Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • BJP Bangla Bandh: ওভারহেড তারে কলাপাতা, লাইন অবরোধ সমর্থকদের, বিজেপির বন‍্ধে থমকে রেল

    BJP Bangla Bandh: ওভারহেড তারে কলাপাতা, লাইন অবরোধ সমর্থকদের, বিজেপির বন‍্ধে থমকে রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার সকাল থেকেই রাজ্যজুড়ে বন‍্ধের ব্যাপক প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। দিকে দিকে রেল অবরোধে সামিল হয়েছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা (BJP Bangla Bandh)। একাধিক স্টেশনে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা ট্রেনের ওভারহেডের তারে কলাপাতা ফেলে ট্রেন চলাচল বন্ধ করার চেষ্টা করেন। হুগলি, কাটোয়া, শিয়ালদা দক্ষিণ, মুর্শিদাবাদ, কৃষ্ণনগর— এই সমস্ত জায়গাগুলিতে ট্রেন চলাচলে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বিজেপির বন‍্ধের ফলে অনেক জায়গাতে থমকে দাঁড়িয়ে পড়েছে লোকাল ট্রেন।

    হুগলিতে রেল লাইনে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখান শতাধিক বিজেপি কর্মী 

    বুধবার সকালেই (BJP Bangla Bandh) হুগলি স্টেশনে অবরোধ শুরু করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। ব্যান্ডেল-হাওড়া লোকাল অবরোধ করেন তাঁরা। রেল লাইনে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখান শতাধিক বিজেপি কর্মী। চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ অবরোধ তোলার চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়, এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ টেনে হিঁচড়ে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয়। ১ ঘণ্টা পরে অবরোধ ওঠে। অন্যদিকে, হিন্দমোটর স্টেশনে অবরোধে বসে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। রেল লাইনে বসেই তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ট্রেন চলাচল আটকাতে ওভারহেড তারে কলাপাতা ছুড়ে দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি বন‍্ধের সমর্থনে জনগণকে আজ রাস্তায় না বেরনোর আবেদনও জানান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পুরুলিয়া রেল স্টেশনে লাইনের ওপরে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে দলের পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।

    বারাকপুর ও মুর্শিদাবাদে রেললাইনে অবরোধ

    অন্যদিকে, বারাকপুর স্টেশনেও বিজেপি (BJP) নেতা-কর্মীরা অবরোধ শুরু করেন। দলের নেতা কৌস্তভ বাগচীকে দেখা যায় রেললাইন ধরে হাঁটতে, তাঁর কাঁধে ছিল বিজেপির পতাকা (BJP Bangla Bandh)। পরে এখানেই বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদ জেলাতেও ট্রেন অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। সাত সকালেই অবরোধ শুরু হয় জিয়াগঞ্জ স্টেশনে। মুর্শিদাবাদ স্টেশনেও একই চিত্র দেখা যায়। এর পাশাপাশি বহরমপুর স্টেশনেও অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা।

    সোনারপুরে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি বিজেপির (BJP Bangla Bandh)

    অন্যদিকে, সোনারপুরেও ট্রেন অবরোধ করে বিজেপি। সোনারপুরে রেল লাইনের উপর শুয়ে পড়েন পদ্ম-কর্মীরা। জোর করে অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এই ঘটনায় কমপক্ষে ১৫জন বিজেপি নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপরে সোনারপুর থানাতেও বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতি বেধে যায়। কৃষ্ণনগরেও রেললাইনে নেমেও বিক্ষোভ দেখাত থাকেন বিজেপি (BJP) কর্মী-সমর্থকরা। এরফলে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন পরিষেবা।

    লক্ষীকান্তপুর লাইনের একাধিক স্টেশনে ওভারহেডের তারে কলাপাতা ফেলে দেন বন‍্‍ধ সমর্থকরা

    বীরভূম জেলার রামপুরহাট স্টেশনে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা রেল অবরোধ শুরু করেন। অন্যদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার লক্ষীকান্তপুর লাইনের একাধিক স্টেশনে ওভারহেডের তারে কলাপাতা ফেলে দেন বন‍্‍ধ সমর্থকরা। যার জেরে ওভারহেডের তারের বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যাহত হয়। অন্যদিকে, বনগাঁ হাওড়া-ব্যান্ডেল-কাটোয়া শাখায় রেল পরিষেবা ব্যাহত হয় সকাল থেকেই। বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়ার নেতৃত্বে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা স্টেশনে রেল অবরোধ করেন। বসিরহাট স্টেশনেও একই চিত্র দেখা গিয়েছে। বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা সকাল থেকেই অবরোধ করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP Bangla Bandh: ‘‘এটা পাকিস্তান-আফগানিস্তান নয়’’, বন‍্ধের সকালে পুলিশকে হুঁশিয়ারি অগ্নিমিত্রার

    BJP Bangla Bandh: ‘‘এটা পাকিস্তান-আফগানিস্তান নয়’’, বন‍্ধের সকালে পুলিশকে হুঁশিয়ারি অগ্নিমিত্রার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে নবান্ন অভিযান করেছিল বাংলার ছাত্রসমাজ। জাতীয় পতাকা হাতে সেই আন্দোলনের উপর লাঠি চালায় পুলিশ, চলে জলকামান, কাঁদানে গ্যাসও। তার প্রতিবাদেই বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বন‍্ধের ডাক দিয়েছে বিজেপি (BJP Bangla Bandh)। সেই বন‍্‍ধ সফল করতে সকাল থেকেই পথে নেমেছেন বিজেপি কর্মীরা। অভিযোগ, মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনকে আটকাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। জোর করে খোলা হচ্ছে দোকানপাট, গাড়ি চালানো হচ্ছে। এদিন সকালে ভবানীপুরে রাস্তায় বসে পড়ে গাড়ি চালকদের বন‍্‍ধ পালনের অনুরোধ করেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁকে রাস্তা থেকে সরানোর চেষ্টা করেন এক পুলিশ কর্মী। বিজেপি নেত্রীর দক্ষ জবাব,  “এটা আফগানিস্তান বা পাকিস্তান নয়।”

    পুলিশের সঙ্গে বচসা

    হাতজোড় করে বাসের সামনে দাঁড়িয়ে অগ্নিমিত্রা বললেন, ‘অনুরোধ করছি, আজকে গাড়ি চালাবেন না।’ যদিও পুলিশ গাড়ি চলাচল সচল রাখতে এগিয়ে আসে। অগ্নিমিত্রার (BJP Bangla Bandh) স্পষ্ট কথা কলকাতা পুলিশকে, “কী করবেন, গায়ের উপর দিয়ে চালাতে বলছেন? আপনার বাড়িতে মেয়ে নেই? আজকে বন‍্‍ধ ডাকা হয়েছে একটি খুব রেলিভেন্ট ইস্যু নিয়ে। আমাদের ‘অভয়া’কে খুন করা হয়েছে। দিনের পর দিন আমাদের ‘অভয়া’দের খুন করা হয়, এই পশ্চিমবঙ্গে। অন্য রাজ্যেও হয়। অন্য রাজ্যে হয় না, তা নয়। কিন্তু সেই রাজ্যে বিচার হয়, সেই রাজ্যে শাস্তি হয়। আমাদের রাজ্যে কোনও শাস্তি হয় না। প্রতিবাদ করতে গেলে পুলিশের লাঠিচার্জ খেতে হয়।” পুলিশের উদ্দেশে অগ্নিমত্রা বলেন, “এটা আফগানিস্তান, পাকিস্তান নয়, যে আমার মুখ বন্ধ করতে পারবেন। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে আরজি কর কাণ্ডে আপনারা জোরপূর্বক কিছু করতে পারবেন না।”

    সকাল থেকে থমথমে কলকাতা

    এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনের সামনে থেকে বিজেপি (BJP Bangla Bandh) কর্মীদের তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। শ্যামবাজারেও বিজেপি কর্মীদের আটক করা হয়। সকাল থেকে বন্‌ধের প্রভাব পড়েছে হাওড়া স্টেশনেও। ব্যান্ডেল ও কাটোয়া রেল অবরোধের জেরে বিঘ্নিত হয়েছে ট্রেনের স্বাভাবিক পরিষেবা। শিয়ালদা শাখায়ও ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত। বুধবার সকাল থেকে কলকাতায় রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে মোতায়েন রয়েছেন পুলিশকর্মীরা। বন‍্‍ধ পালনে বাধা দিচ্ছেন তাঁরা। কলকাতায় বিভিন্ন জায়গায় সকাল থেকে পথে নামতে দেখা গিয়েছে বিজেপি কর্মীদের। হাওড়া বাস স্ট্যান্ডে বাসের সংখ্যা অন্যান্য দিনের তুলনায় কম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • BJP Bangla Bandh: বিজেপির ডাকা বন‍্ধে জেলায় জেলায় অবরোধ, সমর্থক-পুলিশ ধস্তাধস্তি

    BJP Bangla Bandh: বিজেপির ডাকা বন‍্ধে জেলায় জেলায় অবরোধ, সমর্থক-পুলিশ ধস্তাধস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবান্ন অভিযানে পুলিশি সন্ত্রাসের প্রতিবাদে রাজ্যে আজ ১২-ঘণ্টার বন‍্‍ধ ডেকেছে বিজেপি। সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই একদিকে যেমন বন‍্ধের সমর্থনে ব্যাপক সাড়া দেখা গিয়েছে, তেমনই বন‍্‍ধ সমর্থনকারী ও পুলিশ এবং তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষের খবরও আসছে।

    জেলায় জেলায় বিক্ষোভ-অবরোধ বিজেপির

    জেলায় জেলায় বিক্ষোভ-অবরোধে সামিল বিজেপি কর্মীরা। এরই মধ্যে পুরাতন মালদায় বন্‌ধকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের সামনেই হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় তৃণমূল-বিজেপি সমর্থকদের। দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি, ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও, তাদের কার্যত হিমশিম খেতে হয়। দুই দলের কর্মীদের মধ্যে মারপিট শুরু হয়ে যায়। কোচবিহারে বনধ পালন করতে গিয়ে আটক করা হয় দুই বিজেপি বিধায়ক তুফানগঞ্জের বিধায়ক মালতী রাভা রায় ও কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে-কে। বালুরঘাট সরকারি বাস স্ট্যান্ডের সামনে বন্‌ধের সমর্থনে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা পিকেটিং করেন। গ্রেফতার করা হয় বালুরঘাট টাউন বিজেপির সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্তকে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। বন্‌ধের প্রভাব পড়েছে রাজ্যজুড়ে স্থানীয় বাজারগুলিতেও। বন্ধ দোকানের ঝাঁপ। 

    ব্যাহত ট্রেন চলাচল

    বুধবার সকাল থেকেই ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায়। লক্ষ্মীকান্তপুর লাইনের একাধিক স্টেশনে ওভারহেড তারে কলাপাতা ফেলে দেন বন‍্‍ধ সমর্থকেরা। যার জেরে রেলের ওভারহেড তারের বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যাহত হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে পড়ে শিয়ালদা থেকে লক্ষ্মীকান্তপুর, কাকদ্বীপ, নামখানাগামী ট্রেন চলাচল। বিজেপির (BJP) কর্মী সমর্থকরা বনগাঁ স্টেশনেও রেল অবরোধ করেন। অবরোধ করা হয় কৃষ্ণনগর স্টেশনেও  (BJP Bangla Bandh)।

    রানাঘাটের বিজেপি (BJP) সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নেতৃত্বে একাধিক রেল স্টেশনে অবরোধ শুরু করেন বন্‌ধ সমর্থকেরা (BJP Bangla Bandh)। এখানেও শাসক দলের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় বিজেপি কর্মীদের। মুর্শিদাবাদ জেলারও বেশ কয়েকটি স্টেশনে রেল অবরোধ শুরু করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। মুর্শিদাবাদ স্টেশনেও ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেন পদ্ম শিবিরের কর্মীরা। বহরমপুরেও বন্‌ধের প্রভাব পড়েছে যথেষ্ট। উত্তরবঙ্গের বালুরঘাটে বুধবার সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়ায়।

    বন্‌ধের প্রভাব কলকাতায়

    অন্যদিকে, ভবানীপুরে বনধ পালন করতে হাজির বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। যদুবাবুর বাজারে এক পুলিশ কর্তার সঙ্গে বচসাতেও জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেত্রী।  টালা ব্রিজে বন‍্‍ধ সফল করতে অবরোধ শুরু কেন বিজেপি কর্মীর। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের তরফে রাজ্য সরকারের খাদ্য ভবনে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় তালা। বন‍্‍ধ সফল করতে সরকারি কর্মচারীদেরকে কাজে যোগদান না করার কথা বলা হয় বিজেপির তরফে। ধর্মতলায় মেট্রো বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টাও করেন বিজেপি কর্মীরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nabanna Abhijan: ‘মারুক আমায়, আমি যাব না’, পুলিশের বিরুদ্ধে গর্জে উঠল একরত্তি

    Nabanna Abhijan: ‘মারুক আমায়, আমি যাব না’, পুলিশের বিরুদ্ধে গর্জে উঠল একরত্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের (RG Kar Incident) প্রতিবাদে কার্যত শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মঙ্গলবার বহু মানুষ শামিল হন। ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর ব্যানারে নবান্ন অভিযান কর্মসূচি ঘোষণা (Nabanna Abhijan) করা হলেও, সাঁতরাগাছি হোক বা হাওড়া ব্রিজ, হাওড়া ময়দান হোক কিংবা ফোরশোর রোড সর্বত্রই মিছিলে ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি চোখে পড়ল প্রচুর মহিলাকে। এঁদের অনেকেই হয়তো পড়ুয়া নন। মিছিলে যোগ দিয়ে, ছাত্র সমাজের ডাকা আন্দোলনে তাঁদের জমায়েতের কারণও ব্যাখ্যা করলেন কেউ কেউ। মিছিলে একরত্তি মেয়েকেও পুলিশের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে দেখা গিয়েছে।

    পুলিশের বিরুদ্ধে গর্জে উঠল একরত্তি মেয়ে (Nabanna Abhijan)

    এদিন আন্দোলনকারীদের (Nabanna Abhijan) সঙ্গে পা মেলায় এক নাবালিকা স্কুল পড়ুয়া। পুলিশের রণংদেহি মূর্তি দেখে সে একটুও ভয় পায়নি। বরং, পুলিশের বিরুদ্ধে সে রুখে দাঁড়িয়েছে। পুলিশ কর্মীরা তাকে সরানোর অনেক চেষ্টা করেন। কিন্তু, ছোট ওই নাবালিকা আন্দোলন ছেড়ে যেতে রাজি নয়। সে প্রকাশ্যে পুলিশের উদ্দেশে বলে, ‘মারুক.. আমায় মারুক… আমি যাব না, মা বাবার সঙ্গেই থাকব’। নবান্ন অভিযান থেকে গর্জে উঠল এই একরত্তি মেয়ে। তার এই প্রতিবাদী ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। নেটিজেনরা কুর্নিশ জানিয়েছে তাকে।

    আরও পড়ুন: ‘‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন নয়’’, মমতাকে সুপ্রিম-নির্দেশ মনে করালেন রাজ্যপাল

    মেয়ের নিরাপত্তার জন্য আন্দোলনে

    ছাত্রদের আন্দোলনে (Nabanna Abhijan) যোগ দেওয়া এক মহিলা আন্দোলনকারী স্পষ্ট ভাষায় বলে দিলেন, “আমি একজন সাধারণ মহিলা। মেয়ের মা। আজ আপনার মেয়ে-আমার মেয়ে সবার নিরাপত্তার জন্য এসেছি। নেতা-মন্ত্রীদের মেয়েদের বডিগার্ড আছে। আপনার আমার মেয়ের বডিগার্ড নেই। আমাদের মেয়েদের জন্য আমাদেরই লড়তে হবে। আমাদের হাতে লাঠিসোঁটা কিছু নেই। আমরা নিরস্ত্র, আমাদের হাতে কিছু নেই।” এমনিতেই সকাল থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুতি চোখে পড়ছিল। নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলা হয় নবান্ন ও তার আশপাশের চত্বর। কিন্তু, আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে বিভিন্ন প্রান্তে চরম উত্তেজনা ছড়াল। কার্যত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে এই অশান্তির জেরে রক্ত ঝরল একাধিক মহিলার। মাথা ফাটল পুলিশেরও। চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা হাওড়া ব্রিজে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nabanna Abhijan: ‘‘চুড়ি পরে বসে থাকুক’’, নবান্ন অভিযানে পুলিশকে তুলোধনা আন্দোলনকারীর

    Nabanna Abhijan: ‘‘চুড়ি পরে বসে থাকুক’’, নবান্ন অভিযানে পুলিশকে তুলোধনা আন্দোলনকারীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে দোষীদের শাস্তির দাবিতে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ -এর পক্ষ থেকে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই অভিযানকে (Nabanna Abhijan) কেন্দ্র করে গোটা এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। জাতীয় পতাকা হাতে আন্দোলনে যোগ দিতে এসেছিলেন এক আন্দোলনকারী। কিন্তু, পুলিশের টানা জলকামানের সামনে কার্যত দাঁড়াতে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। জল কামান, কাঁদানে গ্যসের ঝাঁঝের মধ্যেই তাঁর গলায় ঝাঁঝ দেখা যায়। 

    পুলিশকে হাতে চুড়ি পরে বসে থাকার নিদান আন্দোলনকারীর (Nabanna Abhijan)

    হাওড়া ব্রিজের কাছে জমায়েতকে (Nabanna Abhijan) ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান দাগা হয়। কামানের জলের সেই তোড়ের সামনেই জাতীয় পতাকা হাতে এক আন্দোলনকারী টানা দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু, জলের তোড় বাড়তে থাকায় দাঁড়িয়ে থাকার উপায় ছিল না। এই পরিস্থিতিতে পিছু হটেন তিনি। এরপরই পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, “চুড়ি পরে বসে থাকুক এরা। এদের বাড়িতেও মা-বোন আছে। আমরা মহিলাদের সুরক্ষার জন্য আন্দোলন করতে এসেছি। কারও হাতে তো কোনও অস্ত্র নেই। জাতীয় পতাকা নিয়ে এসেছি আমরা।”

    এদিন সকাল থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নবান্ন অভিযান ঠেকানোর প্রস্তুতি ছিল পুলিশের। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলা হয় নবান্ন ও তার আশপাশের চত্বর। কিন্তু, আরজি করকাণ্ডের (RG Kar Incident) প্রতিবাদে বিভিন্ন প্রান্তে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কার্যত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে এই অশান্তির জেরে রক্ত ঝরে একাধিক মহিলার। মাথা ফাটল পুলিশেরও। চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা ছড়ায় হাওড়া ব্রিজে। বিশাল গার্ডরেল, ব্যারিকেডের ওপর এক যুবক জাতীয় পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে পড়েন। কেই ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন নয়’’, মমতাকে সুপ্রিম-নির্দেশ মনে করালেন রাজ্যপাল

    দমিয়ে রাখা যাবে না

    আন্দোলনকারীরা (Nabanna Abhijan) বলেন, ‘‘আমাদের এইভাবে দমিয়ে রাখা যাবে না। আমরা জাস্টিস চাইছি জাস্টিস, লিগাল জাস্টিস চাইছি।’’ পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠতে শুরু করে। এই সময়ই জলকামান থেকে জল ছোড়া শুরু হয়। হাওড়া ব্রিজে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন দিক থেকে মিছিল এসেছিল। জলকামান চলার মধ্যেই ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকে ছত্রভঙ্গ করতে পরপর কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়। ধোঁয়া ও জলের তোড়ে কিছুটা ছত্রভঙ্গ হলেও পরক্ষণেই ফের এককাট্টা হয়ে ব্যারিকেড ভাঙতে এগিয়ে যান আন্দোলনকারীরা। বেলা যত গড়িয়েছে, বাড়ে আন্দোলনের ঝাঁঝ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nabanna Abhijan: বিজেপির লালবাজার অভিযানে কাঁদানে গ্যাস পুলিশের, অসুস্থ হয়ে পড়লেন সুকান্ত

    Nabanna Abhijan: বিজেপির লালবাজার অভিযানে কাঁদানে গ্যাস পুলিশের, অসুস্থ হয়ে পড়লেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির বিক্ষোভে ধুন্ধুমার লালবাজার চত্বরে। একদিকে যেমন ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) করা হয়, ঠিক একই ভাবে বিজেপির লালবাজার অভিযান করা হয়। জানা গিয়েছে, অভিযানে গ্রেফতার হওয়া ছাত্র সহ সাধারণ মানুষকে ছাড়াতে এই অভিযান করে বিজেপি। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘হায় হায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’ ইত্যাদি স্লোগানও ওঠে ঘটনাস্থলে। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের তর্কাতর্কি ও ধস্তাধস্তি হয়। বিজেপিকে ঠেকাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ল পুলিশ। যার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়লেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। 

    পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি (Nabanna Abhijan)

    মঙ্গলবার দুপর ১টায় সাঁতরাগাছি ও কলেজ স্ট্রিট থেকে মিছিলের (Nabanna Abhijan) ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র সমাজ। মিছিল শুরু হতেই পুলিশ লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস এবং জল কামান দিয়ে নির্মম ভাবে অত্যাচার করে। একই ভাবে নির্বিচারে বহু ছাত্র-ছাত্রী এবং সাধারণ নাগরিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে ধৃতদের বিরুদ্ধে। এর আগে, গতকাল মধ্যরাতে আন্দোলনকারী ৪ ছাত্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের মুক্ত করতে বিজেপির তরফ থেকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে লালবাজারে অভিযান করা হয়।

    পুলিশের কাঁদানে গ্যাস অসুস্থ সুকান্ত

    বিকেল চারটের সময় মিছিল করে লালবাজারের দিকে এগোলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়। এদিন রাজ্য সভাপতির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন— লকেট চট্টোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন সিং, সমীক ভট্টাচার্য সহ আরও অনেকে। আটকে দিলে বিজেপির নেতা-কর্মীরা অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন। রাস্তায় বসে বিজেপি নেতারা স্লোগান দেন— ছাত্রদের জোর করে পুলিশ আটক করেছে। তাঁদের মুক্তির জন্য পুলিশকে আধ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়া হয়। এর পরই সুকান্তদের অবস্থান হঠানোর চেষ্টা করে পুলিশ। এতে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের তর্কাতর্কি ও ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এরপর বিজেপিকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে পুলিশ। তাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। বিজেপির বিক্ষোভে কার্যত অবরূদ্ধ হয়ে যায় লালবাজার। লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশ বিনা কারণে লাঠিচার্জ করেছে। কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে।” 

    আরও পড়ুনঃ পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে নির্বাচনের দাবি শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে নির্বাচনের দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে নির্বাচনের দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হোক।” মঙ্গলবার এমনই দাবি তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আরজি করকাণ্ডের (RG Kar Incident) প্রতিবাদে এদিন নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। সেই অভিযান উপলক্ষে ব্যাপক জমায়েত হয় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। আন্দোলনকারীদের রুখতে কোথাও রাস্তায় রাখা হয়েছে কন্টেনার, কোথাও আবার রাখা হয়েছে গাছের গুঁড়ি। আবার কোথাও ব্যারিকেডের গায়ে লাগানো হয়েছে গ্রিজের পুরু আস্তরণ। এতেও ক্ষান্ত হয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। নির্বিচারে চালিয়েছে লাঠি, ব্যবহার করেছে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস। পুলিশের লাঠির ঘায়ে জখম হয়েছেন বহু আন্দোলনকারী।

    রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি (Suvendu Adhikari)

    কর্মসূচি শেষে সাংবাদিক বৈঠক করেন শুভেন্দু। সেখানেই দাবি তোলেন পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের। পুলিশের উদ্দেশে শুভেন্দু বলেন, “পুলিশকে আমি আবারও বলব, আপনারা ধরপাকড় বন্ধ করুন। আপনারা সামলাতে পারবেন না। সাঁতরাগাছির জনতাকে ভিডিও কল করে অনুরোধ করেছি, সাধারণ পুলিশ কর্মী ও ছাত্র সমাজ-সহ নিরীহ জনগণ আক্রান্ত হচ্ছেন। পুলিশের জল কামানের জল শেষ, গ্যাস শেষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকেও অসহায় অবস্থায় ফেলে দিয়েছেন।”

    আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে ‘পুলিশি সন্ত্রাস’, বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বন‍্‍ধ ডাকল বিজেপি

    “মমতার পদত্যাগ চাই”

    শুভেন্দু বলেন, “ওঁরা (পুলিশ) বাধ্য হতেন গুলি চালাতে। নীচের তলার পুলিশের সঙ্গে আমাদের কোনও বিরোধ নেই। তাঁদেরও স্ত্রী-মা-বোন আছে। আমরা চাই না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজীব কুমারদের ভুল পলিসির জন্য তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হোন।” তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “এটা সাধারণ মানুষের একটা সফল কার্যক্রম। তবে পুলিশের উসকানি ছিল। তারা প্রচুর মানুষকে মারধর করেছে।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমি অনুরোধ করব, আপনারা ধরপাকড়, মারধর বন্ধ করুন। জাগ্রত জনতার সঙ্গে পারবেন না। ফেল করবেন।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমরা মমতার পদত্যাগ চাই। এই আন্দোলন একদিনের (RG Kar Incident) নয়। কর্মসূচি আরও হবেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পদত্যাগে বাধ্য করব। পশ্চিমবাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হোক আমরা চাইব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nabanna Abhijan: মমতা-প্রশাসনে সুরক্ষিত ধর্ষকরা! ‘‘এই সিস্টেম বদলাতে হবে’’, বলছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ

    Nabanna Abhijan: মমতা-প্রশাসনে সুরক্ষিত ধর্ষকরা! ‘‘এই সিস্টেম বদলাতে হবে’’, বলছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হত্যাকাণ্ডে মৃত মহিলা চিকিৎসকের ন্যায় বিচারের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযানে (Nabanna Abhijan) যোগদান করেছিল সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। মঞ্চের পক্ষ থেকে মিছিলে পা মিলিয়েছেন আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ এবং তাঁর সহযোগীরা। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলেন, “ধর্ষক-খুনি হলেও নীল-সাদা আঁচলের তলায় তোমাকে সুরক্ষা দেওয়া হবে, এই সিস্টেম বদলাতে হবে।” নবান্ন অভিযানে পুলিশ নির্মম ভাবে ছাত্র সমাজের আন্দোলনের ওপর লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস এবং জল কামানের ব্যবহার করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যয়াধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পদত্যাগের বিষয়ে অনড় এখনও আন্দোলনকারীরা।

    শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপরে বলপ্রয়োগ (Nabanna Abhijan)

    মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানে (Nabanna Abhijan) শান্তিপূর্ণ মিছিলের উপর পুলিশ একাধিক জায়গায় বলপ্রয়োগ করেছে বলে ছাত্র সমাজ অভিযোগ তুলেছে। সংগ্রামী মঞ্চের পক্ষ থেকেও একটি মিছিল এদিন নবান্নের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। হাওড়ায় ব্যাপক ভাবে পুলিশের বাঁধার মুখে পড়েন তাঁরা। আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে জল কামান এবং কাঁদানে গ্যাসের প্রয়োগ করা হয়। ঠিক তার মধ্যেই রাস্তায় বসে পড়েছিলেন ভাস্কাররা। পুলিশ কর্তা ১০ মিনিটের সময় দিয়ে উঠে যেতে বলেছিলেন, অন্যথায় কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়। ভাস্কর, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, “শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপরে বলপ্রয়োগ করতে পারবে না পুলিশ, সেটা সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল। যে পুলিশ এই কথা বলছেন তিনি হয়তো সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ওপরের পদমর্যাদার অফিসার, তাই এই রকম কথা বলছেন।”

    আরও পড়ুনঃ হাতে জাতীয় পতাকা, জলকামান-টিয়ার গ্যাস উপেক্ষা করেই নবান্নর পথে প্রতিবাদীরা

    পুলিশ লোক দিয়ে পাথর মেরেছে

    অপর দিকে, সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় পিছন থেকে তাঁকে পাথর মারা হলে ভাস্কর ঘোষ বলেন, “পুলিশ ইচ্ছে করে লোক রেখে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। ওরা নিশ্চিত মমতা (Mamata Banerjee) পুলিশের লোক। মাথায় রাখুন সুপ্রিম কোর্টে আমাদের আইনজীবীরা বসে আছেন। সবকিছু ছবিতে ধরা পড়েছে, আদালতে অবমাননার মামলা (Nabanna Abhijan) হবে। যতক্ষণ আমাদের দাবি না মানা হবে, ততক্ষণ আমাদের আন্দোলন চলবে। ধর্ষক-খুনি হলে নীল সাদা আঁচলের তালায় আশ্রয় দেওয়ার ব্যবস্থার বদল করতে হবে।” উল্লেখ্য, নবান্ন অভিযানের আগের দিন রাতে সংগ্রামী মঞ্চের পক্ষ থেকে একটি দল নবান্নে গিয়েছিল পরিদর্শন করতে। সেখানে দেখা যায় ১৪৪ ধারার কথা জানিয়ে ভাস্কর এবং অনুগামীদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কার্যত পুলিশ জোর করে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় বলে অভিযোগ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Halisahar: ক্ষমতার দম্ভ! জন্মাষ্টমীতে প্রকাশ্যে পর পর গুলি চালালেন তৃণমূল কাউন্সিলর

    Halisahar: ক্ষমতার দম্ভ! জন্মাষ্টমীতে প্রকাশ্যে পর পর গুলি চালালেন তৃণমূল কাউন্সিলর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মাষ্টমীর রাতে প্রকাশ্যে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হালিশহর (Halisahar) পুরসভা এলাকায়। অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলরের নাম অশোক যাদব। তিনি পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। প্রকাশ্যে এভাবে গুলি চালানোর ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Halisahar)

    সোমবার ছিল জন্মাষ্টমী উৎসব। হালিশহর (Halisahar) পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে স্থানীয়দের উদ্যোগে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে স্থানীয় তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক সুবোধ অধিকারী, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর অশোক যাদব থেকে শুরু করে দলের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও এলাকার কয়েকশো সাধারণ মানুষও সেখানে হাজির ছিলেন। জন্মাষ্টমী উৎসবে মেতে ওঠেন এলাকার মানুষ। অনুষ্ঠান চলাকালীন আচমকা তৃণমূল কাউন্সিলর শূন্যে দু রাউন্ড গুলি চালান বলে অভিযোগ। প্রকাশ্যে এভাবে গুলি চালানোর ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়।

    ‘‘আবদার রাখতেই গুলি চালিয়েছি’’

    বিরোধীদের অভিযোগ, এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতেই পরিকল্পিতভাবে তৃণমূল কাউন্সিলর এভাবে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়েছেন। যদিও তৃণমূল কাউন্সিলর অশোক যাদবের সাফাই, তিনি আবদার রাখতেই নাকি গুলি চালিয়েছেন! অশোক যাদব বলেন,  ‘‘এ বছর আমি রিভলভরের লাইসেন্স পেয়েছি। এটা কোনও বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র নয়। আমার ওয়ার্ডের দলের ছেলেরা আমাকে অনুরোধ করেন, জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ফায়ার করার জন্য। ওরা বাজি ফাটাচ্ছিল, সঙ্গে ফায়ার করার জন্য অনুরোধ করে। তার জন্য আমাকে টাকাও দিতে চেয়েছিল। আমি তাদের কাছে কোনও টাকা পয়সা নিইনি। শুধু ওয়ার্ডের ছেলেদের আবদার রাখতেই আমি পর পর দু’রাউন্ড শূন্যে ফায়ার করেছি। কোনও সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করার জন্য এ কাজ আমি করিনি। আর আমি ১২.০৫ মিনিট নাগাদ ফায়ারিং করি। তখন সেখানে খুব বেশি লোকজনও ছিল না। ফলে, ভয় দেখানোর কোনও প্রশ্নই নেই।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন নয়’’, মমতাকে সুপ্রিম-নির্দেশ মনে করালেন রাজ্যপাল

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি নেতা সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আসলে ওই তৃণমূল নেতার কাছে রিভলভর রয়েছে তা সকলকে জানাতে হবে। তাই, এভাবে তিনি প্রকাশ্যে গুলি চালালেন। এই ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’’ অন্যদিকে, হালিশহর (Halisahar) পুরসভার চেয়ারম্যান শুভঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘আমি প্রকাশ্যে গুলি চালানোর ভিডিও দেখেছি। কেন তিনি এভাবে গুলি চালালেন তা জানি না। বিষয়টি নিয়ে আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলব। তাছাড়া প্রশাসন বিষয়টি দেখছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangla Bandh: নবান্ন অভিযানে ‘পুলিশি সন্ত্রাস’, বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বন‍্‍ধ ডাকল বিজেপি

    Bangla Bandh: নবান্ন অভিযানে ‘পুলিশি সন্ত্রাস’, বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বন‍্‍ধ ডাকল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্রসমাজের পাশে দাঁড়িয়ে আগামিকাল, বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বন‍্ধের  (Bangla Bandh) ডাক দিল বিজেপি (BJP)৷ মঙ্গলবার ছাত্রদের নবান্ন অভিযানে লাঠি চালায় পুলিশ। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস, জলকামান। এরপরই বন‍্ধের ঘোষণা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত এই বন‍্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে৷ ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের দমনপীড়নের প্রতিবাদেই এই কর্মসূচি বলে জানান সুকান্ত।

    বন‍্‍ধ সফল করার আহ্বান

    মঙ্গলবার দুপুরের সাংবাদিক বৈঠকে সুকান্ত বলেন, ‘‘আগামী পরশু থেকে আমরা ধর্না শুরু করব। এছাড়াও ছাত্র সমাজকে সব রকম আইনি ও মেডিক্যাল সাহায্য দেওয়ার জন্য আজ থেকে পুনরায় হেল্পলাইন নম্বর চালু করছি আমরা। এখানে ফোন করে আপনারা যে কোনও রকম আইনি সহায়তা কিংবা পরামর্শ চালাতে পারেন। আসুন, আগামী ৩০ অগাস্ট আমাদের মহিলা মোর্চার ডাকে সকল মহিলা, সকল মানুষ পথে নামুন। এই আন্দোলন বিজেপির নয়, এটা সমাজের আন্দোলন।’’

    বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘এই বন‍্‍ধকে (Bangla Bandh) সর্বাত্মক করুন৷ স্বেচ্ছাচারী সরকারের হাত থেকে বাংলাকে মুক্ত করুন৷ মানুষ স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করতে পারছেন না৷ এর প্রতিবাদ করতে, বাংলায় গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে, আগামিকালের বন‍্‍ধকে সবাই সফল করুন৷ শুধু বিজেপি কর্মীরা নন, সাধারণ মানুষের কাছে আমার আবেদন। ভেবে দেখুন, আজ আপনার পাশের বাড়ির ছেলের ওপর লাঠিচার্জ হয়েছে, কাল আপনার ছেলের ওপর হতে পারে। আজ পাশের বাড়ির ছেলের চাকরি বিক্রি করে দিয়েছে তৃণমূল নেতারা, কাল আপনার ছেলে চাকরি বিক্রি হবে। আজ আরজি করের বোনটি যেমন অত্যাচারিত হয়েছে কাল আপনার বাড়ির মেয়ের সঙ্গে একই ঘটনা ঘটতে পারে। তাই এই বন‍্‍ধকে সর্বাত্মক করুন। এটা স্বৈরাচারী স্বেচ্ছাচারী সরকারের হাত থেকে পশ্চিমবঙ্গকে রক্ষা করার বন‍্‍ধ।’’ 

    বাংলার গণতন্ত্র বিপন্ন

    এদিন সুকান্ত বলেন, ‘‘শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপরে কেন পুলিশ লাঠি চালাল? কেন কাঁদানে গ্যাস ছুড়ল? এমনকী, মহিলা, বয়স্করাও ছাড় পায়নি। কোথাও পুলিশ লাঠি চালানোর আগে কেউ পাথর ছোড়েনি। কেমিক্যাল মেশানো জল স্প্রে করা হয়েছে এরকম অভিযোগও আমরা ছাত্রদের কাছ থেকে পাচ্ছি। এটা কী ধরণের আচরণ? বেকার যুবক – যুবতীরা কি বাংলায় জন্ম নিয়ে কোনও ভুল করেছেন? যে মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমতায় থাকতে এত দমন পীড়ন করতে হয় তার আর ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। বাংলার মানুষকে জবাব দেওয়ার সময় এসেছে।’’ বাংলার গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সুরক্ষা সমস্ত কিছু বিপন্ন। তা রক্ষা করতে বাংলার মানুষকে একজোট হওয়ার কথা বলে বিজেপি নেতৃত্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share