Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • VHP: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে জন্মাষ্টমীতে রাস্তায় নামছে ছোট ছোট ‘কৃষ্ণ’, উদ্যোগ ভিএইচপি-র

    VHP: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে জন্মাষ্টমীতে রাস্তায় নামছে ছোট ছোট ‘কৃষ্ণ’, উদ্যোগ ভিএইচপি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Issue) অভিনব প্রতিবাদ দেখা যাবে জন্মাষ্টমীতে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) উদ্যোগে রাস্তায় নামতে চলছে ছোট ছোট ‘কৃষ্ণ’। এই কচিকাঁচারাই সরব হবে বিচারের দাবিতে। প্রসঙ্গত, সোমবার (২৭ অগাস্ট) জন্মাষ্টমী তিথি রয়েছে, ঘটনাক্রমে সে দিনই আবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। সেই উপলক্ষেই সঙ্ঘ পরিবারের এই সংগঠন দেশজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে। বাংলায় ক্ষেত্রে নেওয়া হয়েছে এই অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচি। জন্মাষ্টমী তিথিতে তাই রাজ্যজুড়ে ‘বিচার চাই’ দাবিতে ছোট ছোট ‘কৃষ্ণ’দের মিছিল দেখা যাবে। তবে কৃষ্ণ সাজানোতেও বার্তা দিতে চায় পরিষদ। ব্রজের কৃষ্ণ নন, ‘বীর’ এবং ‘নারীর সম্ভ্রম রক্ষাকারী’ কৃষ্ণদের দেখা যাবে রাস্তায়। এ কৃষ্ণ কুরুক্ষেত্রের কৃষ্ণ। যাঁর একহাতে ছিল সুদর্শন চক্র এবং অন্য হাতে পাঞ্চজন্য শঙ্খ।

    কী বলছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)?

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ সম্পাদক শচীন্দ্রনাথ সিং সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গোটা দেশে নানা কর্মসূচি রয়েছে। তারই অঙ্গ হবে শ্রীকৃষ্ণের আহ্বান। ধর্মরক্ষার জন্য এখন তাঁকেই দরকার। সাধারণ মানুষের আন্দোলনে তাঁর শক্তিই প্রয়োজন। কারণ, মহাভারতে দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের চেষ্টা করা হলে তিনিই সহায় হয়েছিলেন। এখন নারীর সম্ভ্রমরক্ষার জন্য চাই জনতারূপী শ্রীকৃষ্ণকেই।’’

    সারদা মায়ের বাংলা এক মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে নারী নির্যাতনের নরক হয়ে উঠেছে

    ভিএইচপি নেতা (VHP) আরও বলেন, ‘‘বাঙালি শক্তির তুলনায় ভক্তিতে বেশি আশ্বাস রাখে। কিন্তু এখন যে পরিস্থিতি, তাতে রাধাকান্ত কৃষ্ণ নন, প্রয়োজন কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অর্জুনকে পথ দেখানো কৃষ্ণের। তাঁর সাধনা করতে হবে। এটাই আমরা বলতে চাই।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘নীতিশিক্ষার জন্য ধর্মস্থাপন প্রয়োজন। আমরা জানি, ধর্ম সংস্থাপনের জন্য যুগে যুগে অবতার রূপে ভগবান আসেন। সেই ‘সম্ভবামি যুগে যুগে’ মন্ত্র নিয়েই আমরা ধর্ম স্থাপনার আন্দোলন চাই। যা হলে নারীর উপরে নির্যাতন, নারীর অসম্মান বন্ধ হবে।’’ বাংলার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে শচীন্দ্রনাথ সিং বলেন, ‘‘গোটা দেশেই আমরা বাংলার (RG Kar Issue) কথা বলব। কী ভাবে সারদা মায়ের বাংলা এক মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে নারী নির্যাতনের নরক হয়ে উঠেছে, তা আমরা গোটা দেশকে জানাতে চাই।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: হাইকোর্টের নির্দেশ, আরজি কর দুর্নীতিকাণ্ডের সব নথি সিবিআইকে হস্তান্তর করল সিট

    RG Kar Case: হাইকোর্টের নির্দেশ, আরজি কর দুর্নীতিকাণ্ডের সব নথি সিবিআইকে হস্তান্তর করল সিট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবারেই আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Case) আর্থিক দুর্নীতি মামলার সমস্ত নথিপত্র সিবিআইয়ের (CBI) হাতে তুলে দিল রাজ্যের গঠিত সিট। উল্লেখ্য, হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় আগেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছিল, শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে এই নথি হস্তান্তর করতে হবে। সময় পেরনোর আগেই নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের অফিসে গিয়ে সব কিছু তুলে দেয় রাজ্য সরকারের গঠিত সিট।

    রাজ্যের উপর আস্থা নেই হাইকোর্টের (RG Kar Case)!

    প্রায় তিন বছরের বেশি সময় ধরে আর্থিক দুর্নীতির মামলা চলছিল আরজি করে (RG Kar Case)। তা নিয়ে গত সোমবার রাজ্য সরকার একটি সিট গঠন করেছিল। এই সিটের নেতৃত্বে ছিলেন আইপিএস প্রণব কুমার। এক সপ্তাহও যেতে পারল না, ঠিক তার মধ্যেই মামলা চলে গেল সিবিআইয়ের (CBI) হাতে। হাইকোর্টের নির্দেশে, মহিলা চিকিৎসক খুনের তদন্তও এখন করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রাজ্য পুলিশের সিটের উপর আর কোনও আস্থা যে নেই তা আরও একবার প্রমাণিত হল। যদিও আর্থিক দুর্নীতি তদন্ত মামলায় হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। কিন্তু এই আবেদন গ্রহণ করা হয়নি।

    আরও পড়ুনঃ আরজি কর ইস্যুতে রাজ্যজুড়ে বিজেপির থানা ঘেরাও, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, উত্তেজনা

    দুর্নীতিগ্রস্ত সন্দীপ ঘোষ

    শুক্রবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ একক বেঞ্চে বলেন, “একাধিক সংস্থা তদন্ত করলে বিষয়টি আরও জটিল ও সময়সাপেক্ষ হতে পারে। তাই আর্থিক দুর্নীতি মামলায় তদন্তভার সিবিআইকেই দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।” ইতিমধ্যে আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতালে ২০২১ সাল থেকে একাধিক আর্থিক দুর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। মৃতদেহ লোপাট থেকে টেন্ডার বিতরণ, ভর্তিতে দুর্নীতি সহ একাধিক বিষয়ে আর্থিক লেনদেনে নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। সব দুর্নীতির মাথায় যে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষই রয়েছেন, সেই দাবিও করেছে গেরুয়া শিবির।

    আরও অভিযোগ ছিল যে, সন্দীপ ঘোষ অসামজিক কাজে প্রত্যক্ষ মদত দিতেন এবং হাসপাতালকে দুর্নীতির আঁতুড়ঘরে পরিণত করেছিলেন। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে এই হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি আরও বলেন, “প্রথম দিন থেকেই ওঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এক সময় ছাত্ররা ওঁর বিরুদ্ধে অনশন আন্দোলন করেছিল। টাকা নিয়ে ছাত্রদের পাশ করানোর কাজে যুক্ত ছিলেন তিনি। তবে আবার টাকা না দিলে মিথ্যা কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার কুচক্রান্ত করতেন। জেলবন্দি করা উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: সিবিআইয়ে আস্থা, পড়ুয়াদের আন্দোলনে যোগ দিতে চান নির্যাতিতার বাবা-মা

    RG Kar Incident: সিবিআইয়ে আস্থা, পড়ুয়াদের আন্দোলনে যোগ দিতে চান নির্যাতিতার বাবা-মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে আন্দোলন চলছে। জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ না দিয়ে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আর এই আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন নিহত চিকিৎসকের বাবা-মা। সঙ্গে আরজি করে (RG Kar Incident) দালাল চক্র নিয়ে সরব হলেন। সিবিআইয়ের ওপর তাঁদের যে চরম আস্থা রয়েছে, সে কথাও তাঁরা প্রকাশ্যে জানান।

    আন্দোলনে যোগদান (RG Kar Incident)

    মেয়ের নৃশংস হত্যার পর কেটে গিয়েছে ১৪ দিন। সিবিআই তদন্তভার নেওয়ার পরও গ্রেফতার সেই একেতেই রয়ে গিয়েছে। সিবিআইয়ের কাছে নির্যাতিতার (RG Kar Incident) বাবা মায়ের আবেদন তারা আরও একটু তৎপর হোক তদন্তের ক্ষেত্রে। সেই সঙ্গে এদিন বাবা মা বলেন, ‘‘আন্দোলনরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের পাশে আমরা আছি। প্রয়োজনে আন্দোলনে (Agitation) যোগও দেব। আমরা মেয়ের খুনের বিচার চাই। নিরপেক্ষভাবে যে আমাদের ডাকবে তাদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেব।’’

    আরও পড়ুন: নেপালের বাস দুর্ঘটনায় মৃত ৪১ ভারতীয়, শোকবার্তা রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    পুলিশ নয়, সিবিআইয়ে আস্থা, জানালেন নির্যাতিতার বাবা-মা

    এদিন ফের একবার রাজ্যের সরকার এবং পুলিশের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। তাঁরা বলেন, ‘‘প্রশাসনের প্রথম থেকে যে গা ছাড়া মনোভাব ছিল সেটা সুপ্রিম কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে ধরেছে। সারা দেশ এবং পৃথিবীও সেটা জেনে গিয়েছে। যে অকুস্থল থেকে মেয়ের দেহ পাওয়া গিয়েছিল সেই ঘটনাস্থল থেকে তথ্য প্রমাণ কিছুটা নষ্ট করা হয়েছিল। তা না হলে সিবিআইয়ের এতদিন সময় লাগত না। আর সে কারণেই হয়ত পলিগ্রাফ টেস্টের মতো সিবিআই এখন অন্যভাবে তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করার চেষ্টা করছে। আসলে প্রথম থেকেই বিষয়টিকে গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। কাউকে আড়াল করা হচ্ছে প্রথম থেকেই বুঝতে পারছিলাম। খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আড়াল করা হচ্ছে। এমন কেউ জড়িত যে, তাকে আড়াল করার প্রয়োজন পড়ছে সরকারের। ঘটনার পর থেকে পুলিশ ও হাসপাতাল (RG Kar Incident) কর্তৃপক্ষ মিলে যে চক্রান্ত করেছিল তা এখন প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। আমাদের বলা হয়েছিল যে, কলকাতা পুলিশ পৃথিবী বিখ্যাত। কীরকম বিখ্যাত সেটা আজও আমরা বুঝতে পারিনি। রাজ্য সরকার দ্বিচারিতা করছে। আর পুলিশের ওপর আস্থা উঠে গিয়েছিল বলেই আমরা ভালো এজেন্সি দিয়ে তদন্ত চেয়েছিলাম। আমরা চাই সিবিআই ভালো এজেন্সি হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুক। আমরাও ধৈর্য্য হারাচ্ছি। ১৪ দিন হয়ে গেল এক সঞ্জয় রায় ছাড়া কোনও রেজাল্ট আমরা এখনও পাইনি। আমরা বলতে চাই সবাই আর একটু তৎপর হয়ে কাজ করুক।’’

    আরজি করে দালাল চক্র!

    নির্যাতিতার বাবা-মায়ের দাবি, ‘‘মেয়ের কাছেও শুনেছিলাম, বিভিন্ন জায়গা থেকে রোগী এসে ভর্তি হতে পারত না। দালালচক্র চলত। উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রেও দালালচক্র আছে। আমরা অনেক আগেই জেনেছি। অনেক বিষয় আছে, যা আলোচনা করা যাবে না। প্রশাসন এগুলো ভাল করে দেখুক। কোটি কোটি টাকার খেলা চলে। হাসপাতাল (RG Kar Incident) যারা পরিচালনা করে তারা জড়িত, প্রশাসন জড়িত। জুনিয়র ডাক্তারদের এ নিয়ে হতাশা আছে। কারণ প্রচুর পরিশ্রম করে তাঁদের সেই জায়গায় পৌঁছতে হয়। মেয়েকে নিয়ে কিছু অপপ্রচারও হচ্ছে। আমরা বলার পরে অনেকেই সমাজমাধ্যম থেকে পোস্ট সরিয়ে নিচ্ছে। প্রশাসনকে বলেছি, আমাদের মেয়েকে নিয়ে যেন ব্যবসা না হয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: আরজি করের করিডরে দাঁড়িয়ে সঞ্জয়! সেই অভিশপ্ত ভোরের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে

    RG Kar Incident: আরজি করের করিডরে দাঁড়িয়ে সঞ্জয়! সেই অভিশপ্ত ভোরের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে। বিচার চেয়ে লাগাতার আন্দোলন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই আবহের মধ্যে ৯ অগাস্ট আরজি করের অভিশপ্ত ভোরের সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage) প্রকাশ্যে এসেছে। সেই ফুটেজ নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    সিসি ফুটেজে কী দেখা যাচ্ছে?

    প্রকাশ্যে আসা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ভোর ৪টে ৩ মিনিট নাগাদ অভিযুক্ত সঞ্জয়কে চারতলার সিঁড়ি দিয়ে আসতে এবং যেতে দেখা গিয়েছে। তার গায়ে টিশার্ট এবং জিন্স রয়েছে। হাতে ঝুলছে হেলমেট। তার মানে বাইকে চেপে এসেছিল মূর্তিমান। গলায় হেডফোন। নির্লিপ্ত মুখে আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Incident) করিডরে প্রবেশ করছে সিভিক ভলান্টিয়ার। তবে, কি কলকাতা পুলিশ লেখা সেই বাইক? পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার দেহের কাছ থেকে উদ্ধার করে সংগ্রহ করা হয়েছিল হেডফোনের ছেঁড়া অংশ। সেই সূত্র ধরে কলকাতা পুলিশের ফোর্থ ব্যাটেলিয়নের ব্যারাক থেকে সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তদন্তকারীরা মনে করছেন, ফুটেজে ধৃতের গলায় যে হেডফোন ঝুলছে, তারই ছেঁড়া অংশ মিলেছিল ঘটনাস্থলে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage) পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে ৮ অগাস্ট রাতে একাধিক বার সঞ্জয় হাসপাতালে ঢুকেছিল এবং বেরিয়েছিল। তার মধ্যে রাত ৮টা নাগাদ সে চেতলার এক যৌনপল্লিতে গিয়েছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অতীতেও মহিলাদের সঙ্গে অভব্য ব্যবহার করার ‘রেকর্ড’ রয়েছে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের।

    আরও পড়ুন: নেপালের বাস দুর্ঘটনায় মৃত ৪১ ভারতীয়, শোকবার্তা রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    ফাঁসি দিলে দিন (RG Kar Incident)

    তদন্তকারীদের দাবি, এতবড় ঘটনার হওয়ার পরও সঞ্জয়ের মধ্যে অনুশোচনার লেশমাত্র ছিল না। এমনকী অভিযুক্ত একেবারে ভাবলেশহীন। রীতিমতো সে বলে দিচ্ছে, ফাঁসি দিলে দিন। এদিকে অভিযুক্তের পেশার বিষয়টি কার্যত এড়িয়ে গিয়েছিলেন পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। তবে, সূত্রের খবর, ওই যুবক কলকাতা পুলিশের আওতাধীন সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করত। আরজিকরে তার অবাধ যাতায়াত। যখন খুশি বের হত, যখন খুশি ঢুকত। কিন্তু অত রাতে আরজি করের (RG Kar Incident) সেমিনার হলে ঢুকে পড়ল, কেউ কিছু বলল না? তবে কি আরজি কর চালাচ্ছে এরাই? প্রশ্ন সাধারণ মানুষের। শুক্রবার ভোরে আরজিকরে ঢুকেছিল ওই অভিযুক্ত। সে ভেতরে ৩০-৩৫ মিনিট ছিল। পরে বেরিয়ে আসে।

    বিভ্রান্ত করছে ধৃত সিভিক

    হেফাজতে থাকাকালীন বার বার বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। সিবিআই (CBI) সূত্রে খবর, আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Incident) প্রবেশের কারণ, সময় নিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে ধৃত। সেমিনার হলের প্রবেশের কারণ নিয়েও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছে সে। যদিও সিবিআইয়ের হাতে ঘটনার রাতের সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage) রয়েছে। তাতে অভিযুক্তকে চারতলায় আসতে এবং যেতে দেখা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, বিভ্রান্তি কাটিয়ে সঠিক তথ্য উদ্ধার করতেই পলিগ্রাফ করতে চাইছেন তদন্তকারীরা। এদিকে ধৃতের সম্পর্কে তার প্রতিবেশীদের দাবি, সঞ্জয় এলাকায় সে নিজেকে কলকাতা পুলিশের কর্মচারী বলত। এও বলত যে, ও সব কিছু করতে পারে। মহিলাদের ওপর অত্যাচার করাটা তার কাছে কোনও ব্যাপার নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Rape-Murder: সুপ্রিম-শুনানিতে আরজি করকাণ্ডে উঠে এল এক মহিলার নাম! কে তিনি?

    RG Kar Rape-Murder: সুপ্রিম-শুনানিতে আরজি করকাণ্ডে উঠে এল এক মহিলার নাম! কে তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Rape-Murder) একাধিক প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর আসল কারণ ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) থেকে হাইকোর্টে একাধিক প্রশ্নে রাজ্য সরকার কাঠগড়ায়। হাসপাতালের অধ্যক্ষ এবং পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকাও বিচারকেদের ক্ষোভের মুখে পড়েছে। ঠিক এর মধ্যেই শীর্ষ আদালতের শুনানিতেই উঠে এসেছে এক মহিলার নাম। কে এই মহিলা?

    বিচারপতির ঠিক প্রশ্ন কী ছিল (RG Kar Rape-Murder)?

    সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) শুনানি চলাকালীন আইনজীবী কপিল সিব্বলকে বিচারপতি পার্দিওয়ালা প্রশ্ন করেন, “কে এই অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার (RG Kar Rape-Murder)? তিনি মহিলা না পুরুষ?” জবাবে আইনজীবী বলেন, “তিনি একজন মহিলা।” আবার বিচারপতি বলেন, “তাঁর আচরণ অত্যন্ত সন্দেহজনক। তিনি কেন এরকম আচরণ করলেন? সন্দেহ শুধু একটা বিষয়ে নয়, ময়নাতদন্ত হওয়ার পর কেন ইউডি কেস বা অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু করা হল? অস্বাভাবিক মৃত্যু না হলে ময়নাতদন্ত করলেন কেন?” উল্লেখ্য যাঁর সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্ট একথা বলেছে, তাঁর পক্ষে থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। কোন আচরণ ছিল তাও স্পষ্ট হয়নি। যদিও সিবিআইয়ের স্টেটাস রিপোর্ট দেখে বিচারপতি ওই প্রশ্ন করেছিলেন।

    আত্মহত্যার তত্ত্ব দেওয়া হয়েছিল

    মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যু (RG Kar Rape-Murder) নিয়ে প্রথমে যে আত্মহত্যার তত্ত্ব দিয়েছিলেন তিনি আর কেউ নন এই আরজি করের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার। ৯ অগাস্ট তিনি নির্যাতিতার বাড়িতে প্রথমে ফোন করে বলেছিলেন যে, তাঁদের মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। এই সংবাদ শুনে মৃতার মা-বাবা হাসপাতলে ছুটে যান। ফলে প্রশ্ন উঠছে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনাকে কীভাবে বললেন আত্মহত্যা! একই কথা সুপ্রিম কোর্টে শুনানির দিনেও উঠেছিল। তবে অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের নাম জানা যায়নি, শুধু পদ জানা গিয়েছেন এবং তিনি একজন মহিলা। মৃতার বাবা জানিয়েছেন, আরজি কর থেকে প্রথম ফোন ওই অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারই করেছিলেন। যদিও হাসপাতালে ৪-৫ জন রয়েছেন এই পদে। ফলে কে ফোন করেছিলেন সেই নাম এখনও সমানে আসেনি।

    আরও পড়ুনঃ প্রতিবেশী পার্থ-বালু, প্রেসিডেন্সি জেলের ‘পহেলা বাইশ’ সেলে ধৃত সঞ্জয়

    এফআইআর দেরিতে কেন?

    রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বলের পেশ করা নথি অনুযায়ী জানা গিয়েছে, একটি মুখবন্ধ খামে এমএসভিপি সঞ্জয় বশিষ্ঠ টালা থানাকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে বিভাগীয় চিকিৎসক সুমিত রায় তপাদারকে চেস্ট মেডিসিন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের পিজিটির দেহ (RG Kar Rape-Murder) উদ্ধারের কথা তিনি জানিয়েছিলেন। প্রশ্ন হল সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে ঘটনার কথা জানার পর দুপুর ২টো ৪৫ মিনিটে এফআইআর করার জন্য কেন আবেদন করা হল? এখানেই বড় প্রশ্ন। আবার ময়নাতদন্ত হয় সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিট থেকে ৭টা ১০ মিনিটের মধ্যে। রিপোর্ট অফিসিয়ালি আপলোড করা হয় রাত ১০টা ২৫ মিনিটে। আর এফআইআর হয় রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে। ফলে এতো সময় কেন বিলম্ব হল, এটাও একটা বড় প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Barasat: ‘‘বারাসত মেডিক্যালকে আরজি কর হতে দেব না’’, অধ্যক্ষকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান পড়ুয়াদের

    Barasat: ‘‘বারাসত মেডিক্যালকে আরজি কর হতে দেব না’’, অধ্যক্ষকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান পড়ুয়াদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদা মেডিক্যালের আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়ল এবার বারাসত (Barasat) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। আরজি করের সদ্য প্রাক্তন অধ্যক্ষ সুহৃতা পালকে বারাসত মেডিক্যালে বদলি করা হয়েছে। বারাসতে অধ্যক্ষ হিসেবে কাজে যোগ দিতেই তাঁর পদত্যাগ দাবি করে আন্দোলন শুরু করলেন চিকিৎসক পড়ুয়ারা। আরজি করে শীর্ষ পদাধিকারীদের যে সব মেডিক্যালে বদলি করা হচ্ছে, সেখানেই আন্দোলন হচ্ছে। ফলে, চরম বিড়ম্বনায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।

    বারাসতকে আরজি কর হতে দেব না (Barasat)

    বুধবার রাতের দিকে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানিয়েছিলেন, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের অধ্যক্ষের পাশাপাশি নবনিযুক্ত সুপার-কাম-ভাইস প্রিন্সিপাল (এমএসভিপি), চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধান এবং অ্যাসিসট্যান্ট সুপারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বারাসত (Barasat) মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে বুধবারই সুহৃতা পালের নাম ঘোষণা করা হয়। বিষয়টি জানার পরই তুমুল বিক্ষোভে ফেটে পড়েন পড়ুয়ারা। ফলে, বৃহস্পতিবার তিনি কাজে যোগ দেননি। শুক্রবার সকালের দিকে বারাসত মেডিক্যাল কলেজে এসে অধ্যক্ষ হিসেবে নিজের দায়িত্ব বুঝে নেন তিনি। কিন্তু, বিকেল গড়াতেই তাঁর অপসারণ চেয়ে একদল পড়ুয়া প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে জড়ো হয়ে যান হাসপাতালের গেটের সামনে। আওয়াজ তোলেন, ‘‘বারাসত মেডিক্যাল কলেজকে আরজি কর হতে দেব না। সুহৃতা পাল গো-ব্যাক। বারাসত ছেড়ে চলে যাক।’’ যদিও এনিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়াই দিতে চাননি অধ্যক্ষ সুহৃতা পাল।

    এর আগে, আরজি করের এক অধ্যাপক চিকিৎসককে মালদা মেডিক্যালে বদলি করা হয়। আর ওই চিকিৎসক যাতে কাজে যোগ দিতে না পারে, তার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে সেখানকার পড়ুয়ারা। সন্দীপ ঘোষকে নিয়েও এক পন্থা অবলম্বন করেছিলেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা। রাতারাতি ‘পুরস্কার বদলি’ করে ন্যাশনাল মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছিল আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে। এর পরই, ন্যাশনাল মেডিক্যালে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়। চিকিৎসক-পড়ুয়ারা জানিয়ে দিয়েছিলেন, সন্দীপকে তাঁরা সেখানে ঢুকতে দেবেন না। এমনকী, অধ্যক্ষের ঘরে তালাও লাগিয়ে দিয়েছিলেন পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি ছিল, ন্যাশনাল মেডিক্যালের পরিবেশ দূষিত হোক, তাঁরা চান না। মালদা মেডিক্যালে দেখা যায় একই চিত্র। এরার বারাসত মেডিক্যালও সেই ছবি।

    আরও পড়ুন: নেপালের বাস দুর্ঘটনায় মৃত ৪১ ভারতীয়, শোকবার্তা রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    আন্দোলনকারীরা কী বললেন?

    প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন চলাকালীন মধ্যরাতে বহিরাগত দুষ্কৃতীরা ঢুকে তাণ্ডব চালায় সেখানে। হামলায় রীতিমতো তছনছ হয়ে যায় আরজি কর হাসপাতালের বেশ কয়েকটি ঘর। সেই সময় আরজি করের অধ্যক্ষ হিসেবে সবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন সুহৃতা পাল। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের পরও সেদিন একবারের জন্যও হাসপাতালে দেখা যায়নি তাঁকে। তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। শুরু হয় তাঁর অপসারণ চেয়ে আন্দোলন। আন্দোলনের জেরে তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বারাসত (Barasat) মেডিক্যালের আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘‘আমরা ওই অধ্যক্ষকে চাই না। আর জি করে এতবড় কাণ্ড হল। তাঁকে দেখা যায়নি। এরকম অধ্যক্ষ আসলে এখানকার পরিবেশ নষ্ট হবে। আমরা তা হতে দেব না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: প্রতিবেশী পার্থ-বালু, প্রেসিডেন্সি জেলের ‘পহেলা বাইশ’ সেলে ধৃত সঞ্জয়

    RG Kar Incident: প্রতিবেশী পার্থ-বালু, প্রেসিডেন্সি জেলের ‘পহেলা বাইশ’ সেলে ধৃত সঞ্জয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের ঠাঁই হল প্রেসিডেন্সি জেলে। প্রসঙ্গত এই জেলেই রয়েছেন রাজ্যের দুই প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এবার তাঁদেরই প্রতিবেশী হল আরজি করের ধৃত সঞ্জয় রায়। আপাতত তার ঠিকানা হয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলের পহেলা বাইশ ওয়ার্ডের ২১ নম্বর সেলে। ওই ওয়ার্ডেরই দু’নম্বর সেলে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ২০২২ সালে গ্রেফতার করা হয়। পহেলা বাইশের পাঁচ নম্বর কুঠুরিতে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবিব নামে খুনে অভিযুক্ত এক বন্দি এতদিন থাকতেন পহেলা বাইশের ২১ নম্বর সেলে। ওই সেলই এবার বরাদ্দ করা হয়েছে সঞ্জয়ের জন্য। সে কারণে ইতিমধ্যেই হাবিবকে সরিয়ে নিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ।

    জেলে বিক্ষোভের মুখে পড়তে পারে সঞ্জয় (Sanjay Roy)?

    অন্যদিকে, অভিযুক্ত সঞ্জয়কে জেলে অন্যান্য বন্দিরা ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে পারে, সে আশঙ্কাও থেকেই যাচ্ছে। কারণ দু’বছর আগে গ্রেফতার হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এই ধরনের বিক্ষোভের মুখেই পড়তে হয়েছিল। তবে এই ধরনের সেলগুলির ওপর বাড়তি নজরদারি রাখে জেল কর্তৃপক্ষ। কুখ্যাত অভিযুক্তদেরই এই সেলে রাখা হয়। সর্বক্ষণ চলে সিসিটিভির নজরদারি। দেখা হয় বন্দিদের গতিবিধি। প্রসঙ্গত শুক্রবারই শিয়ালদা অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে সঞ্জয়কে (RG Kar Incident) তোলা হয়েছিল। সেখানেও কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে পুলিশ। এর পরে আদালত সঞ্জয়কে ১৪দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠায়।

    শুক্রবার জেলে সঞ্জয়ের দু’বার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় (RG Kar Incident)

    শুক্রবার সঞ্জয়কে কারাগারে নিয়ে আসার আগে জেল হাসপাতালে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। জেলের মেডিক্যাল টিম দ্বিতীয় দফায় (RG Kar Incident) ফের একবার পহেলা বাইশ ওয়ার্ডে সঞ্জয়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে। অন্যদিকে, অভিযুক্তের পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য আবেদন করেছিল সিবিআই। আদালত সেই আবেদনের সম্মতি দিয়েছে। খুন-ধর্ষণের মামলার পাশাপাশি আরজি করে সন্দীপ ঘোষের আমলে যে আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে, তারও তদন্ত এবার সিবিআইকে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ এই নির্দেশ দিয়েছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: আরজি কর ইস্যুতে রাজ্যজুড়ে বিজেপির থানা ঘেরাও, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, উত্তেজনা

    BJP: আরজি কর ইস্যুতে রাজ্যজুড়ে বিজেপির থানা ঘেরাও, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) ইস্যুতে বিজেপির (BJP) ডাকে শুক্রবার রাজ্যজুড়ে থানা ঘেরাওয়ের ডাক দেওয়া হয়েছিল। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের পর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। এদিন রাজ্যের সর্বত্র বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। অনেক জায়গায় পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়।

    নন্দীগ্রামে উত্তেজনা (BJP)

    থানা ঘেরাওয়ের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দেয় নন্দীগ্রামে। জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম থানায় ডেপুটেশন দিতে যান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশের তরফে বলা হয়েছিল, তারা একটি নির্দিষ্ট প্রতিনিধি দলকে থানায় প্রবেশের অনুমতি দেবে। কিন্তু বিজেপি কর্মীদের দাবি ছিল, তাঁরা সকলেই থানার ভিতরে ঢুকবেন। এরপর নন্দীগ্রাম থানার গেটের কাছে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের পুলিশ আটকে দেয়। তারপরই শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের তুমুল বচসা। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীদের একাংশ। পরে বিজেপি (BJP) কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে নন্দীগ্রাম থানার সামনে বিক্ষোভও দেখান। পরে অবশ্য বিজেপির একটি প্রতিনিধিদল থানায় ডেপুটেশন জমা দেয়।

    আরও পড়ুন: সন্দীপ, চার চিকিৎসক-পড়ুয়া কি সত্যি বলছেন? আজ হবে পলিগ্রাফ টেস্ট

    ঘোলায় ব্যারিকেড ভাঙল বিজেপি

    এদিন ঘোলা থানায় বিজেপির কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যোগ দেন। বিজেপি (BJP) কর্মীদের আটকাতে থানার অনেকটা আগে পুলিশ ব্যারিকেড তৈরি করে। কিন্তু, বিজেপি কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে থানার দিকে এগিয়ে যান। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দাগেন বিরোধী দলনেতা।

    মেদিনীপুরে বিক্ষোভ মিছিলে দিলীপ ঘোষ

    মেদিনীপুরে বিজেপির (BJP) থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যদিও শেষ পর্যন্ত থানা ঘেরাও না করে বিক্ষোভ মিছিল করে বিজেপি। সন্দীপ ঘোষের বয়ানে অসঙ্গতি নিয়ে প্রশ্ন করলে দিলীপ ঘোষ বলেন, “ওঁকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। ডাক্তার, প্রিন্সিপালও বাঁচাতে পারবেন না। এই নিয়ে অনেকবার রাস্তায় হেঁটেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার আর তাঁকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। একাধিক কারণে গ্রাম ও শহরের মানুষের জমে থাকা ক্ষোভ চোখে পড়ছে। তাই উকিল, ডাক্তার, সাধারণ মানুষ সকলেই প্রতিবাদে নেমেছেন। এর জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পতনের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।”

    টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ

    নন্দীগ্রাম, ঘোলা, মেদিনীপুরের পাশাপাশি কাঁকসা থানা ঘেরাও করে বিজেপি। কাঁকসার হাটতলা থেকে মিছিল করে আসে বিজেপি কর্মীরা, থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। থানায় ঢুকে ডেপুটেশন জমা দেয়। মাথাভাঙ্গা থানা ঘেরাও নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। পুলিশ-বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। মাটিগাড়ায় বিজেপি থানা ঘেরাও করে। থানার সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানার সামনে বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান।

    পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি

    চুঁচুড়া ঘড়ির মোড় থেকে মিছিল করে চুঁচুড়া থানার সামনে বিজেপি কর্মীরা যেতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি বেধে যায়। পশ্চিম বর্ধমানের বারাবানি থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মীরা। নিউ জলপাইগুড়ি থানা করেন অবরোধ বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে পড়লেন বিজেপি সমর্থকরা। এই ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। অন্য দিকে, আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে বীরভূমের সিউড়ির চৈতালি মোড়ে এদিন থেকে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করল বিজেপি। নেতৃত্বে বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা। দ্রুত তদন্ত ও দোষীদের কড়া শাস্তি চেয়ে এদিন মিছিল করেন সিউড়ির বিদ্যাসাগর কলেজের ছাত্রছাত্রী এবং অধ্যাপকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nabanna Abhijan: ‘নবান্ন অভিযান’ বাতিলের আবেদন খারিজ, হস্তক্ষেপই করল না হাইকোর্ট

    Nabanna Abhijan: ‘নবান্ন অভিযান’ বাতিলের আবেদন খারিজ, হস্তক্ষেপই করল না হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবান্ন অভিযান নিয়ে হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য। ২৭ অগাস্টের নবান্ন অভিযানে (Nabanna Abhijan) কোনও হস্তক্ষেপই করল না কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে, নবান্ন অভিযানে আপাতত আর বাধা রইল না। হাইকোর্ট (Kolkata High Court) জানিয়েছে, এই ধরনের মিটিং-মিছিল নিয়ে যে নির্দেশিকা রয়েছে, তা নিয়ে একটি হলফনামা দিতে হবে রাজ্যকে। চার সপ্তাহ পরে এই মামলার আবার শুনানির সম্ভাবনা। অভিযান বন্ধ করতে রাজ্যের পক্ষ থেকে যে আবেদন করা হয়েছিল, হাইকোর্টের পক্ষ থেকে তা খারিজ করে দেওয়া হল।

    হাইকোর্ট কী জানাল? (Nabanna Abhijan)

    জানা গিয়েছে, আরজি কর ইস্যুতে ২৭ অগাস্ট, মঙ্গলবার একটি সংগঠনের তরফে নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) ডাক দেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচি আটকাতে বৃহস্পতিবারই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। শুক্রবার নতুন করে হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা করা হয়। মামলাটি করেন আইনজীবী দেবরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। শুনানিতেই মামলার আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। মামলাকারীর তরফে প্রশ্ন করা হয়, তবে কি কর্মসূচিতে সবুজ সঙ্কেত দিচ্ছে আদালত? ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, কর্মসূচির বিষয়ে তারা হস্তক্ষেপ করবে না। রাজ্যের অভিযোগ ছিল, নবান্ন অভিযানের জন্য পুলিশের কাছ থেকে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। পুলিশের অনুমতি ছাড়া এই ধরনের কর্মসূচি কী ভাবে আয়োজন করা যায়, সেই প্রশ্নও আদালতে তোলা হয়েছিল। নবান্ন অভিযানের কর্মসূচিতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি যোগ দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল রাজ্য। ফলে, কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে অশান্তির আশঙ্কাও করা হয়েছিল। রাজ্যের আবেদন ছিল, পুলিশের অনুমতি নিয়ে বিকল্প জায়গায় কর্মসূচি করার নির্দেশ দিক আদালত। একইসঙ্গে আগামী ২৭ অগাস্ট ইউজিসির পরীক্ষার কথাও আদালতে উল্লেখ করে রাজ্য। মামলাকারীর তরফে জানানো হয়, অতীতে নবান্নের সামনে বিভিন্ন কর্মসূচিতে বার বার অশান্তি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এই কর্মসূচিতেও। কিন্তু আদালত এই কর্মসূচিতে হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানায়। প্রতিবাদ কর্মসূচি সংক্রান্ত নির্দেশিকা নিয়ে হলফনামা রাজ্যকে দিতে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সন্দীপ, চার চিকিৎসক-পড়ুয়া কি সত্যি বলছেন? আজ হবে পলিগ্রাফ টেস্ট

    সুপ্রিম কোর্টেও নবান্ন অভিযান প্রসঙ্গ

    বৃহস্পতিবারই আরজি কর সংক্রান্ত মামলা চলাকালীন এই নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) প্রসঙ্গ তোলেন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বক্তব্য ছিল, আমরা এ বিষয়ে কেন বলব? আইন নিজের পথে চলবে। কিন্তু শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে কোনও ভাবেই বাধা দেওয়া যাবে না। যাঁরা প্রতিবাদ করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। তবে নির্বিচারে গ্রেফতারও চলবে না, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • OBC List in Bengal: ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই একাধিক মুসলিম শ্রেণিকে ‘ওবিসি’ তকমা! সুপ্রিম কোর্টে ‘স্বীকার’ রাজ্যের

    OBC List in Bengal: ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই একাধিক মুসলিম শ্রেণিকে ‘ওবিসি’ তকমা! সুপ্রিম কোর্টে ‘স্বীকার’ রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্ট ২০১০ সালের পর থেকে পাওয়া রাজ্যের সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট (OBC List in Bengal) বাতিল করে দিয়েছে। ঘটনাচক্রে, ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। ফলে আদালতের নির্দেশ মূলত কার্যকর হতে চলেছে তৃণমূল আমলে ইস্যু করা ওবিসি শংসাপত্রের উপরেই। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে গিয়েছে রাজ্য। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) রাজ্য সরকার এ নিয়ে হলফনামা জমা দেয়। সেই হলফনামায় উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেখা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি মুসলিম জাতিকে ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে! এমনকী, অনেককে তো আবেদনের আগেই অন্তর্ভুক্ত করেছে রাজ্য সরকার! অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস প্রশাসন যে ৭৭টি জাতিকে ওবিসি শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এদের মধ্যে ৭৫টি মুসলিম সম্প্রদায়।

    জটিল তিন-স্তরের অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া 

    সরকার দাবি করেছে যে, ওবিসি তালিকা (OBC List in Bengal) সম্প্রসারণ একটি জটিল তিন-স্তরের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়েছে, যার মধ্যে দুটি জরিপ এবং অনগ্রসর শ্রেণির কমিশনের একটি শুনানি অন্তর্ভুক্ত ছিল। সাধারণত, ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য প্রথম ধাপে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আবেদন করতে হয়।শ্রেণি, জনসংখ্যা, বসবাসের স্থান, শিক্ষাগত যোগ্যতা, আর্থিক অবস্থার মতো বিভিন্ন তথ্য দিতে হয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে। সেই আবেদনপত্র পাওয়ার পরে সমীক্ষা চালায় কমিশন। 

    জানা গিয়েছে, কিছু মুসলিম গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে সম্পন্ন হয়েছে, যা সরকারের জটিল কাজের প্রকৃতি বিবেচনায় কার্যত অসম্ভব। হাইকোর্ট জানিয়েছিল, ২০১০ সালের পরে যে সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট তৈরি করা হয়েছে, তা যথাযথ আইন মেনে বানানো হয়নি। এর ফলে বাতিল হয়ে গিয়েছে পাঁচ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট, যার অধিকাংশই মুসলিম সম্প্রদায়ের।

    কবে থেকে শুরু

    প্রসঙ্গত, রাজ্যে মুসলিমদের ওবিসি সংরক্ষণের (OBC List in Bengal) আওতায় আনা হয়েছিল বামফ্রন্ট জমানায়। এরপর পশ্চিমবঙ্গে ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল সরকার। আদালত জানিয়েছে, মূলত ‘নির্বাচনি মুনাফার’ জন্য ওই ৭৭টি শ্রেণিকে ওবিসি তালিকায় যোগ করা হয়েছিল। যা শুধুমাত্র সংবিধানের লঙ্ঘনই নয়, মুসলিমদের অবমাননাও। ২০০৯ সালের ১৩ নভেম্বর খোট্টা মুসলিম সম্প্রদায় আবেদন করে এবং সেদিনই তারা ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। একইভাবে, ২০২০ সালের ২১ এপ্রিল জমাদার মুসলিম গোষ্ঠী আবেদন করে এবং সেদিনই তাদের ওবিসি শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এছাড়া, গায়েন এবং ভাটিয়া মুসলিম গোষ্ঠীর ক্ষেত্রেও একইভাবে দ্রুত অন্তর্ভুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে, সাব-ক্যাটাগোরাইজেশন জরিপ এমন গোষ্ঠীগুলোর জন্যও সম্পন্ন হয়েছে, যারা এখনও কমিশনের কাছে আবেদনই করেনি। যেমন, কাজি, কোটাল, হাজারি, লায়েক, খাস এবং কিছু অন্যান্য মুসলিম গোষ্ঠীর জন্য জরিপ ২০১৫ সালের জুনে সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু তাদের আবেদন অনেক পরে জমা দেওয়া হয়।

    কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

    এই বছরের মে মাসে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ বাম ও তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের দ্বারা ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ওবিসি শংসাপত্র (OBC List in Bengal) জারি করা ৭৭টি গোষ্ঠীর শংসাপত্র বাতিল করে। বিচারকরা লক্ষ্য করেন যে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০০৬ সালের সাচার কমিটির রিপোর্ট “বিস্তৃতভাবে” ব্যবহার করেছে, যা মুসলিমদের পিছিয়ে থাকার প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু আদালত এই রিপোর্টের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, অনগ্রসর জাতির তালিকায় নতুন ভাবে কয়েকটি সম্প্রদায়কে অন্তুর্ভুক্ত করা এবং ওবিসি শংসাপত্র জারি করার ক্ষেত্রে অনগ্রসর জাতি সংরক্ষণ আইন মানা হয়নি। নিয়মমাফিক জাতিগত সমীক্ষা হয়নি, খসড়া তালিকা সামনে আসেনি, কোন রিপোর্টের ভিত্তিতে এই সংরক্ষণ তাও জানানো হয়নি। কেন কয়েকটি শ্রেণিকে ওই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হল, সে বিষয়েও সঠিক তথ্য পেশ করতে পারেনি রাজ্য সরকার।

    আরও পড়ুন: ‘শান্তির সেতুবন্ধনই লক্ষ্য ভারতের’, কিয়েভে বার্তা মোদির, আজই জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক

    বিতর্কের পটভূমি

    ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে ২০১০ সালের বাম জমানায় সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। ওই বছর মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর জন্য তখন ক্ষমতায় থাকা বামপন্থীরা ‘ওবিসি-এ’ ক্যাটেগরি তৈরি করেছিল। সে সময় অনগ্রসর জাতি (OBC List in Bengal) কমিশনের তরফে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির তালিকায় ৪২টি শ্রেণিকে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ জানানো হয়। এর মধ্যে ৪১টি ছিল মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্তর্গত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরর সরকার ক্ষমতায় এলে ওবিসি-এ এবং ওবিসি-বি ক্যাটেগরি মিলিয়ে আরও ৩৭টি শ্রেণিকে ওই তালিকায় যোগ করে। এই পদক্ষেপ নেওয়া হয় ২০১২ সালে। যার মধ্যে ৩৫টি মুসলিম জাতি-গোষ্ঠী। এরাই পরবর্তী সময়ে ভোট রাজনীতির কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share