করছেন। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান তুলে প্রতিদিনই রাস্তায় নামছেন সাধারণ মানুষ থেকে তারকারাও। গত ১৪ অগাস্ট গোটা রাজ্য জুড়ে ‘রাত দখল’ কর্মসূচি পালন করেন মহিলারা। যতদিন এগিয়েছে, প্রতিবাদের আওয়াজ আরও জোরালো হয়েছে। এই আবহের মধ্যে সোম-সন্ধ্যায় বারাসত (Barasat) সাক্ষী থাকল আরও এক অভিনব প্রতিবাদের।

    বারাসত থেকে আরজি কর ১৮ কিমি রাস্তা জুড়ে মানববন্ধন (RG Kar Protest)

    আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Protest) মহিলা চিকিৎসকের সঙ্গে যে নারকীয় ঘটনা ঘটেছে, তার দ্রুত বিচার সম্পন্ন হয়ে দোষীরা শাস্তি পাক, সেই আওয়াজ উঠল এদিনের মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে। জানা গিয়েছে, বারাসত হাসপাতাল থেকে বারাসত ডাকবাংলো মোড়, দমদম, নাগের বাজার হয়ে আরজি কর পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। আন্দোলন কর্মসূচিতে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ আওয়াজ তুলে প্রতিবাদ জানান প্রতিবাদীরা। নিত্যযাত্রীরা অনেকেই এই কর্মসূচিতে যোগদান করে প্রতিবাদীদের স্লোগানের সঙ্গে গলা মেলান। রাস্তার একপাশে হাতে হাত রেখে প্রতিবাদ করেন তাঁরা। তাঁদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যান চলাচলের কোনওরকম ব্যাঘাত ঘটানো হয়নি। আরজি করকাণ্ডে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে মানববন্ধন কর্মসূচিতে সামিল হন কয়েক হাজার মানুষ।

    আরও পড়ুন: জ্বলবে না উনুন! আজ পালিত হচ্ছে অরন্ধন উৎসব, জানুন রান্না পুজোর তাৎপর্য

    আন্দোলনকারীদের কী বক্তব্য?

    আন্দোলনকারী (RG Kar Protest) সঙ্গীতা দত্ত বলেন, ‘‘আমরা নির্যাতিতার বিচার চেয়ে এদিন পথে নেমেছি। আমরা ছোটবেলায় ‘হীরক রাজার দেশে’ সিনেমা দেখেছিলাম। আমরা সেই রকমই হীরক রানির দেশে আছি। তাই, এদিন আমাদের কর্মসূচির একাধিক রাস্তার মোড়ে ‘হীরক রাজার দেশে’ সিনেমা আমরা চালিয়ে এই সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছি।’’ নাগরিকদের এই মানববন্ধন কর্মসূচি আরজি কর নিয়ে লাগাতার প্রতিবাদে নতুন মাত্রা যোগ করল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: রাতে কেন কাজ করতে পারবে না মেয়েরা? রাজ্যকে বিজ্ঞপ্তি পাল্টাতে সুপ্রিম-নির্দেশ

    Supreme Court: রাতে কেন কাজ করতে পারবে না মেয়েরা? রাজ্যকে বিজ্ঞপ্তি পাল্টাতে সুপ্রিম-নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে (RG Kar Incident) তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের পরে রাজ্যে নারীসুরক্ষার জন্য রাজ্য সরকার যা যা করেছে, তাতে কর্মক্ষেত্রে নাইট শিফট থেকে মেয়েদের বাদ রাখার বিষয়টি আদৌ যুক্তিযুক্ত নয়। মঙ্গলবার রাজ্যের এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। ওই নির্দেশিকা সংশোধন করার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। 

    প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ

    প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের (Supreme Court) নির্দেশ, রাজ্যকে ওই বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করতে হবে। তাঁর মন্তব্য, “নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আপনাদের। মহিলারা রাতে কাজ করতে পারবেন না, এ কথা বলতে পারেন না।” তিনি বলেন, “বিমান পরিষেবা, সেনায় অনেক মহিলা রাতে কাজ করেন। ফলে এই বিজ্ঞপ্তি কেন?” জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং এই বিষয়টি নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তখনই প্রধান বিচারপতি বলেন, “মেয়েরা রাতে কাজ করবে না, একথা কী করে বলছেন? তাঁরা তো কোনও অতিরিক্ত সুবিধা চাননি এ বিষয়ে। তাঁরা পুরুষদের মতোই একই শিফটে কাজ করতে প্রস্তুত। প্রশ্নটা তাদের সুরক্ষা নিয়ে। ডিউটি আওয়ার নিয়ে নয়। সুরক্ষাবিধি নিয়ে এই বিজ্ঞপ্তিটি রাজ্য সরকারের সংশোধন করা উচিত। সরকারের দায়িত্ব নিরাপত্তা দেওয়া। রাজ্য কখনওই বলতে পারে না, মহিলা ডাক্তাররা রাতে কাজ করবে না।”

    আরও পড়ুন: চাপের কাছে নতিস্বীকার সরকারের, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি এখনই উঠছে না

    বিস্মিত প্রধান বিচারপতি

    উল্লেখ্য, আরজি করে (RG Kar Incident) চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর যখন মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, তার মধ্যেই রাজ্য সরকার বেশ কিছু নীতি সামনে আনে। ‘রাত্তিরের সাথী’ নামে সেই নিয়ম-বিধিতে বলা হয়, মহিলাদের যতটা সম্ভব কম নাইট ডিউটি দিতে হবে। এই নীতির কথা শুনে কার্যত অবাক হয়ে যান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমাদের দেশে রাতে কাজ না করার কথা কোনও মহিলাকে বলতে পারি না। মহিলারা রাতে কাজ করবে না, এই সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। এটা তাঁদের কেরিয়ারে প্রভাব ফেলবে। পুরুষ ডাক্তার এবং মহিলা ডাক্তারদের আলাদা ডিউটি আওয়ার থাকা উচিত নয়।” প্রধান বিচারপতির এই নির্দেশের পর রাজ্যের তরফেও আইনজীবী কপিল সিব্বল আশ্বস্ত করেন, বিজ্ঞপ্তির ওই অংশটুকু মুছে দেওয়া হবে। মঙ্গলবার শুনানির সময় (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় রাজ্যের আইনজীবীকে জানিয়েছেন, মহিলা ডাক্তাররা বিশ্রাম নিতে গেলে সেখানে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা রাখার চেষ্টা করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RG Kar Rape-Murder: নির্যাতিতার বাবার চিঠিতে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, সিবিআইকে পদক্ষেপের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    RG Kar Rape-Murder: নির্যাতিতার বাবার চিঠিতে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, সিবিআইকে পদক্ষেপের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Rape-Murder) নির্যাতিতার বাবার লেখা গত ১২ সেপ্টেম্বরের চিঠি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। কারণ, সেই চিঠিতেই উল্লেখ করা হয়েছে, এমন কিছু বিষয়, যা মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে পুরো তদন্ত প্রক্রিয়ার। মঙ্গলবার সিবিআইকে (CBI) শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এক নির্দেশে বলেন, চিঠিতে উল্লিখিত বিষয়গুলির ওপর তারা যেন নজর রাখে এবং তদন্ত করে দেখে। তদন্তকারী সংস্থার তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আশ্বাস দেন, সিবিআই ইতিমধ্যেই বাবার লেখা বিষয়গুলির ওপর নজর রেখেছে এবং সেগুলি পর্যালোচনা করে দেখবে।

    অপরাধের সময় আরও কিছু ব্যক্তি ছিল!

    মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আরজি করকাণ্ডের (RG Kar Rape-Murder) শুনানিতে ডাক্তারদের তরফে প্রবীণ আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং বলেন, ‘‘অপরাধের ঘটনাস্থলে আরও কিছু ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। আমরা তাদের নাম সিবিআইয়ের কাছে মুখবন্ধ খামে দিতে চাই। যা আদালতের সামনে বা প্রকাশ্যে আনতে চাইছি না।’’ চন্দ্রচূড় তার জবাবে বলেন, ‘‘তদন্তের কাজে আরও সময় লাগবে। সিবিআইকে আমাদের সময় দেওয়া উচিত। সত্যকে খুঁজে বের করতে তাদের প্রয়োজনীয় সময় প্রয়োজন।’’ প্রধান বিচারপতি মঙ্গলবার আরও বলেন, ‘‘নির্যাতিতার বাবার কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ আছে। আমরা গোপনীয়তার জন্য সেই দরখাস্ত প্রকাশ করছি না। তবে সিবিআইয়ের পক্ষে তা অত্যন্ত মূল্যবান তথ্য হতে পারে।’’ এমনিতেই পাঁচদিন দেরি হয়ে যাওয়ায় তদন্ত ব্যাহত হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

    আরও পড়ুন: জ্বলবে না উনুন! আজ পালিত হচ্ছে অরন্ধন উৎসব, জানুন রান্না পুজোর তাৎপর্য

    সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ (Supreme Court)

    প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, নির্যাতিতার বাবার দেওয়া চিঠিতে গুরুত্বপূর্ণ লিড রয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বর সিবিআই-কে চিঠি দিয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা (RG Kar Rape-Murder)। সেই চিঠিতে যে সম্ভবনা এবং যে ইনপুট দিয়েছেন, সেইগুলো গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখতে সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ঠিক একই ভাবে রেসিডেন্ট ডাক্তাররা চিঠি দিয়ে সিবিআই-কে যে তথ্য দিতে চান, সেটা সিবিআই খতিয়ে দেখবে। পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, যাতে উইকিপিডিয়া থেকে নির্যাতিতার নাম মুছে দেওয়া হয়। ঘটনার পরই মুখ খুলেছিলেন নির্যাতিতার বাবা। তিনি বলেছিলেন, “যেভাবে প্রথম থেকে সমস্তটা হয়েছে, তাতে একজনের পক্ষেই সবটা করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। প্রথমে পুলিশি তদন্তের (RG Kar Rape-Murder) ওপর আশ্বাস রেখেছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন। কিন্তু পুলিশি তদন্ত এগোয়নি। সুপ্রিম কোর্ট সিবিআই-কে তদন্তভার দিয়েছে।”

    নির্যাতিতার বাবার লেখা চিঠি প্রধান বিচারপতির হাতে

    সিবিআই তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর সবটা জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন নির্যাতিতার বাবা। সেই চিঠি এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির হাতে পড়ে, তাতে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু তথ্য রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এদিন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে অপরাধঘটিত সমস্ত তথ্য, সিসিটিভির ফুটেজ সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে বলে আদালতে জানানো হয়। পরবর্তী শুনানির দিন (RG Kar Rape-Murder) সিবিআইকে আরজি কর হাসপাতালের ধর্ষণ ও খুনের মামলার সঙ্গে আর্থিক দুর্নীতিঘটিত অপরাধের তদন্তেরও স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Hearing: সিবিআইয়ের দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট দেখে ‘বিচলিত’ সুপ্রিম কোর্ট! কী আছে তাতে?

    RG Kar Hearing: সিবিআইয়ের দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট দেখে ‘বিচলিত’ সুপ্রিম কোর্ট! কী আছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ মতো মঙ্গলবার আরজি করকাণ্ডে দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট (RG Kar Hearing) জমা দিল সিবিআই। রিপোর্ট খতিয়ে দেখেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় স্বয়ং। তিনি জানান, তদন্ত নিয়ে সব প্রশ্নের উত্তর রয়েছে এই রিপোর্টে। প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, রিপোর্ট পড়ে তাঁরা ‘বিচলিত’। একইসঙ্গে, তদন্তের ক্ষেত্রে সিবিআইকে সময় দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

    ‘সিবিআই ঘুমোচ্ছে না’ (RG Kar Hearing)

    প্রধান বিচারপতি বলেন, “তদন্ত শেষ করার এখনও সময় আছে। সিবিআই ঘুমোচ্ছে না। আমরা সিবিআইকে তদন্ত করার জন্য যথেষ্ট সময় দিতে চাই। তদন্তে তাড়াহুড়ো করলে যাবতীয় প্রক্রিয়া নষ্ট হয়ে যাবে। যদি সাধারণ মানুষের দাবি মেনে সাত দিনে তদন্ত শেষ করা হয়, তাহলে প্রকৃত সত্য উঠে আসবে না।” প্রসঙ্গত, সিবিআই তদন্তের ক্ষেত্রে বারবার সময় বেঁধে দেওয়ার কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, দ্রুত তদন্ত শেষ করে অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে তদন্তের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট যে তাড়াহুড়ো করার পক্ষপাতী নয়, এদিন তা সাফ জানিয়ে দিল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।

    প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ

    প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় ছাড়াও বেঞ্চে রয়েছেন (RG Kar Hearing) বিচারপতি মনোজ মিশ্র এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা। সিবিআইয়ের জমা দেওয়া স্ট্যাটাস রিপোর্ট খুঁটিয়ে দেখে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “তদন্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছে।” এদিন প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, সিবিআইয়ের দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্টে ময়নাতদন্তের চালান দেওয়া হয়েছিল কিনা, ময়নাতদন্তের পদ্ধতি মানা হয়েছে কিনা, তথ্যপ্রমাণ নষ্ট-সহ পুরো বিষয়টির বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে। তিনি বলেন, “সিবিআই রিপোর্টে যা দিয়েছে, তা খুবই উদ্বেগের।” রিপোর্ট পড়ে তাঁরা ‘বিচলিত’ হয়ে পড়েন বলেও মন্তব্য করেন চন্দ্রচূড়। তিনি বলেন, “তদন্ত চলছে। এই অবস্থায় রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলে তদন্তপ্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।”

    আরও পড়ুন: আসবে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি! বাড়ির এই দিকে রাখুন পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি

    তদন্তের অগ্রগতি দেখে খুশি শীর্ষ আদালত। তবে এই দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্টে কী রয়েছে, তা জানা যায়নি।সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে কারা উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের নাম জমা দিতে হবে জুনিয়র ডাক্তারদের। নির্যাতিতার বাবা যেসব বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, খতিয়ে দেখতে হবে তা-ও। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, তদন্তের স্বার্থে ওই বিষয়গুলি নিয়ে সিবিআইকে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ (Supreme Court) করতে হবে। তদন্তে সাহায্য করবে কলকাতা পুলিশও (RG Kar Hearing)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Durga Puja 2024: “ইতি তোমার মা”! দুর্গাপুজোর মণ্ডপসজ্জায় শিশুর জীবনচক্র ও মায়ের জীবনী

    Durga Puja 2024: “ইতি তোমার মা”! দুর্গাপুজোর মণ্ডপসজ্জায় শিশুর জীবনচক্র ও মায়ের জীবনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ইতি তোমার মা”। দুর্গাপুজোয় শিহরণ জাগানো এই থিম নিয়ে জোরকদমে প্রস্তুতি চলছে দুর্গাপুর সি-জোন বুদ্ধবিহার সর্বজনীন দুর্গোৎসব সম্মিলনীর। মাতৃরূপে দুর্গাপ্রতিমা সহ মাতৃগর্ভে থাকা শিশুর জীবনচক্র ও প্রকৃত মায়ের জীবনী মাটির মডেল দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে মণ্ডপসজ্জায় (Durga Puja 2024)। থিমে প্রায় ১০০টি মাটির মডেল ব্যবহার করে মায়ের গর্ভে থাকা সন্তানের জীবন থেকে মায়ের জীবনের ইতিকথার বাস্তব চিত্র তুলে ধরছেন পুজোর উদ্যোক্তারা। বর্তমান যুগে মাতৃকুলের শেষ বেলা কেনই বা কাটবে বৃদ্ধাশ্রমে? নবপ্রজন্মের কাছে সেই প্রশ্ন রেখে মণ্ডপসজ্জায় গড়ে তোলা হচ্ছে বৃদ্ধাশ্রম। পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি, নবপ্রজন্ম যাতে মাকে অবহেলা না করে, তার জন্যই পুজোর থিমে মায়ের জীবনচক্র তুলে ধরা হচ্ছে। এবারও তাঁদের আকর্ষণীয় থিম দর্শনার্থীদের হৃদয় স্পর্শ করবে বলে দাবি।

    শিক্ষামূলক সামাজিক বার্তা (Durga Puja 2024)

    পুজো উদ্যোক্তাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার চলতি বছরে তাঁদের পুজো ৩৪ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। প্রতি বছরই তাঁদের থিম দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে। দুর্গাপুরের বিগ বাজেটের পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম এই পুজো কমিটি একাধিকবার পুরস্কার পেয়েছে। সুষ্ঠু ও সুন্দর সমাজ গড়ার লক্ষ্যে নানান সামাজিক বার্তা পুজোর মণ্ডপসজ্জায় ফুটিয়ে তোলেন প্রতিবারই। গত বছর তাঁদের থিম ছিল “ছৌরূপিণী জগৎ জননী। শিক্ষামূলক সামাজিক বার্তা দিতে থিমের নাট্যচিত্র তৈরির পরিকল্পনাকারী মূলত কমিটির সম্পাদক সহ উদ্যোক্তারা।

    মণ্ডপের ভিতরে বৃদ্ধাশ্রম

    পুজো কমিটির সম্পাদক সৌগত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই বছর থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজাই রেখেই মাতৃরূপা প্রতিমা (Durga Puja 2024) হচ্ছে। কৃষ্ণনগরের রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত মৃৎশিল্পী আমাদের প্রতিমা তৈরি করছেন। এছাড়াও গর্ভস্থ সন্তান ও বৃদ্ধ মায়ের প্রায় ১০০টি মাটির মডেল তৈরি হচ্ছে নদিয়া জেলার পাটুলিতে। মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহৃত হচ্ছে প্লাইউড, প্যারিস, লোহার রড, রাবার পাইপ সহ নানান উপকরণ। পুরনো দিনের বাড়ির আদলে মণ্ডপ হচ্ছে। মণ্ডপের ভিতরে বৃদ্ধাশ্রম থাকবে। আধুনিক  আলোকসজ্জায় সজ্জিত হবে মণ্ডপ। প্রায় ২০ লক্ষ টাকা এবারের বাজেট রয়েছে।

    বিশাল পরিবার (Durga Puja 2024)

    পুজো কমিটির সদস্য হেমন্ত ঘোষ বলেন, তৃতীয়াতে আমাদের পুজোর শুভ উদ্বোধন হবে। ওই দিন থেকে একাদশী পর্যন্ত প্রতিদিনই মণ্ডপ চত্বরে আমাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। অপর এক সদস্যা ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায় (জালান) বলেন, এই পুজোতে এলাকার প্রায় ৫০ জন মহিলা সামিল হন। তাঁরা পুজোর সমস্ত রকম আয়োজন করেন। পুজোর শেষে এলাকার প্রায় এক হাজার জনকে নিয়ে খাওয়াদাওয়ার একটি অনুষ্ঠান করা হয়। ওই দিন এলাকার (Durgapur) প্রতিটি মানুষ একসঙ্গে মিলিত হয়ে একটি বিশাল পরিবারের আকার নেয়। এই বছর আমাদের পুজোর থিম সমাজে শিক্ষামূলক একটি বার্তা পৌঁছাবে বলে আমরা আশাবাদী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bankura: মৃত্যু নার্সিংহোমে তাও নাম উঠল মমতার তালিকায়! জুনিয়র ডাক্তারদের বদনামের চেষ্টা?

    Bankura: মৃত্যু নার্সিংহোমে তাও নাম উঠল মমতার তালিকায়! জুনিয়র ডাক্তারদের বদনামের চেষ্টা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যার প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তাররা গত একমাসের বেশি সময় ধরে ন্যায় বিচারের দাবিতে আন্দোলন করছেন। তৃণমূল সরকারের একাধিক নেতা-মন্ত্রীরা চিকিৎসা না পেয়ে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ তুলেছেন। ইতিমধ্যে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হওয়া বেশ কিছু নাম প্রকাশ করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে বাঁকুড়ার (Bankura) এক মৃতের পরিবার জানিয়েছে, হাসপাতালে মৃত্যু হয়নি তাঁদের রোগীর, নার্সিংহোমে মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতলে ভর্তি থাকার সময় ঠিক ভাবেই পরিষেবা পেয়েছিলেন। তাই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, রাজ্য সরকারের এই মৃতের তালিকা প্রকাশ আদতে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বদনাম করার কৌশল নয় তো? অন্তত এমনটাই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

    আন্দোলনকে ভাঙার কৌশল (Bankura)!

    গত ৯ অগাস্ট আরজি করে অভয়াকে নির্মমভাবে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়েছে। সুবিচারের দাবিতে ঘটনার পর থেকে টানা প্রতিবাদে নেমেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। চলছে লাগাতার কর্মবিরতি। আন্দোলনকে তুলে দিতে নানা সময়ে নানা কৌশল অবলম্বন করছে তৃণমূল সরকার। হাসপাতলে ঠিক করে পরিষেবা না দেওয়ার কথা দাবি করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বয়ং। এমন কী যেসব রোগীর মৃত্যু হয়েছে তাঁদের জন্য ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্য সরকার এখনও পর্যন্ত ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নামের তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় নাম রয়েছে বাঁকুড়ার (Bankura) শিবু মালাকারের। তবে কীভাবে এই রোগীর নাম তালিকায় এসেছে, তা নিয়ে হতবাক মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। মৃত্যুর দায় বিষয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা ব্যাপকভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, “সিনিয়র ডাক্তাররা সবসময় পরিষেবা দিচ্ছেন। দরকার হলে আমরাও আন-অফিসিয়ালি গিয়ে কাজ করছি। চিকিৎসার কোনও গাফিলতি হয়নি। ন্যায়-বিচারের আন্দোলনকে বদনাম করা হচ্ছে।”

    হাসপাতালে চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি হয়নি

    বাঁকুড়ার (Bankura) ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিবেকানন্দ পল্লির বাসিন্দা শিবু মালাকার পেশায় ছিলেন একজন শ্রমিক। তিনি মাল বহন করতেন। গত ১১ অগাস্ট সিভিয়ার ব্রেইন স্ট্রোক হয়েছিল তাঁর। প্রথমে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ১৬ অগাস্ট পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিন্তু কিছুটা সুস্থ হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় কিন্তু পরে তাঁকে নিকটবর্তী নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ২২ অগাস্ট শিবুর মৃত্যু হয়।

    মৃত শিবুর স্ত্রী সুমিত্রা মালাকার বলেন, “নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছিল এবং সেখানেই মৃত্যু হয় স্বামীর। হাসপাতালে চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি হয়নি। সরকার এখনও ক্ষতিপূরণের টাকা দেয়নি। আমরা গরিব মানুষ। সরকার যদি দেয়, তাহলে টাকা নেব।”

    আরও পড়ুনঃ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে চলছে ‘মাফিয়া রাজ’, সিবিআই চেয়ে রাজ্যকে চিঠি রাজ্যপালের

    তৃণমূল নেতার বক্তব্য

    উল্লেখ্য পরিবারের পক্ষ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসায় গাফিলতির কথা অস্বীকার করলেও স্থানীয় (Bankura) তৃণমূল কাউন্সিলর শেখ আজিজুল হাসপাতালে গাফিলতির কথা বলেন। তিনি বলেন, “শিবুকে ঠিকমতো পরিষেবা দেওয়া হয়নি।”

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share