Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • RG Kar Hospital: আরজি কর কাণ্ডে রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতি-বিক্ষোভ চিকিৎসকদের, আঁচ দিল্লিতেও

    RG Kar Hospital: আরজি কর কাণ্ডে রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতি-বিক্ষোভ চিকিৎসকদের, আঁচ দিল্লিতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজিকর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের (Doctor Rape-Murder Incident) ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ-কর্মবিরতিতে সামিল হয়েছেন রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের (State Government Hospital) জুনিয়র চিকিৎসকরা। শুধু তাই নয়, খাস কলকাতার বুকে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনার আঁচ পড়তে দেখা গিয়েছে দিল্লিতেও। এই ঘটনায় স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে দিল্লি এইমস রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন।

    অন্যদিকে, চণ্ডীগড়ের রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনও এমন ঘটনায় (RG Kar Hospital) উদ্বেগপ্রকাশ করে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে।  এর পাশাপাশি, মহিলা চিকিৎসকদের শুধুমাত্র দিনের বেলায় ডিউটি দিতে হবে এমন দাবিও করেছে তারা। এরই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ প্রভাবিত চিকিৎসক সংগঠন, ‘ন্যাশনাল মেডিক্যাল অর্গানাইজেশন’ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছে এবং চিকিৎসকদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে তারা।

    নির্ভয়াকাণ্ডের থেকেও নৃশংস ঘটনা (RG Kar Hospital)

    পেডিয়াট্রিক সার্জারি অ্যাসোসিয়েশন এই ঘটনাকে নির্ভয়াকাণ্ডের থেকেও নৃশংস বলে দাবি করে মহিলা চিকিৎসকদের জন্য নিরাপদ পরিবেশের দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে, রাজ্যের মধ্যে কলকাতা সমেত জেলায় জেলায় মেডিক্যাল কলেজগুলিতে এদিন দিনভর প্রতিবাদ-কর্মবিরতি চলছে। আন্দোলনকারী (Doctor Rape-Murder Incident) ডাক্তারি পড়ুয়া ও জুনিয়র চিকিৎসকেদর সাফ কথা, ‘‘আমরা রাত জেগে রোগীদের জীবন রক্ষা করব, অথচ আমাদের নিজেদের জীবনের কোনও সুরক্ষা থাকবে না? আগে তা নিশ্চিত করতে হবে। তবেই বিক্ষোভ প্রত্যাহার।’’

    কলকাতায় চলছে বিক্ষোভ-কর্মবিরতি (Doctor Rape-Murder Incident)

    নৃশংস এই ঘটনায় (RG Kar Hospital) ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ জানিয়েছেন, দোষীর উপযুক্ত শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত কাজে যোগদান করবেন না তাঁরা। কলকাতা থেকে জেলা সর্বস্তরে চিকিৎসকদের হাতে এদিন রয়েছে পোস্টার, তাতে লেখা ‘বিচার চাই’। কলকাতা মেডিকেল কলেজেও বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা (Doctor Rape-Murder Incident)। একই ছবি দেখা গিয়েছে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, শিশু মঙ্গল হাসপাতাল, সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ ও নীলরতন সরকার হাসপাতালেও। সর্বত্র প্রতিবাদ-কর্মবিরতি চলছে।

    নিজেদের নিরাপত্তা ও ঘটনার দোষী বা দোষীদের কঠোর সাজা দাবি করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা

    কলকাতা মেডিকেল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকরা রোগীর পরিবার-পরিজনদের এদিন সাফ জানিয়ে দেন যে, তাঁরা কোনও রকমের চিকিৎসা পরিষেবা দেবেন না। কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, হাসপাতালের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে হবে রাতে, সেই সঙ্গে মৃত তরুণীর (RG Kar Hospital) জন্য উপযুক্ত তদন্ত ও অভিযুক্ত বা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজেও হাতে পোস্টার হাতে বসে পড়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।

    অন্যদিকে, শিশুমঙ্গল হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা এদিন সকাল থেকেই বিক্ষোভ-কর্মবিরতিতে সামিল হয়েছেন (Doctor Rape-Murder Incident)। তাঁদের হাতেও রয়েছে পোস্টার। হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং নিয়ম আরও কঠোর করার দাবি জানিয়েছেন শিশুমঙ্গল হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা। এর পাশাপাশি, তাঁরা জানিয়েছেন যে এই ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে দোষী বা দোষীদের। এছাড়া,  সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং এনআরএস-এর জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতি-বিক্ষোভ অবস্থানে (RG Kar Hospital) নিজেদের নিরাপত্তা ও ঘটনার দোষী বা দোষীদের কঠোর সাজা দাবি করছেন।

    জেলাগুলিতেও চলছে প্রতিবাদ-কর্মবিরতি 

    অন্যদিকে জেলার হাসপাতালগুলিতেও দেখা যাচ্ছে একই চিত্র। প্রতিবাদ-কর্মবিরতি চলছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজে, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সর্বত্র। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে বহির্বিভাগও বন্ধ করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। কমবেশি প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজের আন্দোলনকারীদের বক্তব্য একই, দোষীদের অবিলম্বে চিহ্নিত করতে হবে এবং কঠোর সাজা (RG Kar Incident) দিতে হবে। একইসঙ্গে হাসপাতালে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিও জানিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।

    কী বলছেন জেলার মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা?

    বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘‘ডাক্তারদের মারধর, অসম্মান এত দিন আমরা সহ্য করেছি। কিন্তু এই ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। অবিলম্বে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যত ক্ষণ না তা হচ্ছে, বহির্বিভাগের পরিষেবা বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি পরিষেবা খোলা আছে। আমরা বিচার চাই।’’ তবে এমন আন্দোলনের প্রভাব দেখা গিয়েছে চিকিৎসা পরিষেবাতেও। জরুরি বিভাগ খোলা থাকলেও কর্মবিরতির কারণে কোথাও জুনিয়র চিকিৎসকরা কাজে যোগ দেননি।

    কী বলছেন আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসরা? 

    আরজি করের এক জুনিয়র চিকিৎসকের কথায়, ‘‘আমাদের কোনও নিরাপত্তা নেই এখানে। গত দিনের ঘটনার পর আমরা ভয়ে আছি। আমাদের পরিবার চিন্তায় আছেন। আমাদের এক জনকে হাসপাতালের মধ্যে ধর্ষণ করে খুন করে ফেলে দেওয়া হল। তার পরেও কীভাবে আমরা এই হাসপাতালে কাজ করব?’’ অন্য এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘‘ওঁর সঙ্গে যা হয়েছে, আগামী দিনে তা আমার সঙ্গেও হতে পারে। আমরা এখানে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করি। নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে, দোষীদের কঠোর শাস্তি না হলে আমরা কাজে ফিরব না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Medical College: তদন্ত কমিটিতে ইন্টার্ন! আরজি করে ছাত্রী খুনের ঘটনায় সিবিআই দাবি শুভেন্দুর

    RG Kar Medical College: তদন্ত কমিটিতে ইন্টার্ন! আরজি করে ছাত্রী খুনের ঘটনায় সিবিআই দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Medical College) ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালের পক্ষ থেকে যে ১১ জনের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, ওই ১১ জনের কমিটিতে কয়েকজন ইন্টার্ন ডাক্তারও রয়েছেন। যাঁরা রেজিস্টার্ড ডাক্তারই নন, তাঁরা কী করে এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় তদন্তভার পেতে পারে, প্রশ্ন তুলে গোটা ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে শুক্রবার রাতে টুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা। 

    তদন্ত কমিটি নিয়ে প্রশ্ন 

    বিরধী দলনেতা শুভেন্দুর অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠনের নামে আদতে অভিযুক্তদের আড়াল করা হতে পারে। এক্স হ্যান্ডলে বিরোধী দলনেতার পোস্ট, রাজ্য সরকার ১১ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আশ্চর্যজনকভাবে এই কমিটিতে কয়েকজন ইন্টার্ন রয়েছেন। আমার ধারণা, রাজ্য সরকার নিজেদের গাফিলতি ঢাকতে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে অথবা তারা বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে নারাজ। সরকারি হাসপাতালে (RG Kar Medical College) কীভাবে এমন মৃত্যুর ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছে বিরোধীরা। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। লেখেন, ‘‘ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপরাধ লুকাতে চেষ্টা করছে বলেও সরাসরি তোপ দাগেন তিনি। এর খানিকক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পড়ুয়াদের সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল হন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। 

    সিবিআই তদন্তের দাবি (CBI Investigation)

    আরজি করে (RG Kar Medical College) ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় সরাসরি সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সংশ্লিষ্ট ঘটনাটির প্রসঙ্গে শুভেন্দুর বক্তব্য, ‘‘এমন ঘটনা কখনও এই রাজ্যে হয়নি। আমরা রাজ্যের মানুষের সঙ্গে আছি। শীঘ্রই এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দরকার।’’ আন্দোলনকারী মেডিক্যাল পড়ুয়াদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে শুভেন্দুর অভিযোগ, রাজ্য নাম কা ওয়াস্তে তদন্ত কমিটি গঠন করে ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে চাইছে। তাই সিবিআই তদন্ত হওয়া জরুরি। মেডিক্যাল পড়ুয়াদের এ ব্যাপারে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন তিনি। রাজ্য সরকার এই ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে না দেয় তাহলে পরিবারকে শুভেন্দু অধিকারীর পরামর্শ, ‘‘আপনারা আদালতের দ্বারস্থ হন।‌ আমরা পাশে থাকব।’’

    কী ঘটেছিল (RG Kar student death)

    শুক্রবার, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (RG Kar Medical College) মহিলা চিকিৎসক পড়ুয়ার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। তিনি চেস্ট ডিপার্টমেন্টের পোস্ট গ্রাজুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। ডিপার্টমেন্টের সেমিনার রুম থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। দেহের পাশে মোবাইল, ল্যাপটপ, ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহ মাটিতে পড়ে ছিল সংজ্ঞাহীন অবস্থায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্নাতকোত্তর স্তরে দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া ওই ছাত্রী বৃহস্পতিবারও রাত ২টো পর্যন্ত হাসপাতালের ওয়ার্ডে ডিউটি করেন। পরে কর্মরত আরও দুই জুনিয়র ডাক্তারের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া সেরে পড়াশোনার জন্য সেমিনার হলে চলে যান ওই তরুণী। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পড়ুয়ার দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়াও অর্ধনগ্ন অবস্থায় তাঁকে পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। মৃতের চিকিৎসক বন্ধুদের অভিযোগ, তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: পিএম আবাস যোজনায় তিন কোটি অতিরিক্ত বাড়ির অনুমোদন মোদি মন্ত্রিসভার

    কেন সিবিআই (RG Kar student death)

    ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও প্রকাশ্যে না এলেও পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, মৃত ডাক্তারি ছাত্রীর যৌনাঙ্গ-সহ দেহের বিভিন্ন অংশে অন্তত ১০টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘শারীরিক নির্যাতন করে তরুণী ডাক্তারি পড়ুয়াকে খুন করা হয়েছে। ধর্ষণের সম্ভাবনার বিষয়টিও সামনে আসছে। সে কারণেই সিবিআই তদন্তের দাবি।’’ পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তের নামে অভিযুক্তদের আড়াল করার অভিযোগ এনেছেন বিজেপি বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পাল, কাউন্সিলর সজল ঘোষ, আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীরা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর কথায়, ‘‘আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে (RG Kar Medical College) এইভাবে শিক্ষার্থী পড়ুয়া ডাক্তারকে, শারীরিক অত্যাচার করে খুন করা, এটা তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনকালে আইনশৃঙ্খলার অবনতির বড় প্রমাণ, আমি গোটা রাজ্যের ছাত্র সমাজকে বলছি, মাঠে নামুন। প্রয়োজনে পতাকা ছাড়া নামুন। পুরো রাজ্যের মানুষ আপনাদের সঙ্গে আছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: মুখে ‘জয় শ্রীরাম’, নদী পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা বাংলাদেশিদের, রুখল বিএসএফ

    Bangladesh Crisis: মুখে ‘জয় শ্রীরাম’, নদী পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা বাংলাদেশিদের, রুখল বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। গত জুলাই মাস থেকে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি দেশজুড়ে। হাসিনা পদত্যাগ করার পর লাগামছাড়া অত্যাচার শুরু হয়েছে হিন্দুদের ওপর। আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীরা আতঙ্কিত। এই আবহের মধ্যে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় চেয়ে সীমান্তে জড়ো হচ্ছেন শ’য়ে শ’য়ে মানুষ। সকলেই ভারতে আশ্রয় চান। তাঁদের সীমান্তেই আটকে দিয়েছে বিএসএফ। তবে, জিরো পয়েন্টে দাঁড়িয়েই থাকেন ওই শরণার্থীরা। কেউ কেউ আওয়ামি লিগের নাম নিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন। কেউ কেউ ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেন। শুক্রবার এমনই দৃশ্য চোখে পড়ল কোচবিহারের (Cooch Behar) শীতলখুচির পাঠানটুলি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে।

    সীমান্তে ভিড় শ’য়ে শ’য়ে বাংলাদেশির (Bangladesh Crisis)

    বুধবার জলপাইগুড়ির বেরুবাড়িতে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) সীমান্তে জড়ো হয়েছিলেন অনেক মানুষ। ওই স্থানে কাঁটাতার নেই। বিএসএফ জানায়, তাঁরা জিরো পয়েন্টে অপেক্ষা করছিলেন। সকলে ভারতে ঢোকার অনুমতি চান। যদিও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে কথা বলে তাঁদের ফেরত পাঠায় বিএসএফ। শুক্রবার দেখা যায়, আরও বেশি সংখ্যক মানুষ বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আসার জন্য শীতলখুচির পাঠানটুলিতে জড়ো হয়েছেন। বিএসএফ অবশ্য তাঁদের সীমান্তের ফেন্সিংয়ের আগেই আটকে রাখে। তখনই জিরো পয়েন্টে মাটিতে বসে হাসিনার সরকারের সমর্থনে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। বিএসএফ সূত্রে খবর, বাংলাদেশের লালমণিরহাট জেলার গাইবান্দা, পশ্চিম গোতামারি, পূর্ব গোতামারি, ডাকুয়াটারি এলাকা থেকে ওই বাসিন্দারা এসেছেন।

    ‘জয় ভারত মাতা’, ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি

    শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বাংলাদেশি সীমান্তের পাশে ডাকুয়াটারির খর্ব নদীর পারে জমায়েত হন ওই বাংলাদেশিরা। নদীর জলে নেমে হাসিনার সমর্থনে স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি ওই বাংলাদেশিরা ‘জয় ভারত মাতা’, ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে থাকেন। কেউ কেউ চিৎকার করে বলেন, ‘‘বাড়ির মা, বোনেদের তুলে নিয়ে চলে যাচ্ছে।’’ শেষ পর্যন্ত অবশ্য ভারতে প্রবেশ করতে পারেননি তাঁরা। সীমানায় মোতায়েন থাকা বিএসএফের ১৫৭ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা তাঁদের জিরো পয়েন্টে আটকে দেন। পরে বিএসএফ একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওই স্থানে প্রায় হাজার জন ছিলেন। প্রত্যেকে ভারতে ঢুকতে চান। তবে, জওয়ানেরা তাঁদের কর্তব্যে অবিচল ছিলেন। তাঁরা বিজিবি-র সঙ্গে কথা বলে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেন ওই বাংলাদেশি (Bangladesh Crisis) নাগরিকদের।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আক্রান্ত হিন্দুরা, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন মোদি সরকারের

    সীমান্তে বিএসএফ-এর সঙ্গে সেনাও মোতায়েন

    গৌড়বঙ্গের মালদা-দিনাজপুর ও প্রায় ৭০০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। সেই সব এলাকাতেও সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় আশঙ্কা রয়েছে ভারতে অনুপ্রবেশেরও। সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে বিএসএফ জওয়ানের সংখ্যা। এতেও সন্তুষ্ট নয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তাই মালদা ও দুই দিনাজপুর জেলার সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে ভারতীয় সেনাও। তিন জেলায় নিযুক্ত বিএসএফের ব্যাটালিয়নকে হেলিপ্যাড তৈরি রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। এ নিয়ে রাজ্য পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগকেও সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। উত্তরবঙ্গে সীমান্তে এখন বাংলাদেশি (Bangladesh Crisis) নাগরিকরা জড়ো হয়েছেন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সীমান্তগুলি কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার (Cooch Behar), উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে মালদা, সমস্ত জেলায় বিএসএফ-এর পাশাপাশি সেনাও মোতায়েন করা হয়েছে কিছু সীমান্তে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও। দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি, মালদার মহদিপুর ও উত্তর দিনাজপুরের রাধিকাপুর সীমান্তে দল গঠন করে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সেনার দলগুলি সীমান্তে অস্থায়ী ছাউনিতে থাকছে। তেমন কোনও ঘটনা ঘটলে যাতে দ্রুত মোকাবিলা করা যায় তার জন্যই আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: মন্দির তৈরিতে বিজেপি কর্মীদের বাধা দিল তৃণমূল! বাড়ি ভাঙচুর, হামলা

    South 24 Parganas: মন্দির তৈরিতে বিজেপি কর্মীদের বাধা দিল তৃণমূল! বাড়ি ভাঙচুর, হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন মিটে গেলেও রাজনৈতিক অশান্তি অব্যাহত। এর আগেও একাধিকবার বিরোধীদের ওপর আক্রমণের খবর সামনে এসেছে। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মথুরাপুরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর দক্ষিণ গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষ্ণরামপুরে সকাল থেকেই বিজেপি কর্মী-‌সমর্থকদের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    শুক্রবার সকালে বিজেপির (BJP) কর্মী-সমর্থকরা কৃষ্ণরামপুরে (South 24 Parganas) একটি মন্দির তৈরি করছিলেন। মন্দির করতে তৃণমূলের নেতাদের অনুমতি নিতে হবে। বিজেপি কর্মীরা সেটা করেননি। এটাই অপরাধ! আর অনুমতি ছাড়া মন্দির তৈরি করার জন্য তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাঁশের লাঠি, রড নিয়ে বিজেপি কর্মী-‌সমর্থকদের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তাঁদের মারধর করা হয়। ভয়ে বিজেপি কর্মী-‌সমর্থকরা বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে এই এলাকার প্রায় ৪০টি বিজেপি সমর্থিত বাড়িতে একাধিকবার হামলা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের কর্মী-‌সমর্থকদের বিরুদ্ধে। পুলিশকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে  যখন মন্দির ভাঙার ঘটনা ঘটছে, তখন এই বাংলায় মন্দির তৈরিকে কেন্দ্র করে এইভাবে বিজেপি কর্মীদের ওপর আক্রমণ কীসের ইঙ্গিত দিচ্ছে, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন? জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় মথুরাপুর থানার পুলিশ উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে গোটা বিষয়ের তদন্তের শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: আজ দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে নাগ পঞ্চমী, জানুন পৌরাণিক কাহিনী

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    মথুরাপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মানবেন্দ্র হালদার বলেন, বিষয়টি জমি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ। এরসঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপি রাজনীতির রং দেওয়ার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে, মথুরাপুর ১ নম্বর ব্লকের বিরোধী দলনেতা প্রবীর বৈদ্য বলেন, এই ছবিটা শুধুমাত্র মথুরাপুরের নয়, গোটা রাজ্য জুড়েই তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনীরা বিজেপির (BJP) ওপরে হামলা চালাচ্ছে। এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। মন্দির তৈরিতেও তৃণমূল বাধা দিচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। তৃণমূলের লোকজন হামলা চালানোর পর উল্টে আমাদের কর্মীদের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। হামলাকারীদের সকলকে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Asansol Protest Rally: ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নৃশংসতা, প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন এপারের হিন্দুরা

    Asansol Protest Rally: ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নৃশংসতা, প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন এপারের হিন্দুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশ। দেশজুড়ে হিন্দু নিধন ষজ্ঞ চলছে। বুধবার কলকাতার রাজপথে প্রতিবাদ মিছিল বেরিয়েছিল। আর শুক্রবার আসানসোলের (Asansol Protest Rally) রাজপথ জুড়়ে প্রতিবাদে ফেটে পড়লেন হিন্দু জাগরণ মঞ্চের (Hindu jagran Manch) কর্মী-সমর্থকরা। তবে, শুধু সংগঠনের সদস্যরা নয়, তার বাইরে সাধারণ মানুষও প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হয়েছিলেন। ওপার বাংলার হিন্দুদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন এপারের হিন্দুরা।

    কী বললেন হিন্দু জাগরণ মঞ্চের নেতা? (Asansol Protest Rally)

    এদিন আসানসোল (Asansol Protest Rally) গির্জা মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়। পরে, হটন রোড হয়ে আশ্রমমোড় শনিমন্দিরে গিয়ে মিছিল শেষ হয়। এদিন মিছিলের শুরুতে কয়েকশো কর্মী-সমর্থকের ভিড় ছিল। মিছিল কয়েক পা এগোতেই কাতারে কাতারে মানুষ মিছিলে যোগ দেন। মিছিলে হাঁটা কর্মী-সমর্থকদের হাতে একাধিক পোস্টার ছিল। পোস্টারে লেখা, ‘বিশ্বের হিন্দু এক হও’, ‘বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচার মানছি না, মানব না’, ‘দিন বদলের সময় হয়েছে’, ‘ঘুম থেকে ওঠো বন্ধু’। এরকম একের পর এক প্রতিবাদী পোস্টার নিয়ে মিছিল শিল্পাঞ্চল দাপিয়ে বেড়ায়। মিছিল দেখতেও রাস্তার দুধারে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন। তাঁরা মিছিলে সামিল না হলেও এই প্রতিবাদ আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন। হিন্দু জাগরণ মঞ্চের (Hindu jagran Manch) নেতা অমিত সরকার বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর যে অত্যাচার চলছে তা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা তার প্রতিবাদেই সামিল হয়েছি। বাংলাদেশে থাকা হিন্দুদের সুরক্ষার দাবি জানাচ্ছি সেই দেশের সরকারের কাছে। একইসঙ্গে আমাদের দেশের সরকারের কাছে একই আর্জি রাখছি। এই আন্দোলন আগামী দিনে গোটা রাজ্যজুড়ে হবে।

    আরও পড়ুন: আজ দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে নাগ পঞ্চমী, জানুন পৌরাণিক কাহিনী

    বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলা

    প্রসঙ্গত, ১০ জুলাই নারায়ণগঞ্জে ইসলামিক মৌলবাদীরা হিন্দুদের দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর পাশাপাশি, হিন্দুদের বাড়িগুলিতেও হামলা চালানো হয়। ১৪ জুলাই ঢাকাতে একই ধরনের ঘটনা ঘটে। ২০ জুলাই বরিশালে হিন্দুদের ব্যবসার প্রতিষ্ঠান এবং বাড়িতে হামলা চালানো হয়। চলতি অগাস্ট মাসের ৪ তারিখ হিন্দু কাউন্সিলর নেতা কাজল রায়কে হত্যা করা হয়। ইস্কন ও কালী মন্দির ভাঙচুর করা হয় নোয়াখালিতে। একই দিনে উগ্র মৌলবাদীরা তাণ্ডব চালাতে থাকে এবং সেখানকার রায়গঞ্জের হিন্দু সাংবাদিক প্রদীপ কুমার ভৌমিককে হত্যা করা হয়। চট্টগ্রামে হিন্দু দোকানগুলিকে লুট করা হয়, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ও সংগঠনগুলি অভিযোগ, ২৯টি জেলাতেই হিন্দুদের উপরে আক্রমণ চলে। হিন্দু সঙ্গীতশিল্পী রাহুল আনন্দের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। নষ্ট করা হয় প্রায় ৩ হাজার বাদ্যযন্ত্র। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভয়াবহ অত্যাচার, নির্যাতনের কথা তুলে ধরছেন সেদেশের হিন্দু মহিলারা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • R.G. Kar Medical College: আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ‘ধর্ষণ করে খুন’! মমতাকে আক্রমণ বিজেপির

    R.G. Kar Medical College: আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ‘ধর্ষণ করে খুন’! মমতাকে আক্রমণ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (R. G. Kar Medical College) কর্তব্যরত মহিলার চিকিৎসকের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। বিজেপির নেতা অমিত মালব্যর দাবি, “ধর্ষণ করে মহিলা ডাক্তারকে খুন করা হয়েছে। মমতার সরকার ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চাইছে।” ইতিমধ্যে জুনিয়র ডাক্তারেরা প্রতিবাদ জানিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি তুলে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে। জানা গিয়েছে, কেবলমাত্র জরুরি বিভাগেই পরিষেবা চলছে। ঘটনায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর এবং হাসপাতালের প্রশাসন কাঠগড়ায়।

    পুলিশকে ধামাচাপা দিতে বলা হয়েছে! (R. G. Kar Medical College)

    বিজেপি নেতা অমিত মালব্য তাঁর এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে বলেন, “কলকাতার শীর্ষস্থানীয় সরকারি হাসপাতালে এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। ডিউটি ​​রুম থেকে মহিলার নগ্নদেহ উদ্ধার হয়েছে। মমতার সরকার অপরাধ আড়াল করার চেষ্টা করছে। কলকাতা পুলিশকে ধামাচাপা দিতে বলা হয়েছে। খুনের ঘটনাকে আত্মহত্যা হিসেবে দেখাতে বলা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমেকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।” আবার বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল বলেন, “রাজ্যের কোনও মহিলা সুরক্ষিত নয়। রাজ্যের কাছে অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। কলেজের (R. G. Kar Medical College) সেমিনার হলে মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ করে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে।” এদিকে ঘটনার কথা জানাজানি হতে হাসপাতালের বাইরে বিজেপি নেতা সজল ঘোষের নেতৃত্বে বিরাট বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়।

    মৃত চিকিৎসকের পরিবারের দাবি খুন

    চিকিৎসকের মায়ের দাবি, তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে। ‘অর্ধনগ্ন’ অবস্থায় তাঁর মেয়ের দেহ পড়েছিল বলেও দাবি করেছেন তিনি। মহিলা বলেন, ‘‘আমার মেয়েটাকে খুন করে ফেলেছে এরা। অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়ে ছিল দেহ। গায়ে কাপড় ছিল না। চশমাটা ভেঙে গিয়েছিল। মুখে আঘাতের চিহ্ন ছিল। রাতে ও একাই ছিল সেমিনার হলে। ভিতরে কোনও সিসি ক্যামেরা নেই।’’

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

    হাসপাতালের (R. G. Kar Medical College) সুপার সঞ্জয় বশিষ্ট জানিয়েছেন, মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেটকে দিয়ে তদন্ত করানো হবে। তবে ইতিমধ্যে ১১ জনের সদস্য নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ময়না তদন্তের সময় ভিডিওগ্রাফি করা হবে। তবে তিনি ধর্ষণ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। অপর দিকে গোটা ঘটনার তদন্তে কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা উপস্থিত হয়েছেন। ঘটনার খবর পেয়ে কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল, স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম পৌঁছে গিয়েছেন। ঘটনা কীভাবে ঘটল সেই বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • WB BJP: পশ্চিমবঙ্গ যাবে বাংলাদেশে? সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল মানচিত্র, তীব্র প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    WB BJP: পশ্চিমবঙ্গ যাবে বাংলাদেশে? সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল মানচিত্র, তীব্র প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের রাশ গিয়েছে জামাতের হাতে। কোটা আন্দোলন যে মুখোশ ছিল, তা প্রকট হয়েছে তখনই যখন বাংলাদেশের (Greater Bangladesh) রাজনৈতিক অস্থিরতা সাম্প্রদায়িক হিংসার রূপ নিয়েছে। এরই মাঝে বাংলাদেশের কট্টর মৌলবাদীরা, পশ্চিমবঙ্গকেও বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তুলেছে। এনিয়ে সমাজ মাধ্যমের পাতায় শুরু হয়েছে প্রচারও। ভাইরাল হয়ে গিয়েছে বেশ কতকগুলি স্ক্রিন শট। ওই পোস্টগুলিতে প্রতিফলন দেখা গিয়েছে, মৌলবাদীদের ভাবনার গ্রেটার বাংলাদেশকে। ভাইরাল হওয়া পোস্টগুলিতে বাংলাদেশের মানচিত্রের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গকে। এনিয়ে প্রতিক্রিয়া সামনে এসেছে রাজ্য বিজেপির (WB BJP)।

    পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে শেয়ার করেছেন এমনই একটি স্ক্রিন শট। সেখানে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে (WB BJP)। এনিয়ে জগন্নাথবাবু লিখছেন, ‘‘মনে রাখবেন, বাংলাদেশের যে শক্তির উত্থান হল তাঁদের মনের বাসনা আমরা জানতে পেরেছি। সেই শক্তি পশ্চিমবঙ্গকেও ইসলামিকরণ করে বাংলাদেশে জুড়তে চায়।’’

    পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানানোর ষড়যন্ত্র (Greater Bangladesh)

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের উগ্র মৌলবাদী সংগঠনগুলি প্রথম থেকেই পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সক্রিয়। সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে জনবিন্যাসের বদল করছে তারা, যাতে কাশ্মীরের মতো, বাংলার সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতেও খুব তাড়াতাড়ি দাবি ওঠে বাংলাদেশভুক্তির। এনিয়ে জগন্নাথবাবু (WB BJP) লিখছেন, ‘‘অরাজকতার পর্বে এটি আরও স্পষ্ট হয়েছে। মানচিত্রটি  তৈরি করে বিতরণ হয়েছে। যেটা আমরা বরাবরই বলে আসছি পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানানোর ষড়যন্ত্র। হিন্দু বাঙালির এখন ভাববার সময় এসেছে।’’

    বাংলাদেশে যা ঘটল একই ঘটনা ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পর পশ্চিমবঙ্গে ঘটেছে

    প্রসঙ্গত, নিজের পোস্টে জগন্নাথবাবু  ২০২১ সালের ভোট পরবর্তী হিংসাকে বাংলাদেশের পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করেছেন। বিধানসভার পরে শাসক দলের সন্ত্রাস, আসলে সাম্প্রদায়িক হামলা ছিল, এই তত্ত্বে সিলমোহর দিয়েছেন জগন্নাথবাবু। তাঁর দাবি পশ্চিমবঙ্গও ইসলামিকরণের দিকেই যাচ্ছে। এনিয়ে রাজ্য বিজেপির নেতা লিখছেন, ‘‘বাংলাদেশে যা ঘটল একই ঘটনা ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পর আমরা পশ্চিমবঙ্গে দেখেছি। গত কয়েকদিনে এ রাজ্যে তৃণমূলের অন্দরের অনেক হিন্দু মন্ত্রী, নেতা, বিধায়ক, আমলার ফোন পেয়েছি। তাঁরাও আতঙ্কিত। এঁদের পূর্বপুরুষেরা অনেকেই ওপার থেকে এপারে এসেছিলেন। এখন বুঝতে পারছেন, বাঘের পিঠে সওয়ার হয়েছেন। হিন্দু বাঙালির (WB BJP) এবার ভাববার সময় হয়েছে। এপারে প্রস্তুতি কতটা তীব্র হলে খোদ কলকাতার মেয়র দাওয়াত-এ-ইসলামের ডাক দিতে পারেন?’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladeshi Hindu: পদ্মাপারে বিপন্ন হিন্দুরা! শনিবার গঙ্গাপারে পথে নামছেন সাধু-সন্তরা

    Bangladeshi Hindu: পদ্মাপারে বিপন্ন হিন্দুরা! শনিবার গঙ্গাপারে পথে নামছেন সাধু-সন্তরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দুরা (Bangladeshi Hindu)। তাঁদের নিরাপত্তার দাবিতে শনিবারই কলকাতার রাজপথে নামছেন বাংলার সাধু-সন্তরা। হিন্দুদের নিরাপত্তার দিকটি যাতে ভারত সরকার খতিয়ে দেখে সেই দাবি জানাতেই রাজ্যপাল (Governor of West Bengal) সিভি বোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাবেন সাধু-সন্তরা। জানা গিয়েছে, সনাতন সংস্কৃতি পরিষদ নামের (Bangladeshi Hindu) ওই সংগঠনের তরফ থেকে শনিবার বিকাল ৫টা নাগাদ রাজ্যপালের কাছে সময় চাওয়া হয়েছে। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকবেন ভারত সেবাশ্রমের কার্তিক মহারাজ। পদ্মাপারে রাজনৈতিক অস্থিরতা যেভাবে সাম্প্রদায়িক রূপ নিয়েছে, সেই আবহে গঙ্গাপারে সাধুদের রাস্তায় নামা যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বাংলাদেশে কোটা আন্দোলন ছিল আসলে মুখোশ। পিছনে থাকা জামাতের মুখ সামনে আসায় বাংলাদেশে হিন্দু মন্দিরগুলিতে লুট, অগ্নিসংযোগ, মূর্তি ভাঙচুরের মতো ঘটনাগুলি কার্যত নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    কী বলছেন কার্তিক মহারাজ? (Bangladeshi Hindu)

    সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত খোদ প্রধানমন্ত্রীও। বৃহস্পতিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুভেচ্ছা জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসকে। তাঁর বার্তায় সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তার বিষয়টিও অন্তবর্তী সরকারকে সুনিশ্চিত করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কার্তিক মহারাজকে ফোনে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি নিয়ে মত জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘‘উচিত কাজই করেছেন প্রদানমন্ত্রী, আমরাও তাঁর কাছে ইমেল মারফত বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের বিষয়টি তুলে ধরেছি। ’’রাজ্যপালের (Governor of West Bengal) কাছে যাওয়া নিয়ে কার্তিক মহারাজ বলেন, ‘‘আমরা রানি রাসমণি রোড থেকে মিছিল করে রাজভবনের উদ্দেশে যাব শনিবার। বিকাল ৫টা নাগাদ রাজ্যপাল সিভি বোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে, তাঁর কাছে দাবি জানাব যাতে ভারত সরকার বাংলাদশের হিন্দুদের সুরক্ষায় সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করে, এর পাশাপাশি নির্যাতিত হয়ে কোনও হিন্দু ভারতে এলে তাঁর যেন আশ্রয়ের ব্যবস্থাও করে সরকার, সেই দাবিও জানানো হবে।’’

    ১৭ অগাস্ট শ্যামবাজারে বিক্ষোভ সমাবেশ (Bangladeshi Hindu) 

    তবে এখানেই যে শেষ নয়, তাও জানিয়েছেন কার্তিক মহারাজ। ভারত সেবাশ্রমের সন্ন্যাসী (Bangladeshi Hindu) বলেন, ‘‘আগামী ১৭ অগাস্ট বাংলাদেশের হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশও করা হবে সাধু-সন্তদের তরফে।’’ অর্থাৎ বাংলার সাধু-সন্তরা যে চুপ করে বসে থাকবে না প্রতিবেশী রাষ্ট্রে হিন্দু নির্যাতনু হলে তা এমন কর্মসূচিগুলি থেকেই পরিষ্কার। অনেকেই এমন বিক্ষোভ কর্মসূচিকে সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন। কোনও কোনও মহলের মতে, আদতে সাধু-সন্তদের সমাবেশ হলেও ১৭ অগাস্ট বিক্ষোভ কর্মসূচি ও ১০ অগাস্টের মিছিলে অসংখ্য সাধারণ মানুষকেও ভিড় করতে দেখা যাবে, কারণ বাংলাদেশে  হিন্দুদের ওপর যে ধরনের হামলা হয়েছে, তা মানবাধিকারকেই লঙ্ঘিত করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Victoria Memorial: ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল তৈরির সঙ্গে জড়িয়ে এক বাঙালির নাম! জানেন কে তিনি?

    Victoria Memorial: ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল তৈরির সঙ্গে জড়িয়ে এক বাঙালির নাম! জানেন কে তিনি?

    হরিহর ঘোষাল

    ১৯০১ সালের ২২ জানুয়ারি প্রয়াত হন রানি ভিক্টোরিয়া। ব্রিটিশ শাসন চলাকালীন কলকাতা ছিল ভারতের রাজধানী। ইংল্যান্ডের রানি ভিক্টোরিয়া তখন আবার ভারতেরও সম্রাজ্ঞী। তাঁর রাজত্বকাল ১৮৫৭ থেকে ১৯০১-এর ২২ জানুয়ারি। সেই বিশেষ দিনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বলা বাহুল্য, মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর রাজত্বকালও শেষ হয়। রানির (Victoria Memorial) প্রয়াণের পর কলকাতায় তড়িঘড়ি এক বৈঠক ডাকেন তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড কার্জন। প্রয়াত রানিকে বিশেষভাবে সম্মান জানানোর প্রস্তাব রাখেন তিনি। প্রস্তাব ওঠে তাক লাগানো এক স্মৃতিসৌধ তৈরির। এশিয়াটিক সোসাইটিতে তিনি সে কথা বলেনও। শুরু হয় প্রস্তুতি।

    তাজমহলের আদলে ভিক্টোরিয়া (Victoria Memorial)

    স্মৃতিসৌধ বানাতে কলকাতায় (Kolkata) জমি খোঁজা শুরু হয়। যে জমিতে আজ ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল (Victoria Memorial) অবস্থান করছে, অতীতে সেটি ছিল প্রেসিডেন্সি জেলের জমি। প্রধানত রাজনৈতিক বন্দিদেরই এই জেলে রাখা হত। তবে, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল তৈরির প্রস্তাবের পর প্রেসিডেন্সি জেল সেই জমি থেকে আলিপুরে স্থানান্তরিত করা হয়। ভিক্টোরিয়াকে হঠাৎ দেখলে তাজমহল বলে ভুল হয়। আসলে তাজমহলের অনুসরণেই এই স্মৃতিসৌধটি তৈরি করা হয়েছিল। বেলফাস্ট সিটি হলের স্থাপত্যশৈলীর আদলে ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধের নকশা প্রস্তুত করেন স্যার উইলিয়াম এমারসন। তাঁকে ইতালীয় রেনেসাঁ স্থাপত্যশৈলীতে স্মৃতিসৌধের নকশা প্রস্তুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শুধুমাত্র ইউরোপীয় স্থাপত্যশৈলীর প্রয়োগ তাঁর পছন্দ ছিল না। তাই ইন্দো-সারাসেনিক শৈলীর সঙ্গে মুঘল শিল্পকলা যুক্ত করে মূল সৌধের নকশা প্রস্তুত করেন এমারসন। এছাড়াও ভিক্টোরিয়াতে মিশরীয়, ইসলামিক, ভেনেটিয়ান এবং ডেকানি সংস্কৃতির প্রভাব স্পষ্ট। রানির নামে সেই সৌধের নাম রাখা হয় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল।

    স্মৃতিসৌধ করতে লেগেছিল ১১ বছর

    ইংল্যান্ডের রানি ভিক্টোরিয়ার নামাঙ্কিত স্মৃতিসৌধ ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল (Victoria Memorial) তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয় ১৯০১ সালে, যেখানে থাকবে প্রচুর গাছ এবং ফুলের বাগান। ভাইসরয়ের ইচ্ছে ছিল, তাক লাগানো সেই স্মৃতিসৌধ দেখতে পর্যটকরা কলকাতায় ভিড় জমাবেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল তাজমহলকে টেক্কা দেওয়ার। তবে তাজমহলকে টেক্কা দিতে না পারলেও জনপ্রিয়তায় তাজের ঘাড়েই নিঃশ্বাস ফেলছে কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন রাজা পঞ্চম জর্জ। রানির স্মৃতিসৌধ বা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল তৈরির প্রস্তাব করা হয় ১৯০১ সালে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে তার নকশা তৈরি সহ অন্যান্য কাজ এগোতে থাকে। ১৯০৬ সালে শুরু হয় সৌধ নির্মাণের কাজ। সৌধটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন রাজা পঞ্চম জর্জ। বোন ভিক্টোরিয়ার মৃত্যুর পর তাঁরই রাজা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, বাবা সপ্তম এডওয়ার্ড বেঁচে থাকা পর্যন্ত তিনি রাজা হতে পারেননি। পঞ্চম জর্জ যখন ভারতে এসেছিলেন, ভারতীয়দের প্রতি ব্রিটিশদের জাতিগত বিদ্বেষ দেখে অত্যন্ত বিরক্ত হন। ভারতীয় রাজনীতি এবং প্রশাসনিক কাজে ভারতীয়দের অংশগ্রহণকে উৎসাহ দেন। তাঁর রাজত্বকালেই ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়।

    ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল তৈরি হতে সময় লাগে প্রায় ২০ বছর। রানি ভিক্টোরিয়া প্রয়াত হন ১৯০১ সালে। তাঁর স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয় ১৯০৬ সালে। অফিশিয়ালি নির্মাণকাজ শুরু হয় তার প্রায় চার বছর পর অর্থাৎ ১৯১০ সালে। নির্মাণকাজ শেষ হতে সময় লাগে ১১ বছর। সব মিলিয়ে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল নির্মাণ শেষ হয় ১৯২১ সালে। এর নকশা করেছিলেন স্যার উইলিয়ম এমার্সন। তিনি ছিলেন ব্রিটিশ ইনস্টিটিউট অফ আর্কিটেক্ট-এর প্রেসিডেন্ট। সৌধ-সংলগ্ন বাগানটির নকশা প্রস্তুত করেছিলেন লর্ড রেডেসডেল ও স্যার জন প্রেইন। সৌধ নির্মাণের বরাত দেওয়া হযেছিল কলকাতার মার্টিন অ্যান্ড কোং-কে। এই সংস্থার যুগ্ম মালিক ছিলেন স্যার থমাস অ্যাকুইনাস এবং স্যার রাজেন মুখোপাধ্যায়। সৌধ নির্মাণের পর রাজেন মুখোপাধ্যায়কে নাইট উপাধি দিয়েছিল ব্রিটিশ সরকার।

    কত খরচ?

    ভিক্টোরিয়া (Victoria Memorial) স্মৃতি সৌধ তৈরির জন্য পাথর আনা হয়েছিল রাজস্থান থেকে। বিশালাকার স্মৃতসৌধটির উচ্চতা প্রায় ৫৬ মিটার। মধ্যভাগে রয়েছে একটি বিশালাকার গম্বুজ এবং চার ধারে রয়েছে চারটি ছোট গম্বুজ। দেশের টাকায় রানির স্মৃতিসৌধ তৈরির প্রস্তাব করেছিলেন ব্রিটিশ ভাইসরয়। অথচ সেটি তৈরির খরচ প্রধানত বহন করতে হয়েছিল দেশের মানুষকে। তুলনায় ব্রিটিশদের খরচ ছিল অনেক কম। স্মৃতিসৌধ তৈরির জন্য লর্ড কার্জন ভারতীয় রাজা, জমিদার, ধনী-অভিজাত ব্যক্তি এবং ব্যবসায়ীদের কাছে অর্থদানের আবেদন জানান। আদতে তা ছিল ভাইসরয়ের আদেশ। সেই আদেশ খণ্ডন করার সাহস কারও ছিল না। সেই সময় স্মৃতিসৌধ তৈরি করতে খরচ পড়েছিল প্রায় ১ কোটি ৫ লক্ষ টাকা।

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কালো রং

    শ্বেত পাথরের তৈরি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালকে (Victoria Memorial) একবার সম্পূর্ণ কালো রং করে দেওয়া হযেছিল। সালটা ছিল ১৯৪৩। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছিল সেই সময়। এমনকী জাপানি সৈন্যদের আক্রমণের ভয়ে ভিক্টোরিয়ার ছবি প্রকাশও বন্ধ করে দিয়েছিল ব্রিটিশ সরকার। শ্বেত পাথরের সাদা ইমারত বহু দূর থেকেও দেখা যায়। ফলে সে সব স্থান বোমায় উড়িয়ে দেওয়া সহজ। সে কারণেই সতর্কতা স্বরূপ স্বরূপ ভিক্টোরিয়ার রং কালো করে দেওয়া হয়। আগাগোড়া শ্বেত পাথরের তৈরি এই স্মৃতিসৌধটি বর্তমানে একটি জাতীয় সংগ্রহশালা এবং কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন আকর্ষণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Protest Rally: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার, প্রতিবাদে পথে নামলেন এপারের হিন্দুরা

    Kolkata Protest Rally: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার, প্রতিবাদে পথে নামলেন এপারের হিন্দুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের (Bangladesh Crisis) প্রতিবাদে পথে নামলেন (Protest Rally) কলকাতার সাধারণ মানুষ। যাদবপুরের ৮বি বাসস্ট্যান্ড থেকে বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ এই কর্মসূচিতে পা মেলালেন। ছিল না কোনও দলের পতাকা। শুধুমাত্র ওপারের হিন্দুদের অধিকারের তাগিদে এই কর্মসূচি আয়োজিত হয়।

    ওপারের কান্নায় এপারের চোখ ভিজল (Protest Rally)

    অন্যদিকে, অপর একটি মিছিল (Protest Rally) শিয়ালদা থেকে বাংলাদেশ হাইকমিশনে পৌঁছয়। বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর ক্রমবর্ধমান অত্যাচারের (Bangladesh Crisis) প্রতিবাদে এই মিছিলের পা মিলান হাজারো প্রতিবাদী মানুষ। প্রতিবাদীরা মানববন্ধন তৈরি করেন। ওপার বাংলায় প্রাণ হারানো হিন্দুদের স্মরণে মোমবাতি জ্বালান। মুসলিম মৌলবাদীদের হাত থেকে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাঁচানোর দাবিও তোলেন তাঁরা। এদিনের অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মোহিত রায়, লেখক সন্দীপ বাগচী সহ অনেক বিশিষ্ট বর্গ।

    বামপন্থী ও সেলিব্রিটিরা চুপ কেন (Bangladesh Crisis)

    বর্তমানে যে সময় এই আন্দোলন চলছে, তখন বাংলাদেশে সেনা নিজেদের হাতে শাসন ক্ষমতা তুলে নিয়েছে। একটি অন্তবর্তী সরকার গঠনের চেষ্টা চলছে। তাঁরাও কতদূর কী করতে পারবেন তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। গাজা থেকে প্যালেস্টাইন, ইসলামিক দুনিয়ায় কোনও অত্যাচারের অভিযোগ হলে, যারা প্রতিবাদে মুখরিত হন, সেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংবা টলিউডের তরফে এখনও বাংলাদেশের হিন্দুদের অত্যাচারের (Bangladesh Crisis) বিষয়ে কোনও (Protest Rally) প্রতিক্রিয়া নেই। সেলিব্রেটি এবং বামপন্থীদের ‘সিলেক্টিভ’ প্রতিবাদ নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে নেটদুনিয়া। বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনকে যাঁরা সমর্থন জানিয়েছিলেন, সেই সমস্ত বামপন্থী এবং অভিনয় জগতের সেলিব্রেটিরাও বাংলাদেশে হিন্দুদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেখার দৃশ্য দেখেও যেন দেখতে পারছেন না। যাঁরা #alleyesonrafah লিখে ফেসবুক ভরিয়ে দিচ্ছিলেন, তাঁদের #alleyesonbangladesh লেখার সময় কি পাচ্ছেন না?

     

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share