Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • RG Kar Incident: ‘‘আশা করছি, বিচার পাব’’, সুপ্রিম-শুনানির আগে মন্তব্য নির্যাতিতার মায়ের

    RG Kar Incident: ‘‘আশা করছি, বিচার পাব’’, সুপ্রিম-শুনানির আগে মন্তব্য নির্যাতিতার মায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে (RG Kar Incident) পড়ুয়া চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এক মাস পার। বিচারের আশায় দিন গুনছেন নির্যাতিতার মা। আজ, সোমবারই সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আরজি কর মামলার শুনানি। ঠিক তার আগের রাতে কলকাতায় ধর্মতলায় দাঁড়িয়ে কেঁদে ফেললেন ‘তিলোত্তমা’র মা। দাবি করলেন, “এত বড় ক্রাইমের পর পুলিশ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এত মানুষ পাশে দাঁড়ানোয় কিছুটা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।”

    প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা

    ‘তিলোত্তমা’র বিচারের দাবিতে রবিবার ফের রাত জেগেছিল কলকাতা। রাজপথে মানববন্ধনে সামিল হয়েছিলেন লক্ষ মানুষ। রাত যত বেড়েছে, তাপ বেড়েছে প্রতিবাদের। এদিন প্রতিবাদ মঞ্চে দাঁড়িয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হন তিলোত্তমার বাবা, মা, কাকিমা। নির্যাতিতার (RG Kar Incident) মায়ের কথায়, মেয়ের ছোট থেকেই ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা ছিল। সেই ডাক্তার হতেই আরজি করে আসা। কিন্তু সেই ইচ্ছাপূরণ করতে এসে যে প্রাণটাই চলে যাবে, ভাবতে পারেননি পরিবারের কেউ। চোখের জলে ধরে আসা গলায় তাঁর দাবি, “কত কষ্টে আমার মেয়ের প্রাণটা চলে গিয়েছে। পুলিশ প্রথম থেকে অসহযোগিতা করেছে। ওরা একটু সহযোগিতা করলে আশার আলো দেখতে পেতাম। সব প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ ‘আলো নিভিয়ে’ প্রতিবাদ, কর্মসূচিতে শুধু সিইএসসি এলাকায় সামিল প্রায় ৪৪ লক্ষ মানুষ!

    বিচারের আশায় দিন গোনা

    আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে রবিবার রাতে আবার ভিড় চোখে পড়ে টালা থেকে টালিগঞ্জ। ধর্মতলার পাশাপাশি এদিন যাদবপুরেও সর্বাত্মক আন্দোলনের (RG Kar Incident) ভিড়ে হাজির হন তিলোত্তমার মা, বাবা। কাঁদতে কাঁদতেই তিলোত্তমার বাবা বলেন, “আমার মেয়েটার কী ক্ষমতা দেখছি! এত লোককে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে। আপনাদের গলার স্বর, আমার মনের জোর অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের যা শেষ হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে।  এখন সিবিআই এবং সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) উপর ভরসা করে আছি। আশায় আছি, বিচার পাব। সেই আশাতেই দিন গুনছি।” নির্যাতিতার কাকিমা বলেন, “আমি জীবনে আর কাকিমা ডাকটা আর শুনতে পাব না। ভাবিনি এই নিষ্ঠুর দিন অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। তাই ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, নয় ‘উই ডিমান্ড জাস্টিস’। আমাদের বিচার দিতেই হবে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: আরজি কর মামলায় আজ সুপ্রিম শুনানি, রবিতে রাত জাগল বাংলা

    RG Kar: আরজি কর মামলায় আজ সুপ্রিম শুনানি, রবিতে রাত জাগল বাংলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, সোমবার ৯ সেপ্টেম্বর, আরজি করের (RG Kar) ঘটনার একমাস পূর্ণ হল। এদিনই এই মামলার শুনানি রয়েছে দেশের শীর্ষ আদালতে। সুপ্রিম শুনানির (Supreme Court) দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ। প্রসঙ্গত, শুনানি হওয়ার কথা ছিল গত ৫ সেপ্টেম্বর। কিন্তু প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় অসুস্থ থাকায় তা পিছিয়ে যায়। ৫ সেপ্টেম্বরের শুনানিকে সামনে রেখে ৪ সেপ্টেম্বর রাত দখলের কর্মসূচি করেন নাগরিকরা।

    রবির রাত জাগল বাংলা

    এদিকে, সোমবার সুপ্রিম শুনানির আগেও বিনিদ্র রাত কাটালেন নাগরিকেরা। যাদবপুর, শ্যামবাজার, গড়িয়া, লেকটাউন, সোদপুর, বারাকপুর থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গের রায়গঞ্জ, কোচবিহার সহ সারা রাজ্যে এই একই ছবি দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে, সোমবার শিলিগুড়িতে করা হয় ভোর দখল কর্মসূচি। মর্মান্তিক ঘটনার (Supreme Court) একমাস অতিক্রান্ত হলেও জনগণের প্রতিবাদ যে এতটুকু কমেনি তা এই কর্মসূচিগুলিতেই বোঝা যাচ্ছে। কোথাও মশাল, কোথাও মোবাইলে ফ্ল্যাশ লাইট, গানে-কবিতায়-স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে কলকাতা থেকে জেলা। বিকেলে ডাক্তারদের মিছিলে যোগ দেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তাঁরা দুজনে বক্তব্য রাখেন। এখানেই নির্যাতিতার বাবা জানান, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ (আমরা বিচার চাই) আর নয়। এ বার স্লোগান হোক ‘উই ডিমান্ড জাস্টিস’ (বিচার আমাদের দাবি)।

    সুপ্রিম শুনানির আগের দিন রবিবারের কর্মসূচিগুলি (RG Kar) এক ঝলকে

    কালো বেলুনে প্রতিবাদ

    এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ থেকে মিছিল হয় ধর্মতলা পর্যন্ত। সেখান থেকে কালো বেলুন উড়িয়ে প্রতিবাদ জানান ডাক্তাররা। এই মিছিলে ছিলেন নির্যাতিতার (RG Kar) বাবা-মা।

    রিকশা চালকদের প্রতিবাদ

    আরজি করের (RG Kar) বিচার চেয়ে হেদুয়া থেকে কলেজ স্ট্রিট পর্যন্ত রবিবার মিছিল করেছেন উত্তর কলকাতার টানা রিকশা চালকেরা।

    মৃৎশিল্পীদের প্রতিবাদ

    কুমোরটুলিতে মৃৎশিল্পীরাও রঙ তুলি হাতে রবিবার প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন। হাতে প্ল্যাকার্ড, ব্যানার নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে তাঁরা হেঁটেছেন উত্তর কলকাতার রাস্তায়।

    ১৫ কিমির মানববন্ধন

    সোদপুর থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত দীর্ঘ ১৫ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে রবিবার রাতে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছিল। হাজার হাজার মানুষ তাতে অংশ নিয়েছেন।

    ফুটবলপ্রেমীদের মিছিল

    ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের সমর্থকেরা উত্তর কলকাতার সিমলা পল্লিতে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ির সামনে থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিল করেছেন।

    রাস্তায় রঙের মেলা

    নানা রঙে রাস্তায় নানা ছবি এঁকেছেন চিত্রকরেরা। তাঁদের কর্মসূচিতে সামিল হয়েছিলেন সাধারণ মানুষও। এই কর্মসূচি ছিল মূলত দক্ষিণ কলকাতায়।

    রাত ‘দখল’

    রবিবার রাত ১১টার পর থেকে রাতদখল কর্মসূচির আহ্বান জানানো হয়েছিল। তাতেও বহু সাধারণ মানুষ শামিল হয়েছেন। রাত যত বেড়েছে, প্রতিবাদ তত জোরালো হয়েছে।

    বিদেশেও প্রতিবাদ

    আমেরিকার আটলান্টা, সান দিয়েগো, বস্টন, হিউস্টন, আইওয়া, মিনেয়াপোলিস, নিউ ইয়র্ক, সিয়াটল, ট্যাম্পা, ভার্জিনিয়া-সহ নানা শহরে প্রতিবাদ হয়েছে। ব্রিটেনের বেলফাস্ট, বার্মিংহাম, কার্ডিফ কেমব্রিজ, এডিনবরা, লিডস, লেস্টার, ম্যানচেস্টার-সহ নানা শহর ছাড়াও আয়ারল্যান্ড, কানাডা, দক্ষিণ আফ্রিকা, জার্মানি, জাম্বিয়া, নেদারল্যান্ডস, সুইৎজারল্যান্ড, সুইডেন, চেক প্রজাতন্ত্র, স্পেন, জাপান, অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডেও পালিত হয়েছে কর্মসূচি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kalighat Temple: সারদাদেবী কালীঘাটে মা কালীর সাক্ষাৎ দর্শন পেয়েছিলেন! জানেন সেই ঘটনা?

    Kalighat Temple: সারদাদেবী কালীঘাটে মা কালীর সাক্ষাৎ দর্শন পেয়েছিলেন! জানেন সেই ঘটনা?

    হরিহর ঘোষাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় আসবেন আর কালীঘাট মন্দির (Kalighat Temple) দেখবেন না, এটা যেন অনেকের কাছেই অকল্পনীয়। এই মন্দিরে মা কালীর জগৎজোড়া খ্যাতি। বর্তমান মন্দিরের বয়স প্রায় ২০০ বছরের আশপাশে। কিন্তু, তার আগেও এখানে মায়ের নিত্য পুজো হত। বহু ভক্তের সমাগম হত। মন্দিরের পাশ দিয়ে তখন আদি গঙ্গায় টলটল করত জল। নৌকা পথে বহু ভক্ত এই মন্দিরে আসতেন। আর এখন মাকে দর্শন করতে দেশ-বিদেশের ভক্তরা মন্দিরে ভিড় করেন।

    কালীঘাটের আদি কথা (Kalighat Temple)

    কথিত আছে, কালীঘাটে (Kalighat Temple) দেবী সতীর পায়ের চারটে আঙুল পড়েছিল। এই মন্দিরে দেবীর পদতলে রয়েছে রুপোর তৈরি মহাদেব। দেবী কালী ডানহাতে অভয় আর বর দেন। তাঁর ডানদিকের দুটি হাতের একটিতে রয়েছে অভয় মুদ্রা। অন্যটি বরমুদ্রা। দেবীর বামহাতে আবার রয়েছে খড়্গ এবং বামদিকের নীচের হাতে ঝোলানো রয়েছে মুণ্ড। এই দেবী হলেন চামুণ্ডা। তাঁর হাতে যে খড়্গ রয়েছে, সেটা হল জ্ঞানখা। তিনি সেই খড়্গ দিয়ে অজ্ঞানতা নাশ করেন। কালীক্ষেত্র দীপিকা অনুযায়ী, ষোড়শ শতকের মধ্যভাগে ভুবনেশ্বর ব্রহ্মচারী নামে এক সাধক দেবী কালীর পুজো করতেন। তিনি তাঁর জামাই আগমাচার্য ভবানীদাস চক্রবর্তীকে কালীঘাটের মন্দির হস্তান্তরিত করেছিলেন। যশোরের রাজা প্রতাপাদিত্যর কাকা রাজা বসন্ত রায় এখানে মন্দির তৈরি করে দিয়েছিলেন। পরে, দেবীর মন্দির জীর্ণ হয়ে যাওয়ায় ১৮০৯ সালে সাবর্ণ রায়চৌধুরীরা এখানে মন্দির তৈরি করে দেন। এমনটাই দাবি, এই মন্দিরের সেবায়েত হালদার পরিবারের। কালীঘাটে দেবীর মন্দিরের পাশাপাশি এখানে রয়েছে শ্যামরায়ের মন্দির। যা তৈরিতে সহায়তা করেছিলেন বাওয়ালি রাজবাড়ির সদস্যরা। দেবীর মন্দিরের সামনের নাটমন্দির ১৮৩৫ সালে  তৈরি করেছিলেন আন্দুলের মহারাজ কাশীনাথ রায়। পঞ্জাবের তারা সিং এসে আবার গঠন করেছিলেন কালীঘাটের দেবী কালীর ভৈরব নকুলেশ্বরের মন্দির। এছাড়াও অন্যান্য জমিদার এবং ব্যবসায়ীরাও এই মন্দিরের চারপাশ তৈরিতে সহায়তা করেছিলেন। বিহারের মুঙ্গেরের ব্যবসায়ী গোবর্ধন দাস যেমন বানিয়ে দিয়েছিলেন কালীঘাট মন্দিরের আশপাশের রাস্তা। ১৮৪৩ সালে বৈষ্ণব উদয় নারায়ণ মণ্ডল কালীঘাট মন্দির চত্বরে বর্তমান শ্যামরাই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৫৮ সালে মদন গোপাল কোলে শ্যামরাই মন্দিরের জন্য একটি দোল মঞ্চ স্থাপন করেছিলেন।

    পুকুর থেকে উঠেছিল কালীর মূর্তি!

    এই মন্দিরের পূর্বদিকে একটি পুকুর আছে। এই পুকুর কুণ্ডপুকুর নামে পরিচিত। জনশ্রুতি আছে, সেই পুকুর থেকেই উঠে এসেছিল কালীঘাটের দেবী কালীর মূর্তি। রানি রাসমণিও নিত্যদিন কালীঘাটের এই মন্দিরে যাতায়াত করতেন। এখানে দেবীর মুখমণ্ডল একটি কষ্টিপাথরের শিলাখণ্ড। পাইকপাড়ার রাজা ইন্দ্র চন্দ্রসিং বাহাদুর দেবীর প্রতিদিনের ভোগের খরচ বহন করতেন। নেপালের জং বাহাদুর দেবীকে রুপোর ছাতা দিয়েছিলেন। প্রথমে দেবীর ছিল রুপোর হাত। পরে, বানানো হয় সোনার হাত। সাবর্ণ রায়চৌধুরীদের রাজা সন্তোষ রায়ের থেকে প্রতিদিন কালীঘাট মন্দিরে ভোগের জিনিসপত্র আসত।  বর্তমানে পালাদার বা দেবীর সেবার ভার যাঁর ওপর পড়ে, তিনিই ভোগের খরচা বহন করেন। কোনও প্রাচীন তন্ত্রেও কালীঘাটের উল্লেখ নেই। কেবল মহানীল তন্ত্রে “কালীঘাটে গুহ্যকালী” বলে উল্লেখ রয়েছে। প্রত্নতত্ত্ববিদ বাবু গৌরদাস বসাক বলেছেন, পঞ্চদশ শতাব্দীতে কালীঘাটের কোনও উল্লেখ দেখা যায় না। কবিকঙ্কণ মুকুন্দরাম চক্রবর্তী ১৫৪৪ সালে যে চণ্ডীকাব্যে গঙ্গাতীরের বর্ণনা করেছেন, সেখানে কালীঘাটের বর্ণনা দেখতে পাওয়া যায়।

    কালীঘাটে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ও আলীবর্দী

    ইতিহাসের একটি সূত্র থেকে জানা যায়, নবদ্বীপপতি রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় নবাব সরকারের কাছে ১২ লক্ষ টাকা খাজানার দায়ে ঋণী হওয়ায় মুর্শিদাবাদে কারারুদ্ধ হন। নবাব আলীবর্দী খাঁ রাজার গুণগরিমা জানতেন। তাই, অন্যদের মতো তাঁকে কারাগারে না রেখে নিজের সভায় রাখতেন। একবার কৃষ্ণচন্দ্রকে সঙ্গে নিয়ে নবাব আলিবর্দী নৌকা বিহারে যান। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র নবাব বাহাদুরকে নিজের জমিদার দেখানোর জন্য কলকাতা (Kolkata) পর্যন্ত নিয়ে যান। সেখানে আদিগঙ্গায় নৌকা রেখে তাঁরা জঙ্গলে কিছুটা পথ হেঁটে একটি ছোট্ট কুটিরে এই কালী মূর্তি ও তাঁর উপাসককে দেখতে পান। রাজা সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করে ব্রাহ্মণের সঙ্গে কথাবার্তায় জানতে পারেন, এটা সতী দেবীর অংশপীঠ। এই কালীর নামানুসারে স্থানের নাম কালীঘাট (Kalighat Temple)। ব্রাহ্মণ নিতান্ত নির্লোভী, কিছুমাত্র কাহারও সাহায্য প্রার্থী নন। কিন্তু, রাজা কৃষ্ণচন্দ্র নবাবকে অনুরোধ করে কালীর জন্য কিছু দেবোত্তর মঞ্জুর করতে বলেন। নবাব ব্রাহ্মণের নির্ভীকতা ও একাকী এই জঙ্গলে নিষ্ঠার সঙ্গে সাধনা করতে দেখে আশ্চর্য হন। তিনি রাজার অনুরোধ মাত্র উক্ত প্রদেশ কালীর দেব সেবার জন্য প্রদান করিলেন। আর রাজাকেও তাঁর সমস্ত ঋণ থেকে মুক্ত করে দেন। তবে, অনেকে এই তথ্য মানতে চান না। অনেকে আবার বলেন, মহারাজা বসন্ত রায় নিজের গুরু ভুবনেশ্বর ব্রহ্মচারীকে ১৬ শতাব্দীতে কালীঘাটের ছয় শত বিঘা ভূমি দেবোত্তর দান করিয়াছিলেন, ইহাই যুক্তিসঙ্গত। কারণ, উক্ত প্রদেশ সে সময় যশোহর-পতিদিগেরই দখলে ছিল। সাবর্ণ চৌধুরী কেশব রায়ের পুত্র সন্তোষ রায় কালীর বর্তমান মন্দির তৈরি করেছিলেন।

    কালীঘাট মন্দিরে মা সারদা

    জানা যায়, শ্রীমা সারদাদেবীও কালীঘাটে (Kalighat Temple) মা কালীকে দর্শন করতে এসেছিলেন। সে সময় তাঁরও অদ্ভুত দর্শন হয়েছিল। মন্দিরে সিঁদুর-আলতা দিয়ে পুজো দেওয়ার পর মন্দির থেকে বেরিয়ে যখন এয়ো স্ত্রীদের মাথায় তিনি সিঁদুর দিয়ে দিচ্ছেন, পাশে দাঁড়ানো এক অপরিচিত কালো মেয়ের কপালেও তিনি সিঁদুরের ফোঁটা এঁকে দিলেন। মেয়েটির কপালে হাত দিতেই সে ব্যথায় কুঁকড়ে গেল। সারদা মা বলে উঠলেন, কী মা ব্যথা পেলে? এই বলে মেয়েটির মুখের দিকে ভালো করে তাকাতেই দেখলেন মেয়েটির কপালের ত্রিনয়নে কিছুটা সিঁদুর পড়েছে। কিছুক্ষণের জন্য জ্ঞান হারালেন শ্রীমা। পরে মেয়েটিকে খোঁজ করেও আর পাওয়া গেল না। পরে, শ্রীমা নিজের ঘনিষ্ঠজনের কাছে সে কথা বলেছিলেন।

    মন্দিরে সোনার চূড়া

    দুশো বছরের প্রাচীন মন্দির। ধীরে ধীরে নতুন রূপে সেজে উঠছে সেই প্রাচীন মন্দির (Kalighat Temple)। রিলায়েন্স গোষ্ঠী এই মন্দির সংস্কারের দায়িত্ব পেয়েছে। মন্দিরের অন্দরসজ্জার জন্য সব মিলিয়ে ৩৫ কোটি টাকা ব্যয় করছে রিলায়েন্স গোষ্ঠী। এবার সেই কালীঘাট মন্দির একেবারে নতুন সাজে সাজানো হচ্ছে। ২৪ ক্যারেট গোল্ড দিয়ে তৈরি তিনটি সোনার চূড়া তৈরি করা হয়েছে। একেবারে নিখাদ সোনার চূড়া। সেই সোনার চূড়া একেবারে ঝলমল করছে মন্দিরের মাথায়। বর্তমানে এই মন্দিরটি ৬টি ভাগে বিভক্ত-ষষ্ঠী তলা, নাট মন্দির, জোড় বাংলা, হারকাঠ তলা, রাধা কৃষ্ণ মন্দির এবং কুন্ড পুকুর। বর্তমানে যে মূর্তিটিকে পুজো করা হয় সেটি কষ্টি পাথরের তৈরি, যা সোনা ও রূপ দিয়ে কাজ করা। বর্তমান জিভটি প্রায় ২ কিলো ১৯১ গ্রাম রুপোর উপর ৫৫৮ গ্রাম সোনা দিয়ে মোড়া। মাকে দর্শন করতে প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্তের লাইন পড়়ে এই মন্দিরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ডাক্তারের পর নার্স, নার্সিংহোমে কাজে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার চারদিন পর দেহ উদ্ধার!

    Murshidabad: ডাক্তারের পর নার্স, নার্সিংহোমে কাজে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার চারদিন পর দেহ উদ্ধার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ি থেকে হাসপাতালে ডিউটি করতে গিয়ে খুন হন চিকিৎসক পড়ুয়া। হাসপাতালের মধ্যে ধর্ষণ করে তাঁকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। আরজি করের সেই ঘটনা নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। এই আবহের মধ্যে এক নার্স (Nurse) হস্টেল থেকে বেসরকারি নার্সিংহোমে কাজে গিয়ে রহস্যজনভাবে নিখোঁজ হয়ে যান। চারদিন পর গঙ্গা থেকে তাঁর পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুর এলাকায়। মৃতার বয়স ২৩ বছর। তাঁর বাড়ি বহরমপুর থানার কোদলা গ্রামে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বহরমপুর (Murshidabad) স্টেশন সংলগ্ন শিল্পতালুকের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে কর্মরত ছিলেন ওই নার্স। গত বুধবার তিনি হস্টেল থেকে নার্সিংহোমে ডিউটি করতে যান। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ তাঁর হস্টেলে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু, তিনি আর হস্টেলে ফেরেননি। অপহরণ হওয়ার দাবিও বাসা বেঁধেছিল নিকটজনের মনে। শনিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ গঙ্গার ধারে কোদলা ঘাটে একটি মৃতদেহ ভেসে উঠতে দেখেন এলাকাবাসী। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। বহরমপুর থানার পুলিশ এসে পচাগলা সেই মৃতদেহ উদ্ধার করে। বাড়ির লোককে খবর দেওয়া হলে তাঁরা এসে মৃতদেহ শনাক্ত করেন।

    জানা গিয়েছে, কর্মসূত্রে বহরমপুরের একটি হস্টেলে থাকতেন ওই নার্স। বুধবার রাত আটটার সময় ডিউটি শেষ করে তাঁর হস্টেলে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু, সেখানে তিনি সেদিন ফেরেননি। মেয়ের খোঁজ না পাওয়ায় অপহরণের দাবিও করেন মৃতের পরিবার। যদিও বহরমপুর থানার পুলিশ তদন্তে নেমে রামেন্দ্র সুন্দর ত্রিবেদী সেতুতে একজোড়া জুতো দেখতে পায়। রাতে ওই এলাকায় গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়ার শব্দও শুনতে পান স্থানীয় গান্ধী কলোনির বাসিন্দারা। জুতো ও এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ রাত দেড়টা নাগাদ কোদলা থেকে মৃতদেহ মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে নিয়মমাফিক চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করার পর রাতেই হাসপাতালের মর্গে দেহ রাখা হয়। রবিবার মৃতদেহ ময়না তদন্ত করা হয়।  

    আরও পড়ুন: চিনা রাষ্ট্রদূতের মুখে জামাত প্রশস্তি, বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা বেজিংয়ের!

    মৃতার পরিবারের লোকজন কী বললেন?

    মৃতার মা বলেন, মেয়ের সঙ্গে বুধবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ শেষবার কথা হয়েছিল। পরে, হস্টেলে (Murshidabad) ফিরে ফোন করার কথা বলা হলেও মেয়ে আর ফোন করেনি। এরপর রাত ১০ টা নাগাদ মেয়েকে ফোন করলে মোবাইল সুইচড অফ পাই। থানায় অপহরণের অভিযোগ করি। চারদিন পর মেয়ের দেহ মিলল। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ আমাদের কিছুই জানায়নি। এই ঘটনার পিছনে তাদেরও গাফিলতি রয়েছে। আমরা ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত দাবি করছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: জহর-জ্বালা! আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে পদত্যাগ করতে চেয়ে মমতাকে চিঠি সাংসদের

    RG Kar Protest: জহর-জ্বালা! আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে পদত্যাগ করতে চেয়ে মমতাকে চিঠি সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে লাগামছা়ড়া আন্দোলনের জেরে চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে শাসকদল। এই ঘটনার প্রতিবাদে এর আগে সুর চড়িয়েছেন সাংসদ শান্তনু সেন, সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তাঁদের বক্তব্য শাসক শিবিরের অস্বস্তি আরও বাড়িয়েছিল। আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে (RG Kar Protest) এবার রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন জহর সরকার (Jahar Sarkar)। বিশিষ্ট এই আমলা তিন বছর আগে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ হয়েছিলেন। এবার এই প্রথম শাসকদলের কোনও সাংসদ ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। শুধু তা-ই নয়, রাজনীতি থেকেও সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এই ঘটনা রাজ্যের শাসকদলকে জোর ধাক্কা দিয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।

    আরজি কর নিয়ে মমতাকে তোপ (RG Kar Protest)

    মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে লেখা চিঠিতে জহর লিখেছেন, “আমি গত এক মাস ধৈর্য ধরে আরজি কর (RG Kar Protest) হাসপাতালের ঘৃণ্য ঘটনার বিরুদ্ধে সবার প্রতিক্রিয়া দেখেছি আর ভেবেছি, আপনি কেন সেই পুরনো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে সরাসরি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলছেন না। এখন সরকার যে সব শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা এককথায় অতি অল্প এবং অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।” আন্দোলনে রাজনৈতিক রং লাগানো নিয়ে সরব হয়েছেন জহর। তিনি লিখেছেন, “আমার বিশ্বাস, এই আন্দোলনে পথে নামা মানুষেরা অরাজনৈতিক এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদ করছেন। তাই, রাজনৈতিক তকমা লাগিয়ে এই আন্দোলনকে প্রতিরোধ করা সমীচীন হবে না। এঁরা কেউ রাজনীতি পছন্দ করেন না। শুধু একবাক্যে বিচার ও শাস্তির দাবি তুলেছেন।”

    আরও পড়ুন: চিনা রাষ্ট্রদূতের মুখে জামাত প্রশস্তি, বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা বেজিংয়ের!

    সরকারের প্রতি অনাস্থা আগে কখনও দেখিনি

    এর আগে তৃণমূল সরকারের দুর্নীতি নিয়ে মুখ খোলার জন্য দলের অনেক নেতা তাঁকে হেনস্থা করেছিলেন বলেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন জহর। তিনি লিখেছেন, “আমি আমার দায়িত্ব পালন করলাম। কিন্তু আমার রাজ্যে দুর্নীতি আর দলের একাংশের নেতাদের অন্যায় দাপট দেখে আমি হতাশাগ্রস্ত হলাম।” এরপর রাজ্যের দুর্নীতির অভিযোগের প্রসঙ্গ চিঠিতে টেনে এনেছেন তিনি। লিখেছেন, “মাননীয়া মহোদয়া, বিশ্বাস করুন এই মুহূর্তে রাজ্যের সাধারণ মানুষের যে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন ও রাগের বহিঃপ্রকাশ আমরা সবাই দেখছি, এর মূল কারণ কতিপয় পছন্দের আমলা ও দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পেশিশক্তির আস্ফালন। আমার এত বছরের জীবনে এমন ক্ষোভ ও সরকারের (RG Kar Protest) প্রতি সম্পূর্ণ অনাস্থা আগে কখনও দেখিনি।”রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন,”পশ্চিমবঙ্গে সাংসদ নির্বাচিত করে আপনি আমাকে প্রভূত সম্মানীত করেছেন। বিভিন্ন সমস্যা সরকারের দৃষ্টিগোচর করবার সুযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আমি অনেক চিন্তা করে দেখেছি, সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করব। রাজনীতি থেকে সম্পূর্ণভাবে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করব।”

    পদত্যাগ করা নিয়ে কী বললেন সুখেন্দু?

    আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Protest) প্রথমে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় সোচ্চার হয়েছিলেন। তিনি ধর্নাতেও বসেছিলেন। এবার প্রশ্ন উঠছে, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদেই দলের একজন সিনিয়র সাংসদ সদস্যপদ ছাড়ছেন, এবার কি সুখেন্দু সেই পথে হাঁটবেন? এই প্রসঙ্গে সুখেন্দু বলেন, “জহর সরকারের খবর পেয়েছি। কিন্তু, আমি সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। আমি এর বিরোধিতাও করছি না। সমর্থনও নয়। আর আমি কখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিলে সকলেই জানতে পারবেন। যেমন প্রতিবাদ করেছিলাম বিবেকের ডাকে। আমি নাগরিক আন্দোলনের সঙ্গে আছি। আমি নিজের ঢাক কখনও পেটাইনি। পেটাই না।” আরজি কর- কাণ্ডে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে সুখেন্দুর সংযোজন, “আমি আমার মতো করে নাগরিক আন্দোলনের সঙ্গে আছি। একটা বিন্দু হিসেবে। একজন নাগরিক হিসেবে আমার সামান্য যা করণীয় করছি। সাংসদের কাছে মানুষের একটা প্রত্যাশা থাকে, যে তিনি কোনও অন্যায়ের সঙ্গে থাকবেন না।”

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ম্যাডাম চেয়ারপার্সন তো তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করার জন্য নন। তাঁকে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান উপ-রাষ্ট্রপতির কাছে দিতে হবে। তবে বিনীত গোয়েলকে জুনিয়র ডাক্তাররা শিরদাঁড়া উপহার দিয়েছেন। জহর সরকারের মধ্যে আমরা যে মানসিকতা দেখলাম তাতে ভালো লাগল। তিনি প্রাক্তন আমলা। স্পষ্টবাদী।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি, তার আগে ফের ‘মেয়েদের রাত দখল’, প্রতিবাদ বিদেশেও

    RG Kar Case: সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি, তার আগে ফের ‘মেয়েদের রাত দখল’, প্রতিবাদ বিদেশেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামিকাল ৯ সেপ্টেম্বর এক মাস পূর্ণ হবে আরজি কর হত্যাকাণ্ডের (RG Kar Case)। ঘটনাটি ঘটেছিল গত ৯ অগাস্ট। এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার মাত্র এক। নির্যাতিতার জন্য প্রতিদিনই আন্দোলন চলছে কলকাতার রাজপথে। মামলার তদন্তের দায়িত্বে রয়েছে সিবিআই। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) রয়েছে শুনানি। তদন্ত সম্পর্কে সোমবার সিবিআই বিশেষ রিপোর্ট জমা দিতে পারে, এমনটাই অনেকের আশা। গত ৪ তারিখ ছিল শুনানির দিন। কিন্তু প্রধান বিচারপতি সেদিন না আসায় শুনানি পিছিয়ে যায়। গোটা দেশের নজর এদিন সর্বোচ্চ আদালতের দিকে থাকবে। ইতিমধ্যে এই শুনানির ঠিক এক দিন আগে ‘রাত দখল’-এর ডাক দিয়েছেন প্রতিবাদী মহিলারা। একই ভাবেই বিদেশের মাটিতেও চলছে বিক্ষোভ।

    কর্মসূচি-‘শাসকের ঘুম ভাঙাতে হবে’ (RG Kar Case)

    গত ১৪ অগাস্ট অভয়ার জন্য ন্যায়বিচার (RG Kar Case) চেয়ে রাত দখলের ডাক দিয়েছিলেন প্রতিবাদীরা। এবারের কর্মসূচির নাম ‘শাসকের ঘুম ভাঙাতে হবে।’ এই কর্মসূচিতে যোগদান করবেন টলিউডের কলাকুশলীরা। বিকেল ৫টায় টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপো থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত মিছিল হওয়ার কথা। বিকেল ৪টেয় হেদুয়ায় শুরু হওয়ার কথা মিছিল, যাবে কলেজ স্ট্রিট পর্যন্ত। কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে রিকশা-শ্রমিকদের মিছিল’। অপর দিকে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) শুনানির আগের দিন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারেরা ‘জনতার মতামত’ নিতে ‘রাজপথে আদালত’ বসিয়েছেন। একই ভাবে জেলায় জেলায় খোলা হয় ‘অভয়া ক্লিনিক’। তার পাশেই বসে এই ‘আদালত’। পালন করা হবে মানব বন্ধন। সেই সঙ্গে মাঝ রাতে তাঁরাও আন্দোলনে নামবেন বলে জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুনঃ ‘আলো নিভিয়ে’ প্রতিবাদ, কর্মসূচিতে শুধু সিইএসসি এলাকায় সামিল প্রায় ৪৪ লক্ষ মানুষ!

    বিদেশেও প্রতিবাদ

    রাজ্য তথা দেশের গণ্ডি পার করে এবার বিদেশের মাটিতে প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়ল। আরজি করের (RG Kar Case) তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যার বিরুদ্ধে একাধিক জায়গায় আন্দোলন করতে দেখা যাচ্ছে সেখানকার বাসিন্দাদের। আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ বিশ্বের উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির রাজধানী-সহ একাধিক শহরে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। এই বিক্ষোভের কোনও উদ্যোক্তা না থাকলেও, আয়োজক বাঙালি সমাজ। ‘বিশ্বজুড়ে উঠেছে ঝড়, জাস্টিস ফর আরজি কর’-এই নামে সর্বত্র প্রতিবাদের ডাক দেওয়া হয়েছে। আমেরিকার আটলান্টা, শিকাগো, লস অ্যাঞ্জেলস, ফিলাডেলফিয়া, বস্টন, ডালাস, নিউ ইয়র্ক-সহ অন্তত ৭০টি শহরে বিক্ষোভ হবে বলে জানা যায়। ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডন ছাড়়াও প্রতিবাদ কর্মসূচি হওয়ার কথা ম্যাঞ্চেস্টার, লিভারপুর, ল্যাঙ্কাশায়ারে। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস, জার্মানির রাজধানী বার্লিন, ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন, স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদেও হবে প্রতিবাদ কর্মসূচি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: ‘আলো নিভিয়ে’ প্রতিবাদ, কর্মসূচিতে শুধু সিইএসসি এলাকায় সামিল প্রায় ৪৪ লক্ষ মানুষ!

    RG Kar Case: ‘আলো নিভিয়ে’ প্রতিবাদ, কর্মসূচিতে শুধু সিইএসসি এলাকায় সামিল প্রায় ৪৪ লক্ষ মানুষ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হত্যাকাণ্ডের (RG Kar Case) প্রতিবাদে ডাক্তার সমাজ রাতের ‘আলো নিভিয়ে’ মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদে নামার ডাক দিয়েছিল। এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন প্রায় ৪৪ লক্ষ মানুষ। এমনকী যোগদান করেছিলেন সমাজের নানাস্তরের মানুষ। অনেকে রাস্তার প্রতিবাদ মিছিল বা জমায়েতেও যোগ দিয়েছিলেন। আবার কেউ কেউ বাড়িতে মোমবাতি, প্রদীপ জ্বালিয়ে মৌন প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। চারদিকে একটাই আওয়াজ উঠেছিল ‘অভয়ার খুনিদের ফাঁসি চাই, ন্যায় বিচার চাই’। উল্লেখ্য এই দিনে অন্যান্য রাতের থেকে বিদ্যুৎ খরচ কম হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা সিইএসসি-র পরিসংখ্যানেই এমনটা জানা গিয়েছে।

    বিদ্যুৎ খরচ হয়েছিল মোট ১,৭৯৬ মেগাওয়াট (RG Kar Case)

    গত ৪ সেপ্টেম্বর অভয়ার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে (RG Kar Case) আলো বন্ধ করে প্রতীকী প্রতিবাদ করেন ডাক্তাররা। আঁধার নেমে এসেছিল সর্বত্র। সিইএসসি-র দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গিয়েছে, গত বুধবার রাত ৯টা ৪৫মিনিট নাগাদ মোট বিদ্যুৎ খরচ হয়েছে ১,৬৭৭ মেগাওয়াট। অন্যান্য দিনের চেয়ে যা উল্লেখ্যযোগ্যভাবে কম। তার ঠিক আগের দিনই অর্থাৎ, মঙ্গলবার রাতে ওই সময়ে সিইএসসি এলাকায় বিদ্যুৎ খরচ হয়েছিল মোট ১,৭৯৬ মেগাওয়াট। সোমবার রাতে পৌনে ১০টা নাগাদ বিদ্যুৎ খরচের পরিমাণ ১,৭৮৯ মেগাওয়াট। অঙ্কের হিসেবে ১ মেগাওয়াট আসলে ১০ লক্ষ ওয়াটের সমান। ফলে বুধবার রাতে ১১ কোটি ৯০ লক্ষ ওয়াট বিদ্যুৎ কম খরচ হয়েছে শুধু সিইএসসি এলাকায়।

    ৪৪ লক্ষ মানুষ ঘরের আলো নিভিয়েছিলেন

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি টিউবলাইটে ২৫ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হয়। ১১ কোটি ৯০ লক্ষ মেগাওয়াটের হিসেব করলে দেখা গিয়েছে, ৪ সেপ্টেম্বর রাতে কলকাতা এবং শহরতলির প্রায় ৪৪ লক্ষ মানুষ ঘরের আলো নিভিয়ে প্রতিবাদ (RG Kar Case) করেছিলেন। ফলে এই সংখ্যাটা কম নয়। বোঝা যায়, তা সমাজে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি রয়েছে। ঠিক তার আগে রবিবার রাতে আবার ‘রাত দখল’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন আন্দোলনরত পড়ুয়ারা।

    আরও পড়ুনঃ অভয়ার খুনের দিন রক্ত ধুতে হাসপাতালের রুমে স্নান করেন জুনিয়র ডাক্তার! বিস্ফোরক তথ্য

    মেয়েরা রাত দখল করেছিল

    নির্যাতিতার (RG Kar Case) জন্য ন্যায়বিচারের দাবিতে গত ১৪ অগাস্ট মেয়েদের রাত দখলের ডাক দিয়েছিলেন প্রতিবাদী মানুষ। জুনিয়র ডাক্তার, সাধারণ ছাত্র সমাজ, শিক্ষক, অধ্যাপক, আইনজীবী, ইঞ্জিনিয়ার, ইউ টিউবার-সহ সামজের একাধিক বর্গের মানুষ, বিভিন্ন সামজিক সংগঠন, রাজনৈতিক দল, স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আন্দোলন করছেন। কলকাতার সঙ্গে দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, মুম্বই-সহ একাধিক শহরে আন্দোলনের প্রভাব ব্যাপক ভাবে পড়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Rape-Murder: অভয়ার খুনের দিন রক্ত ধুতে হাসপাতালের রুমে স্নান করেন জুনিয়র ডাক্তার! বিস্ফোরক তথ্য

    RG Kar Rape-Murder: অভয়ার খুনের দিন রক্ত ধুতে হাসপাতালের রুমে স্নান করেন জুনিয়র ডাক্তার! বিস্ফোরক তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Rape-Murder) চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় এবার আরও বিস্ফোরক তথ্য সামনে উঠে এসেছে। এবার সিবিআই-এর রেডারে এক জুনিয়র ডাক্তার। ৯ অগাস্ট ঘটনার দিন চেস্ট মেডিসিন বিভাগের ভেঙে ফেলা বাথরুমে স্নান করেছিলেন ওই জুনিয়র ডাক্তার। নার্সকে তিনি নাকি বলেছিলেন, গায়ে রক্তের দাগ লেগে আছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (CBI) তদন্তে অভয়ার মামলায় উঠে আসা এই তথ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    জামায় রক্তের দাগ লেগে গিয়েছে (RG Kar Rape-Murder)

    সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্তব্যরত নার্স বলেন, “ওই জুনিয়র ডাক্তার আমাকে বলেছিলেন, মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স ওয়ার্ডের ৪ নম্বর বেডে (RG Kar Rape-Murder) একজন মহিলা রোগী ছিলেন। তাঁকে পিআরবিসি দেওয়ার সময় জামায় রক্তের দাগ লেগে গিয়েছে।” এখন প্রশ্ন উঠেছে, পিআরবিসি দেওয়ার সময় কি কোনও কর্তব্যরত নার্স এই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন? প্রশ্নের জবাব খুঁজতে এবার নার্সদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। একই নার্সকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গিয়েছে, ওই জুনিয়র ডাক্তারকে আগে কোনও সময় তিনি দেখেননি। তাছাড়া নাম জানতে চাইলেও জানাননি।

    আরও পড়ুনঃ জনতার রায় জানতে রাস্তাতেই ‘আদালত’ জুনিয়র ডাক্তারদের, চলছে ‘অভয়া ক্লিনিক’

    সিবিআই সূত্রে বক্তব্য

    অপর দিকে সিবিআইকে (CBI), নার্স যে বয়ান দিয়েছেন, সেই সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত ৯টা নাগাদ তাড়াহুড়ো করে রেজিস্ট্যান্স ওয়ার্ডে ঢোকেন জুনিয়র ডাক্তার। ফ্রিজ খুলে কিছু একটা খোঁজ করছিলেন তিনি। নার্স জানতে চাইলে জুনিয়র ডাক্তার বলেন, পিআরবিসি খুঁজছেন। এক রোগীকে দেবেন। যেহেতু শীতল পিআরবিসি চালানো যায় না, তাই রাত সড়ে ১০টা নাগাদ এসে পিআরবিসি চালান। রাত আড়াইটে পর্যন্ত চলে। এই সময়ের মধ্যে দু’বার রোগীর কাছে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর হাতে গ্লাভস ঠিকমতো পরা রয়েছে কিনা, তা জানতে চাইলে, নার্সকে জুনিয়র ডাক্তার বলেন, গায়ে রক্ত লেগে আছে, তাই স্নান করব। যদিও মাত্র আড়াই হাত দূরে থাকলেও নার্সের নজরে রক্ত আসেনি। তবে ওই ডাক্তার ট্রান্সফিউশন নোট দিয়েছিলেন (RG Kar Rape-Murder)। উল্লেখ্য ঠিক ওই সময়ের মধ্যে আরও এক জুনিয়র ডাক্তার ওই ওয়ার্ডে এসেছিলেন। তবে তা সাড়ে ১০টার আগের ঘটনা। নার্স জানতে চেয়েছিলেন, কে পিআরবিসি চালাবেন? কিন্তু জুনিয়র বলেন, আগেরজনই অর্থাৎ যাকে নার্স আগে কোনওদিন দেখেননি, তিনিই চালাবেন। বর্তমানে সেই জুনিয়র ডাক্তারের খোঁজ করছে সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: জনতার রায় জানতে রাস্তাতেই ‘আদালত’ জুনিয়র ডাক্তারদের, চলছে ‘অভয়া ক্লিনিক’

    RG Kar Protest: জনতার রায় জানতে রাস্তাতেই ‘আদালত’ জুনিয়র ডাক্তারদের, চলছে ‘অভয়া ক্লিনিক’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ড (RG Kar Protest) নিয়ে দেশজুড়ে প্রতিবাদ-আন্দোলন চলছে। জুনিয়র ডাক্তাররা রাস্তায় নেমে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে সোমবার আরজি কর-কর মামলার শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এই আবহের মধ্যে জনতার মতামত জানতে রাস্তাতেই ‘আদালত’ বসাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা (Juniro Doctor)। যা নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী কী প্রশ্ন রাখা হয়েছে? (RG Kar Protest)

    ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের তরফে নতুন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়। এমনিতেই আন্দোলন (RG Kar Protest) চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছুদিন ধরেই ‘অভয়া ক্লিনিক’- এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। জানা গিয়েছে, ৮ সেপ্টেম্বর, রবিবার জেলায় জেলায় সকাল ১০টা থেকে ‘অভয়া ক্লিনিক’- এর আয়োজন করা হয়েছে। সেই ‘অভয়া ক্লিনিক’ সংলগ্ন এলাকাতেই ‘আদালত’ বসাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাধারণ মানুষকে সেই ‘আদালতে’ উপস্থিত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসা করতে এদিন অনেকেই ভিড় করছেন। জনতার কাছে বেশ কিছু প্রশ্ন রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রথমেই জানতে চাওয়া হয়েছে, ‘আন্দোলন কোন পথে চলছে?’ একই সঙ্গে তাঁরা এই আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যেতে পারেন কি না। ‘অভয়া ক্লিনিক’ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় কি না, তা জানতে চান তাঁরা। পাশাপাশি, আন্দোলনরত চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে সাধারণ মানুষের মতামত এবং আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তে ‘পুলিশ এবং সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে’ সাধারণ মানুষ কী বলছে তা জানতে চান তাঁরা।

    আরও পড়ুন: চিনা রাষ্ট্রদূতের মুখে জামাত প্রশস্তি, বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা বেজিংয়ের!

    মানববন্ধন

    ‘অভয়া ক্লিনিক’ এবং ‘রাজপথে আদালত’ ছাড়াও রবিবার মানববন্ধনেরও (RG Kar Protest) ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। রবিবার বিকেল পাঁচটায় মানববন্ধন হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এ ছাড়াও, মধ্যরাতে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডে মহিলা চিকিৎসকের খুনের বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ। প্রায় প্রতি দিনই কোনও না কোনও কর্মসূচির আয়োজন করছেন। সেখানে শুধু চিকিৎসকেরা নন, সাধারণ মানুষও যোগ দিচ্ছেন। আন্দোলনকারীরা আশাবাদী, রবিবারের কর্মসূচিতে মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশ নেবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: ধর্ষণের পর স্কুলছাত্রীর মুখ থেঁতলে খুন, মুসলিম যুবককে ফাঁসির সাজা দিল শিলিগুড়ি আদালত

    Siliguri: ধর্ষণের পর স্কুলছাত্রীর মুখ থেঁতলে খুন, মুসলিম যুবককে ফাঁসির সাজা দিল শিলিগুড়ি আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ির (Siliguri) মাটিগাড়ায় নাবালিকা স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ফাঁসির সাজা দিল দার্জিলিং জেলা আদালত। ঠিক এক বছর ১৪ দিনের মাথায় সাজা ঘোষণা করা হল। শনিবার শিলিগুড়ির অতিরিক্ত নগর দায়রা আদালতের বিচারক অনিতা মেহেত্রা মাথুর এই সাজা ঘোষণা করেন। পক্সো আইনে মামলা হয়েছিল। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি মৃতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। শনিবার সাজা শোনার জন্য মৃতার পরিবার এবং প্রতিবেশীরা আদালতে হাজির হয়েছিলেন। অপরাধীকে পুলিশ আদালতে নিয়ে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Siliguri)

    আদালত (Court) সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে একদিন বিকেলের দিকে একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। পথে মহম্মদ আব্বাস নামে এক যুবক তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়। তাকে মাটিগাড়ার (Siliguri) জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল ওই মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতাকে যাতে চেনা না যায়, সে জন্য ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছিল তার মুখ। ওই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। ঘটনার পর পরই বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ায়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাংসদ রাজু বিস্তা, স্থানীয় বিধায়ক আনন্দ বর্মন সহ দলীয় নেতৃত্ব নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এমনকী রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে দোষীর শাস্তি হওয়ার আশ্বাস দিয়ে এসেছিলেন।

    আরও পড়ুন: চিনা রাষ্ট্রদূতের মুখে জামাত প্রশস্তি, বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা বেজিংয়ের!

    আদালতে কী হল?

    খুনের মামলায় একাধিক সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত (Siliguri)। অবশেষে সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে আব্বাসকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। সরকারি পক্ষের আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বিভিন্ন ঘটনার নজির তুলে ধরে অপরাধীর ফাঁসির পক্ষে সওয়াল করেন। অন্যদিকে, অপরাধীর আইনজীবী বুলা রায় জানান, তাঁর মক্কেলের বাড়িতে বৃদ্ধা মা রয়েছেন। তাঁর পরিবারের কথা ভেবে ফাঁসির আবেদন বিবেচনা করার আর্জি রাখেন তিনি। আব্বাসের বিরুদ্ধে ওঠা স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হয় বৃহস্পতিবারই। এরপরই শনিবার বিচারক ফাঁসির রায় দেন। সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “খুব গুরুত্ব সহকারে প্রতিটি হাজিরায় আদালতে বোঝাবার চেষ্টা করেছি যে, এটা অন্যান্য মামলার তুলনায় ভিন্ন একটি মামলা। এই মামলায় দোষীর ফাঁসি হওয়া উচিত। আমরা ফাঁসির আবেদন জানিয়েছিলাম। আদালত মূলত দুটি বিষয়েব ওপর নজর দিয়ে মৃত্যুদণ্ড দিল। প্রথমত খুন এবং দ্বিতীয়ত নাবালিকাকে ধর্ষণ।”

    নির্যাতিতার মা কী বললেন?

    সাজা ঘোষণার পরে নির্যাতিতার মা বলেন, “আদালতের এই রায়ে আমরা খুশি। আমার মেয়ে শান্তি পাবে। ওই লোকটির (দোষী) দু’জন স্ত্রী এবং সন্তান রয়েছেন। তার পরেও এমন কাজ! ওর ফাঁসিই হওয়া উচিত। প্রথম থেকেই মাটিগাড়া থানা এবং আদালতের উপর আমাদের ভরসা ছিল। সেই ভরসাই আমার মেয়েকে আজ বিচার পাইয়ে দিল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share